Tag: ssc scam

ssc scam

  • SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতিতে ফের পার্থর জামিন খারিজ করল হাইকোর্ট, কেন জানেন?

    SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতিতে ফের পার্থর জামিন খারিজ করল হাইকোর্ট, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Scam) মামলায় ফের রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের আর্জি খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। মঙ্গলবার বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের পর্যবেক্ষণ, ‘তদন্ত যে পর্যায়ে রয়েছে এই মুহূর্তে জামিন মঞ্জুর করা সম্ভব নয়।’ নিয়োগ মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পর একাধিকবার জামিন চেয়েছেন পার্থ। শারীরিক অসুস্থতার প্রসঙ্গ তুলে সম্প্রতি ফের জামিনের আর্জি জানিয়েছিলেন পার্থর আইনজীবী। পাল্টা হিসেবে ইডির তরফে পার্থর বিরুদ্ধে যে সমস্ত অভিযোগে এফআইআর দায়ের হয়েছে সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট আদালতে জমা দেওয়া হয়। এরপরই জামিনের আর্জি খারিজ করে দেন বিচারপতি।

    কী বলল আদালত

    গত মঙ্গলবার এই মামলার (SSC Scam) শুনানিতে পার্থকে হেফাজতে রাখার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল রাজ্যের উচ্চ আদালতে। ইডির উদ্দেশে বিচারপতি ঘোষ প্রশ্ন করেছিলেন, ‘‘পার্থকে কি আর হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে?’’ তিনি মন্তব্য করেছিলেন, ‘‘নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত এখন আর প্রাথমিক পর্যায়ে নেই। যদি ধরেও নেওয়া যায় যে, ২০২২ সালের শেষে ইডির মামলাগুলি দায়ের হয়েছিল, তা হলেও প্রায় দেড় বছরের বেশি হয়ে গিয়েছে। এখন তদন্তকারী সংস্থার অবস্থান স্পষ্ট হওয়া দরকার।’’ ইডি আদালতে সওয়াল করার সময় জানিয়েছিল, এক ‘মিডল ম্যান’-এর কাছ থেকে আরও কিছু সম্পত্তির হদিস পাওয়া গিয়েছে। যেগুলি এখনও তদন্তের আওতায় আসেনি। সঠিক পথে তদন্ত এগিয়ে চলছে। তবে পার্থের তরফে জানানো হয়, নিয়োগ মামলায় ধৃত অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট উদ্ধার হওয়া সমস্ত টাকার দায় তাঁর উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাই তিনি সমস্ত অভিযোগ থেকে নিষ্কৃতি পেতে চান।

    আরও পড়ুুন: তৃতীয় দফায় কী প্রচার করবেন, কৌশল বাতলে এনডিএ প্রার্থীদের চিঠি মোদির

    পার্থ-অর্পিতা যোগ

    নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Scam) মামলায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় যতই তাঁর বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা করুন না কেন, এই দুর্নীতিতে পার্থ-অর্পিতার যোগ স্পষ্ট বলেই মনে করছে ইডি । একাধিক তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আদালতের কাছে সেই বিষয়টি তুলে ধরেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। পার্থ চট্টোপাধ্যায় অর্পিতার দত্তক নেওয়া সন্তানের দায়িত্ব নিতে চেয়েছিলেন। তাঁদের একাধিক জীবনবিমার পলিসি ছিল। দু’জনের নামে যৌথ সম্পত্তিও রয়েছে । স্ত্রীর মৃত্যুর পর পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কোম্পানির শেয়ারে পত্নীর নামের জায়গায় অর্পিতার নাম ঢোকানো-সহ এরকম একাধিক বিষয় রয়েছে। সেই বিষয়ে এখনও তদন্ত চলছে । আদালত প্রাথমিকভাবে এই বিষয়গুলি অস্বীকার করা সম্ভব নয় বলেই মনে করেছে।এরপর বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ জানান, তিনি দুঃখিত। এই মুহূর্তে পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের জামিন মঞ্জুর করা সম্ভব নয়। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: চাকরি বাতিল নিয়ে আজ শুনানি সুপ্রিম কোর্টে, হাইকোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশের আর্জি

    SSC Scam: চাকরি বাতিল নিয়ে আজ শুনানি সুপ্রিম কোর্টে, হাইকোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশের আর্জি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Scam) মামলায় ২০১৬ সালের পুরো প্যানেল বাতিল করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মী চাকরি হারিয়েছেন। আজ, সেই মামলার শুনানি সুপ্রিম কোর্টে। হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য সরকার, এসএসসি এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করেছিল মামলা। সোমবার এই মামলাটির শুনানি হতে চলেছে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের এজলাসে।

    কী ভাবছেন চাকরিহারারা

    চাকরিহারাদের দাবি, কেন কিছু অযোগ্য ব্যাক্তির জন্য যোগ্যরা এই কষ্ট ভোগ করবে। এর দায় এসএসসি, (SSC Scam) রাজ্য সরকারকে নিতে হবে। চাকরিহারাদের আর্জি, সুপ্রিম কোর্ট বিষয়টি মানবিক দিক থেকে বিচার করুক। কয়েকজন অযোগ্যর জন্য সমস্ত যোগ্যদের চাকরি যেন না যায়। গত সোমবার এসএসসি মামলায় ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ার সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করে দেয় হাইকোর্ট। বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চের ওই রায়ের ফলে ২৫,৭৫৩ জন শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীর চাকরি চলে যায়। হাই কোর্টের চাকরি বাতিলের ওই রায়ের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য সরকার। শীর্ষ আদালতে মামলা করে এসএসসি, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং চাকরিহারাদের একাংশ। মূল মামলাকারীদের আইনজীবী ফিরদৌস শামিমের বক্তব্য, “২০১৬ সালের ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোনও নিয়মই মানা হয়নি। আদালতের নজরে একাধিক ত্রুটি ধরা পড়েছে। এ ছাড়া দুর্নীতি তো হয়েছেই। তাই পুরো প্যানেল বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে হাই কোর্ট। এমনকি বার বার বলা সত্ত্বেও যোগ্যদের তালিকা আদালতে জমা দেয়নি এসএসসি। ফলে অনেক যোগ্য ব্যক্তির চাকরি চলে যায়। আশা করছি, সুপ্রিম কোর্টেও ওই রায় বহাল থাকবে।” 

    আরও পড়ুুন: “ওয়েনাড়ে জিততে কংগ্রেস নিষিদ্ধ পিএফআইয়ের সাহায্য নিচ্ছে”, তোপ মোদির

    প্রধান বিচারপতি শুনবেন মামলা

    সোমবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চ ওই মামলা শুনবে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি সময়ে বাংলায় নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত কোনও মামলা সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হলেও ‘মাস্টার অফ দি রোস্টার’(মামলার গুরুত্ব বুঝে নিজের কাছে রাখা) প্রধান বিচারপতি নিজের কাছে রাখেননি। কিন্তু, এই প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মীর চাকরি চলে যাওয়ার মামলাটি তিনি নিজেই শুনবেন বলে ঠিক করেছেন। শীর্ষ আদালতের আইনজীবীদের একাংশ এই নিয়োগ বাতিল মামলাটি অন্য কারও এজলাসে না দিয়ে নিজের হাতে রাখার বিষয়টিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করে দেখছেন। রাজ্যের হয়ে দাঁড়াতে পারেন আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি, কপিল সিব্বল। আইনজীবী মুকুল রোহতগি সওয়াল করতে পারেন চাকরিহারাদের হয়ে। সিবিআইয়ের হয়ে লড়বেন কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল (এসজি) তুষার মেহতা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: চাকরি বাতিল নিয়ে আজ শুনানি সুপ্রিম কোর্টে, হাইকোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশের আর্জি

    SSC Scam: চাকরি বাতিল নিয়ে আজ শুনানি সুপ্রিম কোর্টে, হাইকোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশের আর্জি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২০১৬ সালের পুরো প্যানেল বাতিল করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মী চাকরি হারিয়েছেন। আজ, সেই মামলার শুনানি সুপ্রিম কোর্টে। হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য সরকার, এসএসসি এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করেছিল মামলা। সোমবার এই মামলাটির শুনানি হতে চলেছে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের এজলাসে।

    কী ভাবছেন চাকরিহারারা

    চাকরিহারাদের দাবি, কেন কিছু অযোগ্য ব্যাক্তির জন্য যোগ্যরা এই কষ্ট ভোগ করবে। এর দায় এসএসসি, রাজ্য সরকারকে নিতে হবে। চাকরিহারাদের আর্জি, সুপ্রিম কোর্ট বিষয়টি মানবিক দিক থেকে বিচার করুক। কয়েকজন অযোগ্যর জন্য সমস্ত যোগ্যদের চাকরি যেন না যায়। গত সোমবার এসএসসি মামলায় ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ার সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করে দেয় হাইকোর্ট। বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চের ওই রায়ের ফলে ২৫,৭৫৩ জন শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীর চাকরি চলে যায়। হাই কোর্টের চাকরি বাতিলের ওই রায়ের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য সরকার। শীর্ষ আদালতে মামলা করে এসএসসি, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং চাকরিহারাদের একাংশ। মূল মামলাকারীদের আইনজীবী ফিরদৌস শামিমের বক্তব্য, “২০১৬ সালের ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোনও নিয়মই মানা হয়নি। আদালতের নজরে একাধিক ত্রুটি ধরা পড়েছে। এ ছাড়া দুর্নীতি তো হয়েছেই। তাই পুরো প্যানেল বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে হাই কোর্ট। এমনকি বার বার বলা সত্ত্বেও যোগ্যদের তালিকা আদালতে জমা দেয়নি এসএসসি। ফলে অনেক যোগ্য ব্যক্তির চাকরি চলে যায়। আশা করছি, সুপ্রিম কোর্টেও ওই রায় বহাল থাকবে।” 

    আরও পড়ুুন: “ওয়েনাড়ে জিততে কংগ্রেস নিষিদ্ধ পিএফআইয়ের সাহায্য নিচ্ছে”, তোপ মোদির

    প্রধান বিচারপতি শুনবেন মামলা

    সোমবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চ ওই মামলা শুনবে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি সময়ে বাংলায় নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত কোনও মামলা সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হলেও ‘মাস্টার অফ দি রোস্টার’(মামলার গুরুত্ব বুঝে নিজের কাছে রাখা) প্রধান বিচারপতি নিজের কাছে রাখেননি। কিন্তু, এই প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মীর চাকরি চলে যাওয়ার মামলাটি তিনি নিজেই শুনবেন বলে ঠিক করেছেন। শীর্ষ আদালতের আইনজীবীদের একাংশ এই নিয়োগ বাতিল মামলাটি অন্য কারও এজলাসে না দিয়ে নিজের হাতে রাখার বিষয়টিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করে দেখছেন। রাজ্যের হয়ে দাঁড়াতে পারেন আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি, কপিল সিব্বল। আইনজীবী মুকুল রোহতগি সওয়াল করতে পারেন চাকরিহারাদের হয়ে। সিবিআইয়ের হয়ে লড়বেন কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল (এসজি) তুষার মেহতা। দুপুর ১২টা নাগাদ প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে মামলাটি ওঠার কথা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • SSC recruitment Verdict: প্রায় ২৬ হাজার বাতিল চাকরির মামলা এবার সুপ্রিম কোর্টে, সোমেই শুনানি

    SSC recruitment Verdict: প্রায় ২৬ হাজার বাতিল চাকরির মামলা এবার সুপ্রিম কোর্টে, সোমেই শুনানি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রায় (SSC recruitment Verdict) দেবে দেশের শীর্ষ আদালত। মামলার শুনানির দিনক্ষণ জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। সম্প্রতি এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট একসঙ্গে ২৫ হাজার ৭৫৩ জন শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মীর নিয়োগ বাতিল করেছে। কলকাতা হাই কোর্টের (calcutta high court) চাকরি বাতিলের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে এরপর সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য সরকার। সোমবারই সেই মামলারই শুনানি হতে পারে।

    প্রধান বিচারপতির বেঞ্চই শুনবে এই মামলা (SSC recruitment Verdict)

    শনিবার সুপ্রিম কোর্ট সূত্রে জানানো হয়, আগামী সোমবার, ২৯ এপ্রিল এসএসসির প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল (SSC recruitment Verdict) মামলা শুনবে সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ শুনবে এই মামলা। প্রধান বিচারপতির সঙ্গে থাকবেন বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্র। সূত্রের খবর, সোমবার বেলা ১২টা নাগাদ দেশের শীর্ষ আদালতে এই মামলার শুনানি শুরু হতে পারে।

    সুপ্রিম কোর্টে মামলা

    নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (SSC recruitment Verdict) বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি সব্বার রশিদির ডিভিশন বেঞ্চের ঐতিহাসিক রায়দানের পরই ২০১৬ সালের নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ এবং গ্রুপ সি ও ডি-এর সব নিয়োগ বাতিল করা হয়। পাশাপাশি অনিময় করে যারা চাকরি পান তাঁদের চার সপ্তাহের মধ্যে ১২ শতাংশ হারে সুদ-সহ বেতন ফেরত দিতে বলা হয়েছে। হাই কোর্টের (calcutta high court) চাকরি বাতিলের এই রায়ের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। এরপর বুধবার সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে রাজ্যের শিক্ষা দফতর, এসএসসি এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা হয়েছিল স্পেশাল লিভ পিটিশনও।

    আরও পড়ুন: গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে বাগুইআটিতে খুন তৃণমূল কর্মী! পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ, আটক ১৩

    ৩ মে শুনানি

    যদিও আগে জানা গিয়েছিল আগামী ৩ মে এসএসসি মামলায় (SSC recruitment Verdict) শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এদিন চূড়ান্ত দিন স্থির করল সুপ্রিম কোর্ট। প্রসঙ্গত, সোমবার এসএসসি দুর্নীতি (SSC Scam) মামলার রায়দান করতে গিয়ে হাইকোর্ট জানায়, বারংবার যোগ্য-অযোগ্যদের তালিকা কমিশনের কাছে চাওয়া হলেও তারা কোনো সহযোগিতা করেনি। বাধ্য হয়ে আদালতকে গোটা প্যানেল বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়ে হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: হঠাৎ কেন ওএমআর সংরক্ষণের সময় কমানো হয়েছিল ২০১৬-তে? উত্তর নেই এসএসসির কাছে

    SSC Scam: হঠাৎ কেন ওএমআর সংরক্ষণের সময় কমানো হয়েছিল ২০১৬-তে? উত্তর নেই এসএসসির কাছে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যোগ্য়দের সংখ্যা থেকে শুরু করে কেন ওএমআর এর সংরক্ষণের সময় কমিয়ে ১ বছর করা হল এসএসসি-র (SSC Scam) কাছে এমন অনেক প্রশ্নের কোনও উত্তর নেই। এই প্রশ্নগুলির উত্তর পেলেই এত লোককে চাকরি হারাতে হত না মনে করছে রাজ্যের শিক্ষামহল। আসল ওএমআর থাকলে আইনি প্রক্রিয়া এত জটিল হত না, বলে দাবি আইনজীবীদের। আগে দীর্ঘদিনের জন্য সংরক্ষণ করা হত ওএমআর। কিন্তু ২০১৬ সালের তৎকালীন এসএসসি চেয়ারম্যানের আমলে নিয়ম পরিবর্তন করে ১ বছরের জন্য সংরক্ষিত হচ্ছে ওএমআর। আসল ওএমআর এর স্ক্যানড কপি সিস্টেমে থাকলে অনেক আগেই যোগ্য-অযোগ্যের বাছাই সম্ভব হত। প্রশ্ন উঠছে দুর্নীতি আড়াল করতেই কি এই পদক্ষেপ করা হয়েছিল।

    ওএমআর সংরক্ষণ

    এসএসসি-র (SSC Scam) দাবি, অযোগ্য বলে বিবেচনা করা হয়েছিল ৫২৫০ জনকে। কিন্তু হাইকোর্ট ২০১৬ সালের পুরো প্যানেলই বাতিল করে দেয় ফলে চাকরি গিয়েছে ২৫,৭৫৩ জনের। কিন্তু এসএসসি যাঁদের অযোগ্য বলেছিল আদালতের প্রশ্ন ছিল বাকিরা যে যোগ্য তার প্রমাণ কী? এর কোনও স্পষ্ট উত্তর নেই। বরং এসএসসি-র চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার মানছেন, ‘‘বাকিরা যে প্রত্যেকে যোগ্য, সেই বিষয়ে নিশ্চিত নই। পুরোপুরি শংসাপত্র দিতে পারব না।’’ আগে উত্তরপত্র (ওএমআর শিট) সংরক্ষণের নিয়ম ছিল তিন বছর। হঠাৎ ২০১৬ সালেই তা কমিয়ে এক বছর করা হয়েছিল কেন? এবারও নিরুত্তর এসএসসি চেয়ারম্যান। । চাকরিহারা এবং চাকরিপ্রার্থীদের আক্ষেপ, শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগের জন্য এসএসসি-র নেওয়া পরীক্ষার উত্তরপত্র সংরক্ষিত থাকলে হয়তো ২০১৬-তে নিযুক্ত সকলের চাকরি বাতিল করতে হত না হাইকোর্টকে। তাঁদের বক্তব্য, সে ক্ষেত্রে কারা যোগ্যতার নিরিখে চাকরি পেয়েছিলেন, তা বোঝা যেত।

    আরও পড়ুন: কালবৈশাখীর দেখা নেই, কলকাতার তাপমাত্রা ছুঁতে পারে ৪২ ডিগ্রি!

    দুর্নীতিই কি উদ্দেশ্য

    ২০১৬ সালের পরে এসএসসি-তে (SSC Scam) নিয়োগ সংক্রান্ত পরীক্ষা আর হয়নি। সেই নিয়োগ প্রক্রিয়াই সম্প্রতি বাতিল করেছে হাইকোর্ট। ২০১৬-র উত্তরপত্র এক বছর সংরক্ষণ করার পরে তা নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে বলে এ দিন ফের জানিয়েছেন সিদ্ধার্থ। কেন? তার সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি। তবে মেনেছেন যে, উত্তরপত্র সংরক্ষিত থাকলে হয়তো আইনি জটিলতা তৈরি হত না। তিনি জানান, ২০১৬ সালেই বদল করা হয়েছিল উত্তরপত্র সংরক্ষণ নীতি। সে বারই ওএমআর শিটের উপরে উত্তর লেখাও শুরু হয়। তার আগে এসএসসি-র উত্তরপত্র তিন বছর সংরক্ষণের নিয়ম ছিল। চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, দুর্নীতি করার উদ্দেশ্যেই ২০১৬-তে উত্তরপত্র সংরক্ষণের সময় কমিয়ে এক বছর করা হয়েছিল। হাইকোর্টের তরফে বলা হয়েছে, যোগ্য-অযোগ্যদের তালিকা আলাদা করে দেয়নি এসএসসি। আর তাতেই গোটা প্যানেল বাতিল করতে হয়। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতিতে পার্থ ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীকে ৮-ঘণ্টা জেরা, নতুন কোন তথ্য পেল সিবিআই?

    SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতিতে পার্থ ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীকে ৮-ঘণ্টা জেরা, নতুন কোন তথ্য পেল সিবিআই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Scam) কাণ্ডে এবার প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী সন্তু গঙ্গোপাধ্যায়কে নিজাম প্যালেসে ডেকে পাঠাল সিবিআই। জানা গিয়েছে, প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটর গোয়েন্দাদের হাতে গ্রেফতার হওয়া অয়ন শীলের কাছ থেকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে সন্তুর নাম জানতে পেরেছে সিবিআই।

    কেন সন্তুকে তলব

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, বেহালার ব্যবসায়ী সন্তু গঙ্গোপাধ্যায় সিবিআইয়ে ডাকে সাড়া দিয়েছেন। তাঁর বয়ানও রেকর্ড করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, অয়নশীল ধৃত কুন্তল ঘোষের কথাতেই ২৬ লক্ষ টাকা সন্তু গঙ্গোপাধ্যায়ের অ্যাকাউন্টে ফেলেছিলেন। কিন্তু এই ২৬ লক্ষ টাকা কেন অয়ন শীল এই ব্যবসায়ী তথা রাজনৈতিক নেতার অ্যাকাউন্টে ফেলেছিলেন, সেই তথ্যই জানার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা। সন্তু গঙ্গোপাধ্যায়, শুধু পার্থ চট্টোপাধ্যায় নয়, কালীঘাটের কাকু তথা সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র এবং হুগলির বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষেরও অত্যন্ত ঘনিষ্ট বলে পরিচিত। আধিকারিকদের সঙ্গে বারংবার কথা বলার পর সন্তু গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম পরিচয় সামনে আসে তদন্তকারীদের ৷ সেই মতো বেহালায় সন্তু একটি ফ্ল্যাটে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল সিবিআই। উল্লেখযোগ্য কাগজপত্র পাওয়ার পরেই সেগুলি ভালোভাবে খতিয়ে দেখে বৃহস্পতিবার সন্তুকে তলব করা হয় ৷

    আরও পড়ুন: আজ শুরু দ্বিতীয় পর্বের নির্বাচন, ১৩ রাজ্যের ৮৮ আসনে ভোটগ্রহণ

    এর আগেও নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Scam) মামলার তদন্তে সন্তুর নাম প্রকাশ্যে এসেছে।  বৃহস্পতিবার নিজাম প্যালেসে সকাল ১১টা নাগাদ পৌঁছে যান সন্তু। সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ বেরিয়ে যান। জিজ্ঞাসাবাদে কী জানিয়েছেন, সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। ইডি সূত্রে খবর, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে ইডির কাছে সন্তুর কথা প্রথম বলেছিলেন হুগলির ব্যবসায়ী অয়নই। টেট দুর্নীতির পাশাপাশি পুরনিয়োগ দুর্নীতিতেও নাম জড়িয়েছিল তাঁর। ইডির দাবি, অয়ন এই সকল নিয়োগ পরীক্ষার কর্তৃপক্ষকে প্রভাবিত করে বেআইনি ভাবে পরীক্ষার্থীদের ওএমআর শিট বদলেছিলেন। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, অয়ন জেরায় জানিয়েছিলেন, তিনি সন্তুকে টাকা দিয়েছিলেন। আর তা দিয়েছিলেন কুন্তলের কথায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: চাকরিহারা শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীদের তথ্য জানাতে হবে,  নির্দেশ জেলা স্কুল পরিদর্শকের

    SSC Scam: চাকরিহারা শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীদের তথ্য জানাতে হবে,  নির্দেশ জেলা স্কুল পরিদর্শকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এক ধাক্কায় চাকরি হারিয়েছেন স্কুলে কর্মরত ২৫,৭৫৩ জন। নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Scam) জাল কাটতে ২০১৬ সালের পুরো প্যানেলই বাতিল করে দিয়েছে বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ। এই নির্দেশে অচলাবস্থা তৈরি হতে পারে স্কুলগুলিতে। এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করছে স্কুল শিক্ষা দফতরের একাংশ। ইতিমধ্যেই ২০১৬ সালে চাকরি পাওয়া শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীদের কাজে যোগদানের যাবতীয় তথ্য জানার কাজ শুরু হয়েছে। 

    কী বলছে শিক্ষা দফতর

    শিক্ষা দফতর (SSC Scam) সূত্রে খবর, বিভিন্ন জেলার বিদ্যালয় পরিদর্শকেরা (ডিআই) স্কুলের প্রধানশিক্ষকদের কাছে একটি বার্তা পাঠিয়েছেন। সেই বার্তায় বলা হয়েছে, ২০১৬ সালের নিয়োগের প্রক্রিয়ায় যে সমস্ত শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মী চাকরি পেয়েছেন তাঁদের যাবতীয় তথ্য জানাতে হবে। স্কুলশিক্ষকদের কাছে একটি গুগ্‌ল ফর্ম পাঠানো হয়েছে। সেই ফর্ম পূরণ করেই এই সংক্রান্ত তথ্য সংশ্লিষ্ট জেলার ডিআইদের জানাতে বলা হয়েছে। আনুষ্ঠানিক ভাবে শিক্ষা দফতর থেকে নির্দেশ না দেওয়া হলেও, এই তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে ডিআইদের ভূমিকার পিছনে ‘মৌন’ সম্মতি রয়েছে দফতরের। যাতে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে সেই সংক্রান্ত তথ্য শিক্ষা দফতরের প্রয়োজন হলে তা দ্রুত পাওয়া সম্ভব হয়। বে এ বিষয়ে প্রকাশ্যে কোনও বিবৃতি দিতে নারাজ দফতরের শীর্ষকর্তারা।

    আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতিতে সুপ্রিম দুয়ারে রাজ্য, ২৬ হাজর চাকরি বাতিল করা নিয়ে হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ

    কেন এই নির্দেশ

    হাইকোর্টের নজিরবিহীন রায়ের পর রাজ্যের স্কুলগুলিতে অচলাবস্থা তৈরি হতে পারে, এমনই আশঙ্কা করা হচ্ছে। ২০১৬-র বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী চাকরি পাওয়া শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীরা যে সব স্কুল নিযুক্ত রয়েছেন, সেখানে জটিলতা আরও প্রকট। তাই সূত্রের খবর, ২০১৬ সালের নিয়োগের প্রক্রিয়ায় চাকরি পাওয়া শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীদের কাজে যোগদানের যাবতীয় তথ্য জানতে চাইলেন জেলা স্কুল পরিদর্শকেরা।  আদালতের নির্দেশ মাফিক যদি ২৫,৭৫৩ জনের চাকরি চলে যায় সেক্ষেত্রে স্কুলগুলিতে যাতে কোনও রকম সমস্যা তৈরি না হয় তার জন্যই আগাম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে সরকারি স্কুলগুলিতে গরমের ছুটি শুরু হয়েছে। গরমের ছুটি শেষে স্কুল খুললে কী অবস্থা তৈরি হবে, তা এখন থেকেই ভাবাচ্ছে পড়ুয়া তথা অভিভাবকদের। রাজ্য সরকারের ব্যর্থতা, দুর্নীতির (SSC Scam) পরিণাম ভুগতে হতে পারে বাংলার এই প্রজন্মকে এমনই ভাবছে শিক্ষামহল। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: চাকরিহারা যোগ্যদের আইনি সহায়তার বার্তা সুকান্ত মজুমদারের

    Sukanta Majumdar: চাকরিহারা যোগ্যদের আইনি সহায়তার বার্তা সুকান্ত মজুমদারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি (SSC recruitment Scam) মামলায় হাইকোর্টের নির্দেশে প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল হয়েছে। আদালতের এই রায়ে অথৈ জলে পড়েছেন ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় চাকরি পাওয়া যোগ্য শিক্ষকেরা। এমন পরিস্থিতিতে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আজ সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে রাজ্য সরকার। একই ভাবে বুধবার সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হল স্কুল সার্ভিস কমিশনও। অন্যদিকে চাকরি প্রার্থীদের পাশে থাকার বার্তা দিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

    কী বললেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)?

    রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, “আটা আর ভুষি আলাদা করতে হবে। যাঁরা অযোগ্য তাঁদের বাদ দিয়ে, যোগ্যদের পাশে থাকবে বিজেপি। চাকরিহারা যোগ্যদের আইনি সহায়তা দেবে বিজেপি।” শুধু তাই নয়, যোগ্য চাকরিহারাদের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সরকারকেই দায়ী করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। এখানেই শেষ নয়, “অযোগ্যদের ঢাল হয়ে রাজনীতি করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়”, ঠিক এমন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

    আরও পড়ুনঃ বালুরঘাটে জনসভায় তৃণমূল প্রার্থীর সামনেই সুকান্তর প্রশংসা দেবের মুখে

    মমতাকে তোপ সুকান্তর

    এরপর সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) নিশানা করে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যোগ্যদের পাশে থাকবেন সেকথা বলছেন না। উনি বলছেন, আমি সবার পাশে থাকব। মানে, যোগ্যদের সঙ্গে অযোগ্যদেরও পাশে থাকবেন। ওটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। অযোগ্যদের বাঁচানোর জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যোগ্যদের শিখণ্ডী করেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ব্রাত্য বসু কি পারতেন না, যারা ঘুষ দিয়ে চাকরি পেয়েছেন তাদের নামের তালিকা আলাদা করে আদালতের হাতে তুলে দিতে। তাহলেই তো যোগ্যদের কিছুই হত না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চালাকি করলেন। তিনি রাজনীতি করলেন। যে পাঁচ হাজার জনের কাছ থেকে তাঁর নেতারা পয়সা নিয়ে চাকরি দিয়েছেন, তাঁদের বাঁচানোর জন্য কুড়ি হাজার যোগ্য শিক্ষককে ঢাল করলেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতিতে চাকরিহারা শিক্ষকদের লোন নিয়ে চিন্তায় ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ

    SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতিতে চাকরিহারা শিক্ষকদের লোন নিয়ে চিন্তায় ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Scam) জেরবার রাজ্য। যোগ্য, অযোগ্য বিভেদ করা যাচ্ছে না। দুর্নীতি এমনভাবে সিস্টেমকে জড়িয়ে ধরেছে যে নাজেহাল সবাই। সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে এর ছাপ চোখে পড়ছে। হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি গিয়েছে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর। চিন্তায় পরিবার। কিন্তু, শুধুই কী চিন্তায় রয়েছে চাকরিহারা ও তার পরিবারের লোকজন? চিন্তায় পড়েছে ব্যাঙ্কও। কারণ, বহু শিক্ষক ব্যাঙ্ক থেকে গৃহ ঋণ, ব্যক্তিগত ঋণ বা গাড়ি কেনার জন্য লোন নিয়েছিলেন। সেই টাকা এবার পরিশোধ করবেন কীভাবে?

    ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের ভাবনা

    সরকারি চাকরি থাকলে ব্যাঙ্ক থেকে লোন পেতে দেরি হয় না। সরকারি চাকরিজীবীদের লোন দিতে অগ্রাধিকারও দেওয়া হয়। কারণ সরকারি চাকরি সহজে চলে যায় না। তবে রাজ্য সরকারি শিক্ষকদের অবস্থা দেখে চিন্তায় পড়েছে বিভিন্ন ব্যাঙ্কগুলি। সূত্রের খবর, জলপাইগুড়ি-ধূপগুড়ির এক রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্ক (SSC Scam) প্রায় ৭ কোটি টাকা সরকারি শিক্ষকদের ঋণ দিয়েছে। শুধু এই ব্যাঙ্ক নয়। গোটা জেলার ব্যাঙ্কগুলি ধরলে সেই টাকার পরিমাণ অনেক বেশি। পার্সোনাল লোন, হোম লোন নিয়ে অনেকে বাড়ি তৈরি করেছেন। সোমবার আদালতের নির্দেশে চাকরি গিয়েছে হাজার হাজার শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীর। তারপর থেকেই কোর্টের নির্দেশে রীতিমতো ঘুম উড়েছে ব্যাঙ্কেরও। ব্যাঙ্কের শাখাগুলি ইতিমধ্যেই বিষয়টি তাঁর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। 

    আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতিতে সুপ্রিম দুয়ারে রাজ্য, ২৬ হাজর চাকরি বাতিল করা নিয়ে হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ

    কী বলছে ব্যাঙ্ক

    ধূপগুড়ির একটি ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের কথায়,‘পার্সোনাল লোন, হোম লোন মিলিয়ে আমাদের শাখা থেকে সাত কোটি টাকার বেশি লোন দেওয়া হয়েছে। এই টাকা কী করে আদায় করব ভেবে পাচ্ছি না। আমরা বিষয়টি ব্যাঙ্কের উপর মহলের নজরে এনেছি। ব্যাঙ্কিং সিস্টেমে যে টাকা আছে তা তো পাবলিক ফান্ডের। ঋণ শোধ করতে না পারলে পাবলিকের টাকা ক্ষতির মুখে পড়বে। ব্যাঙ্কিং সিস্টেম ভেঙে পড়বে। লোকজনের ব্যাঙ্কের উপর থেকে ভরসা উঠে যাবে।’ এখন থেকে সরকারি শিক্ষকদের ঋণ নেওয়ার পদ্ধতি অত সহজ হবে না, বলেও জানান তিনি। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • SSC Recruitment Verdict: ফের শিরোনামে ‘সৎ রঞ্জন’, আদালতের রায়ে ‘আঁধার’ নামল মামাভাগিনা গ্রামে

    SSC Recruitment Verdict: ফের শিরোনামে ‘সৎ রঞ্জন’, আদালতের রায়ে ‘আঁধার’ নামল মামাভাগিনা গ্রামে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার এসএসসি মামলার রায় (SSC Recruitment Verdict) দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। ২০১৬ সালের সম্পূর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর ফলে চাকরিহারা প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক। আর সেই সূত্র ধরে আরও একবার নাম উঠল ‘সৎ রঞ্জন’ ওরফে চন্দন মণ্ডলের। এর আগে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত চলাকালীন শিরোনামে ছিলেন চন্দন মণ্ডল। উল্লেখ্য তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক তথা প্রাক্তন সিবিআই কর্তা উপেন বিশ্বাস ভিডিয়ো বার্তায় ‘সৎ রঞ্জন’ নামে এক ব্যক্তির কথা জানান। মূল অভিযোগ হল, তিনি নাকি টাকার বিনিময়ে বহু চাকরি দিয়েছেন। পরে গ্রেফতার হন চন্দন মণ্ডল।

    বাগদার মামাভাগিনা গ্রামে আধার (SSC Recruitment Verdict)

    জানা গিয়েছে সোমবার আদালতের (Calcutta High Court) নির্দেশের পরে যে ২৬ হাজার মানুষ চাকরি হারিয়েছেন তাঁদের মধ্যে আছেন উত্তর ২৪ পরগনার চন্দনের গ্রামের আশপাশের এলাকার অনেকে। হাইকোর্টের রায়ের পরে মঙ্গলবার ভরা দুপুরেও যেন ‘আঁধার’ নেমে এসেছে বাগদার মামাভাগিনা গ্রামে। চাকরি যাওয়া কারও ফোন বন্ধ, তো কেউ আবার বাড়ির দরজায় তালা লাগিয়ে নিরুদ্দেশ হয়েছেন।

    এলাকাবাসীর বক্তব্য

    তবে কেবল মামাভাগিনা নয়, আশপাশের চড়ুইগাছি কুরুলিয়া, রামনগর-সহ গোটা বাগদা ব্লকের প্রচুর ছেলেমেয়ের চাকরি (SSC Recruitment Verdict) চলে গিয়েছে বলে গ্রামেরবাসিন্দারা জানিয়েছেন। চন্দনের প্রতিবেশী, স্থানীয় একটি সমবায় সমিতির চেয়ারম্যান হারান বিশ্বাস এ প্রসঙ্গে বলছিলেন, ‘‘যাঁদের চাকরি গিয়েছে, তাঁদের বেশ কয়েক জন অবৈধ ভাবে চন্দনকে টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন বলেই মনে হচ্ছে ।’’ সেই সঙ্গে আরও বলেন, “গ্রামের অনেকেই টাকা দিয়ে চাকরি পেলেও সকলে অবৈধভাবে নিযুক্ত হননি। কেউ কেউ নিজের যোগ্যতায় চাকরি পেয়েছেন।”

    অনেকে ঋণ নিয়ে বাড়ি করেছেন

    এদিন হাইকোর্টের রায়ের (SSC Recruitment Verdict) পরে এলাকার পরিবেশ সম্পূর্ণ পাল্টে গিয়েছে। আরও গ্রামবাসীরা বলেন, “যাঁদের চাকরি বাতিল হয়েছে, তাঁরা সোমবারের পর থেকে আর বাড়ির বাইরে বের হননি। তেমনই এক যুবকের বাড়ি গিয়ে এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করতেই জানালেন, কোনও স্কুলে চাকরি করেন না তিনি। মাঠেঘাটে কাজ করেন। গ্রামের এক মহিলার মতে আদালতের এমন সিদ্ধান্তে বাগদার (Bagda) প্রচুর যুবক-যুবতী পথে বসলেন। কারও বিয়ে হয়েছে। কারও সন্তান হয়েছে। কেউ কেউ আবার ঋণ নিয়ে বাড়ি করছেন। তাঁদের এ বার কী হবে!”

    আরও পড়ুনঃউস্কানিমূলক মন্তব্যে তৃণমূল বিধায়ককে শো-কজ করল নির্বাচন কমিশন

    লাইন পড়ত চন্দনের বাড়িতে

    মামাভাগিনা (Mamabhagina) গ্রামে চাকরি যাওয়া এক যুবকের আত্মীয় এদিন বলেন, ‘‘কয়েক বছর আগে এখানে যখন চাকরি বিক্রি হচ্ছিল, তখন চন্দন মণ্ডলকে টাকা দিয়ে ছেলের চাকরি হয়েছিল।’’ এ দিন পুরনো স্মৃতি উস্কে বাসিন্দারা জানান, কয়েক বছর আগে ভোর থেকে রাত পর্যন্ত দূর-দূরান্ত থেকে আসা লোকজনের দীর্ঘ লাইন পড়ত চন্দনের বাড়িতে। উদ্দেশ্য একটাই, চন্দন মণ্ডলের সাহায্য নিয়ে একটা সরকারি চাকরি (SSC Recruitment Verdict) জোটানো।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share