Tag: ssc scam

ssc scam

  • TET Exam 2023: রাজ্যে বেকারত্বের করুণ ছবি, বাবা-ছেলে একসঙ্গে দিলেন টেট!

    TET Exam 2023: রাজ্যে বেকারত্বের করুণ ছবি, বাবা-ছেলে একসঙ্গে দিলেন টেট!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে প্রাথমিক টেট (TET Exam 2023) পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে গতকাল, ২৪ ডিসেম্বর। তিন লক্ষ পরীক্ষার্থী এই পরীক্ষায় বসেছিলেন। রাজ্যে বেকারত্বের করুণ ছবি দেখা গেল এবারের পরীক্ষায়, যেখানে বাবা-ছেলে একসঙ্গে দিলেন টেট! ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদ জেলায়। রাজ্যে বছর বছর নিয়মিত হয় না প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা। রাজ্যের স্কুলগুলিতে এখনও অনেক শূন্যপদ। বেকারত্ব কার্যত ছুঁয়ে ফেলল ছেলে-বাবাকে। সরকারি চাকরির আশায় পরীক্ষায় বসলেন বাবা-ছেলে। ছেলের দাবি, ‘প্রতি বছর নিয়মিত পরীক্ষা হলে বাবাকে হয়তো এই দিন দেখতে হত না।” পরীক্ষার্থীদের একাংশ বলছেন, রাজ্যে মমতার সরকার যদি ঠিক করে শিক্ষক নিয়োগ করত, তাহলে রাজ্যে ডিএলএড প্রশিক্ষক বাবা-ছেলেকে একযোগে পরীক্ষায় বসতে হত না।

    মুর্শিদাবাদে কোথায় ঘটনা ঘটল (TET Exam 2023)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা থানার চন্দড় গ্রামের গত কালকের টেট (TET Exam 2023) পরীক্ষার প্রার্থী ছিলেন বাবা দিলওয়ার হোসেন এবং ছেলে মোকাম্মেল হোসেন। দিলওয়ার নিজে এমএ পাশ করে ডিএলএডে পড়াশুনা করছেন। আর বাবা মোকাম্মেল চাদর প্রাথমিক স্কুলে প্যারাটিচার হিসাবে শিক্ষতার কাজ করছেন। বাবার পরীক্ষার কেন্দ্র পড়েছিল লালবাগ গভর্নমেন্ট স্পনসর গার্লস হাইস্কুলে। অপর দিকে ছেলের কেন্দ্র পড়েছিল গোলযান রিফিউজি হাইস্কুলে।

    পরীক্ষার্থী বাবা-ছেলের বক্তব্য

    ২০২৩ সালের টেট (TET Exam 2023) পরীক্ষার্থী বাবা মোকাম্মেল হোসেন বলেন, “এর আগে অনেক বার টেট পরীক্ষা দিয়েছি, কিন্তু সফল হতে পারিনি। তবে এবার পরীক্ষা বেশ ভালো হয়েছে, আমি আশাবাদী। তবে প্রত্যেক বছর পরীক্ষাও হয় না।” একই ভাবে টেট পরীক্ষার্থী নিয়মিত না হওয়ায় ছাত্র দিলওয়ার হোসেন বলেন, “বাবার চাকরিটা হয়ে গেলে, হয়ত আমি একটু ভালো জায়গায় পৌঁছাতে পারতাম। প্রতি বছর নিয়ম করে যদি পরীক্ষা হত, তাহলে বাবাকে হয়তো এই দিন দেখতে হত না।”

    টেট দুর্নীতিতে সিবিআই

    উল্লেখ্যে রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআই তদন্ত চলছে। টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগে শাসকদলের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ইতিমধ্যে জেলে। প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য, তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা সহ আরও অনেক তৃণমূল নেতা গ্রেফতার হয়েছেন। রাজ্যের টেট (TET Exam 2023) শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির প্রতিবাদে শাসক দলের বিরুদ্ধে বিরোধীরা ব্যাপক ভাবে সরব হওয়ায় তীব্র শোরগোল পড়েছিল।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • SSC: এসএসসি-র অবস্থান স্পষ্ট নয়! কেন ৫ হাজার জনের চাকরি বাতিল? প্রশ্ন হাইকোর্টের

    SSC: এসএসসি-র অবস্থান স্পষ্ট নয়! কেন ৫ হাজার জনের চাকরি বাতিল? প্রশ্ন হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিতে পাঁচ হাজার চাকরি বাতিল নিয়ে এসএসসি-র অবস্থান স্পষ্ট নয়। হাইকোর্টের ঘাড়ে দায় চাপিয়ে নিজেদের অবস্থান ঠিক করতে পারল স্কুল সার্ভিস কমিশন। এমনই অভিমত আদালতের।  বুধবার ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলা ওঠে। হলফনামায় আদালতের ঘাড়েই দায় চাপায় এসএসসি। এতেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারপতি দেবাংশু বসাক। তাঁর নির্দেশ চাকরি বাতিলের ‘অবস্থান’ প্রসঙ্গে নিজেদের মত ১৮ ডিসেম্বর মধ্যে স্পষ্ট করতে হবে এসএসসিকে। 

    কী বলল আদালত

    এই প্রসঙ্গে হাইকোর্টে এসএসসি জানিয়েছিল, এই নিয়োগের ক্ষেত্রে অনিয়ম খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। আর তাই বরখাস্ত করা হয়েছে তাঁদের। অন্যদিকে, আবার স্কুল সার্ভিস কমিশন সুপ্রিম কোর্টে জানায়, হাইকোর্ট নির্দেশ দেওয়ায় বরখাস্ত করতে হয়েছে এই পাঁচ হাজার জনকে। উল্লেখ্য, এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলা হাইকোর্টে ফিরিয়ে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। একইসঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তদন্তের সময়সীমাও বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। আগামী ছয় মাসের মধ্যে যাতে শুনানি শেষ হয় সেই বিষয়টিও দেখার কথা কলকাতা হাইকোর্টকে জানিয়েছিল শীর্ষ আদালত। এদিন ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, বোর্ড মিটিং করে পাঁচ দিনের মধ্যে কমিশনকে তাঁদের  সুনির্দিষ্ট ‘অবস্থান’ জানাতে হবে। 

    আরও পড়ুন: মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়র মদতেই বিপুল সাম্রাজ্য! ২ জেলাতেই ১০০-র বেশি সম্পত্তি বাকিবুরের

    চাকরি বাতিল নিয়ে এদিন এসএসসি-র আগের হলফনামাও ফিরিয়ে দিয়েছে হাইকোর্ট। বিচারপতি দেবাংশু বসাকের বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চের বক্তব্য, হাইকোর্ট যার পক্ষেই রায় দিক, তার ফলে কেউ না কেউ প্রভাবিত হবে। চাকরিহারাদের মধ্যে অনেক প্রার্থী আইন অনুযায়ী চাকরি পেয়েছেন আবার অনেকে ভুয়ো প্রার্থীও আছেন। যাঁরা সঠিক তাঁরা কেন ফল ভুগবে? এক্ষেত্রে স্কুল সার্ভিস কমিশনের বক্তব্য জানতে চেয়েছিল আদালত। যদিও কমিশন জানিয়েছিল তাঁরা হাইকোর্টের নির্দেশেই চাকরি বাতিল করেছে। তবে এতে সন্তুষ্ট ছিল না ডিভিশন বেঞ্চ। এসএসসির নিজস্ব মত জানতে চায় আদালত।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rujira Banerjee: লেনদেন কত? টাকার উৎস কী? সাড়ে ৮ ঘণ্টা ধরে রুজিরাকে জিজ্ঞাসাবাদ ইডির

    Rujira Banerjee: লেনদেন কত? টাকার উৎস কী? সাড়ে ৮ ঘণ্টা ধরে রুজিরাকে জিজ্ঞাসাবাদ ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লা পাচারকাণ্ডের পর এবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডির জেরার মুখে অভিষেক পত্নী রুজিরা বন্ধ্যোপাধ্যায় (Rujira Banerjee)। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রীকে বুধবার সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে পাঠায় ইডি (ED)। সাড়ে ৮ ঘণ্টার পর ম্যারাথন জেরার পর ছাড়া পান রুজিরা।

    সাড়ে ৮ ঘণ্টার ম্যারাথন জেরা

    সকাল ১১টা নাগাদ সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ঢুকেছিলেন৷ বেরলেন যখন, তখন ঘড়িতে সন্ধে সাড়ে ৭টা৷ প্রায় সাড়ে ৮ ঘণ্টা সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সের ৬ তলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের দফতরে রইলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ চলল জিজ্ঞাসাবাদ৷ এর আগে কয়লা দুর্নীতির তদন্তে সিবিআই তলব করলেও শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এই প্রথম তলব করা হয়েছিল অভিষেক জায়াকে৷ শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের সূত্রে আলোচনায় উঠে আসে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস নামে এক সংস্থার নাম৷ সূত্রের খবর, এই সংস্থারই প্রাক্তন ডিরেক্টর ছিলেন রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়৷

    জেরায় কী কী জানতে চাওয়া হল

    ইডি সূত্রে খবর, বুধবার সকাল থেকে মোট দু’দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় রুজিরাকে। এদিন তাঁর বয়ানও রেকর্ড করা হয়। এক মহিলা আধিকারিকের উপস্থিতিতে রুজিরার  জেরা চলে। স্রেফ অভিষেক নন, লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের ডিরেক্টর ছিলেন তাঁর স্ত্রীও। ওই সংস্থায় রুজিরা কী কী দায়িত্ব পালন করতেন? এই কোম্পানিতে তাঁর ভূমিকা কী ছিল? লেনদেনের বিষযে কিছু জানতেন কি না, এই সংস্থা কী ধরনের পরিষেবা দেয়, এই সমস্ত বিষয় নিয়ে এদিন তাঁকে ইডির তরফে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

    আরও পড়ুুন: হাতে নয়া তথ্য, দাবি সিবিআইয়ের, তাই কি ফের খারিজ পার্থর জামিনের আর্জি?

    রুজিরাকে জেরা নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু

    ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’-এর ডিরেক্টর ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাবা অমিত বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মা লতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তাঁদেরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছিল৷ যদিও তাঁরা শারীরিক অসুস্থতার কারণে আসেননি৷ চিঠি দিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাবা অমিত বন্দ্যোপাধ্যায় ১২০০ পাতার নথি এবং মা লতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১০০০ পাতার নথি জমা করেছিলেন। এ প্রসঙ্গে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন লুকোচুরি চলছে। বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের অনেককেই ডাকা হয়েছিল। কোর্টের নির্দেশ মেনে তদন্তে সহযোগিতা করলে ভাল। বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ আদালতের নির্দেশে হচ্ছে। তদন্তের গতি অত্যন্ত স্লথ। আদালতের তিরস্কারের পর বাধ্য হয়ে তৎপর হয়েছে ইডি।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Justice Abhijit Gangopadhyay: “মনে হয় সিবিআই-মানিক ভট্টাচার্যের মধ্যে যোগসাজশ আছে”, মন্তব্য বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    Justice Abhijit Gangopadhyay: “মনে হয় সিবিআই-মানিক ভট্টাচার্যের মধ্যে যোগসাজশ আছে”, মন্তব্য বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমার তো মনে হয় সিবিআই-মানিক ভট্টাচার্যের মধ্যে যোগসাজশ আছে।” সোমবার এই ভাষায়ই সিবিআইকে ভর্ৎসনা করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি তথা তৃণমূল নেতা মানিক ভট্টাচার্য বন্দি রয়েছেন জেলে। জেলে গিয়েই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে সিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। মানিককে জিজ্ঞাসাবাদ না করায় সিবিআইকে ভর্ৎসনা করেন তিনি।

    সিবিআইকে ভর্ৎসনা

    সিবিআইকে তিনি বলেন, “ওএমআর শিট নষ্ট করা নিয়ে মানিক ভট্টাচার্যকে জেলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন? সুপ্রিম কোর্ট কড়া পদক্ষেপ করতে বারণ করেছে, জিজ্ঞাসাবাদ করতে তো বারণ করেনি।” বিচারপতি বলেন, “আমার নির্দেশের পরেও সিবিআই মানিক ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করেননি। দীর্ঘদিন ছেড়ে রেখে দিয়েছিলেন, আমার তো মনে হয় যোগসাজশ আছে। আমার তো মনে হয় সিবিআই-মানিক ভট্টাচার্যের মধ্যে যোগসাজশ রয়েছে।”

    মানিককে সিবিআই আধিকারিকরাই বুদ্ধি দিয়েছিলেন!

    তিনি (Justice Abhijit Gangopadhyay) বলেন, “আমার তো মনে হয় মানিককে সিবিআই আধিকারিকরাই বুদ্ধি দিয়েছিলেন। মনে হয়, সুপ্রিম কোর্ট থেকে রক্ষাকবচ আনার বুদ্ধি দিয়েছিলেন সিবিআই আধিকারিকরাই। সুপ্রিম কোর্ট থেকে রক্ষাকবচ নিয়ে আসুন, তাহলে গ্রেফতার করব না বলে বুদ্ধি দিয়েছিলেন সিবিআই আধিকারিকরাই।” কেন মানিকের বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ করা হচ্ছে না, এদিন সেই প্রশ্নও করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তার পরেই তিনি (Justice Abhijit Gangopadhyay) বলেন, “লোকসভা নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পরে কি পদক্ষেপ করবেন? আপনারা মুখে বলছেন আদালতের নজরদারিতে তদন্ত চলছে। কিন্তু আদতে আদালতকেই কাঁচকলা দেখাচ্ছেন।”

    আরও পড়ুুন: “বিজেপির হয়ে খুব পোস্ট করছিস” বলেই নেতার মাথায় ধারালো অস্ত্রের কোপ

    সিবিআইয়ের তরফে আইনজীবী জানান, একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও, মানিক সহযোগিতা করছেন না। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “সিবিআই মানিককে গ্রেফতার করতে পারবে না, এই নির্দেশ প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন? মানিক ভট্টাচার্য যদি সহযোগিতা না করেন, তাহলে সুপ্রিম কোর্টে আগের রক্ষাকবচ প্রত্যাহারের জন্য আবেদন করছেন না কেন? ২০২২ সালে সুপ্রিম কোর্ট মানিক ভট্টাচার্যকে রক্ষা কবচ দিয়েছিল। এখন ২০২৩ সাল। এক বছর হয়ে গিয়েছে, কেন সুপ্রিম কোর্টে আবেদনপত্র দাখিল করেননি?”  বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay) বলেন, “সবাই শুধু অপেক্ষা করে আছে, আমি কবে অবসর নেব। আমি অবসরে যাব না। মাঝে মাঝে ভাবছি, একটা পদযাত্রা শুরু করব। সুন্দরবন চলে যাব। কিছু বলব না, শুধু হেঁটে যাব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Partha Chatterjee: কেন জামিনের বিরোধিতা? পার্থ কতটা প্রভাবশালী, আদালতে জানাল ইডি

    Partha Chatterjee: কেন জামিনের বিরোধিতা? পার্থ কতটা প্রভাবশালী, আদালতে জানাল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) জামিনের বিরোধিতায় আবার ‘প্রভাবশালী’ তত্ত্বকেই হাতিয়ার করল ইডি। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত পার্থের জামিনের মামলার শুনানি ছিল বৃহস্পতিবার। এর জন্য তাঁকে বৃহস্পতিবার কলকাতার নগর দায়রা আদালতে হাজির করানো হয়। শুনানি চলাকালীন পার্থর জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করেন ইডির আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি। ইডির অভিযোগ, পার্থ রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থাকে একা হাতে ‘ধ্বংস’ করে দিয়েছেন। তাই তাঁর কোনও মতেই জামিন পাওয়া উচিত নয়।

    মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে যোগ

    প্রায় এক বছর হয়ে গেল জেলবন্দি রয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। আদালতে জামিনের আবেদন করলেও এখনও পর্যন্ত স্বস্তি পাননি তিনি। চার্জশিট পেশ হয়ে যাওয়ার পর কেন জেলে রাখা হচ্ছে পার্থকে? এই প্রশ্ন তুলে জামিনের আবেদন জানিয়েছেন তিনি। সেই মামলার শুনানিতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট আদালতে বোঝাল, কেন তারা পার্থর জামিন দেওয়া উচিত বলে মনে করছে না। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে বলা হয়, পার্থকে যখন গ্রেফতার করা হয়েছিল, তখন তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করেছিলেন। যদিও ফোন ধরেননি মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়া ইডি জানিয়েছে, গ্রেফতার মেমোতে মুখ্যমন্ত্রীকে আত্মীয় বলে পরিচয় দিয়েছিলেন পার্থ।  তিনি যদি প্রভাবশালী না হতেন, তা হলে এমন উল্লেখ থাকত না বলে দাবি ইডির।

    অসুস্থতার অজুহাত

    গ্রেফতারির পর অসুস্থতার কারণে পার্থকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু আদালতে ইডি দাবি করেছে, পার্থ আদপে অসুস্থ ছিলেন না। ইডির যুক্তি, হাই কোর্টের নির্দেশে পার্থকে ভুবনেশ্বর এমসে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেখানকার চিকিৎসকেরা পার্থের শরীরে অসুস্থতার কোনও ছাপ পাননি। ইডির দাবি, গ্রেফতারি এড়াতে পার্থ অসুস্থতার ‘ভান’ করেছিলেন। আর তিনি প্রভাবশালী বলেই এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি হতে পেরেছিলেন, যুক্তি ইডির।

    ‘জেল কোড’ ভঙ্গ

    ইডি আদালতে জানিয়েছে, শুনানির দিন আদালতে নিয়ে আসার সময় পার্থের জন্য পৃথক গাড়ির ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু অন্য বন্দিদের নিয়ে আসা হয় প্রিজন ভ্যানে চাপিয়ে। পার্থের জন্য পৃথক ব্যবস্থা কেন? প্রশ্ন তুলেছে ইডি। ইডির যুক্তি, পার্থ প্রভাবশালী হওয়ার কারণেই তিনি এই বাড়তি সুবিধা পেয়েছেন। ‘জেল কোড’ অনুযায়ী সংশোধনাগারে কোনও বন্দির আংটি পরার অনুমতি নেই। কিন্তু পার্থ দীর্ঘ দিন জেলের মধ্যে আংটি পরেছিলেন। ইডির যুক্তি, তিনি প্রভাবশালী হওয়ার কারণেই এমনটা সম্ভব হয়েছিল।

    আরও পড়ুন: মহরমের দিন ড্রাম বাজবে কতক্ষণ? শব্দবিধি নিয়ে পুলিশকে কড়া নির্দেশ হাইকোর্টের

    আগামী সপ্তাহে রায়দান!

    এই মামলায় আগেই সওয়াল করেছিলেন পার্থর (Partha Chatterjee) আইনজীবী। আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী সপ্তাহে রায়দান হবে। রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে চুরমার করে দেওয়ার জন্য ও শিক্ষায় ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নষ্ট করে দেওয়ার জন্যও পার্থকে দায়ী করেছে ইডি। আইনজীবী মন্তব্য করেন, ‘স্কুলে অযোগ্য শিক্ষক পাঠানোর অর্থ ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে শেষ করে দেওয়া। প্রসঙ্গত, শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে গত বছরের ২২ জুলাই দক্ষিণ কলকাতার নাকতলায় পার্থের বাড়িতে হানা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। ২৩ জুলাই মধ্যরাতে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। গত, রবিবারই পার্থের গ্রেফতারির এক বছর পূর্ণ হয়েছে। বর্তমানে পার্থের ঠিকানা প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: হাইকোর্টের সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ নয়! কুন্তল মামলায় ‘সুপ্রিম’ রক্ষাকবচ পেলেন না অভিষেক

    Abhishek Banerjee: হাইকোর্টের সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ নয়! কুন্তল মামলায় ‘সুপ্রিম’ রক্ষাকবচ পেলেন না অভিষেক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত কুন্তল ঘোষের চিঠি সংক্রান্ত মামলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।  সোমবার শুনানিতে এই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট থেকে রক্ষাকবচ পেলেন না তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।  এই সময় হস্তক্ষেপ করলে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রভাব পড়তে পারে। সেই কারণে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ডাকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে হাজির হতে হবে বলে জানানো হয় সুপ্রিম কোর্টের তরফে। দেশের শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, প্রয়োজনে কলকাতা হাইকোর্টে নতুন করে আবেদন করতে পারেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। 

    অভিষেকের বিপক্ষে রায়

    কুন্তল ঘোষের চিঠি সংক্রান্ত মামলায় তাঁকে জেরা করার নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে আদালতে মামলা করেছিলেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)। সোমবার সেই মামলার রায় সুপ্রিম কোর্টেও (Supreme Court) অভিষেকের বিপক্ষেই গেল। ইডি এবং অভিষেকের আইনজীবীর বক্তব্য শোনার পর সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিল, এ ব্যাপারে হাইকোর্টের একক বেঞ্চ যে নির্দেশ দিয়েছিল, তাতে হস্তক্ষেপ করলে তদন্তে বাধা সৃষ্টি করা হতে পারে। তাই আদালত এ ব্যাপারে নাক গলাবে না বলে রায় দেয় প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের ডিভিশন বেঞ্চ। এর ফলে অভিষেকের বিপদ আরও বাড়ল বলে মনে করা হচ্ছে। তবে জেরার ব্যাপারে ছাড়পত্র দিলেও সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, অভিষেককে এই মামলায় জরিমানা দিতে হবে না।

    আরও পড়ুুন: “পঞ্চায়েত নির্বাচন প্রহসন”, কটাক্ষ শুভেন্দুর, দিলেন ‘প্রমাণ’ও

    গত ৮ জুন নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে অভিষেককে (Abhishek Banerjee) তলব করে ইডি। ১৩ জুন হাজিরা দিতে বলা হয় তাঁকে। কিন্তু ইডির তলবে হাজিরা দেননি অভিষেক। তবে তার আগে থেকেই রক্ষাকবচ চেয়ে বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ। সেই মামলার রায়ে অভিষেককে ইডি জেরা করতে পারবে বলে জানান বিচারপতি সিনহা। এর পর সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) রায়কে চ্যালেঞ্জ করেন অভিষেক। সোমবার হাইকোর্টের নির্দেশে হস্তক্ষেপ করতে অস্বীকার করল সুপ্রিম কোর্ট।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: ওএমআর শিট প্রকাশ নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করুক এসএসসি! নির্দেশ হাইকোর্টের

    SSC Scam: ওএমআর শিট প্রকাশ নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করুক এসএসসি! নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একাদশ-দ্বাদশের ওএমআর শিট প্রকাশ (OMR Sheet) নিয়ে স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC) অবস্থান জানতে চায় কলকাতা হাইকোর্ট। আগামীকাল অর্থাৎ শুক্রবার এই নিয়ে অবস্থান জানাতে এসএসসি-কে নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguli)। চাকরি ফেরত পেতে ফের হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন ববিতা সরকার। এবার একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির (SSC Scam) বিস্তারিত মেধাতালিকা প্রকাশ চেয়ে মামলা করেন তিনি। বৃহস্পতিবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এ বিষয়ে স্কুল সার্ভিস কমিশনের বক্তব্য জানতে চেয়েছেন। শুক্রবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।

    ববিতার আবেদন

    ববিতার হয়ে এই মামলা লড়ছেন আইনজীবী ফিরদৌস শামিম। তাঁর বক্তব্য, ২০১৬ সালের একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ৫ হাজার ৫০০ জনকে নিয়োগ করা হয়েছিল। নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে ৯০৭টি বিকৃত উত্তরপত্র (ওএমআর শিট) উদ্ধার করে সিবিআই। তার মধ্যে ১৩৮ জন ছিলেন ওয়েটিং লিস্টে। ববিতা সরকারের আবেদন, একাদশ-দ্বাদশের বিস্তারিত তথ্য-সহ প্যানেল প্রকাশ পেলে কারা, কীভাবে, কোথায় চাকরি পেয়েছেন তা পরিষ্কার হয়ে যাবে। যদি রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রথম ২০ জনের মধ্যে কারও নিয়োগে কোনও গোলমাল থাকে, কেউ যদি দুর্নীতির (SSC Scam) কারণে চাকরি পেয়ে থাকেন, তবে তাঁর পদ বাতিলের সম্ভাবনা থাকবে। সেক্ষেত্রে আবারও ববিতা চাকরি পেতে পারেন বলে আশাবাদী। তাই প্যানেল প্রকাশ করা হোক বলে আর্জি তাঁর।

    আরও পড়ুুন: ‘শুভেন্দুর চার অভিযোগে পদক্ষেপ নয় কেন?’ কমিশনকে প্রশ্ন হাইকোর্টের

    ফের আদালতের পথে

    এর আগে ববিতা সরকারের চাকরি বাতিল করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই চাকরি দেওয়া হয় অনামিকা রায়কে। প্রথমে মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর কন্যা অঙ্কিতা অধিকারী এই পদে চাকরি পেয়েছিলেন। মেখলিগঞ্জের তৃণমূল নেতা পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীকে চাকরি থেকে সরিয়ে সেই পদে চাকরি পেয়েছিলেন ববিতা সরকার। ববিতার এই চাকরি প্রাপ্তি নিয়ে গোটা রাজ্য জুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। এনিয়ে স্বস্তি পেয়েছিলেন ববিতা নিজেও। কিন্তু সেই স্বস্তি বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। দেখা গিয়েছিল ববিতার চাকরিপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে নানা ত্রুটি থেকে গিয়েছে। এরপর গত মে মাসে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায় রায় দিয়েছিলেন এই চাকরি ববিতার হতে পারে না। এরপর চাকরি যায় ববিতার। আবারও চাকরি ফিরে পেতে সেই আদালতেরই দ্বারস্থ শিলিগুড়ির মেয়ে ববিতা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ফের মণীশ জৈনকে তলব সিবিআই-এর

    SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ফের মণীশ জৈনকে তলব সিবিআই-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এএসসি নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে (SSC Scam) রাজ্যের শিক্ষাসচিব মণীশ জৈনকে (Manish Jain) আবার তলব করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। আগামী কাল, বৃহস্পতিবার কলকাতার সিবিআই দফতর, নিজাম প্যালেসে তাঁকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। সিবিআই সূত্রে খবর, বিগত কয়েক মাসের তদন্তে মণীশের সম্পর্কে নতুন কিছু তথ্য পাওয়া গিয়েছে। সেগুলির ভিত্তিতেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে তাঁকে।

    ফাইল পাঠাতেন মণীশ 

    নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বহু বার প্রকাশ্যেই দাবি করেছেন যে, তিনি শিক্ষা দফতরের মন্ত্রী ছিলেন মাত্র। কিন্তু নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে তিনি কোনও সিদ্ধান্ত নিতেন না। সিবিআই সূত্রে খবর, জিজ্ঞাসাবাদের মুখে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তদন্তকারীদের জানিয়েছেন, তৎকালীন শিক্ষাসচিব তাঁর কাছে নিয়োগ সংক্রান্ত যে ফাইল পাঠাতেন, তাতে তিনি সই করে দিতেন। পার্থের বক্তব্য অনুযায়ী, মণীশ যদি নিয়োগ সংক্রান্ত ফাইল তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রীকে পাঠিয়ে থাকেন, তবে কাদের নির্দেশে তিনি তা করতেন, তা খতিয়ে দেখতে চাইছেন তদন্তকারী অফিসাররা।

    উপদেষ্টা কমিটি গঠন নিয়ে জেরা

    সিবিআই (CBI) সূত্রে খবর, মণীশকে এসএসসি নিয়োগ সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটি গঠন নিয়ে জেরা করা হতে পারে। প্রসঙ্গত, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় উপদেষ্টা কমিটির ভূমিকা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠেছে৷ সিবিআই সূত্রে খবর, উপদেষ্টা কমিটির বেশ কিছু নথিপত্রে মণীশের স্বাক্ষর পেয়েছিলেন সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা। সে বিষয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। পাশাপাশি তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হবে, মূলত কার নির্দেশে কাজ করত এসএসসি নিয়োগের উপদেষ্টা কমিটি। 

    আরও পড়ুন: জামিনের আবেদন খারিজ! আলিপুরে পার্থকে ধমক বিচারকের

    গত জানুয়ারি মাসে তদন্তকারীরা রাজ্যের শিক্ষা দফতরের সদর কার্যালয় বিকাশ ভবনে হঠাৎই হানা দিয়েছিলেন। ওই দিন বিকাশ ভবনের ছ’তলায় রাজ্যের শিক্ষা সচিব মণীশ জৈনের ঘরে যান সিবিআই আধিকারিকেরা। সেখানে তাঁকে কিছু ক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সেই সঙ্গে সংগ্রহ করা হয় কিছু প্রয়োজনীয় নথিও। মঙ্গলবার শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের তাঁকে নোটিস পাঠানো হয় বলে খবর। প্রসঙ্গত, রাজ্যের শিক্ষা সচিব হওয়ার পাশাপাশি উচ্চ শিক্ষা দফতরেরও প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি মণীশ৷

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: শিক্ষক বদলি নিয়ে এখনই পদক্ষেপ নয়! জানাল হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: শিক্ষক বদলি নিয়ে এখনই পদক্ষেপ নয়! জানাল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক বদলি নিয়ে ফের আদালতে জোর ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। শিক্ষক বদলি (Teacher Transfer) নিয়ে সরকারের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিল হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। ১৩ জুন পর্যন্ত শিক্ষকরা যদি নতুন জায়গায় কাজে যোগ নাও দেয়, তাহলে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবে না কমিশন। কারণ, মামলার চূড়ান্ত শুনানি হবে ১৩ জুন।

    হাইকোর্টের নির্দেশ

    শিক্ষক বদলিতে প্রবল দুর্নীতি হচ্ছে, এই অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা করেছিলেন বেশ কয়েকজন শিক্ষক। তার পরিপ্রক্ষিতেই বিচাপতি বিশ্বজিৎ বসু রাজ্য সরকারকে শিক্ষক বদলি নিয়ে গাইড লাইন তৈরির নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু যে গাইড লাইন তৈরি হয়েছে, সেখানে স্কুল সার্ভিস কমিশনের ১০ (সি) রুল মানা হয়নি বলে অভিযোগ করেন কিছু শিক্ষক। তাঁরা ফের হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। সেই মামলার শুনানিতে হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ শিক্ষক বদলির উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে।

    বিচারপতি বসুর এজলাসে আবেদন

    এই বদলি ইস্যুতে কিছু আবেদন নিয়ে বিচারপতি বসুর এজলাসে আবেদন করেছেন বদলি হওয়া কয়েকজন শিক্ষক। তাঁদের ক্ষেত্রে অবশ্য সিঙ্গল বেঞ্চ কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি। সেই মামলার শুনানি হবে আগামী ১৬ জুন। বদলি নীতি নিয়ে ইতিমধ্যেই একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ শুনিয়েছেন হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। 

    আরও পড়ুুন: প্রকাশিত মাধ্যমিকের ফল! পাশের হার ৮৬ শতাংশ, প্রথম কাটোয়ার দেবদত্তা মাঝি

    শিক্ষক ও পড়ুয়ার অনুপাতের বিচার করেই বদলি নীতি তৈরি, তা অবশ্য মেনে চলা আর তা না মানা হলে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে বলেও উল্লেখ করেছিলেন বিচারপতি। তিনি এমনও বলেছিলেন, ‘অন্য কোনও চাকরিতে বদলি নিয়ে কোনও অসন্তোষ নেই। শুধুমাত্র শিক্ষকরাই কেন পছন্দের স্কুলে চাকরি করবেন?’ এই শিক্ষক বদলি সংক্রান্ত একটি মামলায় বিচারপতি বসুকে এমনও বলতে শোনা গিয়েছে, বদলির পর নতুন স্কুলে যোগ না দিলে তা ‘সার্ভিস ব্রেক’ হিসাবেও গণ্য হতে পারে। এসব মাথায় রেখেই নাকি নতুন বদলি নীতি তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু তা সামনে আসার পর থেকেই একাধিক মামলা হতে থাকে। শিক্ষকদের অভিযোগ, একই জেলার দুটি বিপরীত প্রান্তে বদলি করা হচ্ছে। ইচ্ছাকৃতভাবে বদলি করা হচ্ছে শিক্ষকদের, যাতে সমস্যা বাড়ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: পার্থ-অয়নের মধ্যে সেতু কুন্তল! নিয়োগ দুর্নীতিতে দাবি ইডির

    SSC Scam: পার্থ-অয়নের মধ্যে সেতু কুন্তল! নিয়োগ দুর্নীতিতে দাবি ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Scam) রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) এবং প্রমোটার অয়ন শীলের (Ayan Sheel) মধ্যে সেতু হিসেবে কাজ করেছেন বহিষ্কৃত যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ (Kuntal Ghosh)। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)-এর আদালতে পেশ করা চার্জশিটে এমনই দাবি করা হয়েছে। ইডি জানিয়েছে, বিভিন্ন এজেন্টের কাছ থেকে মোট ৪৫ কোটি টাকা তুলেছিলেন অয়ন। মোট পাঁচটি সংস্থার মাধ্যমে দুর্নীতির টাকা পাচার করা হত। 

    ইডির দাবি

    সোমবার বিশেষ আদালতে ১১৩ পাতার চার্জশিট পেশ করে ইডি জানিয়েছে, শুধুমাত্র ২০১৪ সালের টেট নয়, ২০১২ সালের টেট পরীক্ষার্থীদের অবৈধ ভাবে চাকরি দেওয়ার ক্ষেত্রেও, তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ এবং অয়নের মধ্যে সেতুবন্ধনের কাজ করেছিলেন কুন্তল। চার্জশিটে ইডির দাবি, শিক্ষা দফতরে অযোগ্যদের চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে একা অয়ন শীলই ৪৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছিলেন। পরে টাকার ভাগ পান পার্থ ঘনিষ্ঠ বেহালার ব্যবসায়ী সন্তু গঙ্গোপাধ্যায় এবং হুগলির দুই বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ এবং শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। ইডির দাবি, দুর্নীতির টাকা পাচারের উদ্দেশে অয়ন নিজেও নানা ফন্দি এঁটেছিলেন। এমনকী, খুলেছিলেন নির্মাণ সংস্থাও। পরিবারের সদস্যদের নামে সম্পত্তি, পেট্রোল পাম্প থেকে শুরু করে রেস্তোরাঁর ব্যবসাও চালু করেছিলেন তিনি।

    আরও পড়ুুন: “রাজ্যে সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরি হলে রাজ্যপাল বসে থাকবেন না”, বললেন আনন্দ বোস

    চার্জশিটে রয়েছে, চাকরিপ্রার্থীদের থেকে ৪৫ কোটি টাকা তোলার পরে অয়ন ২৬ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন পার্থ ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী সন্তু গঙ্গোপাধ্যায়কে। ঘটনাচক্রে গত সপ্তাহেই বেহালার সরশুনায় সন্তুর ফ্ল্যাটে হানা দেয় সিবিআই। জানা গিয়েছে, অযোগ্যপ্রার্থীদের থেকে টাকা তুলে ১৮ কোটি টাকা অয়ন বিনিয়োগ করেন নির্মাণ ব্যবসায়। এবিএস ইনফোজেন প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির মাধ্যমে ওই টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছিল হুগলির চুঁচুড়ার ‘এবিএস টাওয়ার’ প্রকল্পে। নিয়োগ দুর্নীতির টাকায় ‘শুক্লা সার্ভিস স্টেশন’ নামে একটি পেট্রোল পাম্প খোলা হয় দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের পাশে। অয়নের সম্পত্তির খতিয়ান তুলে ধরে ইডি জানিয়েছে, যে স্থাবর সম্পত্তির হদিশ মিলেছে, তার বাজার মূল্য ১০ কোটি ৪ লক্ষ টাকা। অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ১ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা। গাড়ি রয়েছে ৬৪ লক্ষ টাকার। শেয়ার রয়েছে ২৩ লক্ষ টাকার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share