Tag: ssc scam

ssc scam

  • SSC Scam: ইভেন্টে আলাপ, কুন্তলের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই! দাবি অভিনেত্রী কৌশানীর

    SSC Scam: ইভেন্টে আলাপ, কুন্তলের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই! দাবি অভিনেত্রী কৌশানীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিতে টলিউড যোগ নতুন নয়। এবার নাম জড়িয়েছে অভিনেতা বনি সেনগুপ্তের। সঙ্গে তাঁর বান্ধবী কৌশানী মুখোপাধ্যায় (Kaushani Mukherjee)। অর্পিতা, হৈমন্তীর পর এবার কৌশানী? প্রশ্ন অনেকের মনেই। তবে সেই প্রশ্নের উত্তরে কৌশানী এদিন বলেন, ‘কুন্তল ঘোষের সঙ্গে আমার কোনও ব্যক্তিগত সম্পর্ক নেই। একটা ইভেন্ট করেছিলাম, টাকা পেয়েছি, গল্প শেষ।’ একুশের ভোটে কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্রে কৌশানী তৃণমূলের টিকিটে লড়েছিলেন। 

    কুন্তল-বনি যোগ

    সম্প্রতি কুন্তল ঘোষের সঙ্গে অভিনেতা বনি সেনগুপ্তের যোগাযোগ খুঁজে পেয়েছে ইডি। শুক্রবার সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দফতরে তলবও করা হয় অভিনেতাকে। হাজিরাও দেন বনি। তিনি জানান, কুন্তল তাঁকে একটি ল্যান্ড রোভার ডিসকভারি গাড়ি দিয়েছিলেন। সেই সূত্রেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ইডি। সেই সঙ্গে বনি এও বলেন, কুন্তলের সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত সম্পর্কের ভিত্তিতেই ওই গাড়ি দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। বদলে কিছু ইভেন্টে তিনি কাজ করে দিয়েছিলেন। বনির বান্ধবী কৌশানীকে নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। কুন্তলের সঙ্গে অভিনেত্রীর যোগাযোগ নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়।

    কৌশানীর দাবি

    প্রসঙ্গ না এড়িয়ে কৌশানী বলেন, “আমি কুন্তলকে বনির মাধ্যমে চিনেছি। একটা ইভেন্ট করেছি। ব্যস। ফিনিশ। আমি কুন্তলের সঙ্গে কোনও ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে নেই যে ওঁর সম্বন্ধে জানতে যাব।” কৌশানী এও বলেন, বনির পেশাদার জীবনের যাবতীয় কিছু দেখাশোনা করেন ওঁর মা। তাই তিনি এসবের কিচ্ছু জানেন না। অভিনেত্রীর কথায়, ‘বনির প্রফেশনাল দিকটা ওঁর মা দেখেন। বাবা, মা আর বনি মিলে সবটা সামলান। আমি ওঁর অভিভাবক নই যে এটা কোরো না, ওটা কোরো না নির্দেশ দেব।’বনির সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত সম্পর্ক থাকলেও তা হাটের মাঝে তিনি কখনও নামিয়ে আনেন না বলে জানিয়েছেন কৌশানী। তাঁর কথায়, ‘বনির সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত সম্পর্ক চার দেওয়ালের মধ্যে। সেটাকে আমি কখনও বাইরে আনি না।’

    আরও পড়ুন: বনি আমার সঙ্গে পাঁচ বছর কাজ করেছে! অভিনেতা সম্পর্কে বিস্ফোরক কুন্তল ঘোষ

    বনিকে গাড়ি নিয়ে কখনও জিজ্ঞেস করেননি তিনি? এই প্রশ্নের উত্তরে কৌশানীর দাবি, ‘বনি এত সফল একজন অভিনেতা। তিনি একটা গাড়ি কিনতে পারেন না? এটা নিয়ে কি সন্দেহ হওয়ার কথা?’ তবে কৌশানী বিষয়টিকে যতই সহজ করে দেখানোর চেষ্টা করুন না কেন ইডির প্রশ্ন বন্ধু এত দামি গাড়ি কিনলেন, তার বিষয়ে কিছুই জানতে চাইলেন না কৌশানী? সেটা বিশ্বাস করতে একটু হলেও খটকা লাগছে তদন্তকারীদের।  সঙ্গে আরও একটি তথ্য। বনির ‘বিশেষ বন্ধু’ কৌশানীও কুন্তল-ঘনিষ্ঠ সোমা চক্রবর্তীর নখ সাজানোর পার্লারের বিজ্ঞাপনে মুখ দেখিয়েছেন। স্বভাবতই প্রশ্ন ওঠে তবে কি নিয়োগ মামলায় অভিযুক্ত কুন্তলের সঙ্গে বন্ধুত্ব ছিল কৌশানীরও। নিয়োগ মামলার তদন্তে নেমে ইডি জানতে পেরেছে এই সোমার অ্যাকাউন্টে লক্ষ লক্ষ টাকা ঢুকেছে কুন্তলের অ্যাকাউন্ট থেকে। সল্টলেকে সোমার একটি নেল পার্লার আছে। তবে সোমার ব্যাপারে কৌশানীর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেছেন, ‘‘আমি সোমা চক্রবর্তী নামটাই শুনছি এই প্রথম। ওঁর পার্লারের হয়ে মডেলিং করার কথা তো মনেই পড়ছে না।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Bonny Sengupta: কুন্তলের টাকায় দামী গাড়ি কিনেছিলেন! ইডিকে কী বললেন টলি অভিনেতা বনি?

    Bonny Sengupta: কুন্তলের টাকায় দামী গাড়ি কিনেছিলেন! ইডিকে কী বললেন টলি অভিনেতা বনি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে এবারে যুক্ত হয়েছে টলিউডের অভিনেতা বনি সেনগুপ্তর (Bonny Sengupta) নাম। তবে এখানেই শেষ নয়, এর পরই এক চাঞ্চল্যকর তথ্য এল প্রকাশ্যে। অভিযোগ, বনিকে নাকি লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন কুন্তল। তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমেই হয়েছিল সেই লেনদেন। আজ ইডি দফতরে জেরার মাঝে বিরতির সময়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে খোদ বনি স্বীকার করে বলেন, “উনি (কুন্তল) আমাকে একবারই (টাকা) দিয়েছিলেন। পাঁচ বছর আগে একটি গাড়ি কিনেছিলাম আমি। উনি আমাকে টাকা দিয়ে সাহায্য করেছিলেন।” কত টাকা দিয়েছিলেন কুন্তল? প্রশ্ন করা হলে ও তাঁকে ৩৫- ৪০ লক্ষ টাকা বলাতে তিনি বলেন, “ওই রকমই।”

    কুন্তল ও বনির মধ্যে টাকার লেনদেন!

    নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে বনি সেনগুপ্তকে (Bonny Sengupta) শুক্রবার তলব করেছিল ইডি। কিন্তু একদিন আগেই ইডি দফতরে পৌঁছে যান তিনি। এর পর দীর্ঘ ৪ ঘণ্টা জেরার পর দুপুরে মধ্যাহ্নভোজের বিরতি চলাকালীন তিনি বাইরে বেরোন। সেখানেই উপস্থিত সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে কুন্তলের সঙ্গে তাঁর পাঁচ বছরের সম্পর্কের কথা স্বীকার করে বলেন, “২০১৭ সালে আমার কুন্তল ঘোষের সঙ্গে আলাপ হয়। কিছু ইভেন্ট এবং অনুষ্ঠানের জন্য অর্গানাইজার মারফত পরিচয় হয় তাঁর সঙ্গে। আমি ওনার জন্য ২২ থেকে ২৫টি ইভেন্ট করেছিলাম। সেই বাবদ পারিশ্রমিক হিসেবে ৩৫ থেকে ৪০ লাখ টাকা নিই।” তিনি বলে দেন, “যে টাকা নিয়েছি, তার সমস্ত কাগজপত্র আমার কাছে আছে। আমি দিয়ে দিয়েছি। তাছাড়া যে অর্থ নিয়েছি, তার বদলে কাজও করেছি। তাই ওই টাকাকে আমার পারিশ্রমিকই বলা যেতে পারে।” এছাড়াও তিনি জানিয়েছেন কুন্তলের থেকে সেই টাকা ব্যাঙ্কেই নিয়েছিলেন ও যেই গাড়িটি কিনেছিলেন ওই টাকায়, সেটি বিক্রিও করে দিয়েছেন বনি।

    বনি (Bonny Sengupta) আরও জানান, কুন্তল পরে টলিউডে সিনেমা প্রযোজনা করবেন বলে জানালে, তাতে অভিনয় করবেন বলে প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন বনি। যদিও তিনি জানিয়েছেন, পরে সেই ছবি প্রযোজনার পরিকল্পনা বাতিল করে দেন কুন্তল।

    আরও পড়ুন: বনি আমার সঙ্গে পাঁচ বছর কাজ করেছে! অভিনেতা সম্পর্কে বিস্ফোরক কুন্তল ঘোষ

    প্রশ্নের মুখে বনি-কৌশানির প্রোডাকশন হাউজ

    প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই নতুন প্রোডাকশন হাউস বিকে এন্টারটেইনমেন্ট খুলেছেন অভিনেতা বনি সেনগুপ্ত (Bonny Sengupta) এবং তাঁর বান্ধবী কৌশানি মুখোপাধ্যায়। নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে বনির কাছে ইডি-র তলব আসার পর থেকেই সেই প্রোডাকশন সংস্থা নিয়ে টলিউডের অন্দরে উঠতে শুরু করেছে একাধিক প্রশ্ন। এদিন এবিষয়ে বনিকে জিজ্ঞাসা করা হলে, সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে বনি জানিয়েছেন, ২০১৯ সালেই শেষ বার তাঁর সঙ্গে কথা হয়েছিল কুন্তলের। তার পরে আর কোনও যোগাযোগ হয়নি। এছাড়াও প্রশ্ন উঠেই যাচ্ছে যে, নিয়ো দুর্নীতির টাকা কি টলিউডেও ব্যবহার করা হয়েছে?

    এদিন বনি (Bonny Sengupta) বিরতির সময়ে সংবাদমাধ্যমে কথা বলেন। ফলে বিরতি শেষ হলে আবার সিজিও কমপ্লেক্সেই ফিরে যান ও ইডির মুখোমুখি হন। তবে আজকের জেরা শেষে পরে তাঁকে আবার আসতে বলা হবে কি না, সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছুই জানা যায়নি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “২ মাস ছিলেন বিজেপিতে, এখন আর নেই”, বনি প্রসঙ্গে বললেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: “২ মাস ছিলেন বিজেপিতে, এখন আর নেই”, বনি প্রসঙ্গে বললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে নাম জড়াল টলি অভিনেতা বনি সেনগুপ্তর (Bonny Sengupta)। চলতি সপ্তাহেই তাঁকে তলব করেছিল ইডি। তবে তলবের একদিন আগেই হাজিরা দিলেন তিনি। তলব করা হয়েছিল শুক্রবার। তার একদিন আগেই ইডির দফতরে হাজির হলেন বাংলা সিনেমার অভিনেতা বনি সেনগুপ্ত। তলবে সাড়া দিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরেই তিনি পৌঁছলেন সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দফতরে। আর বনির প্রসঙ্গে বলতে গিয়েই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) সাফ জানালেন, ভোটের সময় বিজেপিতে এসেছিলেন বনি সেনগুপ্ত। গত দুবছর পার্টির সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই তাঁর। তিনি যদি টাকা নিয়ে থাকেন, তাহলে তাঁকেই এটা দেখতে হবে। এরসঙ্গে বিজেপির কোনও সম্পর্ক নেই।

    কী সম্পর্ক রয়েছে বিজেপির সঙ্গে বনির?

    ২০২১-এ রাজ্যের ‘হাই ভোল্টেজ’ বিধানসভা নির্বাচনের আগে টলিপাড়ার অনেক অভিনেতা-অভিনেত্রীকে রাজনৈতিক দলের পতাকা হাতে নিয়ে দেখা গিয়েছিল। তাঁদের মধ্যে অন্যতম বনি সেনগুপ্ত (Bonny Sengupta)। মা পিয়া সেনগুপ্ত তৃণমূলের সদস্য হওয়া সত্ত্বেও বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছিলেন বনি। উল্লেখ্য, ২০২১-এ বিজেপিতে যোগ দেওয়া বনি, দলের সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করার কথা তিনি নিজেই জানিয়েছিলেন ২০২২-সালেই। তাঁর বক্তব্য ছিল, প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ হয়েছে বিজেপি, তাই এক বছরেই মোহভঙ্গ। এবারে বিজেপির সঙ্গে অভিনেতার আর কোনও সম্পর্ক নেই বলে জানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও (Suvendu Adhikari) ।

    আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিপাকে অভিনেতা বনি সেনগুপ্ত, তলবের একদিন আগেই ইডি দফতরে হাজিরা

    বিরোধী দলনেতা কী বললেন?

    এদিন যখন সকাল ১০ টা ১০ মিনিটে সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছেও গিয়েছেন বনি, অন্যদিকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) সংবাদমাধ্যমে বনিকে নিয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, “বনি যদি টাকা নিয়ে থাকেন তাহলে তাকেই ব্যক্তিগতভাবে তার জবাব দিতে হবে। বিজেপি এইসব ‘অ্যালাউ’ করে না। ভোটের সময় ওরকম অনেক তারকারাই দলে যোগ দেন। ২ মাস ছিলেন বিজেপিতে, এখন আর নেই।”

    প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে অভিযুক্ত হুগলির তৃণমূল যুব নেতা কুন্তল ঘোষের দেওয়া নথিতে বনি সেনগুপ্তের নামও রয়েছে। সে বিষয় নিয়েই জিজ্ঞাসাবাদ করতে বনিকে ডেকে পাঠিয়েছেন ইডি আধিকারিকরা। বনির কয়েকজন এজেন্টকেও তলব করা হয়েছে বলে খবর।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: চাকরি গেল আরও ১৫৭ জন ‘অবৈধ’ শিক্ষকের! বিজ্ঞপ্তি জারি এসএসসির

    SSC Scam: চাকরি গেল আরও ১৫৭ জন ‘অবৈধ’ শিক্ষকের! বিজ্ঞপ্তি জারি এসএসসির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Scam) মামলায় চাকরি গেল আরও ১৫৭ জন ‘অবৈধ’ শিক্ষকের। প্রথম ধাপে ৬১৮ জনের চাকরি গিয়েছিল। স্কুল সার্ভিস কমিশনের (School Service Commission) পক্ষ থেকে বিবৃতি জারি করে অবৈধ শিক্ষকদের তালিকা প্রকাশ করে তাঁদের চাকরি যাওয়ার তথ্য জানানো হয়েছে।

    নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে পদক্ষেপ

    শুক্রবার রাতে কমিশন বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ১৫৭ জনের তালিকা প্রকাশ করে। এই তালিকায় বিভিন্ন বিষয় ভিত্তিক ‘অবৈধ’ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের (SSC Scam) তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশের ভিত্তিতেই এই তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের নবম-দশমে চাকরির পরীক্ষায় ব্যাপক গরমিলের অভিযোগ উঠেছিল। ৯৫২টি ওএমআর শিট বিকৃত, সাদা খাতা দিয়েও সার্ভারে কারও নম্বর ছিল ৫০, কারও ৫৩। ৯৫২জনের মধ্যে চাকরি বাতিল হতে চলেছে ৮০৫ জনের, প্রথম ধাপে চাকরি গিয়েছিল ৬১৮ জনের। এবার আরও ১৫৭ জনের চাকরি গেল।

    ২০১৬ সালে নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ (SSC Scam) নিয়ে বিস্তর অভিযোগ উঠেছিল। ছিল ওএমআর শিট কারচুপির অভিযোগও। মামলা ওঠে হাইকোর্টে। আদালতে কমিশন জানায়, ৯৫২ জনের বিরুদ্ধে ওএমআর শিট বিকৃতি করে বেনিয়মে চাকরি দেওয়া হয়েছিল। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ জানায়, এই ৯৫২ জনের মধ্যে ৮০৫ জন চাকরি করছেন। তারপরই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ৮০৫ জন ‘অযোগ্য’ শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন। এমনকী বেতন বন্ধ করতে বলেন। হাইকোর্টের নির্দেশের পরই ধাপে ধাপে ৮০৫ জনের চাকরি বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু করে। দুই দফা মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত মোট ৭৭৫ জনের সুপারিশপত্র বাতিল করল কমিশন। 

    আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে আরও এক ‘রহস্যময়ী নারী’র খোঁজ, কে এই মহিলা, কী বললেন কুন্তল?

    চাকরি বাতিলের প্রভাব উচ্চ মাধ্যমিকে

    এই চাকরি বাতিলের (SSC Scam) প্রভাব উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পড়তে পারে বলেই আশঙ্কা করছেন পর্ষদের আধিকারিকরা। সে ক্ষেত্রে অন্যান্য স্কুল থেকে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিয়ে এসে সামঞ্জস্য রক্ষা করতে হবে বলেই মত সংসদের আধিকারিকদের। ইতিমধ্যেই এই বিষয় নিয়ে উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষা কেন্দ্র গুলিতে কতজন শিক্ষকের সমস্যা (SSC Scam) হতে পারে সেই বিষয়ে রিপোর্ট চাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে সংসদের আধিকারিকেরা। আগামী ১৪ই মার্চ থেকে শুরু হচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। তার আগেই এই সমস্যার সমাধান করতে চায় পর্ষদ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে নয়া মোড়! টানা সাড়ে ৬ ঘণ্টা জেরা নতুন ‘রহস্যময়ী নারী’ সোমাকে

    Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে নয়া মোড়! টানা সাড়ে ৬ ঘণ্টা জেরা নতুন ‘রহস্যময়ী নারী’ সোমাকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে  (Recruitment Scam) উঠে এসেছে নতুন নাম। তিনি হলেন সোমা চক্রবর্তী। তাঁর সঙ্গে কুন্তলের যোগ থাকার অভিযোগে তাঁকে গতকাল সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করেছিল ইডি আধিকারিকরা। সেই মত হাজিরাও দেন তিনি। সূত্রের খবর, দীর্ঘ ছ’ঘন্টা কুড়ি মিনিট ধরে সোমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তদন্তকারী আধিকারিকেরা। মূলত লেনদেনের বিষয়েই তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

    নতুন ‘রহস্যময়ী নারী’ কী বললেন?

    নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে  (Recruitment Scam) ধৃত তৃণমূল যুব নেতা কুন্তল ঘোষের সঙ্গে তাঁর লেনদেনের কথা জানতে পেরেই তাঁকে তলব করা হয়েছিল বলে সূত্রের খবর। গতকাল দুপুরেই ইডি অফিসে যান তিনি। সন্ধ্যা ৭ টা ২২ মিনিট নাগাদ সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরিয়ে যান তিনি। গতকাল সোমার বয়ান রেকর্ড হয়েছে বলে ইডি সূত্রে খবর। পাশাপাশি, বেশ কিছু তথ্যও জমা দিয়েছেন সোমা। জিজ্ঞাসাবাদের পর বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে চাননি তিনি। ক্যামেরা দেখেই হাত দিয়ে মুখ ঢাকার চেষ্টা করেন। পরে একটি অটোতে চেপে চলে যান তিনি। জানা গিয়েছে, দক্ষিণ কলকাতায় একটি পার্লার রয়েছে তাঁর।

    আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে আরও এক ‘রহস্যময়ী নারী’র খোঁজ, কে এই মহিলা, কী বললেন কুন্তল?

    কুন্তলের কী দাবি?

    তবে সোমার কথা বলতেই কুন্তল বলেছেন, “আমি চিনি না।” ইডি সূত্রের খবর, ওই ‘রহস্যময়ী নারী’কে গাড়ি, ফ্ল্যাট, টাকা ইত্যাদি দিয়েছেন তৃণমূলের যুব নেতা। সোমাকে চিনতে অস্বীকার করে কুন্তল বলেন, “আমি জানি না। আমার সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই, যার সঙ্গে যোগাযোগ আছে খুঁজে দেখুন।” সোমাকে ফ্ল্যাট দেওয়ার দাবি নিয়ে কুন্তলের বক্তব্য, “আমার নিজেরই ফ্ল্যাট নেই তো কাকে ফ্ল্যাট দেব।” উল্লেখ্য, গতকাল আলিপুর আদালতে পেশ করা হয় কুন্তলকে। তাঁকে আগামী ১৭ মার্চ পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত  (Recruitment Scam)।

    প্রসঙ্গত, গতকালই কুন্তলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখার পর এই পার্লার মালিক সোমার নাম উঠে এসেছে। ইডি সূত্রের খবর, কুন্তলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে সোমা চক্রবর্তীর সঙ্গে তাঁর প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা লেনদেন হয়েছিল। ফলে প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি কুন্তলের টাকা স্যালোঁ ব্যবসাতেও খাটানো হত? কেন সোমার অ্যাকাউন্টে টাকা গিয়েছে? আর এসব জানতেই তলব করা হয়েছিল সোমাকে। তবে টাকা লেনদেনের আসল কারণ এখনও স্পষ্ট জানা যায়নি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: তৃণমূল নেতা কুন্তলকে ১৬ কোটি টাকা তুলে দিয়েছিলেন এজেন্টরা!

    SSC Scam: তৃণমূল নেতা কুন্তলকে ১৬ কোটি টাকা তুলে দিয়েছিলেন এজেন্টরা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Scam) মামলায় কেউটে বের করল ইডি (ED)! কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থার দাবি, কুন্তল ঘোষকে (Kuntal Ghosh) ১৬ কোটি টাকা তুলে দিয়েছিলেন এজেন্টরা। ১৪ দিনের জেল হেফাজত শেষে কুন্তলকে এদিন ফের তোলা হয় আদালতে। ইডি জানায়, ১০ জন এজেন্টের বয়ান নেওয়া হয়েছে। তারা জানিয়েছে ২০০ প্রার্থীর কাছ থেকে টাকা তুলে দেওয়া হয়েছিল কুন্তলকে। মোট ১৬ কোটি টাকা দেওয়া হয় কুন্তলকে। ইডির দাবি, প্রাথমিক থেকে নবম দশম শ্রেণির ওই চাকরি প্রার্থীদের কাছ থেকে নিজের এজেন্ট মারফত টাকা নিয়েছিলেন হুগলির ওই যুব তৃণমূল নেতা। কুন্তলের ব্যাঙ্কের নথিপত্র যাচাই করে আরও এক নারীর সঙ্গে বিপুল অর্থ লেনদেনের হদিশও পেয়েছে ইডি।

    নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Scam)…

    ইডির আইনজীবীর দাবি, এজেন্টদের মাধ্যমে কুন্তল প্রার্থী পিছু ৮ লক্ষ টাকা (SSC Scam) করে নিয়েছিলেন। কুন্তলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথি যাচাই করার পর এক মহিলাকেও তলব করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইডির এক সূত্রের দাবি, ২০২০ সাল থেকে এই মহিলার সঙ্গে কুন্তলের ৫০ লক্ষ টাকা লেনদেনের হদিশ মিলেছে। ইডির আইনজীবীর আরও দাবি, শুধু প্রাইমারি নয়, আপার প্রাইমারি এবং নবম দশম শ্রেণির চাকরি প্রার্থীর কাছ থেকেও টাকা তুলেছেন কুন্তল। চাকরি প্রার্থীদের থেকে সংগৃহীত ১৬ কোটির থেকে কিছু টাকা রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে যেতে পারে বলেও মনে করছেন তদন্তকারীরা। ওই টাকার পুরোটাই নগদে লেনদেন হয়েছে বলেও দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার।

    ফের জেল হেফাজত…

    ইডি সূত্রে দাবি, কেবল চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকেই নয়, বিএড কলেজের অনুমোদনের জন্যও টাকা নেওয়া হয়েছে। তা করতে গিয়ে পার্থর পাশাপাশি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আরও এক ধৃত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি তথা তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের প্রভাব প্রতিপত্তিকেও কাজে লাগানো হয়েছে। এদিকে, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Scam) টাকায় অভিনেত্রী তথা তৃণমূলের এক যুব নেত্রীকে কুন্তল ফ্ল্যাট কিনে দিয়েছিলেন বলেও সূত্রের খবর। তিনটি লাগোয়া ফ্ল্যাট ভেঙে একটি বানানো হয়েছিল। ওই অভিনেত্রীকে একটি গাড়িও কিনে দিয়েছিলেন তিনি। তার পরেই রাজ্য যুব সম্পাদকের পদের শিকে ছেঁড়ে কুন্তলের ভাগ্যে। এদিন কুন্তলকে তোলা হয় ব্যাঙ্কশাল আদালতে। বিচারক তাঁকে ১৭ মার্চ পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।

    আরও পড়ুুন: তিহাড় জেলযাত্রা রুখতে জোড়া মামলা অনুব্রতর, লাভ হবে কি? 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • SSC Scam: আদালতের নির্দেশ মানল পর্ষদ, চাকরি বাতিল করল নবম-দশমের ৬১৮ জন ‘অযোগ্য’ শিক্ষকের

    SSC Scam: আদালতের নির্দেশ মানল পর্ষদ, চাকরি বাতিল করল নবম-দশমের ৬১৮ জন ‘অযোগ্য’ শিক্ষকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে বাতিল হল ৬১৮ জনের চাকরি। আজ একথা জানিয়ে দিয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। আগেই নবম-দশম শ্রেণির মোট ৮০৫ জন শিক্ষককে ‘অযোগ্য’ বলে উল্লেখ করেছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। এর পর বিচারপতির রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন ‘অযোগ্য’ শিক্ষকেরা। কিন্তু তাঁদের কোনও চেষ্টাই সফল হল না। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বসু এদের নিয়োগ বাতিল করতে বলেছিলেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে। পরে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চও সেই নির্দেশ বহাল রাখে। এর পরেই শুক্রবার সেই নির্দেশ কার্যকর করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ শুক্রবার বিকেলে জানিয়ে দিল, চাকরি যাচ্ছেই। স্কুলের নবম-দশম শ্রেণির ৬১৮ জন শিক্ষককে আর স্কুলে যেতে হবে না।

    কী ঘটেছিল?

    ওএমআর শিটে কারচুপি করে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ ছিল এই শিক্ষকদের বিরুদ্ধে। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বসু এদের নিয়োগ বাতিল করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন স্কুল সার্ভিস কমিশনকে। চাকরি বাতিল হওয়া শিক্ষকরা এই নির্দেশের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে যান। ডিভিশন বেঞ্চও সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ বহাল রাখে। এরপর দুর্নীতির কথা স্বীকার করে নিয়ে আগেই সুপারিশ বাতিল করেছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। আর আজ, শুক্রবার সেই নির্দেশ কার্যকর করেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। অসৎ উপায়ে চাকরি পাওয়া ৬১৮ জন শিক্ষকের নিয়োগপত্র বাতিল করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। শুক্রবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে পর্ষদ জানিয়েছে, হাইকোর্টের নির্দেশেই এই পদক্ষেপ নিয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।

    আরও পড়ুন: ৪০ নম্বর হয়ে গেল ১০! গ্রুপ-সির ৩৪৭৮টি উত্তরপত্র ওয়েবসাইটে প্রকাশের নির্দেশ হাইকোর্টের

    উল্লেখ্য, এর আগেই হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে ৮০৫ জনের মধ্যে তার মধ্যে ৬১৮ জনের নামের তালিকা প্রকাশ করে এসএসসি। এরপর তাঁদের সুপারিশপত্র ও এবার নিয়োগপত্র বাতিল করা হল। এসএসসি এর আগে জানিয়েছিল, ৬১৮ জনের অনেকে সাদা খাতা জমা দিয়েছিলেন। আবার অনেকে পরীক্ষাতে দুই বা তিন নম্বর পেয়েছিলেন। আপাতত এই ৬১৮ জনের সুপারিশ বাতিল করা হলেও, পরে আরও অযোগ্য প্রার্থীদের সুপারিশ বাতিল করা হবে বলে জানিয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে আরও এক ‘রহস্যময়ী নারী’র খোঁজ, কে এই মহিলা, কী বললেন কুন্তল?

    Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে আরও এক ‘রহস্যময়ী নারী’র খোঁজ, কে এই মহিলা, কী বললেন কুন্তল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) এবারে উঠে এল আরও এক রহস্যময়ী নারীর নাম। অর্পিতা, হৈমন্তীর পরে এবার সোমা। পুরো নাম সোমা চক্রবর্তী। ইডি সূত্রের খবর, নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের নথিপত্র ঘেঁটে খোঁজ মিলেছে এই সোমা চক্রবর্তীর। অভিযোগ, ২০২০ সাল থেকে এই সোমা চক্রবর্তীকেই লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন কুন্তল। এমনকী শুধু টাকা নয়, তাঁকে নাকি ফ্ল্যাট ও গাড়িও কিনে দিয়েছেন কুন্তল। ফলে এদিন সোমা চক্রবর্তীকে তলব করেছে ইডি। চলছে জেরা। অন্যদিকে কুন্তল দাবি করেছেন, সোমা নামে কোনও মহিলাকেই নাকি তিনি চেনেন না।

    কে এই সোমা চক্রবর্তী?

    ইডি সূত্রে খবর, সোমা চক্রবর্তী নামে ওই মহিলা নেল পার্লারের মালকিন। তাঁর নিউটাউনে একটি নেল পার্লার রয়েছে। কুন্তল ঘোষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট স্ক্রুটিনি করেই সোমা চক্রবর্তীর নাম সামনে আসে। তদন্তকারীদের দাবি, ২০২০ থেকে ২০২৩ সালে কুন্তল গ্রেফতারির আগে পর্যন্ত তাঁর অ্যাকাউন্টে দফায় দফায় প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা লেনদেন হয়েছে। ফলে তাঁর সঙ্গে কী সম্পর্ক কুন্তলের, ঠিক কী কারণে কুন্তল ঘোষ সোমার অ্যাকাউন্টে টাকা লেনদেন করেছিলেন? শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির টাকাই কি সোমা চক্রবর্তীর নেল পার্লারের মাধ্যমে সাদা করার চেষ্টা করা হয়েছিল? এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই আজ সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি আধিকারিকরা সোমাকে ডেকে পাঠান ও জেরার মুখোমুখি হন তিনি (Recruitment Scam)।

    আরও পড়ুন: ৪০ নম্বর হয়ে গেল ১০! গ্রুপ-সির ৩৪৭৮টি উত্তরপত্র ওয়েবসাইটে প্রকাশের নির্দেশ হাইকোর্টের

    কী দাবি কুন্তলের?

    অন্যদিকে আজ আদালতে পেশের সময় সোমা চক্রবর্তীকে চেনেন না বলেই দাবি করেছেন কুন্তল। সোমাকে নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কুন্তল বলেন, “আমি জানি না। আমার সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই, যার সঙ্গে যোগাযোগ আছে খুঁজে দেখুন।” আজ ফের গোপাল দলপতির নামে এদিন অভিযোগ করেন কুন্তল। বলেন, “হৈমন্তীকে বাঁচানোর জন্য গোপাল নানা কথা বলেছে।” সোমাকে ফ্ল্যাট, গাড়ি কিনে দেওয়ার কথা উঠলে সমস্ত অভিযোগ খারিজ করে আদালতে কুন্তল বলেন, “আমার নিজেরই ফ্ল্যাট নেই তো কাকে ফ্ল্যাট দেব।” ফলে সোমার সঙ্গে কুন্তলের কী সম্পর্ক, কোন সূত্র ধরে এই টাকার লেনদেন, সেই জবাব কুন্তলের কাছ থেকে এখনও স্পষ্টভাবে পাওয়া যায়নি (Recruitment Scam)।

    হৈমন্তীর কী দাবি?

    অন্যদিকে এই নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) নাম উঠে আসা হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায় এই প্রথমবার মুখ খুললেন। তিনি বলেন, “আমি কোনও ভাবেই এই দুর্নীতর সঙ্গে জড়িত নই। জানি না, কীভাবে দুর্নীতি হয়। কোনও ধারণাই নেই আমার। আমাকে শুধু শুধু হেনস্তা করা হচ্ছে।” তাঁর দাবি, “কেউ একটা আমার নাম বলে দিল। আর সেটা যাচাই করা হল না? এই কুন্তলকে আমি তো চিনিই না।”

    আবার স্বামী গোপাল দলপতি ওরফে আরমান গঙ্গোপাধ্যায়ের কথা জিজ্ঞেস করা হলে, তাঁকে চেনেন কিনা প্রশ্ন করলে সাফ বলেন, “চিনি মানে? ২০১২ সালে আমাদের বিয়ে হয়। এখন বিচ্ছেদের প্রক্রিয়া চলছে।” গোপালের নাম উঠে এসেছে নিয়োগ দুর্নীতিতে। এই প্রসঙ্গে হৈমন্তীর দাবি, “আমি সিনেমার জগত নিয়ে থাকি। গোপালবাবুর সঙ্গে যখন থাকতাম, তখনও সিনেমার জগত নিয়েই ব্যস্ত থাকতাম। উনি কাজ করতেন জানতাম। তবে, তাঁর কাজ নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। তবে আমার কাজ নিয়ে দু’জনের মধ্যে আলোচনা হত।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: ৪০ নম্বর হয়ে গেল ১০! গ্রুপ-সির ৩৪৭৮টি উত্তরপত্র ওয়েবসাইটে প্রকাশের নির্দেশ হাইকোর্টের

    SSC Scam: ৪০ নম্বর হয়ে গেল ১০! গ্রুপ-সির ৩৪৭৮টি উত্তরপত্র ওয়েবসাইটে প্রকাশের নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ওএমআর শিট প্রকাশের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। গ্রুপ সি নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Scam) মামলায় উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদ থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল ওএমআর শিট। সেগুলোই এবারে প্রকাশের নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। মোট ৩৪৭৮টি উত্তরপত্র বা ওএমআর শিট প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। শুধু তাই নয়, এর জন্য সময়ও বেঁধে দিয়েছেন বিচারপতি। ওএমআর প্রকাশ করার জন্য এক সপ্তাহ সময় পাবে এসএসসি। অর্থাৎ ৯ মার্চের মধ্যে ওই উত্তরপত্রগুলি ওয়েবসাইটে আপলোড করতে হবে। শুক্রবার এ সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেছেন, নম্বর কারচুপি করা উত্তরপত্রগুলিকে অবিলম্বে তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)-কে।

    ৩৪৭৮টি উত্তরপত্র উদ্ধার

    নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার তদন্তের সময় উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদ থেকে এসএসসি-র গ্রুপ সি-র (SSC Scam) পরীক্ষার ৩৪৭৮টি উত্তরপত্র বা ওএমআর শিট উদ্ধার করে সিবিআই। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে এই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে এসএসসির আইনজীবী জানান, অনেক ক্ষেত্রেই উদ্ধার হওয়া উত্তরপত্রে প্রাপ্ত নম্বর ও কমিশনের কাছে থাকা নম্বরে রয়েছে বহু ফারাক। গাজিয়াবাদের সংস্থা নাইসা এই পরীক্ষা খাতার মূল্যায়ন করেছিল। এরপরেই এই ওএমআর শিট এসএসসি-কে নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করার নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

    আরও পড়ুন: ‘সম্পর্ক স্বাভাবিক নেই…শান্তিই মূল লক্ষ্য’, চিনা বিদেশমন্ত্রীকে কড়া বার্তা জয়শঙ্করের

    ৪০ নম্বর হয়ে গেল ১০!

    এসএসসি গ্রুপ সি দুর্নীতিতে (SSC Scam) এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। সূত্রের খবর, দেখা গিয়েছে চাকরি পাওয়া এক ব্যক্তির নম্বর ওএমআর মূল্যায়নকারি সংস্থা নাইসা-র সার্ভারে ৪০। কিন্তু, কমিশনের সার্ভারে তা দেখাচ্ছে ১০! এই তথ্য দেখে রীতিমত বিস্মিত বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কী ভাবে তা সম্ভব? প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এসএসসি জানিয়েছে, গ্রুপ সি নিয়োগে পরীক্ষার্থী প্রাপ্ত নম্বর আসল ওএমআর শিটে একরকম এবং কমিশনের কাছে অন্যরকমের রয়েছে। এসএসসি এ-ও জানিয়েছে এর নেপথ্যে কমিশনেরই কিছু আধিকারিকের ভূমিকা রয়েছে।

    বিস্মিত বিচারপতি কী বললেন?

    এদিন কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে শুনানি চলছিল স্কুলের গ্রুপ সি কর্মী নিয়োগের মামলার (SSC Scam)। সেখানেই এসএসসির আইনজীবীর বক্তব্য শুনে বিস্মিত হন বিচারপতি। নম্বরের এত ফারাক দেখে অবিলম্বে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ওইসব উত্তরপত্র প্রকাশ্যে আনার নির্দেশ দিয়েছেন। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “এই দুর্নীতি নিয়ে সবচেয়ে ভাল বলতে পারবেন প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য। তাঁর আমলেই এসব হয়েছে। সিবিআই চাইলে সুবীরেশ-সহ বাকিদের বারে বারে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে।” আবার কমিশন আরও জানায় যে, সিবিআই যে ৩৪৭৮টি ওএমআর শিট উদ্ধার করেছে, তার মধ্যে ৩০০টি বিকৃত করা হয়নি। এ কথা শোনার পরও বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, আগামী ৯ মার্চের মধ্যে ৩৪৭৮টি ওএমআর শিট স্কুল সার্ভিস কমিশন কে নিজেদের সাইটে প্রকাশ করতেই হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতির টাকাও গোপালের চিটফান্ডে! তদন্ত শুরু করল সিবিআই

    SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতির টাকাও গোপালের চিটফান্ডে! তদন্ত শুরু করল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি (SSC Scam) নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত গোপাল দলপতির চিটফান্ড কারবারের খোঁজখবর শুরু করল সিবিআই। চিটফান্ড কেলেঙ্কারিতে ইতিমধ্যেই তাঁকে গ্রেফতার করেছিল দিল্লি পুলিশ। তার পর বেশ কিছুদিন তিহাড় জেলে বন্দিও ছিলেন গোপাল। চিটফান্ড দুর্নীতিতে জড়িয়েই গোপালের যাবতীয় ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ হয়ে যায়। নতুন অ্যাকাউন্ট খুলতে নাম বদলে আরমান গঙ্গোপাধ্যায় হন তিনি। 

    প্রথমে চিটফান্ড তারপর এসএসসিতে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন

    সিবিআই সূত্রে খবর, ৪৭ মাসে ১৫ শতাংশ সুদে লক্ষ লক্ষ টাকা ফেরত দেওয়া হবে এই টোপ দেখিয়ে চিটফান্ড ব্যবসা শুরু করেন গোপাল। ২০১২ সালে জি নেট নামে এই চিটফান্ড চালু করেন তিনি। জেলায় জেলায় প্রচুর এজেন্ট নিয়োগ করেন। কিন্তু প্রথমে তিনি তেমন সাড়া পাননি। এর পর রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় জমি কিনতে শুরু করেন গোপাল। বলেন, কোনও সমস‌্যা হলে জমি বিক্রি করে টাকা ফেরৎ দেওয়া হবে এই শর্তে টাকা তোলেন গোপাল। তাঁকে সাহায্য করতেন স্ত্রী হৈমন্তী গঙ্গোপাধ‌্যায়। গ্রামের জমিতে শিল্পে প্রকল্প গড়ে তোলার আশ্বাস দিতেন গোপাল ও তাঁর এজেন্টরা। সেই প্রকল্পে আমানতকারীদের পরিবারের সদস্যরা চাকরি পেতে পারেন বলেও স্বপ্ন দেখাতেন তিনি। স্বপ্ন ফেরি করতে বেশ পটু গোপাল ও তাঁর মডেল স্ত্রী এমনই ধারণা গোয়েন্দাদের। প্রথমে চিটফান্ড তারপর এসএসসিতে (SSC Scam) চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে কোটি টাকা তোলেন গোপাল, অনুমান অফিসারদের।

    আরও পড়ুুন: ত্রিপুরায় জয়ী বিজেপি, নোটার চেয়েও কম ভোট পেয়ে মুখ পোড়াল তৃণমূল

    গোপালের চিটফান্ড মেদিনীপুর, হাওড়া ও হুগলি জেলায় জনপ্রিয়তা পায়। লোকে লক্ষ লক্ষ টাকা দেয়। তবে, লগ্নিকারীদের কাছ থেকে খবর নিয়ে সিবিআই জেনেছে, কেউই প্রায় টাকা ফেরত পাননি। এদিকে, এমন খবরও তদন্তকারীদের কাছে এসেছে যে, জমিগুলি সবার অলক্ষ্যে স্থানীয় এজেন্টদের সাহায‌্য নিয়ে  বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। এরপরই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার নজরে পড়েন গোপাল। শেষ পর্যন্ত ভোলবদলে গোপাল হন আরমান গঙ্গোপাধ‌্যায়। সিবিআইয়ের অনুমান, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Scam) টাকা গোপালের চিটফান্ডে গিয়ে থাকতে পারে। এব্যাপারে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান গোয়েন্দারা। গোপাল দিল্লি থেকে ফিরলেই সিবিআই তাঁকে জেরা করতে চায় বলে খবর। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

LinkedIn
Share