Tag: Sukanta Majumdar

Sukanta Majumdar

  • Sukanta Majumdar: ‘‘মন্ত্রীদের জেল যাত্রায় সাংবিধানিক সংকট তৈরি হলে হস্তক্ষেপ করবে কেন্দ্র’’, জানালেন সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: ‘‘মন্ত্রীদের জেল যাত্রায় সাংবিধানিক সংকট তৈরি হলে হস্তক্ষেপ করবে কেন্দ্র’’, জানালেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্নীতির অভিযোগে রাজ্যে তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীদের জেলযাত্রা শুরু হয়েছে গত বছর থেকেই। সম্প্রতি, রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেপ্তার করা হয় রাজ্যের আরেক মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। ‘‘পরপর মন্ত্রীদের এমন জেল যাত্রায় যদি সাংবিধানিক সংকট তৈরি হয়, তাহলে হস্তক্ষেপ করবে কেন্দ্র।’’ সোমবার সল্টলেকে দলের রাজ্য দফতরে বসে একথা বলতে শোনা যায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে (Sukanta Majumdar)। এর পাশাপাশি বালুরঘাটের সাংসদের দাবি, এরপরে পালা রয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর। কারণ সেখানেও দেদার দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে।

    কী বললেন সুকান্ত মজুমদার?

    এদিন দুর্নীতি ইস্যুতে রাজ্যের শাসক দলকে তীব্র আক্রমণ করেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, ‘‘আমরা তো কেন্দ্রের দৃষ্টি আকর্ষণ করবোই। কিন্তু যে পরিস্থিতির দিকে বাংলা যাচ্ছে, আগামী দিনে বাংলার সরকার কোথা থেকে চলবে এটা সব থেকে বড় প্রশ্ন। জেলের ভিতর থেকে না জেলের বাইরে থেকে? কালীঘাট থেকে চলবে, না তিহাড় থেকে চলবে, না কি প্রেসিডেন্সি থেকে চলবে, সেটা আগামী দিনে বাংলার মানুষ দেখবে। বাংলা সাংবিধানিক সংকটের সম্মুখীন হলে কেন্দ্র অবশ্যই পদক্ষেপ নেবে। তখন তো কেন্দ্রের পদক্ষেপ নেওয়া ছাড়া আর কোনও জায়গা থাকবে না।’’

    স্বাস্থ্য দফতরের দুর্নীতি ইস্যুতে রাজ্যপালকে চিঠি সুকান্তর

    রাজ্যের প্রায় সব সরকারি মেডিক্যাল কলেজে দুর্নীতি ও অনিয়ম চলছে বলে অভিযোগ সুকান্তর। স্বাস্থ্য ভবনেও দেদার দুর্নীতি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বালুরঘাটের সাংসদ। স্বাস্থ্য দফতরে হওয়া দুর্নীতির তদন্তের আর্জি জানিয়ে সিভি আনন্দ বোসকে চিঠি দিলেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘‘রাজ্যে বেহাল স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজে দালাল রাজ চলছে। তৃণমূলের নেতাদের মধ্যেও দ্বন্ধ রয়েছে। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের সুপারের বিরুদ্ধে রয়েছে হাজার হাজার অভিযোগ তবু তাঁকে সেখানে রাখা হয়েছে। আগামীদিনে স্বাস্থ্য মন্ত্রী জেলে যেতে পারেন এতো দুর্নীতির কারণে। এই কারণে আমি সব অভিযোগ ও তথ্য জানিয়ে রাজ্যপালকে চিঠি লিখেছি।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘রেশন ডাকাত সংকটজনক নয়’’! বিস্ফোরক ট্যুইট শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘রেশন ডাকাত সংকটজনক নয়’’! বিস্ফোরক ট্যুইট শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট ঘিরে শোরগোল পড়েছে। শুভেন্দু তাঁর পোস্টে একটি শীররিক পরীক্ষার রিপোর্ট তুলে ধরেছেন। দাবি করেছেন সেটি “বাংলার মোস্ট ওয়ান্টেড ডায়াগনস্টিক রিপোর্ট”। রিপোর্টটি ‘রেশন ডাকাত’-এর, যার ডাক নাম ‘বালু ব্যক্তি’। শুভেন্দুর পেশ করা রিপোর্টে বেশ কয়েকটি পরীক্ষার ফলও উল্লেখ করা হয়েছে। শেষে রিপোর্ট কার্ডটিতে লেখা রয়েছে, ‘সংকটজনক নয়’। এই পোস্ট ঘিরে আলোচনার ঝড় উঠেছে সোশ্যাল সাইটে।

    কেমন আছেন বালু

    রেশন দুর্নীতি মামলায় ইডি শুক্রবারই গ্রেফতার করেছে রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। তাঁকে ৬ নভেম্বর পর্যন্ত ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সেই নির্দেশ শোনার পরই এজলাসের মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ওরফে বালু। আদালত কক্ষেই চেয়ার থেকে পড়ে যান তিনি। বমিও করে ফেলেন। এরপরই তাঁকে আদালতের নির্দেশে বাইপাসের ধারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। হাতপাতাল সূত্রে খবর, আপাতত মন্ত্রীর শীররিক অবস্থা স্থিতিশীল। সোমবারের পর তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হতে পারে।

    আরও পড়ুুন: মুছে গেল ‘ইন্ডিয়া’, রেলের ‘ভারত’ নামের প্রস্তাবে সিলমোহর কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার

    চর্চায় মেরুন ডায়েরি

    রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে (Ration Distribution Scam Cae) চর্চায় রয়েছে ‘মেরুন ডায়েরি’। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক-ঘনিষ্ঠ (Jyotipriyo Mallick) হাওড়ার অভিজিৎ দাসের বাড়ি থেকে মিলেছে ‘মেরুন ডায়েরি’, এমনই দাবি করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। ডায়েরির উপরে লেখা ‘বালুদা’। ডায়েরির ভিতরে কোটি কোটি টাকার লেনদেনের হিসেব লেখা আছে বলে দাবি জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। এই ডায়েরি নিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করেছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুদার (Sukanta Majumdar)। সোশাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, ‘রেশন কেলেঙ্কারি বিচার পাক, মেরুন ডায়েরি পথ দেখাক। কে নিয়েছে ? কত নিয়েছে ? কবে নিয়েছে ? তৃণমূলের দুর্নীতির রাজত্বের রাজসাক্ষী হয়ে দাঁড়াবে কি ‘বালু দা’ লেখা মেরুন ডায়েরি ?’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Jyotipriya Mallick: “কান এসেছে, এরপর মাথাও আসবে”, জ্যোতিপ্রিয়র গ্রেফতারির পর কী ইঙ্গিত দিলেন সুকান্ত?

    Jyotipriya Mallick: “কান এসেছে, এরপর মাথাও আসবে”, জ্যোতিপ্রিয়র গ্রেফতারির পর কী ইঙ্গিত দিলেন সুকান্ত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার বালুরঘাটে নিজের বাড়িতে সাংবাদিক সম্মেলনে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের (Jyotipriya Mallick) গ্রেফতারি নিয়ে ব্যাপক কটাক্ষ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, “গ্রেফতার তো সময়ের অপেক্ষা ছিল। চোরেদের অনেক আগেই গ্রেফতার করা দরকার ছিল। যে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি বাকিবুরের কাছে পাওয়া গেছে, সম্পত্তি বলার থেকে রাজত্ব বলা ভালো, সেই সম্পত্তি বা রাজত্ব আদতে কার? কার সম্পত্তি বাকিবুরের নামে আছে, এর তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। আমরা বহু চাল চুরির অভিযোগ পেয়েছি। বোঝাই যাচ্ছে যত চোর আরেস্ট হচ্ছে, চোরেদের ছটফটানিও ততই বাড়ছে। কান এসেছে, এরপর মাথাও আসবে।”

    এত সম্পত্তি কোথা থেকে? (Jyotipriya Mallick)

    বাড়ির খোঁজ পাওয়া প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “তদন্ত হওয়া উচিত। আমরা বুঝতে পারছি না, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকরা (Jyotipriya Mallick) কোন চাকরি বা কোন ব্যবসা করতেন যে এত টাকার সম্পত্তির মালিক এই কয়েক বছরে হয়ে গিয়েছেন। ছয় কোটি টাকার বাংলো তাঁর। আমার তো মনে হয় গরিব মানুষের ১০০ দিনের কাজের সব টাকা এদের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে। এঁরাই চুরি করেছেন। সেই জন্য এই অবস্থা হয়ে আছে। এত টাকার সম্পত্তির মালিক, আর গরিব মানুষেরা টাকা পায় না।”

    কার্নিভাল নিয়ে কী বললেন?

    কার্নিভাল দেখার জন্য রাজ্যপালের কাছে কোনও আমন্ত্রণপত্র যায়নি। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়  ও তাঁর দলবল এই রাজ্যটা চালাচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ রাজ্যটাকে তাঁর পৈতৃক সম্পত্তি বলে মনে করেন। স্বাভাবিকভাবে তাঁর ইচ্ছে, তাঁর জমিদারি যেভাবে খুশি তিনি চালাবেন। রাজ্যপাল কেন, বিরোধী দলের কারোর আমন্ত্রণ নেই। পুজো মানে মা দুর্গা মমতা ব্যানার্জির জন্য পশ্চিমবঙ্গে আসেন, আর মমতা ব্যানার্জির কাছ থেকে পারমিশন নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ থেকে চলে যান। কার্নিভালটা তিনি এইভাবেই তৈরি করেছেন। আগে তো আর দুর্গাপুজো হত না, মমতা ব্যানার্জি আসার পর দুর্গাপুজো হচ্ছে! উনি এইভাবে চালাতে চাইছেন। রাজ্যের মানুষ সমস্ত কিছু দেখছেন। সময় আসছে। রাজ্যের মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবিতে জুতো দিয়ে বাড়ি মারবে।

    পাশাপাশি এদিন বালুরঘাট ব্লকের উত্তরবঙ্গের ঐতিহ্যবাহী বোল্লা মন্দিরে বোল্লা মায়ের কাঠামো পুজোতে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Sukanta Majumdar: ‘তৃণমূল নেতারা নিজেদের বাড়িতে টাকা রাখেন না,’ কেন বললেন সুকান্ত?

    Sukanta Majumdar: ‘তৃণমূল নেতারা নিজেদের বাড়িতে টাকা রাখেন না,’ কেন বললেন সুকান্ত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল নেতারা নিজেদের বাড়িতে টাকা রাখেন না। কেউ বান্ধবী, কেউ আবার আপ্তসহায়কের বাড়িতে টাকা রাখেন, কেউ আবার পরিচিত ব্যবসায়ীর বাড়িতে টাকা রাখেন। বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বাড়িতে ইডি হানা প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে একথা বলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, জ্যোতিপ্রিয়বাবুর পার্থবাবুর মত বান্ধবী জোটেনি। সে কারণে আপ্তসহায়ক এর বাড়িতে তিনি টাকা রাখতে পারেন, সেজন্য ইডি তল্লাশি চলছে।

    বাকিবুরের সম্পত্তি নিয়ে কী বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি? (Sukanta Majumdar)

    ইডি তল্লাশি অভিযান নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, এটা হবারই কথা ছিল। কারণ, বাকিবুর রহমানের বিপুল সম্পত্তি। অবাক হয়ে যাচ্ছি তার বলে হাজার বিঘার উপর জমি রয়েছে। বাকিবুরের একার জমি নয়, আসল বাকিবুর অন্য জায়গায় বসে আছে সেটা সবাই জানে সেখান দিয়ে জ্যোতি বেরোচ্ছে, জ্যোতি দেখা যাচ্ছে। ইডি-র অনেক আগেই হানা দেওয়া উচিত ছিল। বাকিবুর রহমানের নামে তৃণমূল নেতারা পয়সা খাটায়, এই পয়সা শুধু বাকিবুরের না। অপরাধীদের বাড়িতে বা অফিসে শুধু হানা দিলেই হবে না। অভিযুক্তদের জেলের ভেতরে ঢোকাতে হবে।

     এথিক্স কমিটির তদন্ত নিয়ে কী বললেন সুকান্ত?

    সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, লোকসভার এথিক্স কমিটির কাজ হচ্ছে কোনও সংসদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসলে সেই বিষয়টি তদন্ত করে দেখার। স্বাভাবিকভাবে সেই কমিটি তদন্ত করছে এতে যদি দোষী সাব্যস্ত হন তাহলে সাংসদ পথ খারিজ হবে। কিন্তু, আমার মনে হয় শুধুমাত্র এইটুকুতেই শেষ করলে হবে না। কারণ এর পেছনে বিদেশি কোনও চক্র কাজ করতে পারে। উদ্দেশ্য ভারতীয় কোম্পানিগুলোকে টার্গেট করে ভারতীয় অর্থনীতিকে দুর্বল করা। আদানি,আম্বানি নাম শুধুমাত্র উপলক্ষ, প্রধান উদ্দেশ্য ভারতীয় অর্থনীতিকে দুর্বল করা। ভারতীয় জিডিপি ভালো হচ্ছে তা আমাদের শত্রু দেশগুলোর সহ্য হচ্ছে না। তারা এই সমস্ত কাজ করতে পারে, সেই কারণেই বড় মাপের তদন্ত হওয়ার প্রয়োজন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘নির্বাচনে তৃণমূলের হয়ে গুন্ডামি করা ক্লাবগুলিকে পুজোয় অনুদান’, কটাক্ষ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘নির্বাচনে তৃণমূলের হয়ে গুন্ডামি করা ক্লাবগুলিকে পুজোয় অনুদান’, কটাক্ষ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পুজো কমিটিগুলিকে আর্থিক অনুদান বাড়িয়ে এবার ৭০ হাজার টাকা করেছেন। আর তা নিয়েই এবার সুর চড়ালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, পুজোয় আর্থিক অনুদানের নামে রাজনীতি চলছে। তিনি (পড়ুন মুখ্যমন্ত্রী) এই ৭০ হাজার টাকা করে সেই ক্লাবগুলিকে দিয়েছেন, যারা নির্বাচনে গুন্ডামি করে তৃণমূলকে জয়ী করেছে। তাদের মদ-মাংস খাওয়ার জন্য এই টাকা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তিনি বলেন, বিজেপি পরিচালিত ক্লাবগুলি গেলে টাকা দেওয়া হয়নি।

    মুখ্যমন্ত্রী প্রসঙ্গে কী বললেন সুকান্ত? (Sukanta Majumdar)

    কলকাতার সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারে রাম মন্দিরের আদলে গড়ে ওঠা মণ্ডপ নিয়েও মুখ খোলেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, রাম বাংলার সংস্কৃতির অংশ। সেই রাম মন্দিরের আদলে মণ্ডপ শুভ উদ্বোধন করেছেন অমিত শাহ। আর যা দেখে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর আরও বেশি করে জ্বলন হচ্ছে। পাশাপাশি তিনি কটাক্ষ করেই বলেন, যাদের চুলকানি হচ্ছে তার জন্য ওষুধ খাও, যদি না ওষুধ থাকে বিজেপি তাদের ওষুধ দিয়ে দেবে।

    মন্ত্রী সুজিত বসুকে নিয়ে কী বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি?

    কোটি কোটি টাকা খরচ করে বিদেশি ফুটবলারকে বাংলার পুজো উদ্বোধনের জন্য নিয়ে এসেছিলেন সুজিত বসু। সেই বিষয়ে কটাক্ষ করে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, কদিন আগেই সুজিত বসু ঠেলাগাড়িতে এগরোল বিক্রি করতো। কীভাবে এত কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে গেল, একটু সরকারকে বলব তার তদন্ত করার জন্য। এত টাকা তৃণমূলের আসে কোথা থেকে? যেখানে বাংলার মানুষের ১০০ দিনের কাজের টাকা নিয়ে দুষছেন, সেখানে কোটি কোটি টাকা খরচ করে ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার রোনাল্ডিনহোকে বাংলায় পুজো উদ্বোধনের জন্য নিয়ে আসা হচ্ছে। অন্যদিকে বাংলার পুজো কমিটিগুলিকে আর্থিক অনুদান নিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, তৃণমূল সরকারের মতো দুর্নীতির এত টাকা বিজেপি সরকারের নেই। তবে, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, প্রত্যেকটি ব্লকের একটি করে পুজোকে কিছু সাহায্য ও হাতে বস্ত্র তুলে দেওয়া হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Asansol: “পুর নিগমে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি খুলে ফেলে মোদিজির ছবি লাগান” কেন বললেন সুকান্ত?

    Asansol: “পুর নিগমে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি খুলে ফেলে মোদিজির ছবি লাগান” কেন বললেন সুকান্ত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার বিজেপির পক্ষ থেকে আসানসোল (Asansol) পুর নিগমের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এদিন মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কড়া ভাষায় আসানসোল কর্পোরেশনের পুরবোর্ডের সমালোচনা করেন তিনি। পুর নিগম থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি খুলে ফেলার কথা বললেন। আসানসোল পুর নিগমের উন্নয়ন খাতে কেন্দ্র সরকার টাকা দিচ্ছে, তাই সেখানে মোদিজির ছবি লাগানোর কথা বলেন। সেই সঙ্গে বলেন, পুর নিগমে হবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তল্লাশি। 

    ইডি ও সিবিআইয়ের হানা নিয়ে কী বললেন (Asansol)?

    ইডি ও সিবিআই হানার প্রসঙ্গ তুলে এদিন সুকান্ত মজুমদার বলেন, “কলকাতায় নেতাদের বাড়িতে ইডি ও সিবিআইয়ের রেড হচ্ছে। এবার দুর্নীতির বিরুদ্ধে আসানসোলেও (Asansol) অভিযান হবে।” কয়েকদিন আগে রানীগঞ্জের নারায়ণকুড়িতে ধসের প্রসঙ্গ টেনে তিনি আরও বলেন, “সেখানে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। প্রশাসন বলছে তিনজন মারা গেছে। কার্যত রাজ্য সরকার মৃত্যুর হিসাব নিয়ে মিথ্যাচার করছে।” তিনি বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে পুরসভা দাবি না মানলে তালা ঝুলিয়ে দেয়ার হুঁশিয়ারির দেন।

    আর কী বললেন?

    সুকান্ত এদিন বলেন, “রাজ্য সরকার গত আড়াই বছরে এক টাকাও খরচ করেনি আসানসোল পুর নিগমের জন্য। দিল্লি থেকে মোদিজি আসানসোলবাসীর ঘরে ঘরে জল পৌঁছনোর জন্য ৫০০ কোটি টাকা পাঠিয়েছেন। অথচ রাজ্য সরকার ঘরে ঘরে পানীয় জলের ব্যবস্থা করছে না। স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে কোনও কর্মী নেই। কেবলমাত্র আসানসোল (Asansol) হাসপাতালে ডেঙ্গি পরীক্ষা হচ্ছে। রাজ্যে ৪০ হাজারের বেশি মানুষ ডেঙ্গি সংক্রমণের শিকার হয়েছে, তবুও রাজ্য সরকারের ঘুম ভাঙছে না। আমরা খাওয়া এবং চুরিতে বিশ্বাস করি না। তবে যে খাবে, তাকে ঠিক জায়গায় পাঠানোর কাজ বিজেপি করবে। মন্ত্রী মলয় ঘটক নিজে দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। তিনি বাহানা দিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে সহযোগিতা করছেন না।”

    এদিনের এই বিক্ষোভ সমাবেশে সুকান্ত মজুমদার সহ জেলা সভাপতি বাপ্পা চ্যাটার্জি, বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল, বিধায়ক লক্ষণ ঘড়ুই, বিজেপি নেতা কৃষ্ণেন্দু মুখার্জি ও আসানসোল পুরসভার প্রাক্তন মেয়র তথা বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তেওয়ারি সহ উপস্থিত ছিলেন বিজেপির অন্যান্য নেতৃত্ব।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    ঘটনা প্রসঙ্গে আসানসোলের (Asansol) মেয়র বিধান উপাধ্যায় বলেন, “কোনও অনুদানে রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্র সরকারের একটা ভাগ থাকে। পুরো টাকাটাই পশ্চিমবঙ্গ থেকে ট্যাক্স হিসেবে নিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্র। তারপর সেই টাকার একটা অংশ ফেরত দিচ্ছে রাজ্যে। তাহলে এটা কার দেওয়া হল?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: বিজেপির রাজ্য সভাপতির বাড়ি যাওয়ার রাস্তা বেহাল, সংস্কারের উদ্যোগ নেই তৃণমূল পুরসভার

    Sukanta Majumdar: বিজেপির রাজ্য সভাপতির বাড়ি যাওয়ার রাস্তা বেহাল, সংস্কারের উদ্যোগ নেই তৃণমূল পুরসভার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা স্থানীয় সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের বাড়ি বলেই বেহাল রাস্তা সংস্কারে উদ্যোগ নেই তৃণমূল পরিচালিত বালুরঘাট পুরসভার। এমনই অভিযোগ বিজেপির। বালুরঘাট পুরসভার ২২ এবং ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যবর্তী রাস্তার বেহাল অবস্থা। খাদিমপুর এলাকার সন্ধ্যা সিনেমা হল থেকে খাদিমপুর গার্লস স্কুল পর্যন্ত রাস্তার পিচ উঠে গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) বাড়ির যাতায়াতের এই রাস্তার সবচেয়ে ভগ্নদশা। কিন্তু, তা সংস্কারে পুর কর্তৃপক্ষের কোনও হেলদোল নেই।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    দীর্ঘদিন রাস্তা সংস্কার না হওয়া এবং পুরসভার পক্ষ থেকে বাড়ি বাড়ি পানীয় জলের সংযোগ দেওয়ায় বালুরঘাট শহরের বিভিন্ন রাস্তা বেহাল হয়ে পড়ে। বালুরঘাট পুরসভা থেকে পুজোর আগে রাস্তা মেরামতির কাজ শুরু হলেও এখনও সংস্কারের কাজে হাত দেওয়া হয়নি খাদিমপুরের এই রাস্তা। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, খানাখন্দে ভরা এই রাস্তায় প্রায়শই দুর্ঘটনা ঘটে। এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করে খাদিমপুর গার্লস স্কুল, খাদিমপুর বয়েজ স্কুল  এবং কবিতীর্থ বিদ্যানিকেতনের ছাত্রছাত্রীরা। এলাকায় রয়েছে একটি সিনেমা হলও। রাস্তার অবস্থা বেহাল হওয়ায় প্রায় প্রতিদিন দুর্ঘটনা ঘটে এই রাস্তায়। আমরা চায় দ্রুত এই রাস্তা সংস্কার করা হোক।

    বিজেপি নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    এই বিষয়ে বিজেপির বালুরঘাট শহরর সভাপতি সমীর প্রসাদ দত্ত বলেন, এই রাস্তার গলির মুখে রয়েছে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) বাড়ি। আর ঠিক একারণেই এই রাস্তা সংস্কারে অনীহা বালুরঘাট পুরসভার। এই রাস্তাতে তিনটি হাই স্কুল রয়েছে। স্কুলের ছাত্র ছাত্রীরা যাতায়াত করার সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। পুজোর আগে বালুরঘাট পুরসভা যদি রাস্তা সংস্কার করতে না পারে তাহলে আমরা আন্দোলোনে নামব।

    তৃণমূল নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    যদিও, বালুরঘাট পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর প্রদীপ্তা চক্রবর্তী বলেন, বালুরঘাটের বিভিন্ন ওয়ার্ডের রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। খাদিমপুরের রাস্তার কাজ‌ও করা হবে। বিজেপির রাজ্য সভাপতির বাড়ি বলে রাস্তা সংস্কার করা হচ্ছে না, এই অভিযোগ ঠিক নয়। পুজোর আগেই কাজ হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: অভিষেকের দেওয়া নম্বরে সুকান্তর কাছে কাতর আর্জি, ‘চোরেদের টাকা দেবেন না’

    Sukanta Majumdar: অভিষেকের দেওয়া নম্বরে সুকান্তর কাছে কাতর আর্জি, ‘চোরেদের টাকা দেবেন না’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজভবনের সামনে তৃণমূলের অবস্থান মঞ্চ থেকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) ফোন নম্বর সামনে এনেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড দলের কর্মীদের নিদানও দিয়েছিলেন যে বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে ফোন করে যেন রাজ্যের দাবি মতো টাকাও চাওয়া হয়। এবার হুগলির এক সাধারণ লোকের (পরিচয় জানা যায়নি,মাধ্যম অডিও-এর সত্যতা যাচাই করেনি) সঙ্গে সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) ফোনের কথোপকথন সামনে এল। সেখানে ওই ব্যক্তিকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘‘দাদা (সুকান্ত মজুমদার) একটাই অনুরোধ আপনার কাছে, কোনও টাকা যেন না আসে চোরেদের কাছে। পাশাপাশি ঐ ব্যক্তি আরও বলছেন, ওরা নিজেদের ইচ্ছা মতো জব কার্ডের টাকা নয়ছয় করেছে। আমাদের এলাকার সর্বনাশ করেছে তৃণমূলের নেতারা।’’ ফোনে ওই ব্যক্তিকে দাবি করতে শোনা যায়, অভিষেকের ঘোষণার পরেই তিনি সুকান্ত মজুমদারের ফোন নম্বর পেয়েছেন।

    নিজের ফেসবুক পোস্টে কী লিখলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি? 

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar) নিজের ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে এই রেকর্ডিং সামনে আনেন এবং তিনি লেখেন, ‘‘জনগণের কষ্টার্জিত ট্যাক্সের হিসাব দিন, আমরা জনগণের টাকা জনগণের হাতে তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করব।’’ বালুরঘাটের সাংসদের আরও সংযোজন, ‘‘আঞ্চলিক দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ওরফে ভাইপো আমার নম্বর পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে দেওয়ার পর সাধারণ জনগণ আমাকে ফোন করে চোরেদের টাকা দিতে বারণ করছেন।’’ পাশাপাশি এদিন ২৫ লাখ ভুয়ো জব কার্ডের মাধ্যমে কতটাকা তৃণমূল আত্মসাৎ করেছে তাও জানতে চেয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

    তৃণমূলের নাটকবাজি

    কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে দিল্লিতে একপ্রস্থ নাটক করতে দেখা যায় অভিষেক ও তাঁর দলবলকে। গত সপ্তাহেই কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর অফিসের সামনে ধরনায় বসে পড়েন অভিষেক। অভিষেকের দাবি, ৪০ জনকে একসঙ্গে ঢুকতে দিতে হবে অফিসে। প্রসঙ্গত, গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রীর অফিস থেকে ৫ জনের প্রতিনিধি দলকে দেখা করার অনুমতি দেওয়া হলেও তা মানতে চায়নি তৃণমূল নেতৃত্ব। বেআইনিভাবে মন্ত্রীর অফিসে ধরনার অভিযোগে দিল্লি পুলিশ তৃণমূলের নেতৃত্বকে সেই স্থান থেকে সরিয়ে নিয়ে যায়। এরপরেই রাজ্যে ফিরে রাজভবন ঘেরাও করেন অভিষেক ও তাঁর দলবল। এখানেই উঠছে প্রশ্ন। সত্যিই কি আলোচনার টেবিলে বসতে চায় তৃণমূল নেতৃত্ব? নাকি বাজার গরম করা এবং সস্তার রাজনীতিই তাঁদের উদ্দেশ্য? এই ইস্যুতে কলকাতায় এসে রীতিমতো তৃণমূলকে তোপ দেগেছেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন। তাঁর প্রশ্ন, ‘‘আমি কলকাতাতেও তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে বসতে রাজি। তবে তারা বসবে না আমি জানি।’’ ওয়াকিবহাল মহলের বলছে, সত্যিই কেন্দ্রীয় বঞ্চনা থাকলে, কোর্টের রাস্তা খোলা রয়েছে। সে পথে কেন হাঁটছেন না অভিষেক ও তাঁর দলবল?

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘নতুন বছরের শুরুতেই বালুরঘাট থেকে ছুটবে বেঙ্গালুরুগামী ট্রেন’, দাবি সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘নতুন বছরের শুরুতেই বালুরঘাট থেকে ছুটবে বেঙ্গালুরুগামী ট্রেন’, দাবি সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন বছরের শুরুতেই বালুরঘাট থেকে ছুটবে বেঙ্গালুরুগামী ট্রেন। শুধু তাই নয়, দিল্লি বা গুয়াহাটিকে পিছনে রেখে বেঙ্গালুরুকেই কেন এক্ষেত্রে বাড়তি গুরুত্ব দিয়েছেন তারও বিস্তারিত ব্যাখ্যা রেলমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেছেন বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, সিক ও পিট লাইনের কাজ দ্রুত সমাপ্তির পথে। যা চলতি বছরে শেষ হওয়ার মধ্যেই বালুরঘাট থেকে চালু হবে বেঙ্গালুরুগামী ট্রেন। এই খবর সামনে আসতেই রীতিমতো হইচই পড়ে গিয়েছে গোটা দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায়।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    রাজ্যের প্রত্যন্ত ও সীমান্ত অধ্যুষিত এলাকা হিসেবে চিহ্নিত দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা। ভারত-বাংলাদেশের তিনদিক সীমান্ত বেষ্টিত এই জেলায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বলতে মূলত সড়ক ব্যবস্থাকেই বোঝায়। অথচ কৃষিপ্রধান এই জেলার মানুষকে চিকিৎসার জন্য প্রায় ছুটতে হয় বেঙ্গালুরুতে। শুধু তাই নয়, হিলি চেকপোস্ট পেরিয়ে প্রতিদিনই বেঙ্গালুরুতে চিকিৎসার জন্য এপারে আসেন কয়েকশো বাংলাদেশি মানুষ। সেই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার মানুষই স্বাধীনতার প্রায় ৫৬ বছর পর প্রথম ট্রেনে চড়ার স্বাদ পেয়েছিল। কিন্তু, তারপর হাতে গোনা দু’চারটি ট্রেন ব্যবস্থায় কলকাতার সঙ্গে কিছুটা যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হলেও দূরপাল্লার কোনও ট্রেন আজও চালু না হওয়ায় চিকিৎসা সংক্রান্ত সমস্যা সেই তিমিরেই রয়ে গেছে। এবার বিজেপি সাংসদের উদ্যোগে এই স্টেশন থেকে দুরপাল্লার ট্রেন চলাচল করা শুরুর পথে। এই বিষয়ে বালুরঘাটের স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, আমরা আমাদের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারকে (Sukanta Majumdar) ধন্যবাদ জানাচ্ছি। বালুরঘাট থেকে বেঙ্গালুরুতে ট্রেন চলাচল করার উদ্যোগ নেওয়ার জন্য। আমাদের চিকিৎসা করতে মাঝের মধ্যে বেঙ্গালুরুতে যেতে হয়। বালুরঘাট থেকে যদি বেঙ্গালুরুতে ট্রেন চলে তাহলে আমাদের জেলাবাসীর খুব সুবিধা হবে। আমরা চাই, দ্রুত বালুরঘাট থেকে বেঙ্গালুরু ট্রেন চলাচল শুরু হোক।

    বেঙ্গালুরুগামী ট্রেন চালু নিয়ে কী বললেন সুকান্ত? (Sukanta Majumdar)

    বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, এই লোকসভা কেন্দ্রের বিগত সাংসদরা রেলমন্ত্রীর কাছে শুধুমাত্র দূরপাল্লার ট্রেনের দরবারই শুধু করে গিয়েছেন। কিন্তু, তারপর সেগুলো কেন বাস্তবায়ন হয়নি তার কোনও খোঁজও নেননি তাঁরা। প্রথমত, বিষয়টি বুঝতে গিয়ে আমিও কিছুটা হোঁচট খেয়েছিলাম। কিন্তু, সেখানে থেমে না গিয়ে রেলমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে বোঝার চেষ্টা করেছি। তারপরেই সিক ও পিট লাইনের কথা জানতে পেরেছি। সিক ও পিট লাইন একটি রেলস্টেশনকে নাবালক থেকে সাবালক স্তরে নিয়ে গিয়ে পৌঁছায়। যা পূর্ণাঙ্গ রূপ পেলেই সেই স্টেশন থেকে দূরপাল্লার সমস্ত ট্রেন চলাচল করতে পারে। বিষয়টি জানার পরেই রেলমন্ত্রীর সঙ্গে এনিয়ে দরবার করি। প্রায় ১৫ কোটি টাকা বরাদ্দে বালুরঘাট স্টেশনকে সাবালকত্ব রূপ দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। চলতি বছরেই যার পূর্ণাঙ্গ রূপ পাবে বালুরঘাট রেলস্টেশন। আর এরপরেই এই স্টেশন থেকে ছুটবে দূরপাল্লার বিভিন্ন রুটের ট্রেন। এই বিষয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘চিকিৎসা ব্যবস্থায় অনেকটাই পিছিয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর। জেলাবাসীর সুবিধার জন্য ও এ জেলার মানুষকে চিকিৎসার জন্য প্রায় যেতে হয় বাইরে। জেলার মানুষ হিসাবে বিষয়টি উপলব্ধি করে সাংসদ হিসাবে রেলমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করি। যাতে জেলার মানুষ চিকিৎসা করতে যেতে সুবিধা হয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: উত্তরবঙ্গ ভাসছে, রাজভবন অভিযানে ব্যস্ত তৃণমূলের নেতারা, তোপ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: উত্তরবঙ্গ ভাসছে, রাজভবন অভিযানে ব্যস্ত তৃণমূলের নেতারা, তোপ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যপাল উত্তরবঙ্গে থাকতে পারেন, রাজভবন তো নিয়ে চলে আসেননি। রাজভবন ওখানেই আছে। রাজভবনের সামনে গিয়ে চিৎকার চেঁচামেচি করবেন, চলে আসবেন। বৃহস্পতিবার নিজের বাড়িতে সাংবাদিক সম্মেলন করে তৃণমূলের রাজভবন অভিযানকে তীব্র কটাক্ষ করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, দিল্লিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তৃণমূলের সাংসদদের দেখা করার কথা বললেও তাঁদের দেখা করার সাহস হয়নি। রাজ্যপাল রাজভবনের ভেতরে থাকেন। তৃণমূল বাইরে রাস্তায় কী কীর্তন করল, তা তো আর রাজ্যপাল দেখতে যাবেন না, শুনতেও যাবেন না। উত্তরবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতি খারাপ। তৃণমূল হয়তো উত্তরবঙ্গকে গুরুত্ব দেয় না, তাই তৃণমূলের নেতারা আন্দোলন করছেন দক্ষিণবঙ্গে। কিন্তু, রাজ্যপাল যে সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে উত্তরবঙ্গে এসে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন, উত্তরবঙ্গের মানুষ হিসেবে আমরা সবাই ওনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

    পুর-নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডির হানা নিয়ে কী বললেন সুকান্ত? (Sukanta Majumdar)

    পুর-নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডির হানা নিয়ে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে কর্পোরেশন এবং পুরসভাগুলিতে যে নিয়োগ হয়েছিল, সেই নিয়োগে চুরি করেছে তৃণমূল। টাকা দিয়ে চাকরি বিক্রি করেছে। রথীনবাবু চালাক লোক, প্রচুর সম্পত্তির মালিক। কিন্তু, মানুষকে বুঝতে দেন না। চুপচাপ থাকেন, খুব সহজ সাধারণ থাকার চেষ্টা করেন। কিন্তু, ইডির চোখে এইভাবে ধূলো দেওয়া যাবে না। ইডি মাত্র ৬ জন অফিসার নিয়ে যেভাবে কাজ করছে, তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। আমার বিশ্বাস, ইডি এই চোরগুলোকে উপযুক্ত জায়গায় পৌঁছে দেবে।

    সিকিম বিপর্যয় নিয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতির (Sukanta Majumdar) কী বক্তব্য?

    সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, সিকিমের পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়াবহ। যেভাবে তিস্তা ফুলেফেঁপে উঠেছে, তাতে আমরা চিন্তিত। আমি পার্টির তরফ থেকে সিকিমের পর্যবেক্ষক ছিলাম। সিকিমের মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি আমার সম্পূর্ণভাবে সহানুভূতি এবং সব রকম সমর্থন থাকল। আমাদের বিজেপি সিকিম ইউনিটের সভাপতি সহ বিভিন্ন কর্মীরা উদ্ধারকার্য থেকে শুরু করে বিভিন্ন কাজে লেগে রয়েছেন। দ্রুত ভালো হয়ে উঠুক সিকিমের পরিস্থিতি। তার জন্য আমরা ভগবানের কাছে প্রার্থনা করি। কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে এনডিআরএফ থেকে শুরু করে সমস্ত সাহায্য সিকিমের মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া হয়েছে। সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী সবরকম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

     তৃণমূলী হামলা নিয়ে থানায় অভিযোগ বিজেপির

    গতকাল রাতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কনভয়ে হামলার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এই নিয়ে হিলি থানায় অভিযোগ করতে চলেছে বিজেপি। এমনটাই জানান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share