Tag: ssc scam

ssc scam

  • Recruitment Scam: অয়নের আরও ৮টি ফ্ল্যাটের খোঁজ! অন্তত ৬০টি পুরসভার নিয়োগে দুর্নীতির প্রমাণ স্পষ্ট

    Recruitment Scam: অয়নের আরও ৮টি ফ্ল্যাটের খোঁজ! অন্তত ৬০টি পুরসভার নিয়োগে দুর্নীতির প্রমাণ স্পষ্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রোমোটার ও প্রযোজক অয়ন শীলের গ্রেফতারির পর থেকেই বঙ্গের নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলার একের পর এক পর্দা উঠেছে। জানা গিয়েছে, শুধুমাত্র শিক্ষাক্ষেত্রেই নয় পুরসভার নিয়োগেও দুর্নীতি হয়েছে। নেতা থেকে মন্ত্রী নাম জড়িয়েছে বহু হেভিওয়েটের। ইডি সূত্রে খবর, সম্প্রতি অয়নের আরও বেশ কয়েকটি ফ্ল্যাটের সন্ধান মিলেছে। আপাতত যত দূর জানা গিয়েছে, অয়ন শীলের মোট ষোলোটি ফ্ল্যাট রয়েছে। পাশাপাশি গত সপ্তাহেই আরও আটটি ফ্ল্যাটের সন্ধান মিলেছে বলে দাবি তদন্তকারীরাদের।

    অয়নের আরও ৮টি ফ্ল্যাটের খোঁজ

    ইডি সূত্রে খবর, হুগলিতে অয়নের আরও ৮টি ফ্ল্যাটের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। এগুলি প্রায় সবই অয়নের বিভিন্ন আত্মীয়ের নামে কেনা। জানা গিয়েছে, শ্বেতা চক্রবর্তীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ও নিজের সংস্থার কর্মীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে টাকা পাচার করতেন অয়ন।  চাকরি দেওয়ার নাম করে অয়ন শীল বাজার থেকে প্রায় ২০০ কোটি টাকা তুলেছেন বলে দাবি ইডির। অয়নের বিধাননগরের অফিসে তল্লাশি চালিয়ে যে নথি উদ্ধার হয়েছে তাতে অন্তত ৬০টি পুরসভার নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে বলে স্পষ্ট। এর মধ্যে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার দমদম ও বারকপুর শিল্পাঞ্চলের প্রায় সমস্ত পুরসভা। অত্যন্ত প্রভাবশালীদের মদতে এই দুর্নীতি হয়েছে বলে জানিয়েছে ইডি।

    আরও পড়ুন: নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে এবার তাপসকে তলব সিবিআইয়ের, হাজিরা বুধেই

    পুরসভা নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) ইতিমধ্যে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশে সোমবারই এফআইআর দায়ের করেছে সিবিআই। সেকথা আদালতকে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। অয়ন শীলের ছেলে অভিষেকের বান্ধবী ইমনকেও তলব করেছে সিবিআই। শ্রীরামপুরে থাকেন ইমন। তাঁর নামেও একাধিক সম্পত্তি রয়েছে বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। অয়নের সংস্থার একাধিক কর্মীকেও সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করে জেরা করা হচ্ছে। তাঁদের জেরা করে একাধিক তথ্য হাতে পেয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: সাড়ে ১৪ ঘণ্টার ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ! সকালে তাপসের বাড়ি থেকে বেরোল সিবিআই

    SSC Scam: সাড়ে ১৪ ঘণ্টার ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ! সকালে তাপসের বাড়ি থেকে বেরোল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাড়ে ১৪ ঘণ্টা ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের শেষে তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেলেন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। নিয়োগ-দুর্নীতি (Recruitment Scam) প্রসঙ্গে তাপস সাহাকে (Tapas Saha) শুক্রবার বিকেল থেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। শনিবার সকাল ৬টা নাগাদ তাঁর বাড়ি থেকে বেরোন কেন্দ্রীয় এজেন্সির আধিকারিকরা। কিন্তু তেহট্ট ছাড়েনি সিবিআই। বরং এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, এরপর ফের তাপসের বাড়িতে যেতে পারে সিবিআই-এর দল।

    রাতভর তল্লাশি

    শুক্রবার বিকেল ৩টে ৩৫ মিনিটে নদিয়ার তেহট্টে তাপসের বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। বাড়ি লাগোয়া দলীয় কার্যালয়ে প্রথমে ঢোকেন তদন্তকারীরা। তারপর যাওয়া হয় তাপসের বাড়িতে। রাতে তাপসকে সঙ্গে নিয়ে বেতাইয়ের ডক্টর বি.আর.আম্বেদকর কলেজে তল্লাশি চালাতে যায় সিবিআই। কলেজের কোষাধক্ষ্য সহ মোট চার জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তারপর ফের তাপসের বাড়িতে আসে সিবিআই। রাতভর চলে জিজ্ঞাসাবাদ। তাপস সাহার বাড়ির পাশে পুকুর পাড়েও তল্লাশি চালায় সিবিআই। শুক্রবার যেখানে কিছু নথি পোড়ানোর অভিযোগ ওঠে সেই ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। পোড়া নথির বেশ কিছু নমুনা সংগ্রহ করে সিবিআই। তাপসের বিধানসভা এলাকার দুই ঘনিষ্ঠ মিঠু শাহ এবং মলয় বিশ্বাসকে নিয়েও বিধায়ককে একাধিক প্রশ্ন করা হয়। সিবিআইয়ের ১২ জন অফিসারের প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয় তাঁকে।

    আরও পড়ুুন: ‘জীবনকৃষ্ণের মোবাইলের তথ্য উদ্ধার হলে তৃণমূল উঠে যাবে’! কেন বললেন সুকান্ত?

    কী মিলল

    রাজ্যে শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ৬৮টি নথি উদ্ধার করেছে সিবিআই। তবে সেগুলি মিলিয়ে দেখা হচ্ছে। আগের নথি নাকি নতুন তা খতিয়ে দেখছেন অফিসাররা।তাপসের দুটি ফোনও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। শুক্রবার তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার ‘ঘনিষ্ঠ’ প্রবীর কয়ালের বাড়িতেও অভিযান চালায় সিবিআই। প্রবীরের বাড়ি ছাড়াও তাঁর দু’জন পরিচিতের বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়েছে। রাত সাড়ে দশটা নাগাদ সিবিআই আধিকারিকেরা তল্লাশি শেষে ঘটনাস্থল থেকে বেরিয়ে যান। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বেশ কিছু নথি এবং মোবাইল ফোন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: ‘শিরদাঁড়া ভেঙে দিয়েছে রাজ্য’! হামাগুড়ি দিয়েই রাজভবন অভিযান এসএসসি চাকরিপ্রার্থীদের

    SSC Scam: ‘শিরদাঁড়া ভেঙে দিয়েছে রাজ্য’! হামাগুড়ি দিয়েই রাজভবন অভিযান এসএসসি চাকরিপ্রার্থীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য সরকারের বঞ্চনায় ভেঙে গেছে শিরদাঁড়া, দাবি শুধু স্বসম্মানে বাঁচার। হকের চাকরির দাবিতে শুক্রবার দুপুরে হামাগুড়ি দিয়েই রাজভবনের পথে এসএসসি (SSC) চাকরিপ্রার্থীরা। নিয়োগের দাবিতে দীর্ঘদিন আন্দোলন করছেন চাকরিপ্রার্থীরা। নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির (SSC Scam) অভিযোগে কার্যত জেরবার রাজ্য সরকার। গান্ধীমূর্তির পাদদেশে ৭৬৮দিন ধরে চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন করছেন। মামলার পর মামলা হয়েছে, তারপরও সুরাহা হয়নি তাঁদের। সরকারের আশ্বাস হাওয়ায় মিলিয়ে গিয়েছে। এবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের দ্বারস্থ হলেন বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীরা।

    রাজভবন অভিযান

    এই প্রবল তাপপ্রবাহে তপ্ত পিচের মধ্যেই হাত, পা ঘষে এদিন রাজভবনের দিকে এগোতে থাকেন চাকরিপ্রার্থীরা। হামাগুড়ি দিয়ে কিছুটা এগোনোর পরই পুলিশ গাড়িতে তুলে নেয় চাকরি প্রার্থীদের। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই তল্লাটে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। এভাবে হামাগুড়ি দিয়ে বা হেঁটে মিছিল করে যাওয়া যাবে না। আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, সরকার কোনওভাবেই তাঁদের নিয়োগ দিচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যপাল রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান হিসাবে হস্তক্ষেপ করুন। ৯-১০ বছর ধরে রাস্তায় বসে রয়েছেন তাঁরা, অথচ টাকা দিয়ে চাকরি করছেন অযোগ্যরা (SSC Scam)? এই প্রশ্ন তুলেই রাজভবনের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা। 

    আরও পড়ুন: পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতিতেও এবার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    চাকরিপ্রার্থীদের দাবি

    আন্দোলনকারীদের ১১টি সংগঠন একসঙ্গে এদিন রাজভবন যায়। প্রশাসন পথ আটকালে বাধ্য হয়ে পুলিশের গাড়িতে করে বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের ১১ জনের এক প্রতিনিধিদল রাজভবনে যায়। এদিন রাজ্যপাল না থাকায় তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়নি বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের। রাজ্যপালের সচিবের সঙ্গে কথা বলে তাঁকে স্মারকলিপি দিয়ে বেরিয়ে আসেন তাঁরা। পরে চাকরিপ্রার্থীরা জানান, বহুদিন ধরে তাঁরা মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির পাদদেশে অবস্থান বিক্ষোভ করে যাচ্ছেন। মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করার জন্য বহুবার চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত তাঁরা কোনও অ্যাপয়েন্টমেন্ট পাননি।  তাঁদের প্রশ্ন, আর কতদিন জলে ভিজে, রোদে পুড়ে তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন? এরপর যদি কোনও আন্দোলনকারী জীবন বিসর্জন দেন, তার দায় কি মুখ্যমন্ত্রী কিংবা রাজ্যপাল নেবেন। চাকরিপ্রার্থীরা দ্রুত সমস্যার সমাধান চেয়ে রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ দাবি করেন। যত শীঘ্র সম্ভব তাঁরা নিজেদের প্রাপ্য নিয়োগপত্র হাতে পেতে চান।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ED: পার্থ-অর্পিতার জেল হেফাজতের মেয়াদ বাড়ল! পরবর্তী শুনানি কবে?

    ED: পার্থ-অর্পিতার জেল হেফাজতের মেয়াদ বাড়ল! পরবর্তী শুনানি কবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেল হেফাজতের মেয়াদ বাড়ল প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর বান্ধবী অর্পিতার। ১৯ জুন পরবর্তী শুনানি বলে জানিয়েছে ব্যাঙ্কশাল কোর্ট। প্রসঙ্গত গত বছরের জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহে গ্রেফতার করা হয়েছিল প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। বান্ধবী অর্পিতার দুটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় প্রায় ৫০ কোটি টাকা। চাকরি প্রার্থীদের নথিও পাওয়া যায়। অন্যদিকে ৩ মে পর্যন্ত জেল হেফাজতের মেয়াদ বাড়ল নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের। জেলবন্দি আসামি আংটি পড়তে পারেন না। কিন্তু প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী কতটা প্রভাবশালী ভাবুন! এখনও হাতে রয়েছে আংটি। ইডির (ED) আইনজীবির এই সওয়ালের ভিত্তিতে প্রেসিডেন্সির জেলসুপারকে চলতি মাসের ২৬ তারিখে সশরীরে হাজিরার নির্দেশ দিল আদালত।

    আরও পড়ুন: আজও চলবে তাপপ্রবাহ! বৃষ্টি শুরু হচ্ছে কবে?

    আংটি তত্ত্ব…..

    বুধবার পার্থর একটি মামলায় ব্যাঙ্কশাল কোর্টে ভার্চুয়াল শুনানি ছিল। শুনানি চলাকালীন ইডির (ED) আইনজীবী পার্থর আঙুলের দিকে বিচারকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। দেখা যায় পার্থর আঙুলে বেশ কিছু আংটি। বিচারক পার্থর উদ্দেশে প্রশ্ন করেন, “আপনি তো জেলবন্দি। আপনার হাতে এতগুলো আংটি কেন? আপনি জানেন না যে, জেলবন্দিদের হাতে আংটি রাখা যায় না?” জবাবে তৃণমূলের প্রাক্তন মহাসচিব বলেন, ‘এগুলো সোনার আংটি নয়। আমি স্বাস্থ্যের কারণে দীর্ঘদিন ধরেই এগুলো ধারণ করি।

    ইডি-র (ED) আইনজীবীর উদ্দেশে বিচারক এ নিয়ে প্রশ্ন করেন। জবাবে আইনজীবী বলেন, পার্থকে যখন নাকতলার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করানো হয়েছিল তখন এগুলো খোলা হয়নি। কারণ জেলার ও ডেপুটি জেলারের দায়িত্ব এগুলো দেখার। আঙুলে থাকা আংটিগুলিকে অস্ত্র করে আদালতের সামনে পার্থর প্রভাবশালী হওয়ার তত্ত্ব ফের তুলে ধরেন ইডির (ED) আইনজীবী।

    আরও পড়ুন: মিশনারিদের বিরুদ্ধে ধর্মান্তকরণের অভিযোগ! পৃথিবীর মধ্যে দ্রুত খ্রিস্টান জনসংখ্যা বাড়ছে নেপালে

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআই-এর নজরে আরও ১২ তৃণমূল বিধায়ক! ট্যুইট করে তালিকা পেশ শুভেন্দুর

    SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআই-এর নজরে আরও ১২ তৃণমূল বিধায়ক! ট্যুইট করে তালিকা পেশ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বড়ঞার তৃণমূল (TMC) বিধায়ক (MLA) জীবনকৃষ্ণ সাহা (Jiban Krishna Saha) একা নন তাঁকে জেরা করে রাজ্যের আরও ১২জন তৃণমূল বিধায়কের নাম উঠে এসেছে যারা এই নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Scam) জড়িত। সিবিআই সূত্রে খবর, খুব শীঘ্রই তাঁদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ প্রসঙ্গে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ট্যুইট করে একটি তালিকাও পেশ করেন।

    শুভেন্দুর পেশ করা তালিকা

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ট্যুইট করেন, ‘ঠিক যেমন, মাননীয় কলকাতা হাইকোর্টের হস্তক্ষেপে পশ্চিমবঙ্গে সরকারি চাকরির নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Scam) তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস কুমার সাহার ভূমিকা স্ক্যানারে রয়েছে, একইভাবে বেশ কয়েকজন তৃণমূল সাংসদ, মন্ত্রী ও বিধায়কদের বিরুদ্ধেও তদন্ত করা উচিত।’ এজন্য একটি তালিকাও পেশ করেন শুভেন্দু।

    শুভেন্দু আগেই  বলেছিলেন, ‘‘নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Scam) তৃণমূলের ১০০ জন বিধায়ক এজেন্টের কাজ করেছে। অসংখ্য এমএলএ এজেন্টের কাজ করেছে। নিজের পরিবারের লোককে চাকরি দিয়েছে এবং চাকরি বেচেছে। মেধা চুরি হয়েছে। যে দিকে যাচ্ছে, আমার তো মনে হয়, বিধানসভাতে আগামী ৬ থেকে ৮ মাসের মধ্যে তোলামুলের এমএলএ সংখ্যা ১০০-তে নেমে যাবে।’’ 

    সিবিআই-এর নজরে কারা

    সোমবার সকালেই নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Scam) বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। তবে, জীবনেই থেমে থাকছে না গ্রেফতারি পর্ব। রাজ্যের আরও ১২জন বিধায়ক এখন রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নজরে। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, জীবনকে জিজ্ঞাসাবাদের সময়েই বেশ কিছু চাকুরীপ্রার্থী, এজেন্ট, মিডলম্যানদের জেরাতেও এই সব বিধায়কের নাম উঠে এসেছে। মনে করা হচ্ছে এই ১২জন বিধায়ককে খুব শীঘ্রই জেরা করতে ডাকবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এমনকি এক্ষেত্রে জীবনের মতো ঘটনাও ঘটতে পারে। অর্থাৎ কাউকে কিছু বুঝতে না দিয়ে হুট করে বাড়িতে গিয়ে হানাদারি এবং তারপর জেরা, পরিশেষে গ্রেফতারি। 

    আরও পড়ুন: নিয়োগকাণ্ডে এপর্যন্ত গ্রেফতার ৩, ‘‘তৃণমূলের ১০০ বিধায়ক এজেন্টের কাজ করেছে’’! দাবি শুভেন্দুর

    জানা গিয়েছে যে ১২জন তৃণমূল বিধায়কের নাম এই ঘটনায় উঠে এসেছে তাঁদের মধ্যে কলকাতার ১জন, হাওড়ার ১জন, হুগলির ১জন, দুই ২৪ পরগনা জেলার ২ জন করে, পূর্ব বর্ধমান জেলার ২জন, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ১জন এবং পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ২জন বিধায়ক রয়েছেন। প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (SSC Scam) বড়ঞার তৃণমূল বিধায়কের আগে কেন্দ্রীয় এজেন্সির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন শাসকদলের আরও দুই বিধায়ক। গতবছরের ২৩ জুলাই, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী ও তৃণমূলের প্রাক্তন মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে টানা জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এরপর ১১ অক্টোবর, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি ও নদিয়ার পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করে ইডি। জীবনকৃষ্ণকে নিয়ে ইতিমধ্যে নিয়োগ দুর্নীতিতে তৃণমূলের তিনজন বিধায়ককে গ্রেফতার করা হল। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: নিয়োগকাণ্ডে এপর্যন্ত গ্রেফতার ৩, ‘‘তৃণমূলের ১০০ বিধায়ক এজেন্টের কাজ করেছে’’! দাবি শুভেন্দুর

    SSC Scam: নিয়োগকাণ্ডে এপর্যন্ত গ্রেফতার ৩, ‘‘তৃণমূলের ১০০ বিধায়ক এজেন্টের কাজ করেছে’’! দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Scam) ইস্যুতে রাজ্যের শাসক দলকে আবারও একহাত নিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর দাবি, তৃণমূলের ১০০ জন বিধায়ক এজেন্টের কাজ করেছেন। এই একশো জনের তালিকায় কয়েকজন প্রাক্তন বিধায়কও রয়েছেন। যাঁরা, ২০১৬ সালে টিকিট পাননি। আজ, সোমবার ভোরেই নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার করা হয়েছে তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এই নিয়ে তিন তৃণমূল বিধায়ককে গ্রেফতার করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এভাবে চলতে থাকলে আগামী ৬-৮ মাসের মধ্যে বিধানসভায় তৃণমূলের বিধায়ক সংখ্যা ১০০-য় নেমে যেতে পারে, বলে কটাক্ষ শুভেন্দুর।

    শুভেন্দুর দাবি

    রাজ্যের বিরেধী দলনেতা, শুভেন্দু বলেন, ‘আমি ওদের (তৃণমূল) সঙ্গে ২১ বছর ছিলাম। এই পার্টির সম্পর্কে অন্য অনেকের থেকে বেশি ধারণা আমার রয়েছে। তৃণমূলের অন্তত ১০০ জন বিধায়ক এজেন্টের (SSC Scam) কাজ করেছেন। তবে, সব তদন্ত কোমরের নীচে হচ্ছে, এবার কোমরের উপরে উঠতে হবে।’ শুভেন্দুর অভিযোগ, ওই জনপ্রতিনিধিরা চাকরি দেওয়ার নামে টাকা তুলেছেন। এক এক জন নেতা কেউ ১৫ লাখ, কেউ ১৬ লাখ, কেউ ১৮ লাখ টাকা করে তুলেছেন বলে দাবি বিরোধী দলনেতার। শুভেন্দুর কথায়,‘সব টাকা তাঁরা পাননি। কলকাতায় ৮-১০ লাখ টাকা করে পৌঁছে দিয়েছেন। আর বাকি কেস পিছু ৫-৬ লাখ টাকা করে নিজেরা রেখেছেন।’

    মেধা চুরি হয়েছে

    শুভেন্দু বলেন, ‘পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্য জেলে রয়েছেন। জীবন কৃষ্ণ সাহা, কানাই মণ্ডল, তাপস সাহার তদন্ত চলছে। অখিল গিরি প্রায় হাইকোর্টের দরজার কাছে ঘোরাঘুরি করছেন। উত্তর দিনাজপুরে গৌতম নামে একজন বিধায়ক, পুরুলিয়ায় সুশান্ত নামে একজন বিধায়ক… অসংখ্য বিধায়ক এজেন্টের কাজ করেছেন। নিজের পরিবারের লোককে চাকরি দিয়েছে এবং চাকরি বিক্রি করেছেন। মেধা চুরি হয়েছে।’ 

    আরও পড়ুন: ৬৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার! আজই আদালতে পেশ করা হবে তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে

    অগাধ সম্পত্তি জীবনকৃষ্ণের

    প্রসঙ্গত, এর আগে বেহালা পশ্চিমের বিধায়ক (অপসারিত) পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং পলাশীপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকে নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Scam) মামলায় গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। দু’জনেই বর্তমানে জেলবন্দি। সেই তালিকাতেই নয়া সংযোজন বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ। সম্পত্তির নিরিখে প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কেও পিছনে ফেলে দিতে পারেন বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান, অন্তত পক্ষে ৩ হাজার চাকরি প্রার্থী থেকে টাকা নিয়ে নিয়োগ দুর্নীতি করেছিলেন জীবনকৃষ্ণ। এই প্রার্থীদের থেকে ৬ থেকে ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত টাকা নিয়েছিলেন তিনি। বিধায়ক একাই ৩০০ কোটি টাকার ওপরের দুর্নীতি করে থাকতে পারেন বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতির কাঁটা! পূর্ব মেদিনীপুরে গোপাল দলপতির বাড়িতে সিবিআই হানা

    SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতির কাঁটা! পূর্ব মেদিনীপুরে গোপাল দলপতির বাড়িতে সিবিআই হানা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Scam) মামলায় তদন্তে গতি বাড়াল সিবিআই। অন্যতম অভিযুক্ত গোপাল দলপতির বাড়িতে হানা দিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা। পূর্বমেদিনীপুরের ভূপতি নগরে গোপালের বাড়িতে যখন পৌঁছয় সিবিআই দল, তখন তিনি সেখানে ছিলেন না। তাই পরিবারের অন্য সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। গোপালের গ্রামের বাড়িতে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত কিছু নথি রয়েছে কিনা, তারই হদিশ পেতে চাইছে সিবিআই।

    কে  এই গোপাল দলপতি

    গোপাল দলপতির নাম নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Scam) মামলায় আচমকাই সামনে আসে। তৃণমূলের যুব নেতা কুন্তল ঘোষ জেরার সময় গোপাল দলপতির নাম ইডিকে জানায়। শুধু তাই নয়, এই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত মানকি ভট্টাচাযের্র অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলের মুখেও শোনা গিয়েছিল গোপালের নাম। তাপসের অভিযোগ ছিল, তিনি নাকি গোপালকে কোটি কোটি টাকা দিয়েছেন। আর সেই টাকাই নাকি বিভিন্ন হাত ঘুরে পৌঁছে যেত ধৃত রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে।

    পানওয়ালা থেকে অঙ্কের মাস্টার

    কে এই গোপাল দলপতি? কেনই বা নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Scam) মামলায় তাঁর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা? পুর্ব মেদীনপুরের বাসিন্দা গোপাল প্রথম দিকে দমদম ক্যান্টনমেন্টে একটি পানের দোকানে কাজ করতেন। বাবা অসুস্থ হওয়ার পর সেই দোকানের যাবতীয় দায়িত্ব গিয়ে পড়ে তাঁর কাঁধে। ক্রেতাদের সঙ্গে কথাবার্তায় অনুপ্রাণিত হয়ে ফের তিনি পড়াশোনা শুরু করেন। দমদম মতিঝিল কলেজে অঙ্ক নিয়ে পাস করার পর টিউশনকেই জীবিকা হিসেবে বেছে নেন। তারপর ধীরে ধীরে জড়িয়ে পড়েন এই চক্রে।

    আরও পড়ুন: উদ্ধার ৩,৪০০ চাকরি প্রার্থীর নথি! তৃণমূল বিধায়কের ঘরকে ‘ওয়ার রুম’ বলছে সিবিআই

    একাধিক জায়গায় তল্লাশি

    অন্যদিকে শনিবারই নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ইডি-র পর  বীরভূমের নলহাটিতে তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি বিভাস অধিকারীর বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। তৃণমূল নেতার আশ্রমেও হানা দেয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। এর পাশাপাশি, আমহার্স্ট স্ট্রিট থানার কাছে বিভাসের কলকাতার ফ্ল্যাটে চলে সিবিআইয়ের তল্লাশি। বিভাস অধিকারী ছিলেন তৃণমূলের নলহাটি ২ নম্বর ব্লকের সভাপতি। পরে পদত্যাগ করেন। এছাড়াও, অল বেঙ্গল টিচার্স ট্রেনিং অ্যাচিভার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ছিলেন বিভাস। সিবিআইয়ের দাবি, ২০১১ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত ছিলেন মানিক ভট্টাচার্য ঘনিষ্ঠ বিভাস অধিকারী। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে মুর্শিদাবাদের বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার আন্দির বাড়িতেও সিবিআই তল্লাশি অভিযান চালায়। বাড়িতেই নজরবন্দি করা হয় বিধায়ককে। চলে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CBI Special Team: আসছেন ৭ অভিজ্ঞ অফিসার! নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে গতি আনতে বিশেষ টাস্ক ফোর্স সিবিআই-এর

    CBI Special Team: আসছেন ৭ অভিজ্ঞ অফিসার! নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে গতি আনতে বিশেষ টাস্ক ফোর্স সিবিআই-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে গতি আনতে স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (Special Task Force) গড়তে চলেছে সিবিআই (CBI)। সেই সূত্রে দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে কলকাতার সিবিআই দফতরে পাঠানো হচ্ছে সাত জন সিবিআই আধিকারিককে। এর মধ্যে এক জন এসপি, তিন জন ডিএসপি, দু’জন ইন্সপেক্টর, এক জন সাব-ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার আধিকারিক রয়েছেন। 

    কেন এই দল?

    সিবিআই সূত্রে খবর, নয়াদিল্লি, বিশাখাপত্তনম, রাঁচি, ধানবাদ, ভুবনেশ্বর এবং ভোপালের সিবিআই দফতর থেকে সাত জন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিককে (CBI Special Team) কলকাতায় পাঠানো হচ্ছে। শীঘ্রই এই সাত আধিকারিককে নিজাম প্যালেসের দুর্নীতি দমন শাখায় যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ৩০মে পর্যন্ত অর্থাৎ আগামী দু’মাসের জন্য এই সাত আধিকারিককে কলকাতার সিবিআই দফতরে থেকে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি বিভিন্ন সময় বিচারকের সামনে ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয় সিবিআইকে। তদন্ত কবে শেষ হবে? বার বার সিবিআইকে বিচারকের এই প্রশ্নর মুখে পড়তে হয়। তাই এবার তদন্তে গতি আনতে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই বিশেষ টাস্ক ফোর্স গঠন করল।

    আরও পড়ুন: বকেয়া ডিএ-র দাবিতে আজ থেকে দিল্লিতে ধর্না রাজ্য সরকারি কর্মীদের

    কারা আছেন দলে?

    সিবিআই সূত্রে খবর, নিজাম প্যালেস থেকে নয়াদিল্লিতে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছিল। সেই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছিল, নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের তদন্তে আরও অনেক সাক্ষ্যপ্রমাণ উঠে আসছে। সামনে আসছে আরও নতুন নতুন নাম। আর সেই কারণেই তদন্তের সুবিধার্থে আরও আধিকারিকদের কলকাতায় পাঠানোর আবেদন জানানো হয়েছিল নিজাম প্যালেসের তরফে। এই সাতজনের মধ্যে রয়েছেন নিউ দিল্লি ইও-৩-এর এসপি কল্যাণ ভট্টাচাৰ্য, বিশাখাপত্তনম ডিএসপি সিবিআই এসিবি-এর সঞ্জয় কুমার সামল, ভুবেনশ্বর সিবিআই সিএসপি ইও -৭-এক গিরিশ কুমার প্রধান, রাঁচি ডিএসপি ইওবি সিবিআই কৃষ্ণ কুমার সিং, ভুপাল সিবিআই-এর এসিবি ইন্সপেক্টর প্রদীপ কুমার প্যাটেল, বিশাখাপত্তনমের এসিবি সিবিআই ইন্সপেক্টর অজয় কুমার তুম্মলা, ধানবাদ এসিবি সিবিআই সাব ইন্সপেক্টর অবিনাশ কুমার। নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে (Recruitment Scam) সিবিআই ও ইডি সমান্তরাল ভাবে তদন্ত করছে। যা ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অনেকটাই। সেসবকে এক সুতোয় বাঁধতে সিবিআই -এর (CBI Special Team) এই দল, বলে অনুমান। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: নিয়োগ কেলেঙ্কারির জট খুলতে গুগলকে চিঠি সিবিআইয়ের

    SSC Scam: নিয়োগ কেলেঙ্কারির জট খুলতে গুগলকে চিঠি সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার এসএসসি (SSC Scam) মামলায় তথ্য চেয়ে গুগলকে (Google) চিঠি দিল সিবিআই (CBI)। জাল ওয়েবসাইট সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য চাওয়া হয়েছে গুগলের কাছে। জানা গিয়েছে, এই জাল ওয়েবসাইটেই অযোগ্যদের টাকার বিনিময়ে পাশ করার রেজাল্ট দেখানো হত। সেই কারণেই ওই জাল ওয়েবসাইট সম্পর্কে খোঁজখবর শুরু করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সিবিআই সূত্রে খবর, দুটি ওয়েবসাইটের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে।

    এসএসসি (SSC Scam) মামলা…

    এই দুটি ওয়েবসাইটে অযোগ্য প্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে দেখানো হত তাঁদের নাম। টাকা নেওয়ার পরে ডিলিট করে দেওয়া হত সেই তালিকা। সেই কারণেই আইপি অ্যাড্রেস সহ যাবতীয় তথ্য পেতে গুগলকে চিঠি দিয়েছে সিবিআই। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, কিছু কর্মপ্রার্থী চাকরি পেলেও, অনেকেই পাননি। যদিও টাকা দিয়েছেন তাঁরা। যার অর্থ, প্রতারিত হয়েছেন তাঁরাও। কারা প্রতারিত হয়েছেন, কোন অযোগ্য প্রার্থী চাকরিতে যোগ দিয়েছেন, তা জানতেই তথ্য চাওয়া হয়েছে গুগুলের কাছে।

    সিবিআইয়ের দাবি, যাঁরা পরীক্ষায় (SSC Scam) ফেল করত, ওয়েবসাইটের দেওয়া রেজাল্টে তাঁকে পাশ দেখানো হত। সেই রেজাল্টের প্রিন্টআউটও দেওয়া হত। টাকা নেওয়ার পরে ওয়েবসাইট থেকে উধাও হয়ে যেত সেই নাম। সিবিআই সূত্রে খবর, পর্ষদের আসল ওয়েবসাইটে .ইন রয়েছে। কিন্তু ভুয়ো ওয়েবসাইটে সেটাই .কম। জানা গিয়েছে, চাকরির জন্য যারা টাকা দিত, তাদের নাম তোলা হত ভুয়ো ওয়েবসাইটে। পরে সেটা দেখিয়েই আরও টাকা দাবি করা হত। যে ফাঁদে পা দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা খুইয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। ফুলে ফেঁপে উঠেছে দালালরা।

    আরও পড়ুুন: ভরা বাজারে গুলি করে খুন তৃণমূল নেতাকে, শিথিল হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর রাশ?

    এদিকে, পুরসভা নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে ১২ কোটি টাকা তুলেছিলেন অয়ন শীল। অন্তত হার্ড ডিস্কে এমনই তথ্য মিলেছে বলে দাবি সিবিআইয়ের। বিভিন্ন পুরসভায় নিয়োগের (SSC Scam) ক্ষেত্রে অয়ন প্রার্থী পিছু লক্ষ লক্ষ টাকা নিতেন বলে অভিযোগ। নামে-বেনামে অয়নের নামে ফ্ল্যাট রয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। অয়ন সেই ফ্ল্যাটগুলির টাকা কোথা থেকে পেয়েছিলেন, তা খতিয়ে দেখছে ইডি। অয়নের প্রায় আটটি ফ্ল্যাট রয়েছে কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে। সেই টাকার উৎস কী তা খতিয়ে দেখছে ইডি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: অয়নের সম্পত্তির পরিমাণ ১০০ কোটি! নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে অবাক ইডি-ও

    SSC Scam: অয়নের সম্পত্তির পরিমাণ ১০০ কোটি! নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে অবাক ইডি-ও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (SSC Scam) বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের ঘনিষ্ঠ প্রোমোটার অয়ন শীলের (Ayan Sil) প্রায় ১০০ কোটির সম্পত্তির হদিশ মিলল। ইডি (Enforcement Directorate) সূত্রে দাবি, এখনও পর্যন্ত অয়ন শীলের নামে-বেনামে একাধিক সম্পত্তির নথি পাওয়া গিয়েছে। যার বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় ১০০ কোটি ছুঁই ছুঁই। শুক্রবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) সূত্রে এমনটাই খবর। কী ভাবে এই বিপুল সম্পত্তি হল অয়নের, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

    নিয়োগ দুর্নীতির আখড়া

    ইডি সূত্রের খবর, অয়নের সল্টলেকের অফিসই ছিল নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Scam) অন্য়তম আখড়া। অয়ন, তাঁর স্ত্রী ও ঘনিষ্ঠদের মিলিয়ে ৫০টির বেশি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সন্ধান পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কেবল অযোগ্য প্রার্থী নয়, চাকরির বিনিময়ে যোগ্য প্রার্থীদের কাছ থেকেও নেওয়া হয়েছিল টাকা! নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত, অয়ন শীলের বিরুদ্ধে এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ উঠেছে। টাকা না দেওয়ায়, জয়েনিং লেটার পাওয়ার পরও, চাকরিপ্রাপকের নাম প্যানেল থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। 

    আরও পড়ুন: ধিক্কার দিবস পালন ডিএ আন্দোলনকারীদের! মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের প্রতিবাদে ধর্মঘটের হুঁশিয়ারি

    অয়নের নোটপ্যাড রহস্য

    অয়নের নোটপ্যাড থেকেও মিলেছে নানা তথ্য।  ইডি সূত্রে খবর, সাদা রঙের ২টি নোটপ্যাডই ছিল লাল ফিতেয় মোড়া। তাতে উল্লেখ রয়েছে একাধিক নাম। শুধু শিক্ষা নয়, পুরসভাতেও টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়া হয়েছে বলে সন্দেহ করেছেন তদন্তকারীরা। অয়নের অফিস থেকে উদ্ধার হওয়া নথি থেকে বেশ কয়েক জন এজেন্টের নামের তালিকা হাতে পেয়েছে ইডি। তদন্তকারীদের আতশকাচের তলায় উঠে আসেন অয়নের ঘনিষ্ঠরাও। কামারহাটি পুরসভার ইঞ্জিনিয়র শ্বেতা চক্রবর্তীর নাম ভেসে এসেছে। শমীক চৌধুরী ওরফে বাপ্পা নামে এলআইসির এক প্রাক্তন এজেন্টের ব্যাপারেও তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন। তাঁর বাড়িও হুগলিতে। নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Scam) যুক্ত অয়ন এই মুহূর্তে ইডি হেফাজতে রয়েছেন। শনিবার তাঁকে আবার আদালতে হাজির করানো হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share