মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাসিনা-উত্তর জমানায় অশান্ত হয়েছে বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছাড়ার পরেই বেড়েছে অশান্তির বহর। এহেন আবহে (Indian Army) কখনও বাংলাদেশি সেনার উচ্চ পর্যায়ের দল পাকিস্তানে (Pakistan) গিয়ে দেখা করেছে পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই কর্তাদের সঙ্গে। কখনও আবার আইএসআইয়ের পদস্থ কর্তারা ঢাকার বিলাসবহুল হোটেলে গিয়ে ইউনূস প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। এই প্রেক্ষিতে, পদ্মাপাড়ে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের সঙ্গে দহরম-মহরম বাড়ানোর চেষ্টা করা পাকিস্তানকে ঘুরিয়ে কড়া বার্তা দিল ভারতীয় সেনা।
‘সন্ত্রাসের এপিসেন্টার’ পাকিস্তান
সাম্প্রতিক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে, সদ্য সীমান্তের ‘চিকেনস নেক’ এলাকার কাছে বাংলাদেশের বেশ কিছু এলাকায় পা পড়েছে পাকিস্তানের সেনা কর্তা ও সেদেশের গুপ্তচর বিভাগের সদস্যদের। এলাকায় তাঁরা পরিদর্শন করতে যান বলে ছিল খবর। পূর্ব ভারতে পাকিস্তানের গতিবিধি প্রসঙ্গে জেনারেল দ্বিবেদী বলেন, “একটি দেশের (পাকিস্তান) জন্য আমি একটা শব্দ ব্যবহার করেছিলাম, ‘সন্ত্রাসের এপিসেন্টার’। সেনাপ্রধান যোগ করেন, এবার সে দেশের লোকজন অন্য দেশে যাচ্ছেন এবং সেই অন্য দেশটি যদি আমাদের প্রতিবেশী দেশ হয়, যতদূর আমার মনে হচ্ছে, আমার উদ্বেগে থাকারই কথা…যাতে তারা সে দেশের মাটি ব্যবহার করে ভারতে সন্ত্রাসবাদী না পাঠায়, সেটা নিয়েই ভাবনা।”
ঢাকা-নয়াদিল্লি সম্পর্ক প্রসঙ্গে ভারতের সেনা প্রধান (Indian Army) বলেন, “যে সেট আপ সেখানে রয়েছে, তা প্রশাসনিক, নির্বাচিত সরকার এলে সম্পর্কের বিষয়ে বলা যাবে।” তবে বাংলাদেশের সেনার (Pakistan) সঙ্গে ভারতীয় সেনার সম্পর্ক অত্যন্ত মজবুত বলে তিনি জানান। সেনাপ্রধান বলেন, “যখন দরকার পড়ে, আমরা নোট আদানপ্রদান করে নিই। এভাবেই চলে আসছে।”
ভারতীয় সেনার কড়া জবাব (Indian Army)
এরই মধ্যে আবার কাশ্মীরে পাকিস্তান সম্প্রতি সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। তার যোগ্য জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনা। এহেন আবহে পাকিস্তানকে কড়া বার্তা দিলেন ভারতীয় সেনাপ্রধান উপেন্দ্র দ্বিবেদী। তিনি বলেন, “২০১৪ সাল থেকে উভয় পক্ষই জানে যে আমরা কাজে বিশ্বাসী। আমরা আমাদের বার্তা খুব স্পষ্টভাবে দিয়ে থাকি। প্রয়োজন পড়লে আমরা আগ্রাসীও হতে পারি। আমাদের যদি কেউ বাধ্য করে, তাহলে আমরা আমাদের বার্তা পৌঁছে দিতে আগ্রাসী হব।” ভূস্বর্গে সন্ত্রাস প্রশ্নে সেনাপ্রধান (Indian Army) বলেন, “স্থানীয় জঙ্গির সংখ্যা এখন অনেক কমে গিয়েছে। ২০১৯ সালের অগাস্ট মাস থেকে কাশ্মীরে আমাদের উদ্দেশ্য সম্পর্কে স্পষ্ট বার্তা গিয়েছে। কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এবং তা নিয়ে কোনওভাবে আমরা কোনও আপোস করব না। আর এখন কাশ্মীরে সব নিরাপত্তা বাহিনী সাধারণ মানুষকে সাহায্য করতে হাতে হাত মিলিয়েছে।”