Tag: Sukanta Majumdar

Sukanta Majumdar

  • Sukanta Majumdar: সুকান্তর বাইক মিছিলের অনুমতি দিল না প্রশাসন, ক্ষুব্ধ বিজেপি

    Sukanta Majumdar: সুকান্তর বাইক মিছিলের অনুমতি দিল না প্রশাসন, ক্ষুব্ধ বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) বাইক মিছিলের অনুমতি দিল না পুলিশ। আগামীকাল স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিন উপলক্ষে সাংসদের নেতৃত্বে এই কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছিল। কিন্তু, পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেই বাইক মিছিলের অনুমতি দেওয়া হল না। ফলে, বিজেপি কর্মীরা ক্ষুব্ধ।

    বাইক মিছিলের অনুমতি দিল না প্রশাসন (Sukanta Majumdar)

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার যুব দিবসের দিন সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) নেতৃত্বে গঙ্গারামপুর থেকে বালুরঘাট বিজেপির বাইক মিছিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এই কর্মসূচি কার্যকর করতে অনুমতি চেয়ে বিজেপির তরফে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পুলিশ প্রশাসনের কাছে আবেদন করা হলেও তার অনুমতি দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। লোকসভা ভোট ঘোষণা না হলেও নানা কর্মসূচির মাধ্যমে সাংসদ নিবিড় জনসংযোগের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। এমনিতেই এই লোকসভায় বিজেপির শক্ত মাটি। তৃণমূলের কাছে এই আসন যথেষ্ট চ্যালেঞ্জের। তাই, তাঁর জনসংযোগমূলক কর্মসূচি পুলিশ প্রশাসনকে দিয়ে বানচাল করার চেষ্টা করছে তৃণমূল। এমনই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। পুলিশ সুপার চিন্ময় মিত্তাল বলেন, মিছিলের কোনও অনুমতি দেওয়া হয়নি।

    বাইক মিছিল করা হবে, হুঁশিয়ারি বিজেপি নেতৃত্বের

    এই বিষয়ে বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী বলেন, আগামীকাল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা বিজেপির পক্ষ থেকে গঙ্গারামপুর থেকে বালুরঘাট পর্যন্ত বাইক নিয়ে মিছিল করা হবে। নেতৃত্বে থাকবেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। কিন্তু, এই জেলার পুলিশ ও তৃণমূল আমাদের এই বাইক মিছিল নিয়ে নোংরা রাজনীতি শুরু করেছে। তৃণমূল জানে যে তারা আগামীদিনে রাজ্যে থাকবে না। পুলিশ দিয়ে আমাদের মিছিল বন্ধ করার চেষ্টা করছে। আমরা আগামীকাল এই বাইক মিছিল করব।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী বললেন?

    এই বিষয়ে তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি সুভাষ চাকি বলেন, আগামীকাল স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিন মানুষের কাছে আবেগ। প্রশাসন যদি মনে করে এমন কোনও কাজ করলে সাধারণ মানুষের অসুবিধা হবে, প্রশাসনের অসুবিধা হবে বলেই অনুমতি দেয়নি। আমরা তাতে কোনও হস্তক্ষেপ করিনি।  আর বিজেপি তো কথায় কথায় হাইকোর্ট যায়, তারা হাইকোর্টে যেতেও পারে। হাইকোর্ট কী নির্দেশ দিচ্ছে তা মানুষ দেখবেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: শাহজাহানকে গ্রেফতারের দাবিতে ন্যাজাট থানা ঘেরাও সুকান্তর, পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি

    Sukanta Majumdar: শাহজাহানকে গ্রেফতারের দাবিতে ন্যাজাট থানা ঘেরাও সুকান্তর, পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করার দাবিতে বৃহস্পতিবার বিজেপির উত্তর ২৪ পরগনার ন্যাজাট থানা ঘেরাও কর্মসূচিকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল। এই কর্মসূচির নেতৃত্ব দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তবে থানার এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে পুলিশ। পুলিশের অবশ্য অভিযোগ, বিজেপির কর্মীরা আইন অমান্য করে ব্যারিকেড তুলে ফেলে। পুলিশ ক্ষিপ্ত বিজেপিকে আটকাতে গেলে রীতিমতো ধস্তাধস্তি বেধে যায়। সুকান্ত পাল্টা পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, “শেখ শাহজাহান কোথায় আছে পুলিশ জানে। চাইলেই তাঁকে গ্রেফতার করতে পারে। এখন আমাদের আটকাতে পুলিশ এসেছে, সেদিন হামলার সময় কোথায় ছিল? পুলিশই লুকিয়ে রেখেছে শাহজাহানকে।”

    কী বললেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)?

    এদিন সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শাহজাহানকে গ্রেফতারের দাবিতে ন্যাজাট থানা ঘেরাও কর্মসূচিতে পুলিশের বিরুদ্ধে তোপ দেগে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, “থানা থেকে ২০ কিলোমিটার দূরেই ব্যরিকেড করে রেখেছে পুলিশ। বিজেপির কর্মসূচিকে নষ্ট করার জন্য পরিকল্পনা করে অতি সক্রিয় হয়ে উঠেছে পুলিশ। যেখানে ব্যারিকেডে করা হয়েছে সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করা ছিল না। পুলিশের বাধা পেয়ে আমরা রাস্তায় বসেই আন্দোলন শুরু করি। আমাদের আটকাতে পুলিশ ইচ্ছে করে মহিলা পুলিশ রেখে দিয়েছে। পুরুষ বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করার জন্যই এই পরিকল্পনা করা হয়েছে। তৃণমূলের বাঘ এখন ইঁদুরের গর্তে ঢুকে গেছে।” তবে সেই সঙ্গে বিজেপির মহিলা কর্মীদেরকে পুরুষ পুলিশ কর্মীরা খামচে দেন বলে সেই অভিযোগও করেন তিনি।

    গত শুক্রবার থেকে পলাতক শাহজাহান

    রেশন দুর্নীতির তদন্তে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি শাহজাহানের সরবেড়িয়ার বাড়িতে তল্লাশি করতে গেলে ব্যাপক ভাবে স্থানীয় দুষ্কৃতীদের দ্বারা আক্রান্ত হয়। মাথা ফাটানো হয় তিন তদন্তকারী অফিসারের। এরপর থেকেই এই তৃণমূলের নেতা পালাতক। পুলিশ এখনও ধরতে পারেনি শাহজাহানকে। রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডিজি রাজীব কুমার এই তৃণমূল নেতার গ্রেফতারের কথা বললেও এখনও অধরা তিনি। প্রতিবাদে বিজেপির পক্ষ থেকে আজ বসিরহাটের ন্যাজাট থানা ঘেরাও করার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। পুলিশ এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করায় এই কর্মসূচিকে ঘিরেই বিজেপির বিক্ষোভে ব্যাপক উত্তাল হয়ে ওঠে। রীতিমতো রাস্তায় বসে বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) পুলিশের বিরুদ্ধে দলদাসের কথা বলে তীব্র আক্রমণ করেন।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Medical College: দুর্নীতির আখড়া আর জি কর হাসপাতাল! হাইকোর্টে মামলা সুকান্তর

    RG Kar Medical College: দুর্নীতির আখড়া আর জি কর হাসপাতাল! হাইকোর্টে মামলা সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ এবং রেশন দুর্নীতির অভিযোগ আগেই উঠেছে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে। প্রভাবশালী মন্ত্রীরা গ্রেফতারও হয়েছেন এই মামলাগুলিতে। বর্তমানে কলকাতা হাইকোর্টে বিচারাধীন বিষয়গুলি। এবার স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়েও বিস্তর অনিয়মের অভিযোগ তুলল রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি। কলকাতার সরকারি হাসপাতাল আর জি করের (RG Kar Medical College) পরিষেবা নিয়ে মামলা দায়ের হল হাইকোর্টে। সোমবার এই মর্মে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। আগামী সপ্তাহে মামলাটির শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চে। 

    কেন এই মামলা দায়ের করলেন সুকান্ত মজুমদার?

    বালুরঘাটের সাংসদের অভিযোগ, কলকাতার অন্যতম সরকারি হাসপাতাল আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ (RG Kar Medical College) দুর্নীতির আঁতুরঘর হয়ে উঠেছে। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার উদাহরণ হিসেবে টেনে আনেন আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল সন্দীপ ঘোষের নাম। বঙ্গ বিজেপির প্রধানের দাবি, এই কলেজের প্রিন্সিপাল যাবতীয় দুর্নীতির পরেও, এমনকী তাঁর পদ থেকে বারবার বদলি হওয়া সত্ত্বেও ফিরে আসছেন। অন্যদিকে সুকান্তর আরও অভিযোগ, মৃতদেহগুলি এই হাসপাতালে বেআইনিভাবে ব্যবহার হয়। মৃতদের পরিবারের অনুমতি ছাড়াই তাতে কাটাছেঁড়া করা হয়। হাসপাতালের (RG Kar Medical College) বর্জ্য পদার্থও বেআইনিভাবে খোলাবাজারে বিক্রি করা হয় বলে অভিযোগ সুকান্তর। হাসপাতালের বর্জ্য পদার্থ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ কার্যত নজিরবিহীন। বালুরঘাটের সাংসদের মতে, এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী সেগুলি পুনর্ব্যবহার করেন।

    কাটমানি নেওয়া হয় টেন্ডার পাশ করতে

    রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবাও যে কাটমানির অপসংস্কৃতির বাইরে নয়, তা সুকান্ত মজুমদারের অভিযোগেই স্পষ্ট। সুকান্তর দাবি, আর জি করে টেন্ডার পাশ করাতে গেলে লাগে মোটা অঙ্কের কাটমানি। এর পাশাপাশি ছাত্রদের জন্য আসা অ্যাকাডেমিক ফান্ডের টাকা অন্যান্য কাজে ব্যবহার করা হয় যা বেআইনি। পরিকাঠামো উন্নয়নের দ্বিগুণ খরচ দেখানো হয় আবার কম দামি যন্ত্রপাতি বেশি দামে কেনা হয় বলেও অভিযোগ বালুরঘাটের সাংসদের। এর পাশাপাশি বেশিরভাগ কাজের বরাত পায় একটি বিশেষ সংস্থা। এই গোটা দুর্নীতি চক্র কাজ করছে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের (RG Kar Medical College) নির্দেশে। এমনটাই অভিযোগ সুকান্তর।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: সাহয্যের হাত বাড়ালেন সুকান্ত মজুমদার, কলকাতায় চিকিৎসা পেলেন বৃদ্ধা

    Sukanta Majumdar: সাহয্যের হাত বাড়ালেন সুকান্ত মজুমদার, কলকাতায় চিকিৎসা পেলেন বৃদ্ধা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) প্রচেষ্টায় বিনামূল্যের চিকিৎসা পেলো এক বৃদ্ধা। জানা গিয়েছে, বালুরঘাট ব্লকের ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ভূষিলা এলাকার গুজুরি পাহান নামে এক বৃদ্ধা রাস্তায় পড়ে গিয়ে তাঁর পা ভেঙে যায়। তাঁকে বালুরঘাট হাসপাতাল থেকে রেফার করে দেওয়া হয়। এরপর তিনি দীর্ঘদিন ধরে বিছানায় শয্যাশায় অবস্থায় রয়েছেন। পরিবারের লোকেদের বাইরে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করার সামর্থ্য না থাকায় তাঁরা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের কাছে দ্বারস্থ হন। সুকান্ত মজুমদার তাঁর নিজের তহবিল থেকে অ্যাম্বুল্যান্স ব্যবস্থা করে কলকাতায় সম্পূর্ণ বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করান। এই সাহয্যে খুশি পরিবারের সদস্যরা।

    চিকিৎসা পেয়ে বৃদ্ধার বক্তব্য (Sukanta Majumdar)

    সাহায্য পেয়ে এবিষয়ে বৃদ্ধা গুজরি পাহান বলেন, “টাকার জন্য চিকিৎসা করাতে পারিনি। দেড় মাস ধরে বিছানাগত। সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) আমাকে চিকিৎসার জন্য কলকাতায় নিয়ে যাচ্ছেন। এবার হয়তো আমার চিকিৎসা সম্ভব হবে। আমি আমার নিজের পায়ে হাঁটাচলা করতে চাই।”

    এলাকাবাসীর বক্তব্য

    এই বিষয়ে এক এলাকবাসী জানান, বৃদ্ধা বেশ কয়েকদিন ধরে অসুস্থ হয়ে বিছানায় ছিলেন। তাঁর চিকিৎসার খরচ জোগাড় করতে পারছিলেন না পরিবারের লোকেরা। তাঁরা সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) কাছে চিকিৎসার আবেদন করেছিলেন। এদিন সাংসদের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে অ্যাম্বুল্যান্স পাঠিয়ে তাঁকে চিকিৎসার জন্য কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হল। আমরা এই বিষয়ে সাংসদ সুকান্ত মজুমদারকে কুর্নিস জানাই। তিনি সবসময় মানুষের পাশে আছেন।

    কী বললেন সুকান্ত

    এবিষয়ে বালুঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, “ওই মহিলার দুরাবস্থার কথা জানতে পেরে আমি তাঁর চিকিৎসার সবরকম ব্যবস্থা করেছি। তাঁকে বালুরঘাট থেকে অ্যাম্বুল্যান্স করে নিয়ে কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আগামী দিনেও তাঁর পাশে সর্বদা রয়েছি।”

    এবিষয়ে বিজেপি যুব মোর্চার জেলা সভাপতি শুভ চক্রবর্তী বলেন, “গতকাল রাতে অসহায় ওই বৃদ্ধাকে আমরা অ্যাম্বুল্যান্স করে কলকাতায় পাঠিয়েছি। তাঁর চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন সাংসদ নিজে। হাত বাড়িয়ে পাশে দাঁড়ালেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: “জ্যোতিপ্রিয়র জ্যোতি নিভে যাচ্ছে, রাজনীতিতে ফেরার সুযোগ নেই”, কটাক্ষ সুকান্তের

    Sukanta Majumdar: “জ্যোতিপ্রিয়র জ্যোতি নিভে যাচ্ছে, রাজনীতিতে ফেরার সুযোগ নেই”, কটাক্ষ সুকান্তের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের জ্যোতি আস্তে আস্তে নিভে যাচ্ছে। তিনি হাসপাতালে কোনও রকমে দিদির দয়ায় বেঁচে আছেন। আমি তদন্তকারী সংস্থাকে বলব, তাড়াতাড়ি তাঁকে হাসপাতাল থেকে নিয়ে গিয়ে জেলে উপযুক্ত জায়গায় রাখা উচিত।’ বুধবার উত্তর দিনাজপুর জেলায় পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতির বিরুদ্ধে জেলাশাসকের কাছে ডেপুটেশন কর্মসূচিতে যোগ দিতে এসে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক প্রসঙ্গে এমনটাই মন্তব্য করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) । তিনি কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেন, ‘আমি যতদূর খবর পেয়েছি বাকিবুর বলে দিয়েছিল যে ও মন্ত্রীকে টাকা দিয়েছিল। মন্ত্রীও স্বীকার করে নিয়েছেন যে ৯ কোটি টাকা বাকিবুরের কাছ থেকে নিয়েছেন। তাই, জ্যোতিপ্রিয়বাবুর রাজনীতিতে ফিরে আসার আর কোনও সুযোগ নেই। তাঁর জ্যোতি পুরো সুইচ অফ হয়ে গেছে।’ পাশাপাশি তিনি রাজ্য সরকার ও তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-নেত্রীদের তীব্র কটাক্ষ করেন।

    লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডস প্রসঙ্গে কী বললেন সুকান্ত? (Sukanta Majumdar)

    লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডস প্রসঙ্গে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, ” লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডসের প্রায় সাড়ে ৯ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করার জন্য ইডি আদালতে গেছে। এক সময় তো এক নেতার ভাইপো বড় বড় মুখ করে বলেছিল ‘আমার বিরুদ্ধে একটিও চুরি প্রমাণিত হয়, আমি ফাঁসি কাঠে ঝুলে যাব।’ ফাঁসি কাঠ তো আমরা দেখতে পাচ্ছি না। চারিদিকে তাকাচ্ছি ফাঁসি কাঠটা কোথায়? লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডস কার কোম্পানি সবাই জানেন। কাকু তো বিছানায় শুয়ে আছে। কাকু তো শ্রীখণ্ডি। পেছন থেকে তিরটা কে চালাচ্ছে? অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোম্পানি সবাই জানে লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডস। তার মা-বাবার নাম আছে এখনও সেখানে। তাই এখন ফাঁসির মঞ্চ খুঁজে বেড়াচ্ছি আমি।”

    কামদুনি আন্দোলনকারীদের পাশে বিজেপি

    কামদুনি প্রসঙ্গে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, কামদুনির বর্বরোচিত ঘটনার পরেও মুখ্যমন্ত্রীর তরফ থেকে পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে রাজ্য প্রশাসনের তরফ থেকে অপরাধীদের বাঁচানোর চেষ্টা করা হয়েছে, তাই অপরাধীরা ছাড়া পেয়ে গেছে। যারা অভিযুক্ত তারা যাতে ছাড়া পেয়ে না যায়, সেজন্য কামদুনি আন্দোলনের যাঁরা প্রতিবাদী তারা সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছেন। কামদুনির প্রতিবাদীদের পাশে ভারতীয় জনতা পার্টির প্রত্যেকটি কর্মী আছেন। মহিলাদের উপর অত্যাচার বাংলায় ক্রমশ বাড়ছে এটা তার প্রমাণ। প্রত্যেকে তৃণমূল কংগ্রেসের ছত্রচ্ছায়ায় রয়েছে।

    এদিন রায়গঞ্জের কর্ণজোড়ায় অবস্থিত প্রশাসনিক চত্বরে এই ডেপুটেশন কর্মসূচি উপলক্ষে একটি বিরাট মিছিল করে উত্তর দিনাজপুর জেলাশাসকের দফতরের দিকে রওনা হয় বিজেপির নেতা-নেত্রীরা। এই মিছিলে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ছাড়াও রায়গঞ্জের সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী, শিলিগুড়ির বিধায়ক শংকর ঘোষ সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা অংশগ্রহণ করেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: “রাজ্যে কোনও কর্মসংস্থান নেই”, মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ দাগলেন সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: “রাজ্যে কোনও কর্মসংস্থান নেই”, মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ দাগলেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট ব্লকের গোপালপুর এলাকার এক কৃষি মেলাতে গিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছে থাকা দরকার। বাংলাতে মমতা সরকার থাকা প্রায় ১২ বছরের বেশি হয়ে গেল এখনও পর্যন্ত কোনও শিল্প কলকারখানার লাল ফিতে কাটতে বাংলার মানুষ দেখেননি। মুখ্যমন্ত্রী শিল্পায়নের চেষ্টা করেননি। জমি না দেওয়ার জন্য ৪০ এর বেশি রেলওয়ে প্রজেক্ট আটকে আছে এই রাজ্যে, এই জেলার প্রজেক্ট আটকে আছে জমি না দেওয়ার জন্য। এই ভাবে চলতে পারে না রাজ্য। রাজ্য অন্ধকারে ডুবে যাচ্ছে। কোনও কর্মসংস্থান নেই রাজ্যে। দুবাইয়ে চলে যাচ্ছে সবাই কাজের জন্য। তারা সেখানে গিয়ে অত্যাচারিত হচ্ছে, আমাদেরকে গিয়ে তাদেরকে ফিরিয়ে আনতে হচ্ছে। এটাই হল আমাদের রাজ্যের অবস্থা।

    কালীঘাটের কাকু নিয়ে কী বললেন সুকান্ত? (Sukanta Majumdar)

    রাজ্য পুলিশের কয়েকজন আধিকারিকের পাশাপাশি মহুয়া মৈত্রের ফোনে নজরদারি চালানোর অভিযোগ প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, তৃণমূল আমাদের ফোন ট্র্যাপ করে সেটা আমরা জানি। স্বাভাবিকভাবে আমরা জানি কোন কথা বলতে হবে কোন কথা বলতে হবে না। রাজীব কুমার বিদেশে কোথায় গিয়েছিলেন। কী আনতে গিয়েছিলেন, তা আমরা জানি। কালীঘাটের কাকু প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, কালীঘাটের কাকুর অবস্থা শেষ। কাকুর কণ্ঠস্বর আগামীদিনে বাইরে আসবে এবং প্রচুর খোলসা হবে। কাকু জেল থেকে বের হবে বলে আমাদের মনে হয় না।

    সিএএ নিয়ে কী বললেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি?

    সিএএ নিয়ে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, আমরা বার বার বলছি সিএএ হবে, কেউ আটকাতে পারবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দম নেই সিএএ আটকানোর। সিএএর মাধ্যমে যারা বাংলাদেশ থেকে ধর্মীয় কারণে অত্যাচারিত হয়ে আমাদেরর রাজ্যে এসেছে, তাদেরকে আমরা নাগরিকত্ব দেব। পাশাপাশি এদিন বালুরঘাট ব্লকের গোপালপুর এলাকায় কৃষি মেলার উদ্বোধন করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: পাখির চোখ লোকসভা ভোট! উত্তরবঙ্গ জুড়ে ম্যারাথন কর্মসূচি সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: পাখির চোখ লোকসভা ভোট! উত্তরবঙ্গ জুড়ে ম্যারাথন কর্মসূচি সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাখির চোখ লোকসভা নির্বাচন। তাই, এবার উত্তরবঙ্গ চষে বেড়াবেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। লোকসভা নির্বাচনের আগে সংগঠনকে আরও চাঙা করাই লক্ষ্য বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে। আগামীকাল ৩ তারিখ থেকে ৬ তারিখ পর্যন্ত উত্তরবঙ্গ জুড়ে ম্যারাথন কর্মসূচি রয়েছে বিজেপির রাজ্য সভাপতির।

    সভার পাশাপাশি সাংগঠনিক বৈঠক করবেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)

    দক্ষিণবঙ্গের তুলনায় উত্তরবঙ্গে বিজেপি অনেকটাই শক্তিশালী। সেক্ষেত্রে উত্তরবঙ্গের লোকসভা আসনগুলিকে পুনরায় ধরে রাখার পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের আরও আসন বাড়াতে চাইছে বিজেপি। সেক্ষেত্রে উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় বিজেপি রাজ্য সভাপতি জনসভার পাশাপাশি দলীয় সাংগঠনিক বৈঠক করবেন বলে বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে। আগামী ৩ তারিখ উত্তর দিনাজপুর, ৪ তারিখ আলিপুরদুয়ার, ৫ তারিখ কোচবিহার এবং ৬ তারিখ জলপাইগুড়ি জেলা সফর করবেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। ৭ জানুয়ারি তিনি কলকাতা ফিরে যাবেন। মঙ্গলবার দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্য সভাপতি তাঁর ম্যারাথন কর্মসূচির কথা জানিয়েছেন। বালুরঘাট ব্লকের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিভিন্ন দল ছেড়ে বহু কর্মী এদিন বিজেপিতে যোগদান করেন।

    উত্তরবঙ্গ সফর নিয়ে কী বললেন সুকান্ত?

    উত্তরবঙ্গ সফর নিয়ে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন,লোকসভা নির্বাচন সামনে চলে এসেছে। নির্বাচনকে পাখির চোখ করে আগামীকাল থেকে আমার উত্তরবঙ্গ সফর শুরু হবে। প্রথমে রায়গঞ্জ তারপর আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি সব জায়গাতেই যাব।  রেশন ডিলারদের অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রেশন ডিলারদের নির্দিষ্ট কোনও দাবি আছে। ধর্মঘট কোনও সমস্যার সমাধান হয় না। এক জায়গায় বসে আলোচনার মধ্যে সমস্যা মেটানো ভালো। এক সময় রেশন ডিলারদের প্রচুর সুযোগ সুবিধা ছিল। কিন্তু, আসতে আসতে তাঁদের সমস্ত সুযোগ-সুবিধা ক্ষীণ হয়ে উঠছে। আগামীদিনে রেশন ডিলারদের আয় যেন ঠিক থাকে আমরা এই বিষয়ে রাজ্য সরকার ও কেন্দ্র সরকারকে জানাব।

    নির্বাচনে ভিভিপ্যাড ব্যবহার নিয়ে কী বললেন সুকান্ত?

    লোকসভা নির্বাচনে ১০০ শতাংশ ভিভিপ্যাডের দাবি বিরোধী জোটের। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, আমাদের কোনও আপত্তি নেই ভিভিপ্যাড থাকলে। কিন্তু, অতগুলো ভিভিপ্যাড নির্বাচনের অল্প সময়ের মধ্যে নির্বাচন কমিশন কোথায় থেকে পাবে? তাহলে নির্বাচন পিছিয়ে দিতে হবে। তাহলে আমাদের নরেন্দ্র মোদী আরো কয়েকদিন প্রধানমন্ত্রী থাকবে তা কি আমাদের বিরোধীরা মেনে নেবে!

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: নাম না করে অভিষেককে ‘দুর্নীতির মাস্টারমশাই’ বলে তোপ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: নাম না করে অভিষেককে ‘দুর্নীতির মাস্টারমশাই’ বলে তোপ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অযোধ্যা শহর আগামীদিনে গোটা বিশ্বের এক আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হতে চলেছে। শনিবার বালুরঘাটে সাংবাদিক সম্মেলন করে একথা বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, ঢেলে সাজানো হচ্ছে অযোধ্যা শহরকে। আগামী কয়েকবছরের মধ্যে অযোধ্যায় ফাইভ স্টার হোটেলে পরিণত হবে।

    আবাস যোজনার বাড়ি পেলেন তৃণমূল নেতা, তোপ সুকান্তর (Sukanta Majumdar)

    টাকি পুরসভা তরফ থেকে সরকারি সম্পত্তি নামমাত্র টাকায় লিজ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সেই ঘটনা নিয়ে সিজিও কমপ্লেক্স থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, এখন পশ্চিমবঙ্গে নিলাম চলছে, সেল চলছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে রাজ্যকে বিক্রি করা হচ্ছে। যে যেভাবে পারছে লুটে নিচ্ছে। টাকি পুরসভার চেয়ারম্যান মমতা ব্যানার্জির কথা মতো তাই করছে। সব জায়গায় তো চেয়ারম্যানরা তো চোর হচ্ছে। আবাস যোজনা ঘর পেয়েছেন রাজারহাট নিউটাউন শহর তৃণমূল সভাপতি। যা নিয়ে জোর আলোড়ন শুরু হয়েছে। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, আবাসের ঘর পাওয়া তৃণমূল নেতাকে পুরস্কৃত করা উচিত। মুখ্যমন্ত্রী তো অনেক পুরস্কার চালু করেছেন। তাঁকে চোরশ্রী একটা পুরস্কার দেওয়া উচিত। বাংলার মানুষ দেখুক যে তৃণমূলের নেতারা কতটা ভিখারি, কতটা গরিব। তাঁরা পাকা বাড়িতে থেকেও প্রধানমন্ত্রীর আবাস যোজনার ঘর পাচ্ছে।

    নাম না করে অভিষেককে আক্রমণ করলেন সুকান্ত?

    ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম নিজের নিরাপত্তার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছেন। এই বিষয়ে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, আরাবুলের দাপটে এলাকার মানুষ কাঁপে। সে কি না নিজে ভয় পাচ্ছে। তবে, ভয় পাচ্ছেন মানে সময় খারাপ আসছে। ডায়মন্ড হারবারে স্বাস্থ্য দফতরে ভুয়ো নিয়োগপত্র দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা বিষয়ে সুকান্ত বলেন, এটা নতুন কিছু না। সেখানে তো দুর্নীতির মাস্টারমশায় (অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়) বসে আছে, তিনি সব শেখাচ্ছেন। এখন সব হাতে খড়ি হচ্ছে। এখন ভুয়ো নিয়োগপত্র দিচ্ছে। এরপর হয়তো গরু পাচারের ট্রেনিং হবে, কয়লা পাচারের ট্রেনিং হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panihati: পানিহাটি উৎসবে মহিলা পুলিশের শ্লীলতাহানি! এক সপ্তাহ পর গ্রেফতার যুব তৃণমূল নেতা

    Panihati: পানিহাটি উৎসবে মহিলা পুলিশের শ্লীলতাহানি! এক সপ্তাহ পর গ্রেফতার যুব তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল বিধায়ক নির্মল ঘোষের পানিহাটি (Panihati) উৎসবে মহিলা পুলিশ কর্মীর শ্লীলতাহানির ঘটনা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন। তারপরই নড়়েচড়ে বসে পুলিশ। মহিলা পুলিশ কর্মী শ্লীলতাহানির  ঘটনায় অবশেষে যুব তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম দীপ মজুমদার। ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল? (Panihati)

    গত ২৩ শে ডিসেম্বর রাতে পানিহাটি (Panihati) উৎসবের ভিতরে এক মহিলা পুলিশ কর্মীর শ্লীলতাহানি করা হয় বলে অভিযোগ। প্রকাশ্যে এই ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি এমন হয় যে তৃণমূল নেতাদের বেলেল্লাপনা আটকাতে অন্য পুলিশ কর্মীদের হস্তক্ষেপ করতে হয়। মেলার ভিতরে মহিলা পুলিশ কর্মীর সঙ্গে এই ধরনের ঘটনা ঘটায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। ওই মহিলা পুলিশ কর্মী খড়দা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তবে, গত ২৩ তারিখে অভিযোগ দায়ের করা হলেও এক সপ্তাহ কেটে যাওয়ার পরও পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করেনি। ২৯ শে ডিসেম্বর ওই মহিলা পুলিশ কর্মীর অভিযোগ পত্র সঙ্গে নিয়ে রাজ্যে নারী সুরক্ষার হাল কী তা তুলে ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার পোস্ট করার পরেই পুলিশ নড়েচড়ে বসে।

    তৃণমূল বিধায়কের দাবি ভিত্তিহীন, প্রমাণ করে দিল পুলিশ

    যদিও বিষয়টি জানাজানি হতেই পানিহাটি (Panihati) বিধানসভার তৃণমূল বিধায়ক নির্মল ঘোষ শুক্রবার দাবি করেন, পানিহাটি উৎসবের মধ্যে কোনওরকম শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটেনি। তৃণমূলের কোনও কর্মী সমর্থক এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়। পুলিশের একাংশ বিজেবি সঙ্গে যোগাসাজস করে এসব করছে। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে তিনি প্রশ্ন তোলেন। যা নিয়ে রাজনৈতিক মূলে জোর-চাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। বিধায়কের দাবি যে ভিত্তিহীন তা যুব তৃণমূল নেতা গ্রেফতার হতে প্রমাণিত হয়ে গেল।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপি নেতা কিশোর কর বলেন, ২৩শে ডিসেম্বর মহিলা পুলিশ কর্মীর সঙ্গে শ্লীলতাহানি করা হয়। নিয়ম মেনে তিনি থানায় অভিযোগ করেছেন। কিন্তু এই ঘটনার সঙ্গে যেহেতু শাসক দলের নেতারা জড়িত, পুলিশ তাদের গ্রেফতার করার সাহস দেখায়নি। আমাদের দলের রাজ্য সভাপতি বিষয়টি রাজ্যবাসীর সামনে আনতে পুলিশ নড়েচড়ে বসে। অবশেষে এই ঘটনা জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়েছে যুব তৃণমূল নেতাকে। এ ঘটনায় আরও অনেকে জড়িত রয়েছে। আমাদের দাবি প্রত্যেককে গ্রেফতার করতে হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: লোকসভায় বিজেপির পাখির চোখ ৩৫টি আসন, স্পষ্ট করে দিলেন সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: লোকসভায় বিজেপির পাখির চোখ ৩৫টি আসন, স্পষ্ট করে দিলেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর মহকুমার সমস্ত থানা এলাকায় বিজেপি কর্মীদের নামে পুলিশ মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে। নানাভাবে বিজেপি কর্মীদের হেনস্থা করা হচ্ছে। এমনই অভিযোগ বিজেপির। এবার সেই পুলিশের বিরুদ্ধে শুক্রবার আন্দোলনে নামল বিজেপি। এদিন বিকেলে বুনিয়াদপুরে গঙ্গারামপুর মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। যার নেতৃত্বে ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar), কিষাণ মোর্চার রাজ্য সভাপতি মহাদেব সরকার, বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী সহ অন্যান্য বিজেপি নেতৃত্বরা।

    পুলিশকে তুলোধনা সুকান্ত-র (Sukanta Majumdar)

    এদিন বিকেলে বুনিয়াদপুর শহরের ফুটবল ময়দান থেকে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের প্রতিবাদ মিছিল বের হয়। যা গোটা শহর পরিক্রমার পর এসডিপিও অফিসে যায়। সেখানে বিজেপি কর্মীর-সমর্থকরা পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান। পরে, কয়েকজনের প্রতিনিধি দল এসডিপিওকে ডেপুটেশন দেন। এদিন এসডিপিও অফিসের পাশেই সভামঞ্চ করা হয়। সেখানেই জেলার পুলিশকে এক হাতে নেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, এসডিপিও অফিসের অধীনে যে সব থানা আছে, সেইসব থানার পুলিশ তৃণমূলের দলদাস হিসেবে কাজ করছে। তৃণমূলের নেতারা কোথায় ওঠাবসা করছেন তা আমাদের জানা রয়েছে। পুলিশ তৃণমূল নেতাদের কথা শুনে আমাদের কর্মীদের মিথ্যে মামলা দিয়ে গ্রেফতার করছে। পাশাপাশি দলীয় কর্মীদের ঘর বাড়ি ভাঙা হচ্ছে। এমনকী মহিলাদের শ্লীলতাহানি করছে এই পুলিশ। এসবের বিরুদ্ধে আমাদের বিক্ষোভ। কারণ, পুলিশের ভয় দেখিয়ে তৃণমূল যদি মনে করে আমাদের কর্মীদের মনোবল ভেঙে দেবে তা কখনও সম্ভব নয়। দলদাসের মতো পুলিশের এই আচরণ বন্ধ করতে হবে।

    লোকসভায় পাখির চোখ ৩৫টি আসন, বললেন সুকান্ত

    সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লোকসভায় ৩৫টি আসন লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে দিয়েছেন, সেটা নিয়ে আমরা এখন থেকে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছি। তাই, রাজ্যে তৃণমূল একা লড়বে, না কংগ্রেস বা সিপিএমকে সঙ্গে নিয়ে তৃণমূল লড়াই করবে, তা নিয়ে আমাদের কোনও মাথা ব্যাথা নেই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share