Tag: Sukanta Majumdar

Sukanta Majumdar

  • Woman Reservation Bill: “গার্হস্থ্য হিংসায় বাংলা এক নম্বরে”, তৃণমূল সরকারকে নিশানা অগ্নিমিত্রার

    Woman Reservation Bill: “গার্হস্থ্য হিংসায় বাংলা এক নম্বরে”, তৃণমূল সরকারকে নিশানা অগ্নিমিত্রার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নারীর ক্ষমতায়নের উদ্দেশ্যে সংসদে পেশ হয়েছে মহিলা সংরক্ষণ বিল (Woman Reservation Bill)। এমতাবস্থায় পশ্চিমবঙ্গে এখনও গার্হস্থ্য হিংসার শিকার হচ্ছেন মহিলারা। এনিয়ে তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারকে নিশানা করলেন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী কিংবা তাঁর দল মহিলাদের সামনের সারিতে নিয়ে এলেও, বাংলার মহিলারা আজ সুরক্ষিত নন। গার্হস্থ্য হিংসায় আমাদের বাংলা আজ এক নম্বরে। এগিয়ে মহিলা পাচারের পরিসংখ্যানেও।”

    ‘তৃণমূলের মহিলা সমাজ চোখ বুজে রয়েছে…’

    অগ্নিমিত্রা বলেন, “যারা কন্যাশ্রী প্রকল্প পাচ্ছে, তারা ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। কোনও বিচার হচ্ছে না। তৃণমূলের মহিলা সমাজ সব দেখে শুনেও চোখ বুজে রয়েছে।” বিজেপি বিধায়ক বলেন, “ভারতীয় জনতা পার্টির একজন মহিলা বিধায়ক হিসেবে আমি আজ গর্বিত। শুধু আমি নই, ভারতের সব মহিলা যাঁরা নিজেদের কথা বলতে চান। যাঁরা নিজেদের সমাজের কথা বলতে চান, তাঁরা প্রত্যেকেই খুশি। ধন্যবাদ জানাই প্রধানমন্ত্রীকে। বিরোধীরা অনেক কথাই বলছে। কিন্তু বিজেপি কিংবা প্রধানমন্ত্রী যেটা বলেন, সেটা করে দেখান। ধর্ষণ হলে মৃত্যুদণ্ড হবে।”

    তৃণমূলকে নিশানা সুকান্তের 

    তিনি বলেন, “বাংলা তথা গোটা দেশের মহিলারা দেখছেন প্রধানমন্ত্রী মহিলাদের সুরক্ষার বিষয়ে কী কী পদক্ষেপ নিচ্ছেন। আগামিদিনে আরও মহিলা নেত্রী রাজনীতিতে উঠে আসবেন। একজন মহিলার দুঃখ-কষ্ট-বঞ্চনা সহ বিভিন্ন বিষয় যেগুলো মহিলারা বুঝবেন, একজন পুরুষের পক্ষে তা বোঝা সম্ভব নয়।” মহিলা সংরক্ষণ বিল আগের বলে দাবি করেছে তৃণমূল। এদিন তা নিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ শানান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও।

    আরও পড়ুুন: ‘‘প্ররোচনার উদ্দেশ্য ছিল না’’, ভারত চাপ দিতেই খালিস্তান নিয়ে সুর বদল কানাডার

    তিনি বলেন, “যমালয়ে জীবন্ত মানুষে এক বিধবা ভেবেছিলেন একাদশীর দিন খাবার খাবেন। তাই পাপ হয়েছিল। সেরকম তৃণমূল অনেক কিছুই ভাবে, করে না কিছুই।” ঘাসফুল শিবিরের দাবি, ২০১৪ সালে ৩৩ শতাংশ মহিলা সাংসদ ছিল। তৃণমূলের এহেন দাবি প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, “২০১৪ সালে ছিল, এখন নেই কেন? একটা দলের ভিতরের নিয়ম। আর একটা আইন। দু’টো আলাদা। যেমন, এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পেনে গিয়ে পিয়ানো বাজাচ্ছেন, এরপর জার্মানিতে গিয়ে বাজাবেন। আর সারা বছর বাজাবেন বাংলার মানুষ।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Sukanta Majumdar: তিলকে আপত্তি মমতার! ভিডিও পোস্ট করে ধর্মনিরপেক্ষতার প্রশ্নে খোঁচা সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: তিলকে আপত্তি মমতার! ভিডিও পোস্ট করে ধর্মনিরপেক্ষতার প্রশ্নে খোঁচা সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভিডিও পোস্ট করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মেকি ধর্মনিরপেক্ষতার প্রশ্নে বিঁধলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। যদিও বিজেপির রাজ্য সভাপতির পোস্ট করা ওই ভিডিও-এর সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম। ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কপালে তিলক এঁকে দিতে যাচ্ছেন এক মহিলা। কিন্তু দ্রুত মাথা সরিয়ে নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাত তুলে ইঙ্গিত দিচ্ছেন যে আমি লাগাবো না তিলক। এমনটাই দেখা যাচ্ছে সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) পোস্ট করা ওই ভিডিওতে।

    সুকান্ত মজুমদারের পোস্ট করা ভিডিও 

    এই নিয়ে খোঁচা দিতে ছাড়েননি বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar)। তিনি তাঁর ট্যুইটার (অধুনা এক্স) হ্যান্ডেলে লিখছেন, ‘‘তৃণমূল সুপ্রিমো লম্বা-চওড়া বক্তব্য রাখেন তাঁর নিজস্ব ব্র্যান্ড ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে। আর সম্মানীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Sukanta Majumdar) নমাজের সময় মাথায় ঢাকতে পারেন কিন্তু টিকা নিতে পারেন না। এতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই যে তিনি রাজবংশীদের সমৃদ্ধশালী ঐতিহ্যকে অপমান করেছেন।’’

    প্রতিক্রিয়া বিভিন্ন নেটিজেনদের 

    সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) পোস্ট করা এই ভিডিওতে নেটিজেনদের প্রতিক্রিয়াও সামনে এসেছে। একজন লিখছেন, ওনার মাথায় হিজাব ভালো লাগে। আর একজন লিখছেন, গেরুয়া তিলকে কেমন বিজেপি বিজেপি গন্ধ আছে, ওসব কপালে পরলে রাষ্ট্রবাদের রোগ হয়ে যাবে। আর একজন লিখছেন, ওসব কপালে পরলে কী করে পশ্চিম বাংলাদেশ বানাবেন বাংলাকে? আর প্রধানমন্ত্রীই  বা হবেন কীভাবে স্বাধীন পশ্চিম বাংলাদেশের?

    আরও পড়ুুন: তৃণমূল সমাবেশে বেফাঁস মন্তব্য, চটে লাল রাজবংশী, মতুয়ারা, মমতাকে নিশানা শুভেন্দুরও

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • West Bengal: জানেন কোন ২১ জন বিধায়ক পশ্চিমবঙ্গকে পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত করতে চেয়েছিলেন?

    West Bengal: জানেন কোন ২১ জন বিধায়ক পশ্চিমবঙ্গকে পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত করতে চেয়েছিলেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিটি বাঙালির কাছে ২০ জুন অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। ১৯৪৭ সালের ২০ জুন বঙ্গীয় আইন পরিষদে (West Bengal) (অবিভক্ত বাংলার প্রাদেশিক আইনসভা) অখণ্ড বাংলা ভাগের বিষয়টি উত্থাপিত হয়। বাংলাভাগের পক্ষে বড় অংশের ভোট পড়ায় দু’টুকরো হয় বাংলা। এই ভোটাভুটির ফলাফলের ভিত্তিতেই পশ্চিমবাংলা (West Bengal) ভারতের অংশ হয়, পূর্ব বাংলা (যদিও প্রথমে তা পূর্ব পাকিস্তান ও পরে বাংলাদেশ হয়) যুক্ত হয় পাকিস্তানের সঙ্গে।

    দেশভাগের প্রকৃত কারণ ভুলিয়ে দিতে চান মুখ্যমন্ত্রী!

    বিজেপির দাবি, তোষণের রাজনীতির কারণেই দেশভাগের সেই যন্ত্রণাদায়ক দিন ২০ জুন ১৯৪৭ কে  ভুলিয়ে দিতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবারই ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’ (West Bengal) কোন দিন হওয়া উচিত তা নিয়ে নবান্নে সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বিরোধী দল বিজেপি ওই বৈঠক বয়কট করেছে। ইতিমধ্যে বৈঠকে যোগ না দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠিও লিখেছেন সুকান্ত মজুমদার। সেখানে বিজেপির রাজ্য সভাপতি লেখেন, ‘‘আপনি লিখেছেন (যোগদানপত্রে) কোনও ২০ জুন তারিখে পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal) প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বলে আমরা কোথাও কিছু পড়িনি বা শুনিনি। আপনার বক্তব্যেই স্পষ্ট যে, খোলা মনে আলোচনা করার জন্য এই বৈঠক ডাকা হয়নি। কিছু পূর্ব পরিকল্পিত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য এই বৈঠককে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছেন। আপনার আগেই নিয়ে ফেলা সিদ্ধান্তে সিলমোহর দিতে আমি বা আমার দলের কোনও প্রতিনিধি সর্বদলীয় বৈঠকে যেতে অপারগ। তাই বিজেপি এই বৈঠকে যোগ দেবে না।’’

    কী বলছেন ইতিহাসবিদরা?

    ইতিহাসবিদরা অবশ্য বিজেপির দাবিতেই সিলমোহর দিয়েছেন। তাঁদের মতে, ১৯৪৭ সালের ২০ জুন আমাদের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) জন্ম হয়। একই সঙ্গে সামনে এসেছে তৎকালীন ২১ জন বিধায়কের নাম এবং বিধানসভাক্ষেত্র যাঁরা সেদিন পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal) তৈরির বিপক্ষে ভোট দিয়েছিলেন, অর্থাৎ তাঁরা চেয়েছিলেন গোটা বাংলাটাই পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত হোক।

    ২১ জন বিধায়ক যাঁরা চেয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal) পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত হোক

    ১) আব্দুল আহাদ 

    ঠিকানা: গ্রাম ও ডাকঘর – লবশা, সাতক্ষীরা, খুলনা 
    বিধানসভা আসন: সাতক্ষীরা

    ২) এ এফ এম আব্দুর রহমান 

    ঠিকানা: ১৮/১/এ পীতাম্বর ঘটক লেন, আলিপুর 
    বিধানসভা আসন: উত্তর-পূর্ব ২৪ পরগণা 

    ৩) আব্দুস সবুর খান

    ঠিকানা: লোয়ার যশোর রোড, খুলনা
    বিধানসভা আসন: খুলনা

    ৪) আবুল হাশেম

    ঠিকানা: গ্রাম – কাঁসাড়া, ডাকঘর – কাশেমনগর, বর্ধমান 
    বিধানসভা আসন: বর্ধমান 

    ৫) হুসন আরা বেগম

    ঠিকানা: ১১ বি তিলজলা রোড, কলিকাতা 
    বিধানসভা আসন: কলিকাতার মহিলা সংরক্ষিত আসন

    ৬) ইলিয়াস আলি মোল্লা

    ঠিকানা: ১ নং, জগন্নাথ নগর, ডাকঘর – বাটানগর, ২৪ পরগণা 
    বিজয়ী আসন: ২৪ পরগণা (সাধারণ)

    ৭) এম এ এইচ ইস্পাহানি

    ঠিকানা: ৫ হ্যারিংটন স্ট্রিট, কলিকাতা 
    বিজয়ী আসন: মুসলিম শিল্প ও বাণিজ্য সংঘ

    ৮) জসীমউদ্দিন আহমেদ

    ঠিকানা: রামচন্দ্রপুর, ডাকঘর – শিরাকোল, ২৪ পরগণা 
    বিজয়ী আসন: ২৪ পরগণা (দক্ষিণ)

    ৯) মোহাম্মদ শরীফ খান

    ঠিকানা: ২৫৬ বেহস রোড, হাওড়া 
    বিজয়ী আসন: হুগলী তথা হাওড়া পুরসভা

    ১০) মোজাম্মেল হোসেন

    ঠিকানা: বাগেরহাট, খুলনা 
    বিজয়ী আসন: বাগেরহাট

    ১১) মোহাম্মদ ইদ্রিস 

    ঠিকানা: গ্রাম – বাউকুল, ডাকঘর – জগৎবল্লভ পুর, হাওড়া 
    বিজয়ী আসন: হাওড়া 

    ১২) মোহাম্মদ কমরুদ্দিন

    ঠিকানা: কাকিনাড়া, ২৪ পরগণা 
    বিজয়ী আসন: ব্যারাকপুর পুরসভা

    ১৩) মোহাম্মদ রফিক

    ঠিকানা: ১৯, জাকারিয়া স্ট্রিট, কলিকাতা 
    বিজয়ী আসন: কলিকাতা (উত্তর) 

    ১৪) সৈয়দ মোহাম্মদ সিদ্দিক

    ঠিকানা: গ্রাম ও ডাকঘর – রোল, বাঁকুড়া 
    বিজয়ী আসন: বাঁকুড়া

    ১৫) মুসারফ হুসেন 

    (নবাব খান বাহাদুর), জলপাইগুড়ি নগর 
    বিজয়ী আসন: জলপাইগুড়ি তথা দার্জিলিং 

    ১৬) কে  নুরুদ্দিন

    ঠিকানা: ২৪ চৌরঙ্গী রোড, কলিকাতা 
    বিজয়ী আসন: কলিকাতা দক্ষিণ

    ১৭) সিরাজুদ্দিন আহমেদ

    ঠিকানা: গ্রাম – কৃষ্ণপুর, ডাকঘর – সন্দ্বীপ, মেদিনীপুর 
    বিজয়ী আসন: মেদিনীপুর

    ১৮) এইচ এস সুরাবর্দী

    ঠিকানা: থিয়েটার রোড, কলিকাতা 
    বিজয়ী আসন: ২৪ পরগণা পৌরসভা অঞ্চল

    ১৯) এ এম এ জামান

    ঠিকানা: গ্রাম – ইলামদি, ডাকঘর – সুলতানসাদি, ঢাকা 
    বিজয়ী আসন: হুগলী তথা শ্রীরামপুরের নথিবদ্ধ কারখানাগুলি (শ্রমিক)

    ২০) মুদাসীর হুসেন 

    ঠিকানা: রামপুরহাট, বীরভূম 
    বিজয়ী আসন: বীরভূম 

    ২১) আব্দুল ওয়াহিদ সরকার 

    বিজয়ী আসন: হুগলী

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: পশ্চিমবঙ্গ দিবস নিয়ে সর্বদল বৈঠকে কেন নেই বিজেপি? চিঠি দিয়ে মমতাকে জবাব সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: পশ্চিমবঙ্গ দিবস নিয়ে সর্বদল বৈঠকে কেন নেই বিজেপি? চিঠি দিয়ে মমতাকে জবাব সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোন দিন পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালন করা যায়, তা ঠিক করতে মঙ্গলবার বিকেলে নবান্নে সর্বদল বৈঠক করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পশ্চিমবঙ্গ দিবস নিয়ে এই বৈঠকে যোগ দেয়নি বিজেপি। কেন ভারতীয় জনতা পার্টি এই বৈঠকে যোগ দিল না তা স্পষ্ট করে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।

    বৈঠকে নেই বিজেপি

    মুখ্যমন্ত্রীর পাঠানো সর্বদল বৈঠকের যোগদান পত্রের বক্তব্য উদ্ধৃত করে এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাঠানো জবাবি-চিঠিতে সুকান্ত লেখেন, ‘‘আপনি লিখেছেন (যোগদানপত্রে) কোনও ২০ জুন তারিখে পশ্চিমবঙ্গ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বলে আমরা কোথাও কিছু পড়িনি বা শুনিনি।’’ সুকান্ত আরও লেখেন, আপনার (মমতা) মতে, কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত বিস্ময়জনক ও উদ্বেগজনক।

    এর পরই, মমতাকে আক্রমণ করে সুকান্ত লেখেন, ‘‘আপনার বক্তব্যেই স্পষ্ট যে, খোলা মনে আলোচনা করার জন্য এই বৈঠক ডাকা হয়নি। কিছু পূর্ব পরিকল্পিত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য এই বৈঠককে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছেন। আপনার আগেই নিয়ে ফেলা সিদ্ধান্তে সিলমোহর দিতে আমি বা আমার দলের কোনও প্রতিনিধি সর্বদলীয় বৈঠকে যেতে অপারগ। তাই বিজেপি এই বৈঠকে যোগ দেবে না। ’’

    উল্লেখ্য, ২০ জুন পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালিত হয় রাজভবনে। ঠিক যেমন পালিত হয়েছিল গোয়া দিবস, সিকিম দিবস, এমনকী, তেলঙ্গানা দিবসও। কারণ, কেন্দ্রের তরফে নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয়েছে, দেশের প্রতিটি রাজভবনেই বিভিন্ন রাজ্যের প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করতে হবে। শুধু তাই নয়, তালিকায় ২০ জুন তারিখটিকেই ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: ‘‘অভিষেক মিথ্যাবাদী’’, তথ্যপ্রমাণ দিয়ে ট্যুইট করলেন সুকান্ত মজুমদার

    ২০ জুন পশ্চিমবঙ্গ দিবস

    বিজেপির মতে, পশ্চিমবঙ্গে বসবাসকারী সকল মানুষের জন্যেই ২০ জুনের তাৎপর্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ১৯৪৭ সালের ২০ জুন বঙ্গীয় আইন পরিষদে (অবিভক্ত বাংলার প্রাদেশিক আইনসভা) অখণ্ড বাংলা ভাগের বিষয়টি উত্থাপিত হয়। বাংলাভাগের পক্ষে বড় অংশের ভোট পড়ায় দু’টুকরো হয় বাংলা। এই ভোটাভুটির ফলাফলের ভিত্তিতেই পশ্চিমবাংলা ভারতের অংশ হয়, পূর্ব বাংলা (যদিও প্রথমে তা পূর্ব পাকিস্তান ও পরে বাংলাদেশ হয়) যুক্ত হয় পাকিস্তানের সঙ্গে। এই বাংলা ভাগের দু’মাসের মাথায় ইংরেজদের পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হয় ভারত। ২০ জুনের সেই সিদ্ধান্তকে সামনে রেখেই পশ্চিমবঙ্গ দিবসের দাবি তুলেছে বিজেপি। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘‘অভিষেক মিথ্যাবাদী’’, তথ্যপ্রমাণ দিয়ে ট্যুইট করলেন সুকান্ত মজুমদার

    Sukanta Majumdar: ‘‘অভিষেক মিথ্যাবাদী’’, তথ্যপ্রমাণ দিয়ে ট্যুইট করলেন সুকান্ত মজুমদার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মিথ্যাবাদী। মঙ্গলবার তথ্য দিয়ে প্রমাণ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। ট্যুইট করে অভিষেকের তথ্য যে ভুল তা তুলে ধরেছেন তিনি। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    অভিষেক ঠিক কী বলেছেন?

    সোমবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে দাবি করেছিলেন, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar)  দত্তক নেওয়া গ্রাম থেকে পঞ্চায়েত নির্বাচনে জিততে পারেনি বিজেপি। এই অভিযোগের পরেই মঙ্গলবার সকালে সুকান্ত মজুমদার ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের চকরামপ্রসাদ গ্রাম থেকে বিজেপির জয়ী সদস্য অমলি হাঁসদার জয়ের সার্টিফিকেট দেখিয়ে দাবি করেন  মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন অভিষেক। অভিষেকের মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করে এদিন  ট্যুইট করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

    কী বললেন বিজেপির জয়ী সদস্য?

    দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট ব্লকের চকরামপ্রসাদ গ্রাম এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী অমলি হাঁসদা জয়ী হন। অমলি হাসদা মোট ২৬৩ ভোট পেয়ে তৃণমূল প্রার্থী  থেকে ৩৩ ভোটে জয়ী হন। উল্লেখ্য, বালুরঘাট ব্লকের ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের চকরাম প্রসাদ গ্রাম সাংসদ সুকান্ত মজুমদার দত্তক নেন লোকসভা ভোটের পর পরই। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে চকরাম গ্রাম সংসদের অধীনে ছিল চকরাম প্রসাদগ্রাম। গতবার সংসদটি বিজেপির অধীনে ছিল। এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে চকরাম এবং চকরামপ্রসাদ গ্রাম দুটি আলাদা সংসদ হয়। চকরাম গ্রামটি বিজেপি দখল করতে না পারলেও সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) দত্তক নেওয়া গ্রাম চকরামপ্রসাদ গ্রাম সংসদ বিজেপি দখল করে। স্বাভাবিকভাবেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সুকান্ত মজুমদারের দত্তক নেওয়া গ্রামের হেরে যাওয়ার যে বক্তব্য দিয়েছেন তা মিথ্যে সে কথাই এদিন জানান বিজেপি রাজ্য সভাপতি।এই বিষয়ে বিজেপির জয়ী প্রার্থী অমলি হাঁসদা বলেন,আমি এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে চকরাম প্রসাদ গ্রামে বিজেপির প্রার্থী হয়ে দাঁড়িয়েছি। টোটাল ভোট ২৬৩ আমরা পেয়েছিলাম আর তৃণমূল প্রার্থী  থেকে ৩৩ ভোটে জয়ী হই ।চকরাম প্রসাদ গ্রাম এখন বিজেপির দখলে রয়েছে ও আমাদের ভাটপাড়া গ্রামপঞ্চায়েতও বিজেপির দখলে রয়েছে। আমাদের চকরামপ্রসাদ গ্রাম সুকান্ত মজুমদার দত্তক নিয়েছে  আর আমি এই গ্রামের বিজেপির জয়ী প্রার্থী। এবং সুকান্ত মজুমদারের দত্তক নেওয়া গ্রামে যে উনি হেরে গেছেন যে প্রচার করা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যে।

    কী বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি? (Sukanta Majumdar)

    এই বিষয়ে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে ছাত্র ছাত্রীদের সামনে অভিষেক ব্যানার্জি  মিথ্যে কথা বলেছেন। মিথ্যা কথা বলা অভ্যাসে  পরিণত হয়ে গিয়েছে। তিনি হারানোর জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন। তাঁর কথা মত বালুরঘাটের বিডিও সমস্তরকম চেষ্টা করেছিলেন। তারপরেও বলছি বিডিও হারাতে পারেননি ভাটপাড়া পঞ্চায়েতের চকরামপ্রসাদ গ্রামের ৮২ নম্বর বুথ। বিজেপি প্রার্থী জয়ী হয়েছে। শুধু তাই নয় গোটা ভাটপাড়া পঞ্চায়েতটা বিজেপি দখল করেছে। প্রধান বিজেপির, উপ প্রধান বিজেপির। আপনি রাজ্যের নেতা আপনি এতটকু  খবর রাখেন না।রাজ্য চালাবেন কীভাবে? পিসি না থাকলে তো অনাথ হয়ে যাবেন।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    এই বিষয়ে তৃণমূলের জেলার সহ সভাপতি সুভাষ চাকি বলেন, নির্বাচন বিধি অনুযায়ী যে ভাবে ভাগাভাগি হয়েছে সেইটা আগে বুজতে হবে। চকরাম বলে যে গ্রামটা ছিল সেইটা এখন দুইটা ভাগে হয়েছে। একটা চকরামপ্রসাদ হয়েছে, আরেকটি চকরাম হয়েছে। চকরাম প্রসাদ গ্রামে বিজেপি জয়ী হয়েছে। কিন্তু, চকরাম গ্রামে বিজেপি হেরেছে। আমাদের নেতা অভিষেক ব্যানার্জী সঠিক কথা বলেছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: “রাজ্যের জন্য কেন্দ্রীয় প্রকল্প থেকে বঞ্চিত পশ্চিমবঙ্গবাসী”! হাইকোর্টের দুয়ারে সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: “রাজ্যের জন্য কেন্দ্রীয় প্রকল্প থেকে বঞ্চিত পশ্চিমবঙ্গবাসী”! হাইকোর্টের দুয়ারে সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্প বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বঞ্চিত পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দারা। আজ, মঙ্গলবার এই মর্মে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। ফি বার নির্বাচনের আগে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল হাওয়া গরম করে বলে অভিযোগ। রাজ্যের অভিযোগ, কেন্দ্রের জন্যই বন্ধ হয়ে গিয়েছে একশো দিনের প্রকল্পের টাকা। এবার পাল্টা চাল দিল বঙ্গ বিজেপি। দায়ের করল জনস্বার্থ মামলা। আগামী সপ্তাহে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি হতে পারে মামলাটির।

    সুকান্তর অভিযোগ

    সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, “কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারের প্রকল্পের কথা যাতে বাংলার মানুষ জানতে পারেন, সেজন্য পঞ্চায়েত স্তরে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে কমন সার্ভিস সেন্টার (সিএসসি) চালু করা হয়েছিল। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার রাজ্যের প্রায় ৪০ হাজার সিএসসি বন্ধ করে দিয়েছে। বাংলার মানুষ যাতে কেন্দ্রীয় পরিষেবার কথা জানতে না পারেন, তাই ওই পদক্ষেপ করেছে রাজ্য।”

    সিএসসির সুবিধা

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “সিএসসির মাধ্যমে পঞ্চায়েত অফিসে গিয়ে ই-সার্ভিস মারফৎ কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধা জানতে পারতেন গ্রামের বাসিন্দারা। ২০২০ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ওই পরিষেবা তুলে দেয়। পরিবর্তে ‘বাংলা সেবা কেন্দ্র’ নামে একটি সেন্টার খোলা হয়েছে।” “কেন ওই পরিষেবা বন্ধ করা হল?”, প্রশ্ন সুকান্তর। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “রাজ্যের বিভিন্ন পঞ্চায়েত অফিসে কমপক্ষে দেড় লক্ষ ছেলেমেয়েকে কর্মসংস্থানের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করেছে রাজ্য। তাই পঞ্চায়েত অফিসগুলিতে কেন্দ্রের ওই পরিষেবা আবার চালু হোক।” তিনি জানান (Sukanta Majumdar), প্রায় ২০০ কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা নানাভাবে পান রাজ্যের মানুষ।

    আরও পড়ুুন: “যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে রাতে মাদক পাচার হতো”, বিধানসভায় তোপ শুভেন্দুর

    প্রসঙ্গত, সাধারণ মানুষ যাতে কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলি সম্পর্কে জানতে পারেন, তাই কমন সার্ভিস সেন্টার খুলেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। পঞ্চায়েত স্তরে এই কমন সার্ভিস সেন্টারগুলি খোলা হয়েছিল। আয়ুষ্মান ভারত, কেন্দ্রীয় আবাস যোজনা সহ নানা প্রকল্পের সুবিধা পেতে গেলে কোথায় যেতে হয়, কী করতে হয়, অনায়াসেই মিলত এসব তথ্য। এই সব কেন্দ্রের সুবিধা পেতেন মূলত প্রান্তিক অঞ্চলের বাসিন্দারাই।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: “শীঘ্রই আপনার পরিবারের কোনও সদস্য যদি ভিতরে ঢুকে যায়?” মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: “শীঘ্রই আপনার পরিবারের কোনও সদস্য যদি ভিতরে ঢুকে যায়?” মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাতে আর মাত্র ৬ মাস সময় আছে বলে মন্তব্য করেছিলেন মমতা। তারই পাল্টা হিসেবে সুকান্ত বলেন,  “মুখ্যমন্ত্রীর হাতে কি ৬ সপ্তাহ সময় আছে? তার মধ্যেই যদি আপনার পরিবারের কোনও সদস্য ভিতরে ঢুকে যায়?” 

    সুকান্তর অভিমত

    ইন্ডিয়া জোট নিয়েও কটাক্ষ করেন সুকান্ত। তাঁর কথায়, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আইএনডিআইএ-র একজন সদস্য। কিন্তু ইন্ডিয়া আপনার সঙ্গে নেই। ভারতবাসী প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গেই রয়েছে আর থাকবেও।” লুঠপাট সত্বেও পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি রাজ্যে যে ১১ হাজার আসন পেয়েছে সেটা বড় ব্যাপার, বলে উল্লেখ করেন তিনি। 

    আরও পড়ুন: ২৬ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা! নাবালিকার গর্ভপাতের অনুমতি দিল হাইকোর্ট

    রাজ্যে সিএএ লাগু করার ব্যাপারেও সরব হলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। আগামী বছর লোকসভা নির্বাচনের আগেই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন চালুর ব্যাপারে আশা প্রকাশ করেন বিজেপি সাংসদ। সুকান্ত মজুমদার জানান, জনসাধারণকে নাগরিকত্ব দেওয়ার ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে, এক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের কোনও ভূমিকা নেই। মূলত, বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষকে নাগরিকত্ব দেওয়ার ব্যাপারে সরকার পদক্ষেপ করতে পারে বলে জানান তিনি।তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধিতা প্রসঙ্গে সুকান্ত জানান, তৃণমূলের কাজই হচ্ছে বিজেপি যা পদক্ষেপ নেবে তার বিরোধিতা করা। তবে এই আইন চালু হলে জন সাধারনের কতোটা উপকার হবে সেটা সকলে বুঝতে পারবে, তখনই সবাই এই আইনকে স্বাগত জানাবে বলে মত বিজেপি রাজ্য সভাপতির।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: রেলমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক, ভেলোরের জন্য ট্রেনের দাবি জানালেন সাংসদ সুকান্ত মজুমদার

    Balurghat: রেলমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক, ভেলোরের জন্য ট্রেনের দাবি জানালেন সাংসদ সুকান্ত মজুমদার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গে দেখা করে দক্ষিণ দিনাজপুর (Balurghat) জেলার জন্য একগুচ্ছ রেল প্রকল্প ও নতুন রেল পরিষেবা চালুর দাবিপত্র তুলে দিলেন বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। ২০২৪ লোকসভা ভোটে জেলার রেল পরিষেবার উন্নয়ন সহ একাধিক কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সফল বাস্তবায়নকেই পাখির চোখ করতে চলেছে বিজেপি। বিভিন্ন সময় সুকান্ত মজুমদার জেলা সফরে এসে রেল প্রকল্পের হাল হাকিকত খতিয়ে দেখতে মাঠে নামেন। পার্লামেন্টের অধিবেশন চলছে। এই সময় সুকান্ত মজুমদার দিল্লিতে রয়েছেন। তাই বেশ কিছু প্রকল্প নিয়ে অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গে দেখা করে সেগুলির বাস্তবায়নের দাবি জানালেন তিনি।

    কোন কোন প্রকল্প (Balurghat) নিয়ে কথা হল?

    জেলার জনগণের চিকিৎসার সুবিধার জন্য বালুরঘাট (Balurghat) থেকে কাটপাটি (ভেলোর) পর্যন্ত একটি নতুন ট্রেন চালুর প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি। এছাড়াও প্রচুর বাংলাদেশি নাগরিক হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বালুরঘাট হয়ে কলকাতা বা শিলিগুড়ি গিয়ে সেখান থেকে চিকিৎসার জন্য ভেলোরে যান। বালুরঘাট থেকে সরাসরি ভেলোর ট্রেন চালু হলে এই সুবিধা শুধু জেলার মানুষ নয়, বাংলাদেশিরাও পাবেন। বালুরঘাট, বুনিয়াদপুর ও গঙ্গারামপুর রেল স্টেশনকে অমৃত ভারত প্রকল্পে এনে স্টেশনের আধুনিকীকরণের প্রস্তাব রেখেছেন সুকান্ত মজুমদার। গাজোল-গুঞ্জরিয়া ভায়া ইটাহার বুনিয়াদপুর রেল প্রকল্পের ঘোষণা হয়েছিল ২০১০ সালে। জমি চিহ্নিতকরণের কাজ হয়েছে। কিন্তু পরের কাজ হয়নি। সেই প্রকল্পেরও দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি করেছেন তিনি।

    এছাড়া, প্রস্তাবিত বুনিয়াদপুর-কালিয়াগঞ্জ রেলপথ সম্প্রসারণে জমি অধিগ্রহণ করে রেলপথ নির্মাণ যাতে দ্রুত শুরু হয়, সেই বিষয়েও কথা বলেছেন রেলমন্ত্রীর সঙ্গে। বালুরঘাট থেকে শিয়ালদা পর্যন্ত একটি নতুন ট্রেন চলাচলের প্রস্তাব আগেই রেখেছিলেন সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। কিন্তু অন্য ট্রেনের সঙ্গে টাইম ম্যাচ না করায় এই ট্রেন দেওয়া যাচ্ছে না বলে দাবি করেছিলেন সুকান্ত। এবার হাটে বাজারে এক্সপ্রেসের নতুন টাইম সিডিউল করার মাধ্যমে নতুন ট্রেনের টাইম টেবিল পাওয়া যাবে বলে দাবি তাঁর। এছাড়াও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর বুনিয়াদপুরে একটি স্টেডিয়াম নির্মাণের প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি। কোচবিহার থেকে দেওঘর পর্যন্ত ভায়া মালদা একটি নতুন ট্রেন চালুর কথাও বলেছেন তিনি।

    কী বলছেন সুকান্ত মজুমদার এবং জেলার বিশিষ্টরা (Balurghat)?

    সুকান্ত মজুমদার বলেন, দক্ষিণ দিনাজপুরে (Balurghat) রেলের উন্নতিকল্পে যা যা করা দরকার, সে বিষয়ে সম্পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন রেলমন্ত্রী। সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের এহেন ভূমিকায় খুশি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বাসিন্দারা। হিলি এসআইবি কলেজের অধ্যাপক তথা গঙ্গারামপুরের বাসিন্দা অভিজিৎ সরকার বলেন, সাংসদের এহেন পদক্ষেপ খুবই ইতিবাচক এবং বাস্তবিক। এর দ্বারা আমরা প্রত্যক্ষভাবে লাভবান হব। সাংসদ সুকান্ত মজুমদারকে ধন্যবাদ। কবি ও সাহিত্যিক তথা বালুরঘাটের বাসিন্দা বঙ্গরত্ন বিশ্বনাথ লাহা বলেন, খুবই ভাল উদ্যোগ। আমরা আশা করি সাংসদের দেওয়া প্রস্তাবগুলি ফলপ্রসূ হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ফের তড়িঘড়ি দিল্লি গেলেন শুভেন্দু, আবার কী হল?

    Suvendu Adhikari: ফের তড়িঘড়ি দিল্লি গেলেন শুভেন্দু, আবার কী হল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লি থেকে ফিরেছিলেন সোমবার গভীর রাতে। ২৪ ঘণ্টাও পার হয়নি, ফের দিল্লি গেলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সোমবার রাত ৯টায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বাড়িতে গিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন শুভেন্দু। রাতেই ফেরেন কলকাতা।

    শুভেন্দুর দিল্লিযাত্রা

    মঙ্গলবার বিধানসভার পরিষদীয় দলের বৈঠক শেষে ফের ধরেন দিল্লির উড়ান। কেন হঠাৎ দিল্লি যাত্রা, সে ব্যাপারে মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। তবে বিজেপির একটি সূত্রের খবর, অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করতেই ফের একবার দিল্লি গেলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাত দশটা থেকে ১২ টা পর্যন্ত অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক রয়েছে শুভেন্দু অধিকারীদের। তবে, বৈঠকের সময়সীমা আরও বাড়তে পারে বলেও জানা যাচ্ছে। জানা যাচ্ছে, ২০২৪ লোকসভার স্ট্র্যাটেজি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে। বুধবার দুপুরে ফিরবেন শুভেন্দু অধিকারী। এখনও পর্যন্ত তাই স্থির রয়েছে। এদিন যাওয়ার আগে বিধানসভার কাজকর্ম দেখভালের দায়িত্ব তিনি দিয়ে গেলেন বিজেপি পরিষদীয় দলের মুখ্য সচেতক মনোজ টিগ্গাকে। পশ্চিমবঙ্গে নারী নির্যাতনের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতরে একটি প্রস্তাব জমা দিয়েছে বিজেপির পরিষদীয় দল। শুভেন্দু বলেন, “এই বিষয়ে আমরা আলোচনা চেয়েছি।”

    দিন কাটল ব্যস্ততায় 

    এদিন দিল্লি যাওয়ার আগে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) ব্যস্ত ছিলেন ধূপগুড়ির বিধায়ক বিজেপির বিষ্ণুপদ রায়ের শেষ যাত্রার প্রস্তুতিতে। সোমবার বিষ্ণুপদ মারা যান এসএসকেএম হাসপাতালে। তাঁর দেহ নিয়ে লোকজন ধূপগুড়ি রওনা দিতেই বিধানসভায় পরিষদীয় দলের সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তার পরেই রওনা দেন দিল্লির উদ্দেশে। এদিন শাহ-শুভেন্দু বৈঠকে যোগ দিতে পারেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও।

    এদিকে, এদিন দুপুরে সংসদে সপরিবারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করলেন সুকান্ত। স্ত্রী ছাড়াও তাঁর সঙ্গে ছিলেন দুই মেয়ে। সেই ছবি ট্যুইটও করেছেন সুকান্ত। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার পর বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “বাংলার ব্যাপারে (Suvendu Adhikari) খোঁজখবর নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

    পঞ্চায়েতে হিংসা ও অশান্তির ব্যাপারে তাঁর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। রাজ্যের উন্নয়নের বিষয় নিয়েও কথা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। পঞ্চায়েতে হিংসার ঘটনা সত্ত্বেও বিজেপি যে ১১ হাজার আসনে জিতেছে, তা জেনে খুশি প্রধানমন্ত্রী।”

    আরও পড়ুুন: ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের সঙ্গে তুলনা! ‘ইন্ডিয়া’ জোট নিয়ে বিরোধীদের কটাক্ষ মোদির

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Sukanta Majumdar: “আমরাও হাতে চুড়ি পরে বসে নেই”, তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: “আমরাও হাতে চুড়ি পরে বসে নেই”, তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মণিপুরের ঘটনা নিয়ে পরে কথা বলবেন। আগে মালদা, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারে কী হচ্ছে দেখুন!” সোমবার এই ভাষায়ই বিরোধীদের উদ্দেশে তোপ দাগলেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি অধ্যাপক নেতা সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। কোচবিহারে গণধর্ষণের শিকার এক নাবালিকার প্রসঙ্গও টানেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

    বাংলায় ঘটনার ঘনঘটা

    তিনি বলেন, “কোচবিহারে ১৪ বছরের এক নাবালিকাকে ছ’ দিন ধরে গণধর্ষণ করা হয়েছে। হাসপাতালে সে পাঞ্জা লড়ছে মৃত্যুর সঙ্গে। বাংলায় ঘটে যাওয়া একের পর এক কাণ্ড কেন বিরোধীদের চোখে পড়ছে না?” এর পরেই তিনি বলেন, “আমাদের বিরোধীরা একপেশে। তাঁরা মণিপুর দেখতে পাচ্ছেন, কিন্তু মালদা, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারের ঘটনা দেখতে পাচ্ছেন না।”

    সুকান্তর হুমকি 

    বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো স্বয়ং। এদিন সে প্রসঙ্গ টেনে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, “আমরাও হাতে চুড়ি পরে বসে নেই। এমন প্রত্যুত্তর দেব, যা তৃণমূল কংগ্রেস মনে রাখবে সারা জীবন।” তিনি বলেন, “বিরোধী দলের নেতাদের বাড়ি ঘেরাও করতে বলা তাঁদের সাংবিধানিক অধিকার খর্ব করার চেষ্টা। এটা বিজেপি কোনওভাবেই মেনে নেবে না।” বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “ওদের যা করার, করুক। কিছু মানুষের প্রাণ যদি যায়, কেউ যদি আহত হয়, কোনও মায়ের কোল যদি খালি হয়, তাহলে আমরাও তৃণমূল কংগ্রেসকে ছাড়ব না। পরবর্তী পদক্ষেপ আমরা ঠিক সময় ঘোষণা করব।”

    এর পরেই তিনি বলেন, “এমন প্রত্যুত্তর দেব, যা তৃণমূল কংগ্রেস সারা জীবন মনে রাখবে।” সুকান্ত বলেন, “রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় আমাদের কর্মীরা এফআইআর করেছেন। এটা প্ররোচনামূলক কথা। মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর স্বনামধন্য কয়লা ভাইপো যেভাবে হিংসায় প্ররোচনা দিয়েছে, তা ভারতের ইতিহাসে কেউ কখনও দেখেনি।” সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, “তৃণমূলের ওই কর্মসূচি নিয়ে আমার সঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কথা হয়েছে। আমি বিষয়টি ওঁকে চিঠি দিয়ে জানাচ্ছি। আমাদের প্রতিনিধি দল রাজ্যপালের সঙ্গেও দেখা করে বিষয়টি জানাবে। কারণ সাংবিধানিক অধিকার খর্ব করার চেষ্টা হচ্ছে।” বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “তৃণমূলের কর্মসূচির মোকাবিলায় বিজেপি প্রস্তুত রয়েছে। তার পাল্টায় কী হবে, তৃণমূল কংগ্রেসকে ভেবে রাখতে বলবেন।”

    আরও পড়ুুন: রামনবমীর শোভাযাত্রায় হিংসার মামলায় খারিজ রাজ্যের আর্জি, ‘সুপ্রিম’ নির্দেশে বহাল এনআইএ তদন্ত

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share