Tag: Supreme court

Supreme court

  • Supreme Court: এবার খোরপোশ দাবি করতে পারবেন ডিভোর্সি মুসলিম মহিলারাও, ‘সুপ্রিম’ নির্দেশ

    Supreme Court: এবার খোরপোশ দাবি করতে পারবেন ডিভোর্সি মুসলিম মহিলারাও, ‘সুপ্রিম’ নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধ-সকালে ঐতিহাসিক রায় সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court)। এবার থেকে বিবাহ বিচ্ছেদ হলে প্রাক্তন স্বামীর কাছ থেকে খোরপোশ দাবি করতে পারবেন মুসলিম মহিলারাও (Divorced Muslim Women)। এদিন এমনই রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। রায় দিয়েছে শীর্ষ আদালতের বিচারপতি বিভি নাগারত্ন এবং বিচারপতি অগাস্টাইন জর্জ মাসিহ-র ডিভিশন বেঞ্চ। সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের জেরে এতদিন যে সুযোগ-সুবিধা পেতেন হিন্দু বিবাহবিচ্ছিন্ন মহিলারা, এবার থেকে সেই একই সুযোগ পাবেন মুসলমান ডিভোর্সি মহিলারাও।

    ‘সুপ্রিম’ নির্দেশ (Supreme Court)

    সুপ্রিম কোর্টের এই বেঞ্চ জানায়, মুসলিম মহিলা (বিবাহ বিচ্ছেদ অধিকার সংরক্ষণ) আইন, ১৯৮৬ সেকুলার আইনের ঊর্ধ্বে হতে পারে না। ডিভিশন বেঞ্চ সাফ জানিয়ে দিয়েছে, সব বিবাহিত মহিলাই খোরপোশের দাবি করতে পারেন, তা তিনি যে ধর্মেরই হোন না কেন। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি নাগারত্ন বলেন, “কিছু স্বামী এটা বুঝতেই পারেন না যে তাঁর স্ত্রী, যিনি গৃহবধূ, তিনি মানসিক ও অন্যান্য দিক থেকে তাঁর ওপরে নির্ভরশীল। তাই সময় এসেছে, ভারতীয় পুরুষদের গৃহবধূদের ভূমিকা ও আত্মত্যাগকে স্বীকার করে নেওয়ার।”

    ‘অনুচ্ছেদ ১২৫ প্রত্যেক মহিলার ক্ষেত্রেই কার্যকর’

    বিবাহ বিচ্ছেদের পর প্রাক্তন স্ত্রীকে খোরপোশ দিতে অস্বীকার করেছিলেন এক মুসলিম ব্যক্তি। নিম্ন আদালতের খোরপোশের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে তিনি দ্বারস্থ হন সুপ্রিম কোর্টের। এদিন তাঁর সেই পিটিশন খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত। ডিভিশন বেঞ্চ সাফ জানিয়ে দেয়, ফৌজদারি আইনের ১২৫ নম্বর ধারায় বিবাহ বিচ্ছিন্ন মুসলিম মহিলারাও খোরপোশ দাবি করতে পারেন তাঁর প্রাক্তন স্বামীর কাছ থেকে।

    আর পড়ুন: দেশে নয়া কর্মসংস্থান হয়েছে ৪ কোটি ৭০ লাখ, বলছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক

    সুপ্রিম কোর্টের মন্তব্য, “অনুচ্ছেদ ১২৫ প্রত্যেক মহিলার ক্ষেত্রেই কার্যকর। কেবলমাত্র বিবাহিত হিন্দু মহিলাই নন, প্রত্যেক মহিলার ক্ষেত্রেই কার্যকর।” আদালত (Supreme Court) এ-ও জানিয়েছে, খোরপোশ কোনও দান-খয়রাত নয়। প্রত্যেক বিবাহিত মহিলার অধিকার। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, খোরপোশের আবেদন মুলতুবি থাকাকালীনও যদি বিবাহ বিচ্ছেদে সিলমোহর পড়ে যায়, তাহলে সেক্ষেত্রে ২০১৯ সালের আইন অনুযায়ী এগোতে (Divorced Muslim Women) পারবেন সংশ্লিষ্ট মহিলা। সেক্ষেত্রেও ১২৫ নম্বর ধারায় রয়েছে প্রতিকারের ব্যবস্থা (Supreme Court)।

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Vice Chancellor Recruitment: বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ, রফাসূত্র বের করল সর্বোচ্চ আদালত

    Vice Chancellor Recruitment: বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ, রফাসূত্র বের করল সর্বোচ্চ আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শীর্ষ আদালতের নির্দেশে এবার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ (Vice Chancellor Recruitment) সংক্রান্ত জট কাটতে চলেছে। রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য সরকার বনাম রাজ্যপালের যে সংঘাত বেশ কয়েক বছর ধরে চলে আসছে, তার ফলে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগে জট তৈরি হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সার্চ কমিটি গঠন করে সেই জট কাটানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সার্চ কমিটি গঠন করে কীভাবে উপাচার্য নিয়োগ সংক্রান্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে এবং কতদিনের মধ্যে সম্পন্ন হবে সেই সময়সীমাও বেঁধে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

    নিয়োগ প্রক্রিয়ার থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপাল (Vice Chancellor Recruitment)

    সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নির্দেশ আসার পর শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু একে গণতন্ত্রের জয় উল্লেখ করে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের ফলে রাজ্যপালের স্বেচ্ছাচারী এবং বেআইনি (Vice Chancellor Recruitment) পদক্ষেপের অবসান হয়েছে। এক বছর রাজ্যপাল যেভাবে উপাচার্য নিয়োগ করেছেন, সুপ্রিম কোর্ট বুঝিয়ে দিয়েছে সেটা ভুল।” শীর্ষ আদালতের নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ইউ ইউ ললিতের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি সার্চ কমিটি গঠন করতে হবে। সেই কমিটি উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করবে। কমিটি চাইলে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য আলাদা আলাদা কমিটি গঠন করতে পারবে, অথবা একটি কমিটি কাজ করতে পারবে। প্রয়োজনে কমিটির চেয়ারম্যান ললিত আরও চারজন বিশেষজ্ঞকে রাখতে পারবেন। এই কমিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য উপাচার্য পদের জন্য তিনজন করে নাম বাছাই করবে।

    আরও পড়ুন: ৬ ঘণ্টায় ৩০০ মিমি বৃষ্টি! বানভাসি মুম্বই, ময়দানে নামল এনডিআরএফ

    এরপর সেই নাম পাঠানো হবে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। মুখ্যমন্ত্রীর নাম বাছাই করার পর কমিটি সেই নাম পাঠাবে রাজ্যপাল বা আচার্যের কাছে। তারপর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে উপাচার্য হিসেবে রাজ্যপাল নিয়োগ করবেন।

    দুই সপ্তাহে শুরু হবে নিয়োগ প্রক্রিয়া (Supreme Court)

    অন্যদিকে সার্চ কমিটির বাছাই করা নাম মুখ্যমন্ত্রীর পছন্দ না হলে তিনি সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারবেন। আবার মুখ্যমন্ত্রীর বাছাই করা নাম রাজ্যপালের পছন্দ না হলে তিনিও শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হতে পারবেন। সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) নির্দেশ দিয়েছে, দুই সপ্তাহের মধ্যে এই (Vice Chancellor Recruitment) প্রক্রিয়া শুরু করে দিতে হবে। আর উপাচার্য নিয়োগের জন্য বিজ্ঞাপন দিতে হবে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের কথা ওই বিজ্ঞাপনে উল্লেখ করতে হবে। এর জন্য যা খরচ হবে তা রাজ্য সরকারকে বহন করতে হবে।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: দৃশ্যমাধ্যমে অমর্যাদা করা যাবে না বিশেষভাবে সক্ষমদের, ‘সুপ্রিম’ নির্দেশ

    Supreme Court: দৃশ্যমাধ্যমে অমর্যাদা করা যাবে না বিশেষভাবে সক্ষমদের, ‘সুপ্রিম’ নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শারীরিক প্রতিবন্ধী বা বিশেষভাবে সক্ষমদের (Differently Abled People) অমর্যাদা করা যাবে না কোনও দৃশ্যমাধ্যমে। সোমবার এই মর্মে নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। বিশেষভাবে সক্ষমদের বর্ণনা দিতে গিয়ে ‘পঙ্গু’, ‘বিকলাঙ্গ’ কিংবা ‘জড়বুদ্ধি’-র মতো শব্দও প্রয়োগ করা যাবে না। শীর্ষ আদালতের যুক্তি, এই শব্দগুলির অবমাননাকর অর্থ রয়েছে সাধারণ সামাজিক ধ্যানধারণায়।

    “শব্দ প্রাতিষ্ঠানিক বৈষম্য গড়ে” (Supreme Court)

    এই নির্দেশ দেওয়ার পর সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় জাতীয় ফিল্ম সার্টিফিকেশন সংস্থাকে বলেছেন, এই ধরনের যে কোনও ছবি প্রদর্শনের আগে জাতীয় ফিল্ম সার্টিফিকেশন সংস্থার উচিত বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে মতামত নেওয়া। সোমবার রায় দিতে গিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, “শব্দ অনেক সময়ই প্রাতিষ্ঠানিক বৈষম্য গড়ে দেয়। বিশেষ করে পঙ্গু, বিকলাঙ্গের মতো কিছু শব্দকে আমাদের সমাজে অবমাননাকর বলে মনে করা হয়।”

    কী বললেন প্রধান বিচারপতি?

    একটি হিন্দি ছবিতে বিশেষভাবে সক্ষমদের চিত্রায়ণ নিয়ে আপত্তি তুলে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন নিপুণ মালহোত্র নামে এক ব্যক্তি। সেই মামলাটিই সোমবার ওঠে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে। মামলায় নির্দেশ দিতে গিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, “দৃশ্যমাধ্যমগুলির উচিত বিশেষভাবে সক্ষমদের জীবনের জন্য বৈচিত্রময় বাস্তবগুলিকে গুরুত্ব দিয়ে পর্দায় ফুটিয়ে তোলা। তাঁদের সমস্যা বা অসুবিধার কথা না বলে তাঁদের সাফল্য, মেধা এবং সমাজে অবদানের কথা দর্শকদের জানানো।” তিনি বলেন, “তাঁদের পৌরাণিক কাহিনির ওপর ভিত্তি করে আলোকপাত করা উচিত নয়। আবার সুপার পঙ্গু হিসেবেও উপস্থাপন করা উচিত নয়।”

    আর পড়ুন: সন্দেশখালিকাণ্ডে সুপ্রিম কোর্টেও মুখ পুড়ল রাজ্যের, কী বলল শীর্ষ আদালত?

    প্রসঙ্গত, বিশেষভাবে সক্ষমদের সমাজে প্রতিষ্ঠিত করতে গত বছরই পদক্ষেপ করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি। সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে খোলা হয়েছে ক্যাফে। এই ক্যাফেটি চালান বিশেষভাবে সক্ষমরা। ক্যাফেটির উদ্বোধন করেছিলেন চন্দ্রচূড় স্বয়ং। সুপ্রিম কোর্টের সামনের এই ক্যাফেটির নাম ‘মিট্টি ক্যাফে’। ক্যাফেটি চালাচ্ছেন দৃষ্টিহীন, সেরিব্রাল পালসিতে আক্রান্তরা। উদ্বোধনের পর সবাইকে ক্যাফেটিতে আসার অনুরোধ জানিয়েছিলেন শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি। উল্লেখ্য, দু’জন বিশেষভাবে সক্ষম (Differently Abled People) মেয়েকে দত্তক নিয়েছেন দেশের প্রধান বিচারপতি (Supreme Court)। বাবার কর্মস্থল দেখাতে তাঁদের একদিন নিয়েও এসেছিলেন সুপ্রিম কোর্টে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali Case: সন্দেশখালিকাণ্ডে সুপ্রিম কোর্টেও মুখ পুড়ল রাজ্যের, কী বলল শীর্ষ আদালত?

    Sandeshkhali Case: সন্দেশখালিকাণ্ডে সুপ্রিম কোর্টেও মুখ পুড়ল রাজ্যের, কী বলল শীর্ষ আদালত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিকাণ্ড মামলায় (Sandeshkhali Case) সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) মুখ পুড়ল রাজ্যের। শীর্ষ আদালতে খারিজ রাজ্যের সিবিআই তদন্তের বিরোধিতার আর্জি। রাজ্যকে সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্ন, “রাজ্য কি কাউকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে?”

    কী বলল সুপ্রিম কোট? (Sandeshkhali Case)

    সন্দেশখালিতে জমি দখল ও মহিলাদের যৌন হেনস্থার অভিযোগের ভিত্তিতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে আবেদন করে রাজ্য। সেখানেই খারিজ হয়ে যায় রাজ্যের আবেদন। সোমবার মামলাটির শুনানি হয় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিআর গাভাই এবং কেভি বিশ্বনাথনের ডিভিশন বেঞ্চে। তখনই বিচারপতি গাভাই প্রশ্ন ছুড়ে দেন, “এই বিষয়ে কেন আবেদন করেছে রাজ্য সরকার? তারা কাকে প্রোটেক্ট করতে চাইছে?” বেঞ্চের আরও প্রশ্ন, “সন্দেশখালিতে যেখানে নারী নির্যাতনের এত অভিযোগ উঠেছে, যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে, সেখানে কেন রাজ্য সরকার বাড়তি আগ্রহ দেখাচ্ছে?”

    কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে কেলেঙ্কারির বেরল কেউটে!

    রাজ্যে রেশন কেলেঙ্কারিকাণ্ডে কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে বেরিয়ে এসেছে কেউটে। গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলের দাপুটে নেতা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এই কেলেঙ্কারির শেকড় খুঁজতে জ্যোতিপ্রিয় ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে হানা দেয় ইডি। সেই সময় হামলা হয় ইডির আধিকারিকদের ওপর (Sandeshkhali Case)। পরে গ্রেফতার হয় শাহজাহান। তার পরেই একে একে বেরিয়ে আসতে থাকে কেলেঙ্কারির কেউটে।

    আর পড়ুন: বোসের গায়ে ‘কালির ছিটে’! দুই পুলিশ কর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের

    শাহজাহান ও তার দলবলের বিরুদ্ধে জমি দখল, নারী নির্যাতন-সহ একাধিক অভিযোগ তুলে পথে নামে সন্দেশখালির প্রমীলা বাহিনী। জমি দখল এবং নারী নির্যাতনের অভিযোগে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। দেওয়া হয়েছিল সিবিআই তদন্তের নির্দেশ। উচ্চতর আদালতের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই সুপ্রিম কোটের দুয়ারে হাজির হয় রাজ্য। সেখানেও জুটল রামধাক্কা।

    দেশের শীর্ষ আদালতে রাজ্য সরকারের মুখ পোড়ায় যারপরনাই খুশি বিজেপি। সাংসদ বিজেপির শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “রাজ্য সরকার কিছু অনৈতিক দাবি নিয়ে কিছু অপরাধীকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে। সেই জন্যই মানুষেরই দেওয়া ট্যাক্সের টাকা দিয়ে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হয় তারা। বারংবার পরাজিতও হয় (Sandeshkhali Case)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

     

  • NEET-UG 2024: সর্বত্র প্রশ্নফাঁসের প্রমাণ নেই, নিট-ইউজি বাতিলের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে জানাল কেন্দ্র

    NEET-UG 2024: সর্বত্র প্রশ্নফাঁসের প্রমাণ নেই, নিট-ইউজি বাতিলের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে জানাল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিট-ইউজি ২০২৪ পরীক্ষা (NEET-UG 2024) বাতিলের বিরোধিতা করল কেন্দ্রীয় সরকার। সম্প্রতি সর্বভারতীয় ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষা নিট-ইউজিতে প্রশ্নফাঁসকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়েছিল গোটা দেশ। উঠেছে পরীক্ষা বাতিলের দাবিও। এই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) একাধিক মামলা হয়। এবার সেই মামলাতেই কেন্দ্রের তরফে হলফনামা দিয়ে আদালতে জানানো হল, পরীক্ষা বাতিল করার কোনও যুক্তি নেই। কারণ সর্বত্র প্রশ্নফাঁস বা পরীক্ষার গোপনীয়তা ভঙ্গ হয়েছে, এমন কোনও প্রমাণ এখনও মেলেনি। তাই পুরো পরীক্ষা বাতিল হলে লক্ষ লক্ষ সৎ পরীক্ষার্থী বিপদে পড়বেন। 

    সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা জমা শিক্ষা মন্ত্রকের (NEET-UG 2024) 

    এবছর নিট-ইউজি পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর থেকেই বিতর্ক শুরু হয়। ওঠে পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগ। ফলে নিটে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় এ বছরের পরীক্ষা বাতিল ঘোষণা করার দাবি উঠেছে। কিন্তু পরীক্ষা বাতিলের দাবি উঠতেই এর বিরোধিতা করে কেন্দ্রীয় সরকার শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে এক হলফনামা পেশ করে দাবি করে, সিবিআই কথিত অনিয়মের পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত পরিচালনা করছে। পরীক্ষার পবিত্রতা নিশ্চিত করতে এবং শিক্ষার্থীদের স্বার্থ রক্ষার্থে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। একইসঙ্গে কেন্দ্র আরও জানিয়েছে, পুরো পরীক্ষা বাতিলের পক্ষে নয় সরকার। পরীক্ষা বাতিল হলে যাঁরা সৎ ভাবে পরীক্ষা দিয়েছিলেন তাঁদের বিপদের দিকে ঠেলে দেওয়া হবে। তাই ইতিমধ্যেই ঘোষিত ফলাফল বাতিল করা যুক্তিসঙ্গত হবে না। 

    আরও পড়ুন: সুপারিশ গেল ইউনেস্কোতে, আন্তর্জাতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি পাচ্ছে অসমের ‘পিরামিড’ অহম মায়দাম?

    কী জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রক? 

    হলফনামায় যেটুকু প্রামাণ্য তথ্য সামনে এসেছে তাতে বাস্তবিক উদ্বেগের কারণ আছে বলে মেনে নিয়েছে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক। সে ব্যাপারে পদক্ষেপের কথাও জানিয়েছে কেন্দ্র। তবে গোটা পরীক্ষা (NEET-UG 2024) বাতিল এবং পুনরায় পরীক্ষা নেওয়ার যে আবেদন এসেছে তা যেন বাতিল করা হয়, এদিন এমনটাই দাবি করেছে শিক্ষা মন্ত্রক। এর পাশাপাশি মন্ত্রক সর্বোচ্চ আদালতকে জানায় যে, দোষীদের বিরুদ্ধে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। প্রশ্নফাঁস বা পরীক্ষার গোপনীয়তা ভঙ্গ হয়ে থাকলে তাদের বিরুদ্ধে কড়া হাতে ব্যবস্থা নেবে সরকার। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকার সিবিআই কে কথিত সমস্ত অনিয়মের বিস্তৃত তদন্ত করতে বলেছে। নিট-ইউজি (NEET-UG 2024) প্রশ্নপত্র ফাঁস মামলায় ইতিমধ্যেই ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। আগামী ৮ জুলাই নিট পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগ সংক্রান্ত একগুচ্ছ মামলার শুনানি হবে শীর্ষ আদালতে (Supreme Court)।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: লোক আদালত বসিয়ে ১০ হাজার মামলার নিষ্পত্তির সিদ্ধান্ত সুপ্রিম কোর্টের

    Supreme Court: লোক আদালত বসিয়ে ১০ হাজার মামলার নিষ্পত্তির সিদ্ধান্ত সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিষ্ঠার ৭৫তম বর্ষে অভূতপূর্ব সিদ্ধান্ত নিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। শীর্ষ আদালতের সিদ্ধান্ত, ২৯ জুন থেকে ছ’দিনের বিশেষ লোক আদালতের আয়োজন করা হবে। এর মাধ্যমে নিখরচায় নিষ্পত্তি করা হবে ১০ হাজার মামলার। বিচারপতির সংখ্যা কম-সহ নানা সমস্যার কারণে মামলার পাহাড় জমে রয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। এই সব মামলার মধ্যে থেকে নিষ্পত্তি করা হবে ১০ হাজার মামলার।

    লোক আদালত (Supreme Court)

    লোক আদালত ভারতের বিচারব্যবস্থার বিরোধ নিষ্পত্তির এক বিকল্প পদ্ধতি (Supreme Court)। এই আদালতে দাম্পত্য কলহ, পারিবারিক বিবাদ, সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরোধ, পথ দুর্ঘটনা, বিমা সংক্রান্ত ক্ষতিপূরণের প্রশ্ন প্রভৃতি দেওয়ানি মামলার বিচার করা হয় কম খরচে। লোক আদালতে মামলার নিষ্পত্তিও হয় দ্রুত। স্বল্প সময় ও অল্প ব্যয়ে আমজনতার কাছে বিচারের সুবিধা পৌঁছে দিতেই তৈরি হয় লোক আদালতের। প্রতিষ্ঠার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে ছ’দিনের এই লোক আদালতের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্ট ১০ হাজার মামলার নিষ্পত্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

    কী বলছেন চন্দ্রচূড়? 

    সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, “বিশেষ লোক আদালতের ধারণা বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য সমাজের সমস্ত অংশকে আইনি সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে সামাজিক ন্যায়বিচার প্রদান করে।” তিনি বলেন, “বিশেষ লোক আদালত সম্প্রীতি ও বোঝাপড়ার চেতনার মাধ্যমে দ্রুত ও সস্তায় বিচার প্রদান করে। তাই বাদী ও বিবাদী উভয়পক্ষই সন্তুষ্ট হয়। এটি আদালতের কাজের চাপ কমিয়ে দেয়। ফলে আদালত গুরুতর বিষয়গুলিতে মনোনিবেশ করতে পারে। ন্যায়বিচার পেতে মামলাকারীদের যে দেরি হয়, সেই সময়সীমা কমিয়ে দেয়।”

    আর পড়ুন: অমরনাথ যাত্রা শুরু ২৯ জুন, জানুন যাত্রার খুঁটিনাটি

    জানা গিয়েছে, বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে প্রায় ৮৩ হাজার মামলা পেন্ডিং রয়েছে। এর মধ্যে ২৮ হাজার মামলার বয়স এক বছরেরও কম। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি, বিচারপতিরা এবং রেজিস্ট্রি গত তিন মাস ধরে প্রাণপাত করছেন ১০ হাজারেরও বেশি মামলা খুঁজে পেতে, যেগুলির সমাধান লোক আদালতে করা যায়। সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রি জানিয়েছে, দেশের সব হাইকোর্টকে বলা হয়েছে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের ব্যবস্থা করতে যাতে করে বাদী এবং বিবাদী পক্ষ সুপ্রিম কোর্টে না ছুটেই যোগ দিতে পারেন বিশেষ লোক আদালতে (Supreme Court)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Supreme Court: দিল্লির রিজ এলাকায় গাছ কাটা নিয়ে ডিডিএ-কে তিরস্কার সুপ্রিম কোর্টের

    Supreme Court: দিল্লির রিজ এলাকায় গাছ কাটা নিয়ে ডিডিএ-কে তিরস্কার সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃষ্টির দেখা নেই। ক্রমশ বাড়ছে রাজধানীর তাপমাত্রা। তাপপ্রবাহের জেরে মৃত্যু পর্যন্ত হচ্ছে দিল্লিতে (Delhi)। তার সঙ্গে রয়েছে তীব্র জল সঙ্কট। উষ্ণায়ন ঠেকাতে গাছ লাগানোর দাবি উঠছে নাগরিকদের বিভিন্ন অংশ থেকে। কিন্তু এরই মধ্যে দিল্লির রিজ ফরেস্ট এলাকায় কেটে ফেলা হয়েছে ১১০০ গাছ। এমন বিপুল সংখ্যায় বৃক্ষনিধনে এবার কড়া ব্যবস্থা নিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)।

    উপরাজ্যপালকে তিরস্কার সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court)

    সোমবার এ সংক্রান্ত মামলায় বিচারপতি এএস ওকা এবং উজ্জ্বল ভুইঞাঁর বেঞ্চে একের পর এক প্রশ্নের মুখে পড়েছে দিল্লি ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (DDA)। বেঞ্চ বলেছে, ‘‘ডিডিএ’র চেয়ারম্যান দিল্লির উপরাজ্যপাল ভিকে সাক্সেনা। তিনি কী ডিডিএ’র আধিকারিকদের এই নির্দেশ দিয়েছিলেন?’’ দিল্লিতে (Delhi) বিশেষ এলাকা রয়েছে যেখানে গাছগাছালিই কেবল থাকার কথা। এই গাছ কেটে নেওয়ার বিভিন্ন ঘটনায় প্রতিবাদ ওঠায় সুপ্রিম কোর্ট আগেই নির্দেশিকা জারি করেছিল। এখন নিয়ম হলো সুপ্রিম কোর্টের অনুমতি ছাড়া গাছ কাটা যাবে না।  
    অথচ বিপুল সংখ্যায় গাছ কাটা হয়েছে যে এলাকায় সেখানে নিজে গিয়েছিলেন সাক্সেনা। জান গিয়েছে তিনি ঘুরে আসার পরই কাটা হয় একের পর এক গাছ। এ প্রসঙ্গ তুলেই এদিন বিচারপতি ওকা ডিডিএ’র আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন, ‘‘দুটি নথিতে স্পষ্ট যে উপরাজ্যপালই গাছ কাটার নির্দেশ দিয়েছিলেন। আপনারা কী তাঁকে আড়াল করতে চাইছেন?’’ আসলে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হওয়ায় উপরাজ্যপাল ভিকে সাক্সেনার ক্ষমতা প্রবল। 

    আদালত অবমাননার অভিযোগে নোটিশ সুপ্রিম কোর্টের  

    আদালত ডিডিএ’র ভাইস চেয়ারম্যানকে বলেছে, ‘‘উপরাজ্যপাল ওই এলাকায় গিয়ে কী নিয়ে আলোচনা করেছিলেন তার কোনও সরকারি নথি আছে কি? ভাইস চেয়ারম্যানের স্পষ্ট বক্তব্য দরকার।’’ বেঞ্চ আরও বলেছে, ‘‘ভাইস চেয়ারম্যানের তরফে যে হলফনামা দাখিল করা হয়েছে তা দেখে মনে হচ্ছে যেন কয়েকজন আধিকারিক ঠিক করেছেন গাছ কাটা উচিত। তাঁরাই ঠিকাদারদের নির্দেশ দিয়েছেন।’’ এই আধিকারিকদের নামেই যদিও আদালত অবমাননার অভিযোগে নোটিশ পাঠিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। 

    আরও পড়ুন: ছত্তিশগড়ের প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে আইআইটি ক্যাম্পাস, স্বপ্নের উড়ান কৃষক পরিবারের সন্তান ইয়েশুর

    বৃক্ষরোপণ অভিযানের নির্দেশ 

    সেই সঙ্গে আদালতের নির্দেশ, বৃক্ষরোপণ অভিযান চালু করতে হবে ডিডিএ-কে। দিল্লিতে (Delhi) তাপপ্রবাহে সাতদিনের মধ্যে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁরা বেশিরভাগই পরিযায়ী শ্রমিক। আর একইসঙ্গে তাপপ্রবাহের পাশাপাশি তীব্র জলকষ্টে ভুগছে দিল্লি। বিশ্ব উষ্ণায়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের সরাসরি প্রভাব পড়ছে দেশের রাজধানী শহরে। আর এরই মধ্যে এবার বিপুল সংখ্যায় বৃক্ষনিধনে কড়া ব্যবস্থা নিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Arvind Kejriwal: এখনই জামিন নয় কেজরিওয়ালের! হাইকোর্টের রায় দেখে সুপ্রিম সিদ্ধান্ত

    Arvind Kejriwal: এখনই জামিন নয় কেজরিওয়ালের! হাইকোর্টের রায় দেখে সুপ্রিম সিদ্ধান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম দুয়ারেও স্বস্তি মিলল না। আপাতত তিহাড় জেলই ঠিকানা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal)। দিল্লি হাইকোর্টের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে, জামিনের আর্জি জানিয়ে রবিবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কেজরিওয়াল। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর জামিন মামলার শুনানিতে সোমবার দেশের শীর্ষ আদালত দিল্লি হাইকোর্টের রায়ের জন্য অপেক্ষা করার কথা জানায়। এই মামলায় সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী শুনানি আগামী ২৬ জুন।

    সুপ্রিম শুনানি

    অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal) মামলার শুনানিতে ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি মনোজ মিশ্র এবং এসভি ভাট্টি। সিনিয়র আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি এবং বিক্রম চৌধুরী কেজরিওয়ালের হয়ে এদিন সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করেন। বিপরীতে ছিলেন অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল রাজু। ইডির আইনজীবী তথা কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এসভি রাজু জানান, বেআইনি আর্থিক লেনদেন প্রতিরোধ আইন (পিএমএলএ)-এর ৪৫ নম্বর ধারা অনুযায়ী ইডির তরফে জামিনের বিরোধিতা করে জমা দেওয়া নথিগুলির যথাযথ ভাবে বিবেচনা করার কথা ছিল রাউস অ্যাভিনিউ আদালতের। অথচ সেগুলি পর্যালোচনা না করেই একতরফা ভাবে জামিন দেওয়া হয়েছে আপ প্রধানকে। অন্য দিকে, কেজরীর আইনজীবী দাবি করেন, তদন্তকারী সংস্থা তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে আবগারি দুর্নীতি মামলায় (Delhi Liquor Policy Case) বেআইনি আর্থিক লেনদেনের কোনও প্রমাণ দিতে পারেনি।

    আরও পড়ুন: নিট মামলায় ধৃতদের দিল্লি নিয়ে যেতে চাইছে সিবিআই, ফৌজদারি মামলা রুজু

    সুপ্রিম পর্যবেক্ষণ

    এদিন অভিষেক মনু সিংভি বলেন, ‘ট্রায়াল কোর্টের জামিন অর্ডারের অপেক্ষা করেনি দিল্লি হাইকোর্ট। তার আগেই রুখে দেওয়া হয়েছে মুক্তির রায়। অর্ডার না দেখেই যদি হাইকোর্ট জামিনের রায় আটকে দিতে পারে তাহলে কেন হাইকোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ দেওয়া হচ্ছে না?’ এর জবাবে বিচারপতি মনোজ মিশ্র বলেন, ‘হাইকোর্ট যদি ভুল করে তবে আমরাও কি সেটির পুনরাবৃত্তি করব? আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি আরও বলেন, ‘জামিন মঞ্জুর হওয়াই প্রমাণ করছে অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal) কোনও ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিত্ব নন।’ সওয়ালের দরুন আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টের তরফে বাদী-বিবাদী দুই পক্ষকেই এই ক্ষেত্রে অপেক্ষার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সে ক্ষেত্রে সময় অতিবাহিত হচ্ছে বলেও জোরাল সওয়াল করেন কেজরিওয়ালের আইনজীবীরা। অভিষেক মনু সিংভির বক্তব্য, ‘কেন এই সময়ের মধ্যে অন্তর্বর্তী জামিন দেওয়া হবে না? আমাদের সপক্ষে তো কোর্টের রায় রয়েছে।’ জবাবে বিচারপতি মনোজ মিশ্র বলেন, ‘এখনই কোনও রায় দিলে বিষয়টিতে আগাম বিচার করা হয়ে যাবে। এটা কোনও নিম্ন আদালত নয়, দেশের সর্বোচ্চ আদালত।’ মাত্র একটা দিনের অপেক্ষা এত সমস্যাজনক কেন হচ্ছে? বলেও উল্লেখ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • NEET Row: স্থগিতাদেশ নয়, চলবে কাউন্সিলিং জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    NEET Row: স্থগিতাদেশ নয়, চলবে কাউন্সিলিং জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিট ২০২৪-এর কাউন্সিলিংয়ে কোন স্থগিতাদেশ দিল না দেশের সর্বোচ্চ আদালত। সুপ্রিম কোর্ট সঙ্গে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সিকে নোটিশ জারি করেছে যে অভিযোগ (NEET Row) সংক্রান্ত যত নতুন আবেদন জমা পড়ছে সব কটি আবেদনের সংযুক্ত করে একজায়গায় নিয়ে আসতে হবে।

    কাউন্সিলিংয়ে কোন স্থগিতাদেশ নয়, জানাল সুপ্রিম কোর্ট (NEET Row)

    নতুন আবেদনগুলির নিরিখে এনটিএর প্রতিক্রিয়া জানতে চান বিচারপতি বিক্রম নাথ এবং এসভিএন ভাট্টির ডিভিশন বেঞ্চ। আবেদনকারীর তরফে আর্জি জানানো হয়েছিল কাউন্সিলিং যেন পিছিয়ে দেওয়া হয়। কারণ নিট ২০২৪ এর কাউন্সিলিং শুরু হওয়ার কথা ৬ জুলাই। আর  (NEET Row) মামলার শুনানি রয়েছে ৮ জুলাই। জবাবে বিচারপতি ভাট্টি বলেন কাউন্সিলিং একটি প্রক্রিয়া। সেটি ৬ তারিখ শুরু হবে। বেশ কয়েকদিন চলবে। আমরা চাই কারো সময় যেন নষ্ট না হয়।। এর আগেও কাউন্সিলিং-এর ক্ষেত্রে স্থগিতাদেশ প্রত্যাখ্যান করেছে সুপ্রিম কোর্ট। তবে আদালতের আদালতের মৌখিক পর্যবেক্ষণ যে আবেদনের চূড়ান্ত নিষ্পত্তির ওপরেই শেষমেষ ভর্তির প্রক্রিয়া নির্ভর করবে।”

    ডার্ক ওয়েবের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয় প্রশ্নপত্র

    প্রসঙ্গত তিনটি রিট পিটিশন বিচারাধীন রয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। প্রশ্নপত্র ফাঁস এবং অনিয়মের (NEET Row) অভিযোগের তদন্তে সিবিআই চেয়ে মামলা হয়েছে শীর্ষ আদালতে। সেই আবেদনে জানানো হয়েছে গুজরাট পুলিশ এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিল। যেখানে নিটের প্রশ্ন ও উত্তরপত্র দেওয়ার পরিবর্তে ১০ লক্ষ টাকা চাওয়ার অভিযোগ ওঠে। আরেকটি অভিযোগের তদন্ত চলছে বিহারের পাটনায়। যেখানে ছাত্রপ্রতি ৩০ থেকে ৪০ লক্ষ টাকা প্রশ্ন এবং উত্তরপত্র দেওয়ার বিনিময়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। অন্য আরেকটি মামলায় কেন্দ্র সুপ্রিম কোর্টকে জানায় যে গ্রেস মার্কস দেওয়া হয়েছিল তা বাতিল করে ১৫৬৩ জন প্রার্থীকে ফের পরীক্ষার সুযোগ দেওয়া হবে।

    আরও পড়ূন: মুক্তি মিলল না, আপাতত আরও ২-৩ দিন তিহাড়ই ঠিকানা কেজরিওয়ালের

    প্রসঙ্গত নিট দুর্নীতিতে চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি এসেছে এই মামলার অন্যতম মূল অভিযুক্ত আনন্দের কাছ থেকে। জানা গিয়েছে ৩০ থেকে ৪০ লক্ষ টাকা পরীক্ষার্থী পিছু নেওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার সিকান্দার যাদবকে ও গ্রেফতার করা হয়েছে। অমিত আনন্দের ফ্ল্যাট থেকে নিটের প্রশ্ন এবং উত্তরপত্র পোড়া অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। অমিতের স্বীকারোক্তি মেডিক্যালের অভিন্ন প্রবেশিকা পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হয়েছিল একদিন আগেই। আরও জানা গেছে ডার্ক ওয়েবের মাধ্যমে সারা ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। এ কথা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • NEET UG 2024: ১৫৬৩ জনের গ্রেস মার্কস বাতিল, ফের পরীক্ষার সুযোগ, নিট-মামলায় সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র

    NEET UG 2024: ১৫৬৩ জনের গ্রেস মার্কস বাতিল, ফের পরীক্ষার সুযোগ, নিট-মামলায় সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষা নিট ২০২৪-এ (NEET UG 2024) ‘বাড়তি নম্বর’ বা ‘গ্রেস মার্কস’ পাওয়া পরীক্ষার্থীদের নম্বর বাতিল করা হবে। প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে চলতি বছরে নিট পরীক্ষা বাতিল করার দাবি জানিয়ে মামলা দায়ের হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টকে (Supreme Court) কেন্দ্র জানাল, ১৫৬৩ জন পরীক্ষার্থীকে গ্রেস মার্কস দেওয়া হয়েছিল, তাঁদের নম্বর বাতিল করা হবে। তবে, আরও এক বার পরীক্ষায় বসার সুযোগ দেওয়া হবে।

    কী হল সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতে

    বৃহস্পতিবার শুনানিতে কেন্দ্রের তরফে শীর্ষ আদালতে (Supreme Court) জানিয়ে দেওয়া হয় যে, ১৫৬৩ জন নিট (NEET UG 2024) পরীক্ষার্থীকে গ্রেস মার্কস দেওয়া হয়েছিল ফের পরীক্ষায় বসতে হবে তাঁদের। ২৩ জুন ওই ১৫৬৩ জন পরীক্ষার্থীকে পুনরায় পরীক্ষায় বসতে হবে। ৩০ জুন ফলাফল বেরোবে। তবে কাউন্সেলিং যে বন্ধ করা হচ্ছে না, সেই নির্দেশ আগেই জানিয়ে দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। মঙ্গলবারের শুনানিতে শীর্ষ আদালতের তরফে বলা হয়, ‘গোটা পরীক্ষাকে বাতিল করা ঠিক নয়।’ অর্থাৎ কাউন্সেলিং পক্রিয়া বন্ধ করা হচ্ছে না। পরীক্ষায় নিয়ামক সংস্থা ও কর্তৃপক্ষকে দুই সপ্তাহের মধ্য়ে আদালত জবাব দেওয়ার নোটিশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। ৮ জুলাই এই মামলার পরবর্তী শুনানি। সুপ্রিম কোর্টও নির্দেশ দিয়েছে যে প্রশ্নপত্র ফাঁস এবং অনিয়মের অভিযোগে জমা পড়া সমস্ত পিটিশন একসঙ্গে ট্যাগ করা হবে এবং আগামী ৮ জুলাই এই মামলার চূড়ান্ত রায় ঘোষণা হবে। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিক্রম নাথ এবং বিচারপতি সন্দীপ মেহতার বেঞ্চ এদিন এই নির্দেশ দেয়।

    কেন এই মামলা

    সর্বভারতীয় মেডিক্যাল প্রবেশিকা পরীক্ষা নিট-এ (NEET UG 2024) একসঙ্গে ৬৭ জন প্রথম স্থান অধিকার করায় বিতর্ক শুরু হয়েছিল দেশজুড়ে। পরে জানা যায়, প্রশ্নপত্র এবং কিছু পরীক্ষাকেন্দ্রে সময় জনিত সমস্যার জন্য বাড়তি নম্বর দেওয়া হয়েছিল ১৫৬৩ জন পরীক্ষার্থীকে। কিন্তু র‌্যাঙ্কিং নিয়ে বিতর্ক প্রকাশ্যে আসতেই এই বাড়তি নম্বরের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে প্রতিবাদ জানায় বিভিন্ন মহল। আকাশ পাণ্ডে নামে এক আবেদনকারীরা অভিযোগ ছিল, দেড় হাজারের বেশি পরীক্ষার্থীকে ৭০-৮০ নম্বর গ্রেস মার্কস দেওয়া হয়েছে। ২০ হাজার পরীক্ষার্থীর প্রতিনিধিত্ব করা পাণ্ডের দাবি ছিল এই ব্যবস্থা বিধিবহির্ভূত। 

    আরও পড়ুন: লোকসভা ভোটে কারচুপি, আদালতে যাচ্ছে বিজেপি, জানালেন শুভেন্দু

    পরীক্ষার স্বচ্ছতা বজায় রাখতেই সিদ্ধান্ত

    এ প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রের বক্তব্য জানতে চেয়েছিল। বৃহস্পতিবার একটি হলফনামা দিয়ে কেন্দ্র তাদের বক্তব্য জানিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টকে কেন্দ্র বলেছে, ১৫৬৩ জন নিট পরীক্ষার্থীকে দেওয়া বাড়তি নম্বর বাতিল করা হবে। বদলে তাঁদের নতুন করে পরীক্ষা (NEET UG 2024) দেওয়ার সুযোগ দেবে কেন্দ্র। যাঁরা এই পরীক্ষা দিতে চান, তাঁদের আগামী ২৩ জুন এই পরীক্ষা দিতে হবে। কেন্দ্র জানিয়েছে, পরীক্ষার স্বচ্ছতা বজায় রাখতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টকে কেন্দ্র জানিয়েছে, এই ১৫৬৩ জন পরীক্ষার্থীর ফলাফল পুনর্বিবেচনার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সেই কমিটিই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এরপরই শীর্ষ আদালত (Supreme Court) এই নির্দেশ দেয়। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share