Tag: student clash

student clash

  • Bangladesh: ছাত্র আন্দোলনে ফের অশান্ত ঢাকা, বাতিল পরীক্ষা, ব্যাপক ক্ষোভ ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে

    Bangladesh: ছাত্র আন্দোলনে ফের অশান্ত ঢাকা, বাতিল পরীক্ষা, ব্যাপক ক্ষোভ ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দফায় দফায় ছাত্র সংঘর্ষের (Student Clash) জেরে অস্থির বাংলাদেশের (Bangladesh) রাজধানী ঢাকার জনজীবন। ইউনূস সরকারকেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে আন্দোলনকারীরা। সোমবার সকালেই আন্দোলনকারীরা হুঁশিয়ারি দেয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য মামুন আহমেদের পদত্যাগ সহ ৬ দাবি পূরণ করতে হবে। দাবি পূরণ না হলে, আন্দোলন তীব্র হবে বলে জানিয়েছেন পড়ুয়ারা। এমন আন্দোলনের জেরে ফের একবার গত বছরের জুলাই-অগাস্টের ছায়া দেখা যাচ্ছে।

    বাতিল পরীক্ষা (Bangladesh)

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল রবিবার রাতেই কলেজ ছাত্রদের ক্যাম্পাস ছাড়া করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা একে একে হস্টেল থেকে বেরিয়ে এসে ধাওয়া করে। এরপরেই দু-পক্ষের ব্যাপক সংঘর্ষ বেঁধে যায়। রাত তিনটে পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে। ঢাকার সাতটি কলেজের পড়ুয়াদের ডাকা হরতালের জেরে বিস্তীর্ণ এলাকার স্বাভাবিক জনজীবন ব্যহত হয়েছে। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ঘিরে রেখেছে পুলিশ ও সেনার যৌথ বাহিনী। পড়ুয়াদের পরিচয়পত্র দেখিয়ে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে। তবে সোমবার ক্যাম্পাস অন্যদিনের তুলনায় ফাঁকা। ব্যাপক অশান্তির আশঙ্কায় ঢাকার রাস্তায় যানবাহন তুলনামূলকভাবে অনেকটাই কম। অবস্থা এতটাই খারাপ যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (Bangladesh) সোমবারের সমস্ত পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। এই আবহে রবিবার রাতে পরিস্থিতি সামাল দিতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ঘটনাস্থলে যান, তবে তীব্র ক্ষোভের মুখে এলাকা ছাড়তে বাধ্য হন তিনি।

    ঘটনার সূত্রপাত কী নিয়ে (Bangladesh)

    জানা গিয়েছে, ঘটনার সূত্রপাত রবিবার রাতে। ঢাকার সাতটি কলেজ বহু বছর ধরেই স্বশাসন দাবি করছিল। তাদের বক্তব্য ছিল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা কলেজের শিক্ষার মান প্রতিনিয়ত কমে যাচ্ছে। ঠিক এই আবহে গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় সাতটি কলেজের কয়েকশো পড়ুয়া পাঁচ দফা দাবি নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য মামুন আহমেদের কাছে স্মারকলিপি দিতে যান। অভিযোগ সেসময় মামুন দুর্ব্যবহার করেন। এরপরেই ব্যাপক ক্ষোভ দেখা যায় ছাত্রদের মধ্যে। এরপরই সোমবার সকালে ৭টি কলেজের পড়ুয়ারা সাংবাদিক বৈঠক করেন। তাঁরা জানিয়ে দেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অধ্যাপক মামুন আহমেদকে ক্ষমা চাইতে হবে এবং ইস্তফা দিতে হবে। একইসঙ্গে গতকালের হামলার জন্য নিউমার্কেট থানা এলাকার ওসি, এসি সহ আধিকারিকদের কাজ থেকে বরখাস্ত করার দাবিও জানান তাঁরা।

  • IIEST Shibpur: শিবপুর আইআইইএসটি-তে নেই র‍্যাগিং বা ছাত্র সংঘর্ষের ঘটনা, কীভাবে সম্ভব হল?

    IIEST Shibpur: শিবপুর আইআইইএসটি-তে নেই র‍্যাগিং বা ছাত্র সংঘর্ষের ঘটনা, কীভাবে সম্ভব হল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: র‍্যাগিংয়ের অভিযোগে ছাত্রমৃত্যুতে উত্তাল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। অথচ এরকমই ছাত্রমৃত্যুর পর বন্ধ হয়ে গিয়েছিল হাওড়ার শিবপুর আইআইইএসটি-তে ছাত্র সংঘর্ষ ও র‍্যাগিংয়ের ঘটনা। অভিযোগ, ২০০৬ সালের আগে বারবার র‍্যাগিং ও ছাত্র সংঘর্ষের অভিযোগ আসত হাওড়ার শিবপুরের বেঙ্গল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড সায়েন্স ইউনিভার্সিটি থেকে। ২০০৬ সালে তৎকালীন বেঙ্গল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড সায়েন্স ইউনিভার্সিটি বা বেসু-র ১১ নম্বর হস্টেলের দোতলার বারান্দা থেকে নিচে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয় সৌমিক বসু নামে তৃতীয় বর্ষের ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্রের। সেই সময় বেসুতে এসএফআই  এবং ইন্ডিপেন্ডেন্ট কনসলিডেশন নামে দুই ছাত্র গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ প্রায়শই লেগে থাকত। মাঝে মধ্যে অভিযোগ আসত র‍্যাগিংয়েরও।

    কীভাবে মৃত্যু হয়েছিল সৌমিক বসুর?

    সৌমিক বসু এসএফআই-এর সমর্থক ছিলেন। ২০০৬ সালের ৭ই অগাস্ট রাতে ১১ নম্বর হস্টেলে দুই ছাত্র গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ৮ ই অগাস্ট যখন ততকালীন রেজিস্ট্রার ইন্দ্রনাথ সিনহা (বর্তমানে মাইনিং ডিপার্টমেন্টের অধ্যাপক) হস্টেলে ঢুকছিলেন, সেই সময় ওই ছেলেটি মনে করেন যে ইন্দ্রনাথবাবু পুরো ব্যাপারটা জেনে গেছেন। তখন তিনি ছুটে পালাতে যান। তখন ছিল বর্ষাকাল। বারান্দা ভিজে ছিল। পা পিছলে দোতলা থেকে নিচে পড়ে যান ওই যুবক। মুখ দিয়ে গ্যাঁজলা বেরোতে থাকে। প্রথমে কলেজের ছাত্র ও শিক্ষকরা দ্রুত তাঁকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে গ্রিন করিডোর করে সিএমআরআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু তার পরেও বাঁচানো যায়নি। ১২ তারিখ অর্থাৎ ঘটনার তিন দিন পর তাঁর মৃত্যু হয়।

    কীভাবে ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে গেল র‍্যাগিং?

    সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের নির্দেশে সিআইডি তদন্ত শুরু হয়। সিআইডির তদন্ত রিপোর্ট পাওয়া যায়নি। পরে পরশমণি চট্টোপাধ্যায় কমিশন গঠন করা হয়। পরশমণি চট্টোপাধ্যায় বেসু-র প্রাক্তন উপাচার্য ছিলেন। তিনি এই ক্যাম্পাসে গন্ডগোল এবং র‍্যাগিং রুখতে বেশ কিছু পরামর্শ দেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকেও এ ব্যাপারে বেশ কিছু কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়। তার ফলে ক্যাম্পাসে সংঘর্ষ আস্তে আস্তে কমে যায় এবং র‍্যাগিংয়ের ঘটনাও পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীকালে ২০১৪ সালে বেঙ্গল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড সায়েন্স ইউনিভার্সিটি বেসু রূপান্তরিত হয় শিবপুর আইআইইএসটি-তে। কেন্দ্রের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের অধীনে চলে আসে বেসু। শিবপুরের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি বর্তমানে ইউজিসি সরাসরি নিয়ন্ত্রণ করে।

    এরপর ‍র‍্যাগিং বা ছাত্র সংঘর্ষের ঘটনা রুখতে আইআইইএসটির অধ্যাপকরা উদ্যোগী হন। ‍র‍্যাগিং এবং ছাত্র সংগঠনের ঘটনা বন্ধে যেমন অ্যান্টি র‍্যাগিং কমিটিকে সক্রিয় করা হয়, এর পাশাপাশি ছাত্রদের অভাব-অভিযোগ নিয়ে নিয়মিত বৈঠক হয়। ক্যাম্পাস চত্বরে সিসিটিভি, অ্যান্টি রাগিং হেল্পলাইন চালু করা, বাইরের রাজনীতি থেকে শিক্ষা ক্ষেত্রে রাজনীতি বন্ধ করা, আইআইইএসটি-র গেটে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা, কোনও রকম আইডি কার্ড ছাড়া কাউকে ক্যাম্পাসে ঢুকতে না দেওয়া, এই সমস্ত নানা পদক্ষেপের ফলে র‍্যাগিং ও ক্যাম্পাসে সংঘর্ষ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।

    কী বলছেন ছাত্ররা?

    আইআইইএসটির এক ছাত্র বলেন, যাদবপুরে যেমন বহিরাগত রাজনৈতিক দলের হস্তক্ষেপ অনেক বেশি দেখা যায়, সে দিক থেকে শিবপুর আইআইইএসটি সম্পূর্ণ ভাবে বাইরের রাজনীতি থেকে মুক্ত। কেন্দ্র সরকারের অধীনে সরাসরি চলে যাওয়ার পর সেখানে ছাত্র নির্বাচন বন্ধ হয়ে যায়। ছাত্রছাত্রীরা নিজেরাই তাঁদের লিডার নির্বাচন করেন। এছাড়া হস্টেল ক্যাম্পাসে পাশ আউট ছাত্রদের থাকার কোনও ব্যবস্থা নেই। হস্টেল, লাইব্রেরি সহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সব ধরনের বিভাগ থেকে ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট দিলে তবেই ছাত্রদের হাতে মার্কশিট দেওয়া হয়। স্বাভাবিকভাবেই আইআইইএসটি-তে বহিরাগত বা পাশ আউট ছাত্রছাত্রীরা থাকার কোনও ব্যবস্থা নেই।

    কী বলছেন জয়েন্ট রেজিস্ট্রার? 

    বর্তমান জয়েন্ট রেজিস্ট্রার (অ্যাকাডেমিক) নির্মাল্যকুমার ভট্টাচার্য বলেন, ২০০৬ সালে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনার পর ছাত্র-ছাত্রীদের উপলব্ধি হয় যে অযথা নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ছেন তাঁরা। তারপর থেকে নিজেরাই আস্তে আস্তে এই ধরনের কর্মকাণ্ড বন্ধ করে দেন। অন্যদিকে বর্তমান ছাত্র-ছাত্রীরা জানিয়েছেন, বর্তমানে এখানে র‍্যাগিং বলে কিছু নেই। উল্টে তাঁরা সিনিয়রদের কাছ থেকে সহযোগিতা পান অনেক বেশি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share