Tag: State Police

State Police

  • Calcutta High court: চার ছাত্রের গ্রেফতারি ‘বেআইনি’, পুলিশকে ‘বিধি মানার’ নির্দেশ বিচারপতির

    Calcutta High court: চার ছাত্রের গ্রেফতারি ‘বেআইনি’, পুলিশকে ‘বিধি মানার’ নির্দেশ বিচারপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক তরুণীকে নির্মম ভাবে হত্যার প্রতিবাদে, ২৬ অগাস্ট পশ্চিমবঙ্গের ছাত্র সমাজ নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল। দাবি ছিল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ। এই অভিযানের আগের রাতে হাওড়া থেকে চার ছাত্রকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এই নিয়ে মামলা গড়ায় কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High court)। মঙ্গলবার বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ পুলিশের (West Bengal Police) এই আচরণে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেন। 

    ছাত্রপক্ষ এবং রাজ্যপক্ষ আইনজীবীদের বক্তব্য (Calcutta High court)

    নবান্ন অভিযানের ঠিক আগেই হাওড়া থেকে যে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, তাঁদের নাম হল-শুভজিৎ ঘোষ, পুলকেশ পণ্ডিত, গৌতম সেনাপতি এবং প্রীতম সরকার। ওই চার ছাত্রের নিখোঁজ হওয়া নিয়ে সমাজমাধ্যমে রীতিমতো আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যদিও তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয় পরের দিনই। কিন্তু, এই ভাবে গ্রেফতারি ঘটনায় পুলিশের (West Bengal Police) তীব্র নিন্দা এবং রাজ্য প্রশাসনকে চরম ভর্ৎসনা করেছে হাইকোর্ট (Calcutta High court)। এই বিষয়ে যদিও রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার আদালতে রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়। রাজ্য পুলিশের (West Bengal Police) দাবি, “গোপন খবর ছিল নবান্ন অভিযানে বড় রকমের গোলমাল হতে পারে। আর তার ভিত্তিতেই আগাম গ্রেফতার করা হয়েছিল।” পাল্টা ছাত্রপক্ষের আইনজীবী বলেন, “নিয়ম মেনে পুলিশ গ্রেফতার করেনি, পরে তাঁদের বেলুড় থানা থেকে ছেড়েও দেওয়া হয়েছিল।”

    আরও পড়ুনঃ ‘‘এমএলএ বলে যা খুশি করবেন’’! ট্রেনের যাত্রীদের ক্ষোভের মুখে তৃণমূল বিধায়ক

    বিচারপতির তীব্র ক্ষোভ!

    বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ (Calcutta High court) বলেন, “কোন সূত্র মারফত পুলিশ ছাত্রদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেল? কী অভিযোগ ছিল? তাঁদের বিরুদ্ধে অতীতে কোনও অপরাধের ঘটনা যদি ঘটিয়ে থাকেন, সেই তথ্য কোথায়? আর যদি মারাত্মক অভিযোগ পেয়ে থাকে, তাহলে ছাড়লই বা কেন? কোনও ভাবেই এই কাজ করা যায় না। বিধি মেনে কাজ করতে হবে পুলিশকে। আইন রক্ষার দায়িত্ব পুলিশের (West Bengal Police) উপর ন্যস্ত করা আছে, কিন্তু তার মানে এই নয় যে তারা বেআইনি কাজ করতে পারে। আগামী সাতদিনের মধ্যে উভয় পক্ষকেই হলফনামা ও তার পাল্টা বক্তব্য জানাতে হবে।” পরবর্তী শুনানির দিন হল ৯ সেপ্টেম্বর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jharkhand: ছত্তিশগড়ের পর এবার ঝাড়খণ্ড! বাহিনীর গুলিতে নিহত চার মাওবাদী

    Jharkhand: ছত্তিশগড়ের পর এবার ঝাড়খণ্ড! বাহিনীর গুলিতে নিহত চার মাওবাদী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছত্তিশগড়ের পর এবার ঝাড়খণ্ড (Jharkhand)। সোমবার সাতসকালে মাওবাদী এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে রক্ত ঝরল ঝাড়খণ্ডে। দু’‌পক্ষের মধ্যে গুলির লড়াই হলেও মাওবাদীরা এঁটে উঠতে পারেনি। পশ্চিম সিংভূম জেলায় গুলির লড়াইয়ে চার জন মাওবাদীকে নিকেশ করেছে পুলিশ। 

    ঠিক কী ঘটেছিল? (Maoists Encounter) 

    জানা গিয়েছে, ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) টন্টো এবং গোইলকেরা এলাকায় কয়েকজন মাওবাদী লুকিয়ে রয়েছে বলে খবর পায় রাজ্যের পুলিশ। খবর পেয়েই মাওবাদী দমনে গোপন অভিযান চালানো হয়। তবে অভিযানের শুরুতেই লুকিয়ে থাকা মাওবাদীরা অতর্কিতে পুলিশবাহিনীর ওপর হামলা চালায়। শুরু হয় গুলির লড়াই। আর সেই গুলির লড়াইতেই মৃত্যু হয়েছে ৪ জন মাওবাদীর। একইসঙ্গে এদিন একজন মহিলা মাওবাদী নেত্রী সহ ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একাধিক অস্ত্র। ঘটনার পরে এলাকায় শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। মনে করা হচ্ছে, এই ঘটনায় যুক্ত আরও কয়েকজন মাওবাদী সেই এলাকায় লুকিয়েও থাকতে পারে।  

    আরও পড়ুন: বহরমপুরে বিজেপি কর্মীদের লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি-বোমাবাজি! কাঠগড়ায় তৃণমূল

    সিংভূম জেলার পুলিশ সুপারের মন্তব্য  

    এ প্রসঙ্গে সিংভূম জেলার পুলিশ সুপার আশুতোষ শেখর বলেছেন, “গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সোমবার সকালে জঙ্গল এলাকায় তল্লাশি অভিযান শুরু করা হয়। সে সময় নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় মাওবাদীরা। পাল্টা জবাব দেয় নিরাপত্তা বাহিনীও। তখনই এনকাউন্টারে মৃত্যু (Maoists Encounter) হয় চার জন মাওবাদীর।” পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, যে চারজন মাওবাদীর মৃত্যু (Maoists Encounter) হয়েছে তার মধ্যে ছিল—একজন জোনাল কমান্ডার, একজন সাব জোনাল কমান্ডার এবং একজন এরিয়া কমান্ডার। তাছাড়া একজন সাধারণ মাওবাদীও ছিল। আর যে দু’জন মাওবাদীকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের মধ্যে একজন এরিয়া কমান্ডার। আর একজন সাধারণ মাওবাদী। 

    উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচনের আগেও মাওবাদীদের উৎপাত শুরু হয়েছিল। আর এবার লোকসভা নির্বাচন শেষ হলেও মাওবাদীরা দাপট দেখাচ্ছে। দিন দুয়েক আগেই ছত্তিশগড়ের বস্তার ডিভিশনের নারায়ণপুর জেলার অবুঝমাড়ের জঙ্গলে গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয়েছিল নিষিদ্ধ সংগঠন সিপিআইএমএল (মাওবাদী)-র অন্তত আট সদস্যের। আর এই ঘটনার দুদিনের মধ্যেই আবারও ঝাড়খণ্ডে (Jharkhand) মাওবাদী দমনে সাফল্য এল।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: রাজ্য জুড়ে চাঞ্চল্য! ভোটের মুখে বাংলা থেকে উদ্ধার হাজারেরও বেশি বোমা

    Lok Sabha Election 2024: রাজ্য জুড়ে চাঞ্চল্য! ভোটের মুখে বাংলা থেকে উদ্ধার হাজারেরও বেশি বোমা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ভোটের আবহ। ভোট আসতেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলা। ভোটের (Lok Sabha Election 2024) মুখে গত এক মাসে বাংলা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে হাজারেরও বেশি বোমা। নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে বোমার পাশাপাশি বহু বিস্ফোরক পদার্থও উদ্ধার করা হয়েছে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে দুশো কোটিরও বেশি টাকার সম্পত্তি। ফলে ভোটের দোরগোড়ায় এসে প্রতিনিয়ত রাজ্য থেকে এমন বেআইনি জিনিস উদ্ধারের খবরে রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সাধারণ জনগণের মধ্যে।

    কী কী জিনিস বাজেয়াপ্ত

    নির্বাচন কমিশনের(Election Commission) তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে, ১ মার্চ থেকে এখনও পর্যন্ত বাংলায় মোট ২৩৬ কোটি ৬৩ লক্ষ টাকার জিনিস বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তার মধ্যে শুধু নগদ টাকার পরিমাণই ১৩ কোটি ৮২ লক্ষ। এছাড়াও বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে মোট ২২ লক্ষ ১৫ হাজার ২৭ লিটার মদ। যার আনুমানিক বাজারমূল্য ৫৫ কোটি টাকা। একই সঙ্গে ২৭ কোটি টাকার বাজার মূল্যের ৬,৫৫৩ কেজি মাদকও উদ্ধার করা হয়েছে।

    ১০০৪টি বোমা উদ্ধার

    এছাড়াও নির্বাচন কমিশনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত এক মাসে রাজ্য পুলিশ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ১০০৪টি বোমা উদ্ধার করেছে। উদ্ধার করেছে ৪১.৩৬ কেজি বিস্ফোরক সহ ৩৭৮টি অস্ত্র ও ৫৪৩টি কার্তুজ। তবে কেবলমাত্র নগদ টাকা, মদ কিংবা বোমাতেই থেমে নেই, কমিশনের তথ্য অনুযায়ী,বোমা ও কার্তুজের পাশাপাশি বাংলা (West Bengal) থেকে ১৬৯.৮১ কেজি মূল্যবান ধাতু উদ্ধার করেছে পুলিশ। যার বাজারমূল্য ৩৪.২৮ কোটি টাকা। এ ছাড়াও উপঢৌকন হিসাবে বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মোট ২ কোটি ১৬ লক্ষ ৮৯ হাজার ৭৬২টি জিনিস বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। হিসাব করে দেখা গিয়েছে, সেগুলির বাজারমূল্য ৫২.৯৬ কোটি টাকা। এ ছাড়াও ১ কোটি ৪২ লক্ষ ৪৩ হাজার ৪৯৮টি অন্যান্য জিনিস উদ্ধার করা হয়েছে। যার বাজারমূল্য ৫৩.৫১ কোটি টাকা।

    আরও পড়ুন: এবছর কি আপনার প্রথম ভোট? তাহলে জেনে নিন ভোটকেন্দ্রে কী কী করণীয়?

    অতএব বোঝাই যাচ্ছে, ভোটের(Lok Sabha Election 2024) আগে বেশ আঁটোসাঁটো নিরাপত্তার মধ্যে রাজ্যকে মুড়ে রেখেছে নির্বচন কমিশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিনিধিরা। আর তাদের সঙ্গে সঙ্গ দিতে পিছিয়ে নেই রাজ্য পুলিশও (state police), ভোটের আগে বা ভোট চলাকালীন যাতে কোনও রকম অশান্তির ছায়া রাজ্যের ওপর না পড়ে সেই দিকে সব সময় সজাগ হয়ে নজর রাখছে নির্বাচন কমিশনের(Election Commission) আধিকারিকরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Madan Mitra:  রাজ্য পুলিশকে একী বললেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র?

    Madan Mitra: রাজ্য পুলিশকে একী বললেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra) । তিনি বেলঘরিয়ায় দলীয় সভায় প্রকাশ্যে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। তিনি বলেন, রাজ্যের পুলিশকে বলছি, আপনারা ভুলে যান তৃণমূল কংগ্রেস শাসকদলে রয়েছে। কয়েকদিন আগে রথতলায় ৫০টি মাইক বেঁধে সিপিএম সভা করল। আপনার চুপচাপ বসে বসে মজা দেখছিলেন। তবে, সব পুলিশ এক নয়। পুলিশের মধ্যে কিছু চড় রয়েছে। এরপর তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন,  বিজেপি বাংলার বাজার গরম করলে কিভাবে ঠান্ডা করতে হয় তৃণমূলের কাছে সেই মন্ত্র আছে। প্রয়োজনে সেই মন্ত্র প্রয়োগ করা হবে।বারাকপুর কমিশনারেটের পুলিশ জেনে রাখুন আমরা বাংলা চালাই। সিপিএম, বিজেপিকে আপনারা বাবা বলে ভাবলেও ওরা কিন্তু বাবা নয়। মুখ্যমন্ত্রী একধারে পুলিশমন্ত্রীও। শাসক দলের দাপুটে এই নেতার পুলিশ নিয়ে এই মন্তব্যে রাজনৈতিক মহলে জোর চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। তাহলে কী বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশ দলদাস হয়ে কাজ করছে না। কী কারণে পুলিশের বিরুদ্ধে এই ধরনের মন্তব্য কামারহাটির কালারফুল বয় (Madan Mitra) করলেন তা তিনি খোলসা করেননি। তবে, দলের অন্দরে এই নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। বিরোধীরা এটা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়নে। আসলে পুলিশকে হুঁশিয়ারি দেওয়ার অর্থ মুখ্যমন্ত্রীকে তিনি পরোক্ষে হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন।

    কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচিকে একী বলেন তৃণমূল বিধায়ক? Madan Mitra

    সাগরদিঘিতে বিরোধীদের অশুভ আঁতাত হয়েছে বলে মদন মিত্র (Madan Mitra) বারবার সোচ্চার হয়েছেন। এবার বিরোধীদের অশুভ আঁতাতের বিরুদ্ধে কামারহাটিতে ধিক্কার মিছিল করা হয়। মিছিল শেষে সভা ছিল। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কামারহাটির বিধায়ক( Madan Mitra) বিরোধীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, বিজেপি, কংগ্রেস এবং সিপিএম মনে রাখবেন এই তিনজনকে বান্ডিলে প্যাক করে প্রয়োজনে দক্ষিণেশ্বরের গঙ্গায় কি করে তর্পন করতে হয়, ন্যাড়া করতে হয় তা আমরা জানি। এরপর কৌস্তভ বাগচির নাম না করে তিনি বলেন, প্রকাশ্যে ন্যাড়া হয়ে   আমাদেরকে ভয় দেখাবেন না।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Sukanta Majumder: রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ সুকান্তর, কী বললেন সাংসদ?

    Sukanta Majumder: রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ সুকান্তর, কী বললেন সাংসদ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumder)। সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে পুলিশের বিরুদ্ধে কার্যত তোপ দাগেন বালুরঘাটের সাংসদ।

    সুকান্তর অভিযোগ

    তিনি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে আমি কেন্দ্রীয় বাহিনীর জেড ক্যাটেগরির সুরক্ষা পেলেও, টাকিতে অচেতন হয়ে পড়ার পর সুরক্ষা ছাড়াই নিজেদের গাড়িতে করে বসিরহাট নিয়ে গিয়েছিল রাজ্য পুলিশ। এতে আমার সুরক্ষার সঙ্গে আপোস করা হয়েছে।” তিনি বলেন, “কে ধাক্কা দিয়েছে সেটা বড় কথা নয়। যতক্ষণ রাজনৈতিক সংঘাত চলছিল, তার জন্য আমি পুলিশকে দায়ী করছি না। সুকান্ত মজুমদারের ওপর লাঠিচার্জ করুন, পা ভাঙুন, কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু আমি অসুস্থ হওয়ার পর পুলিশ কী করেছে? প্রথমত, আমার গাড়িতে আমাকে হাসপাতালে যেতে দেয়নি। আমার গাড়ি আটকে দেওয়া হয়েছে। দম থাকলে পুলিশ বলুক, আমি মিথ্যে কথা বলছি। আমার গাড়িতে পুলিশ উঠে যেতে পারত। বা আমার গাড়িকে সামনে পিছনে পুলিশ দিয়ে ঘিরে দিতে পারত। যাতে আমি অচৈতন্য অবস্থায় অন্য কোথাও চলে না যাই।”

    ‘জেড ক্যাটেগরির সুরক্ষা পাই’

    রাজ্যের পাঁচ প্রশাসনিক কর্তার বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে। এর কারণ ব্যাখ্যা করে সুকান্ত (Sukanta Majumder) বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে আমি জেড ক্যাটেগরির সুরক্ষা পাই। নিশ্চয়ই কোনও কারণ রয়েছে। গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে নিশ্চয়ই। সরকার তো আর খেলা করার জন্য দেয়নি। আমাকে পুলিশের গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হয় দু জন কেন্দ্রীয় নিরাপত্তারক্ষীকে সঙ্গে নিয়ে। তাদের কাছে ছোট আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। আমার আপ্তসহায়ককে গাড়িতে উঠতে দেওয়া হয়নি। আমার নিরাপত্তারক্ষীরা বাংলা জানেন না। আমার স্বাস্থ্যের ব্যাপারে তাঁদের বোঝাবে কে?”

    আরও পড়ুুন: ‘পাকিস্তানের মতো অবস্থা বাংলার মহিলাদের’, সন্দেশখালি নিয়ে মমতাকে আক্রমণ লকেটের

    সুকান্ত বলেন, “কপিল সিব্বল আজ আদালতে সওয়াল করে সাময়িক স্থগিতাদেশ এনেছেন। এরপর আমাদের উকিলরা আমাদের বক্তব্য বলবেন। চোখে চোখ রেখে প্রশ্ন করবেন। কপিল সিব্বল না কি বলেছেন আমি ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করেছি। মিথ্যে কথা বলেছেন।” তিনি (Sukanta Majumder) বলেন, “টাকিতে কোথাও ১৪৪ ধারা ছিল না।”

    প্রসঙ্গত, সন্দেশখালিতে যাওয়ার পথে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Cattle Smuggling Case: গরুপাচার মামলায় কেন হবে সিআইডি তদন্ত? রাজ্যের জবাব তলব হাইকোর্টের

    Cattle Smuggling Case: গরুপাচার মামলায় কেন হবে সিআইডি তদন্ত? রাজ্যের জবাব তলব হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরুপাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) রাজ্য পুলিশের তদন্তে স্থগিতাদেশ চেয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। এবার এই মামলায় রাজ্যের রিপোর্ট চেয়ে পাঠাল হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যকে তাদের বক্তব্য তিন সপ্তাহের মধ্যে জানাতে নির্দেশ দিয়েছে (PIL filed in Calcutta High Court)। 

    আরও পড়ুন: অনুব্রত-কন্যার ব্যাংকের নথি চাইল সিবিআই! মেয়ের অ্যাকউন্ট থেকেই কি লেনদেন? 

    গরু পাচার মামলায় ইতিমধ্যেই তদন্ত করছে সিবিআই। একই মামলায় রাজ্য পুলিশ কেন পৃথক তদন্ত করবে, এই প্রশ্ন তুলে মামলা করেছিলেন সুমন শংকর চট্টোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তি। এ দিন মামলাকারীর আইনজীবী জয়দীপ কর বলেন, “রাজ্য পুলিশের থেকে সিবিআইয়ের হাতে তদন্ত নিয়ে যেতে চাইছি। কারণ সিবিআই ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় তদন্ত করছে। রাজ্যের তদন্তের এক্তিয়ার নেই।” তিনি যুক্তি দিয়ে বলেন, “অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে চলতি বছরের ১০ জুন গ্রেফতার করা হয় । পুরনো একটি মামলায় রাজ্য এই ঘটনায় তদন্ত করে ২০১৯ সালেই চার্জশিট দিয়ে দেয়। কিন্তু সেই মামলা ফের ১২ জুলাই নতুন করে উত্থাপন করা হয়েছে। সায়গল হোসেনকে গ্রেফতার করার পর রাজ্য ১০ জুলাই এই মামলায় ফের তদন্ত করার জন্য ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আবেদন জানায়। অথচ আগে চার্জশিটে পরবর্তী তদন্তের আর্জি ছিল না। সিবিআই দীর্ঘদিন ধরেই তদন্ত করছে। পরবর্তী তদন্তের দরকার হলে তা সিবিআই করতে পারে। রাজ্য পুলিশ হঠাৎ করে কেন এত সক্রিয় হয়ে উঠল?”   

    রাজ্যের তরফের আইনজীবী সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় (এজি) এদিন শুনানির সময় পাল্টা প্রশ্ন করেন, “২০১৯ সালের ২৪ নভেম্বর বিএসএফের এফআইআর-এর ভিত্তিতেই রাজ্য তদন্ত শুরু করেছিল। এতদিন পরে কেন এই ধরনের জনস্বার্থ মামলা?” সিবিআইয়ের তরফে আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য বলেন, “এনামুল হক নামে গরুপাচার চক্রের মাথাকে গ্রেফতার করার পর সিবিআই জানতে পারে মুর্শিদাবাদ ও মালদা জেলায় এই চক্র অত্যন্ত সক্রিয়। এই ধরনের সীমান্তবর্তী এলাকায় সিবিআই তদন্ত করছে কারণ এর সঙ্গে জাতীয় স্বার্থ জড়িয়ে রয়েছে। রাজ্যই সুপ্রিম কোর্টের একটা মামলায় বলেছে, সিবিআই এই ব্যাপারে কিছু করছে না।” 

    আরও পড়ুন: দুটি গাড়ি দিয়েছিলেন নেতাকে, অনুব্রত ঘনিষ্ঠ মলয় পিটকে তলব সিবিআই-এর   

    আইনজীবী জয়দীপ কর ফের বলেন, “তদন্ত স্থগিত রাখার কোনও আর্জি আমরা জানাচ্ছি না। আমরা চাই তদন্ত সিবিআই করুক। সীমান্ত বিষয়টি কেন্দ্রের আওতায় পড়ে।” দুই পক্ষের বক্তব্য শোনার পরেই বিচারপতি তিন সপ্তাহে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। মামলাটির পরবর্তী শুনানি হবে ১৪ নভেম্বর। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
LinkedIn
Share