Tag: Sukanta Majumdar

Sukanta Majumdar

  • Sukanta Majumdar: ‘সন্দেশখালি না গিয়ে শ্যুটিংয়ে ব্যস্ত মুখ্যমন্ত্রী’, তোপ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘সন্দেশখালি না গিয়ে শ্যুটিংয়ে ব্যস্ত মুখ্যমন্ত্রী’, তোপ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রোম যখন পুড়ছিল, তখন বাঁশি বাজাচ্ছিলেন শাসক নিরো। প্রায় একই ঘটনা ঘটছে পশ্চিমবাংলায়ও। সৌজন্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল বাহিনীর অত্যাচারে যখন অশান্তির আগুন জ্বলছে উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে, তখন শ্যুটিংয়ে ব্যস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঞ্চালনায় একটি রিয়েলিটি শোয়ে অংশ নেবেন তিনি। সেই শোয়েরই শ্যুটিং চলছে হাওড়ায়।

    শ্যুটিংয়ে ব্যস্ত!

    জানা গিয়েছে, এই শোয় নিয়েই ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ঘটনাটিকে কটাক্ষ করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। ট্যুইট-বার্তায় তিনি লেখেন, “আমাদের মুখ্যমন্ত্রী সন্দেশখালিতে যাচ্ছেন না সেখানকার নির্যাতিতাদের কথা শুনতে। তিনি দিদি নং ১ এর শ্যুটিংয়ে ব্যস্ত।” ‘দিদি নম্বর ১’ শীর্ষক রিয়েলিটি শোয়ে যোগ দিয়ে জীবন সংগ্রাম কিংবা সাফল্যের কাহিনি তুলে ধরেন মহিলারা। দিন কয়েক আগে রচনাকে নবান্নে দেখা যায়। তার পরেই প্রশ্ন ওঠে, তাহলে কি দিদি নম্বর ওয়ানে অংশ নিতে তিনি গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানাতে? এ ব্যাপারে অবশ্য রচনা কিছু বলেননি (Sukanta Majumdar)। মুখ খোলেননি তৃণমূল নেত্রীও।

    নেপথ্য কথন

    রেশন বিলিকাণ্ডে কেলেঙ্কারির জেরে সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে হানা দেয় ইডি। অভিযোগ, বাড়িতে থেকেও ইডির আধিকারিকদের ঘরে ঢুকতে দেননি শাহজাহান। পরে শাহজাহানের অনুগামীদের ছোড়া ইটের ঘায়ে জখম হন ইডির দুই আধিকারিক। তাঁদের সঙ্গে থাকা সিআরপিএফের দুই জওয়ানও জখম হন। চারজনকেই ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। এর পরে পরেই গা ঢাকা দেয় শাহজাহান।

    আরও পড়ুুন: “১৯৭১ সালের মতো ফের ভাঙতে পারে পাকিস্তান”, বললেন আফগান মন্ত্রী

    শাহজাহান এলাকা ছাড়তেই তাঁর শাগরেদদের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগে সোচ্চার হন সন্দেশখালির মহিলারা। তাঁদের অভিযোগ, মিটিংয়ের কথা বলে রাতে ডেকে নিয়ে যাওয়া হত তাঁদের। পরে বাছাই করা কয়েকজনকে রেখে বাকিদের বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হত। যাঁদের রেখে দেওয়া হত, তাঁদের হয় পার্টি অফিসে, নয় বাগান বাড়িতে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন করা হত। যাঁরা তাঁদের ডাকে সাড়া দিতেন না, তাঁদের বাড়িতে সাদা থান কাপড় পাঠিয়ে দেওয়া হত। নির্যাতিতাদের আন্দোলনের জেরে উত্তাল হয়ে ওঠে সন্দেশখালি। সেখানে গিয়ে নির্যাতিতাদের সঙ্গে কথা বলার বদলে শ্যুটিং করে চলেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা (Sukanta Majumdar) তৃণমূল সুপ্রিমো।

    সত্যিই সেলুকাস, কি বিচিত্র এই দেশ (পড়ুন রাজ্য)!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
  • Sandeshkhali Incident: সন্দেশখালির নির্যাতিতার নাম কেন প্রকাশ্যে? জাতীয় মহিলা কমিশনকে চিঠি সুকান্তর

    Sandeshkhali Incident: সন্দেশখালির নির্যাতিতার নাম কেন প্রকাশ্যে? জাতীয় মহিলা কমিশনকে চিঠি সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে নির্যাতিতার পরিচয় প্রকাশ্যে এনেছে পুলিশ, এই অভিযোগে জাতীয় মহিলা কমিশনকে চিঠি পাঠালেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। জাতীয় মহিলা কমিশনকে দেওয়া চিঠিতে সুকান্ত মজুমদার উল্লেখ করেছেন, রাজ্য পুলিশ সুপ্রিম কোর্টের আদেশ অমান্য করে সন্দেশখালির নির্যাতিতার পরিচয় গোপন না-রেখে প্রকাশ্যে নিয়ে এসেছেন। এ বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গের ডিজি রাজীব কুমারের গ্রেফতারের দাবিও জানিয়েছেন সুকান্ত।

    জাতীয় মহিলা কমিশনকে চিঠি

    সন্দেশখালিতে এক নির্যাতিতার বয়ানের ভিত্তিতে পুলিশ শাহজাহান অনুগামী শিবু হাজরা ও উত্তম সর্দারের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের মামলা যুক্ত করেছে। এ বিষয়ে রাজ্য পুলিশের ডিজি (DG) রাজীব কুমার জানিয়েছিলেন, ওই মহিলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে গোপন জবানবন্দি দেন, তার ভিত্তিতেই ওই ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। তা নিয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের অভিযোগ, পুলিশ নির্যাতিতার পরিচয় প্রকাশ করেছে, যা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী বেআইনি। রাজ্য পুলিশের এই কাজের তীব্র নিন্দা করে সোমবার জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মাকে চিঠি দেন সুকান্ত। তাঁর দাবি, মহিলা কমিশন এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করুক।

    আরও পড়ুন: ‘পাকিস্তানের মতো অবস্থা বাংলার মহিলাদের’, সন্দেশখালি নিয়ে মমতাকে আক্রমণ লকেটের

    রাজীব কুমারকে গ্রেফতারের দাবি 

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার অভিযোগ করেছেন, শিবপ্রসাদ হাজরার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা এক মহিলার নাম প্রকাশ করেছে পুলিশ। শুধু তাই নয়, মহিলার একটি ভিডিও স্যোশাল মিডিয়ার আপলোড করা হয়েছে ৷ জবানবন্দি দেওয়ার জন্য ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে গিয়েছিল ওই নির্যাতিতা। তার আগে পুলিশ তার একটি ছোট্ট ভিডিও বানায়। গোপন জবানবন্দির জন্য পুলিশ তাকে নিয়ে গিয়েছে। এই কথা পুলিশ তাকে বলতে বাধ্য করেছে। শুধু তাই নয়, এরপর সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করেছে। এই কাজ সম্পূর্ণ আইনবিরুদ্ধ। পুলিশ নির্যাতিতার পরিচয় প্রকাশ করে গুরুতর অপরাধ করেছে। নির্যাতিতার পরিচয় প্রকাশ কখনও করা যায় না। কিন্তু সেই কাজ করেছে পুলিশ। এ প্রসঙ্গে সুকান্তর দাবি, পশ্চিমবঙ্গের ডিজি রাজীব কুমারকে গ্রেফতার করতে হবে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন সুকান্ত, আজই যেতে পারেন দিল্লি

    Sukanta Majumdar: হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন সুকান্ত, আজই যেতে পারেন দিল্লি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। চলতি সপ্তাহের বুধবার, সরস্বতী পুজোর দিনই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। শনিবার সকালে কলকাতার বেসরকারি হাসপাতাল থেকে সুকান্তবাবু বের হতেই পুষ্পবৃষ্টি শুরু করেন অনুরাগীরা। এদিন ছুটি পাওয়ার পর হুইল চেয়ারে করে বের হন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি বের হতেই বিজেপি কর্মী সমর্থকরা স্লোগান তোলেন। রাজ্য সভাপতি ধরে গাড়িতে তোলা হয়। দেখা যায় সমস্ত মেডিক্যাল রিপোর্ট নিয়েই এদিন গাড়িতে ওঠেন সুকান্ত।

    বুধবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি সন্দেশখালি যাওয়ার পথে পুলিশের সঙ্গে বচসা বাধে সুকান্তর। সেসময় পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ চলাকালীনই অসুস্থ হয়ে পড়েন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। শনিবার থেকেই দিল্লিতে বসছে বিজেপির দু’দিনের রাষ্ট্রীয় অধিবেশন। আজ শনিবার এবং আগামীকাল রবিবার হবে বিশেষ অধিবেশন। মূলত, দিল্লিতে দলের রাষ্ট্রীয় অধিবেশনে যোগ দেওয়ার প্রবল ইচ্ছের কারণেই চিকিৎসকদের কাছে ছুটির আবেদন জানিয়েছিলেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)।  বিজেপি সূত্রে খবর, শনিবারেই বিমান ধরে দিল্লি রওনা যেতে পারেন তিনি।

    বুধবার প্রথমে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় তাঁকে

    বুধবার প্রথমে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় তাঁকে। পরে সন্ধ্যায় সুকান্তবাবুকে স্থানান্তরিত করা হয় কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলছিল। বিজেপির রাজ্য নেতারা তাঁকে হাসপাতালে গিয়ে দেখে আসেন। রাজ্যপালও হাজির হন সেখানে সুকান্তকে (Sukanta Majumdar) দেখতে। প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও হাজির হন হাসপাতালে। প্রসঙ্গত, প্রথমদিন তাঁকে নিউরো আইসিইউতে রাখা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার রাত থেকে ডে-কেয়ার বিভাগে স্থানান্তরিত করা হয় বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে (Sukanta Majumdar)।

    বিজেপির রাষ্ট্রীয় অধিবেশন

    সারা দেশের প্রতিটি রাজ্য থেকে দলের সাংসদ বিধায়ক-সহ জেলা ও রাজ্যস্তরের পদাধিকারীরা যোগ দিচ্ছেন দিল্লিতে। বাংলা থেকেও বিধায়ক সাংসদ-সহ বিভিন্ন দলীয় নেতৃত্ব ও কয়েকশো পদাধিকারী যোগ দিতে ইতিমধ্যে রওনা হয়েছেন দিল্লি। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও শনিবারই পৌঁছে যাবেন দিল্লিতে, এমনটাই খবর বিজেপি সূত্রে। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সমেত গেরুয়া শিবিরের প্রথম সারির মুখরাও উপস্থিত থাকবেন দলের এই বিশেষ অধিবেশনে। রবিবার বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী সুর বেঁধে দেবেন লোকসভা ভোটের প্রচারের।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘‘দলদাস পুলিশের সামনে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়েছে’’, সুকান্তর ভূয়সী প্রশংসায় তথাগত

    Sukanta Majumdar: ‘‘দলদাস পুলিশের সামনে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়েছে’’, সুকান্তর ভূয়সী প্রশংসায় তথাগত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali Incident) গিয়ে সুকান্ত অত্যন্ত সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন বলে মনে করেন ত্রিপুরা ও মেঘালয়ের প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায়। তাঁকে হাসপাতালে দেখতে যান বিজেপি নেতা (Tathagata on Sukanta)। হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে তিনি রাজ্য বিজেপি সভাপতির (Sukanta Majumdar) ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন।

    কী বলেছেন তথাগত?

    তথাগত (Tathagata on Sukanta) বলেন, ‘‘এই বিষয়ে বিশেষ করে বলতে চাই, সুকান্ত অসাধারণ সাহসের পরিচয় দিয়েছে৷ জঙ্গি নেতা হিসেবে ওর রূপান্তর হয়েছে৷ সুকান্তকে (Sukanta Majumdar) আমাদের দল প্রেসিডেন্ট করেছিল৷ বিচক্ষণ, অল্পবয়সি কার্যকর্তা হিসেবে৷ কিন্তু আজ ওর অন্য একটা পরিচয় পাওয়া গিয়েছে৷ দলদাস পুলিশের সামনে বুক চিতিয়ে দাঁড়ানো, এটা খুব বেশি লোকের সাহস থাকে না৷’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘এটা নিয়ে সবাই ধন্য ধন্য করছে৷ আমিও করছি৷ আগামিদিনে এটা বিজেপির সব কার্যকর্তাদের, বিজেপির সমর্থক, সবাইকে সাহস দেবে৷’’

    আরও পড়ুন: ‘‘সন্দেশখালিতে যে আওয়াজ উঠেছে, তাকে আটকানো যাবে না’’, হুঙ্কার মিঠুনের

    কেমন আছেন সুকান্ত?

    বুধবার সন্দেশখালি (Sandeshkhali Incident) গিয়ে পুলিশের গাড়ির বনেটের উপর উঠে পড়েন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার৷ তারপরই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন৷ সন্ধ্যায় কলকাতায় নিয়ে এসে বাইপাসের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে৷ সেদিন রাতে বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদারকে (Sukanta Majumdar) নিউরো আইসিইউ থেকে ডে-কেয়ার বিভাগে স্থানান্তরিত করা হয়৷ আপাতত তাকে হাসপাতালের ডে কেয়ার বিল্ডিংয়ের ৬ তলায় ৩৬১২ নম্বর কেবিনে রাখা হয়েছে। বিজেপি রাজ্য সভাপতির স্বাভাবিক হয়েছে শ্বাস প্রক্রিয়া। তাঁকে হালকা খাদ্য দেওয়া হচ্ছে। 

    সুকান্তকে ফোন ওম বিড়লার

    সুকান্ত মজুমদারকে (Sukanta Majumdar) দেখতে গতকাল হাসপাতালে যান অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি তথা বিজেপি নেতা কল্যাণ চৌবে৷  বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে দেখতে হাসপাতালে যান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অন্নপূর্ণা দেবী যাদব এবং আসানসোলের বিজেপি বিধায়িকা অগ্নিমিত্রা পালও। তার আগে, সকালে ফোন করে বালুরঘাটের সাংসদের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাও।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mithun Visits Sukanta: ‘‘সন্দেশখালিতে যে আওয়াজ উঠেছে, তাকে আটকানো যাবে না’’, হুঙ্কার মিঠুনের

    Mithun Visits Sukanta: ‘‘সন্দেশখালিতে যে আওয়াজ উঠেছে, তাকে আটকানো যাবে না’’, হুঙ্কার মিঠুনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়েকদিন আগেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন অভিনেতা তথা বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। তখন তাঁকে দেখতে বাইপাসের একটি বেসরকারি হাসপাতালে গিয়েছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। আর এবার ঠিক উল্টো ছবি। বুধবার সন্দেশখালি (Sandeshkhali Incident) যেতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) । তাঁকে দেখতে শুক্রবার এবার ওই একই হাসপাতালে গেলেন মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Visits Sukanta)। বিজেপির রাজ্য সভাপতি এখন কেমন আছে তার খোঁজ নিলেন ‘মহাগুরু’ মিঠুন চক্রবর্তী। 

    কী বললেন ‘মহাগুরু’ মিঠুন?

    হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে মিঠুন জানান, বাংলার মা-বোনেদের পাশে দাঁড়াতে গিয়েই এই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে সুকান্ত মজুমদারকে। তবে সুকান্ত মজুমদার এখন সুস্থ আছে বলেই জানিয়েছেন তিনি (Mithun Visits Sukanta)। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মিঠুন বলেন, ‘‘সন্দেশখালিতে যেতে বিরোধীদের বাধা দেওয়া হচ্ছে। অথচ সরকার পক্ষের নেতারা বহাল তবিয়তে সেখানে যাচ্ছেন।’’ সত্য সামনে আসার ভয়েই শেখ শাহজাহানকে রক্ষা করা হচ্ছে বলেও এদিন দাবি করেন অভিনেতা তথা বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী। বিজেপি নেতা বলেন, ‘‘বিরোধীদের সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali Incident) ঢুকতে বাধা দেওয়া হচ্ছে নাহলে সত্য ঘটনা সামনে চলে আসবে। কিন্তু এভাবে আটকানো যাবে না। সেখানে যে আওয়াজ উঠেছে সেটা বিজেপি কাউকে শিখিয়ে দেয়নি। এই আওয়াজ কোনও ভাবেই বন্ধ হতে দেওয়া যাবে না।’’

    আরও পড়ুন: সন্দেশখালির পথে বিজেপি-র কেন্দ্রীয় টিমকে বাধা পুলিশের, অবস্থান-বিক্ষোভ

    ‘‘সন্দেশখালিতে যা হচ্ছে, তা অত্যন্ত ঘৃণ্য’’

    মিঠুনের মতে, সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali Incident) যা হচ্ছে, তার চেয়ে ‘ঘৃণ্য’ কাজ আর কিছু হতে পারে না। রাজ্য সরকারের উদ্দেশে তোপ দেগে তিনি বলেন, ‘‘মহিলাদের সঙ্গে আপনারা এই ধরনের খেলা খেলছেন?’’ এটা চিন্তাভাবনারও অতীত বলেও মন্তব্য করেন বিজেপি নেতা। পাশাপাশি মিঠু চক্রবর্তী (Mithun Visits Sukanta) আরও বলেন, ‘‘আমরা রাজনীতি করি কিন্তু সন্দেশখালিতে যা হচ্ছে,তা রাজনীতির উর্দ্ধে।’’ এসব একেবারেই হওয়া উচিত নয় বলে মন্তব্য করেন মিঠুন চক্রবর্তী। তাঁর মতে, সন্দেশখালির ঘটনার নিয়ে প্রত্যেকের সুর চড়ানো উচিত। এই ধরনের ঘটনা যাতে ভবিষ্যতে আর না ঘটে, সে বিষয়ে প্রত্যেকের সচেতন থাকা উচিত বলেও মনে করেন মিঠুন চক্রবর্তী(Mithun Chakraborty)।

    এখন কেমন আছেন সুকান্ত (Sukanta Health Update)?

    বৃহস্পতিবার রাতে বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদারকে নিউরো আইসিইউ থেকে ডে-কেয়ার বিভাগে স্থানান্তরিত করা হয় (Mithun Visits Sukanta)৷ আপাতত তাকে হাসপাতালের ডে কেয়ার বিল্ডিংয়ের ৬ তলায় ৩৬১২ নম্বর কেবিনে রাখা হয়েছে। বিজেপি রাজ্য সভাপতির স্বাভাবিক হয়েছে শ্বাস প্রক্রিয়া। তাঁকে হালকা খাদ্য দেওয়া হচ্ছে। বুধবার সন্দেশখালি (Sandeshkhali Incident) যাওয়ার ফলে পুলিশের গাড়ির বনেটের উপর উঠে পড়েন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত৷ তারপরই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন৷ সন্ধ্যায় কলকাতায় নিয়ে এসে বাইপাসের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয় তাঁকে৷

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: সুকান্তর ওপর হামলা, হস্তক্ষেপ লোকসভার, তলব ৫ প্রশাসনিক কর্তাকে

    Sukanta Majumdar: সুকান্তর ওপর হামলা, হস্তক্ষেপ লোকসভার, তলব ৫ প্রশাসনিক কর্তাকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির রাজ্য সভাপতি সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) ওপর হামলারঘচনা ঘটে বুধবার। যা নিয়ে তোলপাড় হয় রাজ্য। বৃহস্পতিবারও এর বিরুদ্ধে পথে নামেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। সাংসদের ওপর এমন হামলার ঘটনায় এবার পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার-সহ ৫ জন প্রশাসনিক কর্তাকে তলব করা হল লোকসভায়। জানা গিয়েছে, আগামী সোমবার লোকসভার স্বাধিকার রক্ষা কমিটি (প্রিভিলেজ কমিটি)-র মুখোমুখি হতে বলা হয়েছে তাঁদের। এই ব্যাপারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে একটি চিঠিও দেওয়া হয়েছে লোকসভার সচিবালয় থেকে। সূত্রের খবর, ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, রাজ্য পুলিশের ডিজি, বসিরহাট পুলিশ জেলার সুপার এবং অতিরিক্ত সুপার যাতে স্বাধিকার রক্ষা কমিটির মুখোমুখি হন, তা নিশ্চিত করতে হবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে।

    কোন কোন আমলাকে তলব করা হল?

    রাজ্যের মুখ্যসচিব ভগবতী প্রসাদ গোপালিক, ডিজি রাজীব কুমার, উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক শরৎ কুমার দ্বিবেদী, বসিরহাটের এসপি হুসেন মেহেদি রহমান এবং উত্তর ২৪ পরগনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পার্থ ঘোষকে তলব করেছে সংসদীয় কমিটি (Sukanta Majumdar)। বিষয়টি যে হালকা ভাবে নিচ্ছে না সংসদীয় কমিটি, তা এই তলবেই পরিষ্কার। এখন দেখার এই আধিকারিকরা হাজিরা দিতে যান কিনা। জানা গিয়েছে, ওই পুলিশ অফিসারদের আগামী সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় অ্যানেক্স বিল্ডিংয়ের ২ নম্বর কমিটি রুমে হাজির থাকতে হবে। উক্ত পুলিশকর্তারা যাতে সঠিক সময় সঠিক স্থানে পৌঁছে যান, তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে।

    বুধবার অসুস্থ হন সুকান্ত

    বুধবারই সন্দেশখালি যাওয়ার পথে পুলিশি ধস্তাধস্তিতে বালুরঘাটের সাংসদ (Sukanta Majumdar) অসুস্থ হয়ে পড়েন। উপস্থিত বিজেপি নেতা-কর্মীরা প্রথমে তাঁকে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করান। পরে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাঁকে ওই আইসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তরিত করা হয়েছে বলে খবর। বিজেপির অভিযোগ, সুকান্তকে হেনস্থা করা হয়েছে। তাতে সাংসদের প্রাণ সংশয়ও হতে পারত বলে দাবি বিজেপির।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: সন্দেশখালির মহিলাদের দৈহিক গঠন ও বর্ণ নিয়ে মন্তব্য, বিতর্কে তৃণমূল বিধায়ক

    Sandeshkhali: সন্দেশখালির মহিলাদের দৈহিক গঠন ও বর্ণ নিয়ে মন্তব্য, বিতর্কে তৃণমূল বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির (Sandeshkhali) পলাতক তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান-ঘনিষ্ঠ শিবু হজরা এবং উত্তম সর্দারের নারী নির্যাতন, যৌনশোষণ এবং অত্যাচারের বিরুদ্ধে গ্রামের নারীসমাজ সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে আগেই প্রতিবাদে গর্জে উঠেছেন। কীভবে বাড়ির সুন্দরী, কমবয়সী মহিলাদের তুলে নিয়ে গিয়ে পার্টি অফিসে ‘ভোগ’ করা হত, সে কথা জানিয়ে স্পষ্টভাবে অভিযোগও করেছেন তাঁরা। ইতিমধ্যে নির্যাতিতাদের সঙ্গে দেখা করতে গেলে, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের কাছে একই বিষয়ে অভিযোগ করেন এলাকার মহিলারা। কিন্তু এর মধ্যেই গ্রামবাসীদের পরিচয়, মহিলাদের দৈহিক গঠন এবং গায়ের বর্ণ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি করলেন উত্তর ২৪ পরগনার জেলা সভাধিপতি তথা অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী। এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূলের কড়া সমালোচনা করেছে রাজ্যের বিরোধী দল।

    কী বললেন তৃণমূল বিধায়ক (Sandeshkhal)?

    তৃণমূল নেতা নারায়ণ গোস্বামী সন্দেশখালির (Sandeshkhali) প্রতিবাদী নারীদের সম্পর্কে বলেন, “একজন তফশিলি আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষকে গঠন এবং দেহের রং দিয়ে বোঝা যায়। মনে রাখবেন, একজন মানুষ কোন সম্প্রদায়ের, তা শরীরের গঠন এবং রং তথাকথিত আমরা যা বলি ফর্সা, শ্যামবর্ণ এই দেখেই কিন্তু বোঝা যায়। কিন্তু ক্যামেরার সামনে যে সব মহিলা এসেছেন, তাঁরা সকলেই ধবধবে ফর্সা। তাহলে কি তাঁরা তফশিলি জনজাতি বা আদিবাসী জনগোষ্ঠীর? যে মহিলারা সামনে এসেছেন, সকলে সিপিএমের মহিলা সংগঠনের সদস্য। যে বাচ্চাদের সামনে আনা হচ্ছে, সকলকে স্ক্রিপ্ট পড়িয়ে আনা হয়েছে। চিত্র পরিচালক এবং চিত্রনাট্যের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে সবটা। রাজ্যপালের সঙ্গে হিন্দিতে কথা বলতে দেখা গিয়েছে এক মহিলাকে। আবার সুকান্তের ধর্নামঞ্চে বোরখা পরা মহিলাকেও দেখা গিয়েছে। ওঁরা কি আদৌ সন্দেশখালির?”

    বিজেপির বক্তব্য

    তৃণমূল নেতার বক্তব্যের প্রেক্ষিতে সন্দেশখালি (Sandeshkhali) প্রসঙ্গে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “জাতীয় তফসিলি জাতি এবং উপজাতি কমিশনের কাছে অভিযোগ করব। ওঁকে গ্রেফতার করা উচিত। সন্দেশখালির অপকর্ম ধরা পড়ে গিয়েছে। রুচিহীন মন্তব্য করেছেন তিনি। জনজাতি পরিবারে জন্ম হলেই গায়ের রং কালো হতে হবে?” আবার সিপিএমের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “আদিবাসীদের পোশাক দিয়ে চেনে তৃণমূল।” পাশাপাশি আজ বৃহস্পতিবার তফশিলি জাতীয় কমিশনের ভাইস চেয়রাম্যান অরুণ হালদার সন্দেশখালিতে যাচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “চাইলেই বিধানসভায় ভাঙচুর করতে পারি, কিন্তু মানসিকতা নেই”, মমতাকে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “চাইলেই বিধানসভায় ভাঙচুর করতে পারি, কিন্তু মানসিকতা নেই”, মমতাকে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির মহিলাদের উপর তৃণমূল নেতাদের বর্বরোচিত অত্যাচারের প্রতিবাদে আন্দোলন চলাকালীন রাজ্য প্রশাসনের চূড়ান্ত অসহযোগিতায় অসুস্থ্ হয়ে পড়েন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বুধবার সরস্বতী পুজোর দিনে টাকিতে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তির সময় অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। এরপর তাঁকে দ্রুত কলকাতায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এই ঘটনায় রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে আন্দোলনের তীব্রতা আরও বৃদ্ধির জন্য হুঁশিয়ারি দিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি বললেন, “চাইলেই বিধানসভায় ভাঙচুর করতে পারি, কিন্তু আমাদের সেই মানসিকতা নেই।”

    হুঁশিয়ারি দিয়ে কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “এই সময় অর্থাৎ বিগত তিন বছর ধরে আমাদের সঙ্গে যা ঘটছে, চাইলেই আমরা বিধানসভায় মমতার দেখানো পথে ভাঙচুর করতে পারতাম। সেই ক্ষমতা রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল হিসেবে বিজেপি অর্জন করেছে। কিন্তু সেই রকম কোনও মানসিকতা আমাদের নেই। আর বিজেপি এই ধরনের কাজকে অনুমোদনও করে না। বাস ভাঙো, গাড়ি জ্বালাও, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করো, এইসবে আমরা বিশ্বাস করি না। তাবে শাসক দল ক্ষমতায় থাকলেও করে, আবার ক্ষমতায় না থাকলেও সম্পত্তি নষ্ট করে।”

    আর কী বললেন শুভেন্দু?

    বিজেপি নেতা শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) মমতাকে আক্রমণ করে আরও বলেন, “টাকিতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার অসুস্থ হওয়ার জন্য একমাত্র পুলিশের উৎপীড়ন দায়ী। শুধু বিজেপি নয়, বহু সাধারণ মানুষ আমাদের বলেছেন বনধ ডাকুন। আমরা সাধারণ মানুষের এই দাবিকে অস্বীকার করছি না। কিন্তু বিজেপি একটি দায়িত্বশীল দল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো আমরা কথায় কথায় অবরোধ করি না। আমরাও বিক্ষোভ দেখাই, কালো ব্যাজ পরি, মিছিল করি, প্রতিবাদ করি, কোথাও কোথাও পথ অবরোধ করি। কিন্তু আমরা মানুষকে বিপর্যস্ত করার ইচ্ছে রাখি না।” রাজ্যে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার আবহের মধ্যে বনধের পথে না হেঁটে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আরও তীব্র আন্দোলন করার হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: “হাজার টাকা দেবে লক্ষ্মীর ভান্ডারে, রাত কাটাতে হবে  তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে”, আক্রমণ সুকান্তর

    Sandeshkhali: “হাজার টাকা দেবে লক্ষ্মীর ভান্ডারে, রাত কাটাতে হবে তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে”, আক্রমণ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লি থেকে ফিরে কলকাতা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার সন্দেশখালিকাণ্ডে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক আক্রমণ শানালেন। রাজ্যের পুলিশ-প্রশাসনের ওপর ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি বলেন, “পুলিশ কিছুই করবে না, কেননা তারা শাহজাহানের পয়সায় লালিত-পালিত হয়। নারী নির্যাতনে আমরা মধ্যযুগীয় বর্বরতা (Sandeshkhali) দেখতে পাচ্ছি এই রাজ্যে।” এছাড়াও তিনি প্রশ্ন তোলেন, “অন্যের স্ত্রীকে কীভাবে পার্টি অফিসে নিয়ে যাওয়া যায় তৃণমূলের নেতাদের মনোরঞ্জন করার জন্য?”

    সন্দেশখালিতে নারীরা অসুরক্ষিত (Sandeshkhali)!

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “বোঝাই যাচ্ছে মহিলাদের কী চোখে দেখে তৃণমূল। হাজার টাকা দাও, তৃণমূলের নেতাদের সঙ্গে রাত কাটাও। এই অফার চলছে। হাজার টাকা দেবে লক্ষ্মীর ভান্ডারে, রাত কাটাতে হবে (Sandeshkhali) তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে। কোনও ব্যক্তির স্ত্রীকে রাতে ডেকে নিয়ে সারা রাত রেখে পরের দিন সকালে পৌঁছে দেওয়ার ঘটনায় পুলিশ কত ভাগ পায়, আমার জানা নেই। পুলিশ সেটাই করছে, মানুষ যাতে মুখ খুলতে না পারে, তাদের বক্তব্য না রাখতে পারে। যেভাবে মহিলাদের ওপর অত্যাচার হয়েছে, তাতে বাঙালি চুপ করে বসে থাকতে পারে না। আর আজ চুপ থাকলে, আগামী দিনে আপনার-আমার বাড়ির মহিলাদের সঙ্গে এমনটাই করবে তৃণমূল কংগ্রেস।”

    নিখোঁজ বিজেপি নেতা

    শেখ শাহজাহানের নিখোঁজ প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, “শাহজাহান কোথায় আছে পুলিশ জানে, শাহজাহানই (Sandeshkhali) পুলিশকে নির্দেশ দিয়ে কাজ করাচ্ছে। শিবু হাজরা ও তাঁকে খুঁজে পাবে না। যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলবেন তখন পুলিশ গ্রেফতার করবে। আদালতের উচিত নির্দেশ দেওয়া যে শাহজাহানের কান ধরে টেনে নিয়ে আসা হয়। তারপর শুরু হবে খেলা।” আবার সন্দেশখালিতে বিজেপি কনভেনার বিকাশ সিংহকে গ্রেফতার প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “বিকাশ সিং আমাদের ওখানে বহু পুরনো নেতা। তাঁর স্ত্রী খুব চিন্তিত। আমরা শুনতে পাচ্ছিলাম তাঁকে নৌকায় করে কোথাও নিয়ে যাওয়া হয়েছে। উনাকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে জিজ্ঞেস করায় এসপি বলেন, আমরা বলতে বাধ্য নই। সম্পূর্ণভাবে অনৈতিক কাজ করছে পুলিশ।”

    “মুখ্যমন্ত্রী ঘুমচ্ছেন” (Sandeshkhali)

    সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারা জারি করা প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, “সন্দেশখালির (Sandeshkhali) ঘটনা এমন একটা বাক্স খুলে দিয়েছে যেখানে তৃণমূলের প্রাণ ভোমরা লুকিয়ে আছে। তৃণমূল কংগ্রেস বিভিন্ন জায়গায় কীভাবে অত্যাচার করেছে তা সবার সামনে চলে এসেছে। তৃণমূল কংগ্রেস ভয় পাচ্ছে। তারা চাইছে না, এটা সবার সামনে আসুক। কীভাবে মহিলা মুখ্যমন্ত্রী থাকা সত্ত্বেও মহিলাদের উপর এই ধরনের অত্যাচার হল? এই বাংলার জন্য আমরা গর্ববোধ করি? মহিলাদের নিয়ে একটা কথা বলারও অধিকার নেই এই অভদ্র তৃণমূলের। মুখ্যমন্ত্রী ঘুমচ্ছেন, মুখ্যমন্ত্রীর চিন্তা তাঁর বাড়ির মহিলাদের নিয়েই, আর কাউকে নিয়ে নয়।”

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: “বাঙালির মান-সম্মান জলাঞ্জলি দিয়েছেন এই মুখ্যমন্ত্রী”, মমতাকে তোপ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: “বাঙালির মান-সম্মান জলাঞ্জলি দিয়েছেন এই মুখ্যমন্ত্রী”, মমতাকে তোপ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বাঙালির মান-সম্মান-ইজ্জত সব কিছু জলাঞ্জলি দিয়েছেন এই মুখ্যমন্ত্রী।” সোমবার এই ভাষায়ই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। লোকসভা অধিবেশনে যোগ দিতে এদিন দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেন বালুরঘাটের সাংসদ। তার আগে নিশানা করলেন মুখ্যমন্ত্রীকে।

    কী বললেন সুকান্ত?

    সুকান্ত বলেন, “যে ধরনের শব্দ মুখ্যমন্ত্রীর মুখ থেকে বেরিয়েছে, এ ধরনের শব্দ মুখ্যমন্ত্রীর মুখ থেকে বেরনো উচিত নয়, অন্তত পক্ষে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর মুখ থেকে তো নয়ই।” এর পরেই তিনি বলেন, “বাঙালির মান-সম্মান-ইজ্জত সব কিছু জলাঞ্জলি দিয়েছেন এই মুখ্যমন্ত্রী।” নাম না করে এদিন তৃণমূলের মুখপাত্রকেও আক্রমণ শানিয়েছেন সুকান্ত। তৃণমূলের এই মুখপাত্র বলেছিলেন, “ভোটে জেতার পর চড়াম চড়াম ঢাক বাজবে।” সে প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar) বলেন, “আগে যে বাঘ চড়াম চড়াম বলত, সে এখন ছাগ হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে তিহাড় জেলে। এখন এই নতুন অনুব্রত, কলকাতার অনুব্রত কবে ছাগ হবে সেটাই দেখার।”

    ‘সন্ত্রাসের এপিসেন্টার’

    দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীতে বিজেপি সমর্থক এক পরিবারের সদস্যদের তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। এ প্রসঙ্গে বালুরঘাটের সাংসদ বলেন, “সব জায়গায়ই এটা হচ্ছে, বিশেষ করে দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও উত্তর ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে এখনও সন্ত্রাসের বাতাবরণ রয়েছে। ডায়মন্ড হারবার লোকসভা হচ্ছে সন্ত্রাসের এপিসেন্টার। এই লোকসভায়ই সব চেয়ে বেশি সন্ত্রাস হয়।”

    প্রসঙ্গত, শনিবার কেন্দ্রকে আক্রমণ শানাতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে কুরুচিকর মন্তব্য করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছিলেন, “রোজ মোদিজি বলছে, পাকা বাড়ি করে দিচ্ছি। *** তুমি প্রাসাদ অট্টালিকায় থাকবে, আর এই গরিব লোকের মাথার ছাদটা কেড়ে নিয়েছো, তাঁকে দিচ্ছ না।”

    আরও পড়ুুন: “শুধু অ্যাকশন-রিঅ্যাকশনে নজর রাখতে হবে”, শাহি বৈঠক শেষে বললেন শুভেন্দু

    মুখ্যমন্ত্রীর এহেন কুরুচিকর মন্তব্যের প্রতিবাদে রবিবার বর্ণ পরিচয় হাতে কলকাতায় মিছিল করে বিজেপির যুব মোর্চা। সেই ছবিতে মুখ্যমন্ত্রীর মুখে দেওয়া হয় মধু। বিজেপির যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি ইন্দ্রনীল খাঁ বলেন, “মোদিজি দেশের প্রধানমন্ত্রী। তিনি আমাদের দেশের ১৪০ কোটি মানুষের প্রতিনিধিত্ব করছেন। তাঁর উদ্দেশে যেভাবে কু-শব্দ প্রয়োগ করলেন, তা দুর্ভাগ্যজনক। পশ্চিমবঙ্গবাসী হিসেবে, বাংলাভাষী হিসেবে আমরা ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের কাছে (Sukanta Majumdar) ক্ষমাপ্রার্থী।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share