Tag: Supreme court

Supreme court

  • Noida Twin Tower: নয়ডায় ট্যুইন টাওয়ারের সেই জমিতে ফের বহুতল সুপারটেকের? আদালতে যাবেন বাসিন্দারা

    Noida Twin Tower: নয়ডায় ট্যুইন টাওয়ারের সেই জমিতে ফের বহুতল সুপারটেকের? আদালতে যাবেন বাসিন্দারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নির্দেশে ভাঙা হয়েছে দিল্লির উপকণ্ঠে নয়ডার (Noida) সেই ট্যুইন টাওয়ার (Twin Tower)। তার পর কেটে গিয়েছে এক সপ্তাহ। এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি যেখানে এক সময় ট্যুইন টাওয়ার গড়ে উঠেছিল, সেখানে এবার কী হবে?  বেআইনিভাবে জোড়া ওই টাওয়ার বানিয়েছিল সুপারটেক (Supertech) নামে এক সংস্থা। এই সংস্থা চায়, ওই জায়গায় ফের নতুন করে হাউজিং প্রজেক্ট গড়ে তুলতে। তবে এমারেল্ড কোর্টস (যে চত্বরে জোড়া টাওয়ার ছিল) রেসিডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন (Emerald Court’s Residents’ Association) সাফ জানিয়ে দিয়েছে, সুপারটেক যদি ফের ওই জায়গায় হাউজিং প্রজেক্ট গড়ে তুলতে চায়, তাহলে তারা আবারও দ্বারস্থ হবে আদালতের। এমারেল্ড কোর্টস রেসিডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের তরফে উদয়ভান সিংহ টিওটিয়া (Uday Bhan Singh Teotia) বলেন, নির্মাতা সংস্থা এমন কিছু করে কিনা, তা আমরা লক্ষ্য রাখছি। যদি প্রয়োজন হয়, তবে আমরা আদালতে যাব।

    নয়ডার সেক্টর ৯৩এ-তে সুপারটেক তৈরি করেছিল জোড়া টাওয়ার। নাম দেওয়া হয়েছিল অ্যাপেক্স (Apex) ও সিয়ানে (Ceyane)। অ্যাপেক্সে ছিল ৩২টি ফ্লোর, আর সিয়ানে ছিল ২৯টি। দেশের উচ্চতম বহুতল এই জোড়া টাওয়ার। দুটি টাওয়ারে ছিল ৯১৫টি ফ্ল্যাট, ২১টি দোকান এবং দুটি বেসমেন্ট। জোড়া এই বহুতল দিল্লির কুতুব মিনারের চেয়েও উঁচু ছিল। জোড়া ওই টাওয়ার বেআইনিভাবে গড়ে তোলা হয়েছিল বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। এর পর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সপ্তাহখানেক আগে ভেঙে ফেলা হয় ওই জোড়া টাওয়ার।

    আরও পড়ুন : মাত্র ৯ সেকেন্ডেই ধূলিসাৎ নয়ডার সেই টুইন টাওয়ার!

    জানা গিয়েছে, জোড়া টাওয়ারের ওই জমিতে কী করা হবে, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করতে শীঘ্রই আলোচনায় বসতে চলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ওই জমিতে মন্দির গড়ার প্রস্তাব নিয়েও আলোচনা হতে পারে। উদয়ভান বলেন, এতে কোনও সন্দেহ নেই যে আমরা ওখানে একটি পার্ক বানাব। আরও কিছু প্রস্তাব এসেছে। কেউ কেউ মন্দির নির্মাণের প্রস্তাবও দিয়েছেন। কয়েক দিনের মধ্যেই আমরা আলোচনায় বসতে চলেছি। সেখানেই সিদ্ধান্ত হবে, ওই জমিতে কী করা যায়। যদিও সুপারটেক চেয়ারম্যান আরকে অরোরা জানান, ওই জমিতে হাউজিং প্রজেক্ট গড়ে তুলব। প্রয়োজনে স্থানীয়দের অনুমতি নেব।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
  • Supreme Court: মাত্র ৪ দিনেই নিষ্পত্তি প্রায় ১৩০০ মামলার, জানালেন সুপ্রিম কোর্টের নয়া প্রধান বিচারপতি

    Supreme Court: মাত্র ৪ দিনেই নিষ্পত্তি প্রায় ১৩০০ মামলার, জানালেন সুপ্রিম কোর্টের নয়া প্রধান বিচারপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাজ হয়েছে মাত্র চারদিন। এই চারদিনেই নিষ্পত্তি হয়েছে হাজারেরও বেশি মামলার। যে চারদিনে এতগুলি মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে, সেই সময় সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতির (CJI) পদে রয়েছেন উদয় উমেশ ললিত।  গোটা দেশ যাঁকে চেনে ইউইউললিত (UU Lalit) নামে।

    সপ্তাহ খানেক আগেই সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি পদে অবসর নিয়েছেন এনভি রামানা (NV Ramana)। তিনিই তাঁর উত্তরসূরি হিসেবে প্রস্তাব করেছিলেন ইউইউললিতের নাম। দেশের তৎকালীন প্রধান বিচারপতির প্রস্তাবিত নামে সিলমোহর দেন রাষ্ট্রপতি। রামানা অবসর নিলে দেশের প্রধান বিচারপতি পদে বসেন ললিত। তাঁর কার্যকালের মেয়াদ মাত্রই ৭৪ দিন। নিয়ম অনুযায়ী, ৬৫ বছর বয়সে অবসর নিতে হয় সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে। সেই বিধির জেরেই ললিতের কার্যকালের মেয়াদ এত কম। কম সময়েই যে তিনি বিপুল কাজ করতে চান, শপথ গ্রহণের দিনই তা স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন আইনি পেশায় তিন প্রজন্ম ধরে থাকা পরিবারের সদস্য ললিত। সেদিন তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, দেশের শীর্ষ আদালতে প্রতিদিন যাতে আরও বেশি করে মামলার শুনানি হয়, তার ব্যবস্থা করবেন।

    ললিত শপথ নেওয়ার পরে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হল বার কাউন্সিলর অফ ইন্ডিয়ার তরফে। ওই অনুষ্ঠানে দেশের প্রধান বিচারপতি ললিত জানান, তাঁর নির্দেশে তালিকা তৈরি ও শুনানির নয়া ব্যবস্থা লাগু হয়েছে, তার জেরেই মিলেছে সুফল। দেশের প্রধান বিচারপতি বলেন, শেষ চারদিনে দেশের শীর্ষ আদালতে কী ঘটেছে, আমি তা আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করতে চাই। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পরে পড়ে থাকা প্রচুর মামলার মধ্যে থেকে তালিকা প্রস্তুত করছি। সেই মতো চলছে শুনানি।

    আরও পড়ুন : মুসলিমদের বহুবিবাহ, নিকাহ হালালা কি বৈধ? মানবাধিকার কমিশনের মতামত চাইল সুপ্রিম কোর্ট

    এর পরেই তিনি বলেন, শেষ চার দিনে দেশের শীর্ষ আদালতে নিষ্পত্তি হয়েছে ১২৯৩টি মামলার। এর মধ্যে ৪৯৩টি বিভিন্ন মামলার নিষ্পত্তি হয়েছিল ২৯ অগাস্ট, তাঁর প্রথম কাজের দিনে। শুক্রবার নিষ্পত্তি হয়েছে ৩১৫টি মামলার। মঙ্গলবার নিষ্পত্তি হয়েছে ১৯৭টি মামলার, আর বৃহস্পতিবার হয়েছে ২২৮টির। মাঝে বুধবার গণেশ চতুর্থী উপলক্ষে বন্ধ ছিল আদালত। ললিত বলেন, যত বেশি সম্ভব মামলার নিষ্পত্তি করা যায়, এখন তার ওপর জোর দিচ্ছে আদালত। সোমবার থেকে এই চার দিনে ৪৪০টি ট্রান্সফার পিটিশনের নিষ্পত্তিও হয়েছে বলে জানান ললিত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Supreme Court: হিজাব মামলায় আবেদনকারীদের ভর্ৎসনা সুপ্রিম কোর্টের, সরকারকে নোটিস

    Supreme Court: হিজাব মামলায় আবেদনকারীদের ভর্ৎসনা সুপ্রিম কোর্টের, সরকারকে নোটিস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কিছুদিন আগেই হিজাব বিতর্ক (Hijab Row) নিয়ে উত্তপ্ত হয়েছিল কর্নাটক (Karnataka Hijab Row) তথা গোটা দেশ। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাবের নিষেধাজ্ঞার পক্ষেই রায় দিয়েছিল কর্নাটক হাইকোর্ট (Karnataka HC)। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) আবেদন দায়ের করা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় ২৩টি মামলা দায়ের হয়েছে। এর মধ্যে কিছু মামলা সরাসরি সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা হয়েছে। আর কিছু মামলা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে করা হয়েছে। সোমবার ছিল সেই মামলার শুনানি। এই মামলায় কর্নাটক সরকারকে জবাব চেয়ে নোটিস দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। অপরদিকে, মামলাকারীদের মামলায় স্থগিতাদেশের আর্জিতে কড়া বার্তা দিল দেশের শীর্ষ আদালত। বিচারপতি হেমন্ত গুপ্ত ও সুধাংশু ধুলিয়ার বেঞ্চ আবেদনকারীদের দাবি মেনে নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখার নির্দেশে স্থগিতাদেশ জারি করতে রাজি হয়নি। আদালত স্থগিতাদেশ জারির আবেদন প্রত্যাখ্যান করে জানিয়েছে, আদালত ‘ফোরাম শপিং’ (মঞ্চ কেনাকাটা)- এর জায়গা নয়। ৫ সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ৩০ ঘণ্টার অভিযানে হারিয়ে যাওয়া হাঙ্গেরি ট্রেকারকে উদ্ধার ভারতীয় সেনার       

    কর্নাটক হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে বেশ কয়েকটি আবেদন দাখিল হয়েছে। কর্নাটক হাইকোর্ট রায় দিয়েছিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব পরা অপরিহার্য ধর্মীয় অনুশীলন নয়। কেবল অপরিহার্য ধর্মীয় আচরণই সংবিধানের ২৫ নম্বর অনুচ্ছেদের অধীনে সুরক্ষা পেতে পারে। সেই ভিত্তিতেই কর্নাটক হাইকোর্ট সেই রাজ্যের মুসলিম পড়ুয়াদের ক্লাসে হিজাব পরার আবেদন খারিজ করে দেয়।    

    কিছুদিন আগেই হিজাব বিতর্কে উত্তাল হয়ে উঠেছিল গোটা কর্নাটক। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন মুসলিম পড়ুয়ারা। সেই অশান্তির আগুন ছড়িয়ে পড়ে গোটা দেশে। এমনকী দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে বেশ কিছুদিন বন্ধ রাখতে হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি। পুলিশের সঙ্গেও অশান্তিতে জড়িয়ে পড়েন বহু পড়ুয়া। বিক্ষোভ ঠেকাতে বহু ব্যক্তিকে গ্রেফতারও করা হয়। এই বিক্ষোভের মাঝেই ১৫ মার্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে হিজাব পড়ায় নিষেধাজ্ঞার নির্দেশকে বহাল রেখেই রায় দেয় হাইকোর্ট। 

    আরও পড়ুন: ফের বিনোদন জগতে শোকের ছায়া, প্রয়াত সত্যজিত রায়ের ‘সোমনাথ’
     
    শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব পরা সংবিধানের ২৫ নম্বর অনুচ্ছেদের অধীনে সুরক্ষিত বলে দাবি করেন সংখ্যালঘু পড়ুয়ারা। যা নিয়ে আদালতে দীর্ঘদিন মামলা চলে। সেই মামলাতেই শেষ পর্যন্ত কর্নাটক হাইকোর্ট জানিয়ে দেয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব পরা অপরিহার্য ধর্মীয় অনুশীলন নয়। প্রসঙ্গত, এই বছরের জানুয়ারিতে উদুপির সরকারি পিইউ কলেজে হিজাব পরা ছয়জন মেয়েকে প্রবেশে বাধা দেওয়ায় বিতর্ক দানা বাধে। এর পরেই কলেজের বাইরে ছাত্রীরা বিক্ষোভে বসেন। আর সেই বিক্ষোভ ধীরে ধীরে গোটা রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     
     
  • Supreme Court: মুসলিমদের বহুবিবাহ, নিকাহ হালালা কি বৈধ? মানবাধিকার কমিশনের মতামত চাইল সুপ্রিম কোর্ট

    Supreme Court: মুসলিমদের বহুবিবাহ, নিকাহ হালালা কি বৈধ? মানবাধিকার কমিশনের মতামত চাইল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুসলিমদের (Muslims) মধ্যে বহুবিবাহ (Polygamy) ও নিকাহ হালালা (Nikah Halala) প্রথা নিয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, জাতীয় মহিলা কমিশন এবং জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশনের মতামত চাইল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)।মুসলমান সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রচলিত বহুবিবাহ এবং নিকাহ হালালার সাংবিধানিক বৈধতার বিষয়ে আবেদন জমা পড়েছিল দেশের শীর্ষ আদালতে। তার পরেই আদালতের তরফে ওই তিন কমিশনের মতামত জানতে চাওয়া হয়। বিচারপতি ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে গঠিত পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ ওই তিন কমিশনের মতামত জানতে চেয়ে নোটিশ জারি করেছে। ইন্দিরা ছাড়াও বেঞ্চে রয়েছেন বিচারপতি হেমন্ত গুপ্ত, সূর্য কান্ত, এমএম সুন্দ্রেশ এবং শুধাংশু ঢুলিয়া। প্রসঙ্গত, বহুবিবাহ এবং নিকাহ হালালা নিয়ে দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন জনৈক অশ্বিনীকুমার উপাধ্যায়। তাঁর দাবি, মুসলিম সমাজে প্রচলিত বহুবিবাহ এবং নিকাহ হালালা অসাংবিধানিক তো বটেই, অবৈধও। দশেরা উৎসবের পরে ফের হবে এই মামলার শুনানি। 

    ২০১৮ সালের জুলাই মাসে গঠিত হয় এই সাংবিধানিক বেঞ্চ। তার পরেই মামলাটি পাঠিয়ে দেওয়া হয় ওই বেঞ্চে। সেখানেই চলছে শুনানি। দেশের শীর্ষ আদালত এ ব্যাপারে কেন্দ্রকেও একটি নোটিশ পাঠিয়েছে। ফারজানা নামের এক মহিলা আবেদনকারীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রকে ওই নোটিশ পাঠানো হয়েছে। ফারজানা তাঁর আবেদনে অশ্বিনীকে ট্যাগ করেছিলেন। আবেদনকারীদের পক্ষের আইনজীবী সওয়াল জবাবে বলেন, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৮এ ধারায় বিচার-বহির্ভুত তালাক নিষ্ঠুর, আইপিসির ৩৭৫ নম্বর ধারা অনুযায়ী নিকাহ হালালা অপরাধ এবং ৪৯৪ নম্বর ধারা অনুযায়ী বহুবিবাহ ফৌজদারি অপরাধ। 

    আরও পড়ুন : স্বস্তিতে সরকার! রাফাল চুক্তি নিয়ে নতুন মামলার আর্জি খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট
    ২০১৭ সালের ২২ অগাস্ট দেশের শীর্ষ আদালত তিন তালাক নিষিদ্ধ করে। আর বহুবিবাহ এবং নিকাহ হালারা বৈধতা বিচারের জন্য মামলাটি পাঠায় বৃহত্তর বেঞ্চে। প্রসঙ্গত, মুসলিম বহু বিবাহ রীতি অনুযায়ী, একজন মুসলমান পুরুষ চারটি স্ত্রী রাখতে পারেন। আর নিকাহ হালালা হল, কোনও ডিভোর্সি মুসলিম মহিলাকে তাঁর স্বামীর কাছে ফিরতে হলে অন্য পুরুষকে বিয়ে করতে হবে। তাঁকে ডিভোর্স দিয়ে ফের বিয়ে করতে হবে প্রথম স্বামীকে। এই দুই প্রথার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন অশ্বিনী। দায়ের হয়েছে মামলা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Karnataka High Court: মধ্যরাতের শুনানিতে মিলল ছাড়পত্র, কর্নাটকের হুব্বালি ইদগাহ ময়দানে হবে গণেশ উৎসব  

    Karnataka High Court: মধ্যরাতের শুনানিতে মিলল ছাড়পত্র, কর্নাটকের হুব্বালি ইদগাহ ময়দানে হবে গণেশ উৎসব  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মধ্যরাতের শুনানিতে মিলল ছাড়পত্র। হুব্বালি ইদগাহ ময়দানে (Hubbali Eidgah Ground) গণেশ চতুর্থী (Ganesh Chaturthi) উৎসব পালনের অনুমতি দিল কর্নাটক হাইকোর্ট (Karnatak High Court)। মঙ্গলবার, ৩০ অগাস্ট মধ্য রাতে কর্নাটক হাইকোর্টের ধরওয়াড বেঞ্চে হয় ওই মামলার শুনানি। তার পরেই মেলে উৎসব পালনের প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র। হাইকোর্টের রায়ে প্রত্যাশিতভাবেই খুশি উৎসবের আয়োজকরা।

    তাৎপর্যপূর্ণভাবে এদিন সকালেই মামলাটি উঠেছিল সুপ্রিম কোর্টে। বেঙ্গালুরুর ছামারাজপেট এলাকার ইদগাহ ময়দানে গণেশ চতুর্থী উৎসব পালনের অনুমতি দিয়েছিল রাজ্য সরকার। এর পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন জনৈক আবেদনকারী। সরকারি আদেশ বাতিল করে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার পক্ষে রায় দেয় দেশের শীর্ষ আদালত। গত দুশো বছর ধরে বজায় রয়েছে এই স্থিতাবস্থা।

    ধরওয়াড বেঞ্চের সিঙ্গল-জাজ বেঞ্চের বিচারক অশোক কিনাগি জানিয়ে দেয়, হুব্বালি মামলা ছিল আলাদা। কারণ সেখানে জমির মালিকানা নিয়ে কোনও প্রশ্ন ছিল না। ওই জমির মালিকানা হুব্বালি ধরওয়াদ মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের। সুপ্রিম কোর্টের রায় হাতে পেয়ে আঞ্জুমান-ই-ইসলামের তরফে ধরওয়াদ বেঞ্চের সামনে একটি পিটিশন দাখিল করা হয়। তাতে চ্যালেঞ্জ জানানো হয় হুব্বালি ইদগাহ ময়দানে গণেশ চতুর্থী উৎসব পালনের যে অনুমতি দিয়েছিল পুরসভা কর্তৃপক্ষ, তাকে।

    আরও পড়ুন : জামাতের অনুমতি পেলেই গণেশ পুজো! নির্দেশ মাদ্রাজ হাইকোর্টের

    মধ্য রাতের রায়ে হাইকোর্ট উল্লেখ করে, হুব্বালি ধরওয়াদ মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন ওই জমির মালিক। জমিটি আঞ্জুমান-ই-ইসলামকে ৯৯৯ বছরের জন্য লিজ দেওয়া হয়েছিল। তাই জমির অধিকার এখনও রয়েছে কর্পোরেশনের হাতেই। যাঁরা জমিটি দখল করে রয়েছেন, তাঁরা বছরে মাত্র দুদিন প্রার্থনা করেন, একটি রমজানের সময়, অন্যটি বকরি ইদের সময়। বিচারপতি কিনাগি বলেন, এই দিনগুলিতে হস্তক্ষেপ করা হবে না। কিন্তু এই দু দিন ছাড়া আদালত আদেশ দিচ্ছে, জমিটি নিয়ে কর্পোরেশন যা খুশি করতে পারে। যেহেতু হুব্বালি জমির মালিকানা নিয়ে কোনও বিতর্ক নেই, তাই দেশের শীর্ষ আদালতের রায় এই ক্ষেত্রে খাটে না। আদালতে রায়ে খুশি ওই ইদগাহ ময়দানে গণেশ চতুর্থী উৎসবের আয়োজকরা। শুরু হয়েছে পুজোর প্রস্তুতি। গোমূত্র দিয়ে শুদ্ধ করা হয়েছে মাঠ। মাঠ পরীক্ষা করেছে বম্ব স্কোয়াড। উড়েছে ড্রোন। তার পরেই বসানো হয় প্রতিমা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • CJI UU Lalit: আড়াই ঘণ্টায় ৬০টি মামলার শুনানি, দায়িত্বের প্রথম দিনেই রেকর্ড তৈরি প্রধান বিচারপতির?

    CJI UU Lalit: আড়াই ঘণ্টায় ৬০টি মামলার শুনানি, দায়িত্বের প্রথম দিনেই রেকর্ড তৈরি প্রধান বিচারপতির?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের প্রধান বিচারপতি (CJI) হিসাবে উদয় উমেশ ললিত (Uday Umesh Lalit) যোগদান করার প্রথম দিনই সোমবার সুপ্রিম কোর্টে  প্রায় ৬০০ টি মামলার শুনানি হয়। অনেকেই মনে করছেন এক নতুন পথের দিশা দেখাবেন জাস্টিস ললিত। 

    সোমবার সুপ্রিম কোর্টের তালিকাভুক্ত ৯০০ টি মামলার মধ্যে ৫৯২ টিরই কাল প্রথমবার শুনানি হয়। গত কয়েক বছরের মধ্যে দায়ের হয়েছে মামলাগুলি।

    আরও পড়ুন: স্বস্তিতে সরকার! রাফাল চুক্তি নিয়ে নতুন মামলার আর্জি খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট 

    এই মামলাগুলির মধ্যে বিশেষ কিছু মামলাও ছিল। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব পরার অধিকার, রাফায়েল দুর্নীতির মতো হাইপ্রোফাইল মামলাও এদিন তালিকাভুক্ত ছিল। 

    প্রধান বিভচারপতি হিসাবে যোগদানের পর বিচারপতি ইউইউ ললিতের নেতৃত্বে বেঞ্চে প্রায় আড়াই ঘন্টার মধ্যে ৬০টি মামলার শুনানি হয়। বেঞ্চে থাকাকালীন, নতুন আইনজীবীদের জানান যে বৃহস্পতিবারের মধ্যে জরুরি মামলাগুলি চিহ্নিত করার জন্য একটি নতুন প্রক্রিয়া চালু হবে এবং তার আগে পর্যন্ত অ্যাড-হক পদ্ধতির মাধ্যমে জরুরি মামলা চিহ্নিত করা হবে।

    আরও পড়ুন: লিভ-ইন বা সমকামী সম্পর্কও পরিবারের আওতায় পড়ে, জানাল শীর্ষ আদালত
     
    সিজেআই ইউইউ ললিত আশ্বাস দিয়েছেন যে সমস্ত নতুন মামলা তালিকাভুক্ত হবে এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শুনানি হবে। পুরনো মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির পরিকল্পনা করছেন নতুন প্রধান বিচারপতি।  

    ভারতীয় বিচার ব্যবস্থায় মামলার মুলতুবি থাকার বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে, আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু (Kiren Rijiju) সুপ্রিম কোর্টে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে ভাষণ দেওয়ার সময় বলেছিলেন, “দ্রুত বিচার প্রদানে কেন বিলম্ব হচ্ছে তা নিয়ে প্রচুর প্রশ্ন করা হয়, আমি সবসময় উত্তর দিতে পারি না। আসলে আমাদের দেশ অনন্য এবং আমাদের প্রতিকূলতাগুলিও বিরল।”    

    মন্ত্রী আরও বলেন, “ভারত যেই সমস্যার মোকাবিলা করে অন্যান্য দেশগুলিকে করতে হয় না। আইন ব্যাবস্থাকেও অনেক প্রতিকূলতার মুখোমুখি হতে হয়। ভারত এই মুহূর্তে যেই জায়গায় রয়েছে তা ধরে রাখা খুব সহজ কাজ নয়।”

    আরও পড়ুন: প্রধান বিচারপতি পদে শপথ ললিতের, লক্ষ্য, দ্রুত মামলার নিষ্পত্তি করা

    প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি এনভি রামানার ফেয়ারওয়েলের অনুষ্ঠানে ইউইউ ললিত বলেন, “আমার সময়কালে আমি যত সম্ভব মামলাকে শুনানির জন্যে তালিকাভুক্ত করা চেষ্টা করব। মামলাগুলিকে যতটা সম্ভব স্বচ্ছ এবং পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করব। জরুরি মামলাগুলিকে দ্রুত তালিকাভুক্ত করার প্রক্রিয়া বের করব। যাতে যেকোনও আদালতে জরুরি মামলা দ্রুত চিহ্নিত হতে পারে।”

    প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, “আমি বিশ্বাস করি যে শীর্ষ আদালতের কাজ আইনকে স্পষ্ট ভাষায় উপস্থাপন করা যাতে সাধারণ মানুষ আইনের অবস্থান সম্পর্কে সচেতন হয়। আমরা সারা বছর ধরে একটি সাংবিধানিক বেঞ্চ হিসেবে কাজ করার চেষ্টা করব।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

     

  • Rafale Deal: স্বস্তিতে সরকার! রাফাল চুক্তি নিয়ে নতুন মামলার আর্জি খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট

    Rafale Deal: স্বস্তিতে সরকার! রাফাল চুক্তি নিয়ে নতুন মামলার আর্জি খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাফাল যুদ্ধবিমান চুক্তির (Rafale Deal) স্বাধীন তদন্তের দাবি খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। শীর্ষ আদালতের তরফে বলা হয় এই মামলার কোনও সারবত্তা নেই। শুধু একই বিষয় নিয়ে বারবার তদন্তের প্রশ্ন ওঠে না। গত লোকসভা নির্বাচনের আগে রাফাল চুক্তিতে দুর্নীতির অভিযোগ এনে প্রচারে ঝড় তুলেছিল বিরোধীরা। সোমবার মোদি (Modi) সরকারকে স্বস্তি দিয়ে, ওই সংক্রান্ত নতুন মামলার আর্জি খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। আদালত জানিয়েছে, এই সংক্রান্ত মামলার পূর্ববর্তী দুটি রায় দিয়ে ইতিমধ্যেই বিষয়টির নিষ্পত্তি করেছে। তাই বারবার একই ইস্যুতে মামলা চলতে পারে না।

    প্রসঙ্গত, কংগ্রেসের (Congress) অভিযোগ ছিল, ফরাসি সংস্থা দাসোর সঙ্গে করা রাফাল চুক্তিতে ৫৯ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। সেই সঙ্গে দাসোর অফসেট পার্টনার হিসাবে অনিল আম্বানির সংস্থাকে বেছে নেওয়া নিয়েও পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তোলে বিরোধীরা। কিন্তু, আগেই সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয়, এই চুক্তিতে ‘‘কোনও বেসরকারি সংস্থার সঙ্গেই পক্ষপাতিত্ব করার প্রমাণ মেলেনি। ’’

    আরও পড়ুন: ‘‘ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করো, নইলে…!’’ হুমকি দিয়েছিল উত্যক্তকারী, দাবি নিহত কিশোরীর বাবার

    মোদি জমানার প্রথম পাঁচ বছরে রাফাল নিয়ে প্রচুর বিতর্ক হয়েছে। কংগ্রেসের দাবি ভারত অনেক বেশি টাকা দিচ্ছে এই ফাইটার জেটের জন্য। তারা অনেক কমে এই চুক্তি করে ফেলেছিল বলে দাবি কংগ্রেসের। অন্যদিকে বিজেপির দাবি, কংগ্রেস কখনও এই চুক্তি সংক্রান্ত পাকা কথা বলেনি। তাই তারা কী টাকায় চুক্তি করতে চেয়েছিল, সেই নিয়ে কথা বলে কি লাভ। বাস্তবেই কংগ্রেস আমলে এই চুক্তি হয়নি। পরে এই চুক্তি সই হয় ও ধীরে ধীরে করে ভারতে ফ্রান্স থেকে রাফাল আসতে শুরু করে। সুপ্রিম কোর্ট ও ক্যাগ সরকারকে ক্লিনচিট দিয়েছে।

    এর মধ্যেই ফরাসি সংস্থা দাসো এক ভারতীয় মধ্যস্থতাকারীকে ১.১ মিলিয়ন ইউরো ঘুষ দিয়েছিল বল অভিযোগ ওঠে। এর ভিত্তিতেই সুপ্রিম কোর্টে রাফাল মামলা পুনর্বিবেচনার আর্জি জানানো হয়।  কিন্তু সোমবার,ভারতের প্রধান বিচারপতি উদয় উমেশ ললিত এবং বিচারপতি এস রবীন্দ্র ভাটের বেঞ্চ এই পিটিশন গ্রহণ করতে অস্বীকার করে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Supreme Court: লিভ-ইন বা সমকামী সম্পর্কও পরিবারের আওতায় পড়ে, জানাল শীর্ষ আদালত

    Supreme Court: লিভ-ইন বা সমকামী সম্পর্কও পরিবারের আওতায় পড়ে, জানাল শীর্ষ আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লিভ-ইন (Live in) বা সমকামী (Homosexual) সম্পর্কও পরিবারের (Family) আওতায় পড়ে। পরিবারের সংজ্ঞা পরিষ্কার করল শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। আদালতের দাবি, সমাজের চোখে ‘গতানুগতিক’ না হলেও, রীতি বিরুদ্ধ মনে হলেও এই সম্পর্কগুলোও আইনের চোখে নিরাপত্তা পাবে। 

    বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং এএস বোপান্নার ডিভিশন বেঞ্চ এদিন জানায়, কোনও পরিস্থিতিতে একজনের পারিবারিক পরিকাঠামোর পরিবর্তন হতেই পারে। সমাজের গতানুগতিকতা থেকে তা আলাদা হতেই পারে। এই ধরনের পরিবার দুই অবিবাহিত মানুষ, সমকামী যুগলকে নিয়েও তৈরি হতে পারে। শুধুমাত্র বাকিদের চোখে অস্বাভাবিক লাগছে বলেই এই পরিবারগুলিকে সামাজিক সুযোগ, সুবিধা, সুরক্ষা থেকে বঞ্চিত হতে পারে না। 

    পরিবার বলতে শুধু বিবাহিক নারী-পুরুষ এবং তাঁদের সন্তান, এমন ধ্যান ধারণা থেকে বেড়িয়ে আসার পক্ষেও সওয়াল করেছে শীর্ষ আদালত। বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি এএস বোপান্নার ডিভিশন বেঞ্চ পর্যবেক্ষণে বলে যে একটি পরিবার বলতে যা বোঝায়, তা নানা কারণে পরিবর্তন হতে পারে। 

    আরও পড়ুন: সুরক্ষার খাতিরে সরকার নজরদারি চালাতে পারে, পেগাসাস ইস্যুতে বললেন রাজীব চন্দশেখর

    ২০১৮ সালেই সমকামী সম্পর্ককে অপরাধমুক্ত ঘোষণা করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু আজও সমকামী বিয়ে বৈধতা পায়নি এই দেশে। চলছে আইনি লড়াই। লিভ ইন সম্পর্কে থাকা যুগলরাও সন্তান দত্তক নেওয়ার দাবিতে সরব হয়েছেন। 

    আদালত আরও বলে, বিবাহবিচ্ছেদ বা জীবনসঙ্গীর মৃত্যু, যেকোনও কারণেই যদি একা কেউ সন্তানের লালন পালন করেন, এমনকি শিশুর অভিভাবকের দায়িত্বও যদি কেউ পালন করেন, পুনর্বিবাহ বা দত্তক নেওয়ার কারণে, সে ক্ষেত্রে সমাজের চোখে তথাকথিত পরিবার হিসেবে গন্য না হলেও, আইনত তাঁদের সব রকম সুযোগ এবং সুরক্ষা পাওয়ার অধিকার রয়েছে। অবিবাহিত এবং সমকামী সম্পর্কের ক্ষেত্রেও তা প্রযোজ্য বলে জানিয়েছে আদালত।

      আরও পড়ুন: হার্দিকের ব্যাট-বল হৃদয়-হরণ করল মোদি থেকে শাহের! এশিয়া কাপে পাকিস্তানকে হারিয়ে যাত্রা শুরু ভারতের  

    সম্প্রতি লিভ-ইন এবং সমকামী যুগলদের নিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সমাজের অসহিষ্ণুতার বিভিন্ন অভিযোগ উঠে এসেছে। আর সেই বিষয়গুলিকে পরিষ্কার করতে একটি মামলার শুনানিতে পরিবারের সংজ্ঞার পাঠ পড়াল সুপ্রিম কোর্ট। 

    স্বামীর আগের পক্ষের দুই সন্তানের লালনপালনের জন্য অফিস থেকে মাতৃত্বকালীন ছুটি নিয়েছিলেন এক মহিলা। বর্তমানে তাঁর নিজের সন্তানের জন্যও এই ছুটি চান তিনি। কিন্তু তা দিতে নারাজ তাঁর কর্মক্ষেত্র। এ নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন ওই মহিলা। সেই মামলার শুনানিতেই এই পর্যবেক্ষণগুলো জানায় সুপ্রিম কোর্ট।     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
  • Rajeev Chandrashekhar: সুরক্ষার খাতিরে সরকার নজরদারি চালাতে পারে, পেগাসাস ইস্যুতে বললেন রাজীব চন্দশেখর

    Rajeev Chandrashekhar: সুরক্ষার খাতিরে সরকার নজরদারি চালাতে পারে, পেগাসাস ইস্যুতে বললেন রাজীব চন্দশেখর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশকে আতঙ্কবাদী হামলা থেকে বাঁচাতে প্রয়োজনে নজরদারি চালানোর অধিকার রয়েছে কেন্দ্রের। শুক্রবার পেগাসাস ইস্যুতে (Pegasus Spyware) এমন মন্তব্য করলেন বৈদ্যুতিন এবং তথ্য কারগরি প্রতিমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর (Rajeev Chandrashekhar)। ডিজিটাল প্রাইভেসি নীতিতে বদল আনার পরিকল্পনা করছে কেন্দ্র, এদিন এমনটাও জানান তিনি।  

    সম্প্রতি পেগাসাস মামলা নিয়ে শীর্ষ আদালতের তোপের মুখে পড়ে কেন্দ্র। শীর্ষ আদালতের (Supreme Court) প্যানেল স্পষ্ট জানায় যে, পেগাসাস কাণ্ডের তদন্তে সরকার কোনও সহযোগিতা করেনি। কমিটি যে ২৯টি ফোন পরীক্ষা করেছিল তার মধ্যে পাঁচটিতে ম্যালওয়্যারের (Malware) খোঁজ মিলেছে। তবে তা পেগাসাস স্পাইওয়্যার কিনা তার নিশ্চিত প্রমাণ মেলেনি বলেই পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বেঞ্চ। 

    আরও পড়ুন: পেগাসাস বিতর্কে স্বস্তি কেন্দ্রের! মাত্র ৫টি ফোনে ম্যালওয়ারের অস্তিত্ব মত শীর্ষ আদালতের

    গত বছর সংসদের বাদল অধিবেশনের ঠিক আগেই পেগাসাস ইস্যু নিয়ে তোলপাড় হয় জাতীয় রাজনীতি। ইজরায়েলে তৈরি পেগাসাস স্পাইওয়্যারের মাধ্যমে দেশের বিরোধী রাজনৈতিক নেতা, সাংবাদিক, ব্যবসাসী, বিচারপতি এমনকি বিজেপির মন্ত্রীদের ফোনে আড়ি পাতার অভিযোগ ওঠে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে। কেন্দ্রীয় সরকার বা কোনও রাজ্য সরকার এই স্পাইওয়্যার কিনে ব্যক্তিগত পরিসরে নজর রাখছে কিনা তা তদন্ত করে দেখতে কমিটি তৈরি করে দেয় দেশের শীর্ষ আদালত।  মাস খানেক আগে সুপ্রিম কোর্টে কমিটির রিপোর্ট জমা পড়ে।

    এই বিষয়ে চন্দশেখর বলেন, “আমি জানতে পেরেছি ২৯টি মোবাইল পরীক্ষা করে ৫টিতে ম্যালওয়্যার পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু সেটা আদেও পেগাসাস কিনা সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। তবে কেন্দ্র চাইলে সুরক্ষার স্বার্থে নজরদারি চালাতেই পারে। সেই অধিকার তাদের রয়েছে।”

    তিনি আরও বলেন, “বর্তমান আইটি অ্যাক্ট ২২ বছরের পুরনো। ডিজিটাল প্রাইভেসি আমাদের সরকার নতুন আইন আনতে চলেছে। আমরা আন্তর্জাতিক মানের সাইবার আইন আনতে চাই। যাতে সকলের সুবিধা হয়। টেকনজি এবং আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সকে আরও বেশি করে গুরুত্ব দিতে চাই।”

    মন্ত্রী বলেন, “২০,০০০ কোটি টাকার ফোন ভারতে তৈরি হয়ে বিদেশে বিক্রি হয়। ২০২৫-২৬ সালের মধ্যে সরকার এই সংখ্যাকে ২১ লক্ষ কোটি টাকায় নিয়ে যেতে চায়। এর মধ্যে ৮ লক্ষ কোটি টাকার ফোন বিদেশে বিক্রি করতে আগ্রহী ভারত।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • CJI Ramana on Freebies: ভোট খয়রাতি মামলা গেল নয়া বেঞ্চে, শেষ দিনে নির্দেশ রামানার

    CJI Ramana on Freebies: ভোট খয়রাতি মামলা গেল নয়া বেঞ্চে, শেষ দিনে নির্দেশ রামানার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি হিসেবে শুক্রবারই ছিল এনভি রামানার (NV Ramana) শেষ দিন। এদিন পাঁচটি মামলার রায়দান করার কথা তাঁর। দিনের শুরুতেই নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি (Electotal Freebies) নিয়ে আদালতে গড়ানো মামলার রায়দান করেন তিনি। মামলাটি নয়া বেঞ্চে পাঠিয়ে দিয়েছেন দেশের শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি (CJI)। যেহেতু এদিন ছিল সুপ্রিম কোর্টে রামানার শেষ দিন, তাই এদিন পাঁচটি মামলার রায়দানই প্রদর্শন করা হয়েছে অনলাইনে।

    ক্ষমতায় আসতে নির্বাচনের আগে বেবাক প্রতিশ্রুতি  দেয় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। এর মধ্যে থাকে নিখরচায় নানা পরিষেবা পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও। এ নিয়ে কটাক্ষ করেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও (PM Modi)। বিষয়টিকে ‘গুরুতর’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে দেশের শীর্ষ আদালতও। সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হওয়া একটি জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি এনভি রমানার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ সম্প্রতি তাদের পর্যবেক্ষণে বলেছে, জনকল্যাণ কর্মসূচি আর বিনামূল্যে দেওয়া এক বিষয় নয়। বিজেপি ঘনিষ্ঠ জনৈক অশ্বিনী উপাধ্যায়ের দায়ের করা জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি বলেছিলেন, যাঁরা বিনামূল্যে পাচ্ছেন, তাঁরা তা পেতে চান। আবার অনেকে বলেন, তাঁদের করের টাকা প্রকৃত উন্নয়নমূলক কর্মসূচিতে ব্যবহার করতে হবে।

    আরও পড়ুন : খয়রাতি ও জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের মধ্যে বিভাজন রেখা প্রয়োজন, মত সুপ্রিম কোর্টের

    এদিন প্রধান বিচারপতি বলেন, এটা অস্বীকার করার উপায় নেই যে গণতন্ত্রে প্রকৃত ক্ষমতা রয়েছে ভোটারদের হাতে। ভোটাররা দল এবং দলীয় প্রার্থীদের মূল্যায়ন করেন। তিনি বলেন, নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির ব্যাপারে আমাদের একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা প্রয়োজন। শেষ শুনানিতে আমরা কেন্দ্রকে এ ব্যাপারে সর্বদল বৈঠক ডাকতে বলেছিলাম। আদালত সূত্রে খবর, এই মামলার শুনানিতে অংশ নিয়েছিল বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। তারা জানিয়েছিল, এগুলি নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি নয়, এগুলি জনকল্যাণ মূলক প্রতিশ্রুতি। ২০১৩ সালের একটি মামলায় সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছিল, বিনামূল্যে টিভি কিংবা ল্যাপটপ দেওয়া দুর্নীতি নয়। এটা বরং রাজ্যবাসীর জন্য রাজ্যের জনকল্যাণমূলক নীতি। এ নিয়ে বিতর্কের প্রয়োজন আছে বলে এদিনও জানিয়েছে আদালত। আদালতের মতে, বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। এ ব্যাপারে কোনও সন্দেহ নেই। প্রশ্ন হল, কেন সর্বদল বৈঠক হচ্ছে না, কেন্দ্রই বা কেন বৈঠক ডাকছে না?

     

LinkedIn
Share