Tag: Sukanta Majumdar

Sukanta Majumdar

  • Sukanta Majumdar: “ভাইদের কর্মকাণ্ডের জন্যই মুখ্যমন্ত্রী মুখ দেখাতে পারছেন না”, কটাক্ষ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: “ভাইদের কর্মকাণ্ডের জন্যই মুখ্যমন্ত্রী মুখ দেখাতে পারছেন না”, কটাক্ষ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভাইদের কর্মকাণ্ডের জন্য সন্দেশখালির মহিলাদের সামনে নিজের মুখ দেখাতে পারছেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই, বাঁকুড়া সহ বিভিন্ন জায়গায় মুখ্যমন্ত্রী গেলেও সন্দেশখালিতে তিনি যাচ্ছেন না। সোমবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এভাবেই মুখ্যমন্ত্রীকে একহাত নিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী বুঝতে পেরেছেন, সন্দেশখালি আসলে তার জন্য চোরাবালি হয়ে উঠেছে। আর চোরাবালিতে গেলে তিনি ভিতরে ঢুকে যাবেন, তাই তিনি সন্দেশখালিমুখো হতে সাহস পাচ্ছেন না। ওনার ভাই শেখ শাহজাহানরা যা কাণ্ড করেছেন, তারপরে উনি কোন মুখ নিয়ে ওই সন্দেশখালির মহিলাদের সামনে দাঁড়াবেন?

    বিজেপি-র জন্য ১৪৪ ধারা! (Sukanta Majumdar)

    সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) আরও বলেন, যেভাবে সন্দেশখালিতে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া হয়েছিল, তার প্রতিরোধ শুরু হয়েছে। তাই অজিত মাইতির মতো নেতাদের সাধারণ মানুষ তাড়া করছেন। মানুষ কোনও বাধা মানতে চাইছে না। তাই যত দ্রুত সম্ভব শাহজাহান ও তাঁর সঙ্গীসাথীদের গ্রেফতার করা উচিত। এদিকে এদিন ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমকে আটকানোর সমালোচনা করেন সুকান্ত। তিনি বলেন, ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে। শাসক দলের নেতা ও বাম নেতাদের সেখানে ঢুকতে গেলে কোনও সমস্যা হচ্ছে না, কিন্তু বিজেপি বা ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করা হচ্ছে।  শুধু তাই নয়,  মিডিয়াকেও কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। গ্রেফতার করা, মারধর করা, বের করে দেওয়া চলছেই। আসলে সন্দেশখালির  ঘটনা লুকাতে চাইছে শাসক দল। তাই যা যা করার, সব করা হচ্ছে। সাধারণ মানুষ সব বুঝছে।

    এইমস নিয়ে কী বললেন সুকান্ত?

    এদিকে কল্যাণীতে এইমস উদ্বোধনের পর উত্তরবঙ্গের এইমস নিয়েও সরব হলেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। কল্যাণী এইমস উদ্বোধনের আগে কল্যাণী জুড়ে মুখ্যমন্ত্রীর ছবিতে ভরিয়ে তোলা ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের ছাড়পত্র না দেওয়াকে কটাক্ষ করেছেন সুকান্তবাবু। তিনি বলেন, এইমস তৈরিতে মুখ্যমন্ত্রীর এক পয়সা কোনও দান নেই। রাজ্য শুধু জমি দিয়েছে, তাও ভূতুড়ে বাড়ির মতো জমি দেওয়া হয়েছিল। এখন এইমস তৈরি হওয়ায় জায়গাটা সেজেগুজে উঠেছে। আবার প্রধানমন্ত্রীর ডাকা কোনও বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী এমনিতেই আসেন না। তবুও মুখ্যমন্ত্রীর ছবি দিয়ে ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ  ছাড়পত্র না দিয়ে আসলে রাজনীতি করার চেষ্টা করছে। মানুষের স্বার্থে, উন্নত পরিষেবার স্বার্থে এইমস তৈরি হচ্ছে। তাতে বাধা দিতে এলে মানুষেরই কাজে বাধা দেওয়া। তাই এমন হাসপাতালের সংখ্যা আরও বেশি বেশি করে হওয়া উচিত।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘সিরিয়াতে যা হচ্ছে বাংলাতেও তাই হচ্ছে’’, দিল্লিতে জেএনইউ-র সেমিনারে বললেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘‘সিরিয়াতে যা হচ্ছে বাংলাতেও তাই হচ্ছে’’, দিল্লিতে জেএনইউ-র সেমিনারে বললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলার বর্তমান পরিস্থিতিকে সিরিয়া’র সঙ্গে তুলনা করলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শনিবার দিল্লিতে জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সেমিনারে যোগ দেন বিরোধী দলনেতা। তাঁর সঙ্গে হাজির ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সেখানে মমতা সরকারকে তীব্র আক্রমণ শানিয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘‘সিরিয়াতে যা হচ্ছে বাংলাতেও তাই হচ্ছে।’’ এর পাশাপাশি তৃণমূলের সংগঠনকে হামাস জঙ্গিদের সঙ্গেও তুলনা করেন তিনি এবং বলেন, ‘‘হামাস যা করছে বাংলাতে তাই হচ্ছে।’’ মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে শুভেন্দু বলেন, ‘‘ও দিদি নয়। দিদির নামের সঙ্গে এক মমতা জড়িয়ে, ওটা একটা মানবিক ব্যাপার। কিন্তু, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শুধু নিষ্ঠুরতা। আমি নন্দীগ্রামে ওনাকে হারিয়েছিলাম। তারপরে আমার বিরুদ্ধে তিনি ৪২টা কেস করেছেন। এতটাই নিষ্ঠুর মহিলা।’’

    ভোট পরবর্তী হিংসা

    বাংলার ভোট পরবর্তী রাজনৈতিক হিংসাও এদিন জহরলাল নেহেরু ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে তুলে ধরেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, ‘‘১৫ রাজ্যে ভোট হয়েছে। কিন্তু, একটা রাজ্যেও ভোট পরবর্তী হিংসার কথা বলতে পারেন? শুধু বাংলায় হয়েছে। ভোট গণনাকেন্দ্র লুঠ করা হয়েছে। ৫৭ বিজেপি কর্মীকে রেজাল্ট বের হওয়ার পর নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে। ১ লক্ষ হিন্দু, বিশেষ করে তফসিলি জাতি উপজাতির লোকেদের ঘর ছাড়তে হয়েছে। অসমে সর্বানন্দ সোনওয়াল তখন মুখ্যমন্ত্রী। উনি আশ্রয় শিবির দিয়েছিলেন। বিহার, ওড়িশায় পালিয়ে গিয়ে আশ্রয় নিতে হয়েছিল।’’

    একযোগে আক্রমণ সিপিএম-তৃণমূলকে

    জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের বামপন্থী ছাত্রদের কার্যকলাপ বরাবরই বিতর্ক টেনেছে। উঠেছে তাঁদের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগও। হিন্দু সংস্কৃতির বিরুদ্ধে বিভিন্ন কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়েছেন বামপন্থী ছাত্র নেতারা। জেএনইউ-তে দাঁড়িয়ে সিপিএম-তৃণমূলকে একযোগে আক্রমণ করেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) এবং বলেন, ‘‘সিপিএম-তৃণমূলের সেটিং রয়েছে। ডিওয়াইএফআই-এসএফআই মমতাকে চোর বলতে বলে, আর ওদের কাকা-জ্যাঠা সীতারাম-ইয়েচুরি বেঙ্গালুরুতে, পাটনা, দিল্লিতে মমতা-অভিষেকের সঙ্গে বৈঠক করে, খাওয়া-দাওয়া করে। সেটিং করে।’’

    কী বললেন সুকান্ত মজুমদার?

    এদিন জেএনইউ-এর সেমিনারে বিজেপির রাজ্যসভাপতি সুকান্ত মজুমদার সন্দেশখালিকে দেশের মধ্যে অন্য দেশ বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘‘অনেক আগে থেকেই সন্দেশখালিতে আসলে একটা দেশের মধ্যে অন্য একটা দেশ হয়ে গিয়েছিল। যেন দেশের মধ্যে অন্য একটা রাষ্ট্র।’’ সুকান্ত মজুমদারের আরও সংযোজন, ‘‘আমাদের দেশে গণতন্ত্র আছে। জেএনইউ সর্বদা গণতন্ত্রের কথা বলা হয়। জোর গলায় এখানে গণতন্ত্রের পক্ষে সওয়াল করা হয়। কিন্তু এই গণতন্ত্র কীরকম? এখানে কিছু পড়ুয়া আছে যাঁরা নিজেরাই নিজেদের লেফট-লিবারেল বলে দাবি করে। কিন্তু, চোদ্দো সালের আগে লেফট-লিবারেলদের কতটা গণতন্ত্র এখানে ছিল তা সবাই জানাই। কত ছাত্রদের কত সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছে। এরকমই একটা পরিবেশ সন্দেশখালিতে তৈরি করে রাখা হয়েছিল।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘জেলায় জেলায় শাহজাহান বসিয়ে রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী’, বিস্ফোরক সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: ‘জেলায় জেলায় শাহজাহান বসিয়ে রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী’, বিস্ফোরক সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুধু সন্দেশখালি নয়, জেলায় জেলায় একজন করে শেখ শাহজাহান বসিয়ে রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  তারা  করে কম্মে খাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী একজন মহিলা হয়েও সন্দেশখালির ঘটনায় নীরব রয়েছেন। মূল অভিযুক্তকে আড়াল করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের মহিলাদের সঙ্গে ছলনা করছেন। রবিবার দিল্লি থেকে বালুরঘাট যাওয়ার পথে বাগডোগরা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের একথা বলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।

      শাহজাহান গ্রেফতার না হওয়া নিয়ে কী বললেন সুকান্ত? (Sukanta Majumdar)

    সন্দেশখালি ইস্যুতে এদিন তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনায় সরব হন। সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, সন্দেশখালিতে জমি দখল, মহিলাদের ওপর নির্যাতনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরও পুলিশ মূল অভিযুক্ত শেখ শাহজাহানকে এখনও গ্রেফতার করেনি। পুলিশ শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করবে না। কেননা শেখ শাহজাহানের হয়ে বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাফাই গেয়েছেন। তিনি হোম মিনিস্টার। তার অধীনে রয়েছে পুলিশ। তাই পুলিশ কীভাবে শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করবে? তবে, তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, বিজেপি আন্দোলনের মাধ্যমে শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করাতে বাধ্য করাবে।

    পুলিশ দেখলে ক্ষেপে যাচ্ছে সন্দেশখালিবাসী

    রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে নয়, তাঁর সাম্রাজ্য সামলাতে গিয়েছিলেন। শাহজাহান তাজমহল বানাচ্ছেন। তাই ডিজি গিয়েও শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে পারেননি।  বরং পুলিশ দেখলে সন্দেশখালির মানুষ এখন  ক্ষেপে যাচ্ছেন। কেননা এই পুলিশই দিনের পর দিন শাহজাহানদের নিয়ে রেইকি করেছে কবে কোন সুন্দরী মহিলাকে কীভাবে রাতে তুলে আনতে হবে। পুলিশের ওপর এলাকার মানুষের কোনও ভরসা নেই। পুলিশ দেখলেই তারা ক্ষেপে উঠছে। সন্দেশখালির মতো রাজ্যের প্রতিটি জেলাতেই নারীদের ওপর নির্যাতন ও জমি দখল চলছে বলে অভিযোগ করেন সুকান্ত। তিনি বলেন, শিলিগুড়িতেও তৃণমূলের মদতে জমি দখল চলছে। তৃণমূল নেতাদের এই কাজে সহযোগিতা করে বিএলআরও, ডিএম’রা পয়সা পাচ্ছেন। তাই তারা কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। আমরা রাজ্যে ক্ষমতায় এলে বিএলআরও ডিএম’দের জেলে ভরবো।

    ইন্ডিয়া জোট নিয়ে কী বললেন সুকান্ত?

    কোনও জোট করে কংগ্রেস সুবিধা করতে পারবে না বলে জানান বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি বলেন, জাতীয় রাজনীতিতে কংগ্রেস এখন ডুবন্ত জাহাজ। বেঁচে থাকার  জন্য খড়কুটোর মতো কখনও কংগ্রেস কখনও  সিপিএমকে আঁকড়ে ধরতে চাইছে। কখনও সাপের কখনও ব্যাঙের গালে চুমু খেয়ে কংগ্রেসের লাভ হবে না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে জমি দখলের অভিযোগ শাহজাহান-সিরাজের বিরুদ্ধে

    Sandeshkhali: মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে জমি দখলের অভিযোগ শাহজাহান-সিরাজের বিরুদ্ধে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে জমি দখলের অভিযোগ শাহজাহান-সিরাজের বিরুদ্ধে। শুধু জোর করে দখল নয়, বর্গা রেকর্ড পর্যন্ত করেছে পলাতক তৃণমূল নেতা শাহজাহানের ভাই সিরাজ। একের পর এক জমি দখল করে এলাকার জমির চরিত্রটাই বদল করে দিয়েছে এই নেতারা। সাধারণ মানুষের জমি কেড়ে ভেড়ির সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন তাঁরা। ঠিক এই ভাবেই বিস্ফোরক অভিযোগ করে সরব হয়েছেন সন্দেশখালির মহিলারা।

    জমিহারা মহিলার বক্তব্য

    তৃণমূল নেতার কাছে জামিহারা বেড়মজুর গ্রামের বাসিন্দা মৌসুমী হালদার বলেন, “সিরাজুদ্দিন এলাকায় (Sandeshkhali) সিরাজ ডাক্তার নামে পরিচিত। শেখ শাহজাহানের ভাই। এই বাহিনী আমার মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে এক বিঘা কৃষিজমি দখল করে নিয়েছে। আমার স্বামীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়েছে, শ্বশুরকে ব্যাপক মারধর করেছে। সেই সঙ্গে আমার বাচ্চাদেরকে প্রাণনাশ করতে পারে, এই ভয়ে আমি কিছু বলতে পারিনি।”

    আর কী অভিযোগ?

    শাহজাহান-সিরাজের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে মৌসুমী হালদার আরও বলেন, “আড়াই লাখ টাকা দিয়ে আমার কেনা জমি ছিল। কিন্তু সন্তানের দিকে তাকিয়ে, প্রাণের ভয়ে সিরাজের হাতে তুলে দিতে হয়েছিল জমি। রেজেস্ট্রি অফিসেই জোর করে আমাকে দিয়ে সই করিয়ে নেওয়া হয়। সন্দেশখালি থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে পুলিশ সিরাজের কাছে যাওয়ার কথা বলে। থানার মধ্যেই সিরাজের আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হুমকির মধ্যে পড়তে হয়। এলাকায় বিজেপি সমর্থক সন্দেহে আমাদের উপর অত্যাচার করা হয়। বাড়িতে এসে সিরাজের নির্দেশে অমিত হালদার, বিনয় সর্দার, পঙ্কজ গায়েন, লিয়াকতরা হামলা করে। জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে পালিয়ে যায় ওরা। এমনকি লাথি মেরে ভাতের হাড়ি পর্যন্ত উলটে দেয়। সেই সঙ্গে আমাকে ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয়।”

    ঘটনায় এলাকার বাসিন্দা গোপাল হালদার বলেন, “শাহজাহান-সিরাজকে গ্রেফতার না করলে এলাকায় শান্তি ফিরবে না।” আবার স্থানীয় প্রদীপ মণ্ডল বলেন, “পুলিশ ক্যাম্প হওয়ায় মার খাওয়ার ভয় নেই। কিন্তু জমি ফেরত পাওয়া যাবেনা।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: আজ ফের সন্দেশখালিতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন

    Sandeshkhali: আজ ফের সন্দেশখালিতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, কথা বলবেন গ্রামের মহিলাদের সঙ্গে। গতকাল শুক্রবারের পর শনিবারেও সন্দেশখালিতে যাচ্ছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। সম্প্রতি তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের অত্যাচারের বিরুদ্ধে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে সন্দেশখালি। তৃণমূলের অত্যাচার এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করে গ্রামবাসীরা রাস্তায় নেমেছেন। একাধিক বার অগ্নি সংযগের ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে এলাকা। বিজেপি বার বার মানুষের মানবাধিকার রক্ষা নিয়ে ব্যাপক ভাবে সরব হয়েছে।

    নিপীড়িতদের বক্তব্য শুনবে কমিশন (Sandeshkhali)

    গতকাল শুক্রবার মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিরা সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) গিয়েছিলেন। শুনেছেন নিপীড়িত মহিলাদের বক্তব্য। আজ শনিবার ফের একবার সকাল ১১ টায় একটি লঞ্চে চেপে সন্দেশখালির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন কমিশনের সদস্যরা। মানুষের মানবাধিকার নিয়ে কমিশন যে উদ্বিগ্ন, তা স্পষ্ট। এর আগেও সেখানে গিয়েছিল জাতীয় তফশিলি কমিশনের প্রতিনিধি দল। যদিও তাঁদের বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছিল। একই ভাবে এলাকার মহিলাদের অভিযোগের কথা শুনে গিয়েছিল জাতীয় মহিলা কমিশন। নির্যাতিতা মহিলাদের সঙ্গে কথা বলেন মহিলা কমিশনের চেয়ারম্যান রেখা শর্মা। এই অত্যাচার, নিপীড়ন, গণধর্ষণ ও সেই সঙ্গে প্রশাসনের আইনের শাসন না থাকায় জাতীয় তফশিলি কমিশন এবং জাতীয় মাহিলা কমিশন – উভয়পক্ষ রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি করেছে। একই ভাবে আবার রাজ্যের শিশু সুরক্ষা কমিশন এলাকা পরিদর্শনে যায়। এই দলে ছিলেন রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন তুলিকা দাস। পরামর্শদাতা ছিলেন সুদেষ্ণা রায় সহ মোট ছয়জনের প্রতিনিধি। তাঁরাও গ্রামে ঘুরে ঘুরে এলাকা পরিদর্শন করেন। ইতিমধ্যে আবার সন্দেশখালিতে জাতীয় আদিবাসী কমিশনের যাওয়ার কথা জানা গিয়েছে।

    ৫ জানুয়ারি থেকেই উত্তপ্ত সন্দেশখালি

    তৃণমূল নেতাদের অত্যাচারের কারণে সাধারণ মানুষের প্রতিবাদ-বিক্ষোভে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে সন্দেশখালি। গত ৫ জানুয়ারি থেকেই উত্তপ্ত সন্দেশখালি (Sandeshkhali)। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি, রেশন দুর্নীতি মামলায় শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি করতে যায়। এরপর এলাকার দুষ্কৃতীরা তদন্তকারী অফিসারদের উপর আক্রমণ করে। আর এই ঘটনার পর থেকেই পলাতক হন শেখ শাহজাহান। এরপর এই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে, বাড়ির বউদের পার্টি অফিসে নিয়ে গিয়ে অত্যাচারের কথা বলে ক্ষোভ প্রকাশ করে পথে নামেন গ্রামবাসীরা। ইতিমধ্যে হাইকোর্টে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Modi In Bengal: সন্দেশখালিকাণ্ডে তোলপাড় রাজ্য, এক সপ্তাহে বাংলায় ৩টি জনসভা মোদির

    Modi In Bengal: সন্দেশখালিকাণ্ডে তোলপাড় রাজ্য, এক সপ্তাহে বাংলায় ৩টি জনসভা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিকাণ্ডে উত্তাল সারা রাজ্য। আন্দোলনের ঢেউ পৌঁছেছে রাইসিনা হিলস থেকে বিজেপির জাতীয় সম্মেলনে। এই আবহে রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi In Bengal)। তাও আবার ১ সপ্তাহের মধ্যেই করবেন ৩টি জনসভা। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, লোকসভা নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার আগেই রাজ্যে ভোটের দামামা বাজাতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী। বিজেপি বিরোধী দলগুলিকে প্রচারে অনেকটাই পিছনে ফেলে দিয়েছেন মোদি। ব্যতিক্রম যে পশ্চিমবঙ্গ নয় তা প্রধানমন্ত্রীর (Modi In Bengal) জনসভার সূচিতেই পরিষ্কার।

    কোথায় কোথায় জনসভা করবেন প্রধানমন্ত্রী?   

    বিজেপি সূত্রে খবর, লোকসভা ভোটের আগে আরামবাগেই তাঁর প্রথম সভা হতে চলেছে। আগামী ১ মার্চ রাজ্যে আসার কথা নরেন্দ্র মোদির (Modi In Bengal)। সেদিনই তিনি জনসভা করবেন আরামবাগে। এরপর ২ মার্চ নদিয়ার কৃষ্ণনগরে সভা করার কথা রয়েছে। তৃতীয় জনসভার দিনক্ষণ চূড়ান্ত হয়েছে আগামী ৬ মার্চ বারাসতে। রাজনৈতি পর্যবেক্ষকদের মতে, কৃষ্ণনগর লোকসভা আসনে বিজেপির বরাবরই নিজস্ব ভোট ব্যাঙ্ক রয়েছে। এই আসন থেকেই পরপর দু বার জয়ী হয়েছিলেন সত্য়ব্রত মুখার্জি ওরফে জুলু বাবু। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও ছিলেন তিনি। ২০১৯ সালে খুব অল্প ব্য়বধানে কৃষ্ণনগর আসনে পরাস্ত হন বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবে। এবার তাই কৃষ্ণনগর আসনটিতে বিশেষ নজর দিয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব (Modi In Bengal)। অন্যদিকে গত নির্বাচনে ১২০০ ভোটের ব্যবধানে আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্র হাতছাড়া হয় বিজেপির। সেটিও লক্ষ্য রেখেছে গেরুয়া শিবির। তাই এই হাইভোল্টেজ সভা।

    সন্দেশখালির নির্যাতিতারা মুখ ঢেকে হাজির থাকবেন বারাসাতের সভায়!

    আগেই জানা গিয়েছিল, ৬ মার্চ উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতে আসতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী। বারাসাত থেকে বসিরহাট কাছেই। সন্দেশখালির আবহে মোদির বারাসত সফরকে আলাদা তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, অত্যাচারিত মহিলাদের হাজির করানো হবে প্রধানমন্ত্রীর (Modi In Bengal) সভায়। রাজ্য বিজেপির পরিকল্পনা, বারাসাতের সভায় সন্দেশখালির ‘নির্যাতিতা’-দের  আলাদা মঞ্চ করে বসানো হবে। সেখানে মুখ ঢেকে প্রধানমন্ত্রীর মুখোমুখি হবেন তাঁরা।

    কী বলছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি?

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “এখনও অবধি যে সম্ভাবনা তাতে আগামী ১ মার্চ ও ২ মার্চ উনি আসতে পারেন। দু’টি জায়গায় সভা করতে পারেন তিনি। ৬ মার্চ বারাসতেও তিনি আসবেন। সন্দেশখালির মহিলাদেরও আমরা নিয়ে আসব। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করাব। প্রধানমন্ত্রীর সভাতে ওনারা থাকবেন। আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন ওনারা। বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর (Modi In Bengal) সঙ্গে দেখা করতে চান। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমরা ওনাদের কথা পৌঁছে দেব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: রাতেই রাজভবনে সুকান্ত, পুলিশি নির্যাতন নিয়ে সরাসরি অভিযোগ রাজ্যপালকে

    Sandeshkhali: রাতেই রাজভবনে সুকান্ত, পুলিশি নির্যাতন নিয়ে সরাসরি অভিযোগ রাজ্যপালকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার সন্দেশখালি (Sandeshkhali) থানার বাইরে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি, ধরনা, অবস্থান-বিক্ষোভ এই সমস্ত কিছুর পরেই গ্রেফতার হতে হয় বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে। ব্যক্তিগত বন্ডে জামিনের পরে সোজা তিনি আসেন রাজভবনে। রাত সাড়ে নটা নাগাদ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করেন সুকান্ত মজুমদার। তাঁর সঙ্গে ছিলেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় সমেত অন্যান্যরা। কী কথা হল রাজ্যপালের সঙ্গে? তা নিজেই জানালেন রাজভবন থেকে বের হয়ে। বালুরঘাটের সাংসদ বললেন, ‘‘আমাকে টেনে হিঁচড়ে (Sandeshkhali) পুলিশ আজ যা করল, সঙ্গে আমার নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে পুলিশ আজ যে ব্যবহার করেছে, পুরো বিষয়টি রাজ্যপালের সামনে তুলে ধরেছি।’’

    ভয়ঙ্কর সন্দেশখালি

    ভয়ঙ্কর সন্দেশখালির (Sandeshkhali) অবস্থা বর্ণনা করতে গিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘আপনি ভাবলে অবাক হয়ে যাবেন, আপনার নামে জমি, কিন্তু আপনার কোনও অধিকার নেই সেই জমির উপর। আমি নিজের চোখে দেখে এলাম। সেখানে অন্য একজন ভেড়ি বানিয়ে মাছ চাষ করে খাচ্ছে, এক পয়সাও পরিবর্তে দিচ্ছে না। কলকাতা থেকে যেতে দু’ঘণ্টাও সময় লাগে না। রাজ্যের রাজধানীর উপকণ্ঠে যদি এই অবস্থা হয়, কোন জায়গায় আমরা বাস করছি!’’

    শাহজাহানের গ্রেফতারির দাবিতে সন্দেশখালি থানার সামনে বিক্ষোভ

    শেখ শাহজাহানের গ্রেফতারির দাবিতে সন্দেশখালি (Sandeshkhali) থানার বাইরে অবস্থানে বসেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। ঘণ্টা দেড়েকেরও বেশি সময় ধরে অবস্থান বিক্ষোভ চলছিল সেখানে। এরপরই থানার ভিতর থেকে বিশাল পুলিশবাহিনীকে বেরিয়ে আসতে দেখা যায়। টেনে হিঁচড়ে আটক করা হয় বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে। এনিয়ে বিজেপির রাজ্যসভাপতি বলেন, বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘‘তৃণমূলের কোনও নেতা পর্যন্ত আমার বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ করতে পারে না। যেভাবে আমাদের টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে আসা হল… এই পুলিশ এটাই পারে। শুধুমাত্র বিরোধীদের উপর, বিজেপির উপর এই ধরনের অত্যাচার করতে পারে। শেখ শাহজাহানকে ধরার সময় পুলিশের এই সক্রিয়তা দেখা যায় না।’’ 

    লঞ্চে করে সুকান্তকে নিয়ে চড়কিপাক খেতে থাকে পুলিশ

    গ্রেফতারির পরে সুকান্ত মজুমদারকে টোটোয় চাপিয়ে পুলিশ চলে আসে ধামাখালি ঘাটে। সেখানেই পুলিশের একটি লঞ্চে চাপানো হয় বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে। এমভি বাগদাদ নামের ওই লঞ্চে সুকান্ত মজুমদার সহ অন্যান্য বিজেপি নেতাদের নিয়ে মাঝ নদীতে চড়কিপাক খেতে থাকে পুলিশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: এবার দক্ষিণ ভারতগামী ট্রেন পেতে চলেছে বালুরঘাট, আশ্বাস সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের

    Balurghat: এবার দক্ষিণ ভারতগামী ট্রেন পেতে চলেছে বালুরঘাট, আশ্বাস সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালুরঘাট রেল স্টেশন অমৃত ভারত রেল প্রকল্পের আওতায় এসেছে৷ সারা দেশে আরও নতুন ৫০টি অমৃত ভারত ট্রেন চালুর উদ্যোগ নিয়েছে রেল। সেই রেল প্রকল্পের কাজের সূচনা আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি করতে পারেন। তার আগে বালুরঘাট থেকেও অমৃত ভারত নতুন ট্রেন দক্ষিণ ভারতের জন্য চালানোর আর্জি নিয়ে দিল্লিতে রেলমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছিলেন এখানকার সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর দাবি, রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এই আর্জি মেনে নিয়েছেন৷ নতুন ট্রেন বালুরঘাট (Balurghat) থেকে চালানোর আশ্বাস দিয়েছেন রেলমন্ত্রী। সুকান্ত মজুমদারের দেওয়া এই খবর জেলাতে আসতেই খুশি ছড়িয়েছে জেলাবাসীর মধ্যে।

    প্রসঙ্গত, বালুরঘাট থেকে শিলিগুড়ি বা কলকাতাগামী কয়েকটি ট্রেন চলাচল করলেও, ভিন রাজ্যের সাথে যোগাযোগকারী কোনও ট্রেন এই জেলা থেকে এখনও চালু হয়নি। অথচ দেশের রাজধানী দিল্লি ও দক্ষিণ ভারতের সাথে রেল যোগাযোগের দাবি দীর্ঘদিন ধরে করে আসছেন জেলাবাসী। সুকান্ত মজুমদার সাংসদ হওয়ার পর থেকে জেলাবাসীর নতুন ট্রেন পাবার স্বপ্ন আরও বেশি বাস্তবায়নের আশা জেগেছিল। সুকান্তবাবু সাংসদ হওয়ার পরে এই নতুন ট্রেনগুলি চালু করার জন্য উদ্যোগীও হয়েছিলেন। কিন্তু পরিকাঠামার অভাবে তিনি তা করতে পারেননি বলে বারবার আক্ষেপ করেন।

    বালুরঘাট স্টেশন অমৃত ভারত প্রকল্পের আওতায় (Balurghat)

    বালুরঘাট রেল স্টেশনে দূরপাল্লার ট্রেন চালানোর জন্য পিট ও সিক লাইনের ব্যবস্থা ছিল না। সুকান্তবাবুর তৎপরতায় এই কাজগুলি শুরু হয়েছে, যা বর্তমানে প্রায় শেষ পর্যায়ে। ইতিমধ্যেই বালুরঘাট থেকে বালুরঘাট-শিয়ালদহ নতুন ট্রেন দেওয়া হয়েছে। আরও একাধিক নতুন ট্রেন চালুর বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করছে রেল। বালুরঘাট থেকে দক্ষিণ ভারতের নতুন ট্রেন চালানোর দাবি আগেই ছিল। এছাড়াও গুয়াহাটির ট্রেন চালুর কথাও রয়েছে। এদিকে বালুরঘাট রেল স্টেশনকে সম্প্রতি অমৃত ভারত রেল প্রকল্পের আওতায় এনেছে রেল মন্ত্রক। ওই প্রকল্পের ডিজাইন ইতিমধ্যেই তৈরি করেছেন রেলের ইঞ্জিনিয়াররা। সেই কাজের সূচনা আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারিতে ভার্চুয়ালি করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বালুরঘাট অমৃত স্টেশন থেকে যাতে দক্ষিণ ভারতগামী একটি ট্রেন দেওয়া হয়, সেই দাবি নিয়েই রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সাথে দেখা করেন বালুরঘাটের (Balurghat) সাংসদ সুকান্ত মজুমদার।

    কী বললেন সুকান্ত? (Balurghat)

    সুকান্তবাবু বলেন, রেলমন্ত্রীর সঙ্গে জেলার একাধিক রেল ইস্যু নিয়ে দেখা করেছি। বালুরঘাট থেকে অমৃত ভারত নতুন ট্রেন চালানোর আর্জি জানিয়েছি। দক্ষিণ ভারতের জন্য এই নতুন ট্রেন চালানোর কথা আমি রেলমন্ত্রীকে জানিয়েছি। তিনি এই ব্যাপারে আমাকে আশ্বস্ত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ভারতে নতুন ৫০ টি অমৃত ভারতের কাজ চলছে। সেই ট্রেন তৈরি হয়ে গেলেই এই বালুরঘাট (Balurghat) থেকে একটি নতুন ট্রেন তিনি দেবেন। এছাড়াও আরও একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারিতে অমৃত ভারত স্টেশনের কাজের সূচনা করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    কী প্রতিক্রিয়া তৃণমূল কংগ্রেসের? (Balurghat)

    এদিকে নতুন ট্রেন নিয়ে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বালুরঘাটের বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা সুভাষ চাকী বলেন, সুকান্তবাবুর যদি ইচ্ছে থাকতো, তাহলে তিনি আগেই নতুন নতুন ট্রেন চালুর জন্য উদ্যোগ নিতে পারতেন। আর কয়েকদিন পরেই লোকসভা ভোট (Balurghat)। তার আগে এসব প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি আসলে ভোট বৈতরণী পার করার চেষ্টায় রয়েছেন। এতে কাজের কাজ কিছুই হবে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Howrah: ‘শাহজাহান দোলে, মুখ্যমন্ত্রীর কোলে’, স্লোগান সামনে রেখে কলকাতায় ধর্নায় বসবে বিজেপি

    Howrah: ‘শাহজাহান দোলে, মুখ্যমন্ত্রীর কোলে’, স্লোগান সামনে রেখে কলকাতায় ধর্নায় বসবে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাঁচলায় আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের দেখতে হাওড়া (Howrah) হাসপাতালে গিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বুধবার তিনি চিকিৎসাধীন দলীয় কর্মীদের সঙ্গে দেখা করেন। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, “পাঁচলায় জমি মাফিয়াদের রাজ চলছে। সেখানে জমি চুরি হচ্ছে, লুট চলছে। তার প্রতিবাদ করেন স্থানীয়রা। সেই কারণে তাঁদের মারধর করা হয়, শ্লীলতাহানি করা হয়। তাঁদের সাহায্য করতে এগিয়ে যায় বিজেপি। মঙ্গলবার থানার সামনে বিজেপি কার্যকর্তাদের ওপর হামলা চালানো হয়।” এ প্রসঙ্গে তিনি পুলিশের মনোভাব ও ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন। এক পুলিশ অফিসারকে খালিস্তানি বলে মন্তব্য করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। সেই প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, “আসলে সন্দেশখালি থেকে মানুষের চোখ ঘোরানো যাবে না। মুখ্যমন্ত্রীর রিয়্যালিটি শো-এর শ্যুটিংয়ে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে সুকান্তর কটাক্ষ ‘বিনাশ কালে বুদ্ধি নাশ’।”

    পুলিশকে কটাক্ষ সুকান্তর (Howrah)

    এক আক্রান্ত মহিলার গোপন জবানবন্দির প্রসঙ্গ প্রকাশ্যে নিয়ে আসার ব্যাপারে পুলিশের পেশাগত বিষয়কে কটাক্ষ করেন তিনি (Howrah)। এদিকে সন্দেশখালি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “শেখ শাহজাহান যতদিন না গ্রেফতার হবে, ততদিন চলবে আন্দোলন। ‘শেখ শাহজাহান দোলে, মুখ্যমন্ত্রীর কোলে’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে ২৬ থেকে ২৮ শে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কলকাতায় ধর্না চলবে বিজেপির।” এছাড়াও তিনি সাংসদ দীপক অধিকারী (দেব) প্রসঙ্গেও বলেন, “সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস, অসৎ সঙ্গে নরকবাস।”

    মমতাকে আক্রমণ প্রিয়াঙ্কার (Howrah)

    বিজেপি নেত্রী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল বলেন, “সন্দেশখালিতে দিদির কেউ নেই। তাই তিনি সেখানে যাওয়ার সময় পাননি। তিনি হাওড়ার ডুমুরজলায় একটি রিয়্যালিটি শো-এ এসেছেন। যদি কালীঘাটে দিদির পরিবারের কারোর সঙ্গে এই ধরনের ঘটনা ঘটত, তাহলে কি তিনি চুপ থাকতেন। তিনি বলেন, সন্দেশখালিতে রাতের বেলায় মহিলাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। দিদির কেউ নয় ওরা। দিদির কালীঘাটে পরিবার আছে, অভিষেক আছে, অভিষেকের স্ত্রী আছে। তাদের সঙ্গে যদি এই ধরনের ঘটনা ঘটত, তখন দিদি কি চুপ থাকতে পারতেন।” প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল আরও বলেন, “গত বিধানসভা ভোটে সবাই বিজেপিকে চেয়েছিল। সবাই বলছে বিজেপিকে ভোট দিয়েছি। কিন্তু সরকার তৃণমূলের। কারণ বুথে বুথে দিদির গুন্ডাবাহিনী ছিল।” বুধবার হাওড়া হাসপাতালে হাওড়ার পাঁচলাকাণ্ডে (Howrah) আহত মানুষদের দেখতে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এই কথাগুলি বলেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Aadhaar Card: মমতার কেন্দ্র-বিরোধী ‘ভুয়ো প্রচার’ কাজে এল না, সক্রিয় হল নিষ্ক্রিয় আধার কার্ড

    Aadhaar Card: মমতার কেন্দ্র-বিরোধী ‘ভুয়ো প্রচার’ কাজে এল না, সক্রিয় হল নিষ্ক্রিয় আধার কার্ড

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরে নিষ্ক্রিয় হওয়া আধার পুনরায় চালু হল। সপ্তাহ খানেক আগে যাঁদের আধার কার্ড (Aadhaar Card) নিষ্ক্রিয় হওয়ার চিঠি এসেছিল, বুধবার তাঁদের মোবাইলে আধার সক্রিয় হওয়ার মেসেজ এসেছে। সপ্তাহ খানেক আগে প্রায় ৬০ জনের বাড়িতে আধার নিষ্ক্রিয় করার চিঠি পৌঁছায়। এতে কপালে ভাঁজ পড়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের। যদিও বিষয়টি নজরে পড়তেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার হস্তক্ষেপ করেন। সংশ্লিষ্ট দফতরে বিষয়টি তাঁরা জানান। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। পরে, একের পর এক বাসিন্দার আধার কার্ড সক্রিয় হওয়ার মেসেজ আসতে শুরু করে।

    উল্লেখ্য, ‘আধার-বাতিল’ (Aadhaar Card) নিয়ে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মানুষকে ‘আতঙ্কিত’ করছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। এই অভিযোগ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। চিঠিতে নন্দীগ্রামের বিধায়ক জানিয়েছিলেন, তাঁর আশঙ্কা, বিষয়টি কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে যেতে পারে। এ বিষয়ে তাই প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের আর্জিও জানান বিরোধী দলনেতা।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন? (Aadhaar Card)

    আধার কার্ড (Aadhaar Card)নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে জানিয়ে ডাকযোগে এমন চিঠি পান জামালপুর ব্লকের বহু বাসিন্দা। জামালপুর ব্লকের জৌগ্রাম, আবুজহাটি এলাকায় প্রায় ৬০ জনের কাছে ডাকযোগে ‘ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার (ইউআইডিএআই) রাঁচির আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে এই চিঠি পাঠানো হয়। আবুজহাটি ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের জুতিহাটি গ্রামের প্রায় ৫০ জন এমন চিঠি পান, জৌগ্রামের অনেকের কাছেও এই চিঠি আসে। কয়েকদিন ধরে তাঁরা চরম দুশ্চিন্তায় ছিলেন। নতুন করে নিষ্ক্রিয় কার্ড ফের সক্রিয় হতেই স্বাভাবিকভাবেই খুশি এলাকার বাসিন্দারা। জুতিহাটি গ্রামের বাসিন্দা বিপুল বিশ্বাস, সজল দাসরা বলেন, সরকারি পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাবে বলে চিন্তায় ছিলাম। কারণ, আধার কার্ড না থাকলে তো কোনও সরকারি পরিষেবা মিলবে না। ব্যাঙ্কে টাকা তোলার ক্ষেত্রেও সমস্যা হবে। আমরা চরম বেকায়দায় পড়ে গিয়েছিলাম। এনিয়ে অনেক জায়গায় দরবার করেছি। অবশেষে, মোবাইলে  আধার সক্রিয় হবার মেসেজ পেয়ে হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম।

    জেলা প্রশাসনের কর্তা কী বললেন?

    বুধবার অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) অমিয়কুমার দাস বলেন, নিষ্ক্রিয় হওয়ার পর সকলকেই অভয় দেওয়া হয়েছিল। এখন অনেকের আধার কার্ড (Aadhaar Card) সক্রিয় হয়ে গিয়েছে। যাদের হয়নি তাদের প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবরকম সাহায্য করা হবে।  

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share