Tag: ssc scam

ssc scam

  • SSC Scam: সিটের দায়িত্ব নিচ্ছেন না অখিলেশ সিং, আদালতে জানাল সিবিআই

    SSC Scam: সিটের দায়িত্ব নিচ্ছেন না অখিলেশ সিং, আদালতে জানাল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পদোন্নতি হয়েছে অখিলেশ সিংয়ের (Akhlesh Singh)। দিল্লি থেকে আসামে বদলি হয়েছেন তিনি। গত ১৫ নভেম্বর তাঁর বদলিতে অনুমোদন দিয়েছে সংশ্লিষ্ট দফতর। তাই স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Scam) তদন্তে আসতে পারবেন না সিবিআইয়ের (CBI) প্রাক্তন ডিআইজি। বৃহস্পতিবার আদালতে একথা জানিয়ে দিলেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। প্রসঙ্গত, বুধবারই সিবিআইয়ের প্রাক্তন ডিআইজি অখিলেশ সিংহকে বিশেষ তদন্তকারী দলের (SIT) মাথায় বসানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhya)।

    সিবিআইয়ের আইনজীবী আদালতকে জানান…

    যেহেতু অখিলেশ আসতে পারছেন না, তাই সিবিআইয়ের আইনজীবী আদালতকে জানান, ডিআইজি পদমর্যাদার দক্ষ এক অফিসার রয়েছেন। তাঁকে নিয়ে এসে বসানো যেতে পারে সিটের মাথায়। এর প্রেক্ষিতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, একজন নয়, ডিআইজি পদমর্যাদার তিনজন অফিসারের নাম দিন। সেখান থেকে একজনকে বেছে নেবে আদালত। বিচারপতি জানান, শুক্রবার এই বিষয়ে শুনানি হবে। আগের দিনই এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে সিবিআই তদন্ত নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এদিন সিটেও পরিবর্তন করেছিলেন তিনি। নতুন করে ‘সিট’-এ নিয়োগ করা হয়েছে অংশুমান সাহা (ডেপুটি এসপি), বিশ্বনাথ চক্রবর্তী (ইন্সপেক্টর), প্রদীপ ত্রিপাঠি (ইন্সপেক্টর), ওয়াসিম আকরাম খান (ইন্সপেক্টর)। ২ অফিসারকে বাদ দিয়েছেন তিনি। এঁরা হলেন কে সি ঋষিনামল ও ইমরান আশিক। আদালতের নির্দেশ, এঁরা কোনওভাবেই এই সংক্রান্ত তদন্ত করতে পারবেন না। প্রসঙ্গত, নবম-দশম শ্রেণির নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Scam) মামলায় সিবিআই তদন্তকারী অফিসার কেসি ঋষিনামল। অন্যদিকে, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তকারী অফিসার ইমরান আশিক। এঁরা সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রী।

    আরও পড়ুন: গ্রুপ-ডি মামলায় সিবিআই তদন্তে অখুশি হাইকোর্ট, সিট পুনর্গঠন বিচারপতির

    এরই পাশাপাশি, সিবিআইয়ের প্রাক্তন ডিআইজি অখিলেশ সিং-কে ‘সিট’-এর প্রধান করা হয়েছে। আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, নিয়োগ তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তিনি এই তদন্ত থেকে সরে যেতে পারবেন না। অন্য কোনও মামলায় তাঁকে যুক্তও করতে পারবে না সিবিআই। আদালতের অনুমতি ছাড়া বদলিও করা যাবে না। ৭ দিনের মধ্যে দায়িত্ব নেওয়ার কথা ছিল অখিলেশের। তার মধ্যেই বদলি হয়ে যাওয়ায় এদিন সিবিআই জানিয়ে দিল, অখিলেশ আসতে পারবেন না।

    সিবিআই সূত্রে খবর, সিবিআইয়ের প্রাক্তন ডিআইজি অখিলেশ সিং ২০২১ সালের ১৭ মে নারদকাণ্ডে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র, সুব্রত মুখোপাধ্যায় (প্রয়াত) এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়কে বাড়ি থেকে নিয়ে এসে গ্রেফতার করেছিলেন। বগটুইকাণ্ড, ভাদু শেখ খুন, হাঁসখালিতে গণধর্ষণ, ঝালদা সহ একাধিক মামলার তদন্তও করেছেন তিনি। কয়লা পাচারকাণ্ড থেকে গরু পাচারের মতো গুরুত্বপূর্ণ মামলার তদন্তও করেছিলেন অখিলেশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

     

  • Manik Bhattacharya: নিখোঁজ জেলবন্দি মানিকের স্ত্রী-পুত্র! তিনটি বাড়িতেই তালা, বন্ধ মোবাইল ফোনও

    Manik Bhattacharya: নিখোঁজ জেলবন্দি মানিকের স্ত্রী-পুত্র! তিনটি বাড়িতেই তালা, বন্ধ মোবাইল ফোনও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একসময় প্রাথমিক টেট দুর্নীতির মামলায় অভিযুক্ত মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharya) নিখোঁজ হওয়া নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল গোটা রাজ্য জুড়ে। আর এবারে নিখোঁজ মানিকের স্ত্রী-পুত্র! এমনটাই দাবি ইডির। ইডি সূত্রে খবর, তাঁদের যাদবপুরের দু’টি বাড়িতে তালা। নাকাশিপাড়ার বাড়িতেও মা-ছেলের কোনও খোঁজ নেই। জেলে যাওয়ার আগে হঠাৎ উধাও হয়েছিলেন মানিক, তবে পরে তিনি জানিয়েছিলেন যে, তিনি কলকাতাতেই আছেন। কিন্তু এবারে স্ত্রী-পুত্রের খবর এখনও পাওয়া যায়নি। এমনকি স্ত্রী–পুত্রের মোবাইল ফোনেও পাওয়া যাচ্ছে না। তবে কোথায় গেলেন মা-ছেলে?

    আরও পড়ুন: প্রাথমিকে ৩২৫ জনের নিয়োগ করতে টাকা নিয়েছিলেন মানিক! ইডির হাতে নতুন তথ্য

    মানিকের স্ত্রী-পুত্রকে হন্যে হয়ে খুঁজছে ইডি

    প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি তথা তৃণমূলের বিধায়ক মানিক (Manik Bhattacharya) বর্তমানে জেলে রয়েছে। তাঁর বিষয়ে সব খুঁটিনাটি ও আরও তথ্য বিশদে জানতে মানিকের স্ত্রী শতরূপা ও ছেলে সৌভিককে খুঁজছে ইডির আধিকারিকরা। এছাড়াও তাঁর নামে যে ব্যাংক অ্যাকাউন্টের হদিশ পাওয়া গিয়েছে ও তাতে যে টাকা রয়েছে সেই টাকার উৎস কী, এসব বিষয়ে জিজ্ঞাসা করতেই তাঁদের তলব করা হয়েছিল। কিন্তু তাঁরা কোনও মতেই ইডির মুখোমুখি হচ্ছেন না। ইডি সূত্রে খবর, সৌভিককে তলব করা হলেও তা বারবার এড়িয়ে যাচ্ছেন ও তদন্তেও সহযোগিতা করছেন না। এরপর যখন ইডির আধিকারিকরা তাঁদের ফ্ল্যাট ও বাড়িতে গিয়ে পৌঁছেছেন, তখন দেখেছেন যে, দুই জায়গাতেই তালা মারা। তদন্তকারী অফিসার জানিয়েছেন যে, মানিক পুত্রের পাশাপাশি স্ত্রী শতরূপাও তদন্তে সহযোগিতা করছেন না।

    একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্টের হদিশ

    এর আগেই মানিকের (Manik Bhattacharya) ছেলে সৌভিকের ২টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের একটিতে ২ কোটি ৬৪ লক্ষ এবং অন্যটিতে ২ কোটি ৪৭ লক্ষ টাকা পাওয়া গিয়েছে। এই বিপুল পরিমাণ টাকার বিষয়ে সৌভিককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান তদন্তকারীরা। আবার মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রী শতরূপা দেবীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টেও তিন কোটি টাকার হদিশ মিলেছে। এখানেই শেষ নয়, মানিকবাবুর মেয়ে, জামাই এবং মেয়ের শ্বশুরের ব্যাংক অ্যাকাউন্টেরও খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে। কারণ ইডি দাবি করেছে যে, এই বিধায়কের পরিবারের সদস্য–আত্মীয়দের সঙ্গে যৌথ ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। আর এইসব কারণেই সৌভিক ও শতরূপাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা  অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই পরিস্থিতিতে ইডি আইনি পদক্ষেপ নিতে চাইছে ও তাঁদের পলাতক বলে জানিয়ে গ্রেফতার করার জন্য আদালতে পরোয়ানা জারি করার আবেদন করতে চাইছে ইডি।

  • Partha Chatterjee: জল তুলে এনে স্নান করিয়ে দিতে হবে! জেলে নতুন বায়না পার্থর

    Partha Chatterjee: জল তুলে এনে স্নান করিয়ে দিতে হবে! জেলে নতুন বায়না পার্থর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রেসিডেন্সি জেলে সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। আর জেলে আসা থেকেই হরেক রকম বায়না জুড়েছেন প্রাক্তন মন্ত্রী। তাঁকে সামলাতে রীতিমত হিমশিম খাচ্ছে জেল কর্তৃপক্ষ। প্রায় রোজই নতুন নতুন বায়না জুড়ে বিপদে ফেলেন তাদের। 

    প্রেসিডেন্সি জেলে খাদ্য তালিকা ঠিক করাই রয়েছে। আর সেই নিয়ম মেনেই খাবার দেওয়া হয় বন্দিদের। নিয়ম মেনে বন্দিদের সপ্তাহে তিন দিন দুপুরে আমিষ পদ দেওয়া হয়। মাছ হলে প্রত্যেক বন্দি পান দু টুকরো এবং মাংস হলে চার টুকরো। এ নিয়মের অন্যথা হয় না। কিন্তু সম্প্রতি জেল কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, তাঁকে চার টুকরো মাছ এবং মাংস হলে ছ টুকরো দিতে হবে বলে জেদ করছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, অন্য বন্দিদের থেকে তাঁকে সব সময় বেশি দিতে হবে।  

    এখানেই থেমে যান নি পার্থ বাবু। খাবার নিয়ে বায়না ছিল শুরু থেকেই। এবার এক নয়া বায়না জুড়েছেন তিনি। তাঁর নতুন দাবি, স্নানের সময় ড্রাম থেকে মগ দিয়ে জল তুলে তাঁর গায়ে ঢেলে দেওয়ারও লোক চাই। নিরাপত্তার কারণে ‘পহেলা বাইশ’ ওয়ার্ডে পার্থের দু নম্বর সেলের সামনে বড় প্লাস্টিকের ড্রামে জল রাখা থাকে। এত দিন তিনি নিজেই মগ দিয়ে সেই ড্রামের জল তুলে স্নান করতেন। কিন্তু এখন আর তাতে রাজি নন প্রাক্তন মন্ত্রী। জেল-কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, এটা সম্ভব নয়। কারণ, এই ধরনের কোনও আইন বা বিধি নেই। পার্থ অসুস্থ নন। শারীরিক ভাবে তিনি সক্ষম। সে-ক্ষেত্রে এমন ব্যবস্থা করা সম্ভব নয়। কিন্তু তা মানতে নারাজ পার্থ।

    আরও পড়ুন: ‘রোজগার মেলা’য় ফের ৭১ হাজার তরুণের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী

    এখানেও বায়না থেমে থাকলে তাও হত। কারারক্ষীদের আরও অভিযোগ, তাঁর ফোনের সময় কোনও রক্ষী আশেপাশে থাকা চলবে না। তাঁর সেলের সামনে সর্বক্ষণ রক্ষী রাখা যাবে না, অনুমতি নিয়ে সেলের সামনে আসতে হবে বলে দাবি করেছেন পার্থ। এ দাবিও মানা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন কারারক্ষীরা। উল্লেখ্য, জেলের ফোন থেকে প্রত্যেক বন্দি যে-কোনও তিনটি নম্বরে দশ মিনিট কথা বলতে পারেন। পার্থ দু’টি নম্বর জেল-কর্তৃপক্ষকে দিয়েছেন। একটি তাঁর আইনজীবীর, অন্যটি তাঁর এক আত্মীয়ের। 

    হেফাজতে পার্থ 

    উল্লেখ্য, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ২৩ জুলাই নাকতলার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে ইডি (ED)। শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তারপর একে একে গ্রেফতার হন পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়, শান্তিপ্রসাদ সিনহা, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়রা। আপাতত প্রত্যেকেই জেলে রয়েছেন। বেশ কয়েকবার জামিনের আবেদন করেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী। কিন্তু আদালত সেই আবেদনে সাড়া দেয়নি। ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত পার্থ-অর্পিতাদের জেল হেফাজতেই থাকতে হবে। ইতিমধ্যেই ইডি জানিয়েছে, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির অঙ্ক ১৫০ কোটি ছাড়িয়ে যেতে পারে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • SSC Scam: জামিন হল না পার্থ-সুবীরেশ সহ ধৃত ৭ জনের! এসএসসি কাণ্ডে ফের জেল হেফাজতের নির্দেশ

    SSC Scam: জামিন হল না পার্থ-সুবীরেশ সহ ধৃত ৭ জনের! এসএসসি কাণ্ডে ফের জেল হেফাজতের নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের জামিনের আর্জি খারিজ করা হল। এসএসসি কাণ্ডে (SSC Scam) জামিন হল না কারোরই। পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee), সুবীরেশ ভট্টাচার্য (Subiresh Bhattacharyya) সহ এসএসসি কাণ্ডে (SSC Scam) ধৃত ৭ জনেরই ফের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হল। 

    জামিনের আবেদন খারিজ

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (SSC Scam) জেল হেফাজতের মেয়াদ শেষে সোমবার ফের রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে আদালতে পেশ করা হয়। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পাশাপাশি আদালতে তোলা হয় কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, এসপি সিনহা, সুবীরেশ ভট্টাচার্য, অশোক সাহা, প্রদীপ সিং ও প্রসন্ন রায়কেও। আর আদালতে পুনরায় তোলার পরই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের তরফে জামিনের আবেদন করে তাঁর আইনজীবীরা। কিন্তু পার্থ-সুবীরেশ-কল্যাণময়-শান্তিপ্রসাদদের জামিনের আবেদন ফের খারিজ করা হল। ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত জেলেই থাকার নির্দেশ দিল পার্থ, কল্যাণময়, সুবীরেশদের।

    রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর কাতর আর্জি

    শীত আসছে, তাই জামিন চেয়ে কাতর আবেদন করেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু তাঁর কাতর আবেদনেও কাজ হল না। সেই জেলেই যেতে হল পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। এদিন তাঁর আইনজীবী আদালতে বলেন, পার্থবাবুর বয়স হয়েছে। তাঁর শারীরিক অবস্থা খারাপ হচ্ছে। শীত পড়লে তাঁর অবস্থা আরও খারাপ হতে পারে। তাই যে কোনও শর্তে জামিন দেওয়া হোক তাঁকে। হাতজোড় করে পার্থবাবু নিজেও বিচারককে বলেন, ”আমার শারীরিক অবস্থা খুব খারাপ।” কিন্তু কিছু করেই জামিন আর হল না (SSC Scam) ।

    আরও পড়ুন: তদন্ত কবে শেষ হবে? সিবিআইকে প্রশ্ন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    অন্যদিকে আদালত তাঁর জামিনের আর্জি খারিজ  করে ফের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিলে পার্থর তরফে উল্টে প্রশ্ন করা হয়, “অনন্তকাল ধরে জেলে থাকব নাকি?” যদিও এই প্রশ্ন তিনি নিজে করেননি, তাঁর আইনজীবী সেলিম রহমান করেন। তিনি জিজ্ঞাসা করেন, “শেষ ১৪ দিনে তদন্তের কী অগ্রগতি হয়েছে যে তাঁকে হেফাজতে রাখতে হবে? কেনই বা সিবিআই-এর তদন্তকারীরা আবার পার্থকে হেফাজতে পাঠাতে চাইছে?” কিন্তু এত কিছু করেও কোনও লাভ হয়নি। তাঁকে আবার ২৮ নভেম্বর পর্যন্তই জেলে থাকার নির্দেশ দিল (SSC Scam) ।

    বাকি অভিযুক্তদের আইনজীবীরা কী বললেন?

    অন্যদিকে সোমবার জেল হেফাজতের মেয়াদ শেষে পার্থর পাশাপাশি আদালতে তোলা হয়েছিল শান্তিপ্রসাদ, সুবীরেশদেরও (SSC Scam) । শান্তিপ্রসাদের আইনজীবী সঞ্জয় দাশগুপ্ত আদালতকে প্রশ্ন করে, দক্ষ এজেন্সি তদন্ত করার পরও কেন এত দিন লাগছে? সিবিআই-এর কতদিন লাগবে এই মামলায় সেটিও জানাতে বলেন তিনি। আবার অভিযুক্তদের শারীরিক অবস্থা এবং বয়সের কথাও ভেবে জামিনের আবেদনও করেন শান্তিপ্রসাদরে আইনজীবী।

    সুবীরেশের আইনজীবী তমাল মুখোপাধ্যায় বলেন, “তদন্তের কোনও অগ্রগতি হচ্ছে কি? সিবিআই শুধু মুখেই বৃহৎ ষড়যন্ত্রের কথা বলছে, কিন্তু তার প্রমাণ দিতে পাচ্ছে না।’’ ফলে প্রত্যেক অভিযুক্তের আইনজীবীরা নিজেদের বক্তব্য রেখে জামিনের আবেদন করলে আদালত শেষ পর্যন্ত কারোরই আবেদন মঞ্জুর করেনি। এসএসসি কাণ্ডে (SSC Scam) অভিযুক্ত প্রত্যেককে ফের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।

  • SSC Scam: ওএমআর শিটে নম্বর বদল হয়েছে সুবীরেশের ‘নির্দেশেই’! একাধিক অযোগ্য প্রার্থীদের তলব করল সিবিআই

    SSC Scam: ওএমআর শিটে নম্বর বদল হয়েছে সুবীরেশের ‘নির্দেশেই’! একাধিক অযোগ্য প্রার্থীদের তলব করল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে ওএমআর শিটে যাদের নম্বর বদল হয়েছিল এমন একাধিক চাকরিপ্রাপকদের তলব করল সিবিআই (CBI)। সিবিআই সূত্রে দাবি, ওএমআর শিটে নম্বর বদল হয়েছে ৬৬৭ জন চাকরিপ্রার্থীর (SSC Scam)।

    সিবিআইয়ের তলব

    নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এই চাকরিপ্রার্থীদের বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অংশ বলে উল্লেখ করেন আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক (SSC Scam)। ফলে এদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি কেন, এই নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে। এরপরেই আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়ে ওএমআর শিটে নম্বর পরিবর্তন হওয়া একাধিক চাকরিপ্রাপকদের তলব করেছে সিবিআই। আজ ও আগামীকাল পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং উত্তর দিনাজপুরের ২০ জন চাকরিপ্রাপকদের নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন ইতিমধ্যে এসে হাজিরও হয়েছেন। তাঁদের বয়ানে অসঙ্গতি পাওয়া গেলে সেটাও রেকর্ড করা হবে বলেই জানা যাচ্ছে।

    ওএমআর শিটে নম্বর বদল হয়েছিল কার নির্দেশে?

    গতকাল সিবিআই আদাতে দাবি করেছে, ৬৬৭ জনের নম্বর বদলের পিছনে হাত রয়েছে এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যর। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Scam) অভিযুক্ত সুবীরেশই একসময় জানিয়েছিলেন যে, তাঁর সময়ে কোনও দুর্নীতি হয়নি। কিন্তু গতকাল সিবিআই আদালতে দাবি করেন, সুবীরেশের ‘নির্দেশে’ই অযোগ্য প্রার্থীদের নম্বর বাড়ানো হয়েছিল। আর এই বিষয়ে আদালতে প্রমাণ হিসেবে বেশ কিছু নথিও পেশ করেছেন সিবিআইয়ের অফিসাররা।

    আরও পড়ুন: জামিন হল না পার্থ-সুবীরেশ সহ ধৃত ৭ জনের! এসএসসি কাণ্ডে ফের জেল হেফাজতের নির্দেশ

    গতকাল, সোমবার এসএসসির নবম-দশমের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মামলার শুনানি ছিল আলিপুর আদালতে (SSC Scam)। সিবিআই সূত্রে খবর, সিবিআই-এর তরফে আগেই দাবি করা হয়েছিল যে, এসএসসি মামলায় বেআইনি ভাবে ৬৬৭ জন অযোগ্য প্রার্থীর নম্বর বাড়ানো হয়েছে। এরপর এই মামলার আরও তদন্ত করে এক অভিযুক্তের বাড়ি থেকে ওই ৬৬৭ জনের তালিকা উদ্ধার করেছে সিবিআই। আর এরপরেই জানা গিয়েছে, ৬৬৭ জনের পরীক্ষার ওএমআর শিট বদলের পিছনের মূলচক্রী এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যই। তাঁর নির্দেশে এবং তাঁরই তত্ত্বাবধানেই অযোগ্য প্রার্থীর নম্বর টাকার বিনিময়ে বদল করা হয়েছে। সিবিআইয়ের দেওয়া এই তথ্যই নির্দেশনামায় তুলে ধরেছেন সিবিআই আদালতের বিচারক শেখ কালামউদ্দিন।

    আদালতে বিচারকের প্রশ্নের মুখে সিবিআই

    নবম-দশমে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (SSC Scam) সিবিআই-এর উদ্দেশে গতকাল কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ছুড়ে দেন আলিপুর কোর্টের বিচারক শেখ কালামুদ্দিন। তিনি প্রশ্ন করেন, যেসব অযোগ্য প্রার্থীরা টাকার বিনিময়ে নম্বর বাড়িয়েছেন, তাঁদের কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না? ৬৭৭ জনের মধ্যে কেন শুধু ৪ জনের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে? বাকিদের কবে বয়ান রেকর্ড করা হবে? তদন্ত কি অনন্তকাল চলবে? আবার তদন্তের গতি বাড়ানোর নির্দেশও দেন বিচারক। আর এসবের পরেই সিবিআই-এর তলব অযোগ্য প্রার্থীদের।

  • Partha Chatterjee: দুর্নীতির ৫০ কোটি টাকা গিয়েছে তাঁর কাছেই, পার্থর জামাইকে জেরা ইডির

    Partha Chatterjee: দুর্নীতির ৫০ কোটি টাকা গিয়েছে তাঁর কাছেই, পার্থর জামাইকে জেরা ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যেই ইডি স্ক্যানারে রয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্য (Kalyanmoy Bhattacharya)। বুধবার ইডি (Enforcement Directorate) তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করে। দুপুর দুটোয় আইনজীবীকে নিয়ে হাজির হন তিনি। তারপর চলে সাত ঘণ্টার ম্যারাথন জেরা। মূলত, পিংলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের প্রয়াত স্ত্রী বাবলি চট্টোপাধ্যায়ের যে স্কুল রয়েছে, সেখানে ১৫ কোটির বিনিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আর সেই বিষয়ে জানতেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামাইকে ডেকে পাঠিয়েছিল ইডি। ইডি সূত্রে খবর, তথ্যে একাধিক গরমিল থাকার কারণেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বুধবার রাত ১০ টার পর সিজিও থেকে বেরিয়ে যান কল্যাণময়। 

    আরও পড়ুন: জ্ঞানবাপী মসজিদে প্রাপ্ত ‘শিবলিঙ্গ’ সংরক্ষণের রায় বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট

    এবার উঠে এল আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, জামাইয়ের মাধ‌্যমে এসএসসি ও টেট দুর্নীতির ৫০ কোটি টাকা পাচার করেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ‌্যায়। এমনই তথ্য উঠে এসেছে তদন্তে। এই ব‌্যাপারে আরও তথ‌্য পেতে জেরা করা হয়েছে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ‌্যায়ের জামাই কল‌্যাণময় ভট্টাচার্যকে। ইডির দাবি, তাঁর বেশ কিছু উত্তরই সন্তোষজনক নয়। এখন না হলেও পরবর্তীকালে ফের তাঁকে জেরা করতে পারে ইডি।  

    কী অভিযোগ?

    ইডি গোয়েন্দাদের অভিযোগ, পার্থ চট্টোপাধ‌্যায়ের মেয়ে ও জামাই দেশের বাইরে থাকলেও তাঁদের মাধ‌্যমেই প্রাক্তন মন্ত্রী এসএসসি ও টেট দুর্নীতির বিপুল টাকা সরিয়েছিলেন। গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, জেরায় কল‌্যাণময় ভট্টাচার্য বলেছেন যে, তাঁর শ্বশুরের নির্দেশ অনুযায়ী তিনি, মামার বাড়ির লোকেদের দিয়ে টাকা সরাতেন। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, এই অবধি এসএসসি ও টেট দুর্নীতির ৫০ কোটি কালো টাকা পিংলার স্কুল ও পার্থর স্ত্রীর নামে তৈরি একটি ট্রাস্টের মাধ‌্যমে সাদা করা হয়েছে। নগদেও টাকার একটি বড় অংশ পাঠানো হয়েছে। কল‌্যাণময় ইডির জেরায় জানিয়েছেন, তিনি এবং তাঁর স্ত্রী দুজনেই আমেরিকার একটি আইটি সংস্থায় চাকরি করেন। ডলারে বেতন পেলেও লগ্নি করার মতো এত টাকা নেই তাঁদের। 

    নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। গ্রেফতার হয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। দুর্নীতির টাকা কোথায় কোথায় গিয়েছে তা জানতে তদন্ত করছে ইডি। ইতিমধ্যে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • SSC Scam: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় চাকরি প্রার্থী এবং প্রাপককে তলব সিবিআই- এর

    SSC Scam: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় চাকরি প্রার্থী এবং প্রাপককে তলব সিবিআই- এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাইকোর্টের ক্ষোভ প্রকাশের পরেই এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডে (SSC Scam) তৎপর সিবিআই। সোমবার এসএসসি গ্রুপ ডি এবং গ্রুপ সি – তে চাকরি পেয়েছেন এরকম বেশ কয়েক জন প্রার্থীকে তলব করা হল নিজাম প্যালেসে। এছাড়াও গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি চাকরি প্রার্থীদের কয়েকজনকেও তলব করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। হাই কোর্টের নির্দেশ অনুসারে করা হয়েছে তলব। 

    আরও পড়ুন: ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি! আদালতে ফের সরব শুভেন্দু

    চাকরি প্রাপকদের সুপারিশপত্র থাকলে সেই সংক্রান্ত নথি চেয়ে পাঠিয়েছে সিবিআই। এছাড়া, এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আজই মুর্শিদাবাদের ১৫ জন স্কুল পরিদর্শককে তলব করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাঁদেরকেও নিয়োগ সংক্রান্ত নথি সঙ্গে নিয়ে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

    কী প্রশ্ন করে সিবিআই?

    কীভাবে চাকরি পেল এই প্রার্থীরা? চাকরির অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার, ডেট অফ জয়েনিং, কবে পরীক্ষা হয়, কবে চাকরি পান সব কিছু খতিয়ে দেখতে চায় সিবিআই। পাশাপাশি এসএসসিতে চাকরি প্রার্থী গ্রুপ সি- এর প্রার্থীদের নিজাম প্যালেসে তলব করে আজ তাই জিজ্ঞেস করে সিবিআই। এই প্রার্থীদের নোটিশ দেওয়া হয় গত শনিবার। সেই অনুসারে আজ হাজিরা দেন নিজাম প্যালেসে। কবে পরীক্ষা ইন্টারভিউ হয় তারপর কেন এখনও চাকরি হয়নি। এসব প্রশ্ন করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। নিজাম প্যালেসে গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি যাঁরা চাকরি পেয়েছেন ও যাঁরা পাননি, দু ধরণের ব্যক্তিদের বয়ান রেকর্ড করে সিবিআই।        

    এছাড়া এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে বেসরকারি ডিএলএড কলেজ কর্তৃপক্ষকে তলব করেছে আরেক কেন্দ্রীয় সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। মুর্শিদাবাদ ও পূর্ব মেদিনীপুরের ৫টি কলেজের প্রিন্সিপ্যালকে আজ সিজিও কমপ্লেক্সে ডাকা হয়েছে। ইডি গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, অফলাইন ভর্তিতে কী কী নির্দেশ মানা হয়েছে, কীভাবে টাকা তোলা হয়েছে, সব জানতে চাওয়া হবে। মানিক ভট্টাচার্য ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বেসরকারি ডিএলএড কলেজগুলি সম্পর্কে বহু তথ্য হাতে এসেছে ইডি গোয়েন্দাদের।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

        

  • SSC Scam: উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

    SSC Scam: উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ (SSC Scam) দিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। কর্মশিক্ষায় অতিরিক্ত ৭৫০ জনের নিয়োগে স্থগিতাদেশ দিয়েছেন তিনি। পরবর্তী শুনানি না হওয়া পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন বিচারপতি। পরবর্তী শুনানি বৃহস্পতিবার, ১৭ নভেম্বর।

    কী বলল হাইকোর্ট

    মঙ্গলবার কর্মশিক্ষার শিক্ষক নিয়োগে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ (SSC Scam) দিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। আপাতত দু’দিনের জন্য এই নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন তিনি। হাই কোর্টের নির্দেশ, কোনও চাকরিপ্রার্থীকে এখনই সুপারিশপত্র দিতে পারবে না এসএসসি। আজ সাঁওতাল বিদ্রোহের নেতা বীরসা মুন্ডার জন্মদিন উপলক্ষে রাজ্য সরকার ছুটি ঘোষণা করেছে। তাই এদিন অফিস বন্ধ, ফলে নিয়োগপত্র দেওয়ার প্রশ্ন নেই, এমনটাই জানিয়েছে পর্ষদ। এদিন শুনানির সময়, কীভাবে ওয়েটিং লিস্ট তৈরি হয়েছে? তা পর্ষদের কাছে জানতে চায় আদালত।   

    আরও পড়ুন: টেট চাকরিপ্রার্থীকে কামড়-কাণ্ডে অভিযুক্ত পুলিশকর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদের সম্ভাবনা

    মামলার বিষয়

    প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয় রাজ্য স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)। পরে ২০১৭ সালের জুন মাসে শুধু মাত্র কর্মশিক্ষা বিষয়ে পরীক্ষা নেওয়া হয়। ২০১৮ সালে পার্সোনালিটি টেস্ট নেওয়া হয়। ১৪ অক্টোবর অতিরিক্ত শূন্য পদ তৈরি করে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল। ৩ নভেম্বর কাউন্সেলিংয়ের তারিখ জানায় এসএসসি। ১০ ও ১১ নভেম্বর ওয়েটিং লিস্টে থাকা প্রার্থীদের কাউন্সেলিংয়ের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছিল। শূন্যপদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরই আদালতের দ্বারস্থ হন সোমা রায় নামে এক চাকরি প্রার্থী। তাঁর অভিযোগ,  তিনি তফসিলি জাতিভুক্ত। পরীক্ষা এবং পার্সোনালিটি টেস্ট মিলিয়ে ৭২ নম্বর পেয়েছেন। কিন্তু ‘অ্যাকাডেমিক স্কোরে’ ২২-এর পরিবর্তে তাঁকে ১৮ নম্বর দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ সোমার। হাই কোর্টে সোমার দাবি, তিনি লিখিত পরীক্ষায় ৫৪ পেয়েছেন। অ্যাকাডেমিক স্কোরে ২২ পাওয়ার পর তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৭৬ হওয়ার কথা। কিন্তু তাঁকে দেওয়া হয়েছে ৭২ নম্বর। পাশাপাশি পার্সোনালিটি টেস্টের নম্বরও যোগ করা হয়নি। তাই ৩ নভেম্বর প্রকাশিত ওয়েটিং লিস্টে তাঁর নাম নেই। 

    বিচারপতির বক্তব্য

    মঙ্গলবার, এই নিয়োগ দুর্নীতি মামলার (SSC Scam) শুনানির সময়, বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু বলেন, ‘‘প্রতিটি নাম ধরে ধরে দেখতে চাই, কী ভাবে এই নিয়োগ হল। কমিশন জানে তারা স্বচ্ছ নয়। কী বিশেষ যোগ্যতার ভিত্তিতে প্রার্থী বাছাই হয়েছে, তা পর্ষদকে বিশদে জানাতে হবে।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • SSC Scam: ‘কমিশনের ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ নেই কেন?’ নিয়োগ মামলায় প্রশ্নের মুখে রাজ্য সরকার

    SSC Scam: ‘কমিশনের ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ নেই কেন?’ নিয়োগ মামলায় প্রশ্নের মুখে রাজ্য সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অতিরিক্ত শূন্যপদ মামলায় কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta High Court) অস্বস্তিতে স্কুল শিক্ষা কমিশন। মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য, “রাজ্য এবং স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC) অবস্থান যদি এক না হয় তাহলে কমিশন ভেঙে দেওয়া হোক।” আজ অতিরিক্ত শূন্যপদ মামলায় বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু ক্ষোভ উগরে দেন কমিশনের প্রতি (SSC Scam)। কমিশনের তরফে আবেদন করা হয়েছিল, যেসব অযোগ্যরা চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের চাকরি বহাল রেখে শূন্যপদের সংখ্যা বাড়ানো হোক। কিন্তু এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতেই বিচারপতি বিশ্বজিৎ এদিন বলেন বেআইনি ভাবে নিযুক্ত করা অযোগ্যদের বরদাস্ত করা হবে না।

    রাজ্য ও কমিশনের আলাদা অবস্থান

    হাইকোর্টের নির্দেশে গত ১৯ মে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল, বিভিন্ন শূন্যপদে নিয়োগের জন্য ৬৮২১ টি অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করা হয়েছে। গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি থেকে নবম-দ্বাদশ, শারীরশিক্ষা-কর্মশিক্ষা বিভিন্ন ক্ষেত্রেই যোগ্য কিন্তু বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের জন্যই এই পদ তৈরি করা। অর্থাৎ যেসব যোগ্য প্রার্থীরা চাকরি থেকে বঞ্চিত হয়েছেন তাদের নিয়োগ করা হবে। কিন্তু অন্যদিকে কমিশনের তরফে অবৈধ চাকরি পাওয়াদের তাঁদের পরিবারের কথা ভেবে, পুনর্বহালের জন্য অতিরিক্ত শূন্যপদ করার আবেদন করা হয়েছিল (SSC Scam)। আজ শুনানিতে এই বলা হয়েছে, কমিশনের এমন আবেদনের সঙ্গে রাজ্য সরকারের কোনও যোগ নেই, ফলে এরপরেই বিচারপতি প্রশ্ন করেছেন যে, রাজ্য সরকারের কি স্কুল সার্ভিস কমিশনের উপর কোনও নিয়ন্ত্রণে নেই? কমিশনের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপের কথা ভাবছে রাজ্য, প্রশ্ন বিচারপতির।

    আগামীকাল সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে রাজ্যের কাছে জবাব তলব করেছে হাইকোর্ট। আর কমিশনের উপর নিয়ন্ত্রণ বা থাকায় কমিশন ভেঙে দেওয়ার কথা বলেন বিচারপতি। রাজ্য কী পদক্ষেপ নিচ্ছে, সেটাই জানতে চেয়েছেন বিচারপতি (SSC Scam)।

    কী এই মামলা?

    কর্মশিক্ষায় ৭৫০টি ও শারীর শিক্ষায় ৮৫০টি সুপার নিউমেরিক পোস্ট তৈরির কথা জানানো হয়েছিল কমিশনের তরফে। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হওয়ার পর মামলাকারীরা জানান, কর্মশিক্ষা ও শারীর শিক্ষায় এমন ৬০ জন চাকরি করেন, যাঁদের প্রাপ্ত নম্বর মামলাকারীদের থেকে কম। সেই নিয়েই মামলা চলছিল। তবে এদিন কমিশনের ওই আবেদন পত্র দেখানো হতেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারপতি। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০ টায় ফের এই মামলার শুনানি আছে (SSC Scam)।

    স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে কেন এমন আবেদন করা হয়েছে?

    কমিশনের দাবি, যাঁদের নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, তাঁদের তিন বছর চাকরি হয়ে গিয়েছে। তাঁদের কাজ নিয়ে কোনও প্রশ্ন ওঠেনি, অভিযোগও নেই। তাই তাঁদের চাকরি রেখেই নতুন নিয়োগের কথা বলছে কমিশন। কমিশন আরও জানিয়েছে, এই চাকরির সঙ্গে রাজ্যের কোনও সম্পর্ক নেই। তাই রাজ্য সরকারের অন্য কোনও বিভাগে তাঁদের চাকরি দেওয়া সম্ভব নয়। তবে এই আবেদন প্রত্যাহার করা যেতে পারে বলে জানা গিয়েছে, সূত্রের খবর (SSC Scam)।

  • SSC Job Protest: কামড়ের পর এবার পুলিশের চিমটি! চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভে ধুন্ধুমার কালীঘাট

    SSC Job Protest: কামড়ের পর এবার পুলিশের চিমটি! চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভে ধুন্ধুমার কালীঘাট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবীন্দ্র সদনের পর এবারে কালীঘাট। ধুন্ধুমার পরিস্থিতি (SSC Job Protest)। ফের চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভে (Upper Primary Job Seeker Protest) উত্তাল কলকাতার রাজপথ। উচ্চ প্রাথমিকে (Upper Primary) নিয়োগের দাবিতে কালীঘাটের (Kalighat) রাস্তায় বিক্ষোভে বসেন চাকরিপ্রার্থীরা। কিন্তু বেলা একটা বাজতেই পুলিশ এসে ফের আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দেওয়া শুরু করে। রীতিমতো পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বাঁধে। এরপর প্রত্যেকবারের মত এবারেও টেনেহিঁচড়ে, চ্যাংলদোলা করে চাকরিপ্রার্থীদের প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়।

    কালীঘাটে চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, এদিন বেলা ১২টা নাগাদ আন্দোলনকারীরা কালীঘাট ও যতীন দাস পার্ক মেট্রো স্টেশন থেকে বেরিয়ে রাস্তায় বসে পড়েন। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে প্রচুর সংখ্যক মহিলাও ছিলেন।  দ্রুত নিয়োগের দাবিতে একাটানা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। সেই রকম আজও পথে নেমেছেন আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থীরা। এরপর বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করলে, সেখানে পৌঁছে যায় পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের সরে যেতে বলা হয়। তাতেই পুলিশ ও চাকরিপ্রার্থীরা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। শুরু হয় তুমুল ধস্তাধস্তি। পরিস্থিতি সামাল দিতে চ্যাংদোলা করে বিক্ষোভকারীদের প্রিজন ভ্যানে তোলা হয় (SSC Job Protest)।

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, আজ চাকরিপ্রার্থীরা মূলত দেখা করতে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। তবে বর্তমানে ঝাড়গ্রাম সফরে গিয়েছেন তিনি। আর প্রতিবারের মতো এইবারও পুলিশ আন্দোলনকারীদের সরিয়ে ফেলার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিল। ইতিমধ্যেই অভিযোগ উঠেছে যে, এবার পুলিশ তাদের চিমটি দিয়েছে। আজকের এই বিক্ষোভ নিয়ে ফের শোরগোল পড়ে গিয়েছে পুরো শহর জুড়ে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, আন্দোলনকারীদের দাবি, এই ধস্তাধস্তির সময় অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন (SSC Job Protest)।

    আন্দোলনকারীরা কী বললেন?

    এক আন্দোলনকারী বলেন, ‘আমরা দ্রুত নিয়োগ চাই। দ্রুত চাকরির আশ্বাস চাই। এতদিন পর্যন্ত আমরা পথে বসেছি। আন্দোলন করেছি। আমরা যোগ্য। তাও কেন আমরা চাকরি পাব না?’ আর এক আন্দোলনকারী বলেন, ‘দেখুন কী করছে ওরা। আমরা এই আন্দোলন চালিয়ে যাব। ন্যায্য পথে আমরা আন্দোলন করছিলাম। তখন আমাদের পথ আটকায়।’ আরও এক মহিলা বিক্ষোভকারী বলেন, ‘আমার জামা ছিঁড়ে দিয়েছে। চিমটি কেটেছে। আঁচড়ে দিয়েছে। দেখুন কী অবস্থা করেছে। আমাকে চুলের মুঠি ধরে সরিয়ে দিয়েছে। ওরা আমাদের উপর অত্যাচার করছে।’

    গত বুধবারের বিক্ষোভ

    ঠিক ৭ দিন আগে, এক্সাইড মোড়ে ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের জমায়েত ও বিক্ষোভ ঘিরে ধুন্ধুমার বেঁধে যায়। সেদিন রক্তও ঝড়ে। আবার অরুণিমা নামের এক আন্দোলনকারীকে কামড় দেওয়ার অভিযোগও উঠেছিল এক পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে। আর এবারে চিমটি দেওয়ার অভিযোগ উঠে এসেছে।

LinkedIn
Share