Tag: Sukanta Majumdar

Sukanta Majumdar

  • Sukanta Majumdar: তৃণমূলের বোমাবাজিতে আতঙ্কিত ভোটারদের বুথে নিয়ে গেলেন সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: তৃণমূলের বোমাবাজিতে আতঙ্কিত ভোটারদের বুথে নিয়ে গেলেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুনর্নির্বাচনের দিন পুলিশ-প্রশাসন নয়, তৃণমূলের হুমকিতে আতঙ্কিত গ্রামবাসীদের গ্রামে গিয়ে অভয় দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। সুকান্তবাবু স্বয়ং পাশে থাকায় বুকে বল নিয়ে গ্রামবাসীরা বুথে গিয়ে ভোট দিলেন। সোমবারই এই ঘটনার সাক্ষী থাকল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপন ব্লকের আজমতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দাউদপুর গ্রাম।

    কেন এলাকার ভোটাররা আতঙ্কিত ছিলেন?

    এই জেলার তপন ব্লকের আজমতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দাউদপুর বুথে পুনর্নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নতুন করে অশান্তি তৈরি হয়। রাতভর গ্রামে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কতীরা বোমাবাজি করে বলে অভিযোগ। তৃণমূলের বাইক বাহিনীর দাপটে আতঙ্ক ছড়িয়েছে পুরো গ্রাম জুড়ে। এদিন সকালে আতঙ্কে ভোট কেন্দ্রে যেতে পারছিলেন না গ্রামের মানুষ। তাঁদের অভিযোগ, রাতভর তৃণমূলের বাইক বাহিনী এলাকায় তাণ্ডব চালিয়েছে। ভোট পর্যন্ত হয়তো কেন্দ্রীয় বাহিনী বা পুলিশের নিরাপত্তা থাকবে। কিন্তু পরবর্তী সময়ে তাদের নিরাপত্তার কী হবে? এই কথা ভেবেই তাঁরা ভোট দিতে যেতে চাইছিলেন না। খবর পেয়ে দাউদপুর গ্রামে এদিন যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। আতঙ্কিত ভোটারদের তিনি ভোট কেন্দ্রে ভোট দেওয়াতে নিয়ে যান। 

    বুথে বোমাবাজি, ছুটলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি

    গঙ্গারামপুরের রাঘবপুর ভোট কেন্দ্রে বোমাবাজি হওয়ায় ও বিজেপির ভোটারদের যেতে না দেওয়ায় সেখানেও যান সুকান্তবাবু। বুথ থেকে ৩০০ মিটার দূরে তাঁর কনভয় আটকে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকরা বিক্ষোভ দেখায় বলে অভিযোগ। বিক্ষোভ চলে টানা প্রায় ৪০ মিনিট। আটকে থাকে সুকান্ত মজুমদারের কনভয়। রাস্তায় বসে পড়েন সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে পুলিশ। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকরা পথ অবরোধ করে রাখেন। তৃণমূলের কর্মীদের সঙ্গে ব্যাপক ধস্তাধস্তি ও বাক-বিতণ্ডা হয়। এরপর গঙ্গারামপুর মহকুমার এসডিপিও দীপাঞ্জন ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে আসে। কেন্দ্রীয় বাহিনী ও জেলা পুলিশ একসাথে বিক্ষোভকারীদের বোঝাতে সমর্থ হয় এবং শেষ পর্যন্ত অবরোধ উঠে যায়। শুধুমাত্র রাঘবপুর নয়, শুকদেবপুর ও জয়দেবপুরে অভিযোগ পেয়ে সুকান্তবাবু গেলে তৃণমূলীরা তাঁকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। রাঘবপুরের পাশাপাশি নির্বাচনের হাল হকিকত খতিয়ে দেখতে গিয়ে এবং দলীয় কর্মী ও প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে যাওয়ার পথে কুশুমুন্ডিতে অবরোধ ও বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি।

    কী বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar)?

    এবিষয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, তৃণমূল সাধারণ মানুষদের আটকে রেখে তাদেরকে ভোট দিতে দিচ্ছে না। তপনের দাউদপুরে ও গঙ্গারামপুরের রাঘবপুরের একই ঘটনা করেছে তৃণমূল। পুলিশ-প্রশাসন কোনও কিছুই করছে না। নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। ভোটারদের ভোট দিতে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। তৃণমূলের তরফ থেকে এমনটা করা হচ্ছে। এনিয়ে যেখানে যেখানে অভিযোগ করার তা করেছি।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    এনিয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি মৃণাল সরকার বলেন, ভোট শান্তিতে হচ্ছে। কিন্তু বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ভোটারদের প্রভাবিত করতে বুথের ২০০ মিটারের মধ্যে ঢুকছেন। যা তিনি কখনও করতে পারেন না। তিনি শান্ত জায়গা অশান্ত করছেন। তিনি যাতে ভোটারদের প্রভাবিত করতে না পারেন, তার জন্য ক্ষুব্ধ জনতা সুকান্তকে (Sukanta Majumdar) আটকে দেয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Sukanta Majumdar: ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস! আক্রান্ত দলীয় কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গেলেন সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস! আক্রান্ত দলীয় কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গেলেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের দিন থেকেই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় বিভিন্ন এলাকায় দলীয় কর্মীদের ওপরে আক্রমণ হুমকি এবং ভয় দেখানোর অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। সেই অভিযোগ নিয়েই রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)  ভোটের দিন বিভিন্ন এলাকায় বুথে বুথে যান। ভোট মিটে যাওয়ার পরদিনও একই ঘটনা অব্যাহত রয়েছে বলে বিজেপির তরফে অভিযোগ তোলা হয়। রবিবার সকালে তপন ব্লকের হজরতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নিচ কাদমা গ্রামে যান সুকান্ত বাবু। সেখানে বিজেপি কর্মীরা তাঁকে অভিযোগ জানান, রাতে বিভিন্ন জায়গায় হুমকি দেওয়া হয়েছে। বিজেপি কর্মীদের আটকে রেখে এলাকায় ভোট করা হয়েছে। সকালে গুলির খোল উদ্ধার করে গ্রামবাসী। সেগুলি পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তা নিয়ে কথা বলতে গেলে সুকান্তর সঙ্গে পুলিশের বচসা হয়। গ্রামবাসীদের সঙ্গে পুলিশের ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। কিছুক্ষণ পরে অবশ্য তা মিটে যায়। এই নিচা কাদমা এলাকায় শনিবার তৃণমূল ছাপ্পা ভোট করে বলে অভিযোগ। এমনকী রাতভর সন্ত্রাস চালানো হয় বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে। নেতৃত্বে ছিলেন স্থানীয় তৃণমূল নেতারা। এদিন সকাল হতেই বিজেপি কর্মীরা একযোগে এর প্রতিবাদ জানায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

    আক্রান্তদের সঙ্গে দেখা করে কী বললেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)?

    অন্য একটি ঘটনায় বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বোয়ালদার গ্রাম পঞ্চায়েতের বোয়ালদা গ্রামে শনিবার রাতে বিজেপি সমর্থকের বাড়িতে হামলার ঘটনার পর আক্রান্ত বিজেপি কর্মীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে যান। সুকান্তবাবু বলেন, গণনার দিন পর্যন্ত তিনি জেলাতেই থাকবেন। যেখানে যেখানে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের উপর হামলা হবে, সেখানেই তিনি যাবেন এবং তার বিহিত করার চেষ্টা করবেন। অন্যদিকে, ভোটের পরবর্তী সময় থেকে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে বিরোধীদের বাড়িঘর ভাঙচুর থেকে শুরু করে হুমকি বিভিন্ন ঘটনা ঘটেই চলেছে এর জন্য দায়ী জেলা পুলিশ প্রশাসন। কারণ তারা নিরপেক্ষ ভূমিকা গ্রহণ করছে না। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর ব্লকের সিংহফরকায় ৩৭/১৬২ নম্বর বুথে শনিবার দেদারে চলে ছাপ্পা ভোট। অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধেই। প্রতিবাদে ব্যালট বক্সে জল ঢেলে দেয় ক্ষুব্ধ জনতা। তৃণমূলের অভিযোগ জল ঢালেন স্থানীয় বিজেপির বুথ সভাপতি অন্তু রায়। এরপরই তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা মারধর করে বিজেপির বুথ সভাপতিকে। এমনকী প্রাণনাশের হুমকি দেয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল ছুটে আসে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সহ স্থানীয় জেলা পরিষদের প্রার্থী প্রদীপ সরকার। বুথ সভাপতির সঙ্গে দেখার পাশাপাশি তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি।

    পুলিশ ক্যাম্পের কেন দাবি জানালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি ?

    সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন,তপনের হজরতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নিচ কাদমা গ্রামে শনিবার ভোট হয়নি। বুথের দরজা বন্ধ করেছে ছাপ্পা করেছে। কাউকে ভোট দিতে দেয়নি। এখানাকার যে প্রধান সে মানুষকে সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিচ্ছে। শুধু তাই নয় আজকে সকালে এসে বোমা মেরেছে, গুলি চালিয়েছে। গুলির খোল গ্রামবাসীরা পেয়েছেন। আমরা পুলিশকে বলেছি দ্রুত এই গ্রামে পুলিশ ক্যাম্প বসানোর জন্য।এই গ্রামে এসটি, এসসিদের উপর অত্যাচার হচ্ছে। কেন্দ্রীয় এসসি কমিশনের কাছে আবেদন জানাবেন যাতে ওই এলাকায় তাঁরা পরিদর্শন করতে আসেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: আইনশৃঙ্খলার অবনতি! কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ চেয়ে অমিত শাহকে চিঠি সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: আইনশৃঙ্খলার অবনতি! কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ চেয়ে অমিত শাহকে চিঠি সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটকে কেন্দ্র করে শনিবার ব্যাপক হিংসা ছড়ায় রাজ্য জুড়ে। সন্ত্রাসের বলি হন একদিনে ১৫ জন। কেন্দ্রীয় বাহিনী এলেও তাদের বুথে ব্যবহার করা হয়নি বলে অভিযোগ। এবার রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার প্রশ্নে কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের দাবি তুলল বঙ্গ বিজেপি। জানা গিয়েছে, এই ইস্যুতে বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। চিঠি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্টমন্ত্রী অমিত শাহকেও। ভোট ঘোষণা থেকে একে একে ঝরে পড়েছে তিরিশের ওপর তাজা প্রাণ, জেলায় জেলায় লাগামছাড়া সন্ত্রাসের অভিযোগ শাসক দলের বিরুদ্ধে।

    কী বললেন সুকান্ত?

    সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) শনিবার বলেন “কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ চাই এখনই। সেটা ৩৫৫ হতে পারে, ৩৫৬ হতে পারে। কোনটা হবে, সেটা কেন্দ্রীয় সরকার ঠিক করুক। জেপি নাড্ডাকে জানিয়েছি।” সংবিধান বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ৩৫৫ ধারা অনুযায়ী, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হলে, কেন্দ্রের হাতে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার দায়িত্ব চলে যায়। আর ৩৫৬ ধারা অনুযায়ী, রাজ্য প্রশাসন চালাতে অক্ষম হলে, পুরো প্রশাসনিক ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির হাতে চলে যায়।

    শনিবার সকাল থেকেই হিংসা ছড়ায় রাজ্যে 

    শনিবার সকাল থেকেই নির্বাচন-সন্ত্রাসের খবর সামনে আসতে থাকে। বোমাবাজি, গুলিচালনা, ব্যালট বাক্স ছিনতাই চলতেই থাকে। পঞ্চায়েত ভোটে এক দিনে মৃতের সংখ্যা পৌঁছায় ১৭-তে। শনিবার দুপুরের পর থেকে, কিছুটা সময় এমনও ছিল যখন প্রতি মিনিটে একটা করে লাশ পড়তে থাকে। রাজ্যের অজস্র স্পর্শকাতর বুথে বাহিনী মোতায়েন না করে শুধুই সিভিক দিয়ে ভোট করানোর অভিযোগ ওঠে কমিশনের বিরুদ্ধে। এমন পরিস্থিতিতে রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী শনিবার দুপুরেই অবিলম্বে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপের দাবি তোলেন। শুভেন্দু বলেন, “আমি একটা কারণে, একটা লক্ষ্য নিয়ে মন্ত্রিত্ব ছেড়ে এসেছি। সেই লক্ষ্যে আমাকে যা করতে হয় করব। পতাকা ধরে কিংবা পতাকা ছেড়ে, টু সেভ ডেমোক্র্যাসি, আমাকে যা করতে হয় করব।” তাঁর আরও সংযোজন, দুটি পথ খোলা। এক, ‘কালীঘাট চলো’, দ্বিতীয়ত ‘৩৫৬ কিংবা ৩৫৫ ধারা।’

     

    আরও পড়ুুন: পঞ্চায়েত নির্বাচনে অবাধ ছাপ্পা, হিংসা, প্রতিবাদে ‘ঠুঁটো’ নির্বাচন কমিশনের দফতরে তালা শুভেন্দুর

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘‘বিজেপি করার জন্য লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ হলে আমাকে জানান’’, বললেন সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: ‘‘বিজেপি করার জন্য লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ হলে আমাকে জানান’’, বললেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘির বিধায়ক গৌতম পালের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ভোট না দিলে লক্ষীর ভান্ডার বন্ধ করার হুমকি দিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে, গোয়ালপোখরের তৃণমূলের ব্লক সভাপতি তথা মন্ত্রী গোলাম রব্বানীর ভাই গোলাম রসুল সিভিক ভলান্টিয়ারদের ভোটের পর দেখে নেওয়ার হুমকি দেন বলে অভিযোগ। এই আবহে উত্তর দিনাজপুর জেলায় দলীয় প্রচারে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) তৃণমূলকে এক হাত নিলেন।

    কী বললেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)?

    বিজেপিকে সমর্থন করার জন্য কোনও মহিলার যদি লক্ষ্মীর ভান্ডার থেকে নাম বাদ যায়, তাহলে তাঁদের যোগাযোগ করতে বললেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘আদালত যেমন থাপ্পড় মেরে মেরে সেন্ট্রাল বাহিনী দিল, সেই হাইকোর্ট থেকেই আবার থাপ্পড় মেরে মেরে আমরা রাজ্য সরকারকে দিয়ে ৫০০ টাকা, ১০০০ টাকা লক্ষ্মীর ভান্ডারের ব্যবস্থা করব।’’ সুকান্ত মজুমদার আরও বলেন, ‘‘কোনও সিভিক ভলান্টিয়ার ভাইয়ের যদি ক্ষতি হয়, আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলবেন।  সেই জেলার এসপি-কে কোর্টে টেনে নিয়ে গিয়ে চাকরি আবার ফিরিয়ে দেব।’’

    উত্তর দিনাজপুরে ‘রোড শো’ সুকান্ত মজুমদারের

    মঙ্গলবার উত্তর দিনাজপুর জেলার ইটাহারের নন্দনগ্রামে দলীয় প্রার্থীদের হয়ে প্রচারে আসেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সেখানে দলীয় প্রার্থী এবং কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে একটি রোড শো-এ অংশগ্রহণ করেন তিনি। এই রোড শো-এ রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। প্রচার শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিভিন্ন ইস্যুতে রাজ্য সরকার ও নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে সরব হন। কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার এবং নির্বাচন কমিশন দুটোকে আলাদা ভাবে দেখছি না। একই অঙ্গে দুই রূপ। হাইকোর্টে থাপ্পড়ের পর থাপ্পড় খেতে খেতে গাল লাল হয়ে গেছে। গালে আর জায়গা নাই। আর কোথায় কোথায় যে মারবে! আরও কয়েকটা থাপ্পড় বাকি আছে।’’

    বিহার থেকে ভাড়া করা গুন্ডা ঢুকেছে বলে অভিযোগ সুকান্তর (Sukanta Majumdar)

    পাশাপাশি উত্তর দিনাজপুরে বহিরাগত দুষ্কৃতীদের প্রবেশ প্রসঙ্গে সুকান্তবাবু বলেন, ‘‘বিহার থেকে দুষ্কৃতীরা এর আগেও ভোটের সময় ঢুকেছে। উত্তর দিনাজপুরের প্রশাসনের অভিজ্ঞতা তো আছে। তাদের উচিত খুব ভালো করে সেখানে প্রোটেকশনের ব্যবস্থা করা, যাতে বহিরাগতরা রাজ্যে ঢুকতে না পারে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী তো প্রধানমন্ত্রী-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঢুকলে বহিরাগত-বহিরাগত বলে চিৎকার করেন। আর যখন বিহার থেকে ভাড়া করা গুন্ডারা ঢুকে উত্তর দিনাজপুরে মারামারি করে, তখন তাদের বহিরাগত মনে হয় না মুখ্যমন্ত্রীর।’’ এবং পাঞ্জিপাড়ায় আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় তিনি বলেন, ‘‘এ ধরনের ঘটনা প্রমাণ করছে গোটা রাজ্য বোম-বন্দুক-কার্তুজের ফ্যাক্টরিতে পরিণত হয়েছে। পুলিশ ধরেছে বলে যা দেখতে পাচ্ছেন, তা হিমশৈলের চূড়া মাত্র। এর থেকে অনেক বেশি তৃণমূলের নেতাদের কাছে আছে। তারা আগামী নির্বাচনে ব্যবহারও করবে, তা আমরা জানি।’’ 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Vote: বিজেপির জেলা পরিষদ প্রার্থীর গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

    Panchayat Vote: বিজেপির জেলা পরিষদ প্রার্থীর গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুকান্ত মজুমদারের নির্বাচনী সভা থেকে ফেরার পথে বিজেপির জেলা পরিষদ প্রার্থীর গাড়িতে হামলা চালাল দুষ্কৃতীরা। অভিযোগের তীর তৃণমূলের বিরুদ্ধে। হামলায় ভেঙে গিয়েছে প্রার্থীর গাড়ির কাচ। মঙ্গলবার বিকেলে এই ঘটনাকে ঘিরে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় গঙ্গারামপুর ব্লকের সুকদেবপুরের পাটন মোড় এলাকায়। হামলার ঘটনায় সরাসরি তৃণমূলের বিরুদ্ধেই আঙুল তুলেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। অবিলম্বে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা না হলে বুধবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্নায় বসার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন সুকান্ত।

    আরও পড়ুন: বিজেপি প্রার্থীকে পুড়িয়ে মারার হুমকি দিয়ে পোস্টার, অভিযুক্ত তৃণমূল

    ঘটনার পূর্ণাঙ্গ বিবরণ

    জানা গিয়েছে, এদিন বিকেলে গঙ্গারামপুরের সুখদেবপুর এলাকায় বিজেপি প্রার্থীদের হয়ে নির্বাচনী প্রচারে (Panchayat Vote) আসেন দলের রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। এদিন যে সভায় তিনি অংশ নিয়েছিলেন, সেখানকার জেলা পরিষদ প্রার্থী প্ৰদীপ সরকারও হাজির ছিলেন। সভা থেকে ফেরার পথে পাটন এলাকায় তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের কবলে পড়েন তিনি। বেপরোয়া ভাঙচুর চালানো হয় তাঁর গাড়িতে। এরপরেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গঙ্গারামপুর থানায় লিখিত অভিযোগ জানান ওই বিজেপি প্রার্থী। এদিকে এই ঘটনা নিয়ে সরাসরি জেলা তৃণমূল সভাপতির বিরুদ্ধেই আঙুল তোলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

    কী বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি?

    সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘দলের প্রচার সেরে বাড়ি ফেরার পথে আমাদের প্রার্থীর গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রশাসন ব্যবস্থা না নিলে আগামী কাল থেকে ধর্নায় বসব। খুন সহ ৩২টি কেসের আসামি যিনি, তিনি ওই এলাকায় শাসক দলের প্রার্থী হয়েছেন। হারের আশঙ্কায় এ সমস্ত করছেন।

    আরও পড়ুন: ‘‘তৃণমূল না করলে চলে যাবে সিভিকের চাকরি’! হুঁশিয়ারি ব্লক সভাপতির

    কী বলছে তৃণমূল?

    এদিকে এই ঘটনায় বিজেপির তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন দক্ষিণ দিনাজপুর তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি মৃণাল সরকার। তিনি বলেন, ‘‘গাড়ি ভাঙচুর খুব নিন্দনীয় বিষয়। এখানে তৃণমূল কংগ্রেসের কারও হাত নেই। এটা কে বা কারা করেছেন, ওনারাই বলতে পারবেন।’’ 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar:  ‘পঞ্চায়েত ভোটে স্পর্শকাতর বুথ ঠিক করেছেন ভাইপো,’ বিস্ফোরক অভিযোগ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘পঞ্চায়েত ভোটে স্পর্শকাতর বুথ ঠিক করেছেন ভাইপো,’ বিস্ফোরক অভিযোগ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্পর্শকাতর বুথ জেলা প্রশাসন ঠিক করেনি, ঠিক করেছে ভাইপো। মঙ্গলবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুশমন্ডিতে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) এই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, জেলা প্রশাসন থেকে যে তালিকা পাঠানো হয়েছে, ভাইপো সেখান থেকে স্পর্শকাতর বুথ ঠিক করেছে। ভাইপো এই রাজ্যের কিছু জানে নাকি! রাজ্যের কোথায় ধান, গম চাষ হয়, সেটাও ভাইপো ঠিকমতো জানে না। সে আবার স্পর্শকাতর বুথ ঠিক করছে।

    রাজ্য সভাপতির (Sukanta Majumdar) হাত ধরে তৃণমূল ছেড়ে বহু কর্মী যোগ দিলেন বিজেপিতে

    পঞ্চায়েত নির্বাচনে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুশমন্ডিতে বিজেপির প্রার্থীদের সমর্থনে নির্বাচনী প্রচারে হাঁটলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। মঙ্গলবার কুশমন্ডিতে বিজেপির পক্ষ থেকে একটি নির্বাচনী প্রচার মিছিল বের করা হয়। সেই প্রচারে বিজেপির প্রার্থীদের সমর্থনে তাঁদের সঙ্গে পায়ে পা মেলান রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সুকান্ত মজুমদার ছাড়াও প্রচারে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী সহ দলের নেতৃত্বরা। পাশাপাশি এদিন কুশমন্ডি বিধানসভার উদয়পুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় তৃণমূল ছেড়ে শতাধিক কর্মী বিজেপিতে যোগাদান করেন। তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। যোগদানের ফলে উদয়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতে এবারের নির্বাচনে ভালো ফল করবে বলে জানান বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

    রাজ্যপাল প্রসঙ্গে কী বললেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)?

    রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কমিশনে নালিশ জানিয়েছে তৃণমূল। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, রাজ্যপাল নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করছেন। তিনি তৃণমূল নেতাদের বাড়িতেও যাচ্ছেন, তাঁদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলছেন। আর নিরপেক্ষ যে কোনও সংস্থাকে তৃণমূল ভয় পায়। তাই রাজ্যপালকে ভয় পাচ্ছে তৃণমূল। ভাবছে রাজ্যপাল যদি কিছু করে দেন।

    তৃণমূলের কোন্দল নিয়ে কী বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar)?

    কেশপুরে শাসক দলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব নিয়ে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, মূলত ভাগবাঁটোয়ারা নিয়ে গণ্ডগোল। এটা নতুন কী। সেখানকার গাছ কেটে বিক্রি করে, নদীর বালি কেটে বিক্রি করে শাসক দল। তাই দ্বন্দ্ব হচ্ছে। সায়নী ঘোষ প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, সায়নী ঘোষকে প্রয়োজনে বার বার ডাকবে। যদি আমার নামে কোনও দুর্নীতির অভিযোগ থাকে তাহলে আমাকেও ডাকবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে কোর্টে যাচ্ছে বিজেপি’, কেন বললেন সুকান্ত?

    Sukanta Majumdar: ‘রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে কোর্টে যাচ্ছে বিজেপি’, কেন বললেন সুকান্ত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছে বিজেপি। সোমবার কোচবিহারে নির্বাচনী প্রচারে যাওয়ার পথে এনজেপি রেল স্টেশনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিজেপির রাজ্য সভাপতি, সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বুথের ভিতর না রাখার যে সিদ্ধান্ত জানিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন, আমরা তার বিরোধিতা করছি। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করব আমরা। আমাদের আইনজীবীরা তার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

    আরও কী বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar)?

    সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, রাজ্য নির্বাচন কমিশন রাজ্যের শাসক দলের দলদাসে পরিণত হয়েছে। তাই পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঠুঁটো করে রাখার জন্য এই সিদ্ধান্ত। যাতে তৃণমূল অবাধে ভোট লুট করতে পারে। কেননা পঞ্চায়েত নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ হলে বিজেপি জিতবে। তারপর তৃণমূল দলটাই থাকবে না। সবাই তখন তৃণমূল ছেড়ে বেরিয়ে আসবে। আর সেই ভয়েই তৃণমূল পঞ্চায়েত নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করতে চাইছে না।

    রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে কী বললেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)?

    সন্ত্রাস, সংঘর্ষের অভিযোগ পেলেই ছুটে যাচ্ছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। ইতিমধ্যে পাহাড় থেকে সমতল, উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা তিনি ঘুরে দেখেছেন। এপ্রসঙ্গে এক প্রশ্নের উত্তরে বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar) বলেন, রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান যখন ঠিক মতো তাঁর কাজ করেন না, তখন সাংবিধানিক প্রধানকে সেই কাজ করতে হয়। আমাদের রাজ্যপাল অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্য সেই কাজটাই করছেন। তিনি যেভাবে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরছেন, মানুষের কাছে যাচ্ছেন, তাতে যাঁরা শান্তিপূর্ণ অবাধ ভোট চান, তাঁদের উৎসাহিত করছেন। যাঁরা অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চান না, তাঁরা রাজ্যপালের এই সফরে নিরুৎসাহিত হচ্ছেন। রাজ্যপালের এই ভূমিকা সাধারণ মানুষকে ভোটদানে সাহস জোগাবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: অনুব্রতর গড়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের মন জয় করলেন সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: অনুব্রতর গড়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের মন জয় করলেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এই প্রথম অনুব্রতহীন পঞ্চায়েত ভোট হচ্ছে বীরভূমে। গোষ্ঠী কোন্দলে জর্জরিত তৃণমূল। সেখানে ঘর গোছাতে শুরু করেছে বিজেপি। জেলায় একাধিক ব্লকেই নির্দল প্রার্থী এখন তৃণমূলের পথের কাঁটা। ভোট কাটাকাটির অঙ্কে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। এই অবস্থায় রবিবার বীরভূমে দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে প্রচারে এসে ঝড় তুললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।

    কোথায় দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে প্রচার করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar)?

    আগামী ৮ জুলাই ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচন। এখন হাতে সময় খুবই কম। এমনকী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা প্রার্থীদের সমর্থনে এলাকায় যাচ্ছেন এবং তাঁদের দলীয় প্রার্থীদের ভোট দেওয়ার আবেদনও করছেন। এদিন দুবরাজপুর ব্লকের বালিজুড়ি পঞ্চায়েত এলাকার চণ্ডীপুর গ্রামে ভোট প্রচারে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar)। তিনি প্রথমে গ্রামের একটি মন্দিরে প্রণাম করে প্রচার শুরু করেন। পরে, দলীয় প্রার্থীদের ভোট দেওয়ার আবেদন জানিয়ে বাড়ি বাড়ি প্রচার করেন তিনি। পাশাপাশি দুবরাজপুর পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সহ-সভাপতি রবীন বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন তিনি। তাছাড়াও দুবরাজপুর ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় যেন শান্তিপূর্ণ ভোট হয়, সেই জন্য তাঁর সঙ্গে কথা বলেন।

    ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে কী বললেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)?

    এদিন দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar)। গত ৯ বছরে কেন্দ্রে বিজেপির উন্নয়নমূলক কাজের পরিসংখ্যান সমৃদ্ধ লিফলেট ভোটারদের হাতে তুলে দেন। তিনি বলেন, দুর্নীতিমুক্ত পঞ্চায়েত গড়তে বিজেপি প্রার্থীদের ভোট দিতে হবে। সকলের কাছে দলীয় প্রার্থীদের ভোট দেওয়ার জন্য তিনি আবেদন জানান। তিনি ছাড়াও এদিন উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, দুবরাজপুর বিধানসভার বিধায়ক অনুপকুমার সাহা, জেলার সাধারণ সম্পাদক টুটুন নন্দী, সংখ্যালঘু সেলের জেলা সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন সহ বিজেপির নেতা কর্মীরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purulia: “এই সরকার চায় না শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হোক”, তীব্র আক্রমণে সুকান্ত মজুমদার

    Purulia: “এই সরকার চায় না শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হোক”, তীব্র আক্রমণে সুকান্ত মজুমদার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে পুরুলিয়ার (Purulia) পুঞ্চায় মহা মিছিলে অংশগ্রহণ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এদিন পুঞ্চার দলহা মোড় থেকে পুঞ্চা কিষাণ মান্ডি পর্যন্ত এই মহা মিছিল হয়। এদিন সুকান্ত মজুমদার ছাড়াও মিছিলে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা পুরুলিয়ার সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো, বিজেপির পুরুলিয়া জেলার সভাপতি বিবেক রাঙা সহ দলের নেতৃত্ব। এদিন মিছিল শেষে পুঞ্চা কিষাণ মান্ডির পাশে একটি পথসভায় যোগদান করেন সুকান্তবাবু।

    পুরুলিয়ার (Purulia) জেলা পরিষদ নিয়ে কী বললেন?

    পুরুলিয়া (Purulia) পৌঁছে ট্রেন থেকে নেমে রাজ্যের বিজেপি সভাপতি বলেন, এই পুরুলিয়ার এসপি আগে ডায়মন্ডহারবারে ছিলেন। কয়লা চোর ভাইপো পুরুলিয়া জেলা পরিষদের ভোট লুটের জন্য পাঠিয়েছেন এই দলদাস পুলিশকে। কিন্তু লাভ হবে না। পুরুলিয়ার মানুষ ভোটের মাধ্যমে তৃণমূল সরকারকে বহিষ্কার করবেন। এখানকার জেলা পরিষদ বিজেপির দখলেই থাকবে বলে মন্তব্য করেন সুকান্ত। পাশাপাশি কুড়মি সমাজের ভোট প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, কুড়মি সমাজের ভোট বিজেপিই পাবে। তৃণমূলের যুব সভানেত্রী সায়নী ঘোষের ইডি দফতরে হাজিরা প্রসঙ্গে বলেন, সব চোর জেলে যাবে। কয়েকদিন পরেই ‘সায়নীর অন্তর্ধান রহস্য’ সিনেমা প্রকাশিত হবে বলে কটাক্ষ করেন সুকান্ত।

    সভা মঞ্চ থেকে কী বললেন সুকান্ত

    এদিন মঞ্চ (Purulia) থেকে সুকান্ত মজুমদার রাজ্যের তৃণমূলের বিরুদ্ধে আক্রমণ করে বলেন, এই সরকার চায় না শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হোক। শাসক ভেবেছিল, বিজেপি হয়তো ভয় পেয়ে গেছে। কিন্তু মনোনয়নের প্রথম দু’ দিনেই আমরা আমাদের প্রার্থীদের অধিকাংশ মনোনয়ন করে দিয়েছি। বিরোধীদের মধ্যে প্রায় পঞ্চাশ হাজার মনোনয়ন জমা করেছে একা বিজেপিই। শাসক দল বিজেপির মনোনয়ন দেখে ভয় পেয়ে গেছে। আমরা আমাদের গণতান্ত্রিক লড়াই গণতন্ত্র মেনেই করব। কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে বাহিনী প্রয়োগের যথাযথ রিপোর্ট পাঠায়নি। যে ৩২২ কোম্পানি নিয়ে আসা হয়েছে, তাকে কীভাবে বুথ স্তর পর্যন্ত ব্যবহার করা হয়েছে, সেই বিষয়ে স্পষ্ট কোনও প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না। শাসক এবং নির্বাচন কমিশন যে কোনওভাবেই শান্তিপূর্ণ, অবাধ নির্বাচন চায় না, সেই বিষয়েও তিনি সুনিশ্চিত! 

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: তৃণমূল রক্তের হোলি খেললে বিজেপিকেও সেই খেলায় নামতে হবে, চরম হুঁশিয়ারি সুকান্তর

    BJP: তৃণমূল রক্তের হোলি খেললে বিজেপিকেও সেই খেলায় নামতে হবে, চরম হুঁশিয়ারি সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যদি তৃণমূল কংগ্রেস ভাবে রক্তের হোলি খেলবে, তাহলে বিজেপিকেও (BJP) সেই খেলায় নামতে হবে। তখন যেন আমাদের কেউ দোষ না দেয় যে বিজেপি আইন-শৃঙ্খলা মেনে চলছে না। কমিশন ব্যবস্থা না নিলে বিজেপি বাধ্য হবে ব্যবস্থা নিতে। বৃহস্পতিবার নদিয়ার নবদ্বীপে একটি নির্বাচনী মিছিলে এসে রাজ্যে শাসক দল ও কমিশনকে আক্রমণ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এদিন নবদ্বীপের শ্যামপুর বাজার থেকে রাওতারা পর্যন্ত প্রায় ১২ কিলোমিটার রাস্তা দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে মিছিল করেন তিনি।

    ঠিক কী বললেন সুকান্ত মজুমদার (BJP)?

    উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরেই গোটা রাজ্য জুড়ে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতৃত্ব প্রচারে নেমে পড়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন জায়গায় মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় থেকেই রাজনৈতিক সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠে আসছে। কোথাও বিরোধীদের মনোনয়নপত্র জমা না দিতে দেওয়া, আবার কোথাও বিরোধী প্রার্থীদের মারধর এবং হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শাসক দলের বিরুদ্ধে। গতকাল মেদিনীপুরের সবংয়ে বিজেপির (BJP) বুথ সভাপতির ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। সেই প্রসঙ্গ টেনে সুকান্ত মজুমদার বলেন, গোটা রাজ্য জুড়ে শাসক দল রক্তের হোলি খেলছে। আর তারা যদি এই খেলা বন্ধ না করে, তাহলে বিজেপিও বাধ্য হয়ে এই খেলায় নামবে। তখন যেন প্রশাসন বা কমিশন বিজেপিকে কিছু না বলতে আসে।

    উদয়ন গুহ এবং মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ

    কোচবিহার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সীমান্ত এলাকা জুড়ে যত তৃণমূলের নেতা রয়েছেন, সবাই চোরাচালানোর সঙ্গে যুক্ত। তারা চায় জোর করে পঞ্চায়েত দখল করতে। কারণ বিএসএফের নিয়ম অনুসারে জন প্রতিনিধিদের কথা কিছুটা হলেও তাদের শুনতে হয়। আর এর মাথায় রয়েছেন উদয়ন গুহ। তিনি বলেন, যতদিন পর্যন্ত এই গুন্ডা তৃণমূলে থাকবে, ততদিন এই চোরাকারবার এবং সংঘর্ষ চলবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার (BJP) বলেন, তিনি সব সময় বিএসএফ থেকে শুরু করে আর্মিদেরও টার্গেট করে মন্তব্য করেন। কিন্তু জীবন বাঁচানোর সময় এলে আর্মি বাঁচায়। মুখ্যমন্ত্রীর হেলিকপ্টার বিপদে পড়েছিল। তখন আর্মি ক্যাম্পে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে নামতে হয়েছিল। আবার বলতে হল আমার ছোটবেলায় আর্মিতে কাজ করা খুব ইচ্ছে ছিল। যার ইচ্ছা থাকবে, সে কখনও আর্মি সম্পর্কে এই ধরনের কথা বলে? যখন সার্জিক্যাল স্ট্রাইক হয়েছিল, তখন ইমরান খান এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা মিলে গিয়েছিল।

    পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর শারীরিক অসুস্থতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা চাই মুখ্যমন্ত্রী যত দ্রুত সম্ভব সুস্থ হয়ে রাজনীতির ময়দানের নামুক। ভালো খেলোয়াড় না হলে খেলে মজা হয় না। উনাকে মুখ্যমন্ত্রী থাকা অবস্থায় হারাবো।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share