Tag: SSC

SSC

  • SSC Scam: আদালতের নির্দেশ মেনে ১৯১১ গ্রুপ ডি কর্মীর চাকরি বাতিল করল এসএসসি, জারি বিজ্ঞপ্তি

    SSC Scam: আদালতের নির্দেশ মেনে ১৯১১ গ্রুপ ডি কর্মীর চাকরি বাতিল করল এসএসসি, জারি বিজ্ঞপ্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে (SSC Scam) এক নয়া মোড়। ১৯১১ জন অবৈধভাবে চাকরি প্রাপকের চাকরি বাতিল করল স্কুল সার্ভিস কমিশন। আদালতের নির্দেশের আধ ঘণ্টার মধ্যেই বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে তারা। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী গ্রুপ ডি পদে কর্মরত ১৯১১ জনের চাকরি বাতিল করা হয়েছে। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ১৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মীর চাকরি প্রত্যাহার করার নির্দেশ দেন। এই চাকরি প্রাপকদের যে বৈধ পদ্ধতিতে চাকরি হয়নি তার প্রমাণ পেয়েছে আদালত। আর তারপরই এই নির্দেশ। আদালতের তরফে এই নির্দেশ আসার পরেই ওই গ্রুপ ডি কর্মীদের চাকরি বাতিলের নির্দেশ জারি করে এসএসসি৷

    আজ মামলার শুনানিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সিবিআইকে স্পষ্ট নির্দেশ দেন, এই যে ১৯১১ জনের চাকরি বাতিল (SSC Scam) করা হল, এদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে সিবিআইকে। এদের আজ থেকেই স্কুলে ঢোকা বন্ধ। এদের বেতন বন্ধ করার নির্দেশও বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় দিয়েছেন।

    আরও পড়ুন: শিক্ষানবিশ পদে কর্মী নিয়োগ করবে কলকাতা মেট্রো, জানুন বিস্তারিত 

    উল্লেখ্য, গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Scam) তদন্ত নেমে সিবিআই গাজিয়াবাদ থেকে বেশ কিছু ওএমআর শিট বাজেয়াপ্ত করেছে সিবিআই। সেখানে দেখা যায়, স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে যে সুপারিশপত্র দেওয়া হয়েছে, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে যে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে সেখানেও একাধিক অসঙ্গতি রয়েছে। ৪ হাজার ৪৮৭ জন ইতিমধ্যে গ্রুপ ডিতে নিয়োগপত্র পেয়েছেন, ২৮২০টি ওএমআর শিট বিকৃত করা হয়েছে। সিবিআই সেই বিস্তারিত তথ্য স্কুল সার্ভিস কমিশনকে দিয়েছিল।

    নিয়োগ দুর্নীতিতে জর্জরিত বাংলা

    এই মুহূর্তে নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (SSC Scam) উত্তাল বাংলা৷ প্রাথমিক থেকে এসএসসি, শিক্ষক থেকে গ্রুপ ডি কর্মী, সব নিয়োগের ক্ষেত্রেই দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে৷ বিভিন্ন অভিযোগ নিয়ে যোগ্য  চাকরিপ্রার্থীরা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন৷ আদালতের নির্দেশে দুর্নীতি মামলার তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছে সিবিআই৷ আর যেহেতু পুরো প্রক্রিয়ার মধ্যে বেআইনি আর্থিক লেনদেন হয়েছে বলে অভিযোগ, তাই তদন্ত করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট৷ ইতিমধ্যে এই দুই কেন্দ্রীয় এজেন্সি পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়, সুবীরেশ ভট্টাচার্য, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, কুন্তল ঘোষের মতো হেভিওয়েটদের গ্রেফতার করেছে৷

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • SSC Scam: পিএইচডি, স্নাতকোত্তর ডিগ্রি ব্যবহার করতে পারবেন না সুবীরেশ, নির্দেশ আদালতের

    SSC Scam: পিএইচডি, স্নাতকোত্তর ডিগ্রি ব্যবহার করতে পারবেন না সুবীরেশ, নির্দেশ আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রুপ ডি (Group D) নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় যুক্ত করা হল এসএসসির (SSC) তৎকালীন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে। ওই মামলায় (SSC Scam) শুক্রবার তাঁকে শোনানো হল কঠোর ‘সাজা’। সাজার কথা শোনালেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, যতদিন না এই মামলার নিষ্পত্তি হচ্ছে, ততদিন নিজের ডক্টরেট উপাধি ব্যবহার করতে পারবেন না সুবীরেশ। ব্যবহার করতে পারবেন না স্নাতকোত্তর ডিগ্রিও।

    কারচুপি…

    শুক্রবার ওএমআর শিটে কারচুপি করে চাকরি পাওয়া ১৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মীর সুপারিশপত্র প্রত্যাহারের জন্য এসএসসিকে নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এই মামলার সূত্রেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানতে চান, কার নির্দেশে এতজনকে বেআইনিভাবে নিযুক্ত করা হয়েছে? তাঁদের নাম প্রকাশ্যে আনার জন্য কমিশনের তদানীন্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এর পরেই আদালত নির্দেশ দেয়, যতক্ষণ না সুবীরেশ ভট্টাচার্য নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করছেন, ততদিন তিনি তাঁর পিএইচডি, স্নাতকোত্তর ডিগ্রি ব্যবহার করতে পারবেন না। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় আরও বলেছেন, নাম না বললে ধরে নেব, সুবীরেশ ভট্টাচার্যই দুর্নীতির (SSC Scam) মাথায়। প্রয়োজনে তাঁকে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দেওয়া হবে বলেও জানান বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এসএসসির নিয়োগ দুর্নীতিতে প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যযের প্রত্যক্ষ যোগ রয়েছে বলে মনে করে আদালত।

    আরও পড়ুুন: চাকরি বাতিল ১৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মীর, ফেরত দিতে হবে বেতনও

    এদিন আদালতে মামলার শুনানিতে পর্যবেক্ষণে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানান, এত বড় একটা দুর্নীতি, অথচ তাতে সুবীরেশ ভট্টাচার্যের কোনও যোগ থাকবে না, এটা হতে পারে না। তাই সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে এই মামলায় যুক্ত করতে হবে। কারণ তাঁর আমলেই এই সব নিয়োগ হয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতিতে যে সুবীরেশ ভট্টাচার্যের ওপরেও কেউ রয়েছে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। এদিন আদালতের পর্যবেক্ষণে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, সেই মাথার নাম বলতে হবে সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে। না হলে তিনিই দোষী (SSC Scam) বলে মনে করা হবে। সুবীরেশ ভট্টাচার্য যদি নাম বলতে ভয় পান, তাহলে সিআরপিএফ দিয়ে তাঁকে নিরাপত্তা দিতে হবে। বিচারপতি বলেন, প্রয়োজনে সুবীরেশ ভট্টাচার্যের পরিবারকে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নিরাপত্তা দেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, এদিনই গ্রুপ ডি মামলায় ১৯১১ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • SSC Scam: চাকরি বাতিল ১৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মীর, ফেরত দিতে হবে বেতনও

    SSC Scam: চাকরি বাতিল ১৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মীর, ফেরত দিতে হবে বেতনও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯১১ জন গ্রুপ ডি (Group D) কর্মীর চাকরি বাতিল (SSC Scam)! তাঁদের বেতনও বন্ধ হয়ে যাবে। শুধু তাই নয়, বেতন বাবদ এতদিন যে টাকা তাঁরা নিয়েছেন, সেটাও ফেরত দিতে হবে তাঁদের। ধাপে ধাপে সেই টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি সিবিআই (CBI) তাঁদের জেরাও করবে। প্রয়োজনে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবে সিবিআই। শুক্রবার এসএসসিকে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, অবিলম্বে ১ হাজার ৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মীর সুপারিশপত্র প্রত্যাহার করতে হবে। বিচারপতি বলেন, আমার বিশ্বাস বেআইনিভাবে দুর্নীতি করে এই সব প্রার্থীদের সুপারিশ দেওয়া হয়েছিল। এদিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশের সঙ্গে সঙ্গেই ওয়েব সাইটে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ওই কর্মীদের সুপারিশ প্রত্যাহার করে নিল এসএসসি। এবার মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে ওই প্রার্থীদের আইন মেনে অবিলম্বে চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

    এসএসসি…

    কলকাতা হাইকোর্টে বৃহস্পতিবারই এসএসসির (SSC Scam) আইনজীবী দাবি করেছিলেন, গ্রুপ ডি নিয়োগের ক্ষেত্রে ২ হাজার ৮১৯ জনের ওএমআর শিটে কারচুপি করা হয়েছে। তিনি এও জানিয়েছিলেন, তাঁদের তরফে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে কারচুপি যে হয়েছে, সে বিষয়ে সন্দেহ নেই। ওই ২ হাজার ৮১৯ জনের মধ্যে নিয়োগপত্র পেয়েছিলেন ১ হাজার ৯১১ জন। শুক্রবার তাঁদেরই চাকরি বাতিলের সুপারিশ করল আদালত। এসএসসির আইনজীবীকে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, আপনারাই যখন বলছেন ২ হাজার ৮১৯ জনের ওএমআর শিটে কারচুপির বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই, তা হলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ আপনাদেরই করতে হবে।

    আরও পড়ুুন: ‘ইডি একেবারে মমতার পরিবারের কাছে পৌঁছে গিয়েছে’, সুকান্ত কেন বললেন জানেন?

    প্রথমে আলাদাভাবে এই প্রার্থীদের নাম কমিশনের সাইটে আবারও প্রকাশ করুন। তার পর তাঁদের নিয়োগ বাতিল করুন। এজন্য কমিশনকে ২৪ ঘণ্টা সময় দিয়েছিলেন বিচারপতি। দেশের কোনও সরকারি চাকরিতে এঁরা বসতে পারবেন না বলেও জানায় আদালত। আদালত এও জানায়, এঁদের সরকারি চাকরির পরীক্ষায় বসতে হলে তাঁদের আদালতের অনুমতি নিতে হবে। নিজেদের প্রমাণ করতে হবে নির্দোষ। ২০২১ সালে এসএসসি (SSC Scam) গ্রুপ ডি-রই ৬০৭ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁদের বেতন বন্ধের নির্দেশও দিয়েছিল আদালত।   

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • SSC Scam: দুর্নীতির কথা কবুল এসএসসির! বাতিল হতে চলেছে ৮০০ শিক্ষকের চাকরি

    SSC Scam: দুর্নীতির কথা কবুল এসএসসির! বাতিল হতে চলেছে ৮০০ শিক্ষকের চাকরি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষমেশ দুর্নীতির কথা কবুল করে নিল স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC Scam)। সব মিলিয়ে আপাতত ৮০০র কিছু বেশি ‘শিক্ষকে’র (Teacher) চাকরি বাতিল হতে চলেছে। এঁদের মধ্যে অনেকেই শিক্ষক হিসেবে ইতিমধ্যেই চাকরি করছেন। অনেকে নিয়োগপত্র পেয়েছেন। অনেকে আবার পেয়েছেন সুপারিশ পত্র। এঁরা সবাই ২০১৬ সালে নবম-দশমে শিক্ষক হিসেবে হয় নিযুক্ত হয়েছেন, নয় নিয়োগপত্র পেয়েছেন। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে সার্ভার এবং ওএমআর শিটের মধ্যে বিস্তর ফারাক দেখা গিয়েছে। তাই বাতিল হচ্ছে এঁদের চাকরি। এদিকে, কয়েকজনের নম্বর বেড়েছে ৫৩ পর্যন্ত। যার অর্থ এই বঞ্চিতদের বাদ দিয়েই চাকরি দেওয়া হয়েছিল অযোগ্যদের। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, অবৈধভাবে নিয়োগ হওয়া কিংবা নিয়োগপত্র পাওয়া শিক্ষকদের চাকরি বাতিল হবে পর্যায়ক্রমে। আগামী সপ্তাহেই এ ব্যাপারে নোটিশ জারি হবে বলে কমিশন সূত্রে খবর।

    এসএসসি…

    ২০১৬ সালে এসএসসির (SSC Scam) নবম দশম শ্রেণির নিয়োগ তালিকায় ছিল মোট ৯৫২ জনের নাম। তাতে সুযোগ পাওয়া অনেকের সার্ভার এবং ওএমআর শিটে প্রাপ্ত নম্বরের বিস্তর ফারাক। কারও কারও নম্বরের পার্থক্য ৫৩। সেই তালিকা দেখে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু প্রশ্ন করেছিলেন, কী ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবছে এসএসসি?

    এসএসসির চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার বলেন, আমাদের বিধিতে আছে ১৭ নম্বর ধারা প্রয়োগ করে সুপারিশপত্র বাতিল করা যায়। ৮ ফেব্রুয়ারি এই মর্মে আদালতে হলফনামা জমা দিই। তা শুরু করতে রাজি। তিনি বলেন, ৮০০-র সামান্য বেশি সংখ্যা আমরা পেয়েছি, যাদের সুপারিশপত্র বাতিল করতে পারি। আগামী সপ্তাহ থেকে নোটিশ দিয়ে কাজ শুরু করব।

    আরও পড়ুুন: কয়লাকাণ্ডে উঠে আসছে হরিশ মুখার্জি রোডের একটি রেস্তোরাঁর নাম! মালিক কে? তদন্তে ইডি

    অতি সম্প্রতি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে চাকরি (SSC Scam) গিয়েছিল মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর কন্যা অঙ্কিতা অধিকারীর। তার পরেও চাকরি খুইয়েছেন একাধিক শিক্ষক। তবে এক লপ্তে ৮০০ জনেরও বেশি শিক্ষকের চাকরি চলে যাচ্ছে, এ ঘটনা নেই বললেই চলে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
  • Recruitment Scam: কুন্তলের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল এসএসসি-র আধিকারিকদের! তুলেছিলেন ১৯ কোটি টাকা?

    Recruitment Scam: কুন্তলের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল এসএসসি-র আধিকারিকদের! তুলেছিলেন ১৯ কোটি টাকা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি তৃণমূলের (TMC) যুব নেতা। অথচ কুন্তল ঘোষ নামের ওই নেতার সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC) একাধিক আধিকারিক। এর আগে হুগলির ওই যুবনেতার হুগলি ও কলকাতার নিউটাউনের বাড়িতে তল্লাশি চালান তদন্তকারীরা। তখনই বাজেয়াপ্ত হয় বেশ কিছু কাগজ এবং পেন ড্রাইভ। ইডি সূত্রে খবর, সেই সব নথি থেকেই এসএসসির (Recruitment Scam) বেশ কয়েকজন আধিকারিকের নাম ও পরিচয় পাওয়া গিয়েছে।

    ইডি…

    ইডির আধিকারিকদের অনুমান, কুন্তল চাকরি প্রার্থীদের ভুয়ো ইন্টারভিউয়ের ব্যবস্থা করেছিলেন। তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল জাল জয়নিং লেটারও। অভিযোগ, নকল ইন্টারভিউয়ের ব্যবস্থা করা থেকে শুরু করেন ভুয়ো জয়েনিং লেটার তৈরি করতে কুন্তলকে সাহায্য করেছিলেন ওই আধিকারিকরা। তল্লাশি চালানোর সময় কুন্তলের বাড়ি থেকে বেশ কয়েকটি ওএমআর শিট উদ্ধার করেছিলেন তদন্তকারীরা। সেই সময় কুন্তল জানিয়েছিলেন, তথ্য জানার অধিকার আইনে ওই ওএমআর শিটগুলি পেয়েছিলেন তিনি। কুন্তলের এই দাবি অবশ্য বিশ্বাস করেননি তদন্তকারীরা। তাঁদের ধারণা, তদন্তের অভিমুখ ঘুরিয়ে দিতেই মিথ্যে তথ্য দিয়েছিলেন কুন্তল। ইডির আধিকারিকদের অনুমান, এসএসসির আধিকারিকদের সাহায্যেই ওএমআর শিটের মতো গুরুত্বপূর্ণ নথি পেয়েছিলেন তিনি। সেই কারণেই তাঁদেরও জেরা করা হবে।

    আরও পড়ুুন: ফের বাংলাদেশে আক্রান্ত সংখ্যালঘু হিন্দুরা, ১৪টি মন্দিরে ভাঙচুর, কী বলছে প্রশাসন?

    প্রসঙ্গত, শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারির (Recruitment Scam) ঘটনায় ইডির পাশাপাশি তদন্ত করছে সিবিআইও। সেই সময় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলের মুখ থেকে প্রথম শোনা যায় কুন্তলের নাম। তার পরেই কুন্তলকে নিজাম প্যালেসে ডেকে পাঠায় সিবিআই। পরে বেআইনি আর্থিক লেনদেনের ঘটনার তদন্তে নেমে কুন্তলকে গ্রেফতার করে ইডি। এদিকে, দুটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের দুটি অ্যাকাউন্টে নগদ সাড়ে ৬ কোটি টাকা জমা পড়েছিল। পরে দ্রুত সেই টাকা সরিয়ে দেওয়া হয় বিভিন্ন ব্যাঙ্কের অনেকগুলি অ্যাকাউন্টে। নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় ধৃত কুন্তলকে জেরা করে এবং বিভিন্ন নথি খতিয়ে দেখে এমনটাই জেনেছেন ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা। আগাম পরিকল্পনা করেই দুর্নীতির টাকা বিভিন্ন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার (Recruitment Scam) করা হয়েছে বলে ধারণা তাঁদের। ইডি সূত্রে খবর, স্কুলে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে প্রায় ১৯ কোটি টাকা নেওয়ার কথা জেরায় স্বীকার করেছেন কুন্তল। নিজের শেয়ারটুকু রেখে সেই টাকা তিনি পাঠাতেন প্রভাবশালীদের কাছে। যেসব বাড়ি, ফ্ল্যাট কিংবা অফিস খুলে চাকরি প্রার্থী ও এজেন্টদের সঙ্গে বৈঠক করতেন কুন্তল, সেগুলির দিকেও নজর রয়েছে ইডির।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Saraswati Puja: কোথাও খাঁচায় বন্দী, কোথাও আবার দাঁড়িপাল্লায় সরস্বতী! দেবী বন্দনায় নিয়োগ দুর্নীতির ছোঁয়া শহরের মণ্ডপে

    Saraswati Puja: কোথাও খাঁচায় বন্দী, কোথাও আবার দাঁড়িপাল্লায় সরস্বতী! দেবী বন্দনায় নিয়োগ দুর্নীতির ছোঁয়া শহরের মণ্ডপে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিদ্যার দেবী সরস্বতী (Saraswati Puja 2023)। বাগদাত্রী দেবী শ্বেত পদ্মের উপর আসন পেতে থাকেন। মাঘী পঞ্চমীতে তাঁর আরধনায় মাতে ছোট থেকে বড়রা। বিদ্যা বিনয় দান করে। ন্যায়-অন্যায় বুঝতে শেখায়। কিন্তু বাংলায় এখন শিক্ষা বিক্রি হয়। অর্থের বিনময়ে শিক্ষক কেনা-বেচা হয়। বিদ্যাকে ছোট করে অর্থের বিনময়ে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ বাংলার অলি-গলিতে।  অভিযোগ উঠেছে,অযোগ্যরা চাকরি পেয়েছেন। ফেল করেও শিক্ষকতা করার সুযোগ পেয়েছেন। তাই শহর কলকাতায় এবার সরস্বতী পুজোর থিমে কোথাও খাঁচায় বন্দি বাগদেবী কোথাও আবার দাঁড়িপাল্লায় তোলা হয়েছে তাঁকে।

    দাঁড়িপাল্লায় সরস্বতী

    সাধারণত এ রাজ্যে বিভিন্ন পুজোর থিমের মাধ্যমেই তুলে আনা হয় সাম্প্রতিক কালের আলোচিত-চর্চিত বিভিন্ন ঘটনাকে। বাংলায় সাম্প্রতিককালের সবথেকে আলোচ্য বিষয় শিক্ষক নিয়োগে ‘দুর্নীতি’। তাই এবার শহরের বুকে সরস্বতী পুজোর থিম শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি। অভিনব এই থিমের নাম ‘বঙ্গে বিক্রি শিক্ষা’। কাকুড়গাছি রেল ব্রিজ সংলগ্ন এই পুজোর প্যান্ডেলে দেখা যাবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অর্পিতা মুখোপাধ্যারের মডেল। সামনে টাকার ৫০০ ও ২ হাজার টাকার নোটের বান্ডিল। ঠিক যেমনটা ইডির তল্লাশি অভিযানে দেখা গিয়েছিল। এই প্যান্ডেলে দেখানো হবে, দাঁড়িপাল্লায় রাখা হয়েছে সরস্বতীর মূর্তি ও টাকা। অর্থের ভারে হেলে গিয়েছে সরস্বতী। খাঁচায় বন্দি রাখা হয়েছে বইপত্র ও মা সরস্বতীকে। যার মাধ্যমে বোঝানোর চেষ্টা হয়েছে, এ রাজ্যে শিক্ষাকে বন্দি রেখেই অর্থের বিনিময় অযোগ্যদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে আগামীর ভবিষ্যৎ।

    আরও পড়ুন: মাঘেও উধাও শীত! গরমেই কাটবে সরস্বতী পুজো, জানিয়ে দিলেন আবহবিদরা

    পৌষ পেরিয়ে বাংলার গায়ে এখন মাঘের আমেজ। স্কুলে স্কুলে বাণী বন্দনার প্রস্তুতি তুঙ্গে। এরই মধ্যে এই ধরনের থিম এনেছে অভিনবত্বের ছোঁয়া। সঙ্গে শিক্ষা নিয়ে যে অশিক্ষা বঙ্গে দেখা গিয়েছে, তাঁর জন্য ধিক্কার জানানো হয়েছে। থিমের মাধ্যমে চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন ও তাঁদের দাবিদাওয়াও তুলে ধরা হয়েছে। চাকরিপ্রার্থীদের মডেল তৈরি করে তাঁদের হাতে দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন দাবি দেওয়া সম্মিলিত প্ল্যাকার্ড। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।    

  • SSC TET: আজ ফের তাপসকে জিজ্ঞাসাবাদ ইডির! দীর্ঘ ১২ ঘণ্টা জেরায় নতুন কী তথ্য মিলল?

    SSC TET: আজ ফের তাপসকে জিজ্ঞাসাবাদ ইডির! দীর্ঘ ১২ ঘণ্টা জেরায় নতুন কী তথ্য মিলল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ ১২ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদের পর বুধবার ফের  ইডি দফতরে তলব করা হয়েছে তাপস মণ্ডলকে। ইডি সূত্রে খবর, আজ ফের একইসঙ্গে ইডি দফতরে হাজিরা দিতে নোটিস ইস্যু করা হয়েছে হুগলির বলাগড়ের শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির জট কাটাতে মঙ্গলবার তাপস মণ্ডলকে প্রায় ১২ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। তৃণমূলের যুব নেতা কুন্তল ঘোষ গ্রেফতার হওয়ার পর এই প্রথম ইডির মুখোমুখি হলেন তাপস। এদিন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর দফতরে সকাল সাড়ে ১০টায় ঢুকেছিলেন আর বেরোলেন, রাত তখন সওয়া ১১টা।

    তাপস-কুন্তল মুখোমুখি জেরা

    ইডি সূত্রে খবর, এদিন কুন্তলের মুখোমুখি বসিয়ে তাঁকে জেরা করা হয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলার চার্জশিটে নাম রয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক-ঘনিষ্ঠ তাপসের। নিয়োগ দুর্নীতিতে কুন্তলের বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার অভিযোগ তোলেন তিনি। তাপসের দাবি, ৩২৫ জন শিক্ষক পদপ্রার্থীর কাছ থেকে ৩ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন কুন্তল। এ ছাড়া তাপসের দাবি, তাঁর পরিচিতেরা তাঁকে জানিয়েছেন, তাঁদের কাছ থেকে প্রায় সাড়ে ১৯ কোটি টাকা নিয়েছেন কুন্তল। সেই সংক্রান্ত নথিও তাঁর কাছে রয়েছে বলে দাবি করেছিলেন তাপস। মঙ্গলবার সেই লেনদেন সংক্রান্ত জিজ্ঞাসাবাদের জন্যই তাপসকে নিজেদের দফতরে ডেকেছিল ইডি। শনিবার কুন্তল গ্রেফতার হওয়ার পর তাঁর স্ত্রী জয়শ্রী দাবি করেছিলেন, নিউটাউনের যে ফ্ল্যাটে ইডি তল্লাশি অভিযান চালিয়ে নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করেছে, সেখানে দিনের পর দিন থাকতেন তাপস মণ্ডল এবং তাঁর সহযোগী তাপস মিশ্র। 

    আরও পড়ুন: ইস্তফা প্রকাশ তৃণমূলের, ভোট কিনতে বাংলার মতো টাকার টোপ মেঘালয়েও!

    গ্রেফতারের পরই  তাপস মণ্ডল নিয়ে গুরুতর অভিযোগ করেছেন ধৃত যুবনেতা। জেরা পর্বে ইডি আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, ইডি অফিসারদের ‘সেটিং’ করতে হবে এই মর্মে লক্ষাধিক টাকা কুন্তলের কাছে দাবি করেছিলেন তাপস মণ্ডল। ১৫ অক্টোবর যখন তাপসের অফিস ও বাড়িতে ইডি অভিযান চালাচ্ছিল, ওই দিনও কুন্তলকে ফোন করে টাকা দাবি করেছিলেন তাপস। যদিও মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ পর্বে এই কথা তাপস এড়িয়ে গিয়েছেন বলে ইডির অভিযোগ। ইডি সূত্রে খবর, তদন্তের বিষয়াধীন একাধিক প্রশ্নের উত্তর এখনও অধরা। কুন্তল ও তাপসের বয়ানে ধরা পড়ছে একাধিক অসঙ্গতি। এমনকি, তাদের সামনাসামনি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদেও মেলেনি উত্তর। তাই ফের তলব করা হয়েছে তাপসকে। প্রয়োজনে কুন্তলকেও পুনরায় জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে ইডি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • SSC Scam: গ্রুপ ডি নিয়োগেও ‘সীমাহীন দুর্নীতি’, ১০ দিনের মধ্যে রিপোর্ট তলব বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    SSC Scam: গ্রুপ ডি নিয়োগেও ‘সীমাহীন দুর্নীতি’, ১০ দিনের মধ্যে রিপোর্ট তলব বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রুপ ডি (Group D) নিয়োগেও সীমাহীন দুর্নীতির (SSC Scam) অভিযোগ সিবিআইয়ের। শুক্রবার স্কুলে গ্রুপ ডি শ্রেণির কর্মী নিয়োগ মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Ganguly) এজলাসে সিবিআই বলে, স্কুল নিয়োগে সীমাহীন দুর্নীতি হয়েছে। এদিন হাইকোর্টে এসএসসির আইনজীবী জানান, ১২৫টি ব্ল্যাঙ্ক ওএমআর শিটে স্কুলে নিয়োগ হয়েছে গ্রুপ ডি পদে। সিবিআই রিপোর্টে বিকৃত ওএমআর শিটের তথ্য খতিয়ে দেখে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে এই তথ্য জানিয়েছে এসএসসি। ১০ দিনের মধ্যে এসএসসি ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে গ্রুপ ডি-র বিকৃত ওএমআর শিট মামলায় বিশদ রিপোর্ট হলফনামা সহ পেশের নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

    ‘সীমাহীন দুর্নীতি’র খতিয়ান…

    এদিন ‘সীমাহীন দুর্নীতি’র খতিয়ান তুলে ধরে সিবিআই। তাদের দাবি, গ্ৰুপ-ডি কর্মী নিয়োগে মোট শূন্যপদ ছিল ৪৪৮৭টি। তার মধ্যে বেআইনিভাবে নিয়োগ করা হয়েছে ২৮২৩ জনকে। এঁদের সবার ওএমআর শিটে কারচুপি করা হয়েছে। যদিও সিবিআইয়ের দেওয়া পরিসংখ্যানের সঙ্গে সহমত পোষণ করেনি এসএসসি। এর পরেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, ১০ দিনের মধ্যে এসএসসি-কে (SSC Scam) হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে ১) গ্ৰুপ-ডি পদে কত শূন্যপদ ছিল? ২) শূন্যপদের নিরিখে কত সুপারিশপত্র দেওয়া হয়েছে? ৩) সিবিআই রিপোর্টে ২৮২৩ ওএমআর বিকৃতি, সুপারিশ করা চাকরির কতজনের  ওএমআর শিট বিকৃত হয়েছে? ৪) সুপারিশ করা চাকরিতে কতজন যোগ দেননি।

    আরও পড়ুুন: ‘পোজ’ দিয়েই মাংস-ভাত ছেড়ে উঠে গেলেন শতাব্দী, বীরভূমের ঘটনায় অস্বস্তিতে তৃণমূল

    মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে ১) কতজনের সুপারিশ তারা এসএসসি থেকে পায়? ২) কতজনকে নিয়োগপত্র দেয়? ৩) নিয়োগ প্রাপকদের নাম, বাবার নাম, স্কুলের নাম ঠিকানা সহ পরিচয় জানাতে হবে। এই মামলায় ইডির আইনজীবীর উদ্দেশে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য, আপনাদের এখনই কোনও নির্দেশ দিচ্ছি না। প্রাথমিক মামলা ভাল করে তদন্ত করুন। ১০ দিন পর আপনাদের কোনও নির্দেশ দিতে পারি। আগামী ৩১ জানুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • Recruitment Scam: দমকল দফতরে ফায়ার অপারেটর নিয়োগের প্যানেল বাতিলের নির্দেশ হাইকোর্টের, জানুন কারণ

    Recruitment Scam: দমকল দফতরে ফায়ার অপারেটর নিয়োগের প্যানেল বাতিলের নির্দেশ হাইকোর্টের, জানুন কারণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দমকল দফতরে ফায়ার অপারেটর নিয়োগের প্যানেল বাতিলের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। প্রার্থীদের অভিযোগ খতিয়ে দেখে নয়া প্যানেল প্রকাশের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি প্রসেনজিৎ বিশ্বাসের ডিভিশন বেঞ্চ। আগামী দু মাসের মধ্যে পাবলিক সার্ভিস কমিশনকে নতুন প্যানেল প্রকাশের নির্দেশও দিল আদালত।

    ফায়ার অপারেটর নিয়োগে দুর্নীতি…

    দমকল দফতরে ফায়ার অপারেটর নিয়োগে দুর্নীতির (Recruitment Scam) অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন ২০৩ জন প্রার্থী। আদালতে তাঁরা জানান, নিয়োগে অনিয়ম হয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, অসংরক্ষিত প্রার্থীর নাম ঢোকানো হয়েছে সংরক্ষিত প্রার্থীর তালিকায়। তাছাড়া বেশ কয়েকটি প্রশ্নে ভুলও ছিল। সেগুলির সমাধান না করেই নিয়োগ করা হয়েছে। প্রার্থীদের আরও অভিযোগ, অনেকেই একই নম্বর পেয়েছেন। তারপরে প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষায় অনেককে বেশি নম্বর দেওয়া হয়েছে। এসব অভিযোগ তুলে প্যানেল বাতিলের আর্জি জানান প্রার্থীরা। যদিও প্রার্থীদের অভিযোগ মানতে চায়নি রাজ্য সরকার।  

    আরও পড়ুন: লালন শেখের মৃত্যু মামলায় সিআইডির তদন্তে ‘অসন্তুষ্ট’ কলকাতা হাইকোর্ট, কেন জানেন?

    দমকল দফতরে ফায়ার অপারেটর পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ার পর পরীক্ষা হয়েছিল ২০১৮ সালে। সব মিলিয়ে ১,৫০০ কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। লিখিত পরীক্ষা শেষে হয় মৌখিক পরীক্ষা। সব শেষে হয় প্যানেল প্রকাশ। প্যানেল প্রকাশিত হতেই ওঠে দুর্নীতির অভিযোগ (Recruitment Scam)। মামলা করেন বাসুদেব গোস্বামী সহ কয়েকজন প্রার্থী। প্রথমে মামলাটি ওঠে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালে। পরে যায় উচ্চ আদালতে। এদিন প্যানেল বাতিলের নির্দেশ দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। এসএসসি এবং টেটে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে তোলপাড় রাজ্য। এরই মধ্যে প্রকাশ্যে চলে এল দমকল দফতরে ফায়ার অপারেটর নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ। সব মিলিয়ে পঞ্চায়েত ভোটের আগে বেশ চাপে রাজ্য। এমতাবস্থায় দলের মুখ বাঁচাতে তৃণমূল নেত্রী কী করেন, এখন তা-ই দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Justice Abhijit Gangopadhyay: এখনও কেন আড়ালের চেষ্টা? স্কুল সার্ভিস কমিশনের ভূমিকায় ক্ষোভ বিচারপতির

    Justice Abhijit Gangopadhyay: এখনও কেন আড়ালের চেষ্টা? স্কুল সার্ভিস কমিশনের ভূমিকায় ক্ষোভ বিচারপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুল সার্ভিস কমিশনের ভূমিকায় ফের ক্ষোভ প্রকাশ করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। নবম ও দশম শ্রেণীর শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলায় স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাজ কর্ম নিয়ে বিচারপতি ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, ” ৯৫২টি বিকৃত ওএমআর (OMR) শিট প্রকাশ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তা মানা হয়নি। ওই ওএমআর (OMR) শিট দেখার জন্য কোনও প্রার্থীর রোল নম্বর এবং জন্ম তারিখ দিতে হবে? কেন এই পদ্ধতি?  কিসের জন্য আড়াল করার চেষ্টা?”

    কী বললেন বিচারপতি

    বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় আরও বলেন, “এই ধরনের দুর্নীতি প্রকাশ্যে আনা উচিত। কিন্তু কমিশন এখনও আড়াল করার চেষ্টা করছে? আদালতের নির্দেশের পরেও স্বচ্ছতার ধার ধারছে না কমিশন। স্কুল সার্ভিস কমিশনের এই ভূমিকায় আদালত মোটেও সন্তুষ্ট নয়।” কমিশনের সচিবকে আদালতে হাজিরের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য, “আদালতের নির্দেশের পরও স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাজ দেখে আশ্চর্য হলাম। ওএমআর শিট প্রকাশ করতে বলা হয়েছিল। সেখানে কেন প্রার্থীর রোল নম্বর এবং জন্ম তারিখ দিতে হবে? কেন এই ঘোমটা?” “এই দুর্নীতি তো জনসমক্ষে আনা প্রয়োজন। সেখানে এখনও কেন আড়াল করছে কমিশন?” এর পাশাপাশি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় কমিশনের সচিবকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। 

    আরও পড়ুন: বছরটা বাংলাতেই কাটছে অনুব্রতের! পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত দিল্লি যাত্রায় স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

    স্কুল সার্ভিস কমিশনের যুক্তি

    পরিস্থিতি বেগতিক দেখে কমিশনের আইনজীবী বলেন, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ওএমআর (OMR) শিট পুরোপুরি লোড করা যায়নি। বৃহস্পতিবারের মধ্যে সব নির্দেশ সঠিকভাবে পালিত হবে বলেও আশ্বস্ত করেন কমিশনের আইনজীবী। দুপুর ১২টা নাগাদ আদালতে হাজিরা দিয়ে কমিশনের সচিব অর্ণব চট্টোপাধ্যায় বিচারপতিকে জানান, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে উত্তরপত্রগুলি সকলে দেখতে পাচ্ছেন না। খুব দ্রুতই এই সমস্যা কেটে যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবারই সবাই উত্তরপত্রগুলি দেখতে পারবেন। কাল ফের মামলার শুনানি। ‘কীভাবে ওএমআর (OMR) শিট বিকৃতি প্রকাশ করা হচ্ছে তা নজর রাখবে, আদালত।’ মন্তব্য করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share