Tag: ssc scam

ssc scam

  • SSC Scam: বনির পর কুন্তলের থেকে নেওয়া টাকা ফেরালেন সোমাও ! ইডির নজরে আর কোন টলি-তারকা?

    SSC Scam: বনির পর কুন্তলের থেকে নেওয়া টাকা ফেরালেন সোমাও ! ইডির নজরে আর কোন টলি-তারকা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কুন্তল ঘোষের থেকে নেওয়া নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Scam) টাকা ফেরত দিলেন টলি অভিনেতা বনি সেনগুপ্ত। শুধু বনি নন, বনির পর সোমা চক্রবর্তীও ইডির কাছে ৫৫ লক্ষ টাকা ফেরত দিলেন। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-র হাতে মোট ৪০ লক্ষ টাকা তুলে দিয়েছেন বনি। সূত্রের খবর, এদিনই ৫৫ লক্ষ ৬৩ হাজার টাকা ফিরিয়েছেন নেল পার্লারের মালিক কুন্তল ঘনিষ্ঠ সোমাও। ইডি সূত্রে খবর,  ওই অর্থ সংস্থার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমাও করা হয়েছে। 

    টাকা ফেরত দিলেন সোমা

    কুন্তল ঘোষের থেকে নেওয়া টাকা ফেরালেন তাঁর ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত সোমা চক্রবর্তী। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) সূত্রে জানা গিয়েছে, ৫৫ লক্ষ ৬৩ হাজার টাকা ফিরিয়েছেন তিনি। ওই টাকা কুন্তলের থেকে ঋণ হিসাবে নিয়েছিলেন তিনি। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃণমূলের প্রাক্তন যুবনেতা কুন্তলের অ্যাকাউন্ট থেকে যে টাকা লেনদেন হয়েছিল, তার মধ্যে এক কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। বনি সেনগুপ্ত ইতিমধ্যেই ৪০ লক্ষ টাকা ফেরত দিয়েছেন। এ বার টাকা ফেরত দিলেন সোমাও। 

    কুন্তলের টাকা ফেরত দিলেন বনি

    বনি ইডিকে আগেই জানিয়েছিলেন, কুন্তলের দেওয়া ৪০ লক্ষ টাকায় তিনি গাড়ি কিনেছিলেন। ইডি সূত্রের খবর, বনি দাবি করেছিলেন, ২০১৭ সালে কুন্তলের দেওয়া নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Scam) সেই টাকা তিনি সরাসরি নেননি। পরিবর্তে সেই টাকা পাঠানো হয়েছিল গাড়ির শো-রুমে। এ-ও দাবি করেন, তিনি গাড়ি কেনার জন্য টাকা নিলেও পরে কুন্তল আয়োজিত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে এবং তার জন্য কোনও পারিশ্রমিক না নিয়ে তিনি ওই টাকা ধৃত যুবনেতাকে শোধ করে দিয়েছিলেন।

    কুন্তলের টলিউড যোগ

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, টলিউডের (Tollywood) সঙ্গে নিবিড় যোগ ছিল কুন্তলের। বনি নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Scam) টাকা ফেরত দিলেও তিনি একা নন, টলিউডের আরও বেশ ক’জন অভিনেতা-অভিনেত্রীর সঙ্গে আর্থিক লেনদেন হয়েছিল কুন্তলের। ইডি সূত্রে খবর, ছবি বানাতে গোটা একটা প্রোডাকশন হাউসও খুলে ফেলেছিলেন কুন্তল ঘোষ। সেই সূত্র ধরেই তদন্তকারীদের নজরে এবার কুন্তলের প্রোডাকশন হাউস। ইডির দাবি দুর্নীতির (SSC Scam)কালো টাকাই এই প্রোডাকশন হাউসে বিনিয়োগ করা হয়েছিল। ধৃত কুন্তলের প্রোডাকশন হাউসে কাজ করা অভিনেতাদের পারিশ্রমিক সম্পর্কে তথ্য চায় ইডি। কুন্তল ঘোষের প্রোডাকশন হাউসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে দেখা গিয়েছে বনি সেনগুপ্তর মা পিয়া সেনগুপ্ত, প্রিয়াঙ্কা সরকার, সৌরভ দাস, এনা সাহার মতো তারকাদের। নিয়োগ দুর্নীতির টাকা খাটিয়েই এই শর্ট ফিল্ম, মিউজিক ভিডিও বানানো হত কিনা তা জানতে এবার তারকাদের তলব করতে চলেছে ইডি। 

    আরও পড়ুন: দুর্নীতির তদন্ত করতে ফের রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় দল, কোথায় যাবে জানেন?

    ইডির নজরে কারা? 

    উল্লেখ্য, সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বনির মা পিয়া সেনগুপ্ত স্বীকার করে নিয়েছেন যে অগ্রিম নেওয়ার সময়ে ছেলের সঙ্গে কোনও লিখিত চুক্তি হয়নি কুন্তলের। আরও যে অভিনেতা-অভিনেত্রী কুন্তলের থেকে নানা ইভেন্টের জন্য টাকা নিয়েছিলেন, তাঁদের ক্ষেত্রে লিখিত চুক্তি হয়েছিল কি না, সেটা খতিয়ে দেখছে ইডি। যাঁরা কোনও চুক্তি ছাড়াই কুন্তলের থেকে নগদ বা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা নিয়েছেন কিংবা দামি উপহার ‘পারিশ্রমিক’ পেয়েছেন, তাঁদের তালিকা তৈরি করছেন তদন্তকারীরা। এঁদের বয়ান ধাপে ধাপে রেকর্ড করবে ইডি। কুন্তল কেন লিখিত চুক্তি ছাড়া টাকা দিলেন, কেনই বা ওই অভিনেতা-অভিনেত্রীরা চুক্তি ছাড়া টাকা নিলেন, মৌখিক কথাবার্তায় এই লেনদেনের পিছনে নির্দিষ্ট কোনও পরিকল্পনা ছিল কি না, সে সব জানতে চাইছে ইডি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় ফের একবার আদালতের প্রশ্নের মুখে সিবিআই

    SSC Scam: নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় ফের একবার আদালতের প্রশ্নের মুখে সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ কেলেঙ্কারি (SSC Scam) মামলায় ফের একবার প্রশ্নের মুখে সিবিআই (CBI)। তদন্তের গতি নিয়ে প্রশ্ন আলিপুর বিশেষ আদালতের (Court)। বৃহস্পতিবার আদালতের ধমক খেলেন সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসার প্রদীপ ত্রিপাঠী। সিবিআই আদৌ তদন্ত করতে জানে কি না, সে প্রশ্ন তোলে আদালত। সিবিআইয়ের আবেদনকে দেওয়া হল বেআইনি আখ্যাও। আবদুল খালেক নামে এক অবসরপ্রাপ্ত ক্লার্ক গ্রেফতার হওয়ার পর নতুন করে অভিযোগ ওঠে শান্তিপ্রসাদ সিনহার বিরুদ্ধে। তারপরেও ওই মামলায় শান্তিপ্রসাদকে হেফাজতে নেওয়া হয়নি, উল্টে শান্তিপ্রসাদের হাতের লেখার নমুনা সংগ্রহের আর্জি জানানো হয় আদালতে। তাতেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন সিবিআই আদালতের বিচারক অর্পণ মুখোপাধ্যায়।

    বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হলে আপনাদের নথি টিকবে তো?…

    তিনি বলেন, আপনারা কি তদন্ত করতে জানেন না? যে আবেদন করেছেন, তা পুরোপুরি বেআইনি। আপনারা যা করছেন, তা উপযুক্ত কর্তৃপক্ষকে জানাতে বাধ্য হব। না জানালে আমি বিপদে পড়ব। বিচারকের প্রশ্ন, বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হলে আপনাদের নথি টিকবে তো? আদালত সূত্রে খবর, এদিন শুনানি চলাকালীন তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়েন প্রদীপ। যাঁর নামে চার্জশিট জমা পড়ে গিয়েছে, তাঁকে কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না, কেন কেস স্টাডিতে তাঁর নামের উল্লেখ নেই, তা জানতে চান বিচারক। নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে (SSC Scam) বৃহস্পতিবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুবীরেশ ভট্টাচার্য, শান্তিপ্রসাদ সিনহা, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় সহ ১৩জনকে আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতে তোলা হয়। ধৃত সুব্রত সামন্ত রায়ের আইনজীবী বলেন, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি তাঁর মক্কেলকে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু ৩ মার্চ সিবিআই চার্জশিটে যে ১৫ জনের নাম রাখা হয়, তাতে সুব্রতর নাম ছিল না। এতেই বিরক্ত হন বিচারক।

    আরও পড়ুুন: নোবেল শান্তি পুরস্কার পাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি? কমিটির সদস্যের মন্তব্যে জল্পনা!

    এর আগেও খালেকের মামলায় আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়েছিল সিবিআই। তাদের অভিযোগ ছিল, অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা তুলে খালেক দিয়েছেন শান্তিপ্রসাদকে। দুজনের যোগাযোগও ছিল। তার পরেও কেন শান্তিপ্রসাদকে হেফাজতে নেয়নি সিবিআই, সেই প্রশ্ন তুলেছিলেন বিচারক। তিনি বলেছিলেন, এসপি সিনহাকে টাকা দেওয়ার কথা (SSC Scam) বলছেন, কিন্তু তাঁকেই তো এই মামলায় আপনারা হেফাজতে নেননি। বিচারক বলেছিলেন, পনির বাটার মসালা বানাবেন ভাবছেন, পনিরই তো নেই আপনার কাছে…! এবার ফের খালেক মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে উষ্মা প্রকাশ করল আদালত।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Sukanta Majumdar: ‘‘আসল চোর কালীঘাটে বসে হাসছে’’! নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বিস্ফোরক সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: ‘‘আসল চোর কালীঘাটে বসে হাসছে’’! নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বিস্ফোরক সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এক হাত নিলেন  রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, “যাঁরা বেআইনিভাবে টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছিল তাঁদের চাকরি যাওয়ার ফলে মুখ্যমন্ত্রীর কষ্ট হচ্ছে। আর যাঁরা দীর্ঘদিন অন্যায়ভাবে বঞ্চিত হয়েছেন, চাকরি না পেয়ে পথে নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন, যোগ্য হয়েও পুলিশের লাঠি খেয়েছেন, তাঁদের জন্য মুখ্যমন্ত্রী ব্যথিত নন।”

    সুকান্তর সওয়াল

    আদালতে ইডি-র দাবি, নিয়োগ দুর্নীতির পরিমাণ ৩৫০ কোটি! এই প্রসঙ্গে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, ‘এটা গুনতে থাকুন শেয়ার মার্কেটের মতো বাড়বে। যত তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা ধরা পড়বে এটা হাজার কোটির উপরে যাবে। তাপস বলেছে কুন্তল দোষী, কুন্তল বলছে শান্তনু দোষী, একে অপরের ঘাড়ে দোষ চাপানোর চেষ্টা চলছে। আসল চোর কালীঘাটে বসে হাসছে।’

    প্রসঙ্গত, ঋষি অরবিন্দের জন্ম সার্ধ শতবর্ষে আলিপুর বার অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে আলিপুর আদালত চত্বরে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে বক্তৃতা করার সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, আদালতে কিছু মামলায় তিনি নিজেই সওয়াল করবেন বলে ভাবছেন। রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) এই প্রসঙ্গে বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী আদালতে সওয়াল করতে চাইলে তা স্বাগত। কিন্তু চাইব তিনি চাকরি না-পাওয়া যোগ্য প্রার্থীদের হয়ে কোর্টে সওয়াল করুন।”

    আরও পড়ুন: অযোগ্যদের চাকরির পক্ষে সওয়াল, মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ

    এদিন, নিয়োগ দুর্নীতি মামলার রায় নিয়ে মমতা বলেন, ‘‘এখন রোজ কথায় কথায় ৩ হাজার চাকরি বাদ। ৪ হাজার চাকরি বাদ! কেউ যদি নিচুতলায় অন্যায় করেও থাকে, সংশোধনের সুযোগ পাওয়া উচিত।’’ তিনি বলেন, “আমি জীবনে জেনে শুনে কোনও অন্যায় করিনি। আমি ক্ষমতায় আসার পর একটাও সিপিএম ক্যাডারের চাকরি খাইনি। তা হলে তোমরা কেন খাচ্ছ? দেওয়ার ক্ষমতা নেই। কাড়বার ক্ষমতা আছে!’’ মমতা আরও বলেন, “হঠাৎ করে চাকরি চলে গেলে সে খাবে কী! আমি বলছি, যাঁরা অন্যায় করেছে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করুন, কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু, ছেলে মেয়েগুলোর যাতে কোনও সমস্যা না হয়। তাঁদের চাকরি আইন অনুযায়ী ফিরিয়ে দিন।” কিন্তু বেআইনিভাবে চাকরি প্রাপক, অযোগ্য ব্যক্তিদের হয়ে মুখ্যমন্ত্রীর এই সওয়াল আলোড়ন ফেলেছে রাজ্য-রাজনীতিতে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Partha-Arpita: জামিনের আবেদন করলেন না পার্থ-অর্পিতা, জেল হেফাজতের মেয়াদ বাড়াল আদালত

    Partha-Arpita: জামিনের আবেদন করলেন না পার্থ-অর্পিতা, জেল হেফাজতের মেয়াদ বাড়াল আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জেলে রয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায় (Partha-Arpita)। গতকাল জেল হেফাজতের মেয়াদ শেষে ব্যাঙ্কশাল কোর্টের বিশেষ সিবিআই আদালতে পেশ করা হয় তাঁদের। সেখানে ভার্চুয়াল শুনানিতে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আদালতে হাজির হন পার্থ এবং অর্পিতা। শুনানি শেষে আগামী ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত দু’জনকেই জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত। তবে এই শুনানির সময় পার্থ-অর্পিতাকে জামিনের আবেদন করতে দেখা যায়নি। তার বদলে পার্থ ও অর্পিতার মধ্যে ‘প্রেমালাপ’ করতে দেখা যায়। আর এই নিয়েই শুরু হয়েছে জোর চর্চা।

    ভার্চুয়াল শুনানিতে কী বললেন অর্পিতা?

    প্রায় ৮ মাস হল নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়ে আলিপুর মহিলা সংশোধনাগারে রয়েছেন অভিনেত্রী-মডেল অর্পিতা মুখোপাধ্যায় (Partha-Arpita)। সেখানে বিচারকের উদ্দেশে অর্পিতা জানান, তিনি নির্দোষ। বিনা অপরাধে তাঁকে ৮ মাস ধরে জেলে আটকে রাখা হয়েছে। এতে তাঁর সামাজিক মর্যাদাহানি হচ্ছে। বিচারকের উদ্দেশে অর্পিতাকে বলতে শোনা যায়, “আপনার কি মনে হয় না, একজন মহিলাকে আটকে রেখে তাঁর সামাজিক স্টেটাস (মর্যাদা) নষ্ট হচ্ছে?” অভিনেত্রী আরও বলেন, “আমি অত্যন্ত উচ্চ বংশের মেয়ে। আমার মা অসুস্থ। তাঁর পাশে থাকতে হবে।”

    আরও পড়ুন:গ্রেফতার কেষ্টর হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি, এবার কি সুকন্যার পালা?

    জামিনের আবেদন করলেন না পার্থ

    নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে পার্থ রয়েছেন প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে। গতকাল তাঁকে আদালতে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পেশ করা হলে তিনি জামিনের আবেদন করেননি (Partha-Arpita)। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী বিপ্লব গোস্বামী জানান, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। গ্রেফতারির পর ভুবনেশ্বর এইমসে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তারই পরিপ্রেক্ষিতে এদিন পার্থর আইনজীবী আবেদন করেন যাতে চিফ মেডিকেল অফিসার প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়ে মেডিকেল চেক-আপ করে। ৭-৮ দিনের মধ্যে সেই মেডিক্যাল রিপোর্ট করার আবেদন জানান তিনি৷ কিন্তু ইডি’র আইনজীবী এর বিরোধিতা করে বলেন, যে এইমসের কথা বলা হচ্ছে সেখানে পার্থকে সুস্থ বলা হয়েছিল। তারপরই হেফাজতে নেওয়া হয়েছিল তাঁকে। এদিকে পার্থ-অর্পিতার তরফে জামিনের আবেদন না করায় তাদের আগামী ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত জেল হেফাজতের মেয়াদ বাড়িয়েছে আদালত।

    অন্যদিকে, মঙ্গলবার ব্যাঙ্কশাল কোর্টে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানির আরও একটি ঘটনা চর্চায় উঠে এসেছে। তা হল পার্থ এবং অর্পিতার একে অন্যের উদ্দেশে করা অঙ্গভঙ্গি। এক সময় আদালতের স্ক্রিনে দেখা যায় পার্থ ও অর্পিতাকে। সেই সময় ‘চোখে চোখে কথা’ বলেন পার্থ-অর্পিতা, সূত্রের খবর (Partha-Arpita)।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতির জের! হাইকোর্টের নির্দেশে ৩৪৭৮ জনের তালিকা প্রকাশ করল এসএসসি

    SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতির জের! হাইকোর্টের নির্দেশে ৩৪৭৮ জনের তালিকা প্রকাশ করল এসএসসি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Scam) জের এসএসসি-র গ্রুপ সি (Group C) পরীক্ষাতেও। গ্রুপ সি-তেও ওএমআর শিটের নম্বরে কারচুপি ধরা পড়েছে। প্রাপ্ত নম্বর শূন্য, বাড়িয়ে করা হয়েছে ৫৭! প্রাপ্ত নম্বর ১, বাড়িয়ে করা হয়েছে ৫৪! হাইকোর্টের নির্দেশ ৩৪৭৮ জনের তালিকা প্রকাশ করেছে এসএসসি।  ৩৪৭৮ জনের মধ্য়ে ৩৬২ জনের নম্বরে কোনও রদবদল হয়নি। বাকী ৩১১৬ জনের মধ্যে ৮৬ জনের নম্বর কমে গিয়েছে এসএসসির মূল সার্ভারে। এদের নম্বর গাজিয়াবাদের ওএমআর মূল্যায়নকারী সংস্থা এনওয়াইএসএ-র সার্ভারে বেশি বা কম ছিল। 

    তালিকায় স্পষ্ট নম্বরে কারচুপি

    এসএসসি-র প্রকাশিত তালিকায় স্পষ্ট নম্বরে কারচুপি করে নিয়োগ-দুর্নীতির (SSC Scam) ছবি। প্রার্থীদের নাম ও রোল নম্বর দেওয়া আছে সেই তালিকায়। পাশে পরপর কলামে লেখা – প্রকাশ হওয়া নম্বর ও আসল নম্বর। তার পাশের কলামে দেখানো হয়েছে, ঠিক কত নম্বরের তফাৎ রয়েছে। 

    এ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, “এটা সংগঠিত, পরিকল্পিত দুর্নীতি (SSC Scam)। এসএসসির মান সম্মান এখন আর কিছু নেই। যে উদ্দেশে এসএসসি তৈরি হয়েছিল, সেটিকেই বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অজান্তে এই দুর্নীতি হয়নি। উনি জানতেন না এটা হতে পারে না। আর যদি না জানেন তাহলে অযোগ্য হিসেবে তাঁর পদ ছেড়ে দেওয়া উচিত’। এদিকে, গ্রুপ সি-র শূন্য পদে নিয়োগের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে এসএসি। খুব শীঘ্রই হবে কাউন্সেলিং। এই মর্মে বিবৃতি প্রকাশ করল কমিশন। প্রথম দফায় হবে ৭৮৫ পদে নিয়োগ। ওয়েটিং লিস্ট থেকেই হবে নিয়োগ। কিন্তু ওইসব প্রার্থীদের ওএমআর শিট পরীক্ষা করে দেখা হবে। কোনও অসংগতি থাকলে তাদের কাউন্সেলিংয়ে ডাকা হবে না। 

    আরও পড়ুন: হাইকোর্টে ফের ধাক্কা! উপাচার্য পুনর্নিয়োগের অধিকার নেই রাজ্যের

    এদিকে, সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ গ্রুপ সি-র চাকরিচ্যুতরা। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ৮৪২ জন চাকরিচ্যুত। মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছে বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ। চলতি সপ্তাহে শুনানির সম্ভাবনা।    

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: ৩৫০ কোটির কেলেঙ্কারি! জানেন নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আর কী কী বলল ইডি?

    SSC Scam: ৩৫০ কোটির কেলেঙ্কারি! জানেন নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আর কী কী বলল ইডি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Scam) মামলায় টাকার অঙ্ক ৩৫০ কোটি ছুঁয়েছে, দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির। সোমবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হয় নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Scam) অভিযুক্ত তৃণমূলের যুবনেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এদিন সওয়াল জবাব চলাকালীন আদালতে ইডি জানায়, ১০০, ২০০ নয়, রাজ্যে স্কুলে নিয়োগে ৩৫০ কোটির দুর্নীতি হয়েছে। ইডির আইনজীবী আদালতে জানান, দুর্নীতির টাকার অঙ্ক ক্রমেই বেড়ে চলছে। ১১১ কোটি টাকা থেকে তা পৌঁছে গিয়েছে ৩৫০ কোটি টাকায়। এই টাকার অঙ্ক আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান ইডির আইনজীবী। তিনি বলেন, ‘পুরুলিয়ার ছোট টিলা থেকে দুর্নীতি পৌঁছে গিয়েছে এভারেস্টের চূড়ায়।’ 

    ৩৫০ কোটির কেলেঙ্কারি

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে জানানো হয়,আগে মনে হয়েছিল ১১১ কোটির দুর্নীতি, এখন মনে হচ্ছে ৩৫০ কোটির কেলেঙ্কারি (SSC Scam)। কুন্তলের কাছ থেকে নগদে ১ কোটিরও বেশি টাকা পেয়েছিলেন শান্তনু। এদিন ইডির তরফে বলা হয়, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ২টি ফোন পাওয়া গেছে, তা আসলে সোনার খনি, খতিয়ে দেখতে হবে। আরও অনেক প্রভাবশালী জড়িত রয়েছে এই কেসে। কেস ডায়েরিতে সব স্পষ্ট  করা হবে। এদিন শান্তনুকে হেফাজতে নেওয়ার জন্য সওয়াল করে ইডি। তারা জানায়, বিপুল সম্পত্তির মালিক শান্তনু । তার উৎস জানার চেষ্টা চালানো হচ্ছে । শান্তনুর দুটি মোবাইল ফোন ভর্তি রয়েছে চাকরিপ্রার্থীদের তালিকায়। অ্যাডমিট কার্ড, রোল নম্বর বিভিন্ন তথ্য রয়েছে শান্তনুর ফোনে। হেফাজতে রেখে তার থেকে আরও বিস্তারিত তথ্য জানতে চায় ইডি। এদিন শান্তনুর জামিনের আবেদন খারিজ করে,তাঁকে ২৪ মার্চ পর্যন্ত ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।

    আরও পড়ুন: হাইকোর্টে ফের ধাক্কা! উপাচার্য পুনর্নিয়োগের অধিকার নেই রাজ্যের

    সব দায় কুন্তলের

    প্রসঙ্গত, এদিন নিয়োগে দুর্নীতির (SSC Scam) দায় কুন্তলের উপরেই চাপিয়ে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন শান্তনু।  তাঁর দাবি, নিয়োগ মামলায় মূল পাণ্ডা কুন্তল ঘোষ। মামলা এগোলে প্রমাণ হয়ে যাবে যে তিনি নির্দোষ।  তিনি বলেন, ‘কুন্তল টাকা পাচার করেছে অন্য রাজ্যে। কুন্তল এজেন্টদের ভয় দেখাচ্ছে, অন্য রাজ্যে টাকা পাঠাচ্ছে ওর লোকজন কয়েকশো এজেন্টের থেকে কয়েকশো কোটি টাকা তুলেছে কুন্তল। কারও নির্দেশে টাকা দেওয়া হয়নি, মিথ্যা কথা বলছে কুন্তল। আমি কোনও কিছুতে জড়িত নই, আগামীদিনে প্রমাণ হবে। আমার সব লিগাল, আগামীদিনে প্রমাণ হবে’। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি বাতিলের তালিকায় প্রকট হচ্ছে তৃণমূল-যোগ, কারা তাঁরা?

    Recruitment Scam: হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি বাতিলের তালিকায় প্রকট হচ্ছে তৃণমূল-যোগ, কারা তাঁরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত কয়েক মাস থেকে লাগাতার নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) অভিযোগ সামনে আসায় মুখ পুড়েছে রাজ্যের। শুক্রবার গ্ৰুপ সি-র চাকরি বাতিলের তালিকা সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য জুড়ে। কারণ এই ৮৪২ জনের বাতিল হওয়া তালিকায় জ্বলজ্বল করছে রাজ্যের বিভিন্ন জেলার শাসক দলের একের পর এক নেতা-কর্মী থেকে শুরু করে তাঁদের পরিবারের সদস্যের নাম। কারা নেই সেখানে, রাজ্যের মন্ত্রীর ভাই থেকে তৃণমূল নেতার স্ত্রী থেকে শুরু করে বিধায়কের মেয়ে, জামাই, ভাইঝি ইত্যাদি।

    কোন জায়গায় শাসকদলের কোন কোন পরিজনরা চাকরি হারালেন…

    মিনাখা

    সূত্রের খবর, গ্রুপ সি-র চাকরি পেয়েছিলেন মিনাখার তৃণমূল বিধায়ক ঊষারানি মণ্ডলের মেয়ে বিনতা মণ্ডল। কিন্তু হাইকোর্টের নির্দেশে শনিবার তাঁর চাকরি গেল। ওএমআর শিটে ৬০টি প্রশ্নের মধ্যে ৫৮টির জবাব দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু দেখা গিয়েছে, ওই ৫৮টির মধ্যে মাত্র চারটি ঠিক উত্তর ছিল, বাকি সব ভুল। বেলঘরিয়া নন্দননগর আদর্শ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের গ্রুপ সি-র কর্মী ছিলেন বিনতা। আরও জানা গিয়েছে, ডিএ ধর্মঘটের বিরুদ্ধে গিয়ে তিনি স্কুলেও গিয়েছিলেন বিনতা (Recruitment Scam) ।

    উত্তর দিনাজপুর

    ভুয়ো চাকরির তালিকায় এবার উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান শচীন সিংহ রায়ের ভাইপো ও কালিয়াগঞ্জ পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর বসন্ত রায়ের ছেলের নাম উঠে এসেছে। কালিয়াগঞ্জ শহরের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা শচীন সিংহ রায়। পার্শ্ববর্তী বাড়ি তাঁর দাদা প্রয়াত তৃণমূল নেতা অর্জুন সিংহ রায়। অর্জুন সিংহ রায়ের পুত্রই হলেন শুভাশিস সিংহ রায়। তবে শচীন তাঁর ভাইপোর এই চাকরি হারানোর বিষয়ে কোন দায় নিতে চাননি।

    অন্যদিকে কালিয়াগঞ্জ শহরের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর বসন্ত রায়ের ছেলে অলোক কুমার রায়। অলোক গ্রুপ সি পদে আলিপুরদুয়ারের জয়ন্তী হাই স্কুলে কাজ করেছিলেন। তবে বসন্ত রায়ের কথায়, “চাকরি নিয়ে কেস হতে পারে শুনে ছয় মাস আগেই চাকরি ছেড়ে বাড়ি চলে এসেছে আমার ছেলে।  ওই জঙ্গলের মধ্যে ছেলের মন টিকছিল না।”

    আবার ইটাহারের ছয়ঘড়া হাইস্কুলের গ্রুপ সি পদে কর্মরত ছিলেন সামসুর রহমান। তিনি হেমতাবাদ ব্লকের যুব তৃণমূল সহ সভাপতি এবং হেমতাবাদের তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সত্যজিৎ বর্মনের ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত রাজনৈতিক মহলে। ফলে সামসুরও চাকরি হারিয়েছেন (Recruitment Scam) ।

    হুগলি

    হুগলির ধনিয়াখালী পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অর্পিতা বারিকের কন্যা রণিতা বারিক। অন্যদিকে, প্রাক্তন মন্ত্রী তথা ধনিয়াখালী বিধানসভার তৃণমূল বিধায়ক অসীমা পাত্রের বোনঝি রণিত বারিক। রণিতার নামও রয়েছে এই তালিকায়।

    দুর্গাপুর

    দুর্গাপুরের আইএনটিটিইউসির-সহ সভাপতি সমীর মুখোপাধ্যায়ের ছেলে অর্ণব মুখোপাধ্যায়। ২০১৭ সালের ৫ মার্চ এসএসসি গ্রুপ-সির চাকরির লিখিত পরীক্ষা দিয়েছিল সে। এরপর দুর্গাপুর প্রোজেক্টস্ টাউনশিপ বয়েজ হাইস্কুলে চাকরি পায় সে। ছেলের চাকরি যাওয়া প্রসঙ্গে সমীরবাবুকে প্রশ্ন করা হলে উল্টে তিনি বলেন, “আমি কখনোই চাইনি আমার ছেলে এই চাকরি করুক।” আবার চাকরি হারানো নিয়ে শাসকদলের প্রতি ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন সমীরবাবু। তিনি বলেন, “দল করাটাই এতদিন ভুল হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। শিক্ষা দফতর তো সব দেখে শুনেই চাকরি দিয়েছিল। আজ সরকার এদের পাশে দাঁড়াবে না? বেকার ছেলেমেয়েদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি করা হল এই সরকারের আমলে (Recruitment Scam) ।”

    আমতা

    এবারে আদালতের নির্দেশে চাকরি বাতিল হয়েছে আমতার পঞ্চায়েত প্রধানের। জানা গিয়েছে, আমতা বিধানসভার সাবসীট গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হলেন শেখ সাদ্দাম হোসেন। তাঁর নামও ছিল এই তালিকায়।

    মালদা

    হাইকোর্টের রায়ে চাকরি গেল মালদহের তৃণমূল নেতার দুই মেয়ে ও জামাইয়ের। মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর রামপুর গ্রামের বাসিন্দা তৃণমূল নেতা প্রকাশ দাসের দুই মেয়ে মাম্পি দাস, শম্পা দাস এবং জামাই বিপ্লব দাসের চাকরি গিয়েছে হাইকোর্টের রায়ে (Recruitment Scam)।

  • SSC Scam: গ্রুপ সি-র ৫৭ জনের চাকরি বাতিল! হাইকোর্টের নির্দেশ মতো কাজ এসএসসির

    SSC Scam: গ্রুপ সি-র ৫৭ জনের চাকরি বাতিল! হাইকোর্টের নির্দেশ মতো কাজ এসএসসির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Scam) জেরে গ্রুপ সি-র ৮৪২ জন চাকরিপ্রার্থীর মধ্যে ৫৭ জনের চাকরি বাতিল করা হলো। হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী এই পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে জানাল এসএসসি। শনিবার এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি জারি করল স্কুল সার্ভিস কমিশন। শনিবার দুপুর ১২টার মধ্যে ওই তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি দুপুর ৩ টের মধ্যে নিয়োগপত্র বাতিলের বিজ্ঞপ্তি জারি করতে বলেছিলেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে। 

    এসএসসির সুপারিশপত্র ছাড়াই নিয়োগ

    এসএসসির সুপারিশপত্র ছাড়াই ‘গ্রুপ সি’-তে চাকরি করছেন ৫৭ জন। শুক্রবার এই তথ্য পেয়ে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বিস্ময় প্রকাশ করেন। তিনি সরাসরি প্রশ্ন করেন এটাও কি শান্তিপ্রসাদ সিন্‌হার কাজ? যাঁরা বেআইনিভাবে কাজ করছেন তাঁদের নিয়োগ (SSC Scam) বাতিলের নির্দেশ দেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এমনকী তাঁরা যেন শনিবার থেকে স্কুলে ঢুকতে না পারে তাও নিশ্চিত করতে বলা হয়েছিল। সেই নির্দেশের পরই তৎপর হয় স্কুল সার্ভিস কমিশন। বিজ্ঞপ্তি দিয়ে প্রথম দফায় ৫৭ জনের চাকরি বাতিল করা হয়েছে। 

    আরও পড়ুুন: সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিককে জেলে পাঠানোর হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর, কেন জানেন?

    শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্ট ৮৪২ জন গ্রুপ সি (Group C) কর্মীর চাকরি বাতিলের (SSC Scam) নির্দেশ দিয়েছিল। আদালতের তথ্য অনুযায়ী, ৮৪২ জনের মধ্যে ৭৮৫ জনের কাছে এসএসসির সুপারিশপত্র এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নিয়োগপত্র আছে। তাই প্রথমে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে ওই সুপারিশপত্র প্রত্যাহার করা এবং পরে মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে নিয়োগপত্র প্রত্যাহারের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাই কোর্ট। অপর ৫৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, কমিশনের সুপারিশ ছাড়াই চাকরি পেয়েছিলেন তাঁরা। এই প্রেক্ষিতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, যে হেতু এসএসসি সুপারিশপত্র দেয়নি, তাই ওই ৫৭ জনের চাকরি কলকাতা হাই কোর্ট বাতিল করেছে, এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি দিক এসএসসি। সেই নির্দেশ মতোই কাজ করে এসএসসি। ওই ৫৭ জন কারা, তাঁদের নাম কী, রোল নম্বর কী ছিল, এখন তাঁরা কোন স্কুলে কর্মরত রয়েছেন, তার তথ্য তালিকায় প্রকাশ করা হয়েছে। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: মডেলদের নিয়ে রাতভর হুল্লোড়, নিষিদ্ধ মাদক সেবন! জলের মতো টাকা ওড়াতেন কুন্তল?

    SSC Scam: মডেলদের নিয়ে রাতভর হুল্লোড়, নিষিদ্ধ মাদক সেবন! জলের মতো টাকা ওড়াতেন কুন্তল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (SSC Scam) গ্রেফতার হওয়া যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের রঙিন জীবনযাপন করতেন। টলিউডের অভিনেতা-অভিনেত্রীদের সঙ্গে ছিল তাঁর ওঠা-বসা। ইডি সূত্রে খবর, টলিউডের একাধিক উঠতি অভিনেত্রীর সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্ব ছিল। ই এম বাইপাসের ধারে একটি অভিজাত ফ্ল্যাটেই এই উঠতি মডেলদের নিয়ে রীতিমতো জমাটি পার্টির আয়োজন করতেন কুন্তল। চলত হুল্লোড়, মদ্যপান থেকে নিষিদ্ধ মাদক সেবনও, দাবি ইডির।

    মাদক কারবারিদের সঙ্গেও পরিচয়

    ইডি সূত্রে খবর, ইএম বাইপাস সংলগ্ন এক অভিজাত আবাসনে তাঁর বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে মাঝেমধ্যেই বসত ‘রেভ পার্টি’র আসর। নায়ক–নায়িকা থেকে উঠতি মডেল ওখানে আসতেন। রাতভর চলত হুল্লোড় থেকে নিষিদ্ধ মাদক সেবন। এমনকী ওই পার্টিতে নিয়মিত দেখা যেত দুই ড্রাগ কারবারিকে। তারা সেখানে নিষিদ্ধ মাদক সরবরাহ করত বলে তথ্য পেয়েছেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) আধিকারিকরা। টলিউডের আরও ৬ জন অভিনেতা–অভিনেত্রীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল কুন্তলের। হয়েছে আর্থিক লেনদেনও, (SSC Scam) এমনটাই দাবি তদন্তকারীদের। যুবনেতার বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও সন্তানদের জন্মদিনের পার্টিতে হাজির থেকেছেন অভিনেতা-অভিনেত্রীরা।

    গ্ল্যামার গার্লদের সঙ্গে টাকার লেনদেন

    কুন্তলের ব্যাঙ্কের নথিতে অভিনয় জগতের গ্ল্যামার গার্লদের সঙ্গে টাকা লেনদেনের হদিশ পেয়েছেন ইডি অফিসাররা। আবার সোমার পার্লারের উদ্বোধনের জন‌্য বনি সেনগুপ্তর ঘনিষ্ঠ বান্ধবী কৌশানী মুখোপাধ‌্যায়কে বলা হয়েছিল। ‘পারিশ্রমিক’ নিয়েই কুন্তলের কথায় কৌশানী নিউটাউনে গিয়ে ওই পার্লার উদ্বোধন করেন। উল্লেখ্য, কুন্তল প্রসঙ্গে সোমা চক্রবর্তী দাবি করেছেন, তাঁর সঙ্গে কুন্তলের ২০১৮ সালের পর থেকে যোগাযোগ ছিল না। ব্যবসার জন্য কিছু অর্থ তিনি কুন্তলের থেকে ধার নিয়েছিলেন বলেও জানিয়েছেন সোমা। তাঁর কথায়, এই টাকা তিনি ফেরত দেননি এবং কুন্তলও কখনও তা ফেরত চাননি।  ইডি সূত্রের দাবি, দুনীর্তিতে অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষ এবং এই সোমা চক্রবর্তীর মধ্যে অন্তত ৫০ লক্ষ টাকার লেনদেন হয়েছিল। সেই সংক্রান্ত নথিও হাতে পেয়েছেন ইডির তদন্তকারীরা। বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পেতে শুক্রবার ইডি দফতরে আরও এক বার ডেকে পাঠানো হয়েছিল সোমাকে। সঙ্গে আনতে বলা হয়েছিল তাঁর ব্যাঙ্কের যাবতীয় নথি।

    আরও পড়ুুন: সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিককে জেলে পাঠানোর হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর, কেন জানেন?

    সোমা-কুন্তল সম্পর্ক

    সোমার সঙ্গে কুন্তলের পরিচয় হয়েছিল শহরের একটি অভিজাত ক্লাবে। সেটা ২০১৫ সাল। তার পর থেকে একাধিক বার কুন্তল এবং সোমাকে বিভিন্ন ক্লাবে, পাবে একসাথে দেখা গিয়েছে বলে সূত্রের খবর। সেই বন্ধুত্বের খাতিরেই নাকি ব্যবসার জন্য সোমাকে ৫০ লক্ষ টাকা ঋণ দিয়েছিলেন কুন্তল। ইডির প্রশ্নোত্তর পর্বে অন্তত এমনটাই জানিয়েছেন সোমা।  তবে ইডির দাবি, সোমার অ্যাকাউন্টে টাকা আসার পর তা অন্য বেশ কয়েকটি অ্যাকাউন্টে সরানো হয়েছে। কেন সরানো হয়েছিল ওই টাকা? ইডি কর্তারা মনে করছেন, নিয়োগ দুর্নীতির টাকা সরানোর জন্য একের পর এক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করা হয়েছে। আর কোন কোন অ্যাকাউন্টে গিয়েছে এই টাকা, কোথায় কোথায় হয়েছে লেনদেন। সে সমস্ত বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে সোমাকে তাঁর অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত আরও তথ্য নিয়ে ফের হাজিরা দিতে বলা হয়েছে ইডির দফতরে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Justice Abhijit Ganguly: গ্রুপ সি-তে সুুপারিশ ছাড়াই চাকরি! বিচারপতির নির্দেশে তালিকা প্রকাশ এসএসসি-র

    Justice Abhijit Ganguly: গ্রুপ সি-তে সুুপারিশ ছাড়াই চাকরি! বিচারপতির নির্দেশে তালিকা প্রকাশ এসএসসি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রুপ সি-তে সুপারিশপত্র ছাড়াই চাকরি দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল। এরপরেই শুক্রবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly ) নির্দেশ দেন ২ ঘণ্টার মধ্যে সেই তালিকা প্রকাশ করতে হবে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে (SSC)। সেই নির্দেশের ঘণ্টা খানেকের মধ্যেই ৫৭ জনের তালিকা প্রকাশ করল এসএসসি।

    কী ঘটেছিল?

    জানা গিয়েছে, স্কুল সার্ভিস কমিশনের সুপারিশ পত্র ছাড়াই গ্রুপ সি তে চাকরি করছেন ৫৭ জন! এ কথা জেনেই বিস্ময় প্রকাশ করেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly )। এর পরেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রশ্ন,  “এই ৫৭ জন কী করে চাকরি পেল? এদের সুপারিশপত্র কে দিয়েছে? শান্তিপ্রসাদ সিনহা?” এর পরেই বিচারপতি নির্দেশ দেন, বিকাল ৩ টা ১৫ মিনিটের মধ্যে ওয়েবসাইটে এই ৫৭ জনের তালিকা প্রকাশ করতে হবে। আর সেই মত সময়ের অনেক আগেই এসএসসি প্রকাশ করে তালিকা।

    ওই ৫৭ জন কারা, তাঁদের নাম কী, রোল নম্বর কী ছিল। এখন তাঁরা কোন স্কুলে কর্মরত রয়েছেন। তার পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এসএসসি-র ওয়েবসাইটে ওই তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। ওই ৫৭ জনের কাছে কমিশনের সুপারিশপত্র নেই। কিন্তু নিয়োগপত্র রয়েছে।

    আরও পড়ুন:১২ মার্চ পানিপথে বসছে আরএসএস-এর প্রতিনিধি বৈঠক! কী কী আলোচনা হবে?

    প্রসঙ্গত, উচ্চ প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের ক্ষেত্রে চাকরির জন্য সুপারিশ দেয় কমিশন। তার ভিত্তিতেই নিয়োগ করা হয়। শিক্ষক থেকে শিক্ষাকর্মী সব নিয়োগের ক্ষেত্রেই লাগে কমিশনের সুপারিশ। অভিযোগ, ২০১৬ সালের গ্রুপ সি পদে নিয়োগে আরএসএসটি চাকরিপ্রার্থীদের সুপারিশপত্র দেওয়া হয়নি। ফলে এবারে তাদের তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়।

    ৫৭ জনের চাকরির ভবিষ্যৎ কী?

    সূত্রের খবর, তালিকা প্রকাশ হওয়ার পরই এই মামলার ফের শুনানি হবে। আজ এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আজই দুপুর সাড়ে তিনটের পর। তারপরেই বোঝা যাবে এই ৫৭ জনের চাকরি থাকবে নাকি বাতিলের নির্দেশ দেবেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

LinkedIn
Share