Tag: Sukanta Majumdar

Sukanta Majumdar

  • Sukanta Majumdar: ‘নির্বাচনে তৃণমূলের হয়ে গুন্ডামি করা ক্লাবগুলিকে পুজোয় অনুদান’, কটাক্ষ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘নির্বাচনে তৃণমূলের হয়ে গুন্ডামি করা ক্লাবগুলিকে পুজোয় অনুদান’, কটাক্ষ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পুজো কমিটিগুলিকে আর্থিক অনুদান বাড়িয়ে এবার ৭০ হাজার টাকা করেছেন। আর তা নিয়েই এবার সুর চড়ালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, পুজোয় আর্থিক অনুদানের নামে রাজনীতি চলছে। তিনি (পড়ুন মুখ্যমন্ত্রী) এই ৭০ হাজার টাকা করে সেই ক্লাবগুলিকে দিয়েছেন, যারা নির্বাচনে গুন্ডামি করে তৃণমূলকে জয়ী করেছে। তাদের মদ-মাংস খাওয়ার জন্য এই টাকা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তিনি বলেন, বিজেপি পরিচালিত ক্লাবগুলি গেলে টাকা দেওয়া হয়নি।

    মুখ্যমন্ত্রী প্রসঙ্গে কী বললেন সুকান্ত? (Sukanta Majumdar)

    কলকাতার সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারে রাম মন্দিরের আদলে গড়ে ওঠা মণ্ডপ নিয়েও মুখ খোলেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, রাম বাংলার সংস্কৃতির অংশ। সেই রাম মন্দিরের আদলে মণ্ডপ শুভ উদ্বোধন করেছেন অমিত শাহ। আর যা দেখে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর আরও বেশি করে জ্বলন হচ্ছে। পাশাপাশি তিনি কটাক্ষ করেই বলেন, যাদের চুলকানি হচ্ছে তার জন্য ওষুধ খাও, যদি না ওষুধ থাকে বিজেপি তাদের ওষুধ দিয়ে দেবে।

    মন্ত্রী সুজিত বসুকে নিয়ে কী বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি?

    কোটি কোটি টাকা খরচ করে বিদেশি ফুটবলারকে বাংলার পুজো উদ্বোধনের জন্য নিয়ে এসেছিলেন সুজিত বসু। সেই বিষয়ে কটাক্ষ করে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, কদিন আগেই সুজিত বসু ঠেলাগাড়িতে এগরোল বিক্রি করতো। কীভাবে এত কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে গেল, একটু সরকারকে বলব তার তদন্ত করার জন্য। এত টাকা তৃণমূলের আসে কোথা থেকে? যেখানে বাংলার মানুষের ১০০ দিনের কাজের টাকা নিয়ে দুষছেন, সেখানে কোটি কোটি টাকা খরচ করে ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার রোনাল্ডিনহোকে বাংলায় পুজো উদ্বোধনের জন্য নিয়ে আসা হচ্ছে। অন্যদিকে বাংলার পুজো কমিটিগুলিকে আর্থিক অনুদান নিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, তৃণমূল সরকারের মতো দুর্নীতির এত টাকা বিজেপি সরকারের নেই। তবে, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, প্রত্যেকটি ব্লকের একটি করে পুজোকে কিছু সাহায্য ও হাতে বস্ত্র তুলে দেওয়া হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Asansol: “পুর নিগমে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি খুলে ফেলে মোদিজির ছবি লাগান” কেন বললেন সুকান্ত?

    Asansol: “পুর নিগমে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি খুলে ফেলে মোদিজির ছবি লাগান” কেন বললেন সুকান্ত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার বিজেপির পক্ষ থেকে আসানসোল (Asansol) পুর নিগমের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এদিন মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কড়া ভাষায় আসানসোল কর্পোরেশনের পুরবোর্ডের সমালোচনা করেন তিনি। পুর নিগম থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি খুলে ফেলার কথা বললেন। আসানসোল পুর নিগমের উন্নয়ন খাতে কেন্দ্র সরকার টাকা দিচ্ছে, তাই সেখানে মোদিজির ছবি লাগানোর কথা বলেন। সেই সঙ্গে বলেন, পুর নিগমে হবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তল্লাশি। 

    ইডি ও সিবিআইয়ের হানা নিয়ে কী বললেন (Asansol)?

    ইডি ও সিবিআই হানার প্রসঙ্গ তুলে এদিন সুকান্ত মজুমদার বলেন, “কলকাতায় নেতাদের বাড়িতে ইডি ও সিবিআইয়ের রেড হচ্ছে। এবার দুর্নীতির বিরুদ্ধে আসানসোলেও (Asansol) অভিযান হবে।” কয়েকদিন আগে রানীগঞ্জের নারায়ণকুড়িতে ধসের প্রসঙ্গ টেনে তিনি আরও বলেন, “সেখানে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। প্রশাসন বলছে তিনজন মারা গেছে। কার্যত রাজ্য সরকার মৃত্যুর হিসাব নিয়ে মিথ্যাচার করছে।” তিনি বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে পুরসভা দাবি না মানলে তালা ঝুলিয়ে দেয়ার হুঁশিয়ারির দেন।

    আর কী বললেন?

    সুকান্ত এদিন বলেন, “রাজ্য সরকার গত আড়াই বছরে এক টাকাও খরচ করেনি আসানসোল পুর নিগমের জন্য। দিল্লি থেকে মোদিজি আসানসোলবাসীর ঘরে ঘরে জল পৌঁছনোর জন্য ৫০০ কোটি টাকা পাঠিয়েছেন। অথচ রাজ্য সরকার ঘরে ঘরে পানীয় জলের ব্যবস্থা করছে না। স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে কোনও কর্মী নেই। কেবলমাত্র আসানসোল (Asansol) হাসপাতালে ডেঙ্গি পরীক্ষা হচ্ছে। রাজ্যে ৪০ হাজারের বেশি মানুষ ডেঙ্গি সংক্রমণের শিকার হয়েছে, তবুও রাজ্য সরকারের ঘুম ভাঙছে না। আমরা খাওয়া এবং চুরিতে বিশ্বাস করি না। তবে যে খাবে, তাকে ঠিক জায়গায় পাঠানোর কাজ বিজেপি করবে। মন্ত্রী মলয় ঘটক নিজে দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। তিনি বাহানা দিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে সহযোগিতা করছেন না।”

    এদিনের এই বিক্ষোভ সমাবেশে সুকান্ত মজুমদার সহ জেলা সভাপতি বাপ্পা চ্যাটার্জি, বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল, বিধায়ক লক্ষণ ঘড়ুই, বিজেপি নেতা কৃষ্ণেন্দু মুখার্জি ও আসানসোল পুরসভার প্রাক্তন মেয়র তথা বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তেওয়ারি সহ উপস্থিত ছিলেন বিজেপির অন্যান্য নেতৃত্ব।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    ঘটনা প্রসঙ্গে আসানসোলের (Asansol) মেয়র বিধান উপাধ্যায় বলেন, “কোনও অনুদানে রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্র সরকারের একটা ভাগ থাকে। পুরো টাকাটাই পশ্চিমবঙ্গ থেকে ট্যাক্স হিসেবে নিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্র। তারপর সেই টাকার একটা অংশ ফেরত দিচ্ছে রাজ্যে। তাহলে এটা কার দেওয়া হল?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: বিজেপির রাজ্য সভাপতির বাড়ি যাওয়ার রাস্তা বেহাল, সংস্কারের উদ্যোগ নেই তৃণমূল পুরসভার

    Sukanta Majumdar: বিজেপির রাজ্য সভাপতির বাড়ি যাওয়ার রাস্তা বেহাল, সংস্কারের উদ্যোগ নেই তৃণমূল পুরসভার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা স্থানীয় সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের বাড়ি বলেই বেহাল রাস্তা সংস্কারে উদ্যোগ নেই তৃণমূল পরিচালিত বালুরঘাট পুরসভার। এমনই অভিযোগ বিজেপির। বালুরঘাট পুরসভার ২২ এবং ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যবর্তী রাস্তার বেহাল অবস্থা। খাদিমপুর এলাকার সন্ধ্যা সিনেমা হল থেকে খাদিমপুর গার্লস স্কুল পর্যন্ত রাস্তার পিচ উঠে গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) বাড়ির যাতায়াতের এই রাস্তার সবচেয়ে ভগ্নদশা। কিন্তু, তা সংস্কারে পুর কর্তৃপক্ষের কোনও হেলদোল নেই।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    দীর্ঘদিন রাস্তা সংস্কার না হওয়া এবং পুরসভার পক্ষ থেকে বাড়ি বাড়ি পানীয় জলের সংযোগ দেওয়ায় বালুরঘাট শহরের বিভিন্ন রাস্তা বেহাল হয়ে পড়ে। বালুরঘাট পুরসভা থেকে পুজোর আগে রাস্তা মেরামতির কাজ শুরু হলেও এখনও সংস্কারের কাজে হাত দেওয়া হয়নি খাদিমপুরের এই রাস্তা। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, খানাখন্দে ভরা এই রাস্তায় প্রায়শই দুর্ঘটনা ঘটে। এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করে খাদিমপুর গার্লস স্কুল, খাদিমপুর বয়েজ স্কুল  এবং কবিতীর্থ বিদ্যানিকেতনের ছাত্রছাত্রীরা। এলাকায় রয়েছে একটি সিনেমা হলও। রাস্তার অবস্থা বেহাল হওয়ায় প্রায় প্রতিদিন দুর্ঘটনা ঘটে এই রাস্তায়। আমরা চায় দ্রুত এই রাস্তা সংস্কার করা হোক।

    বিজেপি নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    এই বিষয়ে বিজেপির বালুরঘাট শহরর সভাপতি সমীর প্রসাদ দত্ত বলেন, এই রাস্তার গলির মুখে রয়েছে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) বাড়ি। আর ঠিক একারণেই এই রাস্তা সংস্কারে অনীহা বালুরঘাট পুরসভার। এই রাস্তাতে তিনটি হাই স্কুল রয়েছে। স্কুলের ছাত্র ছাত্রীরা যাতায়াত করার সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। পুজোর আগে বালুরঘাট পুরসভা যদি রাস্তা সংস্কার করতে না পারে তাহলে আমরা আন্দোলোনে নামব।

    তৃণমূল নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    যদিও, বালুরঘাট পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর প্রদীপ্তা চক্রবর্তী বলেন, বালুরঘাটের বিভিন্ন ওয়ার্ডের রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। খাদিমপুরের রাস্তার কাজ‌ও করা হবে। বিজেপির রাজ্য সভাপতির বাড়ি বলে রাস্তা সংস্কার করা হচ্ছে না, এই অভিযোগ ঠিক নয়। পুজোর আগেই কাজ হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: অভিষেকের দেওয়া নম্বরে সুকান্তর কাছে কাতর আর্জি, ‘চোরেদের টাকা দেবেন না’

    Sukanta Majumdar: অভিষেকের দেওয়া নম্বরে সুকান্তর কাছে কাতর আর্জি, ‘চোরেদের টাকা দেবেন না’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজভবনের সামনে তৃণমূলের অবস্থান মঞ্চ থেকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) ফোন নম্বর সামনে এনেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড দলের কর্মীদের নিদানও দিয়েছিলেন যে বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে ফোন করে যেন রাজ্যের দাবি মতো টাকাও চাওয়া হয়। এবার হুগলির এক সাধারণ লোকের (পরিচয় জানা যায়নি,মাধ্যম অডিও-এর সত্যতা যাচাই করেনি) সঙ্গে সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) ফোনের কথোপকথন সামনে এল। সেখানে ওই ব্যক্তিকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘‘দাদা (সুকান্ত মজুমদার) একটাই অনুরোধ আপনার কাছে, কোনও টাকা যেন না আসে চোরেদের কাছে। পাশাপাশি ঐ ব্যক্তি আরও বলছেন, ওরা নিজেদের ইচ্ছা মতো জব কার্ডের টাকা নয়ছয় করেছে। আমাদের এলাকার সর্বনাশ করেছে তৃণমূলের নেতারা।’’ ফোনে ওই ব্যক্তিকে দাবি করতে শোনা যায়, অভিষেকের ঘোষণার পরেই তিনি সুকান্ত মজুমদারের ফোন নম্বর পেয়েছেন।

    নিজের ফেসবুক পোস্টে কী লিখলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি? 

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar) নিজের ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে এই রেকর্ডিং সামনে আনেন এবং তিনি লেখেন, ‘‘জনগণের কষ্টার্জিত ট্যাক্সের হিসাব দিন, আমরা জনগণের টাকা জনগণের হাতে তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করব।’’ বালুরঘাটের সাংসদের আরও সংযোজন, ‘‘আঞ্চলিক দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ওরফে ভাইপো আমার নম্বর পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে দেওয়ার পর সাধারণ জনগণ আমাকে ফোন করে চোরেদের টাকা দিতে বারণ করছেন।’’ পাশাপাশি এদিন ২৫ লাখ ভুয়ো জব কার্ডের মাধ্যমে কতটাকা তৃণমূল আত্মসাৎ করেছে তাও জানতে চেয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

    তৃণমূলের নাটকবাজি

    কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে দিল্লিতে একপ্রস্থ নাটক করতে দেখা যায় অভিষেক ও তাঁর দলবলকে। গত সপ্তাহেই কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর অফিসের সামনে ধরনায় বসে পড়েন অভিষেক। অভিষেকের দাবি, ৪০ জনকে একসঙ্গে ঢুকতে দিতে হবে অফিসে। প্রসঙ্গত, গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রীর অফিস থেকে ৫ জনের প্রতিনিধি দলকে দেখা করার অনুমতি দেওয়া হলেও তা মানতে চায়নি তৃণমূল নেতৃত্ব। বেআইনিভাবে মন্ত্রীর অফিসে ধরনার অভিযোগে দিল্লি পুলিশ তৃণমূলের নেতৃত্বকে সেই স্থান থেকে সরিয়ে নিয়ে যায়। এরপরেই রাজ্যে ফিরে রাজভবন ঘেরাও করেন অভিষেক ও তাঁর দলবল। এখানেই উঠছে প্রশ্ন। সত্যিই কি আলোচনার টেবিলে বসতে চায় তৃণমূল নেতৃত্ব? নাকি বাজার গরম করা এবং সস্তার রাজনীতিই তাঁদের উদ্দেশ্য? এই ইস্যুতে কলকাতায় এসে রীতিমতো তৃণমূলকে তোপ দেগেছেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন। তাঁর প্রশ্ন, ‘‘আমি কলকাতাতেও তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে বসতে রাজি। তবে তারা বসবে না আমি জানি।’’ ওয়াকিবহাল মহলের বলছে, সত্যিই কেন্দ্রীয় বঞ্চনা থাকলে, কোর্টের রাস্তা খোলা রয়েছে। সে পথে কেন হাঁটছেন না অভিষেক ও তাঁর দলবল?

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘নতুন বছরের শুরুতেই বালুরঘাট থেকে ছুটবে বেঙ্গালুরুগামী ট্রেন’, দাবি সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘নতুন বছরের শুরুতেই বালুরঘাট থেকে ছুটবে বেঙ্গালুরুগামী ট্রেন’, দাবি সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন বছরের শুরুতেই বালুরঘাট থেকে ছুটবে বেঙ্গালুরুগামী ট্রেন। শুধু তাই নয়, দিল্লি বা গুয়াহাটিকে পিছনে রেখে বেঙ্গালুরুকেই কেন এক্ষেত্রে বাড়তি গুরুত্ব দিয়েছেন তারও বিস্তারিত ব্যাখ্যা রেলমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেছেন বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, সিক ও পিট লাইনের কাজ দ্রুত সমাপ্তির পথে। যা চলতি বছরে শেষ হওয়ার মধ্যেই বালুরঘাট থেকে চালু হবে বেঙ্গালুরুগামী ট্রেন। এই খবর সামনে আসতেই রীতিমতো হইচই পড়ে গিয়েছে গোটা দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায়।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    রাজ্যের প্রত্যন্ত ও সীমান্ত অধ্যুষিত এলাকা হিসেবে চিহ্নিত দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা। ভারত-বাংলাদেশের তিনদিক সীমান্ত বেষ্টিত এই জেলায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বলতে মূলত সড়ক ব্যবস্থাকেই বোঝায়। অথচ কৃষিপ্রধান এই জেলার মানুষকে চিকিৎসার জন্য প্রায় ছুটতে হয় বেঙ্গালুরুতে। শুধু তাই নয়, হিলি চেকপোস্ট পেরিয়ে প্রতিদিনই বেঙ্গালুরুতে চিকিৎসার জন্য এপারে আসেন কয়েকশো বাংলাদেশি মানুষ। সেই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার মানুষই স্বাধীনতার প্রায় ৫৬ বছর পর প্রথম ট্রেনে চড়ার স্বাদ পেয়েছিল। কিন্তু, তারপর হাতে গোনা দু’চারটি ট্রেন ব্যবস্থায় কলকাতার সঙ্গে কিছুটা যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হলেও দূরপাল্লার কোনও ট্রেন আজও চালু না হওয়ায় চিকিৎসা সংক্রান্ত সমস্যা সেই তিমিরেই রয়ে গেছে। এবার বিজেপি সাংসদের উদ্যোগে এই স্টেশন থেকে দুরপাল্লার ট্রেন চলাচল করা শুরুর পথে। এই বিষয়ে বালুরঘাটের স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, আমরা আমাদের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারকে (Sukanta Majumdar) ধন্যবাদ জানাচ্ছি। বালুরঘাট থেকে বেঙ্গালুরুতে ট্রেন চলাচল করার উদ্যোগ নেওয়ার জন্য। আমাদের চিকিৎসা করতে মাঝের মধ্যে বেঙ্গালুরুতে যেতে হয়। বালুরঘাট থেকে যদি বেঙ্গালুরুতে ট্রেন চলে তাহলে আমাদের জেলাবাসীর খুব সুবিধা হবে। আমরা চাই, দ্রুত বালুরঘাট থেকে বেঙ্গালুরু ট্রেন চলাচল শুরু হোক।

    বেঙ্গালুরুগামী ট্রেন চালু নিয়ে কী বললেন সুকান্ত? (Sukanta Majumdar)

    বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, এই লোকসভা কেন্দ্রের বিগত সাংসদরা রেলমন্ত্রীর কাছে শুধুমাত্র দূরপাল্লার ট্রেনের দরবারই শুধু করে গিয়েছেন। কিন্তু, তারপর সেগুলো কেন বাস্তবায়ন হয়নি তার কোনও খোঁজও নেননি তাঁরা। প্রথমত, বিষয়টি বুঝতে গিয়ে আমিও কিছুটা হোঁচট খেয়েছিলাম। কিন্তু, সেখানে থেমে না গিয়ে রেলমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে বোঝার চেষ্টা করেছি। তারপরেই সিক ও পিট লাইনের কথা জানতে পেরেছি। সিক ও পিট লাইন একটি রেলস্টেশনকে নাবালক থেকে সাবালক স্তরে নিয়ে গিয়ে পৌঁছায়। যা পূর্ণাঙ্গ রূপ পেলেই সেই স্টেশন থেকে দূরপাল্লার সমস্ত ট্রেন চলাচল করতে পারে। বিষয়টি জানার পরেই রেলমন্ত্রীর সঙ্গে এনিয়ে দরবার করি। প্রায় ১৫ কোটি টাকা বরাদ্দে বালুরঘাট স্টেশনকে সাবালকত্ব রূপ দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। চলতি বছরেই যার পূর্ণাঙ্গ রূপ পাবে বালুরঘাট রেলস্টেশন। আর এরপরেই এই স্টেশন থেকে ছুটবে দূরপাল্লার বিভিন্ন রুটের ট্রেন। এই বিষয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘চিকিৎসা ব্যবস্থায় অনেকটাই পিছিয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর। জেলাবাসীর সুবিধার জন্য ও এ জেলার মানুষকে চিকিৎসার জন্য প্রায় যেতে হয় বাইরে। জেলার মানুষ হিসাবে বিষয়টি উপলব্ধি করে সাংসদ হিসাবে রেলমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করি। যাতে জেলার মানুষ চিকিৎসা করতে যেতে সুবিধা হয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: উত্তরবঙ্গ ভাসছে, রাজভবন অভিযানে ব্যস্ত তৃণমূলের নেতারা, তোপ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: উত্তরবঙ্গ ভাসছে, রাজভবন অভিযানে ব্যস্ত তৃণমূলের নেতারা, তোপ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যপাল উত্তরবঙ্গে থাকতে পারেন, রাজভবন তো নিয়ে চলে আসেননি। রাজভবন ওখানেই আছে। রাজভবনের সামনে গিয়ে চিৎকার চেঁচামেচি করবেন, চলে আসবেন। বৃহস্পতিবার নিজের বাড়িতে সাংবাদিক সম্মেলন করে তৃণমূলের রাজভবন অভিযানকে তীব্র কটাক্ষ করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, দিল্লিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তৃণমূলের সাংসদদের দেখা করার কথা বললেও তাঁদের দেখা করার সাহস হয়নি। রাজ্যপাল রাজভবনের ভেতরে থাকেন। তৃণমূল বাইরে রাস্তায় কী কীর্তন করল, তা তো আর রাজ্যপাল দেখতে যাবেন না, শুনতেও যাবেন না। উত্তরবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতি খারাপ। তৃণমূল হয়তো উত্তরবঙ্গকে গুরুত্ব দেয় না, তাই তৃণমূলের নেতারা আন্দোলন করছেন দক্ষিণবঙ্গে। কিন্তু, রাজ্যপাল যে সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে উত্তরবঙ্গে এসে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন, উত্তরবঙ্গের মানুষ হিসেবে আমরা সবাই ওনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

    পুর-নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডির হানা নিয়ে কী বললেন সুকান্ত? (Sukanta Majumdar)

    পুর-নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডির হানা নিয়ে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে কর্পোরেশন এবং পুরসভাগুলিতে যে নিয়োগ হয়েছিল, সেই নিয়োগে চুরি করেছে তৃণমূল। টাকা দিয়ে চাকরি বিক্রি করেছে। রথীনবাবু চালাক লোক, প্রচুর সম্পত্তির মালিক। কিন্তু, মানুষকে বুঝতে দেন না। চুপচাপ থাকেন, খুব সহজ সাধারণ থাকার চেষ্টা করেন। কিন্তু, ইডির চোখে এইভাবে ধূলো দেওয়া যাবে না। ইডি মাত্র ৬ জন অফিসার নিয়ে যেভাবে কাজ করছে, তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। আমার বিশ্বাস, ইডি এই চোরগুলোকে উপযুক্ত জায়গায় পৌঁছে দেবে।

    সিকিম বিপর্যয় নিয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতির (Sukanta Majumdar) কী বক্তব্য?

    সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, সিকিমের পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়াবহ। যেভাবে তিস্তা ফুলেফেঁপে উঠেছে, তাতে আমরা চিন্তিত। আমি পার্টির তরফ থেকে সিকিমের পর্যবেক্ষক ছিলাম। সিকিমের মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি আমার সম্পূর্ণভাবে সহানুভূতি এবং সব রকম সমর্থন থাকল। আমাদের বিজেপি সিকিম ইউনিটের সভাপতি সহ বিভিন্ন কর্মীরা উদ্ধারকার্য থেকে শুরু করে বিভিন্ন কাজে লেগে রয়েছেন। দ্রুত ভালো হয়ে উঠুক সিকিমের পরিস্থিতি। তার জন্য আমরা ভগবানের কাছে প্রার্থনা করি। কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে এনডিআরএফ থেকে শুরু করে সমস্ত সাহায্য সিকিমের মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া হয়েছে। সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী সবরকম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

     তৃণমূলী হামলা নিয়ে থানায় অভিযোগ বিজেপির

    গতকাল রাতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কনভয়ে হামলার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এই নিয়ে হিলি থানায় অভিযোগ করতে চলেছে বিজেপি। এমনটাই জানান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: দিল্লিতে কর্মসূচি করতে তৃণমূলকে কোর্টে যেতে হচ্ছে না, এটাই পার্থক্য।” কটাক্ষ সুকান্তর

    Siliguri: দিল্লিতে কর্মসূচি করতে তৃণমূলকে কোর্টে যেতে হচ্ছে না, এটাই পার্থক্য।” কটাক্ষ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের দিল্লি যাত্রা নিয়ে বিজেপিকে অযথা আক্রমণ করা হচ্ছে। কার্যত পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল গণতন্ত্রকে হত্যা করে চলেছে। এরাজ্যে বিরোধীদের কর্মসূচি করতে গেলে কোর্টে যেতে হয়। অপর দিকে তৃণমূলকে দিল্লিতে কর্মসূচি করতে কোর্টে যেতে হয়নি।। রবিবার শিলিগুড়িতে (Siliguri) দলীয় কর্মসূচিতে এসে একথাই বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার।

    তৃণমূলের বিরুদ্ধে কী বললেন সুকান্ত (Siliguri)?

    শিলিগুড়িতে (Siliguri) তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দেগে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “এরাজ্যে  লাঠি, গুলির দ্বারা তৃণমূল কংগ্রেসের অত্যাচার সহ্য করছে বিজেপি। আমাদের অনেক নেতাকর্মীও খুন হয়েছেন। প্রত্যেক দিন মহিলাদের শ্লীলতাহানি হচ্ছে। একমাত্র বিজেপি করেন বলে আমাদের কর্মীরা ঘরছাড়া। এরকম অনেক প্রতিহিংসার রাজনীতির শিকার হতে হচ্ছে বিজেপিকে। কিন্তু দিল্লি, উত্তরপ্রদেশে বিরোধীরা তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারে। গণতান্ত্রিক অধিকার নিয়ে সুস্থভাবে সকলে রাজনীতি করতে পারে। তাই তৃণমূলের ভয়ের কিছু নেই। বিজেপি, তৃণমূলের কনভয় শান্তিপূর্ণভাবে যেতে সাহায্য করবে। কিন্তু এরাজ্যে আমাদের কর্মসূচি করতে কোর্টে যেতে হয়। দিল্লিতে কর্মসূচি করতে তৃণমূলকে কোর্টে যেতে হচ্ছে না। এটাই পার্থক্য।”

    ট্রেন-বিমান বাতিল প্রসঙ্গে কী বললেন?

    বিজেপি তৃণমূলের ট্রেন-বিমান বাতিল করেনি। বাতিল নিয়ে তৃণমূল মিথ্যা অভিযোগ করছে বলে জানান সুকান্ত মজুমদার। শিলিগুড়িতে (Siliguri) তিনি বলেন, “বিমান প্রাইভেট সেক্টর চালায়, কেন্দ্র সরকার চালায় না। কাজেই প্রাইভেট সেক্টর এয়ার এশিয়া কেন বিমান বাতিল করেছে, সেটা বিমান সংস্থাই বলতে পারবে। ট্রেন বাতিল করা হয়েছে বলা হচ্ছে, কিন্তু আদৌ কি ট্রেন বুক করা হয়েছিল? সব কিছুরই একটা নির্দিষ্ট পদ্ধতি আছে। ট্রেনের জন্য আবেদন করেছিল, আর আবেদন করলেই ট্রেন বুক করা হয় না। তৃণমূলের এত কান্নাকাটি করার কী আছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে দুটো চার্টার্ড প্লেন ভাড়া নেওয়া আছে। প্রতি মাসে তার জন্য সরকারের টাকা যায়। সেই প্লেনে লোক ভরে ভরে নিয়ে যাক।

    হিসেব না দিলে কেন্দ্র টাকা দেবে না

    মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন পরিকাঠামো উন্নয়নের টাকা পেতে গেলে বিগত বছরের টাকার হিসেব ক্লাবগুলিকে দিতে হবে। এপ্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত শিলিগুড়ি (Siliguri) থেকে বলেন, “ক্লাবগুলিকে মদ মাংস খাইয়ে, তৃণমূলকে ভোট দেওয়ার জন্য টাকা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানতেন, এই টাকায় কাজ করবে না ক্লাবগুলি। রাজ্যের ভাঁড়ার শূন্য। তাই এখন বলছেন, হিসেব না দেওয়ার জন্য ক্লাবকে টাকা দেবেন না। এটাই তো নিয়ম হওয়া দরকার। ঠিক একই কারণে বিভিন্ন প্রকল্পে হিসেব না দেওয়ার জন্য রাজ্যকে টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: “পশ্চিমবঙ্গ থেকে চোরেদের লিডার দিল্লি যাচ্ছেন” অভিষেককে তীব্র আক্রমণ সুকান্তর

    Murshidabad: “পশ্চিমবঙ্গ থেকে চোরেদের লিডার দিল্লি যাচ্ছেন” অভিষেককে তীব্র আক্রমণ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ ভারতীয় জনতা পার্টির মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলা কার্যালয় উদ্বোধন করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। উদ্বোধনের পর তিনি বললেন যে নসিপুর-আজিমগঞ্জ রেল ব্রিজ চালু হয়ে গেলে মুর্শিদাবাদ পর্যটক কেন্দ্রের আদর্শ স্থানে পরিণত হবে। সেই সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে, তৃণমূলের দিল্লি যাত্রাকে নিশানা করে বলেন, “পশ্চিমবঙ্গ থেকে চোরেদের লিডার দিল্লি যাচ্ছেন।”

    জেলা কার্যালয় উদ্বোধন (Murshidabad)

    সুকান্ত মজুমদার বহরমপুর (Murshidabad) থেকে লালবাগ রেজিস্ট্রি অফিসের সামনে এসে গাড়ি থেকে নেমে, পায়ে হেঁটে লালবাগ সিরাজদৌলা রোড সংলগ্ন মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলা কার্যালয় গিয়ে ফিতে কেটে, প্রদীপ প্রজ্জলন করে জেলার সাংগঠনিক জেলা কার্যালয় উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের পর সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন যে আপনারা জানেন বহরমপুর এবং মুর্শিদাবাদ এই দুটি লোকসভা কেন্দ্র, তাই সাংগঠনিক ভাবে একসাথে ছিল। কিন্তু পরে সাংগঠনিক ভাবে আলাদা জেলার সিদ্ধান্তের কথা আগেই ঘোষণা হয়েছে। জঙ্গিপুর নিয়ে এই জেলায় বিজেপির সংগঠনিক জেলা মোট তিনটি। ফলে বিজেপি আরও শক্তিশালী হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন। 

    মুর্শিদাবাদের উন্নয়ন নিয়ে কী বললেন?

    মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) এই দিন সুকান্ত মজুমদার বলেন, মাননীয় নরেন্দ্র মোদিজির নেতৃত্বে সব জায়গার উন্নতি হচ্ছে কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ একটু কম হচ্ছে। তার কারণ, এখানে স্পিড ব্রেকার মুখ্যমন্ত্রী রয়েছেন। এখানে উন্নয়ন করার জন্য জমি পাওয়া যায় না, তার মধ্যেও আমরা নসিপুর ব্রিজ এবং তার প্রস্তাবিত লাইন সেটা সম্পূর্ণ করেছি। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই এই ট্রেন রুট চালু করা হবে। মুর্শিদাবাদ স্টেশন এবং আজিমগঞ্জ স্টেশন এই দুটি স্টেশন অমৃত ভারত প্রকল্পে স্থান পেয়েছে । এখানে আমাদের সাংসদ নেই কিন্তু কোনরকম বৈমাত্রিক সুলভ আচরণ করিনা, কেন্দ্রীয় সরকার সব জায়গাকে সমান চোখে দেখছেন। আর তার উদাহরণ হচ্ছে এই জেলা। কিছুদিনের মধ্যেই নসিপুর-আজিমগঞ্জ রেল ব্রিজ চালু হয়ে গেলে, মুর্শিদাবাদ পর্যটকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে।

    তৃণমূলের দিল্লি যাত্রা নিয়ে কী বললেন?

    মুর্শিদাবাদ থেকে (Murshidabad) তৃণমূলের দিল্লি যাত্রা সম্পর্কে সুকান্ত বলেন, “একশ দিনের টাকা হোক বা আবাস যোজনার টাকা হোক, যারা চুরি করতো তারাই দিল্লি যাচ্ছে।” তিনি এ বিষয়ে সাধারণ মানুষকে সাবধান করে বলেন, “পশ্চিমবঙ্গ থেকে চোরেদের লিডার দিল্লি যাচ্ছেন। বাড়িঘর তালা মেরে সাবধানে রাখবেন, না হলে চুরি হয়ে যেতে পারে। ইডি শুধু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমন করেনি, লিপস এন্ড বাউন্স কোম্পানিতে যাঁরা দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন, সিইও ছিলেন এবং ওনার বাবা-মাকেও সমন করেছে । আপনি চুরি করবেন আর বেঁচে যাবেন, এটা নরেন্দ্র মোদির আমলে হবে না। চুরি করলে অবশ্যই তার শাস্তি ভোগ করতে হবে।”

    কর্ণসুবর্ণতে আমার মাটি আমারদেশ

    সুকান্ত মজুমদার শশাঙ্কের রাজধানী কর্ণসুবর্ণতে (Murshidabad) আমার দেশ আমার মাটি কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। বিকেল ৩ টের সময় বহরমপুর টেক্সটাইল মোড়ে বিজেপির জনসভায় যোগদান করেন। এছাড়াও সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন, রাজ্য বিজেপির সম্পাদক তথা মুর্শিদাবাদ বিধানসভার বিধায়ক গৌরীশঙ্কর ঘোষ, রাজ্য কমিটির সদস্য দীপঙ্কর চৌধুরী, সাংগঠনিক মুর্শিদাবাদ জেলার সভাপতি সৌমেন মন্ডল এবং বহরমপুর বিধানসভার বিধায়ক সুব্রত মৈত্র এবং কেন্দ্রীয় হজ কমিটির সদস্যা মাফুজা খাতুন উপস্থিতিতে সাংগঠনিক মুর্শিদাবাদ জেলার কার্য্যালয়ের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: তৃণমূলের দিল্লি অভিযানে ভাড়া খেটে কিছু লোকের রোজগার হবে! কটাক্ষ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: তৃণমূলের দিল্লি অভিযানে ভাড়া খেটে কিছু লোকের রোজগার হবে! কটাক্ষ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অমৃত উদ্যান প্রকল্পে মাটি সংগ্রহ করতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি ও সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) গেলেন মহাভারতের বাংলা অনুবাদক কাশীরাম দাসের বাড়িতে। প্রথমে কাশীরাম দাসের মূর্তিতে মাল্যদান করেন তিনি। এরপর কাটোয়ার কাশীরাম দাসের ভিটে থেকে মাটি সংগ্রহ করেন। এদিন সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি।

    রাজভবনে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী

    রাজভবনে এবার থেকে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী থাকবে, রাজ্য পুলিশ থাকবে না। এই সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরে তিনি (Sukanta Majumdar) বলেন, রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান রাজ্যপাল। রাজ্যপালের রাজভবন কেন্দ্রীয় বাহিনী পাহারা দেবে না রাজ্য পুলিশ পাহারা দেবে, তাতে রাজ্য সরকারের কোনও ভূমিকা নেই। রাজ্যপাল যেটা ঠিক করবেন, তাই হবে। রাজ্য সরকারের পুলিশের উপর সাধারণ মানুষ ভরসা করতে পারছে না। মুখ্যমন্ত্রী যেখানে ভরসা করতে পারছেন না, সেখানে রাজ্যপাল কী করে ভরসা করবেন। প্রসঙ্গত, রাজভবন এবার থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী পাহারা দেবে, এমনটাই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

    বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ’র বিরুদ্ধে পোস্টার

    আজ সকালে বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটিতে বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ’র বিরুদ্ধে একটি পোস্টার পড়ে। যেখানে লেখা রয়েছে, অর্থের বিনিময়ে প্রার্থী বাছাই করা হয়েছে। এই সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরে তিনি (Sukanta Majumdar) বলেন, এই পোস্টার তৃণমূলের তরফ থেকেই মারা হয়েছে। তাছাড়া অন্য কেউ এই কাজ করবে না বলেই সুকান্তবাবুর মত। সুতরাং এই কাজ কে করেছে বা কারা করেছে, খোঁজ করার বিষয় নেই, এরকম হতেই পারে না।

    মিছিলে শুভেন্দু ও কংগ্রেসের কৌস্তুভ 

    গতকাল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও কংগ্রেসের কৌস্তুভ বাগচী একসঙ্গে বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের নিয়ে মিছিল করেন। সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ওই মিছিলটি ছিল অরাজনৈতিক। তাই মিছিলে হাঁটতেই পারেন। তৃণমূল ও সিপিএমের উচিত ওই মিছিলে হাঁটা। এই কথা বলতে গিয়ে তিনি কৌস্তুভ বাগচীকে বিক্ষুব্ধ কংগ্রেস নেতা বলাতে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, তাহলে কৌস্তুভ বাগচী কি বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন? উত্তরে তিনি (Sukanta Majumdar) বলেন, উনি বিজেপিতে আসবেন কিনা, সেটা ওনাকে ঠিক করতে হবে। আমরা ওনাকে বিজেপিতে নেব কিনা, এটা আমাদের ঠিক করতে হবে। আগে ওনাকে ভাবতে বলুন উনি বিজেপিতে আসবেন কিনা, তারপর আমরা ভাববো।

    তৃণমূলের দিল্লি অভিযান

    তৃণমূলের তরফ থেকে ১০ হাজার লোক নিয়ে দিল্লি অভিযান। কী বলবেন? সুকান্তবাবু (Sukanta Majumdar) বলেন, লোক ভাড়া করে পার ডে ৫০০ টাকা করে দিয়ে গোয়াতে লোক নিয়ে গেছে। এখন রেট বাড়িয়ে ৫০০ টাকার জায়গায় ৭০০ করবে। তাতে বিজেপির কোনও আপত্তি নেই। দিল্লিতে ভাড়ায় নিয়ে গিয়ে কিছু লোকের যদি রোজগার হয়, এতে আপনার আমার হিংসা করা উচিত নয়। রাজ্যে চাকরিও নেই, কোন কাজও নেই। কিছু লোকের রোজগার হবে, এতে আপত্তির কিছু নেই। লোকের দুটো ভাত জুটবে পেটে।

    বিচারপতি বদলি

    বিচারপতি অর্পণ চট্টোপাধ্যায়কে অবিলম্বে বদলি করার নির্দেশের ব্যাপারে তিনি (Sukanta Majumdar) বলেন, নিশ্চয়ই বিচারপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, সেগুলি আদালত দেখেছেন। এর মধ্যে নিশ্চয়ই সত্যতা আছে। বিচার ব্যবস্থার হয়তো উনি নিরপেক্ষতা রাখতে পারেননি। আমাদের কিছু বলার নেই। আমরা একে স্বাগত জানাবো।

    এরপর সিঙ্গি গ্রামের আরও পাঁচটি বাড়ি থেকে মাটি সংগ্রহ করে কাটোয়ার কুড়ি নম্বর ওয়ার্ডের পাঁচটি বাড়ি থেকে মাটি সংগ্রহ করেন অমৃত উদ্যানের জন্য। বিকেল চারটে কাটোয়া সংলগ্ন পানুহাট মাঠে জনসভা করেন তিনি। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: দক্ষিণ দিনাজপুরে প্লাবিত এলাকায় দুর্গতদের পাশে দাঁড়ালেন সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: দক্ষিণ দিনাজপুরে প্লাবিত এলাকায় দুর্গতদের পাশে দাঁড়ালেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্লাবিত এলাকা পরিদর্শন করতে মঙ্গলবার দক্ষিণ দিনাজপুরের বুনিয়াদপুর ও হরিরামপুর ব্লকের ৬ নম্বর বাগিচাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উখলি এলাকা পরিদর্শন করলেন বালুরঘাটের সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এদিন প্লাবিত এলাকায় জলের মধ্যে হেঁটে হেঁটে এলাকার দুর্গতদের সঙ্গে কথা বলেন। পাশাপাশি দুর্গতদের সাহায্যেরও আশ্বাস দেন তিনি।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    টানা বৃষ্টির জেরে জল ঢুকে যাওয়ায় হরিরামপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র বন্ধ ছিল। হাসপাতালের রোগীদের স্থানীয় একটি হাইস্কুলে স্থানান্তরিত করা হয়। বিষয়টি জানার পর সেখানে যান বিজেপি সাংসদ (Sukanta Majumdar)। গত চারদিনের অঝোরে বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায়। দক্ষিণ দিনাজপুরের হরিরামপুর কুশমন্ডি ও গঙ্গারামপুর সহ বিভিন্ন ব্লকের ১৯৫ মিলিমিটার রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টি হয়। জল ঢুকে যায় হরিরামপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র সহ জেলার বিভিন্ন ব্লকে। তড়িঘড়ি রোগীদের স্থানান্তরিত করা হয় স্থানীয় একটি হাইস্কুলের বিল্ডিংয়ে। এখন অবশ্য জল নেমে গেছে। মঙ্গলবার হরিরামপুরের সেই প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র ঘুরে দেখেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মোট সাড়ে চার হাজার লোক ফ্লাড সেন্টারগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে। এই বিষয়ে প্লাবিত এলাকার বাসিন্দারা বলেন, আমরা গত দুইদিন ধরে জলের মধ্যে থাকছি। আবার কিছু পরিবার অন্য কোথাও গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। প্রশাসন থেকে কোনও সুযোগ সুবিধা আমরা পাইনি। জলের স্রোতে আমাদের ঘর বাড়ি ভেঙে গিয়েছে। বিজেপি সাংসদকে কাছে পেয়ে দুর্গতরা সাহায্য চান।

    কী বললেন সুকান্ত? (Sukanta Majumdar)

    এই বিষয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, ভগবানের অশেষ কৃপা সোমবার থেকে আর বৃষ্টি হচ্ছে না। বৃষ্টি হলে  জেলাতে যে বন্যার পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করত। প্রত্যেক বছর ভারী বৃষ্টি হলে বন্যার সৃষ্টি হয়। কিন্তু, প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগে ভাগে বন্যা মোকাবিলার কোনও ব্যাবস্থা নেওয়া হয় না। সেই কারণে জেলার হরিরামপুর, বুনিয়াদপুর সহ বিভিন্ন ব্লকে বন্যার সৃষ্টি হয়। যার ফলে সমস্যায় পড়তে হয় এই সব ব্লকের বাসিন্দাদের। আমি খবর পেয়ে বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করলাম। আমার যতটুকু সাধ্য আমি দুর্গতদের সাহায্যে করলাম।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share