Tag: Sugar

Sugar

  • Diabetes: ডায়াবেটিস রুখতে ভাত-রুটি কি একেবারেই বাদ দিতে হবে? জোর দেবেন কোন কোন খাবারে?

    Diabetes: ডায়াবেটিস রুখতে ভাত-রুটি কি একেবারেই বাদ দিতে হবে? জোর দেবেন কোন কোন খাবারে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বদলে যাচ্ছে জীবন‌যাপনের ধরন। খাদ্যাভ্যাস, ঘুমের সময়, বদল এসেছে সব কিছুর। আর তার জেরেই বাড়ছে একাধিক রোগের দাপট। সেই তালিকায় প্রথম দিকেই রয়েছে ডায়াবেটিস। দেশ জুড়ে বাড়ছে ডায়াবেটিসের প্রকোপ। এই রোগ আর বয়সের সীমানায় আটকে নেই। শিশুদের মধ্যেও মারাত্মক ভাবে বাড়ছে। শিশুর শরীরে টাইপ টু ডায়াবেটিসের (Diabetes) প্রকোপ বাড়ায় উদ্বিগ্ন চিকিৎসক মহল। ১৪ নভেম্বর ছিল ওয়ার্ল্ড ডায়াবেটিস ডে! দেশ জুড়ে চলেছে নানান সচেতনতা কর্মসূচি। সুস্থ জীবন এবং ডায়াবেটিসের প্রকোপ রুখতে খাবারকেই হাতিয়ার করার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু কীভাবে রুখবেন ডায়াবেটিসের প্রকোপ? চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, খাদ্যাভ্যাসই ডায়াবেটিস রুখতে সব চেয়ে বেশি সাহায্য করে। আর পুষ্টিকর খাবারে অভ্যস্ত হলে সহজেই এই রোগের প্রকোপ কমানো যায়।

    কখন খাবেন? (Diabetes)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, খাবার কখন খাওয়া হচ্ছে, সেটা খুব জরুরি। ডায়াবেটিসের মতো রোগের প্রকোপ কমাতে ঠিক সময়ে খাওয়া দরকার।‌ অর্থাৎ, তাঁরা জানাচ্ছেন, সকালের জলখাবার ন’টার মধ্যে খেতে হবে। অনেকেই দেরি করে ঘুম থেকে ওঠেন। এর ফলে জলখাবার খাওয়া হয় না। একেবারেই দুপুরের খাবার খান। এই অভ্যাস অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর। নিয়মিত সকালের জলখাবার খাওয়া জরুরি। অন্তত তিন ঘণ্টার ব্যবধানে খাবার খেতে হবে। হালকা খাবার খাওয়ার দিকেই নজর দেওয়া জরুরি। অর্থাৎ একসঙ্গে অনেক পরিমাণ খাওয়ার পরিবর্তে বারবার হালকা খাবার খেলে শরীর ভালো থাকবে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনেকেই দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে একসঙ্গে অনেক পরিমাণ খাবার খান। আর এর ফলেই একাধিক সমস্যা দেখা যেতে পারে। দীর্ঘ সময় না খাওয়ার ফলে একদিকে রক্তে শর্করার মাত্রা ওঠানামা করে। আবার হঠাৎ করেই অনেকটা খাবার খেয়ে নিলে শরীরের একাধিক উপাদান যেমন সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফরাসের মাত্রাও ওঠানামা করে। ফলে ডায়াবেটিসের বিপদ বাড়ে। রাতের খাবারের সময় নিয়েও সতর্কতা জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের একাংশ অনেক রাতে ভারী খাবার খাওয়ায় অভ্যস্থ হয়ে উঠছে।‌ এর ফলে লিভার এবং কিডনির উপরে মারাত্মক চাপ পড়ছে। তাই ডায়াবেটিসের জটিলতা বাড়ছে। কখনই রাত ন’টার পরে ভারী খাবার খাওয়া চলবে না বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    কী খাবেন?

    ডায়াবেটিস রুখতে সব্জি, ফল এবং প্রোটিন জাতীয় খাবারের মধ্যে ব্যালান্স জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত সব্জি খেতে হবে। বিশেষ করে সবুজ সব্জি! পালং শাক, পটল, ঢ্যাঁড়শ, ফুলকপি, বাঁধাকপির মতো নানা রকমের সব্জি নিয়মিত মেনুতে থাকা জরুরি। সঙ্গে রাখতে হবে ডাল। মটর, ছোলার মতো নানান দানাশস্য নিয়মিত খাবারের তালিকায় থাকলে শরীরে ডায়াবেটিসের (Diabetes) প্রকোপ কমবে। শরীরে এনার্জির জোগান থাকবে। তবে প্রাণীজ প্রোটিনকেও মেনুতে রাখতে হবে। যদিও পরিমাণ নিয়ে সতর্কতা জরুরি। ডায়াবেটিস আক্রান্ত হলেও নিয়মিত মাছ, মাংস, ডিম খাওয়া যাবে। তবে পরিমাণে নিয়ন্ত্রণ জরুরি। অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় প্রাণীজ প্রোটিন নিয়মিত বেশি পরিমাণে খেলে ডায়াবেটিসের সমস্যা হতে পারে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। পাশপাশি পনির, ছানা এবং টক দই নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল‌। প্রতিদিন শশা, আপেল, পেয়ারা, কিউই, লেবু জাতীয় ফল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, শরীরের নানান খনিজ পদার্থ এবং ভিটামিনের জোগান ঠিকমতো হলে ডায়াবেটিস জটিল আকার নিতে পারে না।

    ডায়াবেটিস রুখতে কি ভাত-রুটি বাদ? 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ডায়াবেটিস রুখতে কার্বোহাইড্রেট (Carbohydrates) সম্পূর্ণ বাদ দিতে হবে, এই ধারণা একেবারেই ভ্রান্ত। বরং, ডায়াবেটিসের মোকাবিলার জন্য ব্যালান্স ডায়েট জরুরি। তাই‌ নিয়মিত ফল, সব্জি, মাছ-মাংসের জন্য দরকার কার্বোহাইড্রেট। অর্থাৎ ভাত কিংবা রুটি। কারণ ভাত-রুটির মতো কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার থেকেই শরীরে এনার্জি পাওয়া যায়। কার্বোহাইড্রেট শরীরে এনার্জি‌ জোগানে সব চেয়ে বেশি সাহায্য করে। ডায়াবেটিস আক্রান্ত হলে শরীরে এনার্জির ঘাটতি দেখা‌ দিতে পারে। ফলে, নানান রোগের প্রকোপ বাড়তে পারে। তাই পরিমিত পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট নিয়মিত খেতে হবে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    চিনি, ধূমপান, মদ্যপান বিপদ বাড়াবে! (Diabetes)

    নিজে ডায়াবেটিস আক্রান্ত হলে কিংবা যাদের পরিবারে কেউ ডায়াবেটিস আক্রান্ত, তাদের বাড়তি সতর্কতা জরুরি বলেই জানাচ্ছেন‌ চিকিৎসকদের একাংশ। কারণ, তাদের নানান জটিলতা ও ঝুঁকি তৈরি হয়। ডায়াবেটিস আক্রান্ত হলে‌, বিপদ কমাতে একেবারেই চিনি খাওয়া চলবে না। বংশানুক্রমিক ডায়াবেটিসের সমস্যা থাকলে প্রথম থেকেই মিষ্টি জাতীয় খাবারে রাশ টানতে হবে। চকলেট, পেস্ট্রি, প্যাকেটজাত পানীয় কিংবা রাসায়নিক উপাদান দেওয়া চটজলদি খাবার একেবারেই খাওয়া চলবে না। অর্থাৎ, বার্গার, পিৎজা থেকে বিরিয়ানি, খাবারের তালিকায় রাশ না টানলেই বিপদ‌ বাড়বে। আবার খাবারের পাশপাশি স্বাস্থ্যকর অভ্যাসের দিকেও‌ নজর দিতে হবে। অর্থাৎ, মদ্যপান এবং ধূমপানের মতো অভ্যাস ছাড়তে হবে। এই ধরনের অভ্যাস ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়। কিডনি এবং লিভারের জটিল রোগ তৈরি করতে পারে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Biscuits: খিদে পেলেই বিস্কুট? জানেন কী কী জটিল রোগ হতে পারে? কতখানি বিপজ্জনক এই খাবার?

    Biscuits: খিদে পেলেই বিস্কুট? জানেন কী কী জটিল রোগ হতে পারে? কতখানি বিপজ্জনক এই খাবার?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    সকালের চা হোক কিংবা হঠাৎ সন্ধ্যার খিদে, অথবা বাসে-ট্রেনে সফরের সঙ্গী, সবেতেই রয়েছে বিস্কুট (Biscuits)। ছোট থেকে বড়, সব বয়সীদের বিস্কুট নিত্যসঙ্গী। চা, দুধের সঙ্গে কিংবা এমনিতেই অনেকে বিস্কুট খেতে পছন্দ করেন। কিন্তু সাম্প্রতিক একাধিক আন্তর্জাতিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, বিস্কুট কিছু ক্ষেত্রে আদৌ স্বাস্থ্যকর খাবার নয়। বরং বিস্কুটের উপকারের তুলনায় অপকার অনেক ক্ষেত্রে বেশি। নয়া রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পরে চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বিস্কুটের তুলনায় অনেক বেশি‌ ভালো বাঙালির মুড়ি।

    কী বলছে নয়া গবেষণা?

    সুইডেন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক দল গবেষক বিস্কুট নিয়ে গবেষণা চালান। আর তাতেই প্রকাশ্যে আসে বেশ কিছু তথ্য। তাঁরা জানাচ্ছেন, বিস্কুটের একাধিক উপাদানে একেবারেই পুষ্টিগুণ নেই। বরং তাতে শরীরে নানান জটিল রোগের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, একজন প্রতিদিন পাঁচটি বিস্কুট খেলে তাঁর হৃদপিণ্ড থেকে মস্তিষ্ক, একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের কার্যকারিতা কয়েক গুণ কমে যায়। বিশেষত ডায়বেটিস আক্রান্তদের বিস্কুট এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন ওই গবেষকেরা। এবার দেখা যাক, কোন কোন রোগের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে বিস্কুট?

    ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায় (Biscuits)

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, বিস্কুটে মূলত ময়দা ও চিনি থাকে। তাই নিয়মিত একাধিক বিস্কুট খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা কয়েক গুণ বেড়ে যায় (Serious Disease)। অনেক সময়েই ডায়াবেটিস আক্রান্তদের খিদে পায়। আর চটজলদি খাবার হিসেবে, তাঁরা বিস্কুট খান। কিন্তু চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এতে শরীরে বেশি ক্ষতি হয়। কারণ এর জেরে রক্তে শর্করার মাত্রা অনিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়ে। চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, বিস্কুটের পরিবর্তে ডায়াবেটিস আক্রান্তেরা মুড়ি খেতে পারে। তবে পরিমাণে নিয়ন্ত্রণ জরুরি।

    স্থূলতা

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বিস্কুট (Biscuits) দেহের ওজন বাড়িয়ে দেয়। বিস্কুটে থাকে তেল এবং ময়দা।‌ এই দুই উপাদান‌ শরীরের ওজন বাড়িয়ে দেয়। আর ওজন বাড়লে একাধিক রোগের ঝুঁকিও বেড়ে যায়। তাই স্থূলতার সমস্যা থাকলে বিস্কুট এড়িয়ে চলতে হবে।

    স্মরণশক্তি!

    নতুন গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, বিস্কুট অতিরিক্ত খেলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমে। এর জেরে স্মৃতিশক্তি বা স্মরণশক্তি কমে। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেক বিস্কুটে এমন কিছু উপাদান থাকে, যা শরীরে মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। আর তার জেরেই এই ধরনের সমস্যা তৈরি হতে পারে।

    কোষ্ঠকাঠিন্য (Biscuits)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বিস্কুটে প্রচুর পরিমাণে ময়দা ব্যবহার হয়। আর অতিরিক্ত ময়দা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা তৈরি হয়। বিশেষত শিশুদের অতিরিক্ত বিস্কুট খাওয়ালে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যার পাশপাশি পেটের সমস্যা এবং হজমের গোলমাল হতে পারে।

    কোলেস্টেরল

    বিস্কুটে রয়েছে ক্ষতিকারক ফ্যাট। আর তার জেরেই অতিরিক্ত বিস্কুট (Biscuits) খেলে একদিকে স্থূলতার সমস্যা বাড়ে। আবার আরেকদিকে কোলেস্টেরলের মাত্রা অনিয়ন্ত্রিত হয়ে যায়। তাই চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত অত্যাধিক বিস্কুট কোলেস্টেরলের মতো রোগের প্রকোপ কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেয়।

    হৃদরোগের ঝুঁকি

    বিস্কুটের জেরে একদিকে স্থূলতার সমস্যা বাড়ে। আরেকদিকে বিস্কুট কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। ক্ষতিকারক ফ্যাটের জেরেই এই ধরনের সমস্যা তৈরি হয়। তাই চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বিস্কুট হৃদরোগের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দেয়। তাঁরা জানাচ্ছেন, স্থূলতা ও অনিয়ন্ত্রিত কোলেস্টেরল, এই দুই সমস্যা হৃদরোগের অন্যতম কারণ। আর এর জেরেই বলা হয়, অত্যাধিক বিস্কুট খেলে হৃদরোগের ঝুঁকিও বাড়ে (Serious Disease)।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Artificial sweeteners: ডায়াবেটিস রোগীদের চিনির সঙ্গে বাদ থাকুক ‘কৃত্রিম চিনি’ও! কী বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা?

    Artificial sweeteners: ডায়াবেটিস রোগীদের চিনির সঙ্গে বাদ থাকুক ‘কৃত্রিম চিনি’ও! কী বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ডায়াবেটিসের প্রকোপ বাড়ছে। পাশপাশি বিপত্তি বাড়াচ্ছে ওজন। তরুণ প্রজন্মের একাংশ, এই দুই শারীরিক সমস্যার জেরে নাজেহাল। তাই সহজ পথে অনেকেই হাঁটতে চাইছেন। নিত্যদিনের খাবারের তালিকা থেকেই সহজেই বাদ পড়ছে চিনি। কিন্তু অনেকেই আবার মিষ্টিবিহীন খাদ্যতালিকার সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারছেন না। তাই চিনি বাদ দিলেও, তার জায়গায় আসছে কৃত্রিম চিনি। অনেকেই মনে করছেন, চিনির থেকে ঢের ভালো এই ‘কৃত্রিম চিনি’ (Artificial sweeteners)। নিশ্চিন্তে চা-কফি কিংবা সরবতে দিয়ে খাওয়া যেতে পারে। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, একেবারেই নিশ্চিন্ত থাকা যাবে না। এই অভ্যাস (Sugar Substitutes) অজান্তেই শরীরের বিপদ কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিচ্ছে।

    কেন উদ্বিগ্ন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা? (Artificial sweeteners)

    সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, কৃত্রিম চিনির একেবারেই পুষ্টিগুণ নেই। বরং এই চিনি শরীরের জন্য ক্ষতিকারক। সংস্থার নিউট্রিশন অ্যান্ড ফুড সেফটি-র তরফে জানানো হয়েছে, কৃত্রিম চিনি বা আর্টিফিশিয়াল সুইটনার রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণে কোনও ভূমিকা পালন করে না। এমনকী ওজন নিয়ন্ত্রণে ও কোনো উপকার দেয় না। বরং, এই কৃত্রিম চিনির কিছু রাসায়নিক উপাদান শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকারক। তাঁরা জানাচ্ছেন, অ্যাসপার্টেম, সুক্রোজ, স্টিভিয়া, স্যাকারিনের মতো উপাদান কৃত্রিম চিনিতে অতিরিক্ত পরিমাণ থাকে। এগুলো শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকারক।

    কী ক্ষতি করছে কৃত্রিম চিনি?

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অ্যাসপার্টেমের মতো রাসায়নিক কৃত্রিম চিনিতে থাকে। চিনির থেকেও বেশি পরিমাণ থাকে। আর এই রাসায়নিক শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক। এই উপাদান ক্যান্সারের মতো মারণ রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। কৃত্রিম চিনিতে (Artificial sweeteners) নানান রাসায়নিক থাকে, যেগুলো প্রসেসড খাবারে থাকে। এর জেরে দেহে অতিরিক্ত মেদ জমার ঝুঁকিও তৈরি হয়। অর্থাৎ, ওজন তো কমেই না, বরং কৃত্রিম চিনি অতিরিক্ত খেলে ওজন বাড়তে পারে। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, কৃত্রিম চিনি সহজলভ্য করতে অনেক সময়েই সিলিকা সহ একাধিক রাসায়নিক এর সঙ্গে মেশানো হয়। এই সব রাসায়নিক লিভারের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক। 
    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, দীর্ঘদিন যাঁরা নিয়মিত কৃত্রিম চিনি খান, তাঁদের স্নায়ুর রোগের ঝুঁকি বাড়ে। একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, কৃত্রিম চিনি খেলে মাথার যন্ত্রণা, হাত-পায়ে খিঁচুনি সহ নানান রোগের প্রকোপ বাড়ে। এমনকী দেহে হরমোনের ভারসাম্যও নষ্ট হয়। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, দেশ জুড়ে হৃদরোগের সমস্যা বেড়ে যাওয়ার আরেকটি কারণ এই কৃত্রিম চিনি। নিয়মিত কৃত্রিম চিনি খেলে, তা হৃদপিণ্ডের জন্য একেবারেই ভালো না। খুবই ক্ষতিকারক। এতে হৃদপিণ্ডের কার্যকারিতা কমে‌। 
    সাধারণ চিনির তুলনায় এই কৃত্রিম চিনির মিষ্টত্ব প্রায় তিনশো গুণ বেশি। তাই পুষ্টিবিদেরা জানাচ্ছেন, এই কৃত্রিম চিনি একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয়। সুস্থ ভাবে বাঁচতে হলে এড়িয়ে চলতে হবে চিনি। তা যে কোনও ধরনের চিনিই হোক না কেন (Sugar Substitutes)।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Diabetes: ডায়াবেটিস হয়েছে বলে ভাত-রুটি বাদ? বিপদ বাড়ছে না তো? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা? 

    Diabetes: ডায়াবেটিস হয়েছে বলে ভাত-রুটি বাদ? বিপদ বাড়ছে না তো? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ডায়াবেটিস আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে বিশ্ব জুড়ে। বাদ নেই ভারত। এদেশেও ডায়াবেটিসের (Diabetes) প্রকোপ বাড়ছে। বিশেষত, কম বয়সিদের মধ্যে ডায়াবেটিসে আক্রান্তের সংখ্যা মারাত্মক বাড়ছে। যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, কম বয়সিদের দরকার বাড়তি সতর্কতা। খাবার থেকে জীবন যাপন, সব কিছুতেই নিয়ন্ত্রণ না রাখলে পরবর্তীকালে নানান জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি‌ কয়েক গুণ বেড়ে যায়। তবে, অধিকাংশ ক্ষেত্রে ডায়াবেটিস আক্রান্তদের খাদ্যাভ্যাস নিয়ে নানান ভুল ধারণা রয়েছে। আর তার জেরেই আরও শারীরিক ক্ষতি হয় বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, এ দেশের অধিকাংশ ডায়াবেটিস আক্রান্তেরা রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভাত ও রুটি খাওয়া একেবারেই বন্ধ করে দেন। যা সম্পূর্ণ অবৈজ্ঞানিক। নিয়মিত ভাত কিংবা রুটির মতো খাবার না খেলে নানান শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। ডায়াবেটিস আক্রান্ত হলেও নিয়মিত ভাত-রুটি খাওয়া জরুরি। তাঁদের পরামর্শ, ডায়াবেটিস আক্রান্তেরা বিশেষত কম বয়সিরা ডায়েট তৈরির আগে অবশ্যই পুষ্টিবিদদের পরামর্শ নিন। না হলে‌ অসচেতনতার জেরে বাড়তি ভোগান্তি হতে পারে।

    কেন নিয়মিত ভাত-রুটি খাওয়া জরুরি? (Diabetes)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শরীরে কার্বোহাইড্রেট ও ফাইবারের জোগান থাকা দরকার। না হলে শরীর দুর্বল হয়ে যাবে। রোগ প্রতিরোধ শক্তি কমবে। এছাড়াও একাধিক সমস্যা দেখা দেবে। ভাত এবং রুটি এই দুই খাবার থেকেই মূলত শরীরে কার্বোহাইড্রেট এবং ফাইবারের জোগান পাওয়া যায়। তাঁরা জানাচ্ছেন, কম বয়সিদের বাইরে কাজ করতে হয়। শারীরিক পরিশ্রম বেশি। তাই শরীরে বাড়তি এনার্জির প্রয়োজন। ভাত-রুটির মতো‌ খাবার একেবারেই বাদ দিলে বিপদ‌ বাড়বে। শরীরে এনার্জির ঘাটতি দেখা দেবে। এর ফলে ক্লান্তি বাড়বে। মনঃসংযোগ কমবে (Diabetes)। এছাড়াও পেশি দুর্বল হয়ে পড়বে। পাশপাশি, রোগ প্রতিরোধ শক্তি কমবে। ডায়াবেটিস রোগীদের কিডনি, ফুসফুস এবং হৃদরোগ‌ সহ একাধিক রোগের ঝুঁকি বেশি থাকে। তাই শরীরে কার্বোহাইড্রেট এবং ফাইবারের জোগান জরুরি। তাই ডায়াবেটিস হলেও মেনুতে নিয়মিত ভাত এবং রুটি রাখা জরুরি।

    কতখানি ভাত-রুটি খাবেন? (Diabetes)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, প্রত্যেক দিনের মোট খাবারে অন্তত ৫০ শতাংশ কার্বোহাইড্রেট এবং ফাইবার জাতীয় খাবার থাকা জরুরি। কারণ, শরীরে সমস্ত খাবারের ভারসাম্যের জন্য এই খাদ্যাভ্যাস দরকার। তবে চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, খাবারের ভারসাম্য সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ দিক। ডায়াবেটিস আক্রান্ত কখনই‌ শুধু ভাত কিংবা অনেকটা পরিমাণ রুটি খাবেন না। ভাত কিংবা রুটির সঙ্গে অবশ্যই ছোলা কিংবা মুসুর ডাল রাখতে হবে। এতে ফাইবার ও প্রোটিনের ভারসাম্য বজায় থাকবে। সঙ্গে রাখতে হবে অন্তত এক বাটি সবজি। বিশেষত পটল, করলা, পালং শাক, লাউয়ের মতো সবজি নিয়মিত খেলে শরীরে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, ভিটামিনের জোগান ঠিকমতো হবে। এছাড়াও প্রোটিনের ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে (Diabetes)। তাই মাছ অথবা মাংস নিয়মিত মেনুতে রাখা জরুরি। তবেই শরীর সুস্থ থাকবে। ভারসাম্য রেখে নিয়মিত খাবার খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ সহজ হয় বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তবে রাতের খাবার সহজপাচ্য হওয়া জরুরি।‌ তাই রাতে প্রাণিজ প্রোটিনের পরিবর্তে ছানা, পনীর, সোয়াবিনের মতো পদ রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Watermelon: গরমে অস্বস্তি কাটাতে রোজ তরমুজ খাওয়ার অভ্যাস? জানেন কী হতে পারে? 

    Watermelon: গরমে অস্বস্তি কাটাতে রোজ তরমুজ খাওয়ার অভ্যাস? জানেন কী হতে পারে? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    শীত ছুটি নিয়েছে বেশ কিছুদিন। ক্যালেন্ডারের হিসেবে এখন বসন্ত। কিন্তু তাপমাত্রা বাড়ছে। গরমের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। এই সময়ে তরমুজ অনেকেই নিয়মিত খান। কেউ তরমুজের রস খান আবার কেউ তরমুজের টুকরো নিয়মিত জলখাবারে পাতে রাখেন। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত তরমুজ (Watermelon) শরীরে গভীর প্রভাব ফেলে। তাই দেখে নেওয়া যাক, নিয়মিত তরমুজ খেলে কী হতে পারে?

    গরমে ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি কমায়! (Watermelon)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই সময়ে আবহাওয়া বেশ শুষ্ক। হঠাৎ গরম পড়ার জেরে অনেকের শরীরে জলের চাহিদা বেড়ে যায়। আর এই চাহিদা সহজেই পূরণ করতে পারে তরমুজের মতো ফল। তাই নিয়মিত তরমুজ খেলে ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি কমে।

    গরমে ত্বক ভালো থাকবে!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, গরম বাড়লে অনেকের ত্বকের সমস্য হয়। র ্যাশ‌, সান বার্ন ছাড়াও একাধিক ত্বকের সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। নিয়মিত তরমুজ খেলে ত্বক ভালো থাকে। কারণ, তরমুজে রয়েছে ভিটামিন সি এবং ভিটামিন ই। এই দুই ভিটামিন ত্বকের জন্য বিশেষ উপকারী (Watermelon)।

    রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং হৃদরোগের ঝুঁকিও কমায়!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তরমুজে (Watermelon) রয়েছে লাইকোপেন নামে এক উপাদান। এর জেরে শরীরে বাজে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে। পাশাপাশি এই উপাদান রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ফলে, নিয়মিত তরমুজ খেলে হৃদরোগের ঝুঁকিও কমে।

    রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে! (Watermelon)

    তরমুজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। এছাড়াও রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম ও পটাশিয়ামের মতো খনিজ পদার্থ। এর জেরে নিয়মিত তরমুজ খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে। পাশপাশি, ভিটামিন সি সর্দি-কাশি বা ভাইরাস ঘটিত জ্বরের‌ মোকাবিলায় বিশেষ সাহায্য করে।

    পেশির ব্যথা কমাতে বিশেষ উপকারী!

    তরমুজে রয়েছে অ্যামাইনো অ্যাসিড। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই উপাদান পেশির সমস্যা মোকাবিলায় বিশেষ সাহায্য করে। তাই নিয়মিত তরমুজ খেলে পেশি ভালো থাকে। পেশির ব্যথা কমে (Watermelon)।

    ক্যান্সার প্রতিরোধে বিশেষ সাহায্য করে!

    তরমুজে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। তাই চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তরমুজ নিয়মিত খেলে ক্যান্সারের ঝুঁকিও কমে।

    অতিরিক্ত তরমুজ খেলে কী হতে পারে?

    গরমে তরমুজে উপকার পেলেও সতর্ক থাকা জরুরি। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অতিরিক্ত তরমুজ খেলে শরীরে একাধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন, তরমুজে প্রচুর পরিমাণে শর্করা রয়েছে। তাই ডায়াবেটিস আক্রান্তের কখনই প্রতিদিন তরমুজ‌ খাওয়া উচিত নয়। কারণ, তাতে দেহে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। তরমুজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। এই উপাদান শরীরে জরুরি। কিন্তু অতিরিক্ত ফাইবার জাতীয় খাবার (Watermelon) খেলে পেটের সমস্যা হতে পারে। তাই প্রত্যেক দিন অতিরিক্ত পরিমাণে তরমুজ খাওয়ার অভ্যাস ডায়ারিয়ার মতো রোগের বিপদও ডেকে আনতে পারে। তাছাড়া, তরমুজে রয়েছে সরবিটল। এই উপাদানের জেরে অনেকের তরমুজ হজম হয় না। অনেক সময়েই এই উপাদান শরীরে হজমের গোলমালের কারণ হয়ে ওঠে।
    তাই তরমুজ নিয়মিত খাওয়ার আগে পরিমাণ নিয়ে সতর্ক থাকা জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Blood Sugar: চিনির বিকল্প চিনির থেকেও হতে পারে বেশি ক্ষতিকারক! কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

    Blood Sugar: চিনির বিকল্প চিনির থেকেও হতে পারে বেশি ক্ষতিকারক! কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাধারণত ডায়াবেটিসের রোগীরা রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ডায়েট থেকে চিনি বাদ দিয়ে থাকে। ডায়াবেটিস রোগীদের খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের প্রধান শর্তই হলো খাবার তালিকা থেকে চিনিকে বাদ দেয়া। তাই চিনির বিকল্প হিসেবে বিভিন্ন প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম মিষ্টিকারক উপাদান বাজারে পাওয়া যায় এবং এগুলো দিন দিন জনপ্রিয়ও হচ্ছে। কিন্তু এখন ভেবে দেখার সময় চিনির এই বিকল্পগুলো কি আদৌ নিরাপদ না কি চিনির মতোই ক্ষতিকর?  

    আরও পড়ুন: ব্লাড সুগার থাকবে নিয়ন্ত্রণে, খাদ্য তালিকায় অবশ্যই রাখুন এই চারটি খাবার

    চিনির জায়গায় বিকল্প হিসেবে যেসব আর্টিফিসিয়াল সুইটনার ব্যবহার করা হয় যাতে স্যাকারিন ও সুক্রোলোজ দেওয়া থাকে। আর এগুলোকে নিয়ে পরীক্ষা করা দেখা গিয়েছে, এই স্যাকারিন ও সুক্রোলোজই পরে ডায়াবেটিস রোগীদের শরীরে সুগারের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। ফলে চিনির বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা হলেও এগুলো বেশি ক্ষতিকারক বলে জানা গিয়েছে।

    সম্প্রতি একটি ট্রায়াল করে দেখা গিয়েছে, কিছু মানুষকে নিয়ে দুভাগে ভাগ করা হয় ও এক গ্রুপকে চিনির বিকল্প হিসেবে অন্য জিনিস দেওয়া হয় যাতে স্যাকারিন ও সুক্রোলোজ থাকে, আর অন্য এক গ্রুপকে গ্লুকোজ পাউডার দেওয়া হলে দেখা যায়, প্রথম গ্রুপের ব্যক্তিদের শরীরে গ্লুকোজের মাত্রা  বেশি পরিমাণে বেড়ে গিয়েছে। ফলে এই ক্ষেত্রে বোঝা যায়, রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার পেছনে গ্লুকোজ নয়, স্যাকারিন ও সুক্রোলোজের অবদান বেশি। এর ফলেই রক্তে সুগারের মাত্রা বেড়ে যায়। আর চিনির বিকল্প হিসেবে এই স্যাকারিনের ব্যবহারই হয়ে আসছে বহু বছর থেকেই। তবে স্যাকারিন খাওয়া মোটেও নিরাপদ নয়। পুষ্টিবিদরা দেখেছেন যে চিনির পরিবর্তে যারা স্যাকারিন খান তাদের ক্ষেত্রে ব্লাড ক্যান্সারের ঝুঁকি ৬০ গুণ বেশি বেড়ে যায়।

    আরও পড়ুন: এখন যেকোনও বয়সেই রয়েছে হৃদরোগের ঝুঁকি, কোন লক্ষণগুলি দেখে বুঝবেন?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।   

     

LinkedIn
Share