Tag: ssc scam

ssc scam

  • Sweta Chakraborty: অয়নের হাত ধরেই টলিউডে পা শ্বেতার! জানেন নৈহাটির এক সাধারণ মেয়ের কেরিয়ার গ্রাফ?

    Sweta Chakraborty: অয়নের হাত ধরেই টলিউডে পা শ্বেতার! জানেন নৈহাটির এক সাধারণ মেয়ের কেরিয়ার গ্রাফ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রোগা-পাতলা চেহারা। দেখতে সুন্দর। সাধারণ মধ্যবিত্ত ঘরের আর পাঁচটা মেয়ের মতোই। চাকরি করতেন কামারহাটি পুরসভায়। সঙ্গে ছিল মডেলিংয়ের নেশা। ধীর গতিতে চলছিল জীবন। কিন্তু হঠাতই ছক ভাঙা জীবনের বাইরে গিয়ে তরতরিয়ে উঠতে শুরু করে নৈহাটির সম্ভ্রান্ত পরিবারের মেয়ে শ্বেতা চক্রবর্তীর কেরিয়ার গ্রাফ। কিন্তু কী করে? প্রশ্ন উঠছিল শ্বেতার চেনা-বৃত্তে। কিন্তু কোটি কোটি টাকার নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়বেন শ্বেতা তা ভাবতে পারেনি নৈহাটির ৭/ডি বিজয়নগর জেলেপাড়ার বাসিন্দারা। 

    অয়নের প্রযোজনায় রুপোলি দুনিয়ায় পা শ্বেতার

    নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে অয়ন শীলের (Ayan Shil) গ্রেফতারির পরই উঠে এসেছে শ্বেতার নাম, অয়নের অ্যাকাউন্ট থেকে যাঁর অ্যাকাউন্টে মোটা অঙ্কের লেনদেন হয়েছে। ধৃত অয়নের প্রযোজনায় রুপোলি দুনিয়ায় পা রেখেছিলেন শ্বেতা চক্রবর্তী। ২০১৫ সালের আগে জিরাট গ্রাম পঞ্চায়েতের অস্থায়ী কর্মী ছিলেন শ্বেতা। ২০১৫ সালে ব্যক্তিগত কারণে ট্রান্সফার নিয়ে বলাগড়ের নিত্যানন্দপুর ১ নম্বর পঞ্চায়েতে যোগ দেন তিনি। অন্যদিকে ২০১৫ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত এই পঞ্চায়েতেরই কার্যনির্বাহী সহায়ক ছিলেন অয়ন শীল। সূত্রের খবর, সেই সময় থেকেই অয়ন-শ্বেতার পরিচয়। কিন্তু,পরবর্তীকালে দুজনেই চাকরি ছেড়ে দেন। 

    গাড়ি কিনতেও অয়নের সাহায্য 

    ইডি সূত্রের খবর, নৈহাটির বাড়ি ছেড়ে ২ বছর ধরে অয়নের ভাগ্নির পরিচয়ে কামারহাটির রথতলায় একটি আবাসনের ফ্ল্যাটে থাকতেন শ্বেতা। তাঁকে গাড়ি কিনতেও সাহায্য করেছিলেন অয়ন। ইডির দাবি, অয়নের ঠিকানা থেকে পাওয়া একটা নথিতে শ্বেতাকে বড় অঙ্কের টাকা পাঠানোর উল্লেখ রয়েছে। বর্তমানে কামারহাটি পুরসভায় সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারের চাকরি করেন শ্বেতা। নিয়মিত অফিসও করতেন তিনি কিন্তু নিয়োগ তদন্তে অয়নের নাম উঠে আসার পর গত কয়েকদিন ধরে তিনি পুরসভায় আসছিলেন না। একাধিক সূত্রের দাবি, উত্তর ২৪ পরগনার প্রভাবশালী এক প্রবীণ বিধায়কের সঙ্গে অয়নের মধুর সম্পর্ক থাকার সুবাদেই কামারহাটি পুরসভায় চাকরি পান শ্বেতা।

    আরও পড়ুন: ৯ বছরেও প্রকাশিত হয়নি মেধাতালিকা! চাকরিপ্রার্থীদের অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার সল্টলেকে

    টলিউডে নিয়োগ দুর্নীতির টাকা

    নিয়োগ দুর্নীতির টাকা টলিউডেও ঢেলেছিলেন অয়ন শীল। বান্ধবী শ্বেতাকে সিনেমায় নামাতে নিজের প্রোডাকশন হাউসও খোলেন তিনি। শ্বেতা একাধারে কামারহাটি পুরসভায় ইঞ্জিনিয়ার পদে চাকরি করতেন আবার পাশাপাশি মডেলিংও করতেন। সূত্রের খবর ২০১৭ সালে অয়নের স্ত্রীর মাধ্যমেই শ্বেতার সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর। অয়নের সংস্থার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসেবে কাজ করতেন শ্বেতা। অয়নের প্রোডাকশন হাউসের প্রোযোজনায় নির্মিত ছবি ‘কবাডি কবাডি’তেই ডেবিউ করেছিলেন তিনি। ওই ছবিতে অভিনয় করেছিলেন ঋত্বিক চক্রবর্তী, সোহিনী সরকার, অর্জুন চক্রবর্তীর মতো অভিনেতারা। ছবির পরিচালনায় ছিলেন কৌশিক গাঙ্গুলী। যদিও ছবির কাজ শুরু হলেও শেষ হয়নি বলেই জানা যাচ্ছে। বড় পর্দায় দেখা না গেলেও বহু শর্ট ফিল্ম ও মডেলিং প্রজেক্টে দেখা গিয়েছে শ্বেতাকে। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: ৯ বছরেও প্রকাশিত হয়নি মেধাতালিকা! চাকরিপ্রার্থীদের অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার সল্টলেকে

    SSC Scam: ৯ বছরেও প্রকাশিত হয়নি মেধাতালিকা! চাকরিপ্রার্থীদের অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার সল্টলেকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৯ বছর পেরিয়ে গেলেও মেধাতালিকা প্রকাশ করেনি স্কুল সার্ভিস কমিশন। দ্রুত তালিকা প্রকাশের দাবিতে আজ আপার প্রাইমারির চাকরি প্রার্থীদের এসএসসি ভবন অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার বাঁধল এসএসসি ভবন প্রাঙ্গণে।  একের পর এক চাকরির নিয়োগে দুর্নীতির (SSC Scam) অভিযোগ উঠেছে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার করেছে একাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তিকে। তালিকায় রয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও। বলতে গেলে গোটা শিক্ষা দফতর এখন জেলে। এর মধ্যেই নিয়োগের দাবিতে সরব হলেন চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের এই অভিযান ঘিরে সপ্তাহের মাঝে উত্তাল হল সল্টলেকের সেক্টর ফাইভ চত্বর।

    পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায় চাকরিপ্রার্থীদের

    চাকরিপ্রার্থীদের অভিযানের অনুমতি নেই জানিয়ে বাধা দেয় বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশ। এসএসসি ভবনের দিকে আপার প্রাইমারির চাকরিপ্রার্থীরা অগ্রসর হতেই ধস্তাধস্তি শুরু হয় পুলিশের সঙ্গে। বহু চাকরি প্রার্থীকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই বিক্ষোভের জেরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে সল্টলেক সেক্টর ফাইভ মেট্রোর আশপাশের এলাকায়। স্কুল সার্ভিস কমিশনের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে সরব চাকরিপ্রার্থীরা মেধাতালিকা প্রকাশ করে দ্রুত নিয়োগের দাবি করেছেন।

    ২০১৫ সালের ১৬ অগাস্ট হয়েছিল এই পরীক্ষা

    ২০১৪ সালের ৩০ জানুয়ারি আপার প্রাইমারিতে নিয়োগের জন্য অফলাইনে বিজ্ঞপ্তি দেয় স্কুল সার্ভিস কমিশন। সেই বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে পরীক্ষা হয় ২০১৫ সালের ১৬ অগাস্ট। মোট শূন্যপদ ছিল ১৪ হাজার ৩৩৯। এর পর ফল প্রকাশ হয় এবং ইন্টারভিউ হয়েছে চাকরিপ্রার্থীদের। কিন্তু চূড়ান্ত মেধাতালিকা এসএসসি প্রকাশ করেনি বলে অভিযোগ। মেধাতালিকা প্রকাশের দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে আপার প্রাইমারির নিয়োগের জন্য মেধাতালিকা প্রকাশের নির্দেশ দেয়। নভেম্বর মাসে দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে মেধাতালিকা আদালতে জমা করতে হবে। এমনই নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। কিন্তু অভিযোগ, ওই সময়সীমার মধ্যে মেধাতালিকা জমা দেয়নি এসএসসি। ২০২২ সালের ২৭ ডিসেম্বর ফের মামলা করেন চাকরিপ্রার্থীরা। তাতেও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ। মেধাতালিকা প্রকাশের দাবিতেই বুধবার এসএসসি ভবন অভিযানে নামেন চাকরিপ্রার্থীরা।

     

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতির নেপথ্যে আরও কারা? ফের এফআইআর দায়ের, নতুন করে তদন্ত সিবিআইয়ের

    SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতির নেপথ্যে আরও কারা? ফের এফআইআর দায়ের, নতুন করে তদন্ত সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাইকোর্টের নির্দেশে ২০২০ সালে প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Scam) তদন্তে নতুন করে এফআইআর করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। ওই বছর প্রাথমিকে ১৬ হাজার ৫০০ পদে নিয়োগে দুর্নীতির (SSC Scam) প্রমাণ পাওয়ায় এ নিয়ে সিবিআইকে তদন্ত করার জন্য গত ২ মার্চ নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পৃথক এফআইআর করারও অনুমতি দিয়েছিল হাইকোর্ট। আদালত সেই নির্দেশ দেওয়ার পরে শনিবার, ১৮ তারিখ এফআইআর দায়ের করেছে সিবিআই।

    নয়া অভিযোগ

    নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Scam) নেপথ্যে থাকা অনেক মাথাই এখনও আড়ালে রয়ে গিয়েছে আশঙ্কা করে সিবিআইকে পদক্ষেপ করতে বলেছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। গত ২ মার্চ ওই শুনানিতে বিচারপতি বলেছিলেন, সিবিআইয়ের সঙ্গে ইডিও এই মামলার তদন্ত করবে। তাদের ২০ এপ্রিলের মধ্যে এ বিষয়ে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। শনিবার ১৮ মার্চ এই সংক্রান্ত এফআইআর দায়ের করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এফআইআরে সিবিআই জানিয়েছে, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অজ্ঞাত পরিচয় কিছু কর্মী এবং কিছু অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হচ্ছে। 

    আরও পড়ুুন: ‘তৃণমূল নেতাদের রাঁধুনি হলেও মিলবে ৬০ লক্ষ টাকা’! কটাক্ষ সুকান্তর

    সিবিআই-এর এফআইআর-এ নামোল্লেখ না করে নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Scam) প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের আধিকারিকদের অভিযুক্ত করা হয়েছে। এঁদের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, তথ্য-বিকৃতি, অপরাধের জন্য সরকারি নথি জাল-সহ একাধিক ধারায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ২০২০-র বেআইনি নিয়োগের নেপথ্যে অন্যতম প্রধান চক্রী হিসেবে আদালত চিহ্নিত করেছে এস বসু রায় এন্ড কোম্পানিকে। ২০১৪ সালের টেটের উত্তরপত্র মূল্যায়নের বরাত পেয়েছিল ওই কোম্পানি। তাঁদের দেখা উত্তরপত্রে যোগ্যদের বঞ্চিত করে অযোগ্যদের বেশি নম্বর পাইয়ে দিয়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিচারপতি সিবিআইকে বলেছিলেন, কী ভাবে পর্ষদের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ কাজের দায়িত্ব এই সংস্থাকে দেওয়া হল, তা খতিয়ে দেখতে হবে। এই সমস্ত বিষয়টি সামনে আসতেই নতুন করে এ ব্যাপারে তদন্ত শুরুর নির্দেশ দেয় আদলত। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: রিসর্টের মালিক কে? নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত শান্তনুর ছায়াসঙ্গী আকাশকে প্রশ্ন ইডির

    SSC Scam: রিসর্টের মালিক কে? নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত শান্তনুর ছায়াসঙ্গী আকাশকে প্রশ্ন ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত শান্তনুর ছায়াসঙ্গী সুপ্রতিম ঘোষ ওরফে আকাশ। শনিবার সকালে তাঁকে বাড়ি থেকে তুলে বলাগড়ের রিসর্টে নিয়ে যান এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) আধিকারিকেরা। খাতায়কলমে বলাগড়ের চাঁদড়া বটতলা এলাকার ওই রিসর্টের মালিক  তিনি। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, ওই রিসর্টের মালিক আকাশ হলেও, আদতে ওই রিসর্টের মালিক শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ই। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে শান্তনুর নাম জড়ানোর পর থেকেই নামে-বেনামে তাঁর এবং তাঁর স্ত্রীর একাধিক সম্পত্তির হদিস মিলেছে। ইডির দাবি, একাধিক বাড়ি, রেস্তরাঁ, বিলাসবহুল বাগানবাড়ির মালিক এই শান্তনু। 

    বন্দুক ঠেকিয়ে জোর করে জমি কব্জা

    বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বন্দুক দেখিয়ে জমি দখলের অভিযোগ করলেন স্থানীয়রা। শনিবার বলাগড়সহ হুগলিতে শান্তনুর একাধিক ঠিকানায় হানা দেয় ইডি। তল্লাশি চলে শান্তনুর বলাগড়ের রিসর্টেও। স্থানীয় ২ ব্যক্তির দাবি, ওই জমি মাথায় বন্দুক ধরে বিক্রি করতে বাধ্য করেছিল শান্তনুর পোষা গুন্ডারা। জমি হারানো এক ব্যক্তি দাবি করেন,”বছর খানেক আগে জমি বিক্রির জন্য শান্তনু আমাকে চাপ দিতে থাকে। কিন্তু আমি জমি বিক্রি করতে রাজি ছিলাম না। জমি বিক্রির জন্য আমাকে চাপ দিতে থাকে শান্তনুর পোষা গুন্ডারা। আমাকে বন্দুক দেখিয়ে হুমকি দেওয়া হয়। চাপের মুখে জলের দড়ে আড়াই বিঘা জমি বিক্রি করতে বাধ্য হই।”

    ১০০ দিনের কাজের আওতায় পাঁচিল তৈরি

    ১০০ দিনের সরকারি কাজের নাম করে গ্রামবাসীদের দিয়ে নিজের কাজ করিয়ে নিয়েছেন বহিষ্কৃত যুব তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়, এমনটাই অভিযোগ তুলছেন এলাকার প্রাক্তন গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান। অভিযোগ, বলাগড়ে শান্তনুর যে রিসর্ট রয়েছে, তার চারপাশে পাঁচিল দিয়ে ঘেরা হয়েছে বেশ কিছু জমি। ১০০ দিনের কাজের টাকাতেই সেই কাজ করানো হয়েছে। একই সঙ্গে গ্রামবাসীদের কারও কারও অভিযোগ, শান্তনুর রিসর্টের কাজ করেও তাঁরা প্রাপ্য টাকা পাননি।

    আরও পড়ুুন: দাম শুনলে চোখ কপালে উঠবে! মণীশের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির হদিশ

    রিসর্টের মালিকানা ঘিরে জল্পনা

    বলাগড়ে ১০ বিঘা জমির উপর রিসর্ট তৈরি করে শান্তনু। মোটা টাকা বিনিয়োগ করেই যে এই ঝাঁ চকচকে রিসর্টটি তৈরি হয়েছে সে ব্যাপারে কোনও সংশয় নেই গোয়েন্দাদের। সংশয় রয়েছে ওই রিসর্টের মালিকানা নিয়ে। কাগজে কলমে ওই রিসর্টটির মালিক শান্তনুর ছায়াসঙ্গী সুপ্রতিম ঘোষ ওরফে আকাশ। বলাগড়ের জিরাট কলেজের কর্মী তিনি। তবে কাগজে তাঁর নাম থাকলেও আদপে রিসর্টটি শান্তনুর এমনই দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। আকাশ এলাকায় শান্তনুর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। ইডির সন্দেহ, রিসর্ট নিয়ে আকাশ অনেক কিছু জানেন। এমনকী শান্তনুর সঙ্গে আকাশের নিয়মিত আর্থিক লেনদেনও হত বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: নিয়োগ খারিজ করার হুঁশিয়ারি! এসএসসির চেয়ারম্যানকে আদালতে তলব বিচারপতির

    Calcutta High Court: নিয়োগ খারিজ করার হুঁশিয়ারি! এসএসসির চেয়ারম্যানকে আদালতে তলব বিচারপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে এসএসসির চেয়ারম্যানকে সশরীরে হাজিরার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা (Calcutta High Court)। আগামী শুক্রবার রিপোর্ট নিয়ে হাজির থাকার নির্দেশ দিলেন তিনি। এদিন ২০১১ সালের প্রাথমিক টেটে প্রশ্ন ভুলের অভিযোগ ঘিরে একটি মামলায় কমিশনকে তীব্র ভর্ৎসনা করলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। তিনি কমিশনের উদ্দেশ্যে বলেন, “আদালতের সঙ্গে খেলবেন না। আপনারা নিয়োগ করছেন,আবার আপনারাই ভুল প্রশ্ন করছেন? সব পরিকল্পিত। বলতে দ্বিধা নেই, একটা গোটা প্রজন্মের ভবিষ্যত নিয়ে খেলছে কমিশন।”

    কোন মামলায় এমন মন্তব্য বিচারপতির?

    ২০১১ সালের আপার প্রাইমারি প্রার্থীদের পরীক্ষায় ভুল ও সিলেবাসের বাইরের প্রশ্ন করেছিল এসএসসি (SSC)। এমনটাই অভিযোগ তুলে মামলা করেছিলেন ৮৩ জন। মামলাকারীদের হয়ে আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী শামিম আহমেদ। গত বছর জুন মাসে মামলাকারীদের নম্বর দিতে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট (Calcutta High Court। কিন্তু কোর্টের নির্দেশ অমান্য করে সেই নম্বর না দেওয়ায় এসএসসি-কে চরম ভর্ৎসনা করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা।

    আরও পড়ুন: মিড ডে মিলের হিসেব খতিয়ে দেখতে রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় অডিট দল, ট্যুইট শুভেন্দুর

    আর কী বললেন বিচারপতি?

    এদিন তিনি (Calcutta High Court হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “আপনাদের প্রতিটি পদক্ষেপ সন্দেহজনক। আপনাদের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। প্রয়োজনে সব নিয়োগ খারিজ করে দেব। আমি সব নিয়োগে সন্দেহ করছি। আমাকে বাধ্য করবেন না আরও কড়া পদক্ষেপ করতে। আপনারা ভেবেছেন কী? আপনারা কোর্টের নির্দেশের উপরে খবরদারি করছেন! আগেও এই মামলায় আমি বলেছিলাম, দুর্নীতি হয়েছে। কিন্তু আজও দেখছি সেই একই পথে হাঁটছে এসএসসি।”

    ভর্ৎসনার শেষে এদিন আদালত (Calcutta High Court স্পষ্ট নির্দেশ দিয়ে জানায়, এই মামলায় এসএসসি-র চেয়ারম্যান যে হলফনামা দিয়েছেন, তা গ্রহণযোগ্য নয়। এরপরেই  আগামী শুক্রবার, ২৪ মার্চ রিপোর্ট নিয়ে কমিশনের চেয়ারম্যানকে সশরীরে হাজির থাকার নির্দেশ দেন বিচারপতি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

     

  • SSC Scam: বনির পর কুন্তলের থেকে নেওয়া টাকা ফেরালেন সোমাও ! ইডির নজরে আর কোন টলি-তারকা?

    SSC Scam: বনির পর কুন্তলের থেকে নেওয়া টাকা ফেরালেন সোমাও ! ইডির নজরে আর কোন টলি-তারকা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কুন্তল ঘোষের থেকে নেওয়া নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Scam) টাকা ফেরত দিলেন টলি অভিনেতা বনি সেনগুপ্ত। শুধু বনি নন, বনির পর সোমা চক্রবর্তীও ইডির কাছে ৫৫ লক্ষ টাকা ফেরত দিলেন। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-র হাতে মোট ৪০ লক্ষ টাকা তুলে দিয়েছেন বনি। সূত্রের খবর, এদিনই ৫৫ লক্ষ ৬৩ হাজার টাকা ফিরিয়েছেন নেল পার্লারের মালিক কুন্তল ঘনিষ্ঠ সোমাও। ইডি সূত্রে খবর,  ওই অর্থ সংস্থার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমাও করা হয়েছে। 

    টাকা ফেরত দিলেন সোমা

    কুন্তল ঘোষের থেকে নেওয়া টাকা ফেরালেন তাঁর ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত সোমা চক্রবর্তী। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) সূত্রে জানা গিয়েছে, ৫৫ লক্ষ ৬৩ হাজার টাকা ফিরিয়েছেন তিনি। ওই টাকা কুন্তলের থেকে ঋণ হিসাবে নিয়েছিলেন তিনি। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃণমূলের প্রাক্তন যুবনেতা কুন্তলের অ্যাকাউন্ট থেকে যে টাকা লেনদেন হয়েছিল, তার মধ্যে এক কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। বনি সেনগুপ্ত ইতিমধ্যেই ৪০ লক্ষ টাকা ফেরত দিয়েছেন। এ বার টাকা ফেরত দিলেন সোমাও। 

    কুন্তলের টাকা ফেরত দিলেন বনি

    বনি ইডিকে আগেই জানিয়েছিলেন, কুন্তলের দেওয়া ৪০ লক্ষ টাকায় তিনি গাড়ি কিনেছিলেন। ইডি সূত্রের খবর, বনি দাবি করেছিলেন, ২০১৭ সালে কুন্তলের দেওয়া নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Scam) সেই টাকা তিনি সরাসরি নেননি। পরিবর্তে সেই টাকা পাঠানো হয়েছিল গাড়ির শো-রুমে। এ-ও দাবি করেন, তিনি গাড়ি কেনার জন্য টাকা নিলেও পরে কুন্তল আয়োজিত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে এবং তার জন্য কোনও পারিশ্রমিক না নিয়ে তিনি ওই টাকা ধৃত যুবনেতাকে শোধ করে দিয়েছিলেন।

    কুন্তলের টলিউড যোগ

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, টলিউডের (Tollywood) সঙ্গে নিবিড় যোগ ছিল কুন্তলের। বনি নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Scam) টাকা ফেরত দিলেও তিনি একা নন, টলিউডের আরও বেশ ক’জন অভিনেতা-অভিনেত্রীর সঙ্গে আর্থিক লেনদেন হয়েছিল কুন্তলের। ইডি সূত্রে খবর, ছবি বানাতে গোটা একটা প্রোডাকশন হাউসও খুলে ফেলেছিলেন কুন্তল ঘোষ। সেই সূত্র ধরেই তদন্তকারীদের নজরে এবার কুন্তলের প্রোডাকশন হাউস। ইডির দাবি দুর্নীতির (SSC Scam)কালো টাকাই এই প্রোডাকশন হাউসে বিনিয়োগ করা হয়েছিল। ধৃত কুন্তলের প্রোডাকশন হাউসে কাজ করা অভিনেতাদের পারিশ্রমিক সম্পর্কে তথ্য চায় ইডি। কুন্তল ঘোষের প্রোডাকশন হাউসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে দেখা গিয়েছে বনি সেনগুপ্তর মা পিয়া সেনগুপ্ত, প্রিয়াঙ্কা সরকার, সৌরভ দাস, এনা সাহার মতো তারকাদের। নিয়োগ দুর্নীতির টাকা খাটিয়েই এই শর্ট ফিল্ম, মিউজিক ভিডিও বানানো হত কিনা তা জানতে এবার তারকাদের তলব করতে চলেছে ইডি। 

    আরও পড়ুন: দুর্নীতির তদন্ত করতে ফের রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় দল, কোথায় যাবে জানেন?

    ইডির নজরে কারা? 

    উল্লেখ্য, সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বনির মা পিয়া সেনগুপ্ত স্বীকার করে নিয়েছেন যে অগ্রিম নেওয়ার সময়ে ছেলের সঙ্গে কোনও লিখিত চুক্তি হয়নি কুন্তলের। আরও যে অভিনেতা-অভিনেত্রী কুন্তলের থেকে নানা ইভেন্টের জন্য টাকা নিয়েছিলেন, তাঁদের ক্ষেত্রে লিখিত চুক্তি হয়েছিল কি না, সেটা খতিয়ে দেখছে ইডি। যাঁরা কোনও চুক্তি ছাড়াই কুন্তলের থেকে নগদ বা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা নিয়েছেন কিংবা দামি উপহার ‘পারিশ্রমিক’ পেয়েছেন, তাঁদের তালিকা তৈরি করছেন তদন্তকারীরা। এঁদের বয়ান ধাপে ধাপে রেকর্ড করবে ইডি। কুন্তল কেন লিখিত চুক্তি ছাড়া টাকা দিলেন, কেনই বা ওই অভিনেতা-অভিনেত্রীরা চুক্তি ছাড়া টাকা নিলেন, মৌখিক কথাবার্তায় এই লেনদেনের পিছনে নির্দিষ্ট কোনও পরিকল্পনা ছিল কি না, সে সব জানতে চাইছে ইডি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় ফের একবার আদালতের প্রশ্নের মুখে সিবিআই

    SSC Scam: নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় ফের একবার আদালতের প্রশ্নের মুখে সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ কেলেঙ্কারি (SSC Scam) মামলায় ফের একবার প্রশ্নের মুখে সিবিআই (CBI)। তদন্তের গতি নিয়ে প্রশ্ন আলিপুর বিশেষ আদালতের (Court)। বৃহস্পতিবার আদালতের ধমক খেলেন সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসার প্রদীপ ত্রিপাঠী। সিবিআই আদৌ তদন্ত করতে জানে কি না, সে প্রশ্ন তোলে আদালত। সিবিআইয়ের আবেদনকে দেওয়া হল বেআইনি আখ্যাও। আবদুল খালেক নামে এক অবসরপ্রাপ্ত ক্লার্ক গ্রেফতার হওয়ার পর নতুন করে অভিযোগ ওঠে শান্তিপ্রসাদ সিনহার বিরুদ্ধে। তারপরেও ওই মামলায় শান্তিপ্রসাদকে হেফাজতে নেওয়া হয়নি, উল্টে শান্তিপ্রসাদের হাতের লেখার নমুনা সংগ্রহের আর্জি জানানো হয় আদালতে। তাতেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন সিবিআই আদালতের বিচারক অর্পণ মুখোপাধ্যায়।

    বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হলে আপনাদের নথি টিকবে তো?…

    তিনি বলেন, আপনারা কি তদন্ত করতে জানেন না? যে আবেদন করেছেন, তা পুরোপুরি বেআইনি। আপনারা যা করছেন, তা উপযুক্ত কর্তৃপক্ষকে জানাতে বাধ্য হব। না জানালে আমি বিপদে পড়ব। বিচারকের প্রশ্ন, বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হলে আপনাদের নথি টিকবে তো? আদালত সূত্রে খবর, এদিন শুনানি চলাকালীন তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়েন প্রদীপ। যাঁর নামে চার্জশিট জমা পড়ে গিয়েছে, তাঁকে কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না, কেন কেস স্টাডিতে তাঁর নামের উল্লেখ নেই, তা জানতে চান বিচারক। নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে (SSC Scam) বৃহস্পতিবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুবীরেশ ভট্টাচার্য, শান্তিপ্রসাদ সিনহা, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় সহ ১৩জনকে আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতে তোলা হয়। ধৃত সুব্রত সামন্ত রায়ের আইনজীবী বলেন, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি তাঁর মক্কেলকে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু ৩ মার্চ সিবিআই চার্জশিটে যে ১৫ জনের নাম রাখা হয়, তাতে সুব্রতর নাম ছিল না। এতেই বিরক্ত হন বিচারক।

    আরও পড়ুুন: নোবেল শান্তি পুরস্কার পাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি? কমিটির সদস্যের মন্তব্যে জল্পনা!

    এর আগেও খালেকের মামলায় আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়েছিল সিবিআই। তাদের অভিযোগ ছিল, অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা তুলে খালেক দিয়েছেন শান্তিপ্রসাদকে। দুজনের যোগাযোগও ছিল। তার পরেও কেন শান্তিপ্রসাদকে হেফাজতে নেয়নি সিবিআই, সেই প্রশ্ন তুলেছিলেন বিচারক। তিনি বলেছিলেন, এসপি সিনহাকে টাকা দেওয়ার কথা (SSC Scam) বলছেন, কিন্তু তাঁকেই তো এই মামলায় আপনারা হেফাজতে নেননি। বিচারক বলেছিলেন, পনির বাটার মসালা বানাবেন ভাবছেন, পনিরই তো নেই আপনার কাছে…! এবার ফের খালেক মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে উষ্মা প্রকাশ করল আদালত।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Sukanta Majumdar: ‘‘আসল চোর কালীঘাটে বসে হাসছে’’! নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বিস্ফোরক সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: ‘‘আসল চোর কালীঘাটে বসে হাসছে’’! নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বিস্ফোরক সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এক হাত নিলেন  রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, “যাঁরা বেআইনিভাবে টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছিল তাঁদের চাকরি যাওয়ার ফলে মুখ্যমন্ত্রীর কষ্ট হচ্ছে। আর যাঁরা দীর্ঘদিন অন্যায়ভাবে বঞ্চিত হয়েছেন, চাকরি না পেয়ে পথে নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন, যোগ্য হয়েও পুলিশের লাঠি খেয়েছেন, তাঁদের জন্য মুখ্যমন্ত্রী ব্যথিত নন।”

    সুকান্তর সওয়াল

    আদালতে ইডি-র দাবি, নিয়োগ দুর্নীতির পরিমাণ ৩৫০ কোটি! এই প্রসঙ্গে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, ‘এটা গুনতে থাকুন শেয়ার মার্কেটের মতো বাড়বে। যত তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা ধরা পড়বে এটা হাজার কোটির উপরে যাবে। তাপস বলেছে কুন্তল দোষী, কুন্তল বলছে শান্তনু দোষী, একে অপরের ঘাড়ে দোষ চাপানোর চেষ্টা চলছে। আসল চোর কালীঘাটে বসে হাসছে।’

    প্রসঙ্গত, ঋষি অরবিন্দের জন্ম সার্ধ শতবর্ষে আলিপুর বার অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে আলিপুর আদালত চত্বরে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে বক্তৃতা করার সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, আদালতে কিছু মামলায় তিনি নিজেই সওয়াল করবেন বলে ভাবছেন। রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) এই প্রসঙ্গে বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী আদালতে সওয়াল করতে চাইলে তা স্বাগত। কিন্তু চাইব তিনি চাকরি না-পাওয়া যোগ্য প্রার্থীদের হয়ে কোর্টে সওয়াল করুন।”

    আরও পড়ুন: অযোগ্যদের চাকরির পক্ষে সওয়াল, মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ

    এদিন, নিয়োগ দুর্নীতি মামলার রায় নিয়ে মমতা বলেন, ‘‘এখন রোজ কথায় কথায় ৩ হাজার চাকরি বাদ। ৪ হাজার চাকরি বাদ! কেউ যদি নিচুতলায় অন্যায় করেও থাকে, সংশোধনের সুযোগ পাওয়া উচিত।’’ তিনি বলেন, “আমি জীবনে জেনে শুনে কোনও অন্যায় করিনি। আমি ক্ষমতায় আসার পর একটাও সিপিএম ক্যাডারের চাকরি খাইনি। তা হলে তোমরা কেন খাচ্ছ? দেওয়ার ক্ষমতা নেই। কাড়বার ক্ষমতা আছে!’’ মমতা আরও বলেন, “হঠাৎ করে চাকরি চলে গেলে সে খাবে কী! আমি বলছি, যাঁরা অন্যায় করেছে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করুন, কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু, ছেলে মেয়েগুলোর যাতে কোনও সমস্যা না হয়। তাঁদের চাকরি আইন অনুযায়ী ফিরিয়ে দিন।” কিন্তু বেআইনিভাবে চাকরি প্রাপক, অযোগ্য ব্যক্তিদের হয়ে মুখ্যমন্ত্রীর এই সওয়াল আলোড়ন ফেলেছে রাজ্য-রাজনীতিতে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Partha-Arpita: জামিনের আবেদন করলেন না পার্থ-অর্পিতা, জেল হেফাজতের মেয়াদ বাড়াল আদালত

    Partha-Arpita: জামিনের আবেদন করলেন না পার্থ-অর্পিতা, জেল হেফাজতের মেয়াদ বাড়াল আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জেলে রয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায় (Partha-Arpita)। গতকাল জেল হেফাজতের মেয়াদ শেষে ব্যাঙ্কশাল কোর্টের বিশেষ সিবিআই আদালতে পেশ করা হয় তাঁদের। সেখানে ভার্চুয়াল শুনানিতে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আদালতে হাজির হন পার্থ এবং অর্পিতা। শুনানি শেষে আগামী ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত দু’জনকেই জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত। তবে এই শুনানির সময় পার্থ-অর্পিতাকে জামিনের আবেদন করতে দেখা যায়নি। তার বদলে পার্থ ও অর্পিতার মধ্যে ‘প্রেমালাপ’ করতে দেখা যায়। আর এই নিয়েই শুরু হয়েছে জোর চর্চা।

    ভার্চুয়াল শুনানিতে কী বললেন অর্পিতা?

    প্রায় ৮ মাস হল নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়ে আলিপুর মহিলা সংশোধনাগারে রয়েছেন অভিনেত্রী-মডেল অর্পিতা মুখোপাধ্যায় (Partha-Arpita)। সেখানে বিচারকের উদ্দেশে অর্পিতা জানান, তিনি নির্দোষ। বিনা অপরাধে তাঁকে ৮ মাস ধরে জেলে আটকে রাখা হয়েছে। এতে তাঁর সামাজিক মর্যাদাহানি হচ্ছে। বিচারকের উদ্দেশে অর্পিতাকে বলতে শোনা যায়, “আপনার কি মনে হয় না, একজন মহিলাকে আটকে রেখে তাঁর সামাজিক স্টেটাস (মর্যাদা) নষ্ট হচ্ছে?” অভিনেত্রী আরও বলেন, “আমি অত্যন্ত উচ্চ বংশের মেয়ে। আমার মা অসুস্থ। তাঁর পাশে থাকতে হবে।”

    আরও পড়ুন:গ্রেফতার কেষ্টর হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি, এবার কি সুকন্যার পালা?

    জামিনের আবেদন করলেন না পার্থ

    নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে পার্থ রয়েছেন প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে। গতকাল তাঁকে আদালতে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পেশ করা হলে তিনি জামিনের আবেদন করেননি (Partha-Arpita)। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী বিপ্লব গোস্বামী জানান, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। গ্রেফতারির পর ভুবনেশ্বর এইমসে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তারই পরিপ্রেক্ষিতে এদিন পার্থর আইনজীবী আবেদন করেন যাতে চিফ মেডিকেল অফিসার প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়ে মেডিকেল চেক-আপ করে। ৭-৮ দিনের মধ্যে সেই মেডিক্যাল রিপোর্ট করার আবেদন জানান তিনি৷ কিন্তু ইডি’র আইনজীবী এর বিরোধিতা করে বলেন, যে এইমসের কথা বলা হচ্ছে সেখানে পার্থকে সুস্থ বলা হয়েছিল। তারপরই হেফাজতে নেওয়া হয়েছিল তাঁকে। এদিকে পার্থ-অর্পিতার তরফে জামিনের আবেদন না করায় তাদের আগামী ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত জেল হেফাজতের মেয়াদ বাড়িয়েছে আদালত।

    অন্যদিকে, মঙ্গলবার ব্যাঙ্কশাল কোর্টে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানির আরও একটি ঘটনা চর্চায় উঠে এসেছে। তা হল পার্থ এবং অর্পিতার একে অন্যের উদ্দেশে করা অঙ্গভঙ্গি। এক সময় আদালতের স্ক্রিনে দেখা যায় পার্থ ও অর্পিতাকে। সেই সময় ‘চোখে চোখে কথা’ বলেন পার্থ-অর্পিতা, সূত্রের খবর (Partha-Arpita)।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতির জের! হাইকোর্টের নির্দেশে ৩৪৭৮ জনের তালিকা প্রকাশ করল এসএসসি

    SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতির জের! হাইকোর্টের নির্দেশে ৩৪৭৮ জনের তালিকা প্রকাশ করল এসএসসি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Scam) জের এসএসসি-র গ্রুপ সি (Group C) পরীক্ষাতেও। গ্রুপ সি-তেও ওএমআর শিটের নম্বরে কারচুপি ধরা পড়েছে। প্রাপ্ত নম্বর শূন্য, বাড়িয়ে করা হয়েছে ৫৭! প্রাপ্ত নম্বর ১, বাড়িয়ে করা হয়েছে ৫৪! হাইকোর্টের নির্দেশ ৩৪৭৮ জনের তালিকা প্রকাশ করেছে এসএসসি।  ৩৪৭৮ জনের মধ্য়ে ৩৬২ জনের নম্বরে কোনও রদবদল হয়নি। বাকী ৩১১৬ জনের মধ্যে ৮৬ জনের নম্বর কমে গিয়েছে এসএসসির মূল সার্ভারে। এদের নম্বর গাজিয়াবাদের ওএমআর মূল্যায়নকারী সংস্থা এনওয়াইএসএ-র সার্ভারে বেশি বা কম ছিল। 

    তালিকায় স্পষ্ট নম্বরে কারচুপি

    এসএসসি-র প্রকাশিত তালিকায় স্পষ্ট নম্বরে কারচুপি করে নিয়োগ-দুর্নীতির (SSC Scam) ছবি। প্রার্থীদের নাম ও রোল নম্বর দেওয়া আছে সেই তালিকায়। পাশে পরপর কলামে লেখা – প্রকাশ হওয়া নম্বর ও আসল নম্বর। তার পাশের কলামে দেখানো হয়েছে, ঠিক কত নম্বরের তফাৎ রয়েছে। 

    এ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, “এটা সংগঠিত, পরিকল্পিত দুর্নীতি (SSC Scam)। এসএসসির মান সম্মান এখন আর কিছু নেই। যে উদ্দেশে এসএসসি তৈরি হয়েছিল, সেটিকেই বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অজান্তে এই দুর্নীতি হয়নি। উনি জানতেন না এটা হতে পারে না। আর যদি না জানেন তাহলে অযোগ্য হিসেবে তাঁর পদ ছেড়ে দেওয়া উচিত’। এদিকে, গ্রুপ সি-র শূন্য পদে নিয়োগের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে এসএসি। খুব শীঘ্রই হবে কাউন্সেলিং। এই মর্মে বিবৃতি প্রকাশ করল কমিশন। প্রথম দফায় হবে ৭৮৫ পদে নিয়োগ। ওয়েটিং লিস্ট থেকেই হবে নিয়োগ। কিন্তু ওইসব প্রার্থীদের ওএমআর শিট পরীক্ষা করে দেখা হবে। কোনও অসংগতি থাকলে তাদের কাউন্সেলিংয়ে ডাকা হবে না। 

    আরও পড়ুন: হাইকোর্টে ফের ধাক্কা! উপাচার্য পুনর্নিয়োগের অধিকার নেই রাজ্যের

    এদিকে, সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ গ্রুপ সি-র চাকরিচ্যুতরা। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ৮৪২ জন চাকরিচ্যুত। মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছে বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ। চলতি সপ্তাহে শুনানির সম্ভাবনা।    

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share