Tag: Supreme court

Supreme court

  • Maharasthra Political Crisis: মহারাষ্ট্রে বৃহস্পতিবার আস্থা ভোট, সুপ্রিম কোর্টে উদ্ধব শিবির

    Maharasthra Political Crisis: মহারাষ্ট্রে বৃহস্পতিবার আস্থা ভোট, সুপ্রিম কোর্টে উদ্ধব শিবির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অব্যাহত মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) মহাসংকট! বৃহস্পতিবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেকে (Uddhav Thackeray) সংখ্যা গরিষ্ঠতা প্রমাণের নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারি। আস্থা ভোটে যোগ দেবেন শিবসেনার (Shiv Sena) বিদ্রোহী নেতা একনাথ শিন্ডেরও ( Eknath shinde)। রাজ্যপালের এই নির্দেশের বিরোধিতা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আস্থাভোটের নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল উদ্ধব শিবির।

    এনসিপি এবং কংগ্রেসের সঙ্গে নয়, বিজেপির সঙ্গে জোট গড়েই সরকার চালাতে আগ্রহী শিবসেনা বিধায়ক একনাথ শিন্ডে। এনিয়ে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে বিরোধ বাঁধে তাঁরই মন্ত্রিসভার সদস্য শিন্ডের। এর পরেই অনুগামী বিধায়কদের নিয়ে বিজেপি শাসিত গুজরাটের সুরাটে চলে যান শিন্ডে। সেখান থেকে মধ্যরাতের বিমান ধরে ওই বিধায়কদের নিয়ে তিনি উড়ে যান বিজেপি শাসিত আর এক রাজ্য আসামে। সেখানকারই একটি বিলাসবহুল হোটেলে আশ্রয় নিয়েছেন তাঁরা। সোমবার রাতে গুজরাটে এসে শিন্ডে সাক্ষাৎ করেন বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফড়নবিশের সঙ্গে।

    আরও পড়ুন : দু’বার মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়তে চেয়েছিলেন উদ্ধব! আটকান এই প্রবীণ নেতা

    এর পরে পরেই উদ্ধবকে সংখ্যা গরিষ্ঠতা প্রমাণের নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যপাল। তার পরিপ্রেক্ষিতেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার কথা জানিয়েছেন উদ্ধব অনুগামী বিধায়করা। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, উদ্ধবের পক্ষে এখন মহা বিকাশ আঘাড়ি জোট সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করা মুশকিল। তাই এখনই পরীক্ষায় যেতে চাইছেন না তাঁরা। উদ্ধর ঘনিষ্ঠ নেতা সঞ্জয় রাউত সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, রাজ্যপালের দেওয়া আস্থা ভোটের নির্দেশ বেআইনি। তাঁর অভিযোগ, বিজেপি ও রাজ্যপাল মিলে আস্থা ভোট করানোর চেষ্টা করছে। তাঁর আশা, ন্যায় বিচার মিলবে সুপ্রিম কোর্টে। তিনি জানান, বিধায়কদের নিয়ে যে মামলা চলছে, সে সংক্রান্ত চিঠিও দেওয়া হবে রাজ্যপালকে। সঞ্জয় বলেন, আস্থাভোটের এই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ বেআইনি। এখনও শিবসেনার ১৬ জন বিধায়কের বিধায়ক পদ খারিজের মামলা চলছে সুপ্রিম কোর্টে। সুতরাং এই আস্থা ভোট বেআইনি। রাজ্যপালের এই সিদ্ধান্তের পরেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিবসেনা। এই মর্মে একটি মামলাও দায়ের করেছেন দলের চিফ হুইপ সুনীল প্রভু।

    আরও পড়ুন : ‘বর্ষা ছাড়লেও ছাড়ছি না…’ বললেন বিদ্রোহ দমনে প্রত্যয়ী উদ্ধব

    প্রসঙ্গত, মহারাষ্ট্র বিধানসভার অধিবেশন আহ্বান করতে গিয়ে রাজ্যাপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারি অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উল্লেখ করেছেন। তার একটি হল, পুরো আস্থাভোট পর্ব ভিডিওগ্রাফি করতে হবে। রাজ্যপাল সাফ জানিয়েছেন, এই অধিবেশনের একমাত্র আলোচ্যসূচি আস্থা ভোট। তা কোনওভাবেই স্থগিত করা যাবে না।

    এদিকে, আস্থাভোটের আগে উদ্ধবের চিন্তা বাড়িয়েছেন এনসিপির দুই বিধায়ক। সূত্রের খবর, তাঁরা দুজনেই সংক্রমিত হয়েছেন কোভিডে।

    অন্যদিকে, গুয়াহাটির হোটেল থেকে দ্রুত মহারাষ্ট্রে ফেরার কথা শিন্ডে ও তাঁর অনুগামী বিধায়কদের। এদিন কামাখ্যা মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিলেন শিন্ডেবাহিনী। সেখানেই তিনি জানান, দ্রুত মহারাষ্ট্রে ফিরছেন তাঁরা।

     

  • Nupur Sharma: নূপুর শর্মাকে ভর্ৎসনার প্রতিবাদ, খোলা চিঠি ১১৭ প্রাক্তন আমলার

    Nupur Sharma: নূপুর শর্মাকে ভর্ৎসনার প্রতিবাদ, খোলা চিঠি ১১৭ প্রাক্তন আমলার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হজরত মহম্মদ (Prophet Muhammad) সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে সাসপেন্ড হওয়া বিজেপি মুখপাত্র নূপুর শর্মার (Nupur Sharma) তীব্র সমালোচনা করেছে শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। কিন্তু এবার নূপুর শর্মার হয়ে সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক মন্তব্যের বিরোধিতায় কলম ধরলেন ১৫ জন প্রাক্তন বিচারপতি, ৭৭ জন প্রাক্তন আমলা এবং সশস্ত্র বাহিনীর ২৫ জন অবসরপ্রাপ্ত অফিসার  (Bureaucrats)।

    আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ প্রত্যাহারের আর্জি! নূপুরকে সমর্থন অনুপম খেরের   

    সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতি সূর্যকান্ত এবং জে বি পাদ্রিওয়ালা রীতিমতো ভর্ৎসনা করেন নূপুর শর্মাকে। দেশেজুড়ে হিংসার জন্য তাঁকেই দায়ী করেন তাঁরা। বিচারপতিরা বলেন, “সারা দেশের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত।” এরপর থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁদের ব্যক্তিগত আক্রমণের শিকার হতে হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন পাদ্রিওয়ালা।

    আরও পড়ুন: এবার অমরাবতী! নূপুর শর্মাকে সমর্থন করাতেই কি খুন? তদন্তে পুলিশ  

    নূপুর শর্মা সুপ্রিম কোর্টের কাছে এফআইআরগুলি একত্রিত করে দিল্লিতে স্থানান্তর করার আবেদন জানান। আদালত ১ জুলাই তাঁর আবেদন প্রত্যাখ্যান করে। এমনকি নূপুর শর্মার ‘লাগামহীন জিভ’ হিংসা ছড়ানোর জন্য দায়ী, এমনও মন্তব্য করেন বিচারপতিরা।   

    এই মন্তব্য ঠিক নয় বলে খোলা চিঠিতে জানান ১১৭ জন প্রাক্তন আমলা। তাঁরা লেখেন, “ভারতের সংবিধানের প্রস্তাবনা, চেতনা এবং সারমর্মের উপর এই মন্তব্য ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। সুপ্রিম কোর্টের এই ধরনের পদ্ধতি কোনও সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য নয় এবং সর্বোচ্চ আদালতের পবিত্রতা এবং সম্মানকে প্রভাবিত করে এই মন্তব্য।”   

    চিঠিতে আরও লেখা হয়, “দুই বিচারপতির বেঞ্চের রায় দুর্ভাগ্যজনক ও নজিরবিহীন। এই মন্তব্যের সঙ্গে দেশের বিচারবিভাগের কোনও সামঞ্জস্য নেই। ইতিহাসের পাতা ওল্টালেও এমন তথ্য পাওয়া যাবে না। ইস্যুটির সঙ্গে পর্যবেক্ষণগুলির কোনও সংযোগ নেই।” 

    প্রাক্তনদের চিঠিতে নূপুর শর্মাকে কেন আলাদাভাবে বিবেচনা করা হবে তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের এই ধরনের পদ্ধতি প্রশাংসা পাওয়ার যোগ্য নয় বলেও জানানো হয়েছে। নূপুর শর্মা ইস্যুতে মন্তব্য সর্বোচ্চ  আদালতের পবিত্রতা আর সম্মানকে প্রভাবিত করবে বলেও দাবি করেছেন তাঁরা।    

    এই চিঠিতে মোট ১১৭ জন স্বাক্ষর করেছেন। স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছেন বোম্বে হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ক্ষিতিজ ব্যাস, গুজরাট হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি এসএম সোনি, রাজস্থান হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি আরএস রাঠোর, প্রশান্ত আগরওয়াল, দিল্লি হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি এসএন ধিংরা। প্রাক্তন আইএএস অফিসার আরএস গোপালন এবং এস কৃষ্ণ কুমার, প্রাক্তন শীর্ষ পুলিশ অফিসার এসপি বৈদ এবং পিসি ডোগরা, অবসরপ্রাপ্ত  লেফটেন্যান্ট জেনারেল ভি কে চতুর্বেদী ও প্রাক্তন এয়ার মার্শাল এসপি সিং।

     

  • Jagdeep Dhankar: সুপ্রিম কোর্টে বরাদ্দ চেম্বার ছাড়লেন জগদীপ ধনখড়, কেন জানেন?  

    Jagdeep Dhankar: সুপ্রিম কোর্টে বরাদ্দ চেম্বার ছাড়লেন জগদীপ ধনখড়, কেন জানেন?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উপরাষ্ট্রপতি (Vice President) পদে প্রার্থী হয়েছেন বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankar)। প্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণার দিন কয়েক আগেই সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) তাঁর নামে চেম্বার বরাদ্দ হয়। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, যেহেতু তিনি উপরাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী হয়েছেন এবং জয়ের ব্যাপারে যথেষ্ট আশাবাদী, তাই সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া সেই চেম্বার ফিরিয়ে দিলেন ধনখড়। জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁর নামে বরাদ্দ হওয়া চেম্বারটি যেন অন্য কোনও আইনজীবীকে দিয়ে দেওয়া হয়, যাঁর চেম্বারের আশু প্রয়োজন।

    এক সময় সুপ্রিম কোর্টে নিয়মিত প্র্যাকটিস করতেন জগদীপ ধনখড়। পরে বাংলার রাজ্যপাল হয়ে আসেন তিনি। সেই সময় তিনি আর সুপ্রিম কোর্টে প্র্যাকটিস করতে পারেননি। তবে রাজ্যপাল হয়ে এ রাজ্যে আসারও বছর দুয়েক আগে নিজস্ব একটি চেম্বারের জন্য আবেদন করেছিলেন ধনখড়। সুপ্রিম কোর্টে এই চেম্বার পেতে দীর্ঘদিন অপেক্ষা করতে হয় আইনজীবীদের। এ বছর ৪৬৮ জনকে চেম্বার দেওয়া হয়েছে। সেই তালিকায় রয়েছেন ধনখড়ও। শেষমেশ আবেদন করার বছর পাঁচেক পরে এই সেদিন চেম্বার বরাদ্দ হয় ধনখড়ের নামে। ডি ব্লকে নিউ ল’ ইয়ার্স চেম্বারের একটি ঘর বরাদ্দ হয় তাঁর নামে।

    আরও পড়ুন : প্রতীক্ষার অবসান, শেষমেশ সুপ্রিম কোর্টে চেম্বার পেলেন ধনখড়

    এদিকে, ধনখড়কে উপরাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী করে এনডিএ। বিজেপি বিরোধী জোটের প্রার্থী কংগ্রেসের মার্গারেট আলভা। লোকসভা এবং রাজ্যসভায় বিজেপির যা শক্তি, তাতে ৬ আগস্ট ধনখড়ের জয় একপ্রকার নিশ্চিত। নিয়ম অনুযায়ী, উপরাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত হলে আদালতে প্র্যাকটিস করা যাবে না। তাই উপরাষ্ট্রপতি পদে জয়ী হলে পাঁচ বছরের জন্য তিনি আর আইনজীবী হিসেবে লড়তে পারবেন না। তাই আপাতত পাঁচ বছর তাঁর চেম্বারও প্রয়োজন হবে না। সেই কারণেই চেম্বারটি সারেন্ডার করলেন ধনখড়।

    আরও পড়ুন : “বাংলায় আইনের শাসন নেই, শাসকের আইন চলছে”, রাজস্থানে ধনখড়

    সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বিকাশ সিং বলেন, ধনখড়জি স্বেচ্ছায় তাঁর চেম্বারটি ছেড়ে দিয়েছেন। জানিয়েছেন, তাঁর জন্য বরাদ্দ চেম্বারটি যেন অন্য কোনও আইনজীবীকে দিয়ে দেওয়া হয়, যাঁর এখনই চেম্বার প্রয়োজন। বিকাশ বলেন, ধনখড় তাঁর জন্য বরাদ্দ চেম্বারটি ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য রাখতেই পারতেন, কিন্তু তিনি সেটি ছেড়ে দিয়েছেন স্বেচ্ছায়।

     

  • Mukesh Ambani: আম্বানিদের কেন জেড প্লাস নিরাপত্তা? ত্রিপুরা হাইকোর্টের নির্দেশে সুপ্রিম-স্থগিতদেশ

    Mukesh Ambani: আম্বানিদের কেন জেড প্লাস নিরাপত্তা? ত্রিপুরা হাইকোর্টের নির্দেশে সুপ্রিম-স্থগিতদেশ

    মাধ্যম নিউড ডেস্ক: আম্বানিদের (ambani) জেড প্লাস নিরাপত্তা (Z Plus security) মামলায় ত্রিপুরা হাইকোর্টের (Tripura High Court) রায়েই স্থগিতদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। সম্প্রতি এই মর্মে রায় দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত।

    বিশিষ্ট শিল্পপতি মুকেশ আম্বানিকে বর্তমানে জেড প্লাস ক্যাটেগরির নিরাপত্তা দেওয়া হয়। তাঁর স্ত্রী নীতা পান ওয়াই প্লাস ক্যাটেগরির (Y Plus security) নিরাপত্তা। সম্প্রতি বিকাশ সাহা নামে এক ব্যক্তি ত্রিপুরা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। তাঁর প্রশ্ন, কী কারণে আম্বানি পরিবারকে নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে? মহারাষ্ট সরকারের সুপারিশেই কেন্দ্রীয় সরকার বিশিষ্ট ওই শিল্পপতি ও তাঁর স্ত্রীর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে থাকে। জনস্বার্থ মামলার ভিত্তিতে দুটি অন্তর্বর্তী অর্ডার পাশ করে ত্রিপুরা হাইকোর্ট। সেখানেই নির্দেশ দেওয়া হয় আম্বানি পরিবারকে কী কারণে নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে, সেই সংক্রান্ত নথিপত্র পেশ করতে হবে আদালতে।

    আরও পড়ুন : পিছিয়ে পড়লেন আদানি! আবারও এশিয়ার ধনীতম ব্যক্তি আম্বানি

    ত্রিপুরা হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যায় কেন্দ্র। মামলা গ্রহণ করে শুনানির নির্দেশ দেয় সর্বোচ্চ আদালত। কেন্দ্রের হয়ে সওয়াল করেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা (Tushar Mehta)। তিনি বলেন, গোয়েন্দাদের রিপোর্টের ভিত্তিতেই নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে আম্বানিদের। তাঁরা মুম্বইয়ের বাসিন্দা। তাঁদের নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে সেখানেই। এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার কোনও এক্তিয়ারই নেই ত্রিপুরা হাইকোর্টের। মামলার শুনানি শেষে হাইকোর্টের রায়েই স্থগিতাদেশ দেয় সুপ্রিম কোর্টে।

    আরও পড়ুন : বিবাদ মিটিয়েছিলেন দুই ভাইয়ের, চিনে নিন আম্বানি পরিবারের ‘ভাইশ্রী’-কে

    গত বছর আম্বানি পরিবারের বাড়ির সামনে বিস্ফোরক বোঝাই একটি গাড়ি উদ্ধার হয়। তার পরেই নিরাপত্তা দেওয়া হয় মুকেশ এবং তাঁর স্ত্রীকে। যদিও তাঁর সন্তানরা ওই সুবিধা পান না। মুকেশ ও নীতা যে নিরাপত্তা পান, সেজন্য তাঁদের মোটা টাকা গুণতে হয়। মুকেশ যে জেড প্লাস ক্যাটেগরির নিরাপত্তা পান, এদেশে তা পান রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং হাতে গোণা কয়েকজন।

    ৫০-৫৫ জন সশস্ত্র কমান্ডো ২৪ ঘণ্টা প্রহরায় থাকেন আম্বানিদের বাড়ির সামনে। আম্বানিরা বুলেটপ্রুফ গাড়ি, এসকর্ট এবং প্রয়োজনে অতিরিক্ত বাহিনী পান। চাইলে পেতে পারেন এনএসজি (NSG) কমান্ডোদেরও। মহারাষ্ট্র তো বটেই, দেশের যে কোনও প্রান্তে গেলে মুকেশের সঙ্গে থাকে একটি পাইলট কার এবং তার পিছনে কয়েকটি গাড়ির কনভয়।

  • Jagdeep Dhankhar: প্রতীক্ষার অবসান, শেষমেশ সুপ্রিম কোর্টে চেম্বার পেলেন ধনখড়

    Jagdeep Dhankhar: প্রতীক্ষার অবসান, শেষমেশ সুপ্রিম কোর্টে চেম্বার পেলেন ধনখড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবেদন করেছিলেন পাঁচ বছর আগে। শেষমেশ বহু আকাঙ্খিত সেই চেম্বার মিলল পাঁচ বছর পরে। হ্যাঁ, এনডিএ (NDA) উপরাষ্ট্রপতি (Vice President) পদপ্রার্থী  জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar) নিজস্ব চেম্বার পেলেন সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। তবে উপরাষ্ট্রপতি পদে জয়ী হলে, চেম্বার ছেড়ে দিতে হবে তাঁকে।

    ফি-বছর প্রচুর ছেলেমেয়ে ল’ পাশ করেন। তার পরেই তাঁরা বিভিন্ন কোর্টে প্র্যাকটিস করেন। বার কাউন্সিলের সদস্য হওয়ার পর আবেদন করেন নিজস্ব চেম্বারের জন্য। এই চেম্বার সহজে মেলে না। অপেক্ষা করতে হয় দীর্ঘ সময়। সুপ্রিম কোর্টে এই চেম্বার পেতে সময় লাগে আরও বেশি সময়। এই যেমন জগদীপ ধনখড়। জয়পুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ল’য়ের ছাত্র ছিলেন ধনখড়। এলএলবি ডিগ্রি পান ১৯৭৯ সালে। সেই বছরই রাজস্থান কোর্টে বার কাউন্সিলের সদস্য হওয়ার জন্য আবেদন করেন।

    ১৯৯০ সালে সিনিয়র অ্যাডভোকেট হিসেবে প্র্যাকটিসের সুযোগ পান দেশের শীর্ষ আদালতে। তার পর থকে সেখানেই প্র্যাকটিস করছিলেন তিনি। লড়েছিলেন অনেক গুরুত্বপূর্ণ মামলা। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ২০১৬ সালে শতদ্রু রিভার ওয়াটার বিতর্ক। এই মামলায় হরিয়ানা সরকারের হয়ে লড়ছিলেন তিনি। এছাড়া, সলমন খানের বিরুদ্ধে ওঠা কৃষ্ণসার হত্যা মামলাতেও তিনি অভিনেতার পক্ষ নিয়ে আইনি লড়াইয়ে অংশগ্রহণ  করেছিলেন। রাজ্যপাল হওয়ার পর বন্ধ করে দেন প্র্যাকটিস।

    আরও পড়ুন : মোদিকে পাশে বসিয়ে মনোনয়নপত্র জমা জগদীপ ধনখড়ের

    তবে তার আগে ২০১৭ সালে নিজস্ব একটি চেম্বারের জন্য আবেদন করেন ধনখড়। সেই আবেদনপত্রে কিছু ত্রুটি থাকায় চেম্বার পাননি তিনি। ত্রুটি সংশোধনের জন্য তাঁকে চার সপ্তাহের সময় দেওয়া হয়। পরে ফের সংশোধিত আবেদনপত্র পাঠানো হয় চেম্বার অ্যালটমেন্ট কমিটির কাছে। এই চেম্বার কমিটির মাথায় থাকেন প্রধান বিচারপতি।

    আইনজীবী ধনখড়ের বহু আকাঙ্খিত সেই চেম্বারই মিলল এতদিনে। সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডিশনাল বিল্ডিং কমপ্লেক্সের ডি ব্লকে তাঁর ওই চেম্বার। সম্প্রতি যে ৪৬৮ জন আইনজীবীকে চেম্বার দেওয়া হয়েছে, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ধনখড়ও। ধনখড়ের সঙ্গে বহু মামলা লড়েছেন এক প্রবীণ আইনজীবী। তিনি বলেন, ধনখড় সম্ভবত এটা আশা করেননি। যখন তিনি রাজ্যপাল থেকে উপরাষ্ট্রপতি হতে চলেছেন, তখন তিনি পেলেন চেম্বার। প্রসঙ্গত, ধনখড় উপরাষ্ট্রপতি পদে জয়ী হলে, এই চেম্বার ছেড়ে দিতে হবে তাঁকে। কারণ তখন আর আইনজীবী হিসেবে প্র্যাকটিস করতে পারবেন না তিনি।

    আরও পড়ুন : উপরাষ্ট্রপতি পদে বিজেপির বাজি বাংলার রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়

     

  • Supreme Court: উপাসনাস্থল আইনের বিরোধিতায় নতুন কোনও আবেদন নয়, জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    Supreme Court: উপাসনাস্থল আইনের বিরোধিতায় নতুন কোনও আবেদন নয়, জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯৯১ সালের ধর্মীয় উপাসনাস্থল আইনের (Places of Worship Act, 1991) বিরোধিতায় করা নতুন করে আর কোনও আবেদন গ্রহণ করা হবে না বলে সাফ জানাল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। শুক্রবার এই মর্মে রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে গঠিত একটি বেঞ্চ। উপাসনাস্থল আইনের বিরোধিতায় নিত্য জমা পড়ছে একের পর এক আবেদনপত্র (Petition)।  তার প্রেক্ষিতেই এদিন এই রায় দেয় দেশের শীর্ষ আদালত। তবে আদালত এও জানিয়েছে, চাইলে আগে গৃহীত হওয়া ৬টি আবেদনের সঙ্গে নিজেদের আবেদন জুড়ে দিতে পারবেন নতুন আবেদনকারীরা। 

    ২০২১ সালের মার্চ মাসে দেশের শীর্ষ আদালত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র, আইন এবং সংস্কৃতি মন্ত্রীদের নোটিশ পাঠায়। কারণ তার আগে উপাসনাস্থল আইনে সুপ্রিম কোর্টে একটি পিটিশন দায়ের করেছিলেন জনৈক অশ্বিনী কুমার উপাধ্যায়। ১৯৯১ সালে আইনে পরিণত হয় উপাসনাস্থল বিল। এই আইন অনুযায়ী, ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট স্বাধীনতার আগে যে ধর্মীয় স্থানের চরিত্র যা ছিল, তা বজায় থাকবে। 

    আরও পড়ুন : শিন্ডে শিবিরকে স্বীকৃতি, লোকসভার স্পিকারের সিদ্ধান্তকে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ ঠাকরের

    এই আইনের বিরুদ্ধেই প্রায় প্রতিদিনই আলাদতে জমা পড়ছে পিটিশন। তার প্রেক্ষিতেই এদিন ছটি মামলা গ্রহণের কথা জানায় সুপ্রিম কোর্ট। উপাধ্যায়ের দাবি, ১৯৯১ সালের উপাস্থল আইন ভিত্তিহীন এবং অযৌক্তিক। কারণ ধর্মীয় কাঠামোর ক্ষেত্রে কোনও একটি বছর নির্দিষ্ট করে দেওয়া ঠিক নয়। তাঁর দাবি, এই আইনের ফলে হিন্দু, জৈন, শিখ এবং বৌদ্ধদের উপাসনাস্থল আইনের প্রতিবাদে কোর্টে যাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে। আইনের দুই, তিন ও চার নম্বর ধারাকেও চ্যালেঞ্জ করেন তিনি। তাঁর মতে, উপাসনাস্থল আইনের এই ধারাগুলি নাগরিকদের প্রার্থনার অধিকার এবং ধর্মীয় প্রচারে হস্তক্ষেপ করে। সংস্কৃতি বাঁচিয়ে রখার পরিপন্থীও এই আইন। 

    প্রসঙ্গত, ১৯৯১ সালের ওই আইনকে চ্যালেঞ্জ করে ছটি নতুন আবেদনপত্র জমা হয়েছে। উপাধ্যায় ছাড়াও ওই আইনকে চ্যালেঞ্জ করে আরও একটি পিটিশন জমা পড়েছে আদালতে। পিটিশনটি দাখিল করেছেন জনৈক অনিল কাবর্তা। তাঁর দাবি, ব্যক্তিগত মালিকানায় থাকা জমি কিংবা নতুন কোনও জমিতে গড়ে তোলা হোক মসজিদগুলি। মন্দিরের ছাদ, দেওয়াল, স্তম্ভ কিংবা ভিতও যদি ভেঙে পড়ে এবং সেখানে নিত্য নমাজ পড়া হয়, তাহলেও মন্দিরের চরিত্র বদলায় না। জনৈক দেবকীনন্দন ঠাকুরের পিটিশনেও এই ‘ঐতিহাসিক ভুলে’র উল্লেখ রয়েছে।

    আরও পড়ুন : সুপ্রিম জয় ইডি-র! পিএমএলএ আইনে সংস্থার অধিকাংশ ক্ষমতা বহাল রাখল শীর্ষ আদালত

  • Nupur Sharma: গ্রেফতার করা যাবে না নূপুর শর্মাকে, মিলল সুপ্রিম নির্দেশ 

    Nupur Sharma: গ্রেফতার করা যাবে না নূপুর শর্মাকে, মিলল সুপ্রিম নির্দেশ 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) স্বস্তি পেলেন বিজেপির (BJP) সাসপেন্ডেড মুখপাত্র নূপুর শর্মা (Nupur Sharma)। গ্রেফতারিতে স্থগিতাদেশ চেয়ে দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। শেষমেশ মিলল স্বস্তি। সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানানো হয়েছে, ১০ আগস্ট পর্যন্ত কোনও মামলায় গ্রেফতার করা যাবে না নূপুরকে। প্রাণসংশয়ের আশঙ্কা রয়েছ বলেও এদিন আদালতের দাবি করেছিলেন নূপুর। সেই দাবিকেও গুরুত্ব দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, ওই একই ইস্যুতে যদি আগামী কয়েকদিনের মধ্যে কোনও এফআইআর দায়ের হয়, সেক্ষেত্রেও তাঁকে গ্রেফতার করা যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে বিচারপতি সূর্য কান্ত ও বিচারপতি জেবি পর্দিওয়ালার ডিভিশন বেঞ্চ।

    আরও পড়ুন : নূপুর শর্মাকে খুনের হুমকি! গ্রেফতার আজমের দরগার এক ধর্মগুরু

    হজরত মহম্মদকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে দল থেকে সাসপেন্ড করা হয় বিজেপির মুখপাত্র নূপুরকে। তার পরেও দেশজুড়ে শুরু হয় তাণ্ডব। কোথাও ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তা অবরোধ করে, কোথাওবা বিজেপির পার্টি অফিস পুড়িয়ে বিক্ষোভ দেখায় সংখ্যালঘু সম্প্রাদায়ের একাংশ। ঘটনার প্রেক্ষিতে নূপুরকে ফোনে হুমকি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ।

    এর আগে পয়লা জুলাই মামলা থেকে সুরক্ষার দাবিতে দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন নূপুর। তখন খারিজ হয়ে যায় তাঁর আর্জি। সম্প্রতি ফের আদালতের দ্বারস্থ হন বিজেপির সাসপেন্ডেড মুখপাত্র নূপুর। এদিন নূপুরের আইনজীবী মনিন্দর সিং বলেন, নূপুরের প্রাণ সংশয় রয়েছে। সেই দাবি মেনে নিয়ে এদিন ডিভিশন বেঞ্চের তরফে রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলিকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে, যাতে নূপুরের প্রাণ সংশয় না হয়, সেই মতো নিরাপত্তা দেওয়া হয়।

    আরও পড়ুন : নূপুর শর্মাকে ভর্ৎসনার প্রতিবাদ, খোলা চিঠি ১১৭ প্রাক্তন আমলার

    নূপুরের বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে দেশের নানা রাজ্যে তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়। দিল্লি, তেলঙ্গানা, কর্নাটক, মহারাষ্ট্র, উত্তর প্রদেশ মায় জম্মু-কাশ্মীরেও দায়ের হয় এফআইআর। কলকাতায় যে তাঁর বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিশ জারি করা হয়েছে, এদিন সে কথারও উল্লেখ করেন নূপুরের আইনজীবী। নূপুরের বিরুদ্ধে এফআইআরের পরিপ্রেক্ষিতে কয়েকটি ক্ষেত্রে তাঁর বিরুদ্ধে জারি হয়েছে গ্রেফতারি পরওয়ানা। সম্ভাব্য গ্রেফতার এড়াতেই আদালতের দ্বারস্থ হন নূপুর। তার প্রেক্ষিতেই মেলে স্বস্তি।  

     

  • Supreme Court: কোন কোন রাজ্যে হিন্দুরা সংখ্যালঘু? ‘নির্দিষ্ট’ উদাহরণ চাইল সুপ্রিম কোর্ট

    Supreme Court: কোন কোন রাজ্যে হিন্দুরা সংখ্যালঘু? ‘নির্দিষ্ট’ উদাহরণ চাইল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যে সব রাজ্যে হিন্দুরা সংখ্যালঘু (Hindu Minority), অথচ তাঁদের সেই মর্যাদা দেওয়া হয়নি, তার ‘পোক্ত’ উদাহরণ চাইল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। ভারতের (India) যেসব রাজ্যে হিন্দুদের জনসংখ্যা (Hindu population) কম, সেখানে সংখ্যালঘু মর্যাদার দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হয়েছে মামলা। সেই মামলায় এবার ‘কংক্রিট’ উদাহরণ চাইল দেশের শীর্ষ আদালত। বিচারপতি ইউইউ ললিত, এস রবীন্দ্র ভাট এবং শুধাংশু ধুলিয়ার বেঞ্চ সাফ জানাল, কোন কোন রাজ্যে হিন্দুরা (Hindu) সংখ্যালঘু, এবং সেখানে তাঁরা উপেক্ষিত কি না, তা আমাদের জানান।

    মাসকয়েক আগে সুপ্রিম কোর্টে এ ব্যাপারে জনস্বার্থ মামলা দয়ের করেছিলেন মথুরার এক ধর্মীয় নেতা দেবকীনন্দন ঠাকুর। তিনি ১৯৯২ সালের ন্যাশনাল কমিশন অফ মাইনরিটিজ অ্যাক্ট এবং ন্যাশনাল কমিশন অফ মাইনরিটিজ এডুকেশনাল ইন্সটিটিউশন অ্যাক্ট ২০০৪ কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দ্বারস্থ হন আদালতের। এতদিন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের তকমা পেয়ে আসছেন এ দেশের পাঁচ ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মানুষ। এঁরা হলেন— মুসলমান, শিখ, বৌদ্ধ, পার্সি এবং জৈন। এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই এদিন দেশের শীর্ষ আদালত জানান, আদালতের সামনে কংক্রিট উদাহরণ থাকলে তবেই এ ব্যাপারে বিবেচনা করা যাবে।

    আরও পড়ুন : নূপুরকে ভর্ৎসনা! সুপ্রিম পর্যবেক্ষণের সমালোচনায় আদালত অবমাননা হয়নি, মত অ্যাটর্নি জেনারেলের

    সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, অন্যান্য ধর্মীয় সম্প্রদায়ের চেয়ে মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে জন্মহার এদেশে অনেক বেশি। ২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে, ভারতে মুসলিম জনসংখ্যা আগের আদমসুমারির চেয়ে এক লপ্তে বেড়ে গিয়েছে বেশ খানিকটা। সমীক্ষকদের দাবি, এভাবে চলতে থাকলে দ্রুত বদলে যাবে ভারতবর্ষের ধর্মীয় মানচিত্র। আবেদনকারীদেরও দাবি, দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্যে হিন্দুরাই সংখ্যালঘু। তাই ওই রাজ্যগুলিতে তাদের সংখ্যালঘুর জন্য সংবিধানকৃত বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা প্রাপ্য।  সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই এদিন সুপ্রিম কোর্ট সাফ জানিয়ে দেয়, এ ব্যাপারে নির্দিষ্ট উদাহরণ চাই। এদিন আবেদনকারীর পক্ষে বর্ষীয়ান আইনজীবী অরবিন্দ দাতার এ ব্যাপারে আদালতের কাছে সময় চান। তিনি বলেন, সমস্যাটা হিন্দুদের সংখ্যালঘু বলা যাবে কিনা, তা নিয়ে। দাতার বলেন, বুঝতে পারছি আদালত কী জানতে চায়। এ ব্যাপারে প্রামাণ্য উদাহরণ থাকতে হবে যেখানে হিন্দুদের সংখ্যালঘু মর্যাদার বৈধ দাবি অস্বীকার করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন : জামিন নিয়ে নয়া আইন! জানুন কী বলল সুপ্রিম কোর্ট

    এদিন বেঞ্চ দাতারকে বলে, আসলে আমরা বলতে চাইছি ভাষাগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুর ব্যাপারে। এ দেশের যে কোনও ব্যক্তিই সংখ্যালঘু হতে পারেন। মহারাষ্ট্রের বাইরে মারাঠারা সংখ্যালঘু। একই রকমভাবে প্রতিটি রাজ্যে ভাষাগত মাইনরিটিও রয়েছে। আইন করে একে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না।

  • Maharashtra political crisis: মহারাষ্ট্র মামলা বৃহত্তর বেঞ্চে পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট, পরবর্তী শুনানি ১ অগাস্ট

    Maharashtra political crisis: মহারাষ্ট্র মামলা বৃহত্তর বেঞ্চে পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট, পরবর্তী শুনানি ১ অগাস্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিবসেনা (Shiv Sena) নেতা তথা মহারাষ্ট্রের (Maharasthra) মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে (Eknath Shinde) ও ওই দলেরই নেতা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের (Uddhav Thackeray) আনা বিভিন্ন মামলা বৃহত্তর বেঞ্চে পাঠানোর সুপারিশ করল দেশের শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। ওই বৃহত্তর বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হবে ১ অগাস্ট। সুপ্রিম কোর্টের এই সিদ্ধান্তের জেরে ১ অগাস্ট পর্যন্ত সময় পেল শিন্ডে ও উদ্ধব দুই শিবিরই। এই সময়সীমার মধ্যে দু’পক্ষের কোনও বিধায়কের বিরুদ্ধেই দলত্যাগ বিরোধী আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না।

    আরও পড়ুন : আসল শিবসেনা প্রমাণ করতে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হচ্ছেন শিন্ডে?

    শিবসেনা কার? উদ্ধব ঠাকরে না একনাথ শিন্ডের, এনিয়ে মোট ছটি আবেদন জমা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। এর মধ্যে পাঁচটি আবেদন করা হয়েছে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে শিবিরের পক্ষ থেকে। আর একটি মাত্র আবেদন করা হয়েছে বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের তরফে। এদিন শুনানির শুরুতেই সুপ্রিম কোর্টে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধবের পক্ষে সওয়াল করতে হাজির হন প্রবীণ আইনজীবী কপিল সিবাল। আর শিন্ডে শিবিরের হয়ে সওয়াল করেন বর্ষীয়ান আইনজীবী হরিশ সালভে। আদালতে সিবাল বলেন, মহারাষ্ট্রে গণতন্ত্র ঘোর বিপদে। ওই রাজ্যে যা ঘটছে তাতে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো তামাশায় পরিণত হয়েছে। পাল্টা সওয়াল জবাবে সালভে বলেন, এই তর্ক এখানে একেবারেই যথাযথ নয়, যেখানে একজন মুখ্যমন্ত্রীকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছেন তাঁরই দলের সদস্যরা।  

    দু’পক্ষের সওয়াল জবাব শোনার পর ১ অগাস্টের মধ্যে দু’পক্ষকে যাবতীয় নথি এবং জবাব জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। ততদিন পর্যন্ত মহারাষ্ট্র বিধানসভার স্পিকারকে বিধায়কদের অযোগ্যতা সংক্রান্ত বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ করতে নিষেধ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি এনভি রমন্না বলেন, আমার মনে হয়, বিষয়টির নিষ্পত্তির জন্য একে বৃহত্তর বেঞ্চে পাঠানো উচিত।

    আরও পড়ুন : বিজেপি কেন একনাথ শিন্ডের হাতে মহারাষ্ট্রের রাশ ছাড়ল?

    বিজেপির সঙ্গে জোট গঠন নিয়ে শিবসেনার একনাথ শিন্ডের সঙ্গে বিরোধ বাঁধে দলেরেই নেতা উদ্ধব ঠাকরের। শেষমেশ বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার গঠন করে শিন্ডে। পতন হয় উদ্ধব সরকারের। এর পরেই আদালতের দ্বারস্থ হয় দু’পক্ষই।

     

  • Supreme Court: ‘ভ্রূণ হত্যার সামিল!’ গর্ভপাতের অনুমতি নাকচ দিল্লি হাইকোর্টের, সুপ্রিম কোর্টে তরুণী

    Supreme Court: ‘ভ্রূণ হত্যার সামিল!’ গর্ভপাতের অনুমতি নাকচ দিল্লি হাইকোর্টের, সুপ্রিম কোর্টে তরুণী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গর্ভপাতের আবেদন নিয়ে দিল্লি হাইকোর্টের (Delhi Highcourt) রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন এক মহিলা। ২০ সপ্তাহের পর অবিবাহিত মহিলাদের গর্ভপাতে বাধার নিয়মকে চ্যালেঞ্জ করে গত সপ্তাহেই দিল্লি হাইকোর্টের (Delhi High Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। ২৩ সপ্তাহ গর্ভধারণের পর গর্ভপাত করতে চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ২৫ বছর বয়সী ওই অবিবাহিত মহিলা। কিন্তু মহিলার সেই আবেদন খারিজ করে দেয় হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সতীশ চন্দ্র শর্মার নেতৃত্বাধানী ডিভিশন বেঞ্চ। 

    আরও পড়ুন: হাতে ১১ ইঞ্চি লম্বা ছুরি! নূপুর শর্মাকে খুনের উদ্দেশে ভারতে পাক যুবক

    হাইকোর্ট জানায়, বর্তমান গর্ভপাত সংক্রান্ত যে আইনটি আছে তা অবিবাহিত মহিলাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। বর্তমানে যে মেডিক্যাল টার্মিনেশন অফ প্রেগন্যান্সি (সংশোধিত), ২০২১ আইন আছে তা কেবল যৌন নিপীড়ন, ধর্ষণের মতো ঘটনা এবং শারীরিক প্রতিবন্ধী, মানসিক প্রতিবন্ধী, মানসিক অসুস্থ নারীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। ইচ্ছাকৃত যৌন সম্পর্কের ক্ষেত্রে গর্ভপাতের অনুমতি দেবে না আদালত। 

    আরও পড়ুন: গ্রেফতার করা যাবে না নূপুর শর্মাকে, মিলল সুপ্রিম নির্দেশ

    আদালতের পর্যবেক্ষণ, এখন গর্ভপাত করা হলে তা কার্যত ভ্রূণ (Foetus) হত্যার সমান হবে। তাই আদালতের পরামর্শ, আবেদনকারী মহিলাকে কোথাও নিরাপদে রাখা হবে যতক্ষণ না তিনি সন্তানের জন্ম দেন। এছাড়াও আগত সন্তানকে পরবর্তীতে দত্তক দেওয়া যেতে পারে।

    দিল্লি হাইকোর্ট আরও বলে, “আমরা নিশ্চিত করব যে মেয়েটিকে কোথাও নিরাপদে রাখা হয়েছে এবং সে প্রসব করতে পারে। দত্তক নেওয়ার জন্য বহু মানুষ লাইন দিয়ে রয়েছে। আমরা শিশুটিকে হত্যা করার অনুমতি দেব না। আমরা খুবই দুঃখিত। এটি কার্যত ভ্রূণ হত্যার সমান।” 

    সম্প্রতি সরকারের নতুন নিয়ম অর্থাৎ মেডিকেল টার্মিনেশন অফ প্রেগনেন্সি আইন ২০২১ অনুযায়ী গর্ভপাতের সময়সীমা ২০ সপ্তাহ থেকে বাড়িয়ে ২৪ সপ্তাহ করা হয়েছে। কিন্তু সেক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি নিয়ম প্রযোজ্য হতে হবে, যেমন কোনও মহিলা যদি যৌন নিপীড়ন বা ধর্ষণের শিকার হন, বিধবা, বিবাহ বিচ্ছেদ, প্রতিবন্ধী, মানসিকভাবে অসুস্থ, ভ্রূণের বিকৃতি প্রভৃতি ক্ষেত্রে গর্ভপাতের অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু অবিবাহিত মহিলার ক্ষেত্রে ওই আবেদন খারিজ করে দেয় দিল্লি হাইকোর্ট। 

    তারপরেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন ওই মহিলা। মামলাকারীর আইনজীবীর দাবি, ওই মহিলা অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারের এবং অবিবাহিত। তাঁর সঙ্গী বিয়ে করতেও অস্বীকার করেছেন। তাই কোনওভাবেই সন্তানের জন্ম দেওয়া তার পক্ষে সম্ভব নয়। তিনি অত্যন্ত মানসিক কষ্টের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন। সময় যত এগোচ্ছে পরিস্থিতি আরও জটিল হচ্ছে। তাই সুপ্রিম কোর্টকে মামলাটিকে দ্রুত শুনানির জন্যে তালিকাভুক্ত করার আবেদন জানিয়েছেন ওই মহিলার আইনজীবী।   

LinkedIn
Share