Tag: Supreme court

Supreme court

  • Primary Teacher: স্থগিতাদেশ তুলে নিল সুপ্রিম কোর্ট, প্রায় ১২ হাজার চাকরিপ্রার্থীর প্রাথমিকের নিয়োগে রইল না বাধা

    Primary Teacher: স্থগিতাদেশ তুলে নিল সুপ্রিম কোর্ট, প্রায় ১২ হাজার চাকরিপ্রার্থীর প্রাথমিকের নিয়োগে রইল না বাধা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২২ সালে প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক (Primary Teacher) নিয়োগ প্রক্রিয়ার উপর থেকে স্থগিতাদেশ তুলে নিল দেশের শীর্ষ আদালত। সোমবারই সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয় নিয়োগ প্রক্রিয়া নির্বিঘ্নে চালিয়ে যেতে পারবে পর্ষদ। এর পাশাপাশি প্যানেল প্রকাশের বাধাও তুলে নিলেন বিচারপতি হিমা কোহলি এবং বিচারপতি আহসান উদ্দিন আমানুল্লাহ এর বেঞ্চ। সুপ্রিম কোর্টের আজকের রায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকেই এককথায় সিলমোহর দিল।

    ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয় পর্ষদ

    প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসেই প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ১২ হাজার শিক্ষকের (Primary Teacher) নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। সেখানে প্রথমে জানানো হয়, যাঁরা প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন তাঁরাও ওই নিয়োগে অংশ নিতে পারবেন। এরপরেই জল গড়ায় কলকাতা হাইকোর্টে। মামলা করেন চাকরি প্রার্থীদের একাংশ। ২০২২ সালে সেপ্টেম্বরের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় পর্ষদের সিদ্ধান্তকেই মান্যতা দেন। ২০২২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ২০২৩ সালের এপ্রিল মাস নাগাদ হাইকোর্টের তৎকালীন বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ পর্ষদের ওই বিজ্ঞপ্তি খারিজ করে দেয়।

    মামলা গড়ায় দেশের শীর্ষ আদালতে

    ২০২৩ সালের ২৮ জুলাই সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিমা কোহলি এবং বিচারপতি রাজেশ জিন্দালের বেঞ্চ জানায়, আদালত নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত পর্ষদ কোনও মেধা তালিকা প্রকাশ করতে পারবে না। তারপর থেকে মামলাটির শুনানি সুপ্রিম কোর্টে চলছিল এবং একাধিকবার এই শুনানি পিছিয়ে যায়। চলতি মাসের ২২ তারিখ প্রাথমিক শিক্ষাপর্ষদের কাছে তথ্য জানতে চায় শীর্ষ আদালত। ঠিক কত শূন্য পদ রয়েছে এবং তার মধ্যে কতজন যোগ্য তার খসড়া প্যানেল আদালতে পেশ করতে নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। ঠিক তারপরেই সোমবার নিয়োগ প্রক্রিয়ার উপর থেকে স্থগিতাদেশ তুলে দিল শীর্ষ আদালত। এরপর পর্ষদ (Primary Teacher) নিয়োগ প্রক্রিয়া চালিয়ে নিয়ে যেতে পারবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: মেডিক্যালে ভর্তি-দুর্নীতির মামলা হাইকোর্ট থেকে সরল সুপ্রিম কোর্টে

    Calcutta High Court: মেডিক্যালে ভর্তি-দুর্নীতির মামলা হাইকোর্ট থেকে সরল সুপ্রিম কোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এবং বিচারপতি সৌমেন সেনের মধ্যে বেনজির সংঘাতের জল গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। গত শনিবারই সুপ্রিম কোর্টে এনিয়ে শুনানি শুরু হয়। মঙ্গলবার সকালে পাঁচ বিচারপতির বিশেষ বেঞ্চ মেডিক্যালে ভর্তি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের শুনানিতে স্থগিতাদেশ জারি করল শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম নির্দেশের ফলে হাইকোর্টের সিঙ্গল এবং ডিভিশন বেঞ্চের কোনও নির্দেশ আপাতত কার্যকর হচ্ছে না। এবার থেকে মেডিক্যালে ভর্তির সব মামলা কলকাতা হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্টে স্থানান্তরিত করা হল।

    আরও পড়ুন: এনডিএ-র নেতৃত্বে নীতীশ কুমার উজ্জ্বল বিহার গঠন করবেন, জানালেন জেপি নাড্ডা

    কী জানাল দেশের শীর্ষ আদালত?

    জানা গিয়েছে, দুই বিচারপতির (Calcutta High Court) সংঘাত সংক্রান্ত মামলার পরবর্তী শুনানি সুপ্রিম কোর্টে হবে তিন সপ্তাহ পরে। এবং এরই মধ্যে কলকাতা হাইকোর্টের মেডিক্যাল ভর্তি সংক্রান্ত যাবতীয় মামলা স্থানান্তরিত হয়ে যাবে দেশের শীর্ষ আদালতে। এদিন সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, আমরা সবদিক বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেব। এমন কিছু হবে না যাতে কলকাতা হাইকোর্টের মর্যাদা ক্ষুন্ন হয়।

    প্রসঙ্গ ২ বিচারপতির সংঘাত

    প্রসঙ্গত, কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এবং বিচারপতি সৌমেন সেনের মধ্যে নজিরবিহীন সংঘাত শুরু হয়। রাজনৈতিক নেতার মত আচরণ করছেন সৌমেন সেন এরকম মন্তব্যও করতে শোনা যায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে। রাজ্যের একাধিক মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি সংক্রান্ত দুর্নীতি বিষয়ে মামলা দায়ের করা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলা ছিল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে। মামলাতে সিবিআই নির্দেশ দেন তিনি। কিন্তু পরবর্তীকালে সেই নির্দেশকে খারিজ করে দেন ডিভিশন বেঞ্চের বিচারপতি সৌমেন সেন। পরবর্তীকালে ভরা এজলাসেই সৌমেন সেনের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ তুলতে থাকেন বিচারপতি (Calcutta High Court) অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রশ্ন করেন যে কেন সৌমেন সেনের বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট করা হবে না!

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • DY Chandrachud: “বিচারকদের উচিত সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত হওয়া”, বললেন চন্দ্রচূড়

    DY Chandrachud: “বিচারকদের উচিত সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত হওয়া”, বললেন চন্দ্রচূড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার ছিল সুপ্রিম কোর্টের ৭৫তম জন্মদিন। ১৯৫০ সালের ২৮ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠা হয় দেশের শীর্ষ আদালতের। এই উপলক্ষেই আয়োজন করা হয়েছিল মনোজ্ঞ অনুষ্ঠানের। উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় (DY Chandrachud) প্রমুখ।

    কী বললেন প্রধান বিচারপতি?

    প্রধান বিচারপতি বলেন, “বিচারকদের উচিত সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রভাব মুক্ত হওয়া।” সুপ্রিম কোর্টের ডায়মন্ড জুবিলির অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি বলেন, “স্বাধীন বিচারব্যবস্থা মানে কেবল এই নয় যে এক্সিকিউটিভ এবং লেজিসলেটিভ বেঞ্চের প্রভাবমুক্ত হওয়া, এর অর্থ বিচারকদের স্বাধীনভাবে কাজ করাও।” এর পরেই শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি বলেন, “বিচারশৈলীকে অবশ্যই সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত হতে হবে। মানুষের যেমন কোনও একটা দিকে ঝোঁক থাকে, বিচারকদের তেমন না থাকাই বাঞ্ছনীয়। বিচারকদের অবচেতন মনে যা রয়েছে, সেই দৃষ্টিভঙ্গীর পরিচয়ও প্রকাশ্যে না আসাই উচিত। রায় দানের সময় বিচারকদের লিঙ্গ, জাতি, ধর্মের কথা মাথায় না রাখাই ভালো।”

    সেরিমোনিয়াল বেঞ্চ

    সেরিমোনিয়াল বেঞ্চে ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের ৩৪ জন বিচারপতি। নেতৃত্বে ছিলেন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় (DY Chandrachud)। দেশের সব হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিরাও ছিলেন এই বেঞ্চে। অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীও। পেন্ডিং মামলা নিয়েও এদিন মন্তব্য করেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেন, “যেহেতু মামলার পাহাড় জমে যাচ্ছে, তাই বিচারব্যবস্থা সম্পর্কে জনগণের আস্থা চলে যেতে পারে। তাই আমাদের নিজেদেরই নিজেদের প্রশ্ন করা প্রয়োজন যে, আমাদের কী করা প্রয়োজন।”

    আরও পড়ুুন: মলদ্বীপে মৌষল-পর্ব, সংসদের অন্দরে ‘মল্লযুদ্ধ’, ভাইরাল ভিডিও

    তিনি জানান, সুপ্রিম কোর্টে এখনই জমে রয়েছে ৬৫ হাজার ৯১৫টি নথিভুক্ত মামলা। তিনি জানান, সাম্প্রতিক বছরগুলিতে পেন্ডিং মামলার সংখ্যা কমাতে উদ্যোগী হয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। রীতিমতো পরিসংখ্যান দিয়ে চন্দ্রচূড় জানান, ২০২৩ সালে ৪৯ হাজার ৮১৮টি মামলা নথিভুক্ত হয়েছিল। তার মধ্যে শুনানির জন্য তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল ৪১ হাজার ৫৯৪টি মামলা। বৈদ্যুতিন মাধ্যমে দায়ের করা মামলার সংখ্যাও কমেছে। প্রধান বিচারপতি (DY Chandrachud) বলেন, “আমরা প্রযুক্তি সমৃদ্ধ একটি ওয়াররুম খুলতে চলেছি। গোটা দেশের রিয়েল টাইম জুডিশিয়াল ডাটার ওপর নজর রাখতেই এটা করা হচ্ছে। সুস্বাগতম ব্যবহার করে ১.২৩ লাখ পাস তৈরি করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট সমস্ত ফাইলকে নিরাপদ পরিকাঠামোয় তুলে রাখা হবে প্রযুক্তি ব্যবহার করে।” এদিনের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন দেশের তো বটেই, বিদেশেরও অনেক বিচারক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Calcutta High Court: কলকাতা হাইকোর্টে দুই বিচারপতির বেনজির সংঘাত, বিশেষ বেঞ্চ গঠন শীর্ষ আদালতের

    Calcutta High Court: কলকাতা হাইকোর্টে দুই বিচারপতির বেনজির সংঘাত, বিশেষ বেঞ্চ গঠন শীর্ষ আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দুই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এবং বিচারপতি সৌমেন সেনের সংঘাত নিয়ে বিশেষ বেঞ্চ গঠন করল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের ওই বিশেষ বেঞ্চ শনিবার অর্থাৎ আজই শুনানি করবে বলে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, মোট পাঁচ বিচারপতিকে নিয়ে তৈরি হয়েছে ওই বিশেষ বেঞ্চ। শনিবার আদালত ছুটি রয়েছে, তবুও ওই দিনেই বসবে বিশেষ বেঞ্চ। আজ সকাল সাড়ে ১০টা থেকে শুনানি শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে।

    সংঘাতের কারণ কী 

    মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির বিষয়ে অনিয়ম সামনে আসতেই, মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি (Calcutta High Court) গঙ্গোপাধ্যায়। কিন্তু বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ সেই নির্দেশের উপর প্রথমে স্থগিতাদেশ দেয়। পরে সিবিআইয়ের দায়ের করা এফআইআর-ও খারিজ করে দেয় বিচারপতি সেনের ডিভিশন বেঞ্চ। এর পরেই ডিভিশন বেঞ্চের এই নির্দেশ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতি সেনের ডিভিশন বেঞ্চ যে নির্দেশ দিয়েছিল, তা কার্যকর হবে না বলে তখন জানিয়ে দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায়। অর্থাৎ, এই মামলায় সিবিআইকে তিনি তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে বলেন। এখানেই শুরু দয় সংঘাত।

    পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ

    কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দুই বিচারপতির সংঘাতের ঘটনায় শনিবার আদালত ছুটির দিনেও বসবে পাঁচ বিচারপতির বিশেষ বেঞ্চ। তাতে থাকবেন, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি সঞ্জীব খন্না, বিচারপতি বিআর গাভাই, বিচারপতি সূর্যকান্ত, বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় এই মামলার শুনানি।

    রাজনৈতিক নেতার মতো আচরণ করছেন বিচারপতি সেন, অভিযোগ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর নির্দেশনামায় জানিয়েছিলেন, বড়দিনের ছুটির আগে বিচারপতি সেন তাঁর চেম্বারে বিচারপতি অমৃতা সিনহাকে ডেকে পাঠান। সেখানে বিচারপতি সেন বলেন, প্রথমত, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ রয়েছে। তাঁকে বিরক্ত করা চলবে না। দ্বিতীয়ত, অমৃত সিংহের এজলাসের ‘লাইভ স্ট্রিমিং’ বন্ধ করতে হবে। তৃতীয়ত, নিয়োগ দুর্নীতির দু’টি মামলা খারিজ করতে হবে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের মতে, বিচারপতি সেন ব্যক্তিগত স্বার্থে ওই সব নির্দেশ দিয়েছেন। বৃহস্পতিবারও বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বিচারপতির সেন স্পষ্টতই একটি রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ করছেন। ওই মামলায় রাজনৈতিক স্বার্থ জড়িত থাকা ব্যক্তির মতো আচরণ করছেন বিচারপতি সেন। তিনি কয়েক জন রাজনৈতিক ব্যক্তিকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন। তাই সুপ্রিম কোর্টের উচিত তাঁর (বিচারপতি সেনের) সমস্ত নির্দেশ খারিজ করা।’’

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: সিবিআইকে শীর্ষ আদালতের নির্দেশ মনে করাল হাইকোর্ট, নিয়োগ-তদন্ত শেষ কবে?

    Calcutta High Court: সিবিআইকে শীর্ষ আদালতের নির্দেশ মনে করাল হাইকোর্ট, নিয়োগ-তদন্ত শেষ কবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরের ৯ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু ও বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদীর বেঞ্চ সিবিআইকে নিয়োগ দুর্নীতির যাবতীয় তদন্ত দু’মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই মোতাবেক দু’মাস শেষ হতে আর বাকি রয়েছে কয়েকটা দিন মাত্র। বুধবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে সেই কথা ফের একবার মনে করিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মোতাবেক আগামী বছরের ৯ জানুয়ারির মধ্যে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলার চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা তদন্তকারী সংস্থার।

    ২০ দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে হবে সিবিআইকে 

    বুধবার হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ সব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে ৯ জানুয়ারির মধ্যেই তদন্তের চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দিতে হবে হাইকোর্টে অর্থাৎ আর ২০ দিনের মধ্যে সিবিআইকে তদন্ত শেষ করতে হবে। নভেম্বরে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে দেওয়া এই নির্দেশের সময় কলকাতা হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চে যাবতীয় মামলা নিষ্পত্তি করারও সময় বেঁধে দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। এবং সে ক্ষেত্রে শীর্ষ আদালতের তরফে বলা হয় যে চূড়ান্ত রিপোর্ট কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার জমা দেওয়ার পর ছয় মাসের মধ্যে মামলার নিষ্পত্তি করতে হবে। প্রসঙ্গত, হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশ মেনেই বুধবার নিয়োগ সংক্রান্ত রিপোর্ট মুখ বন্ধ খামে আদালতে পেশ করে স্কুল সার্ভিস কমিশন। বুধবার এই রিপোর্ট পাওয়ার পরে  হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ জানায়, চাকরিহারাদের কেউ চাইলে এই মামলায় যুক্ত হতে পারেন।

    মামলার পরবর্তী শুনানি ১৫ জানুয়ারি 

    প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতির মামলার শুনানির জন্য সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তৈরি হয়েছে বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চ। সেখানেই চলছে যাবতীয় মামলার শুনানি। চলতি সপ্তাহের সোমবার স্কুল সার্ভিস কমিশনকে ভর্ৎসনা করে ডিভিশন বেঞ্চ। স্কুল সার্ভিস কমিশনের আইনজীবীকেও হাইকোর্ট জানায়, কিছু লুকোতে চাইছে এসএসসি। সোমবার তৃতীয় রিপোর্ট জমা দেয় এসএসসি, তাতে সন্তুষ্ট হয়নি উচ্চ আদালত (Calcutta High Court)। পরবর্তীকালে বুধবার স্কুল সার্ভিস কমিশন ফের রিপোর্ট জমা দিল। জানা গিয়েছে এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১৫ জানুয়ারি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Upper Primary: উচ্চ প্রাথমিকের কাউন্সেলিং বন্ধ হচ্ছে না, হাইকোর্টের নির্দেশ বহাল রাখল শীর্ষ আদালত

    Upper Primary: উচ্চ প্রাথমিকের কাউন্সেলিং বন্ধ হচ্ছে না, হাইকোর্টের নির্দেশ বহাল রাখল শীর্ষ আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোনও ভাবেই বন্ধ করা যাবে না উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের কাউন্সেলিং (Upper Primary) প্রক্রিয়া। মঙ্গলবার উচ্চ প্রাথমিকে ১৪ হাজারের বেশি শূন্য পদের নিয়োগের কাউন্সেলিং সংক্রান্ত একটি মামলায় হাইকোর্টের নির্দেশই বহাল রাখল দেশের শীর্ষ আদালত। এবার কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে কাউন্সেলিং চালিয়ে যেতে আর কোনও বাধা রইল না স্কুল সার্ভিস কমিশনের। শীর্ষ আদালতের এদিনের রায়ে উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগের ক্ষেত্রে জট অনেকটাই কাটল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। রাজ্য জুড়ে হাজার হাজার শিক্ষক পদ বর্তমানে খালি পড়ে রয়েছে। টাকার বিনিময়ে চাকরি বিক্রির অভিযোগও উঠেছে শাসক দলের বিরুদ্ধে। প্রতিটি নিয়োগ ঘিরেই তৈরি হয়েছে জট। শনিবারই ২০১৬ সালের এসএলএসটি নিয়োগের এক যোগ্য চাকরিপ্রার্থী মস্তক মুণ্ডন করেন নিয়োগের দাবিতে। এই পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবারই সামনে এল উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ নিয়ে সুপ্রিম নির্দেশ।

    কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ

    প্রসঙ্গত, উচ্চ প্রাথমিকে ২০১৬ সালের নিয়োগের ব্যাপারে মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। নানা কারণে উচ্চ প্রাথমিকের কাউন্সিলিং বন্ধ হয়ে যায়। চলতি বছরের ১৭ অক্টোবর কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ কাউন্সিলিং (Upper Primary) শুরুর নির্দেশ দেয় স্কুল সার্ভিস কমিশনকে। তবে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ শর্তও দেয় যে, কাউন্সেলিং চলবে কিন্তু কাউকে নিয়োগপত্র দেওয়া যাবে না। কলকাতা হাইকোর্টের সেই নির্দেশ মেনে ১৪ হাজারেরও বেশি পদে কাউন্সেলিং শুরু করে স্কুল সার্ভিস কমিশন।

    সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ

    কাউন্সেলিং শুরু হতেই তা বন্ধ করতে চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন উচ্চ প্রাথমিক চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। এক্ষেত্রে তাঁদের দাবি ছিল প্রথম প্যানেলে তাঁদের নাম থাকলেও নতুন প্যানেলে নাম নেই এবং অস্বচ্ছ প্যানেল তৈরি করে কাউন্সেলিং শুরু করতে চাইছে বলে অভিযোগ করেন তাঁরা। কাউন্সেলিং বন্ধ করার আবেদন জানিয়ে ৩৫ জন চাকরি প্রার্থী (Upper Primary) শীর্ষ আদালতে মামলা দায়ের করেন। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি আসাউদ্দিন আমানুল্লাহ এবং বিচারপতি হিমা কোহলির ডিভিশন বেঞ্চে সেই মামলার শুনানি ছিল। আজকেই শীর্ষ আদালত নির্দেশ দিল যে উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের কাউন্সেলিং বন্ধ করা যাবে না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Article 370: জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপ বৈধ! রায় সুপ্রিম কোর্টের, জানেন এই ধারার ইতিহাস?

    Article 370: জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপ বৈধ! রায় সুপ্রিম কোর্টের, জানেন এই ধারার ইতিহাস?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রের সঙ্গে সহমত দেশের শীর্ষ আদালত। ৩৭০ ধারা (Article 370 in Jammu and Kashmir) একটি ‘অস্থায়ী বিধান’। রাষ্ট্রপতির হাতে এটি বাতিল করার ক্ষমতা ছিল। সোমবার এমনই রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। সর্বোচ্চ আদালত আরও জানিয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীর সাংবিধানিক পরিষদ ভেঙে যাওয়ার পরেও ৩৭০ ধারা রদের বিজ্ঞপ্তি জারি করার ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির আছে। উল্লেখ্য, জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ অধিকার প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের রায়কে ‘ঐতিহাসিক’ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেছেন, এটি আশা, অগ্রগতি এবং ঐক্যের বার্তা দেয়। 

    ৩৭০ ধারা কী?

    ৩৭০ ধারা ভারতীয় সংবিধানের একটি অস্থায়ী সংস্থান (‘টেম্পোরারি প্রভিশন’)। এই ধারায় জম্মু-কাশ্মীরকে (Article 370 in Jammu and Kashmir) বিশেষ মর্যাদা ও বিশেষ স্বায়ত্তশাসন দেওয়া হয়েছিল। সংবিধানের ১১ নম্বর অংশে অস্থায়ী, পরিবর্তনশীল এবং বিশেষ সংস্থানের কথা বলা হয়েছে। সেই অনুযায়ীই জম্মু-কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়েছিল। অর্থাৎ সংবিধানের ধারাগুলি অন্য সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হলেও জম্মু-কাশ্মীরের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নাও হতে পারে।

    কবে অন্তর্ভুক্ত?

    ৩৭০ ধারা সংবিধানের অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল ১৯৪৯ সালের ১৭ অক্টোবর। এই ধারা বলে জম্মু-কাশ্মীরকে ভারতীয় সংবিধানের আওতামুক্ত রাখা হয় (অনুচ্ছেদ ১ ব্যতিরেকে) এবং ওই রাজ্যকে নিজস্ব সংবিধানের খসড়া তৈরির অনুমতি দেওয়া হয়। এই ধারা বলে ওই রাজ্যে সংসদের ক্ষমতা সীমিত। ১৯৪৭ সালে এই ৩৭০ ধারার খসড়া প্রস্তুত করেন শেখ আবদুল্লা। জম্মু-কাশ্মীরের প্রধানমন্ত্রী মহারাজা হরি সিংহ এবং জওহরলাল নেহরু তাঁকে নিয়োগ করেন। ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত জম্মু-কাশ্মীরে রাজ্যপালের জন্য সদর-এ-রিয়াসত চালু ছিল। মুখ্যমন্ত্রীর বদলে ছিল প্রধানমন্ত্রী। যদিও ১৯৬৫ সালের পর তা উঠে যায়।

    ৩৭০ ধারায় বিশেষ সুবিধা

    ৩৭০ নম্বর ধারা অনুযায়ী, ২০১৯ সালের অগাস্ট মাসের আগে পর্যন্ত প্রতিরক্ষা, বিদেশ, অর্থ এবং যোগাযোগ ছাড়া অন্য কোনও বিষয়ে জম্মু ও কাশ্মীরে হস্তক্ষেপের অধিকার ছিল না কেন্দ্রের। জম্মু ও কাশ্মীরে কোনও আইন প্রণয়নের অধিকার ছিল না সংসদেরও। আইন প্রণয়ন করতে হলে রাজ্যের সম্মতি নিতে হত। তাছাড়া আলাদা পতাকাও ছিল জম্মু ও কাশ্মীরের। ৩৭০ ধারার (Article 370 in Jammu and Kashmir) অধীনেই ছিল ৩৫এ ধারা। এই ৩৫এ ধারা অনুযায়ী কাশ্মীরের স্থায়ী বাসিন্দারাও বিশেষ সুবিধা পেতেন। স্থায়ী বাসিন্দা ছাড়া অন্য রাজ্যের কেউ সেখানে স্থাবর সম্পত্তি কিনতে পারতেন না। কিনতে হলে অন্তত ১০ বছর জম্মু-কাশ্মীরে থাকতে হত। এবার যে কোনও রাজ্যের বাসিন্দা সেখানে জমি কিনতে পারবেন।

    ৩৭০ ধারার ইতিহাস

    ১৯৪৭ সালের ২৬ শে অক্টোবর শেষ শাসক মহারাজা হরি সিং জম্মু ও কাশ্মীরকে ভারতের পক্ষে আনার ক্ষেত্রে একটি চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেছিলেন। ঠিক পরের দিন অর্থাৎ ২৭ অক্টোবর, তৎকালীন গভর্নর জেনারেল লর্ড মাউন্টব্যাটেন সেই চুক্তি অনুমোদন করেন। পুরো বিষয়টি কয়েকটি ক্ষেত্রের মধ্যেই সীমাবন্ধ ছিল। ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি, তৎকালীন রাষ্ট্রপতি রাজেন্দ্র প্রসাদ ধারা ৩৭০ অনুযায়ী প্রথম আদেশ জারি করেন। যা ছিল জম্মু এবং কাশ্মীরের জন্য। যার মাধ্যমে বেশ কিছু বিষয় স্পষ্ট করা হয় এবং যা সূচিবন্ধ করা হয়। ১৭ নভেম্বর, ১৯৫৬ সালে জম্মু-কাশ্মীরের সংবিধান হয়। ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল এবং থাকবে , সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

    আরও পড়ুন: “৩৭০ ধারা বাতিল অসাংবিধানিক নয়”, ঐতিহাসিক রায় সুপ্রিম কোর্টের

    ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার

    ২০১৯ সাল, ৫ অগাস্ট জম্মু-কাশ্মীর থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয় ৩৭০ ধারা। জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে নেয় মোদি সরকার। আর সেই মতো পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল তৈরি করা হয় জম্মু এবং কাশ্মীরকে ভেঙে। মোদি সরকারের এহেন সাহসী সিদ্ধান্ত ঘিরে প্রশ্ন ওঠে। আইনগত এবং সংবিধানিক ভাবে এই সিদ্ধান্ত কতটা বৈধ, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। কেন্দ্রের যুক্তি, দেশের সংবিধান সভা জম্মু ও কাশ্মীরকে ৩৭০ ধারায় বিশেষ মর্যাদা দিয়েছিল। কিন্তু স্বাধীন দেশে সংবিধান প্রণয়নের পর ১৯৫৭ সালে সংবিধান সভা ভেঙে দেওয়া হয়। ১৯৫০ সালে সংবিধান প্রণয়নের সময় ৩৭০ ধারায় জম্মু-কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হলেও সেই মর্যাদা স্থায়ী ছিল না, বরং ছিল ‘অস্থায়ী সংস্থান’ ওই অনুচ্ছেদের ৩ নম্বর উপধারায় বলা হয়, রাষ্ট্রপতি ইচ্ছে করলে ওই ‘বিশেষ মর্যাদা’ তুলে নিতে পারেন। রাষ্ট্রপতির ওই ক্ষমতাকে ব্যবহার করেই ২০১৯ সালে ‘বিশেষ মর্যাদা’ প্রত্যাহার করে মোদি সরকার। 

    সুপ্রিম সিদ্ধান্ত

    যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে জম্মু ও কাশ্মীরে সংবিধানের ৩৭০ ধারা (Article 370 in Jammu and Kashmir) প্রয়োগ করা হয়েছিল। তা ছিল অস্থায়ী ব্যবস্থা। চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত ছিল না। সংবিধানের ৩৫৬ ধারা মোতাবেক জম্মু ও কাশ্মীরে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হয়েছিল। তাই জম্মু কাশ্মীর থেকে কেন্দ্রের ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্তে কোনও ভুল নেই। এমনটাই জানাল সুপ্রিম কোর্ট। দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত বলল, ৩৭০ ধারা ছিল অস্থায়ী। জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পরে তাদের সার্বভৌমত্ব ভারতের কাছে সমর্পণ করেছে। কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুপ্রিম নির্দেশে অস্বস্তিতে অভিষেক

    Abhishek Banerjee: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুপ্রিম নির্দেশে অস্বস্তিতে অভিষেক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অস্বস্তি বাড়ল তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee)। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট সাফ জানিয়েছে যে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্টের যে কোনও নির্দেশে হস্তক্ষেপ করবে না শীর্ষ আদালত। এদিন শীর্ষ আদালত জানায়, বিচারপতি অমৃতা সিনহার একক বেঞ্চ ও বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশে হস্তক্ষেপ করবে না শীর্ষ আদালত। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি এসভিএন ভাট্টির ডিভিশন বেঞ্চে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) করা একটি আবেদনের শুনানি ছিল। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের করা আবেদন এদিন খারিজ করেছে শীর্ষ আদালত।

    অভিষেকের দাবি ঠিক কী ছিল? 

    প্রসঙ্গত, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। এক্ষেত্রে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের দাবি ছিল, হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চ-এর নির্দেশগুলিতে তাঁর পরিবারের উপরেও প্রভাব পড়ছে। কারণ কম সময়ের ব্যবধানে তাঁকে ১০ বছরের নথি চাওয়া হচ্ছে। আদালত ইডির তদন্তে তদারকি করছে বলেও অভিযোগ আনেন তৃণমূল সাংসদ।

    চাপ ও অস্বস্তি দুটোই বাড়ল অভিষেকের

    এই পরিপ্রেক্ষিতে ডিভিশন বেঞ্চের বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ জানায় যে অভিষেককে তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে। এর পাশাপাশি সিঙ্গেল বেঞ্চ যে এক্তিয়ারের মধ্যে থেকেই কাজ করছে সে কথাও বলে ডিভিশন বেঞ্চ। ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ ছিল, ‘‘সিঙ্গল বেঞ্চ নিজের এক্তিয়ার লঙ্ঘন করেনি। অভিষেক ওই কোম্পানিতে (লিপস অ্যান্ড বাউন্স) দু’বছর ডিরেক্টর ছিলেন। বর্তমানে অভিষেক কোম্পানির সিইও। তিনি এক জন সাংসদও। ফলে তথ্য এবং নথি প্রকাশ করলে তাতে অসুবিধার কিছু হবে না বলে মনে করে আদালত।’’ ডিভিশন বেঞ্চে তাঁর আবেদন খারিজ হলে অভিষেক (Abhishek Banerjee) দ্বারস্থ হন শীর্ষ আদালতে। শুক্রবার অভিষেকের আইনজীবী জানান, আদালতের নজরদারিতে তদন্ত করছে ইডি। সুপ্রিম কোর্ট এদিন তা খারিজ করে দেয়। এরফলে চাপ ও অস্বস্তি দুটোই বাড়ল অভিষেকের, এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Patanjali: রোগ নিরাময়ের বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন বন্ধ না করলে পতঞ্জলিকে জরিমানা, জানাল শীর্ষ আদালত

    Patanjali: রোগ নিরাময়ের বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন বন্ধ না করলে পতঞ্জলিকে জরিমানা, জানাল শীর্ষ আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে, বিভ্রান্তিকর ওষুধের বিজ্ঞাপনী প্রচার বন্ধ না করলে রামদেবের সংস্থা পতঞ্জলিকে (Patanjali) জরিমানার মুখে পড়তে হবে। আইন অনুযায়ী, রোগ নিরাময়ের জন্য কোনও রকমের ওষুধের বিজ্ঞাপন দেওয়া যায় না। এর জন্য ১৯৫৪ সালেই পাশ হয়েছিল The Drugs and Magic Remedies Act (Objectionable Advertisement)। এই আইন অনুযায়ী, বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে কোনও ব্যক্তি বা সংস্থা দাবি করতে পারবে না যে তাদের কোম্পানির ওষুধ ব্যবহার করলে নির্দিষ্ট রোগ নিরাময় হবে। অথবা যে কোনও রকমের কালাজাদুর মাধ্যমে রোগনিরাময় হবে, এমন দাবিও বেআইনি।

    ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের আবেদনের শুনানি 

    প্রসঙ্গত, ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের একটি আবেদনের শুনানি ছিল মঙ্গলবার। এখানে বিচারপতি আহসানউদ্দিন আমানুল্লাহ এবং বিচারপতি প্রশান্ত কুমার মিশ্রর ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে যে, এই ধরনের বিজ্ঞাপনী প্রচার বন্ধ না করলে পতঞ্জলির (Patanjali) প্রতিটি পণ্যের উপরে ১ কোটি টাকা করে জরিমানা করা হবে। প্রসঙ্গত লকডাউনের সময় করোনিল কিট বাজারে এনেছিল পতঞ্জলি। রামদেবের সংস্থার দাবি ছিল, এই কিট ব্যবহারে করোনা থেকে রেহাই মিলবে। তখনও পতঞ্জলির (Patanjali) বিরুদ্ধে মিথ্যা বিজ্ঞাপনী প্রচারের অভিযোগ এনেছিল আইএমএ। ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের দায়ের করা ওই পিটিশনে অভিযোগ আনা হয় যে অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসাকে টার্গেট করে এবং ছোট করে রোগ নিরাময়ের বিষয়ে মিথ্যা দাবি করে পতঞ্জলি।

    মামলার পরবর্তী শুনানি ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

    সুপ্রিম কোর্ট এদিন আরও জানিয়েছে, সংবাদপত্রে অথবা যে কোনও টিভি চ্যানেলে অপ্রমাণিত এই জাতীয় বিজ্ঞাপন দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে পতঞ্জলিকে (Patanjali)। এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে ২০২৪ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি। শীর্ষ আদালত এদিন তাদের পর্যবেক্ষণে আরও জানিয়েছে যে তাঁরা এই মামলাটিকে আয়ুর্বেদিক বনাম অ্যালোপ্যাথিক ওষুধ করতে চান না। বরং যে বিষয়ে পিটিশন দাখিল হয়েছে সেটারই সমাধান করতে চান।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • RSS: তামিলনাড়ুতে ডিএমকে সরকারের বিরোধিতা সত্ত্বেও ব্যাপক সফল সঙ্ঘের র‌্যালি

    RSS: তামিলনাড়ুতে ডিএমকে সরকারের বিরোধিতা সত্ত্বেও ব্যাপক সফল সঙ্ঘের র‌্যালি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৯৯তম প্রতিষ্ঠা বর্ষ চলছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (RSS)। ঠিক এই সময়ে সন্ত রামালিঙ্গ স্বামীগালের ২০০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে স্বামী বিবেকানন্দ এবং বি আর আম্বেদকরের ভাবাদর্শকে প্রচার করতে গত ১৯ নভেম্বর তামিলনাড়ুতে সম্পন্ন হল সঙ্ঘের রুটমার্চ। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের তামিলনাড়ু শাখার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মোট ৫৫টি স্থানে এই রুট মার্চ সম্পন্ন হয়।

    আইনি লড়াইয়ে সম্পন্ন হল সঙ্ঘের রুচ মার্চ (RSS) 

    প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (RSS) রুটমার্চে অনুমতি প্রদান করেনি তামিলনাড়ুর ডিএমকে সরকার। মামলার জল গড়ায় মাদ্রাজ হাইকোর্ট পর্যন্ত। উচ্চ আদালতের নির্দেশ ছিল যে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের রুটমার্চ অক্টোবর মাসের ২২ এবং ২৯ তারিখ সম্পন্ন করতে হবে। তবে ডিএমকে সরকার উচ্চ আদালতের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে হাজির হয়। সুপ্রিম নির্দেশে সঙ্ঘের রুটমার্চের দিনক্ষণ স্থির হয় ১৯ নভেম্বর। এই দিন সারা রাজ্যজুড়ে সঙ্ঘের শান্তিপূর্ণ এই রুটমার্চ যথেষ্ট প্রভাব ফেলতে সক্ষম হয়েছে।

    জেলায় জেলায় রুট মার্চ (RSS) 

    চেন্নাইতে হাজারেরও বেশি সংখ্যায় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (RSS) ইউনিফর্মে রাস্তায় নামেন এবং রুটমার্চে অংশগ্রহণ করেন। চেন্নাই মহানগরে প্রায় তিন কিলোমিটার অতিক্রম করে এই রুটমার্চ। শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে দু’পাশে মানুষ জড়ো হয়েছিলেন সঙ্ঘের র‌্যালি দেখতে। এর পাশাপাশি মহিলারা দাঁড়িয়ে ছিলেন সেই রুট মার্চকে স্বাগত জানাতে এবং তাঁরা স্বয়ংসেবকদের উপর পুষ্প বৃষ্টি করেন। বাজনার ধ্বনিতে, গেরুয়া পতাকা সহযোগে চলতে থাকে রুট মার্চ। চেন্নাইতে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী এল মুরুগান প্রধান অতিথি হিসেবে হাজির ছিলেন এই পথ সঞ্চালনে। রুটমার্চ সম্পন্ন হয় চেন্নাই-এর বিবেকানন্দ স্কুলে। কারাকুডি জেলায় সঙ্ঘের র‌্যালি শুরু হয় মগর ননবাই থিডাল নামক স্থানে এবং সম্পন্ন হয় থিভার স্ট্যাচুতে। এই জেলায় ৪০০-এর বেশি স্বয়ংসেবককে রুট মার্চে হাঁটতে দেখা যায়। সামনে গৈরিক ধজ নিয়ে হাঁটছিলেন আইনজীবী অরুণ স্বামীনাথন। ত্রিপুর জেলায় র‌্যালি শুরু হয় আলাঙ্গাডু নটরাজ থিয়েটার থেকে এবং তা সম্পন্ন হয় চিল্লার নগরে। নীলগিরি জেলাতে র‌্যালি শুরু হয় পান্ডালুর এরুমাডু অঞ্চল থেকে। নেতৃত্বে ছিলেন অ্যাডভোকেট ইশাক। থাঞ্জাভুর জেলাতেও র‌্যালিতে ব্যাপক উন্মাদনা চোখে পড়ে। অন্যদিকে সালাম জেলা থেকেও র‌্যালিতে পাঁচশোর বেশি কার্যকর্তা অংশগ্রহণ করেন। সালাম জেলারই ভাজাপাদি অঞ্চলে সঙ্ঘের তরুণদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। রাজ্যের সংখ্যাগরিষ্ঠ স্থানে সম্পন্ন হওয়া এই র‌্যালি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share