Tag: ssc scam

ssc scam

  • SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতিতে কী লুকোবেন? এসএসসির চেয়ারম্যানকে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের 

    SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতিতে কী লুকোবেন? এসএসসির চেয়ারম্যানকে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় (SSC Scam) তদন্তের গতি প্রকৃতি নিয়ে শুক্রবার আদালতের (Calcutta High Court) ভর্ৎসনার মুখে পড়লেন এসএসসির আইনজীবী। এরপরই মামলা থেকে অব্যাহতি চাইলেন এসএসসি আইনজীবী ডক্টর সুতনু পাত্র। শুক্রবার এসএসসি বোর্ডের সমস্ত সদস্যকে তলব করেছিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ। দুপুর সাড়ে ১২টার মধ্যে এসএসসির বোর্ডের সদস্যদের হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। 

    আদালতের পর্যবেক্ষণ

    হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশানুসারে এদিন উপস্থিত ছিলেন এসএসসির (SSC Scam) চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার এবং আরও দুই সদস্য। হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ বারবার স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাছে বেশ কিছু তথ্য় চেয়েছিল। প্রায় দু’সপ্তাহ পার হয়ে যাওয়ার পর আজ আদালতে যখন সেই তথ্য চায়, এসএসসির আইনজীবী বলেন, জায়গাটা ছোট। সবটা ভাল করে লিখতে পারছেন না। বেশ কিছু সমস্যা হচ্ছে ডেটা পেতে। পরবর্তী সময়ে তিনি বলেন, বারবার চাওয়ার পরও এসএসসির অফিসারদের কাছ থেকে তিনি কোনও সহায়তা পাচ্ছেন না। এতে বিচারপতি যথেষ্ট ক্ষুব্ধ হন। বিচারপতি মন্তব্য করেন, ‘কী করা যাবে বলুন। আমরা জানি এই এজলাস ছোট। এসএসসির মত বড় বড় অনেক বাড়ি আমাদের নেই যে একটা বাড়ি থেকে সুপারিশ পত্র দেওয়া হবে, একটি বাড়ি থেকে এসএমএস পাঠানো হবে।’ 

    আরও পড়ুন: তমলুক লোকসভা কেন্দ্রে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নামে দেওয়াল লিখন শুরু, প্রার্থী নিয়ে জল্পনা

    আদালতের প্রশ্ন

    আদালতে (Calcutta High Court) ক্ষুব্ধ বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, “প্রতিদিন সময় চাইছেন। কত দিন চলতে পারে এটা? গত মঙ্গলবার থেকে স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC Scam) কাছে কিছু তথ্য চাওয়া হচ্ছে নাইসার ব্যাপারে।কিন্তু তার উত্তর দিতে পারছেন না আপনি। আপনি তার মানে আদালতকে সহযোগিতা করতে পারছেন না।” একই সঙ্গে বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, “এসএসসির কোনও আধিকারিক তাঁদেরই দেওয়া হলফনামা পড়ে না, আর তাই তথ্যও জানে না! আপনারা কী লুকোতে চাইছেন এবং কেন লুকাতে চাইছেন?” এরপরই এসএসসির আইনজীবী সুতনু পাত্র এই মামলা থেকে অব্যাহতি চান। বিচারপতি বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ সঙ্গে সঙ্গে তা গ্রহণ করে। আগামী সোমবার ফের মামলার শুনানি। সেদিন যাবতীয় তথ্য নিয়ে আসতে বলা হয়েছে বিশেষ বেঞ্চের পক্ষ থেকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ‘‘ফাইল চেপে রাখবেন আর আমরা তা দেখব?’’ রাজ্যকে তিরস্কার হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: ‘‘ফাইল চেপে রাখবেন আর আমরা তা দেখব?’’ রাজ্যকে তিরস্কার হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুল নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Scam) ধৃত সরকারি পদে থাকা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের অনুমতি দিচ্ছে না রাজ্য। সিবিআই-এর এই অভিযোগের পর রাজ্যকে মঙ্গলবারের মধ্যে দুর্নীতি দমন আইনে চার্জ গঠনের বিষয়ে নিজেদের বক্তব্য জানাতে বলেছিল হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। কিন্তু এদিনও তা জানাতে পারল না রাজ্য সরকার। 

    কী বলল রাজ্য

    রাজ্য সরকার অনুমতি দেওয়া নিয়ে সিদ্ধান্ত ঝুলিয়ে রেখে আদতে চার্জ গঠন প্রক্রিয়া বিলম্বিত করছে বলে অভিযোগ সিবিআই-এর। তাই সোমবার এ বিষয়ে  বক্তব্য জানতে চেয়ে রাজ্যকে ২৪ ঘণ্টার সময় দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ। মঙ্গলবার রাজ্যের কৌঁসুলি এজলাসে এসে জানান, জানুয়ারি মাসে মুখ্যসচিব দায়িত্ব নিয়েছেন। তাই তাঁকে নথিপত্র দেখে বক্তব্য পেশের সময় দেওয়া হোক। বর্তমানে নির্বাচন কমিশনের কর্তারা আসার ফলে মুখ্যসচিব ফাইল দেখার সময় পাচ্ছেন না।

    ক্ষুব্ধ আদালত

    রাজ্যের কথা শুনে ক্ষুব্ধ হয়ে বিচারপতি বসাক  জানতে চান, আদালতের (Calcutta High Court) নজরদারিতে তদন্ত হচ্ছে। এখনও আপনার মুখ্যসচিব ফাইল দেখার সময় পাননি? দীর্ঘদিন ধরে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে, তা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বিচারপতি বসাক মন্তব্য করেন, ‘‘আপনারাই আমাদের পদক্ষেপ করতে বাধ্য করছেন। কবে জানাতে পারবেন তাও বলতে পারছেন না। তা হলে ওঁকে কোর্টে ডেকে পাঠাই?’’ এদিন রাজ্যের উদ্দেশে বিচারপতি বসাকের মন্তব্য, ‘‘অজুহাত দেবেন না। আপনারা ফাইল চেপে বসে থাকবেন এবং আমরা তা বসে বসে দেখব? এত দিন ধরে কী করেছেন?’’ কোর্টের নির্দেশ, রাজ্যের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে আজ, বুধবার কোর্টকে জানাতে হবে।

    আরও পড়ুন: হাইকোর্টের নির্দেশ বহাল রাখল শীর্ষ আদালত, আজই সিবিআই-এর হাতে শেখ শাহজাহান?

    সিবিআই-এর অভিযোগ

    নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Scam) মামলায় এসএসসি-র প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিংহ, প্রাক্তন সচিব সুবীরেশ ভট্টাচার্য, প্রাক্তন সচিব অশোক সাহা, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় এবং প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ব্যক্তিগত সচিব সুকান্ত আচার্যকে অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করে চার্জশিট জমা দিয়েছে সিবিআই। কিন্তু নিম্ন আদালতের (Calcutta High Court) বিচারক জানিয়েছেন, চারটি মামলায় একাধিক সরকারি কর্মী ও কর্তার নাম অভিযুক্তের তালিকায় থাকলেও তাঁদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে অনুমোদন নেওয়া হয়নি রাজ্য সরকারের। বিচার প্রক্রিয়া শুরুর জন্য যা জরুরি। তাই ওই চার মামলার চার্জশিট গ্রহণ করা যাচ্ছে না। অভিযোগ উঠছে, বিচার শুরুতে বিলম্ব করাতেই রাজ্যের এই গড়িমসি। এ বিষয়ে সিবিআইয়ের দাবি, রাজ্যের শিক্ষা দফতরকে গত এক বছরে তারা বেশ কয়েক বার ই-মেল ও চিঠি পাঠিয়ে সংশ্লিষ্ট অনুমতি চাইলেও, তা পাওয়া যায়নি। তা থেকেই এই আইনি জটিলতা। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: এসএসসি পরীক্ষার ওএমআর দেখতে পারবেন পরীক্ষার্থীরা, নির্দেশ হাইকোর্টের

    SSC Scam: এসএসসি পরীক্ষার ওএমআর দেখতে পারবেন পরীক্ষার্থীরা, নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরীক্ষার্থীদের দাবি মতো, এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় উত্তরপত্র (ওএমআর শিট) দেখার সুযোগ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সোমবার এসএসসি মামলার শুনানি ছিল। শুনানি চলাকালীন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ সব্বর রশিদির বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, কোনও এসএসসি পরীক্ষার্থী (নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ, গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি) চাইলে নিজেদের ওএমআর শিট দেখতে পারবেন।

    কী বলল আদালত

    পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র দেখতে হলে অবশ্য সিবিআইয়ের কাছে আবেদন করতে হবে। মঙ্গলবার বিকেল ৪টের মধ্যে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে আবেদন করতে পারবেন ইচ্ছুক পরীক্ষার্থীরা। ওএমআর শিট নিয়ে কারও কোনও আপত্তি থাকলে, তা-ও তাঁরা আদালতে জানাতে পারবেন। এসএসসির মামলার এই ওএমআর শিটগুলি গাজিয়াবাদ থেকে উদ্ধার করেছিল সিবিআই। পরে সেগুলি হাইকোর্টে জমা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এ বার সেই উত্তরপত্রগুলিই পরীক্ষার্থীদের দেখার সুযোগ করে দিল হাইকোর্ট। 

    আরও পড়ুন: রেশন মামলায় পুলিশি তদন্তে স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট

    এসএসসি-তে  নিয়োগ ‘দুর্নীতি’কাণ্ড নিয়ে সাম্প্রতিক অতীতে তোলপাড় হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। এই নিয়ে হাইকোর্টে চলছে একাধিক মামলাও। তিনটি পরীক্ষার নিয়োগে সাড়ে ৮ হাজার পদে বেনিয়ম হয়েছে। বেনজিরভাবে আদালতে হলফনামা দিয়ে আগেই  সেকথা জানিয়েছে এসএসসি (SSC)। এর মাঝেই সোমবার এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র (ওএমআর শিট) দেখার সুযোগ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। শুধু উত্তরপত্রই নয়, সিবিআই এবং এসএসসির তরফে আদালতে এই সংক্রান্ত যে নথি জমা দেওয়া হয়েছে, চাইলে ত-ও দেখতে পারবেন পরীক্ষার্থীরা। তবে নথি দেখতে গেলে আবেদন করতে হবে হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে। এই মামলার সঙ্গে যুক্ত নন, এমন কেউ যদি মামলা সম্পর্কিত কোনও তথ্য আদালতে জমা দিতে চান, তা হলে তাঁরা তা দিতে পারেন বলেও আদালত জানিয়েছে। সেই সব তথ্য খতিয়ে দেখবে হাইকোর্ট। ১৯ ফেব্রুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “পরেশ অধিকারী ও তাঁর কন্যাকে জেলের ভিতরে দেখতে চাই”, তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “পরেশ অধিকারী ও তাঁর কন্যাকে জেলের ভিতরে দেখতে চাই”, তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “পরেশ অধিকারী এসএসসি শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। তাঁর নাম এসএসসির প্রাথমিক অভিযোগের তালিকায় রয়েছে। তাঁর  এবং কন্যার নাম আমরা চার্জশিটে দেখতে চাই। তাঁকে বিজেপির মঞ্চে নয়, জেলের ভিতরে দেখতে চাই।” ঠিক এই ভাবেই জলপাইগুড়ির মেখলিগঞ্জে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীকে আক্রমণ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    মেখলিগঞ্জের দলীয় সভায় নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) তৃণমূলকে আক্রমণ করে বলেন, “তৃণমূলের কাছে বিজেপির বিরোধী দলনেতা আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাজ্যে তৃণমূল সরকারের দুর্নীতি নিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে সোচ্চার হয়েছি আমরা। বিজেপি অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে বিরোধী দলের ভূমিকা কী তা পালন করছে। রাজ্যে ২০১১ থেকে সিপিএম বিরোধী দল ছিল আবার ২০১৬ থেকে কংগ্রেস ছিল বিরোধী দল, কিন্তু কংগ্রেস-সিপিএম বিরোধী দলের ভূমিকা কী হওয়া উচিত তা সেই সময়ে পালন করেনি। তাঁরা কেবলমাত্র ফিস ফ্রাই খেয়েছেন। কিন্তু বিজেপির বিধায়ক-সাংসদেরা তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে তাঁদের দুর্নীতি, চুরি, মানুষের প্রাপ্য অধিকার নিয়ে লড়াই সংঘর্ষ করছে। গণতন্ত্র লুটের জন্য নবান্ন অভিযান করেছি আমরা। আবার রাজ্যে বাঞ্চিতদের অধিকারের দাবিকে সুরক্ষিত করতে রাজপথে নেমে আন্দোলন করেছে বিজেপি। রেশন দুর্নীতি, স্কুল নিয়োগে দুর্নীতি, মিড-ডে-মিল, পুরনিয়োগ র্দুনীতি, কয়লা, বালি, গরু পাচার নিয়ে মানুষের কাছে গিয়ে তৃণমূল সরকারের ষড়যন্ত্রের কথা পৌঁছে দিয়েছি।”  

    সন্দেশখালি প্রসঙ্গে কী বলেন?

    সন্দেশখালির ঘটনা প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হয় যে ওই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত জিয়াউদ্দীন অভিযোগ করছে ইডি সম্পূর্ণ ভাবে শুভেন্দুর নির্দেশেই সেখানে গিয়েছিলো। এর জবাবে জলপাইগুড়িতে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “এটা আতঙ্ক থেকে এইসব কথা চোরেরা বলছে। চোরেদের জেলে ভরা হবে আর এই আতঙ্ক থাকা ভালো। রাজ্যের দুর্নীতি নিয়ে বিজেপি সমস্ত চোরেদের বিরুদ্ধে লড়াই করবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: গাজিয়াবাদ থেকে উদ্ধার হার্ড ডিস্ক পাঁচদিনে পেশ করতে হবে, সিবিআইকে নির্দেশ হাইকোর্টের

    SSC Scam: গাজিয়াবাদ থেকে উদ্ধার হার্ড ডিস্ক পাঁচদিনে পেশ করতে হবে, সিবিআইকে নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি (SSC Scam) মামলায় গাজিয়াবাদ থেকে উদ্ধার হওয়া ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস, হার্ড ডিস্ক এবং তার মধ্যে থাকা ওএমআর-সহ সমস্ত নথি আদালতে পেশ করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। শুক্রবার বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রসিদির বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে। আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে অর্থাৎ ২৪ জানুয়ারির মধ্য়ে ওই সমস্ত নথি আদালতে জমা দিতে হবে। যদি পরবর্তী শুনানির দিন কোনও কারণে ইলেকট্রনিক ডিভাইস পেশ করা সম্ভব না হয়, তাহলে মামলা চলাকালীন তা পেশ করতে হবে।

    কী বলল আদালত

    এদিনের শুনানিতে বিচারপতি এটাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন, ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস পেশ করা সম্ভব না হলেও তার মধ্যে থাকা নথির কপি পেশ করতে হবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই-কে। এদিন সিবিআই-এর পাশাপাশি এসএসসি-র (SSC Scam) কাছে থাকা এই সংক্রান্ত সমস্ত নথিও পেশ করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এই সংক্রান্ত তথ্য স্কুল সার্ভিস কমিশনের সার্ভারে রয়েছে। আদালতে উত্তরপত্র জমা দেওয়ার বিষয়ে চাকরিপ্রাপকদের মধ্যে মতানৈক্য তৈরি হয়েছে। কেউ কেউ চাইছেন, উত্তরপত্র আদালতের সামনে আসুক। একাদশ-দ্বাদশে চাকরিপ্রাপকদের দু’জন ওএমআর শিট দেখতে চেয়েছেন। তাঁরা নিজেরা ওই উত্তরপত্র পরীক্ষা করে দেখতে চান। তবে বাকি চাকরিপ্রাপকেরা উত্তরপত্র আদালতে জমা দেওয়ার বিপক্ষে। তাঁরা জানিয়েছেন, ডিজিটাল এই নথির সত্যতা নিয়েই তাঁদের সন্দেহ রয়েছে।

    আরও পড়ুন: আদালতে খারিজ আবেদন, সরকারি বাংলো খালি করলেন বহিষ্কৃত সাংসদ মহুয়া

    আদালতে সওয়াল-জবাব

    সিবিআই-এর আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য সওয়াল করেন, “এই মামলার তদন্তে আমরা যে যে নথি এবং তথ্য উদ্ধার করেছি তার সবগুলিই স্কুল সার্ভিস কমিশনকে (SSC Scam) দিয়েছি। তারা সেগুলি খতিয়ে দেখে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।” বিচারপতি দেবাংশু বসাক সওয়াল করেন, “এসএসসি র ওপর আমরা কীভাবে বিশ্বাস করব? এসএসসি বারবার তার অবস্থান বদল করেছে। কলকাতা হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টে তারা ভিন্ন অবস্থান নিয়েছেন এই এজলাসেও এসএসসি সর্বশেষ যে হলফনামা দাখিল করেছে সেখানেও তারা নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেনি।” এরপরই আদালত সিবিআইকে নথি পেশ করার নির্দেশ দেয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Medinipur: ডিআই ঘনিষ্ঠ প্রাক্তন করণিকের বিপুল সম্পত্তির উৎস কী? জানতে চায় সিআইডি

    Purba Medinipur: ডিআই ঘনিষ্ঠ প্রাক্তন করণিকের বিপুল সম্পত্তির উৎস কী? জানতে চায় সিআইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) বিদ্যালয় পরিদর্শক থাকার সময় আর্থিক দুর্নীতির একাধিক অভিযোগ উঠেছিল চাপেশ্বর সর্দারের বিরুদ্ধে। এরপর তাঁকে গ্রেফতারও করা হয়েছিল। সিআইডির নজর এবার এই পরিদর্শকের অফিসের অ্যাকাউন্ট বিভাগের প্রাক্তন করণিকের বিপুল সম্পত্তির হিসেবের উপর। তদন্তের জন্য তাঁকে ডাকা হতে বলে জানা গিয়েছে। এই ব্যক্তির দেওয়া তথ্য এবং বক্তব্যের প্রেক্ষিতেই চাপেশ্বরকে গ্রেফতার করে ছিল সিআইডি।

    তদন্তকারী অফিসারদের সূত্রে খবর (Purba Medinipur)

    সিআইডি তদন্তকারী অফিসারদের সূত্রে জানা গিয়েছে, চাপেশ্বরের ডান হাত ছিলেন পাঁশকুড়ার (Purba Medinipur) এই ব্যক্তি। তাঁর বিরাট সম্পত্তি কীভাবে গড়ে তুলেছেন এই নিয়ে ব্যাপক চর্চা শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সামান্য অ্যাকাউন্ট বিভাগের কর্মকর্তা হয়ে কীভাবে এতো পাহাড় প্রমাণ সম্পত্তির গড়ে ফেললেন এই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। উল্লেখ্য, সূত্রের আরও খবর যে চাপেশ্বরকে গ্রেফতার করার আগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এই কর্মীকেই ডেকে পাঠানো হয় এবং তাঁর বয়ানের উপর নির্ভর করেই সিআইডি চাপেশ্বরকে গ্রেফতার করেছিল। ফলে এবার কি তাঁর পালা?

    মেচগ্রাম এলাকায় বিপুল সম্পত্তির খোঁজ

    চাপেশ্বরের পাঁশকুড়ার (Purba Medinipur) ছায়াসঙ্গী করণিকের মেচগ্রামে একাধিক সম্পত্তির খোঁজ মিলেছে। এখানে রয়েছে একাধিক ফ্ল্যাট, উঁচু পাঁচিল তোলা একাধিক বাড়ি এবং আরও বেশ কিছু দোকান রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও মেচগ্রাম থেকে পাঁশকুড়া পর্যন্ত বনমালী কলেজ যাওয়ার পথে দুই পাশে প্রচুর জমির মালিক বলে জানা গিয়েছে। অবশ্য স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, প্রাক্তন করণিক এলাকায় শিক্ষকদের পছন্দের জায়গায় বদলি করার কাজ করতেন টাকার বিনিময়ে। সেই সঙ্গে মোটা টাকার বিনিময়ে চাকরিও বিক্রির কাজ করতেন তিনি। চাকরি দেওয়ার জন্য তৃণমূলের নেতাদের সঙ্গেও তাঁর বেশ ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল বলে জানা গিয়েছে। এবার কি তাহলে শুধু গ্রেফতারর অপেক্ষা মাত্র? এমনটাই মনে করছেন এলাকার মানুষ।

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Partha Chatterjee: ইচ্ছেপূরণ হল না! বাড়িতে বসেই চিকিৎসা করানোর নয়া আবদার পার্থর

    Partha Chatterjee: ইচ্ছেপূরণ হল না! বাড়িতে বসেই চিকিৎসা করানোর নয়া আবদার পার্থর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যে কোনও মূল্যে জামিন পেতে মরিয়া নিয়োগ দুর্নীতিতে (Teacher Recruitment Scam) গ্রেফতার প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। কিন্তু বারবার আবেদন করেও জামিন মিলছে না। বুধবারও আদালতে জামিনের জন্য আর্জি জানান পার্থর আইনজীবী। এদিন আদালতে আইনজীবী, তাঁর শারীরিক সমস্যার কথা তুলে ধরে তাঁকে যে কোনও শর্তে জামিন দেওয়ার আর্জি জানান। জেলে ঠিকমতো চিকিৎসা হচ্ছে না৷ তাই বাড়িতে বসেই চিকিৎসার অনুমতি দেওয়া হোক৷ এমন কি, তার জন্য যে কোনও শর্ত পালনেও রাজি ছিলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ কিন্তু এবারও মিলল না অনুমতি। ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

    পার্থর আবেদন

    এদিন আদালতে পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের (Partha Chatterjee) আইনজীবী বলেন, “যে কোনও শর্তে জামিন চাইছি। দীর্ঘদিন ধরে গুরুতর অসুস্থ। বাড়িতে বসে চিকিৎসা করার আবেদন জানাচ্ছি।” আদালতে আইনজীবি আরও জানান যে, “মেডিক্যাল বোর্ডের পরামর্শ ছিল নিয়মিত রক্তপরীক্ষা করার। কিন্তু গত ৯ মাসে রক্তপরীক্ষা হয়নি। জেলে থেকে চিকিৎসা হচ্ছে না। যেভাবে চিকিৎসা হওয়া দরকার, সেটা হচ্ছে না। দিনের পর দিন বিনা চিকিৎসায় রয়েছেন। হেফাজতে রয়েছেন, তদন্ত হচ্ছে না।” মেডিক্যাল বোর্ড অনুসারে, ওনার নিয়মিত রক্ত পরীক্ষা করা দরকার৷ কিন্তু সেটা হচ্ছে না। কিডনির সমস্যা, হাই ব্লাড সুগার, জয়েন্টে সমস্যা ও একাধিক শারীরিক সমস্যা রয়েছে। এই পরিস্থিতি নেতাজি নগর থানা এলাকার নাকতলায় পৈতৃক বাড়িতে বসে ওনার চিকি়ৎসার ব্যবস্থা করা হোক৷

    আরও পড়ুন: মধ্যরাতে মুখ খুললেন ‘কালীঘাটের কাকু’, কণ্ঠস্বরের নমুনা হাতে পেল ইডি

    সিবিআই-এর বিরোধিতা

    পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) আইনজীবীর এই আবেদনের বিরোধিতা করেন সিবিআই-এর আইনজীবী৷ তিনি বলেন, “মিডলম্যানদের সঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের সরাসরি যোগ ছিল। আর্থিক লেনদেন হয়েছে। পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়-ই নির্দেশ দিয়ে প্রভাব খাটিয়ে অফিসারদের দুর্নীতিতে যুক্ত করেছেন। পার্থ চট্টোপাধ্যায়-ই এই দুর্নীতির কিংপিন।” দু-পক্ষের সওয়াল জবাবের পর ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়কে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। প্রসঙ্গত, শিক্ষা দুর্নীতির (Teacher Recruitment Scam) দায়ে ২০২২-এর জুলাই মাসে ইডি গ্রেফতার করে পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়কে। একইসঙ্গে গ্রেফতার করা হয় পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের ‘ঘনিষ্ঠ’ বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্য়ায়কেও। তারপর থেকে জেলেই দিন কাটছে প্রাক্তন মন্ত্রীর।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TET Exam 2023: রাজ্যে বেকারত্বের করুণ ছবি, বাবা-ছেলে একসঙ্গে দিলেন টেট!

    TET Exam 2023: রাজ্যে বেকারত্বের করুণ ছবি, বাবা-ছেলে একসঙ্গে দিলেন টেট!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে প্রাথমিক টেট (TET Exam 2023) পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে গতকাল, ২৪ ডিসেম্বর। তিন লক্ষ পরীক্ষার্থী এই পরীক্ষায় বসেছিলেন। রাজ্যে বেকারত্বের করুণ ছবি দেখা গেল এবারের পরীক্ষায়, যেখানে বাবা-ছেলে একসঙ্গে দিলেন টেট! ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদ জেলায়। রাজ্যে বছর বছর নিয়মিত হয় না প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা। রাজ্যের স্কুলগুলিতে এখনও অনেক শূন্যপদ। বেকারত্ব কার্যত ছুঁয়ে ফেলল ছেলে-বাবাকে। সরকারি চাকরির আশায় পরীক্ষায় বসলেন বাবা-ছেলে। ছেলের দাবি, ‘প্রতি বছর নিয়মিত পরীক্ষা হলে বাবাকে হয়তো এই দিন দেখতে হত না।” পরীক্ষার্থীদের একাংশ বলছেন, রাজ্যে মমতার সরকার যদি ঠিক করে শিক্ষক নিয়োগ করত, তাহলে রাজ্যে ডিএলএড প্রশিক্ষক বাবা-ছেলেকে একযোগে পরীক্ষায় বসতে হত না।

    মুর্শিদাবাদে কোথায় ঘটনা ঘটল (TET Exam 2023)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা থানার চন্দড় গ্রামের গত কালকের টেট (TET Exam 2023) পরীক্ষার প্রার্থী ছিলেন বাবা দিলওয়ার হোসেন এবং ছেলে মোকাম্মেল হোসেন। দিলওয়ার নিজে এমএ পাশ করে ডিএলএডে পড়াশুনা করছেন। আর বাবা মোকাম্মেল চাদর প্রাথমিক স্কুলে প্যারাটিচার হিসাবে শিক্ষতার কাজ করছেন। বাবার পরীক্ষার কেন্দ্র পড়েছিল লালবাগ গভর্নমেন্ট স্পনসর গার্লস হাইস্কুলে। অপর দিকে ছেলের কেন্দ্র পড়েছিল গোলযান রিফিউজি হাইস্কুলে।

    পরীক্ষার্থী বাবা-ছেলের বক্তব্য

    ২০২৩ সালের টেট (TET Exam 2023) পরীক্ষার্থী বাবা মোকাম্মেল হোসেন বলেন, “এর আগে অনেক বার টেট পরীক্ষা দিয়েছি, কিন্তু সফল হতে পারিনি। তবে এবার পরীক্ষা বেশ ভালো হয়েছে, আমি আশাবাদী। তবে প্রত্যেক বছর পরীক্ষাও হয় না।” একই ভাবে টেট পরীক্ষার্থী নিয়মিত না হওয়ায় ছাত্র দিলওয়ার হোসেন বলেন, “বাবার চাকরিটা হয়ে গেলে, হয়ত আমি একটু ভালো জায়গায় পৌঁছাতে পারতাম। প্রতি বছর নিয়ম করে যদি পরীক্ষা হত, তাহলে বাবাকে হয়তো এই দিন দেখতে হত না।”

    টেট দুর্নীতিতে সিবিআই

    উল্লেখ্যে রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআই তদন্ত চলছে। টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগে শাসকদলের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ইতিমধ্যে জেলে। প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য, তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা সহ আরও অনেক তৃণমূল নেতা গ্রেফতার হয়েছেন। রাজ্যের টেট (TET Exam 2023) শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির প্রতিবাদে শাসক দলের বিরুদ্ধে বিরোধীরা ব্যাপক ভাবে সরব হওয়ায় তীব্র শোরগোল পড়েছিল।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • SSC: এসএসসি-র অবস্থান স্পষ্ট নয়! কেন ৫ হাজার জনের চাকরি বাতিল? প্রশ্ন হাইকোর্টের

    SSC: এসএসসি-র অবস্থান স্পষ্ট নয়! কেন ৫ হাজার জনের চাকরি বাতিল? প্রশ্ন হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিতে পাঁচ হাজার চাকরি বাতিল নিয়ে এসএসসি-র অবস্থান স্পষ্ট নয়। হাইকোর্টের ঘাড়ে দায় চাপিয়ে নিজেদের অবস্থান ঠিক করতে পারল স্কুল সার্ভিস কমিশন। এমনই অভিমত আদালতের।  বুধবার ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলা ওঠে। হলফনামায় আদালতের ঘাড়েই দায় চাপায় এসএসসি। এতেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারপতি দেবাংশু বসাক। তাঁর নির্দেশ চাকরি বাতিলের ‘অবস্থান’ প্রসঙ্গে নিজেদের মত ১৮ ডিসেম্বর মধ্যে স্পষ্ট করতে হবে এসএসসিকে। 

    কী বলল আদালত

    এই প্রসঙ্গে হাইকোর্টে এসএসসি জানিয়েছিল, এই নিয়োগের ক্ষেত্রে অনিয়ম খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। আর তাই বরখাস্ত করা হয়েছে তাঁদের। অন্যদিকে, আবার স্কুল সার্ভিস কমিশন সুপ্রিম কোর্টে জানায়, হাইকোর্ট নির্দেশ দেওয়ায় বরখাস্ত করতে হয়েছে এই পাঁচ হাজার জনকে। উল্লেখ্য, এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলা হাইকোর্টে ফিরিয়ে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। একইসঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তদন্তের সময়সীমাও বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। আগামী ছয় মাসের মধ্যে যাতে শুনানি শেষ হয় সেই বিষয়টিও দেখার কথা কলকাতা হাইকোর্টকে জানিয়েছিল শীর্ষ আদালত। এদিন ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, বোর্ড মিটিং করে পাঁচ দিনের মধ্যে কমিশনকে তাঁদের  সুনির্দিষ্ট ‘অবস্থান’ জানাতে হবে। 

    আরও পড়ুন: মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়র মদতেই বিপুল সাম্রাজ্য! ২ জেলাতেই ১০০-র বেশি সম্পত্তি বাকিবুরের

    চাকরি বাতিল নিয়ে এদিন এসএসসি-র আগের হলফনামাও ফিরিয়ে দিয়েছে হাইকোর্ট। বিচারপতি দেবাংশু বসাকের বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চের বক্তব্য, হাইকোর্ট যার পক্ষেই রায় দিক, তার ফলে কেউ না কেউ প্রভাবিত হবে। চাকরিহারাদের মধ্যে অনেক প্রার্থী আইন অনুযায়ী চাকরি পেয়েছেন আবার অনেকে ভুয়ো প্রার্থীও আছেন। যাঁরা সঠিক তাঁরা কেন ফল ভুগবে? এক্ষেত্রে স্কুল সার্ভিস কমিশনের বক্তব্য জানতে চেয়েছিল আদালত। যদিও কমিশন জানিয়েছিল তাঁরা হাইকোর্টের নির্দেশেই চাকরি বাতিল করেছে। তবে এতে সন্তুষ্ট ছিল না ডিভিশন বেঞ্চ। এসএসসির নিজস্ব মত জানতে চায় আদালত।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rujira Banerjee: লেনদেন কত? টাকার উৎস কী? সাড়ে ৮ ঘণ্টা ধরে রুজিরাকে জিজ্ঞাসাবাদ ইডির

    Rujira Banerjee: লেনদেন কত? টাকার উৎস কী? সাড়ে ৮ ঘণ্টা ধরে রুজিরাকে জিজ্ঞাসাবাদ ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লা পাচারকাণ্ডের পর এবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডির জেরার মুখে অভিষেক পত্নী রুজিরা বন্ধ্যোপাধ্যায় (Rujira Banerjee)। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রীকে বুধবার সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে পাঠায় ইডি (ED)। সাড়ে ৮ ঘণ্টার পর ম্যারাথন জেরার পর ছাড়া পান রুজিরা।

    সাড়ে ৮ ঘণ্টার ম্যারাথন জেরা

    সকাল ১১টা নাগাদ সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ঢুকেছিলেন৷ বেরলেন যখন, তখন ঘড়িতে সন্ধে সাড়ে ৭টা৷ প্রায় সাড়ে ৮ ঘণ্টা সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সের ৬ তলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের দফতরে রইলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ চলল জিজ্ঞাসাবাদ৷ এর আগে কয়লা দুর্নীতির তদন্তে সিবিআই তলব করলেও শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এই প্রথম তলব করা হয়েছিল অভিষেক জায়াকে৷ শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের সূত্রে আলোচনায় উঠে আসে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস নামে এক সংস্থার নাম৷ সূত্রের খবর, এই সংস্থারই প্রাক্তন ডিরেক্টর ছিলেন রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়৷

    জেরায় কী কী জানতে চাওয়া হল

    ইডি সূত্রে খবর, বুধবার সকাল থেকে মোট দু’দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় রুজিরাকে। এদিন তাঁর বয়ানও রেকর্ড করা হয়। এক মহিলা আধিকারিকের উপস্থিতিতে রুজিরার  জেরা চলে। স্রেফ অভিষেক নন, লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের ডিরেক্টর ছিলেন তাঁর স্ত্রীও। ওই সংস্থায় রুজিরা কী কী দায়িত্ব পালন করতেন? এই কোম্পানিতে তাঁর ভূমিকা কী ছিল? লেনদেনের বিষযে কিছু জানতেন কি না, এই সংস্থা কী ধরনের পরিষেবা দেয়, এই সমস্ত বিষয় নিয়ে এদিন তাঁকে ইডির তরফে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

    আরও পড়ুুন: হাতে নয়া তথ্য, দাবি সিবিআইয়ের, তাই কি ফের খারিজ পার্থর জামিনের আর্জি?

    রুজিরাকে জেরা নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু

    ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’-এর ডিরেক্টর ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাবা অমিত বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মা লতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তাঁদেরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছিল৷ যদিও তাঁরা শারীরিক অসুস্থতার কারণে আসেননি৷ চিঠি দিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাবা অমিত বন্দ্যোপাধ্যায় ১২০০ পাতার নথি এবং মা লতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১০০০ পাতার নথি জমা করেছিলেন। এ প্রসঙ্গে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন লুকোচুরি চলছে। বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের অনেককেই ডাকা হয়েছিল। কোর্টের নির্দেশ মেনে তদন্তে সহযোগিতা করলে ভাল। বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ আদালতের নির্দেশে হচ্ছে। তদন্তের গতি অত্যন্ত স্লথ। আদালতের তিরস্কারের পর বাধ্য হয়ে তৎপর হয়েছে ইডি।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share