Tag: Supreme court

Supreme court

  • Bilkis Bano Case: বিলকিস বানো গণধর্ষণ মামলায় মুক্তি পেল দোষী সাব্যস্ত হওয়া ১১ জন

    Bilkis Bano Case: বিলকিস বানো গণধর্ষণ মামলায় মুক্তি পেল দোষী সাব্যস্ত হওয়া ১১ জন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০০২ সালের বিলকিস বানো গণধর্ষণ কাণ্ডে (Bilkis Bano Gang Rape) এগারো জন দোষীকে জেল থেকে মুক্তি দিল গুজরাট সরকার। স্বাধীনতা দিবসের দিন গোধরা জেলের বাইরে বের হল গত ১৫ বছর ধরে জেলে থাকা বন্দিরা৷ গোধরা পরবর্তী হিংসায় (Gujarat Riots 2002) বিলকিস বানোকে গণধর্ষণ ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের খুনের মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয় তাদের। ২০০৮ সালে তাদের সকলকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছিল মুম্বইয়ের বিশেষ সিবিআই আদালত।। কিন্তু গুজরাট সরকারের শাস্তি মকুবের নিয়ম (remission policy) অনুযায়ী, জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার আবেদন করে দোষীদের একজন। এবং তারই ভিত্তিতে ওই ১১ জন দোষীকে গতকাল মুক্তি দেওয়া হল।

    সূত্রের খবর, দোষীদের মধ্যে এক জন সুপ্রিম কোর্টের কাছে মুক্তির আবেদন করে। তার ভিত্তিতে গুজরাট সরকারকে বিষয়টি দেখতে বলে সুপ্রিম কোর্ট। এরপর কোর্টের নির্দেশ মতো গঠন করা হয় একটি কমিটি৷ তারপরেই গুজরাট সরকারের তরফে মুক্তির নির্দেশ দেওয়া হয়। গুজরাট সরকারের ওই কমিটির নেতৃত্বে ছিলেন পঞ্চমহলের জেলাশাসক সুজল মায়াত্রা। তিনি জানিয়েছেন, কয়েক মাস আগে কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে দোষীদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তারপরেই গুজরাট সরকারের তরফে রবিবার জানিয়ে দেওয়া হয়, দোষীদের মুক্তির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: দরিদ্র ও প্রান্তিক মানুষের কল্যাণে কাজ করাই জীবনের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত, বললেন রাষ্ট্রপতি

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০০২ সালের ২৭ ফ্রেবুয়ারি, গোধরায় সবরমতী এক্সপ্রেসে অগ্নিকাণ্ডের পর ব্যাপক সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা শুরু হয় গোটা গুজরাট জুড়ে। এরপর ৩ মার্চ বারিয়া নামক গ্রামে ভয়াবহ হামলা চালানো হয়। সেসময় গ্রামের বাসিন্দা পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বিলকিস বানো-সহ তাঁর মা-বোনকে গণধর্ষণ করা হয়। বিলকিসের চোখের সামনেই তাঁর বাকি সন্তানদের নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এর পর তাঁর পরিবারের ১৪ জন-সহ ওই গ্রামের মোট ১৭ জনকে খুনও করা হয়। কোনও রকমে প্রাণ বাঁচিয়ে পালান ছয়জন। এই ঘটনার পরেও দীর্ঘদিন এর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এরপর এই ঘটনায় ক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়। তারপর ২০০৪ সালে ওই ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। আমদাবাদে শুরু হয় শুনানি। কিন্তু সেখানে তদন্ত হলে, প্রমাণ নষ্ট করা হতে পারে বলে আশঙ্কা করেন বিলকিস। ফলে মামলাটি আমদাবাদ থেকে মুম্বইয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। তারপর সিবিআই আদালত ২০০৮ সালে ওই ১১ জনকে যাবজ্জীবনের কারাদন্ডের দেয়। গর্ভবতী মহিলাকে ধর্ষণ, হত্যা এবং বেআইনি জমায়েত ধারায় তাদের দোষী সাব্যস্ত করা হয়। প্রমাণের অভাবে ছেড়ে দেওয়া হয় অন্য সাত জনকে। আর শুনানি চলাকালীনই মৃত্যু হয় এক জনের। এরপর ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে ক্ষতিপূরণবাবদ বিলকিসকে ৫০ লক্ষ টাকা, চাকরি এবং বাড়ি দিতে হবে বলে গুজরাট সরকারকে নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। 

  • Supreme Court: যৌন জীবন নিয়ে প্রশ্ন নয়, নির্যাতিতার প্রতি সংবেদনশীল হওয়া উচিত নিম্ন আদালতের, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    Supreme Court: যৌন জীবন নিয়ে প্রশ্ন নয়, নির্যাতিতার প্রতি সংবেদনশীল হওয়া উচিত নিম্ন আদালতের, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধর্ষণ, যৌন হেনস্থার শিকার এমন নির্যাতিতার জন্য এক বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। ধর্ষণ, যৌন হেনস্থার মত অনেক ঘটনাই প্রতিনিয়ত আমাদের সামনে আসে। যাদের সঙ্গে এসব ঘটনা ঘটে, তাদের মধ্যে অনেকেই এর বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে পারে না সমাজের লোকলজ্জার ভয়ে, চাপে পড়ে। আর যারাও সাহস করে অভিযোগ দায়ের করতে যান, তাদের মধ্যে অনেকেই ন্যায়-বিচার পায় না। এছাড়াও বিচারের আশায় পুলিশ স্টেশন, আদালতে গেলে অস্বস্তিকর প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়, যার মুখোমুখি হয়ে উত্তর দেওয়ার মানসিক শক্তি অনেক মহিলারই থাকে না। তাই সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে যে, এমন ধরণের ঘটনার ক্ষেত্রে আদালতের অনেক বেশি সংবেদনশীল হওয়া উচিত। বিচার প্রক্রিয়া যাতে আরও সহানুভূতিশীল হয়, তেমনই নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।

    এক মামলার শুনানিতে শুক্রবার নিম্ন আদালতগুলিকে বেশ কিছু নির্দেশিকা দিল বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি জে বি পারদিওয়ালার ডিভিশন বেঞ্চ। এদিন ডিভিশন বেঞ্চ থেকে বলা হয়েছে, যৌন নির্যাতনের ক্ষেত্রে অভিযোগকারী বা নির্যাতিতার ক্ষেত্রে এই বিচার প্রক্রিয়া যাতে কঠিন না হয় সেদিকে বিশেষ নজর রাখতে হবে আদালতগুলিকে। ডিভিশন বেঞ্চ বলেছে, ধর্ষণের ক্ষেত্রে অনেক সময় পুলিশ এই মামলা সমাধান করতে না পারলে সেক্ষেত্রে আদালতের দায়িত্ব অনেক বেড়ে যায়।

    সুপ্রিম কোর্ট অনুযায়ী, নির্যাতিত বা নির্যাতিতার সঙ্গে কেমন ব্যবহার করা উচিত

    • যেসব মামলার ক্ষেত্রে দরকার একমাত্র সেখানেই ক্যামেরার সামনে বিচার করা যাবে।
    • আদালতকে নিশ্চিত করতে হবে, নির্যাতিতা যাতে কোনও ভাবেই অভিযুক্তকে দেখতে না পান।
    • নির্যাতিতার বয়ান নেওয়ার সময় অভিযুক্তকে আদালত কক্ষের বাইরে বের করে দিতে হবে।
    • নির্যাতিতার যৌনজীবন নিয়ে কোনও প্রশ্ন করা যাবে না। কোনও অস্বস্তিকর প্রশ্ন করা যাবে না।
    • যদি কোনও নির্যাতিতা ইতিমধ্যেই আঘাত পেয়ে থাকে, এমন ক্ষেত্রে আদালতের উচিত অভিযোগকারীকে আরও চাপ না দেওয়া এবং তদন্তের জন্য পুলিশকে দায়িত্ব দেওয়া।

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মধ্যপ্রদেশের একটি মামলার জেরেই এমন নির্দেশিকা জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট। এই মামলায় পুলিশ তেমন কোনও পদক্ষেপ নেয়নি ও নিম্ন আদালতের তরফেও বলা হয়েছিল, ওই মামলায় যথেষ্ট প্রমাণ নেই। অভিযোগকারিকেই প্রমাণ জোগাড় করতে বলা হয়েছিল। এর পরেই মহিলা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। তারপর সুপ্রিম কোর্টের তরফে বলা হয়েছে যে, যৌন হেনস্থার মতো ঘটনায় প্রমাণ জোগাড় ও তদন্তের ক্ষেত্রে এর দায়ভার পুলিশকেই নিতে হবে।

     

  • Talaq-e-Hasan: তালাক-এ-হাসান আর তিন তালাক এক নয়, অভিমত সুপ্রিম কোর্টের! জানেন এর পার্থক্য

    Talaq-e-Hasan: তালাক-এ-হাসান আর তিন তালাক এক নয়, অভিমত সুপ্রিম কোর্টের! জানেন এর পার্থক্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিন তালাকের (Tin Talaq) মতো নয় তালাক-এ-হাসান (Talaq-e-Hasan) । এর অনুশীলন অতটাও ‘অনুচিত’ বা ‘বেঠিক’ নয়। প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে এমনই মত সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court)। শীর্ষ আদালতের তরফে বলা হয়, এই বিষয়টিকে মহিলাদের অ্যাজেন্ডা করা উচিত নয়। কারণ, মহিলাদেরও জন্যও বিকল্প খোলা আছে।

     
     
    এই তালাক-এ-হাসান প্রথারই অনুশীলন বন্ধের আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সাংবাদিক বেনজির হিনা। তাঁর বক্তব‌্য ছিল– এই প্রথা ইসলাম এবং ভারতীয় সংবিধান, উভয়েরই বিরোধী। এই প্রথা মানবাধিকার লঙ্ঘন করার পাশাপাশি লিঙ্গ বৈষম্যকেও প্রশ্রয় দেয়। অ্যাডভোকেট অশ্বিনী কুমার দুবের মাধ্যমে সাংবাদিক বেনজির হিনার দায়ের করা পিটিশনে দাবি করা হয় যে, এই প্রথা অসাংবিধানিক। কারণ এটি অযৌক্তিক, স্বেচ্ছাচারী এবং সংবিধানের ১৪, ৫১, ২১ এবং ২৫ নম্বর অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন। এটি একতরফা বিচার বহির্ভূত তালাক।
     
    সেই আবেদনেরই প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় কিষান কৌলে এবং এমএম সুন্দ্রেশের একটি বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ– ‘‘প্রাথমিকভাবে খতিয়ে দেখতে হলে তালাক-এ-হাসান অতটাও বেঠিক প্রথা নয়। আমরা চাই না, অকারণে এটা নিয়েও অ‌্যাজেন্ডা তৈরি করা হোক।’’ আবেদনকারী  সাংবাদিক হিনা এই মত মানতে নারাজ। তাঁর বক্তব্য, তিনি নিজেই তালাক-এ-হাসান পদ্ধতির বিচ্ছেদের শিকার হয়েছেন। মামলার পরবর্তী শুনানি ২৯ আগস্ট।
     
     
  • FIFA ban: কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রকের হস্তক্ষেপে উঠতে পারে ফিফার নির্বাসন! জানুন কী বলল শীর্ষ আদালত

    FIFA ban: কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রকের হস্তক্ষেপে উঠতে পারে ফিফার নির্বাসন! জানুন কী বলল শীর্ষ আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘোর অনিশ্চয়তায় ভারতীয় ফুটবল (Indian Football)। ফিফার (FIFA) নির্বাসন নিয়ে বৃহস্পতিবার দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সোমবার পর্যন্ত তা স্থগিত হয়ে যায়। সোমবার রাতে ফিফার পক্ষ থেকে নির্বাচনের নোটিশ পাওয়ার পর শীর্ষ আদালতের দারস্থ হয়েছিল সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন (AIFF)। এই মামলা দ্রুত শুনানির আবেদন জানায় কেন্দ্র সরকারও।

    বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, এ এস বোপান্না এবং জেবি পাড্রি ওয়ালার বেঞ্চে ফিফার নির্বাচন সংক্রান্ত মামলাটি শুনানির জন্য ওঠে। সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা আদালতকে জানান, “সমস্যা সমাধানের জন্য বিশ্ব ফুটবলের নিয়ামক সংস্থার সঙ্গে কথাবার্তা চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রক। আলোচনার ফল কি দাঁড়াচ্ছে তা জানার জন্য আমাদের কয়েকদিন অপেক্ষা করা উচিত। তাই সোমবার পর্যন্ত এই মামলার শুনানি পিছিয়ে দেওয়া উচিত।” তুষার মেহতার আবেদনে সারা দিয়ে শীর্ষ আদালত ২২ শে অগাস্ট সোমবার পর্যন্ত শুনানি স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত জানায়।

    আরও পড়ুন: ভারতীয় ফুটবলকে নির্বাসনে পাঠাল ফিফা, কী হবে সুনীল ছেত্রীদের ভবিষ্যৎ?

    তুষার মেহতা আরও জানান, ফিফা কর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত তিন সদস্যের প্রশাসক কমিটি। এখনও পর্যন্ত দুদফা কথাবার্তা হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ তাই সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রকের সদর্থক ভূমিকায় আশা করা যায় সমস্যা দ্রুত মিটবে।

    আরও পড়ুন: এএফসি চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রাত্য কেরলের মহিলা ফুটবল দল! প্রধানমন্ত্রীকে আবেদন

    সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনে দীর্ঘদিন নির্বাচন হয়নি। সংস্থার সভাপতি পদে বছরের পর বছর ছিলেন প্রফুল্ল প্যাটেল। সম্প্রতি তাঁকে পদত্যাগ করতে হয়। সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত তিন সদস্যের প্রশাসক কমিটি ফেডারেশনের কাজকর্ম চালাচ্ছিলেন। নতুন সংবিধান মেনে ২৮ অগাস্ট ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের নির্বাচন হওয়ার কথা। কিন্তু তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপের অজুহাত দেখিয়ে ফিফা যেভাবে ভারতকে কালো তালিকা ভুক্ত করেছে তা মোটেও গ্রহণযোগ্য নয় বলে অভিমত বিশেষজ্ঞদের। 

  • SC on Freebies: খয়রাতি নয়, মর্যাদার সঙ্গে রোজগার করাই বেশি পছন্দ ভোটারদের, মত সুপ্রিম কোর্টের

    SC on Freebies: খয়রাতি নয়, মর্যাদার সঙ্গে রোজগার করাই বেশি পছন্দ ভোটারদের, মত সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিনামূল্যে পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতির (Freebies) তুলনায় ভোটাররা (Voters) মর্যাদার সঙ্গে রোজগার করতেই বেশি পছন্দ করেন। একশো দিনের কাজ প্রকল্প সহ বিভিন্ন জনকল্যাণ মূলক কাজের মাধ্যমেই ভোটাররা রোজগার করতে পছন্দ করেন। বুধবার একথাই জানাল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)।

    ক্ষমতায় আসতে প্রতিটি নির্বাচনের আগে প্রতিশ্রুতির (Election Freebies) বন্যা বইয়ে দেয় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। এর মধ্যে থাকে নিখরচায় নানা পরিষেবা পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও। এ নিয়ে কটাক্ষ করেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও (Modi)। বিষয়টিকে ‘গুরুতর’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে দেশের শীর্ষ আদালতও। সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হওয়া একটি জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি এনভি রমানার (NV Ramana) নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ সম্প্রতি তাদের পর্যবেক্ষণে বলেছে, জনকল্যাণ কর্মসূচি আর বিনামূল্যে দেওয়া এক বিষয় নয়। বিজেপি ঘনিষ্ঠ জনৈক অশ্বিনী উপাধ্যায়ের দায়ের করা জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি বলেছিলেন, যাঁরা বিনামূল্যে পাচ্ছেন, তাঁরা তা পেতে চান। আবার অনেকে বলেন, তাঁদের করের টাকা প্রকৃত উন্নয়নমূলক কর্মসূচিতে ব্যবহার করতে হবে।

    আরও পড়ুন : খয়রাতির রাজনীতি বন্ধ হওয়া প্রয়োজন, মত সুপ্রিম কোর্টের

    এদিন ওই মামলায় প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে গঠিত ওই বেঞ্চ জানায়, নিখরচায় নানা পরিষেবা পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েও ভোটে হেরে গিয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, এমন উদাহরণও রয়েছে। প্রধান বিচারপতি বলেন, আমি মনে করি না ভোটাররা নিখরচায় নানা পরিষেবা পেতে চান। সুযোগ পেলে তাঁরা সম্মানজনকভাবে রোজগার করতেই চাইবেন। যেমন একশো দিনের কাজ। এই প্রকল্পে গ্রামীণ এলাকায় সম্পদও সৃষ্টি হবে। তাই আমি বিশ্বাস করি না যে নিখরচায় পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি কোনও ফল দেয়। এর পরেই তিনি বলেন, নিখরচায় পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েও ভোটে হেরে গিয়েছেন অনেক রাজনৈতিক দল, এমন উদাহরণও রয়েছে।

    আরও পড়ুন : ভোটারদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় অর্থনীতি, জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    আদালত জানায়, তাদের প্রাথমিক বিবেচ্য বিষয় হল, জনগণের টাকা ঠিকঠাক খরচ হচ্ছে কিনা। আদালত জানিয়ে দিয়েছে, নিখরচায় পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিতে যা খরচ করা হয়, তা আদতে জনগণেরই টাকা। বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, দিনের শেষে নিখরচায় কোনও আহার জুটবে না। এদিন আরও একবার প্রধান বিচারপতি মনে করিয়ে দেন, জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের সঙ্গে নিখরচায় পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিকে গুলিয়ে ফেলা ঠিক নয়।

  • Justice DY Chandrachud: সহনশীল হও, তবে ‘হেট স্পিচ’কে স্বীকৃতি দিও না! জানুন কী বললেন বিচারপতি চন্দ্রচূড়

    Justice DY Chandrachud: সহনশীল হও, তবে ‘হেট স্পিচ’কে স্বীকৃতি দিও না! জানুন কী বললেন বিচারপতি চন্দ্রচূড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অন্যের মতামত গ্রহণ এবং সহনশীল হওয়ার অর্থ এই নয় যে একজনকে ঘৃণামূলক বক্তব্যও (Hate Speech) মেনে নিতে হবে। সম্প্রতি এমনই অভিমত ব্যক্ত করলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় (dy chandrachud)। গুজরাটের গান্ধীনগরে গুজরাট ন্যাশনাল ল ইউনিভার্সিটির (GNLU) সমাবর্তন অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি। স্নাতক শিক্ষার্থীদের তাঁদের “নিজের বিবেক এবং ন্যায়সঙ্গত কারণ” দ্বারা পরিচালিত হওয়ার আহ্বান জানান চন্দ্রচূড়। স্নাতকস্তরের আইনি পড়ুয়াদের তিনি  বলেন, ”নিজের বিবেক এবং নিরপেক্ষ যুক্তির উপর ভিত্তি করে চলতে হবে।”

    সম্প্রতি সোশাল মিডিয়ার বিভিন্ন পোস্ট নিয়ে দেশজুড়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে ৷ “সামাজিক মাধ্যমে মানুষের মনোযোগ সীমাবদ্ধ ৷ এটাও মনে করিয়ে দেয় যে, আমরা এমন অনেক কাজ করি, যার দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব রয়েছে ৷ প্রতিদিনের ঝঞ্ঝাট নিয়ে দুশ্চিন্তা করা উচিত নয়”, বলেন দেশের ভাবী প্রধান বিচারপতি ৷ উল্লেখ্য, দেশের প্রধান বিচারপতি এন ভি রামানা অবসর নিলে বিচারপতি ইউইউ ললিত প্রধান বিচারপতি হবেন ৷ তারপর বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের সেই আসনে বসার কথা ৷

    আরও পড়ুন: স্থায়ী রাজ্যপাল নেই, স্বাধীনতার ৭৫ বছরে রাজভবনের অ্যাট-হোম কি বাতিল?

    তিনি ফরাসি দার্শনিক ভলতেয়ারের (Voltaire) একটি উক্তি তুলে বলেন, “তুমি যা বলছো, আমি তা নাও মানতে পারি ৷ কিন্তু তোমার বলার অধিকারের জন্য আমি মৃত্যু পর্যন্ত লড়ব ৷” এই উদ্ধৃতিটি নিজেদের জীবনে কার্যকর করতে বলেন সর্বোচ্চ আদালতের বিচারপতি ৷ ভুল করা, কোনও কারণ ছাড়া নিজেকে গ্রহণযোগ্য ও সহনীয় করে তোলার অর্থ অন্ধের মতো আচরণ ৷ এর মানে এটা নয় যে, হেট স্পিচের বিরুদ্ধে গলা তোলা যাবে না, জানান বিচারপতি ৷

    বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে “বাড়তে থাকা কোলাহল এবং সংখ্যাগরিষ্ঠের রাজনৈতিক ধন্দ, সামাজিক এবং নৈতিক সংঘাতে”র মধ্যে গিয়ে পড়বেন তাঁরা ৷ সেখানে তাঁদের নিজের বিবেক, বিচারবুদ্ধি দিয়ে চলতে হবে, ভবিষ্যৎ আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে বার্তা বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের ৷

     

  • Pegasus Spyware: পেগাসাস বিতর্কে স্বস্তি কেন্দ্রের! মাত্র ৫টি ফোনে ম্যালওয়ারের অস্তিত্ব মত শীর্ষ আদালতের

    Pegasus Spyware: পেগাসাস বিতর্কে স্বস্তি কেন্দ্রের! মাত্র ৫টি ফোনে ম্যালওয়ারের অস্তিত্ব মত শীর্ষ আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পেগাসাস মামলায় সুপ্রিম কোর্টে রিপোর্ট পেশ করল বিশেষজ্ঞ কমিটি। ফোনে আড়িপাতা সংক্রান্ত মামলায় বিশেষজ্ঞ কমিটির দেওয়া রিপোর্টে বলা হয়, কমিটি যে ২৯টি ফোন পরীক্ষার জন্য নিয়েছিল, তার মধ্যে ৫-টিতে মিলেছে সন্দেহজনক ম্যালওয়ারের অস্তিত্ব। তবে তা পেগাসাস স্পাইওয়্যার কিনা তার নিশ্চিত প্রমাণ মেলেনি।

    পেগাসাস ইস্যুতে লোকসভা থেকে রাজ্যসভা-সহ একাধিক জায়গায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিলেন বিরোধীরা। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণে কিছুটা স্বস্তি পেল কেন্দ্র। সুপ্রিম কোর্টের মনোনীত কমিটি জানিয়েছে, জমা দেওয়া ২৯টি মোবাইল ফোন পরীক্ষা করা হয়েছিল। মাত্র পাঁচটি ফোনেই ম্যালওয়ার পাওয়া গিয়েছে। তবে তা আদৌ পেগাসাস কি না তার কোনও প্রমাণ মেলেনি। বৃহস্পতিবার এমনটাই জানিয়েছেএদিন প্রধান বিচারপতি এন ভি রমণ নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ।

    আরও পড়ুন: ৯ অগাস্ট থেকে সুপ্রিম কোর্টে ২৫টি সাংবিধানিক বেঞ্চের মামলার শুনানি শুরু

    এদিকে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতাকে উদ্দেশ্য করে বিচারপতি এন ভি রমণ জানিয়েছেন, কমিটির দাবি অনুযায়ী এই তদন্তে কেন্দ্রীয় সরকার সহযোগিতা করেনি। এই কমিটি পেগাসাস ইস্যুতে তদন্তের পর একটি রিপোর্ট পেশ করেছে। সেই রিপোর্ট যাচাই করা হচ্ছে সুপ্রিম কোর্টের তরফে। তিনটি ভাগে এই রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে। দুটি রিপোর্ট টেকনিক্যাল কমিটির। বাকি একটি রিপোর্ট সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি আরভি রবীন্দ্রণের তদারকি কমিটির। এই তৃতীয় রিপোর্টটি সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে আপলোড করা হবে বলেও জানিয়েছেন রমণ। তবে কিছু আবেদনকারী বাকি দুটি রিপোর্ট প্রকাশের কথা বলেন। সেই বিষয়ে ভেবে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। আপাতত চার সপ্তাহের জন্য এই মামলার মুলতুবি ঘোষণা করা হয়েছে।

    প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের সালের জুলাই মাসে বিশ্বব্য়াপী অনুসন্ধান মূলক একটি তদন্তে দেখা যায় যে, পেগাসাস, একটি শক্তিশালী স্পাইওয়্যার যা ইসরায়েলি সাইবারসিকিউরিটি কোম্পানি এনএসও গ্রুপ দ্বারা তৈরি করা হয়েছে। এই স্পাইওয়্যারকে কাজে লাগিয়ে ভারত সহ বিভিন্ন দেশে প্রতিষ্ঠিত একাধিক ব্যক্তির মোবাইলে আড়িপাতা হয়েছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Supreme Court on Freebies: খয়রাতির রাজনীতি বন্ধ হওয়া প্রয়োজন, মত সুপ্রিম কোর্টের

    Supreme Court on Freebies: খয়রাতির রাজনীতি বন্ধ হওয়া প্রয়োজন, মত সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্ষমতায় আসতে ফি নির্বাচনের আগে প্রতিশ্রুতির বন্যা বইয়ে দেয় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। এর মধ্যে থাকে নিখরচায় নানা পরিষেবা পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি। এ নিয়ে কটাক্ষ করেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও (PM Modi)। এবার বিষয়টিকে ‘গুরুতর’ হিসেবে চিহ্নিত করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। দেশের শীর্ষ আদালতে দায়ের হওয়া একটি জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি এনভি রমানার (NV Ramana ) নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ বৃহস্পতিবার তাদের পর্যবেক্ষণে বলেছে, জনকল্যাণ কর্মসূচি আর বিনামূল্যে দেওয়া (Freebies) এক বিষয় নয়।

    বিজেপি ঘনিষ্ঠ জনৈক অশ্বিনী উপাধ্যায়ের দায়ের করা জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি বলেন, যাঁরা বিনামূল্যে পাচ্ছেন, তাঁরা তা পেতে চান। আবার অনেকে বলেন, তাঁদের করের টাকা প্রকৃত উন্নয়নমূলক কর্মসূচিতে ব্যবহার করতে হবে। তাই দু পক্ষের বক্তব্যই শোনা প্রয়োজন। এদিকে, পলিটিক্যাল ফ্রিবিজ নিয়ে নিয়ম নির্ধারণ করতে আদালতকে অনুরোধ করল কেন্দ্র। তার প্রেক্ষিতে সরকারি কোষাগারের খয়রাতি বন্ধের বিষয়ে একটি কমিটি গঠন করার কথা বলেছে ওই বেঞ্চ।

    আরও পড়ুন : মোদিকেই ফের প্রধানমন্ত্রী পদে দেখতে চাইছে তামাম ভারত!

    দেশের শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ তার পর্যবেক্ষণে বলেছে, ভারতের মতো দেশে এখনও দারিদ্র রয়েছে। তাই ক্ষুধার্তদের খাদ্য দেওয়ার মতো কর্মসূচি প্রয়োজন। কিন্তু বিনামূল্যে পাইয়ে দেওয়ার প্রবণতা যাতে দেশের অর্থনীতির ক্ষতি করতে না পারে, সেদিকেও নজর দেওয়া প্রয়োজন। দরকার খয়রাতির রাজনীতি বন্ধ করা। আদালতের তরফে এও বলা হয়, সুবিধাবঞ্চিতদের আর্থ-সামজিক কল্যাণমূলক পরিকল্পনাগুলিকে বিনামূল্যের পরিষেবা বলা যায় না। সমাজের কিছু মানুষকে নিখরচায় বিদ্যুৎ, জল এবং পরিবহণের সুবিধা দেওয়া প্রয়োজন। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১৭ অগাস্ট।

    আরও পড়ুন : ভোটারদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় অর্থনীতি, জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    দোরগোড়ায় গুজরাট বিধানসভা নির্বাচন। গত মাসেই আম আদমি পার্টি সুপ্রিমো তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল গুজরাতে গিয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, আপ ক্ষমতায় এলে তাঁরা বিনামূল্যে ৩০০ ইউনিট বিদ্যুৎ দেবেন। বকেয়া বিলে ছাড় দেওয়ার পাশাপাশি গোটা রাজ্যে দেওয়া হবে ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ পরিষেবা। একই প্রতিশ্রুতি দিয়ে পাঞ্জাবের ক্ষমতা দখল করেছে অরবিন্দের পার্টি।

     

  • Chief Justice of India: উত্তরসূরির নাম সুপারিশ করলেন এনভি রমানা, কে হবেন প্রধান বিচারপতি?   

    Chief Justice of India: উত্তরসূরির নাম সুপারিশ করলেন এনভি রমানা, কে হবেন প্রধান বিচারপতি?   

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁর উত্তরসূরি হিসেবে সরকারের কাছে বিচারপতি উদয় উমেশ ললিতের (UU Lalit) নাম সুপারিশ করলেন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি এনভি রমানা (NV Ramana)। রমানা অবসর নেবেন চলতি মাসের ২৬ তারিখে। তাই তাঁর উত্তরসূরির নামের সুপারিশ চেয়ে চিঠি পাঠানো হয় ভারতের প্রধান বিচারপতিকে (CJI)। সেই চিঠির জবাবেই বিচারপতি ললিতের নাম সুপারিশ করেন রমানা।

    প্রথা অনুযায়ী, সুপ্রিম কোর্টের সব চেয়ে প্রবীণ বিচারপতিই বসেন প্রধান বিচারপতির চেয়ারে। সেই মতো ললিতই হলেন রমানার পরে সব চেয়ে প্রবীণ বিচারপতি। রমানার প্রস্তাব  আইনমন্ত্রী অনুমোদন করলে দেশের ৫৯তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেবেন ললিত। তবে এই পদে তিনি থাকবেন মাত্র ৭৪ দিন। ওই পদে তাঁকে বসানো হলে অবসর গ্রহণের দিন হবে ৮ নভেম্বর। তাঁর পরে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের ওই পদে বসার কথা।

    আরও পড়ুন : ভোটারদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় অর্থনীতি, জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    প্রসঙ্গত, বিচারপতি হিসেবে ললিতই হবেন দেশের দ্বিতীয় প্রধান বিচারপতি যিনি বার কাউন্সিল থেকে সরাসরি সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চে যাবেন। তাঁর আগে এভাবে প্রধান বিচারপতির পদ অলঙ্কৃত করেছিলেন বিচারপতি এসএম সিক্রি। ১৯৭১ সালের জানুয়ারি মাসে দেশের ১৩তম প্রধান বিচারপতি পদে বসেছিলেন।

    আইনজীবী হিসেবে বম্বে হাইকোর্টে প্র্যাকটিস শুরু করেন ললিত। পরে চলে আসেন দেশের শীর্ষ আদালতে। এখানেই একের পর এক সাড়া জাগানো মামলায় অংশ নেন তিনি। সিবিআইয়ের হয়ে টু-জি স্পকট্রাম মামলায় স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর হয়েছিলেন ললিত। ২০১৪ সালের ১৩ অগাস্ট সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ করা হয় ললিতকে। তাঁর বাবা বিচারপতি ইউআর ললিত ছিলেন প্রবীণ অ্যাডভোকেট এবং দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি। তাঁর উল্লেখযোগ্য রায়গুলি মধ্যে রয়েছে তিন তালাককে অসাংবিধানিক ঘোষণা। অযোধ্যার বাবরি মসজিদ মামলা থেকেও নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন তিনি। বম্বে হাইকোর্টের বিতর্কিত স্কিন টু স্কিন রায় খারিজ করে দেন ললিতের বেঞ্চ।

    আরও পড়ুন : উপাসনাস্থল আইনের বিরোধিতায় নতুন কোনও আবেদন নয়, জানাল সুপ্রিম কোর্ট

  • Supreme Court on Freebies: ভোটারদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় অর্থনীতি, জানাল সুপ্রিম কোর্ট 

    Supreme Court on Freebies: ভোটারদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় অর্থনীতি, জানাল সুপ্রিম কোর্ট 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফি বার নির্বাচনের আগে ভোটারদের নিখরচায় নানা সুবিধা (Freebies) দেওয়ার কথা ঘোষণা করে রাজনৈতিক দলগুলি (Political Parties)। তাদের এহেন ঘোষণায় আদতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় দেশের অর্থনীতি, বুধবার এমনটাই জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। দেশের শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, এই বিষয়টি বিশদে বিবেচনা করার জন্য প্রয়োজন কমিটি গঠন করার। রিজার্ভ ব্যাংক (Reserve Bank), নীতি আয়োগ, অর্থ কমিশন ছাড়াও সরকার এবং বিরোধী দলগুলিকে নিয়ে গঠন করতে হবে ওই কমিটি। তারাই খতিয়ে দেখবে বিষয়টি। এদিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন প্রবীণ আইনজীবী কপিল সিবাল। তাঁকেও পরামর্শ দেওয়ার অনুরোধ জানান প্রধান বিচারপতি এনভি রামানা। দেশের প্রধান বিচারপতি বলেন, বিনামূল্যে সুবিধা প্রদানের কথা বলে আদতে লাভবান হয় প্রতিটি রাজনৈতিক দলই।

    কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে দায়ের করা একটি মামলায় বলা হয়েছিল, নির্বাচনের আগে ভোটারদের সমর্থন পেতে বিনামূল্যে পরিষেবা দেওয়ার কথা ঘোষণা করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। তাদের দেওয়া সেই নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির জেরে প্রভাবিত হন ভোটাররা। ক্ষমতার আসার পর প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে গিয়ে নেমে আসে আর্থিক বিপর্যয়। এ ব্যাপারে সরকার কিছু করতে পারে না। এ ব্যাপারে পদক্ষেপ করতে হবে নির্বাচন কমিশনকেই।

    আরও পড়ুন : ‘অযৌক্তিক’ নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দেওয়া বন্ধে উদ্যোগী হল সুপ্রিম কোর্ট

    এই মামলায় সরকারের প্রতিনিধিত্ব করছেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। তিনি বলেন, এভাবে (বিনামূল্যে সামগ্রী বিতরণ) আমরা অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের দিকে যাচ্ছি। তিনি বলেন, এসব জনপ্রিয় প্রতিশ্রুতি ভোটারদের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে।

    সরকারের এই বক্তব্যের পরে দেশের শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি রামানা বলেন, ভারতের সব করদাতা মনে করেন উন্নয়নূলক কাজে ব্যয় করার জন্য তাঁরা সরকারকে কর দেন। কিন্তু তাঁদের মতামত প্রকাশ করা এবং আলোচনা করার জন্য একটি ফোরাম তৈরি করা প্রয়োজন। এর পরেই তিনি বলেন, মানুষকে বিনামূল্যে সুবিধা দেওয়ার কথা বলে আসলে লাভবান হয় রাজনৈতিক দলগুলি।

    আরও পড়ুন : পাইয়ে দেওয়ার রাজনীতি থেকে দূরে থাকুন, সতর্ক করলেন প্রধানমন্ত্রী

    প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই উত্তর প্রদেশে গিয়ে বিনামূল্যে সুবিধা দেওয়ার বিষয়টির তীব্র সমালোচনা করেছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন দেশের শীর্ষ আদালতের রায় প্রধানমন্ত্রীর সেই বক্তব্যকেই সমর্থন করছে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।

     

LinkedIn
Share