Tag: Sukanta Majumdar

Sukanta Majumdar

  • Howrah Violence: বিজেপিকে রুখতে অতিসক্রিয় পুলিশ! হাওড়া যাওয়ার আগেই ‘গৃহবন্দি’ সুকান্ত 

    Howrah Violence: বিজেপিকে রুখতে অতিসক্রিয় পুলিশ! হাওড়া যাওয়ার আগেই ‘গৃহবন্দি’ সুকান্ত 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্তি হল টানা দু’দিন। সড়ক অবরোধ, টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ, পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়াছুড়ি, বিজেপির পার্টি অফিস ভাঙচুর। তার পরেও ঢাল-তরোয়াল নিয়ে পুলিশ রইল দাঁড়িয়ে। এহেন ‘নিধিরাম সর্দার’ পুলিশই অতিসক্রিয় হয়ে উঠল শনিবার। ভাঙচুর হওয়া পার্টি অফিসের হাল দেখতে যখন পথে নামলেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar), বাহাদুরি কুড়নোর আশায় তখন তাঁর পথ আগলাল সেই পুলিশই। পুলিশের বিরুদ্ধে গৃহবন্দি করে রাখার অভিযোগ সুকান্তর।

    আরও পড়ুন :”ফের বাংলার মানুষকে বোকা বানালেন মুখ্যমন্ত্রী!” কী প্রসঙ্গে বললেন সুকান্ত?

    অগ্নিগর্ভ হাওড়া। বিক্ষোভকারীদের রোষের আগুনে পুড়েছে দোকান, পুলিশের কিয়স্ক। ভাঙচুর করা হয়েছে বিজেপির পার্টি অফিস। দু’দিন ধরে প্রতিবাদীদের তাণ্ডব চললেও, প্রশাসন কোনও পদক্ষেপ করেনি বলে অভিযোগ। হাওড়ার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে শনিবার সকালে বাড়ি থেকে রওনা দেওয়ার তোড়জোড় শুরু করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি যখন নিউটাউনের বাড়ি থেকে বের হচ্ছিলেন, তখনই তাঁকে আটকে দেয় পুলিশ। তড়িঘড়ি তাঁর বাড়ির সামনে বসিয়ে দেওয়া হয় গার্ড রেল। মোতায়েন করা হয় পুলিশ। পুলিশের এই অতিসক্রিয়তায় ক্ষোভ উগরে দেন সুকান্ত। বলেন, “পদাধিকারী হিসেবে হাওড়ায় ভাঙচুর হওয়া পার্টি অফিসে যাওয়া আমার কর্তব্য। কিন্তু কোনও কাগজপত্র ছাড়াই আমাকে আটকে দেওয়া হয়। তিনি বলেন, পুলিশ কোনও কারণ দেখাতে পারেনি। বলেছে, হাওড়ায় ১৪৪ ধারা জারি। কিন্তু হাওড়া আমার বাড়ি থেকে অনেক দূর। ১১টা নাগাদ যখন আমি বাড়ি থেকে বেরতে গিয়েছিলাম, তখনই আমাকে আটকে দেওয়া হয়। কেন আমাকে বাড়ির মধ্যে বন্দি করে রাখা হল, বুঝতে পারছি না।”

    [tw]


    [/tw]

    হাওড়ার ঘটনায় রাজ্য সরকারকে আক্রমণ শানান সুকান্ত। বলেন, “মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায় তিন দিন ধরে বসে আছেন। কোনও পদক্ষেপ করেনি। তিনি তাঁর প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন। তিনি কোনও পদক্ষেপ করলে আজ এই পরিস্থিতি তৈরি হত না। ঝাড়খণ্ডে প্রতিবাদ হয়েছে। কিন্তু পুলিশ ব্যবস্থা নিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের উচিত ছিল লাঠিচার্জ করা।

    সুকান্তকে আটকানো হলেও, এদিন পাঁচলা গিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। ভাঙচুর হওয়া পার্টি অফিস ঘুরে দেখেন তিনি। হাওড়ার (Howrah) অশান্তির জন্য মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনিও। দিলীপের অভিযোগ, হাওড়া থেকে মালদহ-মুর্শিদাবাদ পর্যন্ত বিভিন্ন জেলায় যে অশান্তি হচ্ছে, সরকার তা থামানোর চেষ্টা করছে না। এ রাজ্যের বিরাট এলাকার মানুষ অ-সুরক্ষিত। তাঁর অভিযোগ, সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে হিংসা চালানো হচ্ছে হাওড়ায়। তার পরেও পুলিশ তা আটকায়নি।

    সুকান্তের মতোই এদিন পাঁচলা যাওয়ার পথে আটকে দেওয়া হয়েছে বিজেপি নেত্রী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়ালের (Priyanka Tibrewal) গাড়ি। কিছুক্ষণ পরেই অবশ্য ছেড়ে দেওয়া হয়। ১৪৪ ধারা জারির কথা বলে পাঁচলায় তাঁকে ফের আটকায় পুলিশ। এলাকার একটি ক্লাবঘরে বসে পড়েন প্রিয়ঙ্কা। প্রসঙ্গত, এই প্রিয়ঙ্কাই ভবানীপুর উপনির্বাচনে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বাজি ছিলেন বিজেপির। এদিকে, রবিবার ভাঙচুর হওয়া পার্টি অফিস পরিদর্শনে যাবেন শুভেন্দু (Suvendu) অধিকারী। এদিন নিজেই ট্যুইট করে এ কথা জানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। 

    [tw]


    [/tw]

     

  • JP Nadda: “শীঘ্রই পশ্চিমবঙ্গেও গণতান্ত্রিক উপায়ে সরকার গঠন”, রাজ্যে এসে বার্তা নাড্ডার

    JP Nadda: “শীঘ্রই পশ্চিমবঙ্গেও গণতান্ত্রিক উপায়ে সরকার গঠন”, রাজ্যে এসে বার্তা নাড্ডার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “রাজনীতিতে কোনও কিছুই স্থির থাকে না, আজ যা আছে তা আগামীকাল থাকবে না, যা আগামীকাল হবে তা পরশু থাকবে না।” রাজ্যে এসে তৃণমূলকে এভাবেই কটাক্ষ করলেন জগৎ প্রকাশ নাড্ডা।

    আগামী বছর রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে, দলের মনোবল বাড়াতে মঙ্গলবার, ২ দিনের বঙ্গ সফরে এসেছেন বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি। একাধিক কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। দলের কর্মসমিতির বৈঠকে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি, বিভিন্ন জনসংযোগ কর্মকাণ্ডে তিনি এদিন যোগ দেন।

    এদিন বিহার-উত্তরপ্রদেশের তুলনা টেনে এনে বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি মনে করিয়ে দেন, কোনও রাজ্যে কোনও দলই চিরস্থায়ী থাকতে পারে না। তিনি বলেন, “২০ বছর আগেও কেউ ভাবেনি বিহার থেকে লালুপ্রসাদ যাদবের রাজত্ব শেষ হবে। কিন্তু বিজেপি সেখানেও পূর্ণ শক্তি নিয়ে এসেছে। উত্তরপ্রদেশে কেউ ভাবেনি যে মুলায়ম সিংয়ের শাসন শেষ হবে। আজ সেখানে বিজেপি সবাইকে সাফ করে দিয়েছে। সর্বত্র বিজেপি সরকার গঠিত হচ্ছে।” 

    আরও পড়ুন: বাংলার হারানো গৌরব ফেরাতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, রাজ্য সফরে এসে নাড্ডা

    নাড্ডা বলেন, “আমাদের সবসময় সিদ্ধান্ত নিতে হবে কোন শক্তিকে রাজনৈতিকভাবে অন্তর্ভুক্ত করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। সেই জন্য নিজেদের শক্তি সম্পর্কেও ধারণা থাকা উচিত।” নাড্ডার বিশ্বাস, আগামীদিনে পশ্চিমবঙ্গ সহ অন্যান্য রাজ্যগুলিতেও বিজেপি সরকার গঠনে সক্ষম হবে। তিনি বলেন, “আমরা অন্ধ্রপ্রদেশে, তেলেঙ্গানায় এবং খুব শীঘ্রই পশ্চিমবঙ্গেও গণতান্ত্রিক উপায়ে সরকার গঠন করব।”

    রাজ্যের বর্তমান শাসক দলকে আক্রমণ করে নাড্ডা বলেন, “বাংলা সম্পর্কে একসময় বলা হতো যে Which Bengal thinks today, India thinks tomorrow. বাংলাকে এক সময় অর্থনৈতিক রাজধানী বলা হলেও আজ এখানে শোচনীয় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।” 

    পরিসংখ্যান তুলে ধরে তিনি যোগ করেন, ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরো (NCRB)-এর মতে, আজ পশ্চিমবঙ্গে সবচেয়ে বেশি অপহরণের ঘটনা ঘটছে। পশ্চিমবঙ্গে সবচেয়ে বেশি নারী পাচার হচ্ছে। তাঁর প্রশ্ন, একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর রাজত্বে রাজ্যের এই হাল?”

    আরও পড়ুন: কাশী-মথুরা নিয়ে কী ভাবছে বিজেপি? স্পষ্ট করলেন নাড্ডা

    এই প্রেক্ষিতে নাড্ডা জানান, পশ্চিমবঙ্গের মানুষের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার কী কী করেছে, তার খতিয়ান তুলে ধরেন নাড্ডা। বলেন, “স্বচ্ছ ভারত মিশনের অধীনে, ৭৪ লক্ষ পশ্চিমবঙ্গে নির্মিত হয়েছে। পাশাপাশি, জনধন যোজনার অধীনে পশ্চিমবঙ্গে ২.৮২ কোটি অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার আওতায় পশ্চিমবঙ্গে ৩৪ লক্ষ বাড়ির নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে।”

  • JP Nadda: “দেশ বদলেছে, রাজ্যেও বদল আসবে”, বার্তা নাড্ডার

    JP Nadda: “দেশ বদলেছে, রাজ্যেও বদল আসবে”, বার্তা নাড্ডার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে বদল হয়েছে, এরাজ্যেও পরিবর্তন আসবে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কলামন্দিরে বিদ্বজ্জনদের সভায় এমনটাই জানালেন জেপি নাড্ডা (JP Nadda)। 

    বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিজেপি (BJP) সর্বভারতীয় সভাপতি রাজ্যের বর্তামান পরিস্থিতির সঙ্গে দেশে ২০১৪ সালের পূর্ববর্তী পরিস্থিতির তুলনা করেন। তিনি বলেন, “২০১৪’র আগে দেশের যেরকম পরিস্থিতি ছিল, আজ বাংলার পরিস্থিতিও একই রকম। লুঠপাট, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি সহ বিশ্বের দুর্নীতিগ্রস্থ দেশের তালিকায় দেশের নাম নেওয়া হতো। কিন্তু আজ দেশ বদলাচ্ছে না, বদলে গিয়েছে। সেজন্য বাংলা নিয়েও আমি হতাশ হই না। হয়তো একটু সময় লাগবে কিন্তু এখানেও পরিবর্তন আসবে।”

    পরিবারতন্ত্র নিয়ে তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে ফের একবার সুর চড়ান নাড্ডা। বলেন, “কাশ্মীর থেকে নীচ পর্যন্ত পরিবারতন্ত্র। এখানেও তো পিসি-ভাইপো। বাকিরা তো ল্যাম্পপোষ্ট। এখানে হাইকোর্টের (Calcutta Highcourt) নির্দেশে সিবিআই (CBI) তদন্ত চলে।” তিনি মনে করিয়ে দেন, যারা বাংলার গর্বকে ক্ষতি করতে চাইবে, তাদের মুখোশ খুলে দিতে হবে।”

    কলামন্দিরে অনুষ্ঠান থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Modi) কাজের খতিয়ানও তুলে ধরেন তিনি। বলেন, “মোদিজির শাসনের ৮ বছর পর আমরা বলতে পারি মোদি থাকলে সব সম্ভব। আজ আমাদের নীতি সংস্কার, সুশাসন, গতি, দক্ষতা। এখন পর্যন্ত, বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের ২২ লক্ষ কোটি টাকা ডিজিটালভাবে সুবিধাভোগীদের অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করা হয়েছে।” 

    নাড্ডা আরও বলেন, “আজ একটি বোতাম টিপেই ২৩ হাজার কোটি টাকা সরাসরি ১০ কোটি কৃষকের অ্যাকাউন্টে পৌঁছেছে। আজ মোদি সরকারের অধীনে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার (PMAY) আওতায় ২.৫ কোটি বাড়ি তৈরি করা হয়েছে। আজ ১২ কোটি মানুষ প্রধানমন্ত্রী জীবন জ্যোতি বিমা যোজনার (PMJJBY) সুবিধা পাচ্ছেন, যার মধ্যে ৭৬ লক্ষ সুবিধাভোগী বাংলার মানুষ। ২৮ কোটি মানুষ প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বিমা যোজনার (PMSBY) সুবিধা পাচ্ছেন, যা নিজেই একটি রেকর্ড।”

    এর আগে নিউটাউনের হোটেলে বিজেপির বিধায়ক-সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক করেন সর্বভারতীয় সভাপতি। সেখানে তিনি জানান, করোনা না এলে এবারই পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি (BJP Bengal) ক্ষমতায় চলে আসত। বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি মনে করিয়ে দেন, চতুর্থ দফার ভোটের পর ঠিকমত প্রচারই করতে পারা যায়নি। করোনার জন্য প্রায় প্রচার ছাড়াই বিজেপিকে ভোটে লড়তে হয়েছে। না হলে যে গতিতে বিজেপি এগোচ্ছিল, তাতে এবারই নিশ্চিত ছিল।

    আরও পড়ুন: “শীঘ্রই পশ্চিমবঙ্গেও গণতান্ত্রিক উপায়ে সরকার গঠন”, রাজ্যে এসে বার্তা নাড্ডার

  • Sukanta Majumdar Arrest: হাওড়া যাওয়ার পথে গ্রেফতার সুকান্ত, রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ বিজেপির

    Sukanta Majumdar Arrest: হাওড়া যাওয়ার পথে গ্রেফতার সুকান্ত, রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওড়া যাওয়ার আগে গ্রেফতার বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। দ্বিতীয় হুগলি ব্রিজের টোল প্লাজার কাছে গ্রেফতার সুকান্ত মজুমদার। 

    [tw]


    [/tw]

    গতকাল হাওড়ায় বিজেপির যে সমস্ত পার্টি অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে, সেগুলি আজ পরিদর্শনে যাওয়ার কথা ছিল বিজেপি রাজ্য সভাপতির  (BJP State President)। সকালে, নিউটাউনের বাড়িতে আটকে দেওয়া হয় বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে। জোর করে বেরনোর চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের বচসা, ধস্তাধস্তি শুরু হয়। কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গেও পুলিশের হাতাহাতি শুরু হয়। বাড়ির সামনে বসানো হয় গার্ড রেল। 

    আরও পড়ুন: “আপনার পাপের ফলে ভুগতে হচ্ছে জনগণকে”, মমতাকে নিশানা শুভেন্দুর

    সেই গার্ড রেল ভেঙে দেন বিজেপি কর্মীরা। পুলিশের সঙ্গে তুমুল তর্কাতর্কির পর বাড়ি থেকে বেরোন সুকান্ত মজুমদার। এসএসকেএমের কাছে আটকে দেওয়া হয় বিজেপিরাজ্য সভাপতির গাড়ি। গাড়ি আটকানোয় রাস্তায় হাঁটতে থাকেন সুকান্ত। পরে গাড়িতে করে হাওড়া যাওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। দ্বিতীয় হুগলি ব্রিজের টোল প্লাজার কাছে যখন আসেন, তখন গ্রেফতার করা হয় সুকান্ত মজুমদারক। এর পর লালবাজারে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়। 

    [tw]


    [/tw]

    এরপরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন সুকান্ত। হাওড়া সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে হওয়া হিংসায় মুখ্যমন্ত্রীর প্রচ্ছন্ন মদত রয়েছে বলেও অভিযোগ তোলেন তিনি। বিজেপি রাজ্য সভাপতির দাবি, মুখ্যমন্ত্রী পদে বসে হিংসার পরামর্শ মমতা দেওয়ার পরই হাওড়ার বিভিন্ন এলাকায় তাণ্ডব চালায় দুষ্কৃতীরা।

    আরও পড়ুন: অগ্নিগর্ভ হাওড়া, রাজ্যপালকে চিঠি শুভেন্দুর, কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি রাজ্য বিজেপির

    এদিকে, সুকান্ত মজুমদারকে গ্রেফতারির প্রতিবাদে লালবাজারের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে বিজেপি। অগ্নিমিত্রা পাল সহ দুই বিজেপি বিধায়কের নেতৃত্বে বিক্ষোভ প্রতিবাদ শুরু করে গেরুয়া শিবির। পুলিশের সঙ্গে বচসা হয় প্রতিবাদীদের। ধর্মতলায় ডিসি সেন্ট্রালের অফিসের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন চলে। ঘটনার প্রতিবাদে রায়গঞ্জে বিক্ষোভ, কোচবিহারেও রাস্তা অবরোধ করেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা।

  • TMC 21 July: একুশের সমাবেশ রাজনৈতিক না সরকারি অনুষ্ঠান? প্রশাসনিক ব্যস্ততা দেখে উঠছে প্রশ্ন

    TMC 21 July: একুশের সমাবেশ রাজনৈতিক না সরকারি অনুষ্ঠান? প্রশাসনিক ব্যস্ততা দেখে উঠছে প্রশ্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গোটা বিষয়টা পুরোটাই রাজনৈতিক। কিন্তু শাসক দলের রাজনৈতিক সভা ঘিরে প্রশাসনিক স্তরে যে ব্যস্ততা, যে সাজ সাজ রব লেগেছে, তা তাজ্জব করার মতো। 

    বৃহস্পতিবার ঘটা করে একুশের সমাবেশ করছে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। ইতিমধ্যেই, রাজ্যজুড়ে তার তোড়জোড়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে শাসক শিবির। তবে, রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে দল যে মাতামাতি করবে, যাবতীয় আয়োজন করবে তা বলা বাহুল্য। কিন্তু, একুশের সভা ঘিরে প্রশাসনিক ব্যস্ততা— শাসক দলের ক্ষমতার অপব্যবহারকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে।

    এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল কলকাতা পুলিশের ‘ASL Meeting’-কে ঘিরে। কী এই ASL বৈঠক? পুরো অর্থ, অ্যাডভান্সড সিকিউরিটি লিয়াজোঁ। কোনও ভিভিআইপি, সাধারণত প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতির সফরের আগে বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী আগে গিয়ে সফরস্থলের ময়না করে, নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখে এবং গোটা এলাকা নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা রয়েছে কি না তা নিশ্চিত করে।

    কিন্তু, রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে চলা দলীয় সুপ্রিমোর নিরাপত্তার জন্য সম্প্রতি হেয়ার স্ট্রিট থানায় বসেছিল এধরনের এএসএল বৈঠক। তৃণমূলের সাফাই, সাম্প্রতিককালে মমতার (Mamata) বাসভবনে ঢুকে পড়া অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি পাকড়াও হওয়ার পরই তাঁর নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু, প্রশ্ন হল, প্রকাশ্য জনসমাবেশের ক্ষেত্রে এধরনের বৈঠকের তাৎপর্য কী?

    আরও পড়ুন: হাসপাতালগুলিতে মজুত রাখতে হবে রক্ত! ২১ জুলাইয়ের আগে সরকারি নির্দেশ ঘিরে বিতর্ক

    শুধু যে মমতার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই রাজ্য প্রশাসনের কর্তাদের রাতের ঘুম উড়েছে তা নয়। এখন শাসক দলের কর্মসূচিকে সফল করতে কোনও কসুর রাখছেন না কর্তাব্যক্তিরা। তার প্রমাণ মিলল রাজ্যের পূর্ত দফতরকে লেখা পুরসচিবের চিঠি। সেখানে অনুষ্ঠান ও সংলগ্ন এলাকায় আলো বসানোর জন্য বলা হয়েছে। শুধু তাই নয়, কী কী করতে হবে, তার একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকাও দেওয়া হয়েছে। 

    আবার, শহরের যে এলাকায় অন্যান্য রাজনৈতিক দলকে সভা করার অনুমতি দেয় না পুলিশ, সেখানেই তৃণমূলের সমাবেশের কথা মাথায় রেখে কলকাতা পুলিশের তরফে পুরসভার কাছে পাঠানো হয়েছে একগুচ্ছ প্রস্তাব ও আবেদন। তাতে বলা হয়েছে— 

    কোন কোন জায়গায় পানীয় জলের বন্দোবস্ত রাখতে হবে। 

    কোন কোন জায়গায় গাছ কাটতে হবে।

    কোন কোন জায়গায় ডাস্টবিন রাখতে হবে।

    কোথায় ড্রেন পরিষ্কার করতে হবে।

    কোথায় খোলা তার রয়েছে, যাতে যথাযথ ব্যবস্থাগ্রহণ করতে হবে।

    চিঠিতে বলা হয়েছে, ধর্মতলার সিইএসসি দফতর ও কেসি দাসের মধ্যবর্তী স্থলে রাস্তার মাঝে থাকা সব রেলিং তুলে দিতে হবে। মঞ্চে ড্রাই স্যানিটাইজেশন করতে হবে।

    আরও পড়ুন: মমতা আদিবাসী বিরোধী? পোস্টার সাঁটিয়ে প্রমাণ বঙ্গ বিজেপি-র 

    মঞ্চমুখী একাধিক রাস্তা স্যানিটাইজ করতে হবে। পাশাপাশি, সমর্থকরা যেখানে থাকবেন, তার প্রত্যেকটিতে যথাযথ আলোর ব্যবস্থা করতে হবে। 

    পাশাপাশি, শাসক দলের রাজনৈতিক অনুষ্ঠানের জন্য পুলিশের তরফে যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্তও একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। সেই অনুযায়ী, ২১ তারিখ শহরের একাধিক ব্যস্ত রাজপথ কার্যত বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। আমহার্স্ট স্ট্রিট থেকে শুরু করে বিধান সরণী, কলেজ স্ট্রিট, ব্রেবোর্ন রোড, স্ট্র্যান্ড রোড, বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিট, বেন্টিং স্ট্রিট, রবীন্দ্র সরণী প্রভৃতিতে ভোর চারটে থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত যান চলাচলে নিয়ন্ত্রণ জারি করা হয়েছে। আবার পুর ইঞ্জিনিয়ার ও আধিকারিকরা যাতে সঠিকমতো নিজেদের দায়িত্ব পালন করেন, তার জন্য পুরসচিবের তরফে বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    বিরোধীদের বলছে, ক্ষমতায় থেকে সরকারি অর্থের অপচয় ও পরিকাঠামোর অপব্যবহারের উৎকৃষ্ট উদাহরণ এর চেয়ে আর কি-ই বা হতে পারে! একুশের সমাবেশ ঘিরে শাসক দলের এই ক্ষমতার অপব্যবহার নিয়ে মুখ খুলেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেছেন, “আমরাও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে এনে এর চেয়েও বড় সভা করি, করবও। সমস্ত আয়োজন দলীয়ভাবেই করা হয়। ২১ জুলাই নিয়ে যেভাবে পুলিশ, প্রশাসন এবং তৃণমূল এক হয়ে গিয়েছে তাতে সাধারণ মানুষের আর প্রশাসনের উপর কোনও আস্থ থাকবে না। শাসক দল এবং প্রশাসনের মধ্যে সমস্ত বিভাজন রেখা মুছে গিয়েছে। সরকারি অর্থে এবং প্রয়াসে তৃণমূলের সভা সফল করতে নেমেছে পুলিশ। এই কারণেই পশ্চিমবঙ্গে পরিবর্তন দরকার।”

  • Suvendu Sukanta: হাওড়ায় যেতে কেন বাধা? সুকান্ত-শুভেন্দুকে মামলায় অনুমতি হাইকোর্টের

    Suvendu Sukanta: হাওড়ায় যেতে কেন বাধা? সুকান্ত-শুভেন্দুকে মামলায় অনুমতি হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওড়া (Howrah) ঢোকার চেষ্টা করলে বিজেপি রাজ্য সভাপতিকে (BJP State President) গ্রেফতার এবং রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে (Leader of Opposition) বাধা কেন দেওয়া হয়েছে, এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে মামলা করার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। 

    রাজ্যের পুলিশ, প্রশাসন ও সরকারের বিরুদ্ধে অতি সক্রিয়তার অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu) এবং বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)৷ বিষয়টি নিয়ে মামলার অনুমতি চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন দুই নেতা৷ কলকাতা হাইকোর্ট তাঁদের সেই আবেদন মেনে নিয়ে মামলা রুজু করার অনুমতি দিয়েছে৷

    পয়গম্বরকে (Prophet Row) নিয়ে বিজেপির নিলম্বিত জাতীয় মুখপাত্র নূপুর শর্মার আপত্তিকর মন্তব্যের জেরে গত কয়েকদিন ধরে উত্তপ্ত হাওড়ার বিস্তীর্ণ এলাকা (Howrah Violence)৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শুক্রবার থেকে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ ছিল হাওড়ায়। সোমবার তা পুনরায় চালু করা হয়। উলুবেড়িয়া সহ বেশ কিছু এলাকায় জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা। 

    আরও পড়ুন: “দিদিমনি অবসর নিলেও আচার্য হতে পারবেন না”, মমতাকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে শুক্রবার রাতে বিজেপি-র কার্যালয় ভাঙচুর ও কর্মীদের উপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে৷ তারপরই হাওড়া যাওয়ার উদ্যোগ নেন শুভেন্দু ও সুকান্ত৷ কিন্তু, তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ৷ শনিবার সেই পার্টি অফিসে যেতে চেয়েছিলেন সুকান্ত। কিন্তু, তাঁদের আটকে দেওয়া হয়।

    নিউ টাউনের বাড়িতে বেরোতেই পুলিশ আটকায় সুকান্ত মজুমদারকে। কিন্তু পুলিশের বাধা উপেক্ষা করেই গাড়ি করে রওনা দেন হাওড়ার উদ্দেশে। কিন্তু মাঝ পথেই তাঁর গাড়ি আটকে দেয় পুলিশ। তখন পায়ে হেঁটে যাওয়ার চেষ্টা করায় তাঁকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয় লালবাজারে।

    অন্যদিকে, রবিবার একইভাবে কাঁথি থেকে হাওড়ায় যেতে চেয়েছিলেন শুভেন্দু। কিন্তু পুলিশ হাওড়ায় যেতে দেয়নি তাঁকেও। নন্দীগ্রামে দীর্ঘক্ষণ পুলিশের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হওয়ার পর শুভেন্দু হাওড়া না গিয়ে কলকাতায় এসে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দেন শুভেন্দু। একই সঙ্গে তাঁকে ‘বেআইনি ভাবে’ হাওড়া যাওয়ায় বাধা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে রাজ্যের মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ ত্রিবেদীকেও চিঠি দেন শুভেন্দু। 

    আরও পড়ুন: বেথুয়াডহরি স্টেশনে ভাঙচুর বিক্ষোভকারীদের, প্রতিবাদে ৭২-ঘণ্টা ব্যবসা বন‍্‍ধ

    শুভেন্দু আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, হাওড়ায় ঢুকতে তাঁকে বাধা দেওয়া হলে, তিনি আদালতের দ্বারস্থ হবেন। এই দুই ঘটনায় পুলিশের অতি সক্রিয়তার অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করার অনুমতি চান সুকান্ত-শুভেন্দু। সোমবার, তাঁদের সেই আবেদন মঞ্জুর করে উচ্চ আদালত।

  • Howrah Hooch Tragedy: বর্ধমানের পর এবার হাওড়া, ফের বিষমদের বলি ৭, চোলাইয়ের ঠেকে ভাঙচুর

    Howrah Hooch Tragedy: বর্ধমানের পর এবার হাওড়া, ফের বিষমদের বলি ৭, চোলাইয়ের ঠেকে ভাঙচুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ফের বিষমদের (spurious liquor) বলি। হাওড়ার (Howrah) ঘুসুড়ির (Ghusuri) মালিপাঁচঘড়ায় বিষমদ খেয়ে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ। মৃতদের পরিবারের দাবি, বিষমদের বলি হয়েছেন এই সকলে। স্থানীয় সূত্রে খবর, এলাকার একটি চোলাই ঠেকের (Hooch) বিষমদ খেয়ে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও অনেকে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। মৃত্যুর কারণ জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ (Howrah Police)।

    হাওড়ার ঘুসুড়ির মালিপাঁচঘড়া থানার ধর্মতলা এলাকায় রয়েছে অবৈধ চোলাইয়ের ঠেক। জানা গিয়েছে, ঠেকটি চালায় প্রতাপ কর্মকার নামে একজন। এই ঠেকেই নিত্য যাতায়াত করে মদ্যপায়ীরা। স্থানীয়দের অভিযোগ, মালিপাঁচঘড়া থানার পিছনেই রেললাইনের ধারে নিয়মিত বসে ওই চোলাইয়ের ঠেক। সেই ঠেকেই মদ্যপান করে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন অনেকে। মৃত্যু হয়েছে ৭ জনের। পুলিশকে না জানিয়েই দেহ দাহ করে দেওয়া হয়েছে বলেও একটি সূত্রের খবর।  

    আরও পড়ুন : কয়লা-কাণ্ডে সিবিআইয়ের চার্জশিটে ৪১ জনের নাম! জানুন কে কে সেই তালিকায়

    ঘটনার পরে পরেই জনরোষের হাত থেকে বাঁচতে গা ঢাকা দিয়েছে ঠেকের মালিক। পরে যদিও গ্রেফতার করা হয় তাকে। মৃ্ত্যুর খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে পুরো বিষয়টি জানার চেষ্টা করছেন পুলিশের পদস্থ কর্তারা। ঘটনার জেরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। উত্তেজিত জনতা ভাঙচুর করে চোলাইয়ের ঠেকটি। স্থানীয়দের অভিযোগ, এই ঠেকে নিত্য তৈরি হয় চোলাই। প্রকাশ্যেই বিক্রিও হয়। প্রতিবাদ করলেই হুমকি দেওয়া হত বলে অভিযোগ। স্থানীয়দের অভিযোগ, পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার জেরেই ঠেকমালিকের এই রমরমা কারবার। 

    আরও পড়ুন : উন্নয়নে ৮০% বরাদ্দ ছাঁটাই, রোজের খরচে কোপ ৫০%, নবান্নের হেঁসেল আর চলছে না

    দিন কয়েক আগে বর্ধমানে বিষমদকাণ্ডে আট জনের মৃত্যু হয়েছে। বর্ধামানের দুটি হোটেলে মদ্যপান ও খাবার খাওয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়েন অনেকে। তাঁদের মধ্যে আটজনের মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ। বেসরকারি মতে মৃতের সংখ্যা আরও বেশি। ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, বাংলায় মদ-লটারিতে শেষ হয়ে যাচ্ছে মানুষ। তিনি বলেন, সরকারের সব থেকে বেশি আয় এই মদ থেকে। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মহিলাদের হাতে যে টাকা দিচ্ছেন, তা চলে যাচ্ছে পরিবারের পুরুষদের হাতে। সেই টাকায় তারা মদ খাচ্ছে। তাই এভাবে মানুষ শেষ হয়ে যাচ্ছে।

    বেশ কয়েক বছর আগে দক্ষিণ ২৪ পরগনায়ও বিষমদের বলি হয়েছিল বেশ কয়েকজন। মৃতদের পরিবারকে দু লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল তৃণমূল সরকার। দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। তার পরেও ইতি পড়েনি বিষমদে বলিতে। বর্ধমানের পর যার সাম্প্রতিকতম উদাহরণ হাওড়ার ঘুসুড়ি।

     

  • JP Nadda: দুদিনের সফরে রাজ্যে জেপি নাড্ডা, আজ কোথায় কী কী কর্মসূচি?

    JP Nadda: দুদিনের সফরে রাজ্যে জেপি নাড্ডা, আজ কোথায় কী কী কর্মসূচি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী দু’দিনের সফরে বঙ্গে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি (BJP National President) জেপি নাড্ডা (JP Nadda)। মঙ্গলবার রাতে কলকাতায় পৌঁছোন তিনি। বুধবার তাঁর একাধিক কর্মসূচি রয়েছে। 

    দলীয় সূত্রের খবর, প্রথমে চুঁচুড়ায় ঋষি অরবিন্দের (Sri Aurobindo) স্মৃতিবিজড়িত বন্দেমাতরম ভবনে যাবেন নাড্ডা (Nadda)। এরপর তিনি চন্দননগরে রাসবিহারী বসু রিসার্চ ইনস্টিটিউটে যাবেন। সেখান থেকে কলকাতায় ফিরে ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে (National Library) রাজ্য কর্মসমিতির বৈঠকে (state working committee) যোগ দেবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। 

    বৃহস্পতিবার সকালে তিনি যাবেন বেলুড় মঠে (Belur Math)। দুপুরে সায়েন্স সিটিতে (Science City) রাজ্যের সমস্ত মণ্ডল সভাপতিদের নিয়ে সম্মেলনে যোগ দেবেন নাড্ডা। এরপর বিকেলে কলামন্দিরে (Kala Mandir) কলকাতার বিশিষ্ট নাগরিকদের সঙ্গে কথা বলবেন তিনি। আগামীকাল সন্ধ্যায় বিমানে দিল্লি ফিরবেন নাড্ডা।

    মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দমদমে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (Netaji Subhas International airport) নাড্ডাকে স্বাগত জানান বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব (West Bengal BJP)। নাড্ডার বিমান কলকাতা বিমানবন্দরে অবতরণের অনেক আগে থেকেই বিমানবন্দর চত্বরে ভিড় জমান দলীয় কর্মী সমর্থকরা। দলীয় পতাকা ফুল ঢাক ঢোল নিয়ে তাঁরা স্বাগত জানাতে হাজির হন।

    রাত নটার কিছু পরে তাঁর বিশেষ বিমান অবতরণ করে কলকাতা বিমানবন্দরে। জেপি নাড্ডা বিমানবন্দর থেকে বাইরে বের হতেই উৎসবের চেহারা নেয় এলাকা। পুষ্পবৃষ্টি, স্লোগানে তখন গমগম করে বিমানবন্দর। সেখানেই তাঁকে অভ্যর্থনা জানান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ-সহ বঙ্গ বিজেপি (BJP Bengal) নেতৃত্বরা। 

    রাতেই নিউটাউনের বেসরকারি হোটেলে নাড্ডার সঙ্গে বৈঠক করেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh), সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar), শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari), অমিত মালব্য (Amit Malviya), লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Chatterjee), অগ্নিমিত্রা পাল (Agnimitra Paul) সহ বিজেপির (BJP) একাধিক নেতা-নেত্রী।

    আরও পড়ুন: কাশী-মথুরা নিয়ে কী ভাবছে বিজেপি? স্পষ্ট করলেন নাড্ডা

  • Howrah Violence: সুকান্তর পর শুভেন্দু! এবার হাওড়া যাওয়ার পথে বিরোধী দলনেতাকে আটকাল পুলিশ!

    Howrah Violence: সুকান্তর পর শুভেন্দু! এবার হাওড়া যাওয়ার পথে বিরোধী দলনেতাকে আটকাল পুলিশ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য সভাপতির পর এবার বিধানসভার বিরোধী দলনেতা। হাওড়া (Howrah) যাওয়ার পথে সুকান্ত মজুমদারকে (Sukanta Majumdar) আটক করে গ্রেফতার করার পর এবার শুভেন্দু (Suvendu) অধিকারীর পথ আটকাল মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ। 

    [tw]


    [/tw]

    গত তিনদিনের হিংসায় হাওড়ায় ভাঙা হয়েছে বিজেপির (BJP) দুটি কার্যালয়। মারধর করা হয়েছে বিজেপি কর্মীদের। আক্রান্ত বিজেপি কর্মী ও ভাঙা পার্টি অফিস দেখতেই হাওড়া যাওয়ার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পথেই তাঁকে আটকানো হয়। তমলুকের নিমতৌড়িতে রাধামণি মোড়ে শুভেন্দু অধিকারীকে আটকায় পুলিশ। বাধা দেওয়ায় পুলিশের সঙ্গে বচসা হয় রাজ্যের বিরোধী দলনেতার। 

    আরও পড়ুন: হাওড়া যাওয়ার পথে গ্রেফতার সুকান্ত, রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ বিজেপির

    বিরোধী দলনেতার হাওড়া যাওয়া আটকাতে গতকাল রাত থেকে অতিসক্রিয় হয়ে ওঠে রাজ্যের পুলিশ। মধ্যরাত থেকেই বিশাল বাহিনী মোতায়েন করা হয় শুভেন্দু অধিকারীর কাঁথির বাড়ির সামনে। রাতারাতি শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ি ঘিরে ফেলে রাজ্য পুলিশ। যাতে কেউ আস্তে যেতে না পারেন তার জন্য রাজ্যের বিরোধী দলনেতার বাড়ির সামনে বসানো হয় ব্যারিকেড। বাড়ির সামনে মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনীকে। এক কথায় শুভেন্দু অধিকারীর কাঁথির বাড়ির সামনে পুলিশের ছিল ‘সাজো সাজো রব’। এদিন সকাল হতেই দেখা যায় গোটা বাড়ি কার্যত ঘিরে ফেলেছে রাজ্য পুলিশ। মোতায়েন রাজ্য পুলিশের বিশেষ বাহিনী। 

    [tw]


    [/tw]

    ঠিক একইভাবে শনিবারও বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে আটকাতে ব্যবস্থা নিয়েছিল বিধাননগর পুলিশ। তবে, গতকালের মতো বিনা নোটিশে, মুখের কথায় আটকানো নয়। শুভেন্দু অধিকারীকে রীতিমতো নোটিশ পাঠায় কাঁথি থানা। আইসি অমলেন্দু বিশ্বাসের সই করা সেই নোটিশে বলা হয়, “বাইরে পরিস্থিতি ভালো নয়, তাই হাওড়ায় যেতে পারবেন না বিরোধী দলনেতা। নোটিশে আরও বলা হয়েছে, হাওড়ার বিস্তীর্ণ এলাকায় ইতোমধ্যেই ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী যেন ১৪৪ ধারা ভাঙার চেষ্টা না করেন।

    শুভেন্দুর হাওড়া যাওয়া আটকানো নিয়ে রাজ্য সরকারকে নিশানা করেন অমিত মালব্য (Amit Malviya)। ট্যুইটারে তিনি লেখেন, ‘সুকান্ত মজুমদারকে আটকের পর শুভেন্দুকে আটকানোর চেষ্টা। শুভেন্দু অধিকারী যাতে হাওড়ায় যেতে না পারেন, সেই ব্যবস্থা করছে। বিক্ষোভকারীদের নয়, বিজেপিকে আটকানোই বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর মূল লক্ষ্য। রাজ্য সরকারকে ট্যুইটে নিশানা বিজেপি নেতা অমিত মালব্যের। এদিকে, গতকাল তাঁকে গ্রেফতার করার প্রতিবাদে এদিন মেয়ো রোডে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে অবস্থান বিক্ষোভে বসেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

    [tw]


    [/tw]

    আরও পড়ুন: “আপনার পাপের ফলে ভুগতে হচ্ছে জনগণকে”, মমতাকে নিশানা শুভেন্দুর

    গত তিনদিন ধরে হাওড়ায় (Howrah violence) দুস্কৃতী তাণ্ডবে বেসামাল প্রশাসন। শুক্রবার ভাঙচুর চালানো হয় হাওড়া গ্রামীণ এলাকায়। ভাঙা হয় পাঁচলায় বিজেপির কার্যালয়। আগুন ধরিয়ে দেয় উন্মত্ত জনতা। শনিবার হামলা চলে হাওড়ার রঘুদেবপুর অঞ্চলে। এখানেও টার্গেট বিজেপির আরেক কার্যালয়। যথেচ্ছ তাণ্ডব চালায় উন্মত্ত উশৃঙ্খল বাহিনী। পুলিশের চোখের সামনে পুরো ঘটনা ঘটলেও বাধা দেওয়ার কোনও চেষ্টাই করেনি হাওড়া পুলিশ। গতকালই “কর্তব্যে গাফিলতির” কারণে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে হাওড়ার দুই পুলিশকর্তাকে।

    যদিও আজ সকালেই পুলিশকর্তাদের সরিয়ে দেওয়াকে কটাক্ষ করেছেন, বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলিপ ঘোষ। খড়গপুরে চা-চক্রের সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, পুলিশ কর্তাদের সরিয়ে দেওয়া ‘স্রেফ আইওয়াশ’। তিনি বলেন, “যারা অশান্তি করছে, মুখ্যমন্ত্রী তাদের আটকাতে পারছেন না বরং উসকে দিচ্ছে। তিন দিন ধরে বাস বন্ধ হচ্ছে, জাতীয় সড়কে অবরোধ হচ্ছে, ট্রেন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। দেশের সমস্ত প্রান্তে একদিনের মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা গেলেও এরাজ্যে করা যাচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, “পরিস্থিতি দেখে বোঝা যাচ্ছে হেরো মুখ্যমন্ত্রী রাজনৈতিক স্বার্থে দাঙ্গাকারীদের ব্যবহার করছে।” 

     

     

  • Hooch tragedy: দাম কম হলেও চোলাইয়ের ‘টেম্পারে’ ফেল ২৮ টাকার ‘বাংলা’, বিষমদে মৃত্যু সেই কারণে?

    Hooch tragedy: দাম কম হলেও চোলাইয়ের ‘টেম্পারে’ ফেল ২৮ টাকার ‘বাংলা’, বিষমদে মৃত্যু সেই কারণে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ বর্ধমানের পর ফের হাওড়া। চোলাই বা বিষমদ খেয়ে আবারও মৃত্যুর ঘটনা। এক মাসের মধ্যে অন্তত ১৪ জনের মারা যাওয়ার ঘটনায় ফের চর্চা শুরু হয়েছে। বছর খানেক আগে আবগারি দফতর ২৮ টাকার ‘বাংলা’ মদ চালু করেছিল। লক্ষ্য ছিল চোলাইয়ের দামে সরকারি মদ বিক্রি শুরু হলে দমানো যাবে বিষমদের কারবার। ২৮ টাকার বাংলায় মেশানো হয়েছিল মহুয়ার গন্ধও। বাজারও পেয়েছে সেই সস্তার সরকারি মদ। তারপরেও কেন এক মাসে বর্ধমান এবং হাওড়াতে বিষমদে লোকজন মারা যাচ্ছে। 

    আরও পড়ুন: বর্ধমানের পর এবার হাওড়া, ফের বিষমদের বলি ৭, চোলাইয়ের ঠেকে ভাঙচুর

    আবগারি কর্তারা জানাচ্ছেন, ২৮ টাকার সরকারি মদ কার্যত চোলাইয়ের থেকেও সস্তা। ২৮ টাকায় মহুয়ার গন্ধ মিশিয়ে ৩০০ মিলিলিটার বাংলা বাজারে ছাড়া হয়েছে। চোলাই যেখানে ৬০-৬৫ টাকায় ৬০০ এমএল পাওয়া যায়। ৩০০ মিলিলিটার চোলাইয়ের দাম ৩৫ টাকা। দাম বেশি হওয়া সত্ত্বেও কেন তা হলে লোকে চোলাই ছাড়তে চাইছে না। আবগারি দফতরের কর্তারা জানাচ্ছেন, সরকারের সঙ্গে দামে প্রতিযোগিতায় না পেরে চোলাইয়ে কারবারিরা নেশার ‘গুণে’ নেশাড়ুদের টেনে নিচ্ছে। সরকারি মদ ৭০ডিগ্রি আপে ভিত্তিতে তৈরি। অর্থাৎ স্পিরিটের শুদ্ধতা এমন করা হয়েছে যাতে কম দামে খুব বেশি নেশাও না হয়। সরকারের এই প্রবণতাকেই চোলাই কারবারিরা হাতিয়ার করেছে। ফলে তারা এখন চোলাইয়ের ‘’টেম্পার’ বাড়িয়ে দিয়েছে। এই টেম্পারের কারণেই বার বার মদে বিষক্রিয়া হচ্ছে। মানুষ মারা যাচ্ছে। আবগারি কর্তারা জানাচ্ছেন, চোলাইয়ের কারবারিরা সরকারি বাংলা মদের চেয়েও অতিরিক্ত নেশার মদ তৈরি করতে নানা রাসায়নিক মেশাচ্ছে। ফলে এক বোতল মদে ৫-১০ টাকা বেশি দিয়েও অনেকে ২৮ টাকার বাংলা পান করছেন না, টেম্পার থাকা চোলাই বেশি পছন্দ করছে। ফলে সরকারি মদ সস্তা হওয়ার পরেও চোলাই তার বাজার ধরে রেখেছে। কর্তারা জানাচ্ছেন, হাতুড়ে পদ্ধতিতে টেম্পার বাড়াতে গিয়েই মদে বিষক্রিয়া হয়ে যাচ্ছে। প্রাণ যাচ্ছে লোকের। 

    আরও পড়ুন: ২১ জুলাই ‘নো শাটডাউন’, মোবাইল বার্তায় নির্দেশ বিদ্যুৎ দফতরের

    আবগারি কর্তাদের একাংশের আরও দাবি, ২৮ টাকার বাংলা রাজ্যের সর্বত্র ব্যাপকভাবে ছাড়া হয়নি। তা হলে সাধারণ বাংলা মদ আর বিক্রি হবে না। সেই কারণে যে সব এলাকায় চোলাইয়ের কারবার ব্যাপকভাবে চলত সেখানেই ২৮ টাকার বাংলা বিক্রি করা হত। ফলও তাতে মিলেছে, চোলাইয়ের দাপট কমেছে। কিন্তু চোলাইওয়ালারা এলাকা ছেড়ে অন্যত্র ব্যাবসা ছড়িয়ে দিয়েছে। আবগারি দফতরের দাবি, বর্ধমান এবং হাওড়া দুটি স্থানেই ২৮ টাকার বাংলা বিক্রির অনুমোদন ছিল না। ফলে সেখানে হাই টেম্পারের চোলাই বা বিষমদই ছিল সুপারহিট। এখন উপায়? এক মাসে ১৪ জন মারা যাওয়ার পর এবার ২৮ টাকার বাংলা রাজ্যের সর্বত্র বিক্রির ব্যবস্থা করা হতে পারে। সস্তা দামের সঙ্গে নেশার গুণমানও(টেম্পার) কি বাড়ানো হবে? নিরুত্তর আবগারি কর্তারা। 

     

LinkedIn
Share