Tag: ssc scam

ssc scam

  • SSC Scam: নিজাম প্যালেসে এসএসসির ২ প্রাক্তন চেয়ারম্যান-সহ ৬ জনকে তলব সিবিআই- এর

    SSC Scam: নিজাম প্যালেসে এসএসসির ২ প্রাক্তন চেয়ারম্যান-সহ ৬ জনকে তলব সিবিআই- এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Scam) সংস্থার ২ প্রাক্তন চেয়ারম্যান-সহ ৬ জনকে নিজাম প্যালেসে তলব করল সিবিআই। মুখোমুখি বসিয়ে করা হয় জেরা। সোমবার গোয়েন্দা সংস্থার তলব পেয়ে সকালে নিজাম প্যালেসে যান এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান চিত্তরঞ্জন মণ্ডল ও প্রদীপকুমার সুর। এছাড়াও এসএসসির আরও ৪ আধিকারিককেও তলব করেছে সিবিআই। তারাও আজ নিজাম প্যালেসে যান।    

    হাইকোর্টের ভর্ৎসনার পর শনিবারই এসএসসির (SSC Scam) প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে হেফাজতে নিয়েছে সিবিআই। গোয়েন্দাদের দাবি, গ্রুপ সি নিয়োগ দুর্নীতিতেও সুবীরেশের হাত রয়েছে। কিন্তু এখনও এ বিষয়ে মুখ খোলেননি সুবীরেশ। কোনও প্রশ্নের উত্তর দিতে নারাজ তিনি। এই পরিস্থিতিতে সুবীরেশের মুখ খোলাতে চেয়ারম্যানদের মুখোমুখি বসিয়ে তাকে জেরা করেন গোয়েন্দারা। তাঁর অধীনে যে চার আধিকারিক কাজ করতেন তাঁদেরও মুখোমুখি বসানো হয়। সোমবার দুপুরে সিবিআই দফতরে পৌঁছন চিত্তরঞ্জনবাবু। 

    সংবাদমাধ্যমকে চিত্তরঞ্জনবাবু জানান, তাঁকে বেশ কিছু প্রশ্ন করা হয়েছে। এদিন দুপুরে সুবীরেশকে (SSC Scam) মেডিক্যাল পরীক্ষা করাতে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যান সিবিআই গোয়েন্দারা। সূত্রের খবর, সেখান থেকে ফেরার পর তাঁকে প্রদীপ সুরের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হয়।

    আরও পড়ুন: লালন শেখ হত্যা মামলায় এবার মানবাধিকার কমিশন, নির্দেশ কেন্দ্রের

    কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে গত শনিবার সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে (SSC Scam) সিবিআই হেফাজতে পাঠায় আলিপুর আদালত। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য  সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করেছিলেন তদন্তকারীরা। গ্রেফতারির পর থেকেই সুবীরেশ তদন্তে সহযোগিতা করছেন না বলে অভিযোগ করে এসেছেন সিবিআই আধিকারিকরা। সুবীরেশের নির্দেশেই নবম–দশম নিয়োগে সাদা খাতার নম্বর বাড়ানো হয়েছিল। সেই প্রমাণ ইতিমধ্যেই এসেছে গোয়েন্দাদের হাতে।

    ২০১৪- র জানুয়ারি থেকে ২০১৮- র জুলাই পর্যন্ত এসএসসির চেয়ারম্যান (SSC Scam) ছিলেন সুবীরেশ। তাঁর আগে, ২০১৩-র অক্টোবর থেকে ২০১৪-র জানুয়ারি পর্যন্ত চেয়ারম্যান ছিলেন প্রদীপকুমার শূর এবং ২০১১র জুন মাস থেকে ২০১৩-র অক্টোবর পর্যন্ত চেয়ারম্যান চিত্তরঞ্জন মণ্ডল। চিত্তরঞ্জন মণ্ডল সংবাদমাধ্যমের সামনে বলেন, “অনেক সুপারিশ চালককে দিয়ে নেতারা পাঠিয়েছে। প্যাডের পর প্যাড। প্রচুর সুপারিশ। বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রচন্ড চাপ ছিল।”  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Subiresh Bhattacharya: জামিন না-মঞ্জুর সুবীরেশের! ‘‘সমাজের সঙ্গে বেইমানি’’, অভিমত হাইকোর্টের

    Subiresh Bhattacharya: জামিন না-মঞ্জুর সুবীরেশের! ‘‘সমাজের সঙ্গে বেইমানি’’, অভিমত হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যের জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের যুক্তি, “শিক্ষক সমাজের মেরুদণ্ড। তাই শিক্ষক নিয়োগে যদি দুর্নীতি হয়, তা হবে সমাজের সঙ্গে বেইমানি।” 

    আদালতে সওয়াল জবাব

    বুধবার বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি অজয়কুমার গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চে সুবীরেশের জামিনের মামলার শুনানি ছিল। সুবীরেশের আইনজীবী আদলতকে জানান, ‘‘তাঁর মক্কেল এসএসসির চেয়ারম্যান থাকাকালীন নিয়োগ দুর্নীতি হয়নি। ২১ অক্টোবরের চার্জশিট মোতাবেক আমার মক্কেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁর মৌখিক নির্দেশেই প্রোগ্রামিং অফিসার উত্তরপত্র (ওএমআর শিট) পরিবর্তন করেছেন। কম নম্বর পেয়েছেন এমন প্রার্থীদের বেশি নম্বর দেওয়া হয়েছে। এমনকী, এসএসসির ওয়েবসাইটেও নম্বর পরিবর্তন করা হয়েছে। অথচ এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার জন্য তৈরি কমিটির মাথায় ছিলেন শান্তিপ্রসাদ সিনহা। আমার মক্কেলকে প্রথমে সাক্ষী হিসাবে ডাকা হয়েছিল। তার পরে গ্রেফতার করা হয়।’’এরপরই বিচারপতি বলেন, ‘‘একটি সংস্থার সর্বোচ্চ পদে ছিলেন। সেই জায়গায় কী ভাবে আপনাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ এড়িয়ে যেতে পারেন? যিনিই অভিযোগ আনুন, আপনি এত দিন কেন সচেতন হননি?’’

    আরও পড়ুন: শাহী সাক্ষাতে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে নালিশ, তুলে ধরলের তাঁর বিরুদ্ধে মামলার তালিকা

    সুবীরেশের ভাগ্নেকে তলব

    অন্যদিকে, নম্বরে গড়মিল করে নিজের ভাগ্নেকেও চাকরি করিয়ে দিয়েছেন সুবীরেশ ভট্টাচার্য,দাবি সিবিআইয়ের। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাই এবার সুবীরেশের ভাগ্নেকে নিজাম প্যালেসে তলব করল সিবিআই। কয়েকদিন আগে সুবীরেশ ভট্টাচার্যের অধীনে কাজ করা চারজন কর্মীকে তলব করেছিল সিবিআই। একইসঙ্গে ডাকা হয়েছিল দুই প্রাক্তন আধিকারিককে। তাঁদের কাছ থেকে যে তথ্য মিলেছে তা নিয়ে বেশ চাপে পড়ে গিয়েছে সুবীরেশ। সূত্রের খবর, এঁদের মাধ্যমেই সিবিআই জানতে পেরেছে সুবীরেশ ভট্টাচার্যের ভাগ্নের চাকরি পাওয়ার কাহিনী। সেটাই এবার যাচাই করতে চান সিবিআই অফিসাররা। সুতরাং মামা–ভাগ্নেকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter 

  • Subiresh bhattacharya: পাঁচ দিনের সিবিআই হেফাজতে সুবীরেশ ভট্টাচার্য

    Subiresh bhattacharya: পাঁচ দিনের সিবিআই হেফাজতে সুবীরেশ ভট্টাচার্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায়, পাঁচ দিনের সিবিআই হেফাজতে পাঠানো হল স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে (Subiresh Bhattacharya)। শনিবার এই নির্দেশ দিয়েছেন আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক। আদালতে এদিন সিবিআই জানায়,তদন্তের স্বার্থে সুবীরেশকে আরও জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে। তার পর এই নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আগামী ২২ ডিসেম্বর ফের আদালতে পেশ করা হবে তাঁকে। এর আগে নবম-দশম নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হেফাজতে ছিলেন সুবীরেশ।

    আদালতে সওয়াল-জবাব

    গত ১৯ সেপ্টেম্বর উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য তথা এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশকে (Subiresh Bhattacharya) গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। তাঁর বিরুদ্ধে নিয়োগ দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে। তার তদন্ত করছে সিবিআই। এই নিয়ে সুবীরেশকে দ্বিতীয় দফায় নিজেদের হেফাজতে পেল সিবিআই। গত বৃহস্পতিবার এসএসসি মামলায় (SSC Scam) কলকাতা হাই কোর্টে অস্বস্তিতে পড়েন কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য। জামিনের আবেদন করা হলে কোনও নির্দেশ দেয়নি আদালত। নির্দেশ দেয়নি বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি অজয় কুমার গুপ্তর ডিভিশন বেঞ্চ। তারা জানতে চায়, তদন্ত কোন পর্যায়ে আছে? কতদিন লাগতে পারে? আর এই তদন্তের জন্য সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে হেফাজতে রাখার প্রয়োজন আছে কি? 

    আরও পড়ুন: কেষ্টকে দিল্লিতে জেরা করতে পারবে কি ইডি? সোমবার রায়দান আদালতের

    শনিবার, সিবিআইয়ের আইনজীবী আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক অর্পণ চট্টোপাধ্যায়কে জানান, নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তের পরবর্তী ধাপে যাওয়ার ক্ষেত্রে সুবীরেশকে (Subiresh Bhattacharya) আরও জিজ্ঞাসাবাদ করার প্রয়োজন রয়েছে। তাঁর কাছে অনেক তথ্যপ্রমাণ আছে বলেও দাবি করেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। সুবীরেশের আইনজীবী তমাল মুখোপাধ্যায় আদালতকে জানান, তিনি জেলেই রয়েছেন। দরকার পড়লে সিবিআই তাঁকে জেলে গিয়ে জেরা করে আসতে পারে বলেও প্রস্তাব দেন তিনি। প্রসঙ্গত, প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে রয়েছেন সুবীরেশ। কিন্তু সুবীরেশের আইনজীবীর এই আবেদন খারিজ হয়ে যায়। বিচারক তাঁকে সিবিআইয়ের হেফাজতে নেওয়ার নির্দেশ দেয়। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • SSC Scam:  ওএমআর শিটে ৩, এসএসসি সার্ভারে ৫০! এটা কি পি সি সরকারের ম্যাজিক? প্রশ্ন বিচারপতির

    SSC Scam: ওএমআর শিটে ৩, এসএসসি সার্ভারে ৫০! এটা কি পি সি সরকারের ম্যাজিক? প্রশ্ন বিচারপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোন যাদুতে ওএমআর শিটে প্রাপ্ত ৩ নম্বর এসএসসি সার্ভারে বেড়ে ৫৩ হল তা জানতে চাইলেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। নবম – দশম শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Scam) যে ভাবে অযোগ্যদের নম্বর বাড়ানো হয়েছে তাকে পিসি সরকারের ম্যাজিকের সঙ্গে তুলনা করলেন তিনি। 

    বিচারপতি যা বললেন

    শুক্রবার এসএসসি দুর্নীতি (SSC Scam) নিয়ে এক মামলায় বিস্ময় প্রকাশ করে বিচারপতি  (Justice Abhijit Ganguly) বলেন, ‘ওএমআর শিটে যিনি ৩ পেয়েছিলেন, তাঁর নম্বর হয়ে গিয়েছে ৫৩। ১নম্বর হল ৫১, ২ নম্বর হল ৫২! এসব হল কী করে? জাদুকর কে? পিসি সরকার জুনিয়র (PC Sircar) নাকি সিনিয়র? কার ছোঁয়ায় নম্বরে এইরকম ম্যাজিক হল?’এ প্রসঙ্গে কমিশনের বক্তব্য জানতে চেয়েছে আদালত। চার দিনের মধ্যে এ বিষয়ে কমিশনকে উত্তর জানাতে বলেছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতির কথা শুনে হাসতে হাসতে যাদুকর পিসি সরকার বলেন  ‘এটা মোটেও পিসি সরকারের ম্যাজিক নয়। এটা পিবি সরকারের কেরামতি। পিবি সরকার হল পশ্চিমবঙ্গ সরকার।’

    আরও পড়ুন: শুভেন্দু ইস্যুতে হাইকোর্টে ফের একবার মুখ পুড়ল রাজ্যের, কী নির্দেশ দিলেন বিচারপতি?

    প্রসঙ্গত, সিবিআইয়ের তরফে আদালতে দাবি করা হয় যে, এই মামলায় আগেই স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC Scam) কীর্তি ফাঁস করেছে সিবিআই। তারা জানিয়েছে, গাজিয়াবাদের যে সংস্থাকে ওএমআর শিট স্ক্যান করতে দেওয়া হয়েছিল সেখানে শূন্য পাওয়া প্রার্থীদের নম্বর বাড়িয়ে করা হয়েছে ৫৩। এরকম প্রতিটি ক্ষেত্রে বেড়েছে নম্বর। এর পরই ২ দফায় ২২৩ জন অযোগ্য প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করে এসএসসি। তার মধ্যে ৪০ জনের ওএমআর শিট প্রকাশ করেছে তারা। সেখানে দেখা যায় প্রচুর চাকরিপ্রার্থীর নম্বর বৃদ্ধি হয়েছে। তাঁদের মধ্যে বারো জন শিক্ষক তাঁদের ওএমআর শিটে প্রাপ্ত নম্বরের সমর্থনে আদালতে আবেদন করেন। তাঁদের মামলায় যুক্ত করে একত্রে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এ-ও দাবি করে, এসএসসি-র ওই হার্ড ডিস্ক তদন্তের মোড় ঘুরিয়ে দেবে। আগামী ২০ ডিসেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • SSC Scam: “লজ্জাজনক… সব নিয়োগ বাতিল করে দেব”, অভিযুক্ত ২১জনকে সিবিআই জেরার নির্দেশ বিচারপতি বসুর

    SSC Scam: “লজ্জাজনক… সব নিয়োগ বাতিল করে দেব”, অভিযুক্ত ২১জনকে সিবিআই জেরার নির্দেশ বিচারপতি বসুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Scam) মামলা যেন শেষ হওয়ার নামই নিচ্ছে না। আর একের পর এক মামলার তদন্তভার দেওয়া হচ্ছে সিবিআইকে। ২০১৬ সালে নবম-দশম শ্রেণির (SLST) ২১ জনের বেআইনি ভাবে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে মামলা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশও দেওয়া হয় আদালতের তরফে। আর আজ সেই ২১ জনকে জেরা করার জন্য সিবিআইকে অনুমতি দিল হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। বয়স কম দেখিয়ে চাকরি দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। জানুয়ারি মাসে এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

    ২১ জনের সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদে অনুমতি হাইকোর্টের

    ২০১৬ সালে নবম এবং দশম শ্রেণিতে বয়স কমিয়ে এবং অ্যাকাডেমিক নম্বর বেশি দেখিয়ে অনেককে শিক্ষক পদে চাকরি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করে ১৯২ জন চাকরিপ্রার্থী হাইকোর্টে মামলা করেন। চাকরিতে নিয়োগের জন্য বয়সসীমা ৪০ বছর। কিন্তু সেই বয়স পেরিয়ে গেলেও নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন মামলাকারী (SSC Scam)। মামলাকারীদের দাবি, “এসএসসি-র দেওয়া মেধাতালিকা তথ্যেই স্পষ্ট, বয়স পেরোনোর পরেও চাকরি দেওয়া হয়েছে। এতে সিবিআই তদন্তের দরকার।”

    আরও পড়ুন: অষ্টম শ্রেণি পাশেই প্রাথমিকের শিক্ষক! ভাটপাড়া পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যানকে হাজিরার নির্দেশ হাইকোর্টে

    ইতিমধ্যেই আদালতের কাছে এই ২১ জনের তালিকা এসে পৌঁছেছে। ফলে সেখানে দেখা গিয়েছে, তাদের প্রকৃত বয়স ৪০-এর উপরে। কিন্তু চাকরির জন্য বয়স কম করে দেখিয়েছে তারা। এরপরেই এতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। অন্যদিকে, ২০১৬ সালে অন্তত ১৬৩ জনকে বেআইনি ভাবে চাকরিতে নিয়োগের সুপারিশপত্র দেওয়া হয়েছিল বলে ইতিমধ্যেই হলফনামা দিয়ে মেনে নিয়েছে এসএসসি কর্তৃপক্ষ (SSC Scam)।

    আর এরপরেই এই মামলায় (SSC Scam) বুধবার বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর নির্দেশ, আপাতত অভিযুক্ত ২১ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে সিবিআই। এমনকী গোটা প্যানেল বাতিলের হুঁঁশিয়ারিও দেন বিচারপতি। আজ শুনানি পর্বে বিচারপতি বসু বলেন, “দুর্নীতি কোথায় হয়েছে তা দেখা হবে। কিছু যোগ্য প্রার্থীর কথা বিবেচনা করবে আদালত। যদি দেখা যায় অধিকাংশকেই বেআইনি ভাবে নিয়োগ করা হয়েছে তবে, প্রয়োজনে সব নিয়োগ বাতিল করে দেব।” সেই সঙ্গে তাঁর মন্তব্য, “স্কুল সার্ভিস কমিশনের মেধাতালিকায় থাকা ৪০ বছর বয়স পেরিয়ে যাওয়া ব্যক্তিকে চাকরি দেওয়া হয়েছে। এটা অত্যন্ত লজ্জাজনক।”

    হাইকোর্ট থেকে আরও নির্দেশ দেওয়া হল, নিয়োগ মামলায় (SSC Scam) বয়স, নম্বর ইত্যাদি খতিয়ে দেখে আদালতে ১৬ জানুয়ারির মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে হবে সিবিআইকে। ফলে এই নিয়োগ মামলায় আবার কী তথ্য সিবিআইয়ের হাতে উঠে আসে, সেটাই এখন দেখার। 

  • Partha Chatterjee: “আমি ন্যায় বিচার চাই…”, পার্থর জামিনের আবেদন ফের খারিজ করল আদালত

    Partha Chatterjee: “আমি ন্যায় বিচার চাই…”, পার্থর জামিনের আবেদন ফের খারিজ করল আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের মিলল না জামিন। গ্রেফতার হয়েছেন পাঁচ মাস হয়ে গেল তবু জামিন নেই। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Scam) মামলায় রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) জামিনের আবেদন ফের খারিজ হয়ে গেল। আগামী ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিল আদালত। আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতে এদিন পার্থ-সহ বাকি অভিযুক্তদেরও পেশ করা হয়। তাঁদেরও আগামী ১০ দিনের জন্য বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়ে দিল আদালত।

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত পার্থর জামিনের আবেদন খারিজ

    রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা তৃণমূলের শীর্ষস্তরের নেতা পার্থর (Partha Chatterjee) বিরুদ্ধে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার সরাসরি অভিযোগ এনেছে সিবিআই। চলতি বছর ২৩ জুলাই শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছিল ইডি। এদিন জেল হেফাজতের মেয়াদ শেষে ফের পিএমএলএ আদালতে (PMLA Court) পেশ করা হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। জামিনের জন্য আবেদন করা হয়। কিন্তু দুপক্ষের কথা শুনে আদালত ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয়।

    আদালতে সওয়াল-জবাব

    পার্থর (Partha Chatterjee) হয়ে এদিন সওয়াল করেন আইনজীবী সেলিম রহমান। জামিনের আবেদন করে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী সওয়াল করেন, পার্থবাবু কখনও নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেননি। কমিটি তাঁকে কখনও কোনও রিপোর্ট দেয়নি। তাহলে তিনি ষড়যন্ত্রে সামিল হলেন কী করে? তিনি বলেন, “নিয়োগে গঠিত উপদেষ্টা কমিটি যদি কিছু করে থাকে তাতে আমার মক্কেলের কোনও ভূমিকা নেই। চার্জশিটের পর কী করে আবার তদন্ত করার কথা বলতে পারে? এটা তো আইনবিরুদ্ধ। এই কথা রোজ বলে একজনকে দিনের পর দিন আটকে রাখা যায় না। আমার মক্কেল কোথাও যাবেন না। যে কোনও শর্তে জামিন চাইছি।”

    আরও পড়ুন: কলেজের অনুমোদন দিতে পার্থ-মানিক নিতেন কত টাকা জানেন? কী বলল ইডি?

    আর এর উত্তরে সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, “শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি একটা বিরাট ষড়যন্ত্র। এই ষড়যন্ত্রের রহস্যভেদ করতে পার্থর মত প্রভাবশালীদের জেলে রাখা দরকার। নইলে তথ্যপ্রমাণ নষ্ট হতে পারে। প্রত্যেকে ষড়যন্ত্রে যুক্ত। যেন একটা চেনের মাধ্যমে যুক্ত। অভিযুক্তরা সহযোগিতা করছেন না। তাই আমরা তাঁদের ফের জেল হেফাজতে চাইছি।”

    এর পর আদালত কক্ষে উঠে দাঁড়িয়ে পার্থবাবুও মুখ খুললেন। তিনি বলেন, “বৃহত্তর ষড়যন্ত্র কাকে বলে আমি জানতে চাই। এখানে সামাজিকভাবে আমার চরিত্র হননের কাজ চলছে।  এভাবে একজনকে জেলে আটকে রাখলে ভবিষ্যতে কেউ মন্ত্রী বা জনপ্রতিনিধি হতে চাইবে না। আমি মন্ত্রী, প্রতিদিন এক কথা শুনতে শুনতে কান ঝালাফালা হয়ে যাচ্ছে। আমি ন্যায় বিচার চাই।”

    বাকি অভিযুক্তদের জামিনের আবেদন খারিজ

    পার্থর পাশাপাশি এদিন আদালতে তোলা হয় কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, সুবীরেশ ভট্টাচার্য, শান্তিপ্রসাদ সিনহা, অশোক সাহাদের। এর পর দুপক্ষের সওয়াল শুনে রায়দান স্থগিত রাখে আদালত। বিকেল ৪টে নাগাদ ১০ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজত ঘোষণা করেন বিচারক। নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত পার্থ সহ ৭ জনকেই ২২ ডিসেম্বর অবধি জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়।

  • Manik Bhattacharya: ট্রাঙ্কে করে এল নথি, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মানিকের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ ইডি-র

    Manik Bhattacharya: ট্রাঙ্কে করে এল নথি, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মানিকের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ ইডি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharya) বিরুদ্ধে আদালতে ১৬০ পাতার চার্জশিট পেশ করল ইডি। বুধবার দুপুরে ইডির কর্তারা একটি ট্রাঙ্কে করে চার্জশিট এবং তার সমর্থনে নথিপত্র নিয়ে হাজির হন আদালতে। আর্থিক প্রতারণা আইন অনুসারে, গ্রেফতারির ৬০ দিনের মধ্যে চার্জশিট দিতে হয়। ফলে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত মানিক ভট্টাচার্যের মামলায় বিরুদ্ধে কবে চার্জশিট পেশ করা হবে তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছিল। এরপর আজ অবশেষে ৫৭ দিনের মাথায় বিশেষ ইডি আদালতে চার্জশিট জমা দিল তদন্তকারীরা। বিচারক শুভেন্দু  সাহার কাছে জমা দেওয়া হয় চার্জশিট।

    চার্জশিট পেশ ইডির

    ইডি সূত্রে খবর, ৬০ পাতার চার্জশিটের সমর্থনে ওই ট্রাঙ্কে প্রায় ৬০০০ পাতার নথি রয়েছে। ওই একই সূত্রে এ-ও জানা গিয়েছে যে, প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত এই চার্জশিটে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক (Manik Bhattacharya) ছাড়াও আরও ৫ জনের নাম রয়েছে। এর মধ্যে মানিকের স্ত্রী, পুত্র, মানিক ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল ছাড়াও চার্জশিটে অভিযুক্তের তালিকায় রয়েছে ২টি সংস্থার নাম। প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতিতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি তথা পলাশিপাড়ার বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলের নাম আগেই উঠে এসেছিল।

    চার্জশিটে কী কী তথ্য উঠে এল?

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, চার্জশিটে ইডি জানিয়েছে, তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya) অফলাইন রেজিস্ট্রেশন, অনলাইন ক্লাস ও ডিএলএড প্রতিষ্ঠানের রেজিস্ট্রেশনের নামে কোটি কোটি টাকা সরিয়েছেন। ডিএলএড কোর্সে অফলাইন ভর্তির জন্য পড়ুয়াদের কাছ থেকে প্রায় ২১ কোটি টাকার বেশি নেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। টাকা গিয়েছে মানিকের ছেলের কোম্পানিতে। চার্জশিটের সঙ্গে সাক্ষীদের বয়ানও আদালতে পেশ করতে চলেছে ইডি।

    আবার মানিকের ছেলে সৌভিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে বিএড এবং ডিএলএড কলেজের মানোন্নয়নের জন্য ৫০ হাজার টাকা করে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে চার্জশিটে। কিছু দিন আগে মানিকের স্ত্রীর সঙ্গে এক মৃত ব্যক্তির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেও ৩ কোটি টাকা পাওয়া গিয়েছিল। এসব তথ্যও উল্লেখ রয়েছে চার্জশিটে। ফলে এবারে চার্জশিটে মানিকের স্ত্রী, ছেলের নাম উঠে আসায় আরও অস্বস্তিতে পড়লেন মানিক (Manik Bhattacharya)।

    আদালতে জামিনের আবেদন করলেন মানিক

    এদিকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের মেয়াদ শেষে এদিন মানিককে (Manik Bhattacharya) ফের আদালতে পেশ করা হয়। আদালতে জামিনের আবেদন করেন মানিক। কিন্তু ইডি জানায় এই দুর্নীতিতে এখনও পর্যন্ত ৩০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এসেছে। ফলে অভিযুক্তকে হেফাজতে রেখেই তদন্ত চালানো হবে।

  • SSC Scam: ওএমআর শিটে কারচুপির প্রচুর প্রমাণ সিবিআইয়ের হাতে, রিপোর্ট পেশ হাইকোর্টে

    SSC Scam: ওএমআর শিটে কারচুপির প্রচুর প্রমাণ সিবিআইয়ের হাতে, রিপোর্ট পেশ হাইকোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি এসএসসি (SSC Scam) এবং সিবিআইকে ভুয়ো চাকরি প্রার্থী বাছাই করার নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আদালতে তথ্য পেশ করতে গিয়ে কিছুদিন আগেই ওএমআর জালিয়াতির কথা উল্লেখ করে সিবিআই। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু জাল শিক্ষকের ওএমআর শিট প্রকাশ করা হয়েছে এসএসসির ওয়েবসাইটে। বৃহস্পতিবার ওএমআর জালিয়াতি সংক্রান্ত রিপোর্ট আদালতে পেশ করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। কোন প্রক্রিয়ায় উত্তরপত্রের নম্বর বদলে দেওয়া হয়েছে, আদালতে তা পরিস্কার করা হয়েছে।

    রিপোর্টে কী জানিয়েছে সিবিআই? 

    সিবিআই রিপোর্টে উল্লেখ করেছে, মোট চারটি নিয়োগ পরীক্ষার ২৩ লক্ষ ওএমআর শিট বাছাই করা হয়েছিল সল্টলেকের এসএসসির (SSC Scam) অফিসে। পরবর্তীতে একাধিক উত্তরপত্রে নম্বর বাড়ানো হয়। তিনটি হার্ড ডিস্ক খতিয়ে দেখেই এই তথ্য পেশ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সিবিআই।

    গোয়েন্দাদের তরফে জানানো হয়েছে, এনওয়াইএসএ নামে একটি সংস্থাকে ওই চার নিয়োগ পরীক্ষার মূল্যায়নের বরাত দেওয়া হয়েছিল। সিবিআই- এর আরও দাবি, এসএসসি (SSC Scam) অফিস থেকে যে ডেটাবেস পাওয়া গিয়েছে, তার সঙ্গে মূল্যায়নকারী সংস্থা এনওয়াইএসএ-র মাদার ডেটাবেসের তথ্যের কোনও মিল নেই। অর্থাৎ শিট স্ক্যান করার দায়িত্বে থাকা সংস্থার দেওয়া নম্বর ইচ্ছামতো বদলেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। বিধাননগরে এসএসসি-র দফতরেই যন্ত্র এনে সমস্ত ওএমআর শিট স্ক্যান করে তারা। তার পর স্ক্যান করা কপি ও প্রার্থীদের প্রাপ্ত নম্বর হার্ড ডিস্কে ভরে স্কুল সার্ভিস কমিশনের হাতে তুলে দিয়েছিল তারা। সিবিআই জানিয়েছে, তার পর সেই নম্বর ওয়েবসাইটে আপলোড করে এসএসসি। কিন্তু হার্ড ডিস্কের নম্বর ইচ্ছামতো বদলে তারপর আপলোড করেন এসএসসি আধিকারিকরা।

    আরও পড়ুন: “আফতাবের ফাঁসি চাই! আগে তদন্ত হলে আমার মেয়েটা বেঁচে যেত”, বললেন শ্রদ্ধার বাবা

    গোয়েন্দারা আদালতকে জানিয়েছেন, প্রথম হার্ড ডিস্কে রয়েছে গ্রুপ ডি নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য, দ্বিতীয় হার্ড ডিস্কে রয়েছে গ্রুপ সি নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য। আর তৃতীয় হার্ড ডিস্কটিতে রয়েছে নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের ওএমআরের স্ক্যান করা তথ্য। গাজিয়াবাদে পঙ্কজ বনশল নামে এক ব্যক্তির ঠিকানা থেকে এই তিনটি হার্ড ডিস্ক উদ্ধার করে সিবিআই। পঙ্কজ বনশল এনওয়াইএসএ-র প্রাক্তন কর্মী বলে দাবি করেছেন গোয়েন্দারা। পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র মূল্যায়নের পরে নম্বর-সহ ডেটাবেসে রেখে দেওয়া হয়। সিবিআই দাবি করে, তিনটি হার্ড ডিস্ক এবং কমিশনের তথ্যভান্ডার পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, উত্তরপত্র মূল্যায়নে ব্যাপক কারচুপি করা হয়েছে। তদন্তের সময় কমিশনের (SSC Scam) ডেটাবেসও বাজেয়াপ্ত করে সিবিআই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।    

     

     

     

  • Manik Bhattacharya: কলেজের অনুমোদন দিতে পার্থ-মানিক নিতেন কত টাকা জানেন? কী বলল ইডি?

    Manik Bhattacharya: কলেজের অনুমোদন দিতে পার্থ-মানিক নিতেন কত টাকা জানেন? কী বলল ইডি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিএড কলেজের (BED College) অনুমোদন দিতে টাকা নিতেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি তথা বিধায়ক তৃণমূলের (TMC) মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)। এই তথ্য আগেই প্রকাশ্যে এনেছে ইডি। এবার কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থা প্রকাশ্যে নিয়ে এল আরও চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। ইডির দাবি, কেবল মানিক নন, কলেজগুলিকে অনুমোদন পাইয়ে দিতে টাকা নিতেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও। নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে মানিক ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলকে জেরা করেই এই তথ্য হাতে পেয়েছে বলে দাবি ইডির।

    ইডি-র চার্জশিট…

    মানিক ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলের বয়ানকে অস্ত্র করেই আদালতে চার্জশিট পেশ করেছে ইডি। তাতে বলা হয়েছে, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি হওয়ার পাশাপাশি ২০১১ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত এনসিটিই-র সদস্য ছিলেন মানিক। বিএড, ডিএলএড বা প্রাইমারি টিটার ট্রেনিং কলেজের চূড়ন্ত অনুমোদন পেতে হলে এনসিটিই-র অনুমোদন প্রয়োজন। চার্জশিটে পেশ করা তথ্যে দাবি করা হয়েছে, মানিক এই কাউন্সিলের সদস্যপদে থাকার সুবিধা কাজে লাগিয়ে রাজ্যে এই ধরনের বহু প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন পাইয়ে দিয়েছেন টাকার বিনিময়ে। সেই টাকার পরিমাণ নেহাত কম নয়। অনুমোদন পাইয়ে দিতে পার্থ নিতেন ৬ থেকে ৮ লক্ষ টাকা। আর মানিক নিতেন ২ থেকে ৫ লক্ষ টাকা।

    ইডি জানিয়েছে, বিএড ও ডিএলএড কলেজগুলির কাছ থেকে মোটা টাকা উৎকোচ নিতেন মানিক (Manik Bhattacharya) ও পার্থ। সব মিলিয়ে এর মোট পরিমাণ ২০ কোটি টাকা বলে আগেই জানিয়েছে ইডি। তদন্তকারীদের জেরায় তাপস জানিয়েছেন, ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেটে ৩২৫ জন প্রার্থীকে পাশ করিয়ে দেওয়া ও চাকরির নিয়োগপত্র দেওয়ার জন্য ‘ঘোষবাবু’ নামে পার্থ ও মানিকের কোনও এক প্রতিনিধিকে ৩ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছিল। প্রাইমারি টেটের যেসব প্রার্থী ওই টাকা দিয়েছিলেন, তাঁদের অনেকেই এখন শিক্ষকতা করছেন। 

    আরও পড়ুন: “তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়বে তৃণমূল সরকার”, বললেন নিশীথ প্রামাণিক

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে বুধবার কলকাতার পিএমএলএ আদালতে মানিক (Manik Bhattacharya), তাঁর ছেলে সৌভিক ও মানিকের স্ত্রীর বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করেছে ইডি। চার্জশিটে নথিভুক্ত হয়েছে মানিকের স্ত্রী শতরূপা ভট্টাচার্যের বয়ানও। ওই চার্জশিটে উঠে এসেছে কলকাতায় থাকা মানিকের কয়েকজন আত্মীয়ের বয়ানও। তাঁদের দাবি, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সাদা কাগজে এবং কিছু ব্যাঙ্কের নথিপত্রে সই করিয়ে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কার নামে কী ধরনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে, সে বিষয়ে কখনওই কিছু জানানো হয়নি তাঁদের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ।    

  • SSC Scam: সাদা খাতা জমা দিয়েও পেল ৫৩! ওএমআর শিট মামলায় রিপোর্ট জমা সিবিআইয়ের

    SSC Scam: সাদা খাতা জমা দিয়েও পেল ৫৩! ওএমআর শিট মামলায় রিপোর্ট জমা সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নবম-দশমের নিয়োগে যে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল, সেই মামলায় আদালতের নির্দেশের পর বেআইনিভাবে সুপারিশ করা ৪০ জনের ওএমআর শিট (omr sheet) ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC Scam)। এসএসসি-এর সাইটে ওএমআর শিট প্রকাশ করতেই বেরিয়ে আসল আসল সত্যিটা। ফাঁকা খাতা জমা দিয়েই পেয়েছে অনেক নম্বর, আবার ওএমআর শিটে নম্বর পরিবর্তনেরও অভিযোগ উঠে এসেছে। ফলে ওএমআর শিট (OMR Sheet) জালিয়াতির মামলায় বৃহস্পতিবার রিপোর্ট জমা দিল সিবিআই।

    ওএমআর শিট থেকে কী তথ্য পাওয়া গেল?

    আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, ৪০ জন প্রার্থীর ওএমআর শিট প্রকাশ করা হয়েছে। আর তারপরেই দেখা গিয়েছে, বেশিরভাগ চাকরিপ্রার্থীর উত্তরপত্র ফাঁকা। শুধু  রোল নম্বর, ভেনু কোড, বুকলেট সিরিয়াল নম্বর, সাবজেক্ট কোডের জায়গায় গোল করা আছে। গোল করা আছে পরীক্ষার্থী কোন ক্যাটাগরির, কোন জেন্ডার আর কোন মাধ্যমে পরীক্ষা দিচ্ছেন। কিন্তু অদ্ভূতভাবে উত্তরপত্র পুরোটাই ফাঁকা। কেউ সেখানে কোনও দাগ দেননি।

    ফলে এসএসসি নবম – দশম নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Scam) কী ভাবে জালিয়াতি হয়েছিল ওএমআর  শিটে? কারা বদলেছিল নম্বর? এর পিছনে কার হাত রয়েছে? এ সব বিষয়ে তদন্ত করছে সিবিআই। আর তার বিস্তারিত রিপোর্ট আদালতে পেশ করল সিবিআই।

    আরও পড়ুন: ভাঙল অতীতের সব রেকর্ড, গুজরাটে ১৫০-রও বেশি আসনে এগিয়ে বিজেপি

    প্রসঙ্গত, নবম-দশমের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (SSC Scam) প্রথমে ১৮৩ জনের নাম প্রকাশ করেছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন, যাঁদের নাম বেআইনিভাবে সুপারিশ করা হয়। দ্বিতীয় ধাপে আরও ৪০ জনের নাম প্রকাশ করা হয়। দ্বিতীয় ধাপেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন, ৪০ জনের নামের সঙ্গে ওমএমআর শিটও প্রকাশ করতে হবে। এরপরই উত্তরপত্র প্রকাশ করে এসএসসি। ফলে তারপরেই এমন ধরণের ওএমআর শিটের নমুনা দেখতে পাওয়া যায়।

    এর আগেই সিবিআই আদালতে জানিয়েছিল যে, একাধিক প্রার্থীর ক্ষেত্রে ওএমআর শিটের নম্বর বদল হয়েছে। এই মামলায় (SSC Scam) ২০ জন প্যানেলভুক্ত ও ২০ জন ওয়েটিং লিস্টে থাকা প্রার্থীর নম্বরে কারচুপি করা হয়েছে বলে আদালতকে জানায় সিবিআই। এরপরই সেই তদন্ত সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছিল। তদন্তে দুটি মাদার ডিস্ক পেয়েছিল সিবিআই। একটি এসএসসি-র দফতর থেকে পাওয়া যায় ও অপরটি পাওয়া যায় গাজিয়াবাদ থেকে। সেখান থেকেই পাওয়া যায় ওএমআর শিটের তথ্য। সিবিআই তখন জানিয়েছিল, যাঁদের প্রাপ্ত নম্বর আসলে ছিল ৫ বা ৬, সেটাই বাড়িয়ে ৫৩ বা তার বেশি করে দেওয়া হয়। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এরপরেই মন্তব্য করেছিলেন, ‘ছিল রুমাল, হয়ে গেল বিড়াল।’

    সূত্রের খবর, কার নির্দেশে, কারা, কী ভাবে নম্বর বদল করেছে তার বিস্তারিত উল্লেখ রয়েছে রিপোর্টে। রিপোর্ট প্রকাশ্যে এলেই সব বিস্ফোরক তথ্য জানা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। কার নির্দেশে বাংলার শিক্ষায় এমন নৈরাজ্য নেমে এসেছে, তারই উত্তর চাইছে এখন পশ্চিমবঙ্গের মানুষ (SSC Scam)।

LinkedIn
Share