Tag: ssc scam

ssc scam

  • Partha Chatterjee: ‘টাকা মাটি মাটি টাকা’! সেলে পার্থর হাতে কথামৃত! ফিরবে চৈতন্য?

    Partha Chatterjee: ‘টাকা মাটি মাটি টাকা’! সেলে পার্থর হাতে কথামৃত! ফিরবে চৈতন্য?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসি নেই। রয়েছে পাখা। গদিওয়ালা বিছানা নেই। রয়েছে একটা চৌকি। অ্যাটাচড বাথ নয়, সেলের এক কোণে দেওয়াল তুলে ঘেরা জায়গায় রয়েছে শৌচালয়। প্রেসিডেন্সি জেলে সাধারণ বন্দিদের মতোই দিন কাটাচ্ছেন নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। 

    আর একাকী সেলে তাঁর সময় কাটছে বই পড়ে ও জেলের অভিজ্ঞতা লিখে। সে কারণে বাড়ি থেকে প্রেসিডেন্সি জেলে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে দুটি বই। লেখালেখি করে বই পড়ে জেলের দিন কাটছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। তাঁর সেল ব্লকে আসছে বাংলা, ইংরেজি, হিন্দি সহ মোট ৮টি করে সংবাদপত্র। যদিও সেদিকে নজর নেই তাঁর। সংবাদপত্র থেকে বেশ কিছুদিন ধরেই মুখ ফিরিয়েছেন পার্থ।

    আরও পড়ুন: কেন অনুব্রতর বাড়িতে ডাক্তার? হাসপাতাল সুপারকে ধমক স্বাস্থ্য কর্তার, দায় নেবে না নবান্ন

    সেলের বাইরে যখন হাঁটাহাঁটি করছেন তখন কোনও কটূক্তি যেন ধেয়ে না আসে বা কেউ তাঁকে বিরক্ত যেন করতে না পারে তাই সর্বক্ষণ সঙ্গে রয়েছেন দুজন কারারক্ষী। নিরাপত্তায় তাঁর সেলের বাইরেই রয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরাও। সাধারণের মতো জেলে থাকলেও মাঝে মধ্যেই পার্থর দিনযাপনে আসছে আবদারও। গতকাল চপ ও বেগুনি খেতে চেয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। কারা দফতর সূত্রে খবর ডাল, ভাত, তরকারি ও মাছ দিয়েই মধ্যাহ্নভোজ সারছেন তিনি।

    গত শুক্রবার ইডির হেফাজত থেকে আদালতের নির্দেশে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে এসেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। প্রথমদিকে সংশোধনাগারে তাঁর নানান বায়না থাকলেও বর্তমানে সাধারন বন্দিদের মতোই দিন কাটাচ্ছেন রাজ্যের এই প্রাক্তন মন্ত্রী। তিনি জেল কর্তৃপক্ষের কাছে আবদার করেছিলেন খাতা ও কলম দেওয়ার জন্য। কারণ তিনি লিখবেন জেলের প্রতিদিনের অভিজ্ঞতা। 

    আরও পড়ুন: পার্থ-অনুব্রত কাণ্ডের জের! “সবাই চোর নয়”, সাফাই আতঙ্কিত তৃণমূলের

    সেই মতো পার্থকে দেওয়া হয়েছে খাতা কলম। তাঁর আইনজীবী সুকন্যা ভট্টাচার্যকে অনুরোধ করেছিলেন সময় কাটানোর জন্য বই পাঠাতে। সেই মতো পার্থর বাড়ি থেকে সুকন্যা জেলে এনে দিয়েছেন শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণের কথামৃত ও মহাশ্বেতা দেবীর লেখা বাংলা সাহিত্য অমনিবাস। 

  • SSC scam: এসএসসি দুর্নীতি মামলায় শান্তিপ্রসাদ সিন্‌হা ও অশোক সাহাকে গ্রেফতার সিবিআইয়ের

    SSC scam: এসএসসি দুর্নীতি মামলায় শান্তিপ্রসাদ সিন্‌হা ও অশোক সাহাকে গ্রেফতার সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি দুর্নীতি মামলায় (SSC Case) প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে (Arpita Mukherjee) গ্রেফতার করেছে ইডি (ED)। এবার এই মামলায় এবার প্রথম গ্রেফতার করল সিবিআই (CBI)৷ এসএসসি-র উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন চেয়ারম্যান শান্তিপ্রসাদ সিন্‌হা এবং এসএসসি-র প্রাক্তন সচিব অশোক সাহাকে এ দিন গ্রেফতার করেছে সিবিআই৷ প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে এটাই সিবিআইয়ের প্রথম গ্রেফতারি।

    বুধবার সকাল থেকেই শান্তিপ্রসাদ সিনহা এবং অশোক সিন্‌হার বাড়িতে হানা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। সেখানেই দফায় দফায় জেরা করা হচ্ছিল উপদেষ্টা কমিটির দুই সদস্যকে। এর আগেও তাঁদের একাধিকবার জেরা করেছিল সিবিআই৷ তাঁদের বাড়িতে গিয়ে তল্লাশিও চালানো হয়৷ অভিযোগ, জেরায় একাধিক তথ্য গোপন করেন এসএসসির প্রাক্তন দুই কর্তা। এরপরই তাঁদের নিজেদের হেফাজতে নিল সিবিআই। 

    আরও পড়ুন: পার্থ-অনুব্রত কাণ্ডের জের! “সবাই চোর নয়”, সাফাই আতঙ্কিত তৃণমূলের

    সম্প্রতি, দিল্লি গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পরই, বিভিন্ন মহল থেকে চাউর করা হয় যে, আদতে ‘সেটিং’ করতে গিয়েছিলেন দিদি। তা হয়ে গেছে। যদিও, রাজ্য বিজেপির তরফে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, কোনও সেটিং-এর গল্প নেই। এগুলো অপপ্রচার ছাড়া কিছুই নয়। 

    গেরুয়া শিবিরের এক নেতার জানান, মমতা যেদিন দিল্লি থেকে ফেরেন, তার পরের দিনই দিল্লি থেকে কলকাতায় আসেন সিবিআই-এর অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর অজয় ভাটনগর। এখনও তিনি কলকাতাতেই রয়েছেন। তার মধ্যেই, এসএসসি কাণ্ডে প্রথম গ্রেফতারি করল সিবিআই। এর আগেও, উপ-রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ভোটাভুটি থেকে তৃণমূল বিরত থাকার পরের দিনই, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছে ইডি। ফলে মোদি-দিদির যে সেটিং নিয়ে কথা বলা হচ্ছে, তা সর্বৈব মিথ্যে।

    জানা গিয়েছে, সিবিআইয়ের এফআইআরে ১ নম্বরে শান্তিপ্রসাদ সিন্‌হা এবং ৪ নম্বরে অশোক সাহার নাম রয়েছে। সিবিআইয়ের দাবি, দুই কর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত একাধিক তথ্য উঠে আসবে। রঞ্জিতকুমার বাগের নেতৃত্বাধীন কমিটির রিপোর্টেও এসপি সিন্‌হা এবং অশোক সাহার নাম ছিল। অভিযোগ, মেয়াদ উত্তীর্ণ প্যানেল থেকে নিযুক্ত করা হয়েছিল সেই সময়। উপদেষ্টা কমিটির সদস্য হিসেবে দুই কর্তারও ভূমিকা ছিল এর পিছনে। 

    আরও পড়ুন: রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি সুকান্তর, কী লিখলেন তিনি?

  • Partha Chatterjee: আজ ফের আদালতে পেশ পার্থ-অর্পিতাকে, পুনরায় হেফাজতে চাইবে ইডি?

    Partha Chatterjee: আজ ফের আদালতে পেশ পার্থ-অর্পিতাকে, পুনরায় হেফাজতে চাইবে ইডি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Teachers Recruitment Scam) মামলায় আজ, বুধবার ইডি হেফাজতের (ED custody) মেয়াদ শেষ হচ্ছে ধৃত রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) ও তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee)। এই প্রেক্ষিতে আজই এই দুজনকে ফের ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করা হবে। এর আগে পার্থ-অর্পিতার ১০ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। সূত্রের খবর, এদিন ফের পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে নিজেদের হেফাজতে চাইতে পারেন তদন্তকারীরা। ইডি (ED) সূত্রে জানা গিয়েছে, জেরা পর্ব চলাকালীন বেশ কিছু তথ্য মিলেছে। এই পরিস্থিতিতে দু’জনকেই ফের জেরা করার প্রয়োজন আছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। সেই কারণেই পার্থ-অর্পিতাকে (Partha-Arpita) ফের হেফাজতে নেওয়ার ভাবনা ইডি-র।

    এদিন আদালতে তদন্তকারীদের তরফে সওয়ালে বলা হতে পারে, পার্থ এবং অর্পিতার নামে বেনামে প্রচুর সম্পত্তির (Benami Properties) হদিশ তাঁরা পেয়েছেন৷ আরও সম্পত্তির খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি এই বিপুল পরিমাণ টাকার উৎস এখনও পর্যন্ত জানা সম্ভব হয়নি৷ এ ছাড়াও তাঁদের বিলাসবহুল চারটি গাড়ির খোঁজও এখনও মেলেনি৷ ফলে পার্থ এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে মুখোমুখি বসিয়ে জেরার প্রয়োজন রয়েছে। সূত্রের খবর, তদন্তকারীদের অভিযোগ, পার্থ ও অর্পিতা দু’জনেই তদন্তকে বিপথে চালিত করার চেষ্টা করছেন। সূত্রের খবর, গুরুত্বপূর্ণ ও সুনির্দিষ্ট নথি থাকা সত্ত্বেও জেরায় তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করার জন্য নানা ধরনের কৌশলের আশ্রয় নিচ্ছেন পার্থ-অর্পিতা। এই বিষয়টিও এদিন আদালতে পেশ করতে পারে ইডি। 

    আরও পড়ুন: অভিজাত আবাসন থেকে নেল আর্ট পার্লার, ‘গুপ্ত’ধনের সন্ধানে অভিযান ইডি-র

    ইডির (ED) সন্দেহ, এই গোটা কাণ্ডে আরও একাধিক প্রভাবশালী জড়িয়ে থাকতে পারেন। সঙ্গে রয়েছে হাওয়ালা-যোগও। সেই কারণে ওই দু’জনকে ফের হেফাজতে নিয়ে আরও জেরা করার প্রয়োজন আছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। এর জন্য পার্থ ও অর্পিতাকে আবার হেফাজতে নিয়ে জেরা করার আবেদন করতে পারে ইডি। সূত্রের খবর, তদন্তকারী দল তাদের সওয়ালে এও জানাতে পারেন, কীভাবে প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যাচ্ছেন পার্থ-অর্পিতা। এছাড়া, পার্থর বিরুদ্ধে প্রভাবশালী তত্ত্বও তুলতে পারে ইডি। বলা হতে পারে, বের হলেই, নিজের প্রভাব খাটিয়ে অনেক তথ্যপ্রমাণ লোপাট করতে পারেন তিনি এবং অর্পিতা। 

    টালিগঞ্জ (Tollygunj) ও বেলঘরিয়া (Belghoria)— অর্পিতার দুটি ফ্ল্যাট থেকে নগদ ৫০ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। মিলেছে প্রায় ৬ কোটি মূল্যের সোনা। এছাড়া, ইডি এখনও রাজ্যজুড়ে পার্থ ও অর্পিতার নামে বেনামে থাকা বিপুল সম্পত্তির খোঁজ পেয়েছে। সেই তালিকায় যেমন রয়েছে ফ্ল্যাট ও বাড়ি, তেমনই রয়েছে ফার্মহাউস, কোম্পানি ও জমির দলিল। এই প্রেক্ষিতে, মঙ্গলবার কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে থাকা অন্তত ৬টি জায়গায় অভিযান চালিয়েছে ইডি। এরমধ্যে দক্ষিণ কলকাতার অভিজাত আবাসনের ফ্ল্যাট যেমন ছিল, তেমনই ছিল অর্পিতার একাধিক নেল-আর্ট পার্লার।

    আরও পড়ুন: মাথায় লাগলে শান্তি পেতাম, পার্থকে জুতো ছুড়ে বললেন মহিলা

    গতকালের অভিযান থেকে বেশ কিছু নথি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। সেগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি, খতিয়ে দেখা হচ্ছে অর্পিতার বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া তিনটি ডায়েরি। ইডি সূত্রের খবর, এই গোটা দুর্নীতির যাবতীয় হিসেব-নিকেষ রয়েছে ওই ডায়েরিগুলোতে। কার হাতে সেই ডায়েরি লেখা, তা নিশ্চিত করার জন্য হ্যান্ড-রাইটিং এক্সপার্টের (Hand writing expert) সহায়তা নেওয়া হচ্ছে। ফলে, এই পরিস্থিতিতে পার্থ-অর্পিতা জামিন পেলে, তদন্ত বিঘ্নিত হবে বলে মনে করছে ইডি। যে কারেণে, এই দুজন এখনই যাতে জামিন না পান, তার জন্য জোরালো সওয়াল করতে পারে ইডি। 

    এদিকে, গতকালের জুতোকাণ্ডের পর এদিন ব্যাঙ্কশাল আদালত (Bankshall court) চত্বরে কঠোর নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। আদালতে আগে থেকেই অতিরিক্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। পার্থ-অর্পিতার নিরাপত্তার জন্য রয়েছে অন্তত ৮৬ জন আধা-সামরিক বাহিনীর জওয়ান।

  • ED-CBI Joint Raid Birbhum: অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ কেরিম খান, টুলু মণ্ডলের বাড়িতে যৌথ অভিযানে ইডি-সিবিআই

    ED-CBI Joint Raid Birbhum: অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ কেরিম খান, টুলু মণ্ডলের বাড়িতে যৌথ অভিযানে ইডি-সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতার (Kolkata) পর এবার নজরে বীরভূম (Birbhum)। এসএসসি কাণ্ডে (SSC scam) তদন্তের মাঝেই এবার কয়লাকাণ্ড (Coal smuggling) ও গরুপাচার কাণ্ডের (Cattle smuggling) তদন্তেও ময়দানে নামল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। তবে একা নয়, একেবারে সিবিআই-কে (CBI) সঙ্গে নিয়ে বীরভূম তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) ঘনিষ্ঠ এক ব্যবসায়ী ও এক নেতার বাড়িতে সাতসকালে অভিযান চালাল যৌথ দল।

    বুধবার সকালে সিজিও কমপ্লেক্স (CGO complex) থেকে সকালে রওনা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দলের ৬টি গাড়ির কনভয়। বেলা এগারোটার কিছু পরে বোলপুর (Bolpur) পৌঁছয় ইডি-সিবিআই নিয়ে গঠিত যৌথ তদন্তকারী দল। বিশ্বভারতীর (Viswa Bharati) রতন কুটির গেস্ট হাউজে ওঠেন আধিকারিকরা। কিছুক্ষণের মধ্যেই দুটি দলে বিভক্ত হয়ে অভিযানে বেরিয়ে পড়েন তাঁরা। গন্তব্য, তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী এবং এক নেতার বাড়ি। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের নিয়ে একটি দল যায় নানুরের বাসাপাড়া ও আরেকটি দল যায় সিউড়ির (Siuri) দিকে। 

    আরও পড়ুন: আজ ফের আদালতে পেশ পার্থ-অর্পিতাকে, পুনরায় হেফাজতে চাইবে ইডি?

    নানুরের (Nanur) বাসাপাড়ায় বীরভূম জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ কেরিম খানের (TMC leader Kerim Khan) বাড়িতে যান অফিসারেরা৷ প্রসঙ্গত, ভোট-পরবর্তী হিংসায় অভিযুক্ত হিসাবে নাম রয়েছে এই কেরিম খানের৷ গরুপাচার কাণ্ডে তাঁকে এদিন জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। এছাড়া কেরিম খানের ডান হাত হিসাবে পরিচিত তৃণমূল (TMC) নেতা তথা নানুরের আটকুলা গ্রামে চালের আড়তের মালিক মুক্তার শেখের বাড়িতেও যান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসারেরা। 

    অন্যদিকে, পাথর ব্যবসায়ী টুলু মণ্ডলের (Stone trader Tulu Mondal) বাড়িতে সকাল সকাল হানা দেয় সিবিআই অফিসারেরা।  এরা দু’জনেই তৃণমূল বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ হিসাবেই পরিচিত। স্থানীয়দের দাবি, টুলু মণ্ডল কয়েকশো কোটি টাকার মালিক। তাই তাঁর বিপুল সম্পত্তির উৎস খুঁজতেই ইডি আধিকারিকেরা তাঁর বাড়িতে গিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। পাথর ব্যবসায়ী টুলু মণ্ডলের ৩টি বাড়িতে একযোগে তল্লাশি চলছে।

    ইতিমধ্যে কয়লা পাচার মামলায় অনুব্রতকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূল নেতার দেহরক্ষী সায়গল হোসেন (Saigal Hossain)। ইলামবাজার-সহ বীরভূমের নানা জায়গায় সায়গলের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ মিলেছে বলে দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সূত্রের খবর, এই সায়গলকে জিজ্ঞাসাবাদের সূত্র ধরে উঠে এসেছে টুলু ও কেরিমের নাম। অভিযোগ, সায়গলের ব্যবসা নাকি টুলু দেখতেন। অন্য দিকে, এঁদের সঙ্গে আর্থিক লেনদেন করতেন পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ কেরিম। এই সব সূত্র ধরেই ইডি ওই দুই বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছে বলে খবর।

    আরও পড়ুন: অভিজাত আবাসন থেকে নেল আর্ট পার্লার, ‘গুপ্ত’ধনের সন্ধানে অভিযান ইডি-র

    অন্যদিকে, এসএসসি কাণ্ডে বীরভূমে পার্থ-অর্পিতার (Partha-Arpita) বিপুল সম্পত্তির হদিশ পেতে এদিন অভিযানে নামে ইডি-র (ED) আরেকটি দল। এদিন সকালে শান্তিনিকেতনের (Shantiniketan) বাড়ি ‘অপা’-য় পৌঁছে তল্লাশি শুরু করে ইডি। প্রথমেই ওই বাড়িতে প্রবেশ করার পরই বাড়ির কেয়ারটেকারের থেকে বাড়ির দলিল পান ইডি আধিকারিকরা। রীতিমতো গোটা বাড়িটিকে ঘিরে ফেলে কেন্দ্রীয় বাহিনী।

    শান্তিনিকেতনের ফুলডাঙার ‘অপা’ (Apa) কার্যত এখন দর্শনীয় স্থান। সামনে বিশাল লন, বিভিন্ন গাছপালায় সুসজ্জিত একটি বাড়ি। বাড়িটি শিক্ষক দুর্নীতিতে গ্রেফতার হয় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee)। ইডির হাতে এসেছে বোলপুরের জমির দলিল। ২০১২ সালের জানুয়ারিতে কলকাতার সুসেন বন্দ্যোপাধ্যায়-শ্যামলী বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে ‘অপা’ বাড়িটি কিনেছিলেন পার্থ-অর্পিতা। বাড়িটির দলিলেও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সই মিলেছে৷

  • ED Raids Arpita Properties: অভিজাত আবাসন থেকে নেল আর্ট পার্লার, ‘গুপ্ত’ধনের সন্ধানে অভিযান ইডি-র

    ED Raids Arpita Properties: অভিজাত আবাসন থেকে নেল আর্ট পার্লার, ‘গুপ্ত’ধনের সন্ধানে অভিযান ইডি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি কাণ্ডের (SSC scam) তদন্তে নেমে মঙ্গলবার দিনভর শহরের মোট ৬টি জায়গায় ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে হানা দিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। মঙ্গলবার সকালেই ফের সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্স (CGO complex) থেকে ইডি (ED) আধিকারিকদের চারটি দল অভিযানে বেরিয়ে পড়ে। একটি দল যায় গড়িয়াহাট (Gariahat) এলাকার পণ্ডিতিয়া রোডে (Panditia Road)। দ্বিতীয় দলটি মাদুরদহ (Madurdaha) এবং তৃতীয় দল বরানগরে (Baranagar) যায়। চতুর্থ দলটি যায় পাটুলিতে (Patuli)। 

    দক্ষিণ কলকাতার পণ্ডিতিয়া এলাকার ফোর্ট ওয়েসিস (Fort Oasis) নামের অভিজাত আবাসনে অভিযান চালায় ইডি-র একটি দল। ইডি সূত্রে খবর, ওই আবাসনের ছ’নম্বর ব্লকের ৫০৩ নম্বর ফ্ল্যাটটি অর্পিতাকে ব্যবহার করতে দিয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। যদিও খাতায়কলমে ফ্ল্যাটটি অন্য এক ব্যক্তির নামে। ইডি সূত্রে খবর, ওই ফ্ল্যাটটি ওম ঝুনঝুনওয়ালা নামে এক ব্যক্তির নামে নথিভুক্ত করা আছে। 

    তদন্তকারী সংস্থার সূত্রে খবর, কলকাতার কোনও এক নামজাদা শিল্পপতির কাছ থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) এই ফ্ল্যাটটি উপহার হিসেবে পেয়েছিলেন ২০১৫-১৬ সাল নাগাদ, যে সময়ে তিনি আসীন ছিলেন বাংলার শিক্ষামন্ত্রীর পদে। দক্ষিণ কলকাতার এই বন্ধ ফ্ল্যাটটিতেও কোটি কোটি টাকা লুকিয়ে রাখা হয়ে থাকতে পারে বলে সন্দেহ এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট-এর।

    আরও পড়ুন: “তৃণমূলের ১০০ জনের নাম তুলে দিয়েছি…”, অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকের পর শুভেন্দু

    দীর্ঘ চেষ্টা করেও ঝুনঝুনওয়ালা নামে সেই ব্যক্তির কোনও হদিস পাওয়া যায়নি বলে সূত্রের খবর। স্বাভাবিকভাবেই ইডি এখন তাঁর খোঁজ শুরু করেছে। ওই ফ্ল্যাট বেনামে কেনা হয়েছিল বলে সন্দেহ গোয়েন্দাদের। আবাসনের নিরাপত্তারক্ষী জানিয়েছে, কয়েকমাস ধরে তালাবন্ধ ওই ফ্ল্যাটের মালিক। যদিও ইডি সূত্রে দাবি, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সূত্রে পণ্ডিতিয়া রোডের এই ফ্ল্যাটটি ব্যবহার করতেন অর্পিতা। আপাতত, ফ্ল্যাটটি সিল করে দিয়েছে ইডি।

    এই আবাসনের পাশাপাশি, পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা একাধিক নেল আর্টের (nail art) দোকানে তল্লাশি চালায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। অর্পিতা ও পার্থর নামে থাকা বেলঘরিয়ার (Belghoria) ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে এই সব নেইল আর্ট শপ সম্পর্কে জানতে পারেন ইডি আধিকারিকরা৷ সেই তথ্যের ভিত্তিতেই এ দিন ৬টি জায়গায় অভিযান চালায় কেন্দ্রীয় সংস্থা৷ 

    একটি দল আসে দক্ষিণ কলকাতার পাটুলিতে পালকি রেস্টুরেন্টের উল্টো দিকে অর্পিতার নেল আর্ট পার্লারে। এদিন পাটুলির ‘ম্যাজিক টাচ, দ্য নেল প্লেস’ দোকানটিতে অভিযান করেন ইডি আধিকারিকরা। এদিন সেই ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর প্রসেনজিৎ দাসকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেন ইডি আধিকারিকরা। তদন্তকারীদের ধারণা, নেল আর্টের দোকান কিনতে বা ভাড়া নিতে সাহায্য নেওয়া হয়েছিল কাউন্সিলরের। যদিও প্রসেনজিতের দাবি, দোকান কেনা বা লিজের ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না। তবে কিছু নথিপত্র সম্ভবত পাওয়া গিয়েছে। প্রয়োজনে সেটি বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে যেতে পারেন তদন্তকারীরা। 

    আরও পড়ুন: মাথায় লাগলে শান্তি পেতাম, পার্থকে জুতো ছুড়ে বললেন মহিলা

    পাটুলির পাশাপাশি বরানগর, লেক গার্ডেন্স এবং লেক ভিউ রোডের নেল আর্ট স্টুডিওতেও তল্লাশি চালিয়েছে ইডি। ইডি সূত্রে খবর, মাঝে মধ্যেই এই শপগুলিতে যেতেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়৷ বরানগর ও লেক ভিউ-র পার্লার থেকেও নথি সংগ্রহ করেন ইডি আধিকারিকরা। লেকভিউ পার্লারটি বেশ কয়েকদিন ধরে বন্ধ ছিল। দুপুরে ইডি আধিকারিকরা পৌঁছলেও পার্লার বন্ধ থাকায় তাঁরা অপেক্ষা করতে থাকেন। এরপর পার্লারের ম্যানেজার এসে পার্লারটি খুলে দেন। বেশ কিছুক্ষণ তল্লাশি চালিয়ে গুরুত্বপূর্ণ নথির পাশাপাশি সিসিক্যামেরার হার্ডডিস্কও বাজেয়াপ্ত করেন তাঁরা। 

    বরানগরে অর্পিতার নেল আর্ট পার্লারেও চলে তল্লাশি। সেখান থেকেও গুরুত্বপূর্ণ নথি সংগ্রহ করেন ইডি আধিকারিকরা। ইডির আধিকারিকরা জানিয়েছেন, বেশ কিছু কাগজপত্র উদ্ধার করা হয়েছে৷ যেগুলি তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করা যাবে৷ সেই সব কাগজগুলিকে কেন্দ্রীয় সংস্থা বাজেয়াপ্ত করেছে৷ তবে, নেইল আর্ট শপগুলিতে কোনও টাকা বা মূল্যবান সামগ্রী এখনও পাওয়া যায়নি বলে জানা গিয়েছে৷ 

    অন্যদিকে, মাদুরদহের ওম ভিলা আবাসনেও তল্লাশি অভিযানে যান ইডি-র আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, এখানে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের একটি জমি ছিল। যেখানে কয়েকজন ফ্ল্যাটও কেনেন বলে খবর। সেই সংক্রান্ত তথ্য জানতেই তল্লাশি অভিযান চালানো হয় মাদুরদহে। ফ্ল্যাটের পরিচারিকা এবং কেয়ারটেকারের সঙ্গে কথাও বলেন তাঁরা। একইসঙ্গে কেন্দুয়া মেন রোড সংলগ্ন একটি ফ্ল্যাটেও হানা দেয় ইডি।

    আরও পড়ুন: “আমার অনুপস্থিতিতে ঘরে…”, এবার মুখ খুললেন অর্পিতা, করলেন বিস্ফোরক অভিযোগ

  • WB Cabinet Reshuffle: মন্ত্রিসভায় রদবদল, শপথ নিলেন বাবুল, উদয়ন সহ ৯ 

    WB Cabinet Reshuffle: মন্ত্রিসভায় রদবদল, শপথ নিলেন বাবুল, উদয়ন সহ ৯ 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘোষণা মতো বুধবারের বারবেলায় মন্ত্রিসভায় রদবদল করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। দিন কয়েক আগেই মন্ত্রিসভায় রদবদলের কথা ঘোষণা করেছিলেন তিনি। তখনই জানিয়েছিলেন, বর্তমান মন্ত্রিসভার চার পাঁচজনকে দলের কাজে লাগানো হবে। আসবেন পাঁচ ছ জন নতুন মুখ। সেই মতো এদিন শপথ নিয়েছেন মোট ন’ জন। রাজভবনে তাঁদের শপথবাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল লা গণেশন।

    দলে এক ব্যক্তি এক পদ নীতির দাবি উঠেছিল অনেক আগেই। এই দাবি উঠে এসেছিল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) গলায়ই। প্রথম দিকে অভিষেকের দাবিকে আমল না দিলেও এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডে (SSC Scam) রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) গ্রেফতার হতেই আমূল বদলে যায় পরিস্থিতি। রাজনৈতিক মহলের মতে, সেই কারণেই মন্ত্রিসভায় রদবদল।

    আরও পড়ুন : মন্ত্রিত্ব থেকে দলীয় পদ, সবকিছু থেকেই পার্থকে ছেঁটে ফেললেন মমতা

    এদিন যে নজন শপথ নিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে আটজনই নতুন। আর প্রতিমন্ত্রী থেকে স্বাধীন দফতরের দায়িত্ব পেলেন বীরবাহা হাঁসদা। এদিন পূর্ণ মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন বাবুল সুপ্রিয়, স্নেহাশিস চক্রবর্তী, উদয়ন গুহ, প্রদীপ মজুমদার। স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন বীরবাহা হাঁসদা এবং বিপ্লব রায়চৌধুরী। প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন সত্যজিৎ বর্মন এবং তাজমূল হোসেন। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসুও উপস্থিত ছিলেন। তবে অনুষ্ঠানে যাননি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী।

    রাজনৈতিক মহলের মতে, বাবুল যে মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পাবেন, তা এক প্রকার নিশ্চিতই ছিল। কারণ মন্ত্রিত্ব খোয়া যাওয়ায় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন বাবুল। এদিন তিনি তারই পুরস্কার পেলেন। পুরস্কার পেয়েছেন আরও একজন। তিনি উদয়ন গুহ। দিনহাটায় বিজেপি প্রার্থীকে লক্ষাধিক ভোটে হারানোর পুরস্কার পেয়েছেন তিনিও। এক সময় ফরওয়ার্ড ব্লক করলেও, পরে ভিড়ে যান তৃণমূলে। দলবদল এবং বিজেপি প্রার্থীকে লক্ষাধিক ভোটে পরাস্ত করার পুরস্কারই এদিন তুলে দেওয়া হয়েছে তাঁর হাতে। সেই সঙ্গে মন্ত্রিসভায় প্রতিনিধিত্ব রইল উত্তরবঙ্গেরও।

    আরও পড়ুন : জয়ী দ্রৌপদী, মমতা ব্যর্থ, তৃণমূলনেত্রীকে কটাক্ষ বিজেপির

    ২০২৪ লোকসভা নির্বাচন। তার আগে রয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচন। সেকথা মাথায় রেখেই মমতা মন্ত্রিসভায় রদবদল করলেন বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলের। সেই কারণেই মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পেয়েছেন মালদহের তাজমূল হোসেন। এই তাজমূলও ফরওয়ার্ড ব্লক থেকে বেরিয়ে ভিড়েছিলেন তৃণমূলের ছাতার তলায়। তাই পুরস্কার পেয়েছেন তিনিও। ‘পদোন্নতি’ হয়েছে বীরবাহা হাঁসদারও।

    ভোট যে বড় বালাই!

     

  • Arpita Chatterjee: “আমার অনুপস্থিতিতে ঘরে…”, এবার মুখ খুললেন অর্পিতা, করলেন বিস্ফোরক অভিযোগ

    Arpita Chatterjee: “আমার অনুপস্থিতিতে ঘরে…”, এবার মুখ খুললেন অর্পিতা, করলেন বিস্ফোরক অভিযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুদিন আগেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) মুখে বলতে শোনা গিয়েছিল, “টাকা আমার নয়…।” রবিবার জোকা ইএসআই (Joka ESI) হাসপাতালের সামনে এই মন্তব্য করেছিলেন এসএসসি কাণ্ডে (SSC scam) ইডি-র (ED) হাতে গ্রেফতার হওয়া তৃণমূলের (TMC) সাসপেন্ডেড নেতা। এবার মঙ্গলবার, মুখ খুললেন পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায় (Arpita Mukherjee)। আর প্রথমেই করে বসলেন বিস্ফোরক অভিযোগ। 

    আদালতের নির্দেশে এদিন নিয়মমাফিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য পার্থ-অর্পিতাকে নিয়ে আসা হয়েছিল জোকা ইএসআই হাসপাতালে। সেখানেই মুখ খোলেন তিনি। এতদিন মুখ না খুললেও, প্রকাশ্যে কাঁদতে ও হাত-পা ছুড়তে দেখা গিয়েছে অর্পিতাকে। কিন্তু, এদিন তিনি বললেন, ‘আমার অনুপস্থিতিতে টাকা ঢোকানো হয়েছে’। 

    আরও পড়ুন: পার্থ-অর্পিতার পর এবার কাকে জেরা করতে চলেছে ইডি, জানেন?

    এদিন সাংবাদিকরা অর্পিতার উদ্দেশে প্রশ্ন ছুড়ে দেন, টাকা কার? জবাবে তিনি বলেন, “এই টাকা আমার নয়। আমার অনুপস্থিতিতে এবং আমার অজান্তে এই টাকা ঘরে ঢোকানো হয়েছে।” অর্থাৎ তাঁর ডায়মন্ড সিটি ও বেলঘরিয়ার ক্লাব টাউনের ফ্ল্যাট থেকে যে টাকার পাহাড় উদ্ধার হয়েছে তা তাঁর অজ্ঞাতসারে সেখানে কেউ বা কারা ঢুকিয়ে দিয়েছিল বলে অভিযোগ করলেন অর্পিতা।

    এর আগে জেরা চলাকালীনও অর্পিতা একই কথা জানিয়েছিলেন। ইডি সূত্রের খবর, অর্পিতা জানিয়েছিলেন, বন্ধ ঘরে প্রবেশাধিকার ছিল না তাঁর। উল্লেখ্য, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের টালিগঞ্জের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে ২১ কোটি টাকা। আর বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে ২৯ কোটি টাকা এবং সোনা পেয়েছে ইডি।

    আরও পড়ুন: তৃণমূলের হয়ে প্রচার অর্পিতার, প্রকাশ্যে ছবি, এর পরেও অস্বীকার করবে শাসক দল?

    আগের দিন যখন জোকা ইএসআই হাসপাতালে পার্থবাবুকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সেই সময়ে টাকার ব্যাপারে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেছিলেন, ‘আমার টাকা নয়।’ এবার একই কথা বললেন অর্পিতাও। অর্থাৎ, দু’জনের দু’দিনের বয়ান অনুযায়ী, অর্পিতার ফ্ল্যাটে উদ্ধার হওয়া টাকা পার্থর নয়, অর্পিতারও নয়। এখন প্রশ্ন হল, তাহলে টাকাটা কার? যদিও, সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের কোনও উত্তর এদিন দেননি অর্পিতা।

  • Arpita Mukherjee: ১৮ জোড়া দুল, ১১টি বালা…! অর্পিতার ফ্ল্যাটে উদ্ধার হওয়া সোনার পুরো তালিকা

    Arpita Mukherjee: ১৮ জোড়া দুল, ১১টি বালা…! অর্পিতার ফ্ল্যাটে উদ্ধার হওয়া সোনার পুরো তালিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি কোনও ডাকসাইটে অভিনেত্রী বা নামজাদা মডেল নন। বাংলা ও ওড়িয়া ভাষার কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করলেও, তিনি কোনও পরিচিত মুখই নন। এমনও নয়, তিনি পুরুষাণুক্রমে বিপুল সম্পত্তির অধিকারী হয়েছেন। তা সত্ত্বেও, প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) ঘনিষ্ঠ অভিনেত্রী-মডেল অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) সম্পত্তির পরিমাণ দেখে ভিরমি খাওয়ার জোগাড় সকলের।

    এসএসসি কাণ্ডের (SSC scam) তদন্তে নেমে অর্পিতার দুটি ফ্ল্যাটে হানা দিয়ে যেন যকের ধনের সন্ধান পেয়েছেন ইডি (ED) গোয়েন্দারা। প্রথমে টালিগঞ্জের (Tollygunj) হরিদেবপুরে অভিজাত ডায়মন্ড সিটি সাউথের (Diamond City South) ফ্ল্যাট থেকে নগদ ২১ কোটি টাকা উদ্ধার হয়। এই উদ্ধার নিয়ে যখন চারদিক তোলপাড়, তখন এরচেয়েও বড় জ্যাকপট লাগে ইডি-র হাতে। এবার অর্পিতার বেলঘরিয়ার (Belghoria) ক্লাব টাউন হাইটস আবাসনের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় নগদ ২৯ কোটি টাকা। সঙ্গে উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণ সোনা।

    আরও পড়ুন: ফের ইডি হেফাজত! ৫ অগাস্ট পর্যন্ত CGO কমপ্লেক্সের জেলেই থাকতে হবে পার্থ-অর্পিতাকে

    টাকার অঙ্ক মোটামুটি সকলেই জেনে গিয়েছেন। ইডি সূত্রের খবর, অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া সোনার খতিয়ান সম্প্রতি আদালতে পেশ করেছে তদন্তকারী সংস্থা। সেখানে কী কী উদ্ধার হয়েছে, তার পূর্ণ তালিকা পেশ করা হয়। ইডি সূত্রের খবর, হিসেব বলছে বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটেই ছিল প্রায় ৪ কোটি ৩০ লক্ষের সোনা। সেই নথি আদালতে জমা দিয়েছে ইডি। নথিতে বলা হয়েছে উদ্ধার হওয়া এক-একটি কঙ্কনের ওজন ৫০০ গ্রাম। উদ্ধার হয়েছে ১১টি সোনার বালা, ১৮ জোড়া সোনার দুল, ৪টি বড় হার, ৯টি নেকলেস, ৭টি সোনার চেন, ৫টি আংটি। এছাড়া উদ্ধার হয়েছে ৮টি সোনার বাট ও একটি সোনার কলম।

    উদ্ধার হওয়া সোনার পরিমাণ থেকে শুরু করে সোনার গয়নার ওজন— সন্দেহ উঠছে সবকিছু নিয়ে। প্রশ্ন উঠেছে কী করে তিনি এই বিপুল সম্পত্তি একত্রিত করলেন? ইডি সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত সম্পত্তির উৎস সম্পর্কে মুখ খোলেননি পার্থ-ঘনিষ্ঠ। তবে অর্পিতা দাবি করেছেন, তাঁর অজান্তে ওই টাকা তাঁর ফ্ল্যাটে ঢোকানো হয়েছিল। যে ঘর থেকে টাকা উদ্ধার হয়েছে, তা তাঁর ফ্ল্যাটের মধ্যে হলেও, সেখানে প্রবেশাধিকার তাঁর নাকি ছিল না।

    আরও পড়ুন: পার্থর বাড়িতে নথির ফাইলটি তল্লাশির আগে রেখে এসেছিলেন কে? ‘ষড়যন্ত্র’?

    এখন প্রশ্ন হচ্ছে, টাকার মতো কি এই বিপুল পরিমাণ সোনাও তাঁর অজান্তে ও অবর্তমানে তাঁর ক্যাবিনেটে রাখা হয়েছিল? কী বলছেন অর্পিতা?

  • ED Raids Apa: শান্তিনিকেতনে পার্থ-অর্পিতার ‘অপা’-য় হানা ইডির, সম্পত্তির খোঁজে মাটি খুঁড়ে তল্লাশি

    ED Raids Apa: শান্তিনিকেতনে পার্থ-অর্পিতার ‘অপা’-য় হানা ইডির, সম্পত্তির খোঁজে মাটি খুঁড়ে তল্লাশি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি দুর্নীতি (SSC Scam) কাণ্ডে যেন পরতে পরতে রহস্য। তদন্তে নামতেই ‘যকের ধন’- এর সন্ধান পেয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে (Arpita Mukherjee) দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার করেছে ইডি। অর্পিতার দুটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৫০ কোটি টাকা এবং বিপুল সোনা গয়না। কিন্তু তাতেও যেন রোমাঞ্চে ইতি নেই।

    এবার পার্থ-অর্পিতার শান্তিনিকেতনের বিলাসবহুল বাড়ি ‘অপা’- য় (Apa) হানা দিল ইডি। পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের সম্পত্তির পরিমাণ খতিয়ে দেখতে ৭ জন ইডি আধিকারিকের একটি দল ওই বুধবার সাত সকালে অপা-য় যায়। তাঁদের একটি দল অবশ্য মঙ্গলবার রাতেই পৌঁছে গিয়েছিল। 

    আরও পড়ুন: অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ কেরিম খান, টুলু মণ্ডলের বাড়িতে যৌথ অভিযানে ইডি-সিবিআই

    শান্তিনিকেতনের ফুলডাঙায় রয়েছে পার্থ-অর্পিতার এই রাজকীয় বাড়ি।  সকাল থেকে তল্লাশি অভিযান এখনও চলছে। ৭ জন ইডি অফিসারের একটা দল বাড়ির ভিতরে রয়েছেন।  ইডি সূত্রের খবর, পার্থ-অর্পিতাকে জেরা করে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই এদিন ‘অপা’-য় হানা দিয়েছে  ইডি। ওই বাড়িতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। ইতিমধ্যেই গোটা বাড়িটি ঘিরে ফেলেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। বাড়ির গেট খুলে ভিতরে প্রবেশ করেন ইডি আধিকারিকরা। দীর্ঘক্ষণ ধরে মাটি খুঁড়ে ম্যারাথন তল্লাশি চালায় ইডি। সূত্রের খবর, সেখান থেকে অর্পিতার নামে ব্যাংক অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছে। এর পাশাপাশি, হদিশ মিলেছে ‘লাবণ্য’ ও ‘তিতলী’ নামের দুই বাড়ির।

    ২০১২ সালে এই বাড়িটি অর্পিতার নামে কেনা হয়। বাড়িটির দলিলেও পার্থ চ্যাটার্জির সই মিলেছে। শান্তিনিকেতনের ফুলডাঙার ‘অপা’ (Apa) কার্যত এখন দর্শনীয় স্থান। সামনে বিশাল লন, বিভিন্ন গাছপালায় সুসজ্জিত একটি বাড়ি। ইডির হাতে এসেছে বোলপুরের জমির দলিল। ২০১২ সালের জানুয়ারিতে কলকাতার সুসেন বন্দ্যোপাধ্যায়-শ্যামলী বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে ২০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ‘অপা’ বাড়িটি কিনেছিলেন পার্থ-অর্পিতা। বাড়িটির দলিলেও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সই মিলেছে৷

    আরও পড়ুন: আজ ফের আদালতে পেশ পার্থ-অর্পিতাকে, পুনরায় হেফাজতে চাইবে ইডি? 

    বীরভূমের শান্তিনিকেতনে পার্থ-অর্পিতার বিপুল সম্পত্তির হদিশ আগেই মিলেছে। শান্তিনিকেতন-বোলপুর এলাকায় পার্থ-অর্পিতার একাধিক ফ্ল্যাট, বাগানবাড়ি, গেস্ট হাউজ রয়েছে বলে সূত্র মারফত খবর। পার্থ-অর্পিতার নামে একাধিক বাড়ি রয়েছে শান্তিনিকেতন, প্রান্তিক, বনেরপুকুর ডাঙায়। অপা ছাড়া আরও ৭ বাড়ি রয়েছে পার্থ-অর্পিতার বলে খবর। 

    এদিকে, ইডি সূত্রে খবর, বোলপুরে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের যে ৭টি বাড়ির হদিশ মিলেছে সেগুলি আদতে কার, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কিনা তা জানতেই আহমেদপুরের (Ahmedpur) রাজীব ভট্টাচার্যের বাড়িতে হানা দেন ইডি আধিকারিকরা। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জমি, বাড়ি সহ সমস্ত সম্পত্তির দেখাশোনা করতেন রাজীব ভট্টাচার্য (Rajiv Bhattacharya)। তাই তাঁকে জেরা করেই বোলপুরের (Bolpur) বিশাল সম্পত্তির মালিকানার প্রকৃত হদিশ মিলবে বলে মনে করছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। ইতিমধ্যে রাজীব ভট্টাচার্যের বাড়িতে ঢুকে তল্লাশি অভিযান চালানোর পাশাপাশি তাঁকে জেরা শুরু করেছেন তাঁরা।

    সময় যত গড়াচ্ছে আরও বেশি করে পার্থ-অর্পিতার সম্পত্তির খোঁজ মিলছে। এর শেষ কোথায়, তাই এখন দেখার পালা। 

  • SSC Scam: পার্থ-অর্পিতার পর এবার কাকে জেরা করতে চলেছে ইডি, জানেন?

    SSC Scam: পার্থ-অর্পিতার পর এবার কাকে জেরা করতে চলেছে ইডি, জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পার্থ-অর্পিতার পর এবার অর্পিতার গাড়ি চালক প্রণব ভট্টাচার্যকে (Pranab Bhattacharya) জেরা করতে চলেছে ইডি (ED)। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রেই এ খবর মিলেছে। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) সঙ্গে সঙ্গে ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়া অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjees) গাড়ি চালাতেন এই প্রণব। ইডির দাবি, প্রণবকে জেরা করলেই মিলতে পারে বিস্ফোরক তথ্য।

    এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (SSC Recruitment Scam) তদন্ত করতে গিয়ে ইডি গ্রেফতার করেছে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে। অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে ৫০ কোটিরও বেশি টাকা এবং সোনা। ঘটনাটিকে ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেছেন পার্থ। টাকা এবং সোনা উদ্ধারের ঘটনার প্রেক্ষিতে মন্ত্রিত্ব খোয়াতে হয়েছে পার্থকে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে তাঁকে। অর্পিতার ফ্ল্যাটে পাওয়া টাকা কার, তা জানেন না বলেই দাবি করেছেন পার্থ। অর্পিতারও দাবি, টাকা তাঁর নয়। ইডি সূত্রে খবর, সমস্ত সম্ভাব্য সূত্র থেকে তথ্য জোগাড় করতে চাইছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। সেই মতো প্রণবকেও জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছে তারা। কারণ ২২ জুলাই অর্পিতার ডায়মন্ড সিটির ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালানোর সময় সেখানে হাজির ছিলেন তাঁর গাড়ি চালক প্রণবও।

    আরও পড়ুন : তৃণমূলের হয়ে প্রচার অর্পিতার, প্রকাশ্যে ছবি, এর পরেও অস্বীকার করবে শাসক দল?

    এদিকে, অর্পিতা ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন প্রণব। তাঁর জুলাই মাসের বেতন এখনও বকেয়া। কবে পাবেন, তা জানেন না। এমতাবস্থায় সংসার চালাতে যেন-তেন প্রকারে তিনি চাইছেন নতুন একটা কাজ জোটাতে। প্রণব স্বীকার করেছেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের রেফারেন্সেরই অর্পিতার গাড়ি চালানোর কাজ পেয়েছিলেন তিনি। অর্পিতার গাড়ি চালক এও জানিয়েছেন, স্থানীয় এক নেতাকে ধরে তিনি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে গিয়েছিলেন। তার পরেই মেলে অর্পিতার গাড়ির ড্রাইভারির চাকরি। চলতি বছরের জানুয়ারিতেই ওই চাকরি পান তিনি। প্রণব জানান, অর্পিতার আরও অনেক গাড়িচালক ছিলেন। তবে তিনি যখন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে যেতেন, তখন চালক হিসেবে তাঁকেই সঙ্গে নিতেন। অর্পিতার গাড়ি চালকদের মধ্যে ছিলেন তাঁর বোনের স্বামী কল্যাণ ধরও। তবে বেরনোর সময় তাঁকে সঙ্গে নিতেন না অর্পিতা।

    আরও পড়ুন : মালিক-মালকিন ইডি জালে, সারমেয় বন্দি ‘চিলতে’ ফ্ল্যাটে!

LinkedIn
Share