Tag: State Budget 2025

  • State Budget 2025: ‘নারী সুরক্ষা, লক্ষ্মী ভাণ্ডার, মহিলাদের জন্য কিছুই নেই’ রাজ্য বাজেটকে নিশানা শুভেন্দুর

    State Budget 2025: ‘নারী সুরক্ষা, লক্ষ্মী ভাণ্ডার, মহিলাদের জন্য কিছুই নেই’ রাজ্য বাজেটকে নিশানা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য বাজেটকে (State Budget 2025) বেকার বিরোধী বলে মন্তব্য করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বুধবার শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। রাজ্য সরকারি কর্মীদের চার শতাংশ ডিএ বৃদ্ধির পাশাপাশি পঞ্চায়েতে ও গ্রামোন্নয়নে এবার বরাদ্দ করা হলো ৪৪ হাজার কোটি টাকা। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর মতে, ‘এটি বেকার-বিরোধী বাজেট।’ ২০২৬ সালের পূর্ণাঙ্গ বাজেট বিজেপি সরকারই তৈরি করবে বলে দাবি করেছেন তিনি।

    মহিলাদের জন্য ভাবনা কোথায়

    এদিন, বিধানসভায় বাজেট (State Budget 2025) পেশ করেন রাজ্যের অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তাঁর বাজেট বক্তৃতা শেষ হতে না হতেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে ওয়াকআউট করেন বিজেপি বিধায়করা। বিধানসভার বাইরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘এই বাজেট বেকার-বিরোধী। মহিলাদের জন্য একটি শব্দও খরচ করা হয়নি। ডিএ বেড়েছে মাত্র চার শতাংশ। কেন্দ্রের সঙ্গে এখনও ফারাক অনেকটাই। সর্বোপরি যুব সম্প্রদায়ের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে। বেকার শিক্ষিত যুবক-যুবতীদের এই দুর্মূল্যের বাজারে ঠকিয়েছে রাজ্য সরকার।’

    রাজ্য বাজেটে যা নেই

    ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান পশ্চিম মেদিনীপুরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিবছর বৃষ্টিতে জলের তলায় যায় ঘাটাল-সহ বিস্তীর্ণ এলাকা। এই এলাকায় বন্যার সমস্যা দূর করার জন্য মাস্টার প্ল্যান প্রয়োজন। মাস্টার প্ল্যান নিয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘ঘাটালে তো জমি অধিগ্রহণই হয়নি, সেখানে আবার বরাদ্দ কীসের?’ বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব মেদিনীপুরের মানুষ জল পান না। পাহাড়ের জনজাতির জন্য কোনও পরিকল্পনা নেই। অভিযোগ তাঁর। বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘মতুয়াদের জন্য একটা বাক্য নেই। সুন্দরবনের কথা নেই। নতুন পে কমিশনেরও প্রস্তাব নেই।’

    নারী সুরক্ষার কথা নেই

    বুধবার রাজ্যের পেশ করা বাজেটে (State Budget 2025)  নারী সুরক্ষার বিষয়ে কিছুই উল্লেখ নেই বলে জানান শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। পাশাপাশি এও মনে করিয়ে দেন, মহিলাদের জন্য সামাজিক প্রকল্প লক্ষ্মীর ভান্ডারের জন্যও বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হয়নি বাজেটে। তুলনায় টানতে ওড়িশা, মহারাষ্ট্র, হরিয়ানার মতো বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলির কথা তুলে আনেন তিনি। এমনকি দিল্লিতেও বিজেপি মহিলাদের জন্য মাসে ২৫০০ টাকা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তা-ও স্মরণ করিয়ে দেন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দুর সংযোজন, রাজ্যে বিজেপির ডাবল ইঞ্জিন সরকার হলে ‘প্রত্যেক বাড়িতে একটি করে চাকরির প্রতিশ্রুতি দেবে বিজেপি। ২০২৬ সালের প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেট তৈরি করবে বিজেপি সরকারই।’

  • State Budget 2025: “চার শতাংশ ডিএ ভিক্ষা”! রাজ্য বাজেটকে কটাক্ষ সুকান্তর

    State Budget 2025: “চার শতাংশ ডিএ ভিক্ষা”! রাজ্য বাজেটকে কটাক্ষ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনকে সামনে রেখে ভাঁওতার বাজেট (State Budget 2025) পেশ করেছে রাজ্য সরকার। বুধবার এমনই দাবি করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Mjumdar)। আগামী অর্থবর্ষের জন্য তৈরি করা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের এই বাজেটের সমালোচনা করেছেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা বঙ্গ-বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও ৷ এদিন হুগলির ত্রিবেণীতে কুম্ভস্নানের পর এই নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেন তিনি ৷ সুকান্তর দাবি, এই বাজেটের মাধ্যমে রাজ্যবাসীকে ভাঁওতা দিয়েছে মমতার সরকার ৷

    ডিএ নিয়ে সরব

    রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ বাড়ল ৪ শতাংশ। ২০২৫ সালের ১ এপ্রিল থেকে ৪ শতাংশ বর্ধিত ডিএ পাবেন রাজ্যের সরকারি কর্মীরা। এর ফলে রাজ্যের সরকারি কর্মীদের ডিএ বেড়ে দাঁড়াল ১৮ শতাংশ। সরকারি কর্মচারিদের চার শতাংশ ডিএ বৃদ্ধি নিয়ে সুকান্তর প্রতিক্রিয়া, “কেন্দ্রের সঙ্গে এখনও কত তফাত। পে কমিশন ঘোষণার দরকার যেখানে, সেখানে ডিএ দিচ্ছে, তাও চার শতাংশ। বিজেপি ক্ষমতায় এলে চার শতাংশর ভিক্ষা নয়। কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়া হবে।”

    মিথ্যার ফুলঝুড়ি

    রাজ্য বাজেট (State Budget 2025) পেশের পর এদিন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Mjumdar) বলেন, “এই বাজেট নির্বাচনকে সামনে রেখে মিথ্যা কথার ফুলঝুরি। বাজেট কেমন হয় কেন্দ্রীয় বাজেটটা দেখুন।” বাজেটে ৭০ হাজার আশাকর্মীকে স্মার্টফোন দেওয়ার ঘোষণাকে কটাক্ষ করে সুকান্ত বলেন, “আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের মোবাইল কিনতে দুশো কোটি টাকা, এটা কেন্দ্রের টাকা। মুখ্যমন্ত্রীর টাকা নয়। আমরা মামলা করব ভাবছিলাম। বাজেটে ঘোষণা করে মামলার হাত থেকে বাঁচল। ভারতবর্ষের সব রাজ্যের আশা ও আইসিডিএস কর্মীরা আগে থেকে মোবাইল ব্যবহার করে। এটা এগিয়ে বাংলা না পিছিয়ে বাংলা!”

    শিল্পের কোনও দিশা নেই

    শিল্প এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে রাজ্যে ২ কোটি চাকরি তৈরি হয়েছে বলে জানান চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তিনি আরও দাবি করেন, রাজ্যে বেকারত্বের হার কমেছে ৪০ শতাংশ। এ প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, মুখেই বলা হচ্ছে কিন্তু কাজ কোথায়। রাজ্য বাজেটে শিল্পেরও কোনও দিশা নেই বলে অভিযোগ বিজেপি সাংসদের। তিনি বলেন, “বেকার ছেলেদের চাকরি পাওয়ার রাস্তা কোথায়। সরকারি চাকরি না পেলে প্রাইভেট জায়গায় যে কাজ করবে তার রাস্তা কোথায়। শিল্পই নেই।”

LinkedIn
Share