Tag: station

station

  • Cyclone Dana: ধেয়ে আসছে সাইক্লোন ‘দানা’! পূর্ব রেলে জারি একগুচ্ছ প্রোটোকল, তৎপর বিমানবন্দরও

    Cyclone Dana: ধেয়ে আসছে সাইক্লোন ‘দানা’! পূর্ব রেলে জারি একগুচ্ছ প্রোটোকল, তৎপর বিমানবন্দরও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে ধেয়ে আসছে সাইক্লোন ‘দানা’ (Cyclone Dana)। খুব একটা আর দেরিও নেই। মাঝে মাত্র একদিন, এরপর বৃহস্পতিবার আছড়ে পড়তে পারে এই ঝড়। ঝড়ের সম্ভাব্য গতিবেগ হতে চলেছে ১২০ কিমি প্রতি ঘণ্টা। তাই ঝড়ের গতিবেগে রেলের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। এই পরিস্থিতিতে আশঙ্কা করে রেলের পক্ষ থেকে একাধিক সতর্কতামূলক ব্যবস্থার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। পূর্ব রেলের (Eastern Railways) পক্ষ থেকে তাই একাধিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। হাওড়া, শিয়ালদা, মালদা এবং আসানসোলে একাধিক প্রোটোকলের (Emergency Protocols) ব্যবস্থা করা হয়েছে। একই ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কলকাতা বিমানবন্দরেও। 

    রেল লাইনের মধ্যে জল জমতে পারে (Cyclone Dana)

    পূর্ব রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝড়ের পূর্বাভাস শুনেই কন্ট্রোলরুম খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী ২৪ এবং ২৫ অক্টোবর জরুরি কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে। একই ভাবে এই সেন্টারে লাগাতার নজর রাখতে উপস্থিত থাকবেন রেলের আধিকারিকরা। ঝড়ের (Cyclone Dana) ফলে রেল লাইনের মধ্যে জল জমতে পারে। তাই জায়গায় জায়গায় পাম্প বসানো হয়েছে। ট্রেন চলাচল ব্যাহত হতে পারে, এমন সম্ভাবনার আশঙ্কা রয়েছে। ফলে যাত্রীদের আগে থেকে সতর্ক করতে (Emergency Protocols) এই ব্যবস্থার কথা জানানো হয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ “অত্যন্ত অসহায় বোধ করছি, দেখা করে কথা বলতে চাই”, অমিত শাহকে আর্জি অভয়ার বাবা-মায়ের

    স্টেশনে স্টেশনে ২৪ ঘণ্টা নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন

    যদি ঝড়ে (Cyclone Dana) বৃষ্টির পরিমাণ অত্যধিক হয় তাহলে, স্টেশন এবং প্লাটফর্মে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। তার জন্য প্লাস্টিকের শিটের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। শিয়ালদা এবং কলকাতা স্টেশনে প্রস্তুত রাখা হয়েছে জরুরি আলো। যদি ওভারহেডের তারে সমস্যা হয় তাহলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যায় সেই দিকের কথাও ভাবা হয়েছে (Emergency Protocols)। একইভাবে টাওয়ার ওয়াগান প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যে সব স্টেশনগুলিতে ঝড়ের প্রভাব বেশি পড়তে পারে তাতে পর্যাপ্ত ইঞ্জিনিয়র এবং টেলিকম স্টাফদের রাখা হয়েছে। তালিকায় রয়েছে ডায়মন্ড হারবার, হাসনাবাদ, নামখানা স্টেশন। একই ভাবে রেলের তরফে স্টেশনে স্টেশনে ২৪ ঘণ্টা নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করার কথা ভাবা হয়েছে। সেই সঙ্গে রেল চালক এবং গার্ডদের সতর্ক করা হয়েছে। ইতিমধ্যে শিয়ালদা, দমদম, বারাসত, নৈহাটি, রানাঘাটে থাকবে ডিজেল লোকো। ইতিমধ্যে স্টেশন থেকে প্রয়োজনীয় হোডিং সরিয়ে ফেলা হয়েছে (Emergency Protocols)।

    বিমান বন্দরেও বিরাট তৎপরতা

    ঘূর্ণিঝড় দানার (Cyclone Dana) কারণে যাতে বিমান চলাচলে কোনও অসুবিধা না হয় এবং বিপদ এড়ানো যায়, তাই তৎপর কলকাতা বিমানবন্দর। বিমানবন্দরের টার্মিনালের ঢোকা এবং বেরোনোর গেটে বালির বস্তা দিয়ে মোকাবিলা করার চিন্তাভাবনা করা হয়েছে। প্রস্তুতিকে ঘিরে তৎপরতা বেড়েছে। সতর্কে রয়েছেন বন্দরের আধিকারিকরা। আজ মঙ্গলবার উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে (Emergency Protocols)। ঘূর্ণিঝড় (Cyclone Dana) আছড়ে পড়ার আগে বিমানগুলিকে কীভাবে নির্দিষ্ট জায়গায় নিয়ে যাওয়া হবে, কোথায় রাখা হবে, উড়ান বাতিল হবে নাকি ঘুরপথে চলবে, এই সমস্ত সামগ্রিক বিষয় নিয়ে এদিন বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Shamik Bhattacharya: শিয়ালদহ স্টেশনের নাম বদলে শ্যামাপ্রসাদের নামে করার দাবি

    Shamik Bhattacharya: শিয়ালদহ স্টেশনের নাম বদলে শ্যামাপ্রসাদের নামে করার দাবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার শিয়ালদহ স্টেশনের (Sealdah Station) নাম বদলের প্রস্তাব। বুধবার প্রস্তাবটি দিলেন রাজ্যসভার সাংসদ বিজেপির শমীক ভট্টাচার্য (Shamik Bhattacharya)। এদিন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের কাছে এই দাবি করেন শমীক। তাঁর প্রস্তাব, স্টেশনটির নাম শিয়ালদহের বদলে করা হোক শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের নামে।

    রাজ্যে রেলমন্ত্রী (Shamik Bhattacharya)

    এদিন, একাধিক রেল প্রকল্পের উদ্বোধনে রাজ্যে এসেছিলেন রেলমন্ত্রী। মন্ত্রী ছাড়াও রেলের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ শান্তনু ঠাকুর, শমীক ভট্টাচার্য প্রমুখ। এদিনই নসিপুর রেলব্রিজের ওপর দিয়ে আজিমগঞ্জ পর্যন্ত ট্রেন চলাচল শুরু হয়। রেলপ্রকল্পের উন্নয়নে টাকা বরাদ্দ হলেও, রাজ্যের তরফে জমি দিতে অস্বীকার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। সেই কারণেই রাজ্যে রেলের উন্নয়নে গতি আসছে না। রেলের বিভিন্ন প্রকল্পে জটিলতাও তৈরি হয়েছে বলে দাবি মন্ত্রীর (Shamik Bhattacharya)। জমি জট কেটে গেলে যে দ্রুত ওই প্রকল্পগুলি বাস্তবায়িত হবে তাও জানান তিনি।

    রাজ্যকে নিশানা মন্ত্রীর

    অশ্বিনী বলেন, “শুধুমাত্র জমি না পওয়ার কারণে রাজ্যে রেলের প্রায় ৬১টি প্রকল্প বন্ধ হয়ে রয়েছে।” তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, “রাজ্যের সার্বিক উন্নয়নে কেন্দ্র ও রাজ্য একে অন্যের পরিপূরক। রাজ্য সরকার জমি দিলে প্রকল্পগুলি শেষ করতে অর্থের কোনও অভাব হবে না।” তিনি জানান, রেলপ্রকল্পের উন্নয়নে গত ১০ বছরে ১৩ হাজার ৯১৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: মধ্যপ্রাচ্যে রণদামামা! ইজরায়েলে হামলা ইরানের, “মাশুল গুণতে হবে”, বলছেন নেতানিয়াহু

    রেলের এই অনুষ্ঠানেই শিয়ালদহ স্টেশনের নাম বদলের প্রস্তাব দেন শমীক। তিনি বলেন, “এই স্টেশনের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে মানুষের রক্তাক্ত ইতিহাস। সর্বস্বান্ত হওয়া মানুষগুলো একদিন এসে ভিড় করেছিলেন শিয়ালদহ স্টেশনে। সেদিন ক্যাম্প করে শিয়ালদহের আশপাশে আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল তাঁদের। যাঁর তত্ত্বাবধানে এসব হয়েছিল, তিনি শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। তাই আজ রেলের একটি বিশেষ অনুষ্ঠানে রেলমন্ত্রীর উপস্থিতিতে আমাদের দাবি জানিয়েছি। তিনি বলেছেন, বিষয়টা দেখবেন।” প্রসঙ্গত, ১৮৬২ সালে ইংরেজ আমলে চালু হয় শিয়ালদহ স্টেশন (Sealdah Station)। তারও সাত বছর পরে তৈরি হয় স্টেশন বিল্ডিং (Shamik Bhattacharya)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ranaghat: ব্রহ্মডাঙা থেকে রানাঘাট! নামকরণের পিছনে লুকিয়ে রয়েছে রোমহর্ষক কাহিনি

    Ranaghat: ব্রহ্মডাঙা থেকে রানাঘাট! নামকরণের পিছনে লুকিয়ে রয়েছে রোমহর্ষক কাহিনি

    হরিহর ঘোষাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিয়ালদা-কৃষ্ণনগর লাইন দিয়ে ট্রেনে যেতে যেতে সকলেরই নজরে পড়ে রানাঘাট (Ranaghat) স্টেশন। এই স্টেশনের বুক চিড়ে প্রথম ট্রেন গেদে হয়ে কুষ্টিয়া (বাংলাদেশ) চলে গিয়েছিল। বহু ইতিহাসের সাক্ষী এই শহর। নদিয়া জেলার অন্যতম প্রাচীন জনপদ রানাঘাট। বহু মনীষীর স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে এই রানাঘাটে। স্বাধীনতা সংগ্রামে অন্যতম ভূমিকা পালন করেছিলেন রানাঘাটেরই বীর সন্তানেরা। রানাঘাট রত্নগর্ভা এক বনেদি শহর। লিককের পথ ধরে তাই অনায়াসেই বলা যায়, “যার আছে পুঁজিপাট, সে থাকে রানাঘাট”। পুঁজি মানে অর্থের পুঁজি শুধু নয়, শিক্ষা সংস্কৃতি, কৃষ্টি, আভিজাত্য, ইত্যাদি সব কিছুতে পুঁজিপতি মানুষ আছেন নদিয়ার (Nadia) রানাঘাটে।

    ব্রহ্মডাঙা থেকে রানাঘাট! (Ranaghat)

    রানাঘাট শহরের নাম নিয়ে অনেক বিতর্ক রয়েছে। তবে, কোনটা প্রামাণ্য, তা সঠিকভাবে জানা যায়নি। একটি সূত্রে পাওয়া গিয়েছে, এক সময় রানাঘাটের নাম ছিল ব্রহ্মডাঙা। মুঘল সম্রাট আকবরের রাজস্ব সচিব রানা টোডরমল তৎকালীন ব্রহ্মডাঙায় জমি জরিপের কাজে এসেছিলেন বলে ব্রহ্মডাঙার নাম রানাঘাট হয়ে গিয়েছিল। ইতিহাসবিদ প্রিঙ্গিলের দাবি, অষ্টাদশ শতাব্দীতে রণ বা রানা নামে এক দুধর্ষ ডাকাত এই এলাকাকে তাঁর ঘাঁটিতে পরিণত করেন। সেই ডাকাত রানার নামেই রানাঘাট। এই তথ্যটিকে বেশির ভাগ মানুষ সঠিক বলে মনে করেন। আবার নদিয়ার মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্রর দ্বিতীয় রানির বাড়ি রানাঘাট সংলগ্ন নোকাড়ি গ্রামে ছিল। তাই রানির ঘাট থেকেও রানাঘাট হতে পারে।

    রানাঘাটে রবীন্দ্রনাথ

    জানা গিয়েছে, কবি নবীনচন্দ্র সেন রানাঘাটের (Ranaghat) মহকুমা শাসক থাকাকালীন ১৮৯৪ সালের ৪ সেপ্টেম্বর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর স্বয়ং তাঁর বাংলোয় এসেছিলেন। সেই স্মৃতি আঁকড়ে ফি-বছর ওই তারিখে এখনও কবিমিলন  উৎসব হয় রানাঘাটের মহকুমা শাসকের বাংলোয়। রবীন্দ্রনাথের প্রথম সঙ্গীত-শিক্ষাগুরু বিষ্ণুচরণ চক্রবর্তী রানাঘাটের কায়েতপাড়ায় জন্মেছিলেন। রাজা রামমোহন রায় তাঁকে ব্রাহ্মসমাজের গায়ক হিসেবেও নিয়েছিলেন। বিদ্যাসাগরের পৃষ্ঠপোষকতায় পন্ডিত কালীময় ঘটকের ‘চরিতাষ্টক’ বই এক সময় স্কুলের পাঠ্যপুস্তক হয়েছিল। কালীময়ের শিক্ষাজীবন শুরু হয়েছিল এখানকার ‘গুরুমশাই’ পাঠশালায়। নদিয়া বিষয়ক প্রামাণ্য একটি বই ‘নদিয়া কাহিনী’। এই আকর গ্রন্থটির লেখক কুমুদনাথ মল্লিক রানাঘাটের সুসন্তান। এখনকার কবি জয় গোস্বামীর নিজের শহর রানাঘাট। সব মিলিয়ে গুণী মানুষের ভিড় ও বনেদিয়ানায় সমৃদ্ধ এ শহর।

    রানাঘাটে রামকৃষ্ণ!

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঠাকুর রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব একবার রানাঘাটের (Ranaghat) চূর্ণী তীরবর্তী কলাইঘাটায় এসেছিলেন। রানি রাসমণির জামাতা মথুরচন্দ্র বিশ্বাসকে নিয়ে তিনি আদিবাসী অধ্যূষিত কলাইঘাটা বটতলায় যান। স্বাভাবিকভাবেই গ্রামবাসীরা ঠাকুরকে দেখতে সেখানে সমবেত হন। তিনি শিশুদের হতদরিদ্র রূপ দেখে ব্যথিত হন। ঠাকুর মথুরচন্দ্রকে বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত এদের অন্ন এবং পোশাকের ব্যবস্থা না হচ্ছে, বটগাছের নীচে তিনি বসে থাকবেন। মথুরবাবু ঠাকুরের কথামতো অসহায় শিশুদের জন্য অন্নবস্ত্রের ব্যবস্থা করেন। ঠাকুর তাতে খুশি হয়ে মথুরবাবুর সঙ্গে কলকাতায় ফিরে আসেন। রামকৃষ্ণ ভক্তরা এই তীর্থস্থানে একটি রামকৃষ্ণ স্মৃতিভবন নির্মাণের চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু কিছু মানুষের বিরোধিতায় সেটা সফল হয়নি। বর্তমানে কলাইঘাটার প্রায় বিপরীত দিকে অবকাশ পার্কের কাছে রামকৃষ্ণ ভক্তবৃন্দের অনুরোধে রানাঘাট পুরসভার উদ্যোগে ভবন তৈরি করা হয়েছে। নাম দেওয়া হয়েছে, রামকৃষষ্ণালয়।

     রানাঘাট পুরসভার অতীত-বর্তমান

    ১৮৬৪ খ্রিস্টাব্দের ২১ সেপ্টেম্বর রানাঘাট (Ranaghat) পুরসভার প্রতিষ্ঠা হয়। শুরুতে ১৪ জন কমিশনার ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ৯ জনই মনোনীত। পদাধিকার বলে ৫ জন পুরসভার কার্যনির্বাহক সমিতির সদস্য হন। পুরসভার গৃহীত উপবিধি অনুমোদন করতেন লেফটেন্যান্ট গভর্নর। এখন পুরসভার কাউন্সিলররা সাধারণ মানুষের ভোটে নির্বাচিত হন। রানাঘাট মহকুমার মধ্যে শান্তিপুর পুরসভা রানাঘাটের থেকেও পুরানো। জেলার প্রথম পুরসভা শান্তিপুর ১৮৫৩ সালে তৈরি হয়। এর ১১ বছর পর রানাঘাট পুরসভার প্রতিষ্ঠা।

    রানাঘাটের রসগোল্লা

    রসগোল্লার উদ্ভাবক কে? বিরোধ শুধু বাংলা-ওড়িশায় নয়, বিরোধ বাংলার মধ্যেও। বাগবাজারের নবীনচন্দ্র দাসকেই রসগোল্লার উদ্ভাবক বলে ধরা হয়। ১৮৬৮ সালে নবীনচন্দ্র রসগোল্লা তৈরি করেন। কিন্তু অনেকের মতে, রসগোল্লার আসল উদ্ভাবকের নাম হারাধন মণ্ডল। হারাধন মণ্ডল শান্তিপুরের ফুলিয়ার মানুষ। রানাঘাটের পালচৌধুরীদের হালুইকর ছিলেন। তিনিই রসের মধ্যে ছানার ডেলা ফেলে একটি অভিনব মিষ্টান্ন প্রস্তুত করেন। পালচৌধুরীরা তার নাম দেয় রসগোল্লা। রসগোল্লা ছাড়া, রানাঘাটে অনেক কাল ধরে চলে আসা মিষ্টান্ন দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে পান্তুয়া, গজা, অমৃতি প্রভৃতি।

     রানাঘাটের সংস্কৃতি

    রানাঘাট শহরে এক সময় প্রতিটি বাড়িতে সন্ধ্যাপ্রদীপ প্রজ্বলনের মতো সঙ্গীতের রেওয়াজ হত। মার্গ সঙ্গীতের পীঠস্থান ছিল রানাঘাট। মূলত, পালচৌধুরী পরিবারের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং পালচৌধুরীদের সভাগায়ক নগেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের উদ্যোগে দেশ-বিদেশের উচ্চাঙ্গ শিল্পীদের মিলনমেলায় পরিণত হত। শ্রীজান বাঈ, দিলজান, ইমন বাঈ, লালাকুন্দ, আহম্মদ খাঁ সাহেবের মতো উত্তর ভারতের সেরা গায়কেরা এই আসরে নিয়মিত আসতেন। এই ভাবেই নগেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য তাঁর দুই প্রখ্যাত শিষ্য নগেন্দ্রনাথ দত্ত ও নির্মলকুমার চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে রানাঘাট ঘরানার জন্ম দেন। নিধুবাবু প্রবর্তিত বাংলা টপ্পা ধারার সঙ্গে লখনউ ঘরানার মিলনে এক বিশেষ টপ্পা ধারার সৃষ্টি হয়। এই ঘরানার পরবর্তী বিখ্যাত শিল্পী ছিলেন শিবকুমার চট্টোপাধ্যায় এবং ডাঃ অঞ্জলি মুখোপাধ্যায়। নগেন্দ্রনাথ দত্তের শিষ্য ছিলেন ভীষ্মদেব চট্টোপাধ্যায়।

     রানা ডাকাতের কালীমন্দির

    রানাঘাটের দ্রষ্টব্য স্থানগুলি হল-পালচৌধুরীদের পূর্বতন ভদ্রাসনের প্রাচীরের মধ্যে একই ভিতের উপর প্রতিষ্টিত জোড়া শিবমন্দির। মন্দিরে টেরাকোটার কাজ আছে। চূর্ণী নদীর তীরে বড়বাজারে জগন্নাথ-সুভদ্রা-বলরামের মন্দির। জমিদার রতন পালচৌধুরীর বিধবা পত্নী উজ্জ্বলমণি দাসীর প্রচেষ্টায় ৯৫ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিত নিস্তারিণী মন্দির, রানা ডাকাতের প্রতিষ্ঠিত সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দির রয়েছে। সেখানে পুরানো ঐতিহ্য মেনেই পুজো হয়। এছাড়া রানাঘাট শহরের স্কুলমোড়ে প্রতিষ্ঠিত চিন্ময়ী ও মৃন্ময়ী মন্দির, ব্রজবল্লভ মন্দির জহুরা কালীবাড়ি এবং রাধাবল্লভ মন্দির রয়েছে।

    এশিয়ার প্রথম রবীন্দ্র ভবন রানাঘাটে!

    এশিয়ার প্রথম রবীন্দ্র ভবন তৈরি হয়েছিল এই শহরে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম-সহ বিশিষ্ট মনীষীদের পদধূলিতে ধন্য হয়েছে এই শহর। সঙ্গীত, নাটকের পাশাপাশি খেলাধুলাও সুনাম কুড়িয়েছে রানাঘাট। এই শহরের প্রথিতযশা মানুষদের মধ্যে রয়েছেন রবীন্দ্র জীবনীকার প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ পণ্ডিত কালীময় ঘটক, নদিয়া (Nadia) কাহিনীর রচিয়তা রায়বাহাদুর কুমুদনাথ মল্লিক,কলকাতার প্রাক্তন মেয়র সন্তোষকুমার বোস, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন সহ উপাচার্য ভবতোষ চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ। 

    রানাঘাটে সংবাদপত্র

    ব্রিটিশদের সময় রানাঘাটে সংবাদপত্র প্রকাশিত হতে শুরু করে। কবি গিরিজানাথ মুখোপাধ্যায়ের হাত ধরে ১৮৯৯ সালে প্রকাশিত হয় ‘বার্তাবহ’। রানাঘাট রেল স্টেশন কাছে গিরিজানাথের পত্রিকা অফিসে বসত সাহিত্য-আড্ডা। নানা সময়ে এই শহর থেকে পল্লিচিত্র, অশনি, ছাত্রবাণী, ফ্ল্যাশ, খেলাধূলা, শ্রমিক ও সমাজ, টর্চ, সীমান্তবাণী, বাংলা বাজার, ঝড়, ফ্লিক, চ্যালেঞ্জ, সবুজসোনা, চুর্ণী, নদিয়া গৌরব, রাতু-সহ বিভিন্ন পত্রপত্রিকা প্রকাশ পেয়েছিল।

    স্বাধীনতা সংগ্রামে রানাঘাট

    বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ নন্দিনী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাসেও জড়িয়ে রয়েছে রানাঘাটের নাম। নীলবিদ্রোহ, স্বদেশি আন্দোলন, অসহযোগ আন্দোলন, ভারত ছাড়ো আন্দোলনেও যোগ দিয়েছিলেন রানাঘাটের মানুষ। অসহযোগ আন্দোলনে শিবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, কেশবচন্দ্র মিত্র, নেপালচন্দ্র বন্দোপাধ্যায়, রেণুমাধব দাস, শিশিরকুমার বসু, চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুন্ঠনে সহায়রাম দাস, ভারত ছাড়ো আন্দোলনে অসীমকুমার মজুমদার, বিমলকুমার চট্টোপাধ্যায়, নৃসিংহ চৌধুরী, কুমারেশ বিশ্বাস, মহ হবিবুল্লহ, মহম্মদ কালু শেখ, শ্রীধর মুখোপাধ্যায়,পটল মুস্তাফি-সহ অনেকেই রয়েছেন সেই তালিকায়।” সব মিলিয়ে এক উজ্জ্বল ঐতিহ্য রয়েছে রানাঘাটের। আর সেই ঐতিহ্যকে সমানে আগলে চলেন রানাঘাটবাসী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Amrit Bharat Project: অমৃত ভারত প্রকল্পে রাজ্যে বহু স্টেশনে ঢালাও উন্নয়নের ঘোষণা, খুশির হাওয়া

    Amrit Bharat Project: অমৃত ভারত প্রকল্পে রাজ্যে বহু স্টেশনে ঢালাও উন্নয়নের ঘোষণা, খুশির হাওয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অমৃত ভারত প্রকল্পের (Amrit Bharat Project) মাধ্যমে রাজ্যে বদলে যেতে চলেছে বহু স্টেশন। একের পর এক স্টেশন সেজে উঠবে। বদলে যাবে পরিষেবা। উন্নতমানের একের পর এক নয়া রেল স্টেশন তাক লাগাবে দেশজুড়ে। রবিবার সকালে রাজ্যের বিভিন্ন স্টেশনে এই প্রকল্পকে ঘিরে ছিল আলাদা উন্মাদনা।

    রাজ্যে কোন স্টেশনে কত টাকা বরাদ্দ?

    প্রথম দফায় ভার্চুয়ালি দেশের পাশাপাশি রাজ্যের বিভিন্ন স্টেশনে এই অমৃত ভারত প্রকল্পের (Amrit Bharat Project) ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী। এর মধ্যে পূর্ব রেলের আওতায় একাধিক স্টেশনের পুনর্গঠনের শিলান্যাস হল। আসানসোল, হাওড়া, মালদা, শিয়ালদহ ডিভিশনের বহু স্টেশন রয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের স্টেশনগুলিতে কতটাকা খরচ হবে? জানা গিয়েছে, আসানসোলের স্টেশনের জন্য খরচ হবে ৪৩১ কোটি টাকা। বর্ধমান স্টেশনে খরচ হবে ৬৪.২ কোটি টাকা। মালদা টাউন স্টেশনের জন্য খরচ ৪৩ কোটি টাকা। রামপুরহাটের জন্য খরচ ৩৮.৬ কোটি টাকা। কাটোয়া জংশনের জন্য খরচ ৩৩.৬ কোটি টাকা। শিয়ালদহ স্টেশনের জন্য খরচ ২৭ কোটি টাকা। বারাকপুর স্টেশনের জন্য ২৬.৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। আজিমগঞ্জ স্টেশনের জন্য ৩১. ২ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। অত্যাধুনিক স্টেশন পুনর্গঠনের মধ্যে থাকবে এস্কালেটর ব্যবস্থা। থাকবে পার্কিংয়ের অত্যাধুনিক সুবিধা। যাত্রী পরিষেবার পাশাপাশি এলাকার মানুষের সুবিধার জন্য এই প্রকল্প। স্টেশনগুলি পুনর্গঠনের ফলে আরও ভাল হবে যাত্রী পরিষেবা।

    অমৃত ভারত প্রকল্পে হাজির হয়ে কী বললেন বিজেপি সাংসদ, বিধায়করা?

    এদিন আজিমগঞ্জ রেল স্টেশনে অমৃত ভারত প্রকল্পের (Amrit Bharat Project) অনুষ্ঠান দেখতে ভিড় উপচে পড়েছিল। রেল আধিকারিকদের পাশাপাশি বিজেপি বিধায়ক গৌরীশংকর ঘোষ হাজির ছিলেন। তিনি বলেন, এই প্রকল্প কার্যকরী হলে এই স্টেশনের ভোল বদলে যাবে। শান্তিপুর স্টেশনে হাজির ছিলেন বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। তিনি বলেন, এই রাজ্যে শুধু প্রতিহিংসার রাজনীতি হয়, উন্নয়ন কিছু হয় না। প্রধানমন্ত্রী বাংলার জন্য কী করছেন তা কিছুদিনের মধ্যে এখানকার মানুষ তা বুঝতে পারবেন। আগামীদিনে বিজেপি ভাল ফল করলে আরও উন্নয়ন হবে। আসানসোল স্টেশনে এই প্রকল্পের অনুষ্ঠানে ছিলেন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল। তিনি বলেন, এই রাজ্যের জন্য সব সময় প্রধানমন্ত্রী বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে রয়েছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Khardah: স্টেশনের প্ল্যাটফর্মের আশপাশ মাওবাদী পোস্টারে ছয়লাপ! কোথায় জানেন?

    Khardah: স্টেশনের প্ল্যাটফর্মের আশপাশ মাওবাদী পোস্টারে ছয়লাপ! কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খড়দহ (Khardah) স্টেশনে মাওবাদী পোস্টার! তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার আগে জঙ্গলমহলে এক সময় এই ধরনের পোস্টার মাঝে মধ্যেই দেখা যেত। দাবি আদায়ে মাওবাদীদের আন্দোলনও করতে দেখেছেন রাজ্যবাসী। এবার খড়দহ (Khardah)  স্টেশন চত্বর মাওবাদী সংগঠনের নাম দেওয়া পোস্টারে ছয়লাপ হয়ে রয়েছে।  মঙ্গলবার সকালে খড়দহ (Khardah) স্টেশনের ১ নম্বর প্ল্যাটফর্ম এবং ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মের দুপাশে মাওবাদী পোস্টার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। 

    পোস্টারে কী লেখা রয়েছে?

    খড়দহ (Khardah) স্টেশনের দেওয়ালে সাঁটানো পোস্টারে লেখা রয়েছে, ২২ এপ্রিল কমরেড লেনিনের নামে আমাদের শপথ, ফ্যাসিবাদকে গুঁড়িয়ে দাও। শ্রমিক কৃষক রাজ বানাও। ঘরে ঘরে বেকার, বাজারে আগুন, ইভিএম ছুঁড়ে ফেলে, এবারে জাগুন। সংখ্যালঘু জনগণ, বাঁচাতে তাদের মান ও প্রাণ দিচ্ছি দেরো অস্ত্রে শান। সরকার বদল পণ্ডশ্রম। বিপ্লবীরাই ওদের যম। পোস্টারের নীচে লেখা রয়েছে, মার্কসবাসী লেনিনবাদী  মাওবাদী সংগঠন। বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, কিছু পোস্টার বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। কে বা কারা পোস্টার দিয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

    এই পোস্টার নিয়ে কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের খড়দহ (Khardah)  যুব তৃণমূলের সভাপতি দিব্যেন্দু চৌধুরী বলেন, খড়দহে (Khardah) ফ্লাইওভার তৈরি হবে। তাতে কিছু বেআইনি দোকানপাট ভাঙা পড়বে। আর এই সব দোকান থেকে যারা তোলাবাজি  করে, তারা এসব করে বেড়়াচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা উন্নয়ন করেছেন তার নিরিখে মানুষ তৃণমূলকে ভালোবাসে। এলাকায় সন্ত্রাস সৃষ্টি করতে ভয় দেখিয়ে এ ধরনের পোস্টার লাগানো হচ্ছে। এসব পোস্টার দিয়ে কোনও লাভ হবে না। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

     বিজেপি নেতা জয় সাহা বলেন, মাওবাদীরা এই এলাকায় পোস্টার দিয়েছে তা ভাবা যায় না। জায়গায় জায়গায় এই ধরনের পোস্টার পড়ছে মানে মাওবাদীরা এই সব এলাকাতেও আছে। আজ খড়দহে (Khardah) পড়েছে, কাল সোদপুরে পড়বে। পরে, অন্য কোনও স্টেশনে এই পোস্টার পড়বে। রাজ্যের পরিস্থিতি যা তাতে যা খুশি তাই হচ্ছে। আর মাওবাদীরা তো চাকরি দেয় না। তারা বোমা, গুলি তুলে দেয়। প্রশাসন যদি কড়া হাতে দমন না করে, তাহলে এই সুযোগে মাওবাদীরা ডানা বিস্তার করবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Gate: রাজ্যে আরও একটি বিশ্ববাংলা গেট তৈরি হচ্ছে, কোথায় জানেন?

    Gate: রাজ্যে আরও একটি বিশ্ববাংলা গেট তৈরি হচ্ছে, কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ ইতিহাস সমৃদ্ধ শহর বারাকপুর। মঙ্গল পান্ডের হাত ধরে ইংরেজদের বিরুদ্ধে সিপাহী বিদ্রোহের প্রথম সূচনা হয়েছিল এই পূন্যভূমিতে। এই সিপাহী বিদ্রোহ ছিল প্রথম স্বাধীনতার আন্দোলন। ঐতিহাসিক শহর বারাকপুরের নিজস্ব কোনও আইকোণ নেই। গত বছরই আগস্ট মাসে বারাকপুর স্টেশনের সামনে ১৫ লক্ষ টাকা খরচ করে ১০০ ফুট উচ্চতার জাতীয় পতাকা বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। এবার নিউ টাউনের আদলে ব্যারাকপুর চিড়িয়ামোড়ে তৈরি করা হচ্ছে বিশ্ববাংলা গেট (Gate) । একইসঙ্গে সেখানে ঝুলন্ত রেস্টুরেন্ট তৈরি করা হবে। ইতিমধ্যেই বারাকপুর শহরে এসে জায়গা পরিদর্শন করে যান রাজ্য হেরিটেজ কমিশনের কর্তা শুভাপ্রসন্ন ভট্টাচার্য। সঙ্গে ছিলেন বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী এবং বারাকপুর পুরসভার চেয়ারম্যান উত্তম দাস। তৃণমূল বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী বলেন, বারাকপুর ঐতিহাসিক শহর। তাই, এই শহরের ঐতিহ্যকে তুলে ধরতেই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এদিন এলাকা পরিদর্শন করে কোথায় উন্নয়নমূলক কাজ করা হবে তা খতিয়ে দেখা হয়।

    বারাকপুরের ইতিহাস তুলে ধরতে কী উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে? Gate

    কয়েক বছর আগে বারাকপুর প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerje) উত্স্যধারা প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছিলেন। সেই প্রকল্পের মাধ্যমে বারাকপুরের ইতিহাস ফুটিয়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই প্রকল্পের কাজ খুব শীঘ্রই শুরু হবে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। এবার তৃণমূল বিধায়কের উদ্যোগে বারাকপুর স্টেশনের সামনে থেকে ১৫ নম্বর রেল গেট পর্যন্ত ঘোষ পাড়া রোডের ধারে রেলের যে পাঁচিল রয়েছে, সেই পাঁচিলের দেওয়ালে বারাকপুরের ইতিহাস সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলা হবে। রং দিয়ে ছবি এঁকে ফুটিয়ে তোলা হবে। বিধায়ক কোটার টাকায় এই প্রকল্পের কাজ করা হবে।  এমনিতেই বারাকপুর স্টেশন থেকে ১৫ নম্বর রেল গেট পর্যন্ত রাস্তাটি অত্যন্ত খারাপ ছিল। সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তায় জল দাঁড়িয়ে যেত। যানবাহন চলাচলে চরম সমস্যা হত। কয়েক মাস আগে প্রায় দেড় কোটি টাকা খরচ করে পূর্ত দপ্তরের পক্ষ থেকে রাস্তাটি ঢেলে সংস্কার করা হয়েছে। সঙ্গে পথচারীদের চলাচলের জন্য ফুটপাতও তৈরি করা হয়েছে। তৃণমূল বিধায়ক বলেন, এবার পাঁচিলের দেওয়ালে সুন্দর ছবি এঁকে বারাকপুরের ইতিহাস ফুটিয়ে তোলা হবে। বাইরে থেকে আসা মানুষ এই ছবি দেখেই বারাকপুরের ইতিহাস সম্পর্কে একটি সুন্দর ধারণা তৈরি হবে। পাশাপাশি বারাকপুর চিড়িয়ামোড়ে নিউ টাউনের বিশ্ববাংলার আদলে একটি বিশাল গেট(Gate)  তৈরি করা হবে। একইসঙ্গে সেখানে থাকবে ঝুলন্ত রেষ্টুরেন্ট। তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের টাকায় এই কাজ করা হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share