Tag: ssc scam

ssc scam

  • SSC Scam: ‘‘এত ‘গোপন প্রেম’ কীসের? জেলে গিয়ে মানিককে জিজ্ঞাসাবাদ করুন’’, সিবিআইকে নির্দেশ আদালতের

    SSC Scam: ‘‘এত ‘গোপন প্রেম’ কীসের? জেলে গিয়ে মানিককে জিজ্ঞাসাবাদ করুন’’, সিবিআইকে নির্দেশ আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে এবার নতুন প্রশ্ন তুললেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। তাঁর প্রশ্ন,  ওএমআর শিট মূল্যায়নকারী সংস্থার প্রতি তৎকালীন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যর এত প্রেম কেন?’ অতিরিক্ত প্যানেলের বিষয়ে মানিক ভট্টাচার্যকে জেরার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ৭ দিনের মধ্যে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে এরমধ্যেই দু’টি বিষয় উঠে এসেছে। তা হল, ওএমআর শিটে জালিয়াতি এবং সার্ভারে তথ্য বদল। প্রাথমিকের ক্ষেত্রে ওএমআর শিটের বিকৃতিই বড় বিষয়। এবার এই নিয়ে সিবিআইকে জেলে গিয়ে  মানিককে জিজ্ঞাসাবাদ করার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

    সওয়াল-জবাব

    ২০১৬ সালের টেট দুর্নীতি মামলাতে বৃহস্পতিবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ডেকে পাঠিয়েছিলেন পর্ষদের তৎকালীন সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচীকে। তাঁর কাছে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় প্রশ্ন করেন, কেন ২০১৪ সালের টেটের ভিত্তিতে ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অতিরিক্ত প্যানেল প্রকাশিত হয়নি? নিয়োগ প্রক্রিয়ার পর শূন্যপদ থাকলে ফের প্যানেল তৈরি করা হয়। ২০১৪ সালে নিয়োগের পর শূন্যপদ থাকলেও কেন প্যানেল তৈরি করা হয়নি।  জবাবে রত্না বলেন, সেই সময়ে সচিব হিসেবে তাঁর কিছুই করার ছিল না। যা করতেন পর্ষদ সভাপতি করতেন। তখনই এস বসু রায়চৌধুরী অ্যান্ড কোম্পানির নাম আসে। রত্না বলেন, ওই সংস্থাকে ওএমআর শিট সংক্রান্ত কাজের জন্য লাগানো হয়েছিল। তাদের সঙ্গে কেবল পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যই সমন্বয় রাখতেন। অন্য কেউ নয়। 

    আরও পড়ুন: ‘‘সিবিআইয়ের জন্য খারাপ সময় আসছে’’! তাদেরই অফিসারকে জেরার নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    হাই কোর্ট এর পরেই রত্নার কাছে জানতে চায়, ওই কোম্পানি কবে থেকে পর্ষদের সঙ্গে যুক্ত। জবাবে রত্না বলেন, ‘‘২০১২ সালের পর থেকে।’’ তিনি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সঙ্গে যুক্ত হন ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে। রত্না যোগ দেওয়ার পরেই ওই সংস্থার সঙ্গে লেনদেন শুরু হয় পর্ষদের। এ প্রসঙ্গে হাই কোর্টের প্রশ্ন, ‘‘ওই কোম্পানিকে নিয়োগের জন্য কোনও বোর্ড মিটিং হয়েছিল?’’ জবাবে রত্না জানিয়েছেন, তাঁর এখন মনে নেই। এ-ও বলেন, ‘‘সেই সময় ওই সংস্থার সঙ্গে একমাত্র সভাপতি যোগাযোগ রাখতেন। আর কেউ রাখতেন না। আমি বা ডেপুটি সেক্রেটারি কেউই নয়। যতটা আমি জানি।’’ এরপরেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় সিবিআইয়ের আইনজীবীর উদ্দেশে বলেন, ‘এই এস বসু রায়চৌধুরী অ্যান্ড কোম্পানির সঙ্গে মানিক ভট্টাচার্যের এত প্রেম কীসের? আপনারা জেলে গিয়ে মানিককে জিজ্ঞাসা করুন। খুঁজে দেখুন, এদের নিয়োগের আগে টেন্ডার ডাকা হয়েছিল কিনা!’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • SSC Scam: ফের খারিজ পার্থর জামিনের আবেদন, ১৬ তারিখ পর্যন্ত থাকবেন জেলেই

    SSC Scam: ফের খারিজ পার্থর জামিনের আবেদন, ১৬ তারিখ পর্যন্ত থাকবেন জেলেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের খারিজ হয়ে গেল রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) জামিনের আবেদন। বৃহস্পতিবার আলিপুর আদালতের নির্দেশে পার্থকে আরও ১৪ দিন কাটাতে হবে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে। কেবল পার্থ নন, তাঁর মতো নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত (SSC Scam) সিবিআইয়ের মামলায় অন্য অভিযুক্তদেরও ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেলেই থাকতে হবে। এদিন পার্থের আইনজীবী আদালতে বলেন, জামিন দিয়ে দেখুন, উনি নিয়ম ভাঙলে না হয় আবার ব্যবস্থা নেবেন।

    বন্দি পার্থ…

    বর্তমানে প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি রয়েছেন পার্থ। এর আগে একাধিকবার জামিনের আবেদন করেছেন তিনি। প্রতিবারই কোনও না কোনও যুক্তি দেখিয়ে হেফাজতে রাখার আবেদন করেছে সিবিআই। এদিনও পার্থর জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করে সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, পার্থর বিরুদ্ধে প্রত্যেক বারই নতুন সূত্র পাওয়া যাচ্ছে। সেই সূত্রের বিষয়ে তদন্ত করে অভিযুক্তদের সম্পর্কও পাওয়া যাচ্ছে। এখন তদন্তও সঠিক পথে চলছে। তাই পার্থকে হেফাজতেই রাখা প্রয়োজন।

    লিফটের উপমা…

    এদিন সিবিআইয়ের তদন্তের (SSC Scam) অগ্রগতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারক। লিফটের উপমা দিয়ে তিনি বলেন, লিফট উপরের তলায় নিয়ে যায়, জানি। কিন্তু বিদ্যুৎ সংযোগই যদি না থাকে তবে গন্তব্যে পৌঁছবেন কী করে? প্রত্যুত্তরে সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, একটু সময় লাগছে, কিন্তু দ্রুত অগ্রগতি হবে।

    কুন্তল ঘোষকে…

    এদিন পার্থকে আদালতে নিয়ে যাওয়ার পথে সাংবাদিকরা জিজ্ঞেস করেন, কুন্তল ঘোষকে চেনেন? গোপাল দলপতিকে? প্রশ্ন শুনে এদিনও নীরব রইলেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Scam) সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে কয়েকটি নাম। এঁদের মধ্যে রয়েছেন তৃণমূলের যুবনেতা কুন্তল ঘোষ ও চিটফান্ড কাণ্ডে অভিযুক্ত গোপাল। এঁদের নাম তদন্তকারীদের দিয়েছেন বিধায়ক তৃণমূলের তাপস মণ্ডল। তাপস আবার টেট দুর্নীতিতে অভিযুক্ত মানিক ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠ। তিনি পার্থেরও ঘনিষ্ঠ। তাই পার্থকে এ প্রশ্ন করেছিলেন সাংবাদিকরা।

    আরও পড়ুুন: গরু পাচারকাণ্ডে এবার সিবিআই নজরে কেষ্ট ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতারা, জানেন তাঁরা কারা?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • Recruitment Scam: ইডির জিজ্ঞাসাবাদে মুখোমুখি কুন্তল-গোপাল-তাপস, জেরা করা হয় শান্তনুকেও

    Recruitment Scam: ইডির জিজ্ঞাসাবাদে মুখোমুখি কুন্তল-গোপাল-তাপস, জেরা করা হয় শান্তনুকেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে একের পর এক নাম উঠে আসছে। সম্প্রতি গ্রেফতার করা হয়েছে তৃণমূল যুব নেতা কুন্তল ঘোষকে। তাঁকে জেরা করেও চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে। তাঁকে গ্রেফতার করার পরেই নাম উঠে আসে গোপাল দলপতির। ইডি সূত্রে খবর, গত মঙ্গলবার গোপালকে নিয়ে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি-র আঞ্চলিক দফতরে যান তাপস মণ্ডল। সেখানেই কুন্তল, তাপস ও গোপালকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সেখানেই গোপাল তদন্তকারীদের প্রশ্নের উত্তরে পার্থকে টাকা দেওয়া হয়নি বলে দাবি করতেই ‘তাপসকে টাকা দেওয়া হয়েছে’ বলে চিৎকার শুরু করে দেন কুন্তল। ফলে ইডির অভিযোগ, তদন্তকারীদের লাগাতার বিভ্রান্ত করে বিপথে চালিত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন কুন্তল।

    ইডির মুখোমুখি জেরা কুন্তল, তাপস ও গোপালকে

    মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ১টা নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি-র দফতরে আসেন গোপাল ও তাপস। রাত ১টা ২০ নাগাদ দু’জনে বের হন। মঙ্গলবার নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত যুব তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুন্তল ঘোষের মুখোমুখি বসিয়ে গোপাল দলপতিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন ইডি-র আধিকারিকরা। ইডি সূত্রে খবর, জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীন একাধিকবার কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন কুন্তল ও গোপাল। কুন্তল ১৫ কোটি টাকা দেওয়ার দাবি করলেও, গোপাল তা অস্বীকার করেন। উল্টে জানতে চান কার সামনে টাকা দিয়েছেন কুন্তল? তার কোনও প্রমাণ রয়েছে কি না।

    অভিযোগ অস্বীকার গোপালের

    ইডি জানিয়েছে, গ্রেফতারের পরে কুন্তল দাবি করেছিলেন, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে পার্থকে তিনি সাড়ে ১৫ কোটি টাকা দিয়েছেন এবং সেই টাকা লেনদেনের অন্যতম সাক্ষী গোপাল। কিন্তু এই অভিযোগই অস্বীকার করেছেন গোপাল দলপতি। তিনি বলেছেন, পার্থের কাছে তিনি কোনও দিনই কোনও টাকা পৌঁছে দেননি। ইডি সূত্রে খবর, তার পরেই কুন্তল আচমকা চিৎকার করে বলতে থাকেন, ‘গোপালদা, তুমি বলো। তাপস তোমার সামনেই আমার কাছ থেকে দশ কোটি টাকা নিয়ে কলেজ তৈরি করেছেন।’ কুন্তলের ওই দাবিও নস্যাৎ করে দিয়েছেন গোপাল।

    আরও পড়ুন: পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে ২০১৭-এর টেটের ওএমআর শিট! কার নির্দেশে এমন কাজ, রিপোর্ট চাইলেন বিচারপতি

    এমনকী নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়ানো আরেক যুব তৃণমূল নেতা ও হুগলি জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও যোগাযোগের কথা অস্বীকার করেন গোপাল। এর পর ইডি-র তরফে জানানো হয়, ৭ দিনের মধ্যে গোপালকে ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট, সম্পত্তি সংক্রান্ত নথি ও পুরনো মামলার সমস্ত তথ্য জমা দিতে হবে। তাপস ও কুন্তলের সামনে বসে গোপাল দাবি করেন, ২০১৬ সালে তাপস মারফত কুন্তলের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। নিয়োগ দুর্নীতিতে কুন্তলের নির্দেশে তিনি নানা কাজ করেছেন। ২০১৬ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত কুন্তল বেশ কয়েক বার তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে মোট চার-পাঁচ লক্ষ টাকা দিয়েছেন। সেই লেনদেনের নথিও তাঁর কাছে আছে।

    তাপস মণ্ডল কী বললেন?

    অন্যদিকে, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যর ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল মঙ্গলবার ইডি-র জিজ্ঞাসাবাদের পর দাবি করেন, গোপাল দলপতি তাঁর গ্রামের ছেলে। কিন্তু ৪ বছর পর দেখা হয়েছে। তিহার জেল থেকে গোপালের ছাড়া পাওয়ার কথা কেন্দ্রীয় এজেন্সির কাছ থেকে জেনে তিনিই পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরের কসবা গ্রামের বাড়িতে গিয়ে গোপালকে খুঁজে নিয়ে আসেন বলে দাবি করেন তাপস মণ্ডল।

    ফের তলব শান্তনুকে

    যুব তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে চতুর্থ দিনও দীর্ঘ জেরা করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। বুধবার প্রায় ৭ ঘণ্টা জেরার পর ইডির অফিস থেকে বেরোন তিনি। নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে শান্তনুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছিল ইডি। বুধবার বেলা ১২টার কিছু পরে সিজিও কমপ্লেক্সে ঢোকেন যুব তৃণমূল নেতা। সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ আবার বেরিয়ে আসেন তিনি। ইডি সূত্রে খবর, শান্তনুর কাছে কিছু নথি চাওয়া হয়েছিল। সেগুলিই জমা দিতে ইডির অফিসে গিয়েছিলেন তিনি। সেই সঙ্গে শান্তনুর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকেরা বেশ কিছু নথি উদ্ধার করেছিলেন। সেগুলির বিষয়েও তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বুধবার।

  • SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে গোপাল-কুন্তলকে মুখোমুখি জেরা! ১২ ঘণ্টা পর ইডির দফতর ছাড়লেন তাপসরা

    SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে গোপাল-কুন্তলকে মুখোমুখি জেরা! ১২ ঘণ্টা পর ইডির দফতর ছাড়লেন তাপসরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে প্রায় ১২ ঘণ্টা জেরার পর এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট (ইডি)-র দফতর থেকে বেরোলেন মানিক ভট্টাচার্যের ‘ঘনিষ্ঠ’ তাপস মণ্ডল এবং গোপাল দলপতি। ইডি  সূত্রে খবর গোপাল দলপতির কাছে বেশ কিছু নথি চাওয়া হয়েছে। আগামী ৭ দিনের মধ্যে সেই সমস্ত নথি জমা করতে হবে। 

    তাপস মণ্ডলের কথা

    রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তে ইডি-র মুখোমুখি হতে মঙ্গলবার সকালে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে একসঙ্গে হাজির হন গোপাল এবং তাপস। মঙ্গলবার গভীর রাতে দু’জনকে ইডির অফিস থেকে বার হতে দেখা যায়। রাতে বেরোনোর সময় গোপাল প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তাপস মণ্ডল বলেন, “গোপালের সঙ্গে আমার দীর্ঘ চার বছর পর দেখা। ও যে বাইরে আছে সেটাও আমি জানতাম না।” তারপরই বিস্ফোরক অভিযোগ করেন তিনি। বলেন, “ওর একটা অর্থলগ্নি সংস্থা ছিল। এরপর গ্রেফতার হয়ে তিহার জেলে চলে যায়। পরবর্তীকালে অফিসারাই আমায় জানান যে গোপাল বাইরে আছে। আপনি খোঁজ করুন।” একই সঙ্গে তাপস বলেন, “গোপাল আমার গ্রামের ছেলে। ২৮ জানুয়ারি আমি গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলাম মেদিনীপুরে, আমি ওর খোঁজ করে নিয়ে এসেছি। গোপালকে কুন্তলের সঙ্গে বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।”

    আরও পড়ুন: মিথ্যে মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা! ইডির দফতরে গিয়ে দাবি গোপাল দলপতির

    গোপালের দাবি

    অন্যদিকে ইডির (ED) অফিস থেকে বেরোনোর সময় গোপাল বলেন, ‘‘তদন্তে আমি সাহায্য করছি। আবার যে দিন আমায় ডাকবে সে দিনই আসব।’’ কুন্তল বা শান্তনুর সঙ্গে লেনদেন সংক্রান্ত কোনও রকম চুক্তি হয়েছিল কি না সে প্রশ্নে গোপাল (gopal) বলেন, ‘‘এই রকম কোনও ডিল কখনও হয়নি। আমি এর আগে কুন্তলকে চিনতাম না। তাপসদাই পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন।’’ তিনি আরও জানান, কুন্তল (kuntal) এবং তাঁকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হয়েছে মঙ্গলবার। গোপাল বলেন, ” ও ওর বক্তব্য পেশ করেছে আমি আমারটা। কুন্তল বা শান্তনুর সঙ্গে কোনও রকমের চুক্তি ছিল না। কুন্তলের থেকে কোনও টাকা পেতাম না।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • SSC Scam: মিথ্যে মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা! ইডির দফতরে গিয়ে দাবি গোপাল দলপতির

    SSC Scam: মিথ্যে মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা! ইডির দফতরে গিয়ে দাবি গোপাল দলপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইডির দফতরে হাজিরা দিলেন নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে বহুল চর্চিত নাম গোপাল দলপতি। মঙ্গলবার দুপুর ২টো নাগাদ ইডি দফতরে পৌঁছন তিনি। মুখে নীল মাস্ক, চোখে চশমা, পরনে সাদা শার্ট। তাঁর সঙ্গে ছিলেন তাপস মণ্ডল। নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) গ্রেফতার হওয়া তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ বারবার অভিযোগ করেছিলেন, টাকা নেননি তিনি। এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত রয়েছেন গোপাল দলপতি। সেই গোপাল এবার নিজেই এলেন ইডির দফতরে বয়ান নথিভুক্ত করতে।

    গোপালের দাবি

    এদিন ইডি দফতরে ঢোকার আগে গোপাল বলেন,”আমি কারও কাছ থেকে কোনও টাকা নিইনি। পার্থ চট্টোপাধ্যায়কেও চিনি না। আমার সঙ্গে কুন্তলের পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন তাপসবাবু। কুন্তল আমার নামে যা বলছে সবই মিথ্যে ও ভিত্তিহীন।” গত ২১ জানুয়ারি কুন্তল ঘোষের গ্রেফতারির পর তাঁর মুখেই প্রথমবার প্রকাশ্যে আসে গোপাল দলপতির নাম। তার পর থেকে গোপালের খোঁজে ছিল ইডি। সোমবার নিজেই ইডি দফতরে ফোন করে বয়ান রেকর্ড করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন তিনি। মঙ্গলবার তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিতে বলেন ইডির গোয়েন্দারা। এর পর জানা যায় তাপস মণ্ডলের মধ্যস্থতায় গোপালের খোঁজ পেয়েছে ইডি। মঙ্গলবার সেই তাপস মণ্ডলের সঙ্গেই ইডি দফতরে ঢুকলেন গোপাল।

    আরও পড়ুন: বিপুল জনসমাগম! নেতাইয়ের সভা থেকে মমতা-অভিষককে আক্রমণ শুভেন্দুর

    মুখোমুখি জেরা

    বছর খানেক আগে এক চিটফান্ড মামলায় দিল্লি পুলিশ গ্রেফতার করে গোপাল দলপতিকে। সেই থেকে তিহার জেলে বন্দি ছিলেন তিনি। জানা যায়, পরে অবশ্য জামিনে মুক্ত পান তিনি। ইডি সূত্রের খবর, গোপাল দলপতি, তাপস মণ্ডল ও কুন্তল ঘোষকে এবার মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হতে পারে। কী ভাবে কুন্তলের টাকা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে পৌঁছত, এই তিন জনকে জেরা করে সেই ছবি স্পষ্ট হবে বলে মনে করছেন ইডি আধিকারিকেরা। এদিন গোপালের বয়ান রেকর্ড করা হয়। তিনি যে বয়ান দেবেন সেটিকে সামনে রেখেই পরের দিকে কে সত্যি বলছেন সেটা জানার চেষ্টা করা হবে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Kuntal Ghosh: ফের কুন্তলকে জেরা ইডির! প্রকৃত দোষীদের আড়াল করতেই কি বিভিন্ন নাম?

    Kuntal Ghosh: ফের কুন্তলকে জেরা ইডির! প্রকৃত দোষীদের আড়াল করতেই কি বিভিন্ন নাম?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন হুগলির যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ (Kuntal Fhosh)। প্রকৃত দোষীদের থেকে নজর ঘোরাতে নিয়োগ দুর্নীতিতে রোজ নতুন নতুন নাম আনছেন কুন্তল, দাবি ইডির। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে খবর, চিটফান্ড মামলায় তিহাড় জেলে বন্দি গোপাল দলপতির কাছে কোটি কোটি টাকা যেত (Gopal Dalapati)। তার পর OSD মারফত সেই টাকা পৌঁছে যেত পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের কাছে। শুক্রবার জেরার মুখে যুব তৃণমূলের রাজ্য় সম্পাদক কুন্তল নাকি এমনই দাবি করেছেন।

    কাকে আড়ালের চেষ্টা

    ইডি সূত্রে দাবি, সম্প্রতি জেরার মুখে বারবার দুটো নাম করছেন কুন্তল। এক পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়,  দুই গোপাল দলপতি। অত্য়ন্ত ইঙ্গিতপূর্ণ বিষয় হল, যে দু-জনের নাম কৌশলে বারবার টাকা লেনদেনে তুলে ধরতে চাইছেন ধৃত যুব তৃণমূলের রাজ্য় সম্পাদক, তাঁরা দুজনেই কিন্তু অনেক আগে থেকে জেলবন্দী। পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় বর্তমানে প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি। আর গোপাল দলপতি চিটফাণ্ড মামলায় ২০২১ থেকে দিল্লির তিহাড় জেলে রয়েছেন। অর্থাৎ কুন্তুলের এই চাঞ্চল্য়কর দাবি নিয়ে যে দু-জনেরই আপাতত মুখ খোলার কোনও সুযোগ নেই!

    আরও পড়ুন: ‘হাতেখড়ি’ হয়েছিল আলিপুরদুয়ারে, আজ ডায়মন্ড হারবারে প্রশাসনিক বৈঠক অভিষেকের!

    রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী ও গোপালের কথা বললেও হুগলির যুব তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্য়পাধ্যায়কে নিয়ে সম্পূর্ণ নীরব কুন্তল ঘোষ। শান্তনু কত টাকা নিয়েছে জানতে চাইলে কুন্তল জানান, তিনি ঠিক বলতে পারবেন না। ইডি সূত্রে দাবি, শান্তনুর বলাগড়ের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে একটি ৩০০ জন চাকরিপ্রার্থীর নামের তালিকা পাওয়া গিয়েছে। যে লিস্টে চাকরিপ্রার্থীদের নাম, রোল নম্বর, অ্য়াডমিটকার্ডের নম্বর সমস্ত বিশদে লেখা। শুধু নিজের জেলাই নয়, হুগলির যুব তৃণমূল নেতার বাড়ি থেকে পাওয়া তালিকায় নাম রয়েছে কলকাতা, বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, পূর্ব মেদিনীপুর সহ একাধিক জেলার চাকরিপ্রার্থীদের। ইডির অনুমান, জেনেবুঝেই শান্তনুর প্রসঙ্গে আড়াল করতে চাইছেন কুন্তল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • SSC Scam: টানা ৭ ঘণ্টা ইডির জিজ্ঞাসাবাদ যুব তৃণমূল নেতা শান্তনুকে! এসএসসি দুর্নীতিতে আরও কী কী তথ্য মিলল?

    SSC Scam: টানা ৭ ঘণ্টা ইডির জিজ্ঞাসাবাদ যুব তৃণমূল নেতা শান্তনুকে! এসএসসি দুর্নীতিতে আরও কী কী তথ্য মিলল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার টানা ৭ ঘণ্টা ধরে ইডি দফতরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হল তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবার ফের জিজ্ঞাসাবাদ করল ইডি। সূত্রের খবর, শান্তনুর হোটেল, জমি বাড়ি ও অন্যান্য সম্পত্তির বিষয়ে ও তাঁর আয়ের উৎস নিয়েই একের পর এক প্রশ্ন করেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকেরা।

    কেন শান্তনুকে তলব

    ইডি সূত্রের খবর, যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের সঙ্গে শান্তনুর যোগ ছিল কি না, সেটাই খুঁজে বের করার চেষ্টা হচ্ছে। ইডি হেফাজতে রয়েছেন কুন্তল। নিয়োগের নামে যে টাকা কুন্তল নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ, সেই টাকা শান্তনুর কাছে গিয়েছিল কি না, সেটাই জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। তাপস মণ্ডলের মুখেও শান্তনুর নাম শোনা গিয়েছে। তাই দফায় দফায় তাঁকে প্রশ্ন করছেন গোয়েন্দা অফিসারেরা। নিয়োগ দুর্নীতিতে এখনও কয়েকজন সুপারিশকারী বা মধ্যস্থতাকারী রয়েছেন। যাঁদের খোঁজ করছে ইডি। কুন্তল ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরো কয়েকজনের নামের তালিকা মিলেছে। এবার তাদেরকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে ইডি।

    আরও পড়ুন: ‘হাতেখড়ি’ হয়েছিল আলিপুরদুয়ারে, আজ ডায়মন্ড হারবারে প্রশাসনিক বৈঠক অভিষেকের!

    তৃণমূল যুব নেতা শান্তনু প্রথমে জিরাট কলেজে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দায়িত্ব পান। পরে ব্লকের পাশাপাশি জেলাতেও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা ছিলেন দীর্ঘদিন। এরপর যুব সংগঠনের জেলা সভাপতিরও দায়িত্বে ছিলেন শান্তনু। তারপর রাজ্য যুব তৃণমূলের সহ সভাপতির দায়িত্বও পেয়েছিলেন। হুগলি জেলার পাশাপাশি পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় যুব তৃণমূলের দায়িত্বও দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। ইতিমধ্যেই  এই শান্তনুর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত একাধিক নথি উদ্ধার হয়েছে বলে সূত্রের খবর। তারপরেই আয়কর রিটার্ন এবং তাঁর বেশ কয়েকটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথি তলব করা হয়। ইডি সূত্রে খবর, বর্ধমান, হুগলি, মুর্শিদাবাদ, বাঁকুড়া সহ বিভিন্ন জেলার চাকরি প্রাথীদের তালিকা মিলেছে শান্তনুর বাড়ি থেকে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Kuntal Ghosh: কুন্তলের হাত ধরেই ৩৫ জনের অবৈধ চাকরি, টাকার লেনদেনের তদন্তে ইডি

    Kuntal Ghosh: কুন্তলের হাত ধরেই ৩৫ জনের অবৈধ চাকরি, টাকার লেনদেনের তদন্তে ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নতুন তথ্য এল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হাতে। আরও বিপাকে তৃণমূল যুবনেতা কুন্তল ঘোষ (Kuntal Ghosh)। কুন্তলকে জেরা করে ইডি জানতে পেরেছে, তাঁর হাতেই হয়েছে ৩৫টি অবৈধ চাকরি। নবম, দশম এবং উচ্চমাধ্যমিক স্তরের চাকরি করিয়েছেন কুন্তল। জেরায় নিজের মুখেই সেকথা স্বীকার করেছেন তিনি। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, অবৈধ উপায়ে চাকরি পাওয়া স্কুলশিক্ষকরা মূলত মুর্শিদাবাদ, পূর্ব মেদিনীপুর এবং উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বাসিন্দা। 

    ইডি জেরায় কী জানা গেল?    

    চাকরির বিনিময়ে কত টাকা নেওয়া হয়েছিল, কারা সেই টাকা লেনদেন করতেন, সে বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চায় ইডি। ইডির দাবি, ২০১৪ থেকেই নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত কুন্তল (Kuntal Ghosh) এবং শান্তনু। দুজনেই হুগলির বলাগড় অঞ্চলের বাসিন্দা। শনিবার কুন্তল দাবি করেন, পূর্ব মেদিনীপুরের বাসিন্দা গোপাল দলপতি শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডের মাথা। পাশাপাশি, মানিক ভট্টাচার্যের ‘ঘনিষ্ঠ’ তাপস মণ্ডল এবং গড়িয়ার ব্যবসায়ী নীলাদ্রি ঘোষের বিরুদ্ধেও টাকা নেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন কুন্তল। তবে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে তিনি কোনও টাকা দেননি বলে জানিয়েছেন। ধৃত যুবনেতার দাবি, তাপসের সঙ্গে তিনি শান্তনুর আলাপ করিয়ে দেননি তিনি। নিউ টাউনের ফ্ল্যাটে তাঁদের তিন জনের কোনও বৈঠক হয়নি বলেও জানান কুন্তল। প্রসঙ্গত, শান্তনু আগেই বলেছেন, দু’জনের বাড়িই বলাগড় এলাকায় হলেও তিনি কুন্তলকে চেনেন না! এদিকে শান্তনুর আরও দাবি তিনি তাপসকেও চেনেন না।  

    আরও পড়ুন: বীরভূমে ফের বিক্ষোভের মুখে ‘দিদির দূত’! অস্বস্তি এড়াতে পাশ কাটিয়ে গেলেন বিধায়ক 
      
    শুক্রবার বিধাননগর হাসপাতালে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল কুন্তলকে। সেখানে সাংবাদিকদের কুন্তল (Kuntal Ghosh) বলেন, ‘‘অনেক কোটি টাকা নিয়েছে ওরা। আমার কাছ থেকে জোর করে নিয়েছে।’’ তাপস-ঘনিষ্ঠ গোপাল সম্পর্কে কুন্তল বলেন, ‘‘গোপাল দলপতি সব থেকে ‘মেন’। সকলের হয়ে টাকা নিয়েছে।’’

    একই সঙ্গে মানিক ভট্টাচার্যের ‘ঘনিষ্ঠ’ তাপস মণ্ডল এবং গড়িয়ার ব্যবসায়ী নীলাদ্রি ঘোষের বিরুদ্ধেও টাকা নেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন কুন্তল। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     
     

     

       
           

     

  • Kuntal Ghosh: অভিষেক থেকে ব্রাত্য অনেকের সঙ্গেই ছবি! বিএড কলেজ, ইংরেজি মাধ্যম স্কুল, কে এই কুন্তল?

    Kuntal Ghosh: অভিষেক থেকে ব্রাত্য অনেকের সঙ্গেই ছবি! বিএড কলেজ, ইংরেজি মাধ্যম স্কুল, কে এই কুন্তল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ। প্রায় ২৪ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চালিয়ে তাঁর ফ্ল্যাট থেকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথি বাজেয়াপ্ত করেছেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের অফিসাররা। তদন্তে অসহযোগিতার জেরেই হুগলির এই যুব তৃণমল নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে ইডি সূত্রের খবর। কিন্তু আসলে কে এই কুন্তল। তাঁর সঙ্গে আর কার যোগাযোগ রয়েছে? যে কোটি কোটি টাকা কুন্তল নিয়েছেন বলে অভিযোগ তা কী সবটাই কুন্তলের পকেটে? না এর পিছনে রয়েছে আরও কেউ? প্রশ্নগুলো ঘুরছে রাজ্য রাজনীতিতে।

    কে কুন্তল

    হুগলির বলাগড়ের শ্রীপুর পঞ্চায়েত এলাকায় বাড়ি কুন্তলের। বাবা স্বপন ঘোষ ছিলেন সিপিএমের পঞ্চায়েত প্রধান। যদিও কুন্তল নিজে যুব তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক। গ্রামে ভাল ছেলে বলেই পরিচিত। সমাজসেবা থেকে দান-ধ্যান করতে বারবার এগিয়ে এসেছিলেন কুন্তল। তাঁদের একটা সারের দোকান ছিল, অ্যালুমিনিয়ামের কারখানাও ছিল। স্বচ্ছল পরিবার। তবে এসব কিছুর পিছনেই কী ছিল দুর্নীতির হাতছানি? এখন আর খুব বেশি বলাগড়ে থাকতেন না কুন্তল। এখন তিনি শহরের ছেলে। চিনার পার্কে দুটো ফ্ল্যাট! শিক্ষা ব্যবসায় নিজের নাম লিখিয়েছেন কুন্তল।

    নেতানেত্রীদের বৃত্তে

    ২০১১ সালে ধনেখালিতে একটি বিএড কলেজে পার্টনারসিপে ব্যবসা শুরু করেন কুন্তল। অনেকের মতে, ওটাই ছিল তাঁর শিক্ষা ব্যবসায় হাতেখড়ি। তারপর ধাপে ধাপে এগোতে থাকেন আরও বড় হওয়ার লক্ষ্যে। জানা যাচ্ছে, দক্ষিণ বঙ্গের আরও কয়েকটি জেলার বিএড কলেজে তাঁর শেয়ার রয়েছে। তাছাড়া বলাগড়ে একটি ছোটদের ইংরাজি মাধ্যম স্কুলও চালু করেছিলেন তিনি। ২০১৬ সাল থেকে রাজনীতিতে উত্থান কুন্তলের। জেলার রাজনীতিতে তেমন পরিচিত নন তিনি। বেশিরভাগ সময় থাকতেন কলকাতা কেন্দ্রিক কর্মসূচিতে, নেতানেত্রীদের বৃত্তের মধ্যে। এই কুন্তলের সঙ্গেই তৃণমূলের শীর্ষ নেতাদের বিভিন্ন সময়ে নানা ছবি প্রকাশ্যে এনেছেন বিজেপি রাজ্য সহ সভাপতি রথীন্দ্র বোস। কখনও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়িযে হাসিমুখে দেখা যাচ্ছে কুন্তলকে। কখনও আবার কোনও অনুষ্ঠান মঞ্চে তৃণমূলের যুবনেত্রী সায়নী ঘোষের সঙ্গে কথা বলতেও দেখা যাচ্ছে যুব নেতাকে। একটি ছবিতে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে দেখা যাচ্ছে কুন্তলকে। আবার কুন্তলের সঙ্গে একই ফ্রেমে দেখা যাচ্ছে পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তীকেও।

    আরও পড়ুন: ইডির জালে কুন্তল! কী মিলল চিনার পার্কের ফ্ল্যাট থেকে?

    কুন্তলের ফেসবুক পেজও ছিল চোখে পড়ার মতো। জ্যোতি বসুর জন্ম দিন থেকে জয়ললিতার মৃত্যু দিন, আরডি বর্মন, শৈলেন মান্না, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়—বিশেষ বিশেষ দিনে শ্রদ্ধা জানিয়ে ফেসবুক পোস্টার পোস্ট ছিল কুন্তলের রুটিন। আর সেসব পোস্টারে বিশিষ্টজনের সঙ্গে থাকত একদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সায়নী ঘোষের ছবি অন্য দিকে হাতজোড় করা কুন্তলের ছবি। তাহলে এসবের পিছনেই কী ছিল দুর্নীতির চক্র? আর  কুন্তলের হাত ধরে টাকা পৌঁছে যেত অন্য কোথাও?কুন্তলের খুঁটি কী বাঁধা থাকত শহরের অন্য কোথাও? জল্পনা চলছে হুগলি থেকে কলকাতা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • SSC Scam: “টাকার বিনিময়ে চাকরি, ইয়ার্কি হচ্ছে?”, গ্রুপ ডি-এর ওএমআর শিট প্রকাশের নির্দেশ বিচারপতি বসুর

    SSC Scam: “টাকার বিনিময়ে চাকরি, ইয়ার্কি হচ্ছে?”, গ্রুপ ডি-এর ওএমআর শিট প্রকাশের নির্দেশ বিচারপতি বসুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে এসএসসি গ্রুপ ডি মামলায় কড়া বার্তা দিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু (Justice Biswajit Basu)। এই মামলার শুনানিতে ফের একবার আদালতের ভর্ৎসনার মুখে সিবিআই। বিচারপতি বসুর মন্তব্য, “ঘুষ দিয়ে চাকরি পাওয়া ব্যক্তিদের সরাসরি জিজ্ঞাসা করুন, কাকে টাকা দিয়েছে? কাদের টাকা দিয়েছে জানতেই হবে সিবিআইকে।” এ ব্যাপারে এসএসসিকে ৭ দিন সময় দিয়ে বিচারপতি বসু বলেছেন, “গাজিয়াবাদ থেকে পরীক্ষার্থীদের যে উত্তরপত্র  বা ওএমআর শিট উদ্ধার করা হয়েছে, তা ৩১ জানুয়ারির মধ্যে এসএসসিকে নিজেদের ওয়েবসাইটে আপলোড করতে হবে।” আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি। অন্যদিকে ঘুষ দিয়ে যারা চাকরি পেয়েছেন এদিন তাদেরও চরম ভর্ৎসনা করেন বিচারপতি।

    বিচারপতির প্রশ্নের মুখে সিবিআই ও বেআইনি চাকরিপ্রার্থী

    এসএসসি গ্রুপ ডি মামলার শুনানিতে এদিন একাধিক প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় সিবিআইকে। স্কুল সার্ভিস কমিশনের গ্রুপ ডি পদে নিয়োগে বেনিয়মের অভিযোগ ওঠে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই এই মামলা হয়েছিল। এদিন বিচারপতি বসু বলেন, “কাকে টাকা দেওয়া হয়েছে সেই তথ্য জানতেই হবে সিবিআইকে। ঘুষ দিয়ে যারা চাকরি পেয়েছেন তাদের জিজ্ঞাসা করুন টাকা তারা দিয়েছেন কাকে?”

    এদিন বেআইনি চাকরীপ্রার্থীদেরও তিরস্কার করা হয়। “পড়ুয়াদের কথা না ভেবে টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছে। আবার আদালতে এসে কথা বলছে, ইয়ার্কি হচ্ছে?” অবৈধ চাকরিপ্রাপকদের উদ্দেশে মন্তব্য বিচারপতি বসুর।

    আরও পড়ুন: ইস্তফা প্রকাশ তৃণমূলের, ভোট কিনতে বাংলার মতো টাকার টোপ মেঘালয়েও!

    গাজিয়াবাদ থেকে উদ্ধার করা ওএমআর শিট প্রকাশের নির্দেশ

    এসএসসি পরীক্ষার্থীদের অন্তত ৪৪৮৭টি উত্তরপত্র বা ওএমআর শিটের সন্ধান গাজিয়াবাদে পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছিলেন তদন্তকারীরা। সেই উত্তরপত্রই এসএসসির ওয়েবসাইটে আগামী ৭ দিনের মধ্যে প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি বসু। এর আগে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ও গ্রুপ ডি সংক্রান্ত মামলায় ওএমআর প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এবারে বিচারপতি বসুও তাই করলেন। তবে তিনি এবারে সময় বেঁধে দিলেন।

    এসএসসি-র উদ্দেশে কী বললেন বিচারপতি বসু?

    এদিন এসএসসি-কে ক্ষুব্ধ বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু প্রশ্ন করেন, যদি এই সব কর্মীদের সরিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে সেখানে দ্রুত নিয়োগের জন্য কতটা প্রস্তুত এসএসসি? কর্মী না থাকলে যে স্কুল চালানো সমস্যা হবে, সে কথাও উল্লেখ করেন বিচারপতি। এর পর তিনি নতুন নিয়োগের কথাও উল্লেখ করে বলেন। আর এসএসসির কাছে নতুন নিয়োগ নিয়ে প্রস্তুতির কথাও জানতে চেয়েছেন বিচারপতি। কমিশনের উদ্দেশে বিচারপতি বসুর মন্তব্য, “দুর্নীতি যেখানে পরিষ্কার, সেখানে কেন এই ব্যক্তিদের এখনও সরিয়ে দিতে পদক্ষেপ করা হচ্ছে না। কিসের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে?” পরবর্তী শুনানির দিন বিচারপতির প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবে বলেও জানানো হয়েছে। তবে তার আগে বিচারপতির নির্দেশে ওএমআর শিট প্রকাশের অপেক্ষায় চাকরিপ্রার্থীরা।

LinkedIn
Share