Tag: ssc scam

ssc scam

  • SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জামিন খারিজ তাপস-কুন্তলের! ‘কালীঘাটের কাকু’-কে নিয়ে বাড়ছে ধোঁয়াশা

    SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জামিন খারিজ তাপস-কুন্তলের! ‘কালীঘাটের কাকু’-কে নিয়ে বাড়ছে ধোঁয়াশা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই হেফাজত শেষে তিন অভিযুক্ত তাপস মণ্ডল, কুন্তল ঘোষ এবং নীলাদ্রি ঘোষকে বৃহস্পতিবার আলিপুর আদালতে পেশ করা হল। এদিনও আদালতে তাঁদের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন বিচারক। তাঁদের ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয় আদালত।

    উত্তরবঙ্গের প্রভাবশালী নেতার যোগ

    প্রসঙ্গত, এতদিন সিবিআই হেফাজতে ছিলেন তিন মূর্তি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, নিজাম প্যালেসের ১৪ তলায় একাধিকবার তিন জনকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হয়েছে। তাঁদের দফায় দফায় জিজ্ঞাসা করে উঠে এসেছে একাধিক তথ্য। সূত্রের খবর, ধৃত কুন্তল ঘোষ, নীলাদ্রি ঘোষ ও তাপস মণ্ডলকে জেরা করতে গিয়ে এবার নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে উত্তরবঙ্গের এক প্রভাবশালী নেতার নাম উঠে এসেছে বলে দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। বেআইনিভাবে টাকা দিয়ে চাকরি পাওয়ার চক্রে যুক্ত ছিলেন প্রভাবশালী ওই নেতা। তবে তাঁর পরিচয় এখনও খোলসা করে জানা যায়নি। এছাড়াও একাধিক ব্যাক্তির নাম উঠে এসেছে, যাঁরা গোপাল দলপতি, তাপস মণ্ডল এবং এই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে চাকরির সুরাপিশ পাঠাত। একই সঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ‘কালীঘাটের কাকু’র ভূমিকাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। আদৌ কী ওই ব্যক্তি জড়িত না শুধুই বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চলছে তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 

    আরও পড়ুন: ০২২ টেটের ৭ প্রশ্নে ভুল, মামলা দায়ের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে  

    সিবিআই -এর দাবি,  নিয়োগ দুর্নীতিতে সিন্ডিকেটের মূলে ছিলেন গোপাল দলপতি, তাপস মণ্ডল, কুন্তল ঘোষ, নীলাদ্রি ঘোষ – এই চারজন। এদের সঙ্গে আর কে বা কারা জড়িত ছিলেন সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷। এদিন আদালতে ঢোকার মুখে ফের একবার কুন্তল নিশানা করেন গোপাল দলপতিকে। তিনি বলেন, টাকা পয়সার পুরো লেনদেনের বিষয়টি জানেন গোপাল। উনিই যা করার করেছেন। কালীঘাটের কাকু প্রসঙ্গে কুন্তল বলেছেন, সুজয় ভদ্র কালীঘাটের কাকু নন। অথচ গত দু’দিন ধরে তাপস মণ্ডলের বলা এই নাম নিয়েই তোলপাড় চলেছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Partha Chatterjee: জেলের ভিতরেই পার্থকে তাড়া জঙ্গি মুসার! পড়ে গিয়ে পেলেন চোট, কেমন আছেন প্রাক্তন মন্ত্রী?

    Partha Chatterjee: জেলের ভিতরেই পার্থকে তাড়া জঙ্গি মুসার! পড়ে গিয়ে পেলেন চোট, কেমন আছেন প্রাক্তন মন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে ঘটল এক কেলেঙ্কারি কাণ্ড! জেলের ভিতরে পড়ে গিয়ে চোট পেলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। প্রেসিডেন্সি জেল কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর, ঠোঁটে চোট পেয়েছেন পার্থ। এর পর আজ, বুধবার এসএসকেম হাসপাতালের ডাক্তারদের একটি টিম দেখেও আসেন তাঁকে। ফলে জানা গিয়েছেস তাঁর শরীর ঠিকঠাকই আছে এখন। তবে কীভাবে পড়ে গেলেন, এই নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। জানা গিয়েছে, জেলের মধ্যেই তাড়া খেয়েছেন জঙ্গি মুসার। সেই তাড়া খেয়ে জেলের ভিতরেই পড়ে গেলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কারারক্ষীদের সামনেই এমন ঘটনা ঘটায় অবাক সকলেই।

    আরও পড়ুন: কমেছে মাধ্যমিকের পরীক্ষার্থী, সিলেবাসে বদল আনার পরামর্শ বিচারপতি বসুর

    ঠিক কী ঘটেছে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে?

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় প্রেসিডেন্সি জেলে রয়েছেন পার্থ। ওই একই জেলে রয়েছেন বিচারাধীন বন্দি, কুখ্যাত জঙ্গি মুসা। সেই মুসার তাড়া খেয়েই নাকি জেলের ভিতরে পড়ে যান পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, বন্দিদের লক আপে ঢোকানো হচ্ছিল। সে সময়ে বারবার পার্থকে অনুরোধ করা হয়, ভিতরে ঢুকতে। কিন্তু পার্থ নাকি ঢুকতে বিলম্ব করছিলেন। তখনই আচমকা জঙ্গি মুসা পার্থর দিকে তেড়ে গিয়ে মগ ছুড়ে দেন। তখন ভারী শরীর নিয়ে তড়িঘড়ি যেতে গিয়ে পড়ে যান পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ঠোঁটে চোট পান। তখন সবাই তাঁকে ধরে তোলেন। বড় বিপদ না ঘটলেও ঠোঁটে আঘাত পেয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। এর পর এসএসকেএম থেকে একটি টিম এসে দেখে যান তাঁকে। তাঁর স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাঁর শারীরিক অবস্থা ঠিকঠাকই আছে। জেল কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর, এই ঘটনার পরে মুসাকে অন্য জায়গায় সরিয়ে দিয়েছেন জেল কর্তৃপক্ষ।

    উল্লেখ্য, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রেসিডেন্সি জেলের পয়লা বাইশ ওয়ার্ডের ২ নম্বর সেলে। আর মুসা থাকে ৭ নম্বর ওয়ার্ডে। আর এই দুজনকে নিয়েই ঘটে নাটকীয় কাণ্ড।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • SSC Scam: ‘‘নিজেকে শুদ্ধ করার জন্য যেভাবে কাজ করা দরকার সেটা করুন’’! কমিশনকে বিচারপতি

    SSC Scam: ‘‘নিজেকে শুদ্ধ করার জন্য যেভাবে কাজ করা দরকার সেটা করুন’’! কমিশনকে বিচারপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একবার যে দস্যু রত্নাকর থেকে বাল্মীকি হবে সে আর রত্নাকরের রূপে ফেরত যাবে না, অভিমত হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর। ‘দস্যু রত্নাকর, বাল্মীকি হয়েছেন, কিন্তু বাল্মীকি যদি রত্নাকর হয় তাহলে? আদালতে মন্তব্য নবম-দশমের ৯৫২ জন শিক্ষকের একাংশের। এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতেই এই অভিমত জানান বিচারপতি বসু।

    নবম-দশমের নিয়োগ মামলায় ৯৫২ জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে ওএমআর শিট বা উত্তরপত্রে কারচুপি করে বেআইনি ভাবে চাকরি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। সেই মামলারই শুনানি চলছিল বিচারপতি বসুর একক বেঞ্চে। বিচারপতি এর আগে এসএসসিকে নিজেদের ক্ষমতা প্রয়োগ করে এঁদের মধ্যে ৮০৫ জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করতে বলেছিলেন। এসএসসি সেই নির্দেশ পালন করার প্রক্রিয়া শুরুও করেছিল। কিন্তু তার আগেই অভিযুক্ত চাকরিপ্রার্থীরা বিচারপতি বসুর নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে যান। তবে ডিভিশন বেঞ্চ মামলায় স্থগিতাদেশ দেয়নি। নবম-দশমের নিয়োগ মামলায় বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি শেষ হলেও এখনও রায় ঘোষণা হয়নি। 

    বিচারপতি যা বললেন

    বুধবার এসএসসির আইনজীবীর উদ্দেশে বিচারপতি বসু বলেন, ‘‘মনে রাখবেন, এসএসসি যে পরিজনদের ত্যাগ করেছেন, তাঁরা এখন জেলে। তারা এখন সিবিআই – ইডির হেফাজতে রয়েছে। ’’ এসএসসির পাশাপাশি, অভিযুক্ত শিক্ষকদের নিয়েও মন্তব্য করেন বিচারপতি। ৯৫২ জন শিক্ষকদের একাংশের উদ্দেশে বিচারপতি বলেন, ‘‘এই দুর্নীতিতে আপনাদের কী ভূমিকা সেটা দেখুন। অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে, তারা দুজনেই সমান অপরাধী।’’  কমিশনকে উদ্দেশ করে বিচারপতি বসু আরও বলেন,  ‘আপনি এখন বাল্মীকি, নিজেকে শুদ্ধ করার জন্য যেভাবে কাজ করার দরকার সেটা করুন।’  বুধবার এই মামলার শুনানি আগামী ১ মার্চ পর্যন্ত পিছিয়ে দেন বিচারপতি বসু।

    আরও পড়ুন: অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট কীভাবে নিতে হয় জানতেন না টেট পরীক্ষকরাই! মন্তব্যে ‘বিস্মিত’ বিচারপতি

    অন্যদিকে বিকৃত ৯৫২ ওএমআর শিটে নাম বেরোয় সোনারপুর পৌরসভার একজন কাউন্সিলরের। তিনি নিজের সম্মানহানি হয়েছে এই অভিযোগ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন। শুনানির জন্য উঠেছে তার মামলাটিও।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • SSC Scam: ‘‘অপেক্ষা করুন, কাকুর ভাইপো, তাঁর পিসির নামও চলে আসবে’’! নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে কটাক্ষ সুকান্তর

    SSC Scam: ‘‘অপেক্ষা করুন, কাকুর ভাইপো, তাঁর পিসির নামও চলে আসবে’’! নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে কটাক্ষ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিতে ফের নতুন নাম উঠে আসতেই আবারও হবু হাজতবাসের তালিকায় কারা থাকতে চলেছেন তা জানিয়ে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। নাম না করেই সুকান্ত কটাক্ষ করে বলেছেন, ‘কালীঘাটে যখন ব্যাপারটা ঢুকে গেছে তখন খুব শিগগির এই কাকুর ভাইপো, সেই ভাইপোর পিসির নামও চলে আসবে। দাঁড়ান, অপেক্ষা করুন, আস্তে আস্তে সব হবে।’

    সুকান্তের তোপ

    কলকাতা আইসিসিআর-এ বিজেপির ২০২৪ লোকসভার বিস্তারকদের কার্যকরণী বৈঠক অনুষ্ঠিত হল মঙ্গলবার। সেখানে রাজ্য বিজেপির কোর কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক ও একাধিক বিধায়ক। ছিলেন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ও। এই বৈঠক শেষে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সাংবাদিক বৈঠক করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর সরকারকে একহাত নেন। শুধু নিয়োগ দুর্নীতি নয়, রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ প্রদান থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়ি ঘেরাও সংস্কৃতিকে তুলোধনা করেন সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, ‘বাড়ি ঘেরাও এই সংস্কৃতিকে আমরা বিশ্বাস করি না।’

    আরও পড়ুন: কে ‘কালীঘাটের কাকু’ তা খোলসা করলেন তাপস মণ্ডল, জানেন তাঁর বাড়ি কোথায়?

    কুন্তলের মুখে নয়া নাম

    এদিন যখন কালীঘাটের কাকুর নাম প্রথমবারের জন্য প্রকাশ্যে আনলেন তাপস মণ্ডল তখন কুন্তলের মুখে আবার শোনা গেল নতুন একটি নাম। নিজাম প্যালেসে ঢোকার সময়ে কুন্তল এদিন বিভাস অধিকারী বলে একজনের নাম বলেন। কে এই বিভাস অধিকারী? হাঁটতে হাঁটতে বলেন, ‘উনিও তাপস মণ্ডলের মতো একজন!’ বলেই লিফটে উঠে পড়েন।

    শুভেন্দুর কটাক্ষ

    সম্প্রতি, বালিগঞ্জে প্রায় দেড় কোটি টাকা উদ্ধারের ঘটনায় ব্যবসায়ী মনজিৎ সিং গ্রেওয়ালের তৃণমূল-যোগ নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। তাঁর মতে, ‘কালীঘাটের কাকু, পিসি, ভাইপো, কাকিমা, বউমা, শ্যালিকা – সবাই একই ধাঁধার অংশ। পৃথকভাবে কেউ দোষী নন, অথচ সবাই একসূত্রে গাঁথা। কয়লা যতই ধোয়া হোক, তা কালোই থাকবে। ঠিক তোমাদের ভবিষ্যতের মতো’।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • SSC Scam: কে ‘কালীঘাটের কাকু’ তা খোলসা করলেন তাপস মণ্ডল, জানেন তাঁর বাড়ি কোথায়?

    SSC Scam: কে ‘কালীঘাটের কাকু’ তা খোলসা করলেন তাপস মণ্ডল, জানেন তাঁর বাড়ি কোথায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বার বার শোনা গিয়েছে তাঁর নাম। কিন্তু প্রকাশ্যে আসেনি তাঁর পরিচয়। এবার কালীঘাটের কাকুর নাম ফাঁস করে দিলেন নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত তাপস মণ্ডল। তাপসের দাবি, কালীঘাটের কাকুর নাম সুজয় ভদ্র। মঙ্গলবার স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর গাড়িতে ওঠার সময়ই তাপসকে প্রশ্ন করা হয় কালীঘাটের কাকু কে? হেসে তাপস  উত্তর দেন, ‘সেটা কুন্তল বলবে’। আপনি জানেন না? ‘নামটা জানি, নামটা বলেছে.. কী যেন সুজয় ভদ্র নাকি’। কে সুজয় ভদ্র? হাত নেড়ে তাপসের জবাব, ‘আমি চিনি না, চিনি না।’

     কে সুজয় ভদ্র

    এর আগেও তাপস মণ্ডল নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত অনেকের নাম সামনে এনেছেন। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্ত শুরু হয়েছিল হুগলির তৃণমূল যুবনেতা কুন্তল ঘোষের বিরুদ্ধে। কুন্তল ঘোষ গ্রেফতার হওয়ার পর বলেছিলেন, গোপাল দলপতি সব জানেন। সেই গোপালই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেছিলেন এই কাকুর কথা। কুন্তলের সঙ্গে নাকি যাঁর ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। সূত্রের খবর, দক্ষিণ কলকাতার কোনও এক প্রভাবশালী নেতার সঙ্গে যোগাযোগ ছিল সুজয়ের। তিনি মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করেছিলেন বলে জানা গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-১১): ১৮ বছর ধরে আটকে সিউড়ি-প্রান্তিক রেলপথ সম্প্রসারণের কাজ

    কালীঘাটের কাকুর বাড়ি 

    নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে নতুন নাম কালীঘাটের কাকু। সুজয় ভদ্র নামে যে ব্যক্তিকে কুন্তল ঘোষ কালীঘাটের কাকু বলে ডাকতেন, তিনি কিন্তু আদপে কালীঘাটের বাসিন্দা নন। সূত্রের খবর, এই সুজয় ভদ্র-র বাড়ি  বেহালায়। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা এখনও পর্যন্ত নিয়োগ দুর্নীতির সবচেয়ে বড় মাথা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ির কাছে। বেহালা পশ্চিম বিধানসভার ফকির পাড়ায় তাঁর বাড়ি। ১৭বি/১, রাধারাণি। এই হচ্ছে বাড়ির ঠিকানা। কালীঘাটের কাকু প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘কাকু, কাকুর ভাইপো, কাকীমা, মাসিমা, পিসিমা, ভাইপো সবার নামই এবার সামনে আসছে।’ 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • SSC Scam: কোটি কোটি টাকার লেনদেন! এবারে এসএসসির প্রাক্তন কর্মী শ্যামল কুমার সেনকে তলব সিবিআইয়ের

    SSC Scam: কোটি কোটি টাকার লেনদেন! এবারে এসএসসির প্রাক্তন কর্মী শ্যামল কুমার সেনকে তলব সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকালই বরানগরের অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ককর্মী শ্যামল সেনের বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। তাঁকেই এবারে চলতি সপ্তাহে নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে হাজিরা দিতে বলা হল। আনতে বলা হয়েছে বেশ কিছু নথি। সিবিআই সূত্রে খবর, তিনি এসএসসি-র প্রাক্তন আধিকারিক। সিবিআই আধিকারিকদের অভিযোগ, একটা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এসএসসির প্রাক্তন আধিকারিক শ্যামল সেনের সম্পত্তি ১০ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। আকস্মিকভাবে এই সম্পত্তি বৃদ্ধির ব্যাপারটি মোটেও ভালো চোখে দেখছেন না তদন্তকারী আধিকারিকরা। ফলে এবারে তাঁকে তলব করল সিবিআই।

    সিবিআই কী তথ্য পেল?

    সিবিআই সূত্রে খবর, গতকাল তাঁর বরানগরের বাড়িতে দীর্ঘক্ষণ ধরে তল্লাশি অভিযানের পর বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র এবং তথ্য প্রমাণ পেয়েছেন তদন্তকারীরা৷ যা থেকে স্পষ্ট ভাবে তাঁরা বুঝতে পারছেন যে, এই প্রাক্তন আধিকারিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার সঙ্গে জড়িত ও অনেক তথ্যও জানেন তিনি। অভিযোগ, হিসাব বহির্ভূত লেনদেনও হয়েছে, তার তথ্য-প্রমাণ ইতিমধ্যেই তাঁদের হাতে এসে পৌঁছেছে। তদন্তকারীরা মনে করছেন, কয়েক কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে।

    আরও পড়ুন: নবম-দশম নিয়োগ দুর্নীতিতে এবারে সিবিআই হানা বরানগরের অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ককর্মীর বাড়িতে

    কাদের সঙ্গে এবং কেনই বা এই কোটি কোটি টাকার লেনদেন করেছেন একজন সরকারি আধিকারিক? সেই বিষয়টি এখনও স্পষ্ট হয়নি তদন্তকারীদের কাছে। ফলে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পেতে চলতি সপ্তাহে শ্যামল সেনকে নিজাম প্যালেসে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান সিবিআই আধিকারিকরা।

    এসপি সিনহার কাজ করতেন শ্যামল সেন!

    তদন্তে উঠে এসেছে যে, নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় ধৃত এসএসসি-র প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তি সিনহার হয়ে একাধিক কাজ করতেন এই শ্যামল কুমার সেন। অভিযোগ, তাঁর নির্দেশে চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ ও টাকা তুলে পৌঁছে দেওয়ার কাজ করতেন শ্যামল। উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান এসপি সিনহার কাছ থেকে তার বদলে ‘কমিশন’ও পেতেন তিনি। ফলে এসএসসি-র এই প্রাক্তন আধিকারিক সরাসরি দুর্নীতি কাণ্ডে যুক্ত রয়েছেন। ফলে এই পরিস্থিতিতে শ্যামল সেনকে জেরা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। তিনি এই সপ্তাহে হাজিরা দেন কিনা, সিবিআইয়ের প্রশ্নের মুখোমুখি হন কিনা, এটাই এখন দেখার।

  • Recruitment Scam: “চন্দনকে গ্রেফতার করতে ন’মাস লাগল?”, নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআইকে তীব্র ভর্ৎসনা  বিচারকের

    Recruitment Scam: “চন্দনকে গ্রেফতার করতে ন’মাস লাগল?”, নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআইকে তীব্র ভর্ৎসনা বিচারকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের সিবিআইকে ভর্ৎসনা বিচারকের। নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছেন বাগদার ‘রঞ্জন’ চন্দন মণ্ডল। বাগদার রঞ্জন ওরফে চন্দন মণ্ডলকে মঙ্গলবার আলিপুর আদালতে তোলা হয়েছিল। শুনানি চলাকালীন সিবিআইয়ের তদন্তের গতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারক। চন্দন মণ্ডল যদি নিয়োগ দুর্নীতিতে ওতপ্রোত ভাবে যুক্ত, তা হলে কেন তাঁকে গ্রেফতার করতে ৯ মাস সময় লাগল? সিবিআই আইনজীবীকে প্রশ্ন আলিপুরের দেওয়ানি এবং দায়রা আদালতের বিচারক রানা দামের।

    সিবিআইের তরফে কী বলা হল?

    এদিন চন্দনের জামিনের বিরোধিতা করে সিবিআই। উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত অন্যতম দালাল চন্দন মণ্ডল চাকরি দেওয়ার নামে মোট ১৬ কোটি টাকা তুলেছিলেন। আদালতে আজ এমনই জানিয়েছে সিবিআই। তদন্তকারীদের দাবি, “বৃহত্তর ষড়যন্ত্রে চন্দনের ভূমিকা আছে। চন্দন অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের থেকে টাকা তুলে নিজের অ্যাকাউন্টে রাখতেন। সেখান থেকে টাকা তুলে বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে দিতেন। চন্দন কার থেকে টাকা নিয়েছেন, কাকে দিয়েছেন, সেগুলো এখনও জানা দরকার। তাই চন্দনের হেফাজত গুরুত্বপূর্ণ।” গ্রেফতারির আগে চন্দন অন্যদের প্রভাবিত করার চেষ্টা চালিয়েছিলেন বলেও দাবি করেন সিবিআইয়ের আইনজীবী।

    আরও পড়ুন: চাকরি বিক্রি করে ১৬ কোটি টাকা! চন্দনকে জেরা করে নয়া তথ্য সিবিআই-এর হাতে

    বিচারকের প্রশ্নের মুখে সিবিআই

    সিবিআইয়ের আইনজীবী জামিনের বিরোধিতা করলে বিচারক রাণা দাম প্রশ্ন করেন, “আপনারা চন্দন মণ্ডলকে হেফাজতে নিতে চান না, তাহলে জামিন দিলে কী সমস্যা? এখন কান্নাকাটি করছেন জামিন দেবেন না, তাহলে এতদিন ছেড়ে রেখেছিলেন কেন?” এর উত্তরে সিবিআইয়ের আইনজীবী দাবি করেন, এতদিন তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করছিলেন তাঁরা। ফের বিচারকের প্রশ্ন, “৪ মাস ধরে চন্দনকে বাইরে রেখেছিলেন। বলেছেন, ও তদন্তে সহযোগিতা করেছে। তখন জানতেন না যে, তথ্যপ্রমাণ নষ্ট করবেন? বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে। ৯ মাস সময় লাগল চন্দনকে দোষী প্রমাণ করতে?”

    বিচারপতির আরও প্রশ্ন, “হঠাৎ করে এমন কী হল যে চন্দন দোষী হয়ে গেল? এখন বলছেন উনি সহযোগিতা করছেন না। তাহলে এত প্রমাণ পেলেন কীভাবে? আপনারা যা বলছেন সেটা আপনাদের কথায় প্রকাশ পাচ্ছে না।” সিবিআইয়ের দাবি, “চন্দন অনেক কিছু চাপা দিতে চাইছেন। সম্পূর্ণটা বলছেন না। মিডলম্যানের কাছ থেকে ৫-১৫ কোটি টাকা পাওয়া যাচ্ছে।” ফের বিচারপতি বলেন, “চারটে নোটিস পাঠিয়েছেন। ওনাকে বাইরে থাকতে দিয়েছেন আপনারাই। হঠাৎ করে আপনাদের মনে হল একে জেলে পুড়তে হবে।”

    এছাড়াও সিবিআইয়ের আইনজীবীকে প্রশ্ন বিচারকের, চন্দন এত গুরুত্বপূর্ণ হলে কেন তাঁর জন্য শুধু জেল হেফাজত চাওয়া হচ্ছে? কেন পুলিশ হেফাজত চাওয়া হচ্ছে না? এর পাশাপাশি, চন্দন যে সব ধরনের প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়েছেন, তার উল্লেখও চার্জশিটে নেই বলে বিচারকের পর্যবেক্ষণ। ফলে এদিন চন্দন মণ্ডলের মামলায় সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তোলেন বিচারক।  এখন এটাই দেখার, চন্দন মণ্ডলের থেকে আর কোনও তথ্য সিবিআইয়ের হাতে উঠে আসে কিনা।

  • SSC Scam: চাকরি বিক্রি করে ১৬ কোটি টাকা! চন্দনকে জেরা করে নয়া তথ্য সিবিআই-এর হাতে

    SSC Scam: চাকরি বিক্রি করে ১৬ কোটি টাকা! চন্দনকে জেরা করে নয়া তথ্য সিবিআই-এর হাতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অযোগ্য চাকরি প্রার্থীদের চাকরি বিক্রি করে  ১৬ কোটি টাকা তুলেছিলেন বাগদার চন্দন মণ্ডল ওরফে রঞ্জন। নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে সিবিআইয়ের হাতে উঠে এল তারই বহু প্রমাণ। কীভাবে স্কুলের এক চতুর্থ শ্রেণির কর্মী থেকে চন্দন মণ্ডল কোটিপতি হয়ে ওঠেন, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। মাত্র কয়েক বছরের মধ্যেই টিনের চালের বাড়ি থেকে কীভাবে চন্দন তিনতলা বাড়ি করলেন, কীভাবেই বা বিলাসবহুল জীবনে অভ্যস্ত হয়ে গেলেন, তা নিয়ে চলছে তদন্ত। 

    কোটি কোটি টাকার লেনদেন

    নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম থাকা চন্দন প্রথম থেকেই সিবিআইয়ের আতশকাচের তলায় ছিলেন। সেই সময়েই চন্দনের লেনদেন খতিয়ে দেখে ৬ কোটি টাকার হদিশ পেয়েছিলেন তদন্তকারীরা। হেফাজতে পেয়ে চন্দনকে জেরা করে এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখে আরও ১০ কোটি টাকার হদিশ পেয়েছে সিবিআই। সিবিআই সূত্রে খবর, চাকরি বিক্রি শুধু নয়, চাকরি পেয়েছেন চন্দনের মেয়ে ও ভাইঝি। চন্দন চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন তাঁর নিকট আত্মীয়দের।  

    একশোর বেশি অযোগ্য প্রার্থীকে চাকরি

    মঙ্গলবার চন্দন এবং আর এক অভিযুক্ত সুব্রত সামন্ত রায়কে সিবিআই হেফাজত থেকে আদালতে তোলা হয়। সিবিআই সূত্রে খবর, একশোর বেশি অযোগ্য প্রার্থীকে টাকার বিনিময়ে চাকরি পাইয়ে দিয়েছিলেন চন্দন মণ্ডল। চন্দন মণ্ডলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে বিপুল লেনদেনের হদিশ পেয়েছে সিবিআই। উত্তর ২৪ পরগনা ছাড়াও দুই দিনাজপুরের অযোগ্য প্রার্থীদের চাকরির ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন তিনি। নিয়োগ দুর্নীতিতে ‘মিডলম্যান’ প্রসন্ন রায়ের কাছে সুপারিশ চাকরি প্রার্থীদের তালিকা পৌঁছে দিতেন চন্দন। ইতিমধ্যেই চন্দনের মাধ্যমে চাকরি পাওয়া ২২ জন প্রার্থীর চাকরি চলে গিয়েছে হাইকোর্টের নির্দেশে। 

    আরও পড়ুুন: ‘রাষ্ট্রপতি সম্পর্কে কুকথা বললে কান ধরে বের করে দিতাম’, বললেন সুকান্ত

    চন্দন মণ্ডল গ্রেফতারির পর থেকেই একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে সিবিআই-এর হাতে। এই চন্দন মণ্ডলই মোটামুটি একটা ‘রেট চার্ট’ তৈরি করতেন। কার সুপারিশের ভিত্তিতে কোন প্রার্থী কী চাকরি করতে চাইছেন, তার ভিত্তিতে নির্ধারিত হত টাকার অঙ্ক। প্রাইমারিতে ১২ থেকে ১৫ লক্ষতে রফা হতো, আপার প্রাইমারির ক্ষেত্রে তা ছিল ২০ থেকে ২৫ লক্ষ টাকা। অন্তত সিবিআই জেরায় তেমনটাই জানিয়েছেন চন্দন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • SSC Scam: টেটকাণ্ডে আজ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের জেরার মুখে ৪০ জন ইন্টারভিউয়ার! কেন জানেন?

    SSC Scam: টেটকাণ্ডে আজ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের জেরার মুখে ৪০ জন ইন্টারভিউয়ার! কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের (SSC Scam) পরীক্ষায় অ্যাপটিটিউড টেস্টে নিয়ম না মানার অভিযোগ করেছিলেন চাকরি প্রার্থীরা। সেই কারণে যাঁরা ইন্টারভিউ নিয়েছিলেন, তাঁদেরই জেরা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly)। মঙ্গলবার এমনই ৪০ জন ইন্টারভিউয়ারকে তলবও করেছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। রুদ্ধদ্বার জেরা করা হবে তাঁদের। এদিন মোট পাঁচটি জেলা থেকে ৪০ জনকে ডাকা হয়েছে।

    বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়…

    বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তিনি এই ইন্টারভিউয়ারদের মুখোমুখি হবেন এজলাসের বাইরে। জানা গিয়েছে, হাইকোর্টের সার্ধশতবার্ষিকী ভবনের কোনও একটি জায়গায় বসবে আদালত। সেখানেই ওই ইন্টারভিউয়ারদের প্রশ্ন করবেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। রুদ্ধদ্বারে হবে সেই প্রশ্নোত্তর পর্ব। সবরকম গোপনীয়তা বজায় রেখেই ওই ৪০ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহণ করবেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। যাঁদের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হচ্ছে তাঁরা এবং আইনজীবীরাই কেবল উপস্থিত থাকবেন প্রশ্নোত্তর পর্ব চলাকালীন। এই সময় বাইরের কেউ উপস্থিত থাকতে পারবেন না আদালতে।

    প্রাথমিকে (SSC Scam) অ্যাপটিটিউড টেস্টের জন্য নির্দিষ্ট নম্বর থাকে। চাকরি প্রার্থীদের অভিযোগ, সেখানে ইন্টারভিউ হয়েছে নিয়ম না মেনেই। কোথাও কোথাও বারান্দায় বসিয়ে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। কোথাও আবার পরীক্ষার্থীদের কোনও প্রশ্নই করা হয়নি। চাকরি প্রার্থীদের কয়েকজন আবার অভিযোগ করেছিলেন কেবল নাম জিজ্ঞাসা করেই ইন্টারভিউ শেষ করা হয়েছে। কাউকে আবার জিজ্ঞাসা করা হয়েছে কোথায় থাকেন।এসব অভিযোগ পাওয়ার পরেই ইন্টারভিউয়ারদের তলব করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

    আরও পড়ুুন: ‘রাষ্ট্রপতি সম্পর্কে কুকথা বললে কান ধরে বের করে দিতাম’, বললেন সুকান্ত

    এদিন যাঁদের তলব করা হয়েছে, তাঁরা ২০১৬ সালের ইন্টারভিউয়ার। পর্ষদের হলফনামা খতিয়ে দেখে কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়েছে, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোনও অ্যাপটিটিউড টেস্ট হয়নি। বসানো হয়েছিল গড় নম্বর। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় সেদিন শুনানিতে বলেছিলেন, অ্যাপটিটিউড টেস্ট নিয়ে যে হলফনামা দেওয়া হয়েছে তাতে বোঝা যাচ্ছে ২০১৬ সালের ইন্টারভিউতে ওই টেস্ট নেওয়া হয়নি। এ নিয়ে যে নথি ও সাক্ষ্য পর্ষদের তরফ থেকে এসেছে, তাতে স্পষ্ট ওই টেস্ট নেওয়া হয়নি। তিন চারটে প্রশ্ন করেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। অ্যাপটিটিউড টেস্ট নেওয়া হয়নি। এদিন যাঁদের ডেকে পাঠানো হয়েছে, তাঁরা হলেন হাওড়া, হুগলি, উত্তর দিনাজপুর, কোচবিহার ও মুর্শিদাবাদের ইন্টারভিউয়ার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Recruitment Scam: আদালতে তোলা হল তৃণমূল যুব নেতা শাহিদ ইমামকে, গোপন জবানবন্দি দেবেন ‘মহারাজ’?

    Recruitment Scam: আদালতে তোলা হল তৃণমূল যুব নেতা শাহিদ ইমামকে, গোপন জবানবন্দি দেবেন ‘মহারাজ’?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে গত শুক্রবার গ্রেফতার হয়েছেন আরামবাগের যুব তৃণমূল নেতা শাহিদ ইমাম ও তাঁর ভাই শেখ আলি। আজ, সোমবার হেফাজতের মেয়াদ শেষে সেই শাহিদ ইমামকে আদালতে পেশ করল সিবিআই। সিবিআই সূত্রে খবর, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এই প্রথমবার কেউ গোপন জবানবন্দি দিতে পারেন। ফলে এখন প্রশ্ন উঠছে, সিবিআইয়ের কাছে কি তিনি ফাঁস করে দেবেন প্রভাবশালীদের নাম? এবারে কি তবে দুর্নীতিচক্রের মূল পাণ্ডাদের হদিশ পাবেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা?

    গোপন জবানবন্দি দেবেন শাহিদ ইমাম!

    শুক্রবার শাহিদ-সহ অন্য অভিযুক্তদের সিবিআই হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। কিন্তু, শনিবারই ফের শাহিদ ইমামকে আদালতে তোলে সিবিআই। সিবিআই  জানায়, তাঁকে আর হেফাজতে রাখার প্রয়োজন নেই। তখন থেকেই প্রশ্ন উঠছে যে, তবে কি সাক্ষী হিসেবে শাহিদের গোপন জবানবন্দি নিতে চাইছে সিবিআই? কারণ, নিয়ম অনুযায়ী, কোনও সাক্ষীর গোপন জবানবন্দি নিতে গেলে তাঁকে অন্য অভিযুক্তদের থেকে আলাদা রাখতে হয়। তাই কি শাহিদকে আর হেফাজতে রাখতে চায়নি সিবিআই? এর পর আজ ইমামকে আদালতে তোলা হয়েছে।

    অন্যদিকে আদালতে সিবিআই জানিয়েছে, চাকরি বিক্রির নামে ৬ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা তুলেছেন এই তৃণমূল নেতা। সেই টাকা গেল কোথায় তা জানতে তদন্ত শুরু করেছেন গোয়েন্দারা। এরপরেই সিবিআই আদালতে জানিয়েছে শাহিদ ইমাম গোপন জবানবন্দি দিতে চান।

    ইমামের প্রাসাদ ঘিরে শুরু তুমুল চর্চা

    আরামবাগ মহকুমা সহ হুগলির বিস্তীর্ণ এলাকায় তিনি পরিচিত ‘মহারাজ’ নামেই। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মহারাজ যখন সিবিআই হেফাজতে, তখন তাঁর নির্মীয়মাণ প্রাসাদ ঘিরে শুরু হয়েছে চর্চা। আরামবাগ পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে তৈরি হয়েছে একটি প্রাসাদের মত বাড়ি। সেটির মালিক শাহিদ ইমামই। এই  ‘মহারাজ’-এর অট্টালিকার ছাদে বিশেষ কিছু তৈরি করার পরিকল্পনা হচ্ছিল। তাই ছাদের উপরে ছিল বিশেষ নকশা। জানা গিয়েছে, শাহিদ ইমামের নির্মীয়মাণ বাড়ির ছাদে হেলিকপ্টার তৈরির পরিকল্পনা ছিল। এমনকী বাড়ির ভিতরে রয়েছে ঘোরানো সিঁড়িও। ফলে তাঁর এই বিশাল অট্টালিকা দেখে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

    প্রসঙ্গত, মহারাজ আরামবাগ মহকুমায় দীর্ঘদিনের তৃণমূল নেতা। টিএমসিপি থেকে যুব তৃণমূলের নেতা হয়ে ক্রমশ তাঁর প্রতিপত্তি বেড়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের। অভিনয়, দানধ্যান, সিনেমায় টাকা ঢালা থেকে নানান দিকে নিজের বিস্তার ঘটিয়েছেন কয়েক বছরে। এরপরেই তিনি যে নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত রয়েছেন, এই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসায় সিবিআই হেফাজতে তিনি।

    উদ্বেগে শাহিদ-ঘনিষ্ঠ নেতাদের একাংশ

    নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআইয়ের হাতে ধরা পড়ার পর থেকেই চিন্তায় রয়েছেন অন্যান্য তৃণমূল নেতারাও। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্লক স্তরের এক তৃণমূল নেতা বলেন, “বিভিন্ন অনুষ্ঠানের জন্য শাহিদের কাছ থেকে কয়েকবার টাকা নিয়েছিলাম। সেই টাকার উৎস নিয়ে কখনও প্রশ্ন করিনি। সিবিআইয়ের তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে কোনও ধারণা নেই। সত্যি বলতে, বেশ ভয়েই আছি।” একই রকম উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন আরও কয়েকজন নেতা। বিভিন্ন সময়ে যাঁরা শাহিদের থেকে আর্থিক সাহায্য নিয়েছেন। আজ আদালতে পেশ করার পর কী তথ্য সামনে প্রকাশ্যে আসে তারই অপেক্ষায় রাজ্যবাসী। এছাড়াও ইমামের জবানবন্দিতে কোনও প্রভাবশালীদের নাম উঠে আসে নাকি সেটাও এখন দেখার।

LinkedIn
Share