Tag: suffering

suffering

  • Vitamin Deficiencies: শরীর অসাড়! আপনি কি অবসাদে ভুগছেন? কোন ভিটামিনের অভাব জানেন?

    Vitamin Deficiencies: শরীর অসাড়! আপনি কি অবসাদে ভুগছেন? কোন ভিটামিনের অভাব জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শরীর অসাড় থেকে অবসাদ, কোন ভিটামিনের অভাবে (Vitamin Deficiencies) এই একাধিক রোগ হতে পারে? ভারতে এই ভিটামিনের অভাবে ভুগছে কতজন? কীভাবে হবে সমাধান? এক সর্বভারতীয় সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ৪৭ শতাংশ ভারতীয় ভিটামিন বি-১২ এর অভাবে ভুগছেন! শিশু থেকে প্রবীণ বিভিন্ন বয়েসের মানুষ এই ভোগান্তির শিকার। তার ফলে একাধিক উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। যা নিয়ে সচেতনতা বিশেষ নেই। এর জেরেই দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা দেখা দিচ্ছে। বিস্তারিত জানতে পড়ুন আমাদের এই প্রতিবেদনটি।

    ভিটামিনের অভাবে ভুক্তভোগীদের সংখ্যা বাড়ছে (Vitamin Deficiencies)

    হঠাৎ করেই অসাড় হয়ে যাচ্ছে হাত কিংবা পা, অথবা মন খারাপ হচ্ছে অকারণেই! কোনও কাজ করতেই আর ইচ্ছে হচ্ছে না! চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, একটি নির্দিষ্ট ভিটামিনের অভাবেই (Vitamin Deficiencies) দেখা দিচ্ছে এই সব একাধিক উপসর্গ! শরীর সুস্থ রাখতে জরুরি একাধিক উপাদান। আর ভিটামিন সেই তালিকায় অন্যতম! রোগ মোকাবিলা শক্তি বাড়িয়ে শরীর সুস্থ রাখতে ভিটামিনের ভূমিকা খুব জরুরি‌। ভিটামিনের ঘাটতিতে বাড়তে পারে ভোগান্তি। আর সেই সংখ্যাও নেহাত কম নয়। ভারতে ভিটামিনের অভাবে ভুক্তভোগীদের সংখ্যা বাড়ছে দিন দিন। আর সবচেয়ে বেশি ভোগাচ্ছে ভিটামিন বি-১২।

    ভিটামিন বি-১২ মস্তিষ্ক সক্রিয় রাখে

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনেকেই দীর্ঘসময় বসে থাকলে বা ঘুমোলে হাতে বা পায়ে এক ধরনের অসাড়তা অনুভব করেন। ভিটামিন বি-১২ অভাবে (Vitamin Deficiencies) এই ধরনের সমস্যা হতে পারে। ভিটামিন বি-১২ স্নায়ুকে সক্রিয় রাখতে বিশেষ সাহায্য করে। তাই এই ভিটামিনের অভাব দেখা দিলে শরীরের বিভিন্ন অংশের অস্থায়ী অসাড়তা দেখা দিতে পারে।

    ভিটামিন বি-১২ মস্তিষ্ক সক্রিয় রাখতে বিশেষ সাহায্য করে। এই ভিটামিনের অভাব দেখা দিলে মস্তিষ্কে এক ধরনের ক্লান্তিবোধ গ্রাস করে। এর ফলে ভুক্তভোগী কোনও কাজে মনোযোগ দিতে পারেন না। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভিটামিন বি-১২ শরীরের বিশেষত মস্তিষ্কের কোষ সক্রিয় রাখতে খুব সাহায্য করে। তাই এই ভিটামিনের অভাবে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমে।

    ভিটামিন বি-১২ শরীরে একাধিক ব্যাকটেরিয়ার প্রকোপ কমাতে সাহায্য করে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শরীরের ভিতরে বাজে ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে ভিটামিন বি-১২। তাই এই ভিটামিনের অভাবে (Vitamin Deficiencies) শরীরে নানান ব্যাকটেরিয়া ঘটিত অসুখ হয়। বিশেষত নিয়মিত পেটের সমস্যার অন্যতম কারণ ভিটামিন বি-১২ অভাব। তাছাড়া, এই ভিটামিনের অভাবে শরীরে জীবাণু সংক্রমণ বাড়ে। তাই শরীর থেকে দুর্গন্ধ বের হয়। শরীরের পাশপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ভিটামিন বি-১২ খুবই উপকারী। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভিটামিন বি-১২ অভাব মানসিক অবসাদ‌ তৈরি করে। কারণ, দেহে হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে এই ভিটামিনের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ!

    কীভাবে হবে সমাধান?

    আবার চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, খাবার থেকে সহজেই ভিটামিন বি-১২ জোগান হতে পারে‌। তাই এই ভিটামিনের অভাব এবং তার উপসর্গ সম্পর্কে সচেতন হলেই সমাধানের পথ সহজ হবে। চিকিৎসকদের পরামর্শ শিশুর আট থেকে দশ মাস বয়স থেকেই ভিটামিন বি-১২ জোগান সম্পর্কে সতর্ক হতে হবে। শিশুদের পাশাপাশি বড়দেরও খাবারের দিকে গুরুত্ব দিতে হবে। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, প্রাণীজ খাবার থেকে সহজেই ভিটামিন বি-১২ পাওয়া যায়। নিয়মিত মাংস, ডিম জাতীয় খাবার খেলে শরীর সহজেই ভিটামিন বি-১২ পাবে (Vitamin Deficiencies)। তাছাড়া, দুধ, ঘি, পনীর থেকেও ভিটামিন বি-১২ পাওয়া যায়। তাই নিয়মিত এই দুধ জাতীয় খাবার মেনুতে রাখলেও এই ঘাটতি সহজেই পূরণ করা সম্ভব।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশেরখবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Purba Bardhaman: ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও বাস নেই! চরম ভোগান্তি বর্ধমান ও হাওড়ায়

    Purba Bardhaman: ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও বাস নেই! চরম ভোগান্তি বর্ধমান ও হাওড়ায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাস মিলছে না, অথচ বাস ধর্মঘট নেই। খাতায় কলমে বাস সার্ভিস সচল। পরিবহণ কর্মীদের কোনও বিক্ষোভ নেই, কোনও দাবিদাওয়া নিয়ে আন্দোলন নেই। অথচ রাস্তায় বাস নেই। বর্ধমান (Purba Bardhaman) ও হাওড়ায় নিত্যযাত্রীদের প্রশ্ন, কেন ঘটছে এমন ঘটনা! নেপথ্যে কি ২১ শে জুলাই।

    কেন বাস নেই (Purba Bardhaman)?

    বাস পাচ্ছেন না সাধারণ মানুষজন। সৌজন্যে ২১ জুলাই! সে তো মাঝে এখনও একদিন বাকি! তাতে কী হয়েছে! তৃণমূলের দলীয় কর্মী-সমর্থকরা বাস আটকে রেখেছেন বলে অভিযোগ। আর এতেই চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। বর্ধমান (Purba Bardhaman) শহরের দু’প্রান্তে দু’টি বাস টার্মিনাস। শহরের উত্তর উপকন্ঠে আছে উত্তরা আর দক্ষিণে আছে পূর্বাশা বাসস্ট্যান্ড। প্রতিদিন দু’টি বাস টার্মিনাস থেকে বিভিন্ন রুটে কয়েক হাজার বাস চলাচল করে। কিন্তু মঙ্গলবার সকাল থেকেই সেখানে বাসের সংখ্যা কমতে শুরু করেছে। অবশেষে আজ বৃহস্পতিবার বাসের দেখাই নেই। বর্ধমানের (Purba Bardhaman) আলিশায় পূর্বাশা বাস টার্মিনাস থেকে হুগলির আরামবাগ, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, দুই মেদিনীপুর জেলার বাস চলাচল করে। প্রতিদিন প্রচুর সংখ্যক বাস যেমন স্ট্যান্ডে ঢোকে, তেমনি আবার বেরও হয়। কিন্তু বৃহস্পতিবার চিত্র ঠিক উল্টো। যাত্রী আছে কিন্তু বাস নেই। যাত্রীরা বাসের জন্য আশা করে দিনভর বসে আছেন। তবুও বাস পাচ্ছেন না। একই ছবি বর্ধমানের উত্তরা বাস টার্মিনাসেও। এখান থেকে বোলপুর, সিউড়ি, গুসকরা, কাটোয়া, কালনা, মুর্শিদাবাদ, নবদ্বীপ, কৃষ্ণনগর, দুর্গাপুর, আসানসোল রুটে বাস চলাচল করে। কিন্তু সমস্যা একটাই, বাস নেই। অপর দিকে হাওড়া স্টেশন লাগোয়া হাওড়া বাস স্ট্যান্ডে যাত্রীদের অভিযোগ, দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকলেও বাসের দেখা নেই। বাসস্ট্যান্ড ফাঁকা। এর ফলে গন্তব্যস্থলে পৌঁছতে অনেক দেরি হয়ে যাচ্ছে। গরমে যাত্রীদের কষ্ট হচ্ছে। এমনকি চিকিৎসকের সঙ্গে অ্যাপয়েন্টমেন্ট থাকলেও পৌঁছতে পারছেন না।

    জেলা বাস অ্যাসোসিয়েশেনের বক্তব্য

    বর্ধমান (Purba Bardhaman) জেলা বাস অ্যাসোসিয়েশনের কার্যনিবাহী কমিটির সদস্য শান্তনু গুপ্ত বলেন, ১৭ জুলাই থেকেই বাস বন্ধ হয়ে গেছে বিভিন্ন রুটে। ২১ জুলাইয়ের মিটিংয়ের জন্য তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীে-সমর্থকরা বাস আটকে রেখেছে। এতে একদিকে যেমন সাধারণ মানুষের সমস্যা হচ্ছে, তেমনি বাস বসে যাওয়ায় পরিবহণ কর্মীরা আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, আমরা প্রতি বছরই মিটিং-এর জন্য বাস দিয়ে থাকি। এবছরও দেব। কিন্তু দলের নেতাদের উচিত আগে থেকে বাস আটকে না রাখা।

    নিত্যযাত্রীদের বক্তব্য

    প্রতিদিন যাতায়ত করেন, এমন এক যাত্রী প্রশান্ত সাহা বলেন, খুবই অবস্থা খারাপ। বাস একদম চলছে না। একই সমস্যার কথা বলেন অপর আরেক বাস যাত্রী লক্ষ্মণ দলুই। তিনি বলেন, ২১ জুলাইয়ের জন্য তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকরা জায়গায় জায়গায় বাস আটকে রেখেছেন। সেই জন্যই রাস্তায় বাস নেই।

    জেলা সভাধিপতির বক্তব্য

    জেলা (Purba Bardhaman) পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়া বলেন, গত ১৭ জুলাই আমাদের দলীয় বৈঠকে ঠিক হয়, কোনও ভাবেই আগে থেকে বাস আটকে রাখা যাবে না। আমার কাছে বাস বন্ধের কোনও খবর নেই।

    বিরোধীদের বক্তব্য

    বিরোধীরা তোপ দেগেছেন শাসকদল তৃণমূলকে। বর্ধমান (Purba Bardhaman) সদর জেলার বিজেপির সাধারণ সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন, সাধারণ মানুষ বাস না পেয়ে চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন। অথচ প্রশাসন উদাসীন। আবার কংগ্রেস নেতা গৌরব সমার্দার বলেন, এসব নিয়ে দিদিমণির কোনও মাথাব্যথা নেই। সাধারণ মানুষের সমস্যার বিষয় নিয়ে সরকার উদাসীন।

    মন্ত্রীর বক্তব্য

    যাত্রীদের এই সমস্যার কথা স্বীকার করে রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায় বলেন, আমি এই অসুবিধার জন্য যাত্রীদের কাছে ক্ষমা চাইছি। বৃহত্তর রাজনৈতিক কর্মসূচির জন্য বাস তোলা হয়েছে। ভাড়া দিয়েই বাস নেওয়া হয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share