Tag: Surrender

  • Amit Shah: ছত্তিশগড়ে ফের আত্মসমর্পণ ২২ নকশালের, কী বললেন শাহ?

    Amit Shah: ছত্তিশগড়ে ফের আত্মসমর্পণ ২২ নকশালের, কী বললেন শাহ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাজ হয়েছে ‘শাহি দাওয়াই’য়ে! ফের আত্মসমর্পণ করলেন ২২ জন নকশাল। শুক্রবার ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) সুকমায় আত্মসমর্পণ করেন তাঁরা। দৃশ্যতই খুশি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। ফের একবার নকশালদের অস্ত্র ত্যাগ করার আহ্বান জানান তিনি। বলেন, ২০২৬ সালের মার্চের মধ্যে নকশালবাদের অবসান ঘটানোর জন্য মোদি সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

    কী বললেন শাহ (Amit Shah)

    এক্স হ্যান্ডেলে শাহ লেখেন, “ছত্তিশগড়ের বিজাপুর জেলায় বিভিন্ন অভিযানে কোবরা কমান্ডো ও রাজ্য পুলিশ আধুনিক অস্ত্র ও বিস্ফোরক সামগ্রী-সহ ২২ জন নকশালকে গ্রেফতার করেছে। সুকমার বাদেসেট্টি পঞ্চায়েতে ১১ জন নকশাল আত্মসমর্পণ করেছে, যার ফলে এই পঞ্চায়েত সম্পূর্ণ নকশালমুক্ত হয়েছে।” তিনি বলেন, “আমি নকশালদের প্রতি আবেদন জানাই, তাঁরা যত শীঘ্র সম্ভব অস্ত্র সমর্পণ করুন এবং মোদি সরকারের আত্মসমর্পণ নীতি গ্রহণ করে মূলধারায় ফিরে আসুন। ২০২৬ সালের ৩১ মার্চের আগেই আমরা দেশকে নকশালবাদের অভিশাপ থেকে মুক্ত করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।”

    ২২ জন নকশালের আত্মসমর্পণ

    এদিকে, ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেব সাই বলেন, আত্মসমর্পণকারী নকশালদের পুনর্বাসনের জন্য নিয়ম অনুযায়ী সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হবে। সুকমা জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে ৪০ লক্ষ টাকার পুরস্কারপ্রাপ্ত ১১ জন-সহ মোট ২২ জন নকশাল আত্মসমর্পণ করেছে। তিনি জানান, এটি আনন্দের বিষয় যে মাওবাদীরা এখন মূলস্রোতের সমাজে ফিরে আসার চেষ্টা করছে। আত্মসমর্পণকারী নকশালদের পুনর্বাসনে নিয়ম অনুসারে সবরকম সাহায্য করা হবে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহজির সংকল্প অনুযায়ী, ২০২৬ সালের মার্চের মধ্যে দেশ ও রাজ্য থেকে লাল সন্ত্রাসের সম্পূর্ণ উচ্ছেদ নিশ্চিত (Amit Shah)।

    ছত্তিশগড় বিজেপির প্রধান কিরণ সিং দেব বলেন, রাজ্যের বস্তার জেলা শান্তির দিকে এগিয়ে চলেছে। তিনি বলেন, “বস্তার জেলা ধীরে ধীরে শান্তির পথে এগোচ্ছে। পূর্বে দুর্গম ছিল এমন অনেক সরকারি কল্যাণমূলক প্রকল্প ও উন্নয়নমূলক উদ্যোগ এখন জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে পৌঁছতে পারছে। সকলের উচিত মূলস্রোতের সঙ্গে যুক্ত হওয়া।”

    এর আগে আজ, সুকমায় পুলিশ সুপারিন্টেন্ডেন্ট (এসপি) কিরণ গঙ্গারাম চবানের উপস্থিতিতে ৯ জন মহিলা-সহ (Chhattisgarh) মোট ২২ জন নকশাল আত্মসমর্পণ করেন (Amit Shah)।

  • Maoists Surrender: মাওবাদীদের ‘ভাই’ সম্বোধন শাহের, আটচল্লিশ ঘণ্টার মধ্যেই আত্মসমর্পণ তিন কমান্ডার-সহ ২৬ জনের

    Maoists Surrender: মাওবাদীদের ‘ভাই’ সম্বোধন শাহের, আটচল্লিশ ঘণ্টার মধ্যেই আত্মসমর্পণ তিন কমান্ডার-সহ ২৬ জনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “নকশাল ভাইদের কাছে আমার অনুরোধ, আপনারা অস্ত্রসমর্পণ করে সমাজের মূল স্রোতে ফিরে আসুন।” শনিবার ছত্তিশগড়ে (Chhattisgarh) এক সরকারি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে মাওবাদীদের (Maoists Surrender) উদ্দেশে এই বার্তাই দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেছিলেন, “একজন মাওবাদীর মৃত্যু হলেও, আমরা আনন্দিত হই না।” শাহের এই ভাই সম্বোধনের পর আটচল্লিশ ঘণ্টার মধ্যেই আত্মসমর্পণ করলেন ২৬ জন মাওবাদী। সোমবার ছত্তিশগড়ের বস্তার ডিভিশনের দান্তেওয়াড়া জেলার তিন মাওবাদী কমান্ডার-সহ আত্মসমর্পণ করলেন ২৬ জন গেরিলা। কেন্দ্রীয় বাহিনী সিআরপিএফের কাছে আত্মসমর্পণ করেন তাঁরা।

    মাওবাদী কমান্ডারের মাথার দাম (Maoists Surrender)

    পুলিশ জানিয়েছে, তিন মাওবাদী কমান্ডারের মাথার দাম ছিল সাড়ে চার লাখ টাকা। দান্তেওয়াড়ার পুলিশ সুপার গৌরব রাই বলেন, “অন্তর্দ্বন্দ্ব ও নাশকতার আদর্শের প্রতি মোহভঙ্গের কারণেই এঁরা আত্মসমর্পণ করে সমাজের মূল স্রোতে শামিল হচ্ছেন।” তিনি জানান, নিষিদ্ধ সিপিআই (মাওবাদী)-র সশস্ত্র শাখা পিএলজিএর বস্তার ডিভিশনে সক্রিয় বিভিন্ন দলমের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুক্ত ছিলেন আত্মসমর্পণকারী ২৬ নেতা-কর্মী। পুলিশ জানিয়েছে, আত্মসমর্পণকারী মাওবাদীরা জনমিলিশিয়া, বিপ্লবী পার্টি কমিটি, জনতানা সরকার, দণ্ডকারণ্য আদিবাসী কিষান মজদুর সংগঠন এবং চেতনা নাট্যমণ্ডলীর মতো শাখা সংগঠনগুলির সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত। তাঁর দাবি, এঁদের আত্মসমর্পণ নিরাপত্তা বাহিনীকে বাড়তি মনোবল জোগাবে। তিনি বলেন, “আমাদের গ্রাম, আমাদের পুলিশ প্রচার কর্মসূচির ফলেই এই সাফল্য।”

    মাওবাদীমুক্ত ভারত গড়ার বার্তা

    এদিন যাঁরা আত্মসমর্পণ (Maoists Surrender) করেছেন তাঁদের মধ্যে রাজেশ কাশ্যপ আমদই অঞ্চলের জনমিলিশিয়া কমান্ডার হিসেবে সক্রিয় ছিলেন। তাঁর মাথার দাম ঘোষণা করা হয়েছিল ৩ লাখ টাকা। জনতানা সরকার স্কোয়াডের প্রধান কোসা মাদভি ও সিএনএমের নেতা ছোটু কুঞ্জামের মাথার দাম ছিল যথাক্রমে এক লাখ ও ৫০ হাজার টাকা। ২০২৬ সালের মার্চ মাসের মধ্যে মাওবাদীমুক্ত ভারত গড়ার বার্তা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ছত্তিশগড়ে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পরে মাওবিরোধী অভিযান আরও গতি পেয়েছে। গত বছর বস্তার অঞ্চলে মাওদমন অভিযানে মৃত্যু হয়েছিল ২৮৭ জনের। গ্রেফতার করা হয়েছে হাজারেরও বেশি জনকে। সে বছর আত্মসমর্পন করেছিলেন ৮৩৭ জন। চলতি বছরে মাত্র তিন মাসে খতম হয়েছেন ১৩০ জন মাওবাদী। এতেই চাপে পড়ে গিয়েছে মাওবাদীরা। এদিকে, সরকার ডাক দিয়েছে ঘরে ফেরার (Chhattisgarh)। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেই সুযোগটাই কাজে লাগিয়ে ঘরে ফিরছেন মাও-গেরিলারা (Maoists Surrender)।

  • Maoists Surrender: সরকারি নীতিতেই মিলল সাফল্য! ছত্তিশগড়ে ফের আত্মসমর্পণ এক ঝাঁক মাওবাদীর

    Maoists Surrender: সরকারি নীতিতেই মিলল সাফল্য! ছত্তিশগড়ে ফের আত্মসমর্পণ এক ঝাঁক মাওবাদীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার সাফল্যের মুখ দেখল ‘মাও-দমন অভিযান’। তবে এবার আর অভিযান চালানো হয়নি। তার আগেই আত্মসমর্পণ করলেন ১৯ জন মাওবাদী (Maoists Surrender)। ১৭ মার্চ ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) বিজাপুর জেলায় ঘটে আত্মসর্পণের এই ঘটনা। এদিন যাঁরা আত্মসমর্পণ করেছেন, তাঁদের সম্মিলিত পুরস্কার মূল্য ছিল ২৯ লাখ টাকা। জানা গিয়েছে, পুলিশ ও সেন্ট্রাল রিজার্ভের কর্তাদের কাছে আত্মসমর্পণ করেন ওই মাওবাদীরা।

    আত্মসমর্পণকারী মাওবাদী (Maoists Surrender)

    আত্মসমর্পণকারী মাওবাদীদের মধ্যে কয়েকজন এসিএম, পিপিসিএমের সদস্য হিসেবে সক্রিয় ছিলেন। অন্যরা পিপল লিবারেশন গেরিলা আর্মি এবং নিষিদ্ধ গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত মিলিশিয়া গোষ্ঠীর সদস্য হিসেবে সক্রিয় ছিলেন। তাঁদের প্রত্যেককে ২৫ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে এবং রাজ্য সরকারের আত্মসমর্পণ ও পুনর্বাসন নীতির অধীনে তাদের পুনর্বাসন দেওয়া হবে। এর আগে ১৩ মার্চ বিজাপুর জেলায়ই ১৭ জন মাওবাদী আত্মসমর্পণ করেছিলেন। তারই কয়েকদিন পর ফের ঘটল আত্মসমর্পণের ঘটনা (Maoists Surrender)। আত্মসমর্পণকারীদের মাথার সম্মিলিত পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল ৪০ লাখ টাকা।

    প্রসঙ্গত, রবিবার তেলঙ্গনায়ও আত্মসমর্পণ করেছেন ৬০ জনেরও বেশি মাওবাদী। এঁদের মধ্যে ছত্তিশগড়ের এসিএম পদমর্যাদার এক মাওবাদীও ছিলেন। ১২ মার্চ ছত্তিশগড়ের বর্তমান রাজ্য সরকার মূলধারায় যোগদানকারীদের জন্য একটি নতুন আত্মসমর্পণ ও পুনর্বাসন নীতি ঘোষণা করার পর থেকেই সমাজের মূলস্রোতে ফিরতে দলে দলে আত্মসমর্পণ করছেন মাওবাদীরা।

    আত্মসমর্পণকারীদের সরকারি সাহায্য

    নয়া নীতির মাধ্যমে আত্মসমর্পণকারী মাওবাদীদের আর্থিক সহায়তা, শিক্ষা, নিরাপত্তা, পুনর্বাসন এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ দেওয়া হবে। এর মাধ্যমে রাজ্য সরকার নিশ্চিত করতে চায় যে, যারা হিংসার পথ ত্যাগ করছে, তারা মর্যাদার সঙ্গে জীবন যাপন করতে পারে। উপমুখ্যমন্ত্রী বিজয় শর্মাও মাওবাদীদের কাছে অস্ত্র ছেড়ে সমাজের মূল স্রোতে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “মাওবাদীদের কাছে আমাদের আবেদন হল, তারা যেন অস্ত্র ছেড়ে সমাজের মূল স্রোতে ফিরে আসে।”

    উল্লেখ্য, ছত্তিশগড়ে (Chhattisgarh) সাম্প্রতিক সময়ে মাওবাদী ক্যাডারদের আত্মসমর্পণের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। অস্ত্র সমর্পণ করেছেন বহু উচ্চপদস্থ মাওবাদী নেতা (Maoists Surrender)।

LinkedIn
Share