Tag: state armed police

state armed police

  • Lok Sabha Election 2024: কেন্দ্রীয় বাহিনী বা রাজ্য সশস্ত্র পুলিশ, কার কী ভূমিকা জানাল কমিশন

    Lok Sabha Election 2024: কেন্দ্রীয় বাহিনী বা রাজ্য সশস্ত্র পুলিশ, কার কী ভূমিকা জানাল কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন। ১৯ এপ্রিল হবে প্রথম দফার নির্বাচন। এবার নির্বাচন হবে সাত দফায়। শেষ দফার ভোট হবে ১ জুন। প্রথম দফায় দেশের বেশ কিছু আসনের সঙ্গে এদিন নির্বাচন হবে বাংলার তিনটি আসনেও। এই তিনটি আসনই অবশ্য উত্তরবঙ্গে। নির্বাচন (Lok Sabha Election 2024) বিঘ্নহীন করতে চেষ্টার কসুর করছে না জাতীয় নির্বাচন কমিশন। ইতিমধ্যেই জারি করা হয়েছে গুচ্ছ নির্দেশিকা। যেসব কেন্দ্রে প্রথম দফায় নির্বাচন হবে, সেসব জায়গায় ইতিমধ্যেই পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। ভোটের মুখে আসতে পারে আরও কয়েক কোম্পানি। পর্যাপ্ত পরিমাণে কেন্দ্রীয় বাহিনী না থাকায় নির্বাচনের কাজে লাগানো হতে পারে রাজ্য সশস্ত্র পুলিশকেও।

    ডুজ (Lok Sabha Election 2024)

    নির্বাচন চলাকালীন পর্বে কেন্দ্রীয় বাহিনী কিংবা রাজ্য সশস্ত্র পুলিশ কার কী করণীয়, তা জানিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন। এগুলি হল,

    ১) পোলিং স্টাফ, ভোটার ও পোলিং এজেন্টদের সঙ্গে ভদ্র, সৌজন্যমূলক ও সহযোগিতামূলক আচরণ করতে হবে। প্রসাইডিং অফিসারের আদেশ মেনে চলতে হবে। দায়িত্বের সময় সতর্ক থাকতে হবে।

    ২) ভোট কেন্দ্র বা (Lok Sabha Election 2024) ভোট প্রাঙ্গনে ঘটতে থাকা যে কোনও দুর্ঘটনা বা ঘটনার মোকাবিলা করুন দ্রুত ও নিরপেক্ষভাবে।

    ৩) জনগণকে নিরাপদ বোধ করুন। আস্থার বোধ তৈরি করুন, যাতে তাঁরা নির্ভয়ে ভোট দিতে পারেন, নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারেন।

    ৪) নির্বাচনী প্রচার চলাকালীন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও নির্বাচনী প্রার্থীদের নিরাপত্তা বজায় রাখুন। তাঁদের নিরাপত্তার জন্য সর্বদা সতর্ক থাকুন।

    ৫)ভোটকেন্দ্র বা পোস্টের যথাযথ প্রতিরক্ষা স্থাপন করতে হবে।

    ৬) ভোট কেন্দ্রের প্রবেশ গেটে দাঁড়ান। প্রিসাইডিং অফিসার ডাকলেই বুথে প্রবেশ করুন।

    ৭)ভোটকেন্দ্রে পৌঁছানোর পর ভোটকেন্দ্র প্রাঙ্গন পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরিদর্শন করুন (Lok Sabha Election 2024)।

    ৮) ভোট দেওয়ার জন্য লাইনকে সাবধানতার সঙ্গে নিয়ন্ত্রিত করা উচিত।

    ৯) ভোটকেন্দ্রে দুর্নীতিবাজদের শনাক্ত করার জন্য সতর্ক থাকুন এবং যদি এমন কিছু লক্ষ্য করা যায়, তাহলে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার মাধ্যমে ডিইও/আরও, সেক্টর অফিসার এবং পর্যবেক্ষককে অবহিত করুন।

    ১০) পোলিং স্টাফ/ইভিএম নিয়ে আসা এবং ডি-ডি-এর সময়, এসকর্ট করার সময় অতিরিক্ত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।

    ১১) অসদাচরণ/আইন-শৃঙ্খলাভঙ্গের আশঙ্কা প্রিসাইডিং অফিসার/সেক্টর অফিসারের নজরে আনতে হবে।

    ১২) কোনও চরমপন্থী হামলার ক্ষেত্রে আদেশের জন্য অপেক্ষা করবেন না এবং হুমকিকে নিরপেক্ষ করতে কার্যকরভাবে প্রতিক্রিয়া করুন।

    ১৩) নিম্নলিখিত ব্যক্তিরা ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারেন – ক) নির্বাচক, খ) প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, তাঁর নির্বাচনী এজেন্ট এবং পরিচয়পত্র সঙ্গে নিয়ে প্রতিটি প্রার্থীর একজন করে পোলিং এজেন্ট।

    ১৪) নিরপেক্ষভাবে আপনার দায়িত্ব পালন করুন।

    ডোন্টজ

    নির্বাচনী দায়িত্বের সময় কেন্দ্রীয় বাহিনী ও রাজ্যের সশস্ত্র পুলিশ কী কী করবেন না।

    ১) নির্বিচারে (Lok Sabha Election 2024) গুলি চালানোর পন্থা অবলম্বন করবেন না। গুলি চালানো উচিত আত্মরক্ষার শেষ অবলম্বন হিসেবে। ভোটার ও ইভিএমের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্যও।

    ২) আপত্তিজনক শব্দ ব্যবহার করবেন না এবং অপ্রয়োজনীয়ভাবে বলপ্রয়োগ করবেন না।

    ৩) কারও সঙ্গে খুব বেশি বন্ধুত্ব করবেন না। ভোটগ্রহণ কর্মী বা বহিরাগত কারও কাছ থেকে চা, সিগারেট বা কোনও অনুগ্রহ গ্রহণ করবেন না। ভোট কেন্দ্রে ধূমপান করবেন না।

    ৪) পোলিং স্টাফ, কাগজপত্র এবং ইভিএম সুরক্ষার জন্য শক্তি ব্যবহার করতে দ্বিধা করবেন না যা আপনার প্রাথমিক দায়িত্ব।

    ৬) আপনার নির্ধারিত ডিউটি পয়েন্ট (পোলিং স্টেশন/প্রাঙ্গন) ছেড়ে যাবেন না।

    ৬) অপ্রয়োজনীয় কথা বলবেন না, প্রিসাইডিং অফিসারের দেওয়া সমস্ত আদেশ/নির্দেশ মেনে চলুন

    ৭) একটি নির্দিষ্ট বিভাগ বা বর্ণের লোকদের একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর সাথে পরিচিতি দেখাবেন না।

    ৮) কোনও পক্ষ থেকে কোনও অনুগ্রহ গ্রহণ করবেন না বা এমনভাবে কাজ করবেন না, যা এগিয়ে যেতে সহায়তা করতে পারে

    কোনও দল বা প্রার্থীর জয়ে সম্ভাবনাকে। কোনওভাবেই কোনও ভোটারকে প্রভাবিত করবেন (Lok Sabha Election 2024) না।

    ৯) নিরাপত্তা প্রদান করা ছাড়া ভোট কেন্দ্রে নির্বাচনী প্রক্রিয়ার সঙ্গে নিজেকে জড়িয়ে ফেলবেন না। আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখবেন।

    ১০) কোনও নির্বাচনী সভা সংগঠিত বা তাতে অংশগ্রহণ করবেন না। সভা চলাকালীন কোনও রাজনৈতিক অগ্রগতিতে সহায়তা করবেন না।

    ১১) কোনও ব্যক্তি/দলকে ভোট দিতে বলবেন না/অনুরোধ করবেন না। আপনার রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা এবং অনুভূতিগুলি দেখানো/শেয়ার করবেন না (Lok Sabha Election 2024)।

     

    আরও পড়ুুন: মোদির সভায় জন সুনামি, ভিড়ের প্রশংসা করলেন প্রধানমন্ত্রী

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: প্রতি বুথে অর্ধেক কেন্দ্রীয় বাহিনী, অর্ধেক রাজ্য পুলিশ! বড় নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    Panchayat Election 2023: প্রতি বুথে অর্ধেক কেন্দ্রীয় বাহিনী, অর্ধেক রাজ্য পুলিশ! বড় নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election 2023) রাজ্যের প্রতিটি বুথে সশস্ত্র নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। সশস্ত্র বাহিনীর অর্ধেক কেন্দ্রীয় বাহিনী ও অর্ধেক রাজ্যের বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চের। আইজি বিএসএফ এবং নোডাল অফিসারদের এই নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ভোট গণনা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিশেষ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে রাজ্যে৷ তাই এমন বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ আদালতের।

    ৮০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী

    প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশে জানিয়েছে, পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election 2023) মোট ৮০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে। যার অর্থ, ৬৫ হাজার অ্যাকটিভ ফোর্স। এর সঙ্গে থাকছে রাজ্যের ৭০ হাজার সশস্ত্র পুলিশ। এই দুই বাহিনীকে ৫০:৫০ অনুপাতে ব্যবহার করতে হবে। কুইক রেসপন্স টিমেও কেবল রাজ্য পুলিশ রাখলে চলবে না।

    গণনা পর্যন্ত বাহিনী

    আদালতের আরও নির্দেশ, বিএসএফের আইজি পদ মর্যাদার অফিসার ফোর্স কো-অর্ডিনেটর হিসেবে কাজ করবেন। কোথায় কত ফোর্স পাঠাতে হবে, তা ঠিক করবেন তিনিই। আদালতের এই নির্দেশের জেরে বাহিনী মোতায়েনের বিষয়টি আর পুরোপুরি রাজ্য নির্বাচন কমিশনের হাতে রইল না। প্রধান বিচারপতি বলেন, প্রথম নির্দেশেই আদালত জানিয়েছিল যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। তার মানে শুধু ভোটের দিন নয়, গোটা পঞ্চায়েত নির্বাচন চলাকালীন বাহিনী মোতায়েনের কথা বলা হয়েছিল।

    আরও পড়ুুন: ‘পঞ্চায়েত ভোটে স্পর্শকাতর বুথ ঠিক করেছেন ভাইপো,’ বিস্ফোরক অভিযোগ সুকান্তের

    প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election 2023) কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে প্রথম থেকেই বিস্তর জল ঘোলা হয়েছিল। বিরোধীরা কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি জানালেও, রাজ্য নির্বাচন কমিশন রাজ্য পুলিশের ওপরই আস্থা রাখছিল। প্রয়োজনে ভিন রাজ্য থেকেও বাহিনী আনার চেষ্টা করছিল। এর পরেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বিরোধীরা। নিয়মরক্ষার্থে তার পর ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে পাঠায় কমিশন। ফের আদালতে যান বিরোধীরা। এর পর আদালত জানিয়ে দেয় আরও ৮০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। শেষমেশ রাজ্যে আসছে ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। রাজনৈতিক মহলের মতে, প্রতিটি বুথে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন থাকলে আস্থা বাড়বে ভোটারদের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share