Tag: Sukanta Majumdar

Sukanta Majumdar

  • Suvendu Adhikari: “আমাদের প্রত্যেকের গর্বের সঙ্গে বলা উচিত, আমরা হিন্দু”, বললেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: “আমাদের প্রত্যেকের গর্বের সঙ্গে বলা উচিত, আমরা হিন্দু”, বললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমাদের প্রত্যেকের গর্বের সঙ্গে বলা উচিত, আমরা হিন্দু।” স্বামী বিবেকানন্দের (Swami Vivekananda) ১৬৩তম জন্ম বার্ষিকীতে তাঁর পৈত্রিক ভিটে শিমলা স্ট্রিটে গিয়ে কথাগুলি বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)

    স্বামী বিবেকানন্দকে শ্রদ্ধা জানিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “আমি এখানে প্রায় ৩০ বছর আসছি। গোটা দেশ, বিশেষত বাংলা তাঁর জন্মবার্ষিকী পালন করেন। এদিন যখন তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করি, তখন আমাদের প্রত্যেকের গর্বের সঙ্গে বলা উচিত, আমরা হিন্দু। সনাতন ধর্মকে রক্ষা করতে জীব সেবা করার মাধ্যমে আমরা শিবের সেবা করি। ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে সবার সেবা করার শিক্ষা আমাদের দিয়েছেন স্বামীজি।” স্বামীজির পৈত্রিক ভিটেয় গিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারও। তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে স্বামী বিবেকানন্দের আদর্শে ভারত এগিয়ে চলেছে (Suvendu Adhikari)।”

    ভারতীয়দের ধমনীতে রয়েছে স্বামীজির আদর্শ

    এদিন সকালে মিছিল করে শিমলা স্ট্রিটে যান শুভেন্দু, ইন্দ্রনীল খাঁ-সহ এক ঝাঁক বিজেপি নেতা-কর্মী। শুভেন্দু প্রথমে স্বামীজির প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করে করেন। তিনি বলেন, “ছাত্রাবস্থা থেকে আমি এখানে এসেছি। কাউন্সিলর, বিধায়ক, সাংসদ হিসেবে এখানে এসেছি। বাড়িটির (স্বামীজির পৈত্রিক ভিটের) অন্দরের সংস্কারের কাজে ও কিছু নির্মাণের কাজে আমি কিছু অনুদানও দিয়েছি।” রাজ্যের বিরোধী দলনেতা জানান, স্বামীজিরা তাঁকে এই অনুমতি দেওয়ায় তিনি খুশি। শুভেন্দু বলেন, “ভারতীয়দের ধমনীতে রয়েছে হিন্দু ও স্বামীজির আদর্শবাদ।” তিনি বলেন, “আমার শিমলা স্ট্রিটে শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের সঙ্গে রাজনীতির যোগ নেই। ফলে এটি নিয়ে রাজনৈতিক খোঁচা দেওয়ার কারণ নেই।”

    আরও পড়ুন: নানা অছিলায় কুম্ভমেলায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল ব্রিটিশরা, জানুন অজানা কাহিনি

    এদিকে, এদিন স্বামীজিকে ‘ক্যাশ’ করার সুযোগ ছাড়েনি তুষ্টিকরণের রাজনীতিতে অভিযুক্ত তৃণমূল। গোলপার্ক থেকে হাজরা মোড় পর্যন্ত মিছিল করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। মিছিলে ভিড় জমাতে কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি জেলায় দলীয় স্তরে বার্তা পাঠিয়েছিল তৃণমূল। ওই বার্তায় বলা হয়েছিল, ১২ জানুয়ারির মিছিলে উপস্থিতি বাধ্যতামূলক (Suvendu Adhikari)। রাজনৈতিক মহলের মতে, তৃণমূলের গায়ে লেগেছে মুসলমান তোষণের অভিযোগের কালি। সেই কলঙ্ক মুছতেই যাবতীয় আয়োজন তৃণমূল নেতৃত্বের (Swami Vivekananda)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: তাঁর ছবি ব্যবহার করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো পোস্ট, পুলিশে নালিশ জানালেন সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: তাঁর ছবি ব্যবহার করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো পোস্ট, পুলিশে নালিশ জানালেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালুরঘাটের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) ছবি লাগিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো পোস্ট করার অভিযোগ। এই ঘটনা জানাজানি হতেই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা জুড়ে শোরগোল পড়ে যায়। বিষয়টি নজরে আসে খোদ বিজেপির রাজ্য সভাপতির। তিনি এই বিষয়ে পদক্ষেপ করার জন্য জেলা সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Sukanta Majumdar)

    বেসরকারি লোন দানকারী সংস্থার বিজ্ঞাপনে বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) ছবি দেওয়া রয়েছে। সেখানে বড় বড় হরফে লেখা রয়েছে সুদ ছাড়াই ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত লোন দেওয়া হচ্ছে মা, বোনেদের। আর এই ছবি সোমবার সকাল থেকে বিভিন্ন সমাজমাধ্যমে দেখা মিলতেই নড়েচড়ে বসেছে বিজেপির আইটি সেল। সুকান্ত মজুমদারের অ্যাসিস্ট্যান্ট পার্সোনাল সেক্রেটারি বিষয়টি প্রথমে নজরে আনেন। আর তারপরই লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন সুকান্তবাবু। রাজনৈতিক কাজে এই মুহূর্তে জেলার বাইরে রয়েছেন তিনি। সেখান থেকেই জেলা পুলিশ সুপারের কাছে তিনি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর নাম ও ছবি অনুমতি ছাড়াই কেন ওই ঋণদানকারী সংস্থা ব্যবহার করছে তা জানতে চান। পুলিশকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানান তিনি।

    আরও পড়ুন: বন্দি বিনিময় দুই দেশের, ভারতের ৯৫ জন, বাংলাদেশের ৯০ মৎস্যজীবী ফিরছেন ঘরে

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কী বললেন?

    এই বিষয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar) তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার বলেন,“আমি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পারি যে আমার ছবি অবৈধভাবে ব্যবহার করে একটি অ্যাপে ঋণ দেওয়ার একটি প্রকল্পের প্রচার করা হচ্ছিল। আমি দেখেছি ওই অ্যাপগুলোতে শুধু আমি নই, দেশের বহু মুখ্যমন্ত্রী ও বিভিন্ন মন্ত্রীদের ছবি নিয়ে তারা এইরকম অপপ্রচার করছে। তারা কম সুদে লোন দেবার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। আমি এই বিষয়ে নিয়ে অভিযোগ করেছি। আমি আশা করছি পুলিশ এই ঘটনার সঠিক তদন্ত করবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • West Bengal: মাস্টারদার পুরো নাম ‘পুসপারাজ’ লিখল পড়ুয়া, রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থাকে তীব্র আক্রমণ সুকান্তর

    West Bengal: মাস্টারদার পুরো নাম ‘পুসপারাজ’ লিখল পড়ুয়া, রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থাকে তীব্র আক্রমণ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা সংলগ্ন স্কুলের (West Bengal) ষষ্ঠ শ্রেণির পরীক্ষায় প্রশ্ন এসেছিল ‘মাস্টারদার পুরো নাম কী?’ উত্তর দেখে চক্ষু চরকগাছ। মাস্টারদা সূর্য সেনের বদলে উত্তর লেখা রয়েছে ‘পুসপারাজ’। ‘পুষ্পা’ বানানটিও ঠিকমতো জানে না ওই পড়ুয়া। নিয়োগ দুর্নীতির ফল একেবারে হাতেনাতে পাওয়া যাচ্ছে, এমনটাই বলছেন কেউ কেউ। মমতা জমানায় কীভাবে তৈরি হচ্ছে জাতির মেরুদণ্ড? তার প্রমাণ মিলেছে এমন খাতাতে। এমনটাও বলছেন কেউ কেউ। 

    তোপ সুকান্ত মজুমদারের (West Bengal)

    এনিয়ে তোপ দেগেছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী তথা রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। কটাক্ষ (West Bengal) করে তিনি বলেন, “শিক্ষকরা যদি রাস্তায় থাকেন, আন্দোলন করতে বাধ্য হন, তাহলে এরকমই হবে। কোনও দিন পড়ুয়ারা মাস্টারদাকে ‘কেষ্টদা’ না ডেকে বসে।” প্রসঙ্গত, ক্লাসরুমের বেহাল দশা, শিক্ষকের অভাবের অভিযোগও সামনে আসে। এমন উত্তরপত্র সামনে আসতেই বোঝা গেল পড়ুয়াদের অবস্থা ঠিক কেমন? আদৌ কতটা পড়াশোনা হচ্ছে তাদের? এমন প্রশ্নও উঠছে।

    এক পড়ুয়া আবার বাবা-মায়ের ঝগড়া লিখেছে 

    তবে এখানেই শেষ নয়। নিজের ভ্রমণের অভিজ্ঞতা লিখতে গিয়ে এক পড়ুয়া বাবা-মায়ের মধ্যে কবে ঝগড়া হিয়েছিল, সেই গল্প লিখে দিয়েছে। এধরনের ঘটনা আসলে সামনে আনছে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার (West Bengal) বেহাল দশাকে। রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহানন্দা কাঞ্জিলালের দাবি, ট্যাব দিয়ে শিক্ষার মান উন্নত করা যায় না। তিনি বলেন, ‘‘একজন শিক্ষিকা হিসেবে এগুলো দেখতে কষ্ট হয়। পরিকাঠামো উন্নয়ন দরকার। মিড ডে মিলেরও টাকা বাড়াতে হবে। তবেই সব ঠিক হবে।’’ অন্য এক শিক্ষাবিদের মতে, ‘‘এটা সামগ্রিক অবক্ষয়ের একটা চেহারা। গত এক দশকে শিক্ষক নিয়োগ সহ সব ক্ষেত্রেই খামতি রয়েছে। আর সেটা ধরা পড়ছে পড়াশোনার উপর। দিনের পর দিন যোগ্য শিক্ষকরা রাস্তায় আন্দোলনে নামতে বাধ্য হচ্ছেন, সেই কারণেই যা হওয়ার তাই হচ্ছে। পড়াশোনার ওপর প্রভাব পড়ছে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: রাজ্যে এলেন অমিত শাহ, দিনভর কোন কোন কর্মসূচিতে যোগ দেবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী?

    Amit Shah: রাজ্যে এলেন অমিত শাহ, দিনভর কোন কোন কর্মসূচিতে যোগ দেবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুদিনের সফরে শুক্রবার রাতেই পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) মাটিতে পা রাখলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। বৃহস্পতিবার ঠিক রাত ১০টা ১৫ মিনিট নাগাদ বাগডোগরা বিমানবন্দরে নামে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিশেষ বিমান। অমিত শাহকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে হাজির ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। একইসঙ্গে বিমানবন্দর উপস্থিত থাকতে দেখা যায় প্রাক্তন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিককেও। প্রসঙ্গত অমিত শাহের এই সফরে কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি হবে না বলেই জানা গিয়েছে। এবারের বঙ্গ সফরে তিনি সশস্ত্র সীমা বল বা এসএসবি-র অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। এরপরে ফের আজ শুক্রবার বিকালে বিশেষ বিমানে দিল্লির পথে রওনা হবেন শাহ।

    দুপুর একটা পর্যন্ত প্যারেড গ্রাউন্ডে চলবে সশস্ত্র সীমা বলের নানা অনুষ্ঠান

    বৃহস্পতিবার রাতে বাংলায় (West Bengal) এসে এসএসবি-র সদর দফতরেই ছিলেন অমিত শাহ (Amit Shah)। আর সকালে তিনি সেখান থেকেই যাবেন সশস্ত্র সীমা বলের প্যারেড গ্রাউন্ডে। প্রসঙ্গত, নেপাল এবং ভুটানে সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনী হল সশস্ত্র সীমাবল। আজ অর্থাৎ ২০ ডিসেম্বর সশস্ত্র সীমা বলের প্রতিষ্ঠা দিবস, সেই উপলক্ষে নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। সেখানেই যোগ দেবেন অমিত শাহ (Amit Shah)। দুপুর একটা পর্যন্ত প্যারেড গ্রাউন্ডে চলবে সশস্ত্র সীমা বলের নানা অনুষ্ঠান। এরপরে ফের অমিত শাহ এসএসবি-র সদর দফতরে ফিরে যাবেন। সেখানেই তাঁর মধ্যাহ্নভোজে সাড়ার কথা। সীমা সুরক্ষা বলের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকও করবেন শাহ।

    দুপুর ৩টে ১০ নাগাদ বাগডোগরা থেকে দিল্লির উদ্দেশে উড়ে যাবেন তিনি

    এরপর দুপুর ৩টে ১০ নাগাদ বাগডোগরা থেকে দিল্লির উদ্দেশে উড়ে যাবে অমিত শাহের (Amit Shah) বিশেষ বিমান। প্রসঙ্গত, এর আগে গত মাসের ২৭ নভেম্বর বেশ কয়েক ঘণ্টার জন্য বাংলার মাটিতে পা রেখেছিলেন অমিত শাহ। সেবার অবশ্য সরকারি অনুষ্ঠানের পাশাপাশি দলীয় কর্মসূচিতেও যোগ দিয়েছিলেন তিনি। তবে এবারে দলীয় কোনও কর্মসূচি হবে না বলেই জানানো হয়েছে। শুক্রবার বঙ্গ বিজেপির নেতাদের সঙ্গে অমিত শাহের আলোচনার কোন সম্ভাবনা নেই বলে জানা যাচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Firhad Hakim: “ওপরওয়ালার আশীর্বাদে একদিন আমরা সংখ্যাগুরু হব”, বললেন ফিরহাদ, তোপ দাগলেন সুকান্ত-মালব্য

    Firhad Hakim: “ওপরওয়ালার আশীর্বাদে একদিন আমরা সংখ্যাগুরু হব”, বললেন ফিরহাদ, তোপ দাগলেন সুকান্ত-মালব্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্ত বাংলাদেশ। সেখানে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর লাগামছাড়া অত্যাচার চলছে। বহু হিন্দু দেশ ছেড়ে সীমান্তে পেরিয়ে ভারতে এসে আশ্রয় নিচ্ছেন। এই আবহের মাঝে ভারতে মুসলিমকে সংখ্যাগুরু করার ডাক দিলেন তৃণমূলের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। একটি অনুষ্ঠানে তিনি রাজ্য ও দেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের শতাংশের হিসেব তুলে ধরেন। একইসঙ্গে বলেন, ওপরওয়ালার আশীর্বাদে একদিন সংখ্যাগুরু হবেন সংখ্যালঘুরা। যদিও তাঁর এই মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছে বিজেপি (BJP)।

    ঠিক কী বলেছেন ফিরহাদ?(Firhad Hakim)

    শনিবার ধনধান্য অডিটোরিয়ামে ‘ফিরহাদ ৩০’ নামে একটি অনুষ্ঠানে ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) বলেন, “বাংলায় আমরা ৩৩ শতাংশ। কিন্তু, দেশে আমরা ১৭ শতাংশ। আমাদের সংখ্যালঘু বলা হয়। কিন্তু, আমরা নিজেদের সংখ্যালঘু বলে মনে করি না। আমরা মনে করি, ওপরওয়ালার আশীর্বাদে একদিন আমরা সংখ্যাগুরুর চেয়েও সংখ্যাগুরু হতে পারি। ওপরওয়ালার আশীর্বাদে এটা আমরা হাসিল করব।”

    সরব বিজেপি

    ফিরহাদের (Firhad Hakim) মন্তব্যের নিন্দা করেছেন বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “সাম্প্রদায়িক কারা, এটা আর বলতে হবে না। পশ্চিমবঙ্গ যাতে পশ্চিম বাংলাদেশ হয়ে উঠতে না পারে, তার জন্য পদক্ষেপ করতে হবে।”

    বাংলাদেশের মতো পরিস্থিতি তৈরির ব্লুপ্রিন্ট!

    বিজেপির রাজ্য সম্পাদক সুকান্ত মজুমদারও তীব্র নিন্দা করেছেন ফিরহাদের এই মন্তব্যের। এক্স হ্যান্ডলে তিনি লেখেন, “এটা শুধু ঘৃণা ভাষণ নয়, ভারতে বাংলাদেশের মতো পরিস্থিতি তৈরির ব্লুপ্রিন্ট। ইন্ডি জোটের শরিকরা কেন চুপ? ফিরহাদের (Firhad Hakim) এই মন্তব্য নিয়ে তাঁদের মতামত জানানোর চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছি।”

    পরিস্থিতি উদ্বেগজনক!

    ফিরহাদ হাকিমের (Firhad Hakim) মন্তব্য দুর্ভাগ্যজনক বললেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান তথা বাংলায় বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ-পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য। এক্স হ্যান্ডলে তিনি লেখেন, “পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। কলকাতার বিস্তীর্ণ এলাকায় অনুপ্রবেশকারীর সংখ্যা বাড়ছে। ফিরহাদ হাকিমের মন্তব্য অনুপ্রবেশে উৎসাহ দেবে।”

    নিন্দা করেছে অখিল ভারতীয় সন্ত সমিতি

    ফিরহাদের (Firhad Hakim) মন্তব্য নিয়ে মেরুকরণের রাজনীতির অভিযোগ তুললেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। কলকাতার মেয়র তথা পুরমন্ত্রীর মন্তব্যের নিন্দা করেছেন অখিল ভারতীয় সন্ত সমিতির প্রদেশ অধ্যক্ষ পরমাত্মানন্দজী। তিনি বলেন, “কাণ্ডজ্ঞানহীন মন্তব্য। এরকম একটা পদে থেকে এরকম মন্তব্য করা অনুচিত।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: “কলকাতা দখল কি হাতের মোয়া? পৃথিবীর চতুর্থ বৃহত্তম সেনা ভারতে”, মৌলবাদীদের তোপ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: “কলকাতা দখল কি হাতের মোয়া? পৃথিবীর চতুর্থ বৃহত্তম সেনা ভারতে”, মৌলবাদীদের তোপ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শান্তিতে নোবেল প্রাপক মহম্মদ ইউনূসের রাজত্বে সাড়া বাংলাদেশ (Bangladesh) এখন অশান্তির বাতাবরণে আচ্ছন্ন। প্রতিদিন সেখানে হিন্দুদের ওপর নিপীড়ন—অত্যাচার, লুট, মন্দির ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণ, খুন, দোকান লুটের ঘটনা ঘটেই চলেছে। অন্তর্বর্তী সরকারের আইনের কোনও শাসন নেই। পুলিশ এবং সেনা হিন্দুদের জীবন-সম্পত্তি রক্ষায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ। পাল্টা ভারতের মানুষ হিন্দু নির্যাতনের বিরুদ্ধে সরব হলে বাংলাদেশের মৌলবাদী জেহাদিরা ভারতের উপর আক্রমণ করার হুমকি দিতে শুরু করে। গোটা বাংলাদেশে কট্টরপন্থী জেহাদিরা যেমন দাপাদাপি করছে, সেই সঙ্গে আগামী চার দিনের মধ্যে ভারত দখল করার হুঁশিয়ারিও দিয়েছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) তীব্র তোপ দেগেছেন মৌলবাদীদের। তিনি ভারতীয় সেনার ব্যাপক প্রশংসা করে পাল্টা হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন।

    যারা হুমকি দিচ্ছে তারা কোনও সরকারি পদে নেই (Sukanta Majumdar)?

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার বাংলাদেশের হিন্দু নিধন নিয়ে আগেও সরব হয়েছিলেন। মহম্মদ ইউনূস যে পাকিস্তানের সুরে কথা বলেন তা প্রথমেই বলেছেন। তিনি বলেন, “বাংলাদেশের (Bangladesh) হিন্দুদের পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়ঙ্কর। যে পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশি হিন্দুরা যাচ্ছে সেটা আমাদের জন্য হৃদয় বিদারক। তবে বাংলাদেশ থেকে যারা হুমকি দিচ্ছে তারা কোনও সরকারি পদে নেই। ফলে তাদের কোনও ক্ষমতাও নেই। চারদিনে কলকাতা দখল করার কথা বলছে! এটা কি হাতের মোয়া? কিছুই বোঝে না ওরা। বাংলাদেশ সেনার জন্য কলকাতার সিভিক ভলান্টিয়াররাই যথেষ্ট। তারাই আটকে দেবে ওদের।”

    ইসলামের ধর্মান্ধতা কোন জায়গায় পৌঁছাতে পারে, উদাহরণ বাংলাদেশ

    একইভাবে ভারতীয় সেনারা যথেষ্ট সক্ষম, তাই বাংলাদেশের (Bangladesh) মৌলবাদীদের পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে সুকান্ত আরও (Sukanta Majumdar) বলেন, “ভারতের সৈন্যশক্তি সম্পর্কে ওদের কোনও আইডিয়া নেই। পৃথিবীর চতুর্থ বৃহত্তম সেনা রয়েছে ভারতের হাতে। তবে ইসলামের ধর্মান্ধতা কোন জায়গায় পৌঁছাতে পারে তার উদাহরণ বাংলাদেশ। পশ্চিমবঙ্গের মানুষেরও সচেতন হওয়া দরকার।” উল্লেখ্য, শনিবার ঢাকায় বাংলাদেশ তিসরাই ইনসাফ পার্টির নেতা মিনাজ ভারত দখলের স্লোগান দিয়ে বলেছিলেন, “আমরা ইন্ডিয়ার কলকাতা, আগরতলা এবং সেভেন সিস্টার্স দখল করব। আমরা ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ দু’ দেশের মানচিত্রই নতুন করে আঁকব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: শুধু রাজনীতির ময়দানেই নয়, র‍্যাম্পে হেঁটে নজর কাড়লেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: শুধু রাজনীতির ময়দানেই নয়, র‍্যাম্পে হেঁটে নজর কাড়লেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজনীতির ময়দানে বিরোধীদের সব সময়েই প্রশ্নবাণে কাত করে থাকেন তিনি, এবার হাঁটছেন র‍্যাম্পে (Ramp Walking)! কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) র‍্যাম্পে হেঁটে নজর কেড়ে নিলেন দর্শকদের। কোনও প্রফেশনাল মডেল না হয়েও এদিন তাঁর হাঁটা এক অনন্য মাত্রা যোগ করেছে। প্রসঙ্গত তাঁর সঙ্গে ছিলেন আরেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপির সাংসদ জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। দুই মন্ত্রী উত্তর-পূর্ব ভারতের ঐতিহ্য এবং স্টাইলিশ জ্যাকেট পরে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বস্ত্রশিল্প এবং জিআই ট্যাগপ্রাপ্ত পণ্যগুলিকে প্রদর্শনের জন্য এই আয়োজন করা হয়েছিল এদিন।

    সাদা রঙের ব্লেজার (Sukanta Majumdar)

    রাজ্যের সাংসদ তথা দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) এখন রাজনীতির আঙ্গিনায় এক বিশেষ চরিত্র। তৃণমূলের দুর্নীতি থেকে তোষণ, সব অপকর্মের তীব্র সমালোচক তিনি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্ব এবং সেই সঙ্গে রাজ্য বিজেপির সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করতে তাঁর কর্মজীবন দারুণ ভাবে ব্যস্তময়। শনিবার নতুন দিল্লির ভারত মণ্ডপমে আয়োজিত অষ্টলক্ষ্মী মহোৎসবে ফ্যাশন শো (Ramp Walking)-তেই দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী র‍্যাম্পে হাঁটলেন। সুকান্তর এদিন পরনে পোশাক ছিল হালকা সাদা রঙের ব্লেজার, উপরে রুপলি সুতোর কাজ, গলায় লম্বা স্কার্ফ।

    “সুকান্তবাবুর সঙ্গে অনুষ্ঠানে যোগদান করতে পেরে গর্বিত”

    ভারতের ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতিকে তুলে ধরতে এই ফ্যাশন শোয়ের (Ramp Walking) আয়োজন করা হয়েছিল। এই অনুষ্ঠানে সামিল এবং র‍্যাম্পে হাঁটার অভিজ্ঞতার কথা বলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য (Sukanta Majumdar) সিন্ধিয়া বলেন, “সত্যই এই শো ভারতীয় সংস্কৃতি এবং উদ্ভাবনের একটি আদর্শ বিনিময়ের মাধ্যম। উত্তর-পূর্ব ভারতের পরম্পরাকে তুলে ধরতে ফ্যাশনের মাধ্যমে তুলে ধরতে দারুণ সময় কাটল। প্রত্যেক রাজ্যের নিজেস্ব শিল্পকে শিল্পীরা নিজের মতো করে তুলে ধরেছেন। আমার সহকর্মী সুকান্তবাবুর সঙ্গে অনুষ্ঠানে যোগদান করতে পেরে গর্বিত।” বিশ্বের দরবারে ভারতের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, কারুশিল্প তুলে ধরার প্রয়াস ছিল এই উৎসব। অসম, অরুণাচল প্রদেশ, মেঘালয়, মণিপুর, নাগাল্যান্ড, মিজ়োরাম, ত্রিপুরা এবং সিকিমের সৌন্দর্য ও বৈচিত্রকে প্রদর্শিত করা হয়েছিল।

    আরও পড়ুনঃ সাগরে সৃষ্টি হয়েছে নিম্নচাপ, রাজ্যে শীত উধাও হওয়ার পথে, ফের বৃষ্টির ইঙ্গিত

    উদ্বোধনী ভাষণ দেন মোদি

    নরেন্দ্র মোদি এদিন অনুষ্ঠানের উদ্বোধনের ভাষণ দিতে গিয়ে বলেন, “গত এক দশকে আমরা উত্তর-পূর্বে ভারতের উন্নয়নের যাত্রা দ্রুত লক্ষ্য করেছি। তবে এই যাত্রা খুব সহজ ছিল না। রাজ্যগুলিকে ভারতের উন্নয়নে সামিল করার জন্য আমরা সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়েছি। আমার বিশ্বাস আগামী দিনে মুম্বই, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই এবং হায়দরাবাদের মতো উত্তর-পূর্ব ভারতের গুয়াহাটি, শিলং, ইম্ফল, ইটানগর এবং আইজলেও উন্নয়নের মডেল প্রতিফলিত হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ৬১টি রেল প্রকল্প নিয়ে অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গে সাক্ষাৎ সুকান্তর, কী বার্তা দিলেন রাজ্যকে?

    Sukanta Majumdar: ৬১টি রেল প্রকল্প নিয়ে অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গে সাক্ষাৎ সুকান্তর, কী বার্তা দিলেন রাজ্যকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালুরঘাটে পিট ও সিক লাইনের কাজ প্রায় শেষের দিকে আসতেই, দূরপাল্লার ট্রেন চালু নিয়ে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের (Ashwini Vaishnav) দ্বারস্থ হলেন বালুরঘাটের (Balurghat) সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় শিক্ষা ও উত্তর পূর্ব উন্নয়ন দফতরে প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গে দেখা করে রাজ্যের ৬১টি রেল প্রকল্পের দ্রুত বাস্তবায়ন এবং আগামী দিনে রাজ্যের রেল-মানচিত্রে কী কী নতুন কাজ করা যায়, তা নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সুকান্ত মজুমদার। একইসঙ্গে রেল প্রকল্প বাস্তবায়িত করার জন্য রাজ্য সরকারকে বার্তা দিয়ে তিনি বলেছেন, ‘‘উন্নয়নের স্বার্থে, রাজ্যের সামগ্রিক উন্নয়নের প্রশ্নে কোনও রাজনীতি হওয়া উচিত নয়!’’

    কী কী বিষয় নিয়ে কথা হল? (Sukanta Majumdar)

    রেলমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে বালুরঘাট থেকে বেঙ্গালুরু এবং বালুরঘাট থেকে গুয়াহাটি জোড়া ট্রেনের দাবি জানিয়েছেন সুকান্ত মজুমদার। শুধু তাই নয়, কথা হয়েছে বালুরঘাট-হিলি রেল প্রকল্প, বুনিয়াদপুর-কালিয়াগঞ্জ রেল প্রকল্পের কাজ, গঙ্গারামপুর রেলস্টেশনকে অমৃত ভারতের আওতায় আনা, রামপুরে শিলিগুড়ি ইন্টারসিটির দাঁড়ানো এবং হাওড়া ও তেভাগা দৌলতপুর রেল স্টেশনে দাঁড়ানো সহ জেলার রেল পরিকাঠামো উন্নয়ন সংক্রান্ত নানা দাবি লিখিতভাবে রেলমন্ত্রীকে জানিয়েছেন তিনি।

    আরও পড়ুন: চলছে হিন্দু নির্যাতন, ঢাকায় যাচ্ছেন ভারতের বিদেশ সচিব, সুর নরম বাংলাদেশের

    রাজ্যকে কী বার্তা দিলেন সুকান্ত?

    রাজ্যের ৬১টি রেল প্রকল্প, যার মধ্যে দক্ষিণ দিনাজপুরের একাধিক রেল প্রকল্পও যুক্ত রয়েছে, সেই সমস্ত রেল প্রকল্পগুলির বাস্তব রূপায়ণের বিষয় নিয়ে সুকান্ত মজুমদার কথা বলেছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গে। রেলমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে বালুরঘাটের সঙ্গে দেশের অন্যান্য প্রান্তের যোগাযোগ বাড়ানোর জন্য লিখিত অনুরোধপত্রও এদিন জমা দিলেন সুকান্ত। আর এই সব রেল প্রকল্পের বাস্তবায়নের সূত্রেই রাজ্য সরকারের সাহায্যে প্রার্থনা করলেন তিনি। সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, ‘‘রাজ্য সরকারের অসহযোগিতার কারণে ৬১টির মতো প্রকল্প আটকে রয়েছে। আমরা সেই প্রকল্পগুলিকে দ্রুত কার্যকরী করতে চাইছি। পাশাপাশি উন্নয়নের স্বার্থে রাজ্য সরকারের সহযোগিতা কামনা করছি। উন্নয়নের স্বার্থে রাজনীতি করা ঠিক নয়।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘‘প্রিন্স অফ ক্যামাক স্ট্রিটের” সঙ্গে ঘনিষ্ঠ বলেই কি পুলিশের রদবদল? বিস্ফোরক সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: ‘‘প্রিন্স অফ ক্যামাক স্ট্রিটের” সঙ্গে ঘনিষ্ঠ বলেই কি পুলিশের রদবদল? বিস্ফোরক সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য পুলিশে বড় রদবদল। সরিয়ে দেওয়া হয়েছে গোয়েন্দা প্রধান রাজাশেখরনকে। কলকাতা পুলিশে একাধিক রদবদল হচ্ছে। হাওড়া পুলিশেও এই বদলির ইস্যু বাদ পড়েনি। রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে বড় দাবি করেছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। শাসক দলের অন্দরে কোন্দল কতটা রয়েছে তা তিনি এই বদলি ঘটনাতেই স্পষ্ট বলে জানিয়ে দিলেন।

    কী বললেন সুকান্ত মজুমদার? (Sukanta Majumdar)

    বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুদার (Sukanta Majumdar) নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করলেন, আর তুলে ধরলেন রাজনৈতিক তত্ত্ব। রাজ্য পুলিশের রদবদলের নির্দেশিকার পরই সুকান্ত লিখলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শেষ কয়েকটি সিদ্ধান্তে বোঝা যাচ্ছে তৃণমূল অন্দরে ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুর পরিবর্তন হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, ‘‘আরজি করের ঘটনার তদন্তে নেমে সরকারের পুলিশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি আনুগত্য দেখানোর সীমা লঙ্ঘন করেছিল। তারপরও তৃণমূল কংগ্রেস নিয়ন্ত্রিত পুলিশ একাধিক সমালোচনার মুখে পড়ে। কারণ তারা দলের নেতা এবং কাউন্সিলরদের সুরক্ষা দিতে পারেনি। তাই অজানা কিছু শক্তির চাপেই রদবদল হল।”

    ‘‘প্রিন্স অফ ক্যামাক স্ট্রিটের” সঙ্গে ঘনিষ্ঠ বলেই পুলিশের রদবদল

    সম্প্রতি, নবান্ন সভাঘরের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্য পুলিশ ও সিআইডি-র একাংশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন। সেদিনই ডিজি-কে বলে দিয়েছিলেন, শীঘ্রই তিনি সিআইডি-তে বদল আনবেন। তারপরই এদিন রাজ্য পুলিশে বদলের নির্দেশিকা। সব থেকে উল্লেখ্যযোগ্য চারটে পদে বদল। সরিয়ে দেওয়া হল গোয়েন্দা প্রধানকেই। আর এই ইস্যুতে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না করে  বলেন, ‘‘প্রিন্স অফ ক্যামাক স্ট্রিটের প্রভাবে পুলিশ ফোর্স এতদিন বিরোধীদের কণ্ঠস্বর দাবিয়ে রাখত। প্রিন্সের ঘনিষ্ঠ পুলিশ আধিকারিকের বদলি এটা বুঝিয়ে দিল মুখ্যমন্ত্রী এখন গোটাটাই একা হাতে নিয়ন্ত্রণ করবেন। প্রশাসন ও দল দুটোই।’’ সুকান্ত খোঁচা দিয়ে লিখলেন, ‘‘এরপরও বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের অন্তর্দ্বন্দ্ব আর কতটা প্রতীয়মান হবে?’’

    মমতাকে তোপ

    বেলডাঙ্গা, শ্যামপুর, রাজাবাজারের অশান্তির ঘটনা নিয়েও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারকে আক্রমণ করেছেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) । তাঁর অভিযোগ, তোষণের রাজনীতি করতে গিয়ে সীমা ছাড়িয়ে ফেলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই এইসব জায়গার অশান্তির ঘটনা তাঁর চোখে পড়ে না। শাসক দলের হয়ে কু-কাজ করা নেতাদের সুরক্ষা না দিতে পারায় পুলিশের বদলি হচ্ছে। সাধারণ মানুষ আক্রান্ত হলে সরকার চুপ। সুকান্ত মজুমদারের প্রশ্ন, এটাই কি গণতন্ত্রের ছবি?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘‘বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর যে  নির্যাতন চলছে, তা মানবতাবিরোধী’’, বললেন সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: ‘‘বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর যে নির্যাতন চলছে, তা মানবতাবিরোধী’’, বললেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘স্থলবন্দর পরিদর্শন করে বিএসএফের কাছ থেকে খবর নিয়েছি, ওপারের অবস্থা ভালো নয়। ভারত সরকার শুধুমাত্র মেডিক্যাল ভিসা দিচ্ছে। যে কারণে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ৫০০ জন যাত্রীর জায়গায় ১৫০ জন পারাপার করছেন। ভারত সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে যে পরামর্শ বিএসএফকে দেওয়ার, সেটাই দেওয়া হয়েছে।’’ হিলি স্থলবন্দর ঘুরে দেখার পর এমনই মন্তব্য করলেন উত্তর- পূর্ব উন্নয়ন মন্ত্রকের মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।

    স্থলবন্দর পরিদর্শনে বালুরঘাটের সাংসদ (Sukanta Majumdar)

    বাংলাদেশ সমস্যা নিয়ে সীমান্ত পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। হিলি স্থলবন্দর পরিদর্শন করেন বালুরঘাটের সাংসদ (Sukanta Majumdar)। পরিদর্শনের সময় স্থলবন্দরে কর্তব্যরত বিএসএফ আধিকারিকদের থেকে সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে খোঁজখবর করেন। জিরো পয়েন্টে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সঙ্গে সৌহার্দ্য বিনিময় করেন তিনি। বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে সীমান্ত সমস্যা ও দুই দেশের সম্পর্কে অবনতির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য নিয়ে সীমান্তে চলছে অনিশ্চয়তা। এহেন অবস্থায় সীমান্ত পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য হিলি স্থলবন্দর পরিদর্শন করেন সুকান্ত মজুমদার। স্থলবন্দরে পৌঁছে সীমান্ত প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের নীতি নিয়ে বিএসএফ আধিকারিককে সতর্ক করেন উত্তর-পূর্ব উন্নয়ন মন্ত্রকের মন্ত্রী। এরপরেই তিনি হিলির চোদ্দো হাত কালীর মেলায় পৌঁছান। সেখানে মন্দিরে পুজো দিয়ে ভক্তদের সঙ্গে কথা বলেন বালুরঘাটের সাংসদ।

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশে হিন্দুদের নিরাপত্তার দাবিতে পেট্রাপোল সীমান্তে আজ প্রতিবাদ-সভা শুভেন্দুর

    কী বললেন সুকান্ত?

    পরে, এই প্রসঙ্গে উত্তর-পূর্ব উন্নয়ন মন্ত্রকের মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, ‘‘বাংলাদেশের ঘটনা নিয়ে এপারের বাঙালিরা দুঃখিত। সেদেশে যেভাবে হিন্দুদের ওপর নির্যাতন চলছে, তা মানবতাবিরোধী। প্রতিবেশী রাষ্ট্রে সংখ্যালঘুদের ওপর অবিলম্বে আক্রমণ বন্ধ হওয়া প্রয়োজন।” উত্তরবঙ্গে আট জেলার অধীনে থাকা প্রায় ১৯৩৭ কিলোমিটার ইন্দো বাংলাদেশ সীমান্তের নিরাপত্তার দায়িত্বে মোতায়েন রয়েছে বিএসএফ। কিন্তু সম্প্রতি বাংলাদেশে তৈরি হওয়া অস্থিরতার কারণে ইন্দো বাংলাদেশ সীমান্তে নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে বিএসএফের তরফে। অতিরিক্ত জওয়ান মোতায়েনের পাশাপাশি থার্মাল ক্যামেরা, নাইট ভিশন ক্যামেরা, সিসি ক্যামেরা ও ড্রোনে নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। সীমান্তে পারাপারে বসানো হয়েছে বায়োমেট্রিক মেশিন। তবে চলতি বছরে জলপাইগুড়ি জেলার অধীনে মিলন মেলা নিয়ে ধন্দ প্রকাশ করেছেন আইজি। মিলন মেলা আয়োজিত হলে যেন সরকারিভাবে নিয়ম মেনে ও সরকারি অনুমোদনে আয়োজিত হয় সেই কথা জানিয়েছেন আইজি।

    কী বললেন বিএসএফের আইজি?

    অস্থিরতার জেরে ইন্দো-বাংলাদেশ (Bangladesh) সীমান্ত দিয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে অনুপ্রবেশ। গত চার মাসে শুধু মাত্র উত্তরবঙ্গে মোতায়েন থাকা বিএসএফের শিলিগুড়ি ফ্রন্টিয়ারের অধীনে অনুপ্রবেশের সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে অনুপ্রবেশকারীদের কড়া হাতে প্রতিরোধ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিলিগুড়ি ফ্রন্টিয়ারের বিএসএফ আধিকারিকরা। বিএসএফের আইজি সূর্যকান্ত শর্মা বলেন, ‘‘সীমান্তে টানা ও নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা রাখা হয়েছে। তবে অগাস্ট মাসের পরে ওপার থেকে সংখ্যালঘুদের এপারে আসার একটা চাপ ও প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিজিবির সঙ্গে আলোচনা করে খুব দক্ষতার সঙ্গে সেইসব সমস্যা মেটানো হচ্ছে। পাশাপাশি ফেন্সিংয়ের জন্য জমি অধিগ্রহণে রাজ্য সরকারের ভালো সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে। ফ্রন্টিয়ারের অধীনে থাকা মোট সীমান্তের ১০ শতাংশে ফেন্সিং নেই। খুব তাড়াতাড়ি সেই জায়গায়ও ফেন্সিং করা হবে।’’

    কত বাংলাদেশিদের গ্রেফতার?

    বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২৩ সালে বিএসএফের নর্থ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ার ইন্দো বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশকারী ১২৭ জন বাংলাদেশি ও ১৭৩ জন ভারতীয়কে গ্রেফতার করে। কিন্তু চলতি বছরে সেই সংখ্যা বেড়ে ১৯৪ জন বাংলাদেশি, ১৯৭ জন ভারতীয়, তিন জন রোহিঙ্গা ও তিন জন অন্য অনুপ্রবেশকারী মিলিয়ে মোট ৩৯৭ জন অনুপ্রবেশকারীদের পাকড়াও করে। সব থেকে আশ্চর্যের বিষয় হল, চলতি বছরের অগাস্ট মাস থেকে নভেম্বর পর্যন্ত গত চার মাসেই ১৪৯ জন অনুপ্রবেশকারীকে গ্রেফতার করেছে বিএসএফ। যার মধ্যে ৩৫ জন ভারতীয় ও ১১৪ জন বাংলাদেশি রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share