Tag: ssc scam

ssc scam

  • SSC Scam: জুটিতে তাইল্যান্ড-গোয়ায় গিয়েছিলেন পার্থ-অর্পিতা! সেখানেও বিনিয়োগ? কী বলছে ইডি

    SSC Scam: জুটিতে তাইল্যান্ড-গোয়ায় গিয়েছিলেন পার্থ-অর্পিতা! সেখানেও বিনিয়োগ? কী বলছে ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একসঙ্গে গিয়েছিলেন তাইল্যান্ড-গোয়া (Thailand-Goa)। সমস্ত খরচ বহন করেছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ (Partha) চট্টোপাধ্যায়। শুধুই তাঁর সঙ্গী হয়েছিলেন এবং মনোরঞ্জন করেছিলেন তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা (Arpita) মুখোপাধ্যায়। শুধু তা-ই নয় মা হওয়ারও ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন অর্পিতা। সম্মতি দিয়েছিলেন পার্থ। এসএসসি (SSC Scam) নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পেশ করা ইডির চার্জশিটে এমনই দাবি করা হয়েছে। ইডির দাবি, ওই সব সফরে পার্থ-অর্পিতার সঙ্গী হয়েছিলেন স্নেহময় দত্ত। তাঁকে জেরা করেই এই সব তথ্যের সন্ধান পেয়েছে ইডি (ED)।

    আরও পড়ুন: রাজসাক্ষী হচ্ছেন অর্পিতা! চার্জশিটে কী বলল ইডি?

    সোমবার সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে ১৭২ পাতার চার্জশিট-সহ ১৪ হাজার ৬৪০ পাতার নথি জমা দিয়েছে ইডি। তাতে দাবি করা হয়েছে, একাধিকবার তাইল্যান্ড-গোয়ায় গিয়েছিলেন পার্থ ও অর্পিতা। তবে ঠিক কত বার তাঁরা তাইল্যান্ড সফর করেছেন তা আদালতে পেশ করা চার্জশিটে উল্লেখ করেনি তদন্তকারী সংস্থা। ইডির দাবি, স্নেহময় জানিয়েছেন, তাইল্যান্ড এইচআর অ্যাসোসিয়েশনের আমন্ত্রণে ২০১৪-১৫ সালে ফুকেট গিয়েছিলেন পার্থ-অর্পিতা। ওই চর্জশিটে আরও ৪৩ জনের বয়ানের রেকর্ড রয়েছে। স্নেহময় আরও জানান, ডায়মন্ড সিটি সাউথের ফ্ল্যাটে অর্পিতার সঙ্গে তাঁর পরিচয় করিয়ে দেন প্রাক্তন মন্ত্রী। সিমবায়োসিস মার্চেন্টস নামে একটি সংস্থার বস অর্পিতা-এমনই পরিচয় দেন পার্থ। শুধু তাইল্যান্ডেই নয়, তাঁরা তিন জনে এক বার গোয়ায় গিয়েছিলেন বলেও জানিয়েছেন স্নেহময়। তাইল্যান্ডে ‘অপা ইউটিলিটি সার্ভিস’-এর কোনও সম্পত্তি রয়েছে কি না তা তদন্ত করে দেখছে ইডি।  তবে ইডি সূত্রে খবর, জেরায় পার্থ জানিয়েছেন যে, তাঁর মালিকানাধীন কোনও সম্পত্তি তাইল্যান্ডে নেই।

    আরও পড়ুন: অর্পিতার ৩১টি পলিসির জন্য দেড় কোটি টাকা প্রিমিয়াম দিতেন পার্থ! চার্জশিটে দাবি ইডির

    শুধু বিদেশ সফর নয়, তদন্তকারীরা আরও জানান, সন্তান দত্তক নিতে চেয়েছিলেন অর্পিতা। সেই বিষয়ে পার্থ তাঁকে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছিলেন। সন্তান দত্তক নেওয়ার একটি সুপারিশপত্র পাওয়া গিয়েছে অর্পিতার ডায়মন্ড সিটির ফ্ল্যাটে। সেখানে পার্থের সই আছে। অর্পিতার ওই দত্তক নেওয়ার ক্ষেত্রে ‘নো অবজেকশন সার্টিফিকেট’ বা অনাপত্তি শংসাপত্র দিয়েছিলেন পার্থ। এ বিষয়ে পার্থ জানান, তিনি জনপ্রতিনিধি। কারও সুপারিশপত্রে স্বাক্ষর করাটা তাঁর পক্ষে স্বাভাবিক বিষয়। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Kalyanmay Ganguly: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির জের, সিবিআই- এর হাতে গ্রেফতার কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়

    Kalyanmay Ganguly: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির জের, সিবিআই- এর হাতে গ্রেফতার কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Scam) মামলায় সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার হলেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় (Kalyanmay Ganguly)। আজ শারীরিক পরীক্ষা করা হবে তাঁর। আগামিকাল আদালতে তোলা হবে তাঁকে। গতকাল কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে নোটিস পাঠিয়েছিল সিবিআই। আজ জেরা করা হয়। জেরায় অসঙ্গতি পেতেই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।    

    আজ পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতিকে বেশ কিছু নথিও সঙ্গে আনতে বলে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী গোয়েন্দাদের দাবি, তিনি সেইসব জরুরি নথি দেখাতে পারেননি। বয়ানেও ছিল বেশ কিছু অসঙ্গতি। আর তাতেই এই  গ্রেফতারের সিদ্ধান্ত। গ্রেফতারির পরেই শারীরিক পরীক্ষার জন্য এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় কল্যাণময়কে। টানা ছ’ঘণ্টা জেরার পরে এদিন গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। 

    এদিন দুপুর ১২টা নাগাদ নিজাম প্যালেসে এসেছিলেন কল্য়াণময়। সঙ্গে ছিলেন তিন আইনজীবীও। উল্লেখ্য, আগেও একাধিক বার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল তাঁকে। ইডিও তাঁর বাড়িতে হানা দিয়েছিল। এমনকী তাঁর দফতরে নিয়ে গিয়েও একাধিক বার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। 

    আরও পড়ুন: পার্থ ‘ঘনিষ্ঠ’ মোনালিসার দাদার নামে বিপুল জমির হদিশ! বেনামে মালিক প্রাক্তন মন্ত্রী-ই?

    কী কী অভিযোগ রয়েছে কল্যাণময়ের বিরুদ্ধে?

    ১. নিয়ম বহির্ভূতভাবে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া

    ২. যাচাই না করেই এসপি সিনহা কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে নিয়োগ

    ৩. বাগ কমিটির রিপোর্টে নাম

    ৪. গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি নিয়োগে দুর্নীতি 

    ৫. ‘হাই জাম্প’ চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগপত্র দেওয়া

    আরও পড়ুন: এসএসসি দুর্নীতিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ প্রসন্নর চার দিনের সিবিআই হেফাজত 

    সন্ধ্যায় এসএসকেএমে মেডিক্যালের জন্য নিয়ে আসা হয় কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে। সেখান থেকে মিনিট পাঁচেক পরে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় নিজাম প্যালেস। আরও একবার জেরা করা হতে পারে তাঁকে। কল্যাণের বিরুদ্ধে পাওয়া সব তথ্যই দিল্লি পাঠিয়েছে সিবিআই। সেখান থেকে নির্দেশ পাওয়ার পরেই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। সিবিআই সূত্রে খবর, এসএসসি দুর্নীতি মামলায় এর মধ্যেই ধৃত শান্তিপ্রসাদ সিনহার সঙ্গে প্রত্যক্ষ যোগ পাওয়া গিয়েছে কল্য়াণময়ের। অনৈতিকভাবে ৩৮১ জনকে চাকরির দেওয়ার অভিযোগে রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। উল্লেখ্য এই মামলায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। 

  • CBI: একে অপরকে দিচ্ছেন দোষ, নিজামে পার্থ-সুবীরেশদের একসঙ্গে বসিয়ে জেরা করতে পারে সিবিআই

    CBI: একে অপরকে দিচ্ছেন দোষ, নিজামে পার্থ-সুবীরেশদের একসঙ্গে বসিয়ে জেরা করতে পারে সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (SSC Scam) উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। তদন্ত যত এগোচ্ছে ততই সামনে আসছে দুর্নীতির নতুন অধ্যায়। যেন রামায়ণ কাহিনী। এর শেষ কোথায় কেউ জানেন না। এই দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে একের পর এক হেভিওয়েট ব্যক্তিত্বের। এই মামলায় একের পর এক গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee), স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহা (SP Sinha), উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্য (Subiresh Bhattacharya)। গ্রেফতার হয়েছেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ও (Kalyanmay Ganguly)। জানা গিয়েছে, তদন্তের স্বার্থে এই চারজনকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন সিবিআই (CBI) আধিকারিকরা।

    আরও পড়ুন: পার্থ-অর্পিতার ১০৩ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত! এসএসসি মামলায় চার্জশিট পেশ ইডি-র  
     
    বিকাশ ভবনে একসময়ে একসঙ্গে কাজ করেছেন চারজন। ফের একসঙ্গে হবেন তাঁরা। কিন্তু এবার নিজাম প্যালেসে। শিক্ষা দফতর থেকে সোজা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দফতর। সোমবার নিজাম প্যালেসে একে-একে রাত কাটালেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহা, মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় ও স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রাক্তন চেয়ানম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য। নিয়োগ দুর্নীতিতে প্রত্যককে পৃথক-পৃথক মামলায় গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।  

    পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় গ্রেফতার হন এসএসসি গ্রুপ সি নিয়োগ দুর্নীতিতে। এসপি সিনহা ও সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করা হয় নবম-দশম শিক্ষক নিয়োগ দুনীর্তিতে সিবিআই-এর জালে। এর মধ্যে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও এসপি সিনহা দুটি মামলাতেই অন্যতম অভিযুক্ত। 

    আরও পড়ুন: ‘‘আমি ওদের বিশ্বাস করেছিলাম…’’, সিবিআই জেরায় দাবি পার্থর, ওরা কারা?

    সিবিআই সূত্রে খবর, এবার শিক্ষা দফতরের এই প্রাক্তনদের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে চান গোয়েন্দারা। কারণ তিনজনকে পৃথকভাবে জেরা করে তেমন লাভ হয়নি। সিবিআই সূত্রে খবর, তিনজনই অপর জনের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে দায় এড়াতে চাইছেন। সেই কারণে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করলে সেটা করতে পারবেন না তাঁরা বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা। প্রত্যেকের বয়ান রেকর্ড করা হবে। গোটা প্রক্রিয়ার করা হবে অডিয়ো বা ভিডিয়ো রেকর্ডিং। পরে তা মিলিয়ে দেখা হবে পুরনো বয়ানের সঙ্গে।   

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
     

  • SSC Scam: অর্পিতার ৩১টি পলিসির জন্য দেড় কোটি টাকা প্রিমিয়াম দিতেন পার্থ! চার্জশিটে দাবি ইডির

    SSC Scam: অর্পিতার ৩১টি পলিসির জন্য দেড় কোটি টাকা প্রিমিয়াম দিতেন পার্থ! চার্জশিটে দাবি ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) ও  অভিনেত্রী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee)বিরুদ্ধে ১৭২ পাতার চার্জশিট জমা দিল ইডি৷ সোমবার ব্যাঙ্কশাল কোর্টে পার্থ ও অর্পিতার বিরুদ্ধে প্রথম চার্জশিট পেশ করে কেন্দ্রীয় সংস্থা। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ৫৮ দিনের মাথায় পেশ করা ইডির চার্জশিটে দাবি করা হয়েছে,অর্পিতার ৩১টি জীবনবিমার রয়েছে। জানা গিয়েছে, চার্জশিটে যে জীবনবিমার উল্লেখ করা হয়েছে তার বার্ষিক প্রিমিয়াম দেড় কোটি টাকা। বেশিরভাগ প্রিমিয়ামই ৫০ হাজার টাকার এবং কয়েকটির প্রিমিয়াম ৪৫ হাজার টাকা। সেগুলোর অধিকাংশেরই নমিনি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। প্রিমিয়ামের টাকাও দিতেন তিনিই। 

    আরও পড়ুন: সুবীরেশের গ্রেফতারির পরই উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে পোড়ানো হচ্ছে ‘নথি’! ভিডিও প্রকাশ সুকান্তর

    ইডি সূত্রে খবর,  জেরায় পার্থ তাঁর সঙ্গে অর্পিতার ঘনিষ্ঠতার কথা অস্বীকার করেছিলেন৷ কিন্তু এই এলআইসি পলিসিগুলি অন্য কথা বলছে। এই পলিসিগুলি পার্থ-অর্পিতার ঘনিষ্ঠতা প্রমাণ। চার্জশিটে ইডি উল্লেখ করেছে,পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মোবাইল থেকেই অধিকাংশ তথ্য পেয়েছে তাঁরা৷ সেই তথ্য মিলিয়ে দেখা হয়েছে পার্থর ব্যাংকের লেনদেনের সঙ্গেও৷ ইডি জানিয়েছে, পার্থ এবং অর্পিতার ১০৩ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে তারা৷ 

    আরও পড়ুন: একে অপরকে দিচ্ছেন দোষ, নিজামে পার্থ-সুবীরেশদের একসঙ্গে বসিয়ে জেরা করতে পারে সিবিআই

    ইডির দাবি, অর্পিতার বেলঘরিয়ার ক্লাব টাউন ও টালিগঞ্জের ডায়মন্ড সিটির ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া কোটি কোটি টাকার মালিক পার্থ চট্টোপাধ্যায়। জেরায় ইডির কাছে এ কথা স্বীকার করেছে অর্পিতা। ইডি-কে একটি লিখিত বিবৃতির মাধ্যমে অর্পিতা জানিয়েছেন, ‘আমার ও মায়ের নিরাপত্তার কথা ভেবে এতদিন সব তথ্য গোপন করেছিলাম। সব টাকা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। টাকার উৎস বলতে পারবেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ই।’ অন্যদিকে গোয়েন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদে পার্থবাবু সব দায় চাপিয়েছেন দফতরের আধিকারিকদের ঘাড়ে। তাঁর কথায়, নিয়োগ প্রক্রিয়া দেখতেন শিক্ষা দফতর। তিনি শুধু সই করে দিতেন। তাঁর ভূমিকা ছিল খুবই সীমিত। তিনি আধিকারিকদের উপর ভরসা রেখেছিলেন। তাহলে প্রশ্ন এত টাকা এল কোথা থেকে? 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Subiresh Bhattacharya: এবার সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য

    Subiresh Bhattacharya: এবার সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Scam) মাামলায় গ্রেফতার করা হল উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য তথা এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে (Subiresh Bhattacharya)। সোমবার সিবিআইয়ের (CBI) হাতে গ্রেফতার হন তিনি। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এই প্রথম কোনও উপাচার্যকে গ্রেফতার করা হল। এর আগে শুধুমাত্র স্কুল সার্ভিস কমিশনের উচ্চপদস্থ নেতাদের গ্রেফতার করা হয়েছিল।

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামালায় প্রায় অনেকদিন ধরেই সিবিআই-এর নজরে ছিল উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্য। আর তারই ফলে সুবীরেশকে গ্রেফতার করা হল। ২০১৪ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত এসএসসি-র চেয়ারম্যান ছিলেন সুবীরেশ।

    সোমবার শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মামলার তদন্তেই সুবীরেশের বাঁশদ্রোণীর ফ্ল্যাটে তল্লাশি অভিযান চালান সিবিআই আধিকারিকরা। সিবিআই সূত্রে খবর, বেশ কয়েক ঘণ্টা ওই ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালানোর পাশাপাশি সুবীরেশকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। প্রশ্নের উত্তরে অসন্তুষ্টি হওয়ায় সিবিআই-এর আধিকারিকরা তাঁকে গ্রেফতার করে। শুধু তাই নয়, সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনি তদন্তে সাহায্য করছিলেন না ও প্রশ্নের সঠিক উত্তরও দিচ্ছিলেন না। এমনকি অনেক তথ্য গোপন রাখার চেষ্টা করছিলেন। ফলে তাঁকে আজ গ্রেফতার করে সিবিআই।

    আরও পড়ুন: পার্থ-অর্পিতার ১০৩ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত! এসএসসি মামলায় চার্জশিট পেশ ইডি-র

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগেও ২৪ অগাস্ট সুবীরেশ ভট্টাচার্যের উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসনে পৌঁছে গিয়েছিলেন সিবিআই গোয়েন্দারা। উত্তরবঙ্গের বাড়ি ও বাঁশদ্রোণীর ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্ত এজেন্সির আধিকারিকরা। তাঁর বাঁশদ্রোণীর ফ্ল্যাট আগেই সিল করে দেওয়া হয়েছিল। সেদিন খবর পেয়েই উত্তরবঙ্গ থেকে সস্ত্রীক সুবীরেশ চলে আসেন কলকাতায়। তিনি এমনকি সংবাদমাধ্যমে দাবিও করেছিলেন যে, তাঁর আমলে শিক্ষক নিয়োগে কোনও দুর্নীতি হয়নি।

    সিবিআই সূত্রে খবর, সোমবার সন্ধ্যায় গ্রেফতার হওয়া সুবীরেশকে নিজাম প্যালেসেই নিয়ে যাওয়া হতে পারে। নিজাম প্যালেসেই রয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, এসএসসি উপদেষ্টা কমিটির প্রধান শান্তিপ্রসাদ সিংহ, এমনকি, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ও। এর মধ্যে সুবীরেশকেও নিজাম প্যালেসে এনে এদের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সূত্রের খবর সুবীরেশকে মঙ্গলবারই তোলা হতে পারে আদালতে।

  • Partha Chatterjee: ‘‘আমি ওদের বিশ্বাস করেছিলাম…’’, সিবিআই জেরায় দাবি পার্থর, ওরা কারা?

    Partha Chatterjee: ‘‘আমি ওদের বিশ্বাস করেছিলাম…’’, সিবিআই জেরায় দাবি পার্থর, ওরা কারা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত শুক্রবার রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee) হেফাজতে নিয়েছে সিবিআই (CBI)। তারপর শনিবার থেকেই চলছে দফায় দফায় জেরা। এবার জেরায় বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন প্রাক্তন মন্ত্রী। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, জেরায় পার্থ বলেছে, “আমি শুধু ফাইলে সই করতাম। নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Scam) আমার বিশেষ কোনও ভূমিকা ছিল না, আমার কাছে ফাইল পাঠানো হত, আর সেই ফাইলে সই করতাম আমি।”

    আরও পড়ুন: এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডে এবার সিবিআই হেফাজতে পার্থ, সঙ্গী কল্যাণময়

    কেন না পড়ে ফাইলে সই করতেন সে বিষয়ে সিবিআই আধিকারিকরা প্রশ্ন করলে উত্তরে পার্থ বলেন, “আমি ওদের বিশ্বাস করতাম। এই বিষয়ে আমার ভূমিকা সামান্যই। ” এবার প্রশ্ন উঠছে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর জবানবন্দীতে এই ‘ওরা’ কারা? সিবিআই গোয়েন্দাদের অনুমান ‘ওরা’ বলতে শিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের কথাই বলেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।  

    অন্যদিকে, একই সঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কেও (Kalyanmay Ganguly) হেফাজতে নিয়েছে সিবিআই (CBI Custody)। জেরা করা হচ্ছে তাঁকেও। জেরা করা হচ্ছে, তৎকালীন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহাকেও। জানা গিয়েছে এবার তিনজনকে মুখোমুখি বসিয়েও জেরা করতে পারে সিবিআই।

    আরও পড়ুন: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির জের, সিবিআই- এর হাতে গ্রেফতার কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়

    নিয়োগ দুর্নীতিতে পার্থ-অর্পিতার বিরুদ্ধে আরও জোরদার হচ্ছে কেস। আজই বিশেষ আদালতে চার্জশিট পেশ করেছে ইডি। পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখার্জীর ফ্ল্যাটে নগদ কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হওয়ার পরই ইডি দুমাস আগে গ্রেফতার করেছিল পার্থ-অর্পিতাকে। আপাতত জেলেই রয়েছেন অর্পিতা। গত ২৩ জুলাই গ্রেফতার করা হয় তাঁদের। এরপর সিবিআই হেফাজতে যান পার্থ। মনে করা হচ্ছে, চার্জশিটে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেশ করতে পারে ইডি। দুর্নীতির টাকা বাংলাদেশে পাচার করা হয়েছে বলেও সন্দেহ রয়েছে ইডি গোয়েন্দাদের। চার্জশিটে সেই বিষয়টিও উল্লেখ করা হতে পারে।   

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

     

     

      

      

  • Partha Chatterjee CBI Custody: এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডে এবার সিবিআই হেফাজতে পার্থ, সঙ্গী কল্যাণময়

    Partha Chatterjee CBI Custody: এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডে এবার সিবিআই হেফাজতে পার্থ, সঙ্গী কল্যাণময়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee) সিবিআই হেফাজতের (CBI Custody) নির্দেশ দিল আলিপুর আদালত। ২১ শে সেপ্টেম্বর অবধি সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ। এদিন এসএসসি দুর্নীতির (SSC Scam) মামলা আদালতে ওঠে। এতদিন ইডির হেফাজতে (ED Scam) ছিলেন পার্থ। এদিন জামিনের আর্জি জানান রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। জামিনের আর্জি খারিজ করে দেওয়া হয়। এদিন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কেও (Kalyanmay Ganguly) সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। 

    আদালত থেকে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমকে সিবিআইয়ের আইনজীবী জানিয়েছেন, আরও তদন্তের জন্য কাস্টডিতে নিয়ে জেরা করা প্রয়োজন। এটি একটি বড় চক্রান্ত। এদিন আদালতেও একই কথা বলেছেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। 

    আরও পড়ুন: নবান্ন অভিযানে গিয়ে ‘মিথ্যা’ মামলায় গ্রেফতার, হাইকোর্টের দ্বারস্থ বঙ্গ বিজেপি

    সিবিআই গোয়েন্দারা দাবি করেছেন, এসএসসি দুর্নীতির মূল চক্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তবে ঘাড় থেকে যাবতীয় দায় ঝেড়ে ফেলার মরিয়া চেষ্টা করেছেন পার্থ। পার্থ চট্টোপাধ্যায় এদিন বলেন, “এসএসসি আলাদা সংস্থা। আমি মন্ত্রী থাকলেও এসএসসির কোনও কাজে আমার নিয়ন্ত্রণ ছিল না।” নিজের অসুস্থতার কথা জানিয়ে এদিন বার বার জামিনের আর্জি জানান রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী। কিন্তু এদিনও জামিনের আর্জি খারিজ করে দেয় সিবিআই- এর বিশেষ আদালত।   

    এদিন আদালতে নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং পারিবারিক কৌলিন্যের কথাও বিচারকের সামনে তুলে ধরেন পার্থ। তিনি বলেন, “আমি শিক্ষিত, ইকনমিক্সে স্নাতক, এমবিএ। আমার মামার নাম শিবদাস বন্দ্যোপাধ্যায়। আমি ষড়যন্ত্রের শিকার। এখন আরও এক সংস্থা নতুন করে তদন্ত করতে চাইছে। আমি খুবই অসুস্থ। কে সাহায্য করবে? আপনি আপনার মতো বিচার করবেন। আপনার কাছে বিচারের আশায় আছি।” তিনি আরও বলেন, “ইডি দুমাস ধরে জেলে রেখেছে। এবার সিবিআই হেফাজতে চাইছে। ২৮টি ওষুধ খাই, আমি খুব অসুস্থ, জামিন দেওয়া হোক।” 

    আরও পড়ুন: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির জের, সিবিআই- এর হাতে গ্রেফতার কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় 

    সিবিআই- এর আইনজীবী আদালতে পাল্টা বলেন, সিবিআই-এর আইনজীবী আদালতে জানান, ২০১৬-তে গ্রুপ সি পরীক্ষা হয়। রেজাল্ট বের হয় ২০১৭-তে। কিন্তু ২০১৯-এ নিয়ম না মেনে ৪০০ চাকরিপ্রার্থীকে নিয়োগ করা হয়েছে। অযোগ্যদের নিয়োগ করা হয়েছে অনৈতিকভাবে। 

    অন্যদিকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী আদালতে বলেন, “কোনও এফআইআর-এ আমার মক্কেলের নাম নেই। সিবিআই, ইডি ষড়যন্ত্র করে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে হেফাজতে রাখতে চাইছে। সিবিআই যখনই ডেকেছে আমার মক্কেল তখনই গেছেন। ইডি গ্রেফতার করার পর ৬০ দিন হয়ে গেছে। ইডি চার্জশিট দিতে না পারলে পার্থ চট্টোপাধ্যায় জামিন পেয়ে যেতে পারেন, তাই এবার এফআইআর-এ নাম না থাকলেও সিবিআই তাঁকে হেফজতে নিতে চাইছে। প্রসঙ্গত, এই মামলায় শান্তিপ্রসাদ সিনহা ও অশোক সাহাকেও গ্রেফতার করেছে সিবিআই। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Partha Manik Connection: ‘মানিক ইজ টেকিং মানি…’, অভিযোগ পেয়েও চেপে গিয়েছিলেন পার্থ! দাবি ইডির

    Partha Manik Connection: ‘মানিক ইজ টেকিং মানি…’, অভিযোগ পেয়েও চেপে গিয়েছিলেন পার্থ! দাবি ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে (SSC Recruitment Scam) আরও জড়িয়ে গেলেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) এবং পলাশিপাড়ার বিধায়ক তথা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)। পার্থ এবং মানিকের মেসেজ চালাচালির হদিশ পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি (ED)। তার পরেই ঝুলি থেকে বেরিয়ে এসেছে বেড়াল!

    পার্থের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট পেশ করেছে ইডি। সেখানেই উল্লেখ করা হয়েছে কয়েকটি মেসেজের। তার একটি হল, এক ব্যক্তি পার্থকে লিখেছেন, দাদা মানিক ভট্টাচার্য ইজ টেকিং মানি যা তা ভাবে। কোভিডের সময় প্রাইভেট কলেজগুলো থেকে ছাত্র পিছু ও ৫০০ টাকা করে নিয়েছে। ছাত্ররা দিতে না পারলে কলেজকে ধমকি দিয়েছে, তাদের হয়রান করছে। নদিয়ায় টেটের ইন্টারভিউ শেষ হয়েছে। কিন্তু ও চেয়ারম্যানকে বলেছে, ফাঁকা সাইন করা ডকুমেন্ট মাস্টার শিট জমা দিতে। ইন্টারভিউয়ের কোনও নম্বর লিখতে বারণ করছে। আবার ও টাকা নিয়ে করবে। আবার কেস হবে। আবার পার্টি খাস্তা হবে। প্লিজ এটা দেখুন। লাভ। ইডির দাবি, পরে এই মেসেজটি পার্থ রি-ফরোয়ার্ড করেন।

    আরও পড়ুন : পার্থ-অর্পিতার ১০৩ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত! এসএসসি মামলায় চার্জশিট পেশ ইডি-র

    শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারির তদন্তে নেমে ২৩ জুলাই পার্থকে গ্রেফতার করে ইডি। মানিককে গ্রেফতার করা না হলেও, তাঁকে ইতিমধ্যেই জেরা করেছেন তদন্তকারীরা। তার পরেই উঠে আসছে পার্থ-মানিক মেসেজ চালাচালির কথা। আদালতে পেশ করা চার্জশিটে এরকম কয়েকটি মেসেজের উল্লেখ করেছে ইডি। চার্জশিটে ইডির তদন্তকারীরা বলেছেন, ২০২০ সালের ১২ ডিসেম্বর পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে একটি মেসেজ পাঠান মানিক। পলাশিপাড়ার বিধায়ক লেখেন, দশ মিনিট দিস, কাল বাড়ি যাব। মেসেজ পেয়ে পার্থ লেখেন ওকে। ২০২১ সালের ১০ জানুয়ারি পার্থকে অন্য একটি মেসেজে মানিক লেখেন, ইন্টারভিড স্টার্টেড অল ওভার দ্য স্টেট। পার্থ লেখেন টিকেএস। তদন্তকারীদের দাবি, টিকেএস লিখে মানিককে ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন পার্থ।

    জনৈক ব্যক্তি মানিক সম্পর্কে পার্থকে সতর্ক করে দিলেও রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী কোনও ব্যবস্থা নেননি বলে অভিযোগ। উল্টে তিনি মেসেজটি ফরওয়ার্ড করে দেন বলে ইডির দাবি। এদিকে, নিয়ম অনুযায়ী, গ্রেফতারির ৬০ দিনের মধ্যে জমা দিতে হয় চার্জশিট। এক্ষেত্রে গ্রেফতারির ৫৮ দিনের মাথায় পার্থ ও তাঁর ঘনিষ্ট অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিল ইডি। ব্যাংকশাল কোর্টে বিশেষ সিবিআই আদালতে এই চার্জশিট জমা দিয়েছে ইডি। তার পরেই প্রকাশ্যে এসেছে মেসেজের খবর।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • SSC Scam: রাজসাক্ষী হচ্ছেন অর্পিতা! চার্জশিটে কী বলল ইডি?

    SSC Scam: রাজসাক্ষী হচ্ছেন অর্পিতা! চার্জশিটে কী বলল ইডি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (SSC Scam) রাজসাক্ষী হতে চাইলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায় (Arpita Mukherjee)। সোমবার সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে পেশ করা চার্জশিটে এই দাবি করেছে ইডি। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED) সূত্রে খবর,তদন্তকারী আধিকারিকরা আলিপুর মহিলা সংশোধনাগারে অর্পিতাকে জেরা করতে যান। সেখানেই এই তথ্য পেয়েছেন তাঁরা। অর্পিতার এই আর্জি যদি ইডি মেনে নেয় তাহলে তদন্তে নয়া মোড় আসতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। জানা যেতে পারে কোটি কোটি টাকার উৎসও। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তাই যতই বলুন, যে তিনি শুধু স্বাক্ষর করেছেন, তাঁর দফতরের কর্মীরা বিষয়টি জানেন, তা আদপে ভুল প্রমাণিত হচ্ছে। অর্পিতার বয়ান যদি সত্যি হয় তাহলে কোটি টাকার উৎস সম্পর্কে বিশদে বলতে পারবেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীই। এমনই অভিমত বিশেষজ্ঞদের।

    আরও পড়ুন: অর্পিতার ৩১টি পলিসির জন্য দেড় কোটি টাকা প্রিমিয়াম দিতেন পার্থ! চার্জশিটে দাবি ইডির

    ইডি চার্জশিটে জানিয়েছে, পার্থের স্ত্রী বাবলি চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুর পরে বিভিন্ন কোম্পানিতে বাবলির শেয়ার অর্পিতার নামে হস্তান্তর করা হয়েছিল। পার্থ-ঘনিষ্ঠ এক হিসাবরক্ষক অর্পিতাকে চাপ দিয়ে ওই শেয়ার হস্তান্তর করার বিষয়ে সম্মতি আদায় করেছিলেন, বলে লিখিত বয়ানে জানিয়েছেন অর্পিতা। ওই হিসাবরক্ষক তাঁকে বলেছিলেন, ‘পার্থের মেয়ে বিদেশে আছেন। কলকাতায় ফিরলে ওই শেয়ার তাঁর নামে ফেরত দেওয়া হবে। আপাতত অর্পিতার নামে হস্তান্তর করা হচ্ছে।’

    আরও পড়ুন: একে অপরকে দিচ্ছেন দোষ, নিজামে পার্থ-সুবীরেশদের একসঙ্গে বসিয়ে জেরা করতে পারে সিবিআই

    অর্পিতার দুটি ফ্ল্যাট থেকে নগদ প্রায় ৪৯.৮০ কোটি টাকা এবং পাঁচ কোটি টাকার গয়না মিলেছিল। এই বিষয়ে অর্পিতা জানিয়েছেন, এগুলি সবই পার্থের। নেপাল, তাইল্যান্ড, বাংলাদেশ, সিঙ্গাপুর, হংকং, মালয়েশিয়া এবং আমেরিকার প্রচুর মুদ্রাও মিলেছিল অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে। যা নানা সময়ে নানা ব্যক্তি এসে রেখে গিয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন অর্পিতা। তিনি এই টাকা-পয়সার উৎস সম্পর্কে কিছুই জানেন না যা জানেন প্রাক্তন মন্ত্রীই জানেন, বলে দাবি অর্পিতার। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • SSC Scam: ‘‘যাঁরা বেআইনি চাকরি পেয়েছেন, পদত্যাগ করুন নইলে…’’, নির্দেশ হাইকোর্টের

    SSC Scam: ‘‘যাঁরা বেআইনি চাকরি পেয়েছেন, পদত্যাগ করুন নইলে…’’, নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি (SSC) নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদালতে ফরেনসিক রিপোর্ট পেশ করল সিবিআই (CBI)। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ নিয়ে চারটি রিপোর্ট পেশ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এতদিন শুধু অভিযোগ ছিল যে, নম্বর অদল-বদল করা হয়েছে। কিন্তু ফরেনসিক রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, ‘হার্ড ডিস্কে থাকা উত্তরপত্র ও এসএসসির সার্ভারে থাকা উত্তরপত্রে নম্বর মিলছে না। হার্ডডিস্কে দেখা গিয়েছে কেউ ‘০’ বা ‘১’ নম্বর পেয়েছেন, কিন্তু এসএসসি সার্ভারে থাকা উত্তরপত্রে তাঁদের প্রাপ্ত নম্বর ‘৫০’ কিংবা ‘৫৭’। গ্রুপ সি-তে ৩ হাজার ৪৮১ জনের নম্বর এবং গ্রুপ ডি-তে ২ হাজার ৮২৩ জনের নম্বর বদল হয়েছে। আদালতে সিবিআই জানিয়েছে, এই সংক্রান্ত ৩টি হার্ড ডিস্ক উদ্ধার হয়েছে’।

    আরও পড়ুন: হদিশ মিলল সিবিআই-এর হাজিরা এড়ানো ‘নিখোঁজ’ মানিকের! কোথায় তিনি?

    সিবিআই দাবি করেছে, নবম ও দশমের নিয়োগ মামলায় ৯০৭ জনের ওএমআর শিট জালিয়াতি করা হয়েছে। সাদা খাতা জমা দিয়েছে এমন প্রার্থীদের নামের পাশেও বসেছে ৫৩ নম্বর। এসএসসি-র সার্ভারে সেই তথ্য পাওয়া গিয়েছে। সুবীরেশ ভট্টাচার্য সেই সময় চেয়ারম্যান ছিলেন। সিবিআই জানিয়েছে, ধৃতরা মুখ খুলতে চাননি। কারণ তাঁরা জানেন সিবিআই থার্ড ডিগ্রি ব্যবহার করে না। এমনকী একজন ভয়েস স্যাম্পেল দিতেও রাজি হননি। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পাশাপাশি এই নিয়োগ দুর্নীতিতে যে শিক্ষা দফতরও জড়িয়ে, সিবিআই রিপোর্টে তার সুস্পষ্ট ইঙ্গিত রয়েছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। এই রিপোর্ট সামনে আসার পরই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘আমি শকড!’ ওদিকে, সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, ‘আমি স্পিচলেস!’

    আরও পড়ুন: রাত ৮টার মধ্যে মানিককে সিবিআই দফতরে হাজিরার নির্দেশ হাইকোর্টের, আজই কি গ্রেফতার?

    সিবিআই-এর কথা শোনার পর বিচারপতি কড়া ভাষায় বলেন, “যাঁরা বেআইনি চাকরি পেয়েছেন তাঁরা নিজেরা খুব ভালো মতন জানেন। তাঁদের অনুরোধ করব, চাকরি থেকে পদত্যাগ করুন। তা না হলে কড়া পদক্ষেপ করবে আদালত। যাঁরা পদত্যাগ করবেন না তাঁরা কোনও দিন সরকারি চাকরিতে আবেদনও করতে পারবেন না। বেআইনি চাকরি প্রাপকদের আলাদা সার্ভার ডেটা তৈরি করবে সিবিআই বা অন্য কেউ।” বিচারপতি আরও বলেন,”সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে হেফাজতে নিয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করুক সিবিআই। আমি এসএসসি ল-ইনচার্জ থাকার সময় সুবীরেশ ভট্টাচার্যের সঙ্গে কাজ করেছি। আমি জানতাম তিনি জেন্টলম্যান। এখন সিবিআই তদন্তে যখন সামনে আসছে তাঁর সময়কালে  এতো অনিয়ম। বেআইনি চাকরি হয়েছে। আমার স্থির বিশ্বাস সুবীরেশ ভট্টাচার্য কোনও বড় প্রভাবশালী অঙ্গুলিহেলনে এই কাজ করেছেন। সেই প্রভাবশালীদের নাম জানাক সুবীরেশ ভট্টাচার্য।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share