Tag: ssc scam

ssc scam

  • SSC Scam: ঠিক কীভাবে হত ওএমআর জালিয়াতি, পদ্ধতি দেখে চোখ কপালে গোয়েন্দাদের

    SSC Scam: ঠিক কীভাবে হত ওএমআর জালিয়াতি, পদ্ধতি দেখে চোখ কপালে গোয়েন্দাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওএমআর শিট জালিয়াতির অভিযোগে সরগরম রাজ্য। ইতিমধ্যেই বাতিল হয়েছে ১৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মীর (SSC Scam) চাকরি। হাইকোর্টের নির্দেশে এই কর্মীদের চাকরি বাতিল করেছে এসএসসি।  কীভাবে হত ওএমআর জালিয়াতি? এখনও এই প্রশ্নই ভাবাচ্ছিল গোয়েন্দাদের। কীভাবেই বা ধরা পড়লেন এই ভুয়ো শিক্ষকরা? কীভাবে এই জালিয়াতির হদিশ পেলেন তদন্তকারীরা? শুরুতে বেগ পেলেও পরবর্তীতে গোয়েন্দারা ধরে ফেলেন কারচুপির পদ্ধতি। তদন্তকারীদের কাছ থেকেই উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। সব দুর্নীতির নেপথ্যে এক ফর্মুলা। সব চাকরি চুরিতেই এক ছকেই দুর্নীতি। তদন্তে জানা গিয়েছে, প্রত্যেক দালালের নিজস্ব ‘কোড’রয়েছে। কুন্তলের চাকরির কোড ২। পুরো বিষয়টাই হত ভীষণ নিয়ম মেনে। কুন্তলকে টাকা দিলে ওএমআর শিটে ২টি গোল দেওয়ার নির্দেশ থাকত। আরেক এজেন্টের কোড সাদা খাতা। কিন্তু সাদা খাতা জমা দিলে তো ফেল করার কথা। সেক্ষেত্রে, সাদা খাতা জমা চাকরিপ্রার্থীর ওএমআর শিট রিডার মেশিনে ফেল করলেও সার্ভারে নম্বর বাড়িয়ে দেওয়া হত। যার ফলে পরীক্ষার্থী পেয়ে যেতেন পাশ নম্বর। ওএমআর শিটের হার্ডকপি সংরক্ষণ না হওয়ায় প্রমাণ লোপাট হত সহজেই।

    আরও পড়ুন: বাংলাকে খণ্ডিত হতে দেব না! দুর্নীতি থেকে নজর সরাতে অপপ্রচার তৃণমূলের, দাবি সুকান্তর

    রহস্যভেদ হল কীভাবে? 

    গাজিয়াবাদে নাইসার হার্ডডিস্কে সব ওএমআর শিটের তথ্য রয়েছে। সেখান থেকেই এই কারচুপির কথা জানতে পারে সিবিআই। ওএমআর ও সার্ভারের নম্বর মিলিয়ে দেখতেই পর্দাফাঁস।  তারপরেই সেই তথ্য হাইকোর্টকে দেয় আদালত।

    সব রাজ্য সরকারি চাকরিতেই একই ফর্মুলায় দুর্নীতি। কী সেই ফর্মুলা?

    • প্রত্যেক দালালের নিজস্ব ‘কোড’। 
    • কুন্তলের চাকরির কোড ২। 
    • কুন্তলকে টাকা দিলে ওএমআর-এ ২টি গোল। 
    • আরেক এজেন্টের কোড সাদা খাতা। 
    • সেক্ষেত্রে, সাদা খাতা জমা চাকরিপ্রার্থীর। 
    • ওএমআর শিট রিডার মেশিনে ফেল করলেও সার্ভারে নম্বর বাড়িয়ে পাশ।
    • ওএমআর-এ শিটের হার্ডকপি সংরক্ষণ না হওয়ায় প্রমাণ লোপাট।

    এদিকে যে এজেন্টের মাধ‌্যমে কুন্তল ঘোষের টাকা মানিক ভট্টাচার্যর (SSC Scam) হাতে যেত, সেই এজেন্টের খোঁজ চালাচ্ছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ইডির দাবি, রাজ‌্যজুড়ে এরকম প্রায় ৪০ জন এজেন্টের সন্ধান মিলেছে। যারা প্রভাবশালীদের হাতে দুর্নীতির টাকা তুলে দিতেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • SSC Scam: বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়কে চ্যালেঞ্জ! ডিভিশন বেঞ্চে চাকরি হারানো গ্রুপ ডি কর্মীরা

    SSC Scam: বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়কে চ্যালেঞ্জ! ডিভিশন বেঞ্চে চাকরি হারানো গ্রুপ ডি কর্মীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন এসএসসি গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতিতে চাকরি থেকে বহিষ্কৃতরা। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করেন তাঁরা। মামলাটির শুনানি হবে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের এজলাসে। যাঁরা আবেদন করেছেন, তাঁদের হয়ে আদালতে সওয়াল করছেন আইনজীবী অরুণাভ ঘোষ, অনিন্দ্য লাহিড়ী এবং পার্থ দেববর্মণ। অন্যদিকে বিচারপতি বসুর রায়কেও চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে গেলেন চাকরি খোয়ানো নবম-দশমের শিক্ষক-শিক্ষিকারা।

    ১৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মীদের চাকরি বাতিলের নির্দেশ

    শুক্রবারই বেআইনি নিয়োগের অভিযোগে এসএসসি নিযুক্ত ১৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মীর চাকরি বাতিল করেছিল হাইকোর্ট। ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল হাইকোর্টের বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চ। সেই নির্দেশকেই চ্যালেঞ্জ জানানো হয়েছে ডিভিশন বেঞ্চে।

    আরও পড়ুন: বিদায় নিচ্ছে শীত! আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় বাড়ছে ভয়ঙ্কর ব্যাকটেরিয়ার দাপট

    এদের প্রত্যেকের ওএমআর শিটে কারচুপি করা হয়েছিল বলে স্বীকার করে নিয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। বহিষ্কৃতদের মধ্যে রয়েছেন বহু তৃণমূল নেতা, তাদের আত্মীয় ও ঘনিষ্ঠরা। আদালতে কমিশন স্বীকারও করেছে ২৮১৯ জনের ওএমআর শিটে কারচুপি করা হয়েছে। তার মধ্যে নিয়োগপত্র পেয়েছিলেন ১৯১১ জন। ফলে এই ১৯১১জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্টের বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চ। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় সেদিন বলেছিলেন, “অবিলম্বে ১৯১১ জন গ্ৰুপ ডি কর্মীর সুপারিশপত্র প্রত্যাহার করতে হবে। আমার বিশ্বাস, বেআইনি ভাবে, দুর্নীতি করে এই সব প্রার্থীদের সুপারিশ দেওয়া হয়েছিল।” তাঁরা অন্য কোনও চাকরির পরীক্ষায় আর বসতে পারবেন না, সে বিষয়েও জানিয়ে দিয়েছিলেন বিচারপতি। আর এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করেই আজ ডিভিশন বেঞ্চের দারস্থ হন চাকরি খোয়া কর্মীরা।

    বিচারপতি বসুর রায়কে চ্যালেঞ্জ নবম এবং দশমের চাকরি যাওয়া শিক্ষকদের

    উত্তরপত্র বিকৃত করে ৯৫২ জনকে চাকরি দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। এই ৯৫২ জনের মধ্যে ৮০৫ জনের ওএমআর শিট বিকৃত করা হয়েছে বলে স্বীকার করে নেয় স্কুল সার্ভিস কমিশন। এরপরেই বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু কমিশনকে নিজেদের ক্ষমতা প্রয়োগ করে এই ৮০৫ জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। এর পরেই সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে যান ওই চাকরি খোয়া শিক্ষক-শিক্ষিকারা। এই দুই মামলাতেই ডিভিশন বেঞ্চ কী রায় দেয় সেদিকেই নজর রাজ্যবাসীর।

  • SLST Agitation: লজ্জার ৭০০ দিন! কালো পোশাক পরে এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থান বিক্ষোভ

    SLST Agitation: লজ্জার ৭০০ দিন! কালো পোশাক পরে এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থান বিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন অব্যাহত। চাকরির দাবিতে যোগ্য প্রার্থীদের করতে হয়েছে বিক্ষোভ, অনশন, প্রতিবাদ, তবুও মেলেনি নিয়োগপত্র। আর এই চাকরির দাবিতেই এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন আজ ৭০০ দিনে পড়ল। রবিবার ছুটির দিনেও ধর্মতলার গান্ধীমূর্তির পাদদেশে চলছে তাঁদের অবস্থান বিক্ষোভ। এদিন চাকরিপ্রার্থীদের এক অভিনব পথে আন্দোলন করতে দেখা গেল। মহিলাদের দেখা যায় কালো পোশাকে ও পুরুষদের অর্ধনগ্ন অবস্থায় আন্দোলন করতে দেখা যায়। তাঁদের অভিযোগ, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন জানানো হলেও এখনও তাদের নিয়োগ করা হয়নি, আর তারই প্রতিবাদে ফের সোচ্চার হয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা।

    নবম-দশম চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ অব্যাহত

    আন্দোলন, বিক্ষোভ করতে করতে ৭০০ দিন পেরিয়ে গেল তবুও যোগ্য চাকরিপ্রার্থীরা পেলেন না নিয়োগ। একদিকে যেমন রাজ্যে একের পর এক শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি বেড়েই চলেছে, প্রায় প্রতিদিনই চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে, অন্যদিকে নবম-দশমের চাকরিপ্রার্থীরাও তাঁদের বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন।

    আরও পড়ুন: চাকরি চেয়ে চ্যাংদোলা! মমতার বাংলায় এটাই বাস্তব?

    চাকরিপ্রার্থীদের অভিনব প্রতিবাদ কর্মসূচি

    ফাঁকা ওএমআর শিটের প্রতিলিপি নিয়ে কালো পোশাক পরে চলছে প্রতিবাদ। সঙ্গে চলছে স্লোগান শাউটিংও। এই বিক্ষোভ অবস্থান থেকে একটাই দাবি করা হয়েছে সেটি হল নিয়োগের দাবি। তাঁরা এই প্রতিবাদের মাধ্যমে রাজ্যে দুর্নীতির যে কঙ্কালসার ছবি, সেটিই ফুটিয়ে তুলতে চেয়েছেন। চাকরিপ্রার্থীরা এমন পোস্টার বানিয়েছেন, যেখানে দেখা গিয়েছে, কীভাবে এসএসসি পরীক্ষায় দুর্নীতি করা হয়েছে, কীভাবে ওএমআর শিটে নম্বর পরিবর্তন করা হয়েছে, সেসবই ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এইসব পোস্টারের মাধ্যমে। সবার পোশাকে লেখা রয়েছে, ‘লজ্জার ৭০০ দিন”।

    এক চাকরিপ্রার্থীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানিয়েছেন, আজকের এই প্রতিবাদে তাঁরা দুটো বিষয়কে তুলে ধরেছেন। এক, রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থা অন্ধকারে তলিয়ে গিয়েছে, তাঁর কথায় রাজ্যের শিক্ষায় কালো দিন চলছে, কালো অধ্যায় চলছে, তা বোঝতেই মহিলা আন্দোলনকারীরা কালো পোশাক পরেছেন। দুই, রাজ্যে শিক্ষাব্যবস্থাকে সামনে রেখে যেসব ন্যক্কারজনক কার্যকলাপ চলছে, অযোগ্যরা চাকরি করছেন, যোগ্যরা রাস্তায় ৭০০ দিন ধরে প্রতিবাদ করছেন, অর্থাৎ রাজ্যের শিক্ষার সেই রূপ তুলে ধরতেই পুরুষ আন্দোলনকারীরা অর্ধনগ্ন হয়ে প্রতিবাদ করছেন। 

  • SSC Scam: পিএইচডি, স্নাতকোত্তর ডিগ্রি ব্যবহার করতে পারবেন না সুবীরেশ, নির্দেশ আদালতের

    SSC Scam: পিএইচডি, স্নাতকোত্তর ডিগ্রি ব্যবহার করতে পারবেন না সুবীরেশ, নির্দেশ আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রুপ ডি (Group D) নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় যুক্ত করা হল এসএসসির (SSC) তৎকালীন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে। ওই মামলায় (SSC Scam) শুক্রবার তাঁকে শোনানো হল কঠোর ‘সাজা’। সাজার কথা শোনালেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, যতদিন না এই মামলার নিষ্পত্তি হচ্ছে, ততদিন নিজের ডক্টরেট উপাধি ব্যবহার করতে পারবেন না সুবীরেশ। ব্যবহার করতে পারবেন না স্নাতকোত্তর ডিগ্রিও।

    কারচুপি…

    শুক্রবার ওএমআর শিটে কারচুপি করে চাকরি পাওয়া ১৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মীর সুপারিশপত্র প্রত্যাহারের জন্য এসএসসিকে নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এই মামলার সূত্রেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানতে চান, কার নির্দেশে এতজনকে বেআইনিভাবে নিযুক্ত করা হয়েছে? তাঁদের নাম প্রকাশ্যে আনার জন্য কমিশনের তদানীন্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এর পরেই আদালত নির্দেশ দেয়, যতক্ষণ না সুবীরেশ ভট্টাচার্য নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করছেন, ততদিন তিনি তাঁর পিএইচডি, স্নাতকোত্তর ডিগ্রি ব্যবহার করতে পারবেন না। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় আরও বলেছেন, নাম না বললে ধরে নেব, সুবীরেশ ভট্টাচার্যই দুর্নীতির (SSC Scam) মাথায়। প্রয়োজনে তাঁকে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দেওয়া হবে বলেও জানান বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এসএসসির নিয়োগ দুর্নীতিতে প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যযের প্রত্যক্ষ যোগ রয়েছে বলে মনে করে আদালত।

    আরও পড়ুুন: চাকরি বাতিল ১৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মীর, ফেরত দিতে হবে বেতনও

    এদিন আদালতে মামলার শুনানিতে পর্যবেক্ষণে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানান, এত বড় একটা দুর্নীতি, অথচ তাতে সুবীরেশ ভট্টাচার্যের কোনও যোগ থাকবে না, এটা হতে পারে না। তাই সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে এই মামলায় যুক্ত করতে হবে। কারণ তাঁর আমলেই এই সব নিয়োগ হয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতিতে যে সুবীরেশ ভট্টাচার্যের ওপরেও কেউ রয়েছে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। এদিন আদালতের পর্যবেক্ষণে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, সেই মাথার নাম বলতে হবে সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে। না হলে তিনিই দোষী (SSC Scam) বলে মনে করা হবে। সুবীরেশ ভট্টাচার্য যদি নাম বলতে ভয় পান, তাহলে সিআরপিএফ দিয়ে তাঁকে নিরাপত্তা দিতে হবে। বিচারপতি বলেন, প্রয়োজনে সুবীরেশ ভট্টাচার্যের পরিবারকে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নিরাপত্তা দেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, এদিনই গ্রুপ ডি মামলায় ১৯১১ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • SSC Scam: চাকরি বাতিল ১৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মীর, ফেরত দিতে হবে বেতনও

    SSC Scam: চাকরি বাতিল ১৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মীর, ফেরত দিতে হবে বেতনও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯১১ জন গ্রুপ ডি (Group D) কর্মীর চাকরি বাতিল (SSC Scam)! তাঁদের বেতনও বন্ধ হয়ে যাবে। শুধু তাই নয়, বেতন বাবদ এতদিন যে টাকা তাঁরা নিয়েছেন, সেটাও ফেরত দিতে হবে তাঁদের। ধাপে ধাপে সেই টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি সিবিআই (CBI) তাঁদের জেরাও করবে। প্রয়োজনে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবে সিবিআই। শুক্রবার এসএসসিকে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, অবিলম্বে ১ হাজার ৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মীর সুপারিশপত্র প্রত্যাহার করতে হবে। বিচারপতি বলেন, আমার বিশ্বাস বেআইনিভাবে দুর্নীতি করে এই সব প্রার্থীদের সুপারিশ দেওয়া হয়েছিল। এদিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশের সঙ্গে সঙ্গেই ওয়েব সাইটে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ওই কর্মীদের সুপারিশ প্রত্যাহার করে নিল এসএসসি। এবার মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে ওই প্রার্থীদের আইন মেনে অবিলম্বে চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

    এসএসসি…

    কলকাতা হাইকোর্টে বৃহস্পতিবারই এসএসসির (SSC Scam) আইনজীবী দাবি করেছিলেন, গ্রুপ ডি নিয়োগের ক্ষেত্রে ২ হাজার ৮১৯ জনের ওএমআর শিটে কারচুপি করা হয়েছে। তিনি এও জানিয়েছিলেন, তাঁদের তরফে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে কারচুপি যে হয়েছে, সে বিষয়ে সন্দেহ নেই। ওই ২ হাজার ৮১৯ জনের মধ্যে নিয়োগপত্র পেয়েছিলেন ১ হাজার ৯১১ জন। শুক্রবার তাঁদেরই চাকরি বাতিলের সুপারিশ করল আদালত। এসএসসির আইনজীবীকে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, আপনারাই যখন বলছেন ২ হাজার ৮১৯ জনের ওএমআর শিটে কারচুপির বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই, তা হলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ আপনাদেরই করতে হবে।

    আরও পড়ুুন: ‘ইডি একেবারে মমতার পরিবারের কাছে পৌঁছে গিয়েছে’, সুকান্ত কেন বললেন জানেন?

    প্রথমে আলাদাভাবে এই প্রার্থীদের নাম কমিশনের সাইটে আবারও প্রকাশ করুন। তার পর তাঁদের নিয়োগ বাতিল করুন। এজন্য কমিশনকে ২৪ ঘণ্টা সময় দিয়েছিলেন বিচারপতি। দেশের কোনও সরকারি চাকরিতে এঁরা বসতে পারবেন না বলেও জানায় আদালত। আদালত এও জানায়, এঁদের সরকারি চাকরির পরীক্ষায় বসতে হলে তাঁদের আদালতের অনুমতি নিতে হবে। নিজেদের প্রমাণ করতে হবে নির্দোষ। ২০২১ সালে এসএসসি (SSC Scam) গ্রুপ ডি-রই ৬০৭ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁদের বেতন বন্ধের নির্দেশও দিয়েছিল আদালত।   

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • SSC Scam: এসএসসি গ্রুপ ‘ডি’ মামলায় ফের ২৮১৯ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ হাইকোর্টের

    SSC Scam: এসএসসি গ্রুপ ‘ডি’ মামলায় ফের ২৮১৯ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এবারে এসএসসির গ্রুপ ডির কর্মী নিয়োগের মামলায় চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিল আদালত। গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অবৈধভাবে চাকরি পাওয়া ২৮১৯ জনকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার এই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে ওএমআর শিটে কারচুপির অভিযোগ নিয়ে নিশ্চিত হওয়ার কথা জানায় কমিশন। এরপরেই নির্দেশে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, শুক্রবারের মধ্যে এদের নাম, বাবার নাম ও বাড়ির ঠিকানাসহ তালিকা প্রকাশ করতে হবে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে।

    ওএমআর শিটে কারচুপি!

    এসএসসি গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কমিশন আদালতকে জানায় ৬,৮৯৯ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে ২৮১৯ জনেরই নিয়োগে গরমিল রয়েছে। গ্রুপ ডি কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে ওএমআর উত্তরপত্রে কারচুপির অভিযোগ ছিল। তাতে কমিশনের তরফে আইনজীবী আজ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে জানান, ২৮১৯ জনের ওএমআর শিটে কারচুপি হয়েছিল, সে বিষয়ে নিশ্চিত কমিশন।

    আরও পড়ুন: কোভিডকালে নির্মাণ-শিল্পে উল্কাবেগে উত্থান শিকারিয়ার! কীভাবে সম্ভব? খোঁজ করছে ইডি

    বিচারপতির প্রশ্নের মুখে কমিশন

    ওএমআর শিটে কারচুপি হয়েছে জেনেও কেন কমিশন পদক্ষেপ নেয়নি, সেই নিয়ে প্রশ্ন করেছেন বিচারপতি গাঙ্গুলি। তিনি বলেন, “আপনারাই যখন বলছেন ২৮১৯ জনের ওএমআর শিট কারচুপির বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই, তা হলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ আপনাদের করতে হবে। আলাদাভাবে এই প্রার্থীদের নাম কমিশনের সাইটে আবারও প্রকাশ করুন। তারপর তাঁদের নিয়োগ বাতিল ঘোষণা করুন।” অযোগ্যদের নাম, বাবার নাম ও ঠিকানাসহ তালিকা ওয়েবসাইটে আপলোড করে ও চাকবি বাতিল করার সম্পূর্ণ প্রক্রিয়ার জন্য বিচারপতি এবারে ২৪ ঘণ্টাও বেঁধে দিলেন। আগামীকালের মধ্যেই তাঁদের বরখাস্ত করতে হবে বলে জানা গিয়েছে।

    বিচারপতি আরও বলেছেন, শুক্রবার আদালতে কমিশন হলফনামা জমা দেওয়ার ৫ মিনিটের মধ্যে ২৮১৯ জনের নাম আপলোড করার এবং সুপারিশপত্র প্রত্যাহার করার নির্দেশ দেওয়া হবে। তার ৫ মিনিটের মধ্যে তাঁদের নিয়োগপত্র প্রত্যাহার করবে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। ফলে বিচারপতির এমন নির্দেশে গ্রুপ ডির যোগ্য প্রার্থীরা ফের আশার আলো দেখছেন। এর পর এটাই দেখার যে পরবর্তীতে এই মামলায় আর কী কী তথ্য বেরিয়ে আসে।  

  • SSC Scam: দুর্নীতির কথা কবুল এসএসসির! বাতিল হতে চলেছে ৮০০ শিক্ষকের চাকরি

    SSC Scam: দুর্নীতির কথা কবুল এসএসসির! বাতিল হতে চলেছে ৮০০ শিক্ষকের চাকরি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষমেশ দুর্নীতির কথা কবুল করে নিল স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC Scam)। সব মিলিয়ে আপাতত ৮০০র কিছু বেশি ‘শিক্ষকে’র (Teacher) চাকরি বাতিল হতে চলেছে। এঁদের মধ্যে অনেকেই শিক্ষক হিসেবে ইতিমধ্যেই চাকরি করছেন। অনেকে নিয়োগপত্র পেয়েছেন। অনেকে আবার পেয়েছেন সুপারিশ পত্র। এঁরা সবাই ২০১৬ সালে নবম-দশমে শিক্ষক হিসেবে হয় নিযুক্ত হয়েছেন, নয় নিয়োগপত্র পেয়েছেন। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে সার্ভার এবং ওএমআর শিটের মধ্যে বিস্তর ফারাক দেখা গিয়েছে। তাই বাতিল হচ্ছে এঁদের চাকরি। এদিকে, কয়েকজনের নম্বর বেড়েছে ৫৩ পর্যন্ত। যার অর্থ এই বঞ্চিতদের বাদ দিয়েই চাকরি দেওয়া হয়েছিল অযোগ্যদের। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, অবৈধভাবে নিয়োগ হওয়া কিংবা নিয়োগপত্র পাওয়া শিক্ষকদের চাকরি বাতিল হবে পর্যায়ক্রমে। আগামী সপ্তাহেই এ ব্যাপারে নোটিশ জারি হবে বলে কমিশন সূত্রে খবর।

    এসএসসি…

    ২০১৬ সালে এসএসসির (SSC Scam) নবম দশম শ্রেণির নিয়োগ তালিকায় ছিল মোট ৯৫২ জনের নাম। তাতে সুযোগ পাওয়া অনেকের সার্ভার এবং ওএমআর শিটে প্রাপ্ত নম্বরের বিস্তর ফারাক। কারও কারও নম্বরের পার্থক্য ৫৩। সেই তালিকা দেখে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু প্রশ্ন করেছিলেন, কী ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবছে এসএসসি?

    এসএসসির চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার বলেন, আমাদের বিধিতে আছে ১৭ নম্বর ধারা প্রয়োগ করে সুপারিশপত্র বাতিল করা যায়। ৮ ফেব্রুয়ারি এই মর্মে আদালতে হলফনামা জমা দিই। তা শুরু করতে রাজি। তিনি বলেন, ৮০০-র সামান্য বেশি সংখ্যা আমরা পেয়েছি, যাদের সুপারিশপত্র বাতিল করতে পারি। আগামী সপ্তাহ থেকে নোটিশ দিয়ে কাজ শুরু করব।

    আরও পড়ুুন: কয়লাকাণ্ডে উঠে আসছে হরিশ মুখার্জি রোডের একটি রেস্তোরাঁর নাম! মালিক কে? তদন্তে ইডি

    অতি সম্প্রতি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে চাকরি (SSC Scam) গিয়েছিল মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর কন্যা অঙ্কিতা অধিকারীর। তার পরেও চাকরি খুইয়েছেন একাধিক শিক্ষক। তবে এক লপ্তে ৮০০ জনেরও বেশি শিক্ষকের চাকরি চলে যাচ্ছে, এ ঘটনা নেই বললেই চলে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
  • Manik Bhattacharya: মিলল না জামিন, মানিকের আরও ৩৫ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ আদালতের

    Manik Bhattacharya: মিলল না জামিন, মানিকের আরও ৩৫ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের জামিনের আবেদন খারিজ। আরও ৩৫ দিন জেলে থাকার নির্দেশ দিল ব্যাঙ্কশাল আদালত। জানিয়ে দেওয়া হয় যে, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকে আগামী ১৪ মার্চ পর্যন্ত জেল হেফাজতেই থাকতে হবে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত মানিককে অন্যান্য অভিযুক্তদের সঙ্গে রাখা হয়েছে প্রেসিডেন্সি জেলে। এদিন তিনি তাঁর জামিনের জন্য ফের আবেদন করেছিলেন, কিন্তু কোনও কিছুই কাজে দিল না। শেষপর্যন্ত আদালত তাঁর আবেদন খারিজ করে দেয়। ১৪ মার্চের পরেই মানিক মামলার আবার শুনানি হবে আদালতে।

    জেলে বন্দি থাকায় আপত্তি মানিকের

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মানিক ভট্টাচার্য জেলবন্দি। ফলে তাঁকে জেলে আটকে রাখা নিয়ে আজ আদালতে আপত্তি করেছেন তিনি। তিনি গতকালও বলেছিলেন, “আমি আর কত জ্বলব? আমার সামাজিক সম্মান নষ্ট হচ্ছে। আমার বিরুদ্ধে এমন অনেক অভিযোগ আনা হচ্ছে যার প্রমাণ আমি বাড়িতে থাকলে দিতে পারতাম। কিন্তু আমি তো বন্দি!” প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার মানিক ভট্টাচার্যকে আদালতে পেশ করা হয়েছিল। তাঁর জামিনের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন আইনজীবী সঞ্জয় দাশগুপ্ত। ইডির আইনজীবী গতকাল সওয়াল করেননি। তবে আজ, বুধবার বেলা ১১টার সময়ে ব্যাঙ্কশালের বিশেষ ইডি আদালতে ফিরোজ এডুলজি মানিকের জামিনের বিরোধিতা করে সওয়াল করেন। বুধবারও ব্যাঙ্কশাল আদালতে মানিকের মামলার শুনানি ছিল। সেখানেই তাঁর হয়ে আদালতে জামিনের আবেদন করেছিলেন তাঁর আইনজীবী। তবে তা শোনেনি আদালত।

    আরও পড়ুন: ওএমআর শিটে ‘গুপ্ত সঙ্কেত’-এর মাধ্যমে চলত দুর্নীতি! মানিক-কুন্তলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক ইডি

    ইডির বিস্ফোরক দাবি

    অন্যদিকে আজ ইডির আইনজীবী আদালতে কুন্তল ও মানিকের বিরুদ্ধে একের পর এক চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন। ইডির আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি আদালতে জানান, পরীক্ষার ওএমআর শিট বা উত্তরপত্র ব্যবহার করে বিশেষ ‘গুপ্ত সঙ্কেত’ পাঠানো হত দুর্নীতির জন্য। এর সঙ্গে হুগলির তৃণমূল যুবনেতা কুন্তল ঘোষও যুক্ত ছিলেন। তবে, এসব সমস্ত কিছুই মানিকের নজরদারিতেই হত। ফলে এই সব দাবি করে ইডির আইনজীবী মানিকের জামিনের বিরোধিতা করেন। আর আদালতও আজ দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার পর মানিকের আবেদন খারিজ করে দেয় ও আর ৩৫ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Recruitment Scam: ওএমআর শিটে ‘গুপ্ত সঙ্কেত’-এর মাধ্যমে চলত দুর্নীতি! মানিক-কুন্তলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক ইডি

    Recruitment Scam: ওএমআর শিটে ‘গুপ্ত সঙ্কেত’-এর মাধ্যমে চলত দুর্নীতি! মানিক-কুন্তলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের নজরদারিতেই নিয়োগ পরীক্ষার উত্তরপত্র বা ওএমআর শিটে ‘গুপ্ত সঙ্কেত’ ব্যবহার করে চলত দুর্নীতি। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মানিক ভট্টাচার্যের জামিনের বিরোধিতা করতে গিয়ে ব্যাঙ্কশাল কোর্টে নগর দায়রা আদালতে বিস্ফোরক অভিযোগ করল ইডি।  বুধবার, ব্যাঙ্কশাল কোর্টে ইডি-র বিশেষ আদালতে তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী দাবি করেন, এই কাজে মানিককে পুরো সাহায্য করতেন হুগলির তৃণমূল যুবনেতা কুন্তল ঘোষ।

    OMR শিটে সাঙ্কেতিক প্রশ্ন

    ইডির দাবি অনুযায়ী, দুর্নীতি এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে, OMR শিটেও সাঙ্কেতিক প্রশ্ন ব্যবহার করা হয়েছিল। অর্থাৎ যারা টাকা দিয়েছে, তা বোঝা যেত উত্তরপত্র দেখেই। বিষয়টি কীরকম ? কোন দুটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে, তা নাকি আগেই জানিয়ে দেওয়া হত চাকরিপ্রার্থীদের। বাকি প্রশ্নের উত্তর দিতে নিষেধ করা হয়েছিল। এই দুটি নির্দিষ্ট প্রশ্নের উত্তর দেওয়া ও বাকি প্রশ্নের উত্তর না দেওয়া দেখেই বোঝা যেত, কোন কোন পরীক্ষার্থী টাকা দিয়েছেন।  নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার যুব তৃণমূল নেতা  কুন্তল ঘোষকে জেরা করে এই তথ্য মিলেছে বলে আদালতে দাবি করেছে ইডি। আদালতে ইডি-র আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি বলেন, একসময় গোটা দুনিয়া থেকে বাংলায় ছাত্রছাত্রীরা পড়তে আসত। এখন অযোগ্যদের হাতে এই প্রজন্মের শিক্ষার ভার তুলে দেওয়া হয়েছে।সেই কারণেই অন্যত্র পড়তে যাচ্ছে বাংলার পড়ুয়ারা।

    আরও পড়ুন: ১৫ ফেব্রুয়ারি শুরু হচ্ছে সিবিএসই পরীক্ষা, কবে পাওয়া যাবে অ্যাডমিট?

    টাকার পাহাড়

    কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, বেসরকারি বিএড কলেজ, ডিএলএড কলেজ ও শিক্ষক প্রশিক্ষণ সংস্থাকে অনুমোদন ও NOC পাইয়ে দিতে লক্ষ লক্ষ টাকা নিতেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও মানিক ভট্টাচার্য। তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রে টাকার অঙ্কটা ছিল ৬-৮ লক্ষ টাকা। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তৎকালীন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য ২-৫ লক্ষ টাকা নিতেন। ইডি-র দাবি, পার্থর ক্ষেত্রে তাঁর ঠিক করা কোনও লোকের হাতে নগদ টাকা তুলে দেওয়া হত। কেন্দ্রীয় এজেন্সির আরও দাবি, মানিকের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া একটি সিডি-র একটিমাত্র ফোল্ডারে প্রায় ৪ হাজার চাকরিপ্রার্থীর নাম মিলেছে। এদের মধ্যে আড়াই হাজারেরও বেশি চাকরি পেয়েছেন। অথচ জেরায় মানিক দাবি করেন, তিনি এসবের কিছুই জানেন না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • SSC Scam: গোপাল হন আরমান! এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডির হাতে নয়া তথ্য

    SSC Scam: গোপাল হন আরমান! এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডির হাতে নয়া তথ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাম ভাঁড়িয়ে ‘আরমান গঙ্গোপাধ‌্যায়’ হন গোপাল দলপতি। চিটফান্ড মামলায় নাম জড়িয়ে যাওয়ার পরই এই পরিচয় নেন তিনি। ইডির জেরায় গোপাল জানিয়েছে, আরমান গঙ্গোপাধ্যায় নাম বদলে তিনি নথিপত্র বানিয়েছিলেন। সেবি যখন সব বন্ধ করে দিয়েছিল তখন আমি নাম বদলাতে বাধ্য হয়েছিলাম। দাবি গোপালের। 

    আদালতে গিয়ে নাম বদল

    ইডি সূত্রে খবর,  ‘আরমান’ নামেই গোপাল তৈরি করেন যাবতীয় পরিচয়পত্র। সেই আধার কার্ড, প‌্যান কার্ড-সহ যাবতীয় পরিচয়পত্র এসেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ED) হাতে। ইডি জানিয়েছে, হুগলির (Hooghly) ধৃত যুবনেতা কুন্তল ঘোষের মুখে তাপস মণ্ডলের সঙ্গে সঙ্গে উঠে এসেছিল গোপাল দলপতির নামও। কুন্তলের দাবি ছিল, তিনি গোপালকে বিপুল পরিমাণ টাকা দিয়েছেন। যদিও গোপাল ইডির কাছে তা অস্বীকার করেন। জেরার সময় ইডি আধিকারিকরা তাঁর পরিচয়পত্র দেখতে চান। সেখান থেকেই তাঁর আরমান পরিচয় সামনে আসে। সেবি (SEBI)তাঁর যাবতীয় অ‌্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিলে  আদালতে গিয়ে এফিডেফিট করে ‘আরমান গঙ্গোপাধ‌্যায়’ নাম নেন। 

    আরও পড়ুুন: ফের বাংলাদেশে আক্রান্ত সংখ্যালঘু হিন্দুরা, ১৪টি মন্দিরে ভাঙচুর, কী বলছে প্রশাসন?

    নাম ভাঁড়িয়ে কালো টাকা সাদা!

    ইডি আধিকারিকদের মতে, নাম ভাঁড়িয়ে একাধিক সংস্থা খুলে নিয়োগ দুর্নীতির কালো টাকা সাদা করতে সাহায‌্য করেন তিনি। গোপাল দলপতি বলেন, “পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত যোগাযোগ নেই। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী হিসাবে চিনতাম। কোনও টাকা আমি পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দিইনি। কুন্তল প্রসঙ্গে বলেন, আমার সঙ্গে তার বন্ধুত্ব হয়েছিল। যখন অভাব পড়েছে কখনও ৭০ হাজার, কখনও ৩০ হাজার কখনও ১ লাখ টাকা দিয়েছে। অ্য়াকাউন্টে ট্রান্সফার করেছিল…হাত খরচার জন্য…সেই সময় তাপসদার কাজ দেখভাল করতাম। বলত প্রেসার দাও, ফান্ড যাতে তাড়াতাড়ি দেয়, সেকারণেই হয়তো টাকা দিত।” ইডির কাছে গোপালের দাবি, তাঁর সামনেই ৯৪ লক্ষ টাকার লেনদেন হয়েছিল। আবার কুন্তলও তাঁকে টাকা দেওয়ার জন‌্য চাপ দিতেন। গোপাল বলেন, “আমি কুন্তলের কাছে কয়েকবার বলতে শুনেছি কাকু কাকু। কাকুর কাছে পেমেন্ট দিতে হবে। কাকু কে জানতাম না। কালীঘাটের কাকুর কাছে যেতে হবে বলত। কাকু আদৌ কে, তা জানি না।” 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share