Tag: surrey’s lakshmi narayan temple

  • Khalistani Attack on Canada: কানাডায় ফের মাথাচাড়া দিচ্ছে ভারত-বিরোধিতা! গুরুদ্বার, মন্দিরে হামলা খালিস্তানিদের

    Khalistani Attack on Canada: কানাডায় ফের মাথাচাড়া দিচ্ছে ভারত-বিরোধিতা! গুরুদ্বার, মন্দিরে হামলা খালিস্তানিদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে জাস্টিন ট্রুডো সরে গেলেও খালিস্তানিরা (Khalistani Attack on Canada) সক্রিয় কানাডায়। এখনও খালিস্তান সমর্থকরা কানাডার বিভিন্ন স্থানে ভারত-বিরোধী কার্যকলাপ চালাচ্ছে এবং মন্দির ও গুরুদ্বারকে লক্ষ্য করে ভাঙচুর ও বিক্ষোভ করছে। সম্প্রতি ভ্যাঙ্কুভারের একটি ঐতিহাসিক গুরুদ্বারে খালিস্তানি কট্টরপন্থীরা তাদের স্লোগান লিখে দিয়ে যায়। সারের লক্ষ্মী নারায়ণ মন্দিরেও হামলা হয়। এই ঘটনার পরই ফের কানাডার হিন্দু ও শিখদের একজোট হওয়ার আহ্বান জানান অটোয়া-নেপিয়ান থেকে নির্বাচিত ভারতীয় বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান সাংসদ চন্দ্র আর্য।

    গুরুদ্বারে ভারত-বিরোধী স্লোগান খালিস্তানিদের

    রিপোর্ট অনুযায়ী, খালসা দিওয়ান সোসাইটির গুরুদ্বারে শনিবার ভারত-বিরোধী স্লোগান লিখে হামলা চালানো হয়। এটি রস স্ট্রিট গুরুদ্বার নামেও পরিচিত। গুরুদ্বারের এক মুখপাত্র একটি বিবৃতি জারি করে বলেছেন, ‘একদল বিচ্ছিন্নতাবাদী শিখরা আমাদের পবিত্র গুরুদ্বারের দেওয়াল বিকৃত করেছে এবং দেওয়ালে খলিস্তানি স্লোগান লিখেছে। খালসা সাজনা দিবস উপলক্ষে আমরা ঐক্যের বার্তা দিতে চাই। সেখানে একটি গোষ্ঠীর এই কাজ নিন্দনীয়। চরমপন্থী শক্তি শিখদের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করতে চায় এবং এটা ভয় সৃষ্টির চেষ্টা। কট্টরপন্থীরা আমাদের গুরুজনদের আত্মত্যাগ বুঝতে পারছে না। আমাদের প্রবীণরা বৈচিত্র্য ও স্বাধীনতার জন্য নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন। আমাদের বিভক্ত করার প্রচেষ্টা আমরা সফল হতে দেব না।’উল্লেখ্য, এই গুরুদ্বারটি ১৯০৬ সালে নির্মিত হয়েছিল। রবিবার গুরুদ্বারে নগরকীর্তন ও বৈশাখী কুচকাওয়াজের আয়োজন করা হয়। খালিস্তান সমর্থকদের এই কর্মসূচিতে যোগ দিতে নিষেধ করা হয়েছিল।

    লক্ষ্মী নারায়ণ মন্দিরেও হামলা

    গুরুদ্বার ছাড়াও সারে ও ব্রিটিশ কলম্বিয়ার মন্দিরেও হামলা চালিয়েছে খালিস্তানিরা (Khalistani Attack on Canada)। সেখানেও দেওয়ালে খালিস্তানি স্লোগান লেখা হয়েছে। মন্দিরের মুখপাত্র পুরুষোত্তম গোয়েল বলেছেন যে লক্ষ্মীনারায়ণ মন্দিরটি কানাডায় হিন্দু ও শিখদের মধ্যে ঐক্য বজায় রাখতে সক্রিয়ভাবে কাজ করে। সেই কারণেই সেই মন্দিরকেও টার্গেট করা হয়েছে। এটা কোনও কাকতালীয় ঘটনা নয়, বরং পরিকল্পিতভাবে এসব স্লোগান লেখা হয়েছে। এর আগেও ২০২৩ ও ২০২৪ সালে কানাডার বেশ কয়েকটি মন্দিরে হামলা হয়েছিল। পুলিশ এখনও পর্যন্ত ওই ঘটনায় অভিযুক্ত দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করতে পারেনি। সেই সময় লক্ষ্মী নারায়ণ মন্দিরেও গোলমাল ছড়িয়েছিল খলিস্তানিরা।

    হিন্দু ও শিখ সম্প্রদায়ের মধ্যে উদ্বেগ

    কানাডায় খালিস্তান (Khalistani Attack on Canada) সমর্থকদের দ্বারা গুরুদ্বার এবং হিন্দু মন্দিরগুলি লক্ষ্য করে ভারত-বিরোধী কার্যকলাপ বাড়ছে। সাম্প্রতিক ঘটনাগুলিতে দেখা গিয়েছে, তারা গুরুদ্বার এবং লক্ষ্মী নারায়ণ মন্দিরের বাইরে ভারত-বিরোধী পোস্টার লাগিয়েছে, স্লোগান দিয়েছে এবং মন্দিরেও ভাঙচুর চালিয়েছে। ভ্যাঙ্কুভার পুলিশ বিভাগের মুখপাত্র সার্জেন্ট স্টিভ অ্যাডিসন জানিয়েছেন, তারা তদন্ত শুরু করেছে, তবে এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে হিন্দু ও শিখ সম্প্রদায়ের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে।

    খালিস্তানি চরমপন্থার ভয়ানক নিদর্শন

    অটোয়া-নেপিয়ান থেকে নির্বাচিত ভারতীয় বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান সাংসদ চন্দ্র আর্য সম্প্রতি ব্রিটিশ কলম্বিয়ায় লক্ষ্মী নারায়ণ মন্দিরে খালিস্তানি চরমপন্থীদের গ্রাফিতি হামলার পর হিন্দু ও শিখ সম্প্রদায়কে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি সরকারের কাছে এই ধরনের চরমপন্থার বিরুদ্ধে দ্রুত ও কঠোর পদক্ষেপ করার দাবিও জানান। চন্দ্র আর্য এক্স-এ বলেন, “কিছু লোক আমাদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির ষড়যন্ত্র করছে।” চন্দ্র কানাডিয়ান হিন্দু চেম্বার অফ কমার্সের একটি ভিডিও শেয়ার করে বলেন, “হিন্দু মন্দিরে বারবার হামলার ঘটনা আজও অব্যাহত। এই সাম্প্রতিক গ্রাফিতি হলো খালিস্তানি চরমপন্থার ক্রমবর্ধমান প্রভাবের একটি ভয়ানক নিদর্শন। এই খালিস্তানি গোষ্ঠীগুলো সংগঠিত, অর্থবলে বলীয়ান এবং রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী। তারা কানাডায় হিন্দুদের কণ্ঠস্বর দমিয়ে রাখার চেষ্টা করছে।”

    নীরবতা আর কোনো বিকল্প নয়

    এছাড়াও, তিনি ভ্যাঙ্কুভারের খালসা দেওয়ান সোসাইটি (রস স্ট্রিট গুরুদ্বার) এ ‘খালিস্তান জিন্দাবাদ’ স্লোগানসহ গ্রাফিতি দেয়ার ঘটনাও তুলে ধরেন। তিনি (MP Chandra Arya) জানান, এই ধরনের হামলা শুধুমাত্র হিন্দুদের নয়, শিখ প্রতিষ্ঠানগুলোকেও টার্গেট করছে। চন্দ্রর মতে, “খালিস্তানি চরমপন্থীরা আমাদের শিখ ভাইদের পবিত্র স্থানেও হামলা চালাচ্ছে। এটি একটি স্পষ্ট বার্তা যে, এখন আর চুপ করে থাকার সময় নেই। কানাডার হিন্দু-কানাডিয়ানরা এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ শিখ-কানাডিয়ান ভাই-বোনেরা একসঙ্গে দাঁড়িয়ে সরকারের সকল স্তরের কাছ থেকে অবিলম্বে কার্যকর ব্যবস্থা দাবি করুন। নীরবতা আর কোনো বিকল্প নয়।” এই ঘটনার প্রেক্ষিতে কানাডায় (Khalistani Attack on Canada) বসবাসরত দক্ষিণ এশীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে উদ্বেগ ও নিরাপত্তাহীনতা বৃদ্ধি পেয়েছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়গুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার কী করবে, এখন সেদিকেই নজর সকলের।

LinkedIn
Share