Tag: ssc scam

ssc scam

  • SSC Scam: মানিকের সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে হবে! নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নির্দেশ আদালতের

    SSC Scam: মানিকের সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে হবে! নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নির্দেশ আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (SSC Scam) প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের দেশ-বিদেশের সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। তিনি জানান, এক মাসের মধ্যে মানিকের যাবতীয় সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে হবে। সোমবার তিনি হাই কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে এই নির্দেশ দিয়েছেন। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (SSC Scam)তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) অথবা সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই) মানিকের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে পারবে।  

    নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মানিককে জরিমানা

    সোমবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে মানিকের একটি মামলার শুনানি চলাকালীন এই নির্দেশ দেন তিনি। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (SSC Scam) জেলবন্দি রয়েছেন পলাশীপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মানিক। এর আগে দুটি আলাদা মামলায় মানিককে ২ লক্ষ এবং ৫ লক্ষ, মোট ৭ লক্ষ টাকা জরিমানা করে আদালত। সেই জরিমানার টাকা দেননি মানিক। এমনকি আদালতে কোনও আবেদনও জানাননি তিনি। সেই জরিমানার টাকা অনাদায়ে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সোমবার মামলার শুনানিতে তদন্তকারী সংস্থাকে এই নির্দেশ দেন তিনি। দেশে, বিদেশে মানিকের যত সম্পত্তি আছে, তা শীঘ্রই বাজেয়াপ্ত করা হবে। জরিমানার অর্থ না মেটানো পর্যন্ত তাঁকে সম্পত্তি ফেরত দেওয়া হবে না।

    আরও পড়ুন: মাধ্যমিকের পরে বরখাস্ত করা হবে নবম-দশমের ‘অবৈধ’ শিক্ষকদের! মন্তব্য বিচারপতি বসুর

    দিন পাঁচেক আগেই মানিকের স্ত্রী শতরূপা ভট্টাচার্য ও ছেলে শৌভিককে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিল আলিপুর আদালত। ইডি আদালতে দাবি করে, শৌভিক যে কয়েকবার লন্ডনে গিয়েছেন তাতে তাঁর ভিসায় ‘পার্পাস’ হিসেবে লেখা ছিল ‘রেসিডেন্সিয়াল।’ কেন্দ্রীয় এজেন্সির প্রশ্ন, বাড়ি বা জমি না থাকলে কী করে রেসিডেন্সিয়াল পার্পাস হয়? যদিও মানিক তাঁর বিদেশে সম্পত্তির কথা অস্বীকার করেছেন। ইডির দাবি, ২০১২ সাল থেকে শুরু করে অন্তত ২০বার বিদেশ সফরে গিয়েছে মানিক ভট্টাচার্যের পরিবার। বিদেশ সফরের তালিকায় ব্রিটেন, মালয়েশিয়া, ফ্রান্স, নাইজেরিয়া, মালদ্বীপ, ভিয়েতনামের মতো একাধিক দেশ রয়েছে। প্রতিটি সফরে খরচ হয়েছে অন্তত ৪০-৫০ লক্ষ টাকা। পুরোটাই কী নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Scam) টাকায়, তারই খোঁজ চালাচ্ছে তদন্তকারী সংস্থা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • SSC Scam: মাধ্যমিকের পরে বরখাস্ত করা হবে নবম-দশমের ‘অবৈধ’ শিক্ষকদের! মন্তব্য বিচারপতি বসুর

    SSC Scam: মাধ্যমিকের পরে বরখাস্ত করা হবে নবম-দশমের ‘অবৈধ’ শিক্ষকদের! মন্তব্য বিচারপতি বসুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ মামলায় (SSC Scam) মাধ্যমিক পরীক্ষার মাঝে বেআইনি চাকরি বাতিল নিয়ে বড় মন্তব্য বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর। এদিন তিনি বলেন, “রাজ্যজুড়ে মাধ্যমিক পরীক্ষা চলছে। এখন ভুয়ো শিক্ষকদের চাকরি বাতিল হলে পুরো পরীক্ষায় তার প্রভাব পড়বে। পরীক্ষার্থীরা সমস্যায় পড়তে পারেন। তাই এখনই এ নিয়ে কোনও নির্দেশ দেওয়া সমস্যার। মাধ্যমিক মিটলে পরবর্তী পদক্ষেপ করবে আদালত”, মন্তব্য বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর।

    কী ঘটেছে?

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এসএসসি নিযুক্ত ৯৫২ জন নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষকের বিরুদ্ধে (SSC Scam) ওএমআর শিট বা উত্তরপত্র বিকৃত করে চাকরি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। এই মামলা প্রথমে ওঠে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চে। পরে সেই মামলাই হস্তান্তর হয়ে যায় বিচারপতি বসুর একক বেঞ্চে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে মামলাটি চলাকালীন সিবিআই তদন্ত-সহ একাধিক নির্দেশ দিলেও অভিযুক্ত ৯৫২ জন প্রার্থীকে মামলায় যুক্ত করেননি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। পরে বিচারপতি বসুর বেঞ্চে মামলাটি উঠলে তিনি ওই ৯৫২ জনের মধ্যে ৮০৫ জনের চাকরির সুপারিশ পত্র বাতিল করে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেন স্কুল সার্ভিস কমিশনকে। কিন্তু এই দু’টি নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন চাকরি হারানো শিক্ষকেরা। আদালত তাঁদের বক্তব্য শোনার পর রায়দান স্থগিত রেখেছে। আজ বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে এক চাকরিপ্রার্থীর মামলার শুনানি ছিল। সেসময়েই নবম-দশমের শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতিতে এমন মন্তব্য বিচারপতি বসুর।

    আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আরও বিপাকে তাপস, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করল ইডি

    কী বললেন বিচারপতি?

    বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু নবম-দশমের অযোগ্যদের চাকরি বরখাস্তের (SSC Scam) প্রসঙ্গ এনে জানিয়েছেন, মাধ্যমিক চলাকালীন এদের বরখাস্ত করলে পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীদের উপরই তার প্রভাব পড়তে পারে। ফলে মাধ্যমিক চলাকালীন অযোগ্যদের বরখাস্ত করার নির্দেশ দেওয়া হবে না। এতে পরীক্ষা প্রক্রিয়ায় প্রভাব পড়তে পারে। একইসঙ্গে বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, “২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় নবম-দশম শ্রেণিতে প্রায় ১১ হাজার শিক্ষক নিয়োগ হয়। তার মধ্যে ১০ শতাংশ বা প্রায় হাজারের বেশি শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে।” ফলে বরখাস্ত হওয়া অযোগ্যের সংখ্যা ১১০০-র কাছাকাছি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ফলে এতে স্কুলে সমস্যা হতে পারে।

    উল্লেখ্য, মাধ্যমিক পরীক্ষার মুখে গ্রুপ ডি পদে ১৯১১ জনকে চাকরি থেকে বহিষ্কারের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। তার জেরে অনেক স্কুলে একমাত্র গ্রুপ ডি কর্মীর চাকরি চলে যায়। সেই সব স্কুলে গ্রুপ ডি কর্মীর দায়িত্ব ভাগ করে করতে হয়েছে শিক্ষকদের। ফলে এই পরিস্থিতিতে বিচারপতির মন্তব্য যে, মাধ্যমিক পরীক্ষা মিটলেই চাকরি বরখাস্তের পরবর্তী পদক্ষেপ করবে আদালত (SSC Scam)।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • SSC Scam: ‘শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে আমি মাঝের সেই গুরুকে চাই’, সিবিআইকে বললেন বিচারক

    SSC Scam: ‘শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে আমি মাঝের সেই গুরুকে চাই’, সিবিআইকে বললেন বিচারক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামকৃষ্ণের কথা শুনেছেন? ভক্ত এবং ভগবানের মাঝে কে থাকেন, জানেন ? গুরু থাকেন। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে আমি মাঝের সেই গুরুকে চাই। গুরু কে, আপনারা জানেন? বৃহস্পতিবার সিবিআইকে (CBI) একথা বললেন আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক অর্পণ চট্টোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Scam) ধৃত তাপস মণ্ডল, কুন্তল ঘোষ এবং নীলাদ্রি ঘোষকে অর্পণ চট্টোপাধ্যায়ের এজলাসে হাজির করে সিবিআই। তখনই বিচারক রামকৃষ্ণ প্রসঙ্গ টানেন। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সম্প্রতি যাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁদের কেউ এজেন্ট, কেউ আবার মিডলম্যান হিসেবে কাজ করেছেন বলে অভিয়োগ। কিন্তু শেষমেশ টাকাটা কার হাতে যেত, চাকরিই বা দিতেন কে, সেটার ওপরই গুরুত্ব দিচ্ছে আদালত। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে নাটের গুরুকে খোঁজার চেষ্টা করছে সিবিআই। এদিন সিবিআইয়ের তরফে বলা হয়, সেটাই খোঁজার চেষ্টা করছে তারা। বিচারক তখনই বলেন, চেনটা সম্পূর্ণ করুন।

    নিয়োগ দুর্নীতি…

    নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডের (SSC Scam) শুনানিতে এর আগে বিচারক সিবিআইকে বলেছিলেন, আপনারা পনির বাটার মশালা রাঁধতে চাইছেন, অথচ পনির নেই। তখনও মূল অভিযুক্তদের দিকেই ইঙ্গিত করেছিলেন বিচারক। এদিনও সেই প্রসঙ্গ টেনে সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, অভিযুক্তরাই বলুক পনির কোথায়? এ কথার রেশ ধরে কুন্তলের আইনজীবী শেখ মেহেদি নওয়াজ বিচারককে বলেন, আপনারা পনিরের কথা বলছেন। আসলে তো আগুনটাই নেই! তার মানে সিবিআইয়ের তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনিও।

    আরও পড়ুুন: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ফের ‘গ্ল্যামার-যোগ’! সিবিআই স্ক্যানারে গোপাল দলপতির ‘মডেল স্ত্রী’ হৈমন্তী

    এদিন ধৃতদের জামিনের বিরোধিতা করেন সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, তিন অভিযুক্তকে মুখোমুখি বসানো হয়েছে। অনেক গুরুত্বপূর্ণ নাম উঠে এসেছে। অনেক প্রভাবশালীর নামও জানা গিয়েছে। এখন ধৃতদের জামিন দিলে তদন্ত প্রভাবিত হতে পারে। এর পরেই তাপস, কুন্তল ও নীলাদ্রিকে ৯ মার্চ পর্যন্ত জেল হেফাজতে পাঠান বিচারক। তাপসের শারীরিক পরিস্থিতিও গুরুত্ব দিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়। প্রয়োজনে চিকিৎসার বন্দোবস্ত করতে বলেন তিনি।

    নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Scam) ধৃত তাপস সবার আগে কুন্তলের নাম ফাঁস করেছিলেন। সেই সূত্রে গ্রেফতার করা হয় কুন্তলকে। এদিন কুন্তল নাম নেন হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের। গোপাল দলপতি আবার কালীঘাটের কাকু সুজয় ভদ্রের নাম নিয়েছেন। সুজয় আবার বলেছেন তাঁর সাহেব অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এমতাবস্থায় আদালত ধরে আনতে বলছে গুরুকে। সেই নাটের গুরুর খোঁজই করছেন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • SSC Scam: নিয়োগ পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণদের জন্যও ‘ইন্টারভিউ’ নেওয়া হতো বিকাশ ভবনে! কুন্তলকে জেরা করে মিলল নানা তথ্য

    SSC Scam: নিয়োগ পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণদের জন্যও ‘ইন্টারভিউ’ নেওয়া হতো বিকাশ ভবনে! কুন্তলকে জেরা করে মিলল নানা তথ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির গোটা প্রক্রিয়ায় জড়িত ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের যুবনেতা কুন্তল ঘোষ। এবার তাঁর নিজস্ব এজেন্টদেরও সন্ধান মিলল। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) সূত্রে খবর, শুধু তাপস মণ্ডল মারফতই নয়, ‘অযোগ্য চাকরিপ্রার্থী’ নিয়োগে কুন্তলের নিজস্ব এজেন্টদের তথ্যও তদন্তকারীদের হাতে এসেছে। এ রকম ২২ জনকে তাঁরা চিহ্নিত করেছেন।

    অনুত্তীর্ণদের জন্যও ‘ইন্টারভিউ’

    ইডি সূত্রে খবর, চাকরির পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণদের জন্যও ‘ইন্টারভিউ’ নেওয়া হতো বিকাশ ভবনে খোদ শিক্ষা দফতরের অফিসে। ইন্টারভিউ নিতেন কুন্তল। তাঁর সঙ্গে হাজির থাকতেন সরকারি কর্তারাও। ইন্টারভিউয়ের নামে কার্যত হতো চাকরি বিক্রির ‘ডিল’। সেই প্রক্রিয়া শেষে এসএসসি অফিস থেকে নিয়োগপত্র হাতে পেতেন অনুত্তীর্ণরা। নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে এসেছে বলে দাবি  অফিসারদের। এই ইন্টারভিউতে বসা অফিসারদের তালিকা তৈরি করে ফেলেছে ইডি। শীঘ্রই তাঁদের বয়ান রেকর্ড করা হবে বলে সূত্রের খবর। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, এক নেতার মাধ্যমে পার্থ–কুন্তল পরিচয় ঘটে। সেখান থেকেই কুন্তল চাকরি বিক্রির সিন্ডিকেটের সক্রিয় সদস্য হয়ে ওঠেন। নামের তালিকা পাঠাতেন তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রীকে। কুন্তলের তালিকার প্রার্থীদের অধিকাংশই টেট, নবম–দশম এবং একাদশ–দ্বাদশ শ্রেণিতে শিক্ষক পদে চাকরি পেয়েছেন। 

    আরও পড়ুন: কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের চন্দন-যোগ! ‘‘বস্তা বস্তা টাকা গিয়েছে কলকাতায়’’, দাবি স্থানীয় তৃণমূল নেতার

    কুন্তলের এজেন্ট

    ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, বিভিন্ন জায়গায় কুন্তলের এজেন্টরা চাকরি করিয়ে দেওয়ার নাম করে ‘অযোগ্য’ প্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা তুলতেন। তার পর সেই টাকা তাঁরা পৌঁছে দিতেন কুন্তলের কাছে। এখনও পর্যন্ত ‘কুন্তলের হয়ে কাজ করা’ ২২ জন এজেন্টের হদিস পেয়েছেন তদন্তকারীরা। তাঁদের একে একে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সংস্থার ওই সূত্রের দাবি, চাকরির টাকা মূলত নগদে লেনদেন হয়েছে। হুগলির এক এজেন্ট জিজ্ঞাসাবাদের সময় ইডিকে জানিয়েছেন, কুন্তলকে তিনি ৩ কোটি ৪ লক্ষ টাকা দিয়েছেন। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় যে কুন্তলের একাধিক এজেন্ট ছিলেন, সে ব্যাপারেও এক প্রকার নিশ্চিত ইডির আধিকারিকেরা। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই কুন্তলের হয়ে কাজ করা ৯ জন এজেন্টকে তলব করা হয়েছে। বয়ান নেওয়া হচ্ছে তাঁদের। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৮ কোটি টাকার হিসাবের হদিস মিলেছে খবর তদন্তকারীদের সূত্রে। তদন্ত যত এগোবে, টাকার অঙ্ক আরও বাড়তে থাকবে বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা। কুন্তলের অবশ্য দাবি, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • SSC Scam: কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের চন্দন-যোগ! ‘‘বস্তা বস্তা টাকা গিয়েছে কলকাতায়’’, দাবি স্থানীয় তৃণমূল নেতার

    SSC Scam: কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের চন্দন-যোগ! ‘‘বস্তা বস্তা টাকা গিয়েছে কলকাতায়’’, দাবি স্থানীয় তৃণমূল নেতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেফতার বাগদার রঞ্জন ওরফে চন্দন মণ্ডলের বাড়িতে একাধিকবার গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাই কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার এই দাবি করলেন বাগদা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য অনুপ ঘোষ। তাঁর দাবি, বাগদা থেকে বস্তা বস্তা টাকা গিয়েছে কলকাতায়। শুধু তিনি নন,  গ্রামের এক পরিবারের থেকে পাঁচজনের চাকরির জন্য ৪৪ লক্ষ টাকা নিয়েছেন চন্দন বলে দাবি স্থানীয় এক বাসিন্দার। 

    প্রভাবশালীদের চন্দন-যোগ

    এদিন অনুপবাবু বলেন, ‘সরকার কি জানে না এই চাকরি কী করে হচ্ছে? তাহলে আগা থেকে মাথা পর্যন্ত সব ধরুক। চন্দনকে একা দোষ দিলে হবে না। এ কার মাস্টারপ্ল্যান? যারা সরকার চালাচ্ছে, শিক্ষা দফতরে কারা আছে? চন্দন কে? চন্দন তো আমার মামাভাগ্নের (গ্রামের নাম) ছেলে। তাহলে কলকাতায় শিক্ষা পরিচালনা কারা করছে? শিক্ষা দফতর কারা চালাচ্ছে? সেটা আগে দেখুক।’ চন্দনের কথায়, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাই কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায় আসতেন ওনার বাড়ি। যারা এই এলাকায় বড় বড় চাকরি করে আর প্রভাবশালী লোক, সবাই ওখানে গিয়েছে। চন্দনের ফোঁটা সবাই নিয়েছে।’ অনুপবাবুর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘আমরা রাজনৈতিক কর্মী। দলের কর্মীরা ভালোবেসে কোথাও ডাকলে যাওয়ার চেষ্টা করি। তেমনই বাগদাতেও গেছি। চন্দন মণ্ডলকে আলাদা করে চিনি না।’

    বস্তা বস্তা টাকা গিয়েছে কলকাতায়

    অনুপ দাবি করেন, কালীপুজোর ফিতে কাটতে প্রতি বছর চন্দনের বাড়ি আসতেন কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে যত ভিড় না থাকত, চন্দনের বাড়িতে তার থেকে বেশি ভিড় থাকত। এলাকার ১০০ জনকে টাকার বিনিময়ে চাকরি দিয়েছেন চন্দন। ক্লাস এইট পাশ ছেলেমেয়েরা টাকার বিনিময়ে চাকরি পেয়েছে। সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি দেওয়া হতো বলে দাবি করেছেন তিনি। ১৬ কোটি টাকা লেনদেনের প্রসঙ্গে তিনি বলেন ১৬ কোটি বস্তা বস্তা টাকা গিয়েছে এখান থেকে। তাঁর দাবি, বিডিও, ওসিদের যাতায়াত ছিল চন্দনের বাড়িতে। 

    আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতিতে এবার কুন্তলের মুখে রহস্যময়ীর নাম! তাঁর কাছেই রয়েছে সব টাকা! কে তিনি?

    এক পরিবার থেকে ৪৪ লক্ষ 

    চন্দন মণ্ডল বাগদার মামা ভাগ্নে গ্রামের বাসিন্দা। ওই গ্রামের বাসিন্দা তথা চন্দনের এক দূরসম্পর্কের আত্মীয় অরবিন্দ বিশ্বাসের দাবি, চন্দন মণ্ডলকে তিনি প্রায় ৪৪ লক্ষ টাকা দিয়েছেন। জমি বিক্রি করে ওই টাকা দেন তাঁর মেয়ে সহ পরিবারের পাঁচজনের চাকরির জন‍্য। প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক ও গ্রপ-ডি পদে নিয়োগ পেতে দু’বছর আগে চন্দনকে ওই টাকা দেন তিনি। মাথা-পিছু ১২ লক্ষ টাকা করে চেয়েছিলেন চন্দন। অগ্রিম ৫ লক্ষ টাকা এবং চাকরি হয়ে গেলে বাকি ৭ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা হয়। দু’জনের গ্রুপ-ডি পদে চাকরিও হয়েছিল। কিন্তু দু’মাস চাকরি করার পর আদালতের নির্দেশে তাদের বরখাস্ত করা হয়। এরপর টাকা ফেরত চাইলেও চন্দন দেননি বলে অভিযোগ অরবিন্দ বিশ্বাসের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Calcutta High Court: হাজিরা এড়ালেন পর্ষদ সভাপতি, হাইকোর্টেই নিয়োগপত্র পেলেন ‘বঞ্চিত’ অঞ্জনকুমার

    Calcutta High Court: হাজিরা এড়ালেন পর্ষদ সভাপতি, হাইকোর্টেই নিয়োগপত্র পেলেন ‘বঞ্চিত’ অঞ্জনকুমার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজই শুরু হয়েছে মাধ্যমিক পরীক্ষা। আর প্রথমদিনেই মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়কে তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট।  ১২ বছরের পুরনো একটি মামলায় নির্দেশ না মানায় তাঁর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করে ডেকে পাঠানো হয়েছিল আজ। এদিন বিচারপতি অমৃতা সিংহের সিঙ্গল বেঞ্চ তাঁকে আদালতে গিয়ে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। অভিযোগ, ১২ বছর ধরে চাকরি পাননি পূর্ব মেদিনীপুরের অঞ্জনকুমার খাটুয়া। গত মাসে কলকাতা হাইকোর্ট তাঁকে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দেয়। সেই মত অঞ্জনের সুপারিশ পত্র পর্ষদকে পাঠায় এসএসসি। কিন্তু তার পরও চাকরি দেয়নি পর্ষদ৷ এর পর আজই হাইকোর্টে শুনানি কক্ষের মধ্যেই হাতে হাতে নিয়োগপত্র পেলেন এক মামলাকারী।

    ঠিক কী ঘটেছে?

    সূত্রের খবর, যোগ্য হয়েও ১২ বছর ধরে চাকরি পাননি অঞ্জনকুমার খাটুয়া নামে ওই ব্যক্তি। তাঁর একটি চোখে দৃষ্টিশক্তি নেই। গত মাসে তাঁকে শীঘ্রই নিয়োগ দেওয়ার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। এরপর অঞ্জনবাবুর সুপারিশপত্র পর্ষদকে পাঠায় এসএসসি। তারপরও তাঁকে চাকরি দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ ওঠে। এই জন্য পর্ষদের অফিসেও যান ওই ব্যক্তি। পর্ষদ অফিসে চাকরিপ্রার্থীকে অপমান করা হয় বলে অভিযোগ। কমিশনের সুপারিশপত্র পাওয়ার পরও ওই ব্যক্তিকে এখনও নিয়োগ করা হয়নি। এদিন এই মামলা ওঠে হাইকোর্টে। আর তখনই পর্ষদ সভাপতিকে ডেকে পাঠানো হয়।

    অন্যদিকে পর্ষদ দাবি করে, অঞ্জনের নিয়োগপত্র অনেক দিন ধরেই তৈরি হয়ে রয়েছে। পর্ষদের আইনজীবীও আদালতকে একই কথা জানান। তাঁর দাবি, হাইকোর্টের নির্দেশ মত অঞ্জনের নিয়োগপত্র তৈরিই আছে। কিন্তু অঞ্জন তা সংগ্রহ করেননি। যদিও অঞ্জনের আইনজীবী সুভাষ জানার অভিযোগ, তাঁর মক্কেল পর্ষদের দফতরে নিয়োগপত্র আনতে গেলে তাঁকে হেনস্থা করা হয়। নিয়োগপত্র তাঁর মক্কেল হাতে পাননি। আবার পর্ষদের আইনজীবী পাল্টা দাবি করেন, প্রার্থীকে বোর্ডের অফিসে হেনস্থার অভিযোগ ভিত্তিহীন। এমন কোনও কথা কেউ বলেনি। মন গড়া অভিযোগ করা হচ্ছে।

    বিচারপতির নির্দেশ

    উল্লেখ্য, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি অমৃতা সিংহই নির্দেশ দিয়েছিলেন, ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে অঞ্জনকে নিয়োগপত্র না দিলে ২৩ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ বৃহস্পতিবার পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়কে সশরীরে আদালতে হাজিরা দিতে হবে। যদিও বৃহস্পতিবার পর্ষদ সভাপতি আদালতে হাজিরা দেননি। এদিন বিচারপতি অমৃতা সিংহের সিঙ্গল বেঞ্চ বলেন, “এত বছর ধরে একজন ঘুরছে তারপরও আপনারা তাঁকে ঘোরাচ্ছেন। এটাই এখনকার পরিস্থিতি।” এর পর দু’পক্ষের কথা শোনার পর বিচারপতি নির্দেশ দেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অঞ্জনকুমার খাটুয়া নামের ওই ব্যক্তিকে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের দফতরে গিয়ে নিয়োগপত্র সংগ্রহ করতে হবে। একই সঙ্গে পর্ষদকে বিচারপতি অমৃতা সিংহ নির্দেশ দিয়েছেন, শুক্রবারের মধ্যে ওই নিয়োগপত্র মামলাকারীর হাতে তুলে দিতে হবে।

    এছাড়াও অঞ্জনের হেনস্থার প্রসঙ্গে বিচারপতির মন্তব্য, “হেনস্থার যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা ঠিক, না ভুল, তা জানি না। তবে ওখানে কী হয়, সেটা এখন ওপেন সিক্রেট। কিন্তু আমাদের চোখ খোলা রয়েছে।” অঞ্জনের হেনস্থার অভিযোগও গৃহীত হয়েছে কোর্টে। বিচারপতি জানিয়েছেন, আগামী দিনে ওই বিষয়ে পদক্ষেপ করা হবে। আগামী ১৬ মার্চ এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

  • SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জামিন খারিজ তাপস-কুন্তলের! ‘কালীঘাটের কাকু’-কে নিয়ে বাড়ছে ধোঁয়াশা

    SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জামিন খারিজ তাপস-কুন্তলের! ‘কালীঘাটের কাকু’-কে নিয়ে বাড়ছে ধোঁয়াশা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই হেফাজত শেষে তিন অভিযুক্ত তাপস মণ্ডল, কুন্তল ঘোষ এবং নীলাদ্রি ঘোষকে বৃহস্পতিবার আলিপুর আদালতে পেশ করা হল। এদিনও আদালতে তাঁদের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন বিচারক। তাঁদের ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয় আদালত।

    উত্তরবঙ্গের প্রভাবশালী নেতার যোগ

    প্রসঙ্গত, এতদিন সিবিআই হেফাজতে ছিলেন তিন মূর্তি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, নিজাম প্যালেসের ১৪ তলায় একাধিকবার তিন জনকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হয়েছে। তাঁদের দফায় দফায় জিজ্ঞাসা করে উঠে এসেছে একাধিক তথ্য। সূত্রের খবর, ধৃত কুন্তল ঘোষ, নীলাদ্রি ঘোষ ও তাপস মণ্ডলকে জেরা করতে গিয়ে এবার নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে উত্তরবঙ্গের এক প্রভাবশালী নেতার নাম উঠে এসেছে বলে দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। বেআইনিভাবে টাকা দিয়ে চাকরি পাওয়ার চক্রে যুক্ত ছিলেন প্রভাবশালী ওই নেতা। তবে তাঁর পরিচয় এখনও খোলসা করে জানা যায়নি। এছাড়াও একাধিক ব্যাক্তির নাম উঠে এসেছে, যাঁরা গোপাল দলপতি, তাপস মণ্ডল এবং এই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে চাকরির সুরাপিশ পাঠাত। একই সঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ‘কালীঘাটের কাকু’র ভূমিকাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। আদৌ কী ওই ব্যক্তি জড়িত না শুধুই বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চলছে তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 

    আরও পড়ুন: ০২২ টেটের ৭ প্রশ্নে ভুল, মামলা দায়ের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে  

    সিবিআই -এর দাবি,  নিয়োগ দুর্নীতিতে সিন্ডিকেটের মূলে ছিলেন গোপাল দলপতি, তাপস মণ্ডল, কুন্তল ঘোষ, নীলাদ্রি ঘোষ – এই চারজন। এদের সঙ্গে আর কে বা কারা জড়িত ছিলেন সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷। এদিন আদালতে ঢোকার মুখে ফের একবার কুন্তল নিশানা করেন গোপাল দলপতিকে। তিনি বলেন, টাকা পয়সার পুরো লেনদেনের বিষয়টি জানেন গোপাল। উনিই যা করার করেছেন। কালীঘাটের কাকু প্রসঙ্গে কুন্তল বলেছেন, সুজয় ভদ্র কালীঘাটের কাকু নন। অথচ গত দু’দিন ধরে তাপস মণ্ডলের বলা এই নাম নিয়েই তোলপাড় চলেছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Partha Chatterjee: জেলের ভিতরেই পার্থকে তাড়া জঙ্গি মুসার! পড়ে গিয়ে পেলেন চোট, কেমন আছেন প্রাক্তন মন্ত্রী?

    Partha Chatterjee: জেলের ভিতরেই পার্থকে তাড়া জঙ্গি মুসার! পড়ে গিয়ে পেলেন চোট, কেমন আছেন প্রাক্তন মন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে ঘটল এক কেলেঙ্কারি কাণ্ড! জেলের ভিতরে পড়ে গিয়ে চোট পেলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। প্রেসিডেন্সি জেল কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর, ঠোঁটে চোট পেয়েছেন পার্থ। এর পর আজ, বুধবার এসএসকেম হাসপাতালের ডাক্তারদের একটি টিম দেখেও আসেন তাঁকে। ফলে জানা গিয়েছেস তাঁর শরীর ঠিকঠাকই আছে এখন। তবে কীভাবে পড়ে গেলেন, এই নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। জানা গিয়েছে, জেলের মধ্যেই তাড়া খেয়েছেন জঙ্গি মুসার। সেই তাড়া খেয়ে জেলের ভিতরেই পড়ে গেলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কারারক্ষীদের সামনেই এমন ঘটনা ঘটায় অবাক সকলেই।

    আরও পড়ুন: কমেছে মাধ্যমিকের পরীক্ষার্থী, সিলেবাসে বদল আনার পরামর্শ বিচারপতি বসুর

    ঠিক কী ঘটেছে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে?

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় প্রেসিডেন্সি জেলে রয়েছেন পার্থ। ওই একই জেলে রয়েছেন বিচারাধীন বন্দি, কুখ্যাত জঙ্গি মুসা। সেই মুসার তাড়া খেয়েই নাকি জেলের ভিতরে পড়ে যান পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, বন্দিদের লক আপে ঢোকানো হচ্ছিল। সে সময়ে বারবার পার্থকে অনুরোধ করা হয়, ভিতরে ঢুকতে। কিন্তু পার্থ নাকি ঢুকতে বিলম্ব করছিলেন। তখনই আচমকা জঙ্গি মুসা পার্থর দিকে তেড়ে গিয়ে মগ ছুড়ে দেন। তখন ভারী শরীর নিয়ে তড়িঘড়ি যেতে গিয়ে পড়ে যান পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ঠোঁটে চোট পান। তখন সবাই তাঁকে ধরে তোলেন। বড় বিপদ না ঘটলেও ঠোঁটে আঘাত পেয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। এর পর এসএসকেএম থেকে একটি টিম এসে দেখে যান তাঁকে। তাঁর স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাঁর শারীরিক অবস্থা ঠিকঠাকই আছে। জেল কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর, এই ঘটনার পরে মুসাকে অন্য জায়গায় সরিয়ে দিয়েছেন জেল কর্তৃপক্ষ।

    উল্লেখ্য, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রেসিডেন্সি জেলের পয়লা বাইশ ওয়ার্ডের ২ নম্বর সেলে। আর মুসা থাকে ৭ নম্বর ওয়ার্ডে। আর এই দুজনকে নিয়েই ঘটে নাটকীয় কাণ্ড।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • SSC Scam: ‘‘নিজেকে শুদ্ধ করার জন্য যেভাবে কাজ করা দরকার সেটা করুন’’! কমিশনকে বিচারপতি

    SSC Scam: ‘‘নিজেকে শুদ্ধ করার জন্য যেভাবে কাজ করা দরকার সেটা করুন’’! কমিশনকে বিচারপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একবার যে দস্যু রত্নাকর থেকে বাল্মীকি হবে সে আর রত্নাকরের রূপে ফেরত যাবে না, অভিমত হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর। ‘দস্যু রত্নাকর, বাল্মীকি হয়েছেন, কিন্তু বাল্মীকি যদি রত্নাকর হয় তাহলে? আদালতে মন্তব্য নবম-দশমের ৯৫২ জন শিক্ষকের একাংশের। এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতেই এই অভিমত জানান বিচারপতি বসু।

    নবম-দশমের নিয়োগ মামলায় ৯৫২ জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে ওএমআর শিট বা উত্তরপত্রে কারচুপি করে বেআইনি ভাবে চাকরি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। সেই মামলারই শুনানি চলছিল বিচারপতি বসুর একক বেঞ্চে। বিচারপতি এর আগে এসএসসিকে নিজেদের ক্ষমতা প্রয়োগ করে এঁদের মধ্যে ৮০৫ জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করতে বলেছিলেন। এসএসসি সেই নির্দেশ পালন করার প্রক্রিয়া শুরুও করেছিল। কিন্তু তার আগেই অভিযুক্ত চাকরিপ্রার্থীরা বিচারপতি বসুর নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে যান। তবে ডিভিশন বেঞ্চ মামলায় স্থগিতাদেশ দেয়নি। নবম-দশমের নিয়োগ মামলায় বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি শেষ হলেও এখনও রায় ঘোষণা হয়নি। 

    বিচারপতি যা বললেন

    বুধবার এসএসসির আইনজীবীর উদ্দেশে বিচারপতি বসু বলেন, ‘‘মনে রাখবেন, এসএসসি যে পরিজনদের ত্যাগ করেছেন, তাঁরা এখন জেলে। তারা এখন সিবিআই – ইডির হেফাজতে রয়েছে। ’’ এসএসসির পাশাপাশি, অভিযুক্ত শিক্ষকদের নিয়েও মন্তব্য করেন বিচারপতি। ৯৫২ জন শিক্ষকদের একাংশের উদ্দেশে বিচারপতি বলেন, ‘‘এই দুর্নীতিতে আপনাদের কী ভূমিকা সেটা দেখুন। অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে, তারা দুজনেই সমান অপরাধী।’’  কমিশনকে উদ্দেশ করে বিচারপতি বসু আরও বলেন,  ‘আপনি এখন বাল্মীকি, নিজেকে শুদ্ধ করার জন্য যেভাবে কাজ করার দরকার সেটা করুন।’  বুধবার এই মামলার শুনানি আগামী ১ মার্চ পর্যন্ত পিছিয়ে দেন বিচারপতি বসু।

    আরও পড়ুন: অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট কীভাবে নিতে হয় জানতেন না টেট পরীক্ষকরাই! মন্তব্যে ‘বিস্মিত’ বিচারপতি

    অন্যদিকে বিকৃত ৯৫২ ওএমআর শিটে নাম বেরোয় সোনারপুর পৌরসভার একজন কাউন্সিলরের। তিনি নিজের সম্মানহানি হয়েছে এই অভিযোগ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন। শুনানির জন্য উঠেছে তার মামলাটিও।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • SSC Scam: ‘‘অপেক্ষা করুন, কাকুর ভাইপো, তাঁর পিসির নামও চলে আসবে’’! নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে কটাক্ষ সুকান্তর

    SSC Scam: ‘‘অপেক্ষা করুন, কাকুর ভাইপো, তাঁর পিসির নামও চলে আসবে’’! নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে কটাক্ষ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিতে ফের নতুন নাম উঠে আসতেই আবারও হবু হাজতবাসের তালিকায় কারা থাকতে চলেছেন তা জানিয়ে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। নাম না করেই সুকান্ত কটাক্ষ করে বলেছেন, ‘কালীঘাটে যখন ব্যাপারটা ঢুকে গেছে তখন খুব শিগগির এই কাকুর ভাইপো, সেই ভাইপোর পিসির নামও চলে আসবে। দাঁড়ান, অপেক্ষা করুন, আস্তে আস্তে সব হবে।’

    সুকান্তের তোপ

    কলকাতা আইসিসিআর-এ বিজেপির ২০২৪ লোকসভার বিস্তারকদের কার্যকরণী বৈঠক অনুষ্ঠিত হল মঙ্গলবার। সেখানে রাজ্য বিজেপির কোর কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক ও একাধিক বিধায়ক। ছিলেন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ও। এই বৈঠক শেষে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সাংবাদিক বৈঠক করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর সরকারকে একহাত নেন। শুধু নিয়োগ দুর্নীতি নয়, রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ প্রদান থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়ি ঘেরাও সংস্কৃতিকে তুলোধনা করেন সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, ‘বাড়ি ঘেরাও এই সংস্কৃতিকে আমরা বিশ্বাস করি না।’

    আরও পড়ুন: কে ‘কালীঘাটের কাকু’ তা খোলসা করলেন তাপস মণ্ডল, জানেন তাঁর বাড়ি কোথায়?

    কুন্তলের মুখে নয়া নাম

    এদিন যখন কালীঘাটের কাকুর নাম প্রথমবারের জন্য প্রকাশ্যে আনলেন তাপস মণ্ডল তখন কুন্তলের মুখে আবার শোনা গেল নতুন একটি নাম। নিজাম প্যালেসে ঢোকার সময়ে কুন্তল এদিন বিভাস অধিকারী বলে একজনের নাম বলেন। কে এই বিভাস অধিকারী? হাঁটতে হাঁটতে বলেন, ‘উনিও তাপস মণ্ডলের মতো একজন!’ বলেই লিফটে উঠে পড়েন।

    শুভেন্দুর কটাক্ষ

    সম্প্রতি, বালিগঞ্জে প্রায় দেড় কোটি টাকা উদ্ধারের ঘটনায় ব্যবসায়ী মনজিৎ সিং গ্রেওয়ালের তৃণমূল-যোগ নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। তাঁর মতে, ‘কালীঘাটের কাকু, পিসি, ভাইপো, কাকিমা, বউমা, শ্যালিকা – সবাই একই ধাঁধার অংশ। পৃথকভাবে কেউ দোষী নন, অথচ সবাই একসূত্রে গাঁথা। কয়লা যতই ধোয়া হোক, তা কালোই থাকবে। ঠিক তোমাদের ভবিষ্যতের মতো’।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share