Tag: Sukanta Majumdar

Sukanta Majumdar

  • RG Kar Incident: “আপনার মুখোশ খুলব”, আরজি কর কাণ্ডে মমতাকে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    RG Kar Incident: “আপনার মুখোশ খুলব”, আরজি কর কাণ্ডে মমতাকে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডের (RG Kar Incident) প্রতিবাদ ও ধর্ষককে দ্রুত সাজা দেওয়ার জন্য আগামী মঙ্গলবার থেকে বসতে চলেছে বিশেষ বিধানসভা অধিবেশন। সেই অধিবেশনেই মুখ্যমন্ত্রীর মুখোশ খুলে দেবেন বলে জানালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবিতে ধর্মতলায় বিজেপি ধর্না মঞ্চ (Dharmatala Dharna Mancha) থেকে এই হুঁশিয়ারি দিলেন শুভেন্দু।

    শুভেন্দুর হুঁশিয়ারি

    আরজি কর কাণ্ডের (RG Kar Incident) প্রতিবাদ ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবিতে ধর্মতলায় বিজেপি ধর্না মঞ্চে (Dharmatala Dharna Mancha) শুভেন্দু বলেন, “আপনার মুখোশ আমি খুলব। আগামী মঙ্গলবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখোশ খুলে দেব। আর আগামী সোমবার আবার তথ্য তুলে ধরব সবার সামনে। আপনাকে বলছি, ব্যাগ গোছান আপনি।” তিনি আরও বলেন, “২৭ তারিখে রাজ্যের মানুষ সাড়ে তিন ঘণ্টা নবান্নকে নড়িয়েছে। ওই দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভয় থরথর করে কেঁপেছিলেন। বাধাপ্রাপ্ত হওয়া সত্বেও মহিলা মোর্চার সদস্যরা মহিলা কমিশনের বাইরে প্রতীকী তালা ঝুলিয়ে এসেছে। এবার রাজ্য সরকারকে বিজেপি সিনেমা দেখাবে। একদিন নবান্ন, লালবাজার ও কালীঘাট অভিযানের ডাক দেওয়া হবে। আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন পুজো কবে আসবে, সেই দিন গুনছেন। তাহলেই তো মানুষ পুজোয় মেতে যাবে, আর আন্দোলনটা বন্ধ হয়ে যাবে”।

    আরও পড়ুন: ৯৩ ডাক্তারকে শোকজ! আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে পথে নামার শাস্তি?

    সুকান্তর সওয়াল

    বিজেপির ধর্না মঞ্চে (Dharmatala Dharna Mancha) এদিন উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, প্রাক্তন বিজেপি শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার, তাপস রায়-সহ আরও অনেকেই। গত ৭২ ঘণ্টায় রাজ্যে যে ছয়টি শ্লীলতাহানির মামলা হয়েছে, তার মধ্যে পাঁচ জনই নাবালিকা। বালুরঘাটে তৃণমূলের বুথ সভাপতির বিরুদ্ধে একজন নাবালিকার ধর্ষণের (RG Kar Incident) অভিযোগ উঠেছে ৷ ওই জেলার হরিরামপুর অঞ্চলের আদিবাসীরা রাস্তা অবরোধ করে রেখেছে। এই প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “সময় থাকতে তিনি যেন বুঝে যান যে, এই রাজ্যের মানুষ আর তাঁকে চাইছে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিকে ভয় পায় ৷ তাই ধর্না মঞ্চ করতে দিতে চাইছিলেন না” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: আদিবাসী নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের চেষ্টা, ধৃত তৃণমূল নেতার ছেলে, সরব সুকান্ত

    Dakshin Dinajpur: আদিবাসী নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের চেষ্টা, ধৃত তৃণমূল নেতার ছেলে, সরব সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে রাজ্যজুড়়ে তোলপাড় চলছে। এই আবহের মধ্যে দক্ষিণ দিনাজপুরের (Dakshin Dinajpur) বংশীহারীতে তেরো বছরের এক আদিবাসী নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতার ছেলের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, প্রমাণ লোপাটের জন্য ওই নাবালিকাকে খুন করার চেষ্টাও করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের চিকিৎসাধীন ওই স্কুলপড়ুয়া। গ্রেফতার অভিযুক্ত যুবক। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত যুবক স্থানীয় তৃণমূল বুথ সভাপতির ছেলে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Dakshin Dinajpur)

    নির্যাতিতার পরিবার (Dakshin Dinajpur) সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার গভীর রাতে ওই স্কুলছাত্রীর ঘরে ঢুকে পড়ে অভিযুক্ত। মেয়েটির পাশের ঘরে তার বাবাচ-মা ঘুমোচ্ছিল। সেই সময় ওই স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। প্রমাণ না রাখার জন্য অভিযুক্ত প্যান্টের দড়ি দিয়ে তাকে খুন করার চেষ্টাও করে বলে দাবি পরিবারের। মেয়েটির গলায় দাগ রয়েছে। তবে, মেয়েটির চিৎকারে ছুটে আসেন পরিবারের লোকজন ও প্রতিবেশীরা। অবস্থা বেগতিক দেখে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত। নির্যাতিতার মা বলেন, “পাশের ঘরে ঘুমোচ্ছিলাম। আমরা আওয়াজ শুনে দৌড়ে এসেছি। যেই এসেছি, অমনি ও আমাদের ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে গেল।” এদিকে, রাতেই নির্যাতিতাকে গঙ্গারামপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সকালে অবস্থা বেগতিক দেখে অভিযুক্ত পালাতে গেলে তাকে ধরে ফেলে পুলিশ। প্রথমে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে, তাকে গ্রেফতার করা হয়। জেলা পুলিশ সুপার চিন্ময় মিত্তাল বলেন, “একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: আরজি কর-কাণ্ডে ফের পথে বিজেপি, আজ থেকে টানা ধর্না ধর্মতলায়

    প্রতিবাদ জানিয়েছেন সুকান্ত

    এদিকে বিষয়টি জানাজানি হতেই নির্যাতিতার বাড়ি যায় বিজেপির প্রতিনিধিদল। বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি এই বিষয় নিয়ে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, তৃণমূল নেতার ছেলে এক আদিবাসী নাবালিকাকে শুধু ধর্ষণই করেনি, তাকে খুন করারও চেষ্টা করেছিল। সে নিজেও একজন তৃণমূল কর্মী।

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    এই বিষয়ে বিজেপির জেলা (Dakshin Dinajpur) সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী বলেন, তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের এই ঘটনা নতুন নয়। তৃণমূলের বুথ সভাপতির ছেলে নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুন করতে চেয়েছিল। আমরা এনিয়ে আন্দোলনে নামব। পাল্টা তৃণমূলের (Trinamool Congress) জেলা সহ-সভাপতি সুভাষ চাকি বলেন, যেই এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে থাকুক, আইন আইনের পথে হাঁটবে। তা সে অভিযুক্তর পরিবার তৃণমূল কর্মী-সমর্থক হলেও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘হিংসায় উস্কানি দিচ্ছেন মমতা’, ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়ে শাহকে চিঠি সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘হিংসায় উস্কানি দিচ্ছেন মমতা’, ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়ে শাহকে চিঠি সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বদলার রাজনীতি করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, হিংসায় উস্কানি দিচ্ছেন — এই অভিযোগে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার আর্জি জানিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। বালুরঘাটের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর আরও দাবি, মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকার কোনও যোগ্যতাই নেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার অবিলম্বে মুখ্যমন্ত্রী পদে মমতার পদত্যাগের দাবিও জানিয়েছেন। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের আরও অভিযোগ, মমতার মন্তব্য রাষ্ট্রবিরোধী। এর পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলি যেন মমতার (Mamata Banerjee) ওপর নজর রাখে শাহকে সে আর্জিও জানিয়েছেন সুকান্ত।

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে পাঠানো সুকান্ত মজুমদারের চিঠি (সংগৃহীত চিত্র)

    চিঠিতে কী লিখলেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)?

    গতকালই কলকাতায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে বক্তব্য রাখতে গিয়ে আরজি কর প্রসঙ্গে মমতা বলেন, ‘‘আমরা বলেছিলাম বদলা নয়, বদল চাই। আজ বলছি, ওই কথা নয়। আজ বলছি, যেটা করার দরকার, সেটা আপনারা ভালো বুঝে করবেন।’’ মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যই শাহকে লেখা চিঠিতে উদ্ধৃত করেছেন সুকান্ত মজুমদার। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর নির্লজ্জ মন্তব্যের প্রতি আমি আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই। এর মাধ্যমে তিনি বদলার রাজনীতিকেই প্রশ্রয় দিচ্ছেন।’’ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) ওই চিঠিতে আরও বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী নির্লজ্জ ভাবে রাষ্ট্রবিরোধী মন্তব্য করেছেন এবং বলেছেন, ‘বাংলায় আগুন জ্বললে অসম, বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা এবং দিল্লিও জ্বলবে।’’ এই মন্তব্য আপত্তিকর। কোনও সাংবিধানিক পদে থাকা ব্যক্তি এই মন্তব্য করতে পারেন না। মানুষকে ভয় দেখানো এবং হিংসা ছড়ানোর জন্য এই মন্তব্য করেছেন তিনি।’’

    সুকান্তর মতে, কোনও সামবিধানিক পদে আসীন ব্যক্তির এ ধরনের কথা বলা অনুচিত। তাঁর উচিৎ, শান্তির পক্ষে কথা বলা। সেটা না করে তিনি (মমতা) উসকানিমূলক মন্তব্য করছেন, যা বাংলার মানুষের পক্ষে বিপজ্জনক হতে পারে বলে মনে করেন বালুরঘাটের সাংসদ। এই প্রেক্ষিতেই সুকান্ত (Sukanta Majumdar) লিখেছেন, ‘‘মমতা (Mamata Banerjee) এমন গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন। অবিলম্বে তাঁর পদত্যাগ করা উচিত।’’ অমিত শাহের কাছে সুকান্তর আর্জি, ‘‘এই মন্তব্যকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে বাংলায় শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে আপনি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করুন।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: আরজি কর কাণ্ডে বিচারের দাবিতে বৃহস্পতিবার ৭ দিনের ধর্না বিজেপির, ঘোষণা সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: আরজি কর কাণ্ডে বিচারের দাবিতে বৃহস্পতিবার ৭ দিনের ধর্না বিজেপির, ঘোষণা সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার প্রতিবাদে বিজেপিকে ধর্নায় বসার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এরপরই বুধবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) জানান, বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে বিজেপির ধর্না। আগামী ৭ দিন ধরে চলবে এই ধর্না কার্যক্রম। বুধবার এই মামলার শুনানি হয় বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের এজলাসে। 

    ধর্নার অনুমতি আদালতের

    আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে বিজেপির তরফে ধর্মতলায় অবস্থান বিক্ষোভ করতে চেয়ে কলকাতা পুলিশের কাছে আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু সেই আবেদনে সাড়া না পেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। এদিন শুনানিতে আদালত জানিয়েছে, ২৯ অগাস্ট থেকে ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে ধর্না (BJP Dharna) অবস্থান করতে পারবে গেরুয়া শিবির। কিন্তু কোনও অবস্থাতেই মঞ্চে এক হাজার জনের বেশি থাকা যাবে না। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, ৭ দিনের এই ধর্না কর্মসূচি পালনের জন্য কলকাতা হাইকোর্টের তরফে বিজেপিকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, রাজ্যে আইনের শাসন নেই, সংবিধান নেই বলেও অভিযোগ করেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)। প্রতিবাদ করতে হলেই হাইকোর্টে যেতে হয়। পাশাপাশি সুকান্ত আরও বলেন, ‘‘পুলিশ গুলি চালানো বন্ধ করতে পারে না অথচ বিজেপির মিছিল বন্ধ করতে যায়। বিজেপি নেতাদের পুলিশ গ্রেফতার করতে পারে কিন্তু অপরাধীকে নয়।’’ 

    রাজ্যপালকে চিঠি

    নবান্ন অভিযানে গ্রেফতার হওয়া ছাত্রদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকেও চিঠি দিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। রাজ্যপালকে লেখা চিঠিতে সুকান্তর আবেদন দ্রুত ছাত্রদের মুক্ত করা হোক। রাজ্যপাল এ বিষয়ে যেন রাজ্য সরকারের সঙ্গ কথা বলে আর্জি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • RG Kar Incident: ‘স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা, পুলিশ কমিশনারের ফোন বাজেয়াপ্ত করুক সিবিআই’, দাবি সুকান্তর

    RG Kar Incident: ‘স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা, পুলিশ কমিশনারের ফোন বাজেয়াপ্ত করুক সিবিআই’, দাবি সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar Incident) কাণ্ডে তদন্তভার দেওয়া হয়েছে সিবিআইয়ের হাতে। আদালতের নির্দেশে আর্থিক দুর্নীতির তদন্তও করছে সিবিআই। ইতিমধ্যেই দুর্নীতির শিকড়ে পৌঁছতে রবিবার সাতসকালে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ করের বাড়ি সহ ১৫টি জায়গায় সিবিআই দল হানা দিয়েছিল। এবার দুর্নীতির তদন্তে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বাড়িতে সিবিআই তল্লাশির দাবি জানালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই স্বাস্থ্যমন্ত্রী। ফলে, আরজি কর দুর্নীতির তদন্তে মমতাকে নিশানা করলেন সুকান্ত। এমনই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

     স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ফোন বাজেয়াপ্ত করার দাবি (RG Kar Incident)

    সুকান্ত  (Sukanta Majumdar) বলেন, ‘‘আমার বিশ্বাস, সিবিআই এই তদন্তের মধ্যে দিয়ে বাংলায় স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় (RG Kar Incident) যে ঘুন ধরেছে, বাংলার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা অস্বাস্থ্যকর হয়ে গিয়েছে, তাকে ঠিক করার দিকে অগ্রসর হবে। পুরো স্বাস্থ্য ব্যবস্থা চালায় একটা দুষ্ট চক্র। এই চক্রে বেশ কিছু প্রভাবশালী ডাক্তার আছেন। সবাই মিলেই ডুববেন। চিন্তা নেই। বাংলার মানুষ দেখতে চাইছেন, কবে বাংলার স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ঢুকে সিবিআই রেড করবে। যাঁরা যাঁরা দুর্নীতিতে এবং চক্র চালানোতে জড়িত, তাঁদের সবার বাড়িতে সিবিআই পৌঁছবে। এটাই তো স্বাভাবিক। কিন্তু, বারবার একটা কথাই বলছি, বাংলার মানুষের ইচ্ছা, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) বাড়িতে সিবিআই যাক। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ফোনটা বাজেয়াপ্ত করুক। নারায়ণ স্বরূপ নিগম সাহেবের ফোনটা, বিনীত গোয়েলের ফোনটা বাজেয়াপ্ত করুক। দুজন যে মাথা রয়েছে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজীব কুমার তাঁদের ফোনের তদন্ত হওয়া উচিত। এঁরা হলেন নাটের গুরু। তাঁরা দুজনে ওপরে বসে সমস্ত বুদ্ধিদাতার কাজ করেন।’’

    আরও পড়ুন: ‘‘শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ দমন নয়’’, মমতাকে সুপ্রিম-নির্দেশ মনে করালেন রাজ্যপাল

    মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে বিজেপির একগুচ্ছ কর্মসূচি

    আরজি করকাণ্ডে (RG Kar Incident) দোষীদের শাস্তি এবং মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করে আগামী সপ্তাহে একগুচ্ছ কর্মসূচি নিয়েছে রাজ্য বিজেপি। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে অবস্থান বিক্ষোভ সহ চাক্কা বন‍্ধের ডাক। জানা গিয়েছে, আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদে ২৮ অগাস্ট ধর্মতলা থেকে ধর্না কর্মসূচি নিয়েছে বিজেপি। বিজেপির মহিলা মোর্চার পক্ষ থেকে ২৮ অগাস্ট রাজ্য মহিলা কমিশনের দফতরে তালা লাগানোর কর্মসূচি রয়েছে। ২৯ অগাস্ট প্রতিটি জেলায় বেলা ১২টা নাগাদ জেলাশাসকের অফিস ঘেরাও করা হবে। ২ সেপ্টেম্বর জেলার সমস্ত ব্লকে সকাল ১১টা থেকে এক দিনের অবস্থান বিক্ষোভের ডাক দেওয়া হয়েছে। ৪ সেপ্টেম্বর সকাল ১১টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত রাজ্যজুড়ে চাক্কা বন‍্ধের ডাক দিয়েছে গেরুয়া শিবির।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘‘ওটা ক্রাইম স্থল, নাকি গরু চরার মাঠ’’, ভাইরাল ভিডিও নিয়ে তুলোধনা সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘‘ওটা ক্রাইম স্থল, নাকি গরু চরার মাঠ’’, ভাইরাল ভিডিও নিয়ে তুলোধনা সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডে রাজ্যজুড়ে আন্দোলন চলছে। চিকিৎসকদের লাগাতার আন্দোলনে ইতিমধ্যেই যোগ দেওয়ার কথা বলেছেন নির্যাতিতার বাবা-মা। একইসঙ্গে রাজ্য সরকারকে তুলোধনা করেছেন তাঁরা। এই আবহে সোমবার সন্ধ্যায় নির্যাতিতার বাড়িতে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তাঁদের পাশে থাকার বার্তা দেন তিনি।

    আন্দোলন জোরদার করার ডাক (Sukanta Majumdar)

    সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, ‘‘রবিবার ধর্না মঞ্চ থেকে জানিয়েছিলাম, আরজি করের নিহত চিকিৎসকের বাড়িতে গিয়ে দেখা করব তাঁর বাবা, মা’র সঙ্গে। সেই মতো নির্যাতিতার বাড়িতে এসে তাঁদের সমবেদনা জানালাম। ওর বাবা, মা অত্যন্ত মর্মাহত। তাই বেশি সময় আমি ছিলাম না। ওঁরা সবাইকে অনুরোধ করেছেন আন্দোলন চালিয়ে যেতে যাতে ন্যায়বিচার হয়। কী কারণে মেয়ের এই পরিণতি হল? সেই প্রশ্নের জবাব খুঁজছেন নির্যাতিতার বাবা-মা। কোনও ধর্ষিতা এই রাজ্যে ন্যায় পাচ্ছে না। সব থেকে বড় উদাহরণ কামদুনি। তখন আইজি সিআইডি ছিলেন বিনীত গোয়েল। এখন উনিই কলকাতার পুলিশ কমিশনার। তাই, পরিবারের সন্দেহ, আন্দোলন থেমে গেলে ন্যায়বিচার হবে না। সে জন্য আমিও আবেদন জানাচ্ছি সকলের কাছে। রাজনৈতিক রং দূরে সরিয়ে সকলে সামিল হন আন্দোলনে। যেভাবে আন্দোলন চলছে, তার থেকেও তীব্র প্রতিবাদ হওয়া উচিত।’’

    আরও পড়ুন: ‘‘শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ দমন নয়’’, মমতাকে সুপ্রিম-নির্দেশ মনে করালেন রাজ্যপাল

    নবান্ন অভিযান নিয়ে হুঁশিয়ারি

    নবান্ন অভিযানে পুলিশের অনুমতি না-থাকা প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘‘পুলিশ ও মুখ্যমন্ত্রী ভয়ে আছেন। কোনও অভিযানের জন্য অনুমতির প্রয়োজন হয় না। নবান্ন অভিযান অরাজনৈতিক। এর প্রতি আমাদের পূর্ণ সমর্থন আছে। আগেও বলেছি সেখানে যাব না। তবে, এমন পরিস্থিতি যেন তৈরি না হয় যেখানে আমাদের পথে নামতে বাধ্য করা হয়। নবান্ন অভিযানে পুলিশ দমন-পীড়ন করলে, বিজেপি পাল্টা নবান্ন অভিযানের ডাক দেবে।’’

    ক্রাইম স্থল নাকি গরু চরার মাঠ!

    আরজি কর-কাণ্ডে (RG Kar Incident) সেমিনার হলের ভাইরাল ভিডিও প্রসঙ্গে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, ‘‘ওটা ক্রাইম স্থল নাকি গরু চরার মাঠ! সেটাই তো বোঝা দায়! দেখে মনে হচ্ছে, নাটকের পুরো স্ক্রিপ্ট রচিত হয়েছে আগেই। ওই ভিডিওতে সবকিছু প্রকাশ্যে চলে এসেছে। দেখে মনে হয়েছে, কী করতে হবে। কী বলতে হবে। সেই চিত্রনাট্য যেন আগে থেকেই তৈরি। অপরাধীরা শাস্তি পাচ্ছে না বলে মানুষ প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ। কারণ, প্রমাণ গায়েব করা হয়েছে। সবচেয়ে বড় প্রমাণ ছিল মৃতদেহ। স্থানীয় বিধায়ক শ্মশান ও লোকাল প্রশাসনকে ম্যানেজ করে অন্য মৃতদেহ টপকে নির্যাতিতার দেহ দাহ করেছে। এরকম ঘটনা অন্য কোনও রাজ্যে ঘটেছে কিনা আমার জানা নেই। এখন তো আমার মনেও সন্দেহ, যাকে গ্রেফতার করা হয়েছে, সে আদৌ অপরাধী কি?’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nabanna Abhijan: নবান্ন অভিযান নিয়ে শঙ্কিত পুলিশ! ছাত্র আন্দোলন নিয়ে কীসের ভয় মমতার?

    Nabanna Abhijan: নবান্ন অভিযান নিয়ে শঙ্কিত পুলিশ! ছাত্র আন্দোলন নিয়ে কীসের ভয় মমতার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডে এর আগে মেয়েদের রাত দখলের কর্মসূচির তিক্ত স্মৃতি বয়ে বেড়াচ্ছে কলকাতা পুলিশ। গত ১৪ অগাস্ট আরজি করে (RG Kar Incident) ছলে-বলে-কৌশলে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা হয়েছিল। সে নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে কলকাতা পুলিশকে প্রশ্নের মুখেও পড়তে হয়। তাই মঙ্গলবারের নবান্ন অভিযানকে (Paschimbanga Chhatra Samaj) ভয় পাচ্ছে মমতা প্রশাসন। নানারকম অপপ্রচারও চলছে। প্রশ্ন উঠছে, মঙ্গলবারের অভিযান (Nabanna Abhijan) নিয়ে পুলিশের কাছে প্রচুর তথ্য অথচ, আরজি করে হামলার আগে পুলিশের কাছে এরকম তথ্য কেন ছিল না? নবান্ন অভিযানে দমন নীতি প্রয়োগের পরিকল্পনাও নিয়েছে মমতা সরকার। কিন্তু স্বাধীনতার আগের রাতে আরজি কর হামলার সময়ে এই বীর পুলিশ ভয়ে পালিয়ে গিয়েছিল কেন?

    নবান্ন অভিযান ঘিরে অপ্রচার

    যে কোনও প্রতিবাদকে এখন ভয় পাচ্ছে মমতা প্রশাসন। তাই ছক কষে, আগাম অপপ্রচার চালিয়ে, বদনাম রটিয়ে বিরোধী কণ্ঠস্বরকে রোধ করাই মমতার প্রশাসনের একমাত্র লক্ষ্য। আর সেই অপপ্রচারের অঙ্গ হিসেবে দুটি ভাইরাল অডিও-ভিডিও ক্লিপকে হাতিয়ার করে নবান্ন অভিযানকে (Nabanna Abhijan) আটকাতে তৎপর মমতার পুলিশ। সোমবার সাংবাদিক সম্মেলন করে পুলিশ দাবি করে, নবান্ন অভিযানে দুষ্কৃতী ঢুকিয়ে গন্ডগোল পাকানো হবে। দাবির স্বপক্ষে গত ২ দিন ধরে অডিও-ভিডিও ভাইরাল ক্লিপ প্রকাশ করা হয় পুলিশ-প্রশাসন, এমনকী তৃণমূলের তরফে। কোথাও আবার আন্দোলেনর মুখ হয়ে ওঠা ছাত্র প্রতিনিধিদের চরিত্র-হননেও নেমে পড়েছে শাসক দল ও উর্দিধারীরা। বিরোধীদের দাবি, এর উদ্দেশ্য একটাই— গণ-আন্দোলনকে খাটো করে মানুষকে বিভ্রান্ত করা। কারণ, ছাত্রদের পুলিশ ভয় পেয়েছে। ছাত্রদের প্রশাসন ভয় পেয়েছে। তাঁদের দাবি, ভয় পেয়েছে বলেই ৬০০০ পুলিশ নামানো হচ্ছে, ১৯টি পয়েন্টে ব্যারিকেড করা হচ্ছে, নামানো হচ্ছে ২৬ জন ডিসিকে। জলকামান, বডি প্রোটেকটিভ গিয়ার, টিয়ার গ্যাসেরও প্রস্তুতি থাকছে। বিদ্যাসাগর সেতুর দু’পাশে অর্থাৎ কলকাতা ও হাওড়া দুই দিকেই ব্যারিকেড থাকছে। 

    আরও পড়ুন: ‘‘শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ দমন নয়’’, মমতাকে সুপ্রিম-নির্দেশ মনে করালেন রাজ্যপাল

    বিজেপির দাবি, শুভেন্দুর শুভেচ্ছা

    নবান্ন অভিযানের ঠিক আগে আচমকা ভিডিও ক্লিপ ভাইরাল হওয়ার বিষয়টাকে সন্দেহজনক বলছে গেরুয়া শিবির। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেছেন, ‘‘এখন তো দেখছি ভিডিও অন ডিমান্ড! যখনই দরকার হচ্ছে, একটা করে ভিডিও চলে আসছে। এই ভিডিওর সত্যতা নিয়ে আমাদের মনে প্রশ্ন রয়েছে। এটা ভুয়ো কি না, জানতে হবে। বিষয়টি নিয়ে আমরা আইনি লড়াই চালাব। বিজেপির পরিকল্পনা অথচ শীর্ষ নেতৃত্ব জানেন না, আর মণ্ডল সভাপতি জেনে গেলেন?’’ ঘাটালের বিজেপি বিধায়ক শীতল কপাটও দাবি করেছেন, “তৃণমূল মিথ্যা ভিডিও সমাজমাধ্যমে ছড়াচ্ছে। আসলে স্বতঃফূর্ত আন্দোলনের ঝাঁঝ দেখে ভয় পাচ্ছে ওরা।”

    উল্লেখ্য, সোমবার শাসকদলের তরফে একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়, তাদের দাবি সেটা গেরুয়া শিবিরের যেখানে নবান্ন অভিযান (Nabanna Abhijan) ঘিরে অশান্তি ছড়ানোর ছক কষা হয়েছে। কিন্তু বিজেপির তরফে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে ছাত্রদের পাশে থাকার বার্তা দেওয়া হয়েছে। এক্স হ্যান্ডেলে ছাত্রদের (Paschimbanga Chhatra Samaj) শুভেচ্ছা জানিয়ে একটি ভিডিও পোস্ট করে দিয়েছেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    ছাত্রদের আটকাতে যুদ্ধের প্রস্তুতি পুলিশের!

    অরাজনৈতিক নবান্ন অভিযান (Nabanna Abhiyan) ঘিরে পুলিশ কতটা তটস্থ, তার প্রমাণ মিলেছে প্রশাসনের নিরাপত্তার বহর দেখেই। ছাত্র সমাজের নবান্ন অভিযানকে আটকাতে যেন যুদ্ধে নামছে মমতার পুলিশ। চারজন আইজি র‍্যাঙ্কের পুলিশ অফিসার ছাড়াও থাকছেন ডিআইজি এবং এসপি পদমর্যাদার পুলিশ আধিকারিকরা। পুলিশ সুপার, ডিসিপি বা কমান্ডান্ট পদমর্যাদার ১৩ জন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, এডিসিপি পদের ১৫ জন, ডেপুটি পুলিশ সুপার বা এসিপি পদের ২২ এবং ২৬ জন ইনস্পেক্টর নবান্ন অভিযান ঠেকাতে মোতায়েন থাকবেন। পাশাপাশি র‌্যাফ, ইএফআর, স্ট্রাকো বাহিনীর জওয়ান-সহ প্রায় ৬,০০০ পুলিশকর্মী নিযুক্ত থাকবেন। তাঁদের লাঠি থেকে শুরু করে হেলমেট, বডি প্রটেক্টিভ গিয়ার রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    মিছিল আটকাতে বিভিন্ন জায়গায় ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়েছে। থাকছে জল কামান এবং ড্রোনের ব্যবস্থা। নবান্নর সামনে ৭ ফুট উঁচু উঁচু গার্ডরেল জুড়ে দেওয়া হয়েছে নাট-বল্টু দিয়ে। তার সামনে রাখা হয়েছে বালির বস্তা। এছাড়াও লোহা দিয়ে মাটির সঙ্গে দৃঢ় ভাবে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে।  কলকাতা থেকে সেকেন্ড হুগলি ব্রিজে ওঠার আগেই রাস্তায় বসিয়ে দেওয়া হয়েছে একের পর এক লোহার ও বাঁশের ব্যারিকেড। প্রতিটি ব্যারিকেডের সামনে লাগানো হয়েছে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ক্যামেরা। 

    বিরোধীদের কটাক্ষ, মনে হচ্ছে যেন ছাত্রদের মিছিল ঠেকাতে নয়, কোনও যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে রাজ্যের পুলিশ! অবশ্য, যে পুলিশ আরজি করের হামলার সময় ভয়ে পালিয়ে যায়, তাদের কাছে এটা তো যুদ্ধ হবেই! তারা বলছেন, মমতা কতটা ভয় পেয়েছেন, তা এর থেকেই প্রমাণিত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nabanna Abhijan: ‘ছাত্র সমাজের’ নবান্ন অভিযানকে সমর্থন বিজেপির, জানিয়ে দিলেন সুকান্ত

    Nabanna Abhijan: ‘ছাত্র সমাজের’ নবান্ন অভিযানকে সমর্থন বিজেপির, জানিয়ে দিলেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ড নিয়ে উত্তাল গোটা দেশ। রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করছে রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি বিভিন্ন অরাজনৈতিক সংগঠন। আন্দোলনে সামিল হয়েছে স্কুল-কলেজের পড়ুয়ারা। এই আবহের মধ্যে এবার নির্যাতিতার সুবিচারের দাবিতে মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানের (Nabanna Abhijan) ডাক দিয়েছে ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’। নিজেদের অরাজনৈতিক বলেই দাবি করেছে তারা। তবে, কোনও রাজনৈতিক দল চাইলেই সমর্থন করতে পারে তাদের কর্মসূচিকে। ছাত্র সমাজের ডাকে সাড়া দিয়ে বিজেপি এই আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছে। এরমধ্যে আবার ২৭ অগাস্ট যে নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে, তাতে রাজনীতির রং লাগছে বলে এদিনই আশঙ্কা প্রকাশ করেছে পুলিশের কর্তারা। যা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে।

    কী বললেন সুকান্ত? (Nabanna Abhijan)

    এমনিতেই সিপিএম প্রথম থেকেই জানিয়ে দিয়েছে, তারা এই কর্মসূচিতে নেই। তবে, অধীর চৌধুরী জানিয়েছেন, ছাত্রদের অধিকার আছে যে পথেই হোক প্রতিবাদ করার। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই আন্দোলনকে (Nabanna Abhijan) দেখে ভয় পেয়েছেন। তাই মেঘের আড়ালে লুকিয়ে তির চালাচ্ছেন। সামনে এসে লড়ার সৎ সাহস নেই, পুলিশকে সামনে রেখে এসব অভিযোগ করছে। নবান্ন অভিযান কর্মসূচির আমরা উদ্যোক্তা না হলেও আন্দোলনে আমাদের সমর্থন আছে।” এদিন সুকান্ত দাবি করেন, “ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ হলে সীমান্তে যত না ব্যারিকেড করা হবে, তার থেকে বেশি ব্যারিকেড রাজ্য পুলিশ দিচ্ছে। ভয়ের বাতাবরণ তৈরির চেষ্টা হচ্ছে। পুলিশ, তৃণমূল একইসুরে কথা বলছে। উভয়ই বলছে, অপ্রীতিকর ঘটনার সৃষ্টি হবে। তাতে আইনশৃঙ্খলার সমস্যা হতে পারে। আইজি আইনশৃঙ্খলা তো আইজি বেআইন ও উচ্ছৃঙ্খলায় পরিণত হয়েছে। পুলিশ রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ করছে।”

    আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ক্রমশ ঘনাচ্ছে নিম্নচাপ, জন্মাষ্টমীতে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দক্ষিণবঙ্গে

    ‘নবান্ন অভিযানকে ঘিরে কাঁপছে সরকার’

    এদিন বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলেন, “এই নবান্ন অভিযানকে (Nabanna Abhijan) ঘিরে সরকার কাঁপছে। বলেন, আসলে পুলিশ ভয় পাচ্ছে। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে কোনও বাধা দেওয়া চলবে না। যেভাবে রাত দখলে রাত দখলে লাখ লাখ মানুষ নেমে পড়েছিল, ঠিক সেই ভাবেই এখানেও মানুষ নামবে। আর তাই সিপিএমের একটা অংশ, পুলিশ এবং তৃণমূল মিলে বোঝাতে চাইছে, এটা এবিভিপি, এটা বিজেপি। আরে বিজেপি হোক, এবিভিপি হোক সমস্ত সাধারণ মানুষ, যাই রাজনৈতিক পরিচয় হোক না কেন, তাঁরা একসঙ্গে নামবে। মাথায় রাখবেন বাঙাল-ঘটি মিশে গেছে।” তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের অভিযোগ, সোশাল মিডিয়ায় লোক খেপিয়ে অরাজকতা তৈরির চেষ্টা চলছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bengal BJP: দাবি এক— মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ, আরজি কর ইস্যুতে একগুচ্ছ কর্মসূচি ঘোষণা বিজেপির

    Bengal BJP: দাবি এক— মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ, আরজি কর ইস্যুতে একগুচ্ছ কর্মসূচি ঘোষণা বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডের (RG kar Issue) প্রতিবাদে প্রথম থেকেই আন্দোলনে রয়েছে বিজেপি (Bengal BJP)। বিক্ষোভ-ধর্নার পাশাপাশি গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার গেরুয়া শিবিরের স্বাস্থ্য ভবন অভিযানকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল গোটা বিধাননগর। শ্যামবাজারে বিজেপির ধর্না তো চলছেই। সেখান থেকেই একগুচ্ছ কর্মসূচি ঘোষণা করল বিজেপি। জানা গিয়েছে, শ্যামবাজারের পর এবার ধর্মতলায় ধর্না কর্মসূচি চালাবে বিজেপি। রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, আগামী ২৮ অগাস্ট থেকে ধর্মতলায় ধর্নায় বসছে রাজ্য বিজেপি। সুকান্ত মজুমদারের কথায় বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী পদত্যাগ না করা পর্যন্ত ধর্মতলায় ধর্না চলবে।’’

    মহিলা কমিশনে তালা লাগানো হবে 

    রবিবার বিজেপির (Bengal BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ঘোষণা করেন, ২৮ অগাস্ট মহিলা কমিশনের অফিসে দুপুর ২টো নাগাদ তালা লাগানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মহিলারা এই কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। মহিলারাই নেতৃত্বে থাকবেন তাতে। সুকান্ত মজুমদার এবিষয়ে বলেন, ‘‘পুলিশের কাছে অনুমতি চেয়েছি। না দিলে আদালতে যাব। মহিলা কমিশনে তালা লাগানো হবে।’’ এর পাশাপাশি, ২৯ অগাস্ট সব জেলার জেলাশাসকের কার্যালয় ঘেরাও হবে বলে জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। ওই দিন দুপুর ২টো নাগাদ এই কর্মসূচি পালিত হবে বলে জানা গিয়েছে। 

    ব্লকে ব্লকে অবস্থান, পথ অবরোধ কর্মসূচির ঘোষণা

    এরপর ২ সেপ্টেম্বর রাজ্যের প্রত্যেকটি ব্লকে একদিনের অবস্থান বিক্ষোভ করবেন বিজেপির (Bengal BJP) কর্মীরা। ৪ সেপ্টেম্বর প্রত্যেকটি মণ্ডলে (বিজেপির সাংগঠনিক কাঠামোয়, একটি জেলাপরিষদের আসন অনুযায়ী মণ্ডল গঠিত হয়) এক ঘণ্টা ‘চাক্কা জ্যাম’ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে বিজেপি। সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এই পথ অবরোধ চলবে আরজি কর ইস্যুতে। জানা যাচ্ছে, এই এক ঘণ্টা একটি গাড়িও বিজেপি চলতে দেবে না। একইসঙ্গে, আজ সোমবার জন্মাষ্টমীর দিন অভয়ার বিচার (RG kar Issue) প্রার্থনায় প্রত্যেক বাড়িতে প্রদীপ জ্বালানোর ডাক দিয়েছে বিজেপি। সন্ধ্যায় বাড়ির সামনে, রাস্তার সামনে সাধারণ মানুষকে প্রদীপ জ্বালানোর ডাক দিয়েছে বিজেপি (Bengal BJP)।
     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: স্বাস্থ্য ভবন অভিযানে পুলিশি বাধা, আজ রাজ্য জুড়ে থানা ঘেরাও করবে বিজেপি

    BJP: স্বাস্থ্য ভবন অভিযানে পুলিশি বাধা, আজ রাজ্য জুড়ে থানা ঘেরাও করবে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবারই স্বাস্থ্য ভবন অভিযান ছিল রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপির। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বিজেপি (BJP) কর্মী-সমর্থকদের পুলিশি বাধার মুখে পড়তে হয়। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, অন্যায় ভাবে গ্রেফতার করা হয় তাদের নেতা-কর্মীদের। এরই প্রতিবাদে আজ শুক্রবার দুপুর ৩টে থেকে রাজ্য জুড়ে সমস্ত থানার সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে বিজেপি। গতকালই বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছিলেন, রাজ্য জুড়ে সমস্ত থানার সামনে আন্দোলনের কর্মসূচির কথা। এ প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, ‘‘পুলিশের মনে হয়েছিল পরিস্থিতি অশান্ত হবে। আমাদের কর্মীরা ভ‍্যান ভাঙবে, জ্বালাবে। সেই জন‍্য ৩০ মিনিট বসিয়ে রেখেছিল। ওদের পরিকল্পনা সফল হয়নি।’’ প্রসঙ্গত, স্বাস্থ্য ভবন অভিযান শুরু হতেই আটক করা হয় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। সন্ধ্যার আগে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। বিরোধী দলনেতার সঙ্গে ছিলেন ৪৫ জন কর্মী। বৃহস্পতিবার থানা থেকে বেরিয়ে শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছিলেন, পুলিশ বর্বরোচিত আক্রমণ করেছে। তারই প্রতিবাদে শুক্রবার রাজ্যজুড়ে থানায় বিক্ষোভ দেখাবে বিজেপি (BJP)।

    নবান্ন অভিযান রুখতে আদালতে রাজ্য, মুখ্যমন্ত্রী ভয় পেয়েছেন দাবি শুভেন্দুর (BJP) 

    অন্যদিকে, আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের তরফ থেকে ২৭ অগাস্ট নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে রাজ্য় সরকার এই অভিযান রুখতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে। রাজনৈতিক মহলের মতে, রাজ্য সরকারের আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্তই বুঝিয়ে দিচ্ছে আরজি কর ইস্যুতে (RG kar Incident) ঠিক কতটা চাপে রয়েছে তারা। এ প্রসঙ্গে মমতা সরকারকে চরম কটাক্ষ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। বৃহস্পতিবারই  শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী ভয় পেয়েছেন তাই আদালতে দ্বারস্থ হয়েছেন। আমাদের ক্লিয়ার স্ট্যান্ড, পতাকা ছাড়া যারা এই ইস্যুতে (RG kar Incident) যে কোনও আন্দোলনে নামবেন তাদের পাশে বিজেপি আছে।’’

    ‘নন্দীগ্রামে হারিয়েছিলাম, আবার হারাব

    বিগত বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে হারিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। আগামী বিধানসভা নির্বাচনেও তিনি (BJP) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘আমি দলের কাছে আবেদন করব আগামী বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে কেন্দ্র থেকে দাঁড়াবেন আমাকে যেন সেই কেন্দ্রেই তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ দেওয়া হয়। নন্দীগ্রামে হারিয়েছিলাম। আবার হারাব।’’
     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share