Tag: SSC

SSC

  • Supreme Court: হাইকোর্টের রায় বহাল সুপ্রিম কোর্ট, উচ্চ প্রাথমিকে ১৪ হাজার পদে নিয়োগে বাধা নেই

    Supreme Court: হাইকোর্টের রায় বহাল সুপ্রিম কোর্ট, উচ্চ প্রাথমিকে ১৪ হাজার পদে নিয়োগে বাধা নেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উচ্চ প্রাথমিকে ১৪ হাজারেরও বেশি শূন্যপদে নিয়োগে (SSC Upper Primary Recruitment) হস্তক্ষেপ করল না সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। আপাতত কলকাতা হাইকোর্টের রায় বহাল রাখল শীর্ষ আদালত। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ জানিয়েছে, এখনই হাইকোর্টের নির্দেশে হস্তক্ষেপ করছে না শীর্ষ আদালত। অর্থাৎ নতুন মেধাতালিকা প্রকাশে বাধা রইল না এসএসসি’র। 

    সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) পর্যবেক্ষণ

    উচ্চ প্রাথমিকে ১৪ হাজারের বেশি শূন্যপদে নিয়োগের (SSC Upper Primary Recruitment) নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। ওই নির্দেশ সংরক্ষণ নীতির বিরোধী, এই দাবি তুলে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাজীব ব্রহ্ম-সহ কয়েক জন চাকরিপ্রার্থী। এর ফলে ১৪ হাজার চাকরিপ্রার্থীর নিয়োগ নিয়ে আবার তৈরি হয় জট। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছে, নতুনদের আবেদন শোনা হবে না। হাইকোর্টে মামলাকারীদের বক্তব্য শুনবে উচ্চ আদালত। ২০১৫ সাল থেকে উচ্চ প্রাথমিক নিয়োগ (SSC Upper Primary Recruitment) নিয়ে জটিলতায় আটকে রয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা।  ২০২০ সালে নিয়োগ প্রক্রিয়াটি বাতিল করে দিয়েছিল উচ্চ আদালত। আবার ২০২৩ সালে প্যানেল প্রকাশ করার অনুমতি দিয়েছিল হাইকোর্ট। তবে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল, এসএসসি কাউকে নিয়োগের সুপারিশ করতে পারবে না।  

    আরও পড়ুন: তিরুপতির লাড্ডু বিতর্কে ঘি সরবরাহকারী সংস্থাকে নোটিশ স্বাস্থ্য মন্ত্রকের

    নিয়োগ-প্রক্রিয়া শুরু 

    সোমবারই উচ্চ প্রাথমিকের ২০১৬ সালের (SSC Upper Primary Recruitment) মেধাতালিকা প্রকাশের বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে এসএসসি। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আগামী বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর প্রকাশ করা হবে মেধাতালিকা। ১০ শতাংশ আসন সংরক্ষিত রাখা হবে অস্থায়ী শিক্ষকের জন্য। বাকি পদে নিয়োগের মেধাতালিকা প্রকাশ করা হবে। যদিও চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, শুধু মেধাতালিকা প্রকাশ করলে হবে না, নিয়োগ প্রক্রিয়াও শীঘ্র শুরু করতে হবে। এই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে একটাই বাধা ছিল সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) মামলা। এবার সেখান থেকেও সবুজ সঙ্কেত মিলল।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Upper Primary: চাকরিপ্রার্থীরা বিক্ষোভ দেখাতেই আপার প্রাইমারি প্যানেল প্রকাশের দিন ঘোষণা

    Upper Primary: চাকরিপ্রার্থীরা বিক্ষোভ দেখাতেই আপার প্রাইমারি প্যানেল প্রকাশের দিন ঘোষণা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের অশান্ত সল্টলেক করুণাময়ী চত্বর। সোমবার আপার প্রাইমারির (Upper Primary) চাকরিপ্রার্থীরা বিক্ষোভ দেখান করুণাময়ীতে। এসএসসি ভবন ঘেরাওয়ের ডাক দেন তাঁরা। যখন করুণাময়ীতে (SSC Bhawan) আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন চলছে তখনই এল বিজ্ঞপ্তি। ২৫ সেপ্টেম্বর প্যানেল প্রকাশ করার কথা বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানাল স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC)। সোমবার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছে, আগামী বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর প্রকাশ করা হবে মেধাতালিকা। ১০ শতাংশ আসন সংরক্ষিত রাখা হবে অস্থায়ী শিক্ষকের জন্য। বাকি পদে নিয়োগের মেধাতালিকা প্রকাশ করা হবে। যদিও চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, শুধু মেধাতালিকা প্রকাশ করলে হবে না, ১০ বছর ধরে অপেক্ষা করছে তারা। নিয়োগ প্রক্রিয়াও শীঘ্র শুরু করতে হবে। 

    কবে প্যানেল প্রকাশ

    ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আপার প্রাইমারির (Upper Primary) নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর ডেডলাইন ছিল কলকাতা হাইকোর্টের। গত ২৮ অগাস্ট ৪ সপ্তাহের ডেডলাইন স্থির করেছিল আদালত। সেইমতোই সোমবার ২৩ তারিখ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হল ২৫ তারিখ অর্থাৎ আগামী বুধবার প্যানেল প্রকাশ করা হবে। ২০১৬ সালে প্রথম এসএলএসটি হয়েছিল। এখনও নিয়োগ পাননি যোগ্যরা। দ্রুত নিয়োগের দাবিতে আজই রাস্তায় নামেন চাকরিপ্রার্থীরা। আর এদিনই প্যানেল প্রকাশের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হল। হাইকোর্টের (Calcutta High Court)  নির্দেশ থাকার পরও কেন এখনও প্যানেল প্রকাশ করা হচ্ছে না, সে দাবিকে সামনে রেখেই এদিন পথে নামেন চাকরিপ্রার্থীরা। 

    আরও পড়ুন: “আমরা এক সঙ্গে পারি…”, মোদিকে আশ্বাস শ্রীলঙ্কার নয়া প্রেসিডেন্টের

    ধুন্ধুমার করুণাময়ী

    বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আগে এদিন করুণাময়ী মেট্রো স্টেশন থেকে কাতারে কাতারে চাকরিপ্রার্থী রাস্তায় নেমে আসেন। গার্ডরেল পার করে চাকরিপ্রার্থীরা এসএসসি ভবনের (Upper Primary) দিকে ছুটে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে বচসাও বাধে তাদের। তবে চাকরি প্রার্থীদের একটা বড় অংশ আচার্য সদনের কাছাকাছি চলে যান। যে ব্যারিকেড ছিল, তা কার্যত ঠেলে সরিয়ে দিয়ে বেরিয়ে যান চাকরিপ্রার্থীরা। পুলিশ সামাল দিতে কিছুটা হিমশিমই খায়। কারণ, বিভিন্ন দিক থেকে এসএসসি ভবনের (SSC Bhawan) দিকে ছুটে যান চাকরিপ্রার্থীরা। অবশেষে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়। তারপরই আপার প্রাইমারি নিয়োগের বিজ্ঞপ্তির কথা জানানো হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: সুপ্রিম ধাক্কা! শিক্ষক-নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে অভিষেক-রুজিরাকে দিল্লিতে তলব করতে পারে ইডি

    SSC Scam: সুপ্রিম ধাক্কা! শিক্ষক-নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে অভিষেক-রুজিরাকে দিল্লিতে তলব করতে পারে ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (SSC Scam) তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এবার দিল্লিতেও তলব করতে পারবে ইডি। সোমবার এমনই অভিমত প্রকাশ করল শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম দুয়ারে (Supreme Court) খারিজ হয়ে গেল অভিষেক ও রুজিরার আর্জি। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডির সমনে হাজিরা দিল্লির পরিবর্তে শুধু কলকাতায় করা হোক, অভিষেক ও রুজিরার এই আবেদন খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট।

    সুপ্রিম নির্দেশ

    তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট এই কেলেঙ্কারির মামলায় (SSC Scam) অভিষেক ও রুজিরাকে তলব করেছিল। তাঁরা সেই তলবকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। সোমবার বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদী এবং বিচারপতি সতীশচন্দ্র শর্মার বেঞ্চ তৃণমূল সাংসদের আর্জি খারজি করে দেয়। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এর আগে একাধিকবার অভিষেক এবং রুজিরাকে দিল্লিতে তলব করে ইডি। কিন্তু তাঁরা হাজিরা এড়িয়ে যান। এর ফলে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিষেক এবং রুজিরাকে দিল্লিতে তলব করতে পারবে ইডি। 

    আরও পড়ুন: ‘‘আশা করছি, বিচার পাব’’, সুপ্রিম-শুনানির আগে মন্তব্য নির্যাতিতার মায়ের

    দিল্লিতে যেতে বাধা কোথায়

    প্রসঙ্গত, দিল্লিতে ডেকে অভিষেক এবং রুজিরাকে জেরা করতে চেয়েছিল ইডি। তাঁদের যুক্তি ছিল, নিরাপত্তার কারণে কলকাতায় অভিষেক এবং রুজিরাকে জেরা করায় সমস্যা দেখা দিতে পারে। অভিষেক ও রুজিরার অবশ্য যুক্তি ছিল, তাঁদের বাড়িতে ছোট ছোট দুই সন্তান আছে। এদিকে কলকাতায় ইডির পূর্ণাঙ্গ দফতর আছে। তাহলে কেন তাঁদের দিল্লিতে তলব করা হবে? এর আগে এর আগে কয়লা পাচার মামলায় আর্থিক তছরূপের অভিযোগের তদন্তেও ইডি তাঁকে ডেকে পাঠিয়েছিল ইডি। দিল্লিতে গিয়েও ইডির সদর দফতরে হাজিরা দিয়েছিলেন অভিষেক। এর আগে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Scam) মামলার অন্তর্বর্তী রায়ে অভিষেককে সাময়িক স্বস্তি দেয় শীর্ষ আদালত। অন্তর্বর্তী রায়ে বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদী এবং বিচারপতি সতীশ চন্দ্রের বেঞ্চের তরফে জানানো হয়েছিল, অভিষেক বা রুজিরাকে দিল্লিতে তলব করা যাবে না। গত ১৩ আগস্ট মামলার শুনানি শেষ হয়। সেদিনও অন্তর্বর্তী রায় বহাল রাখে শীর্ষ আদালত। তবে চূড়ান্ত রায়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের আর্জি খারিজ করল শীর্ষ আদালত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Upper Primary Recruitment: উচ্চ প্রাথমিকে ১৪ হাজার পরীক্ষার্থীর নিয়োগে জট কাটল, ৪ সপ্তাহে মেধাতালিকা

    Upper Primary Recruitment: উচ্চ প্রাথমিকে ১৪ হাজার পরীক্ষার্থীর নিয়োগে জট কাটল, ৪ সপ্তাহে মেধাতালিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আপার প্রাইমারির (Upper Primary Recruitment) নিয়োগে ছাড়পত্র দিল হাইকোর্ট। ১৪ হাজার পরীক্ষার্থীর চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা জোরদার হল। চার সপ্তাহের মধ্যেই চূড়ান্ত মেধাতালিকা তালিকা প্রকাশ করবে কমিশন। চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পর হবে কাউন্সেলিং। বুধবার এমনই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি পার্থসারথী চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। এর ফলে ৯ বছরের নিয়োগ-জট কাটল বলেই অনেকে মনে করছেন।

    ঠিক কী ঘটেছিল? (Upper Primary Recruitment)

    আপার প্রাইমারির (Upper Primary Recruitment) টেট পরীক্ষা হয়েছিল ২০১৫ সালের ১৬ অগাস্ট। ২০১১ ও ২০১৫ সালের দুটি টেটের পরীক্ষার্থীরা এই পদের জন্য যোগ্য ছিলেন। ২০১৬ সালের ২৩ অক্টোবর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। ২০১৯ সালের ২৭ জুন বিজ্ঞপ্তি জারি করে পার্সোনালিটি টেস্ট হবে বলে জানানো হয়। কিন্তু সেখানে সঠিকভাবে নথি যাচাই করা হচ্ছে না, এই অভিযোগ তুলে মামলা হয়। হাইকোর্টের নির্দেশে বার বার এই নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত হয়ে গিয়েছে। ২০২০ সালে নিয়োগ প্রক্রিয়াটি বাতিল করে দিয়েছিল উচ্চ আদালত। ২০২৩ সালে প্যানেল প্রকাশ করার অনুমতি দিয়েছিল হাইকোর্ট। তখন ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছিল, প্যানেল প্রকাশ করা যেতে পারে, তবে,কাউকে নিয়োগের সুপারিশ করতে পারবে না এসএসসি। তার পরে মামলাটি যায় নতুন ডিভিশন বেঞ্চে। গত ১৮ জুলাই বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি পার্থসারথী চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি শেষ হয়েছে। বুধবার রায় ঘোষণা করা হল।

    আইনজীবী কী বললেন?

    আইনজীবী ফিরদৌস শামিম বলেন, “স্কুল সার্ভিস কমিশন, উচ্চ প্রাথমিকের মামলায় যে ‘আফটার ইন্টারভিউ ওএমআর’ আসন পুনর্মূল্যায়ন করে ১৪৬৩ জনকে বাতিল করেছিল, সেই সিদ্ধান্ত ভুল ছিল। সেটা সংশোধন করে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, যাঁদের বাতিল করা হয়েছিল, তাঁদের আবার মেধাতালিকায় ঢোকাতে হবে। সঙ্গে ১৪ হাজার ৫২ জনের প্রত্যেককে মেধাতালিকায় রেখে কাউন্সেলিং করাতে হবে। কমিশনের পুরনো মেধাতালিকা ভুল ছিল।”

    কেন মামলা?

    উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় একাধিক ত্রুটির অভিযোগ তুলে ধরে হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়েছিল। ২০২৩ সালে শুধুমাত্র অনুমানের ভিত্তিতে ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া থেকে ১,৪৬৩ জনকে বাদ দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। মামলাকারীরা জানান, ওই সিদ্ধান্তের নেপথ্যে কী কারণ রয়েছে, চাকরিপ্রার্থীদের তা জানানো হয়নি। পরে চার বার তা খতিয়ে দেখে এসএসসি। শেষে ইন্টারভিউ থেকে বাদ পড়েন ৭৪ জন। সে ক্ষেত্রেও সঠিক নিয়ম মানা হয়নি বলে অভিযোগ ওঠে। এসএসসির নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ ছিল, সংরক্ষণ নীতি মানা হয়নি কাউন্সেলিংয়ের সময়। তফশিলি জাতি এবং জনজাতিদের সংরক্ষণ নিয়ে একাধিক প্রশ্ন ওঠে। এমনকী, সেখানে মহিলাদের সংরক্ষণ নিয়েও ত্রুটি ছিল বলে আদালতে জানান মামলাকারীদের আইনজীবী। ওএমআর শিটেও গোলমালের আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছিল আদালতে। দীর্ঘ ৯ বছর ঝুলে থাকার পর অবশেষে উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগে জট কাটল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Secondary Examination: যোগের হিসেবে ভুল! ১২ হাজার মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর নম্বর বাড়ল স্ক্রুটিনিতে

    Secondary Examination: যোগের হিসেবে ভুল! ১২ হাজার মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর নম্বর বাড়ল স্ক্রুটিনিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হ্যাঁ যোগ করতেই ভুল! ঠিক শুনেছেন, তাও আবার মাধ্যমিক পরীক্ষায় (Secondary Examination)। ১২ হাজার পরীক্ষার্থীর নম্বর বাড়ল স্ক্রুটিনিতে। কার্যত বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্যজুড়ে। এমন ঘটনা কি ইচ্ছাকৃত ভুল, নাকি অবহেলা? এই প্রশ্ন এখন উঠছে মাধ্যমিক বোর্ডের ওপর। প্রশ্ন উঠছে শিক্ষকদের বিরুদ্ধেও। ঘটনায় শিক্ষা দফতরের বিরুদ্ধে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন পরীক্ষার্থীর অভিভাবকদের একাংশ।

    এক জনের ২২ নম্বর বৃদ্ধি হয়েছে (Secondary Examination)!

    স্কুল ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা হল মাধ্যমিক পরীক্ষা। সদ্য প্রকাশিত হয়েছিল মাধ্যমিকের (Secondary Examination) ফলাফল। আর তাতে মোট ১২ হাজার ৪৬৮ জন পরীক্ষার্থীর নম্বর বেড়েছে। জানা গিয়েছে, স্ক্রুটিনিতে একজনের ২২ নম্বর বৃদ্ধি হয়েছে। এই নম্বর বৃদ্ধির ফলে মেধা তালিকার প্রথম দশে আরও ৭ জনের স্থান হয়েছে। এই ঘটনায় কার্যত চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। অবশ্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় বলেছেন, “এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্য জনক। এই ধরনের ঘটনা কাম্যনয়।” তবে এই রকম ভুলে শিক্ষাকদের ভূমিকা নিয়ে সন্দেহ করা শুরু হয়েছে।

    মূল্যায়ন কতটা যুক্তিযুক্ত?

    সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্ট শিক্ষক নিয়োগ মামলায় ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি বাতিল ঘোষণা করেছিল। এরপর হাইকোর্টের এই নির্দেশের উপর সুপ্রিম কোর্ট স্থগিতাদেশ দিয়েছে। জুলাই মাসে হবে পরবর্তী শুনানি। এখন প্রশ্ন হল আদালতের নির্দেশে যে সব শিক্ষকদের চাকরি বাতিল হয়েছে, তাঁদের মধ্যে কি কেউ মাধ্যমিক পরীক্ষার (Secondary Examination) খাতা দেখেছিলেন? আর যদি দেখেই থাকেন তাহলে তার মূল্যায়ন কতটা যুক্তিযুক্ত? এই প্রশ্ন এখন আলোচনার শীর্ষে।

    আরও পড়ুনঃ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস

    সময়ের আগেই ফল প্রকাশ হয়েছিল

    মাধ্যমিক পরীক্ষা (Secondary Examination) শুরু হয়েছিল ২ ফেব্রুয়ারি, শেষ হয়েছে ১২ ফেব্রুয়ারি। তিনমাস পর ফলাফল প্রকাশের কথা ছিল। কিন্তু সময়ের আগে ১২মে ফল প্রকাশিত হয়েছিল। পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৮০ দিনের মাথায় বের হয়। কাজেই মূল্যায়ন নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এবছর রাজ্যে ন’লক্ষেরও বেশি পরীক্ষার্থী মাধ্যমিক দিয়েছিল। এবার মাধ্যমিকে পাশ করেছে ৭ লক্ষ ৬৫ হাজার ২৫২ জন। পড়ুয়াদের মধ্যে অভিভাবকদের একাংশের বক্তব্য, “শিক্ষকরা দায়িত্ব জ্ঞানাহীন কাজ করেছেন। শাস্তি হওয়া উচিত।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: ভুয়ো সুপারিশ পত্রের মাধ্যমে নিয়োগ! এসএসসি দুর্নীতিতে যুক্ত শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মীরাও

    SSC Scam: ভুয়ো সুপারিশ পত্রের মাধ্যমে নিয়োগ! এসএসসি দুর্নীতিতে যুক্ত শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মীরাও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেআইনি নিয়োগের (Recruitment Case) ক্ষেত্রে এক দফতর থেকে অন্য দফতরে কী ভাবে ইমেল চালাচালির মাধ্যমে সমন্বয় সাধন করা হত, তা জানতে পেরেছে ইডি। আদালতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি,  ভুয়ো সুপারিশ পত্রের মাধ্যমে এসএসসিতে (SSC Scam) প্যানেলের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও ১৮৩ জন অযোগ্য প্রার্থীকে চাকরি দেওয়া হয়েছিল। অন্যদিকে সিবিআই জানিয়েছে শুধু মন্ত্রী, বা সরকারি আধিকারিক নয় রাজ্য় জুড়ে নিয়োগ দুর্নীতিতে যুক্ত রয়েছেন বহু শিক্ষকও। অযোগ্য় চাকরিপ্রার্থীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এরকম বহু শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীদের নাম পেয়েছে সিবিআই।

    আদালতে ইডির দাবি

    আদালতে ইডি দাবি করেছে, এসএসসিতে (SSC Scam) প্যানেলের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও ১৮৩ জন অযোগ্য প্রার্থীকে নিয়োগের জন্য তৈরি করা হয়েছিল ভুয়ো সুপারিশপত্র। এর পর সেই সুপারিশপত্র পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল মধ্য শিক্ষা পর্ষদ (ডব্লিউবিবিএসই)-এর কাছে। সেই দফতরের কয়েক জন কর্মীর মাধ্যমে অযোগ্য প্রার্থীদের ভুয়ো নিয়োগপত্র প্রকাশিত হত। ইডির দাবি, এসএসসির উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন প্রধান শান্তিপ্রসাদ সিন্‌হার নির্দেশে এই ভুয়ো সুপারিশপত্র তৈরির কাজটি করেছিলেন দফতরের অস্থায়ী কর্মী সমরজিৎ আচার্য। ইডির দাবি, এই সুপারিশগুলো এসেছিল মূলত ‘মিডলম্যান’ প্রসন্নকুমার রায়ের থেকে। তাঁর হয়ে আবার কাজ করতেন প্রদীপ সিং ওরফে ছোটু।

    কীভাবে করা হত সুপারিশ

    ইডি দাবি করেছে, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে এজেন্টদের সঙ্গে যোগ ছিল প্রসন্নের। ওই এজেন্টদের মাধ্যমে টাকার বিনিময়ে অযোগ্য প্রার্থীদের বিষয়ে তথ্য জোগাড় করতেন প্রসন্ন। তার পর বেআইনি ভাবে তাঁদের চাকরির সুপারিশ করতেন শান্তিপ্রসাদের কাছে। সমরজিৎকে অযোগ্য প্রার্থীদের নাম সুপারিশ করে যে ইমেল করেছিলেন ছোটু, তা হাতে এসেছে ইডির। ইডি জানিয়েছে, একটি মেল ২০২০ সালের ১৬ জুন সমরজিৎকে করেছিলেন প্রদীপ। মেলের সঙ্গে ‘একাদশ-দ্বাদশ অ্যালটেড স্কুল-২১’ নামাঙ্কিত একটি ‘অ্যাটাচমেন্ট’ পাঠানো হয়েছে। তাতে ২১ জন প্রার্থীর নাম পাঠানো হয়েছিল। ইডির আরও দাবি, সমরজিৎ এই সুপারিশপত্রের প্রিন্ট করিয়ে পাঠিয়ে দিতেন পর্ষদের দফতরে। সেখানে রাজেশ লায়েক নামে এক কর্মী নিয়োগপত্র (Recruitment Case)  প্রিন্ট করাতেন। সেই কাজটা করতেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে। নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির জন্য নিয়োগপত্র প্রিন্ট করাতেন রাজেশ।

    আর পড়ুন: হিন্দুজা পরিবারের চারজনকে কারাবাসের সাজা সুইৎজারল্যান্ডের আদালতের

    যুক্ত শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মীরা

    অন্যদিক, ২০১৬ সালের এসএসসি-র প্যানেলে (SSC Scam) অযোগ্য চাকরিপ্রাপকদের চিহ্নিত করার কাজ চালাচ্ছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় এজেন্সি সূত্রে খবর, অযোগ্য় চাকরিপ্রার্থীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ৩৭ জনের নাম পাওয়া গেছে। এর মধ্য়ে রয়েছে বিভিন্ন সকুলে কর্মরত ১১ জন শিক্ষক ও ২ জন অশিক্ষক কর্মীর নাম। অযোগ্য়দের বেআইনিভাবে চাকরি পাইয়ে দেওয়ায় কি ভূমিকা ছিল শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীদের? সরাসরি টাকার লেনদেনেও যুক্ত ছিলেন তাঁরা? জানতে চাইছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। সিবিআই সূত্রের খবর, সোমবার থেকে শিক্ষক, অশিক্ষক কর্মী সহ ৩৭ জনকে তলব করা হবে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Jiban Krishna Saha: “পদ মানে লুটেপুটে খাওয়া নয়, লোককে সেবা করা”, জেলখাটা জীবনকৃষ্ণের পোস্টে শোরগোল

    Jiban Krishna Saha: “পদ মানে লুটেপুটে খাওয়া নয়, লোককে সেবা করা”, জেলখাটা জীবনকৃষ্ণের পোস্টে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে শিক্ষক দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন মুর্শিদাবাদের তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা (Jiban Krishna Saha)। এবার তাঁর একটি পোস্ট করা লেখাকে ঘিরে ব্যাপক চর্চা শুরু হয়েছে। তিনি তৃণমূল কর্মীদের উদ্দেশে একটি বার্তা দিয়ে লেখেন, “পদ মানে ক্ষমতা নয়। পদ মানে দায়িত্ব। পদ মানে লুটেপুটে খাওয়া নয়, লোককে সেবা করা। এটা ভুলে গেলে আসে অহংকার। তারপর পতন।” এই পোস্ট সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। তবে মাধ্যম এই ভাইরাল বার্তালাপের সত্যতা যাচাই করেনি।

    কেন এই পোস্ট (Jiban Krishna Saha)?

    তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ (Jiban Krishna Saha) নিজে এই পোস্ট করে কী বার্তা দিতে চাইছেন, সেই বিষয়ে স্পষ্টতা আসেনি। কেউ কেউ বলছেন তা হলে কি চৈতন্য উদয় হয়েছে বিধায়কের? কারণ তৃণমূলের একাংশের লোকজন মনে করছেন, তাঁর জেলে যাওয়া প্রসঙ্গে দলের ভাবমূর্তি অনেকটাই খুন্ন হয়েছে। তবে এমন হওয়াটা কাম্য ছিলনা। টাকা নিয়ে চাকরি দেওয়া এবং প্রমাণ লোপাটের মতো গুরুতর অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে। নিজেকে স্বচ্ছ এবং নির্দোষ প্রমাণ করতেই এই পোস্ট করেছিলেন কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। যদিও বিধায়কের উত্তর পাওয়া যায়নি।

    পুকুরে মোবাইল ফেলে দিয়েছিলেন

    ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে নিজের বাড়ি থেকে রাজ্যের শিক্ষক দুর্নীতির দায়ে গ্রেফতার হয়েছিলেন জীবনকৃষ্ণ সাহা (Jiban Krishna Saha)। যখন তদন্তকারী অফিসারেরা বাড়িতে তল্লাশি করছিলেন, সেই সময় পাঁচিল টপকে পুকুরে নিজের মোবাইল ফেলে দিয়েছিলেন। পরে কার্যত ২ দিন ধরে পুকুরের জল তুলে সেই মোবাইল উদ্ধার করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এরপর থেকে জেলে ছিলেন তিনি।

    আরও পড়ুনঃউত্তরবঙ্গে তিন জেলায় লাল সতর্কতা! দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির দেখা নেই, তীব্র গরমে নাজেহাল

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জীবনকৃষ্ণ (Jiban Krishna Saha) নিজে তথ্য প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে অভিযুক্ত ছিলেন। তদন্তকারী অফিসারেরা জানিয়েছিলেন, তাঁর মোবাইল থেকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গিয়েছিল। চাকির বিক্রি করার বিষয়ে একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথাবার্তার চ্যাট পাওয়া গিয়েছিল। গ্রেফতার হওয়ার পর প্রথমে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু জামিন খারিজ হয় সেখানে। এরপর সুপ্রিম কোর্টে গেলে তাঁর জামিন গৃহীত হয়। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে নিজের বিধানসভার বাইরে যেতে পারবেন না জীবনকৃষ্ণ।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: “নথি চেয়ে যোগ্য-অযোগ্য শিক্ষকদের গুলিয়ে দিতে চাইছেন মমতা”, তোপ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: “নথি চেয়ে যোগ্য-অযোগ্য শিক্ষকদের গুলিয়ে দিতে চাইছেন মমতা”, তোপ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাকরি বৈধতার নথি জমা দিতে বলে রাজ্যের শিক্ষকদের হেয় প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাংবাদিক বৈঠক করে ঠিক এমনটাই দাবি করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। গতকাল বুধবার তিনি বলেন, “নথি চেয়ে যোগ্য-অযোগ্য শিক্ষকদেরদের গুলিয়ে দিতে চাইছেন মমতা। যোগ্যদের ঘাড়ে বন্দুক রেখে অযোগ্য শিক্ষকদেরদের বাঁচাতে চাইছে তৃণমূল।”

    কী বললেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)?

    বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) রাজ্যের মমতার সরকারকে তোপ দেগে বলেন, “শিক্ষকদেরকে এখন ২ শ্রেণীতে ভাগে ভাগ করা হচ্ছে। আমাদের বর্তমান শিক্ষামন্ত্রীর কথা অনুসারে শিক্ষক ও ব্যতিক্রমী শিক্ষক। এসএসসি আদালতে গিয়ে বলেছে প্রায় ৮ হাজার অযোগ্য শিক্ষক রয়েছে। এই অযোগ্যদের বাঁচাতে গিয়ে গোটা রাজ্যের ১ লক্ষ ৩০ হাজার শিক্ষককে হেনস্থা করা হচ্ছে। তাঁদের কাছ থেকে নথি চাওয়া হচ্ছে। সেই জন্য নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। এই নির্দেশিকা অনুসারে আগামী ২৭ মের মধ্যে চাকরি সংক্রান্ত নথি জেলা স্কুল পরিদর্শকের কাছে দেওয়া দিতে হবে। যাঁরা আজ থেকে ৩০-৩৫ বছর আগে চাকরি পেয়ছেন তাঁদের কাছ থেকে নথি চাওয়ার মানে কী? এমন কী কিছু শিক্ষক, যাঁরা কয়েক বছরের মধ্যে অবসর নেবেন তাঁদের কাছেও তথ্য চাওয়া হচ্ছে। যোগ্যদের ঘাড়ে বন্দুক রেখে অযোগ্যদের বাঁচাতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।”

    ভোট পরবর্তী হিংসা হাওড়ায়! বিজেপির কর্মীর বাড়িতে পড়ল পর পর বোমা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    আর কী বললেন?

    এদিন সাংবাদিক সম্মেলন করে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, “আমার প্রশ্ন হচ্ছে শিক্ষা দফতরের কাছে এই তথ্য তো থাকা উচিত। এসএসসি-র সুপারিশ পত্র চাওয়া উচিত। ত্রিশ বছর আগে এসএসসি ছিল না। সেই সময় কমিটির মাধ্যামে চাকরি হত। কমিটি চিঠি পাঠাত। সেই চিঠি এখন খুঁজে বের করতে বলা হয়েছে। অযোগ্যদের বিরুদ্ধে তদন্ত হোক। বার বার সকল শিক্ষকদের হেয় এবং অপমান করা হচ্ছে। তৃণমূল নোংরা রাজনীতি করছে। সিপিএম যদি চাকরি দেওয়া নিয়ে দুর্নীতি করে থাকে সেগুলিকে বার করুক। সিপিএম ধোয়া তুলসি পাতা নয়। সিপিএমের লোকগুলি এখন তৃণমূলের গিয়েছে।”    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • SSC: দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ১৩ জন শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীকে নিজাম প্যালেসে তলব করল সিবিআই

    SSC: দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ১৩ জন শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীকে নিজাম প্যালেসে তলব করল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই তলব করে নোটিশ দিল শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীদের (SSC)। ২০১৬ সালে এসএসসিতে চাকরি পাওয়া শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এই কাজ এবার শুরু হয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায়। রাজ্যের শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মোট ১৩ জনকে ডাকা হয়েছে নিজাম প্যালেসে। এবার যোগ্য-অযোগ্যদের কাছ থেকে কি প্রভাবশালীদের নাম বের হবে? এই প্রশ্ন এখন রাজনীতির একাংশের মধ্যে।

    জেলা স্কুল পরিদর্শকের বক্তব্য (SSC)

    ইতিমধ্যে, একাধিক শিক্ষক সংগঠন এবং বেশ কিছু স্কুলের প্রধান শিক্ষকেরা জানিয়েছেন, জেলা স্কুল পরিদর্শকের দফতর থেকে মেইল এসে পৌঁছেছে। তাঁদের মধ্যে বেশ কিছু শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীদের নাম উল্লেখ করে কলকাতায় আসার ডাক পাঠানো হয়েছে। এই বিষয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার স্কুল পরিদর্শক নিতাইচন্দ্র দাস জানিয়েছেন, “সরাসরি সংশ্লিষ্ট স্কুলেই নোটিশ পাঠিয়ে থাকতে পারে সিবিআই।” যদিও স্কুলের পরিদর্শক দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মামলা সুপ্রিম কোর্টে চলছে, যোগ্য-অযোগ্য (SSC) এখনও ঠিক হয়নি। ইতিমধ্যে কুশমান্ডি লক্ষ্মীপুরের এক শিক্ষক এবং গঙ্গারামপুরের বেলবাড়ির এক শিক্ষক আছেন এই তালিকায়।

    পাঠানো হয়েছে চিঠি

    অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যাদার সিবিআইয়ের একজন আধিকারিকের পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, “২০১৬ সালে এসএসসিতে (SSC) নিযুক্ত ‘রিজ়িয়োনাল লেভেল সিলেকশন টেস্ট’ (আরএলএসটি)-অ্যাডমিট কার্ড, সুপারিশ পত্র, যোগদানের নথি, জেলা স্কুল পরিদর্শকের তরফে অনুমোদনের নথি এবং বেতনের তথ্য নিয়ে হাজির হতে হবে নিজাম প্যালেসে।” উল্লেখ্য সুপ্রিম কোর্ট যোগ্য এবং অযোগ্যদের চিহ্নিত করার কথা যেমন বলা হয়েছে, তেমনি সিবিআইকে তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। ফেল তদন্তের এই কাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে এই তলবের কাজ শুরু করা হয়েছে।

    আরও পড়ুনঃসন্দেশখালিতে রাতের অন্ধকারে আন্দোলনকারী মহিলাকে বাড়ি থেকে অপহরণের চেষ্টা!

    এবিটিএ-এর বক্তব্য

    নিখিলবঙ্গ শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে জেলা সম্পাদক অনিমেষ লাহিড়ী বলেছেন, “সিবিআই জেলায় জেলায় নোটিশ দিতে শুরু করেছে। যোগ্যদের (SSC) চাকরি রেখে অযোগ্যদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাই। এই দুর্নীতির সঠিক তদন্ত হওয়া উচিত।”  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে শুরু চাকরিহারাদের তথ্য সংগ্রহের কাজ, ‘অযোগ্য’দের সিবিআই তলব

    SSC Scam: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে শুরু চাকরিহারাদের তথ্য সংগ্রহের কাজ, ‘অযোগ্য’দের সিবিআই তলব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Scam) অভিযুক্ত ‘অযোগ্য’ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের তলব করতে শুরু করল সিবিআই। ‘কোথাও নাম নেই, কীভাবে চাকরি পেলেন?’, ‘কাকে টাকা দিলেন?’, এরকমই সিবিআইয়ের কড়া প্রশ্নের মুখে পড়তে হতে পারে ঘুরপথে চাকরি পাওয়া ওই ব্যক্তিদের। আদালতের নির্দেশ মেনে প্রার্থীর পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড ও বেতন পাওয়ার নথি যাচাই সহ নিজাম প্যালেসে ‘অযোগ্য’দের তলব করা হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রের খবর।  

    সিবিআই তদন্ত চলছে

    শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়ার যাবতীয় তথ্য ও নথি সংগ্রহের কাজ শুরু করেছে সিবিআই। ‘দুর্নীতি’র (SSC Scam) অভিযোগে ২০১৬ সালের এসএসসি নিয়োগ প্রক্রিয়ার পুরো প্যানেলটিই বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। এক ধাক্কায় চাকরি যায় ২৫,৭৫৩ জন শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীর। বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চের রায়ে অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তবে এই পরীক্ষায় অযোগ্য চাকরি প্রাপকদের খুঁজে বার করার কথাও বলেছে শীর্ষ আদালত। তাই এই ঘটনায় সিবিআই তদন্ত চালিয়ে যেতে পারে বলে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের নির্দেশেই এবার তদন্ত শুরু করল সিবিআই।

    আরও পড়ুন: নির্বাচনী বিধিভঙ্গ! প্রধানমন্ত্রী মোদির বিরুদ্ধে মামলা খারিজ দিল্লি হাইকোর্টে

    উঠতে পারে কোনও নাম

    সূত্রের খবর, ওএমআর যাচাইকারী সংস্থা নাইসা থেকে সিবিআই যে হার্ড ডিস্ক উদ্ধার করেছে, সেখানেই রয়েছে কারা সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন, কাদের ওএমআরে ম্যানুপুলেশন হয়েছে তার সম্পূর্ণ তালিকা রয়েছে এসএসসিও (SSC Scam) অনেককে চিহ্নিত করেছে। অনেকের চাকরি বাতিল হয়েছে। তবে অনেকে চাকরিও করছেন। এই অযোগ্যদেরই এবার তলব করেছে নিজাম প্য়ালেস। তালিকা ধরে ধরে প্রায় ৪৩২৭ জন ‘অযোগ্য’কে তলব করা শুরু করেছে সিবিআই। অযোগ্যদের মোট ৬টি তালিকা সিবিআইয়ের হাতে। প্রত্যেক তালিকা থেকেই বেশ কয়েকজনকে তলব করা হয়েছে বলে খবর। এদেরকে জেরা করে কোনও বড় নামও মিলতে পারে বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share