Tag: success story

success story

  • Success Story: লন্ডনের চাকরি ছেড়ে আইএএস হন দিব্যা, স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরে গ্রামে করেন জলের ব্যবস্থা

    Success Story: লন্ডনের চাকরি ছেড়ে আইএএস হন দিব্যা, স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরে গ্রামে করেন জলের ব্যবস্থা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউপিএসসি, ক্যাট, জয়েন্ট এন্ট্রাস দেশের সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষাগুলির অন্যতম হিসেবে বিবেচিত হয় (Success Story)। এই পরীক্ষাগুলির মধ্যে যেকোনও একটিতেও পাশ করা যে কোনও ব্যক্তির ক্ষেত্রে বড় সাফল্য মনে করা হয়। আমাদের প্রতিবেদনে এমন একজন আইএএস আধিকারিক (IAS Divya Mittal) সম্পর্কে জানব যিনি এই তিনটি কঠিন পরীক্ষাতেই পাশ করেছেন। হরিয়ানার দিব্যা মিত্তাল। প্রথমে জয়েন্ট এন্ট্রাস, তারপর ক্যাট এবং অবশেষে ইউপিএসসি পরীক্ষায় সফল হয়েছেন। কাজে যোগ দেন উত্তরপ্রদেশের মির্জাপুরের জেলা শাসক হিসেবে। এখানকার হালিয়া ব্লকের লাহুরিয়াদহ গ্রামে স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরেও জল ছিল না। আইএএস আধিকারিক হিসেবে দিব্যা মিত্তাল ওই গ্রামে প্রথম জলের ব্যবস্থা করেন। তাঁর এই কাজের জন্য সকলেই দিব্যাকে কুর্নিশ জানান।

    দিব্যা মিত্তাল হরিয়ানার রেওয়ারির বাসিন্দা (Success Story)

    জানা যায়, দিব্যা মিত্তাল হরিয়ানার রেওয়ারির বাসিন্দা (Success Story)। তিনি কোনওরকম কোচিং ছাড়াই প্রথম প্রচেষ্টাতেই ইউপিএসসি-র CSSE পরীক্ষায় পাশ করতে সক্ষম হয়েছেন। প্রথমে তিনি আইপিএস অফিসার হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু পরে মনস্থির করেন আইএস অফিসার হবেন। তাই আবার দেন ইউপিএসসি। র‌্যাঙ্ক আসে ৬৮। নির্বাচিত হন আইএএস আধিকারিক হিসেবে।

    লন্ডনে চাকরি ছেড়ে ভারতে ফিরে আসেন

    দিব্যা মিত্তালের যাত্রা শুরু হয়েছিল দিল্লি আইআইটি থেকে। বিটেক ডিগ্রি নেওয়ার পরে তিনি ক্যাট পরীক্ষা দেন (Success Story)। এরপরে আইআইএম বেঙ্গালুরু থেকে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপরে লন্ডনের একবড় কোম্পানিতে কাজে যোগ দেন। তবে, দেশের প্রতি তাঁর ভালোবাসা তাঁকে ভারতে ফিরিয়ে আনে। শুরু করেন সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার প্রস্তুতি। জানা গিয়েছে,তাঁর স্বামী গগনদীপ সিংও একজন আইএএস অফিসার।

    পড়ুয়াদের কী টিপস দিলেন দিব্যা?

    ইউপিএসসির পরীক্ষার্থীদের প্রতি দিব্যার টিপস, মোবাইল ফোন থেকে দূরে থাকতেই হবে। তিনি বলেন যে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার প্রস্তুতি যাঁরা নিচ্ছেন, তাঁদের অবশ্যই নিজেদের লক্ষ্যের দিকে মনোনিবেশ করা উচিত। মুসৌরির এলবিএসএনএএ-তে, সিভিল সার্ভিস অফিসারদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। সেখানেই অসাধারণ পারফরম্যান্সের (Success Story) অশোক বাম্বাওয়ালে পুরস্কার পান দিব্যা মিত্তাল।

  • Meherbai Tata: টাটাকে বাঁচিয়েছিল এই মহিলার হিরে, চেনেন ভারতের প্রথম মহিলা টেনিস অলিম্পিয়ানকে?

    Meherbai Tata: টাটাকে বাঁচিয়েছিল এই মহিলার হিরে, চেনেন ভারতের প্রথম মহিলা টেনিস অলিম্পিয়ানকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের উন্নয়ন এবং সমৃদ্ধিতে টাটা (India’s First Female Tennis Olympian) পরিবারের অবদান অনস্বীকার্য। আজকের প্রজন্ম রতন টাটার দানশীলতার জন্য তাঁকে চেনেন। তাঁর অকাল প্রয়াণের পরে তাঁর সৎভাই নোয়েল টাটাকেও মানুষ চিনেছে। তবে এঁদের আগে এমন অনেকেই ছিলেন যাঁরা টাটা পরিবারের রত্ন। একবার, ব্যবসার উদ্দেশে বেঙ্গালুরু গিয়ে বিজ্ঞানী হোমি ভাবার সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল টাটা কোম্পানির (Tata Steel) প্রতিষ্ঠাতা জামশেদজি টাটার। ভাবা তখন বেঙ্গালুরুর একটি কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন। ভাবার নিমন্ত্রণে তাঁর বাড়ি গিয়ে তাঁর মেয়ে মেহরবাইয়ের সঙ্গে পরিচয় হয় জামশেদজির। প্রথম দেখাতেই মেহরবাইকে ভালো লেগে গিয়েছিল। এর কিছু দিন পরই ছেলে দোরাবজিকে বেঙ্গালুরুতে ভাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেন মেহরবাইয়ের সঙ্গে আলাপ করার জন্য। মেহরবাইকেই পরিবারের বড় বউ করে ঘরে তুলেছিলেন জমশেদজি। তিনি নিজের সময়ের থেকে অনেকটাই এগিয়ে ছিলেন। ১৯২৪ সালে তিনি প্যারিস অলিম্পিক্সের টেনিস খেলায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। তাও আবার পরিবারের সম্মান বজায় রাখতে শাড়ি পরেই টেনিস কোর্টে নেমেছিলেন তিনি। পারসি শৈলিতে শাড়ি পরিধান করে তিনি খেলতে নেমেছিলেন। এটাকে ‘গারা’ বলা হয়ে থাকে।

    মেহেরবাই টাটার পরিচয়

    ১৮৭৯ সালে জন্মগ্রহণকারী মেহেরবাই মাত্র ১৮ বছর বয়সে জামশেদজি টাটার বড় ছেলে স্যার দোরাবজির সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। সেই সময়ে, যখন নারীদের ঘরের বাইরে যাওয়া নিষিদ্ধ ছিল, লেডি মেহেরবাই নারী শিক্ষার পক্ষে সওয়াল করেছিলেন, তাদের ভোটাধিকার এবং পুরনো পর্দা প্রথা বিলোপের জন্য কাজ করেছিলেন। জমশেদজির মনের মতো করে, নিজের শিক্ষা এবং সংস্কৃতি দিয়ে পরিবারকে আগলে রেখেছিলেন মেহরবাই। পরিবারের প্রতি এবং স্বামীর প্রতি এতটাই দায়বদ্ধ ছিলেন যে নিজের পছন্দের সবচেয়ে মূল্যবান জিনিসটিও পরিবারের স্বার্থে বেচে দিয়েছিলেন মেহেরবাই। অত্যন্ত স্বাধীনচেতা মানসিকতার মানুষ ছিলেন তিনি। এই মানসিকতা অবশ্য বাবার কাছ থেকে পেয়েছিলেন বলে বহু বার জানিয়েছিলেন তিনি। মহিলাদের উপর কোনও নির্যাতন মেনে নিতে পারতেন না মেহরবাই। পর্দা প্রথা রোধ, বাল্যবিবাহ রোধ, মহিলাদের মধ্যে শিক্ষার প্রসার ঘটানো— সবেতেই তাঁর উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে। দেশের বাইরেও এই সমস্ত বিষয়ে সংগঠন গড়ে তুলেছিলেন তিনি। ভারতীয় রেড ক্রস সোসাইটির সদস্যও ছিলেন তিনি। তাঁর প্রচেষ্টায় ১৯২৯ সালের শিশু বিবাহ নিষেধাজ্ঞা আইন কার্যকর হয়। 

    সংস্থাকে দেউলিয়া থেকে বাঁচান

    সালটা ১৯২০। টাটাদের ব্যবসা সে সময় ফুলে ফেঁপে উঠেছিল। একাধিক ব্যবসায় হাত লাগাতে শুরু করেছিল গোষ্ঠী। কিন্তু ১৯২৪ সাল নাগাদ ব্যবসায় বড় মাপের ক্ষতি হয়ে গিয়েছিল। প্রচুর ধার হয়ে গিয়েছিল ব্যাঙ্কের কাছে। ধার শোধ করে ব্যবসা বাঁচানোর উপায় বাতলে দিয়েছিলেন মেহরবাই। স্বামীর কাছ থেকে উপহার পাওয়া জুবিলি হিরের আংটি বেচে ধার শোধ করেছিলেন তিনি। সেইসময় হিরের ওজন ২৪৫.৩৫ ক্যারেট ছিল। আয়তনে কোহিনূর হিরের প্রায় দ্বিগুণ। বিশ্বের ষষ্ঠ বৃহত্তম হিরে ছিল সেটি। 

    অলিম্পিকে ভারতের প্রতিনিধিত্ব

    মেহরবাই শুধু ভালো মানুষ ছিলেন না, তিনি ভালো খেলোয়াড়ও (India’s First Female Tennis Olympian) ছিলেন। টেনিস খেলতে খুব ভালোবাসতেন। স্বামীর সঙ্গে উইম্বলডন দেখতে যেতেন। ১৯২৪ সালে প্যারিস অলিম্পিকে টেনিসে প্রথম ভারতীয় মহিলা হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। তিনি ঐতিহ্যবাহী শাড়ি পরে অলিম্পিকে অংশগ্রহণ করেছিলেন। এই টুর্নামেন্টের মিক্সড ডাবলস ইভেন্টে অংশগ্রহণ করেছিলেন লেডি মেহরবাই টাটা। তাঁর পার্টনারের নাম ছিল মহম্মদ সেলিম। যদি অলিম্পিক্স টুর্নামন্টে এই জুটি কোনও পদক জিততে পারেনি। তবে আন্তর্জাতিক টেনিসে একাধিক পদক জয় করেছেন লেডি মেহরবাই টাটা। প্রায় ৬০টি টুর্নামেন্টে তিনি অংশগ্রহণ করেছিলেন। ভারতে মহিলাদের খেলাধুলোর প্রসারে লেডি মেহরবাই টাটার একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। তিনি এক জন দক্ষ ঘোড়সওয়ারও ছিলেন। তিনিই প্রথম ভারতীয় মহিলা যিনি বিমানে উঠেছিলেন। ১৯১২ সালে জেপলিন এয়ারশিপে উঠেছিলেন তিনি।

    আরও পড়ুন: কমলার থেকে কম ভোট পেয়েও আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হতে পারেন ট্রাম্প! জানেন কীভাবে?

    আজও অনুপ্রেরণা

    ১৯৩১ সালে মাত্র ৫২ বছর বয়সে লিউকোমিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় মেহরবাইয়ের। স্ত্রীর কষ্ট খুব কাছ থেকে দেখেছিলেন স্বামী দোরাবজি। স্ত্রীর মৃত্যুর পর তাই লেডি টাটা মেমোরিয়াল ট্রাস্ট গড়ে তোলেন তিনি। রক্তের বিভিন্ন রোগ নিয়ে গবেষণা করাই ছিল এর কাজ। লেডি মেহরবাই এখনও ভারতীয় মেয়েদের কাছে অনুপ্রেরণার প্রতীক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Success Story: কাশ্মীরের প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে ইউপিএসসি অফিসার! উপত্যকায় প্রেরণার উৎস শফিক

    Success Story: কাশ্মীরের প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে ইউপিএসসি অফিসার! উপত্যকায় প্রেরণার উৎস শফিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu Kashmir) প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে ইউপিএসসি-তে  (UPSC CAPF) সুযোগ পেলেন মহম্মদ শফিক। রাজৌরি জেলার মানজাকোট তহসিলের একটি প্রত্যন্ত গ্রাম হায়াতপুরার বাসিন্দা শফিক কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। যেখানে অতীতে শুধুই গোলাগুলির শব্দ শোনা যেত, এখন সেখান থেকেই ইউপিএসসি-পরীক্ষায় সফল ছাত্র। উপত্যকার মানুষের কাছে শফিক এক আইকন (Success Story)। 

    প্রেরণার উৎস (Success Story)

    হায়াতপুর জেলা সদর থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে প্রত্যন্ত গ্রামের বাসিন্দা শফিক। এখানে জীবন যাপন যথেষ্ট কঠিন। প্রতিদিন নানা প্রতিকূলতার মুখে পড়তে হয় শফিকদের। তবুও লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। নিজেদের শ্রেষ্ঠ প্রমাম করার তাগিদ থেকেই এই লড়াই। ভারতের সঙ্গে একাত্ম হওয়ার লড়াই। বিচ্ছিন্নতা নয়, শফিকরা বিশ্বাস করেন তাঁরা ভারতবাসী। এই দেশের তরুণ সমাজের মতোই তাঁরাও স্বপ্ন দেখে প্রশাসনিক স্তরে নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করার। এই কাজে সফল শফিক। উপত্যকার তরুণ সম্প্রদায়ের কাছে প্রেরণার (Success Story) উৎস তিনি।

    কঠিন লড়াই (Jammu Kashmir) 

    ভারতের সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষাগুলির মধ্যে একটি ইউপিএসসি। এই পরীক্ষায় সফল হওয়ার জন্য কঠিন পথ পেরোতে হয়েছে বলে জানান শফিক। তিনি বলেন,“আমাদের আর্থিক অবস্থা তেমন ভালো ছিল না যার কারণে আমরা পায়ে হেঁটে মাঞ্জাকোটে স্কুলে যেতাম। আমি রাজৌরী থেকে কলেজ করেছি। আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে আমি রাজৌরীতে থাকতে পারিনি যে কারণে আমাকে প্রতিদিন রাজৌরী যেতে হত। আমি মাঞ্জাকোট থেকে প্রথম বাসে চড়তাম, তারপর অটো নিতাম এবং ২-৩ বার চেঞ্জ করে কলেজে যেতাম। এই সমস্ত প্রচেষ্টার পরে, আমার উপস্থিতি ৯৫ শতাংশের উপরে ছিল।” ছোট থেকেই দেশের সেবা করতে চাইতেন শফিক। তাই এই কাজে আসা বলেও জানান তিনি। বাবা-মা সাফল্যের উৎস, অভিমত শফিকের। তাঁর কথায়, “আমার বাবা-মা ছোটবেলা থেকেই সমর্থন ও উৎসাহ দিয়েছেন। আমার ব্যর্থতাতেও তাঁরা আমাকে সমর্থন করেছেন। তাঁরাই আমার সাফল্যের কারণ।”

    আরও পড়ুন: দিনমজুর থেকে আইআইটির ছাত্র! উত্তরপ্রদেশের গগন এখন পড়ুয়াদের প্রেরণা

    খুশি পরিবার

    ছেলের সাফল্যে খুশি বাবা-মা ও পরিবারের সকলে। শফিকের মা শামীম আক্তার বলেন,  “বাবা-মায়ের অবস্থা যেমনই হোক তাঁদের উচিত ছেলেমেয়েদর শিক্ষিত করা। আমার ছেলেরা খুব কষ্ট করে স্কুল যেত। কঠিন পরিস্থিতিতে ভারতীয় সেনা আমাদের পাশে দাঁড়াত। তাই ছোট থেকেই দেশের জন্য কাজ করতে চাইত শফিক। আমি খুশি ও দেশ সেবা করবে এই ভেবেই।” শফিকের বাবা বারকেত হোসেন বলেন, “আমরা হিন্দুস্তানে থাকি এটা আমাদের দেশ আর আমরা হিন্দুস্তানি।” শফিকের ভাইরাও তাঁরই পদাঙ্ক অনুসরণ (Success Story) করতে চান বলে জানিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Success Story: ১৩ বছরে আইআইটি-জয়েন্টে উত্তীর্ণ, চব্বিশেই পিএইচডি! এক বিরল প্রতিভা, কে ইনি?

    Success Story: ১৩ বছরে আইআইটি-জয়েন্টে উত্তীর্ণ, চব্বিশেই পিএইচডি! এক বিরল প্রতিভা, কে ইনি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইআইটি-জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষাকে দেশের মধ্যে অন্যতম কঠিন পরীক্ষা বলে গণ্য করা হয় (Success Story)। দেশের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ার স্বপ্ন কে না রাখে! তবে সুযোগ পায় ক’জন! প্রতিবছর কয়েক লক্ষ পড়ুয়া আইআইটির জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় বসেন, কিন্তু তাঁদের মধ্যে মাত্র কয়েকশো জনই (Genius Tales) আইআইটিতে পড়ার সুযোগ পাযন। কঠিন এই পরীক্ষাতে মাত্র ১৩ বছর বয়সেই সফল হন বিহারের সত্যম কুমার। যাঁকে অঙ্কের জিনিয়াস বলেও ডাকা হয়। আজকে আমরা জানব সত্যম কুমারের প্রেরণাদায়ক যাত্রা (Success Story)।

    বিহারের ভোজপুর জেলার বাসিন্দা (Success Story)

    সত্যম কুমার আদতে বিহারের ভোজপুর জেলার বাসিন্দা। তাঁর পিতা পেশায় একজন কৃষক। সত্যম কুমার প্রথমবারের জন্য আইআইটি জয়েন্ট এন্টান্স পরীক্ষায় বসেছিলেন ২০১১ সালে। সেবারে তাঁর র‌্যাঙ্ক হয় ৮,১৩৭। এই র‌্যাঙ্কে সত্যম সন্তুষ্ট হন না। এর পর ফের একবার নতুন উদ্যমে শুরু করেন পড়াশোনা। কঠিন অধ্যাবসায়ের ফল মিলতে (Success Story) সময় লাগে মাত্র ১ বছর। ২০১২ সালেই সত্যম পুনরায় আইআইটি পরীক্ষায় বসেন এবং সে বছর তাঁর র‍্যাঙ্ক হয় ৬৭৯। ২০১২ সালে তাঁর বয়স ছিল মাত্র ১৩ বছর। সত্যমের এমন সাফল্যে অবাক হয়ে যায় সবাই। নিজের সাক্ষাৎকারে সত্যম কুমার জানিয়েছেন, প্রথমবার আইআইটিস এক্সামে যখন তিনি বসেছিলেন ১২ বছর বয়সে, তখন তাঁর র‌্যাঙ্ক নিয়ে তিনি সন্তুষ্ট ছিলেন না। তাই নতুন করে আবার সবকিছু পড়াশোনা শুরু করেন তিনি। পরবর্তীকালে, আইআইটি কানপুরে তিনি ভর্তি হন। সেখান থেকে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে একসঙ্গে বিটেক ও এমটেক সম্পন্ন করেন।

    মাত্র ২৪ বছর বয়সেই সম্পন্ন হয় তাঁর পিএইচডি ডিগ্রি (Genius Tales)

    পরবর্তীকালে পিএইচডি করার জন্য পাড়ি দেন আমেরিকা। গবেষণা চালান ব্রেন কম্পিউটার ইন্টারফেস-এর ওপরে। মাত্র ২৪ বছর বয়সেই সম্পন্ন হয় তাঁর পিএইচডি ডিগ্রি। সত্যম কুমারের LinkedIn-এ প্রোফাইল রয়েছে। সেই প্রোফাইলে অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, InterDigital-এও তিনি রিসার্চ করেছেন। পরবর্তীকালে অ্যাপেল কোম্পানির ইন্টার্ন হিসেবেও কাজে যোগ দেন তিনি। বর্তমানে তাঁর লক্ষ্য রয়েছে ফেসবুকের মতো সমাজ মাধ্যমের প্ল্যাটফর্মগুলিকে আরও কীভাবে উন্নত করা যায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Success Story: দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই, গুলির চিহ্ন সারা দেহে, ১৬ বারের চেষ্টায় রিঙ্কু সফল ইউপিএসসিতে

    Success Story: দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই, গুলির চিহ্ন সারা দেহে, ১৬ বারের চেষ্টায় রিঙ্কু সফল ইউপিএসসিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের রিঙ্কু সিং রাহি। ১৬ বারের প্রচেষ্টায় উত্তীর্ণ হয়েছেন ইউপিএসসি পরীক্ষা। দুষ্কৃতীরা ৬ রাউন্ড গুলি চালায় তাঁর ওপর। ভর্তি থাকেন হাসপাতালে। এরপরে সেসব বাধা টপকে তিনি কঠোর অধ্যাবসায় করেন আর তাতেই মিলল সাফল্য (Success Story)। ২০০৭ সালেই ডিস্ট্রিক্ট সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার অফিসার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন। পাশ করেছিলেন উত্তর প্রদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষা। কর্মজীবনের প্রবেশ করার পরে একজন দায়িত্বশীল সরকারি আমলা হিসেবে তিনি যথেষ্ট দক্ষতার পরিচয় দিতে থাকেন। এই সময়ের মধ্যে একটি প্রকল্পে তিনি দুর্নীতি ধরে ফেলেন। দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতরা রিঙ্কু সিংকে (Rinku Sing Rahi) ক্রমাগত জীবনহানির হুমকি দিতে থাকে। দুষ্কৃতীরা তাঁর ওপরে ভয়াবহ আক্রমণ শানায়। এই সময়ে রিঙ্কু সিং রাহি গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হন। কিন্তু তারপরেই তিনি তাঁর জীবনে কাম ব্যাক করেন। নিতে থাকেন দেশের অন্যতম কঠিন পরীক্ষা ইউপিএসসির প্রস্তুতি। বর্তমানে তিনি একজন ট্রেনি আইএএস অফিসার।

    বুলেটের ভাঙা অংশ থেকে যায় মাথায় (Success Story)

    উত্তরপ্রদেশের ডিস্ট্রিক্ট সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার অফিসার হিসেবে প্রায় ১০০ কোটি টাকার দুর্নীতি তিনি সামনে আনেন। ২০০৯ সালের ৬ মার্চ তিনি জখম ব্যাডমিন্টন খেলছিলেন তাঁর ওপরে দুষ্কৃতীরা হামলা চালায়। পরপর ৬ রাউন্ড গুলি করে তারা। গুরুতর জখম হন (Success Story) রিঙ্কু সিং। এতটাই গুরুতর ছিল আঘাত, যে হাসপাতালে চারমাস ভর্তি থাকতে হয়েছিল রিঙ্কুকে। তাঁর চোখে এবং চোয়ালে ব্যাপক আঘাত লাগে। একটি বুলেটের ভাঙা অংশ তাঁর মাথাতেও থেকে যায়। পরে অপারেশন করতে হয়। এই সমস্ত কিছু সত্ত্বেও হাসপাতাল থেকে ছুটি পেয়ে তিনি (Rinku Sing Rahi) কাজে যোগ দেন।

    ইউপিএসসি পরীক্ষায় দিব্যাঙ্গ ক্যাটাগরিতে ১৬তম প্রচেষ্টায় ৬৮৩ র‌্যাঙ্ক করেন সারাদেশে

    দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সদা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ থাকতেন রিঙ্কু সিং। ২০১২ সালে আন্না হাজারের দুর্নীতি বিরোধী (Success Story) যে আন্দোলন ইউপিএস সরকারের বিরুদ্ধে সংঘটিত করেছিলেন, সেখানেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন। বারবার পুলিশি বাধার মুখে তাঁকে পড়তে হয়েছে। কিন্তু এসব সত্বেও তিনি দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন গড়ার পিছনে সর্বদাই অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছেন। ২০১৮ সালে তাঁকে কাজ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। পরে কাজে যোগদানের পরে তিনি সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার ডিপার্টমেন্টের কোচিং সেন্টারের দায়িত্ব নেন হাপুরে। তাঁর গাইডেন্সে প্রচুর অ্যাসপিরেন্ট সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয় (Success Story)। জানা যায়, দ্বাদশ শ্রেণি উত্তীর্ণ হওয়ার পরেই তিনি স্নাতক হন টাটা ইনস্টিটিউট থেকে। রিঙ্কু সিং ২০২১ সালের ইউপিএসসি পরীক্ষায় দিব্যাঙ্গ ক্যাটাগরিতে ১৬ তম প্রচেষ্টায় ৬৮৩ র‌্যাঙ্ক  করেন সারাদেশে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Success Story: তিন বার ব্যর্থ হয়েও পরিশ্রম ও জেদকে সম্বল করে আইএএস অফিসার আদিবাসী তরুণী মনীষা

    Success Story: তিন বার ব্যর্থ হয়েও পরিশ্রম ও জেদকে সম্বল করে আইএএস অফিসার আদিবাসী তরুণী মনীষা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাফল্য (Success Story) একদিনে আসে না। সাফল্য একটা প্রয়াস। বার বার চেষ্টা করলেই লক্ষ্যে পৌঁছনো যায়। মনের জেদ বজায় রাখতে হয়। পরিশ্রম করে যেতে হয়। এই কথাগুলোকে আঁকড়ে ধরেই এগিয়ে গিয়েছিলেন মনীষা ধারভে। একবার নয় দুইবার নয়, তিনবার ব্যর্থ হয়েছিলেন ইউপিএসসি পরীক্ষায়। তবু হাল ছাড়েননি। বড় অফিসার তাঁকে হতেই হবে। চতুর্থবারে সফল। আসলে কেউ লড়াই করলে ভাগ্য দেবতাও এক না একদিন তাঁর প্রতি সদয় হন। বড় বড় মণীষীরা বলেছেন, মানুষ নিজের কর্মের জোড়ে ভাগ্য বদলাতে পারে। তারই বড় প্রমাণ মনীষা (Manisha Dharve)।

    মনীষার লড়াই (Success Story)

    ছোট থেকেই মোধাবী ছাত্রী ছিলেন মনীষা (Manisha Dharve)। মনীষার প্রাথমিক শিক্ষা শুরু হয় বন্দরনিয়া গ্রামের একটি অঙ্গনওয়াড়িতে। তার বাবা, গঙ্গারাম ধরভে বড় চাকরি ছেড়ে গ্রামের শিশুদের শিক্ষিত করার কাজে ব্রতী হন। মা জামনা ধারভেও সরকারি স্কুলে পড়াতেন। মনীষা ছোট থেকেই পড়াশোনাকে তাঁর বন্ধু করেছিল। দশম শ্রেণির পরীক্ষায় ৭৫ শতাংশ ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় ৭৮ শতাংশ নম্বর পান গ্রামের আদিবাসী কিশোরী মনীষা। এরপর ইন্দোরের হোলকার কলেজ থেকে কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা করেন মনীষা। স্নাতক শেষ করে দিল্লিতে গিয়ে ইউপিএসসি (UPSC) পরীক্ষার প্রস্তুতি নেন মনীষা। প্রথমবার ব্যর্থ হয়ে গ্রামে ফিরে যান মনীষা। এবার শুরু হয় আসল লড়াই। দিনের পর দিন একমনে নিজেই পড়ে যেতে থাকেন মনীষা। দ্বিতীয়বারও ব্যর্থ (Success Story)। শুরু হয় সমালোচনা। পাড়া-প্রতিবেশী থেকে আত্মীয় স্বজন অনেকেই বাবতে থাকেন এই মেয়ের দ্বারা কিস্যু হবে না। কোনও কিছুতে কান না দিয়েই নিজের কাজ করতে থাকে মেয়েটি। তৃতীয়বারও সাফল্য মেলেনি। ধীরে ধীরে বাবা-মাও হতাশ হয়ে পড়েন। কিন্তু আশা ছাড়েননি মনীষা। আরও আরও ভাল করা চেষ্টা। চতুর্থবার ২০২৩ ইউপিএসসি পরীক্ষায় ২৫৭ তম স্থান পান মনীষা। অবশেষে স্বপ্নপূরণ।

    আরও পড়ুন: বালিকা বধূ রূপা এখন ডাক্তার! মাত্র ৮ বছরে বিয়ে, দুই সন্তানের মা অবশেষে স্বপ্নপূরণ

    কী করবেন মনীষা (Success Story)

     খারগোনের ঝিরনিয়া ব্লকের বোন্ডারনিয়া গ্রামের বাসিন্দা মনীষা (Manisha Dharve)। ছোট থেকে গ্রামেই বড় হয়েছেন। দেখেছেন আদিবাসী মহিলাদের কষ্ট। গ্রামের গরীব মানুষরা কতটা অসহায়। তাই অফিসার হয়ে সেই অসহায় মানুষদের জন্য কাজ করাই লক্ষ্য আদিবাসী কন্যার। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Success Story: ডেন্টিস্ট থেকে এক চান্সেই আইপিএস, সিমির গল্প হার মানায় রূপকথাকেও

    Success Story: ডেন্টিস্ট থেকে এক চান্সেই আইপিএস, সিমির গল্প হার মানায় রূপকথাকেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছিলেন পেশায় দন্ত চিকিৎসক। তবে বরাবর প্রশাসনিক কাজকর্মই ছিল তাঁর পছন্দের তালিকার ওপরের দিকেই (Success Story)। সেই স্বপ্ন পূরণ করেই এবার খবরের শিরোনামে নভজ্যোত সিমি (Navjot Simi)। প্রথমবারের চেষ্টায় ইউপিএসসির মতো কঠিন একটি পরীক্ষার চৌকাঠ পার হয়েছেন তিনি। তাঁর সাফল্যের কাহিনি ছড়িয়েছে কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর সৌন্দর্য এবং নিষ্ঠার তারিফ করছেন আসমুদ্র হিমাচলবাসী।

    সিমির পাখির চোখ (Success Story)

    পাঞ্জাবের গুরুদাসপুরে ১৯৮৭ সালের ২১ ডিসেম্বরে জন্ম সিমির। ছোট থেকেই পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ ছিল তাঁর। স্কুলের পাঠ শেষে লুধিয়ানার একটি মেডিক্যাল কলেজ থেকে পাশ করে ডেন্টিস্ট হন সিমি। চেম্বার খুলে শুরু করে দেন দন্তচিকিৎসাও। তবে তাঁর পাখির চোখ ছিল সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় লক্ষ্যভেদ করা। এজন্য দিল্লির একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ভর্তি হন তিনি। সাহায্য নেন ইন্টারনেটেরও।

    ইউপিএসসি ক্র্যাক মেধাবিনীর

    রোগীদের দাঁত ও মাড়ির বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করার পাশাপাশি প্রস্তুতি শুরু করে দেন ইউপিএসসি পরীক্ষারও। দিনরাত এক করে পড়াশোনা করেন সিমি (Success Story)। প্রথমবারের চেষ্টায়ই লক্ষ্যভেদ করতে সমর্থ হন এই রূপসী। ইউপিএসসি পরীক্ষায় তাঁর স্থান হয় ৭৩৫। বিহার ক্যাডারের আইপিএস হিসেবে শুরু করেন কর্মজীবন। বর্তমানে বিহারের মহিলা ও দুর্বল শ্রেণির জন্য যে বিশেষ পুলিশবাহিনী রয়েছে, তার সুপার পদে রয়েছেন এই মেধাবিনী।

    পাঞ্জাবেরই তুষার সিঙ্গলার সঙ্গে বিয়ে হয় সিমির। তুষার আইএএস অফিসার। ২০১৫ সালে ইউপিএসসি পরীক্ষায় তাঁর স্থান হয়েছিল সাফল্যে তালিকার ৮৬ নম্বরে। শত কর্মব্যস্ততার মধ্যেও চুটিয়ে সংসার করে চলেছেন তুষার-সিমি (Navjot Simi)। ইতিমধ্যেই মা-ও হয়েছেন। ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে পুত্র সন্তানের জন্ম দেন সিমি। পছন্দ করেন ঘুরে বেড়াতে। স্বামীর সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় বেড়াতে যাওয়ার ছবি সমাজমাধ্যমে পোস্টও করেন প্রায়ই।

    প্রথমবারের চেষ্টায় কীভাবে করলেন লক্ষ্যভেদ? ইউপিএসসির মতো একটি কঠিন পরীক্ষার চৌকাঠ কীভাবে টপকালেন প্রথমবারেই? পাঞ্জাবী এই তন্বী বলেন, “ব্যয়বহুল কোচিং সেন্টারের সাহায্য ছাড়াও ডিঙোনো যায় এই পরীক্ষার চৌকাঠ। আমার বিশ্বাস, কঠোর পরিশ্রম, পড়াশোনার প্রতি নিষ্ঠা, লক্ষ্য পূরণে গভীর মনোযোগ এবং অবশ্যই পরীক্ষাটি সম্পর্কে সম্যক ধারণা এনে দেবে সাফল্য।”

    হাসি ঝরে পড়ে সিমির মুখে। যে হাসিতে মিশে রয়েছে গর্ব, নিষ্ঠা এবং অবশ্যই প্রত্যয় (Success Story)।

     

     

     

  • Success Story: ডাক্তারিতে সুযোগ, পরে আইএএস! চাকরি ছেড়ে ২৬ হাজার কোটির কোম্পানি রোমান সাইনির

    Success Story: ডাক্তারিতে সুযোগ, পরে আইএএস! চাকরি ছেড়ে ২৬ হাজার কোটির কোম্পানি রোমান সাইনির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসম্ভব প্রতিভাবান, অদম্য জেদ ও দুর্দম সাহসের নাম রোমান সাইনি। মাত্র ২২ বছর বয়সে দেশের অন্যতম কঠিন আইএএস অফিসারের চাকরি পেয়েও হেলায় সেই চাকরি ছেড়ে যিনি গড়ে তুলতে শুরু করেন নিজের কোম্পানি। তার আগে অবশ্য ১৬ বছর বয়সেই ডাক্তারির প্রবেশিকা পরীক্ষায় (Medical Entrance Exam) পাশ করেছিলেন। কিন্তু মন বসেনি ছুড়ি-কাঁচিতে। হয়েছিলেন আইএএস (IAS)। মধ্যপ্রদেশের এক জেলায় জেলাশাসক হিসাবে কাজেও যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু, সেই কাজও ছেড়ে দিয়ে এখন তিনি ২৬ হাজার কোটির কোম্পানির মালিক।

    কে এই রোমান সাইনি

    রোমান সাইনির বাবা ছিলেন রাজস্থানের একজন ইঞ্জিনিয়ার আর মা ছিলেন গৃহকর্ত্রী। তাঁর দিদি আয়ুষি সাইনি মেডিকেলের ছাত্রী। দাদা আবেশ সাইনি একজন প্রতিষ্ঠিত শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ। রোমানও (Roman Saini) মাত্র ১৬ বছর বয়সে এআইআইএমএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। শুরু হয় এমবিবিএস পড়া। ডাক্তারি পাশ করে মাত্র ছয় মাসের জন্য ন্যাশনাল ড্রাগ ডিপেন্ডেন্স ট্রিটমেন্ট সেন্টারে চিকিৎসা করেছিলেন রোমান সাইনি। কিন্তু তার ডাক্তারি জীবন সেখানেই শেষ। ডাক্তারি নয়, মন আটকায় সিভিল সার্ভিসে (Civil Service)। মাত্র ২২ বছর বয়সেই দেশের অন্যতম কঠিন পরীক্ষা ইউপিএসসি উত্তীর্ণ হয়ে সফল আইএএস হন রোমান (Roman Saini)। মধ্যপ্রদেশের একজন ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টর হিসেবে বেশ কিছুদিন চাকরি করেন তিনি। কিন্তু সেই চাকরিও বেশিদিন করেননি রোমান। 

    চাকরি নয়, নিজের কোম্পানি

    নিজের উদ্যোগে কিছু করব। এই ভাবনাই তাঁর মধ্যে ছোট থেকে কাজ করত। সেই ভাবনা থেকেই বড় সরকারি চাকরি ছেড়ে বন্ধু গৌরব মুঞ্জল ও হেমেশ সিংকে নিয়ে তৈরি করে ফেলেছিলেন এক এডু-টেক সংস্থা। বর্তমানে সেই সংস্থার নাম গোটা দেশজুড়ে। শিক্ষার দুনিয়ায় খুলে গিয়েছে এক নবদিগন্ত। কালেক্টরের চাকরি ছেড়ে বন্ধু গৌরব মুঞ্জলের সঙ্গে একত্রে একটি ওয়েবসাইট চালানোর কাজ শুরু করেন যার নাম দেন ‘আন অ্যাকাডেমি’ (Unacademy)। এখানে দেশের সমস্ত ইউপিএসসি উৎসাহী পরীক্ষার্থীদের পড়ানো হত। বেঙ্গালুরুতে শুরু হয় এই ব্যবসায়িক এড-টেক কোম্পানি। লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়ে কোচিং নেওয়ার বদলে সামান্য কিছু টাকার বিনিময়ে উৎসাহীদের পড়িয়ে তাদের ইউপিএসসির পথে এগিয়ে দেওয়াই উদ্দেশ্য ছিল গৌরব এবং রোমানের।

    আরও পড়ুন: বিদেশে উচ্চশিক্ষা কে না চায়! বিশ্বের নানা প্রান্তে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাড়ছে পড়ার সুযোগ

    এখন কোথায় রোমানের কোম্পানি

    এখন রোমানের সংস্থা কত পড়ুয়ার সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা পাশ করার স্বপ্নপূরণ করছে। অনলাইন পড়াশোনার দুনিয়াতেও খুলে গিয়েছে নতুন পথ। মেধাকে সঙ্গী করে অল্প খরচে অনেকেই হচ্ছেন আইএএস, আইপিএস। সংস্থার ইউটিউব চ্যানেলেও হু হু করে বেড়েছে সাবস্ক্রাইবার। অনলাইনে চলছে ইউপিএসসি-র কোচিং।  বর্তমানে প্রায় ১৮০০০ এর বেশি শিক্ষক এই সংস্থার হাত ধরে কোচিং দিয়ে যাচ্ছেন। বিগত ৫ বছরে সংস্থার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছে দেশের সর্বত্র। বর্তমানে এই সংস্থার মোট বাজার মূল্য প্রায় ২৬০০০ কোটির বেশি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Success Story: ৭৯ বার প্রত্যাখ্যান হওয়ার পর সাফল্য! র‍্যাপিডোর সহ-প্রতিষ্ঠাতা পবনের আজানা কাহিনী

    Success Story: ৭৯ বার প্রত্যাখ্যান হওয়ার পর সাফল্য! র‍্যাপিডোর সহ-প্রতিষ্ঠাতা পবনের আজানা কাহিনী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাফল্য কখনই সহজে আসে না। বহু প্রতীক্ষা আর একনিষ্ঠ চেষ্টার পরেই সাফল্য আসে। তবে সফলতার পথে প্রত্যাখ্যান তো আসবেই। কিন্তু প্রথম প্রত্যাখ্যানেই ভেঙে পড়লে সফলতার শিখরে কখনওই পৌঁছনো যাবে না। বরং প্রত্যাখ্যান থেকেই শিক্ষা নিয়ে লক্ষ্য স্থির রেখে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। অনেক প্রত্যাখ্যানের পর সফলতা পেয়েছে এমন উদাহরণ আমাদের সমাজে অনেকই আছে। তবে আজ জানাব আইআইটি স্নাতক পবন গুন্টুপল্লির জীবন কাহিনী (Success Story), যা শুনে অনুপ্রাণিত হবেন আপনিও। 

    কে এই পবন গুন্টুপল্লি? (Pavan Guntupalli) 

    তেলঙ্গানার বাসিন্দা পবন গুন্টুপল্লি হলেন একজন তরুণ ভারতীয় উদ্যোক্তা এবং ভারতীয় বাইক-ট্যাক্সি কোম্পানি র‍্যাপিডোর সহ-প্রতিষ্ঠাতা। বেঙ্গালুরু থেকে পবন তাঁর প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেছেন। তারপর তিনি খড়গপুর আইআইটি থেকে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করে পরবর্তীকালে আইআইএম ব্যাঙ্গালোর থেকে এমবিএ করেছেন। আসলে ট্রেডিং এবং কম্পিউটার প্রোগ্রামিং-এর প্রতি তার গভীর আগ্রহ রয়েছে ছোটবেলা থেকেই। 

    কর্মক্ষেত্রে নানান প্রতিকূলতা পেড়িয়ে অবশেষে সফলতা (Success Story)

    তবে তাঁর (Pavan Guntupalli) কর্মজীবনের শুরুটা খুব মসৃণ ছিল না। বহু প্রতিকূলতা ও প্রত্যাখ্যান পেরিয়ে অবশেষে তিনি শহরবাসীর জন্য একটি সুবিধাজনক সাশ্রয়ী মূল্যের এবং ২৪X৭ পরিবহণ মাধ্যম আনার চিন্তাভাবনা করেছিলেন। যার ফলে পরবর্তীকালে অনেক তরুণদের জন্য চাকরির সুযোগ প্রশস্ত হয়েছে। যদিও এই চিন্তা তাঁর মাথায় একদিনে আসেনি। জানা গিয়েছে, স্নাতক হওয়ার পর তিনি স্যামসাঙের সঙ্গে কাজ করেন এবং সেখান থেকে শিল্প অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। এরপর তিনি তার বন্ধু অরবিন্দ সাঙ্কার সঙ্গে ‘দ্যা ক্যারিয়ার’ নামে একটি ব্যবসা শুরু করেন। এই স্টার্ট-আপের ভালো-মন্দ থেকে শিক্ষা নিয়ে, পবন এরপর ২০১৪ সালে র‍্যাপিডো নামে একটি বাইক ট্যাক্সি পরিষেবা চালু করেন।   

    তবে শুরু করব বললেই তো আর সবকিছু এত মসৃণ হয় না। কারণ ব্যবসা শুরু করতে গেলে প্রয়োজন প্রচুর মূলধন। তবে বিনিয়োগকারীরা প্রথমে এই ব্যবসায় টাকা বিনিয়োগের ঝুঁকি নিতে চাননি। উবার-ওলার ভিড়ে এই র‍্যাপিডো আদৌ তার জায়গা গুছিয়ে নিতে পারবে কিনা সেই ধন্দে পবন (Pavan Guntupalli) প্রায় ৭৯ জন বিনিয়োগকারীর থেকে সেসময় প্রত্যাখ্যাত হয়েছিলেন। তবে থেমে থাকার পাত্র নন তিনি। নিজের লক্ষ্যে স্থির থেকে একমনে চালিয়ে গিয়েছেন চেষ্টা। প্রথম দিকে বেস ভাড়া ১৫ টাকার সঙ্গে প্রতি কিলোমিটারে ভাড়া ৩ টাকা রেখেছিলেন পবন। তাই স্বাভাবিকভাবেই র‌্যাপিডোর ব্যবসা প্রথম দিকের বছরগুলিতে খুব একটা অগ্রগতি আনতে পারেনি। তবে পবন তাঁর স্বপ্ন পূরণে অবিচল ছিলেন। 

    আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী মোদিকে পাশে নিয়েই অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ চন্দ্রবাবুর

    তাঁর প্রথম সাফল্য (Success Story) আসে দুই বছর পর ২০১৬ সালে। যখন হিরো মোটোকর্পের (Hero MotoCorp) চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর পবন মুঞ্জাল র‌্যাপিডোতে বিনিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নেন। মুঞ্জালের যোগদানের ফলে, র‌্যাপিডো শুধুমাত্র উপভোক্তাদের আস্থা অর্জন করেছিল তাই নয়, বিনিয়োগকারীদেরও আস্থা অর্জন করতে সক্ষম  হয়েছিল। এরপর ধীরে ধীরে কোম্পানি ১০০টিরও বেশি শহরে সফলভাবে প্রসারিত হয়েছে। যেহেতু র‌্যাপিডো বাইক-রাইডিং ভিত্তিক ব্যবসা, তাই এটি রুক্ষ পাহাড়ি এলাকায় আরও জনপ্রিয়তা অর্জন (Success Story) করেছে এবং সফল হয়েছে। বর্তমানে, র‌্যাপিডোর ৭ লাখের বেশি ব্যবহারকারী এবং ৫০,০০০ রাইডার রয়েছে। বর্তমানে, র‌্যাপিডো সংস্থার বাজারদর ৬,৭০০ কোটি টাকা! সুতরাং, পবনের এই জীবনকাহিনী আরও একবার প্রমান করল যে, কোনও কাজে প্রত্যাখ্যান এলে থেমে যেতে নেই, বরং নিজের লক্ষ্যে স্থির থেকে এগিয়ে যেতে হয়। সঠিক সময় হলে সফলতা এমনিতেই আসবে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Success Story: এক সময় রিকশও চালিয়েছেন, আজ অ্যাপ-নির্ভর ক্যাব সংস্থার মালিক

    Success Story: এক সময় রিকশও চালিয়েছেন, আজ অ্যাপ-নির্ভর ক্যাব সংস্থার মালিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইচ্ছাশক্তি ও চেষ্টা মানুষকে যে জিরো থেকে হিরো বানাতে পারে, তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ দিলখুশ কুমার (Success Story)। বিহারের প্রত্যন্ত গ্রামে জন্ম, রোজ দারিদ্রতার সাথে লড়াই, অভাব-অনটন এতটাই ছিল যে এক সময় রিকশও চালিয়েছেন। কিন্তু এত কষ্টের মাঝেও নিজের ইচ্ছাশক্তিকে বিসর্জন দেননি তিনি।  আর এই সবকিছুকে কাটিয়ে তিনি আজ এক কোম্পানির সিইও। আজ এই প্রতিবেদনে আমরা জানব সেই দিলখুশ কুমারের সম্বন্ধে, যাঁর গল্প বড় সিনেমাকেও হার মানাবে।

    দিলখুশের সংগ্রামের দিনগুলি (Success Story)

    বিহারের সহরসা জেলার বনগাঁও নামের একটি ছোট্ট গ্রামে জন্ম দিলখুশ কুমারের। এই গ্রাম থেকেই তিনি হাইস্কুলের পড়াশোনা শেষ করেন। কিন্তু অভাব-অনটনের কারণে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারেননি দিলখুশ। তাঁর বাবা ছিলেন ট্রাক ড্রাইভার। পরিবারে উপার্জনের একমাত্র মানুষ ছিলেন তিনিই। তাই দিলখুশ নিজের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য কাজের খোঁজ নিতে থাকেন। কিন্তু অনেক ইন্টারভিউ দেওয়ার পরেও ভালো ফলাফল পাননি তিনি। তাই সিদ্ধান্ত নেন রিকশ চালানোর। তাই লোকালয়ে প্রথমে রিকশ চালানো শুরু করেন। কিন্তু এতে শারীরিক অনেক পরিশ্রমের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েন দিলখুশ (Success Story)। এর পরেই তিনি আবার কর্মজীবনে ফিরে আসেন। এবার তিনি বাজারে সব্জি বিক্রি করতে শুরু করেন। কিন্তু এই সবকিছুর মধ্যেই তাঁর সন্তুষ্টি অর্জনে খামতি থেকে যাচ্ছিল। যদিও তাঁর প্রথম থেকেই ইচ্ছা ছিল ব্যবসা করার। তাই তিনি যেমন করেই হোক ব্যবসার প্রতি মনোনিবেশ করতে চেয়েছিলেন সারাটা জীবন।

    তৈরি করলেন নিজের ক্যাব সংস্থা (Success Story)

    তিনি কয়েক বছর ওলা, উবর-এর মতো কিছু ক্যাব সংস্থাতেও গাড়ি চালানোর কাজ করেন। তখনই তিনি সিদ্ধান্ত নেন নিজস্ব একটি অ্যাপ নির্ভর ক্যাব সংস্থা গড়ে তোলার। যেমন ভাবা তেমনই কাজ, তৈরি করে ফেললেন তাঁর প্রথম স্টার্ট আপ, নিজের প্রতিষ্ঠিত অ্যাপনির্ভর ক্যাব সংস্থা “রোডবেজ”। তবে ওলা কিংবা উবরের মতো যাত্রীদের গাড়ি সরবরাহ করে না তাঁর সংস্থা। দিলখুশের গ্রাহক পেশাদার গাড়ি চালকেরা। তাঁদেরকে নির্দিষ্ট টাকার বিনিময়ে গাড়ি ভাড়া দেয় রোডবেজ। দিলখুশের (Success Story) প্রতিষ্ঠিত সংস্থা রোডবেজের বার্ষিক লেনদেন বেশ কয়েক কোটির কাছাকাছি। তিনি নিজেই ওই সংস্থার সিইও হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। সারা বিহার জুড়ে দিলখুশের পরিবহণ সংস্থা এক নতুন মাত্রা পেয়েছে, যেখানে তিনি বহু ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র, এমনকী আইআইটি ও এনআইটির ইঞ্জিনিয়ারদের নিজের কোম্পানিতে কর্মসংস্থানের সুযোগ দিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share