Tag: Supreme court

Supreme court

  • Patanjali Case: আয়ুষ না অ্যালোপ্যাথি, পছন্দ হওয়া উচিত ব্যক্তিগত, পতঞ্জলি মামলায় জানাল কেন্দ্র

    Patanjali Case: আয়ুষ না অ্যালোপ্যাথি, পছন্দ হওয়া উচিত ব্যক্তিগত, পতঞ্জলি মামলায় জানাল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আয়ুষ না অ্যালোপ্যাথি কোন পদ্ধতিতে কেউ চিকিৎসা করাবেন, তা তাঁর ব্যক্তিগত পছন্দ। এবং কোনও একটি পদ্ধতিকে নিরুৎসাহ করাও উচিত নয়। পতঞ্জলি মামলায় (Patanjali Case) বুধবার সুপ্রিম কোর্টে এমনই জানাল কেন্দ্রীয় সরকার। যোগগুরু রামদেবের পতঞ্জলি আর্য়ুবেদ সংস্থার বিভ্রান্তিকর ও মিথ্যা বিজ্ঞাপনী মামলা চলছে দেশের শীর্ষ আদালতে। এই মামলায় আগের শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের মন্তব্য ছিল, “সরকার চোখ বন্ধ করে বসে রয়েছে। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। সরকারকে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে।” এর পরেই এদিন আদালতে ব্যক্তিগত পছন্দের বিষয়টি জানাল কেন্দ্র।

    কেন্দ্রের হলফনামা (Patanjali Case)

    সুপ্রিম কোর্টে জমা দেওয়া হলফনামায় কেন্দ্র জানিয়েছে, কোনও বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট রাজ্যের। তবে কেন্দ্রীয় সরকার আইন অনুযায়ী সময়মতো ব্যবস্থা নিয়েছে। আয়ুষ মন্ত্রকের তরফে সংশ্লিষ্ট সংস্থাটিকে বলা হয়েছিল, পরীক্ষা না করা পর্যন্ত এই জাতীয় বিজ্ঞাপন প্রকাশ করা যাবে না। বিষয়টি (Patanjali Case) জানানো হয়েছিল রাজ্য লাইসেন্স কর্তৃপক্ষকেও। বলা হয়েছিল, ‘করোনিল’ ট্যাবলেট কোভিড ১৯ সহায়ক ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। করোনা নিরাময়ের জন্য মিথ্যা দাবিগুলির বিরুদ্ধে সক্রিয় পদক্ষেপও করেছে কেন্দ্র।

    ‘করোনিল কিট’

    ২০২০ সালের ২৩ জুন বাজারে ‘করোনিল কিট’ নিয়ে আসে রামদেবের সংস্থা। কিটে ছিল ‘করোনিল’ ও ‘শ্বাসারি’ বটি নামে দু’প্রকার ট্যাবলেট এবং ‘অণু তৈল’ নামের এক শিশি তেল। কিটের দাম ছিল ৫৪৫ টাকা। সংস্থার দাবি, সব মিলিয়ে ২৩ লক্ষ ৫৪ হাজার করোনিল কিট বিক্রি করেছে পতঞ্জলি। এই করোনিল নিয়েই বিজ্ঞাপন দিয়েছিল রামদেবের সংস্থা। তার বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয় ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন। তাদের অভিযোগ ছিল, পতঞ্জলির বেশ কয়েকটি বিজ্ঞাপনে অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা ও চিকিৎসককে অসম্মান করা হয়েছে। বিজ্ঞাপণের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার অভিযোগও ওঠে।

    আরও পড়ুুন: বাংলার জামাইকে প্রার্থী করে আসানসোলে কিস্তিমাত পদ্মের, বিপাকে ঘাসফুল

    এতেই চাপে পড়ে যান যোগগুরু। সুপ্রিম কোর্টের ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয় তাঁকে। হলফনামা দিয়ে তাঁকে নিঃশর্ত ক্ষমাও চাইতে হয়েছে শীর্ষ আদালতে। ক্ষমা চাইতে হয়েছে পতঞ্জলির এমডি আচার্য বালকৃষ্ণকেও। এই জাতীয় ভুলের পুনরাবৃত্তি হবে না বলেও আদালতে জানিয়েছিলেন রামদেব ও তাঁর সহযোগী বালকৃষ্ণ (Patanjali Case)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

  • CBI: হাজারো তদন্তের চাপ সিবিআইয়ের ওপর, কীভাবে সামাল দেওয়া যাবে? টোটকা প্রধান বিচারপতির

    CBI: হাজারো তদন্তের চাপ সিবিআইয়ের ওপর, কীভাবে সামাল দেওয়া যাবে? টোটকা প্রধান বিচারপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবারই ছিল সিবিআই দিবস (CBI)। এদিনই সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় জানালেন, তদন্তের চাপে সঠিকভাবে কাজ করতে পারছে না সিবিআই। সেই সঙ্গে দেশের তদন্তকারী সংস্থাকে তাঁর পরামর্শ, ‘‘কেবলমাত্র সেই মামলাগুলোতেই নজর দিতে হবে যা জাতীয় নিরাপত্তা এবং জাতির বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক অপরাধের সঙ্গে জড়িত।’’

    কী বললেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি?

    প্রসঙ্গত, বর্তমান পরিস্থিতিতে সিবিআইয়ের (CBI) ওপর মামলার চাপ বেড়েই চলেছে। একের পর এক তদন্তের দায়িত্ব তাদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। এ নিয়েই সোমবার বক্তব্য রাখেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। তার মতে, ‘‘দুর্নীতি-বিরোধী তদন্তকারী সংস্থা হিসেবে সিবিআইয়ের (CBI) যে মূল ভূমিকা আছে, সেই বৃত্তের বাইরে গিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে বিভিন্ন রকমের ফৌজদারি মামলায় তদন্ত করতে বলা হচ্ছে। তার ফলে নিজের নীতি মেনে চলার ক্ষেত্রে সিবিআইয়ের উপর প্রচুর দায়-দায়িত্ব বেড়ে যাচ্ছে।’’

    আরও পড়ুন: ভোটের উত্তাপে রাজ্যের স্কুলগুলিতে এগিয়ে এল গরমের ছুটি, বাড়ল দিনও, কবে থেকে?

    বিচার প্রক্রিয়ায় ডিজিটাইজেশন দরকার

    এর পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এদিন আরও জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির বেশিরভাগ অফিসারই ডেপুটেশনে আসেন। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির মতে, গোটা তদন্ত প্রক্রিয়ার ডিজিটাইজেশন দরকার। যদি এফআইআর দায়ের থেকে শুরু করে তদন্তের পুরো প্রক্রিয়া ডিজিটাইজেশন করা যায়, তাহলে সমস্যার অনেকটাই মোকাবিলা করা সম্ভব হয়। বিচারব্যবস্থার আধুনিকীকরণের ক্ষেত্রে এগুলি খুবই গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি। তিনি আরও জানিয়েছেন, ডিজিটাল প্রক্রিয়া চালু হওয়ার ফলে তথ্য পাওয়ার ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হবে না। এর ফলে তদন্তকারী সংস্থা (CBI) এবং আদালতের মধ্যে সমন্বয় আরও বাড়বে। এনিয়ে তিনি বলেন, ‘‘প্রযুক্তি অপরাধের পরিসর বদলে দিয়েছে। তদন্তকেও তার সঙ্গে তাল মেলাতে হবে।’’

    আরও পড়ুন: পক্ষপাতের অভিযোগে রাজ্যের ২ সিনিয়র নির্বাচনী অফিসারকে সরাল কমিশন

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Congress: কংগ্রেসের বকেয়া আয়কর আদায়ে ভোটের মধ্যে কঠোর পদক্ষেপ নয়, সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র

    Congress: কংগ্রেসের বকেয়া আয়কর আদায়ে ভোটের মধ্যে কঠোর পদক্ষেপ নয়, সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের আগে স্বস্তিতে কংগ্রেস (Congress)। ৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকার বকেয়া আয়কর আদায়ে এখনই কোনও কড়া পদক্ষেপ করা হবে না বলে সুপ্রিম কোর্টে জানিয়ে দিল আয়কর দফতর। সোমবার সুপ্রিম কোর্টে আয়কর দফতরের পক্ষে সওয়াল করেন কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেটা।

    কী বললেন সলিসিটর জেনারেল?

    তিনিই জানান, কংগ্রেসের বকেয়া ৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকার আয়কর উদ্ধার করতে লোকসভা নির্বাচনের আগে গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করতে চায় না আয়কর দফতর। তিনি বলেন, “২০২৪ সালে তাদের (কংগ্রেস) ২০ শতাংশ আয়কর দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। তার পর ১৩৫ কোটি টাকা উদ্ধার হয়। পরে ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকা চাওয়া হয়। এখন গোটা বিষয়টি নির্বাচনের পরবর্তী সময়ের জন্য তোলা রইল। ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা কোনও পদক্ষেপ করব না।”

    নোটিশ সোনিয়ার দলকে

    শুক্রবারই ১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা চেয়ে আয়কর দফতর নোটিশ পাঠিয়েছিল সোনিয়া গান্ধীর দলকে। এর পর চব্বিশ ঘণ্টাও কাটেনি ফের দু’টি নোটিশ পায় গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টি। তার পরেই কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপির বিরুদ্ধে ‘কর সন্ত্রাসে’র অভিযোগে সরব হয় কংগ্রেস (Congress)। বকেয়া আয়কর বাবদ ৩ হাজার ৫৬৭ কোটি টাকা চাওয়া হয়েছে, জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থও হয় কংগ্রেস।

    সোমবার শুনানির জন্য মামলাটি ওঠে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিভি নাগরত্নের বেঞ্চে। কংগ্রেসের হয়ে সওয়াল করেন আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। আদালতে তিনি বলেন, “আমরা কোনও লাভজনক সংস্থা নই। আমরা একটি রাজনৈতিক দল।” প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশ হবে ৪ জুন। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২৪ জুলাই। তাই ততদিন পর্যন্ত স্বস্তিতেই রইল কংগ্রেস।

    আরও পড়ুুন: আরও এক বছর সস্তায় মিলবে গ্যাস, ভর্তুকি কত জানেন?

    কংগ্রেসের বিরুদ্ধে প্রধান অভিযোগ, পর পর কয়েকটি অর্থবর্ষে নির্বাচনী বন্ড বা অন্য খাতে যা আয় করেছে, তাতে কর ফাঁকি দিয়েছে কংগ্রেস। সোনিয়ার দলকে নোটিশ পাঠিয়ে সেই টাকাই চেয়েছিল আয়কর দফতর। জরিমানা-সহ ওই টাকা দিতে গেলে নির্বাচনের আগে বিপাকে পড়তে হত গ্রান্ড ওল্ড পার্টিকে। কারণ, ক্ষয়িষ্ণু দল হওয়ায় কংগ্রেসের (Congress) রোজগার আঞ্চলিক দল তৃণমূলের চেয়েও কম।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: ‘কংগ্রেসকে প্রত্যাখ্যান করেছে ১৪০ কোটি ভারতীয়’, আইনজীবীদের চিঠির পর তোপ মোদির

    PM Modi: ‘কংগ্রেসকে প্রত্যাখ্যান করেছে ১৪০ কোটি ভারতীয়’, আইনজীবীদের চিঠির পর তোপ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে লেখা আইনজীবীদের চিঠির প্রেক্ষিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। বিচার ব্য়বস্থার পবিত্রতা নিয়ে আশঙ্কাপ্রকাশ করে দেশের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়কে চিঠি লেখেন দেশের ৬০০ জন আইনজীবী। এর জবাব দিতে গিয়েই কংগ্রেসের তীব্র সমালোচনা করে সোশ্য়াল মিডিয়া হ্যান্ডেল ‘এক্স’-এ মোদি লিখলেন, ‘১৪০ কোটি ভারতীয় যে ওদের প্রত্যাখ্যান করছে, এতে আশ্চর্য কিছু নেই।’ সবাইকে নিজেদের মতো করে ভাবে কংগ্রেস দাবি প্রধানমন্ত্রীর।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী

    বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেল ‘এক্স’-এ একটি পোস্ট করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। সেখানে তিনি লেখেন, ‘কদর্য ভাষায় গালিগালাজ করে ভয় দেখিয়ে কাউকে কিছু করতে বাধ্য করা কংগ্রেসের সংস্কৃতি। পাঁচ দশক আগে, ওরাই একেবারে নিবেদিত বিচারব্যবস্থার ডাক দিয়েছিল। লজ্জাহীন ভাবে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য বাকিদের সবটুকু চায় ওরা। কিন্তু দেশের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করতে নারাজ। ১৪০ কোটি ভারতীয় যে ওদের প্রত্যাখ্যান করছে, এতে আশ্চর্য কিছু নেই।’ 

    আইনজীবীদের চিঠি

    মোদির (PM Modi) সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের কিছুক্ষণ আগে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়কে চিঠি দেন দেশের নানা প্রান্তের প্রায় ৬০০ জন আইনজীবী। দেশের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়কে দেওয়া চিঠিতে স্বাক্ষর রয়েছে আইনজীবী হরিশ সালভে এবং সুপ্রিম কোর্টের বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মনন কুমার মিশ্ররও। চিঠিতে অভিযোগ করা হয়েছে যে, স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী বিচার বিভাগকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে। আদালতের সিদ্ধান্তে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করা হচ্ছে এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে ভিত্তিহীন অভিযোগ এনে দেশের বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা চলছে। চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, যে সমস্ত মামলায় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা দুর্নীতিতে অভিযুক্ত, সেই সব মামলাতেই এই ধরনের প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। 

    আরও পড়ুন: নাইট শিবিরে বদলি, চিন্নাস্বামীতে আজ কলকাতার সামনে বেঙ্গালুরু

    কিরেণ রিজিজুর উত্তর

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং অরুণাচল ওয়েস্টের প্রার্থী, কিরেণ রিজিজু এই নিয়ে গত কালই সরব হন। সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, ‘কংগ্রেসই ভারতীয় সংবিধানকে শিকেয় তুলে একেবারে নিবেদিত বিচারব্যবস্থার ভাবনা এনেছিল। কংগ্রেস এবং বামপন্থীরা চায়, আদালত এবং সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলি যেন শুধু তাদের স্বার্থ রক্ষা করে। না হলেই তারা সেই প্রতিষ্ঠানগুলিকেই আক্রমণ করতে শুরু করে দেয়।’ 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • CAA: সিএএ-তে স্থগিতাদেশ নয়, তিন সপ্তাহে কেন্দ্রের জবাব তলব সুপ্রিম কোর্টের

    CAA: সিএএ-তে স্থগিতাদেশ নয়, তিন সপ্তাহে কেন্দ্রের জবাব তলব সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বা সিএএ-তে (CAA) স্থগিতাদেশ দিল না দেশের শীর্ষ আদালত। ৯ এপ্রিল এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। ওই দিন হলফনামার আকারে কেন্দ্রীয় সরকারের বক্তব্য চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। প্রসঙ্গত, সিএএ-র বিরোধিতা করে একাধিক মামলা দায়ের হয় দেশের শীর্ষ আদালতে। সেগুলিকে এক করে মঙ্গলবারই সিএএ নিয়ে শুনানি শুরু করে সুপ্রিম কোর্ট (CAA)। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ এই মামলাগুলি শোনে। প্রধান বিচারপতি ছাড়া ওই বেঞ্চে ছিলেন বিচারপতি জেবি পরদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্র। কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা হাজির ছিলেন সরকার পক্ষের আইনজীবী হয়ে। সলিসিটর জেনারেল এদিন আদালতে বলেন, “সিএএ-তে কারও নাগরিকত্ব যাবে না।”

    মোট ২৩৭টি আবেদন জমা পড়ে সুপ্রিম কোর্টে

    সিএএ (CAA) নিয়ে একাধিক মামলার মধ্যে সর্বশেষ মামলাটি দায়ের করে কেরলের বাম সরকার। রবিবার  সিএএ-র সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদালতে যায় তারা। সেসময় কেরল সরকার ঘোষণা করেছিল, রাজ্যে সিএএ কার্যকর করতে দেওয়া হবে না। অন্যদিকে এর আগে, শনিবার সিএএ-তে স্থগিতাদেশ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন ‘অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন’ (মিম) দলের নেতা তথা হায়দরাবাদের সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়েইসি। এর পাশাপাশি কংগ্রেসের তরফে জয়রাম রমেশ, তৃণমূলের ঘুষকাণ্ডে বহিষ্কৃত সাংসদ মহুয়া মৈত্র, সিপিএমের যুব সংগঠনও এই ইস্যুতে দ্বারস্থ হয় সুপ্রিম কোর্টে। প্রসঙ্গত, মোট ২৩৭টি আবেদন জমা পড়ে সুপ্রিম কোর্টে। এর মধ্যে ২০টি ক্ষেত্রেই সিএএ-র ওপর স্থগিতাদেশ চাওয়া হয়েছে। কিন্তু শীর্ষ আদালত সিএএ-র ওপর স্থগিতাদেশ দিলনা এদিন।

    ৪ বছর পরে লাগু সিএএ

    ২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বর সিএএ (CAA) পাশ করে মোদি সরকার। কিন্তু মাঝখানে করোনা মহামারী চলে আসায়, আইন তখন কার্যকর করা যায় নি। চারবছর পরে ২০২৪ সালের ১১ মার্চ সিএএ লাগু করে সরকার। এই আইন অনুযায়ী, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় উৎপীড়নের কারণে এ দেশে আসা শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেবে ভারত। এই ৬ সম্প্রদায় হল, হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি এবং খ্রিস্টান।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Evm Hack: ‘‘আমি আপনাদের আশ্বস্ত করে বলছি, ইভিএম ১০০ শতাংশ সুরক্ষিত’’, বললেন রাজীব কুমার

    Evm Hack: ‘‘আমি আপনাদের আশ্বস্ত করে বলছি, ইভিএম ১০০ শতাংশ সুরক্ষিত’’, বললেন রাজীব কুমার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি জিতলেই বিরোধীদের ‘ইভিএম হ্যাক’ ইস্যু সামনে আসে। তবে কোনও রাজ্যে যদি বিরোধীরা জেতে তখন আবার ইভিএম (Evm Hack) ঠিক কাজ করতে থাকে। যেমন গত বছরের শেষের দিকে অনুষ্ঠিত হওয়া কর্নাটক নির্বাচনে কংগ্রেস জিতলে ইভিএম নিয়ে কোনও অভিযোগই সামনে আসেনি। কিন্তু বিজেপি জিতলেই যেন ইভিএম হ্যাক হয়ে যায়। শনিবারই নির্বাচন ঘোষণা করেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার পাশাপাশি ভোটিং প্রক্রিয়া নিয়েও বক্তব্য রাখেন। ইভিএম ইস্যুতে তাঁর মত হল, ‘‘আমি আপনাদের আশ্বস্ত করে বলছি, ইভিএম ১০০ শতাংশ সুরক্ষিত।’’

    সুপ্রিম কোর্ট ৪০ বার ইভিএম নিয়ে মামলা দেখেছে

    সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্টে ইভিএম নিয়ে বিভিন্ন সময়ের মামলার কথাও বলেন তিনি। তাঁর নিজের ভাষায়, ‘‘হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট ৪০ বার ইভিএম নিয়ে মামলা দেখেছে। ইভিএম (Evm Hack) নিয়ে কখনও বলা হয়েছে রিগিং হয় না, কখনও বলা হয়েছে একটির বদলে ৫টি ভিভিপ্যাড গণনা করুন। আমরা সব করেছি। এখন জরিমানাও করা হচ্ছে। দিল্লি কোর্ট ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। সুপ্রিম কোর্ট ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে।’’

    ইভিএম কখনও হ্যাক হওয়া সম্ভব নয়

    তিনি আরও  বলেন, ‘‘ইভিএম কখনও হ্যাক (Evm Hack) হওয়া সম্ভব নয়। বারবার এটা প্রমাণ হয়েছে। যে কেউ সোশ্যাল মিডিয়ায় ইভিএম নিয়ে বসে যায়, এদের অনেকে তো এক্সপার্টও হয়ে গিয়েছেন। কীসের এক্সপার্ট জানি না। ওনারা একটা বাক্স নিয়ে বসেন, একটা বোতাম টিপলে নাকি অন্য স্লিপ বের হচ্ছে। আপনারা যতবার প্রশ্ন করবেন, আমরা উত্তর দেব। ইভিএমের কারণেই অনেক রাজনৈতিক দল অস্তিত্ব লাভ করেছে। সব ইভিএমের তিনবার মক পোল হয়। প্রার্থীদের সামনেই মক পোল হয়। আমাদের ওয়েবসাইটে ইভিএম নিয়ে ঘনঘন করা প্রশ্ন ও তার উত্তর রয়েছে। দয়া করে সেটা অন্তত করুন।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: দীর্ঘদিন ফাঁকা পিএসসি-র চেয়ারম্যানের পদ, রাজ্যকে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: দীর্ঘদিন ফাঁকা পিএসসি-র চেয়ারম্যানের পদ, রাজ্যকে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পিএসসি চেয়ারম্যান (Psc Chairman) পদে নিয়োগ নিয়ে কড়া অবস্থান নিতে দেখা গেল কলকাতা হাইকোর্টকে। প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরে রাজ্যের পাবলিক সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান পদটি খালি রয়েছে। এর ফলে পিএসসির নিয়োগ সংক্রান্ত অনেক ইন্টারভিউ আটকে রয়েছে। জুডিশিয়াল সার্ভিস বা ডাব্লুবিসিএস-এর মতো পরীক্ষার ইন্টারভিউও আটকে রয়েছে, শুধুমাত্র চেয়ারম্যান পদ খালি থাকার কারণে। এ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, রাজ্য যদি না পারে তাহলে আদালত এই পদে নিয়োগ (Psc Chairman) নিয়ে এবার সিদ্ধান্ত নেবে।

    চেয়ারম্যান নিয়োগের দাবিতে মামলা করেন এক আইনজীবী

    প্রসঙ্গত, পিএসসি চেয়ারম্যান (Psc Chairman) নিয়োগের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন আইনজীবী শামিম আহমেদ। এবং তিনি জানান, পিএসসিতে ৬ থেকে ৭ জন সদস্য থাকার কথা থাকলেও সেখানে মেম্বার রয়েছেন মাত্র দুই জন। এর ফলে একাধিক পরীক্ষার ইন্টারভিউ নেওয়া যাচ্ছে না। শুক্রবারের শুনানিতে পিএসসি-এর চেয়ারম্যান নিয়োগ নিয়ে রাজ্য সরকারের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করে কলকাতা হাইকোর্ট। প্রসঙ্গত, পিএসসি চেয়ারম্যান নিয়োগ ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশও অমান্য করার অভিযোগ উঠেছে রাজ্যের বিরুদ্ধে। আদালতের বক্তব্য, চেয়ারম্যান নিয়োগ না করার ফলে সুপ্রিম কোর্টেও নির্দেশ মানা হচ্ছে না।

    ১৪ মার্চ মামলার পরবর্তী শুনানি

    আগামী ১৪ মার্চ এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। তবে তার আগেই রাজ্যকে এ বিষয়ে রিপোর্ট চেয়েছে হাইকোর্ট। পিএসসি চেয়ারম্যান পদ খালি থাকা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকেও। রাজ্য সরকারের নিয়োগের (Psc Chairman) ক্ষেত্রে গতি আনার পরামর্শ দিয়েছেন রাজ্যপালও। কিন্তু রাজ্যের যেন কোনও হেলদোলই নেই। প্রসঙ্গত, আগে রাজ্যের বিভিন্ন দফতরে গ্রুপ ডি এবং গ্রুপ সি পদের নিয়োগের পরীক্ষা থেকে ইন্টারভিউ সবটাই দেখাশোনা করতো পিএসসি। তবে তা পিএসসির-র কাছ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বর্তমানে।

     

    আরও পড়ুুন: “আরও ১০ বছরও প্রধানমন্ত্রী থাকবেন মোদি”, সাফ জানালেন শাহ

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: ‘‘পরিণাম কী হতে পারে…’’, সনাতন-মন্তব্য মামলায় উদয়নিধিকে তোপ সুপ্রিম কোর্টের

    Supreme Court: ‘‘পরিণাম কী হতে পারে…’’, সনাতন-মন্তব্য মামলায় উদয়নিধিকে তোপ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সনাতন ধর্ম নিয়ে অপমানজনক মন্তব্য করেছিলেন উদয়নিধি স্ট্যালিন। এনিয়ে এবার অসন্তোষ প্রকাশ করতে দেখা গেল দেশের শীর্ষ আদালতকে (Supreme Court)। এদিনই সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানি ছিল। শীর্ষ আদালত উদয়নিধি স্ট্যালিনের উদ্দেশে বলে, ‘‘আপনি কোনও সাধারণ ব্যক্তি নন। আপনি একজন মন্ত্রী। প্রতিক্রিয়ার দেওয়ার আগে আপনার সচেতন হওয়া প্রয়োজন। আপনার জানা উচিত এর পরিণাম কী হতে পারে।’’ এছাড়াও এই মন্তব্য সাংবিধানিকভাবে দেওয়া মৌলিক অধিকার বাক-স্বাধীনতা ও ধর্মীয় স্বাধীনতার অপব্যবহার বলেও জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতে (Supreme Court) এদিন উদয়নিধির হয়ে মামলাটি লড়েন আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি।

    দেশের একাধিক রাজ্যে দায়ের হয়েছিল এফআইআর

    গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে উদয়নিধি স্ট্যালিনের এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্র, জম্মু-কাশ্মীর, বিহার, উত্তরপ্রদেশ এবং কর্নাটকের একাধিক জায়গায় এফআইআর দায়ের করা হয়। প্রতিবাদে সামিল হয় অসংখ্য অরাজনৈতিক হিন্দু সংগঠনও। সমস্ত মামলাগুলোকে একত্রিত করার পরে উদয়নিধির (Supreme Court) বিরুদ্ধে পিটিশন দাখিল করা হয়। বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের ওঠে মামলাটি।

    ঠিক কী বলেছিলেন উদয়নিধি?

    তামিলনাডুর মুখ্যমন্ত্রীর ছেলে সনাতন ধর্মকে ডেঙ্গির সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। গত ২ সেপ্টেম্বর তিনি বলেছিলেন, ‘‘সনাতন ধর্মের শুধু বিরোধিতা করলেই হবে না, তা বিলুপ্ত করা উচিত। আমরা ম্যালেরিয়া, করোনার বিরোধিতা করে চুপ থাকতে পারি না। আমাদের নির্মূল করতে হবে। তেমনভাবে সনাতন ধর্মকেও নির্মূল করতে হবে। সনাতন ধর্ম সাম্যের পরিপন্থী।’’ তাঁর এই মন্তব্যের পরেই বিভিন্ন মহলে সমালোচনার ঝড় উঠেছিল। বিজেপি বিরোধী দলগুলি মেকি ধর্মনিরপেক্ষতার কারণে সেসময় সনাতন ধর্ম বিরোধী মন্তব্যের বিরোধিতা করেনি। উদয়নিধি সেসময় নিজের বক্তব্য অনড় থেকে বলেন, ‘‘আমার কথার ইচ্ছাকৃত ভাবে ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। সনাতন প্রথার বিরুদ্ধে বলেছি মানে এই নয় যে, গণহত্যার কথা বলেছি। এই সনাতন প্রথা যুগ যুগ ধরে জাতপাত, ধর্মের বেড়াজালে রেখে দলিত ও পিছিয়ে পড়া শ্রেণিকে পায়ের নীচে রেখেছে। একে নিশ্চিহ্ন না করলে মানুষের সার্বিক উন্নতি সম্ভব নয়। তাই আমি আমার বক্তব্য থেকে সরছি না।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • World’s Shortest Doctor: বাধা উচ্চতা! ভর্তি নিচ্ছিল না কলেজ, বিশ্বের সবথেকে ‘ছোট্ট ডাক্তার’ হওয়ার পথে বারাইয়া

    World’s Shortest Doctor: বাধা উচ্চতা! ভর্তি নিচ্ছিল না কলেজ, বিশ্বের সবথেকে ‘ছোট্ট ডাক্তার’ হওয়ার পথে বারাইয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বের সবথেকে কম উচ্চতার চিকিৎসক হতে চলেছেন গুজরাটের গণেশ বারাইয়া (২২)। ভাবনগরের মেডিক্যাল কলেজে ইতিমধ্যে শুরুও করেছেন তাঁর ইন্টার্নশিপ (World’s Shortest Doctor)। জীবনের সমস্ত প্রতিবন্ধকতাকে উতরে গিয়েছেন নিজের যোগ্যতায়। নানা বাধা, সমালোচনার মুখে পড়েছেন,শুনেছেন কটূক্তিও। অপরাধ তাঁর উচ্চতা। তবে কোনও কিছুই দমিয়ে রাখতে পারেনি এই হবু চিকিৎসকে। আগামিদিনে গণেশ বারাইয়া ডার্মাটোলজিতে স্পেশালাইজেশন করতে চান।

    গণেশ বারাইয়ার উচ্চতা মাত্র ৩ ফুট

    বাকি পাঁচজনের থেকে শারীরিকভাবে (World’s Shortest Doctor) একেবারেই আলাদা গণেশ বারাইয়া, কারণ তাঁর উচ্চতা মাত্র ৩ ফুট। ওজনও মাত্র ১৮ কেজি। শারীরিক গঠনের কারণে কটাক্ষের শিকার হতে হয়েছে বারবার, কিন্তু মনের জোর ছিল অটুট। তাঁর শারীরিক অক্ষমতা ৭২ শতাংশ। সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, ছোটবেলা থেকেই তাঁর চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্নের কথা। তাঁর স্বপ্নপূরণ সবথেকে বেশি সাহায্য় বারাইয়া পেয়েছেন তাঁর মায়ের কাছে, এমনটাই দাবি তাঁর।

    গুজরাটের ভাবনগরের গোরকি গ্রামের বাসিন্দা বারাইয়া

    গণেশ বারাইয়ার বসত বাড়ি গুজরাটের ভাবনগরের গোরকি গ্রামে বলে জানা গিয়েছে। পরিবারের মধ্যে বারাইয়াই প্রথম, যিনি কলেজের গণ্ডি পার করেছেন। জানা গিয়েছে, বারাইয়ার বাবা ভিথল পেশায় একজন কৃষিজীবী এবং তাঁর আরও আটটি বোন রয়েছে। যাঁরা কেউই মাধ্যমিকের গণ্ডি টপকায়নি। বারাইয়া জানিয়েছে, নীলকন্ঠ বিদ্যাপীঠে নবম শ্রেণিতে পড়ার সময়ই তিনি ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন। ভাবনগর মেডিক্যাল কলেজের ডিন ডক্টর হেমন্ত মেহতা জানিয়েছেন, একেবারে সামনের সারিতে বসেই উৎসাহের সঙ্গে ক্লাস করে বারাইয়া। তাঁর সহপাঠীদের কাছ থেকে অভূতপূর্ব সাহায্যও (World’s Shortest Doctor) পায়।  এবিষয়ে বারাইয়া বলেন, “ক্লিনিকাল ডিউটির সময় আমি বহুমূল্য অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। সেই সময়ই করোনা সংক্রমণ শুরু হয়েছিল। কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও আমরা কাজ করেছি।”

    কৃতী ছাত্র বারাইয়া

    সংবাদমাধ্যমকে বারাইয়া জানিয়েছেন, ২০১৮ সালে তিনি দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ডের পরীক্ষায় ৮৭ শতাংশ নম্বর পেয়েছিলেন। নিটেও ২৩৩ র‌্যাঙ্ক আসে তাঁর। কিন্তু এমবিবিএস কোর্সেই ভর্তির পথে অন্তরায় হচ্ছিল শারীরিক অক্ষমতা। তাঁর সঙ্গে আরও দুই শারীরিক অক্ষম পড়ুয়াকে (World’s Shortest Doctor) ভর্তিতে বাধা দেওয়া হয়। এরপরে শুরু হয় আইনি লড়াই। মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। শীর্ষ আদালতের রায় বারাইয়া ও বাকি দুই পড়ুয়ার এমবিবিএস কোর্সে ভর্তির পক্ষে আসে। বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের অধিকার আইনের আওতায় পড়ুয়াদের ভর্তি নিতে বলে শীর্ষ আদালত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Gyanvapi Case: সিল খোলা হোক জ্ঞানবাপীর ওজুখানার, উঠল এএসআই সমীক্ষার দাবিও

    Gyanvapi Case: সিল খোলা হোক জ্ঞানবাপীর ওজুখানার, উঠল এএসআই সমীক্ষার দাবিও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্মাণ হয়েছে অযোধ্যার রাম মন্দির। প্রাণপ্রতিষ্ঠাও হয়েছে বিগ্রহের। এবার ফের জ্ঞানবাপী মসজিদের (Gyanvapi Case) ওজুখানার সিল খুলে দেওয়ার দাবি হিন্দু পক্ষের। সোমবার এই দাবিতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে তারা।

    ওজুখানায় ‘শিবলিঙ্গ’

    ওজুখানায় ‘শিবলিঙ্গে’র অস্তিত্ব মেলার পর ২০২২ সালে সেটি সিল করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল বারাণসীর নিম্ন আদালত। সেই সিলই ফের খুলে দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে হিন্দু পক্ষের তরফে। ওজুখানার সিল খুলে দেওয়ার পাশাপাশি এএসআইকে সেখানে সমীক্ষা চালানোর অনুমতি দেওয়ার দাবিও জানিয়েছে হিন্দু পক্ষ। হিন্দু পক্ষের দাবি, বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদের (Gyanvapi Case) কাঠামোর নীচে বড় হিন্দু মন্দিরের অস্তিত্ব ছিল। বারাণসী জেলা আদালতে জমা দেওয়া এএসআই রিপোর্টে এমনই দাবি করা হয়েছে বলে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের দাবি।

    এএসআইয়ের রিপোর্ট!

    এএসআইয়ের রিপোর্ট উদ্ধৃত করে হিন্দু পক্ষের আরও দাবি, আওরঙ্গজেব ১৬১৯ সালের ২ নভেম্বর মন্দির ভেঙে জ্ঞানবাপী মসজিদ নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছিলেন। হিন্দু পক্ষের আইনজীবী বিষ্ণুশঙ্কর জৈন জানান, এএসআইয়ের রিপোর্টে হিন্দু মন্দিরের অস্তিত্ব সম্পর্কে এ ধরনের মোট ৩২টি প্রামাণ মিলেছে। তিনি বলেন, “এএসআইয়ের রিপোর্ট বলছে, মসজিদ তৈরির সময় কাঠামোয় কিছু বদল আনা হয়েছিল। সামান্য বদল এনে মন্দিরের স্তম্ভ এবং অন্যান্য অংশ ব্যবহার করা হয়েছে। নতুন কাঠামো তৈরি করতে হিন্দু মন্দিরের পিলারের চরিত্রে সামান্য বদল আনা হয়েছিল।” আইনজীবীর এহেন দাবির পরে পরেই ওজুখানার সিল খুলে দেওয়ার দাবি জানাল হিন্দু পক্ষ। জানানো হল এএসআইয়ের সমীক্ষার দাবিও।

    আরও পড়ুুন: “দয়া করে পাকিস্তানে চলে যান”, বললেন ফতোয়া পাওয়া সেই ইমাম

    প্রসঙ্গত, কিছু দিন আগেই ওজুখানার ‘শিবলিঙ্গ’ পুজোর অধিকার চেয়েছিল হিন্দু পক্ষ। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের আন্তর্জাতিক কার্যনির্বাহী সভাপতি অলোক কুমার বলেন, “এএসআই কর্তৃক সংগ্রহীত প্রমাণ ও অনুসন্ধানগুলি প্রমাণ করে যে, এই উপাসনালয়ের ধর্মীয় চরিত্রটি ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট বিদ্যমান ছিল। বর্তমানে এটি একটি হিন্দু মন্দিরের আকারে রয়েছে। তাই উপাসনা স্থান আইন অনুসারে কাঠামোটিকে হিন্দু মন্দির ঘোষণা করা (Gyanvapi Case) উচিত।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

LinkedIn
Share