Tag: Supreme court

Supreme court

  • Supreme Court: উপাসনাস্থল আইনের বিরোধিতায় নতুন কোনও আবেদন নয়, জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    Supreme Court: উপাসনাস্থল আইনের বিরোধিতায় নতুন কোনও আবেদন নয়, জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯৯১ সালের ধর্মীয় উপাসনাস্থল আইনের (Places of Worship Act, 1991) বিরোধিতায় করা নতুন করে আর কোনও আবেদন গ্রহণ করা হবে না বলে সাফ জানাল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। শুক্রবার এই মর্মে রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে গঠিত একটি বেঞ্চ। উপাসনাস্থল আইনের বিরোধিতায় নিত্য জমা পড়ছে একের পর এক আবেদনপত্র (Petition)।  তার প্রেক্ষিতেই এদিন এই রায় দেয় দেশের শীর্ষ আদালত। তবে আদালত এও জানিয়েছে, চাইলে আগে গৃহীত হওয়া ৬টি আবেদনের সঙ্গে নিজেদের আবেদন জুড়ে দিতে পারবেন নতুন আবেদনকারীরা। 

    ২০২১ সালের মার্চ মাসে দেশের শীর্ষ আদালত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র, আইন এবং সংস্কৃতি মন্ত্রীদের নোটিশ পাঠায়। কারণ তার আগে উপাসনাস্থল আইনে সুপ্রিম কোর্টে একটি পিটিশন দায়ের করেছিলেন জনৈক অশ্বিনী কুমার উপাধ্যায়। ১৯৯১ সালে আইনে পরিণত হয় উপাসনাস্থল বিল। এই আইন অনুযায়ী, ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট স্বাধীনতার আগে যে ধর্মীয় স্থানের চরিত্র যা ছিল, তা বজায় থাকবে। 

    আরও পড়ুন : শিন্ডে শিবিরকে স্বীকৃতি, লোকসভার স্পিকারের সিদ্ধান্তকে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ ঠাকরের

    এই আইনের বিরুদ্ধেই প্রায় প্রতিদিনই আলাদতে জমা পড়ছে পিটিশন। তার প্রেক্ষিতেই এদিন ছটি মামলা গ্রহণের কথা জানায় সুপ্রিম কোর্ট। উপাধ্যায়ের দাবি, ১৯৯১ সালের উপাস্থল আইন ভিত্তিহীন এবং অযৌক্তিক। কারণ ধর্মীয় কাঠামোর ক্ষেত্রে কোনও একটি বছর নির্দিষ্ট করে দেওয়া ঠিক নয়। তাঁর দাবি, এই আইনের ফলে হিন্দু, জৈন, শিখ এবং বৌদ্ধদের উপাসনাস্থল আইনের প্রতিবাদে কোর্টে যাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে। আইনের দুই, তিন ও চার নম্বর ধারাকেও চ্যালেঞ্জ করেন তিনি। তাঁর মতে, উপাসনাস্থল আইনের এই ধারাগুলি নাগরিকদের প্রার্থনার অধিকার এবং ধর্মীয় প্রচারে হস্তক্ষেপ করে। সংস্কৃতি বাঁচিয়ে রখার পরিপন্থীও এই আইন। 

    প্রসঙ্গত, ১৯৯১ সালের ওই আইনকে চ্যালেঞ্জ করে ছটি নতুন আবেদনপত্র জমা হয়েছে। উপাধ্যায় ছাড়াও ওই আইনকে চ্যালেঞ্জ করে আরও একটি পিটিশন জমা পড়েছে আদালতে। পিটিশনটি দাখিল করেছেন জনৈক অনিল কাবর্তা। তাঁর দাবি, ব্যক্তিগত মালিকানায় থাকা জমি কিংবা নতুন কোনও জমিতে গড়ে তোলা হোক মসজিদগুলি। মন্দিরের ছাদ, দেওয়াল, স্তম্ভ কিংবা ভিতও যদি ভেঙে পড়ে এবং সেখানে নিত্য নমাজ পড়া হয়, তাহলেও মন্দিরের চরিত্র বদলায় না। জনৈক দেবকীনন্দন ঠাকুরের পিটিশনেও এই ‘ঐতিহাসিক ভুলে’র উল্লেখ রয়েছে।

    আরও পড়ুন : সুপ্রিম জয় ইডি-র! পিএমএলএ আইনে সংস্থার অধিকাংশ ক্ষমতা বহাল রাখল শীর্ষ আদালত

  • Nupur Sharma: গ্রেফতার করা যাবে না নূপুর শর্মাকে, মিলল সুপ্রিম নির্দেশ 

    Nupur Sharma: গ্রেফতার করা যাবে না নূপুর শর্মাকে, মিলল সুপ্রিম নির্দেশ 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) স্বস্তি পেলেন বিজেপির (BJP) সাসপেন্ডেড মুখপাত্র নূপুর শর্মা (Nupur Sharma)। গ্রেফতারিতে স্থগিতাদেশ চেয়ে দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। শেষমেশ মিলল স্বস্তি। সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানানো হয়েছে, ১০ আগস্ট পর্যন্ত কোনও মামলায় গ্রেফতার করা যাবে না নূপুরকে। প্রাণসংশয়ের আশঙ্কা রয়েছ বলেও এদিন আদালতের দাবি করেছিলেন নূপুর। সেই দাবিকেও গুরুত্ব দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, ওই একই ইস্যুতে যদি আগামী কয়েকদিনের মধ্যে কোনও এফআইআর দায়ের হয়, সেক্ষেত্রেও তাঁকে গ্রেফতার করা যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে বিচারপতি সূর্য কান্ত ও বিচারপতি জেবি পর্দিওয়ালার ডিভিশন বেঞ্চ।

    আরও পড়ুন : নূপুর শর্মাকে খুনের হুমকি! গ্রেফতার আজমের দরগার এক ধর্মগুরু

    হজরত মহম্মদকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে দল থেকে সাসপেন্ড করা হয় বিজেপির মুখপাত্র নূপুরকে। তার পরেও দেশজুড়ে শুরু হয় তাণ্ডব। কোথাও ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তা অবরোধ করে, কোথাওবা বিজেপির পার্টি অফিস পুড়িয়ে বিক্ষোভ দেখায় সংখ্যালঘু সম্প্রাদায়ের একাংশ। ঘটনার প্রেক্ষিতে নূপুরকে ফোনে হুমকি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ।

    এর আগে পয়লা জুলাই মামলা থেকে সুরক্ষার দাবিতে দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন নূপুর। তখন খারিজ হয়ে যায় তাঁর আর্জি। সম্প্রতি ফের আদালতের দ্বারস্থ হন বিজেপির সাসপেন্ডেড মুখপাত্র নূপুর। এদিন নূপুরের আইনজীবী মনিন্দর সিং বলেন, নূপুরের প্রাণ সংশয় রয়েছে। সেই দাবি মেনে নিয়ে এদিন ডিভিশন বেঞ্চের তরফে রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলিকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে, যাতে নূপুরের প্রাণ সংশয় না হয়, সেই মতো নিরাপত্তা দেওয়া হয়।

    আরও পড়ুন : নূপুর শর্মাকে ভর্ৎসনার প্রতিবাদ, খোলা চিঠি ১১৭ প্রাক্তন আমলার

    নূপুরের বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে দেশের নানা রাজ্যে তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়। দিল্লি, তেলঙ্গানা, কর্নাটক, মহারাষ্ট্র, উত্তর প্রদেশ মায় জম্মু-কাশ্মীরেও দায়ের হয় এফআইআর। কলকাতায় যে তাঁর বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিশ জারি করা হয়েছে, এদিন সে কথারও উল্লেখ করেন নূপুরের আইনজীবী। নূপুরের বিরুদ্ধে এফআইআরের পরিপ্রেক্ষিতে কয়েকটি ক্ষেত্রে তাঁর বিরুদ্ধে জারি হয়েছে গ্রেফতারি পরওয়ানা। সম্ভাব্য গ্রেফতার এড়াতেই আদালতের দ্বারস্থ হন নূপুর। তার প্রেক্ষিতেই মেলে স্বস্তি।  

     

  • Supreme Court: কোন কোন রাজ্যে হিন্দুরা সংখ্যালঘু? ‘নির্দিষ্ট’ উদাহরণ চাইল সুপ্রিম কোর্ট

    Supreme Court: কোন কোন রাজ্যে হিন্দুরা সংখ্যালঘু? ‘নির্দিষ্ট’ উদাহরণ চাইল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যে সব রাজ্যে হিন্দুরা সংখ্যালঘু (Hindu Minority), অথচ তাঁদের সেই মর্যাদা দেওয়া হয়নি, তার ‘পোক্ত’ উদাহরণ চাইল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। ভারতের (India) যেসব রাজ্যে হিন্দুদের জনসংখ্যা (Hindu population) কম, সেখানে সংখ্যালঘু মর্যাদার দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হয়েছে মামলা। সেই মামলায় এবার ‘কংক্রিট’ উদাহরণ চাইল দেশের শীর্ষ আদালত। বিচারপতি ইউইউ ললিত, এস রবীন্দ্র ভাট এবং শুধাংশু ধুলিয়ার বেঞ্চ সাফ জানাল, কোন কোন রাজ্যে হিন্দুরা (Hindu) সংখ্যালঘু, এবং সেখানে তাঁরা উপেক্ষিত কি না, তা আমাদের জানান।

    মাসকয়েক আগে সুপ্রিম কোর্টে এ ব্যাপারে জনস্বার্থ মামলা দয়ের করেছিলেন মথুরার এক ধর্মীয় নেতা দেবকীনন্দন ঠাকুর। তিনি ১৯৯২ সালের ন্যাশনাল কমিশন অফ মাইনরিটিজ অ্যাক্ট এবং ন্যাশনাল কমিশন অফ মাইনরিটিজ এডুকেশনাল ইন্সটিটিউশন অ্যাক্ট ২০০৪ কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দ্বারস্থ হন আদালতের। এতদিন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের তকমা পেয়ে আসছেন এ দেশের পাঁচ ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মানুষ। এঁরা হলেন— মুসলমান, শিখ, বৌদ্ধ, পার্সি এবং জৈন। এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই এদিন দেশের শীর্ষ আদালত জানান, আদালতের সামনে কংক্রিট উদাহরণ থাকলে তবেই এ ব্যাপারে বিবেচনা করা যাবে।

    আরও পড়ুন : নূপুরকে ভর্ৎসনা! সুপ্রিম পর্যবেক্ষণের সমালোচনায় আদালত অবমাননা হয়নি, মত অ্যাটর্নি জেনারেলের

    সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, অন্যান্য ধর্মীয় সম্প্রদায়ের চেয়ে মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে জন্মহার এদেশে অনেক বেশি। ২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে, ভারতে মুসলিম জনসংখ্যা আগের আদমসুমারির চেয়ে এক লপ্তে বেড়ে গিয়েছে বেশ খানিকটা। সমীক্ষকদের দাবি, এভাবে চলতে থাকলে দ্রুত বদলে যাবে ভারতবর্ষের ধর্মীয় মানচিত্র। আবেদনকারীদেরও দাবি, দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্যে হিন্দুরাই সংখ্যালঘু। তাই ওই রাজ্যগুলিতে তাদের সংখ্যালঘুর জন্য সংবিধানকৃত বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা প্রাপ্য।  সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই এদিন সুপ্রিম কোর্ট সাফ জানিয়ে দেয়, এ ব্যাপারে নির্দিষ্ট উদাহরণ চাই। এদিন আবেদনকারীর পক্ষে বর্ষীয়ান আইনজীবী অরবিন্দ দাতার এ ব্যাপারে আদালতের কাছে সময় চান। তিনি বলেন, সমস্যাটা হিন্দুদের সংখ্যালঘু বলা যাবে কিনা, তা নিয়ে। দাতার বলেন, বুঝতে পারছি আদালত কী জানতে চায়। এ ব্যাপারে প্রামাণ্য উদাহরণ থাকতে হবে যেখানে হিন্দুদের সংখ্যালঘু মর্যাদার বৈধ দাবি অস্বীকার করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন : জামিন নিয়ে নয়া আইন! জানুন কী বলল সুপ্রিম কোর্ট

    এদিন বেঞ্চ দাতারকে বলে, আসলে আমরা বলতে চাইছি ভাষাগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুর ব্যাপারে। এ দেশের যে কোনও ব্যক্তিই সংখ্যালঘু হতে পারেন। মহারাষ্ট্রের বাইরে মারাঠারা সংখ্যালঘু। একই রকমভাবে প্রতিটি রাজ্যে ভাষাগত মাইনরিটিও রয়েছে। আইন করে একে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না।

  • Maharashtra political crisis: মহারাষ্ট্র মামলা বৃহত্তর বেঞ্চে পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট, পরবর্তী শুনানি ১ অগাস্ট

    Maharashtra political crisis: মহারাষ্ট্র মামলা বৃহত্তর বেঞ্চে পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট, পরবর্তী শুনানি ১ অগাস্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিবসেনা (Shiv Sena) নেতা তথা মহারাষ্ট্রের (Maharasthra) মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে (Eknath Shinde) ও ওই দলেরই নেতা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের (Uddhav Thackeray) আনা বিভিন্ন মামলা বৃহত্তর বেঞ্চে পাঠানোর সুপারিশ করল দেশের শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। ওই বৃহত্তর বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হবে ১ অগাস্ট। সুপ্রিম কোর্টের এই সিদ্ধান্তের জেরে ১ অগাস্ট পর্যন্ত সময় পেল শিন্ডে ও উদ্ধব দুই শিবিরই। এই সময়সীমার মধ্যে দু’পক্ষের কোনও বিধায়কের বিরুদ্ধেই দলত্যাগ বিরোধী আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না।

    আরও পড়ুন : আসল শিবসেনা প্রমাণ করতে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হচ্ছেন শিন্ডে?

    শিবসেনা কার? উদ্ধব ঠাকরে না একনাথ শিন্ডের, এনিয়ে মোট ছটি আবেদন জমা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। এর মধ্যে পাঁচটি আবেদন করা হয়েছে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে শিবিরের পক্ষ থেকে। আর একটি মাত্র আবেদন করা হয়েছে বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের তরফে। এদিন শুনানির শুরুতেই সুপ্রিম কোর্টে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধবের পক্ষে সওয়াল করতে হাজির হন প্রবীণ আইনজীবী কপিল সিবাল। আর শিন্ডে শিবিরের হয়ে সওয়াল করেন বর্ষীয়ান আইনজীবী হরিশ সালভে। আদালতে সিবাল বলেন, মহারাষ্ট্রে গণতন্ত্র ঘোর বিপদে। ওই রাজ্যে যা ঘটছে তাতে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো তামাশায় পরিণত হয়েছে। পাল্টা সওয়াল জবাবে সালভে বলেন, এই তর্ক এখানে একেবারেই যথাযথ নয়, যেখানে একজন মুখ্যমন্ত্রীকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছেন তাঁরই দলের সদস্যরা।  

    দু’পক্ষের সওয়াল জবাব শোনার পর ১ অগাস্টের মধ্যে দু’পক্ষকে যাবতীয় নথি এবং জবাব জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। ততদিন পর্যন্ত মহারাষ্ট্র বিধানসভার স্পিকারকে বিধায়কদের অযোগ্যতা সংক্রান্ত বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ করতে নিষেধ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি এনভি রমন্না বলেন, আমার মনে হয়, বিষয়টির নিষ্পত্তির জন্য একে বৃহত্তর বেঞ্চে পাঠানো উচিত।

    আরও পড়ুন : বিজেপি কেন একনাথ শিন্ডের হাতে মহারাষ্ট্রের রাশ ছাড়ল?

    বিজেপির সঙ্গে জোট গঠন নিয়ে শিবসেনার একনাথ শিন্ডের সঙ্গে বিরোধ বাঁধে দলেরেই নেতা উদ্ধব ঠাকরের। শেষমেশ বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার গঠন করে শিন্ডে। পতন হয় উদ্ধব সরকারের। এর পরেই আদালতের দ্বারস্থ হয় দু’পক্ষই।

     

  • Supreme Court: ‘ভ্রূণ হত্যার সামিল!’ গর্ভপাতের অনুমতি নাকচ দিল্লি হাইকোর্টের, সুপ্রিম কোর্টে তরুণী

    Supreme Court: ‘ভ্রূণ হত্যার সামিল!’ গর্ভপাতের অনুমতি নাকচ দিল্লি হাইকোর্টের, সুপ্রিম কোর্টে তরুণী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গর্ভপাতের আবেদন নিয়ে দিল্লি হাইকোর্টের (Delhi Highcourt) রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন এক মহিলা। ২০ সপ্তাহের পর অবিবাহিত মহিলাদের গর্ভপাতে বাধার নিয়মকে চ্যালেঞ্জ করে গত সপ্তাহেই দিল্লি হাইকোর্টের (Delhi High Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। ২৩ সপ্তাহ গর্ভধারণের পর গর্ভপাত করতে চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ২৫ বছর বয়সী ওই অবিবাহিত মহিলা। কিন্তু মহিলার সেই আবেদন খারিজ করে দেয় হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সতীশ চন্দ্র শর্মার নেতৃত্বাধানী ডিভিশন বেঞ্চ। 

    আরও পড়ুন: হাতে ১১ ইঞ্চি লম্বা ছুরি! নূপুর শর্মাকে খুনের উদ্দেশে ভারতে পাক যুবক

    হাইকোর্ট জানায়, বর্তমান গর্ভপাত সংক্রান্ত যে আইনটি আছে তা অবিবাহিত মহিলাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। বর্তমানে যে মেডিক্যাল টার্মিনেশন অফ প্রেগন্যান্সি (সংশোধিত), ২০২১ আইন আছে তা কেবল যৌন নিপীড়ন, ধর্ষণের মতো ঘটনা এবং শারীরিক প্রতিবন্ধী, মানসিক প্রতিবন্ধী, মানসিক অসুস্থ নারীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। ইচ্ছাকৃত যৌন সম্পর্কের ক্ষেত্রে গর্ভপাতের অনুমতি দেবে না আদালত। 

    আরও পড়ুন: গ্রেফতার করা যাবে না নূপুর শর্মাকে, মিলল সুপ্রিম নির্দেশ

    আদালতের পর্যবেক্ষণ, এখন গর্ভপাত করা হলে তা কার্যত ভ্রূণ (Foetus) হত্যার সমান হবে। তাই আদালতের পরামর্শ, আবেদনকারী মহিলাকে কোথাও নিরাপদে রাখা হবে যতক্ষণ না তিনি সন্তানের জন্ম দেন। এছাড়াও আগত সন্তানকে পরবর্তীতে দত্তক দেওয়া যেতে পারে।

    দিল্লি হাইকোর্ট আরও বলে, “আমরা নিশ্চিত করব যে মেয়েটিকে কোথাও নিরাপদে রাখা হয়েছে এবং সে প্রসব করতে পারে। দত্তক নেওয়ার জন্য বহু মানুষ লাইন দিয়ে রয়েছে। আমরা শিশুটিকে হত্যা করার অনুমতি দেব না। আমরা খুবই দুঃখিত। এটি কার্যত ভ্রূণ হত্যার সমান।” 

    সম্প্রতি সরকারের নতুন নিয়ম অর্থাৎ মেডিকেল টার্মিনেশন অফ প্রেগনেন্সি আইন ২০২১ অনুযায়ী গর্ভপাতের সময়সীমা ২০ সপ্তাহ থেকে বাড়িয়ে ২৪ সপ্তাহ করা হয়েছে। কিন্তু সেক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি নিয়ম প্রযোজ্য হতে হবে, যেমন কোনও মহিলা যদি যৌন নিপীড়ন বা ধর্ষণের শিকার হন, বিধবা, বিবাহ বিচ্ছেদ, প্রতিবন্ধী, মানসিকভাবে অসুস্থ, ভ্রূণের বিকৃতি প্রভৃতি ক্ষেত্রে গর্ভপাতের অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু অবিবাহিত মহিলার ক্ষেত্রে ওই আবেদন খারিজ করে দেয় দিল্লি হাইকোর্ট। 

    তারপরেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন ওই মহিলা। মামলাকারীর আইনজীবীর দাবি, ওই মহিলা অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারের এবং অবিবাহিত। তাঁর সঙ্গী বিয়ে করতেও অস্বীকার করেছেন। তাই কোনওভাবেই সন্তানের জন্ম দেওয়া তার পক্ষে সম্ভব নয়। তিনি অত্যন্ত মানসিক কষ্টের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন। সময় যত এগোচ্ছে পরিস্থিতি আরও জটিল হচ্ছে। তাই সুপ্রিম কোর্টকে মামলাটিকে দ্রুত শুনানির জন্যে তালিকাভুক্ত করার আবেদন জানিয়েছেন ওই মহিলার আইনজীবী।   

  • Puri Jagannath Temple: পুরীর জগন্নাথ মন্দির লাগোয়া চত্বরে খোঁড়াখুঁড়িতে সায় সুপ্রিম কোর্টের

    Puri Jagannath Temple: পুরীর জগন্নাথ মন্দির লাগোয়া চত্বরে খোঁড়াখুঁড়িতে সায় সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরীর (Puri) জগন্নাথ মন্দির করিডর প্রকল্পে (Jagannath temple corridor project) সায় দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। এই প্রকল্পে আপত্তি জানিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের দায়ের করা জনস্বার্থের মামলাকে ‘ফালতু’ বলেও উল্লেখ করেছে শীর্ষ আদালত।

    বিচারপতি বিআর গাভাই এবং বিচারপতি হিমা কোহলির বেঞ্চ এদিন জনস্বার্থ মামলা নিয়ে মন্তব্য করেছে, জনস্বার্থ রক্ষার নামে মামলা করে জনস্বার্থকেই জলাঞ্জলি দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে কোনও কোনও ক্ষেত্রে। প্রসঙ্গত, মাসখানেক আগে দিল্লিতে এমনই আশঙ্কার কথা প্রকাশ করেছিলেন দেশের প্রধান বিচারপতি এমএন রামানাও। কথায় কথায় জনস্বার্থ মামলা করার প্রবণতা নিয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করেছিলেন তিনি। 

    আরও পড়ুন : ধাক্কা খেল মসজিদ কমিটি, জ্ঞানবাপী মামলায় বড় নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    পুরীর জগন্নাথ মন্দির লাগোয়া এলাকায় সৌন্দর্যায়নে জগন্নাথ টেম্পল (Jagannath Temple) করিডর হাতে নিয়েছে ওড়িশা (Odisha) সরকার। গত বছর ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক (Naveen Patnaik) ওই প্রকল্পের শিলান্যাসও করেন।

    ৮০০ কোটি টাকার ওই প্রকল্প নিয়ে আপত্তি তোলে জগন্নাথ মন্দির লাগোয়া বাসিন্দাদের একাংশ। তাঁদের বক্তব্য, মন্দির লাগোয়া এলাকায় খোঁড়াখুঁড়ি হলে ক্ষতি হবে আটশো বছরের পুরানো ওই মন্দিরের কাঠামোর। এই বক্তব্য তুলে ধরে নিম্ন আদালত ও ওড়িশা হাইকোর্টে বর্তমানে চলছে গুচ্ছ মামলা। সেই সব মামলায় আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার (ASI) পক্ষ থেকে জানানো হয়, ওড়িশা সরকার এই প্রকল্প নিয়ে এগোতে পারে।

    আরও পড়ুন : জ্ঞানবাপী মসজিদের ওজুখানার জলাধার সুরক্ষিত করার নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    মাসকয়েক আগেই উদ্বোধন হয়েছে বারাণসীতে কাশী বিশ্বনাথ মন্দির (Kashi Viswanath Temple) করিডরের। উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। সেই সময়ই ওড়িশা সরকার পুরীর জগন্নাথ মন্দিরেরও রূপ বদলের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে। তখন থেকেই মন্দিরের কাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে শুরু হয়ে যায় চর্চা। আদালতে দায়ের হয় একের পর এক মামলা। স্থানীয়দের একাংশের দাবি, সরকারি পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ হলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে আটশো বছরের পুরানো মন্দির। তখনই সরকার জানিয়ে দিয়েছিল, মন্দিরের ক্ষতি হবে এমন কোনও প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়নি।

    এদিন সরকারের সঙ্গে সহমত পোষণ করে সুপ্রিম কোর্টও জানিয়ে দেয়, তারা মনে করে জনস্বার্থেই এই প্রকল্প হাতে নিয়েছে ওড়িশা সরকার। প্রসঙ্গত, করিডরের কাজ শেষ হলে আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে শ্রীক্ষেত্র।

     

  • Nupur Sharma: হাতে ১১ ইঞ্চি লম্বা ছুরি! নূপুর শর্মাকে খুনের উদ্দেশে ভারতে পাক যুবক

    Nupur Sharma: হাতে ১১ ইঞ্চি লম্বা ছুরি! নূপুর শর্মাকে খুনের উদ্দেশে ভারতে পাক যুবক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির (BJP) সাসপেন্ডেড নেত্রী নূপুর শর্মাকে (Nupur Sharma) খুন করতে ভারতে পাক অনুপ্রবেশকারী (Pak Intruder)। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে বিএসএফ (BSF)। রাজস্থানের শ্রী গঙ্গানগর জেলায় আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাছে ধরা পড়ে ২৪ বছর বয়সী পাক যুবক রিজওয়ান আশরাফ।

    পুলিশ জানিয়েছে, হাতে ১১ ইঞ্চি লম্বা ছুরি নিয়ে পাকিস্তান থেকে সোজা ভারতে অনুপ্রবেশ করে রিজওয়ান। উদ্দেশ্য, নূপুরকে খুন করা। আর এই খুনের জন্য রীতিমতো ছক কষে ভারতে আসে সে। এমনকি খুনের পরিকল্পনা করার আগে আজমের দরগায় গিয়ে চাদরও চড়িয়ে আসার কথা ছিল ওই পাক যুবকের। এভাবে নূপুর শর্মাকে খুনের জন্য রিজওয়ানের ছক কষে ভারতে অনুপ্রবেশ রীতিমতো চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে গোয়েন্দাদের কপালে। 

    বিএসএফের এক সিনিয়র অফিসার জানান, গত ১৬ জুলাই রাত ১১টা নাগাদ হিন্দুমালকোট সীমান্তের কাছে সন্দেহজনক অবস্থায় ঘুরতে দেখা গিয়েছিল অভিযুক্তকে। টহলরত জওয়ানদের সন্দেহ হতেই তাঁরা ধরে ফেলেন তাকে। সিনিয়র অফিসার আরও বলেন, ওই পাক নাগরিকের ব্যাগ থেকে ১১ ইঞ্চি লম্বা ছুরি, একটি ধর্মগ্রন্থ, কিছু জামাকাপড়, খাবারদাবার এবং অনেকখানি বালি উদ্ধার করা হয়। অভিযুক্ত জানায় তার নাম রিজওয়ান আশরাফ। পাকিস্তানের পাঞ্জাবের মান্ডি বহাউদ্দিন এলাকার বাসিন্দা সে। জিজ্ঞাসাবাদে জানা গিয়েছে, পয়গম্বর নিয়ে নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যে (Nupur Sharma controversial comment)  ক্ষুব্ধ রিজওয়ান। তাই তাঁকে হত্য়ার উদ্দেশ্যেই সীমান্ত পেরিয়ে এদেশে অনুপ্রবেশ। প্রাথমিক জেরার পর রিজওয়ানকে স্থানীয় পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। অভিযুক্তকে আদালতে পেশ করা হলে আটদিনের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক। পুলিশ এবিষয়ে যাবতীয় তথ্য তুলে দেয় আইবি এবং অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার হাতে। তাদের একটি যৌথ দল ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও তথ্য জানার চেষ্টা করছে। 

    আরও পড়ুন: শিলিগুড়ি করিডরের কাছে চিন! ডোকলাম সীমান্তে গ্রাম বানাচ্ছে বেজিং

    পয়গম্বর বিতর্কে (Prophet Row) নূপুর শর্মার প্রতি বিদ্বেষ যে কমেনি, এ ঘটনা তার প্রমাণ। তবে, মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের রায়ে কিছুটা স্বস্তিতে নূপুর। তাঁর পয়গম্বর মন্তব্যে উত্তাল হয়েছিল গোটা দেশ। একাধিক রাজ্যে তাঁকে গ্রেফতার কর‍তে এফআইআরও দায়ের হয়েছিল। সেই মামলাগুলিতে গ্রেফতারির উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে দেশের শীর্ষ আদালতের কাছে আবেদনও করেন তিনি।

    সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, আপাতত কোনও রাজ্যের পুলিশ নূপুর শর্মাকে গ্রেফতার করতে পারবে না। দেশের শীর্ষ আদালতের তরফে এও বলা হয়েছে, ‘কোনও দমনমূলক সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না নূপুর শর্মার বিরুদ্ধে’। পয়গম্বর মন্তব্য বিতর্কে মঙ্গলবার এই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। দিল্লি, বাংলা, মহারাষ্ট্র সরকারকে নোটিসও দিয়েছে শীর্ষ আদালত। এখনও পর্যন্ত দেশে নূপুর শর্মার বিরুদ্ধে ৯টি মামলা দায়ের হয়েছে। 

  • Gyanvapi Case Update: নিম্ন আদালতের অবস্থান জেনেই রায় ঘোষণা, জ্ঞানবাপী মামলায় সুপ্রিম কোর্ট

    Gyanvapi Case Update: নিম্ন আদালতের অবস্থান জেনেই রায় ঘোষণা, জ্ঞানবাপী মামলায় সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাশী বিশ্বনাথ মন্দির (Viswanath Temple) –জ্ঞানবাপী মসজিদ (Gyanvapi Mosque) মামলায় রায় ঘোষণার আগে নিম্ন আদালতের অবস্থান জানতে চায় দেশের শীর্ষ আদালত। তাই জ্ঞানবাপী মামলায় আপাতত শুনানি স্থগিত রাখল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। এদিন এই মামলার শুনানি চলাকালীন সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানানো হয়, এই মামলায় বারাণসী জেলা আদালত কী সিদ্ধান্ত নেয়, তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। তাই চলতি বছরের অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত এই মামলায় স্থগিতাদেশ জারি করে সুপ্রিম কোর্ট।

    সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, এদিন মসজিদের ওজুখানার জলাধারে থাকা ‘শিবলিঙ্গে’ পুজোর দাবিতে করা একটি আবেদন খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। খারিজ করে দেওয়া হয়েছে ওজুখানার জলাধারে থাকা শিবলিঙ্গের বয়স জানার জন্য কার্বন ডেটিং পরীক্ষার আবেদনও।

    আরও পড়ুন : জ্ঞানবাপী মামলায় সমীক্ষার নির্দেশ দেওয়া বিচারককে হুমকি-চিঠি!

    প্রসঙ্গত, এদিন জ্ঞানবাপীর অঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটির দায়ের করা একটি মামলার শুনানি ছিল সুপ্রিম কোর্টে। ওই মামলায় বারাণসী দায়রা আদালতের নির্দেশে মসজিদ চত্বরে চালানো ভিডিও সার্ভের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। এদিকে, এদিনই বারাণসী জেলা আদালতে জ্ঞানবাপী মামলায় হিন্দু পক্ষের দায়ের করা মামলার বিরুদ্ধে মসজিদ কমিটির আবেদনের শুনানি হয়েছে।

    আরও পড়ুন : জ্ঞানবাপী মামলায় বাদী-বিবাদী দুপক্ষের হাতিয়ার ৮০ বছরের পুরনো মামলার রায়!

    ২০২১ সালের আগস্ট মাসে পাঁচ হিন্দু মহিলা জ্ঞানবাপীর মা শৃঙ্গার গৌরী ও মসজিদের ভিতরের পশ্চিম পাশের দেওয়ালে হিন্দু দেবদেবীর মূর্তি রয়েছে বলে দাবি করেন। সেখানে পুজোর অনুমতি চেয়ে তাঁরা দ্বারস্থ হন বারাণসী আদালতে। সেই মামলায় দিন কয়েক আগে বারাণসী দায়রা আদালতের বিচারক রবিকুমার দিবাকর নিযুক্ত কমিটির নির্দেশে মসজিদের ভিতরে শুরু হয়েছিল ভিডিও সার্ভে। তারই একটি ফুটেজ প্রকাশ্যে চলে আসে বলে দাবি হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের। তাতে দেখা যায়, মসজিদের ওজুখানার জলাধারে শিবলিঙ্গের মতো কিছু একটা রয়েছে। হিন্দুত্ববাদীদের দাবি, এটি শিবলিঙ্গই। যদিও মসজিদ কমিটির দাবি, এটি পুরানো ফোয়ারা। গত ২০ মে মামলা গড়ায় দেশের শীর্ষ আদালতে। পরে নিম্ন আদালত থেকে মামলাটি বারাণসী জেলা আদালতে পাঠিয়ে দেয় সুপ্রিম কোর্ট।

     

  • NEET-PG 2022: ফাঁকাই পড়ে থাকবে আসন? নীট-পিজির বিশেষ কাউন্সেলিং-এর আবেদন খারিজ শীর্ষ আদালতের

    NEET-PG 2022: ফাঁকাই পড়ে থাকবে আসন? নীট-পিজির বিশেষ কাউন্সেলিং-এর আবেদন খারিজ শীর্ষ আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৭ মে শেষ হয়ে গিয়েছে নীট-পিজির (NEET-PG 2022) কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া। এখনও ফাঁকা পড়ে রয়েছে ১,৪৫৬টি আসন। শীর্ষ আদালতে আসনগুলির জন্যে বিশেষ কাউন্সেলিং-এর (Special Counselling) আবেদন জানিয়েছিলেন পরীক্ষার্থী স্নাতক ডাক্তাররা। তাঁদের সেই আবেদন খারিজ করে দিল শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। 

    বিচারপতি এম আর শাহের বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, “ডাক্তারির পড়াশোনার মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় ভর্তির প্রক্রিয়া অনন্তকাল ধরে চলতে পারে না। এর জন্যে একটা নির্দিষ্ট সময় থাকে। সময়সূচি মেনেই তা করা হয়। নাহলে ডাক্তারির পড়াশোনা সর্বোপরি জনস্বাস্থ্যের ওপর খারাপ প্রভাব পড়বে।”  

    আরও পড়ুন: পেছাচ্ছে না নীট স্নাতকোত্তর পরীক্ষা, জানাল শীর্ষ আদালত

    বেঞ্চ আরও জানায়, “নয় ধাপের কাউন্সেলিং-এর পরে ৪০ হাজার আসনের মধ্যে ১,৪৫৬ আসন ফাঁকা পড়ে আছে। এর মধ্যে ১,১০০-র বেশি নন-ক্লিনিকাল আসন। প্রতিবছরই এই আসনগুলি ফাঁকা পড়ে থাকে।” আদালত কড়া ভাষায় বলে, “ডাক্তারির শিক্ষা, মেধা তালিকা তার গুণমান নিয়ে কোনও রকম আপোষ করা হবে না।”

    সম্প্রতি নীট পিজির আসন নিয়ে কেন্দ্রকে ভর্ৎসনা করে শীর্ষ আদালত। এখনও কেন আসন ভর্তি হয়নি, সেই প্রশ্ন করা হয়। ডাক্তারদের ভবিষ্যত নিয়ে কি ছেলেখেলা চলছে? কেন্দ্রকে তীব্র ভর্ৎসনা করেন বিচারপতি। 

    আরও পড়ুন: ফের স্থগিত হতে পারে এবছরের নীট পরীক্ষা, প্রতিনিধি পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বৈঠকের পর এমনই সম্ভবনা দেখা দিয়েছে 

    নীট-পিজির আসনে ভর্তি হচ্ছে না, এই অভিযোগে শীর্ষ আদালতে মামলা দায়ের করেন সাত চিকিৎসক। ৭ মে শেষ হয়ে গিয়েছে কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া, তারপরে কীভাবে ভর্তি নেওয়া হবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অনেক আসনই এখনও ফাঁকা পড়ে রয়েছে বলে অভিযোগ করেন তাঁরা। বিশেষ কাউন্সেলিং-এর আবেদনও জানান। কিন্তু ডাক্তারদের সেই আরজি খারিজ করে দিল দেশের শীর্ষ আদালত।  

    এর আগে নীট পিজির পরীক্ষা নিয়ে দফায় দফায় মামলা দায়ের হয়েছে আদালতে। তার জেরে অনেকটাই পিছিয়ে গিয়েছিল পরীক্ষা। কেন্দ্র নতুন সিলেবাসে পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানিয়েছিল। সেই আবেদনও খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত। 
     

  • Gyanvapi row: জ্ঞানবাপীকাণ্ডে এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ জমিয়ত-উলেমা-ই-হিন্দ

    Gyanvapi row: জ্ঞানবাপীকাণ্ডে এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ জমিয়ত-উলেমা-ই-হিন্দ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জ্ঞানবাপীকাণ্ডে (Gyanvapi mosque case) এবার সুপ্রিম কোর্টের (supreme court) দ্বারস্থ হল জমিয়ত-উলেমা-ই-হিন্দ (jamiat-ulama-i-hind)। তাদের দাবি, ঐতিহাসিক ভুলকে আদালতে ঠিক করা যায় না। ১৯৯১ সালের উপাসনাস্থল আইনের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলায় মসজিদ কমিটির তরফে পার্টি হল জমিয়ত।

    আরও পড়ুন :জ্ঞানবাপী মামলায় বাদী-বিবাদী দুপক্ষের হাতিয়ার ৮০ বছরের পুরনো মামলার রায়!

    বারাণসীর বিশ্বনাথ মন্দির ভেঙে জ্ঞানবাপী মসজিদ তৈরি হয়েছে বলে হিন্দুত্ববাদী একাধিক সংগঠনের দাবি। মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের নির্দেশে ভাঙা হয়েছে মন্দির। মসজিদের পশ্চিম দেওয়ালে হিন্দু দেবদেবীর মূর্তি খোদাই করা রয়েছে বলেও দাবি হিন্দুদের একাংশের। তাঁদের দাবি, এই এলাকায় পুজো হত শৃঙ্গার গৌরীর।

    এমতাবস্থায় পাঁচ মহিলা ওই এলাকায় উপাসনা করতে দেওয়ার দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হয়। এর পরেই মসজিদ চত্বরে ভিডিওগ্রাফির নির্দেশ দেয় আদালত। ভিডিওগ্রাফির ফুটেজ ফাঁস হয়ে যায় বলে দাবি স্থানীয় কয়েকজনের। সেই ফুটেজ থেকে জানা যায়, মসজিদের ওজুখানার জলাধারে রয়েছে শিবলিঙ্গ।

    হিন্দুত্ববাদীদের দাবি, এই শিবলিঙ্গ পুজোর অধিকার দিতে হবে তাঁদের। এর পরেই আদালেতর নির্দেশে সিল করে দেওয়া হয় ওজুখানার জলাধার। যদিও মসজিদে প্রতিদিন পাঁচবার নমাজ পাঠেরও অনুমতি দেওয়া হয়।

    আরও পড়ুন : “মামলা খারিজ করা হোক”, আদালতে আরজি জ্ঞানবাপী মসজিদ কমিটির

    ১৯৯১ সালে উপাসনাস্থল আইন (Places of Worship Act, 1991) আনে নরসিমহা রাওয়ের সরকার। ওই আইন অনুযায়ী, ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতার আগে যে ধর্মীয় স্থানের চরিত্র যেমন ছিল, তেমনই থাকবে। সম্প্রতি, এই আইনের সাংবিধানিরক বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আদালতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন অশ্বিনী উপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তি। তাঁর দাবি, মুঘল আমলে যেসব মন্দির মসজিদে পরিণত হয়েছিল, তাদের ফের আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দিতে হবে।

    এর প্রেক্ষিতেই আইনজীবী ইজাজ মকবুলের মাধ্যমে জমিয়ত জানিয়ে দেয়, ঐতিহাসিক ভুলের সমাধান আদালতে হতে পারে না। এ ব্যাপারে অযোধ্যা মামলার রায়ের উল্লেখ করেছে জমিয়ত। ওই রায়ে বলা হয়েছিল, ইতিহাসে ঘটে যাওয়া বিষয়বস্তু বা ঘটনাবলির সঙ্গে সহমত না হওয়া কোনও ব্যক্তিকে আইনি প্রতিকার দেওয়া বা অতীতে ফিরে যাওয়ার মাধ্যম হতে পারে না আদালত।

     

LinkedIn
Share