Tag: stress

stress

  • Stroke: স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা বাড়ছে! উত্তরোত্তর মানসিক চাপই কি সঙ্কটের মূলে? 

    Stroke: স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা বাড়ছে! উত্তরোত্তর মানসিক চাপই কি সঙ্কটের মূলে? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    দেশ জুড়ে বাড়ছে বিপদ! কম বয়সিদের মধ্যে বাড়তি ঝুঁকি তৈরি করছে উদ্বেগ। চিকিৎসক মহল জানাচ্ছেন, আগাম সচেতনতা না বাড়লে এমন রোগের ঝুঁকি এড়িয়ে চলা কঠিন হয়ে যাবে। সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশে মৃত্যুর কারণ হিসেবে যেসব রোগের তালিকা রয়েছে, তাতে চতুর্থ স্থানে রয়েছে স্ট্রোক (Stroke)। যেসব রোগে শারীরিক অক্ষমতা তৈরি হয়, স্বাভাবিক জীবন‌যাপন ব্যাহত হয়, সেই তালিকায় পঞ্চম স্থানে রয়েছে এই রোগ। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা বাড়ছে। কয়েক বছর আগেও পঞ্চাশোর্ধ্বদের এই রোগের প্রকোপ বেশি ছিল। কিন্তু এখন পঁচিশ পেরনোর পরেই বহু মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।‌ এই প্রবণতা যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই তাঁরা মনে করছেন। 

     কেন বাড়ছে স্ট্রোকের ঝুঁকি? (Stroke)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, দেশ জুড়ে বাড়ছে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা। তাঁরা জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে এই সমস্যা সবচেয়ে বেশি দেখা দিচ্ছে। তাই স্ট্রোকের ঝুঁকিও বাড়ছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, দেহে রক্তচাপ স্বাভাবিক না থাকলে স্নায়ুর উপরেও চাপ পড়ে। মস্তিষ্কের উপরেও তার প্রভাব দেখা যায়। উচ্চ রক্তচাপ তাই স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। তরুণ প্রজন্মের অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপ স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ। 
    এছাড়াও মানসিক চাপ (Stress ও অবসাদ স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ বলেই মনে করছেন‌ চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের অনেকেই এমন সামাজিক ও কর্মজগতের চাপে থাকেন, তাতে মানসিক শান্তি ব্যাহত হয়। তাঁরা নানান অবসাদের শিকার হন। যার জেরে তাদের দেহে একাধিক হরমোন অধিক সক্রিয় থাকে। আবার পর্যাপ্ত ঘুম হয় না। এর জেরে মস্তিষ্কে নানান প্রতিক্রিয়া হয়। এর থেকেই স্ট্রোকের (Stroke) ঝুঁকি বাড়ে। 
    অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপনকেও স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হিসেবে জানান চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের একাংশ অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাসে অভ্যস্ত হয়। এর ফলে শরীরে নানান সমস্যা দেখা দেয়। একাধিক রোগের কারণ এই অনিয়মিত অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেকেই নিয়মিত বাজারের চটজলদি খাবার খান। এর ফলে তাঁদের অতিরিক্ত ওজন বেড়ে যায়। আবার রক্তচাপের সমস্যাও দেখা যায়। কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়ে। সবমিলিয়ে স্ট্রোকের মতো রোগের ঝুঁকি বাড়তে থাকে। 

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা? (Stroke) 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শরীর ও মনের বিশ্রাম সবচেয়ে বেশি জরুরি। স্ট্রোকের মতো রোগের দাপট এড়াতে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। তাতে ঝুঁকি অনেকটাই কমবে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাড়তি নুন খাওয়া যাবে না।‌ কম তেলমশলার খাবার খাওয়া জরুরি। নির্দিষ্ট সময় অন্তর খাবার খাওয়া দরকার। 
    বিশেষজ্ঞদের একাংশের পরামর্শ, নিয়মিত যোগাভ্যাস জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, মানসিক চাপ দূর করতে এবং দেহের স্ট্রেস হরমোনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত যোগাভ্যাস দরকার। এতে শরীরে রক্ত সঞ্চালন ভালোভাবে হবে‌। আবার স্ট্রেস হরমোন নিয়ন্ত্রণে থেকে মানসিক শান্তি বজায় থাকবে‌। 
    পর্যাপ্ত ঘুম জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, অপ্রয়োজনীয় রাত জাগার অভ‌্যাস ক্ষতিকারক। রাতে নির্দিষ্ট সময়ে অন্তত আট ঘণ্টা ঘুমোনো দরকার। তাহলে স্ট্রোকের (Stroke) মতো রোগ প্রতিরোধ সহজ হয়।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Loneliness: একাকিত্ব বাড়ছে, তার জেরেই বাড়ছে একাধিক রোগের দাপট! কীভাবে সুস্থ থাকবেন?

    Loneliness: একাকিত্ব বাড়ছে, তার জেরেই বাড়ছে একাধিক রোগের দাপট! কীভাবে সুস্থ থাকবেন?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    পঞ্চাশের চৌকাঠে পা রেখেই বাড়ছে নানান রোগ। নানান ওষুধের গুণে দীর্ঘ জীবন পেলেও, সুস্থ জীবনযাপন এখন চ্যালেঞ্জের মুখে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছে, একাকিত্ব বাড়ছে। আর তার জেরেই বাড়ছে একাধিক রোগের দাপট। সাম্প্রতিক এক গবেষণা জানাচ্ছে, বন্ধুহীন নিঃসঙ্গ জীবন (Loneliness) কমাচ্ছে জীবন‌ যাপনের মান। আর তার জেরেই সমস্যা বাড়ছে। অন্তত এমনটাই জানাচ্ছে এক সাম্প্রতিক গবেষণার রিপোর্ট।

    কী বলছে সাম্প্রতিক রিপোর্ট?

    আন্তর্জাতিক এক সংস্থার তত্ত্বাবধানে দেশজুড়ে গবেষণায় দেখা গিয়েছে, একাকিত্ব বাড়ছে। পঞ্চাশোর্ধ্বদের মধ্যে এই সমস্যা সবচেয়ে বেশি। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, কলকাতা, দিল্লি, চেন্নাই সহ দেশের একাধিক বড় শহরে অধিকাংশ মানুষ বন্ধুহীন জীবন কাটাচ্ছেন। তাই বাড়ছে একাকিত্ব। যার জেরে নানান রোগের জটিলতাও বাড়ছে‌।

    কী সমস্যা বাড়ায় একাকিত্ব? (Loneliness)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, একাকিত্ব মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকারক। তাঁরা জানাচ্ছেন, এর জেরে এক ধরনের মানসিক চাপ তৈরি হয়। দীর্ঘদিন একাকিত্বের সমস্যায় ভুগলে মানসিক অবসাদ তৈরি হয়। জেরেন্টোলজিস্টদের (বয়স্কদের রোগ বিশেষজ্ঞ) একাংশ জানাচ্ছে, বয়স্কদের একাধিক রোগের কারণ এই একাকিত্ব। একাকিত্বের জেরে বাড়ছে মানসিক অবসাদ। তার জন্য খাওয়ার ইচ্ছে চলে যাচ্ছে। অনেক বয়স্করাই একা থাকার জন্য ঠিক মতো নিয়মিত রান্না করেন না। সময় মেনে অনেকেই খাবার খান না। এর জেরে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি কমে। আবার একাকিত্বের জেরে বাড়ছে নানান মানসিক চাপ ও উদ্বেগ। ফলে, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যাও বাড়ছে। তাই হৃদরোগ থেকে কিডনির জটিল অসুখ, সবকিছুর পিছনেই রয়েছে একাকিত্বের মতো‌ সমস্যা।

    কী পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল?

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছে, একাকিত্ব (Loneliness) এক ধরনের মানসিক অবস্থা। একা থাকা মানেই একাকিত্ব নয়। অনেকেই পরিবারের সঙ্গে থেকেও এই একাকিত্বের সমস্যায় ভোগেন। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, সন্তানেরা কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন। বাড়িতে কেউ থাকেন না। পরিবার বলতে আশপাশে কেউ নেই। এমন মানুষ অধিকাংশ ক্ষেত্রে একাকিত্বের মতো সমস্যায় ভুগছেন। তাই মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, কিছুই ভালো না লাগা, হঠাৎ খুব নিঃসঙ্গ মনে হওয়া, যে কোনও বিষয়ে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ার মতো উপসর্গ দেখা দিলে দরকার চিকিৎসকের পরামর্শ। প্রয়োজনীয় থেরাপি ও ওষুধ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। তবে, একাকিত্বের সমস্যা (Multiple Diseases) এড়াতে নিয়মিত যোগাভ্যাস জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত যোগাভ্যাস মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখে। 
    নিয়মিত সকালে হাঁটার পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, মাঠে নিয়মিত হাঁটলে পরিবেশের সঙ্গে সুন্দর যোগাযোগ গড়ে ওঠে। সকালে হাঁটার অভ্যাস শরীর সুস্থ রাখার পাশপাশি মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখে। ক্লান্তি দূর করে‌। সকালে বহু মানুষের সঙ্গে সহজেই দেখা হয়। তাই মন হালকা থাকে। একাকিত্ব গ্রাস করে না।

    বই পড়ুন

    বই পড়ার অভ্যাস জরুরি। এমনি পরামর্শ দিচ্ছেন জেরেন্টোলজিস্টদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ প্রবীণ নাগরিক এখন একা (Loneliness) থাকেন। দিনভর তাদের সঙ্গ দেওয়ার মানুষের অভাব। তাই দরকার বই পড়ার অভ্যাস। এতে দিনের অনেকটা সময় সুন্দরভাবে কাটানো যায়। এর ফলে একাকিত্ব গ্রাস করার সুযোগ কম। আবার নিয়মিত বই পড়লে মস্তিষ্ক সক্রিয় থাকে। ফলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বজায় থাকে (Multiple Diseases)।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Music Therapy: শিশু থেকে বয়স্ক, কোন কোন অসুখ নিরাময়ে সাহায্য করে মিউজিক থেরাপি?

    Music Therapy: শিশু থেকে বয়স্ক, কোন কোন অসুখ নিরাময়ে সাহায্য করে মিউজিক থেরাপি?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বিনোদন কিংবা অবসর যাপনের সঙ্গী হিসেবেই নয়। রোগ নিরাময়েও বিশেষ সাহায্য করে গান‌। মনের জটিল রোগ থেকে স্নায়ুর সমস্যা কিংবা মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা সংক্রান্ত সমস্যার মতো একাধিক কঠিন রোগে ওষুধের মতো কাজ করতে পারে সঙ্গীত। রাগের ওঠা-নামার সঙ্গে তাল মেলাতে পারলেই কমবে নানান জটিল শারীরিক সমস্যা। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শিশু থেকে বয়স্ক, বিভিন্ন বয়সের মানুষের নানান জটিল রোগ নিরাময়ে মিউজিক (Music Therapy) থেরাপির ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এবার জেনে নিন কোন কোন রোগ নিরাময়ে সাহায্য করে মিউজিক থেরাপি?

    পারকিনসন্স-এ বিশেষ উপকারী মিউজিক থেরাপি (Music Therapy)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মস্তিষ্কের স্নায়ুর এক জটিল রোগ হল পারকিনসন। এই রোগে আক্রান্ত হলে হাত ও পায়ের কার্যক্ষমতা কমে যায়। স্বাভাবিক জীবন যাপন ব্যাহত হয়। রোগী কোনও সিদ্ধান্ত ঠিকমতো নিতে পারেন না। এমনকি প্রতিদিনের সাধারণ কাজগুলোও ঠিকমতো করতে পারেন না। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায়, বছর চল্লিশের পরে এই রোগে অনেকেই আক্রান্ত হচ্ছেন‌। ৬০-র চৌকাঠ পেরতেই এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। তাই বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, মিউজিক থেরাপি এই রোগ নিরাময়ে বিশেষ সাহায্য করে। তাঁরা জানাচ্ছেন, সঙ্গীত শুনলে শরীরে নিউরো-কেমিক্যাল বাড়ে। আর এই নিউরো-কেমিক্যাল মস্তিষ্ক সক্রিয় রাখতে বিশেষ সাহায্য করে। পারকিনসন রোগীর মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা নিয়েই সমস্যা হয়। তাই মিউজিক থেরাপি এই রোগের নিরাময়ে সাহায্য করে।

    সিজোফ্রেনিয়া রোগ নিয়ন্ত্রণে সঙ্গীতের বিশেষ ভূমিকা

    মিউজিক থেরাপি সবচেয়ে বেশি‌ প্রভাব ফেলে সিজোফ্রেনিয়া রোগীর উপরে। মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, দেহের হরমোনের ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে মিউজিক থেরাপি খুবই উপকারী (Music Therapy)। বিশেষত সঙ্গীত খুব দ্রুত স্ট্রেস হরমোনকে কাবু করতে পারে। সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের বিপদ বাড়ায় এই স্ট্রেস হরমোন। তাই মিউজিক থেরাপি নিলে এই রোগ সহজেই নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

    কথার আড়ষ্টতা কাটায় মিউজিক থেরাপি (Music Therapy)

    শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, শিশুদের মধ্যে কথা বলা নিয়ে নানান সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ পরিবারেই এখন শিশু একা থাকে। ছোট পরিবার। তাই সারাদিন কথা শোনার মানুষ কমছে। শিশুর তাই কথা শিখতেও অসুবিধা হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে জটিল শারীরিক সমস্যা না থাকলেও শিশুর কথায় মারাত্মক আড়ষ্টতা রয়েছে। ফলে শিশুর বিকাশে বাধা তৈরি হচ্ছে। আত্মবিশ্বাস নষ্ট হচ্ছে। শিশু মনস্তাত্ত্বিকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শিশুর জন্মের ছ’মাস পর থেকেই নিয়মিত শিশুকে রুচিশীল গান শোনালে শিশুর কথার আড়ষ্টতা সহজেই কাটবে। স্পষ্ট কথা বলতে শিখবে।

    রক্তচাপ ও হৃদস্পন্দনের অনিয়ন্ত্রিত ওঠা-পড়া স্বাভাবিক করে

    মানসিক অবসাদ কিংবা মানসিক চাপে ভুগলে তার সরাসরি প্রভাব রক্তচাপের উপরে পড়ে‌। এমনই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এর জেরে অনিয়ন্ত্রিতভাবে হৃদস্পন্দনের ওঠানামা হয়‌। হৃদপিণ্ডের কার্যকারিতার সমস্যা হয়। এই ধরনের সমস্যা কমায় মিউজিক থেরাপি (Music Therapy)। মানসিক চাপকে সঙ্গীত সহজেই কাবু করতে পারে। ফলে রক্তচাপ ও স্বাভাবিক থাকে। হৃদস্পন্দন নিয়ন্ত্রণে রাখে।

    মিউজিক থেরাপি কী? (Music Therapy)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মিউজিক থেরাপি দু’ধরনের হয়ে থাকে। অ্যাক্টিভ থেরাপি এবং প্যাসিভ থেরাপি। কোন ধরনের থেরাপি প্রয়োজন, তা রোগীর সমস্যা কতখানি গুরুতর, তার উপরে নির্ভর করেই বিশেষজ্ঞরা সিদ্ধান্ত নেন। অ্যাক্টিভ থেরাপিতে রোগী থেরাপিস্টের সঙ্গে একসাথে কোনও বাদ্যযন্ত্র বাজান। কিংবা অনেক সময় সঙ্গীত রচনাও করেন। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অটিস্টিক শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য এই অ্যাক্টিভ মিউজিক থেরাপি খুবই উপকারী। শিশু কোনেও বাদ্যযন্ত্র বাজাতে পারলে কিংবা নির্দিষ্ট কিছু গান নিজের মতো করে তৈরি করতে পারলে, তাদের শরীরের বিভিন্ন পেশির মধ্যে সমন্বয় বাড়ে। মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতাও বাড়ে। আবার, প্যাসিভ থেরাপিতে রোগী বিশ্রামে থাকেন। বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মতো গান শোনেন। কিংবা কোনও নির্দিষ্ট বাদ্যযন্ত্র শোনেন। যেমন বহু গর্ভস্থ মহিলা নানান জটিল সমস্যায় ভোগেন। তাদের জন্য এই প্যাসিভ মিউজিক থেরাপি খুব উপকারী। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই ধরনের থেরাপিতে মা ও শিশু দুজনেই সুস্থ থাকে। বড় বিপদ এড়ানো সহজ হয় (Music Therapy)।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Stroke: নিয়মিত হাঁটা আর খাবারে রাশ কমাতে পারে স্ট্রোকের ঝুঁকি?

    Stroke: নিয়মিত হাঁটা আর খাবারে রাশ কমাতে পারে স্ট্রোকের ঝুঁকি?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বিশ্বজুড়ে বাড়ছে হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের দাপট। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের মধ্যেও বাড়ছে এই দুই রোগ। আর তার নেপথ্যে রয়েছে হাইপারটেনশন। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ এবং অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। বয়স তিরিশের চৌকাঠ পেরনোর পরেই বাড়ছে নানান শারীরিক জটিলতা। অনেক ক্ষেত্রে সচেতনতার অভাবে বড় বিপদ ঘটছে। মস্তিষ্কের উপরে মারাত্মক চাপ পড়ছে। ফলে, স্ট্রোক হচ্ছে (Stroke)। এর জেরে ভোগান্তি বাড়ছে। এমনকি খুব কম বয়স থেকেই অনেকে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারছেন না। কিন্তু চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সচেতনতা বাড়ালে হাইপারটেনশনের মতো সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। আর তাহলেই হৃদরোগ কিংবা স্ট্রোকের মতো বিপদকে এড়ানো সহজ হবে। দেখা যাক, কোন পাঁচ অভ্যাস নিয়ন্ত্রণে রাখবে হাইপারটেনশন?

    নিয়মিত আধ ঘণ্টা হাঁটা (Stroke)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত অন্তত তিরিশ মিনিট হাঁটতে হবে। সকাল হোক বা সন্ধ্যা, নিয়ম করে অন্তত তিরিশ মিনিট হাঁটলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। শরীরের সর্বত্র ঠিকমতো রক্ত সঞ্চালন হয়। ফলে হৃদপিণ্ডের কার্যকারিতা বাড়ে। পাশপাশি স্নায়ু ঠিকমতো কাজ করে। ফলে, হৃদরোগ কিংবা স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে। পাশাপাশি, নিয়মিত হাঁটার অভ্যাস ওজন নিয়ন্ত্রণে বিশেষ সাহায্য করে। আর হাইপারটেনশন কাবু করতে স্থূলতা রুখতে হবে বলেও জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    বাড়তি নুন একেবারেই না

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একাধিক রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, ভারতে হাইপারটেনশন বাড়ার অন্যতম কারণ খাবারে অতিরিক্ত নুন খাওয়ার অভ্যাস। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অধিকাংশ ভারতীয় প্রয়োজনের তুলনায় ২০ শতাংশ অতিরিক্ত নুন খান। আর তার জেরে রক্ত সঞ্চালনে সরাসরি প্রভাব পড়ে। ফলে, হাইপারটেনশনের (Stroke) মতো রোগের লক্ষণ দেখা দেয়। হৃদরোগ কিংবা স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে হলে, অতিরিক্ত নুন খাওয়ার অভ্যাস বদল করতেই হবে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    ধূমপান বাড়াচ্ছে বিপদ (Stroke)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ধূমপানের অভ্যাস বিপজ্জনক। ক্যান্সারের পাশপাশি ধূমপান হৃদরোগ, ফুসফুসের সংক্রমণ এবং স্ট্রোকের মতো সমস্যার ঝুঁকি কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেয়। কিশোর বয়স থেকেই ধূমপানের প্রবণতা দেখা দিচ্ছে। মহিলাদের মধ্যেও ধূমপানের অভ্যাস বাড়ছে। এই অভ্যাস বিপজ্জনক। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করলে স্ট্রোক কিংবা হৃদরোগের ঝুঁকি কয়েক গুণ কমে। হাইপারটেনশনকে নিয়ন্ত্রণের সুযোগ অন্তত ১০ গুণ বেড়ে যায়। তাই ধূমপানের অভ্যাস থাকলে তাকে ত্যাগ করা জরুরি।

    স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসে অভ্যস্থ হতে হবে

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, খাবারেই রয়েছে সুস্থ জীবনের চাবিকাঠি। তাই সঠিক খাবারে অভ্যস্ত হলে হাইপারটেনশনের মতো রোগকেও সহজেই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। তাই নিয়মিত পর্যাপ্ত ভিটামিন ও খনিজ সম্পদ সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। তাই কিসমিস, খেজুর, বাদাম জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত। এগুলো রক্ত সঞ্চালনে বিশেষ সাহায্য করে। তাছাড়া, অতিরিক্ত তেলমশলা জাতীয় খাবার কিংবা রাসায়নিক দেওয়া প্রিজারভেটিভ খাবার খাওয়া একেবারেই বাদ দিতে হবে। এতে দেহে বাড়তি চর্বি তৈরি হয়। কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়ে। তাই হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে (Stroke)।

    শরীরের পাশাপাশি জরুরি মানসিক স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখা!

    শরীরের পাশপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখা জরুরি। হাইপারটেনশনের মতো রোগ কাবু করতে মানসিক স্বাস্থ্যে বাড়তি নজরদারি জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাই মানসিক চাপ বাড়লে খেয়াল রাখতে হবে। পরিবারের কেউ লাগাতার মানসিক চাপ কিংবা মানসিক অবসাদের শিকার হলে তার প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। কারণ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে শরীরের পাশপাশি মনকেও সুস্থ রাখা জরুরি (Stroke)।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Heart Attack: কেন অল্প বয়স্কদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের প্রবণতা বেশি দেখা যাচ্ছে? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

    Heart Attack: কেন অল্প বয়স্কদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের প্রবণতা বেশি দেখা যাচ্ছে? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্তমানে হার্ট অ্যাটাকের মত অনেক দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা সামনে এসেছে। ভারতে হার্ট অ্যাটাকের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। তাই কিছু চিকিৎসকদের মতে,  ভারত ধীরে ধীরে “diabetes capital”-এ পরিণত হয়ে যাচ্ছে। ভারতে যে কী পরিমাণে হার্ট অ্যাটাকের পরিমাণ বেড়েছে, তার প্রমাণ কিছুদিন আগেই দেখা গেল।

    সদ্যই প্রয়াত হয়েছেন জনপ্রিয় গায়ক কে কে। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে জানা গিয়েছে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েও তাঁর মৃত্যু হয়েছে। তবে এই ঘটনা নতুন নয়, এর আগেও এর আগেও বেশ কিছু তারকা যেমন সিদ্ধার্থ শুক্লা, পুনীত রাজকুমাক, অমিত মিস্ত্রি হৃদরোগে (Heart Disease) আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হয়েছেন। জনপ্রিয় কমেডিয়ান রাজু শ্রীবাস্তবও হার্ট রোগে আক্রান্ত হয়েই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।  

    বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমানে হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হওয়ার জন্য নির্দিষ্ট কোনও বয়স লাগে না, বরং দেখা গিয়েছে দেশের কমবয়সীদের মধ্যেই এই ঘটনা সবথেকে বেশি দেখা যাচ্ছে। তবে এমনটা হওয়ার কারণ কী তা নিয়ে বিস্তারিত জানালেন বিশেষজ্ঞরা।

    আরও পড়ুন: এখন যেকোনও বয়সেই রয়েছে হৃদরোগের ঝুঁকি, কোন লক্ষণগুলি দেখে বুঝবেন?

    হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম কারণ হল ধূমপান। ধূমপান, মদ্যপানের ফলেই রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা, উচ্চ রক্ততাপ, ডায়াবেটিসের প্রবণতা বেড়ে যাচ্ছে। এছাড়াও পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব, লাইফস্টাইলে পরিবর্তন, পুষ্টিকর খাবার না খাওয়া, এক্সারসাইজ না করা ইত্যাদি অন্যতম কারণ হার্ট অ্যাটাকের।

    হার্ট অ্যাটাকের আরও এক অন্যতম কারণ হল স্ট্রেস। বর্তমান প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা একটু বেশিই স্ট্রেসের মধ্যে ভোগে। করোনা আবহেও মানুষের মধ্যে স্ট্রেসের পরিমাণ বেড়ে গিয়েছে। এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। নানা কারণে স্ট্রেস দেখা দেয় তাদের মধ্যে। ব্যক্তিগত জীবন, পেশাগত জীবন, কাজের চাপ, পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি এসবই স্ট্রেসের কারণ হতে পারে।

    এর পাশাপাশি হার্ট অ্যাটাকের কারণ হিসেবে লাইফস্টাইলকেও দায়ী করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, বর্তমান প্রজন্মের লাইফস্টাইল একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয়। শরীরচর্চা না করার ফলে নানা অসুখের মাত্রাও বেড়ে যাচ্ছে। ফলে বাড়ছে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি।

    এছাড়া হৃদরোগের ক্ষেত্রে পরিবারেরও কিছু ভূমিকা থাকে। যদি আপনার পরিবারের কোনও সদস্যের হৃদরোগ থেকে থাকে, তবে সেক্ষেত্রেও হার্টের সমস্যা আপনার মধ্যেও দেখা দিতে পারে।

     

LinkedIn
Share