Tag: ssc scam

ssc scam

  • SSC Scam: সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদের পর এবারে তৃণমূলের যুবনেতা কুন্তলের জোড়া ফ্ল্যাটে ইডির হানা!

    SSC Scam: সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদের পর এবারে তৃণমূলের যুবনেতা কুন্তলের জোড়া ফ্ল্যাটে ইডির হানা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে এবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট কর্তারা হানা দিলেন হুগলির তৃণমূল যুবনেতা কুন্তল ঘোষের ফ্ল্যাটে। আজ, শুক্রবার সকাল থেকে ইডি আধিকারিকরা দু’টি দলে ভাগ হয়ে নিউটাউনে কুন্তলের দু’টি ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআইয়ের (CBI) জিজ্ঞাসাবাদের পর এবারে ইডির হানা যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

    কুন্তল ঘোষের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ?

    নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত এবং প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের ‘ঘনিষ্ঠ’ তাপস মণ্ডলকে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। আর এর পরেই উঠে আসে তৃণমূল যুবনেতা কুন্তল ঘোষের নাম। তাপস মণ্ডল টাকা নেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন কুন্তলের বিরুদ্ধে। সিবিআইয়ের দাবি, তাপস তাঁদের জানিয়েছেন, বেআইনি শিক্ষক নিয়োগের ১৯ কোটি টাকা কুন্তলের কাছে পৌঁছেছে। তাপসের দাবি ছিল, ৩২৫ জন শিক্ষক পদপ্রার্থীর কাছ থেকে প্রায় সাড়ে ১৯ কোটি টাকা নিয়েছেন কুন্তল। এই সংক্রান্ত নথিও তাঁর কাছে রয়েছে বলে দাবি করেন। তিনি আরও দাবি করেন যে, মোট ২৬০০ চাকরিপ্রার্থীর কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা করে নিয়েছেন কুন্তল।

    আরও পড়ুন: সাগরদিঘি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন! পিছিয়ে গেল মাধ্যমিকের ইতিহাস পরীক্ষা

    আর এর পরেই নিজাম প্যালেসে তলব করা হয়েছিল তাঁকে। গত বুধবার বিকেল ৩টের পর নিজাম প্যালেসে হাজিরা দেন তৃণমূলের যুবনেতা। এক ঘণ্টা থাকার পর বেরিয়ে যান। বুধবার দুপুরে নিজাম প্যালেসে এসেছিলেন তাপসের এক প্রতিনিধিও। বুধবারের পর বৃহস্পতিবারও নিজাম প্যালেসে যান তৃণমূল নেতা। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছিলেন কুন্তল। তিনি বলেছিলেন, “আমি যদি টাকা নিতাম, সিবিআই কি এত সহজে আমাকে ছেড়ে দিত?”

    ইডির হানা কুন্তলের ফ্ল্যাটে

    নিজাম প্যালেসে জিজ্ঞাসাবাদের পরেই আজ সকাল সকাল তাঁর ফ্ল্যাটে হাজির ইডির আধিকারিকরা। নিউটাউনের চিনার পার্ক এলাকায় বিলাসবহুল আবাসনে জোড়া ফ্ল্যাট রয়েছে যুবনেতার নামে। সেই ফ্ল্যাটগুলিতেই চলছে তল্লাশি। ইডি সূত্রে খবর, শুক্রবার সকাল থেকে ইডি আধিকারিকরা দু’টি দলে ভাগ হয়ে কুন্তলের দু’টি ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালাচ্ছে। ফলে আজ তল্লাশির পর কোনও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বা নথি পাওয়া যায় কিনা, তা নিয়েই জল্পনা বাড়ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • SSC Scam: খারিজ জামিন-সওয়াল, ফের ১৪ দিন জেল হেফাজতে পার্থ, সুবীরেশ সহ ৭

    SSC Scam: খারিজ জামিন-সওয়াল, ফের ১৪ দিন জেল হেফাজতে পার্থ, সুবীরেশ সহ ৭

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জামিনের অনুরোধ, ধর্না দেওয়ার কথা কোনও কিছুই কাজে দিল না আজ। এসএসসি দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ ৭ জনেরই ফের জেল হেফাজত। বৃহস্পতিবার আলিপুর আদালতের বিচারক এমনই রায় দিলেন। এদিন জামিনের আর্জি করেছিলেন পার্থ চ্যাটার্জি। কিন্তু আজ ফের আর্জি খারিজ করা হয়। পার্থর পাশাপাশি সুবীরেশ, কল্যাণময়দেরও জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পার্থ, সুবীরেশদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি। 

    পার্থর আইনজীবী জামিনের জন্য ধর্না দেওয়ার প্রসঙ্গ এনে বললেন…

    বর্তমানে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে বন্দি পার্থ। এদিন তাঁকে জেল হেফাজতের মেয়াদ শেষে আলিপুরে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। জামিনের আবেদন জানিয়ে আদালতে সওয়াল করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী। এদিনের শুনানিতে এজলাসে শোরগোল ফেলা মন্তব্য করে বসেন পার্থবাবুর আইনজীবী সেলিম রেহমান। তিনি বলেন, “একটা টাকাও নেননি তিনি, তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার হয়নি। কোথায় মানি ট্রেইল? কে টাকা দিয়েছে? অযোগ্য প্রার্থীদের কথা বলা হচ্ছে, তাতে তাঁর কী ভূমিকা? তদন্তে কোনও অগ্রগতিও নেই।” তিনি আরও বলেন, “কেস ডায়েরিতে সিক্রেট তথ্য আছে বলে সিবিআই আটকে রাখছে। আর কতদিন এই ‘বৃহত্তর ষড়যন্ত্র’ বলে সিবিআই সময় পাবে? আইনের কথা বলছে না। এবার তো ‘জলি এলএবি’ সিনেমার মতো ধর্না দিয়ে বসা ছাড়া উপায় থাকবে না। জেল থেকে বেরিয়ে তো শিক্ষা দফতরে চলে যেতে পারবেন না!” সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে সেলিম এ-ও দাবি করেন, কে যোগ্য আর কে অযোগ্য, তা দেখার দায়িত্ব দফতরের ছিল, তাঁর মক্কেলের না। সিবিআই পুরো দোষ তাঁর মক্কেলের উপর ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করছে বলেও দাবি করেন তিনি।

    আরও পড়ুন: দেগঙ্গায় ‘দিদির দূত’ সুজিত বসু! মন্ত্রীর সামনেই মারামারি কর্মীদের, প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব

    পার্থ সহ আরও ৭ জনের জেল হেফাজতের নির্দেশ

    নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এর আগে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, এসএসসি-র প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহা, প্রাক্তন সচিব অশোককুমার সাহা, এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় ও দুই মিডলম্যান প্রদীপ সিংহ এবং প্রসন্ন রায়কে ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল আলিপুর আদালত। আজ তাঁদের আদালতে তোলা হলে এস পি সিনহার আইনজীবী সঞ্জয় দাশগুপ্ত জামিনের আবেদন করে সওয়াল করেন, “তদন্তে গতি নেই। অভিযুক্তকে বার বার প্রভাবশালী বলা হচ্ছে। অথচ তিনি প্রভাবশালী নন।” ফলে পার্থর পাশাপাশি এঁদেরও জামিনের আর্জি খারিজ করে আরও ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। 

     

  • Calcutta High Court: ২০১৬-এর পর স্কুলের সমস্ত নিয়োগ খতিয়ে দেখতে হবে ডিআইদের! নির্দেশ বিচারপতি বসুর

    Calcutta High Court: ২০১৬-এর পর স্কুলের সমস্ত নিয়োগ খতিয়ে দেখতে হবে ডিআইদের! নির্দেশ বিচারপতি বসুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভুয়ো শিক্ষক নিয়োগ মামলা নিয়ে আরও কড়া পদক্ষেপ নিল কলকাতা হাইকোর্ট। ২০১৬ সালের পরে রাজ্যের সমস্ত জেলায় যত সরকারি স্কুল আছে, তাতে যতজন নিয়োগ হয়েছেন, তাদের সকলের নিয়োগ পদ্ধতি সংশ্লিষ্ট জেলার ডিআই-কে খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। বিচারপতির এই নির্দেশে রীতিমত শোরগোল পড়ে গিয়েছে শিক্ষামহলে। মুর্শিদাবাদের বেলডাঙার একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক বাবার স্কুলে জালিয়াতি করে চাকরি করছেন ছেলে। এই মামলার শুনানিতেই আজ এমন নির্দেশ দিলেন বিচারপতি বসু। শুধু তাই নয়, রাজ্যের মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক স্কুলে গত ছ’বছরে যত শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে, তাদের হিসাব রাজ্যের কাছে চাইলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। পাশাপাশি বিচারপতি জানিয়ে দিয়েছেন, ওই হিসাব বা রিপোর্ট আগামী ২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আদালতে জমা দিতে হবে।

    মুর্শিদাবাদের ভুয়ো শিক্ষক মামলায় প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি

    বৃহস্পতিবার একটি মামলার শুনানি চলাকালীন এই নির্দেশ দেন বিচারপতি। মুর্শিদাবাদের গোথা এয়ার হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আশিস তিওয়ারির পুত্র অনিমেষের বিরুদ্ধে এক পাস করা শিক্ষকের নিয়োগপত্র জাল করে প্রধান শিক্ষক বাবার স্কুলে চাকরি নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। গত তিন বছর ধরে তিনি বেতনও পেয়েছেন। অথচ জেলা স্কুল পরিদর্শকের কাছে তাঁর নিয়োগের কোনও নথিই ছিল না! ঘটনাটি জানার পরেই বিচারপতি প্রশ্ন করেন, “একজন ভুয়ো শিক্ষক তিন বছর ধরে চাকরি করছেন, আর সেই জেলার ডিআই তা জানেন না? কীভাবে সম্ভব?” নিয়োগপত্রে নাম না থাকা সত্ত্বেও কী ভাবে ওই ‘শিক্ষক’ এতদিন বেতন পেলেন?  এরপরই গোটা ঘটনার তদন্তভার সিআইডিকে দিয়েছেন বিচারপতি বসু। বিচারপতি আরও বলেন, “তবে তো এমন অনেক জালিয়াতিই হয়ে থাকতে পারে, যার এখনও খবরই নেই রাজ্যের কাছে!” তার পরেই এমন নির্দেশ দিলেন ডিআইয়ের।

    আরও পড়ুন: খারিজ জামিন-সওয়াল, ফের ১৪ দিন জেল হেফাজতে পার্থ, সুবীরেশ সহ ৭

    ২০১৬-এর পর স্কুলের সমস্ত নিয়োগ খতিয়ে দেখতে হবে ডিআইদের

    গত ছ’বছরে অর্থাৎ ২০১৬ সালের পর থেকে মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক স্তরে স্কুলে নিয়োগের একটিই পরীক্ষা হয়েছে। তবে বেশ কয়েক দফায় নিয়োগ হয়েছে প্রায় সাড়ে ২৩ হাজার শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মীর। এদের মধ্যে নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষকের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি— ১১,৪২৫ জন। এ ছাড়াও একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির সাড়ে ৫ হাজার শিক্ষক, ৪৪৮৭ জন গ্রুপ-ডি কর্মী এবং ২,০৩৭ জন গ্রুপ-সি কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। বিচারপতি বসুর নির্দেশে এ বার এই সমস্ত চাকরিই নিয়োগপত্র পেয়ে যথাযথ প্রক্রিয়ায় হয়েছিল কি না, তা খতিয়ে দেখবেন জেলা স্কুল পরিদর্শক বা ডিআইরা।

  • SSC Scam: এবার ইডির স্ক্যানারে কুন্তল ‘ঘনিষ্ঠ’ শান্তনু!  তল্লাশি চলছে বলাগড়ের তৃণমূল নেতার বাড়িতেও

    SSC Scam: এবার ইডির স্ক্যানারে কুন্তল ‘ঘনিষ্ঠ’ শান্তনু! তল্লাশি চলছে বলাগড়ের তৃণমূল নেতার বাড়িতেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় একের পর এক শাসকদলের নেতার নাম জড়িয়ে পড়ছে। তাপস মণ্ডলের সূত্র ধরে তৃণমূল যুবনেতা কুন্তল ঘোষের নাম উঠে আসার পর আজ সকাল সকাল তাঁর জোড়া ফ্ল্যাটে তল্লাশি শুরু করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এর পর জানা গিয়েছে, তাপস ও কুন্তলের সূত্র ধরেই এই দুর্নীতি মামলায় বলাগড়ের যুব তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামও উঠে এসেছে। ফলে শুক্রবার সকালে মোট ৪টি গাড়ি করে ১২ জন ইডি অফিসার আসেন বলাগড়ে। তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে হানা দেন ইডি আধিকারিকরা। চলছে তল্লাশি। অভিযোগ, শিক্ষক নিয়োগে কোটি কোটি টাকা দুর্নীতিতে জড়িয়ে বলাগড়ের এই নেতাও।

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে উঠে আসছে নতুন নতুন নাম…

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত তাপস মণ্ডল প্রথমে কুন্তল ঘোষের নাম নেন। এর পর কুন্তল ঘোষকে জেরা করার পরেই শান্তনু ব্যানার্জির নামও উঠে আসে এই দুর্নীতি কাণ্ডে। তবে জানা গিয়েছে, শান্তনুর নামও তাপসই দিয়েছেন তদন্তকারীদের কাছে। তিনি জানিয়েছেন, শিক্ষক নিয়োগে কোটি কোটি টাকা দুর্নীতিতে জড়িয়ে বলাগড়ের ওই নেতাও।

    আরও পড়ুন: সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদের পর এবারে তৃণমূলের যুবনেতা কুন্তলের জোড়া ফ্ল্যাটে ইডির হানা!

    শান্তনুর বলাগড়ের বাড়িতে ইডির হানা

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে তৎপর এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আজ শুক্রবার সকাল থেকে একযোগে একাধিক জায়গাতে হানা দিলেন কেন্দ্রীয় আধিকারিকরা। একদিকে তল্লাশি চালানো হচ্ছে হুগলির যুবনেতা কুন্তল ঘোষের নিউটাউনের ফ্ল্যাটে। অন্যদিকে হুগলি জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ এবং তৃণমূলের প্রাক্তন যুব জেলা সভাপতি শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতেও এদিন সকালে পৌঁছে যান ইডির আধিকারিকরা। দুই জায়গাতেই চলছে তল্লাশি।

    মানিক ঘনিষ্ঠ তাপস এবং কুন্তলকে জেরা করে শান্তনুর নাম পান তদন্তকারীরা। শুধু তাই নয়, জানা গিয়েছে, হুগলির যুবনেতা কুন্তলের খুবই ‘ঘনিষ্ঠ’ বলাগড়ের নেতা শান্তনু। তাঁর বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার অভিযোগ পাওয়ার পরেই আজ তাঁর বাড়িতে পৌঁছে যান ইডির আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, আজ সকালে বাড়িতে শান্তনু বা তাঁর পরিবারের কেউ ছিলেন না বলেই তদন্তকারীদের জানান তৃণমূল নেতার দায়িত্বে থাকা দেহরক্ষীরা। তবে ইডির পরিচয় জানতেই বাড়ির সমস্ত চাবি তাঁদের হাতে নিরাপত্তারক্ষীরা তুলে দেন বলে জানা যাচ্ছে। ফলে তৃণমূল দুই নেতার বাড়িতে তল্লাশি অভিযানের পর কী কী তথ্য পাওয়া যাচ্ছে, তা নিয়েই অপেক্ষায় রাজ্যবাসী।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Recruitment Scam: চাকরি না দিয়েও মোটা টাকা নিয়েছিলেন কুন্তল! তৃণমূল নেতাকে কাঠগড়ায় তুললেন তাপস মণ্ডল  

    Recruitment Scam: চাকরি না দিয়েও মোটা টাকা নিয়েছিলেন কুন্তল! তৃণমূল নেতাকে কাঠগড়ায় তুললেন তাপস মণ্ডল  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিকের ৩২৫ জন চাকরি প্রার্থীর কাছ থেকে হুগলির তৃণমূল (TMC) নেতা কুন্তল ঘোষ নিয়েছিলেন এক লক্ষ করে টাকা। যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের কাছ থেকে নিয়েছিলেন আরও ৫ লক্ষ টাকা। ২ হাজার ৬০০ সংগঠক শিক্ষক পদের জন্য নিয়েছিলেন ৫০ হাজার করে টাকা। আপার প্রাইমারির শিক্ষক পদের জন্য একশো জনের কাছ থেকে ২ লক্ষ করে টাকা নিয়েছিলেন তিনি। প্রতিটি লেনদেনের রশিদ দিয়েছিলেন কুন্তল। প্রতিটি রশিদে সইও রয়েছে তাঁর। সব মিলিয়ে টাকার পরিমাণ ১৯ কোটি ৪৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। কুন্তলের বিরুদ্ধে এহেন বোমাটি (Recruitment Scam) যিনি ফাটালেন তিনি তাপস মণ্ডল। যিনি শুধু বেসরকারি বিএড এবং ডিএলএড কলেজ সংগঠনের সভাপতি নন, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য ও প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বলেও পরিচিত।

    তাপসের আরও দাবি…

    তাপসের দাবি, বেআইনি নিয়োগ সংক্রান্ত যে টাকা কুন্তল নিয়েছিলেন, তার যাবতীয় নথি আমার কাছে রয়েছে। তাপস বলেন, চাকরির পরীক্ষায় পাশ করিয়ে দিতে কুন্তল প্রথমে এক লক্ষ টাকা করে নিয়েছিলেন। পরে আবার ধাপে ধাপে নিয়েছেন। টাকা নেওয়ার পরে তিনি একটি ছোট ডায়েরিতে লিখে সই করে দিতেন। তিনি বলেন, বিষয়টি ইডিকে জানিয়েছি। ওই ডায়েরিটিও ইডির তদন্তকারীদের হেফাজতে রয়েছে। বুধবার কুন্তলের সঙ্গে তাপসকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ (Recruitment Scam) করা হয়। পরে ফের বৃহস্পতিবার তলব করা হয় তাপসকে। তবে ওই দিন হাজির হননি তিনি। শুক্রবার ফের আসেন সিবিআই দফতরে। প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জেল হেফাজতে থাকা মানিকের বিরুদ্ধে পেশ করা চার্জশিটে তাপসকে অভিযুক্ত করেছে ইডি।

    আরও পড়ুুন: আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন ‘ডু অর ডাই ম্যাচ’! প্রতিটি বুথকে দুর্গ বানানোর কথা বললেন শুভেন্দু

    এদিকে, এদিন কলেজ সংগঠনের আরও এক নেতার নাম উঠে এসেছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। কুন্তলের মাধ্যমে ওই শিক্ষক নেতার সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ হয়েছিল বলে তাপস সিবিআইকে জানিয়েছেন। তাপস বলেন, আমার পরিবারের কেউ (কুন্তলের সূত্রে) চাকরি পাননি। তবে দূর সম্পর্কের কয়েকজন আত্মীয় কুন্তলের সঙ্গে যোগাযোগ করে চাকরি পেয়েছেন বলে শুনেছি। তাপস বলেন, আমি এসবে জড়াতে চাইনি। ছাত্রছাত্রীরা আমার কাছে চাকরির ব্যবস্থা করে দিতে বলত। যখন জানতে পারলাম একজন ব্যাপারটা দেখছে, তখন তার কাছে সবাইকে পাঠিয়ে দিয়েছিলাম। পরে শুনলাম টাকা চাইছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • TET Scam: ভুয়ো কল লেটার নিয়ে প্রাথমিকের ইন্টারভিউ! আটক চাকরিপ্রার্থী যুবক

    TET Scam: ভুয়ো কল লেটার নিয়ে প্রাথমিকের ইন্টারভিউ! আটক চাকরিপ্রার্থী যুবক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ইন্টারভিউতে ভুয়ো কল লেটার নিয়ে এসে ধরা পড়ে গেলেন দক্ষিণ দিনাজপুরের এক যুবক। শনিবার সল্টলেকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের মূল দফতর আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র (এপিসি) ভবনে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার চাকরিপ্রার্থীদের ইন্টারভিউ ছিল। পর্ষদ সূত্রে খবর, ইন্টারভিউ চলাকালীন এক পরীক্ষার্থী ভুয়ো অ্যাডমিট কার্ড নিয়ে ইন্টারভিউ দিতে আসে। ওই প্রার্থীকে দেখেই সন্দেহ হয় পর্ষদ কর্মী সৌরভ ঘোষের। মূলত তাঁর তৎপরতাতেই আটক করা হয় ওই যুবককে। তাঁর সঙ্গে আটক করা হয়েছে আরও দু’জনকে, যাঁদের ওই যুবক আত্মীয় বলে পরিচয় দিয়েছেন। বিধাননগর পূর্ব থানার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই যুবকের নাম প্রীতম ঘোষ। 

    ভুয়ো কললেটার 

    প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ওই পরীক্ষার্থী পূর্ব বর্ধমানের বাসিন্দা। গোটা বিষয়টি বিধাননগর কমিশনারেটকে লিখিতভাবে জানায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। পর্ষদের আধিকারিকদের অনুমান, এর পিছনে কোনও চক্র থাকতে পারে। তার জন্যই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ চাইছে গোটা বিষয়টির তদন্ত হোক। ইতিমধ্যেই বিধাননগর কমিশনারেটের উচ্চপর্যায়ের পুলিশের আধিকারিকরাও জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে ওই পরীক্ষার্থীকে। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রীতম ঘোষের পাড়ার পরিচিত এক কাকার কাছ থেকে তিনি ইন্টারভিউ লেটার পেয়েছিলেন। ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে এই কললেটার তিনি পান বলেও সূত্রের দাবি। শনিবার টেটের চতুর্থ দফার ইন্টারভিউ চলছিল পর্ষদে। প্রায় ৪৫০ জনকে এদিন ডাকা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, তাঁদের সঙ্গেই পর্ষদ অফিসে প্রবেশ করেন দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের বাসিন্দা প্রীতম ঘোষ। কললেটার যাচাই করে দেখা যায় সেটি ভুয়ো। 

    আরও পড়ুুন: ‘‘নিরপেক্ষ থাকুন, না হলে পদপিষ্ট হতে হবে’’! পুলিশকে সতর্কবার্তা সুকান্তর

    পর্ষদ সূত্রে খবর, প্রীতম নামে ওই যুবক ইন্টারভিউয়ের জন্য যে ‘কল লেটারে’ এনেছিলেন তাতে তাঁর স্বাক্ষর ছিল না। এমনকি ইন্টারভিউ দিতে আসা চাকরিপ্রার্থীদের নামের যে তালিকা প্রকাশিত হয়েছিল, তাতেও ওই যুবকের নাম ছিল না। প্রাথমিকে নিয়োগের জন্য ইতিমধ্যেই চতুর্থ পর্যায়ের ইন্টারভিউ শেষ হয়েছে। আগামী সপ্তাহ থেকে পঞ্চম পর্যায়ের ইন্টারভিউ শুরু হওয়ার কথা। আগামী সপ্তাহ থেকে ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে পঞ্চম পর্যায়ে ইন্টারভিউ। মোট ছ’টি জেলার জন্য যাঁরা আবেদন করেছেন তাদের ইন্টারভিউ নেওয়া হবে এই পঞ্চম পর্যায়ে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • SSC Scam: গ্রুপ ডি নিয়োগেও ‘সীমাহীন দুর্নীতি’, ১০ দিনের মধ্যে রিপোর্ট তলব বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    SSC Scam: গ্রুপ ডি নিয়োগেও ‘সীমাহীন দুর্নীতি’, ১০ দিনের মধ্যে রিপোর্ট তলব বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রুপ ডি (Group D) নিয়োগেও সীমাহীন দুর্নীতির (SSC Scam) অভিযোগ সিবিআইয়ের। শুক্রবার স্কুলে গ্রুপ ডি শ্রেণির কর্মী নিয়োগ মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Ganguly) এজলাসে সিবিআই বলে, স্কুল নিয়োগে সীমাহীন দুর্নীতি হয়েছে। এদিন হাইকোর্টে এসএসসির আইনজীবী জানান, ১২৫টি ব্ল্যাঙ্ক ওএমআর শিটে স্কুলে নিয়োগ হয়েছে গ্রুপ ডি পদে। সিবিআই রিপোর্টে বিকৃত ওএমআর শিটের তথ্য খতিয়ে দেখে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে এই তথ্য জানিয়েছে এসএসসি। ১০ দিনের মধ্যে এসএসসি ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে গ্রুপ ডি-র বিকৃত ওএমআর শিট মামলায় বিশদ রিপোর্ট হলফনামা সহ পেশের নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

    ‘সীমাহীন দুর্নীতি’র খতিয়ান…

    এদিন ‘সীমাহীন দুর্নীতি’র খতিয়ান তুলে ধরে সিবিআই। তাদের দাবি, গ্ৰুপ-ডি কর্মী নিয়োগে মোট শূন্যপদ ছিল ৪৪৮৭টি। তার মধ্যে বেআইনিভাবে নিয়োগ করা হয়েছে ২৮২৩ জনকে। এঁদের সবার ওএমআর শিটে কারচুপি করা হয়েছে। যদিও সিবিআইয়ের দেওয়া পরিসংখ্যানের সঙ্গে সহমত পোষণ করেনি এসএসসি। এর পরেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, ১০ দিনের মধ্যে এসএসসি-কে (SSC Scam) হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে ১) গ্ৰুপ-ডি পদে কত শূন্যপদ ছিল? ২) শূন্যপদের নিরিখে কত সুপারিশপত্র দেওয়া হয়েছে? ৩) সিবিআই রিপোর্টে ২৮২৩ ওএমআর বিকৃতি, সুপারিশ করা চাকরির কতজনের  ওএমআর শিট বিকৃত হয়েছে? ৪) সুপারিশ করা চাকরিতে কতজন যোগ দেননি।

    আরও পড়ুুন: ‘পোজ’ দিয়েই মাংস-ভাত ছেড়ে উঠে গেলেন শতাব্দী, বীরভূমের ঘটনায় অস্বস্তিতে তৃণমূল

    মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে ১) কতজনের সুপারিশ তারা এসএসসি থেকে পায়? ২) কতজনকে নিয়োগপত্র দেয়? ৩) নিয়োগ প্রাপকদের নাম, বাবার নাম, স্কুলের নাম ঠিকানা সহ পরিচয় জানাতে হবে। এই মামলায় ইডির আইনজীবীর উদ্দেশে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য, আপনাদের এখনই কোনও নির্দেশ দিচ্ছি না। প্রাথমিক মামলা ভাল করে তদন্ত করুন। ১০ দিন পর আপনাদের কোনও নির্দেশ দিতে পারি। আগামী ৩১ জানুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • SSC Scam: হাইকোর্টের নির্দেশে ১০২ জনের চাকরি বাতিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদের, আজ নয়া নিয়োগ ৫১ জনকে

    SSC Scam: হাইকোর্টের নির্দেশে ১০২ জনের চাকরি বাতিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদের, আজ নয়া নিয়োগ ৫১ জনকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: র‍্যাঙ্ক জাম্প করে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ ছিল যাঁদের বিরুদ্ধে, সেরকম ১০২ জনের নিয়োগপত্র বাতিল করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পক্ষ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট গত বছর ১৪ ডিসেম্বর যে রায় দিয়েছিল তার ভিত্তিতে পর্ষদ ১০২ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিল করল। পর্ষদের তরফে বিজ্ঞপ্তিটি জারি করেছেন সেক্রেটারি সুব্রত ঘোষ।

    বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ পর্ষদের

    যে ১০২ জন শিক্ষকের নিয়োগপত্র বাতিল করা হয়েছে তাঁদের জায়গায় বুধবারই নিয়োগপত্র দেওয়া হবে ৫১ জনকে। যাঁরা বঞ্চিত হয়েছিলেন বলে অভিযোগ, তেমন ৬৫ জনকে ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাকা হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে থেকেই বুধবার নিয়োগপত্র নেবেন ৫১ জন। এমনটাই পর্ষদের তরফে জানানো হয়। কোন কোন শিক্ষককে হাইকোর্টের আদেশে চাকরি থেকে সরানো হয়েছিল সেই তালিকা প্রকাশ করেছে পর্ষদ। সেই তালিকাতে শিক্ষকের নাম এবং ওই কোন বিষয়ে স্কুলে পড়াতেন, কবে থেকে তিনি এই স্কুল শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন। তার সব তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। ১০২ জনকে কাউন্সেলিং-এর জন্য ডাকা সম্ভব নয়, কারণ ওয়েটিং লিস্টে মাত্র ৬৫ জনের নাম আছে। আদালতের নির্দেশেই ১০২ জনের সুপারিশ বাতিল করা হয়েছিল। মঙ্গলবার তাঁদের নিয়োগপত্রও বাতিল করা হল। 

    আরও পড়ুন: এজলাস বয়কটের ডাক আইনজীবীদের! আদালত অবমাননার রুল জারি বিচারপতি মান্থার

    ২০১৬ সালের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, এসএসসি-র নবম-দশমে ওই নিয়োগ হয়েছিল। প্রায় ৬৬৩ দিন ধরে আন্দোলনের পর অবশেষে চাকরি মিলছে বঞ্চিতদের। এত বছর পরে হলেও চাকরিটা তো পাচ্ছেন, এটাতেই খুশি তাঁরা। তবে দুর্নীতির কারণে যে এতগুলো বছর নষ্ট হল, সে কথা ভুলতে পারছেন না তাঁরা। শুধু নবম-দশম নয়, প্রাথমিকের ক্ষেত্রে এমন অনেক নিয়োগ বাতিল হয়েছে আদালতের নির্দেশে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য সহ অনেকে। প্রতিদিনই উঠে আসছে দুর্নীতির নানা ছবি। এরই মধ্যে হাইকোর্টের নির্দেশে পর্ষদের এই পদক্ষেপে খুশি চাকরিপ্রার্থীরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Abhijit Ganguly: “চাকরি পেতে টাকা কাকে দিয়েছিলেন আমাকে জানান”, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে বললেন বিচারপতি

    Abhijit Ganguly: “চাকরি পেতে টাকা কাকে দিয়েছিলেন আমাকে জানান”, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে বললেন বিচারপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে উত্তাল হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। গ্রেফতার হয়েছেন শিক্ষা দফতরের ভিভিআইরা। ভুয়ো শিক্ষকদের তালিকাও প্রকাশ করেছে রাজ্য। আর এরই মাঝে বড় মন্তব্য করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly)। তিনি ভুয়ো শিক্ষকদের উদ্দেশে বলেন, “কাকে চাকরির টাকা দিয়েছেন? ফেরত পেতে আমাকে জানান।” চাকরি হারানো প্রার্থীদের উদ্দেশে বিচারপতি পরামর্শ দিলেন, টাকা ফেরত পেতে চাইলে তাঁকে জানাতে পারেন তাঁরা।    

    বৃহস্পতিবার মোট ৬১ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি সংক্রান্ত আবেদনের শুনানি ছিল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Ganguly) এজলাসে। এদিন আদালতে তাঁদের নথি খতিয়ে দেখা হয়। এদের মধ্যে ৫৯ জন তাঁদের চাকরি ফিরে পাওয়ার সপক্ষে কোনও যুক্তি দেখাতে পারেন নি। তাই তাঁদের চাকরি বাতিলের নির্দেশ বহাল রাখা হয়। বাকি ২ জন শিক্ষকের নথি খতিয়ে দেখতে আরও সময় চেয়েছে আদালত। তাঁদের মামলা পরবর্তী শুনানির দিন শোনা হবে।    

    প্রসঙ্গত, বুধবারই ১৪৩ জন প্রাথমিক শিক্ষকের (Abhijit Ganguly) চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার আরও ৫৯ জনের চাকরি বাতিল করা হল। এর আগে ডিসেম্বর মাসেও প্রাথমিকে কর্মরত ৫৩ জনের চাকরি বাতিল করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ২৫৫ জনের চাকরি বাতিল করা হল।

    আরও পড়ুন: গণধর্ষণের তদন্তে পুলিশের উদাসীনতা, পশ্চিম মেদিনীপুরের এসপির বিরুদ্ধে কড়া নির্দেশ হাইকোর্টের

    কী বললেন বিচারপতি? 

    এদিন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly) আইনজীবীদের বলেন, “আপনাদের মক্কেলরা যে টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছিল আপনারা জানেন? কাকে টাকা দিয়েছিল চাকরি পাওয়ার জন্য? সেই কথা কি আপনাদের জানিয়েছে? এখন কি তারা টাকা ফেরত পেতে চায়? প্রয়োজনে আমাকে জানাতে পারেন।”

    বিচারপতির এহেন মন্তব্যে নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে। কৌতূহলী হয়ে উঠেছেন সবাই। তাহলে কী এভাবেই সর্বস্ব খোয়ানোর হাত থেকে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly) বাঁচাতে চাইছেন ভুয়ো শিক্ষকদের? নাকি দুর্নীতি চক্রের শেকল ভাঙতে এই মন্তব্য!

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     

     

  • SSC Scam: অঙ্কিতার থেকে প্রাপ্ত টাকা  ববিতাকে আলাদা করে রাখার নির্দেশ দিল হাইকোর্ট

    SSC Scam: অঙ্কিতার থেকে প্রাপ্ত টাকা ববিতাকে আলাদা করে রাখার নির্দেশ দিল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মন্ত্রী কন্যা অঙ্কিতা অধিকারীর (Ankita Adhikari) কাছ থেকে পাওয়া ১৫ লক্ষ টাকা ববিতা সরকারকে আলাদা করে রাখার পরামর্শ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। বৃহস্পতিবার ববিতা সরকারের চাকরির নিয়োগ মামলায় শুনানিতে বিচারপতি নির্দেশ দেন, অঙ্কিতা অধিকারীর বেতন বাবদ তাঁর থেকে পাওয়া ১৫ লাখ টাকা ববিতা যেন আলাদা করে ব্যাঙ্কে ফিক্সড ডিপোজিট করে রাখেন। কোনও কারণে মামলায় হার হলে ওই টাকা তাঁকে ফেরত দিতে হবে। ওই টাকা জমা দিতে হবে আদালতে। মামলার পরবর্তী শুনানি সোমবার।

    নম্বরে গরমিল

    হাইকোর্টের নির্দেশে সম্প্রতি চাকরি প্রার্থীদের নম্বরের তালিকা প্রকাশ করে স্কুল সার্ভিস কমিশন। তার পরই নম্বর নিয়ে বিভ্রাটের বিষয়টি প্রকাশ্যে চলে আসে। দেখা যায়, মেরিট লিস্টে ববিতা সরকারের মোট প্রাপ্ত নম্বর ৭৭, যার মধ্য়ে অ্যাকাডেমিক স্কোর ৩৩। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী ববিতা সরকারের অ্য়াকাডেমিক স্কোর ৩১ হওয়ার কথা। সেখানে তাঁকে ৩৩ নম্বর দিয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। এই দু’নম্বর হেরফের হওয়ার জন্য মেধা তালিকায় অনেক পরিবর্তন ঘটে যেতে পারে। ববিতা সরকারের বদলে উঠে আসতে পারে অন্য় কোনও দাবিদার চাকরিপ্রার্থীর নাম। তখনই ববিতা নন, তিনি চাকরির দাবিদার বলে এগিয়ে আসেন অনামিকা। মামলাও দায়ের করেন। অনামিকার বলেন, “২ নম্বর কমলে ১৪ জনের পিছনে চলে যাচ্ছেন ববিতা। ২১ নম্বরে আমার নাম রয়েছে। সেই নিরিখে চাকরিটি আমারই প্রাপ্য। 

    আরও পড়ুন: আরও ৫৯ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল, বন্ধ হবে বেতনও! নির্দেশ হাইকোর্টের

    এ প্রসঙ্গে ববিতা বলেন, “মিলিয়ে দেখলাম, ২ নম্বর বেশি হচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে আমার আইনজীবীকে জানাই আমি। কমিশন কেন করল, জানি না। বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করতে হবে। কারণ ২ নম্বর বেশি হলে আমার লড়াইটার বাস্তবতা থাকে না। আমার লড়াইটা অন্যায়ের বিরুদ্ধে, বেনিয়মের বিরুদ্ধে। আমি চাকরির দাবি কিন্তু করিনি।” ইতিমধ্যেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন ববিতা। আদালত যা সিদ্ধান্ত নেবে, মেনে নেবেন বলে জানিয়েছেন। এদিনের শুনানি শেষে আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী কী ভাবে অ্যাকাডেমিক বিভাগে পার্সেন্টেজ দেওয়া হয়, আর সংরক্ষিত প্রার্থীদের ৫ নাম্বার করে ছাড় কোন সময়ে দেওয়া হয়, সেই সব জানিয়ে হলফনামা জমা দিতে হবে এসএসসিকে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share