Tag: Supreme court

Supreme court

  • Ranveer Allahabadia: ‘ইউটিউবের কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণ করুক কেন্দ্র’, রণবীর মামলায় অভিমত সুপ্রিম কোর্টের

    Ranveer Allahabadia: ‘ইউটিউবের কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণ করুক কেন্দ্র’, রণবীর মামলায় অভিমত সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘মা-বাবার যৌনতা দেখবে সন্তান’! সম্প্রতি ইউটিউব শোয়ে এমন মন্তব্য করে ঘোর বিপাকে ইউটিউবার, কমেডিয়ান রণবীর এলাহাবাদিয়া (Ranveer Allahabadia)। তাঁর মন্তব্য ‘প্রচণ্ড নোংরা মানসিকতার প্রতিফলন’ এমনই অভিমত প্রকাশ করল সুপ্রিম কোর্ট। জনপ্রিয় ইউটিউবারের আবেদনের শুনানি চলাকালীন এই কথাই বলল শীর্ষ আদালত। বাকস্বাধীনতা থাকলেও সমাজবিরোধী মন্তব্য করার লাইসেন্স মেলে না, সাফ জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। একই সঙ্গে ইউটিউবে কত পর্নোগ্রাফি কন্টেন্ট রয়েছে সেই নিয়ে কেন্দ্রের কাছেও রিপোর্ট চাইল সুপ্রিম কোর্ট।

    আদালতের পর্যবেক্ষণ

    মঙ্গলবার রণবীরের আবেদনের শুনানি শুরু হয় বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং এন কোটিশ্বর সিংয়ের এজলাসে। প্রথম থেকেই শীর্ষ আদালতের তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয় রণবীরকে (Ranveer Allahabadia)। বিচারপতি কান্ত বলেন, “রণবীরের মানসিকতা, চিন্তাভাবনা অত্য়ন্ত নোংরা। সেটারই প্রকাশ ঘটেছে তাঁর কথায়। নিজের বাবা-মায়েরও বিপুল সম্মানহানি করেছেন তিনি। জনপ্রিয় হলেই যা খুশি বলা যায় সমাজের তোয়াক্কা না করে-এমনটা মোটেই ভাবা যায় না। যে ভাষায় কথা বলা হয়েছে, তাতে গোটা সমাজ লজ্জিত।” এমন ভাষা প্রয়োগ করা ব্যক্তির কথা আদালত শুনবে কেন, সেই প্রশ্নও তোলেন দুই বিচারপতি।

    ইউটিউবে কনটেন্টে নজরদারি

    রণবীর (Ranveer Allahbadia) নিয়ে শুনানির সময় কেন্দ্রের ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন দুই বিচারপতি। ইউটিউব-সহ অন্যান্য সোশাল মিডিয়ায় কত পর্নোগ্রাফি রয়েছে, সেই নিয়ে বিস্তারিত তথ্য চাওয়া হয়েছে কেন্দ্রের কাছেও। সোশাল মিডিয়ায় ‘ইন্ডিয়াজ গট ল্যাটেন্টে’র মতো কন্টেন্ট নিয়ন্ত্রণ করতে কেন্দ্র কোনও পদক্ষেপ করছে কিনা, সেই প্রশ্নও রেখেছে শীর্ষ আদালত। এদিন অন্য একটি মামলার কারণে আদালতে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেকনারেল ঐশ্বর্যা ভাটি। তাঁকে জানানো হয়, রণবীরের মামলার পরবর্তী শুনানির সময়ে যেন কেন্দ্রের জবাব আদালতে পেশ করা হয়। কেন্দ্র ইউটিউবে কনটেন্ট নিয়ন্ত্র করুক এমন কথাও বলে শীর্ষ আদালত।

    ণবীরকে রক্ষাকবচ

    ‘বাবা-মায়ের যৌনতা দেখবে?’ ইউটিউবার, পডকাস্টার রণবীরের এহেন মন্তব্যে তোলপাড় হয় দেশ। নিন্দার ঝড় উঠেছে সমাজমাধ্যমে। অসম থেকে মহারাষ্ট্র, দেশের একাধিক থানায় দায়ের হয়েছে এফআইআর। দেশজুড়ে দায়ের হওয়া যাবতীয় অভিযোগের বিচার যেন একসঙ্গে হয় এবং গ্রেফতারি এড়াতে যেন আগাম জামিন দেওয়া হয়- শীর্ষ আদালতের কাছে এই আবেদন জানিয়েছিলেন জনপ্রিয় ইউটিউবার। এদিন বিচারপতি সূর্য কান্ত ও বিচারপতি এন কোটিশ্বর সিংয়ের বেঞ্চ রণবীরের মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করলেও গ্রেফতারি নিয়ে তাঁকে রক্ষাকবজ দেয়। একইসঙ্গে তাঁকে আপাতত অন্য কোনও অনুষ্ঠানে যোগ না দেওয়ার কথা বলেছে। দন্তে সহযোগিতা করার নির্দেশ দিয়েছে। রণবীর এলাহাবাদিয়াকে তাঁর পাসপোর্ট থানে পুলিশের কাছে জমা রাখতে হবে। সুপ্রিম কোর্টের অনুমতি ছাড়া তিনি দেশ ছাড়তে পারবেন না।

  • Places of Worship Act: উপাসনাস্থল আইন মামলায় বৃহত্তর বেঞ্চ গঠনের কথা বলল সুপ্রিম কোর্ট

    Places of Worship Act: উপাসনাস্থল আইন মামলায় বৃহত্তর বেঞ্চ গঠনের কথা বলল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উপাসনাস্থল আইন মামলায় বৃহত্তর বেঞ্চ গঠনের কথা বলল শীর্ষ আদালত। ১৯৯১ সালের উপাসনাস্থল আইন বদলাতে চেয়ে একাধিক মামলা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। ২০২৪ সালে প্রধান বিচারপতি খন্নার নেতৃত্বে গঠিত তিন বিচারপতির বেঞ্চ গঠিত হয় মামলার শুনানির জন্য। বেঞ্চের অপর দু’জন হলেন বিচারপতি সঞ্জয় কুমার এবং বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথন। সোমবার প্রধান বিচারপতি খন্না এবং বিচারপতি কুমারের বেঞ্চ জানায়, এই মামলায় তিন বিচারপতির বেঞ্চের প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু এদিন দুই বিচারপতির বেঞ্চ রয়েছে। তাই এই মামলার শুনানি মার্চ মাসে হবে। একই সঙ্গে তিনি জানান এই বিষয়ে নতুন আবেদনের ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ থাকা প্রয়োজন।

    সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ

    এদিন শীর্ষ আদালত জানায়, এই মামলায় নতুন আবেদনের ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ থাকা প্রয়োজন। আইনি খবর পরিবেশনকারী ওয়েবসাইট ‘বার অ্যান্ড বেঞ্চ’ অনুসারে প্রধান বিচারপতি খন্না বলেন, “আমরা আজ উপাসনাস্থল আইন সংক্রান্ত মামলাটি শুনছি না। এটি তিন বিচারপতির বেঞ্চের মামলা। প্রচুর আবেদন জমা পড়েছে। এটি মার্চ মাসে কোনও সময়ে শুনানির জন্য রাখা হোক। মামলায় নতুন আবেদনের তো একটা সীমা থাকে!” উপাসনাস্থল আইন সংক্রান্ত মামলায় পক্ষে এবং বিপক্ষে— উভয় দিকেই প্রচুর আবেদন জমা পড়েছে। এই অবস্থায় কোনও আবেদনে নতুন কোনও বক্তব্য না-থাকলে, সেটি আর গ্রহণ করা হবে না।

    কী বলছে আইন

    ইতিমধ্যে জমা পড়া কোনও আবেদনে আদালত থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও নোটিস জারি করা না-হয়ে থাকলে সেগুলিও বাতিল বলে জানিয়েছে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। যদি ওই আবেদনকারীদের নতুন কোনও বক্তব্য থাকে, তবে পুনরায় আবেদন জানাতে বলা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট বর্তমানে স্থানীয় উপাসনা স্থান আইন ১৯৯১-এর কিছু ধারা, যেমন ধারা ২, ৩ এবং ৪-এর সাংবিধানিক বৈধতা চ্যালেঞ্জের প্রেক্ষিতে বিভিন্ন আবেদন নিয়ে কাজ করছে। এই ধারাগুলি দাবি করা হয়েছে যে এটি ধর্মনিরপেক্ষতা এবং আইনশৃঙ্খলার মৌলিক নীতির পরিপন্থী, যা ভারতের সংবিধানের প্রস্তাবনা এবং মৌলিক কাঠামোর একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। এর ফলে, মৌলিক অধিকার, যেমন সমতার অধিকার এবং ধর্ম পালনের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ হচ্ছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

  • Supreme Court: ‘বিনামূল্যে পেয়ে কাজের ইচ্ছা চলে যাচ্ছে’ খয়রাতির রাজনীতি নিয়ে কঠোর পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের

    Supreme Court: ‘বিনামূল্যে পেয়ে কাজের ইচ্ছা চলে যাচ্ছে’ খয়রাতির রাজনীতি নিয়ে কঠোর পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিনামূল্যে রেশন। পরিশ্রম না-করেই অ্যাকাউন্টে টাকা! খয়রাতির রাজনীতি, অর্থাৎ, নির্বাচনের আগে বিনামূল্যের উপহার ঘোষণা করার প্রথার তীব্র নিন্দা করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। আদালত বলেছে বিনামূল্যে রেশন এবং অর্থ পেয়ে মানুষ কাজ করার ইচ্ছা হারিয়ে ফেলছে। আর এই ভাবে তৈরি হচ্ছে একটা পরজীবী শ্রেণি। আদালতের বক্তব্য, এর ফলে মানুষ কাজ করতে চাইছেন না। বিনামূল্যে খাবার পেয়ে গেলে, বিনা শ্রমে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ভরে গেলে আর পরিশ্রম করার প্রয়োজন পড়ে না। এতে সমাজের ক্ষতি হচ্ছে।

    সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ

    শহরাঞ্চলে দারিদ্র দূর করার লক্ষ্যে উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই সংক্রান্ত একটি মামলা চলছে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিআর গাভাই এবং বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মাসিহ্‌র বেঞ্চে। শীর্ষ আদালতে কেন্দ্র জানায়, শহরাঞ্চলে দারিদ্র দূরীকরণ মিশন চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়া চলছে। যাঁরা শহরের রাস্তায় গৃহহীন, তাঁদের আশ্রয়ের বন্দোবস্ত করা হবে। এ ছাড়াও শহরবাসী দরিদ্র মানুষের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করবে কেন্দ্রীয় সরকার। এই প্রেক্ষিতেই বিচারপতি গাভাই বলেন, ‘‘শহরাঞ্চলের দরিদ্র মানুষের জন্য যে আপনারা ভাবছেন, সেটা খুবই ভাল কথা। কিন্তু তাঁদের যদি সমাজের মূলস্রোতের অঙ্গ করে তোলা যায়, তাঁদের যদি দেশের উন্নয়নের কাজে লাগানো যায়, সেটা কি আরও ভাল হবে না?’’

    কেন এই পর্যবেক্ষণ

    শহরাঞ্চলে দারিদ্র্য দূরীকরণ অভিযান কার্যকর করতে কত সময় লাগবে, তা কেন্দ্রের কাছ থেকে যাচাই করার জন্য অ্যাটর্নি জেনারেল আর ভেঙ্কটরমানিকে নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। ভেঙ্কটরমানি জানান, নগরাঞ্চলে দারিদ্র্য দূরিকরণ অভিযান চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে কেন্দ্র। এই অভিযান নগরাঞ্চলে গৃহহীনদের জন্য আশ্রয়ের ব্যবস্থা-সহ বিভিন্ন বিষয়ের মোকাবিলা করবে। ভোটের আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়ে থাকে। মানুষের সুবিধার্থে নানা নতুন প্রকল্পের ঘোষণা করা হয়। কোথাও বলা হয়, বিনামূল্যে রেশন পাবেন মানুষ। কোথাও আবার মাসে মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থসাহায্যের কথা ঘোষণা হয়। সরকারি এই প্রকল্পগুলির ফলে মানুষকে আর আগের মতো পরিশ্রম করতে হয় না। বিনা পরিশ্রমেই মেলে সুযোগসুবিধা। ভোট-রাজনীতির এই ‘খয়রাতি’ নিয়েই অসন্তোষ প্রকাশ করেছে শীর্ষ আদালত। ছ’সপ্তাহ পরে এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।

  • Supreme Court: ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলায় বড় কথা বলল সুপ্রিম কোর্ট

    Supreme Court: ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলায় বড় কথা বলল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত (SSC Recruitment Case) ২৬ হাজার চাকরি বাতিল সংক্রান্ত মামলায় আসল ওএমআর শিট না থাকার সমস্যার কথা তুলে ধরলেন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না। তিনি জানান, আসল তথ্য জানা প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাঁর প্রশ্ন, সে ক্ষেত্রে আদালত কী করতে পারে?

    সিবিআইয়ের বক্তব্য (Supreme Court)

    পশ্চিমবঙ্গে এসএসসি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে বলে মনে করছে সিবিআই। সোমবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির এজলাসে এ কথা জানান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থার আইনজীবী। ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলায় হাইকোর্টের রায়কেই সমর্থন করছে সিবিআই। তদন্তকারী এই সংস্থার আইনজীবী বলেন, “নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি হয়েছে। হাইকোর্টের রায় যথার্থ। ওই রায়ই বহাল রাখা হোক।”

    কী বললেন প্রধান বিচারপতি

    তদন্তকারী সংস্থার বক্তব্য শোনার পর প্রধান বিচারপতি জানান, সমস্যা হল আসল ওএমআর শিট নেই। সে ক্ষেত্রে কোন ওএমআর শিটকে আসল বলে ধরে নেওয়া হবে? তিনি বলেন, “এসএসসি না কি পঙ্কজ বনসলের সংস্থার কাছে তথ্য রয়েছে অনেক সন্দেহ রয়েছে! পঙ্কজ বনসলের সংস্থা থেকে পাওয়া তথ্য নিয়ে সন্দেহ আছে। আসল তথ্য জানা প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই অবস্থায় আমরা কী করতে পারি?” চারটি বিভাগে কত নিয়োগ হয়েছিল, সে বিষয়টিও সিবিআই এবং এসএসসি কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চান প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না (Supreme Court)।

    গত ২৭ জানুয়ারি এই মামলার শুনানি ছিল দেশের শীর্ষ আদালতে। সেদিন প্রধান বিচারপতি জানতে চেয়েছিলেন, নতুন করে পরীক্ষা নেওয়া যেতে পারে কি না। নতুন করে পরীক্ষা নেওয়া কতটা কঠিন, তাও জানতে চেয়েছিলেন তিনি। সেদিন মূল মামলাকারীদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য আদালতে জানিয়েছিলেন, অনেকে চাকরির আবেদন না করেও, নিয়োগপত্র পেয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। সে ক্ষেত্রে যাঁরা চাকরির আবেদন করেছিলেন, তাঁদের ফের নতুন করে পরীক্ষা নেওয়া যেতে পারে। ওই শুনানিতে তিনি পুরো প্যানেলই বাতিল করার জন্য সওয়াল (SSC Recruitment Case) করেন। তিনি বলেছিলেন, “পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়েই প্রশ্ন রয়েছে। তাই পুরো প্যানেলই বাতিল করা উচিত (Supreme Court)।”

  • RG Kar Rape and Murder Case: ‘ঘটনা বিরলতমই’! আরজি করে নির্যাতিতার বাড়িতে শুভেন্দু, আজ শুনানি সুপ্রিম কোর্টে

    RG Kar Rape and Murder Case: ‘ঘটনা বিরলতমই’! আরজি করে নির্যাতিতার বাড়িতে শুভেন্দু, আজ শুনানি সুপ্রিম কোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করে (RG Kar Rape and Murder Case) নির্যাতিতার পরিবারের পাশে থাকার বার্তা দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁদের লড়াই করার মানসিকতাকে কুর্নিশ জানালেন বিজেপি নেতা। একই সঙ্গে এই ঘটনাকে বিরলতম অ্যাখ্যা দিলেন তিনি। অন্যদিকে, আজ, বুধবার চিকিৎসক পড়ুয়ার খুন ও ধর্ষণের মামলা শুনবে দেশের শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। এই ঘটনায় দোষী সঞ্জয় রায়কে নিম্ন আদালত শাস্তি দেওয়ার পর এই প্রথম  সুপ্রিম কোর্টে মামলার শুনানি হচ্ছে। প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না, বিচারপতি সঞ্জয় কুমার এবং বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চে হবে এই মামলার শুনানি।

    ‘বড় লড়াই’-এর বার্তা শুভেন্দুর

    আরজি কর-কাণ্ডে (RG Kar Rape and Murder Case) শাস্তি ঘোষণার পরের দিন নির্যাতিতার বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করে ‘বড় লড়াই’-এর বার্তা দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি জানান, ঘটনার পর থেকে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে তাঁর কথাবার্তা হচ্ছে। নির্যাতিতার বাবা-মা তাঁর উপরে ভরসা রাখেন। প্রায় ৩০ মিনিট তাঁদের মধ্যে কথাবার্তা হয়েছে বলেও জানান শুভেন্দু। মঙ্গলবার নির্যাতিতার বাবা-মায়ের সঙ্গে কথাবার্তা বলে তাঁদের বাড়ি থেকে বেরিয়ে তিনি বলেন, ‘‘ওঁদের লড়াইয়ের মানসিকতাকে কুর্নিশ। ওঁদের একটি পিটিশনের শুনানি রয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। সামগ্রিক ভাবে ওঁরা বৃহত্তর আইনি লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিয়েছেন।’’ শুভেন্দুর সংযোজন, ‘‘আমি নিজেকে তাঁদের পরিবারের এক জন বলে মনে করি। আমি তাঁদের সঙ্গে রয়েছি। যে ভাবে ওঁরা সহযোগিতা চাইবেন, সে ভাবে আমার সাধ্যমতো ওঁদের সাহায্য করব।’’

    আরও পড়ুন: বয়স ৩৫-এর কোঠায় পৌঁছনোর আগেই দেখা দিচ্ছে ক্যান্সার! কীভাবে দ্বিগুণ হচ্ছে ঝুঁকি?

    প্রস্তুতি নিচ্ছে পরিবার

    সোমবার আরজি করের ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় (RG Kar Rape and Murder Case) ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে আমরণ কারাবাসের শাস্তি দেয় শিয়ালদা আদালত। বিচারক অনির্বাণ দাস তাঁর নির্দেশে জানান, বিরলের মধ্যে বিরলতম নয় এই ঘটনা। এ প্রসঙ্গে  শুভেন্দু বলেন, ‘‘আমার মতে ঘটনাটি (আরজি কর-কাণ্ড) বিরলতমই। জাজমেন্টে (বিচারে) অনেকগুলো বিন্দু আছে। অনেকগুলো ভাল কথা বলেছেন বিচারক। কলকাতা পুলিশ, হাসপাতাল থেকে সিবিআই নিয়ে বেশ কিছু ত্রুটির কথা বলেছেন। তবে বিচার ব্যবস্থাকে সম্মান জানিয়েই বলছি, সরকারি কর্মক্ষেত্রে এক জন মহিলা চিকিৎসককে যে ভাবে অত্যাচার করা হয়েছে, আমার ব্যক্তিগত মত, এটা বিরলতম ঘটনা। অনেক বড় লড়াই হবে। পরিবার তার প্রস্তুতি নিচ্ছে।’’ 

    সুপ্রিম দুয়ারে পরিবার

    আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Rape and Murder Case) দু’টি বিষয়ে মামলা চলছে। একটি হল, মহিলা চিকিৎসক-পড়ুয়াকে ধর্ষণ ও খুনের মামলা। অন্যটি, আর্থিক দুর্নীতির মামলা। দু’টি মামলা স্বতঃপ্রণোদিত ভাবেই শুনবে বলে জানিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। আরজি করের ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় গত শনিবার শিয়ালদা আদালত ধৃত সঞ্জয় রায়কে দোষী সাব্যস্ত করে। সোমবার তাঁর আজীবন জেলের শাস্তি হয়েছে। কিন্তু নির্যাতিতার পরিবারের দাবি, একা সঞ্জয় নন, অপরাধের জড়িত রয়েছেন আরও ব্যক্তি। শিয়ালদা আদালত রায় ঘোষণার আগেই চলতি মাসের গোড়ায় ‘আরও তদন্ত চেয়ে’ শীর্ষ আদালতে আবেদনের কথা জানিয়েছিলেন তাঁরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • RG Kar Rape and Murder Case: ‘ঘটনা বিরলতমই’! আরজি করে নির্যাতিতার বাড়িতে শুভেন্দু, আজ শুনানি সুপ্রিম কোর্টে

    RG Kar Rape and Murder Case: ‘ঘটনা বিরলতমই’! আরজি করে নির্যাতিতার বাড়িতে শুভেন্দু, আজ শুনানি সুপ্রিম কোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করে (RG Kar Rape and Murder Case) নির্যাতিতার পরিবারের পাশে থাকার বার্তা দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁদের লড়াই করার মানসিকতাকে কুর্নিশ জানালেন বিজেপি নেতা। একই সঙ্গে এই ঘটনাকে বিরলতম অ্যাখ্যা দিলেন তিনি। অন্যদিকে, আজ, বুধবার চিকিৎসক পড়ুয়ার খুন ও ধর্ষণের মামলা শুনবে দেশের শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। এই ঘটনায় দোষী সঞ্জয় রায়কে নিম্ন আদালত শাস্তি দেওয়ার পর এই প্রথম  সুপ্রিম কোর্টে মামলার শুনানি হচ্ছে। প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না, বিচারপতি সঞ্জয় কুমার এবং বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চে হবে এই মামলার শুনানি।

    ‘বড় লড়াই’-এর বার্তা শুভেন্দুর

    আরজি কর-কাণ্ডে (RG Kar Rape and Murder Case) শাস্তি ঘোষণার পরের দিন নির্যাতিতার বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করে ‘বড় লড়াই’-এর বার্তা দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি জানান, ঘটনার পর থেকে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে তাঁর কথাবার্তা হচ্ছে। নির্যাতিতার বাবা-মা তাঁর উপরে ভরসা রাখেন। প্রায় ৩০ মিনিট তাঁদের মধ্যে কথাবার্তা হয়েছে বলেও জানান শুভেন্দু। মঙ্গলবার নির্যাতিতার বাবা-মায়ের সঙ্গে কথাবার্তা বলে তাঁদের বাড়ি থেকে বেরিয়ে তিনি বলেন, ‘‘ওঁদের লড়াইয়ের মানসিকতাকে কুর্নিশ। ওঁদের একটি পিটিশনের শুনানি রয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। সামগ্রিক ভাবে ওঁরা বৃহত্তর আইনি লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিয়েছেন।’’ শুভেন্দুর সংযোজন, ‘‘আমি নিজেকে তাঁদের পরিবারের এক জন বলে মনে করি। আমি তাঁদের সঙ্গে রয়েছি। যে ভাবে ওঁরা সহযোগিতা চাইবেন, সে ভাবে আমার সাধ্যমতো ওঁদের সাহায্য করব।’’

    আরও পড়ুন: বয়স ৩৫-এর কোঠায় পৌঁছনোর আগেই দেখা দিচ্ছে ক্যান্সার! কীভাবে দ্বিগুণ হচ্ছে ঝুঁকি?

    প্রস্তুতি নিচ্ছে পরিবার

    সোমবার আরজি করের ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় (RG Kar Rape and Murder Case) ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে আমরণ কারাবাসের শাস্তি দেয় শিয়ালদা আদালত। বিচারক অনির্বাণ দাস তাঁর নির্দেশে জানান, বিরলের মধ্যে বিরলতম নয় এই ঘটনা। এ প্রসঙ্গে  শুভেন্দু বলেন, ‘‘আমার মতে ঘটনাটি (আরজি কর-কাণ্ড) বিরলতমই। জাজমেন্টে (বিচারে) অনেকগুলো বিন্দু আছে। অনেকগুলো ভাল কথা বলেছেন বিচারক। কলকাতা পুলিশ, হাসপাতাল থেকে সিবিআই নিয়ে বেশ কিছু ত্রুটির কথা বলেছেন। তবে বিচার ব্যবস্থাকে সম্মান জানিয়েই বলছি, সরকারি কর্মক্ষেত্রে এক জন মহিলা চিকিৎসককে যে ভাবে অত্যাচার করা হয়েছে, আমার ব্যক্তিগত মত, এটা বিরলতম ঘটনা। অনেক বড় লড়াই হবে। পরিবার তার প্রস্তুতি নিচ্ছে।’’ 

    সুপ্রিম দুয়ারে পরিবার

    আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Rape and Murder Case) দু’টি বিষয়ে মামলা চলছে। একটি হল, মহিলা চিকিৎসক-পড়ুয়াকে ধর্ষণ ও খুনের মামলা। অন্যটি, আর্থিক দুর্নীতির মামলা। দু’টি মামলা স্বতঃপ্রণোদিত ভাবেই শুনবে বলে জানিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। আরজি করের ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় গত শনিবার শিয়ালদা আদালত ধৃত সঞ্জয় রায়কে দোষী সাব্যস্ত করে। সোমবার তাঁর আজীবন জেলের শাস্তি হয়েছে। কিন্তু নির্যাতিতার পরিবারের দাবি, একা সঞ্জয় নন, অপরাধের জড়িত রয়েছেন আরও ব্যক্তি। শিয়ালদা আদালত রায় ঘোষণার আগেই চলতি মাসের গোড়ায় ‘আরও তদন্ত চেয়ে’ শীর্ষ আদালতে আবেদনের কথা জানিয়েছিলেন তাঁরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • RG Kar Rape and Murder Case: ‘ঘটনা বিরলতমই’! আরজি করে নির্যাতিতার বাড়িতে শুভেন্দু, আজ শুনানি সুপ্রিম কোর্টে

    RG Kar Rape and Murder Case: ‘ঘটনা বিরলতমই’! আরজি করে নির্যাতিতার বাড়িতে শুভেন্দু, আজ শুনানি সুপ্রিম কোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করে (RG Kar Rape and Murder Case) নির্যাতিতার পরিবারের পাশে থাকার বার্তা দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁদের লড়াই করার মানসিকতাকে কুর্নিশ জানালেন বিজেপি নেতা। একই সঙ্গে এই ঘটনাকে বিরলতম অ্যাখ্যা দিলেন তিনি। অন্যদিকে, আজ, বুধবার চিকিৎসক পড়ুয়ার খুন ও ধর্ষণের মামলা শুনবে দেশের শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। এই ঘটনায় দোষী সঞ্জয় রায়কে নিম্ন আদালত শাস্তি দেওয়ার পর এই প্রথম  সুপ্রিম কোর্টে মামলার শুনানি হচ্ছে। প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না, বিচারপতি সঞ্জয় কুমার এবং বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চে হবে এই মামলার শুনানি।

    ‘বড় লড়াই’-এর বার্তা শুভেন্দুর

    আরজি কর-কাণ্ডে (RG Kar Rape and Murder Case) শাস্তি ঘোষণার পরের দিন নির্যাতিতার বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করে ‘বড় লড়াই’-এর বার্তা দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি জানান, ঘটনার পর থেকে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে তাঁর কথাবার্তা হচ্ছে। নির্যাতিতার বাবা-মা তাঁর উপরে ভরসা রাখেন। প্রায় ৩০ মিনিট তাঁদের মধ্যে কথাবার্তা হয়েছে বলেও জানান শুভেন্দু। মঙ্গলবার নির্যাতিতার বাবা-মায়ের সঙ্গে কথাবার্তা বলে তাঁদের বাড়ি থেকে বেরিয়ে তিনি বলেন, ‘‘ওঁদের লড়াইয়ের মানসিকতাকে কুর্নিশ। ওঁদের একটি পিটিশনের শুনানি রয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। সামগ্রিক ভাবে ওঁরা বৃহত্তর আইনি লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিয়েছেন।’’ শুভেন্দুর সংযোজন, ‘‘আমি নিজেকে তাঁদের পরিবারের এক জন বলে মনে করি। আমি তাঁদের সঙ্গে রয়েছি। যে ভাবে ওঁরা সহযোগিতা চাইবেন, সে ভাবে আমার সাধ্যমতো ওঁদের সাহায্য করব।’’

    আরও পড়ুন: বয়স ৩৫-এর কোঠায় পৌঁছনোর আগেই দেখা দিচ্ছে ক্যান্সার! কীভাবে দ্বিগুণ হচ্ছে ঝুঁকি?

    প্রস্তুতি নিচ্ছে পরিবার

    সোমবার আরজি করের ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় (RG Kar Rape and Murder Case) ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে আমরণ কারাবাসের শাস্তি দেয় শিয়ালদা আদালত। বিচারক অনির্বাণ দাস তাঁর নির্দেশে জানান, বিরলের মধ্যে বিরলতম নয় এই ঘটনা। এ প্রসঙ্গে  শুভেন্দু বলেন, ‘‘আমার মতে ঘটনাটি (আরজি কর-কাণ্ড) বিরলতমই। জাজমেন্টে (বিচারে) অনেকগুলো বিন্দু আছে। অনেকগুলো ভাল কথা বলেছেন বিচারক। কলকাতা পুলিশ, হাসপাতাল থেকে সিবিআই নিয়ে বেশ কিছু ত্রুটির কথা বলেছেন। তবে বিচার ব্যবস্থাকে সম্মান জানিয়েই বলছি, সরকারি কর্মক্ষেত্রে এক জন মহিলা চিকিৎসককে যে ভাবে অত্যাচার করা হয়েছে, আমার ব্যক্তিগত মত, এটা বিরলতম ঘটনা। অনেক বড় লড়াই হবে। পরিবার তার প্রস্তুতি নিচ্ছে।’’ 

    সুপ্রিম দুয়ারে পরিবার

    আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Rape and Murder Case) দু’টি বিষয়ে মামলা চলছে। একটি হল, মহিলা চিকিৎসক-পড়ুয়াকে ধর্ষণ ও খুনের মামলা। অন্যটি, আর্থিক দুর্নীতির মামলা। দু’টি মামলা স্বতঃপ্রণোদিত ভাবেই শুনবে বলে জানিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। আরজি করের ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় গত শনিবার শিয়ালদা আদালত ধৃত সঞ্জয় রায়কে দোষী সাব্যস্ত করে। সোমবার তাঁর আজীবন জেলের শাস্তি হয়েছে। কিন্তু নির্যাতিতার পরিবারের দাবি, একা সঞ্জয় নন, অপরাধের জড়িত রয়েছেন আরও ব্যক্তি। শিয়ালদা আদালত রায় ঘোষণার আগেই চলতি মাসের গোড়ায় ‘আরও তদন্ত চেয়ে’ শীর্ষ আদালতে আবেদনের কথা জানিয়েছিলেন তাঁরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Godhra Carnage: গোধরা হত্যাকাণ্ড মামলার আপিলের শুনানি ১৩ ফেব্রুয়ারি, জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    Godhra Carnage: গোধরা হত্যাকাণ্ড মামলার আপিলের শুনানি ১৩ ফেব্রুয়ারি, জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০০২ সালের গোধরা হত্যাকাণ্ড (Godhra Carnage) মামলার সঙ্গে সম্পর্কিত আপিলগুলো নিয়ে শুনানির তারিখ ১৩ ফেব্রুয়ারি ধার্য করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। এই ঘটনার জেরে গুজরাটে ব্যাপক সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা ঘটেছিল। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি জেকে মহেশ্বরী এবং বিচারপতি অরবিন্দ কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, শুনানির সময় কোনও স্থগিতাদেশ অনুমোদন করা হবে না।

    জীবন্ত দগ্ধ ৫৯

    ২০০২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি গুজরাটের গোধরা রেলস্টেশনে সবরমতী এক্সপ্রেসের এস-৬ কোচে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় ৫৯ জন যাত্রীর। এঁদের অনেকেই ছিলেন করসেবক। ফিরছিলেন অযোধ্যা থেকে। এই নৃশংস ঘটনার জেরে গুজরাটজুড়ে শুরু হয়ে যায় সাম্প্রদায়িক হিংসা। ঘটনার ন’বছর পরে, ২০১১ সালে বিশেষ তদন্তকারী দলের রিপোর্টের ভিত্তিতে আদালত ৩১ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে। এর মধ্যে ১১ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয় ২০ জনকে। ২০১৭ সালের অক্টোবরে গুজরাট হাইকোর্ট ১১ জন দোষীর মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করে। বহাল রাখে বাকি ২০ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ।

    মৃত্যুদণ্ডই চায় গুজরাট সরকার

    যে ১১ জনের শাস্তি কমিয়ে দেওয়া হয়েছিল, তাদের মৃত্যুদণ্ড যাতে পুনর্বহাল হয়, তাই সুপ্রিম কোর্টে আপিল করে গুজরাট সরকার। ওই মামলায় গুজরাট সরকারের তরফে সুপ্রিম কোর্টে হাজির ছিলেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। শীর্ষ আদালতে তিনি বলেছিলেন (Godhra Carnage), “সবরমতী এক্সপ্রেসে শিশু, মহিলা-সহ ৫৯ জনকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছিল। এই ধরনের অপরাধ বিরলের মধ্যে বিরলতম। তাই আমরা চাই, গুজরাট হাইকোর্ট যাদের মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে, তাদের মৃত্যুদণ্ডই দেওয়া হোক। তাঁর দাবি, সবরমতী এক্সপ্রেসের যে কামরায় আগুন লাগানো হয়েছিল, সেটি বাইরে থেকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।

    আরও পড়ুন: যোগী-মডেলকেই অনুসরণ মমতার, ইউপি-স্টাইল এনকাউন্টারে খতম দুষ্কৃতী সাজ্জাক আলম

    প্রসঙ্গত, গুজরাটে গোধরা হত্যাকাণ্ডের পর ব্যাপক সাম্প্রদায়িক হিংসা শুরু হয়। সরকারি রেকর্ড অনুযায়ী, ওই ঘটনায় ১,০০০-এর বেশি মানুষ নিহত হয়েছিলেন। এই সময়ের অন্যতম কুখ্যাত ঘটনাটি ঘটেছিল ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০০২ সালে। ওই দিন আহমেদাবাদের গুলবার্গ হাউজিং সোসাইটিতেও ঘটেছিল গণহত্যার ঘটনা। সেখানে (Supreme Court) উন্মত্ত জনতার হাতে প্রাণ হারিয়েছিলেন ৬৯ জন (Godhra Carnage)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Same Sex Marriage: সমলিঙ্গ বিবাহ নিয়ে আগের রায়ে ‘কোনও ভুল নেই’, রিভিউ পিটিশন খারিজ সুপ্রিম কোর্টের

    Same Sex Marriage: সমলিঙ্গ বিবাহ নিয়ে আগের রায়ে ‘কোনও ভুল নেই’, রিভিউ পিটিশন খারিজ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমলিঙ্গ বিবাহ (Same Sex Marriage) নিয়ে রায় পুনর্বিবেচনার একগুচ্ছ আর্জি খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে ২০২৩ সালের অক্টোবরে সমলিঙ্গে বিবাহকে যে আইনি স্বীকৃতি দেয়নি শীর্ষ আদালত, তা নিয়ে একগুচ্ছ রিভিউ পিটিশন দাখিল করা হয়েছিল। যদিও সেগুলি খারিজ করে দিয়ে বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছে, শীর্ষ আদালত যে রায় দিয়েছিল, তাতে কোনও ত্রুটি মেলেনি। যে মতামত প্রকাশ করা হয়েছিল, তা আইন মেনেই ছিল। তাই কোনও হস্তক্ষেপের প্রয়োজন নেই। 

    শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ

    ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে সমলিঙ্গ বিবাহ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) রায় এবারও বহাল রেখে দেয় দেশের শীর্ষ আদালত। আগের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজ করে দিয়েছে বিচারপতি বিআর গভাই, বিচারপতি সূর্য কান্ত, বিচারপতি বিভি নাগরত্ন, বিচারপতি পিএস নরসিং এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চ। আদালত জানিয়েছে, এই সংক্রান্ত পূর্বের রায়ে কোনও ভুল নেই। যে পাঁচজন বিচারপতির বেঞ্চ রিভিউ পিটিশনের আর্জি খারিজ করে দিয়েছে, তাঁদের মধ্যে মাত্র একজনই পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চে ছিলেন, যে বেঞ্চ সমলিঙ্গে বিবাহকে আইনি স্বীকৃতি দেয়নি। মূল বেঞ্চের চার সদস্য (তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি সঞ্জয় কিষান কৌল, বিচারপতি রবীন্দ্র ভট্ট এবং বিচারপতি হিমা কোমলি) অবসরগ্রহণ করেছেন। ২০২৩ সালের ১৭ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ সমলিঙ্গ বিবাহ নিয়ে রায় দিয়েছিল। আদালত জানিয়েছিল, একমাত্র সংসদ বা বিধানসভাই সমলিঙ্গের বিয়েকে আইনি স্বীকৃতি দিতে পারে। আদালত আইন তৈরি করতে পারে না, ব্যাখ্যা করতে পারে মাত্র।

    সংসদের অধিকার

    সমলিঙ্গে বিবাহকে (Same Sex Marriage) আইনি স্বীকৃতি দেওয়ার আর্জি জানিয়ে যে একগুচ্ছ মামলা দায়ের করা হয়েছিল, সেটার প্রেক্ষিতে ২০২৩ সালে সেই পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ চারটি আলাদা রায় দিয়েছিল। শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল, ‘স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্ট’-র আওতায় সমলিঙ্গে বিয়েকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি সংসদের অধিকারের মধ্যে পড়ছে। আর যে সব রিভিউ পিটিশন দাখিল হয়েছিল, তাতে সওয়াল করা হয়েছিল যে সাংবিধানিক মূল্যবোধের সঙ্গে ২০২৩ সালের রায় ‘স্পষ্টতই অন্যায্য’ ছিল। মূল মামলার অন্যতম পিটিশনার সোনু সুদ প্রথম রিভিউ পিটিশন দাখিল করেছিলেন। ২০২৩ সালের নভেম্বরে দাখিল করেছিলেন সেই রিভিউ পিটিশন।

    কী বলেছিল শীর্ষ আদালত

    ২০২৩ সালের রায়ে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, সমলিঙ্গ যুগলকে (Same Sex Marriage) কোনও রকম ভাবে হেনস্থা করা যাবে না। এলজিবিটিকিউ সম্প্রদায়ের অধিকার সুরক্ষিত করার বিষয়টিতেও বিচারপতিরা সকলেই একমত হয়েছিলেন। এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ ছিল, সমকামিতা অথবা ছকভাঙা যৌন রুচি একেবারেই স্বাভাবিক বিষয়। সেই অনুসারে কোনও সম্পর্কের অধিকারের কোনও তারতম্য হতে পারে না। তবে সমলিঙ্গ বিয়েতে আইনি সম্মতি দেওয়ার বিষয়টি আইনসভার উপরে ছেড়েছিল দেশের শীর্ষ আদালত। সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা আদালতকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, দ্রুত একটি কমিটি তৈরি হবে সমলিঙ্গ বিবাহ সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের জন্য। এলজিবিটিকিউ সম্প্রদায়ের মানুষজন এই রায় পুনর্বিবেচনা করার আর্জি জানান আদালতে। 

    আরও পড়ুন: বাংলায় ছাত্রশূন্য স্কুলের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি! কেন্দ্রের রিপোর্টে রাজ্যে শিক্ষাব্যবস্থার বেহাল দশা

    কেন্দ্রের যুক্তিকে মান্যতা

    সমলিঙ্গ বিবাহ (Same Sex Marriage) নিয়ে নরেন্দ্র মোদি সরকারের পাশাপাশি, সাতটি রাজ্যের সরকার তাদের মতামত জানিয়েছিল। কেন্দ্রের পাশাপাশি, অসম, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং রাজস্থান সরকার সমলিঙ্গে বিয়ের আইনি বৈধতার দাবির বিরোধিতা করে। কেন্দ্রের তরফে সমলিঙ্গে বিয়ের আইনি স্বীকৃতির বিরোধিতা করে জানানো হয়, এটা নেহাতই ‘শহুরে অভিজাত সমাজের ভাবনা’। পাশাপাশি, এমন ‘স্পর্শকাতর বিষয়ে’ সিদ্ধান্ত গ্রহণের ভার সংসদের হাতে তুলে দেওয়ারও দাবি জানানো হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। মোদি সরকারের সেই যুক্তিই কিয়দাংশে মেনে নিয়েছিল শীর্ষ আদালত (Supreme Court)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: সুপ্রিম কোর্টে এসএসসি চাকরি বাতিল মামলার শুনানি পিছল, ওবিসি মামলার রায় মে মাসেই

    Supreme Court: সুপ্রিম কোর্টে এসএসসি চাকরি বাতিল মামলার শুনানি পিছল, ওবিসি মামলার রায় মে মাসেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) এসএসসি চাকরি বাতিল মামলার শুনানি মুলতুবি হয়ে গেল। পরবর্তী শুনানি হবে ১৫ জানুয়ারি দুপুর ২টোয়। অন্যদিকে, ওবিসি শংসাপত্র বাতিল মামলার শুনানিও পিছিয়ে গিয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। প্রসঙ্গত, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে কয়েক লক্ষ ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল করে দেওয়া হয়েছিল। সেই নির্দেশের নিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। এদিন সেই মামলার শুনানি ছিল। কিন্তু তাও পিছিয়ে দেওয়া হল।

    আদালতের কী পর্যবেক্ষণ? (Supreme Court)

    এদিন প্রধান বিচারপতির (Supreme Court) বেঞ্চে প্রথমেই ওঠে এসএসসি মামলা। তবে আরও কিছু তথ্য জমার প্রয়োজন রয়েছে বলে পর্যবেক্ষণ প্রধান বিচারপতির সঞ্জীব খান্নার। নির্দেশ দেন, আজই সিবিআইকে মামলার রিপোর্ট জমা দিতে হবে। সব পক্ষ হলফনামা জমা দেবে ১৫ তারিখের মধ্যে। এসএসসির ২৬ হাজার চাকরি বাতিল সংক্রান্ত মামলাটির শেষ শুনানিতে শীর্ষ আদালত মূলত যোগ্য এবং অযোগ্য চাকরিপ্রাপকদের বাছাই করার ওপরে জোর দিয়েছিল। প্রধান বিচারপতি জানিয়েছিলেন, কলকাতা হাইকোর্টের রায় বহাল রেখে ২০১৬ সালের পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়াই বাতিল করা হবে, নাকি যোগ্য এবং অযোগ্য চাকরিপ্রাপকদের আলাদা করা তা বিবেচনা করা হবে। তিনি মন্তব্য করেছিলেন, ‘যোগ্য-অযোগ্য বাছাই করা না গেলে পুরো প্যানেল বাতিল করতে হবে।’ ব্যক্তিগতভাবে প্রার্থীদের সাক্ষাৎপর্ব ও তথ্য সংগ্রহের কাজও প্রায় শেষ করে এনেছেন সিবিআই আধিকারিকরা। ইতিমধ্যে নবম থেকে দ্বাদশের শিক্ষক ও গ্রুপ বি এবং গ্রুপ সি-তে কতজনকে নিয়োগ করা হয়েছে তার পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য আদালতে জমা দিয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। এখন কোন সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয় তার খানিকটা আভাস পাওয়া যাবে আগামী ১৫ জানুয়ারি।

    আরও পড়ুন: শীতের সকালে তিব্বতে জোরালো ভূমিকম্প! তীব্রতা ৭.১, কেঁপে উঠল কাঠমান্ডু থেকে কলকাতা

     ওবিসি শংসাপত্র বাতিল মামলার শুনানি কবে?

    পাশাপাশি, এদিন সুপ্রিম কোর্টে ওবিসি শংসাপত্র মামলারও শুনানি ছিল। কিন্তু, পিছিয়ে গেল সেই মামলার শুনানিও। কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে পশ্চিমবঙ্গ সরকার যে মামলা দায়ের করেছে, তার শুনানি আগামী ২৮-২৯ জানুয়ারি হবে বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। বিচারপতি বিআর গভাই এবং বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মসিহের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে যে, মামলায় বিস্তারিত শুনানির প্রয়োজন আছে। সেইসঙ্গে শীর্ষ আদালত আশ্বাস দিয়েছে যে আগামী মে’তে গ্রীষ্মকালীন ছুটি শুরু হওয়ার আগেই মামলা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আপাতত হাইকোর্টের রায়ই বহাল থাকল। সংবাদমাধ্যম লাইভ ল’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাজ্য সরকারের আইনজীবী কপিল সিব্বল আর্জি জানান যে, নয়া শিক্ষাবর্ষ শুরুর আগে যেন ওবিসি মামলার ফয়সালা করা হয়। তিনি আগেই শীর্ষ আদালতে সওয়াল করেছিলেন যে, হাইকোর্টের রায়ের কারণে সাধারণ মানুষ ওবিসি শংসাপত্র ব্যবহার করতে পারছেন না। আটকে রয়েছে নিয়োগ প্রক্রিয়া। আর সেটার প্রেক্ষিতেই মে’র মধ্যে সেই মামলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আশ্বাসবাণী দিয়েছে বিচারপতি গভাই এবং বিচারপতি মসিহের ডিভিশন বেঞ্চ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share