Tag: Supreme court

Supreme court

  • 2002 Gujarat riots case: জাকিয়া জাফরির কষ্টকে ব্যবহার করেছেন তিস্তা শেতলবাদ! অভিমত সুপ্রিম কোর্টের

    2002 Gujarat riots case: জাকিয়া জাফরির কষ্টকে ব্যবহার করেছেন তিস্তা শেতলবাদ! অভিমত সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০০২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি আমেদাবাদের গুলবার্গ সোসাইটি (Ahmedabad Gulbarg Society) হত্যাকাণ্ডে নিহত কংগ্রেস নেতা এহসান জাফরির স্ত্রী জাকিয়া জাফরির (Zakia Jafri) যন্ত্রণাকে কাজে লাগিয়েছেন তিস্তা শেতলবাদ। নিজেদের স্বার্থে জাকিয়ার বেদনাকে ব্যবহার করেছে তিস্তার এনজিও সংস্থা এমনটাই জানিয়েছে শীর্ষ আদালত (Supreme Court)।

    গুজরাটের হিংসায় বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অভিযোগ উঠেছিল। সেই ঘটনায় সরাসরি নাম জড়িয়েছিল গুজরাটের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। কিন্তু,তাঁকে ক্নিনচিট দিয়েছিল তদন্তকারী দল সিট। তারপর মামলা বন্ধের চূড়ান্ত রিপোর্ট গ্রহণ করেছিলেন ম্যাজিস্ট্রেট। বিচারপতি এএম খানউইলকর, বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী এবং বিচারপতি সিটি রবি কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ এদিন ২০২২ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি নরেন্দ্র মোদিকে ক্লিনচিটের রায়কেই বহাল রাখল। জাকিয়ার দায়ের করা স্পেশাল লিভ পিটিশনের সপক্ষে এদিন সওয়াল করেন আইনজীবী কপিল সিব্বল। তিনি জানান, সিটের তদন্তে খামতি ছিল। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এড়িয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু, মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারপতি  এএম খানউইলকর, বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী এবং বিচারপতি সিটি রবি কুমারেরর ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, এই মামলা ভিত্তিহীন। শোকাহত জাকিয়ার যন্ত্রণাকে কাজে লাগানো হয়েছে। কোথাও ওই হত্যাকাণ্ডের জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছিল এমন কোনও প্রমাণ মেলেনি, বলে জানান বিচারপতিরা।

    আরও পড়ুন: ‘শিবের মতো বিষপান করেছেন মোদি’, গুজরাট হিংসা প্রসঙ্গে অমিত শাহ

    আদালতের রায়ে বলা হয়, জাকিয়া জাফরি অন্য কারোর নির্দেশে কাজ করেছেন। তিস্তা শেতলাবাদের এনজিও অনেক ভুক্তভোগীদের হলফনামায় স্বাক্ষর করিয়েছিল এবং তাঁদের অনেকেই জানতেনও না যে কিসে স্বাক্ষর করছেন তাঁরা।  এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এদিন বলেন, ‘বিজেপির রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী, রাজনৈতিকভাবে অনুপ্রাণিত সাংবাদিক এবং কিছু এনজিও গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে মিথ্যা প্রচার করে। তাদের একটি শক্তিশালী ইকোসিস্টেম ছিল। তাই সবাই সেই মিথ্যাকে সত্য বলে বিশ্বাস করতে শুরু করে।’ শাহ আরও বলেন, ‘আমি তাড়াহুড়ো করে রায়টি পড়েছি (২৪শে জুন)। কিন্তু তাতে স্পষ্টভাবে তিস্তা শেতলবাদের নাম উল্লেখ রয়েছে। তাঁর একটি এনজিও ছিল। সেটি সমস্ত থানায় বিজেপি কর্মীদের নাম জড়িয়ে আবেদন জমা দিয়েছিল৷ মিডিয়ার দ্বারা এত চাপ ছিল যে সব আবেদনগুলি সত্য বলে মেনে নেওয়া হয়েছিল৷ সেই সময়ে ইউপিএ সরকার এই এনজিওকে সাহায্য করেছিল।’অমিত শাহ দাবি করেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে যাঁরা মিথ্যা প্রচার চালিয়েছিল, তাঁদের উচিত প্রধানমন্ত্রীর কাছে ক্ষমা চাওয়া।

     

  • SSC Recruitment Scam: এসএসসি দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের ডাকে ফের নিজাম প্যালেসে পার্থ চট্টোপাধ্যায়

    SSC Recruitment Scam: এসএসসি দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের ডাকে ফের নিজাম প্যালেসে পার্থ চট্টোপাধ্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (ssc recruitment scam) মামলায় ফের সিবিআই (cbi) দফতরে হাজির প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (partha chatterjee)। বুধবার নির্ধারিত সময়ের আগেই তিনি পৌঁছে যান নিজাম প্যালেসে (nizam palace)।

    এর আগে সিবিআই আধিকারিকরা একপ্রস্ত জেরা করেছিলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে। সূত্রের খবর, সেদিন অনেক প্রশ্নের উত্তরে পার্থ যা বলেছিলেন, তাতে সন্তুষ্ট নন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা। সেই কারণেই এদিন ফের দ্বিতীয় দফায় জেরা করা হচ্ছে তাঁকে। এদিকে, আবেদনে বেশ কিছু ত্রুটি থাকায় সুপ্রিম কোর্টে এখনই হচ্ছে না এসএসসি মামলায় পার্থর শুনানি।

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, এর আগে গোয়েন্দারা পার্থর কাছে জানতে চেয়েছিলেন উপদেষ্টা কমিটির ওপর কার নিয়ন্ত্রণ ছিল, কার নির্দেশে নিয়োগ হয়েছিল। এসব প্রশ্নের সন্তোষজনক উত্তর না মেলায় এদিন ফের পার্থকে তলব করে সিবিআই। এর পাশাপাশি পার্থ এবং শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর আয়কর সংক্রান্ত তথ্যও চেয়েছে সিবিআই।

    আরও পড়ুন : নথি নষ্টের আশঙ্কায় “সিল” এসএসসি দফতর, নিরাপত্তায় সিআরপিএফ, মধ্যরাতে নির্দেশ হাইকোর্টের

    বুধবার সকালে বাড়িতে গিয়ে পার্থের সঙ্গে দেখা করেন তাঁর আইনজীবীরা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, এর আগে যেদিন পার্থকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়, সেদিন তিনি জানিয়েছিলেন, এসএসসির উপদেষ্টা কমিটি গড়লেও, সেই কমিটির ওপর তাঁর কোনও নিয়ন্ত্রণ ছিল না। নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পর্কেও তিনি কিছু জানতেন না বলেই দাবি করেছিলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী।

    এদিকে, আয়কর দফতরে চিঠি দিয়ে গোয়েন্দারা পার্থ ও পরেশের গত পাঁচ বছরের আয়কর সংক্রান্ত নথি চেয়েছেন। কী কী সম্পত্তির ভিত্তিতে তাঁরা আয়কর দিয়েছেন, প্যান কার্ডের সঙ্গে কী কী সম্পত্তির হিসেব যুক্ত রয়েছে, সেই সংক্রান্ত তথ্যও আয়কর দফতরের কাছে চাওয়া হয়েছে। সিবিআই সূত্রে খবর, আয়কর দফতর থেকে পাওয়া নথির সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হবে মন্ত্রীদের দেওয়া নথি। পার্থ এবং পরেশের আত্মীয়দের সম্পত্তি সংক্রান্ত নথিপত্রও চাওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন : “সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ে কোনও ভুল নেই”, এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বহাল সিবিআই তদন্ত

    অন্যদিকে, এসএসসি দুর্নীতি মামলায় শীর্ষ আদালতে এখনই হচ্ছে না পার্থর আবেদনের শুনানি। হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন পার্থ। কিন্তু তাঁর আবদেন ত্রুটিপূর্ণ হওয়ায়, তা ত্রুটিমুক্ত করতে বলা হয়েছে।

    কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ পার্থকে সিবিআই দফতরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে তিনি আবেদন করেন ডিভিশন বেঞ্চে। পদ্ধতিগত ত্রুটির কারণে সেই মামলা গৃহীত হয়নি। সিঙ্গল বেঞ্চের রায় বহাল রাখার নির্দেশ দিয়েছিল ডিভিশন বেঞ্চ। তার পরেই সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন পার্থ।

     

  • Sedition Law: রাষ্ট্রদ্রোহ আইন পুনর্বিবেচনা করা হবে, সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা কেন্দ্রের

    Sedition Law: রাষ্ট্রদ্রোহ আইন পুনর্বিবেচনা করা হবে, সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রদ্রোহ আইন (sedition law) নিয়ে পুনর্বিবেচনা করবে কেন্দ্র। সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) হলফনামা দিয়ে জানাল নরেন্দ্র মোদির (Modi) সরকার। সোমবার একটি হলফনামায় সরকার শীর্ষ আদালতকে (Supreme Court) জানায়, ভারতীয় দণ্ডবিধির (Indian Penal Code) ১২৪-এ (বিদ্রোহ) ধারার পুনরায় পরীক্ষা ও পুনর্বিবেচনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

    রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে নানা সময় একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে শীর্ষ আদালতে। আদালতে কেন্দ্র আগেই জানিয়েছিল যে, রাষ্ট্রদ্রোহ আইন বাতিলে রাজি নয় তারা। এর পরেই সুপ্রিম কোর্টে অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপাল (A-G K.K. Venugopal) জানান, রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের অন্তর্গত ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৪(এ) ধারা প্রয়োগের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট নির্দেশিকা প্রয়োজন। মামলার শুনানি পর্বে অ্যাটর্নি জেনারেল সাম্প্রতিককালে কয়েকটি ক্ষেত্রে রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের অপপ্রয়োগের দৃষ্টান্তও তুলে ধরেন। তাঁর অভিযোগ, মহারাষ্ট্রে হনুমান চালিশা (Hanuman Chalisa) পাঠের জন্যও অযৌক্তিকভাবে ১২৪(এ) ধারায় রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনা হয়েছে।

    দেশে নানা সময় রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের অপব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। এ সংক্রান্ত মামলাও হয়েছে বিভিন্ন সময়। তাই প্রয়োজন ছিল একটি নির্দেশিকার। যে নির্দেশিকার কথা বলেছিল সুপ্রিম কোর্টও। রাষ্ট্রদ্রোহ আইনকে ঔপনিবেশিক আখ্যা দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। গত বছর এই আইনের অপব্যবহারের দিকের কথা উল্লেখ করে শীর্ষ আদালত কেন্দ্রকে প্রশ্ন করেছিল, এক সময় যে ঔপনিবেশিক আইন ব্যবহার করে মহাত্মা গান্ধী (Mahatma Gandhi) ও লোকমান্য তিলকের (Lokmanya Tilak) মতো নেতাদের নিপীড়ন করা হয়েছিল, এখনও সেই আইন কেন প্রয়োগ করা হবে? এই প্রশ্নেরই উত্তর দিতে গিয়ে কেন্দ্র সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে জানায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৪ (এ) ধারার পুনরায় পরীক্ষা ও পুনর্বিবেচনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

     

  • VHP Gyanvapi Meeting: অযোধ্যার পর কাশী? জ্ঞানবাপী নীতি ঠিক করতে বৈঠকে ভিএইচপি

    VHP Gyanvapi Meeting: অযোধ্যার পর কাশী? জ্ঞানবাপী নীতি ঠিক করতে বৈঠকে ভিএইচপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জ্ঞানবাপী নিয়ে ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নির্ধারণ করা প্রয়োজন। তাই জুন মাসে হরিদ্বারে বসতে চলেছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের(VHP) বৈঠক।  এই বৈঠকে যোগ দেবেন দেশ-বিদেশের সাধুরা। সেখানেই আলোচনা হবে জ্ঞানবাপী(Gyanvapi mosque)  নিয়ে।

    ফি বছর জুন মাসে অনুষ্ঠিত হয় বিশ্বহিন্দু পরিষদের বার্ষিক সভা(annul meeting)। এই সভায় দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। এবারও জুনের ১০-১১ তারিখে হবে ওই সভা। এবার আলোচনায় গুরুত্ব পাবে জ্ঞানবাপী মসজিদ।

    বারাণসীতে কাশী বিশ্বনাথ মন্দির(kashi Viswanath temple) চত্বরেই রয়েছে জ্ঞানবাপী মসজিদ। হিন্দুত্ববাদী একাধিক সংগঠনের দাবি, ঔরঙ্গজেবের শাসনকালে বিশ্বনাথের মন্দির ভেঙে তৈরি হয়েছে মসজিদ। পরে ওই চত্বরেই মন্দির পুনর্নিমাণ করেন রানি অহল্যাবাই। রয়ে যায় মসজিদও। প্রতিদিন নিয়ম করে মন্দিরে যেমন পুজো হয়, তেমনি পাঁচ ওয়াক্ত নমাজ পড়া হয় মসজিদেও। হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের দাবি, যে জায়গায় মসজিদ রয়েছে, সেখানে এক সময় ছিল শৃঙ্গার গৌরীর মঠ। মসজিদের দেওয়ালে হিন্দুদের দেবদেবীর কয়েকটি মূর্তি রয়েছে বলেও দাবি ওই সংগঠনের। এর পরেই পুজোর অধিকার চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয় হিন্দুদের কয়েকটি সংগঠন। বারাণসী জেলা আদালত ঘুরে যে মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে।

    আরও পড়ুন : ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা মাদ্রাসা বন্ধে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ যোগীর

    সম্প্রতি আদালতের নির্দেশে মসজিদ এলাকায় ভিডিওগ্রাফি করা হয়। একটি অংশের দাবি, ভিডিওগ্রাফিতে মসজিদের ওজুখানার জলাধারে মিলেছে শিবলিঙ্গ। যদিও মসজিদ কমিটির দাবি, শিবলিঙ্গ নয়, জলাধারে রয়েছে পুরানো ফোয়ারা। এরপরেই জেলাশাসককে ওজুখানার জলাধারে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। নমাজিরা যাতে নমাজ পড়তে পারেন, সেটাও ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেওয়া হয়।

    আরও পড়ুন :জ্ঞানবাপী মামলার দুই বিচারপতি ছিলেন রামজন্মভূমি-বাবরি শুনানিতেও

    বিশ্বহিন্দু পরিষদের সভাপতি অলোক কুমার(alok kumar) বলেন, বিশ্বহিন্দু পরিষদের একটি কেন্দ্রীয় গাইড বোর্ড রয়েছে। দেশের সাধু-সন্তরা এর সদস্য। জুন মাসের বৈঠকে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে তাঁরা আমাদের দিকনির্দেশা করবেন। প্রতি বছর জুন মাসে এই সভা হয় বলেও জানান তিনি। সভাপতি বলেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে আমাদের পথ দেখাতে অনুরোধ করব।তিনি বলেন, বিশ্বহিন্দু পরিষদ জ্ঞানবাপী সম্পর্কে আদালতের সিদ্ধান্তকে সম্মান করতে চলেছে। আমাদের সমাজ আদালতের সিদ্ধান্তের প্রতি পূর্ণ আস্থা রাখবে। আমরা আদালতের চূড়ান্ত নির্দেশের অপেক্ষা করব। তার পরেই হবে ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নির্ধারণ।

     

  • Illegal Loudspeakers: উত্তরপ্রদেশের পর এবার কর্নাটক, বেআইনি লাউডস্পিকার খুলে ফেলার নির্দেশ সরকারের

    Illegal Loudspeakers: উত্তরপ্রদেশের পর এবার কর্নাটক, বেআইনি লাউডস্পিকার খুলে ফেলার নির্দেশ সরকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর প্রদেশের (Uttar Pradesh) যোগী আদিত্যনাথের ( Yogi Adityanath) পদাঙ্ক অনুসরণ কি করতে চলেছে কর্নাটক (Karnataka) সরকার? সম্প্রতি রাজ্যের সমস্ত বেআইনি লাউডস্পিকার খুলে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে কর্নাটক সরকার। সূত্রের খবর, সুপ্রিম কোর্ট ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের নির্দেশ মেনে লাউডস্পিকার (loudspeaker) নিয়ে নয়া নির্দেশিকা জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাসবরাজ বোম্মাইয়ের(Basavraj Bommai) প্রশাসন। 

    সম্প্রতি, রাজ্যের সব মন্দির-মসজিদ থেকে বেআইনি লাউডস্পিকার খুলে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিলেন উত্তর প্রদেশের যোগী আদিত্যানাথের সরকার। মাইকে আজান মৌলিক অধিকার নয় বলে জানিয়ে দিয়েছিল দেশের শীর্ষ আদালত। তার পরেই রাজ্যজুড়ে বেআইনি লাউডস্পিকার খুলে ফেলার সরকারি সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়। এবার সেই একই পথে হেঁটে রাজ্যের সমস্ত বেআইনি লাউডস্পিকার বন্ধে উদ্যোগী হল কর্নাটক সরকার। সোমবার কর্নাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অর্গা জ্ঞানেন্দ্র বলেন, লাউডস্পিকার নিয়ে রাজ্যের প্রবীণ আধিকারিকদের নিয়ে বেঙ্গালুরুতে বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই।

    রাজ্যের বিভিন্ন মসজিদে আজান হয় লাউডস্পিকারে। তার প্রতিবাদে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় শ্রীরাম সেনার কর্মীরা মাইকে হনুমান চালিশা পাঠ করতে শুরু করেন। দুই লাউডস্পিকারের কান ফাটানো আওয়াজের জেরে কান পাতা দায় হচ্ছিল বলে অভিযোগ আসতে থাকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। এর পরেই বেআইনি লাউডস্পিকার ( illegal loudspeakers) বন্ধে উদ্যোগী হয় সরকার। জ্ঞানেন্দ্র জানান, বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন ১৫ দিনের মধ্যে রাজ্যের সব বেআইনি লাউডস্পিকার খুলে ফেলতে হবে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকা মেনে ইতিমধ্যেই একটি নোটিসও জারি করা হয়েছে। প্রত্যেককেই আদালতের রায়কে সম্মান করতে হবে। তা না হলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, তারা (শ্রীরাম সেনা) কী করছে আমি জানি না। তবে সরকার কী করছে, তা আমি আপনাদের জানাচ্ছি।

    খোদ মুখ্যমন্ত্রীও বলেন, আদালতের (supreme court) রায়কে সম্মান করতেই হবে। কেউই আইন নিজের হাতে তুলে নিতে পারে না। সবাই আদালতের রায় মানলে কোনও সমস্যা হবে না। তিনি জানান, উত্তর প্রদেশেও এই একই ব্যবস্থা চালু হয়েছে। অন্যান্য রাজ্যগুলিতেও অবিলম্বে এই ব্যবস্থা চালু হবে, আশাবাদী বাসবরাজ।

     

  • Supreme court: জ্ঞানবাপী মামলার দুই বিচারপতি ছিলেন রামজন্মভূমি-বাবরি শুনানিতেও

    Supreme court: জ্ঞানবাপী মামলার দুই বিচারপতি ছিলেন রামজন্মভূমি-বাবরি শুনানিতেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আশ্চর্য সমাপতন!জ্ঞানবাপী মসজিদ(Gyanvapi mosque) সমীক্ষা সংক্রান্ত মামলার শুনানি করছেন যাঁরা, তাঁরা অংশ নিয়েছিলেন রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ মামলার ফয়সালায়ও। দুই মামলার ব্যবধান কয়েক বছরের। অথচ কী অদ্ভুতভাবে দুই ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী হতে চলেছেন সুপ্রিম কোর্টের(Supreme court) দুই বিচারপতি।

    ২০১৯ সালের নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টে নিষ্পত্তি হয় রাম জন্মভূমি বাবরি মসজিদ মামলার। অযোধ্যার যে জায়গায় এখন রামলালা মন্দির গড়ে উঠছে, এক সময় সেখানেই ছিল বাবরি মসজিদ। হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের দাবি, রামলালার মন্দির ভেঙেই মুঘল আমলে গড়ে তোলা হয়েছে মসজিদ। যদিও বাবরি মসজিদ কমিটির দাবি ছিল, রামলালা নয়, মসজিদ যেখানে রয়েছে, সেখানেই ছিল দীর্ঘকাল। শেষমেশ সুপ্রিম কোর্ট রামলালার মন্দির নির্মাণের পক্ষেই রায়দান করে। বাবরি মসজিদ কমিটিকে সম পরিমাণ জমি দেওয়া হয় অন্যত্র। এভাবেই ইতি পড়ে দীর্ঘ দিন ধরে চলে আসা মামলায়। রাম জন্মভূমি বাবরি মসজিদ মামলায় যুক্ত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ধনঞ্জয় ওয়াই চন্দ্রচূড়(Dhananjaya y chandrachud)। ওই মামলায় অংশ নিয়েছিলেন পিএস নরসিমাও(P S Narasimha)। ২০১৯ সালে পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ রায় দেন ওই মামলার। সেই বেঞ্চে ছিলেন চন্দ্রচূড়ও। আর নরসিমা ওই বছর বিচারক ছিলেন না ঠিকই, তবে তিনি ছিলেন সিনিয়র আইনজীবি। ওই মামলার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনিও। হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের হয়ে মামলা লড়ছিলেন তিনি। এই মামলায় চন্দ্রচূড়ের যে বেঞ্চ, সেই বেঞ্চের সামনে যুক্তিজাল বিস্তার করেন তিনি। ওই মামলার রায়দানের পরে কেটে গিয়েছে দু’ বছরেরও বেশি সময়। সরযূ নদী দিয়ে গড়িয়ে গিয়েছে অনেক জল। আরও একটি মামলায় যুক্ত হয়েছেন চন্দ্রচূড় ও নরসিমা। এই মামলাও উত্তর প্রদেশের। হিন্দুত্ববাদীদের দাবি, জ্ঞানবাপী মসজিদের জায়গায় এক সময় ছিল কাশী শৃঙ্গার গৌরীর মন্দির। মন্দিরের দেওয়ালে হিন্দু দেবদেবীর মূর্তিও রয়েছে বলে দাবি তাদের। আর জ্ঞানবাপী মসজিদ(Gyanvapi mosque) কমিটির দাবি, মসজিদ রয়েছে দীর্ঘকাল। নমাজও পড়া হয় নিয়মিত।

    এই মামলাও উঠেছে সুপ্রিম কোর্টে। এই মামলায়ও জড়িয়ে গিয়েছেন চন্দ্রচূড় এবং নরসিমা। এঁরাই মসজিদ প্রাঙ্গণের ভিডিওগ্রাফির বিরুদ্ধে মসজিদ পরিচালনাকারী আঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটির একটি আবেদন বিবেচনা করেন। এই কমিটিই বারাণসী সিভিল কোর্ট নির্দেশিত সমীক্ষায় স্থগিত চেয়েছে। মন্দির-মসজিদ বিতর্কের(temple mosque controversy) অবসানে ফের কাটো কোটটা গায়ে চড়াবেন এই দুই বিচারপতি! 

    আরও পড়ুন : ষোড়শ শতকের জ্ঞানবাপী মসজিদ ঘিরে চলা ৩১ বছরের বিতর্ক

  • Gyanvapi Mosque Survey: অ্যাডভোকেট কমিশনারকে সরাল সুপ্রিম কোর্ট, রিপোর্ট জমা করতে দু’দিন সময় কমিশনকে

    Gyanvapi Mosque Survey: অ্যাডভোকেট কমিশনারকে সরাল সুপ্রিম কোর্ট, রিপোর্ট জমা করতে দু’দিন সময় কমিশনকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল বারাণসী আদালত (Varanasi court) কর্তৃক নিযুক্ত অ্যাডভোকেট কমিশনার অজয় কুমার মিশ্রকে (advocate commissioner ajay kumar Mishra)। তাঁর বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলেছিলেন জ্ঞানবাপী মসজিদ (Gyanvapi mosque) কমিটি। মঙ্গলবার বারাণসী আদালততাঁকে সরিয়ে দেয়। এদিকে, আদালতে রিপোর্ট পেশ করার জন্য অতিরিক্ত দুদিন সময়ও দেওয়া হয়েছে আদালত নিযুক্ত বিশেষ কমিশনকে।

    কাশী বিশ্বনাথ মন্দির (Kashi Viswanath Temple) লাগোয়া জমিতেই রয়েছে জ্ঞানবাপী মসজিদ। হিন্দুদের কয়েকটি গোষ্ঠীর দাবি, বিশ্বনাথের মন্দির ভেঙেই ঔরঙ্গজেবের (Mughal ruler Aurangzeb) আমলে গড়ে তোলা হয়েছিল মসজিদ। মসজিদের দেওয়ালে হিন্দু দেবদেবীর মূর্তিও রয়েছে বলে দাবি জানায় একটি সম্প্রদায়। হিন্দুদের একাংশের দাবি, ঔরঙ্গজেবের পরবর্তীকালে রানি অহল্যাবাই বর্তমান মন্দিরটি স্থাপন করেন। হিন্দু সংগঠনের এও দাবি, যেখানে এখন মসজিদ রয়েছে, সেখানে এক সময় ছিল শৃঙ্গার গৌরীর মন্দির (Shringar Gauri Temple)। এর পরেই আদালতের দ্বারস্থ হয় হিন্দুদের কয়েকটি সংগঠন।

    ষোড়শ শতকের জ্ঞানবাপী মসজিদ ঘিরে চলা ৩১ বছরের বিতর্ক

    মন্দির-মসজিদ বিবাদের (mosque temple controversy) নিষ্পত্তি করতে আদালত নিযুক্ত বিশেষ কমিশনকে মসজিদে ভিডিওগ্রাফি সমীক্ষার করার নির্দেশ দেওয়া হয়। এই কমিশনে ছিলেন বারাণসী আদালত কর্তৃক নিযুক্ত অ্যাডভোকেট কমিশনার অজয় কুমার মিশ্র। তাঁর বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে সরব হয় মসজিদ কমিটি। তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার দাবিও জানানো হয়।

    শেষমেশ এদিন শীর্ষ আদালত তাঁকে পদ থেকে সরিয়ে দেয়। কমিশন আদালতে রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য অতিরিক্ত সময় চেয়েছিল। রিপোর্ট পেশ করতে তাদের বাড়তি দুদিন সময় দেওয়া হয়। প্রসঙ্গত, এর আগে সহকারী কোর্ট কমিশনার অজয় প্রতাপ সিং বলেছিলেন, সমীক্ষার মাত্র ৫০ শতাংশ রিপোর্ট প্রস্তত, এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। এই কারণে আমরা এদিন এটি পেশ করতে পারব না। আদালতের কাছে ৩-৪ দিন সময় চাইব। সেই মতো আদালত অতিরিক্ত দুদিন সময় বরাদ্দ করে।

    এদিকে, শনিবার শুরু হওয়া ভিডিওগ্রাফির কাজ শেষ হয় সোমবার। তার পরেই মামলার হিন্দু আবেদনকারী সোহান লাল আর্য (SohanLal Arya) দাবি করেন, কমিটি মসজিদ চত্বরে একটি শিবলিঙ্গ (Shivling in Gyanvapi Mosque) খুঁজে পেয়েছে। শিবলিঙ্গটি নন্দীর প্রতীক্ষায় রয়েছে। একেই চূড়ান্ত প্রমাণ বলে দাবি করেন তিনি। তার পরেই উপস্থিত জনতাকে হর হর মহাদেব ধ্বনি দিতেও দেখা যায়।

     

  • Hyderabad Honour Killing: ভিনধর্মের যুবতীকে বিয়ে, প্রাণ গেল দলিত যুবকের, ধৃত স্ত্রীর ভাই সহ ২

    Hyderabad Honour Killing: ভিনধর্মের যুবতীকে বিয়ে, প্রাণ গেল দলিত যুবকের, ধৃত স্ত্রীর ভাই সহ ২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার পরিবারের সম্মান রক্ষার্থে খুন হতে হল এক হিন্দু যুবককে! ‘অনার কিলিং’য়ের শিকার হলেন তেলেঙ্গানার সারুরনগর এলাকার যুবক বিল্লাপুরাম নাগরাজু। ওই ঘটনায় তরুণীর কয়েকজন আত্মীয়কে আটক করেছে পুলিশ। শুরু হয়েছে তদন্ত।

    এলাকার একটি গাড়ির দোকানে সেলসম্যানের কাজ করতেন নাগরাজু। ভিন ধর্মের এক কিশোরীর ভালবাসার সুতোয় বাঁধা পড়েছিলেন সেই স্কুল জীবনে। চলতি বছর জানুয়ারিতে দুই পরিবারের অমতেই বিয়ে করেন বান্ধবী আসরিন সুলতানাকে। ভিন ধর্মে বিয়ে করায় পরিবারের অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচতে পালিয়ে যান তাঁরা। সম্প্রতি ফিরে এসে কাজে যোগ দিয়েছিলেন নাগরাজু। বুধবার রাত ন’টা নাগাদ বাইকে করে এসে প্রথমে মাথায় লোহার রড দিয়ে আঘাত করার পর ধারাল অস্ত্র দিয়ে নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুন করে এক ব্যক্তি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। জানা যায়, পরিবারের সম্মান রক্ষার্থে নাগরাজুকে খুন করে সুলতানার ভাই।

    এমনটা যে ঘটতে পারে, তা বোধহয় আঁচ করতে পেরেছিলেন সুলতানা। তাই বিয়ের পরে নিজের নাম বদলে করে নেন পল্লবী। এলাকার একটি মন্দিরে গিয়ে বিয়ে করেন দু’জনে। পরে এলাকা ছেড়ে পালান। ফিরে আসেন সম্প্রতি। তাতেও শেষ রক্ষা না হওয়ায় আফশোস করছেন সুলতানা ওরফে পল্লবী। পরিবারের সম্মান রক্ষার্থেই এই খুন বলে দাবি নাগরাজুর এক আত্মীয়ের। তিনি বলেন, স্কুল জীবন থেকে ওদের পরিচয়। ভিন ধর্মে বিয়ে করেছিল ওরা। তাই নাগরাজুকে মেরে ফেলেছে মেয়েটির পরিবার।

    ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করেছে তেলেঙ্গানার বিজেপি নেতৃত্ব। স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক রানা সিংয়ের প্রশ্ন, কেবল পরিবারই এই ঘটনায় যুক্ত ছিল? নাকি এই ঘটনায় কোনও ধর্মীয় গোষ্ঠীর উস্কানি ছিল? ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত দাবি করেছেন তিনি। বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালা বলেন, যদি কোনও মুসলিম খুন হতেন, তাহলে তৃণমূল সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল রাষ্ট্রপুঞ্জে পৌঁছে যেত। এখন একজন হিন্দু খুন হয়েছেন বলে সবাই চুপ।

    অনার কিলিংয়ের নামে আর কত প্রাণ হবে বলিদান? উঠছে প্রশ্ন। বছরখানেক আগে লাভ জেহাদ প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের করা একটি মন্তব্য এ প্রসঙ্গে প্রণিধানযোগ্য, নিজের সঙ্গী পছন্দ করার অধিকার রয়েছে কোনও পুরুষ বা মহিলার। আর সেটা মেনে নিতে হবে সমাজকে।

        

  • 2002 Gujarat Riots Case: গুজরাট হিংসায় মোদির ক্লিনচিট বহাল সুপ্রিম কোর্টের, বিরোধীদের নিশানা বিজেপির

    2002 Gujarat Riots Case: গুজরাট হিংসায় মোদির ক্লিনচিট বহাল সুপ্রিম কোর্টের, বিরোধীদের নিশানা বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুজরাট হিংসার ঘটনায় তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী (CM)নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) ক্লিনচিট (Clean Chit)দিয়েছিল বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT)। সিটের দেওয়ার তথ্যের ভিত্তিতেই নরেন্দ্র মোদিকে নির্দোষ রায় দেয় গুজরাট হাইকোর্ট। সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ এহসান জাফরির স্ত্রী জাকিয়া। সেই আর্জি শুক্রবার খারিজ করে দেয় দেশের শীর্ষ আদালত। ২০০২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি অমদাবাদের গুলবার্গ সোসাইটিতে হিংসায় ৬৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে ছিলেন এহসান। তদন্তের জন্য সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করা হয়েছিল। তথ্যপ্রমাণের অভাবে তৎকালীন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি-সহ ৬৪ জনকে ক্লিনচিট দেয় সিট। সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করেন জাকিয়া।

    জাকিয়া জাফরির (Zakia Jafri) দায়ের করা স্পেশাল লিভ পিটিশনের সপক্ষে এদিন সওয়াল করেন আইনজীবী কপিল সিব্বল। তিনি জানান, সিটের তদন্তে খামতি ছিল। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এড়িয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু, মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারপতি  এএম খানউইলকর, বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী এবং বিচারপতি সিটি রবি কুমারেরর ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, এই মামলা ভিত্তিহীন। এদিন সুপ্রিম কোর্টের রায়দানের পর গুজরাট সরকারের পক্ষের আইনজীবী তথা সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বিচারপতিদের কাছে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেন।

    আরও পড়ুন: কেউ রানি ভিক্টোরিয়া বা যুবরাজ নয়! সোমবার রাহুলের জেরা প্রসঙ্গে বিজেপি

    সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের পরই কংগ্রেস, বাম দলগুলো-সহ বিরোধীদের একহাত নিলেন বিজেপি সাংসদ রবি শঙ্কর প্রসাদ। তিনি বলেন, “বিরোধীরা গত কুড়ি বছর ধরে মোদিজিকে মিথ্যা দোষারোপ করে গিয়েছেন। ২০০২-গুজরাত হিংসাক ঘটনায় রাজনীতির রঙ লাগিয়েছেন। আজ সত্যি প্রমাণিত হল। আইনের চোখে সবাই সমান। ভারতীয় আইন নির্দোষকে শাস্তি দেয় না।” বিরোধীরা আর কতদিন এই ঘটনায় বিজেপিকে দোষ দেবে, অভিমত রবি শঙ্করের।  তিনি বলেন,”যাঁরা মিথ্যা অভিযোগ করেছেন, তাঁদের মোদিজির কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত।” বিজেপি এবার কলঙ্কমুক্ত হল বলেও দাবি করেন তিনি।

     

  • Marital Rape: ‘‌বৈবাহিক ধর্ষণ’‌ নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত দিল্লি হাইকোর্ট, মামলা যেতে পারে শীর্ষ আদালতে

    Marital Rape: ‘‌বৈবাহিক ধর্ষণ’‌ নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত দিল্লি হাইকোর্ট, মামলা যেতে পারে শীর্ষ আদালতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৈবাহিক ধর্ষণ (Marital Rape) কি অপরাধ? নির্দিষ্ট উত্তর দিতে পারল না দিল্লি হাইকোর্ট (Delhi High Court)। এই বিষয় নিয়ে বিতর্ক বহুদিনের। একের পর এক মামলা উঠেছে আদালতে। তবু সুরাহা হয়নি। এবার দিল্লি হাইকোর্টও নির্দিষ্ট কোনও রায় দিতে পারল না। দ্বিধাবিভক্ত রায় দিল আদালত। এই বিষয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দুই বিচারপতি রাজীব শকধের ও সি হরিশংকর আলাদা মত দিলেন। তবে আবেদনকারী সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) আবেদন করতে পারেন বলেও জানিয়েছেন দুই বিচারপতি। 

    ‘‌বৈবাহিক ধর্ষণ’‌–ও অপরাধ। তাকে অপরাধের তকম দেওয়া হোক। এই দাবি জানিয়ে দিল্লি হাইকোর্টে একের পর এক পিটিশন জমা পড়েছিল। ২০১৫ সালে ধর্ষণ আইনের একটি ব্যতিক্রমী ধারাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে প্রথম পিটিশনটি জমা পড়েছিল। ওই ধারায় প্রাপ্তবয়স্ক স্ত্রীকে যৌন সংসর্গে বাধ্য করার বিষয়টিকে ছাড় দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, স্ত্রীর বয়স ১৮ বছরের বেশি হলে তাঁকে যৌন সংসর্গে বাধ্য করতে পারেন স্বামী। এই ধারার বিরুদ্ধেই জমা পড়েছিল পিটিশন।

    সেই মামলার শুনানিতেই ভিন্ন মত পোষণ করলেন বিচারপতি রাজীব শাকধের এবং বিচারপতি হরি শঙ্কর। বিচারপতি শাকধেরের মতে এই ব্যতিক্রম আসলে সংবিধানের ১৪, ১৯, ২১ ধারার (‌সাম্যের অধিকার, বাক এবং ভাব প্রকাশের স্বাধীনতা, জীবন ও ব্যক্তিগত স্বাধীনতার সুরক্ষা)‌‌ বিরোধিতা করে। শাকধের স্পষ্টই জানান, এই বিষয়ে তিনি সহ-বিচারপতি হরি শঙ্করের সঙ্গে একমত হতে পারছেন না। অন্য বিচারপতি সি হরিশংকর (C Harishanker) জানালেন, ধর্ষণ আইনের ব্যতিক্রমী ধারাটি সংবিধানের পরিপন্থী নয় কোনওভাবেই। কারণ, স্বামী-স্ত্রীর মতপার্থক্যের কারণেই একমাত্র এই ধরনের অভিযোগ উঠে থাকে। যাকে কখনওই সেই অর্থে অপরাধ বলে গণ্য করা ঠিক নয়। 

    বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের মধ্যে ধর্ষণের প্রসঙ্গ টানা যায় কিনা তা নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠেছে দেশে। অনেকের মতে বিষয়টি পশ্চিমি সংস্কৃতি থেকে আমদানি করা হয়েছে। এই বিষয়ে গত ৭ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট কেন্দ্রের অবস্থান জানাতে চেয়েছিল। দিল্লি হাইকোর্ট কেন্দ্রকে দুই সপ্তাহ সময় দিয়ে বলেছিল, তার মধ্যে ‘‌বৈবাহিক ধর্ষণ’‌ নিয়ে তাদের মত জানাতে। যদিও কেন্দ্র এখনও পর্যন্ত তাদের মত দেয়নি। এ প্রসঙ্গে আদালত জানায়, ‘‌যদি কেন্দ্র মনে করে অনির্দিষ্টকাল আদালত এই শুনানি স্থগিত রাখবে, তাহলে তা হবে না।’‌ জবাবে কেন্দ্রের হয়ে সওয়াল করা সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, এই বিষয়ে সব রাজ্য, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মতামত জানতে চাওয়া হয়েছে। নয়তো নাগরিকদের সামাজিক জীবন ব্যাহত হতে পারে। উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে এপ্রসঙ্গে হলফনামা দিয়ে কেন্দ্র জানিয়েছিল, ‘‌বৈবাহিক ধর্ষণ’‌–কে তারা অপরাধ বলতে রাজি নয়। এতে বিপাকে পড়তে পারে ‘‌বিবাহ প্রতিষ্ঠান’‌। এই আইন আনা হলে অনেক স্ত্রীই তাকে অস্ত্র করে স্বামীকে হেনস্থা করতে পারে।  

    প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে বিবাহ বিচ্ছেদ সংক্রান্ত একটি মামলায় বৈবাহিক ধর্ষণ প্রসঙ্গ ওঠে কেরল হাইকোর্টে। ওই মামলায় আদালত জানায়, বিবাহ-বিচ্ছেদের মামলায় বৈবাহিক ধর্ষণ যথেষ্ট যুক্তিগ্রাহ্য কারণ। কেরল হাইকোর্টের বিচারপতিরা জানান, ভারতে বৈবাহিক ধর্ষণ দণ্ডণীয় অপরাধ নয় বটে তবে শরীর হোক বা আত্মপরিচয়, স্ত্রীর কোনও কিছুর উপরই কর্তৃত্ব চালাতে পারেন না একজন স্বামী। আদালত আরও বলে, স্ত্রীর শরীরকে স্বামী যদি সম্পত্তি ভাবেন এবং জোর করে সঙ্গমে লিপ্ত হন, তাহলে সেটি বৈবাহিক ধর্ষণই।

     

LinkedIn
Share