Tag: Sukanta Majumdar

Sukanta Majumdar

  • Geetapath: লক্ষ লক্ষ কণ্ঠে গীতার বাণীতে মুখরিত ব্রিগেড, অনুষ্ঠানের ধারা বিবরণী

    Geetapath: লক্ষ লক্ষ কণ্ঠে গীতার বাণীতে মুখরিত ব্রিগেড, অনুষ্ঠানের ধারা বিবরণী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লাখ লাখ কণ্ঠে গীত হচ্ছে গীতা (Geetapath)। ব্রিগেডজুড়ে (Brigade) ভাবগম্ভীর পরিবেশ। ধূপের গন্ধে ম ম করছে গোটা চত্বর। সাধু-সন্তদের পাশাপাশি গীতা পাঠ করছে আমজনতাও। এই জনতার ভিড়ে যেমন ছিলেন হিন্দুরা, তেমনি সংখ্যায় কম হলেও, ছিলেন ভিন ধর্মের কিছু মানুষও। সবার সঙ্গেই গলা মেলালেন তাঁরাও। বস্তুত, রবিবার ভোর থেকেই জনতা ছিল ব্রিগেডমুখী। হাওড়া এবং শিয়ালদহ থেকে দলে দলে লোক যোগ দিতে যান গীতা পাঠের আসরে। ঘোড়ার গাড়িতে করে মঞ্চে এসেছেন বেশ কয়েকজন সাধু-সন্তও। ঘড়ির কাঁটায় যখন ঠিক ন’টা বাজে, তখনই এক সঙ্গে বেজে উঠল কয়েক হাজার শাঁখ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে ভিড়ও।

    সনাতন সংস্কৃতি পর্ষদ (Geetapath)

    ব্রিগেডে এদিন পাঁচ লাখ কণ্ঠে গীতা পাঠের আয়োজন করেছে সনাতন সংস্কৃতি পর্ষদ। এদিন প্রথমে হয়েছে সমবেত কণ্ঠে বেদপাঠ। পরে হয় গীতা আরতি। এই আরতির সময় ঢাক, খোল এবং করতাল নিয়ে ভাবাবিষ্ট হয়ে নৃত্য করতে দেখা যায় জনতার একাংশকে। এই সময় উলুধ্বনিও দিতে থাকেন মহিলারা। অনুষ্ঠানে সভাপতি পদে বরণ করে নেওয়া হয় জ্ঞানানন্দজি মহারাজকে। ব্রিগেডের এই ভিড় সামাল দিতে বিভিন্ন রুটে ২০টি স্পেশাল ট্রেনের ব্যবস্থা করেছিল রেল। শিয়ালদহের পাশাপাশি হাওড়া শাখায়ও চলছে বিশেষ ট্রেন। ট্রেন এসেছে কৃষ্ণনগর, শান্তিপুর, বনগাঁ, হাসনাবাদ, লক্ষ্মীকান্তপুর, ডায়মন্ড হারবার এবং ক্যানিং থেকেও। ট্রেনগুলিতে কার্যত তিল ধারণের জায়গা ছিল না। প্রবীণ ব্যক্তিদের অনেকের মতে, দীর্ঘদিন পরে এমন জনসমাবেশ দেখল ব্রিগেড। এদিনের ভিড় ছাপিয়ে গিয়েছে অতীতের সব রেকর্ড।

    আয়োজনের পুরোধা

    এদিন এই আয়োজনের পুরোধা ছিলেন স্বামী প্রদীপ্তানন্দ মহারাজ, যাঁকে কার্তিক মহারাজ বলেই চেনেন সবাই। তাঁর সঙ্গে মঞ্চে ছিলেন নির্গুনানন্দ ব্রহ্মচারী, বন্ধুগৌরব দাস মহারাজেরাও (Geetapath)। বিভিন্ন রাজ্য থেকে আসা সাধু-সন্তরা ছিলেন মূল মঞ্চে। বাকি দুটি মঞ্চে ছিলেন এরাজ্যের সাধু-সন্ত এবং বিশিষ্টজনেরা। গীতা পাঠের (Brigade) অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসা মানুষের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয় গোটা এলাকা। মাঠজুড়ে নির্মাণ করা হয়েছে ২৫টি গেট। সব মিলিয়ে মঞ্চ বাঁধা হয়েছে তিনটি। মূল মঞ্চের পাশেই রয়েছে আরও দুটি মঞ্চ। মঞ্চের নীচে সোফায় বসার ব্যবস্থা ছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যদের। ভিআইপিদের বসার জন্যও ছিল লাল রংয়ের চেয়ার। ব্রিগেডের শেষ প্রান্তের মানুষজনও যাতে অনুষ্ঠান চাক্ষুষ করতে পারেন, সেজন্য টাঙানো হয়েছিল বেশ কয়েকটি জায়ান্ট স্ক্রিন। ভিড়ের কারণে সেই স্ক্রিনেই মূল অনুষ্ঠান দেখতে বাধ্য হয়েছেন বহু মানুষ (Geetapath)।

    গীতা আরতি

    এদিন গীতা পাঠ করতে ব্রিগেডে আসা মানুষকে সাহায্য করতে দুটি শিবির করা হয়েছিল হাওড়া স্টেশনের বাইরে। এই শিবির তৈরি করেছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকারি কর্মচারী পরিষদের তরফে। ভিড়ে চোটে যাঁরা বুঝতে পারছেন না, ঠিক কোন দিকে যাবেন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে, তাঁরা নানা প্রশ্ন নিয়ে চলে গিয়েছেন ক্যাম্পে। তারপর কেউ ফেরি চড়ে, কেউবা বাসে চড়ে রওনা দেন গন্তব্যের দিকে। পায়ে হেঁটেও অনেকেই দেখা গেল ব্রিগেডের দিকে যেতে। এদিনের অনুষ্ঠানে অবশ্য গোটা গীতা পাঠ করা হয়নি। পাঠ করা হয়েছে কেবল প্রথম, নবম এবং অষ্টাদশ অধ্যায়। এর আগে মঞ্চে প্রতিষ্ঠা করা হয় গীতাকে। পরে হয় আরতি। তারও পরে শুরু হয় গীতা পাঠ। সব শেষে হয়েছে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের প্রবচন (Geetapath)। এদিনের এই (Brigade) অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যেমন মানুষ এসেছেন তামাম ভারত থেকে, তেমনি লোকজন এসেছেন নেপাল এবং বাংলাদেশ থেকেও।

    এত বড় সমবেত কণ্ঠে গীতা পাঠ

    উদ্যোক্তাদের তরফে জানানো হয়েছে, এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। তবে অসমর্থিত একটি সূত্রের খবর, অনুষ্ঠানে হাজির হননি মমতা। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, তৃণমূলের ভোটব্যাঙ্কে যাতে টোল না লাগে, তা-ই এদিনের অনুষ্ঠান সযত্নে এড়িয়ে গিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। সনাতন সংস্কৃতি পরিষদের দাবি, কলকাতা বা কেবল বাংলা নয়, ভারতের ইতিহাসেও এত বড় সমবেত কণ্ঠে গীতা পাঠ এই প্রথমবার (Geetapath)। গত বছরই প্রথমবারের জন্য লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠের আয়োজন করা হয়েছিল এই ব্রিগেডেই। তবে সেবার মাঠ ভরেনি বলেই দাবি করেছিল রাজ্যের শাসক দল। এবার লক্ষ কণ্ঠ নয়, গীতা পাঠ করেছেন পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষ। এই প্রথম ব্রিগেড (Brigade) প্রত্যক্ষ করল ভারতে রয়েছে বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যের ছবি।

  • Sukanta Majumdar: “তৃণমূল এখন লক্ষ্মীদের নারায়ণছাড়া করে দিয়েছে, আমরা তাঁদের ফেরাব”, বললেন সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: “তৃণমূল এখন লক্ষ্মীদের নারায়ণছাড়া করে দিয়েছে, আমরা তাঁদের ফেরাব”, বললেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ক্ষমতায় এলে বিজেপি (BJP) শুধু লক্ষ্মীদের কথাই ভাববে না, নারায়ণদের জন্যও ব্যবস্থা করবে।” মালদায় এমন মন্তব্যই করেন বালুরঘাটের সাংসদ তথা বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, “বিহার নির্বাচনে সংখ্যালঘু মহিলাদের ভোট গিয়েছে বিজেপির দিকে। এই রাজ্যেও তার ব্যতিক্রম হবে না।”

    অন্নপূর্ণা ভাণ্ডারে মিলবে বেশি টাকা (Sukanta Majumdar)

    সুকান্ত বলেন, “বাংলার মা-বোনেদের আমরা আশ্বস্ত করছি, বিজেপির ভয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর অর্থ সচিবকে বলেছেন, তিনি লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে হাজার টাকা করে বাড়াতে চান। আমার কাছে খবর, রাজ্যের আর্থিক স্বাস্থ্য ভালো নয়। ২০২৫ সালে প্রায় আট লাখ কোটি টাকা ঋণ হয়ে যাবে। যার মানে হল, প্রত্যেকের মাথার ওপর এখন ৭০ হাজার টাকার করে দেনা রয়েছে। এত ঋণ নিয়ে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে অত টাকা বাড়ানো সম্ভব নয়। তবে কিছু টাকা বাড়ানো হবে।” তিনি বলেন, “বিজেপির একজন সাধারণ কর্মী হিসেবে আমি রাজ্যের মহিলাদের আশ্বস্ত করছি যে তৃণমূল যা ঘোষণা করবে, আমরা তার থেকে অন্তত ৫০ টাকা বেশি দেব অন্নপূর্ণা ভাণ্ডারে। শুধু তাই নয়, লক্ষ্মীর সঙ্গে আমরা নারায়ণদের জন্যও ব্যবস্থা করব। তৃণমূল এখন লক্ষ্মীদের নারায়ণছাড়া করে দিয়েছে। লক্ষ্মী এখন গ্রামে, আর নারায়ণদের কেউ গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ, বেঙ্গালুরুতে।” সুকান্ত বলেন, “বিহারে যেভাবে জীবিকা দিদি করা হয়েছে, মহিলাদের নিজের পায়ে দাঁড়ানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে, এখানেও সেটা করা হবে। যাতে তাঁর পরিবারকে তাঁকে ছেড়ে যেতে না হয়।”

    উগ্রপন্থীদের মদতদাতা তৃণমূল!

    এদিন পুরাতন মালদার একটি হোটেলে চারটি সাংগঠনিক জেলার প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে সাংগঠনিক বৈঠক করেন বিজেপির সর্বভারতীয় নেতা সুনীল বনসল। সুকান্ত (Sukanta Majumdar) ছাড়াও ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন মালদা উত্তরের সাংসদ খগেন মুর্মু-সহ দলীয় বিধায়করা। অংশ নিয়েছিলেন উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরের দলীয় নেতৃত্বও। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে দলের রূপরেখা তৈরি করতেই এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল বলে বিজেপি সূত্রে খবর। এই বৈঠকের আগেই সাংবাদিক সম্মেলন (BJP) করেন সুকান্ত। বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শুক্রবারই (বিহার নির্বাচনের ফল ঘোষণার দিন) বলে দিয়েছেন, যেভাবে মা গঙ্গা বিহার হয়ে বাংলায় এসেছেন, ঠিক সেভাবেই বিজেপির জয়যাত্রাও বিহার হয়ে বাংলায় ঢুকবে। তার জন্য ইতিমধ্যেই দলের নেতা-কর্মীরা প্রত্যেকে ময়দানে নেমে পড়ছেন। উগ্রপন্থীদের মদতদাতা তৃণমূলকে উপড়ে ফেলতে কোমর বেঁধে তৈরি হয়ে রয়েছেন তাঁরা।”

    ওরা বিজেপিকে ভয় পাচ্ছে

    বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতির অভিযোগ, “রাজ্যের দিকে দিকে বিজেপির ওপর হামলা চালাচ্ছে তৃণমূল। ডায়মন্ড হারবারের মতো জায়গায় বিজেপির লোকজন আক্রান্ত হচ্ছে। এ থেকেই প্রমাণিত, এরা বিজেপিকে ভয় পাচ্ছে। ডায়মন্ড হারবারের মতো লোকসভা কেন্দ্রে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় চুরি করে ৭ লাখ ভোটে জিতেছিলেন, সেখানে যদি বিজেপি কর্মীদের মারতে হয়, তাহলে বোঝাই যায় বিজেপির দম আছে (Sukanta Majumdar)।” তিনি বলেন, “আমরা প্রতিটি রক্তবিন্দুর হিসেব নিয়ে নেব। বাংলায় ইতিমধ্যেই হিন্দুরা এককাট্টা হয়ে গিয়েছে। গত বিধানসভা ও লোকসভা নির্বাচনে তার প্রমাণ মিলেছে। হিন্দুরা বুঝতে পেরেছে, যদি বিজেপি ক্ষমতায় না আসে, তবে তাদের জন্য এই বঙ্গভূমি আগামীতে বধ্যভূমিতে পরিণত হবে।”

    সর্বধর্ম সমভাবের নীতি

    সুকান্ত (BJP) বলেন, “আমরা সংখ্যালঘু কিংবা সংখ্যাগুরুর তত্ত্বে বিশ্বাস করি না। আমাদের চোখে প্রত্যেকে বাঙালি। প্রত্যেকে ভারতবর্ষের নাগরিক, ভারত মায়ের সন্তান। আমরা সর্বধর্ম সমভাবে নীতি নিয়ে চলি। এটা আমাদের পঞ্চনিষ্ঠা।” তিনি বলেন, “বিজেপি উন্নয়নে বিশ্বাস করে। বিহারে সংখ্যালঘু মহিলারাও বিজেপি এবং এনডিএ জোটকে ভোট দিয়েছেন। আমার বিশ্বাস, আগামীতে মুসলিম সমাজও বুঝতে পারবে, তাদের কেন বছরের পর বছর কোনও উন্নয়ন হয়নি। কেন তাঁদের মধ্যে ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়র আতশকাচ দিয়ে খুঁজতে হয়? তাঁরাও তো বাঙালি! আমাদের যা বুদ্ধিমত্তা, তাঁদেরও তো তাই। শিক্ষার কেন অভাব? স্বাস্থ্যের কেন অভাব? কেন মেয়েদের ওপর অত্যাচার হয়, হিংসার ঘটনা ঘটে (Sukanta Majumdar)? এর মূল কারণ স্বাধীনতার পর থেকে তাঁদের প্রত্যেকে মুসলমান হিসেবেই দেখে এসেছে, কেউ মানুষ হিসেবে দেখেনি। বিজেপি তাঁদের মানুষ হিসেবে দেখতে চায়।”

    উগ্রপন্থীদের আখড়া

    দিল্লির লালকেল্লা বিস্ফোরণকাণ্ডে উত্তর দিনাজপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে এক চিকিৎসককে। সে প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, “মালদা, মুর্শিদাবাদ, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদিয়ার বেশ কিছু অংশ এবং বীরভূম এখন উগ্রপন্থীদের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। এখনই পাড়ায় পাড়ায় উগ্রপন্থী তৈরি হয়ে গিয়েছে। এরাজ্যে এখন দুয়ারে উগ্রপন্থী প্রকল্প চালু হয়েছে (BJP)। এখন দিল্লিতে ফাটাচ্ছে, দু’দিন পরে রাজ্যবাসীর বাড়ির সামনে বোমা ফাটবে (Sukanta Majumdar)।”

  • Suvendu Adhikari: “অঙ্গ দিয়েছে, কলিঙ্গ হয়ে গিয়েছে, বাকি আছে বঙ্গ”, লাড্ডু বিলি করে ঘোষণা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “অঙ্গ দিয়েছে, কলিঙ্গ হয়ে গিয়েছে, বাকি আছে বঙ্গ”, লাড্ডু বিলি করে ঘোষণা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিহার জয়ের পর থেকেই বঙ্গ বিজেপির নেতৃত্বে এখন ব্যাপক উন্মাদনা। অঙ্গ অর্থাৎ বিহার, কলিঙ্গ অর্থাৎ ওড়িশা জয়ের পর এবার লক্ষ্য বাংলা। বিহারের নির্বাচনী ফল ঘোষণার পরেই বিধানসভায় গেরুয়া আবির খেলে রীতিমতো লাড্ডু খেয়ে বিজয় উল্লাস প্রকাশ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। বছর ঘুরলেই বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন। বিজেপির জয় নিয়ে মত প্রকাশ করেছেন সুকান্ত মজুমদারও। তাই এখন থেকেই বিহারের জয়কে সমানে রেখে বাংলার রাজনীতিতে তৃণমূলকে হারানোর অঙ্গীকার নিতে শুরু করেছে বিজেপি। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) এদিন জয়ের উল্লাস প্রকাশ করে বলেন, “অপারেশন সিঁদুরের পর প্রথম নির্বাচন হয়েছে বিহারে। মানুষ দেশকে শক্তিশালী করতে প্রধানমন্ত্রী মোদির উপর আস্থা রাখতে শুরু করেছেন। বিহারের মানুষ নীতীশ কুমারের উপর আস্থা রেখেছেন।”

    গণতন্ত্র এবং উন্নয়নের জয় (Suvendu Adhikari)

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বিহার জয়ের প্রেক্ষিতে বলেন, “বিহার-বাংলা ১৯০৫ সালের আগে একই ছিল। অঙ্গ-বঙ্গ-কলিঙ্গ এক ছিল। অঙ্গ দিয়েছে, কলিঙ্গ হয়ে গিয়েছে, বাকি আছে বঙ্গ। বিভিন্ন মণ্ডলে মণ্ডলে যেন এই জয় উৎসবের মতো পালন করা হবে।” একই ভাবে আবার নিজের এক্স হ্যান্ডল থেকে রাজ্যবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুভেন্দু লিখেছেন, “বিহারে এনডিএ-এর ঐতিহাসিক জয়। গণতন্ত্র এবং উন্নয়নের জয় হয়েছে। বিহারের জনগণ স্পষ্টতার সঙ্গে কথা বলেছেন, জাতীয় গণতান্ত্রিক জোটকে অভূতপূর্ব জনাদেশ প্রদান করেছে। আমাদের এই গৌরবময় বিজয়ের নেতৃত্বে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর নির্দেশনায় জনকল্যাণ, পরিকাঠামোর উন্নয়নের প্রতি জোর দিয়েছেন। তাঁর দূরদর্শীতাকে আমরা শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাই।”

    পদ্ম ফুটবে বাংলায়

    বিহার নির্বাচনে এনডিএ সরকারের বিরাট সাফল্যের জন্য কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকারের স্বচ্ছ কাজকেই রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা একমাত্র কারণ বলে মনে করছেন। সুশাসন, স্থিতিশীল সরকার, উন্নয়ন মূলক প্রকল্প, ভোটার তালিকা সংশোধন সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ এনডিএ সরকারকে আরও একবার ক্ষমতায় ফিরিয়ে এনেছে। অপর দিকে আরজেডি-কংগ্রেস তোষণনীতিকে বিশেষ ভাবে গুরুত্ব দেওয়ায় ভরাডুবি হয়েছে। তবে গত ২০২৪ সালের লোকসভার সময় ওড়িশা বিধানসভায় নির্বাচনে ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি। বিহারে এইবার বিজেপি একক ভাবে সবচেয়ে বেশি আসন পেয়েছে। ফলে থাকল বাংলা। বাংলাতেও দ্রুত পদ্ম ফুটবে বলে আশাবাদী বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব।

    বিহারে হিংসা হয়নি

    বালুরঘাটের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয়মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বিহারের জয়কে বাংলার প্রেক্ষিতে দেখে বঙ্গে বিজেপির জয় নিয়ে বিরাট আশা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, “অঙ্গ রাজ্যের অবস্থান ছিল বর্তমান বিহারের পুর্বাঞ্চল থেকে বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের উত্তরাংশ জুড়ে ছড়িয়ে থাকা এক এলাকা। বিহার নির্বাচন ২০২৫ সালে বিপুল জয় এনে দেখিয়েছে এনডিএ। অঙ্গ, বঙ্গ, কলিঙ্গ বিজেপি দখল করে নেবে। কলিঙ্গ, অঙ্গে চলে এসেছে এবার বঙ্গের পালা। বিহার স্পষ্ট প্রমাণ করেছে ভারতের মানুষ জঙ্গলরাজ এবং সুশাসন বলতে ঠিক কি বোঝেন। মানুষ ভোট দিয়ে বুঝিয়েছে এই জঙ্গলরাজ সরকার আর কোনও দিন আসবে না। বিহারে জঙ্গলরাজ শেষ হয়েছে। এবার বাংলার জঙ্গলরাজ শেষ হবে। বিহারে দেখা গিয়েছে গণতন্ত্র কেমন হয়, কোন হিংসার ঘটনা ঘটেনি, এবার বাংলার জঙ্গলরাজ শেষ করবে বিজেপি।”

    ২০২৬ সালের নির্বাচন কতটা ভয় মুক্ত?

    বাংলা জয় নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং বলেছেন, “বিহার জয়ের পর এবার বাংলা টার্গেট। বিহার আমাদের জয় হেবেই। বাংলায় দিদির পরাজয় পরবর্তী পালা। বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গাদের তারাতে পারলেই অনুপ্রবেশকারীমুক্ত হবে। আর তা হলেই বাংলা জয় নিশ্চিত। লালু নিজেই সবচেয়ে বড় দুর্নীতিবাজ। ওঁর পরিবার সব থেকে বেশি লাভবান হয়েছে। মহিলাদের জন্য নরেন্দ্র মোদি এবং নিতীশ কুমার লাখপতি দিদি-র মতো প্রকল্প এনেছেন।”

    তবে বাংলার নির্বাচনে শাসক বিরোধী রাজনৈতিক সংঘাতের ঘটনা গত ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে যেমন মারাত্মক ছিল একইভাবে গত পঞ্চায়েত এবং লোকসভাতেও উল্লেখ যোগ্যভাবে ছিল। তৃণমূলের হাতে প্রচুর বিরোধী নেতা-কর্মীরা নিহত হয়েছিলেন। পাশাপাশি এইবারে বিহারের নির্বাচনে হিংসার নমুনা নেই বললেই চলে। ফলে আগামী দিনে বঙ্গ রাজনীতি এবং ভোট পরবর্তী হিংসা কোন মাত্রায় প্রবাহিত হয় তাও দেখার বিষয়।

  • Sukanta Majumdar: “বিধানসভায় ফের ফিরে আসা চাইই চাই”, বিজেপি বিধায়কদের বার্তা সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: “বিধানসভায় ফের ফিরে আসা চাইই চাই”, বিজেপি বিধায়কদের বার্তা সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচন। রাজ্যে এসআইআর আবহে রাজনৈতিক উত্তাপ এখনই চরম শিখরে। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতির বোঝা। অপর দিকে নারী নির্যাতন এবং ধর্ষণের ঘটনা পাল্লা দিয়ে রোজ বাড়ছে। চাকরি নেই কর্মস্থান নেই, নেই রাজ্য সরকারের কর্মচারীদের ডিএ। সংখ্যালঘু তোষণ এবং হিন্দু নির্যাতণের মতো ঘটনা এই রাজ্যে অহরহ ঘটছে। এই পরিস্থিতিতে বিজেপি বিধায়কদের ২০২৬ সালের বিধানসভায় ফের জিতে আসার বার্তা দিয়েছেন প্রাক্তন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তাঁর সাফ কথা, “বিধানসভায় ফের ফিরে আসা চাইই চাই।”

    আরেকবার জয়ী হয়ে আসতে হবে (Sukanta Majumdar)

    বুধবার পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। সেখানে বিজেপি বিধায়কগণ এবং কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বৈঠক করেন। এখানে একদিকে বিভিন্ন এলাকার সমস্যা বিষয়ে যেমন কথা হয়, ঠিক একই ভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের কোন কোন সহযোগিতা প্রয়োজন তা নিয়েও বিধায়কদের মতামত জানতে চান সুকান্ত মজুমদার। হাতে মাত্র আর কয়েকটা মাস সময়, তাই সময়কে কাজে লাগিয়ে কীভাবে মানুষের বেশি বেশি সমর্থন নিয়ে আরেকবার বিধানসভায় জয়ী হয়ে আসা যায়, সেই বিষয়ে পরামর্শ দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। যদিও বিজেপির পক্ষ থেকে এই বৈঠককে বিজয়া সম্মিলনী বলা হয়েছে।

    আপনারা দলের প্রকৃত সৈনিক

    এদিনের সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎকারে বিজেপি বিধায়কদের সুকান্ত সাফ বার্তা দেন, “প্রত্যেকে বিজেপি বিধায়কদের আবারও ফিরে আসতে হবে। আপনাদের অনেকেই নানা প্রলোভন, চাপ, হুমকির মুখে থেকেও দল ছাড়েননি। আপনারা দলের প্রকৃত সৈনিক। আপনাদের সাহসের জন্যই সংগঠন টিকে আছে। আপনাদের অনেকেই নানা প্রলোভন, চাপ, হুমকির মুখে থেকেও দল ছাড়েননি। আপনারা দলের প্রকৃত সৈনিক। আপনাদের সাহসের জন্যই সংগঠন টিকে আছে।” এদিন ঠিক ১২ টা নাগাদ বিধানসভায় আসেন সুকান্ত। উল্লেখ্য রাজ্য বিধানসভায় নিজে বিজেপির রাজ্য সভাপতি থাকাকালীন সময়েও এসেছলেন। নানা সময়ে বিধায়ক এবং কর্মীদের মনে সাহস জুগিয়েছেন। তবে সুকান্তর আসাকে ঘিরে বিজেপি বিধায়কদের ঘিরে প্রস্তুতি ছিল দেখার মতো। ফটকের বাইরে স্বাগত পোস্ট ঝোলানো হয়েছিল। বেশিরভাগ বিধায়ক এদিন উপস্থিত ছিলেন বিধানসভায়। একইভাবে উপস্থিত ছিলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    ২০২১ সালে বিজেপির জয়ী বিধায়ক সংখ্যা ছিল ৭৭। এখন কমে দাঁড়িয়েছে ৬৫। আর সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। তাই বিধানসভা স্তরে দলের সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করতে এই বিশেষ বৈঠক হয়েছে বলে মনে করছেন ওয়াকি বহাল মহল।

  • Sukanta Majumdar: “হিন্দুর নাম বাদ গেলে আমরা সরকারেই থাকতে পারব না”, অভয় বার্তা সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: “হিন্দুর নাম বাদ গেলে আমরা সরকারেই থাকতে পারব না”, অভয় বার্তা সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়ার সিএএ ক্যাম্পে গিয়ে রাজ্য সরকারকে তীব্র তোপ দেগেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে হিন্দু বিরোধী বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি মমতাকে কাঠগড়ায় তুলে বলেন, “নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ২০১৯ নিয়ে চক্রান্ত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই।” প্রসঙ্গত এই রাজ্যে এসআইআর-এর (SIR) বিরোধিতা করতে গিয়ে বারবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, সিএএ-তে কেউ যেন আবেদন না করে। তৃণমূলের দাবি, যদি আবেদন করেন তাহলে ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠাবে বিজেপি। বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দু শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন সিএএ। কোনও ভাবেই নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার আইন নয়। তাই তৃণমূল নেত্রীর বক্তব্যকে সম্পূর্ণ ভাবে খারিজ করে দেন বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ।

    শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে লড়াই করব: সুকান্ত (Sukanta Majumdar)

    নদিয়ার তাহেরপুরে অনুষ্ঠিত সিএএ ক্যাম্প পরিদর্শনের জন্য যান কেন্দ্রীয়মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, “এসআইআরকে (SIR) ইস্যু করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বড় ধরনের চক্রান্ত করছেন। নির্বাচন কমিশন রাজ্যের প্রশাসনের মাধ্যমে এসআইআরকে বাস্তবায়নের কাজ করছে। কমিশন সরাসরি নিয়ন্ত্রণ না করলেও রাজ্য সরকারের কর্মচারী, বিডিওরাই কাজ করছেন। কেউ কেউ আবার ইআরও হিসেবে কাজ করছেন।”

    একই ভাবে সুকান্ত সিএএ-এর বিভ্রান্তি নিয়ে বলেন, “ভয় পাওয়ার কিছু নেই, বিজেপি আপনাদের সঙ্গে আছে। আমরা শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে লড়াই করব। আপনাদের যাতে ভোটার লিস্টে নাম থাকে তার জন্য যা যা করার বিজেপি তা তা করবে। নরেন্দ্র মোদি সরকারও তাই তাই করবেন। অনেকে আপানাদের উল্টো পাল্টা বোঝাবে। বিজেপি ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠাবে বলে উসকাবে। বিজেপি কালিদাস নাকি? বিজেপিকে কারা ভোট দেয় সকলে জানে। যাদের গলায় কাঠের মালা, মাথায় সিঁদুর। যারা ভোট দেয় তাঁদের কি বিজেপি ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠাবে? যদি তাই হয় আমরাই তো সরকারে থাকতে পারব না। আমি তো বগুড়া থেকে এসেছি। আমাদের জমি ওপারে কম ছিল না। আমার ঠাকুদা এসছিলেন যাতে ঠাকুমা রাতের বেলায় তুলসীতলায় প্রদীপ জ্বালাতে পারেন। তাই ভয়ের কিছু নেই।”

    প্রতি বুথে ১০-১৫ জন হিন্দুর নাম কেটে বাদ

    এদিন তৃণমূলের আইপ্যাকের বিরুদ্ধে আক্রমণ করেছেন সুকান্ত। তিনি বলেন, “তৃণমূলের আই-প্যাক টিমের মাধ্যমে ভোটার তালিকা তৈরি হচ্ছে, যেখানে বেছে বেছে প্রতিটি বুথ থেকে প্রায় দশজন করে হিন্দু ভোটারের নাম বাদ দেওয়া হচ্ছে। যাদের নাম এসআইআরে নেই, তারা যেন সিএএ-র আওতায় আবেদন করেন। আজকের অনুষ্ঠান ক্যাম্পে সকলে সিএএ-র আওতায় আবেদন করুণ। তাদের রীতিমতো টার্গেট দেওয়া হয়েছে প্রতিবুথে যেন ১০-১৫ জন হিন্দুর নাম কেটে বাদ দেওয়া হয়। এমনিই বাদ দিয়ে দেওয়া হবে। নির্বাচন কমিশন যেহেতু এদের দিয়ে কাজ করাচ্ছে তাই সুযোগকে ব্যবহার করবে। ফলে বিজেপির কর্মীদের সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। একজন হিন্দুর যেন নাম বাদ না যায়। ভারতে যদি হিন্দুদের নাম বাদ যায় তাহলে কাদের নাম থাকবে। ভারতবর্ষ আর ভারতবর্ষ থাকবে না। হিন্দুদের মহাপুণ্যভূমি এই ভারতবর্ষ তাই হিন্দু রক্ষার নামই হল ভারতবর্ষ রক্ষা। তাই ভারতকে রক্ষা করতে হিন্দুদের এক থাকতে হবে।”

    নাগরিকত্ব তুলে দেন সুকান্ত

    এদিনের অনুষ্ঠানে তিনি আগে সিএএ আবেদন করেছিলেন এমন ব্যক্তিদের হাতে সার্টিফিকেটও তুলে দেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। বিজেপি মণ্ডলস্তর পর্যন্ত সকল জায়গায় হিন্দু শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার ক্যাম্প শুরু করেছে। আবেদনও পড়ছে ব্যাপক পরিমাণে। উল্লেখ্য নবদ্বীপ রাস পূর্ণিমার অনুষ্ঠানে যোগদান করতে গিয়ে গিয়ে একদল দুষ্কৃতীরা তাঁর গাড়িতে হামলা চালায়। ঘটনার কথা সামাজিক মাধ্যমে তুলে ধরে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে গত কয়েকমাসের মধ্যে সাংসদ খগেন মুর্মু, বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, সাংসদ রাজ্য বিস্তা-সহ একাধিক নেতাদের উপর আক্রমণের ঘটনা রাজ্য রাজনীতির পারদ কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়ে গিয়েছে। বিরোধীদের যদি ভোটের আগেই এতো টার্গেট করা হয় ভোটের সময় কি হবে? তা নিয়েই চিন্তিত রাজনীতির একাংশ।

  • Sukanta Majumdar: নবদ্বীপ থেকে ফেরার পথে সুকান্ত মজুমদারের কনভয়ে হামলা, তীব্র প্রতিক্রিয়া শুভেন্দুর

    Sukanta Majumdar: নবদ্বীপ থেকে ফেরার পথে সুকান্ত মজুমদারের কনভয়ে হামলা, তীব্র প্রতিক্রিয়া শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়ায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) কনভয়ে হামলা চালাল তৃণমূল কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। বুধবার নদিয়ায় পরপর কর্মসূচি ছিল সুকান্তর। সেখান থেকে ফেরার সময়ই এই হামলার ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ। ঘটনায় আহত হয়েছেন দুই বিজেপি নেতা। তাঁরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী। অন্যদিকে, সুকান্ত মজুমদারের কনভয়ে হামলার পিছনে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়ী করছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শুভেন্দুর দাবি, এসআইআর নিয়ে মিথ্যা প্রচার করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যের এক শ্রেণির মানুষকে উস্কে দিয়েছেন। যার ফলেই এই ধরনের হামলা হচ্ছে।

    আহত বিজেপি কর্মী হাসপাতালে

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নবদ্বীপের সরকার পাড়ায় বিজেপি-র একটি কর্মসূচিতে যাওয়ার পথে সুকান্তর কনভয়ে থাকা একাধিক গাড়ি পিছিয়ে পড়ে ভুল রাস্তায় চলে যায়। তারপর নবদ্বীপ বাসস্ট্যান্ডে গাড়ি ঘোরানোর সময় হামলা চালানো হয়। অভিযোগ, রাজ্যের শাসক দলের শ্রমিক সংগঠনের দফতর থেকে অনেকে সুকান্তর কনভয়ে থাকা গাড়িতে হামলা চালায়। তারা কনভয়কে বাধা দেয়, গাড়ি লক্ষ্য করে ইট ছোড়ে। হামলাকারীদের হাতে লাঠি ছিল বলেও অভিযোগ। দলীয় কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ পেয়ে নিজের গাড়ি নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন সুকান্ত। তাঁর সঙ্গেই বিজেপি-র অনেক নেতা-কর্মীও ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান।

    সুরক্ষার জন্য ঝান্ডার সঙ্গে ডান্ডা!

    প্রথমে নদিয়ার তাহেরপুরে একটি কর্মসূচি ছিল সুকান্ত মজুমদারের। পরে জগদ্ধাত্রী পুজোর বিসর্জনে পুলিশের বিরুদ্ধে লাঠিপেটা করার যে অভিযোগ উঠেছে, তার প্রতিবাদে থানা ঘেরাও কর্মসূচিতে যোগ দেন সুকান্ত। এরপর পৌঁছন নবদ্বীপে। বর্তমানে সেখানে রাশ উৎসব চলছে। লক্ষ লক্ষ মানুষ ভিড় করছেন। বুধবার সন্ধ্যায় সুকান্ত নবদ্বীপে গিয়ে রাস উপলক্ষে শ্যামা মায়ের পুজো দেন এবং বিজেপির একটি বুক স্টলের উদ্বোধন করেন। ফেরার পথে তাঁর কনভয়ের উপর হামলা চালানো হয়। এদিন কনভয়ে থাকা গাড়িতে এবং দলীয় কর্মীদের উপর হামলা নিয়ে তীব্র ক্ষোভপ্রকাশ করে সুকান্ত বলেছেন, “আমার দুই কর্মীর মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ প্রশাসনকে স্পষ্ট জানিয়ে দিতে চাই, অবিলম্বে কঠোর ব্যবস্থা না নেওয়া হলে, রক্তের হিসেব আমরা বুঝে নেব। অভিযুক্তদের গ্রেফতার না করা হলে, বিজেপি নিজেরাই ব্যবস্থা নিতে জানে। সেই ক্ষমতা আমাদের আছে। পুলিশ ব্যবস্থা না নিলে আবার আমরা থানা ঘেরাও কর্মসূচি করব। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতেই আমরা লড়ব। বার বার যদি আমাদের কর্মীদের উপর হামলা হয়, তা হলে এ বার থেকে ঝান্ডার সঙ্গে ডান্ডাও রাখতে হবে নিজেদের সুরক্ষার জন্য।”

    এরা থামবে না, এদের থামাতে হবে

    কিছুদিন আগেই উত্তরবঙ্গে হামলা হয় বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ ও সাংসদ খগেন মুর্মুর উপর। গুরুতর আহত অবস্থায় বেশ কয়েকদিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন খগেন মুর্মু। সেই ঘটনার পর এবার হামলার শিকার সুকান্ত মজুমদার। এই ঘটনার প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলেন, “এটা নিত্যদিনের কাজ হয়ে গিয়েছে। আইনের শাসন নেই। নেতাদের এই অবস্থা হলে কর্মীদের কী হবে! কেন্দ্রীয় সরকারের এবার কড়া ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। এরা থামবে না, এদের থামাতে হবে।” কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কনভয়ে হামলার পিছনে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানায় বিজেপি।

    শুভেন্দুর কড়া প্রতিক্রিয়া

    এদিকে গতকাল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর উপর হামলার ঘটনায় সরব হয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। তিনি এক্স হ্যান্ডেলে এক পোস্টে লিখেছেন, “কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ড. সুকান্ত মজুমদার নদিয়া জেলার নবদ্বীপে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান শেষে ফেরার পথে তাঁর কনভয়ের একাধিক গাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে। এই হামলায় বিজেপি নদিয়া উত্তর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অর্জুন বিশ্বাস, নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অপর্ণা নন্দী এবং নাদিয়া দক্ষিণ জেলার সাধারণ সম্পাদক শ্যামাপ্রসাদ বিশ্বাস আহত হয়েছেন। অর্জুন বিশ্বাস, শ্যামাপ্রসাদ বিশ্বাস এবং তাঁদের সঙ্গে থাকা কর্মীরা গুরুতর জখম হয়েছেন এবং বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আমি এই কাপুরুষোচিত হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। এই ঘটনার জন্য সম্পূর্ণভাবে দায়ী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়—যিনি ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁর ‘অ্যান্টি-এসআইআর’ রাজনৈতিক কর্মসূচির সময় সমাজের একাংশকে উস্কে দিয়েছিলেন। এসআইআর প্রক্রিয়াকে এনআরসি বলে আখ্যা দিয়ে তিনি পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করে তুলেছেন।” তিনি আরও লিখেছেন, “যে এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটেছে, সেই জেলার পুলিশ সুপার হলেন ‘কুখ্যাত আধিকারিক’ অমরনাথ কে., যিনি প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিংয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে গঠিত প্রিভিলেজ কমিটির তলবেও হাজিরা দেননি। এই ঘটনা প্রমাণ করে যে তৃণমূল কংগ্রেস প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক দিক থেকে আতঙ্কে রয়েছে। তাঁদের এই প্রতিক্রিয়াই শেষ পর্যন্ত বাংলায় তাদের বিদায়ের পথ আরও মসৃণ করবে।”

  • Sukanta Majumdar: “মুসলিমদের ভয় নেই, ভারতীয়দের কেউ ছুঁতে পারবে না”, এসআইআরে অভয় বার্তা সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: “মুসলিমদের ভয় নেই, ভারতীয়দের কেউ ছুঁতে পারবে না”, এসআইআরে অভয় বার্তা সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিধানসভা ভোটের আগে এসআইআর নিয়ে রাজ্য রাজনীতি তীব্র ভাবে উত্তাল। তৃণমূলের তৈরি করা এসআইআর সম্পর্কিত বিভ্রান্তি আগুনে জল ঢেলে দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। অপর দিকে নিবিড় তালিকা সংশোধনে হিন্দুদের অভয় দিয়ে তৃণমূলকে নিশানা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শনিবার দক্ষিণ দিনাজপুরে বিজয় সংকল্প যাত্রা থেকে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে একযোগে আক্রমণ করলেন বিজেপির এই দুই হেভিওয়েট নেতা।

    চোর সরকারকে উৎখাত করবই (Sukanta Majumdar)

    এসআইআর নিয়ে কোনও ভয় নেই। চিন্তামুক্ত থাকতে বলেন রাজ্যবাসীকে। বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, “আমরা বিজেপির সকল নেতৃত্ব মিলে ঠিক করেছি এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চোর সরকারকে উৎখাত করবই। আর তা হলেই আমাদের শান্তি হবে। নয়তো আমাদের শান্তি নেই। তৃণমূল এসআইআর নিয়ে ভয় দেখাচ্ছে। আপনারা ভয় পাবেন না। ভয় পাওয়ার কিছু নেই। তৃণমূল বলবে মুসলমানদের বাদ দিয়ে দিয়ে দেবে। আমি বলব মসুলিমদের কোনও ভয় নেই। ভারতীয় নাগরিকদের কেউ ছুঁতে পারবে না। তবে বাংলাদেশ থেকে আগতদের চিহ্নিত করা হবে। ভারতীয়রা এই দেশে আছেন থাকবেন।”

    ধর্মীয় বিভাজনের চক্রান্তকে সমালোচনা করে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) আরও বলেন, “আমরা প্রকৃত ধর্ম নিরপেক্ষ, ওরা ছদ্মবেশী ধর্ম নিরপেক্ষ। আমরা লড়াই চাই না। নরেন্দ্র মোদি সরকার সবকা সাথ সবকা বিকাশ চান। সিএএতে আবেদন করে নিজেদের অধিকারকে রক্ষা করুন।”

    ১৫ দিনের মধ্যে নাগরিকত্ব শংসাপত্র প্রদান করেছি

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, “বাংলাদেশ সীমান্ত মালদা জেলায় শরণার্থী হিন্দুদের কাছে বিরোধী দলনেতার গ্যারান্টি এবং আবেদন সিএএ-তে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আবেদন করুন। ভোটার তালিকায় আপনার নাম থাকবে। আমি আপনাদের গ্যারান্টি থাকছি, সমস্যা হবে না। মমতা এবং তাঁর পুলিশ বলছে সিএএতে আবেদন করলে সব বন্ধ হয়ে যাবে। এটা ঠিক নয়। পেহেলগাঁওতে নিহত বিতান অধিকারীকে কেবলমাত্র হিন্দু বলেই খুন হতে হয়েছিল। তাঁর স্ত্রীকে সিএএতে আবেদন করিয়ে আমরা ১৫ দিনের মধ্যে নাগরিকত্ব শংসাপত্র প্রদান করেছি।”

  • Suvendu Adhikari: “ছাব্বিশে বদল হলে সুদে আসলে আমরা বদল নেব”, তৃণমূলকে তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “ছাব্বিশে বদল হলে সুদে আসলে আমরা বদল নেব”, তৃণমূলকে তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মালদা উত্তর লোকসভার বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুর উপর হামলার ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত কড়া ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিলে একযোগে ময়দানে নেমেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার কলেজ স্কোয়ার থেকে ডোরিনা ক্রসিং পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিল করেছে রাজ্য বিজেপি। একই ভাবে রাজ্যে লাগাতার নারী নির্যাতনের মতো ঘটনার প্রতিবাদে শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন সুকান্ত-শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)।

    বদলাও হবে বদলও হবে (Suvendu Adhikari)

    বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুর উপর হামলার বিরুদ্ধে তোপ দেগে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “পুলিশকে একমাস সময় দিয়েছি। তার মধ্যে প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেফতার করতে হবে। না হলে বিজেপি ট্রিটমেন্ট করবে। নাগরাকাটার বুকেই ট্রিটমেন্ট হবে। বিজেপিকে মারধর করে ঘরের ভিতরে ঢুকিয়ে দেওয়া যাবে না।” একই সঙ্গে মিছিলের শেষে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, “রাজ্যের নানা প্রান্তে রাজনৈতিক আক্রমণের শিকার হচ্ছে অনেকেই। এই সরকার সম্পূর্ণ ভাবে আদিবাসী বিরোধী সরকার। মিছিলের শেষ মানে আন্দোলনের শেষ নয়। বদলা চাইলে বদল করতে হবে। ছাব্বিশে বদল হলে সুদে আসলে আমরা বদল নেবো। বদলাও হবে বদলও হবে।”

    তির-ধনুক নিয়ে মিছিল বিজেপির

    বঙ্গ বিজেপির এসটি মোর্চার ডাকে প্রতিবাদ মিছিলে নেতৃত্বদেন বিরোধীদল নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর পাশে স্বাভাবিক ভাবেই উপস্থিত ছিলেন বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar), রাহুল সিনহা, দীপক বর্মণ সহ আরও অনেকে। মহিলা নেত্রীদের মধ্যে ছিলেন প্রাক্তন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। তবে শারীরিক অসুস্থতার জন্য মিছিলে উপস্থিত ছিলেন না রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য। আদিবাসী সমাজের অস্ত্রকে মিছিলে প্রতীকী প্রতিবাদ রূপে ব্যবহার করতে দেখাও যায়। প্রত্যেক নেতানেত্রীর হাতে ছিল তির, ধনুক। জলপাইগুড়ির নাগরাকাটায় বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুকে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হামলা করে। এরপরেই রাজ্য রাজনীতিতে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়। অভিযুক্তদের ছবি ইতিমধ্যে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক ভাবে ভাইরাল হয়। বিজেপির স্পষ্ট দাবি অভিযুক্তরা সকলেই তৃণমূলের নেতা। আর তাই তৃণমূলের অঙ্গুলি হেলনেই দুষ্কৃতীদের পাকড়াও করছে না পুলিশ।

  • Sukanta Majumdar: টেটে পাসের হার ২.৪৭%! “মানসিকতাতেই নেই চাকরি দেওয়ার”, মমতাকে তোপ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: টেটে পাসের হার ২.৪৭%! “মানসিকতাতেই নেই চাকরি দেওয়ার”, মমতাকে তোপ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর ঠিক আগের মুহূর্তেই ২০২৩ সালের টেট পরীক্ষার ফল প্রকাশ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। তবে পাশের হার নিয়ে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলেছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এইবার টেটের ফলাফল ঘোষণায় জানা গিয়েছে পাশের হার ২.৪৭ শতাংশ। আগে পাশের হার বেশি ছিল কিন্তু এবার পাশের হার ঠিক কোন কারণে কম, তাই প্রশ্ন করেন সুকান্ত। আগে কি জল মেশানো হতো? এবার তাহলে কম হচ্ছে। যুবকদের কি মমতা সরকার চাকরি দিতে চাইছে না? অপর দিকে রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিন্‌হাকে (Chandranath Sinha) শর্ত সাপেক্ষে জামিন বহাল রেখেছে ইডির বিশেষ আদালত। তবে এই রায়ের বিরুদ্ধে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদার। তাঁর সাফ কথা, “চন্দ্রনাথ নিয়ে আদালতের রায়ে আমরা মর্মাহত।”

    মানসিকতাতেই নেই চাকরি দেওয়ার (Sukanta Majumdar)

    রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে রাজ্য রাজনীতি ফের উত্তাল। ২৪ সেপ্টেম্বরে টেটের ফল প্রকাশিত হয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে আগের বারের তুলনায় পাশের হার খুব কম। একই দিনে এবার ২০২২ সালের টেট পরীক্ষায় পাশ করা অন্যান্য চাকরি প্রার্থীরা আন্দোলন করতে রাস্তায় নেমেছেন। ২০২২ সালে টেটে পাশ করেছিলেন মোট ৫৭ হাজার। ২০২৩ সালে টেটে উত্তীর্ণদের সংখ্যা সেই বারের তুলানায় অনেক কম। এইবারে পাশের সংখ্যা মাত্র ৬ হাজার ৭৫৪ জন। মোট চাকরি প্রার্থী রয়েছেন ৬৩ হাজার ৭৫৪ জন।

    তৃণমূলকে তোপ দেগে বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, “এই তৃণমূল সরকার রাজ্যের যুবক বেকারদের চাকরি দেবে না। ২০২২ সালে ৫৭ হাজার পাশ করল, ২০২৩-এ মাত্র ৬ হাজার ৭৫৪! তাহলে কি আগে অতিরিক্ত করে পাশ করানো হয়েছিল? আগে তো অনেক বেশি করে পাশ হতো আর এবার এতো কেন কম হল? তাহলে কি আগে সবটাই দুর্নীতি করে করা হত? সরকারের মানসিকতাতেই নেই চাকরি দেওয়ার।” তবে তাঁর এই মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের রাজ্য সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার কটাক্ষ করে বলেন, “তাঁর মন্তব্য অবৈজ্ঞানিক এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মন্তব্য। পাশের হার দিয়ে ফলাফল বিচার করা যায় না।”

    অপরাধী যদি ঘুরে বেড়ায় তাহলে মুশকিলে পড়বে

    ইডির বিশেষ আদালতে জামিন পেয়ে চন্দ্রনাথ (Chandranath Sinha)  বলেন, “বিচার ব্যবস্থার ওপর আমার সম্পূর্ণ ভরসা রয়েছে। আমি জ্ঞানত কোনও অন্যায় করিনি।” তৃণমূল বিধায়ক চন্দ্রনাথ সিনহার শর্ত সাপেক্ষে জামিন বহাল রাখাকে তোপ দেগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, “এই ধরনের অপরাধী যদি ঘুরে বেড়ায় তাহলে মুশকিলে পড়বে তদন্ত। আদালতের রায়ে আমরা ভীষণ ভাবে মর্মাহত। কীভাবে এই রায় দেওয়া হয়েছে তার কারণ খোঁজ করতে হবে। আদালতের রায় যদিও বিচারাধীন বিষয় তবুও এই রায় রাজ্যবাসীর মনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।”

    তল্লাশি অভিযানে ৪১ লক্ষ টাকা উদ্ধার হেয়েছিল

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা মন্ত্রী চন্দ্রনাথের (Chandranath Sinha) বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। টাকা নিয়ে চাকরি বিক্রি করার অভিযোগ রয়েছে তাঁর ওপর। তবে ইডির কাছে নিজের আয় সম্পর্কে তিনি জানান, সমস্ত আয়ের উৎস কৃষিকাজ। এরপর তদন্তকারী সংস্থা বীরভূমের পাইকরে বীরভূমের কৃষি বিভাগের সহ অধিকর্তার দফতরে তল্লাশি চালায়। রাজ্যের মন্ত্রীর বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেওয়ার পর গত ৬ সেপ্টেম্বর ইডির বিশেষ আদালতে গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। তবে ২০২৪ সালের মার্চ মাসে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে নগদ ৪১ লক্ষ টাকা এবং মোবাইল উদ্ধার হয়েছিল। নিজের বৌয়ের নামে বেনামে সম্পত্তি এবং আবাসন নির্মাণের ব্যবসা চালাতেন বলে একাধিক তথ্য আদালতে তুলে ধরেছে ইডি।

    চরম চাপে তৃণমূল

    উল্লেখ্য রাজ্যের তৃণমূল সরকার শিক্ষক নিয়োগ, রেশন বণ্টন, পুর নিয়োগ, বালি-কয়লা-গরু-পাথরপাচার এবং নারী নির্যাতন-সহ একাধিক ইস্যুতে চরম ব্যাকফুটে। দুর্নীতির দায়ে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জেলে বন্দি। আরও একাধিক নেতা-মন্ত্রী-বিধায়করা জেলে বন্দি বা শর্ত সাপেক্ষে জামিনে রয়েছেন। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তদন্তে তৃণমূলের দুর্নীতি জনসমক্ষে প্রকাশিত হওয়ায় আগামী ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন যে খুব সহজে তৃণমূল পাড় হবে না তাও রাজনীতির একাংশের মানুষ মনে করছেন।

  • Sukanta Majumdar: সুকান্তকে কেন আটকেছিল পুলিশ? কলকাতা বিমানবন্দরের ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ লোকসভার সচিবালয়ের

    Sukanta Majumdar: সুকান্তকে কেন আটকেছিল পুলিশ? কলকাতা বিমানবন্দরের ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ লোকসভার সচিবালয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ১৫ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কলকাতা সফরের দিন বিমানবন্দরে কেন আটকানো হয়েছিল কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারকে? কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে জানতে চাইল লোকসভার সচিবালয়। সেদিন ঠিক কী ঘটেছিল? এবার তা জানতে চেয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক রাজ্যকে রিপোর্ট তলব করবে। ১৫ দিনের মধ্যে এই নিয়ে জবাব চাওয়া হয়েছে। সুকান্ত মজুমদার রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের অভিযোগ তুলে লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লাকে চিঠি দেওয়ার পর এই পদক্ষেপ করেছে লোকসভার সচিবালয়। চিঠির প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে রাজ্যের মুখ্যসচিব, রাজ্য পুলিশের ডিজি এবং বিধাননগরের পুলিশ কমিশনারকে।

    সুকান্তর অভিযোগ

    ওম বিড়লাকে লেখা চিঠিতে সুকান্ত মজুমদার লিখেছেন, প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানাতে তিনি গত ১৫ সেপ্টেম্বর কলকাতা বিমানবন্দরে গিয়েছিলেন। কিন্তু, বিমানবন্দরে প্রথম ব্যারিকেডেই তাঁর গাড়ি আটকান একজন সাব ইন্সপেক্টর এবং একজন কনস্টেবল। কিন্তু, একই সময়ে পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী সুজিত বসুর গাড়িকে ৪ নম্বর ভিভিআইপি গেট দিয়ে যেতে দেওয়া হয়। কোনও বাধাই দেওয়া হয়নি। সুকান্ত চিঠিতে আরও লেখেন, তাঁকে আটকানোর কারণ জানতে চাইলে ওই পুলিশকর্মীরা জানান, বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার ঐশ্বর্য সাগরের নির্দেশে এই কাজ করেছেন। সুকান্ত মজুমদারের অভিযোগ, এতে স্পষ্ট যে ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁকে আটকানো হয়েছে। স্বাধিকার ভঙ্গ ও লোকসভার মর্যাদাহানির অভিযোগ করেন তিনি। এই নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানান।

    শোকপ্রকাশ কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর

    মঙ্গলবার সকালে জলমগ্ন কলকাতায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় শোকপ্রকাশ করলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। সমাজমাধ্যমে তিনি লিখেছেন, ‘‘শহর কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একাধিক মানুষের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় আমি গভীরভাবে শোকাহত। এই শোকের সময় নিহতদের পরিবারবর্গের প্রতি জানাই আমার আন্তরিক সমবেদনা।’’ সেই সঙ্গে তিনি বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার কাছে অনুরোধ করেছেন, সাময়িক ভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে প্রশাসনের সহযোগিতায় দ্রুত উদ্ধারকার্য শুরু করতে। সেই সঙ্গে রাজ্য সরকারের কাছেও আপৎকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলায় দৃঢ় পদক্ষেপ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

LinkedIn
Share