মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে পৌঁছল রাশিয়ার পঞ্চম প্রজন্মের স্টেলথ যুদ্ধবিমান ‘সু-৫৭ই’ (Su 57 Fighter Jets)। বেঙ্গালুরুতে বসতে চলেছে এরো ইন্ডিয়া ২০২৫-এর (Aero India 2025) আসর। বিভিন্ন দেশের যুদ্ধবিমান সেখানে অংশগ্রহণ করবে এবং প্রদর্শনীতে অংশ নেবে। সেখানেই থাকবে এই অত্যাধুনিক রুশ যুদ্ধবিমান। ইতিমধ্যে, ভারতে এই যুদ্ধবিমান তৈরির প্রস্তাব দিয়েছে রাশিয়া। তার পর থেকেই এই যুদ্ধবিমানকে ঘিরে আগ্রহ আরও বেড়ে গিয়েছে জনমানসে।
ভারত বনাম আমেরিকা যুদ্ধবিমানের ডুয়েল!
এশিয়ার বৃহত্তম এরোস্পেস প্রদর্শনী হল এরো ইন্ডিয়া (Aero India 2025)। এ বছর এই অনুষ্ঠান ১৫ বছরে পড়ল। বেঙ্গালুরুর ইয়ালাহাঙ্কা এয়ারবেসে আগামী ১০ থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি হবে বিভিন্ন যুদ্ধবিমানের প্রদর্শনী ও মহড়া। এ বছর এই শোয়ের অন্যতম বড় আকর্ষণ হতে চলেছে সুখোই সু-৫৭ই যুদ্ধবিমান (Su 57 Fighter Jets)। এই শোয়ে অংশগ্রহণ করার কথা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেলথ প্রঞ্চম প্রজন্মের এফ-৩৫এ যুদ্ধবিমানের। কিন্তু, সূত্রের খবর অনুযায়ী, হয়ত মার্কিন জেট এবার অংশগ্রহণ করবে না। একইভাবে, আপগ্রেডেড এফ-১৬ যুদ্ধবিমানেরও প্রদর্শনীতে অংশ নেওয়ার কথা থাকলেও, তা সম্ভবত আসছে না বলে খবর। ফলে, রাশিয়া বনাম আমেরিকার আধুনিকতম যুদ্ধবিমানকে একসঙ্গে চাক্ষুষ করার সুযোগ থাকছে না। যে কারণে, রুশ যুদ্ধবিমান (Su 57 Fighter Jets) নিয়ে আগ্রহ আরও কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে।
ভারতে সু-৫৭ যুদ্ধবিমান উৎপাদনের প্রস্তাব
ইতিমধ্যেই, ভারতের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে পঞ্চম প্রজন্মের সু-৫৭ যুদ্ধবিমান (Su 57 Fighter Jets) ভারতেই উৎপাদন করার প্রস্তাব নয়াদিল্লিকে দিয়েছে মস্কো। তবে, ভারত নিজস্ব পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান ‘অ্যামকা’ (Indian FGFA) তৈরি করছে। সেই প্রক্রিয়া অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। ফলে, ভারত কতটা এই প্রস্তাবে আগ্রহ দেখাবে তা নিয়ে সন্দেহ। আর এই বিষয়টা বিলক্ষণ জানে রাশিয়াও। তাই, অ্যামকা তৈরি করার ক্ষেত্রেও প্রযুক্তিগত সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে রেখেছে মস্কো। রুশ সংবাদসংস্থা স্পুটনিকের দাবি, সু-৫৭ যুদ্ধবিমান রাশিয়ায় তৈরি করে ভারতে উড়িয়ে আনা বা পরে এদেশে যৌথ উদ্যোগে তৈরি করা এবং অ্যামকা (Indian FGFA) তৈরি করার ক্ষেত্রে কারিগরি সহযোগিতা— নয়াদিল্লিকে পাঠানো প্রস্তাবে জানিয়েছে মস্কো। এখানে বলে রাখা প্রয়োজন, অতীতে এই দুই দেশ যৌথ উদ্যোগে এই যুদ্ধবিমানকেই (পিএকে-এফএ) তৈরি করার প্রক্রিয়া শুরু করেছিল (Su 57 Fighter Jets)। কিন্তু, দাম, কার্যকারিতা, প্রযুক্তি হস্তান্তর ও অংশীদারিত্ব নিয়ে সমস্যা তৈরি হওয়ায়, ওই প্রকল্প থেকে সরে আসে ভারত। ফলে, এত বছর পর, ভারতকে রাজি করানো সহজ নয় রাশিয়ার।