Tag: ssc scam

ssc scam

  • Partha Chatterjee: ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজত পার্থ-অর্পিতার! আদালতে কী বললেন প্রাক্তন মন্ত্রীর আইনজীবী?

    Partha Chatterjee: ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজত পার্থ-অর্পিতার! আদালতে কী বললেন প্রাক্তন মন্ত্রীর আইনজীবী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি নিয়োগ মামলায় ফের জেল হেফাজত পার্থ-অর্পিতার। বুধবার যে কোনও মূল্যে জামিন চেয়েছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী। শারীরীক অসুস্থতার কথা বলেছিলেন বারবার। কিন্তু আদালত তাতে আমল দিতে নারাজ। এদিন ফের জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। তাঁকে ফের ১৪দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। এদিন কোর্টে এসে নয়, জেল থেকে ভার্চুয়ালিই শুনানি হয় পার্থ-অর্পিতার। আদালত এদিন স্পষ্ট জানিয়ে দেয় জেলে তাঁদের কোনও মৌলিক অধিকার খর্ব হয়নি। যে কোনও শর্তে জামিনের আবেদন পার্থর, খারিজ আদালতের।

    এদিন আদালতে ভার্চুয়াল হাজিরার বিরোধিতা করে পার্থর আইনজীবী জানান, ‘আমার মক্কেলের শারীরিকভাবে হাজিরা দেওয়ার মৌলিক অধিকার রয়েছে।’ তবে, ভার্চুয়ালিই শুনানি হবে পার্থ-অর্পিতার, বলে জানিয়ে দেয় আদালত। তারপর যে কোনও শর্তে জামিন চান পার্থ। তাঁর আইনজীবী জানান,  ‘প্রয়োজনে একা পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে বাড়িতে রাখুন পুলিশি নজরদারিতে।’ তিনি আরও বলেন, ‘অপা ইউটিলিটি সার্ভিসেসের অংশীদার ছিলেন না পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এসএসসি বোর্ডের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন না। তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে। বিভিন্ন রকম শারীরিক অসুস্থতা রয়েছে তাঁর। চিকিৎসারও প্রয়োজন রয়েছে।’ 

    আরও পড়ুন: গরুপাচার মামলায় এবার সিবিআই- এর হাতে গ্রেফতার অনুব্রত ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলর

    অন্যদিকে ইডির আইনজীবী জানান, পার্থর নতুন আরও ৩০টি অ্যাকাউন্টের হদিশ পেয়েছে ইডি। মোট ১০০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছে। সেই সব অ্যাকাউন্টের লেনদেন খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। তাই পার্থকে জেল হেফাজতে রেখে সওয়াল করতে চায় ইডি। 

    অন্যদিকে, এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Scam) মিডলম্যান প্রসন্ন রায়ের আরও সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। বুধবার সকালে নিউটাউনের মহিষবাথান লোহারপুলের কাছে ‘মারলিন’ অভিজাত আবাসনের এক ফ্ল্যাট হানা দেয় সিবিআই (CBI)। প্রায় তিন ঘণ্টা চলে তল্লাশি। কার নামে কার থেকে কেনা হয়েছে ফ্ল্যাট, প্রসন্নর নামে কেনা হয়েছিল কি না, তা খতিয়ে দেখছে সিবিআই। এদিন সকাল সাড়ে ন’টা নাগাদ আবাসনের গেটে পৌঁছে যায় সিবিআই আধিকারিকরা। ফ্ল্যাটের নিরাপত্তারক্ষীর সঙ্গে বেশকিছুক্ষণ কথা বলেন। সঙ্গে ছিলেন সিআরপিএফ আধিকারিকরা। যাতে তল্লাশি চালানোর সময় সিবিআইকে বাধার মুখে না পড়তে হয়। এদিকে ফ্ল্যাটের চাবির জন্য প্রায় দেড় ঘণ্টা অপেক্ষা করেন তদন্তকারীরা। পরে মাস্টার কি দিয়ে ফ্ল্যাটের দরজা খুলে ভিতরে ঢোকেন তাঁরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     
  • Nadda on Mamata: পারলে আমাকে জেলে ভরো…মমতার মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় কী বললেন নাড্ডা? 

    Nadda on Mamata: পারলে আমাকে জেলে ভরো…মমতার মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় কী বললেন নাড্ডা? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবারই তাঁকে গ্রেফতার করার জন্য বিজেপিকে (BJP) চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এদিন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (TMCP) প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত একটি জনসভায় বক্তব্য রাখছিলেন মমতা। সেখানেই বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ জানান তিনি। এদিন তার কড়া প্রতিক্রিয়া জানাল বিজেপি। 

    দলের হেভিওয়েট দুই নেতাকে গ্রেফতার করেছে দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই এবং ইডি। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তৃণমূলের পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) গ্রেফতার হয়েছেন এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে (SSC Scam)। আর তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandol) গ্রেফতার হয়েছেন গরু পাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case)। দুজনকেই প্রথমে তলব করেছিল সিবিআই। পরে করা হয় গ্রেফতার। এদিনের সমাবেশে সেই প্রসঙ্গ টেনে গেরুয়া শিবিরকে নিশানা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে আমরা বিজেপিকে শূন্যে নামিয়ে আনব। তারা চায়, তৃণমূলের অন্য নেতাদেরও গ্রেফতার করতে। এর পরেই বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মমতা বলেন, এসো, আমাকে গ্রেফতার কর, যদি পার। আমি জেল থেকে বিজেপিকে গোহারা হারাব। তৃণমূল নেত্রী বলেন, এর পর ওরা মলয় (ঘটক) এবং ফিরহাদ (হাকিম)কে গ্রেফতার করতে চায়। অভিষেককেও…। মমতা বলেন, অভিষেককে ইতিমধ্যেই নোটিশ পাঠিয়েছে, নোটিশ পাঠিয়েছে তার স্ত্রীকেও। আমি বলছি, এমনকী তাদের ছেলেকেও নোটিশ পাঠাবে।

    আরও পড়ুন : সিবিআই থেকে জেল হেফাজত হতেই কেষ্ট-‘কলঙ্ক’ ঝেড়ে ফেলতে চাইছে তৃণমূল?

    দিল্লি দখল যে তাঁর প্রধান লক্ষ্য এদিন তাও গোপন করেননি মমতা। বলেন, আমার মূল লড়াই দিল্লির জন্য। দিল্লি থেকে বিজেপিকে তাড়াব। ২০২৪ সালে বিজেপিকে আমরা দিল্লি থেকে দূর করব। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা ভয় ছড়ানোর চেষ্টা করছেন। তাঁর অভিযোগ, বিজেপি লোকসভা নির্বাচন জিততে চায় প্রত্যেকে জেলের ভিতরে রেখে। আমি বলছি, তোমার যদি ধৃষ্টতা থাকে, তাহলে আমাকেও জেলে ঢোকাও। আমরা দেখব, নির্বাচনের ফল কী হয়। তৃণমূল নেত্রী বলেন, আমরা লড়াই করব, এবং আমরা জিতব এবং বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যুত করব।           

    তৃণমূল নেত্রীর এই মন্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে গেরুয়া শিবির। এই মুহূর্তে ত্রিপুরা সফরে রয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda)। তিনি বলেন, বিজেপি তৃণমূলের জনবিরোধী নীতি, দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা এবং মহিলাদের ওপর নৃশংসতার বিরোধী। তাঁর তোপ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী। অথচ তাঁর রাজ্যেই মহিলা পাচারের ঘটনা দেশের মধ্যে সব চেয়ে বেশি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Partha Chatterjee Aide: অর্পিতার মতো প্রসন্নরও রয়েছে ফিল্মি-যোগ? পার্থ-ঘনিষ্ঠদের ‘অপ’-কর্মেও মিল!

    Partha Chatterjee Aide: অর্পিতার মতো প্রসন্নরও রয়েছে ফিল্মি-যোগ? পার্থ-ঘনিষ্ঠদের ‘অপ’-কর্মেও মিল!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক ঘনিষ্ঠ অভিনেত্রী। আরেক ঘনিষ্ঠ প্রযোজক! এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে (SSC Recruitment Scam) জেল হাজতে থাকা তৃণমূলের (TMC) প্রাক্তন মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) এক ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) সঙ্গে ফিল্মি জগতের যোগ সকলেরই জানা। হরিদেবপুর (Haridevpur) ও বেলঘরিয়ায় (Belghoria) অভিনেত্রী-মডেল অর্পিতার জোড়া ফ্ল্যাট থেকে নগদ ৫০ কোটি টাকা উদ্ধার হওয়ার পর থেকেই তিনি রয়েছেন শ্রীঘরে।

    ইতিমধ্যেই, সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছে এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ২ মিডলম্যানও। একজন হলেন প্রদীপ সিং, অপরজন প্রসন্নকুমার রায় (Prasanna Kumar Roy)। এরমধ্যে সিবিআই সূত্রে দাবি, সম্পর্কে পার্থর ভাগ্নী-জামাই প্রসন্নর সঙ্গেও নাকি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির (Kolkata Film Industry) যোগসূত্র রয়েছে। অন্তত এমনটাই দাবি করছেন তদন্তকারীরা। জানা গিয়েছে, একসময় সিনেমা প্রযোজনাও করেছিলেন এসএসসি দুর্নীতি মামলায় সিবিআই-র ধৃত মিডলম্যান প্রসন্নকুমার রায়।

    আরও পড়ুন: সামান্য রং-মিস্ত্রি থেকে দুবাইয়ে হোটেল-মালিক! পার্থ-ঘনিষ্ঠর উল্কাবেগে উত্থানে তাজ্জব সিবিআই

    হেফাজতে প্রসন্নকে যত জেরা করছেন তদন্তকারীরা, ততই যেন তাঁর নিত্য-নতুন সম্পত্তির রহস্য উদঘাটিত হচ্ছে। এমনিতেই, তদন্তে উঠে এসেছে যে, সামান্য রং-মিস্ত্রি থেকে কীভাবে অল্প সময়ের মধ্যে স্রেফ পার্থর ‘প্রসন্নতায়’ বৈভবের চূড়ায় পৌঁছেছেন প্রসন্ন। এবার তাঁর আরও সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। 

    সিবিআই সূত্রে দাবি, প্রসন্নকুমারের একাধিক ফ্ল্যাটের মধ্যে রয়েছে আইডিয়াল ভিলা, হাওড়ার গাদিয়াড়ায় চলন্তিকা রিসর্ট–সহ নানা সম্পত্তি। প্রায় দশ বিঘা জমির উপর তৈরি হয়েছে চলন্তিকা রিসর্ট। হোটেলটি মূলত থ্রি স্টার। আবার টাইলস কারখানার খোঁজ মিলল তাঁর নামে। ২০১৫–১৬ সালে বাগনানে ১২ কোটি টাকা দিয়ে এই টাইলস কারখানা কেনেন। ওই কারখানাটি ৩০ বিঘা জমির উপর তৈরি।

    আরও পড়ুন: সিবিআই হেফাজতে আসতে পারেন পার্থ! ১৩১টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সন্ধান

    সিবিআই সূত্রে খবর, প্রসন্নকে জেরা করে অযোগ্যদের নিয়োগ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে। জানা গিয়েছে যে, প্রসন্নই তৈরি করতেন অযোগ্য প্রার্থীদের তালিকা। তারপর সেটি প্রদীপ সিংয়ের হাত ধরে পৌঁছে যেত এসএসসি-র প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহার কাছে।

    আবার, এই প্রসন্ন-ঘনিষ্ঠ এক পার্শ্বশিক্ষকও রয়েছেন সিবিআই রেডারে। আব্দুল আমিন নামে ওই ব্যক্তি পাথরঘাটা স্কুলের সহকারি শিক্ষক। ২০১৬ সালে পাথরঘাটা এলাকায় প্রাসাদোপম বাড়ি নির্মাণ করেন আমিন। সূত্রের খবর, বাড়িটি তৈরি করতে খরচ হয়েছে ১.৫ কোটি টাকা। কিন্তু ১০ হাজার টাকার চাকরি করে কীভাবে এত বড় বাড়ি বানিয়েছেন আমিন? তা খতিয়ে দেখছে সিবিআই। 

    তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, ২০১৪ সাল থেকে পাথরঘাটা হাই স্কুলের প্যারা টিচার হিসেবে কাজ করতেন। কাজের সূত্রেই কোনওভাবে প্রসন্ন রায়ের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা হয়। অভিযোগ, কয়েক লক্ষ টাকার বিনিময়ে আমিনও একাধিক ব্যক্তির চাকরি করিয়ে দিয়েছিলেন। সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত ১১৩টি চাকরি তিনি টাকার বিনিময়ে করিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • SSC Recruitment Scam: সামান্য রং-মিস্ত্রি থেকে দুবাইয়ে হোটেল-মালিক! পার্থ-ঘনিষ্ঠর উল্কাবেগে উত্থানে তাজ্জব সিবিআই

    SSC Recruitment Scam: সামান্য রং-মিস্ত্রি থেকে দুবাইয়ে হোটেল-মালিক! পার্থ-ঘনিষ্ঠর উল্কাবেগে উত্থানে তাজ্জব সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি দুর্নীতি কাণ্ডে (SSC Recruitment Scam) যত তদন্ত এগোচ্ছে, ততই এক-এক করে রহস্য ফাঁস হচ্ছে। ঝুলি থেকে বেরিয়ে পড়ছে এক এক করে বেড়াল। কয়েকদিন আগেই, এই মামলায় রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) ঘনিষ্ঠ এক মিডলম্যান প্রদীপ সিংকে (Pradip Singh) গ্রেফতার করে সিবিআই (CBI)। এবার সেই প্রদীপকে জেরা করে মেলা তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার আরেক মিডলম্যান প্রসন্ন কুমার রায়কে (Prasanna Roy) শুক্রবার সন্ধেয় সল্টলেক থেকে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। 

    কে এই প্রসন্ন রায়? সিবিআই সূত্রে খবর, প্রদীপের মতো ধৃত প্রসন্নও পার্থর ‘ঘনিষ্ঠ’। শুধু তাই নয়, শোনা যাচ্ছে, সম্পর্কে তিনি নাকি পার্থর ভাগ্নি-জামাইও। কেন সিবিআইয়ের নজরে এলেন প্রসন্ন? সল্টলেকে প্রসন্নর একটি গাড়ি ভাড়ার অফিস রয়েছে। সূত্রের খবর, এই অফিস থেকেই নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের একাধিক তথ্য এবং নথি উদ্ধার করেছে। সিবিআই গোয়েন্দাদের দাবি, এই অফিসেই বসেই নাকি হত এসএসসি কাণ্ডের টাকার লেনদেন। 

    আরও পড়ুন: সিবিআই হেফাজতে আসতে পারেন পার্থ! ১৩১টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সন্ধান

    সূত্রের দাবি, মূলত উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণা থেকে যে সব নিয়োগ হয়েছে, সেই সব চাকরি প্রার্থীদের থেকে টাকা নেওয়ার কাজ চলত সেখান থেকেই। তদন্ত করে সিবিআই জানতে পেরেছে, প্রায়ই রাতে একাধিক গাড়ি করে আসত টাকা। সেই টাকা কোথা থেকে আসত, কে পাঠাত, কোথায় যেত, কার কাছে যেত— এই সব প্রশ্নের উত্তর জানতে প্রসন্নকে নিজেদের হেফাজতে নিতে চাইছে সিবিআই। 

    ইতিমধ্যেই, প্রসন্নর উল্কার বেগে উত্থানের কাহিনী শুনে রীতিমতো চমকে উঠেছেন তদন্তকারীরা। সিবিআই সূত্রের খবর, প্রসন্নর এই উত্থান যে কোনও কল্পনাকেও হার মানাবে। কী জানতে পেরেছে সিবিআই? তদন্তে জানা গিয়েছে, কয়েক বছরের মধ্যেই বিপুল সম্পত্তির মালিক হয়ে উঠেছেন এই প্রসন্ন। তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ এতটাই যে শুনলে চোখ কপালে ওঠার জোগাড়! কয়েক বছর আগে পর্যন্ত সামান্য রং-মিস্ত্রির কাজ করতেন প্রসন্ন। সেখান থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ‘হাতযশেই’ ফুলেফেঁপে ওঠেন তিনি। সিবিআই জানতে পেরেছে, এখন তিনি দুবাইয়ে হোটেলের মালিক! পরে রঙের ঠিকাদারির ব্যবসা শুরু করেন। তারপর নাকি আচমকা এমন উত্থান! বর্তমানে গাড়ি ভাড়া দেওয়ার অফিস রয়েছে তাঁর। 

    কী আছে সেই সম্পত্তির তালিকায়? সিবিআই জানতে পেরেছে, সল্টলেক ও নিউটাউন এলাকায় একাধিক সম্পত্তি রয়েছে এই প্রসন্নর। নিউটাউনের বলাকা আবাসনে দুটি ফ্ল্যাট রয়েছে তাঁর। নিউটাউনে অন্তত পাঁচটি বাগান বাড়ি রয়েছে তাঁর। কলকাতার লেদার কমপ্লেক্স থানা এলাকায় একটি অভিজাত ভিলা রয়েছে প্রসন্নর— বিশাল ভিলা, সামনে বাগান একেবারে চোখ ধাঁধানো। 

    আরও পড়ুন: এবার পার্থর পকেটেও কাট ছাঁট! জানেন কত হল প্রাক্তন মন্ত্রীর এখনকার বেতন?

    এছাড়া, রাজারহাটের ধারসাইতে তাঁর তিন তলা বাগান বাড়ির হদিশ মিলেছে বলেও সূত্রের খবর। এ ছাড়া একাধিক জমির খোঁজ পেয়েছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। সেই বাগান বাড়িতে পার্থ চট্টোপাধ্যায় একাধিক বার গিয়েছেন বলেও সিবিআই সূত্রে দাবি৷ সিবিআই সূত্রে খবর, রাজ্যের চারদিকে যেমন— দিঘা, সুন্দরবন, জঙ্গলমহল, উত্তরবঙ্গে রিসর্ট রয়েছে প্রসন্নর। বেশ কয়েকটি চা বাগানেরও মালিক তিনি। উত্তরবঙ্গে তাঁর নামে কয়েক বিঘা জমিরও তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা। হোটেল ব্যবসা রয়েছে পুরী, উত্তরাখণ্ডেও। এমনকী দুবাইতেও তাঁর হোটেল রয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। 

    প্রশ্ন হচ্ছে, একজন রঙের ঠিকাদারের এত বিপুল সম্পত্তি, এত বৈভব কী ভাবে হল? তাহলে কি নিয়োগ দুর্নীতির টাকার সঙ্গে এই বিপুল সম্পত্তির যোগ রয়েছে? এমনটাই মনে করছেন তদন্তকারীরা। কীভাবে একের পর এক হোটেলের মালিক হলেন প্রসন্ন? তাঁর আয়ের উৎস কী? এই সব প্রশ্নের উত্তরই জানতে চাইছে সিবিআই। তদন্তকারীদের অনুমান, প্রসন্ন ও প্রদীপ এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে সরাসরি জড়িত। বিশেষ করে নিয়োগ দুর্নীতির টাকা কীভাবে ঘুরপথে সাদা করা যায়, সেই কাজই চালাত এই দুই ধৃত মিডলম্যান। অযোগ্য প্রার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে এসএসসি-র নিয়োগ কর্তাদের সঙ্গে যোগযোগা করতেন প্রদীপ।

    সিবিআই জানতে পেরেছে, শান্তিপ্রদসাদের ফোনে প্রদীপ সিং-র নাম ছোটু বলে সেভ করা ছিল। প্রদীপের ডাক নাম ছোটু। দুজনের কখোপকথনও হোয়াটসআপে পাওয়া গিয়েছে। প্রদীপ সিংকে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এবার প্রসন্নকেও হেফাজতে চাইবে সিবিআই। সূত্রের কবর, হেফাজতে নেওয়ার পর প্রদীপ ও প্রসন্ন দু’জনকেই মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হতে পারে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে এসএসসি দুর্নীতির অনেক প্রশ্নের উত্তরই মিলবে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • SSC Scam: পার্থ-কাণ্ডে এবার উঠে এল এক ব্যাঙ্ক দম্পতির নাম! কালো টাকা সাদা করতে এরাই কি সাহায্য করত ?

    SSC Scam: পার্থ-কাণ্ডে এবার উঠে এল এক ব্যাঙ্ক দম্পতির নাম! কালো টাকা সাদা করতে এরাই কি সাহায্য করত ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষা দুর্নীতি কাণ্ডে  নয়া মোড়। এবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের নজরে ব্যাঙ্কে কর্মরত এক দম্পতি (Bank employee couple)৷ গোয়েন্দাদের অনুমান, এই দম্পতিই প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha and Arpita) একাধিক ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খুলতে সাহায্য করেছিলেন। কোথায় কোথায় টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী, কোন ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে রাখা হত দুর্নীতির টাকা, তা খোঁজ করতে গিয়ে ইডির হাতে এসেছে এই দম্পতির নাম।

    আরও পড়ুন: জ্ঞানবন্ত না গেলেও দিল্লির ইডি দফতরে আজ যাচ্ছেন আর এক আইপিএস কোটেশ্বর রাও

    পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ফোনের কল ডিটেলস পরীক্ষা করে দেখার সময়ই ইডির হাতে এই তথ্য আসে। দেখা যায়, রাত হলেই দুটি বিশেষ নম্বরে ফোন করতে প্রাক্তন মন্ত্রী। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে মাত্র ২ কিমি দূরে সেই নম্বরের অবস্থান। এই দুটি বিশেষ নম্বর দেখে সন্দেহ হয় আধিকারিকদের। 

    এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ED) গোয়েন্দা সূত্রে খবর,  এই বিশেষ নম্বরটি একজন ব্যাঙ্ক কর্মীর। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটর গোয়েন্দাদের অনুমান, ব্যাঙ্কে কর্মরত এই কর্মী ও তাঁর স্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নানা অ্যাকাউন্ট খুলতে সাহায্য করতেন ৷ ইতিমধ্যেই ইডি প্রথমে পার্থ-অর্পিতার ৫০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের কথা জানালেও পরে আরও ১০টি অ্যাকাউন্টের খোঁজ পায়। এই অ্যাকাউন্টগুলোই খুলে দিয়েছিলেন ওই দম্পতি, অনুমান গোয়েন্দাদের। পাশাপাশি কালো টাকা কীভাবে সাদা টাকায় রূপান্তরিত করা যায়, সেই পরামর্শও দিতেন বলে অনুমান ৷ ফলে এই দম্পতিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় ইডি। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ওই ব্যাঙ্ক আধিকারিকদের সঙ্গে পার্থর বহুদিনের পরিচয়। পার্থকে সাহায্য করে ওই দম্পতিও দুপয়সা পেতেন কি না সেটাও খতিয়ে দেখছেন আধিকারিকরা। নামে বা বেনামে একাধিক রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি ব্যাঙ্কে অন্তত শতাধিক অ্য়াকাউন্ট খুলেছন পার্থ। সেই অ্য়াকাউন্টে অত্যন্ত কৌশলে টাকা রাখা হত। সেই অ্যাকাউন্টগুলিরই খোঁজ করছে ইডি।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • SSC Scam: জামিনের আর্জি খারিজ! এসএসসি দুর্নীতি-কাণ্ডে  শান্তিপ্রসাদ ও অশোকের আরও ৬দিন সিবিআই হেফাজত

    SSC Scam: জামিনের আর্জি খারিজ! এসএসসি দুর্নীতি-কাণ্ডে শান্তিপ্রসাদ ও অশোকের আরও ৬দিন সিবিআই হেফাজত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইতিমধ্যেই তদন্তে মিলেছে বেশ কিছু প্রমাণ। আরও জেরার প্রয়োজন রয়েছে। জানা যাবে অনেক নতুন তথ্য। সিবিআইয়ের এই যুক্তি মেনে নিয়েই এসএসসির দুই প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহা (S P Sinha) এবং অশোক সাহার জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল আদালত। তাঁদের আরও ৬ দিনের সিবিআই (CBI) হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।  ফলে ২২ অগস্ট পর্যন্ত শান্তিপ্রসাদ এবং অশোককে সিবিআই হেফাজতেই থাকতে হবে। বুধবার, আলিপুর কোর্টের বিশেষ আদালতে শুনানি হয়। গত ৭ দিনের জেরায় নতুন নতুন তথ্য উঠে এসেছে বলে এদিন আলিপুর আদালতে জানিয়েছে সিবিআইয়ের আইনজীবীরা। তাঁদের আরও দাবি, এই দুর্নীতির সঙ্গে অনেক প্রভাবশালী যুক্ত রয়েছেন। তাঁদের হদিশ পেতে উপদেষ্টা কমিটির দুই সদস্যকে আরও জেরা প্রয়োজন। 

    আজ, এসএসসি দুর্নীতি মামলায় এসপি সিনহা এবং অশোক সাহাকে আলিপুর আদালতে তোলা হয়। শুনানি চলাকালীন সিবিআইয়ের আইনজীবী আদালতে সওয়াল করেন, তিনি বলেন, ‘উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান শান্তিপ্রসাদ কোন এক্তিয়ারে চাকরির সুপারিশ করতেন?’ তিনি আরও প্রশ্ন করেন ‘তাঁকে এই ক্ষমতা কে দিয়েছিল?’ সুপারিশের চিঠির হস্তাক্ষর আর শান্তিপ্রসাদ সিনহার হাতের লেখার নমুনা মিলিয়ে দেখা হবে। কার নির্দেশে এই সুপারিশ তারা করত, তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছে সিবিআই।

    আরও পড়ুন: যৌথ ব্যবসার সত্যতা স্বীকার অর্পিতার! জেলে গিয়ে পার্থকে দেড় ঘণ্টা জেরা ইডি-র

    ইতিমধ্যে এসএসসি ভবনের এক কর্মীকে তলব করে সিবিআই। এসপি সিনহার সঙ্গে মুখোমুখি বসিয়ে তাঁকে জেরাও করা হয়। সেখান থেকেই শান্তিপ্রসাদের প্রভাবের কথা জানা যায়। ফলে এই দুই উপদেষ্টাকে জেরা করে আরও তথ্য উঠে আসবে বলে মনে করছে সিবিআইয়ের আইনজীবীরা। 

    গত বুধবার সকালেই শান্তিপ্রসাদ সিনহা এবং অশোক সাহার বাড়িতে হানা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। সেখানেই জেরা করা হচ্ছিল তাঁদের। অভিযোগ, জেরায় একাধিক তথ্য গোপন করেন এসএসসির প্রাক্তন দুই উপদেষ্টা। এরপরই তাদের গ্রেফতার করে সিবিআই। তাঁদের দু’জনকে নিজাম প্যালেসে রাখা হয়েছে।

  • SSC Scam: এসএসসি দুর্নীতি মামলায় সাতদিনের সিবিআই হেফাজতে এসপি সিন‍্‍হা, অশোক সাহা

    SSC Scam: এসএসসি দুর্নীতি মামলায় সাতদিনের সিবিআই হেফাজতে এসপি সিন‍্‍হা, অশোক সাহা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি দুর্নীতি (SSC scam) মামলায় শান্তিপ্রসাদ সিন‍্‍হা (Shantiprasad Sinha) ও অশোক সাহাকে (Ashok Saha) ৭ দিনের সিবিআই (CBI) হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। আগামী ১৭ অগাস্ট পর্যন্ত এসএসসি-র প্রাক্তন উপদেষ্টা তথা তৎকালীন সচিবকে সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।

    বুধবার সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন এসএসসির প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহা এবং তৎকালীন সচিব অশোক সাহা। বৃহস্পতিবার তাঁদের সিবিআই হেফাজতে পাঠাল আলিপুর আদালত (Alipore Court)। সূত্রের খবর, এদিনের শুনানিতে সিবিআই আইনজীবীরা সওয়ালে বলেন, এসএসসি দুর্নীতি বৃহত্তর এক ষড়যন্ত্র। অনেক প্রভাবশালী এর সঙ্গে জড়িত।

    আরও পড়ুন: এসএসসি দুর্নীতি মামলায় শান্তিপ্রসাদ সিন্‌হা ও অশোক সাহাকে গ্রেফতার সিবিআইয়ের

    স্কুল সার্ভিস নিয়োগে(School Service Recruitment) দুর্নীতি মামলায় সিবিআই যে এফআইআর দায়ের করেছিল তাতে প্রথম নাম ছিল শান্তিপ্রসাদের। চার নম্বরে নাম ছিল অশোক সাহার। মঙ্গলবার সকাল থেকে এই দুজনকে জেরা করছিল সিবিআই। সন্ধের মুখে দুজনকে গ্রেফতার করার কথা ঘোষণা করা হয় সিবিআইয়ের তরফে। প্রসঙ্গত, এই প্রথম এসএসসি মামলায় কাউকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। এর আগে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, শান্তিপ্রসাদ সিনহা, মানিক ভট্টাচার্যদের বহুবার জেরা করেছে সিবিআই।

    সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, জেরার সময়ে বিভ্রান্ত করছিলেন শান্তিপ্রসাদ এবং অশোক। তাঁদের কাছে জানতে যাওয়া হয়েছিল, উপদেষ্টা কমিটিকে কারা নিয়ন্ত্রণ করত। কীভাবে গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়া চলেছিল? কারা কারা তাঁদের নির্দেশ দিতেন? এ হেন প্রশ্নে এক-একবার একএক রকম জবাব দিচ্ছিলেন বলে জানা গিয়েছে নিজাম প্যালেস সূত্রে। এরপরই দুজনকে গ্রেফতার করে সিবিআই।

    আরও পড়ুন: পার্থ-অনুব্রত কাণ্ডের জের! “সবাই চোর নয়”, সাফাই আতঙ্কিত তৃণমূলের

    এর আগে সিবিআই নিজাম প্যালেসে জেরা করার পাশাপাশি শান্তিপ্রসাদের রিজেন্ট পার্কের বাড়িতে গিয়েও তল্লাশি চালিয়েছিল। শুধু তাই নয়। এসএসসি-র অন্য কর্তাদের দুয়ারেও হানা দিয়েছিল তদন্ত এজেন্সি। সিবিআই সূত্রে খবর, দু’জনকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে ৷ মূলত তাঁদের ঘর থেকে একাধিক পেনড্রাইভ, সিডি-সহ যে ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে সেগুলি দেখিয়ে জেরা করবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

  • SSC Scam: এবার পার্থর পকেটেও কাট ছাঁট! জানেন কত হল প্রাক্তন মন্ত্রীর এখনকার বেতন?

    SSC Scam: এবার পার্থর পকেটেও কাট ছাঁট! জানেন কত হল প্রাক্তন মন্ত্রীর এখনকার বেতন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেলবন্দি বিধায়ক পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে কড়া অবস্থান নিয়েছে শাসকদল৷ মন্ত্রিসভা থেকে ছেঁটে ফেলার পর দলের সমস্ত পদ থেকেও বরখাস্ত করা হয়েছে তাঁকে৷ এমনকী তৃণমূল থেকেও সাসপেন্ড করা হয়েছে প্রাক্তন মহাসচিবকে৷ এবার বেতনে কোপ পড়ল পার্থের৷ বিধানসভা সচিবালয় সূত্রে খবর, অন্যান্য বিধায়কদের তুলনায় ৬০ হাজার টাকা কম বেতন পাবেন তিনি৷ 

    নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Bengal Recruitment Scam) এই মুহূর্তে প্রেসিডেন্সি জেলে রয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় । এক সময় তিনি রাজ্য মন্ত্রিসভার দু’নম্বর ব্যক্তি হলেও এখন তিনি আর মন্ত্রী নন। সম্প্রতি বিধানসভার তরফ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে দুর্নীতির অভিযোগ মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে বিধানসভার কোনও কমিটিতে রাখা হবে না। এর প্রভাব পড়েছে তাঁর বেতনেও।  বিধানসভায় মোট ৪১টি কমিটি রয়েছে। প্রত্যেক বিধায়ককে ন্যূনতম দুটি কমিটিতে রাখা হয়, যাতে তাঁরা মাসে সর্বোচ্চ ৬০ হাজার টাকা বৈঠক-ভাতা নিশ্চিত করতে পারেন৷ 

    আরও পড়ুন: সিবিআই হেফাজতে আসতে পারেন পার্থ! ১৩১টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সন্ধান

    বিধায়করা মাসিক ২১ হাজার ৮৭০ টাকা মূল বেতন পেয়ে থাকেন, কোনওরকম ভাতা ছাড়া। এরপর যদি কোনও বিধায়ক পরিষদীয় কমিটির মিটিংগুলিতে যোগদান করেন, তবে ভাতা হিসেবে সর্বোচ্চ ৬০ হাজার টাকা পেয়ে থাকেন। সেক্ষেত্রে তাঁর মোট বেতন গিয়ে দাঁড়ায় ৮২ হাজার টাকা। তৃণমূল পরিষদীয় দলের এক সদস্যের কথায়, “পার্থ এখন জেলে রয়েছেন৷ উনি কবে আবার বিধানসভায় এসে কাজে যোগ দিতে পারবেন, তার কোনও ঠিক নেই। তাই তাঁকে কমিটিতে রাখারও কোনও মানে হয় না৷ এর চেয়ে যে সকল বিধায়ক নিয়মিত বৈঠকে যোগ দিতে পারবেন,  তাঁদেরকেই সুযোগ দেওয়া উচিত।”

    এমনিতেই সময় ভালো যাচ্ছে না রাজ্যের প্রাক্তন শিল্পমন্ত্রীর। ইডি (ED)-র জেরার মুখে পড়েছেন ৷ তাঁর একের পর এক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সিল করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এদিকে মন্ত্রিত্ব হারিয়ে বিগত দিন যে পরিমাণ বেতন পেতেন, তাও কমেছে পার্থর। সবমিলিয়ে এখন পার্থের শিরে-সংক্রান্তি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Partha Chatterjee: যৌথ ব্যবসার সত্যতা স্বীকার অর্পিতার! জেলে গিয়ে পার্থকে দেড় ঘণ্টা জেরা ইডি-র

    Partha Chatterjee: যৌথ ব্যবসার সত্যতা স্বীকার অর্পিতার! জেলে গিয়ে পার্থকে দেড় ঘণ্টা জেরা ইডি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি কেলেঙ্কারিতে (SSC Scam) ধৃত রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়েকে (Partha Chatterjee) জেলে গিয়ে জেরা করল ইডি। এদিন বেলা ১১টা নাগাদ পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জেরা করতে প্রেসিডেন্সি জেলে পৌঁছন ইডি গোয়েন্দারা। তৃণমূলের প্রাক্তন মহাসচিবকে প্রায় দেড়ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। গতকাল আলিপুর মহিলা সংশোধনাগারে গিয়ে অর্পিতাকে জেরা করে ইডি। সূত্রের খবর, পার্থ-অর্পিতার যৌথ ব্যবসা নিয়ে নথির সত্যতা স্বীকার করেছেন অর্পিতা। এরই ভিত্তিতে এদিন পার্থকে জেরা করা হয়। 

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করতে গিয়ে অর্পিতার হরিদেবপুর ও বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকে পঞ্চাশ কোটি টাকার কাছাকাছি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থার দাবি, ওই টাকার সঙ্গে শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারির যোগ রয়েছে। বর্তমানে ইডি হেফাজতে রয়েছেন অর্পিতা। সত্য উদ্ঘাটনে দফায় দফায় জেরা করা হয় তাঁকে। প্রথমে তাঁর ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া টাকার বিষয়ে কিছু জানা নেই বলে দাবি করলেও, পরে জানা যায় পার্থর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ২০১২ সাল থেকে। তাঁর ৩৭টি জীবনবিমা পলিসিতেও নমিনি হিসেবে পার্থর নাম রয়েছে।

    আরও পড়ুন : পার্থর ফোনে মিলল ৩০ হাজার মেসেজ, ইডির মতে, মহাসচিব ‘রসিক’ লোক

    মঙ্গলবার, ইডির তিন মহিলা আধিকারিক আলিপুর মহিলা সংশোধনাগারে গিয়ে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে জেরা করেন অর্পিতাকে। তখনই তিনি পার্থর সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতার কথা স্বীকার করেন। তদন্তকারীদের অর্পিতা বলেন, পার্থবাবু মাঝে মধ্যেই আমার ডায়মন্ড সিটির ফ্ল্যাটে আসতেন। এছাড়াও অন্যান্য সময় বহু জায়গায় দেখা হত। তবে বেশিরভাগ সময়ই উনি আমাকে দলীয় অফিসে যেতে বলতেন। তখন আশপাশে কোনও কর্মী কিংবা সাধারণ লোকজন থাকতেন না। এমনকি গাড়িতে চেপে বিভিন্ন জায়গায় বেড়াতে যেতাম দুজনে।

    ইডি সূত্রের খবর, জেরার সময় অর্পিতা এসএসসি ও টেট দুর্নীতিতে নিজেকে আড়াল করার চেষ্টা করেছেন বারবার। তবে পার্থ ও তাঁর ঘনিষ্ঠ কয়েকজন যে এই দুর্নীতিকাণ্ডে জড়িত, সেই ইঙ্গিতও দিয়েছেন অর্পিতা। জানা গিয়েছে, জেরায় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছে ইডি। সেই কারণেই আজ, বুধবার জেরা করা হয় পার্থকে। গত কয়েকদিন ধরে তদন্তকারীরা যেসব নয়া তথ্য পেয়েছেন, সেসব বিষয়েই জেরা করা হয়েছে পার্থকে বলে দাবি সূত্রের।

    আরও পড়ুন : স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে প্রেসিডেন্সি জেলে ৮ সদস্যের মেডিক্যাল টিম, ঠিক কী হয়েছে পার্থর?

     

  • SSC Scam: ১৪ দিনের জেল হেফাজত পার্থ-অর্পিতার! কেউ ছাড় পাবে না,  প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর নিশানায় কারা?

    SSC Scam: ১৪ দিনের জেল হেফাজত পার্থ-অর্পিতার! কেউ ছাড় পাবে না, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর নিশানায় কারা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (SSC Teacher Recruitment) আরও ১৪ দিনের জেল হেফাজত পার্থ-অর্পিতার। এদিন নির্দেশ মতোই আদালত কক্ষে পেশ করা হয় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে (Arpita Mukherjee)। সূত্রের খবর, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী এদিন আদালতে তাঁর স্বাস্থ্যের অবনতির কথা উল্লেখ করে জামিনের আবেদন করেন। সূত্রের খবর, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী নিজেও হাত জোড় করে জামিনের আবেদন জানান। কিন্তু তা খারিজ করে দেন বিচারপতি। তবে এদিন অর্পিতা মুখোপাধ্যায় বা তাঁর আইনজীবী জামিনের কোনও আবেদন জানাননি।

    ৫ অগাস্ট SSC নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ এবং অর্পিতাকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের রায় দেয় ব্যাঙ্কশাল আদালত। ১৪ দিন পর এদিন আদালতে পেশ করা হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে। আদালতে পার্থের আইনজীবী জানান, পার্থের হিমোগ্লোবিন কম। তাঁর শরীরে ক্রিয়েটিনিনের পরিমাণ বেড়েছে। একা চলাফেলার ক্ষেত্রেও তাঁর অসুবিধা রয়েছে বলে জানিয়েছেন পার্থের আইনজীবী। এর প্রেক্ষিতে ইডির আইনজীবী জানান, এই বয়সে এগুলি স্বাভাবিক। তাঁর পাল্টা দাবি, পার্থ তদন্তে সহযোগিতা করেননি। পার্থ-ঘনিষ্ঠ অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে বিপুল অর্থের উৎস সম্পর্কেও মুখ খোলেননি প্রাক্তন মন্ত্রী। ইডি প্রথমে ৫০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের কথা জানালেও পরে আরও ১০টি অ্যাকাউন্টের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে বলে বৃহস্পতিবার দাবি করেছে ইডি। পার্থের স্ত্রী বাবলি চট্টোপাধ্যায়ের নামে একটি ট্রাস্টের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। এই ট্রাস্টের নামে একটি ‘ইন্টারন্যাশনাল স্কুল’ আছে বলে আদালতকে জানিয়েছেন ইডি-র আইনজীবী। এই ট্রাস্টের মাধ্যমে টাকা তছরুপ করা হত বলেও দাবি করেছে ইডি।

     
    এদিন আদালতের প্রবেশপথে দাঁড়িয়ে পার্থের মন্তব্য ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর কথায়, “কেউ ছাড়া পাবে না।” যা নিয়ে শুরু হয়েছে প্রবল জল্পনা। কিছুটা বিরতি নিয়ে তাঁর সংযোজন, “সময়ে সব কিছু প্রমাণ হবে।” তবে এই ‘কেউ’ বলতে তিনি কাদের দিকে ইঙ্গিত করলেন, তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি পার্থ। শুধুমাত্র সময়ে প্রমাণ হবে বলেই জোরালো ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন। ফলে আদালতে দাঁড়িয়ে নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় গ্রেফতার হওয়া প্রাক্তন মন্ত্রীর এমন মন্তব্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
LinkedIn
Share