Tag: Sukanta Majumdar

Sukanta Majumdar

  • Suvendu Adhikari: উদাসীন রাজ্য,  জল পাচ্ছেন না গ্রামের গরিব মানুষ, কেন্দ্রকে চিঠি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: উদাসীন রাজ্য,  জল পাচ্ছেন না গ্রামের গরিব মানুষ, কেন্দ্রকে চিঠি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের একটা বড় অংশ পানীয় জল সংকটে ভুগছে। আমাদের রাজনৈতিকভাবে অনুপ্রাণিত আমলাতন্ত্র, বিশেষ করে উচ্চস্তরের আমলাতন্ত্রের একটি অংশ গ্রামের দরিদ্র মানুষের প্রতি চরম উদাসীনতা দেখাচ্ছে। ফলে যাঁরা হর ঘর জলের স্বপ্ন দেখেছিলেন, তাঁদের সেই স্বপ্ন ভঙ্গ হয়েছে। এই ভাষায়ই কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াতকে চিঠি লিখলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বৃহস্পতিবার দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে নিজের দত্তক নেওয়া গ্রামে গিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের বিধায়ক সুকান্ত মজুমদার। সেখানে জল নিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। তার ঠিক পরের দিনই কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রীকে চিঠি দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

    হর ঘর নলসে জল…

    ২০২২ সালে কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করতে গিয়ে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ বলেছিলেন, ‘হর ঘর নলসে জল’ প্রকল্পে ৬০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এর ফলে উপকৃত হবে ৩.৮ কোটি পরিবার। প্রতি ঘরে নলবাহিত পানীয় জল প্রকল্পে (Suvendu Adhikari) ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ৩.৮ কোটি পরিবারের জন্য বিপুল বরাদ্দ করা হল। তিনি বলেন, ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে দরিদ্র ও প্রান্তিক মানুষের উন্নয়ন সাধনে সব রকমভাবে নজর দিয়েছে সরকার। এমন সব কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে, যা আবাসন, বিদ্যুৎ, রান্নার গ্যাস এবং পানীয় জলের পরিষেবা প্রদান করেছে। প্রতি ঘরে বিশুদ্ধ পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই সফলতা এসেছে।

    প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের চকরাম প্রসাদে সাধারণ মানুষের অভাব অভিযোগ শুনতে গিয়েছিলেন সুকান্ত। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে ঘিরে রাস্তা ও পানীয় জলের দাবি জানান। তাঁদের অভিযোগ, এলাকায় কল থাকলেও, তা দিয়ে জল (Suvendu Adhikari) পড়ে না। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, যেহেতু আমার দত্তক নেওয়া গ্রাম, তাই এর পিছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে।

    আরও পড়ুুন: ‘ডিএ দিতে গেলে বন্ধ হয়ে যাবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী’, বেফাঁস কৃষিমন্ত্রী

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhijit Ganguly: ‘‘সুপ্রিম রায় ‘দুর্ভাগ্যজনক’, তবে…’’! অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের অপসারণে বললেন সুকান্ত

    Abhijit Ganguly: ‘‘সুপ্রিম রায় ‘দুর্ভাগ্যজনক’, তবে…’’! অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের অপসারণে বললেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে (Abhijit Ganguly) নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলা থেকে অপসারণের সুপ্রিম নির্দেশকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলে মন্তব্য করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বিচারাধীন বিষয় নিয়ে একটি নির্দিষ্ট বেসরকারি সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দেওয়ায় শুক্রবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে (Abhijit Ganguly) নিয়োগ দুর্নীতির সমস্ত মামলা থেকে অব্যহতি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমকে তিনি ওই মামলাগুলি অন্য কোনও বিচারপতির এজলাসে স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন।

    সুকান্তর অভিমত

    এদিন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘এই রায় অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly) অন্যায় ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে যে লড়াই শুরু করেছেন তা থামবে না। উনি যে স্ফুলিঙ্গ জ্বালিয়েছেন তাতে আলোকিত হয়ে অন্যরা এই লড়াই এগিয়ে নিয়ে যাবেন। সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশে তৃণমূল নেতাদের আনন্দিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। তাদের জেলে যেতেই হবে। দু দিন আগে, আর দু দিন পরে। জেলে যেতেই হবে।’ বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের হাতে মামলা থাকবে কী থাকবে না, সেটা বিতর্কের বিষয় নয়। তবে এতে এটা প্রমাণ হয় না যে দুর্নীতি হয়নি। দুর্নীতি তো দৃশ্যমান।” বিজেপি নেতা শুঙ্কুদেব পণ্ডা বলেন, “সুপ্রিম কোর্টের রায়ে কোথাও বলা নেই, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নিয়োগ সংক্রান্ত মামলাগুলিতে যে রায় দিয়েছে, তা ঠিক ছিল না। প্রসেডিংয়ে সমস্যা ছিল।”

    আরও পড়ুন: বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে নিয়োগ মামলা সরানোর নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    আর কে কী বললেন?

    বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের হাতে মামলা থাকবে কী থাকবে না, সেটা বিতর্কের বিষয় নয়। তবে তাতে এটা প্রমাণ হয় না যে দুর্নীতি হয়নি। দুর্নীতি তো দৃশ্যমান।” অন্যদিকে, রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ শুভময় মৈত্র বলেন, “এই রায় বাংলার রাজনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এবার দ্বন্দ্বটা হচ্ছে, এই রায়ে সামাজিক ন্যায়বিচারে কোনও অসুবিধা হবে কিনা? সে তো আইনি ব্যবস্থা রয়েছে। এর বিরুদ্ধেও কেউ আদালতে যেতে পারেন। রায় সদ্য হয়েছে, খুব তাড়াতাড়ি এই নিয়ে অনুসিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যাবে না।”

    পুর নিয়োগেও সুপ্রিম স্থগিতাদেশ

    পুর-দুর্নীতি মামলায় সিবিআই-ইডি তদন্তে স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। এক সপ্তাহের জন্য স্থগিতাদেশের নির্দেশ দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। উল্লেখ্য, ২১ এপ্রিল পুর-দুর্নীতি মামলায় একযোগে সিবিআই-ইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ২২ এপ্রিল এফআইআর দায়ের করে সিবিআই। সেই তদন্তে এদিন স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। একইসঙ্গে কলকাতা হাইকোর্টে রাজ্য সরকারকে রিভিউ পিটিশন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। রিভিউ পিটিশন দাখিলের এক সপ্তাহের মধ্যে মামলার নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP Strike: ‘‘বন‍্‍ধ স্বতঃস্ফূর্ত ও অত্যন্ত সফল’’! সাড়া দেওয়ায় উত্তরবঙ্গবাসীকে ধন্যবাদ সুকান্তর

    BJP Strike: ‘‘বন‍্‍ধ স্বতঃস্ফূর্ত ও অত্যন্ত সফল’’! সাড়া দেওয়ায় উত্তরবঙ্গবাসীকে ধন্যবাদ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরবঙ্গ জুড়ে ১২ ঘণ্টার বন‍্‍ধ (BJP Strike) স্বতঃস্ফূর্ত ও অত্যন্ত সফল বলে জানালেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সাধারণ মানুষ তৃণমূলের অত্যাচারের বিরুদ্ধে সাড়া দিয়েছে বলেও জানান তিনি। এর জন্য উত্তরবঙ্গবাসীকে ধন্যবাদ জানান সুকান্ত। উত্তরবঙ্গ বিজেপির পাশে ছিল, আছে, থাকবে বলেও মত তাঁর।

    বন‍্‍ধ আটকানোর ব্যর্থ চেষ্টা

    বন‍্‍ধ সফল করতে শুক্রবার সকাল থেকেই রাস্তায় নেমে পড়েছেন বিজেপি (BJP Strike) কর্মী, সমর্থকরা। বালুরঘাট, রায়গঞ্জ থেকে শুরু করে মালদা সর্বত্রই বিজেপি কর্মীরা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার মোড়গুলিতে পিকেটিং শুরু করে দিয়েছে। তবে রাজ্য সরকারের তরফ থেকেও সমস্ত কিছু সচল রাখতে সর্বতভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সর্বত্র মোতায়েন রয়েছে পুলিশ বাহিনী। ইতিমধ্যেই কোচবিহারে গ্রেফতার করা হয়েছে ৪০ জন বিজেপি সমর্থককে, বলে দাবি করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর কথায়, “জোড়া হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ফুঁসছে কালিয়াগঞ্জ। উত্তপ্ত উত্তরবঙ্গ। সাধারণ মানুষ নিজেদের ইচ্ছায় সাড়া দিয়েছে। তৃণমূল জোড় করে বন‍্‍ধ আটকানোর চেষ্টা করছে।”

    মানুষ বিজেপির পাশে

    বন‍্‍ধ (BJP Strike) মোকাবিলায় পতাকা হাতে সকাল থেকেই উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় মিছিল করছে তৃণমূল। কোচবিহারেও শাসক দল পাল্টা মিছিল করে বন‍্‍ধ ব্যর্থ করতে চাইলে উত্তেজনা ছড়ায়, বলে জানান সুকান্ত। সকাল থেকে কোচবিহার, রায়গঞ্জ, জলপাইগুড়ি, ধূপগুড়ি সহ একাধিক জায়গায় মিছিল করছে তৃণমূল কংগ্রেস। সুকান্ত বলেন, “কালিয়াগঞ্জে নাবালিকা হত্যা ও রাধিকাপুরে বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। আমরা তাদের পাশে আছি। এটা প্রমাণ করে কালিয়াগঞ্জের মানুষ পুলিশের উপর আস্থা হারিয়েছে। যে পুলিশ অপরাধীদের আটকাতে পারে না সেই পুলিশ একটা মায়ের কোল খালি করে দেয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাধিকাপুরে এক এসআই-এর গুলিতেই মৃত্যু হয়েছে বিজেপি কর্মী মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের।” কালিয়াগঞ্জে (Kaliaganj) নাবালিকাকে গণধর্ষণ-খুনের অভিযোগের ঘটনায় রাজ্য পুলিশের আইজি (উত্তরবঙ্গ), উত্তর দিনাজপুরের পুলিশ সুপার ও জেলাশাসককে তলব করেছে জাতীয় তফশিলি জাতি কমিশন। কমিশনের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন সুকান্ত। 

    আরও পড়ুন: কালিয়াগঞ্জের ঘটনায় দিল্লিতে তলব জেলাশাসক, পুলিশের শীর্ষ কর্তাদের

    বন‍্‍ধ-এর প্রভাব

    শিলিগুড়িতে বন‍্‍ধ-এর মিশ্র প্রভাব পড়েছে। দোকান বাজার বন্ধ রয়েছে। রাস্তাঘাটে বাস গাড়ি চললেও তার সংখ্যা অনেকটাই কম। তবে পাহাড়ে কোনও প্রভাব পড়েনি বন‍্‍ধ-এর। জনজীবন স্বাভাবিক রয়েছে। বিজেপির ডাকা ১২ ঘণ্টা বন‍্‍ধ-এ (BJP Strike) বালুরঘাট সহ জেলায় কোনও বেসরকারি যানবাহন ও বাস চলাচল করছে না। ঘুঘুমারিতে বিজেপির অবরোধ তুলতে গেলে উত্তেজনা ছড়ায়। বিজেপি কর্মীদের দিকে বাঁশ নিয়ে তাড়া করতে দেখা যায় তৃণমূল কর্মীদের। কয়েকজনকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। মালদা জেলার বিজেপির কর্মী, সমর্থকরা শহরের রথবাড়ি মোড়, মঙ্গলবাড়ী মোড়, সাহাপুর, ডিস্কো মোড় সহ আরও একাধিক জায়গায় ইতিমধ্যেই পথ অবরোধ করেছে। সকাল থেকেই বেসরকারি বাস রাস্তায় চলতে দেখা যায়নি। মালদা জেলার প্রায় দেড়শোটি বেসরকারি বাস আজ চলাচল করেনি। গৌরকন্যা বাসস্ট্যান্ডে বেসরকারি বাস দাঁড়িয়ে রয়েছে। বাসস্ট্যান্ড জনশূন্য। একই চিত্র উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্র পরিবহনের বাসস্ট্যান্ডে, নেই কোনও যাত্রী।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: ‘তিহাড় জেলে তৈরি হবে তৃণমূলের নয়া ইউনিট টিটিএমসি’, ফের বললেন সুকান্ত  

    Anubrata Mondal: ‘তিহাড় জেলে তৈরি হবে তৃণমূলের নয়া ইউনিট টিটিএমসি’, ফের বললেন সুকান্ত  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার কেলেঙ্কারিতে (Cattle Smuggling Scam) যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন তৃণমূলের (TMC) বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। বুধবার ওই মামলায়ই গ্রেফতার হয়েছেন কেষ্ট-কন্যা সুকন্যা। প্রত্যাশিতভাবেই খুশি বিরোধীরা। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, আগেই ভবিদ্ব্যাণী করেছিলাম। বলেছিলাম, শুধু সময়ের অপেক্ষা। তিনি বলেন, এবার তিহাড়েই নয়া ইউনিট খুলবে তৃণমূল।

    অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal ) সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী…

    সাংবাদিক বৈঠকে সুকান্ত বলেন, আগেই ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলাম। বলেছিলাম, শুধু সময়ের অপেক্ষা। কারণ বারবার ইডি, সিবিআই ডাকলেও তিনি যাননি। তাঁর কাছ থেকে কোনওরকম সহযোগিতা পাননি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। বিশেষত ইডি। বারবার উচ্চ আদালতে গিয়ে সেটাকে বাইপাস করার চেষ্টা করেছেন। ফলে ইডি এখন বাধ্য হয়েছে তাঁকে গ্রেফতার করতে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, তাঁর নামে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। যদিও ব্যক্তিগত জীবনে তিনি একজন প্রাইমারি স্কুল শিক্ষিকা। খুব অল্প বয়স্কা। ফলে তাঁর এত বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি থাকতে পারে না। তিনি বলেন, অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) রোজগারের কোনও হদিশ আমরা পাইনি। যদিও সম্পত্তির হদিশ পেয়েছি। আয়ের দিক থেকে এই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি কোথা থেকে এল, তাঁকে উত্তর দিতে হবে।

    সুকান্ত বলেন, অনুব্রত মণ্ডল একজন জেলা সভাপতি। একজন জেলা সভাপতির পক্ষে এত বড় পাচারের মতো ঘটনা, গরু পাচার বা কয়লা পাচারের মতো বিষয়কে পুরোপুরি সামলানো সম্ভব নয়। স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূল কংগ্রেসের কালীঘাটের নেতাদের সঙ্গে এর যোগাযোগ রয়েছে। তাই ততক্ষণ পর্যন্ত এই বৃত্ত সম্পূর্ণ হচ্ছে না, যতক্ষণ না পর্যন্ত এই মাথাগুলো ধরা পড়ে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, খুব তাড়াতাড়ি এই রাঘব বোয়ালরা ধরা পড়বে। তিহাড় জেলে তৈরি হবে তৃণমূল কংগ্রেসের নতুন ইউনিট টিটিএমসি।

    আরও পড়ুুন: কালিয়াগঞ্জে পুলিশের গুলিতে মৃত্যু রাজবংশী যুবকের! ‘‘দায় নিতে হবে মমতাকে’’, ট্যুইট শুভেন্দুর

    প্রসঙ্গত, বুধবার সন্ধ্যায় ইডি  গ্রেফতার করে সুকন্যাকে। এই মামলায় আট মাস আগে গ্রেফতার হয়েছিলেন অনুব্রত (Anubrata Mondal)। তার পর থেকেই সুকন্যাকে তলব করা হচ্ছিল। প্রথমবার হাজিরা দিলেও, পরে নানা অছিলায় হাজিরা এড়িয়ে যান সুকন্যা। বুধবার সকালেই ডেকে পাঠানো হয় অনুব্রত-কন্যাকে। চলে টানা জেরা। সন্ধ্যায় গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। ইডি সূত্রে খবর, জিজ্ঞাসাবাদের সময় অসহযোগিতা করছিলেন সুকন্যা। তাই করা হয়েছে গ্রেফতার।

    বিজেপি নেতা তথা দলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহা বলেন, এই গ্রেফতার একদম সঠিক গ্রেফতার। এর মাধ্যমে আরও অনেক তথ্য বেরিয়ে আসবে। এই দুর্নীতির মূলোচ্ছেদ সারা বাংলার মানুষ চাইছেন। যত এজেন্ট আছে, গ্রেফতার হোক। আর এদেজেন্টদের নেতাও গ্রেফতার হোক। এটাই বাংলার মানুষের আকাঙ্খা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘‘কলকাতা লন্ডন না হলেও, মালদা হয়েছে আমেরিকা’’! বন্দুকবাজকাণ্ডে কটাক্ষ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘‘কলকাতা লন্ডন না হলেও, মালদা হয়েছে আমেরিকা’’! বন্দুকবাজকাণ্ডে কটাক্ষ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা লন্ডন না হলেও তৃণমূলের রাজত্বে মালদা আমেরিকা হয়ে গিয়েছে। বুধবার মালদার স্কুলে পড়ুয়াদের পণবন্দি করে বন্দুকবাজের শাসানির প্রতিক্রিয়ায় এমনই দাবি করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। 

    সুকান্তর দাবি

    সুকান্তের কথায়, কালিয়াগঞ্জের ভিডিওতে দেখা গেল, পুলিশকে জনতা পেটাচ্ছে। এখানে দেখা গেল স্কুলে বন্দুক নিয়ে ঢুকে পড়ছে দুষ্কৃতী। রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা বলে কিছুই নেই। মালদার এক স্কুলে (Malda School) বুধবার পিস্তল হাতে ঢুকে পড়েছিল এক ব্যক্তি (Gunman in School)। সটান ক্লাসরুমে। হাতে পিস্তল। টেবিলে রাখা দুটি বোতল। বোতলের মাথাগুলি সাদা কাপড়ে মোড়া। পিস্তল উঁচিয়ে ভরা ক্লাসরুমে ছোট ছোট পড়ুয়াদের সামনে শাসক দল তৃণমূল ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে যাচ্ছিল ওই ব্যক্তি। অতীতে মার্কিন মুলুকে এমন স্কুলের ভিতের বন্দুকবাজের হানার কথা বহুবার শোনা গিয়েছে। কিন্তু এ দৃশ্য বাংলার কোনও স্কুলে অন্তত সাম্প্রতিক অতীতে দেখা যায়নি। কর্নাটকে প্রচার সেরে কলকাতায় ফিরেই সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন কলকাতাকে লন্ডন করবেন। তা আদতে স্বপ্নই রয়ে গিয়েছে। তবে কলকাতা লন্ডন না হলেও মালদা আমেরিকা হয়ে গিয়েছে। আমেরিকাতে এরকম বন্দুকবাজের তাণ্ডব হয়। এখন সেটা পশ্চিমবঙ্গের গ্রামেগঞ্জেও হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেখুন বাংলার আইন-শৃঙ্খলার কী পরিস্থিতি!”

    আরও পড়ুন: স্কুলব্যাগে বিশ্ব বাংলা লোগো! কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীকে চিঠি শুভেন্দুর

    দিলীপ ঘোষের মন্তব্য

    মালদায় স্কুলে বন্দুকবাজের তাণ্ডবে দিল্লির চক্রান্ত রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার এই মন্তব্য নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে পালটা আক্রমণ শানিয়েছে মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ তথা বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “বাংলার পাড়ায় পাড়ায় যে খুন-ধর্ষণ হচ্ছে, সেটা কি দিল্লি করাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী যখনই কোনও কাজে ব্যর্থ হন তখনই অন্যের ঘাড়ে দায় ঠেলেন। উনি পুলিশমন্ত্রী হয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ব্যর্থ। তাই এখন দিল্লির ঘাড়ে দায় ঠেলার চেষ্টা করছেন। এটা অযোগ্যতার প্রাথমিক লক্ষ্মণ। এভাবে উনি পার পাবেন না।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta-Suvendu-Abhishek: সরকারি অর্থের অপচয়! অভিষেকের জনসংযোগ যাত্রাকে কটাক্ষ সুকান্ত-শুভেন্দুর

    Sukanta-Suvendu-Abhishek: সরকারি অর্থের অপচয়! অভিষেকের জনসংযোগ যাত্রাকে কটাক্ষ সুকান্ত-শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) জনসংযোগ যাত্রাকে কটাক্ষ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সুকান্ত বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ কেমন দেখতে উনি আগে কোনওদিন দেখেননি। তাই এসি বাস, এসি তাঁবু দেখতে যাচ্ছেন’। শুভেন্দুর দাবি, সরকারি অর্থ অপচয় করে এই যাত্রার ডাক দেওয়া হচ্ছে।

    তৃণমূলের নব জোয়ার যাত্রা

    সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। আজ, মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে ‘তৃণমূলের নব জোয়ার’ যাত্রা। টানা ২ মাস ধরে, কোচবিহার থেকে সাগর….জনসংযোগ যাত্রা (Trinamoole Nabo Jowar) করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তৃণমূলের জনসংযোগ যাত্রায় অভিষেক যেখানে রাত্রিবাস করবেন, তার মধ্যে রয়েছে এমন ১৩টি বিধানসভা, যেখানে গত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি জিতেছে। যেমন কোচবিহারের মাথাভাঙা, তুফানগঞ্জ, আলিপুরদুয়ার, মালদা, জলপাইগুড়ির ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি, দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর, বীরভূমের দুবরাজপুর, বাঁকুড়ার কোতুলপুর, ছাতনা, পুরুলিয়ার কাশিপুর, পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল, হুগলির গোঘাট এবং উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ দক্ষিণ। অভিষেকের কথায়, ‘এত বড় একটা কর্মসূচি কোনওদিন ভারতবর্ষে কেউ নেয়নি, বাংলা তো ছেড়ে দিন।’

    শুভেন্দুর কটাক্ষ

    অভিষেকের এই দাবিকে উড়িয়ে দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ‘এই কর্মসূচির সঙ্গে মানুষের কোনও সম্পর্ক নেই’ বলে মত শুভেন্দুর। বিধানসভার বিরোধী দলনেতার কটাক্ষ, ‘প্রথমত বিপুল সরকারি অর্থ ব্যয় করা হচ্ছে এই প্রচারে। ডিসি পদমর্যাদার ৫ জন পুলিশ আধিকারিককে নিয়োগ করা হয়েছে যাতে, কয়লা ভাইপোকে চোর স্লোগান শুনতে না হয়।’ অভিষেককে শুভেন্দুর হুঁশিয়ারি ‘গাড়ির স্পিড একশোর নিচে নামাবেন না, তাহলেই চোর স্লোগান শুনতে হবে।’

    সুকান্তর অভিমত

    সোমবার অভিষেকের প্রচার-যাত্রাকে কটাক্ষ করেই, পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী বাছাই করতে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য ও জেলা স্তরে কমিটি গঠন প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) মত, ‘তার মানে এতদিন গ্রামের মানুষের মতামত না নিয়ে চলেছেন। তারা গ্রামের মানুষের মতামত কোথা থেকে নেবেন, গ্রামের মানুষের মতামত দেওয়ার সাহস নেই তৃণমূল কংগ্রেসের সম্বন্ধে। তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা যে ধরনের গুন্ডামি করেন কোনও মানুষ সাহস দেখাতে পারবেন না। এক সে এক চোর বসে আছে তৃণমূল কংগ্রেসে’। 

    আরও পড়ুুন: এবার পাকিস্তানি নাগরিকের কণ্ঠে শোনা গেল ‘মোদি হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়’ স্লোগান

    পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে সিবিআই প্রসঙ্গে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘আমরা স্বাগত জানাবো এই নির্দেশকে। প্রত্যেকটি পুরসভায় তদন্ত হওয়া উচিত। তাহলে আরও বেশ কিছু চোর এই পশ্চিমবঙ্গ থেকে বেরোবে এবং জেলে থাকবে’। মমতা-নীতীশ বৈঠক প্রসঙ্গে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘আবার জোট পাকানোর চেষ্টা হচ্ছে। আগেরবার চেষ্টা হয়েছিল নীতিশ কুমার একবার ধোঁকা দিয়েছে এনডিএ-কে। আরও একবার দিল। নীতিশ কুমারের রাজত্ব বিহার থেকে শেষ হবে। পশ্চিমবঙ্গ থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজত্ব শেষ করব’।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: বাংলায় নতুন গদ্দাফি তৈরি হচ্ছে, নাম না করে অভিষেককে তীব্র কটাক্ষ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: বাংলায় নতুন গদ্দাফি তৈরি হচ্ছে, নাম না করে অভিষেককে তীব্র কটাক্ষ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে রাজ্য জুড়ে তোলপাড় চলছে। ইতিমধ্যেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্যের পর তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা গ্রেফতার হয়েছে। তাপস সাহাকে সিবিআই জেরা করেছে। যদিও সিবিআই ফিরে যাওয়ার পর তৃণমূল বিধায়কের উদ্যোগে ভুরি ভোজের আয়োজন করা হয়। এই প্রসঙ্গে রবিবার শ্রীরামপুর দলীয় কার্যালয়ে সাংগঠনিক কাজে যোগ দিতে এসে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, দুর্নীতিতে শুধু তাপস সাহাই নয় তৃণমূলের এমন কোনও বিধায়ক নেই যে নিজের প্যাডে লিখে চাকরির জন্য সুপারিশ করেননি। আজ না হয় কাল সেই চিঠি সিবিআইয়ের হাতে পৌঁছাবে। সমস্ত চিঠি নিয়ে ১৪ তলায় একটি কম্পিউটারে কমপাইলেশন করা হয়েছিল। আমরা সেই নামটাও জানি। রাজনীতির যারা খবর রাখেন, তাঁরাও সেই নামটা জানেন। এই মাথারাও ধরা পড়বে। আর সিবিআই চলে যাওয়ার পর তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার মাংস ভাত খাওয়ানো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ছাগল বলি হওয়ার আগে প্রচুর শাকপাতা খায়। এ যাত্রায় বেঁচে গেলেও পরের যাত্রায় বাঁচবেন কিনা গ্যারান্টি নেই। সবসময় ভয়ে ভয়ে থাকতে হবে, এই বুঝি সিবিআই খপাৎ করে ধরল। এই ভয়ে ভয়ে থাকুন কিছুদিন।

     অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসংযোগ যাত্রাকে কী বললেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar)?

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) রবিবার শ্রীরামপুর দলীয় কার্যালয়ে আসেন। সেখানে কর্মীদের সঙ্গে সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। পরে, উত্তরপাড়া পার্টি অফিসেও তিনি কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। অভিষেকের আগামী জনসংযোগ যাত্রা নিয়ে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, নজর ঘোরানো তো বটেই, তার সঙ্গে সঙ্গে আমার মনে হয়, বাংলার জনগণকে তিনি চেনেনও না, জানেনও না। প্যারাসুট নিয়ে নেমেছেন। বাংলার মাটি কি, কোনওদিন দেখেননি। গ্রামেও যাননি, এখন যাচ্ছেন। এই জনসংযোগ যাত্রায় কোটি কোটি টাকা খরচ করে বাস ভাড়া হবে। কোটি কোটি টাকা খরচ করে প্যান্ডেল হবে, তাঁবু হবে। ফাইভ স্টার তাঁবু হবে। তাঁর এইসব কর্মকান্ড দেখে লিবিয়ার বেদুইন নেতা মহম্মদ গদ্দাফির কথা মনে পড়ছে। গদ্দাফি একসময় এরকম তাঁবু করে গ্রামে গঞ্জে থাকতেন। কারণ, তিনি হোটেলে থাকতে পারতেন না, যেহেতু বেদুইন ছিলেন। যাক নতুন গদ্দাফি তৈরি হচ্ছে বাংলায়।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Tweet War: ‘‘কীভাবে কাজ হয় জানুন’’! অভিষেককে গিরিরাজের দায়িত্বের ‘পাঠ পড়ালেন’ সুকান্ত-শুভেন্দুরা

    Tweet War: ‘‘কীভাবে কাজ হয় জানুন’’! অভিষেককে গিরিরাজের দায়িত্বের ‘পাঠ পড়ালেন’ সুকান্ত-শুভেন্দুরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং-এর চিঠি নিয়ে শুরু হয়েছে ট্যুইট-যুদ্ধ। নিজে মন্ত্রী হয়েও কোন দফতরে তৃণমূলের চিঠি পাঠানোর কথা বললেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন ও পঞ্চায়েত মন্ত্রী গিরিরাজ সিং? এই প্রশ্ন তুলে ট্যুইট করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন।  কিন্তু আসলে গিরিরাজ একই সঙ্গে দুটি মন্ত্রক সামলান তাই তাঁর জবাবে কোনও ভুল নেই। নিয়ম মেনেই চিঠি সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠানো হয়েছে বলে দাবি করছেন বিজেপি নেতারা। ট্যুইট করে মন্ত্রীর দায়িত্ব রীতিমতো ছকের আকারে বুঝিয়ে দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ট্যুইট বার্তায় তৃণমূলকে প্রশাসনিক নিয়ম-নীতির পাঠ নিতে বলেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

    ট্যুইট-যুদ্ধ

    একশো দিনের কাজ ও আবাস যোজনা খাতে বাংলায় বকেয়া পাওনা চাইতে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ে সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিল তৃণমূলের সংসদীয় প্রতিনিধি দল। তার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তবে শেষ পর্যন্ত সেই সাক্ষাৎ হয়নি। এরই মাঝে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগে কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত মন্ত্রী গিরিরাজ সিংকে চিঠি লিখেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস। সেই চিঠির প্রাপ্তি স্বীকার করে লোকসভায় তৃণমূলের নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লেখেন মন্ত্রী। সেখানে লেখা হয়, ‘সংশ্লিষ্ট দফতরের কাছে চিঠিটা ফরওয়ার্ড করা হচ্ছে।’ গিরিরাজের ওই চিঠি নিয়ে ট্যুইটে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে তৃণমূল। তাদের বক্তব্য, আপনি নিজেই যদি সংশ্লিষ্ট দফতরের মন্ত্রী হন, তা হলে চিঠিটা ফরওয়ার্ড করলেন কাকে?

    আরও পড়ুন: ফের রক্তাক্ত ভূস্বর্গ, শহিদ ৫ জওয়ান, জখম ১

    শুভেন্দুর ট্যুইট 

    অভিষেকের ওই টুইট মেনশন করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) আবার ট্যুইটে (tweet war) লিখেছেন, অর্ধশিক্ষিত বারো ক্লাস পাশ ভাঁড়েরা চিঠির মানে বোঝেনি। গিরিরাজ সিং দুটি দফতরের মন্ত্রী। গ্রামোন্নয়ন ও পঞ্চায়েতি রাজ। উনি সংশ্লিষ্ট দফতরকে চিঠিটা পাঠিয়ে দিয়েছেন।

    সুকান্তর ট্যুইট 

    অভিষেকের এই ঠাট্টার জবাব দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। তিনি অভিষেকের টুইট বার্তাকে রিটুইট করে ক্যাপশনে লেখেন, ‘এনডিএ সরকারের মন্ত্রীরা তৃণমূল কংগ্রেসের থেকে আলাদা। একাধিক মন্ত্রণালয়ের দেখাশোনা করা মন্ত্রীরা সবসময় গুরুত্বপূর্ণ নথিগুলিকে কর্তব্যের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠিয়ে দেন। যেহেতু ‘জামির লেন-কা আমির বাবু’র লেটারহেডে চাকরির সুপারিশ দেখতে অভ্যস্ত, তাই এটা তাঁর কাছে হিব্রু বলে মনে হচ্ছে।’

  • Sukanta Majumdar: ‘জীবনকৃষ্ণের মোবাইলের তথ্য উদ্ধার হলে তৃণমূল উঠে যাবে’! কেন বললেন সুকান্ত?

    Sukanta Majumdar: ‘জীবনকৃষ্ণের মোবাইলের তথ্য উদ্ধার হলে তৃণমূল উঠে যাবে’! কেন বললেন সুকান্ত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের পুলিশি বাধার মুখে বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। দিন কয়েক আগে হাওড়ার শিবপুর যেতে বাধা দেওয়া হয়েছিল সুকান্তকে। পরে ফের বাধা পান রিষড়া যাওয়ার পথে। এবার বাধা দেওয়া হল মুর্শিদাবাদের বড়ঞা যাওয়ার পথে। নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে (Recruitment Scam) জড়িয়েছে বড়ঞার বিধায়ক তৃণমূলের জীবনকৃষ্ণ সাহার নাম। তদন্তকারীরা আসছেন খবর পেয়েই নিজের মোবাইল পুকুরে ছুড়ে ফেলে দেন জীবন। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, দলের উচ্চতর নেতৃত্বকে বাঁচাতেই ওই কাজ করেছিলেন জীবন। পুকুরে জল ছেঁচে সেই ফোন উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা। বৃহস্পতিবার বিকেলে সেই পুকুর পরিদর্শনে যাচ্ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তার আগে কান্দিতে সংবর্ধনা দেওয়া হয় তাঁকে।

    সুকান্ত মজুমদারকে (Sukanta Majumdar) বাধা পুলিশের…

    এই অনুষ্ঠান শেষেই বড়ঞার আন্দি গ্রামের উদ্দেশে রওনা দেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)। সেখানকার বাসস্ট্যান্ডে বিজেপি নেতাদের পথ আগলায় বড়ঞা থানার পুলিশ। ব্যারিকেড করে আটকানোর চেষ্টা করা হয় বিজেপি নেতাদের। বিজেপি নেতা-কর্মীরা ব্যারিকেড ভেঙে এগনোর চেষ্টা করতেই পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় বিজেপি নেতাদের। বিজেপির দাবি, বড়ঞার পশ্চিমপাড়া এলাকায় একটি সভা করার জন্য পুলিশের অনুমতি মিলেছিল। শেষতক সেই অনুমতি প্রত্যাহার করে নেয় পুলিশ। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, ১৪৪ ধারা জারি না থাকলে কোনও জনপ্রতিনিধিকে ভারতের কোনও স্থানে যেতে পুলিশ বাধা দিতে পারে না।

    আরও পড়ুুন: জনসংখ্যা সম্পদ! কিন্তু তা বাড়তি বোঝাও হয়ে দাঁড়ায়, মত মোহন ভাগবতের

    সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, কোনও কারণ ছাড়াই পুলিশ আমাদের আটকে দিয়েছে। পুলিশ বলেছে পুকুর দেখতে গেলে পুকুরের মালিকের কাছে এনওসি আনতে হবে। তিনি বলেন, এই প্রথম আমরা দেখলাম, কেউ পুকুর পাড়ে যাবে সেজন্য এনওসি দরকার। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, এরপর আমরা অপেক্ষায় আছি মুখ্যমন্ত্রী নোটিশ বার করবেন পুকুরে কেউ মাছ ধরতে গেলে, বাসন মাজতে গেলে, স্নান করতে গেলে এনওসি আনতে হবে, রাজ্য সরকারের কাছে ৫টাকা জমা দিতে হবে। সুকান্ত বলেন, জীবনকৃষ্ণের মোবাইল ধরা পড়ার পর পুরো রাজ্য প্রশাসন ভয়ে তটস্থ। মুখ্যমন্ত্রী ভয়ে থরথর করে কাঁপছেন। হয় পিসি নয় ভাইপো প্রতিদিন কেউ না কেউ প্রেস কনফারেন্স করছেন। সেই ভয়ের কাঁপুনি এখানেও দেখা যাচ্ছে। তিনি বলেন, জীবন কৃষ্ণ নামের তৃণমূল কংগ্রেসের জীবন ভ্রমরটা এখানেই লুকিয়ে রয়েছে। সুকান্ত বলেন, ওই মোবাইলে এমন কিছু আছে, যেটা বের হয়ে গেলে তৃণমূল কংগ্রেস দলটাই আর থাকবে না।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘গরমে মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে’! মমতাকে কটাক্ষ করে আর কী কী বললেন সুকান্ত?

    Sukanta Majumdar: ‘গরমে মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে’! মমতাকে কটাক্ষ করে আর কী কী বললেন সুকান্ত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে একই সঙ্গে নিশানা করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি  তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। নদিয়ার শান্তিপুরে একটি দলীয় কর্মসূচিতে এসে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, “তৃণমূলের মধ্যে এখন পিসি তৃণমূল না ভাইপো তৃণমূল, এই নিয়ে লড়াই চলছে। আগে বাবার দরবারে সব পাগল ছিল, এখন পিসির দরবারে পাগলগুলো এসেছে।”

    সুকান্তের দাবি

    বুধবার প্রথমে জাতীয় সড়কে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার বাইক র‍্যালিতে অংশ নেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)। এরপরেই শান্তিপুর থানার গোবিন্দপুরে একটি বেসরকারি লজে দলীয় সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন সুকান্ত। মুকুল রায় প্রসঙ্গে বলেন, “অনেকেরই অনেক কিছু ইচ্ছা হয়। বিষয়টা পুরো ঘোলা জলের মধ্যে রয়েছে আগে পরিষ্কার হোক। উনি এখনও অফিসিয়ালি আমাদের দলের বিধায়ক। যদিও তাঁর পদ খারিজ নিয়ে আমরাই মামলা করেছিলাম। কারণ তিনি তৃণমূলের পতাকা হাতে তৃণমূলে যোগদান করেছিলেন।”

    আরও পড়ুন: রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তীতে কলকাতায় অমিত শাহ! নববর্ষের পর ফের জনসভা বাংলায়

    বিজেপি রাজ্যে ক্ষমতায় এলে রাজ্যের শিল্প ব্যবস্থার পরিবর্তন হবে। কলকাতার পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতে যেখানে শিল্পবান্ধব পরিবেশ রয়েছে সেখানে শিল্প তৈরি করা হবে। সুকান্তের (Sukanta Majumdar) কথায়, “লাখ লাখ কোটি কোটি বেকার যুবক-যুবতীদের কেউ সরকারি চাকরি দিতে পারবে না। চাকরি হবে শিল্পের মাধ্যমে আর সেটা আমরা করব।” পাশাপাশি তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গরমে মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে। বলছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ চাই। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজ্যে এসে বলে গিয়েছেন ১৪ তারিখে আর প্রতিক্রিয়া দিচ্ছেন ১৭ তারিখে। তার থেকেই বোঝা যায় ওনার মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে।” তৃণমূল জাতীয় দলের তকমা হারানোর পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অমিত শাহকেই তিনবার ফোন করেছিলেন বলে দাবি করেন সুকান্ত। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share