Tag: stroke risk in winter

stroke risk in winter

  • World Stroke Day: বিশ্ব স্ট্রোক দিবসে জেনে নিন এই মারণ রোগের সম্পর্কে নানা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

    World Stroke Day: বিশ্ব স্ট্রোক দিবসে জেনে নিন এই মারণ রোগের সম্পর্কে নানা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বব্যাপী, গত কয়েক বছরে মানুষের স্ট্রোকের ঘটনা ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়েছে।এটি এমন একটি রোগ যেটি রোগীকে আজীবন প্রতিবন্ধী করে তুলতে পারে এবং এমনকি স্ট্রোকের ফলে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে। বিশ্বের সকল মানুষকে স্ট্রোক সম্পর্কে সচেতন করার লক্ষ্যে প্রতি বছর ২৯ অক্টোবর ‘বিশ্ব স্ট্রোক দিবস'(World Stroke Day)পালন করা হয়।

    প্রতি ছয় সেকেন্ডে বিশ্বের কোনো না কোনো প্রান্তে কেউ না কেউ স্ট্রোকে আক্রান্ত ও মৃত্যুবরণ করছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, প্রতি চারজনের একজন জীবন অন্তত একবার স্ট্রোকের কবলে পড়ে। প্রতি বছর অন্তত দেড় কোটি মানুষ স্ট্রোক করে থাকেন। যাদের মধ্যে অন্তত ৬০ লাখ মানুষ মৃত্যুবরণ করেন।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমান করেছেন যে, ২০৩০ সালেই স্ট্রোকে মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় ১৭ মিলিয়নে বৃদ্ধি পাবে।

    চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, গত কয়েক বছরে ক্রমাগত পরিবর্তিত জীবনধারা এবং অনিয়মিত রুটিনের কারণে শুধু বয়স্কদের মধ্যেই নয়, তরুণদের মধ্যেও স্ট্রোকের সংখ্যা বেড়েছে। ২০১৯ সালে, ইন্ডিয়ান স্ট্রোক অ্যাসোসিয়েশন (আইএসএ) দ্বারা প্রকাশিত একটি তথ্য জানিয়েছে, সারা বিশ্বে প্রতি বছর প্রায় ১৭ মিলিয়ন মানুষ স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়, যারমধ্যে ৬.২ মিলিয়ন মানুষ মারা যায় । মানুষ অক্ষম হয়ে পড়ে। উল্লিখিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ১৫ বছরে ভারতে স্ট্রোকের ক্ষেত্রে ১৭.৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

    [tw]


    [/tw] 

    স্ট্রোকের সময় আবহাওয়া কী ভূমিকা পালন করে?

    বেশ কিছু গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঠান্ডা আবহাওয়া স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে রক্তনালীগুলি সংকুচিত হয়, যা রক্তচাপ বাড়াতে পারে এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়।

    বিশেষজ্ঞরা আরও জানান যে, অত্যন্ত নিম্ন তাপমাত্রার সময়, রক্ত ​​ঘন এবং আঠালো হয়ে যায়, ফলে রক্ত সহজেই জমাট বেঁধে যায়। রক্ত জমাট বাঁধার ফলে মস্তিষ্কের রক্তনালীকে বন্ধ করে দেয়।এটি স্ট্রোকের সবচেয়ে সাধারণ কারণ।

    স্ট্রোকের সাধারণ লক্ষণ

    • তীব্র মাথাব্যথা
    • শরীরে বিশেষ করে মুখ, পা অসাড়তা
    • পক্ষাঘাত
    • কথা বলতে বা বুঝতে সমস্যা হওয়া
    • দৃষ্টিশক্তি হ্রাস, এবং কখনও কখনও দৃষ্টি কালো এবং ঝাপসা হয়ে যাওয়া
    • বমি বমি ভাব
    • মাথা ঘোরা

    প্রতিরোধের জন্য কিছু টিপস

    মদ্যপান কমানো পারলে বন্ধ করা : অ্যালকোহল রক্তচাপের মাত্রা বাড়াতে পারে। নিয়মিত অ্যালকোহল পানের ফলে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়তে পারে।

    ধূমপান ত্যাগ: নিয়মিত ধূমপানের ফলে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়তে পারে। তাই ধূমপান কমানোর চেষ্টা করুন। প্রয়োজনে ধূমপান ছাড়ার উপায় জানতে চিকিত্সকের পরামর্শ নিন।

    জীবনযাত্রার পরিবর্তন: স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রাই কিন্তু স্ট্রোক প্রতিরোধের মূল হাতিয়ার। খাদ্যতালিকায় প্রচুর পরিমাণে তাজা ফল এবং শাকসবজি যোগ করুন। লবণ খাওয়া সীমিত করুন।

    শারীরিক কসরত: ওজন বজায় রাখতে, কোলেস্টেরল এবং রক্তচাপের মাত্রা কমাতে প্রতিদিন ব্যায়াম করতে হবে। সপ্তাহে ২-৩ দিন হালকা কার্ডিয়ো করুন। তবে ব্যায়াম অবশ্যই নিজের সক্ষমতার সীমার মধ্যে করুন। জোর করে শরীরকে কষ্ট দেবেন না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share